• ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, শুক্রবার ২১ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

চার নাবালিকার পাচারের চেষ্টা—তার পরেই ফের তিন ছাত্রী নিখোঁজ! শিলিগুড়িতে আতঙ্ক

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তিন নাবালিকা। কিন্তু তারা সেই পার্টিতে আর পৌঁছইনি। তারপর থেকেই তাদের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ হওয়ার দুদিন কেটে গেলেও তিন স্কুলছাত্রীর কোনও হদিস নেই। ফলে শিলিগুড়ি জুড়ে তৈরি হয়েছে প্রবল উদ্বেগ।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শহরের মাটিগাড়ার গেটবাজার এলাকার একাধিক সিসিটিভিতে তিনজনকে শেষবার দেখা গিয়েছে। সেই সূত্র ধরে ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় চলেছে সার্চ অপারেশন। এর মধ্যেই উঠছে আশঙ্কাএরা কি কোনও পাচারচক্রের খপ্পরে পড়েছে?এই আশঙ্কা আরও জোরালো কারণ, মাত্র কয়েক দিন আগেই জ্যোৎস্নাময়ী স্কুলের সামনে থেকে চার নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরপর দুটি ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বাড়ছে, এবং অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন করে অস্বস্তি।নিখোঁজ তিনজনের বয়স ১৪ বছর। তারা কবি সুকান্ত হাই স্কুলের ছাত্রী এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চানন কলোনির বাসিন্দা। পরিবারগুলি প্রধাননগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং জানিয়েছেন, একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। নাবালিকাদের খোঁজে তদন্ত চলছে। সম্ভাব্য সব সূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুরসভার মেয়র গৌতম দেবও ঘটনাটি নিয়ে স্পষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বারবার স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রশ্নশহরে কি কোনও অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাদের মাধ্যমে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিশোরীদের? প্রশাসন কি আরও সতর্ক হওয়া উচিত নয়?কবি সুকান্ত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিশিন বিশ্বাস জানান, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বুধবার তারা কেউ স্কুলে আসেনি। আমরা পরে শুনলাম তারা নিখোঁজ। প্রশাসন যদি আরও সতর্ক নজরদারি করে, তা হলে ভালো হয়।এখন দেখার, সিসিটিভিতে ধরা পড়া সেই শেষ মুহূর্তের সূত্র ধরে কত দ্রুত তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করতে পারে পুলিশ। উদ্বিগ্ন শহর আজ একটাই প্রশ্ন করছেকোথায় গেল মেয়েগুলো?

নভেম্বর ২১, ২০২৫
রাজ্য

ভূমিকম্প! কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, স্পষ্ট অনুভুত কম্পন, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.৫, উৎসস্থল বাংলাদেশ

শুক্রবার সকালেই আচমকা আতঙ্ক। ঘড়ির কাঁটা তখন প্রায় ১০টা ৮ মিনিট। কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে দক্ষিণের কাকদ্বীপসর্বত্র অনুভূত হল ভূমিকম্পের দোল। ঘরের পাখা, চেয়ার, টেবিল, দেওয়ালের ছবি একের পর এক দুলে ওঠায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। বহু এলাকায় বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।কোথায় ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র?আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে (USGS) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৫। কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশের নরসিংদী থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। উৎসস্থলের অগভীরতার কারণেই জোরালো ভাবে কেঁপে ওঠে দুই দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।বাংলাদেশে আতঙ্ক, রাস্তায় নেমে এলেন মানুষপ্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও ভয়াবহ দোল অনুভূত হয়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও বরিশাল পর্যন্ত কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর বহু মানুষ নিরাপত্তার জন্য বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। সমাজমাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়বিল্ডিং থেকে দ্রুত নেমে আসছেন অধিবাসীরা, কোথাও ঝাড়বাতি বা সিলিং ফ্যান দুলছে প্রবল দোলনে।কলকাতায় অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতাকলকাতা সাধারণত বড় ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নয়। তাই এই ধরনের তীব্র কম্পন শহরে খুবই বিরল। শীতের আমেজে অনেক বাড়িতেই সিলিং ফ্যান বন্ধ ছিল, ফলে কম্পন আরও স্পষ্ট দেখা যায় বলে জানান শহরের বাসিন্দারা। বিভিন্ন জায়গায় ঝুলে থাকা লাইট, দেওয়ালে টাঙানো ছবি দুলে ওঠার দৃশ্য ধরা পড়েছে।হুগলি, বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনাসব জায়গাতেই এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষায়, দোলন অন্তত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে পড়েছেভূমিকম্পের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে নানা ভিডিও ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন সাধারণ মানুষ। কারও বাড়ির সিলিং ফ্যান দুলছে, কোথাও আবার কর্মীরা অফিস থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসছেনএমন বহু দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। যাঁর সত্যতা জনতার কথা যাচাই করেনি।বর্তমান পরিস্থিতিএখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কলকাতা ও বঙ্গের বিভিন্ন দমকল ও প্রশাসনিক দফতর সতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রস্থল অগভীর হওয়ায় কম্পন তীব্র অনুভূত হলেও বড় বিপর্যয় হয়নি।রাজ্যজুড়ে এই অস্বাভাবিক ভূমিকম্পে সতর্কতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শপরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সাবধান থাকা, বাড়ির ভারী জিনিসপত্র স্থিরভাবে বাঁধা রাখা এবং প্রয়োজনে খোলা জায়গায় সরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখা জরুরি।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
রাজ্য

সাজা ঘোষণার আগেই নিহতের মায়ের ছবি তোলে দোষীর মেয়ে! আতঙ্কে বারাসত আদালত

বারাসত আদালতে সাজা ঘোষণার ঠিক আগেই ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিল নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারে। খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত এনজার নবীর সাজা ঘোষণা হওয়ার আগেই আদালত চত্বরে নিহত কিশোরের মা ও তাঁর ননদের ছবি তুলে নেয় অভিযুক্তের মেয়ে। তারপর সেই ছবি নাকি পাঠানো হয় আর এক খুনের আসামিকেএই অভিযোগ তুলেই বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ছুটে যান মৃত কিশোর ফারদিনের মা। পরে বারাসত আদালত এনজার নবীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের ঘোষণা করে।রায় শোনার পর কান্না চেপে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিশোরের মা জানান, তিনি ও তাঁর ননদ আদালত কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎই দেখেন, এনজারের মেয়ে তাঁদের দুজনের ছবি তুলছে। এরপরই আদালতেরই এক খুনের আসামিকে ছবি পাঠিয়ে দেয় বলে দাবি তাঁর। নিহতের মা বলেন, তাঁর আরেক সন্তান রয়েছে। তাই এই ঘটনা শোনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের পরিবারের।ফারদিনের পিসি হোসনেআরা বেগমও দাবি করেন, যে ব্যক্তির সঙ্গে ছবিগুলি পাঠানো হয়েছে, সে নাকি মাত্র চার মাসের মধ্যে খুনের মামলা থেকে জেল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। সেই কারণেই তাঁরা আরও ভয় পাচ্ছেন।এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়ার স্পষ্ট বক্তব্যএটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অভিযোগ। লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফারদিন খুনের মামলার পটভূমিতেও রয়েছে নৃশংসতার দীর্ঘ ইতিহাস। বারাসতের কাজিপাড়ায় দুই ভাইগোলাম নবী ও এনজার নবীর মধ্যে বহুদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই দ্বন্দ্বই চরমে ওঠে তালগাছ কাটা নিয়ে। তার কয়েক দিন পরেই গত ২০২৪ সালের ৯ জুন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় গোলামের ছেলে, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ফারদিন। পরিবারের চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে যায় সে। চার দিন পর বাড়ির লাগোয়া পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এরপর নিজের দোষ ঢাকতে এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়াতে থাকে এনজার নবী। মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই ভুয়ো খবর। শুধু এলাকাই নয়, সারা জেলাজুড়েও শুরু হয় ছেলেধরা সন্দেহে নানা মারধরের ঘটনা। পরে তদন্তে নামতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য, এবং ১৯ জুন এনজার নবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালত তাকে এই নৃশংস হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে।কিন্তু সাজা ঘোষণার আগেই নিহতের পরিবারের ছবি তোলা এবং তা কোনও অপরাধীর কাছে পাঠানোর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসত আদালত চত্বরে। পরিবার এখন প্রশ্ন তুলছেএই ঘটনার পিছনে কি নতুন কোনও চক্রান্ত? নাকি ভয় দেখানোর চেষ্টা? উত্তর দেবে তদন্তই।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর আতঙ্ক কি এবার বিএলওদের জীবন বিপন্ন করছে? সেরিব্রাল অ্যাটাকে পক্ষাঘাতের শিকার তপতী

