ভারতীয় সিনেদুনিয়ার কিংবদন্তি, বলিউডের ‘হিম্যান’ ধর্মেন্দ্রর বিদায়বেলায় চেয়ে বসেছিল দেশের কোটি কোটি অনুরাগীর চোখ। যিনি একাই তিনশোর বেশি ছবিতে কাজ করে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন, যাঁর ‘স্টার পাওয়ার’ একসময়ে রাজনৈতিক মহলেও সমান গুরুত্ব পেত—সেই মহীরুহের শেষযাত্রা যে এত নীরবে সম্পন্ন হবে, তা কল্পনাও করেননি কেউ। আর সেই কারণেই ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর থেকেই উঠছে অসংখ্য প্রশ্ন। কেন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা মিলল না তাঁর? কোথায় সেই গান স্যালুট? কেন অনুরাগীরা তাঁকে শেষবার দেখা পর্যন্ত পেলেন না?
সোমবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল—এমন মাপের তারকার বিদায় কি এমন নিরবচ্ছিন্ন নীরবতায় ঢেকে রাখা উচিত ছিল? প্রত্যাশিত মতো বিপুল ভিড় পর্যন্ত জমতে দেওয়া হয়নি, আর তাতেই ক্ষোভ ও ব্যথা ছড়িয়েছে তারকাভক্তদের মধ্যে। অনেকেই লিখেছেন, “একবার অন্তত দেখতে দিতে পারত পরিবার।”
বলিউডের অন্দরমহলে ছড়িয়ে পড়েছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, প্রথমে সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ধর্মেন্দ্রকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়, গান স্যালুট-সহ শেষকৃত্য করা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাকি আপত্তি তোলে দেওল পরিবারই। তাঁদের দাবি, সবকিছু মিডিয়ার নজর থেকে দূরে রাখতেই চাইছিলেন তাঁরা। কারণ দিন পনেরো আগে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর ভুয়ো খবর রটতেই নাকি ভীষণ অপমানিত বোধ করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেই অভিমানের জেরেই এবার সত্যি খবরটিও গোপন রাখার পথ বেছে নেন তাঁরা।
যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে এই দাবি নিশ্চিত করা হয়নি, কিন্তু বলিউড মহলে কানাঘুষো চলছে—মিডিয়ার অতিরিক্ত নজরদারি, গুজব ও ভুল তথ্যর কারণেই নাকি ধর্মেন্দ্রর শেষযাত্রা এত চুপিসারে করা হয়েছে।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পুরনো সদস্যের বক্তব্য, ভারতীয় ছবির ইতিহাসে ধর্মেন্দ্রর মতো মেগাস্টার বিরল। তাঁর মতো ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেওয়া শুধু দুঃখজনক নয়, ‘অসম্মান’-ও বটে। কিন্তু পরিবার যখন নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন বিতর্ক থামার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন অনেকে।
তবে বলিউডের একটা প্রশ্নই এখন সবচেয়ে জোরালো—“এত বড় তারকার বিদায় কি সত্যিই এমন নীরব হওয়া উচিত ছিল?”
- More Stories On :
- Dharmendra
- Funarel
- Bollywood

