শীতের শুরুতে পেঁয়াজ শাক খাওয়া কেন জরুরি? জানুন উপকারিতা ও সহজ রন্ধনপ্রণালী
শীতের শুরুতে হালকা ঠান্ডায় শরীরকে ফিট রাখতে খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ শাক থাকা উচিত বলেই মত পুষ্টিবিদদের। সহজলভ্য এই সবুজ শাক শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। বাজারে এখন সহজেই পাওয়া যাচ্ছে টাটকা পেঁয়াজ শাক, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর।পেঁয়াজ শাকের প্রধান উপকারিতা১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়পেঁয়াজ শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C, যা ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ভাইরাসজনিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।২. হজম শক্তি উন্নত করেএতে থাকা ফাইবার হজমের সমস্যা কমায়, গ্যাস-অম্বল দূর করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।৩. রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখেপেঁয়াজ শাকের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও সালফার যৌগ রক্ত পরিশোধন করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।৪. হাড় মজবুত করেএতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন K ও ম্যাগনেসিয়াম, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করেশীতকালে যা খুবই প্রয়োজন।৫. ওজন কমাতে সাহায্য করেক্যালোরি কম ও ফাইবার বেশি থাকায় নিয়মিত পেঁয়াজ শাক খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।রন্ধনপ্রণালী: পেঁয়াজ শাক ভাজা (সহজ ও ঘরোয়া)উপকরণপেঁয়াজ শাক ২ আঁটি (ভালো করে কুচি করা)আলু ১টি (ছোট কিউব করে কাটা, ঐচ্ছিক)কাঁচালঙ্কা ২টিরসুন বাটা ১ চা চামচহলুদ গুঁড়ো চা চামচলবণ (নুন) স্বাদমতোসর্ষের তেল ২ টেবিল চামচপ্রস্তুত প্রণালীকড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করুন।রসুন বাটা ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে অল্প ভেজে নিন।আলু ব্যবহার করলে আগে আলু হালকা ভেজে নরম করে নিন।এখন কুচি করা পেঁয়াজ শাক দিন।হলুদ ও লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজতে থাকুন।শাক থেকে জল বেরোলে তা শুকিয়ে গেলে নামাতে হবে।গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