এসআইআর ঘিরে রাজ্যজুড়ে যখন আতঙ্ক তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন হুগলির কোন্নগরের বিএলও তপতী বিশ্বাস। বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই রাস্তার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রাই তাঁকে দ্রুত কোন্নগর পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, তপতীদেবীর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে এবং এর ফলে তাঁর শরীরের বাঁ দিক পুরোপুরি অবশ হয়ে গিয়েছে।তপতীর স্বামী প্রবীর বিশ্বাস জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্ত্রী প্রবল মানসিক চাপে ছিলেন। এসআইআর সংক্রান্ত কাজের চাপ, মানুষের প্রশ্নের জবাব দেওয়া, এবং প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরে ঘরে গিয়ে ফর্ম বিলি করার চাপ আর নিতে পারছিলেন না তিনি। প্রবীরের কথায়, ও খুবই চিন্তায় ছিল। মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় আর কাজ চালানো সম্ভব ছিল না।ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কমিশনের তরফে তপতী বিশ্বাসকে বিএলও-র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, আপাতত তপতীর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে। চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখছেন।এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে নানা আশঙ্কা, গুঞ্জন ও ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়েছে। অনেকের মনেই বাড়ছে অস্থিরতা, উদ্বেগ এবং দেশছাড়া হওয়ার ভয়। শুধু সাধারণ মানুষ নন, ক্রমাগত কাজের চাপে বিএলওরাও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে। তপতী বিশ্বাসের এই ঘটনা সেই আতঙ্ক-চাপের আরেকটি নির্মম প্রতিচ্ছবি।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

বাক্সবন্দি বন্দুক পরিষ্কার করতে গিয়ে রক্তপাত—এই দম্পতির বয়ান কি বিশ্বাসযোগ্য?

শিবপুরের বিলাসবহুল আবাসনের এক ফ্ল্যাটে মর্মান্তিক ঘটনা। বুধবার সকালে নিজের ঘরে বসে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করছিলেন গোপাল যাদব। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ঠিক সেই সময়েই তাঁর পাশে চেয়ারে বসে ছিলেন স্ত্রী পুনম। আচমকা হাত ফসকে বন্দুক থেকে গুলি ছুটে গিয়ে সোজা গিয়ে লাগে পুনমের ঘাড়ে। গুলির শব্দে আবাসনের লোকজন ছুটে আসলেও গোপাল প্রথমেই দাবি করেন, এটি সম্পূর্ণ দুর্ঘটনা।গুলিবিদ্ধ পুনমকে তড়িঘড়ি করে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে পুলিশ হাসপাতালেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুনমও বলেন, স্বামী আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করার সময়ই গুলি বেরিয়ে যায়। যদিও এই দম্পতির বয়ান পুলিশের সন্দেহ পুরোপুরি কাটাতে পারেনি। তদন্তকারী অফিসারেরা মনে করছেন, এটা নিছক দুর্ঘটনা, নাকি গোপাল কোনও কারণে স্ত্রীকে খুন করতে চেয়েছিলেনসেই দিকটাই এখন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গোপালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হয়। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ঘটনাটি ঘটার পর গোপাল বন্দুকটি সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আগেই পুলিশ ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রটি বিহার থেকে এনেছিলেন গোপাল এবং নিজের সঙ্গে অস্ত্র রাখার নেশা ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের।এমন প্রশ্ন উঠছেঅভিজাত আবাসনে বসবাস করেও কীভাবে এতদিন ধরে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দিব্যি ছিলেন গোপাল? হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই অত্যন্ত ঢিলেঢালা। গেটে মেটাল ডিটেক্টর নেই, নেই কোনও কঠোর তল্লাশি। তাঁর কথায়, মেটাল ডিটেক্টর থাকলে গোপালের অস্ত্র নিয়ে ঢোকাই সম্ভব হত না।এই ঘটনার পর হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, জেলার সমস্ত আবাসনেই এবার বাধ্যতামূলক করা হবে মেটাল ডিটেক্টর। যাতে কোনও বাসিন্দা, অতিথি কিংবা বাইরের কেউ বেআইনি অস্ত্র নিয়ে ভেতরে ঢুকতে না পারে। শিবপুরের যে আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে বহু হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই দ্রুত নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

কাগজপত্র না মেলাতেই বিপদ! ভোটার লিস্টের উদ্বেগে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ ৬৩ বছরের ব্যক্তির

কামারহাটির প্রফুল্লনগরের বাসিন্দা ৬৩ বছরের রিকশাচালক অশোক কুমার সরদার এখন আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। পরিবার বলছে, ভোটার তালিকায় নিজের নাম না থাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকমতো না মেলায় ভয়, লজ্জা এবং মানসিক চাপেই তিনি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেইএটাই তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। যদিও একই তালিকায় তাঁর ঠাকুমার নাম ছিল, কিন্তু বানান ছিল ভুল। সে কারণে বারবার তিনি মনে করতেন, তাঁকে হয়তো কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হবে। পরিবার তাঁকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি কিছুতেই আশ্বস্ত হতে পারছিলেন না।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাগজপত্র ঠিক করতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। বুধবার সকালেও তিনি নথিপত্র নিয়ে এদিক-ওদিক ছুটেছেন। বিকেল পর্যন্ত কোনও সমাধান না মেলাতেই সন্ধ্যায় হঠাৎ সিসিআর ব্রিজের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। আচমকা ট্রেনের ধাক্কায় শরীরের নিচের অংশ গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবারের দাবি, তাঁর দুটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে।অশোকবাবুর মেয়ে চৈতালি সরকারের কথায়, আমরা সকালের দিকেই কাগজপত্র জোগাড় করছিলাম। পাড়ার এক দাদা ফর্ম ফিলআপ করেও দিয়েছেন। কিন্তু বাবা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। সবাই এত কথা বলছিল, এত আতঙ্ক তৈরি হচ্ছিল যে বাবা আর সহ্য করতে পারেনি। পরিবার মনে করছে, কিছুদিন ধরে এলাকায় ভোটার লিস্ট ঘিরে যে চাপ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা এই দুঃখজনক ঘটনার অন্যতম কারণ। ভীত, বিভ্রান্ত এবং অসহায় মনে করাতেই অশোকবাবু আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।বর্তমানে তিনি হাসপাতালে অতি সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার নামে ভয় তৈরি করা হলে তার পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারেঅশোকবাবুর ঘটনা তারই একটি মর্মান্তিক উদাহরণ।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর রাজস্থানে মালদার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধার

পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর রাজস্থানের জয়পুরে উদ্ধার হল মালদার পরিযায়ী শ্রমিক হরিবোল ঘোষের দেহ। রবিবার রাজস্থান পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করার পর বুধবার দুপুরে কফিনবন্দী অবস্থায় তাঁর মরদেহ পৌঁছায় চাঁচল মহকুমার নরদিপুর গ্রামে। গ্রামে পৌঁছাতেই শোকের আবহের পাশাপাশি চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।হঠাৎ নিখোঁজ, তারপর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত শ্রমিকের নাম হরিবোল ঘোষ (৩৮)। গত ৯ অক্টোবর রাজস্থানের জয়পুরে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, গত সপ্তাহে সহকর্মী শ্রমিকরা ফোন করে জানান যে হরিবোল রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এরপর পরিবার পুখুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।তবে ঘটনাটি ভিনরাজ্যের হওয়ায় মালদার পুলিশ তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানাতে পারেনি। ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গেও পরিবারের যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।হরিবোলের পিসতুতো দাদা রতন কর্মকার বলেন, মঙ্গলবার থেকে ওর খোঁজ পাচ্ছিলাম না। ঠিকাদারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি। রবিবার রাজস্থান পুলিশ ফোন করে জানায়, রক্তাক্ত অবস্থায় হরিবোলের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ও আত্মহত্যা করতে পারে না। পরিশ্রমের উপার্জিত টাকা ছিনতাই করতেই ওকে খুন করা হয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ।গ্রামে আতঙ্ক ও ক্ষোভবুধবার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই শোকের পাশাপাশি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একই গ্রামের বহু শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত কয়েক মাসে গ্রাম থেকে অন্তত তিনজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে। ফলে ভয় ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে শ্রমিক পরিবারগুলির মধ্যে। এক শ্রমিক পরিবারের সদস্য বলেন, বিনা সুরক্ষায়, না জানি কী ঝুঁকি নিয়ে বাইরে কাজ করতে যেতে হচ্ছে। এখন আর সাহস হচ্ছে না।রাজনীতিকদের প্রতিক্রিয়ামালতীপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন,ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা মৃতের পরিবারের পাশে আছি। প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।পরিবারের দাবি সঠিক তদন্ত চাইহরিবোল ঘোষের পরিবার দাবি করেছে, তাঁর কাছে রোজগারের মোটা অঙ্কের টাকা ছিল। সেই টাকাই লক্ষ্য করে তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তাঁরা ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

