করণ জোহরের ছবি 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার' দিয়ে তার অভিনয় জীবনের শুরু হয়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নেন তিনি। তবে জায়গাটা তিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়েই করেছিলেন। স্টার কিডের মেয়ে অর্থাৎ জনপ্রিয় পরিচালক মহেশ ভাটের মেয়ে হওয়ায় সেটা কোনও বাড়তি সুবিধা করে দেয়নি। এই মুহূর্তে আলিয়ার ঝুলিতে বড় বাজেটের একাধিক ছবি যেমন ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’, ‘আর আর আর’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, ‘জি লে জারা'।
আলিয়া ভাট প্রসঙ্গে তার বাবা মহেশ ভাট জানিয়েছেন বাবার জন্য নয়, তার মেয়ে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় নিজেই তৈরি করে নিয়েছে। মহেশ ভাট এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন জানিয়েছেন,' সাক্ষাত্কারে মহেশ বলেছেন, “আমাদের পরিচিতিকে ছাপিয়ে গিয়েছে আলিয়া। নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় আর ওকে আমাদের পরিচয় দিতে হয় না। আলিয়ার মধ্যে আগুন আছে। আমি ফিল্মমেকার হওয়া সত্ত্বেও ইন্ডাস্ট্রি থেকে একটু দূরেই থেকেছি বরাবর। আমাদের বাড়িতে ঘনঘন পার্টি হত না। সংসার চালানোর জন্য ছবি তৈরি কাজ শুরু করেছিলাম আমি। এসবই দেখে বড় হয়েছে আলিয়া। খুবই সাধারণ বাচ্চার মতোই ও বড় হয়েছে। একাগ্রতা নিয়ে কাজ করে ও। অন্যদের প্রতিও ওর সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।”
শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান,“সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে দর্শক। ফলে একজন পারফরমার হওয়া সহজ কথা নয়। ফলে যাঁরা ছবি তৈরি করেন, তাঁদের জন্য আমার সম্মান অনেক বেশি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় একজন ছবির নির্মাতাকে। ছোট বয়সে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যাওয়া আরও বেশি কঠিন বিষয়। আমার মনে আছে, আলিয়া একদিন আমার পায়ের পাতায় ৫০০ টাকা দামের ক্রিম লাগিয়ে দিচ্ছিল। পরের বছরই ও এত রোজগার করল, যা ৫০ বছরে আমি একজন নির্মাতা হয়ে রোজগার করে উঠতে পারিনি।”
- More Stories On :
- Mahesh Bhatt
- Alia Bhatt