দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে রবিবার জনসভা করবেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। গত অক্টোবর মাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্যতম নেতা বিমল গুরুং। এরপরই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে নতুন নির্বাচনী জোট বাধল বিজেপি। তবে এ ক্ষেত্রে কোনও একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়। পাহাড়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল বিজেপি শিবির। এমন সময় বিজেপি–র প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা জানায় গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএফ)। সুভাষ ঘিসিংয়ের দলের এই সমর্থন আগামী বিধানসভা ভোটে কাজে আসবে বলে মত দু-পক্ষের।
জিএনএলএফ নেতা মহেন্দ্র ছেত্রী জানান, ‘২০১৯–এ লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি–র সঙ্গে জোট বেঁধেছিলাম, সেই জোট বিধানসভা নির্বাচনেও আমরা রাখতে চাই।’ এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি–র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘জিএনএলএফের সঙ্গে জোট বেধে আসন্ন নির্বাচনে আমরা লড়াই করব।’ ২০১৯ সালে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিএনএলএফ প্রার্থী নীরজ জিম্বা জোট করে বিধানসভা ভোটে লড়েন। এ দিন নীরজ জিম্বাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। নীরজের বক্তব্য, 'পাহাড়ে স্থায়ী সমস্যার সমাধান একমাত্র বিজেপি করতে পারে। তাই তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে এসেছি।'
আরও পড়ুন ঃ তৃণমূল ছাড়লেন শীলভদ্র দত্ত
বৃহস্পতিবারই পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি ১১টি গোর্খা সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি–র সঙ্গে জোট বাধার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় জিএনএলএফ। পাহাড়ের বৈঠকে দিল্লিতে, জিএনএলএফের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভলিউশনারি মার্ক্সিস্ট, অল ইন্ডিয়া গোর্খা লিগ–সহ দার্জিলিংয়ের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন। এ দিনের বৈঠকে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত হাজির ছিলেন।