অভিজাত আবাসনে গুলি—পুলিশের সন্দেহ বাড়িতে থাকা সদস্যদের দিকেও

হাওড়ার শিবপুরে অভিজাত আবাসনের ভিতর ভয়াবহ গুলির ঘটনা। সকালে ঘুম ভাঙতেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কের হাওয়া। বহুতলের ১৬ তলার একটি ফ্ল্যাটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় গৃহবধূ পুনম যাদবকে। তাঁকে দ্রুত কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুলি তাঁর গলা ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।ঘটনা ঘটে বুধবার সকালে। শিবপুর থানার একেবারে কাছেই এই বিলাসবহুল আবাসন। ছয়টি পৃথক টাওয়ার নিয়ে তৈরি এই আবাসনে উচ্চমানের নিরাপত্তা থাকে। সেখানে কীভাবে বন্দুক হাতে কেউ ঢুকলএই প্রশ্নেই এখন সরগরম গোটা এলাকা। ১৫/ডি ব্লকের ৩৮৭ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকেন ব্যবসায়ী গোপাল যাদব, তাঁর স্ত্রী পুনম এবং তাঁদের ছোট সন্তান। ঘটনা ঘটার সময় গোপাল যাদবও ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।পুলিশের কাছে সন্দেহের তালিকা এখন লম্বা হচ্ছে। ফ্ল্যাটে ঢুকে কোনও দুষ্কৃতী কি গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেল? না কি পরিবারের মধ্যেই কেউ গুলি চালিয়েছে? নাকি কোনও কারণে পুনম নিজেই নিজের উপর গুলি চালিয়েছেন? ঘটনা এতটাই জটিল যে পুলিশের তদন্ত এখন নানা দিক খতিয়ে দেখছে। কারণ, ১৬ তলায় থাকা একটি নিরাপত্তাবেষ্টিত ফ্ল্যাটে বাইরের কেউ চুপিচুপি উঠে গিয়ে গুলি চালাবেএমন আশঙ্কা কমই। আবার নিরাপত্তার ফাঁক এতটাই বড় ছিল কি, যাতে একজন দুষ্কৃতী অজান্তে ঢুকে যেতে পারে? গুলি চালানোর পর সে কোথায় মিলিয়ে গেলগ্রাহকরা সেই প্রশ্নেই বেশি আতঙ্কিত।শিবপুর থানার পুলিশ সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, গুলি কোথা থেকে ছোড়া হয়েছে, বাড়ির ভিতরে কারা কোথায় ছিলেনসব তথ্য জোগাড় করছে পুলিশ। অভিজাত আবাসনে এমন রহস্যজনক শুটআউট নতুন করে নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। এলাকায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য, আতঙ্ক আর গুজবের ছড়াছড়ি।

নভেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ির উঠোনে ঝুলন্ত দেহ—এসআইআর কি কেড়ে নিল আরেক প্রাণ? পরিবারে ক্ষোভ-বিক্ষোভ

রাজ্যজুড়ে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়া চলার সময় আবারও তোলপাড় হল মালবাজার। প্রবল কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল এক মহিলা বিএলওর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। পরিবারের দাবি, দিনের পর দিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফর্ম বিতরণ, জমা নেওয়া এবং অফিসের নিয়মিত কাজসব মিলিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শান্তিমণি এক্কা। বুধবার সকালে তাঁর নিজের বাড়ির উঠোন থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে আসে শোক আর তীব্র ক্ষোভ।মৃতা শান্তিমণি এক্কা ছিলেন মালবাজারের রাঙামাটি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। এসআইআর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি লাগাতার বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার ফর্ম দিচ্ছিলেন, সংগ্রহ করছিলেন। পরিবার জানাচ্ছে, এই কাজের চাপ দিনে দিনে অসহ্য হয়ে উঠছিল। অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন তাঁকে বাড়ির উঠোনে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আতঙ্কিত হয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।খবর পেয়ে মৃতার বাড়িতে পৌঁছান অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। তিনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং বলেন, ঘটনার তদন্ত হবে। তবে পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর-এর চাপই শেষ করে দিল শান্তিমণিকে।এটাই প্রথম নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক, কাজের চাপ এবং মানসিক চাপে ইতিপূর্বে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন বিএলও অভিযোগ করেছিলেনঅতিরিক্ত চাপ, সময়সীমার কড়া নিয়ম আর ক্রমাগত রিভিউ তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে। কিছু মানুষ দেশছাড়ার ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছেন।মালবাজারের এই মৃত্যুর ঘটনা ফের নতুন করে প্রশ্ন তুলছেএসআইআর কি কাজের প্রয়োজনে দরকার, নাকি মানুষের উপর অসহনীয় চাপের বোঝা হয়ে উঠছে?

নভেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

ঘূর্ণাবর্তে আটকে শীত! কলকাতায় শীতের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও কেন ঢুকতে পারছে না উত্তুরে হাওয়া?

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হঠাৎ করে নেমে এসেছিল শীতের ছোঁয়া। এক লাফে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১৭ ডিগ্রিতে, আর শহরবাসী ভেবেছিলএবার বুঝি আগেভাগেই এসে পড়ছে শীত। কিন্তু ঘূর্ণাবর্ত আর পূবালী হাওয়ার জোড়া খাঁড়া পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা ফের চড়তে শুরু করায় কলকাতায় শীতের যে আমেজ তৈরি হয়েছিল, তা একেবারে মিলিয়ে যায়।তবে বুধের সকালেই ফের খানিকটা নামল পারদ। কলকাতার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৮ ডিগ্রির আশপাশে। যদিও শহরবাসী শীতের হালকা ছোঁয়া পেলেও আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেনএখনই জাঁকিয়ে শীত নামার সম্ভাবনা কম। দক্ষিণবঙ্গে যে শীতল উত্তুরে হাওয়া ঢোকার কথা, সেই পথেই ফের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন ঘূর্ণাবর্ত। সঙ্গে পূবালী হাওয়ার টান। ফলে শীতল বায়ুর প্রবেশপথ এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১৯ ডিগ্রি, বুধবার তা সামান্য নেমে ১৮ ডিগ্রিতে দাঁড়িয়েছে। তবে আগামী দুতিন দিনে তাপমাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি নেই, আকাশ একেবারে পরিষ্কারতবে তাই বলে শীত যে জমিয়ে পড়বে, তার নিশ্চয়তা নেই।এদিকে জেলায় জেলায় শীতের দাপট জোরকদমে চলছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলদার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারসব জায়গাতেই ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে সকাল। সাধারণত এই সময় যতটা ঠান্ডা থাকে, তার তুলনায় এবার একটু বেশি উষ্ণ হলেও কুয়াশার চাদরে মুড়েই শুরু হচ্ছে দিন। পাহাড়ে ঘোরার পরিকল্পনা করা পর্যটকদের জন্য আবহাওয়া আপাতত মনোরম হলেও তাপমাত্রা কবে নামবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারছেন না আবহবিদরা।সবটাই নির্ভর করছে ঘূর্ণাবর্ত কাটার ওপর। যতক্ষণ না উত্তুরে হাওয়ার পথ পুরোপুরি খুলছে, ততক্ষণ কলকাতায় শীত ঠিকমতো নামবে না। তাই শহরবাসী এখনও অপেক্ষায়কবে সেই কাঙ্ক্ষিত ঠান্ডা হাওয়া ঢুকে পড়ে লেপ-কম্বল বের করার সময় আসবে।

নভেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

কোথায় সেই শীত? ডিসেম্বরেও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বাংলায়

রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে মিলছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত সেই ঠান্ডা এখনও অধরাই। ভোরের দিকে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামছে। সকালের হিমেল হাওয়া আর সন্ধ্যার শিরশিরে ঠান্ডায় মানুষ গরম জামা গায়ে দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু দিনের মাঝামাঝি রোদের তেজ এখনও বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যার ফলে চেনা ডিসেম্বরের সেই কনকনে ঠান্ডা এখনও ফিরছে না বাংলায়।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা নামবে না। বরং সংক্রান্তি পেরোলেই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা এখন শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এই অবস্থানের কারণেই বাংলার উপর দিয়ে বইতে থাকা উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমে যাবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ বাতাস।বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গকোথাও বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। তবে ভোরবেলা কুয়াশায় ঢেকে থাকবে আকাশ। দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।আলিপুর দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবার থেকেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গেও রাতের দিকে শীত একধাক্কায় কমে যাবে। ফলে শীতের হিমেল স্পর্শ আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।এরই মধ্যে আরেকটি নতুন সিস্টেম তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। মধ্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতি শীতকে আরও কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে পারে।সব মিলিয়ে, শীতের অপেক্ষায় থাকা বাঙালিরা হয়তো ডিসেম্বরের শেষ দিকেই পেতে পারেন সেই পরিচিত ঠান্ডার ছোঁয়া। আপাতত আবহাওয়া বলছেশীত আসবে, তবে একটু দেরিতে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

‘কাগজ নেই, তাই ফিরছি’—এসআইআর শুরু হতেই সীমান্তে তিনশো বাংলাদেশির ভিড়

ভারতবাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় জমেছে শয়ে-শয়ে মানুষের। কারও হাতে ট্রলি ব্যাগ, কারও মাথায় বোঁচকা, আবার কেউ লোটা-কম্বল বেঁধে দাঁড়িয়ে কাতর চোখে তাকিয়ে রয়েছেন সীমান্তের দিকে। প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্যযত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া। কারণ হিসেবে অনেকেই সরাসরি জানাচ্ছেন, এসআইআর-এর ভয়ে আর থাকতে সাহস পাচ্ছেন না ভারতে।বছরের পর বছর কোনও নথিপত্র ছাড়াই রুটি-রুজির খোঁজে ভারতেই বসতি গেড়ে ছিলেন অনেক বাংলাদেশি। কেউ কলকাতার বিরাটিতে, কেউ চিনারপার্কে, কেউ আবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী, দিনমজুর বা ছোটখাটো কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বারোটি রাজ্যজুড়ে এবং পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলায় আচমকাই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর সেই আতঙ্কই যেন এখন তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে সীমান্ত অভিমুখে।সোমবার সকাল থেকে দেখা যায়, স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় জমছে শতাধিক বাংলাদেশির। দুপুরে সেই সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে যায়। পুরুষ, মহিলা, কোলের শিশুসবাই মিলে বাড়ির আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের সামনে কাঁটাতারের বেড়া, আর পেছনে অনিশ্চয়তায় ভরা অস্থায়ী জীবনের স্মৃতি।এরই মধ্যে সীমান্তে মোতায়েন ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আটকে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। যাঁরা বৈধ কাগজ দেখাতে পারছেন না, তাঁদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেই এগোচ্ছেন জওয়ানরা। স্থানীয় মানুষ এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত, অনেকেই বলছেনএ রকম দৃশ্য বহু বছর পর দেখা গেল। যে বাংলাদেশিরা এতদিন গোপনে ভারতেই বসবাস করছিলেন, তাঁরা এবার নিজেরাই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন।সাবিনা পারভিন নামে এক মহিলার কথায় উঠে এসেছে সেই আতঙ্কের ছবিটা। তিনি বললেন, বাংলাদেশেই আমার বাড়ি। কিন্তু বিরাটিতে থাকতাম। কোনও কাগজপত্র নেই। বেআইনিভাবেই ছিলাম। আরও এক ব্যক্তি স্বীকার করলেন, তিনি চিনারপার্কে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বললেন, আধারকার্ড নেই। বাংলায় এসেছিলাম পেটের দায়ে। এখন ভয় লাগছে, তাই ফিরে যাচ্ছি।সীমান্ত এলাকা জুড়ে এখন এক ধরনের চাপা উত্তেজনা। কেন এত মানুষ হঠাৎ দেশছাড়া হয়ে ফিরতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা মহলে জোর আলোচনা। স্থানীয়দের চোখের সামনে একটি বড় পরিবর্তনের ছবিযে সীমান্ত দিয়ে একসময় বেআইনিভাবে ঢুকতেন বাংলাদেশিরা, আজ সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। এসআইআর প্রক্রিয়ার আতঙ্কে এবার তাঁরা নিজের দেশেই ফেরার চেষ্টা করছেন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

সাহু নদীর তীরে রক্তাক্ত দেহ, ২০০ মিটার দূরে গাছে ঝুলছেন স্বামী—চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে

রবিবার ভোরেই শিলিগুড়িতে সামনে এল এক হাড়হিম করা দৃশ্য। সাহু নদীর পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেল এক মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ। তার কাছাকাছি কোথাও নয়, প্রায় ২০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল মহিলার স্বামীর নিথর দেহ। নরেশ মোড়ের এই দৃশ্য দেখে মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর যায় আশিঘর থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে।মৃত দম্পতি তপন মণ্ডল ও অনিমা মণ্ডল স্থানীয় বাসিন্দা। দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের দাম্পত্য। দুই ছেলেকে নিয়ে স্বাভাবিক, শান্ত সংসার। প্রতিবেশীদের মতে, এই দম্পতির মধ্যে কোনও দিন উচ্চবাচ্য বা অশান্তির শব্দ কানেও আসেনি। দুজনেই নিয়মিত নিজেদের কাজে যেতেন, সময়মতো বাড়ি ফিরতেন। তপন ছিলেন রাজমিস্ত্রি, অনিমা একটি কারখানায় কাজ করতেন।কিন্তু শনিবার আচমকাই সবকিছু বদলে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকেই আর কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁদের। ফোনও সুইচ অফ। পরিবার ও প্রতিবেশীরা রাতভর খোঁজ চালান। থানায় অভিযোগও জানানো হয়। কিন্তু পরদিন সকালে যা দেখা গেল, তা কোনও পরিবারই কল্পনা করেননি। নদীর পাড়ে অনিমার রক্তাক্ত দেহ। গলা প্রায় আলাদা হয়ে গিয়েছে। সেই দেহ থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই গাছে তপনের ঝুলন্ত দেহ।পুলিশ এখন এই ঘটনাকে ঘিরে নানা দিক তদন্ত করছে। জোড়া খুন? নাকি স্বামী আগে স্ত্রীকে খুন করে পরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি এর পেছনে আরও কোনও অদৃশ্য চরিত্র রয়েছে? কোনও সূত্র এখনই হাতে পাচ্ছে না পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, তাঁদের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না। দুই ছেলের কাজের চাপও ছিল স্বাভাবিক। তাই এর পেছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর রহস্য।স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, রাতের অন্ধকারে কিছু সন্দেহজনক আওয়াজ তারা শুনেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, নদীর দিক থেকে কিছু অচেনা লোককে নাকি দেখা গিয়েছিল। যদিও পুলিশ এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয়। দম্পতির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে।শিলিগুড়ির শান্ত ভোলাপাড়া এলাকা এই ঘটনার পর পুরোপুরি আতঙ্কে। ২০ বছরের দাম্পত্যের এমন ভয়াবহ পরিণতি কেউই মানতে পারছেন না। রহস্য যত গভীর হচ্ছে, ততই বাড়ছে স্থানীয়দের উদ্বেগ।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
রাজ্য

