ডুরান্ড কাপের মরণবাঁচন ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিয়ে বাজিমাত এটিকে মোহনবাগানের। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টিকে রইল ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন। সুমিত পাসির উপহার দেওয়া ‘আত্মঘাতী’ গোলে জয় পেল সবুজমেরুণ।
আড়াই বছর পর কলকাতায় ডার্বি। উত্তাল কলকাতা। টিকিটের হাহাকার। যুবভারতীর গ্যালারি কানায় কানায় ভর্তি। ডার্বি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। দুই দলের কাছেই ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকার মরণবাঁচন লড়াই। দুর্দান্ত একটা ম্যাচের সবরকম রসদই মজুত ছিল। প্রথমার্ধে ম্যাড়মেড়ে ফুটবল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলে গেল ছবিটা। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিলেন দুই দলের ফুটবলাররা।
এদিন প্রথমার্ধে কোনও দলের কোচই ঝুঁকি নিতে চাননি। তার মধ্যেই আধিপত্য ছিল এটিকে মোহনবাগনের। ইমামি ইস্টবেঙ্গল তাঁর দলের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। তা সত্ত্বেও শুরু থেকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি সবুজমেরুণ কোচ। প্রথমার্ধে বিক্ষিপ্ত লগ্নে আশিক কুরুনিয়ান, লিস্টন কোলাসো, হুগো বুমোসরা লালহলুদ ডিফেন্সে হানা দিলেও ইভান গঞ্জালেস, কিরিয়াকোরা সজাগ থাকায় কাজের কাজ কিছু হয়নি। ১৬ মিনিটে একটা ভাল প্রয়াস করেছিলেন আশিক কুরুনিয়ান। একক প্রচেষ্ঠায় বল ধরে ডিফেন্ডারদের চক্রব্যূহ ভেদ করে এগিয়ে গিয়ে বাঁপায়ে শট নিয়েছিলেন। তাঁর সেই শট পোস্টের অনেকদূর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২০ মিনিটেও আশিস, বুমোসদের একটা প্রয়াস ঠান্ডা মাথায় সামাল দেন কিরিয়াকোরা। ২২ মিনিটে কুরুনিয়ানারের সেন্টারে পা ছোঁয়াতে পারলে গোল পেতেন লিস্টন।
৩৪ মিনিটে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম প্রয়াস। ইভান গঞ্জালেসের বাঁপায়ের দুরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটেই কর্ণার পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। হুগো বুমোসের কর্ণার বিপদমুক্ত করেন লালহলুদ গোলকিপার কমলজিৎ সিং। প্রথমার্ধে সবাই যখন ধরে নিয়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকতে চলেছে, তখনও সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় এটিকো মোহনবাগান। লিস্টনের কর্ণার সুমিত পাসির বুকে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে ভিন্ন ছবি। সমতা ফেরানোর জন্য শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যে দু–দুটি সুযোগও তৈরি হয়। ৪৭ মিনিটে ক্লেইটন সিলভার সেন্টার এটিকে মোহনবাগান রক্ষণে বিপদমুক্ত হয়ে ফিরলে ফিরতি বলে শট নেন অনিকেত যাদব। বল অল্পের জন্য বাইরে যায়। এক মিনিট পরেই সেই ক্লেইটন সিলভার সেন্টার এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথকে একা পেয়েও জালে রাখতে পারেননি সুমিত পাসি। গোলটি করতে পারলে ভুলের প্রায়াশ্চিত্য হত।
The only way to celebrate a Derby goal! 💚♥️#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon pic.twitter.com/1GyJO7VW44
— ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) August 28, 2022
৫৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ইভান গঞ্জালেসের ভুলে বক্সের ঠিক মাথায় বল পেয়ে যান আশিক কুরুনিয়ান। বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে শট নেন। তাঁর সেই শট দারুণ তৎপরতার সঙ্গে বাঁচান লালহলুদ গোলকিপার। ৫৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে লুজ বল পেয়ে যান পোগবা। তাঁর শট গোললাইন থেকে বাঁচান কিরিয়াকু।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ প্রতি–আক্রমণে খেলাটা দারুণ জমে উঠেছিল। দুই দলই ইতিবাচক ফুটবল খেলায় গোলের সুযোগও তৈরি হয়। তবে কাজে লাগাতে পারেনি। ৭২ মিনিটে ডানদিক থেকে উঠে এসে দারুণ সেন্টার করেছিলেন ইভান গঞ্জালেস। ক্লেইটন সিলভার হেড সরাসরি সবুজমেরুণ গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে চলে যায়। ৭৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন এটিকে মোহনবাগানের কার্ল ম্যাকহিউ।
আরও পড়ুনঃ চোখের পলকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল টুইন টাওয়ার অবশেষে শেষ রক্ষা হল না
আরও পড়ুনঃ বিধায়কের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ দলের অঞ্চল সভাপতির, ভাইরাল ভিডিও, কটাক্ষ বিজেপির
- More Stories On :
- Mohun Bagan
- East Bengal
- Football
- Durand Cup
- Derby