উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া না্ইডুর পর সরসংঘচালক মোহন ভাগবত। টুইটারের নীল টিকের আভিজাত্য খোয়ালেন আরএসএস প্রধান । সম্প্রতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেল থেকে নীল টিক সরে যাওয়ায় ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য প্রোফাইলে টিক আবার ফিরে আসে তাঁর। কিন্তু এই আঁচ নিভতে না নিভতেই নতুন করে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায় নেটদুনিয়ায়, যখন মোহন ভাগবত এবং বেশ কয়েকজন আরএসএস নেতার প্রোফাইল থেকে নীল টিক সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় টুইটার। আপাতত সেই নিয়েই জমেছে চাপানউতোর।
টুইটারের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছিল, ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে যদি কোনও প্রোফাইল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকে, সেক্ষেত্রেই নিয়ম অনুযায়ী এই ব্যাজ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এক ব্যক্তির নামে একাধিক ফেক প্রোফাইল আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, যাতে ফেক নিউজ ছড়ানোয় রাশ টানা যায়। শুধু মোহন ভাগবতের নয়, একাধিক আরএসএস নেতার প্রোফাইলের নীল টিক ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সংঘের দাবি, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদি নিষ্ক্রিয়তাই এর একমাত্র কারণ হয়, তবে টুইটারের তরফ থেকে আগাম কিছু জানানো উচিত ছিল। কিন্তু সেরকম কোনও সতর্কবার্তা না দিয়েই বিশেষ বিশেষ কয়েকজনের প্রোফাইলের ব্যাজ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার টুইটার বনাম কেন্দ্রের এই লড়াই নয়া মোড় নেয় একাধিক হাই প্রোফাইল অ্যাকাউন্ট থেকে ‘ব্লু টিক’ তুলে নেওয়ায়। এদিন প্রথমে দেশের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং পরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরিয়ে নেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়া হয় আরও চারজন প্রথম সারির আরএসএস নেতার হ্যান্ডেল থেকে। টুইটারের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছিল, ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে যদি কোনও প্রোফাইল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকে, সেক্ষেত্রেই নিয়ম অনুযায়ী এই ব্যাজ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। উপরাষ্ট্রপতির অ্যাকাউন্টের ব্লু টিক আবার ফিরিয়েও দেয় টুইটার। কিন্তু এসবের মধ্যেই ঘটে কেন্দ্রের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। টুইটার ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়ে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারের নির্দেশ মেনে নোডাল অফিসার নিয়োগ না করা হলে ফলাফল ভাল হবে না।
- More Stories On :
- Twitter blue tick
- Venkaiya Naidu-Mohan Bhagawwat