হাওয়ার দাপটে ঠান্ডা জোরালো! বাংলায় পারদ নামছে নভেম্বরের মাঝেই

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার সামনে এল এমন তথ্য, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ এমএম ক্যালিবারের তিনটি কার্তুজযার মধ্যে দুটি তাজা এবং একটি ফাঁকা শেল। সাধারণ মানুষের হাতে এ ধরনের কার্তুজ থাকে না। সাধারণত সেনাবাহিনী বা বিশেষ অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থার কাছেই এই ধরনের কার্তুজ থাকে। ফলে বিস্ফোরণের ঘটনার পর এই উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে তীব্র রহস্য।সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাই প্রশ্ন উঠছেকার্তুজগুলি কি বিস্ফোরণের সময়ই ছিল, নাকি পরে কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাখা হয়েছে তদন্তকে ঘোলাটে করতে? ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি কার্তুজ খতিয়ে দেখছেন। সেগুলির উৎপত্তি থেকে শুরু করে ব্যবহারের সম্ভাব্য সময়সবই যাচাই হচ্ছে দ্রুতগতিতে।এদিকে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং এনআইএ তদন্ত আরও জোরদার করেছে। বিশেষত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজের একাধিক কর্মীর উপর নজর বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষ কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিস্ফোরণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ১৫ জন চিকিৎসকের মোবাইল ফোন বন্ধ। ফলে সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।তদন্তকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওখলা অফিসেও হানা দিয়েছেন এবং বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছেন। বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে ছিলেন ডঃ উমর। জানা গিয়েছে, তিনি বিভিন্ন হাওয়ালা রুটের মাধ্যমে ২২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকা কোথা থেকে এসেছে এবং তার ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী ছিল, তাও এখন তদন্তের কেন্দ্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। লালকেল্লার মতো সংবেদনশীল এলাকার পাশে বিস্ফোরণের ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসায় গোটা রাজধানীতে আবারও ছড়িয়েছে উদ্বেগ।তদন্ত যত এগোচ্ছে, রহস্য ততই গভীর হচ্ছে। কার্তুজ উদ্ধার, নিখোঁজ চিকিৎসক, হাওয়ালা লেনদেনসব মিলিয়ে বিস্ফোরণের পেছনে কোনও বড় চক্র সক্রিয় থাকার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, এখনও পাওয়া তথ্য বরফের চূড়া মাত্র। আসল সূত্র পাওয়া গেলে উঠে আসতে পারে আরও বিস্ফোরক তথ্য।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যু! ভোটার লিস্টে নাম থেকেও আত্মঘাতী জলপাইগুড়ির কমলা রায়

রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা। আর এই সময়েই ফের আতঙ্কের ছায়া জলপাইগুড়িতে। অভিযোগ, এসআইআর-এর ভয়ে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলাকমলা রায়। বয়স ৫৩। বাড়ি বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা জলপাইগুড়ির সাতকুড়ায়। তাঁর পরিবার সরাসরি দাবি করেছে, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারেএই আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছিল। সেই আতঙ্কই শেষ পর্যন্ত ওঁকে গ্রাস করল।পরিবার জানিয়েছে, প্রায় ৪০ বছর আগে কমলা রায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই সাতকুড়া এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। তাদের বক্তব্য, কমলার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। আধার কার্ড, ভোটার কার্ডসব বৈধ নথিই ছিল তাঁর হাতে। কিন্তু তবুও তিনি ক্রমশ মনে ভয় জমাচ্ছিলেনএসআইআর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কি না, এই আশঙ্কাতেই নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই আতঙ্ক থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন কমলা।ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও শাসক দলের নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি, এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই কমলা রায় আতঙ্কে ছিলেন। এই ভয়ই তাঁকে দুর্বল করে দেয়। আমরা সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকব।পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তদন্ত চলছে মানসিক চাপে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কারণ খুঁজে বের করতে।উল্লেখ্য, এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই জলপাইগুড়ির আমবাড়িতে একইভাবে আত্মঘাতী হন ভুবনচন্দ্র রায় নামে এক প্রৌঢ়। তাঁর অভিযোগ ছিল, পরিবারের অন্য সবার ফর্ম এসআইআর-এ পৌঁছালেও তাঁর মেয়ের ফর্ম আসেনি। সেই আতঙ্কেই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। পরপর দুই মৃত্যুতে জেলায় এসআইআর নিয়ে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

চার বছর ধরে ভুয়ো আধারে ভারতবাস! বাংলাদেশে ফিরতে গিয়ে গ্রেফতার যুবক

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে বহু বাংলাদেশি বছরের পর বছর ধরে ভুয়ো পরিচয়ে বসবাস করছে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR শুরু হতেই বাড়ছে আতঙ্ক, আর এই আতঙ্কেই চোরাপথে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক যুবক। তাঁর নাম দুর্জয় রায়, বয়স আঠাশ। কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার দুপুরে সিঞ্জারহাট এলাকায় ঘুরতে থাকা সন্দেহজনক ওই যুবককে প্রথমে লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে খবর দেওয়া হয় দেওয়ানগঞ্জ আউট পোস্টে। পুলিশ এসে প্রশ্ন করতেই দুর্জয় স্বীকার করেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশে। এরপরই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।হলদিবাড়ি থানার তদন্তে সামনে আসে আরও তথ্য। দুর্জয়ের বাড়ি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার মর্দিয়া গ্রামে। চার বছর আগে চোরাপথে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হোটেলে ও চা বাগানে কাজ করতেন। ভারতে ঢোকার পর তিনি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসবই তৈরি করে ফেলেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, আধার-প্যান, ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে।তদন্তে জানা গেছে, SIR শুরু হতেই তাঁর উপর চাপ বাড়তে থাকে। আশঙ্কা হয়, ধরা পড়ে যাবেন। তাই দালালের মাধ্যমে কাঁটাতার পার করে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো তিনি হলদিবাড়ি পৌঁছলেও শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান।গ্রেফতার হওয়ার পর দুর্জয় বলেন, বছর চারেক আগে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। তারপর কাজ করতাম হোটেল, চা বাগানে। পুলিশের দাবি, SIR শুরুর পর চোরাপথে বাংলাদেশে পালাতে গিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। দুর্জয়ের গ্রেফতার এই তালিকায় নতুন সংযোজন।এই ঘটনার পর আবারও সামনে এল রাজ্যের সীমান্তনিরাপত্তা এবং অনুপ্রবেশের প্রশ্ন। অভিযোগ, চোরাপথ ব্যবহার করে বহু অনুপ্রবেশকারী এখনও এপারে-ওপারে যাতায়াত করছে, আর তাঁদের অনেকেই আর্থিক দালাল ও নেটওয়ার্কের মারফত ভুয়ো নথি তৈরি করেও ফেলছে সহজেই।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

লালকেল্লা বিস্ফোরণে বাংলার যোগ! উত্তর দিনাজপুর থেকে মেডিক্যাল ছাত্র গ্রেফতার, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

দিল্লির লালকেল্লার বাইরে যে বিস্ফোরণ-কাণ্ড দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে, সেই মামলায় উঠে এল বাংলার যোগ। উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে এনআইএ শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানার আলফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস পড়ুয়া যাহ নিশার আলমকে। জাতীয় তদন্ত সংস্থার বিশেষ দল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে সকালেই তাকে আটক করে। হঠাৎ এই গ্রেফতারি ঘিরে এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে।পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাহ নিশারের আদি বাড়ি পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় হলেও তাঁর পৈতৃক ভিটে ডালখোলা থানার কোনাল গ্রামে। বহু বছর আগে তাঁর বাবা তৌহিদ আলম কাজের সূত্রে লুধিয়ানা গিয়ে সেখানেই স্থায়ী হন। তবুও গ্রাম-পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক আজও অটুট। কয়েক দিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে মা ও বোনকে নিয়ে কোনাল গ্রামে এসেছিলেন নিশার। কিন্তু সেই সফরেই তাঁর জীবনে নামল ঝড়বিয়ের আনন্দের মাঝেই এনআইএ তাকে তুলে নিয়ে যায়।তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের তদন্তে প্রথমেই তাঁরা লুধিয়ানায় তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকেই জানা যায় যাহ নিশার এখন উত্তর দিনাজপুরে। খবর মিলতেই দ্রুত উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যায় এনআইএর বিশেষ দল। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেই নিশারকে চিহ্নিত করা হয় বলে দাবি। তাঁর ফোনের সিগন্যাল দেখাচ্ছিল সূর্যাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা। তারপরই সেখানে হানা দিয়ে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে তাকে ইসলামপুরে জিজ্ঞাসাবাদে রাখা হয়, পরে আরও তথ্যের খোঁজে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এদিকে যাহ নিশারের গ্রেফতারির খবরে হতবাক পরিবার এবং গ্রামের মানুষ। তাঁর কাকা আবুল কাশেম বলেন, ভাইপোকে আমরা ছোটবেলা থেকেই শান্ত-স্বভাবের ছেলে হিসেবে চিনি। সে পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোনও বিষয়েই মাথা ঘামায় না। গ্রামের লোকেরাও একই কথা বলছেনশান্ত, ভদ্র, শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। এমন বিস্ফোরক ঘটনার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে যাওয়া তাদের কাছে অবিশ্বাস্য।এই গ্রেফতারি শুধু পরিবারকেই নয়, গোটা গ্রামকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত কিছু স্পষ্ট জানায়নি, তবে তারা মনে করছে, দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে যাহ নিশারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে। এখন নজর সকলেরশিলিগুড়িতে চলা জেরা থেকে কী নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

শীতের আনন্দে আচমকা ব্রেক! রবিবার থেকে বাড়বে পারদ, ঘন কুয়াশায় রাজ্যের জেলাগুলিতে বিপত্তি

রাজ্যের আবহাওয়া হঠাৎই বদলে যেতে চলেছে। টানা কয়েক দিন ধরে শীতের হাওয়া আর কম তাপমাত্রার জেরে সকাল-সন্ধ্যায় জমে থাকা ঠান্ডায় সকলে শিরশিরানি টের পাচ্ছিলেন। অনেকের ঘরে ফ্যান বন্ধ, কেউ কেউ বের করে ফেলেছেন গরম জামা। শনিবার সকালেও সেই একই শীতল আমেজ। পশ্চিম দিক থেকে বাধাহীন শীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, ফলে তাপমাত্রা নেমেছে স্বাভাবিকের দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। কিন্তু এই শীত-জমাট পরিস্থিতির শেষ হতে চলেছে খুব দ্রুতই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, রবিবার থেকেই পুরো আবহাওয়ায় শুরু হবে বড় ধরনের বদল।শনিবার পর্যন্ত যদিও বঙ্গোপসাগরে কোনও আবহাওয়াগত সিস্টেম ছিল না, তাই বৃষ্টির সম্ভাবনাও ছিল না। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টে যাবে হাওয়ার গতিপথ। রবিবার থেকে রাজ্যে ঢুকবে পূবালী বাতাস, সঙ্গে বেড়ে যাবে আর্দ্রতা। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে, পারদ উঠে আসবে স্বাভাবিকের কাছাকাছি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কমে গিয়ে রাজ্যের আকাশে থাকবে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। কুয়াশা বাড়বে উত্তর ও দক্ষিণদুই বাংলাতেই, বিশেষত ভোরবেলায় দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে গিয়ে ২০০ মিটারে নামতে পারে। পাহাড়ি জেলা এবং উপকূলের এলাকাগুলিতে কুয়াশার দাপট আরও বেশি থাকবে, কোথাও কোথাও দেখা যেতে পারে মেঘলা আকাশও।এদিকে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, যার প্রভাব পড়ছে শ্রীলঙ্কার উপকূলে। দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকাতেও তৈরি হয়েছে আরেকটি আপার এয়ার সার্কুলেশন। এই দুটি সিস্টেম মিলেই রাজ্যের বাতাসে আর্দ্রতা বাড়াবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।উত্তরবঙ্গে এখনই তেমন কোনও বড় পরিবর্তন নেই। সেখানে চলবে শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম তাপমাত্রা নিয়েই আগামী ৬-৭ দিন বজায় থাকবে শীতের আমেজ।কলকাতায় শনিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের প্রায় তিন ডিগ্রি নীচে। রাতের পারদ এখনো ১৭ ডিগ্রি ঘরে। তবে রবিবার থেকে শহরের তাপমাত্রা বেড়ে পৌঁছতে পারে ১৯ বা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ঘোরাফেরা করেছে ৪১ থেকে ৯২ শতাংশের মধ্যে।অর্থাৎ, কয়েক দিন যে জোরালো শীতের আভাস মিলছিলসেটি রবিবার থেকেই নরম হতে চলেছে। শীত-হাওয়া সরলেও ভোরের কুয়াশা কিন্তু আরও ঘন হবে। ফলে সকালবেলার যাতায়াতে বাড়তে পারে সমস্যাও।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী শঙ্খধ্বনি! শিলিগুড়িতে শুভেন্দু-সুনীল বনসালের বৈঠক ঘিরে গরম রাজনীতি

উত্তরবঙ্গের রাজনীতি এখন কার্যত গরম হতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী ও সুনীল বনসাল বিজেপির ভোট কৌশল নির্ধারণে এই বৈঠককে ঘিরে কার্যত রাজনৈতিক হাওয়া বদলেছে। উত্তরবঙ্গের আসন্ন ভোটকে সামনে রেখেই আজ নির্বাচনী প্রস্তুতি বৈঠকে বসছে বিজেপি। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন উত্তরবঙ্গের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতিরা।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিলিগুড়ির রাজনৈতিক আবহে যেন অন্যরকম উত্তাপ। SIR ক্যাম্পে সকাল থেকেই হাজির সাংসদ রাজু বিস্তা, প্রাক্তন ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শুধু ক্যাম্পে উপস্থিতিই নয়, রাজু বিস্তা নিজ হাতে ভোটারের ফর্ম ফিলআপ করে দিচ্ছেন ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির দাবি, মানুষের সঙ্গে মাটিতে থেকে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।দলের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের সব জেলা নিয়ে এই বৈঠক হবে নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে। শুক্রবার থেকে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, আজকের বৈঠক থেকেই আমরা লক্ষ্য স্থির করছি উত্তরবঙ্গে আসন বাড়ানোই প্রধান লক্ষ্য। বহু মানুষ ফর্ম ফিলআপ করতে পারছেন না। আমরা কমিশনকে জানাব, প্রতিটি এলাকায় হেল্প ডেস্ক চালু করা হোক।এদিন আশ্রমপাড়ায় হেল্প ডেস্কে উপস্থিত হয়ে নিজে ফর্ম পূরণ করে দেন রাজু বিস্তা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে মানুষ তৃণমূলের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বুঝে গিয়েছেন। এবার তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবেই।বিজেপি এবার নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নতুন কৌশল নিয়েছে। কর্পোরেট স্টাইলের এস আই আর কমপ্লেন সেল অ্যান্ড মনিটরিং সেল খুলেছে মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা বিজেপি কার্যালয়ে। সূত্রের খবর, এই কল সেন্টার থেকেই বিএলএ-২ দের সহায়তা ও বিএলও দের কাজের উপর নজরদারি চালানো হবে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, এটি শুধুমাত্র প্রযুক্তি নির্ভর নয়, এটি আমাদের মাঠপর্যায়ের ফিডব্যাক সিস্টেমও।রাজ্য বিজেপি সূত্রের দাবি, উত্তরবঙ্গে দলের সংগঠন আগের তুলনায় আরও মজবুত। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগেই জমা পড়া সাংগঠনিক রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২১ সালের তুলনায় এবার অন্তত ৪৪ থেকে ৪৮টি আসনে তৃণমূলকে হারানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মোট বিধানসভা আসন ৫৪টি। বিজেপি নেতৃত্বের মতে, ছাব্বিশের ভোটে উত্তরের দুর্গ হবে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।এই বৈঠক তাই শুধু সাংগঠনিক আলোচনা নয়, উত্তরবঙ্গের বিজেপি ঘাঁটিতে মনোবল চাঙ্গার প্রচেষ্টাও। রাজনৈতিক মহল বলছে, শুভেন্দুবনসালের এই বৈঠক থেকে উত্তরবঙ্গের নির্বাচনী যুদ্ধের প্রথম সুরই বেজে গেল।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ...
  • 162
  • 163
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

সাজা ঘোষণার আগেই নিহতের মায়ের ছবি তোলে দোষীর মেয়ে! আতঙ্কে বারাসত আদালত

বারাসত আদালতে সাজা ঘোষণার ঠিক আগেই ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিল নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারে। খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত এনজার নবীর সাজা ঘোষণা হওয়ার আগেই আদালত চত্বরে নিহত কিশোরের মা ও তাঁর ননদের ছবি তুলে নেয় অভিযুক্তের মেয়ে। তারপর সেই ছবি নাকি পাঠানো হয় আর এক খুনের আসামিকেএই অভিযোগ তুলেই বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ছুটে যান মৃত কিশোর ফারদিনের মা। পরে বারাসত আদালত এনজার নবীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের ঘোষণা করে।রায় শোনার পর কান্না চেপে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিশোরের মা জানান, তিনি ও তাঁর ননদ আদালত কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎই দেখেন, এনজারের মেয়ে তাঁদের দুজনের ছবি তুলছে। এরপরই আদালতেরই এক খুনের আসামিকে ছবি পাঠিয়ে দেয় বলে দাবি তাঁর। নিহতের মা বলেন, তাঁর আরেক সন্তান রয়েছে। তাই এই ঘটনা শোনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের পরিবারের।ফারদিনের পিসি হোসনেআরা বেগমও দাবি করেন, যে ব্যক্তির সঙ্গে ছবিগুলি পাঠানো হয়েছে, সে নাকি মাত্র চার মাসের মধ্যে খুনের মামলা থেকে জেল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। সেই কারণেই তাঁরা আরও ভয় পাচ্ছেন।এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়ার স্পষ্ট বক্তব্যএটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অভিযোগ। লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফারদিন খুনের মামলার পটভূমিতেও রয়েছে নৃশংসতার দীর্ঘ ইতিহাস। বারাসতের কাজিপাড়ায় দুই ভাইগোলাম নবী ও এনজার নবীর মধ্যে বহুদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই দ্বন্দ্বই চরমে ওঠে তালগাছ কাটা নিয়ে। তার কয়েক দিন পরেই গত ২০২৪ সালের ৯ জুন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় গোলামের ছেলে, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ফারদিন। পরিবারের চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে যায় সে। চার দিন পর বাড়ির লাগোয়া পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এরপর নিজের দোষ ঢাকতে এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়াতে থাকে এনজার নবী। মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই ভুয়ো খবর। শুধু এলাকাই নয়, সারা জেলাজুড়েও শুরু হয় ছেলেধরা সন্দেহে নানা মারধরের ঘটনা। পরে তদন্তে নামতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য, এবং ১৯ জুন এনজার নবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালত তাকে এই নৃশংস হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে।কিন্তু সাজা ঘোষণার আগেই নিহতের পরিবারের ছবি তোলা এবং তা কোনও অপরাধীর কাছে পাঠানোর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসত আদালত চত্বরে। পরিবার এখন প্রশ্ন তুলছেএই ঘটনার পিছনে কি নতুন কোনও চক্রান্ত? নাকি ভয় দেখানোর চেষ্টা? উত্তর দেবে তদন্তই।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

আবার বন্ধ বিদ্যাসাগর সেতু! রবিবার ৭ ঘণ্টার জন্য থমকে যাবে যাতায়াত

বিদ্যাসাগর সেতু আবারও বন্ধ থাকতে চলেছে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে। কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি যে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করে, সেই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথ একটানা সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে আগামী রবিবার, ২৩ নভেম্বর। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনও গাড়িই উঠতে পারবে না সেতুর উপর। নির্দিষ্ট সময় পেরোলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতি রবিবারেই সেতুর মেরামতির জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। এর আগেও ১৬ নভেম্বর বিদ্যাসাগর সেতু বন্ধ ছিল দীর্ঘ সময়। ওই দিন ভোর ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেতুর উপর যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেতুর হোল্ডিং ডাউন কেবল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ বিয়ারিংগুলির মেরামতিএই সব কাজই এখন দ্রুতগতিতে চলছে। সেই কারণেই নিরাপত্তার স্বার্থে এবং কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে সপ্তাহের শেষ দিনে কয়েক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখা হচ্ছে সেতু।এইচআরবিসির ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ভার বহন ক্ষমতা বজায় রাখতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অপরিহার্য। সেতুর বিশাল তার, বিয়ারিং ও স্টিল স্ট্রাকচার সবই অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই কাজ চলাকালীন যেকোনও দুর্ঘটনা এড়াতে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ রাখাই নিরাপদ।কলকাতা বা হাওড়া থেকে যাতায়াতকারী মানুষজনকে এই সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্প পথ হিসেবে খোলা থাকবে হাওড়া ব্রিজ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে অনুমান। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করে বের হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।একটানা কয়েক রবিবার ধরে বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীই বিরক্ত হলেও, প্রশাসনের দাবিএই কাজ শেষ হয়ে গেলে সেতু আরও নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। তাই আপাতত কিছুটা অসুবিধা হলেও সুফল মিলবে ভবিষ্যতে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

“এসআইআর বন্ধ করুন”—নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার, আতঙ্কে রাজ্য

রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে যখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক স্তরে উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠালেন। চিঠিতে তাঁর দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক ও অমানবিক। অবিলম্বে প্রক্রিয়া বন্ধ বা স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কয়েক হাজার বিএলও দিনরাত রাস্তায় ঘুরে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই, নেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এত বড় কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এতে এমন সব ভুল-ত্রুটি তৈরি হবে, যার দায় শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে বইতে হবে। অনেক প্রকৃত ভোটার ভুলবশত বাদ পড়ে যেতে পারেন। মমতার কথায়, এভাবে চাপিয়ে দেওয়া হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোটাধিকারই প্রশ্নের মুখে পড়বে।চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন আত্মহত্যা, অসুস্থতা, হতাশার খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। ইতিমধ্যেই এক বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও বহু বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মমতার দাবি, এই পরিস্থিতি বোঝার বদলে কলকাতার সিইও দপ্তর উল্টো বিএলওদের ভয় দেখাচ্ছে, শোকজ করছে, কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও অমানবিক করে তুলছে।তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এত বড় দায়িত্ব কি মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব? ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ডেটা আপলোড করার যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশঙ্কা, চরম চাপে ভুলভ্রান্তি অনিবার্য, আর ভুল ফর্ম জমা পড়লে প্রকৃত ভোটারই সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন।চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে লিখেছেন, এই প্রক্রিয়া যে উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি মানুষের ভয়, দুর্দশা ও অস্থিরতা সরাসরি অনুভব করছেন। সেই কারণেই এসআইআর স্থগিত বা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপও চান।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

সুদে টাকা ফেরত নয়, উল্টে কারচুপি—ইডির জালে আরেক সাহারা আধিকারিক

সাহারা ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার তদন্তে বড় পদক্ষেপ নিল ইডি। ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হলেন সংস্থার প্রাক্তন কর্তা ওমপ্রকাশ শ্রীবাস্তব। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে যান। টানা জেরা চলতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইডি অভিযোগ করেছে, তিনি তদন্তে বারবার অসহযোগিতা করেছেন। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এই মামলার সূত্র বহু পুরনো। সাহারা ইন্ডিয়া আমানতকারীদের মোটা টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা বাস্তবে কেউ পাননি। এরপর সংস্থার বিরুদ্ধে ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। সুব্রত সাহা, তাঁর ছেলে-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। মামলাটি পরে পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। ইডির দাবি, আমানতকারীদের থেকে সংগ্রহ করা বিপুল অর্থের মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা সংস্থার তিন কর্তার কাছে গিয়েছিল। ওমপ্রকাশের ব্যক্তিগত হিসাবে গিয়েছে ১৫০ কোটি।ইডির আরও অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিলেও সেই প্রক্রিয়াতেও কারচুপি করা হয়েছে। ওমপ্রকাশ নাকি সাহারায় কর্মরত থাকার সময় বিভিন্ন সংস্থায় টাকা সাইফুন করেছেন, এমনকি ব্যক্তিগত মুনাফাও তুলেছেন প্রায় ১৫০ কোটি।জেরার পর ওমপ্রকাশ শ্রীবাস্তবকে বৃহস্পতিবারই আদালতে তোলা হয়। ইডি আদালতে জানিয়েছে যে, তিনি সাহারা সংস্থা থেকে অবসর নেওয়ার পর অন্য সংস্থায় যুক্ত হলেও পুরনো নথি ও লেনদেনে তাঁর ভূমিকা গোপন করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারীরা তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে চাইছে, যাতে টাকা সাইফুনের পুরো রুট ও কার কার ভূমিকা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা যায়।সাহারা মামলায় এই গ্রেপ্তার নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে আর্থিক মহলে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর আতঙ্ক কি এবার বিএলওদের জীবন বিপন্ন করছে? সেরিব্রাল অ্যাটাকে পক্ষাঘাতের শিকার তপতী

এসআইআর ঘিরে রাজ্যজুড়ে যখন আতঙ্ক তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন হুগলির কোন্নগরের বিএলও তপতী বিশ্বাস। বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই রাস্তার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রাই তাঁকে দ্রুত কোন্নগর পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, তপতীদেবীর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে এবং এর ফলে তাঁর শরীরের বাঁ দিক পুরোপুরি অবশ হয়ে গিয়েছে।তপতীর স্বামী প্রবীর বিশ্বাস জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্ত্রী প্রবল মানসিক চাপে ছিলেন। এসআইআর সংক্রান্ত কাজের চাপ, মানুষের প্রশ্নের জবাব দেওয়া, এবং প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরে ঘরে গিয়ে ফর্ম বিলি করার চাপ আর নিতে পারছিলেন না তিনি। প্রবীরের কথায়, ও খুবই চিন্তায় ছিল। মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় আর কাজ চালানো সম্ভব ছিল না।ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কমিশনের তরফে তপতী বিশ্বাসকে বিএলও-র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, আপাতত তপতীর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে। চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখছেন।এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে নানা আশঙ্কা, গুঞ্জন ও ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়েছে। অনেকের মনেই বাড়ছে অস্থিরতা, উদ্বেগ এবং দেশছাড়া হওয়ার ভয়। শুধু সাধারণ মানুষ নন, ক্রমাগত কাজের চাপে বিএলওরাও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে। তপতী বিশ্বাসের এই ঘটনা সেই আতঙ্ক-চাপের আরেকটি নির্মম প্রতিচ্ছবি।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

কাগজপত্র না মেলাতেই বিপদ! ভোটার লিস্টের উদ্বেগে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ ৬৩ বছরের ব্যক্তির

কামারহাটির প্রফুল্লনগরের বাসিন্দা ৬৩ বছরের রিকশাচালক অশোক কুমার সরদার এখন আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। পরিবার বলছে, ভোটার তালিকায় নিজের নাম না থাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকমতো না মেলায় ভয়, লজ্জা এবং মানসিক চাপেই তিনি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেইএটাই তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। যদিও একই তালিকায় তাঁর ঠাকুমার নাম ছিল, কিন্তু বানান ছিল ভুল। সে কারণে বারবার তিনি মনে করতেন, তাঁকে হয়তো কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হবে। পরিবার তাঁকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি কিছুতেই আশ্বস্ত হতে পারছিলেন না।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাগজপত্র ঠিক করতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। বুধবার সকালেও তিনি নথিপত্র নিয়ে এদিক-ওদিক ছুটেছেন। বিকেল পর্যন্ত কোনও সমাধান না মেলাতেই সন্ধ্যায় হঠাৎ সিসিআর ব্রিজের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। আচমকা ট্রেনের ধাক্কায় শরীরের নিচের অংশ গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবারের দাবি, তাঁর দুটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে।অশোকবাবুর মেয়ে চৈতালি সরকারের কথায়, আমরা সকালের দিকেই কাগজপত্র জোগাড় করছিলাম। পাড়ার এক দাদা ফর্ম ফিলআপ করেও দিয়েছেন। কিন্তু বাবা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। সবাই এত কথা বলছিল, এত আতঙ্ক তৈরি হচ্ছিল যে বাবা আর সহ্য করতে পারেনি। পরিবার মনে করছে, কিছুদিন ধরে এলাকায় ভোটার লিস্ট ঘিরে যে চাপ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা এই দুঃখজনক ঘটনার অন্যতম কারণ। ভীত, বিভ্রান্ত এবং অসহায় মনে করাতেই অশোকবাবু আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।বর্তমানে তিনি হাসপাতালে অতি সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার নামে ভয় তৈরি করা হলে তার পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারেঅশোকবাবুর ঘটনা তারই একটি মর্মান্তিক উদাহরণ।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

বাক্সবন্দি বন্দুক পরিষ্কার করতে গিয়ে রক্তপাত—এই দম্পতির বয়ান কি বিশ্বাসযোগ্য?

শিবপুরের বিলাসবহুল আবাসনের এক ফ্ল্যাটে মর্মান্তিক ঘটনা। বুধবার সকালে নিজের ঘরে বসে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করছিলেন গোপাল যাদব। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ঠিক সেই সময়েই তাঁর পাশে চেয়ারে বসে ছিলেন স্ত্রী পুনম। আচমকা হাত ফসকে বন্দুক থেকে গুলি ছুটে গিয়ে সোজা গিয়ে লাগে পুনমের ঘাড়ে। গুলির শব্দে আবাসনের লোকজন ছুটে আসলেও গোপাল প্রথমেই দাবি করেন, এটি সম্পূর্ণ দুর্ঘটনা।গুলিবিদ্ধ পুনমকে তড়িঘড়ি করে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে পুলিশ হাসপাতালেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুনমও বলেন, স্বামী আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করার সময়ই গুলি বেরিয়ে যায়। যদিও এই দম্পতির বয়ান পুলিশের সন্দেহ পুরোপুরি কাটাতে পারেনি। তদন্তকারী অফিসারেরা মনে করছেন, এটা নিছক দুর্ঘটনা, নাকি গোপাল কোনও কারণে স্ত্রীকে খুন করতে চেয়েছিলেনসেই দিকটাই এখন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গোপালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হয়। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ঘটনাটি ঘটার পর গোপাল বন্দুকটি সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আগেই পুলিশ ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রটি বিহার থেকে এনেছিলেন গোপাল এবং নিজের সঙ্গে অস্ত্র রাখার নেশা ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের।এমন প্রশ্ন উঠছেঅভিজাত আবাসনে বসবাস করেও কীভাবে এতদিন ধরে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দিব্যি ছিলেন গোপাল? হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই অত্যন্ত ঢিলেঢালা। গেটে মেটাল ডিটেক্টর নেই, নেই কোনও কঠোর তল্লাশি। তাঁর কথায়, মেটাল ডিটেক্টর থাকলে গোপালের অস্ত্র নিয়ে ঢোকাই সম্ভব হত না।এই ঘটনার পর হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, জেলার সমস্ত আবাসনেই এবার বাধ্যতামূলক করা হবে মেটাল ডিটেক্টর। যাতে কোনও বাসিন্দা, অতিথি কিংবা বাইরের কেউ বেআইনি অস্ত্র নিয়ে ভেতরে ঢুকতে না পারে। শিবপুরের যে আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে বহু হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই দ্রুত নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

‘খুনিদের সরকার চাই না!’—চিৎকারে কেঁপে উঠল নেপাল, রাস্তায় তরুণদের সাথে ওলির কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ

নেপালে ফের অশান্ত জেন জি আন্দোলন। গত সেপ্টেম্বরে যে জনবিক্ষোভ ইউএমএলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল, সেই আন্দোলনের তরুণেরা আবার পথে নামলেন। আর তাঁদের সামনে দাঁড়াতেই মাঠে নেমে পড়েছেন কেপি শর্মা ওলির দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউএমএল)-এর নেতাকর্মীরা। দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের একাধিক জায়গা। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে বৃহস্পতিবার কয়েকটি এলাকায় কার্ফু জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিমারা চকে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন জেন জি আন্দোলনকারীদের বড় একটি দল। যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ানো পরিবেশের মধ্যেই পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সিমারা বিমানবন্দরের দিকেও ততক্ষণে জমে উঠেছে ভয়ার্ত উত্তেজনা। সেখানে ইউএমএল নেতাকর্মীদের সঙ্গে জেন জি তরুণদের ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।সংঘর্ষের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ওলির দলের দুই শীর্ষ নেতামহেশ বসনেট এবং শঙ্কর পোখারেল। দুজনেই সেদিন কাঠমান্ডু থেকে বিমানে সিমারায় পৌঁছান একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে। তাঁদের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন জেন জি-র জেলা সমন্বয়ক সম্রাট উপাধ্যায়। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।বিমানবন্দরে মহেশ-শঙ্কর জুটি নামতেই জেন জি বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তোলেনখুনিদের সরকার চাই না। আর সেই স্লোগানকে ঘিরেই চোখের পলকে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়া, ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কিসব মিলিয়ে এলাকাজুড়ে যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতি তৈরি হয়। আহত হন অন্তত ছয় জন জেন জি কর্মী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় বাহিনী মোতায়েন করে এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশে জারি হয় কার্ফু। নেপালে ফের দাঁত-নখ বের করে উঠছে তরুণদের জেন জি আন্দোলনএটা যেন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal