ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় দানা। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৯০ কিলোমিটারের দূরে রয়েছে দানার অবস্থান। সাগর থেকে দানার অবস্থান ২১০ কিলোমিটার। ল্যান্ডফলের পর ১০৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি হতে পারে ঘূর্ণঝড়ের। দানা খুব সম্ভবত মুভ করে ওড়িষার পুরি ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ডের মধ্যে আছড়ে পড়বে। ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় ঝড় বইবে উপকূল এলাকায়। রাত সাড়ে এগারোটায় এই তথ্য জানায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। কিছু সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল করতে চলেছে দানা। অসীম শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana)। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নবান্নে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। রাতভর নবান্নে থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নজর রাখছেন পুরো পরিস্থিতির।ভয় পাবেন না কিন্তু সতর্ক থাকুন। ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে রাজ্যবাসীকে অস্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সরকারের দেওয়া গাইডলাইন সাধারণ মানুষকে মেনে চলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের বন্দোবস্ত করেছে। যে জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্ট্রোলরুমে ছাড়াও উপস্থিত আছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, ডিজি রাজীব কুমার, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দপ্তরের প্রধান সচিব শ্রী দুষ্যন্ত নারিয়ালা, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দপ্তরের বিশেষ সচিব প্রিয়াঙ্কা সিংলা প্রমুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কি বলেছেন?মানুষের জীবন হল সবচেয়ে দামী। মানুষের জীবন আগে রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কারণেই। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাকব। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সকলে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজরদারি চালাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন ও জেলায় জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য সরকার। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর, ০৩৩-২২১৪৩৫২৬, আরেকটি হেল্পলাইন নম্বর হল ১০৭০।
হাতির দাঁত পাচারের ঘটনায় কলকাতা পুর এলাকার এক তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর এবার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ মালদার সংখ্যালঘু সেলের এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে দুটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬ রাউন্ড কার্তুজ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মোথাবাড়ি থানার পুরাতন পটলডাঙ্গা এলাকায়।বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র মজুত, এই অভিযোগে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আব্দুস সালাম। তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার পুরাতন পটলডাঙা এলাকায়। তিনি তৃণমুলের সংখ্যালঘু সেলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ধৃতের বাড়িতে অভিযান চালায়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে দুটি আগ্নেয়য়াস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। কি কারণে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাড়িতে মজুত করেছিল ওই তৃণমূল নেতা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, একজনকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেছেন, বিরোধীরা কি বলল তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তবে দলের নেতা বা কর্মী যেই হোক অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি। গন্ডগোলের রেশ গড়িয়েছে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য় সড়কে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিজয়ার অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অশান্তি ও দ্বন্দ্বে চলতে থাকে বিশৃঙ্খলা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজে পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল হয়ে যান। নিজে পথে নেমে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। শেষমেশ ভাতার হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। কোনওপ্রকারে অনুষ্ঠান শুরু হলেও উত্তেজনা চলতেই থাকে। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ অশোকবাবুকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় মঞ্চের আশপাশে কর্মীদের একাংশ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মঞ্চে অশান্তি চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে দিয়ে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করে দিতে বাধ্য হন নেতারা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। বক্তৃতা পর্ব রেখে অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। বিশৃঙ্খলার বিষয়টি অবশ্য বিধায়ক এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তাঁর সাফাই, বাইরে কি ঘটেছে সঠিক জানি না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ভাতারে দলের সহ সভাপতি অশোক হাজরার সঙ্গে দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছে। বিশেষ করে ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশোকবাবুর প্রভাব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরের কিছু সমস্যা এমনিতেই চলছিল। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও অশোক হাজরার দাবি, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যাধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তারপর সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।
বাংলা ও ওড়িষা উপকূল লন্ডভন্ড করতে দাঁনা বাঁধতে চলেছ দানা{ প্রবল আশঙ্কায় উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা{ সতর্ক রাজ্য় সরকরাও{ ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি সম্ভবত বুধবারের মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে দানা।আইএমডি লিখেছে যে নিম্নচাপ মঙ্গলবার সকালের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ এবং বুধবারের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, পরের দিন সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে যাওয়ার জন্য উত্তর-পশ্চিমে এগোবে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে পুরী এবং সাগর দ্বীপের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ হবে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিমি, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।আগস্টের শেষ দিকে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় আসনার পর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় দানা নামের অর্থ উদারতা এবং এই অঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নিয়ম অনুসারে কাতার এটি বেছে নিয়েছে। কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং তাদের নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করা হয়?ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখে কারা?২০০০ সালে, WMO/ESCAP (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) নামক দেশগুলির একটি দল, যা বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত, সিদ্ধান্ত নেয়। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। প্রতিটি দেশ পরামর্শ পাঠানোর পর, WMO/ESCAP প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন (PTC) তালিকা চূড়ান্ত করেছে।WMO/ESCAP ২০১৮ সালে আরও পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইয়েমেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে আইএমডি দ্বারা প্রকাশিত ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা এই দেশগুলি সরবরাহ করেছিল - ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে ১৩টি পরামর্শ।ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখার কারণ কী?ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ করে তোলে, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও, এটি বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেও সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, মানুষকে প্রস্তুত হতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ। একটি অঞ্চলে একাধিক সাইক্লোনিক সিস্টেম।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। উপকূল অঞ্চলের ৫ জেলা সহ মোট ৭ জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকারও। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম ভাবে সরকার প্রস্তুত রয়েছে সরকার। উপকূলের এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করছে প্রশাসনের কর্মীরা।ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামিকাল, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী থেকে সাগরদ্বীপের মাঝে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল হতে পারে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামেও।
বিহারের বক্সার থেকে গ্রেফতার হয়েছেন কলকাতার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অশোক ওঝা। ২০ কিলো ওজনের হাতির দাঁত পাচার সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। বিজেপি এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলকে। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন এটা বাংলার লজ্জা।সুকান্ত মজুমদার টুইটে বলেন, বাংলার লজ্জা তৃণমূল! বিহার পুলিশের গোপন অভিযানে গ্রেফতার কলকাতার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা (ব্লক সভাপতি) অশোক ওঝা। কয়লা, বালি, গরু পাচারের পর এবার হাতির দাঁত পাচারেও যে তৃণমূলের কাটমানিখোর নেতারা সিদ্ধহস্ত, তা প্রতিবেশী রাজ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেলো। এই লজ্জা কোথায় লুকোবেন দিদিবাংলার লজ্জা তৃণমূল! বিহার পুলিশের গোপন অভিযানে গ্রেফতার কলকাতার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা (ব্লক সভাপতি) অশোক ওঝা। কয়লা, বালি, গরু পাচারের পর এবার হাতির দাঁত পাচারেও যে তৃণমূলের কাটমানিখোর নেতারা সিদ্ধহস্ত, তা প্রতিবেশী রাজ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেলো। এই লজ্জা কোথায় লুকোবেন pic.twitter.com/qZDNYpox6u Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) October 22, 2024
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিয়ালদা ডিভিশনের লোকাল ট্রেনের স্টপেজ সময় কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করা হয়েছে বলে একটি বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক। যাত্রীদের কাছে বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে, এমন ধরনের অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না এবং বিভ্রান্ত হবেন না।লোকাল ট্রেনগুলি আগের মতোই প্রতিটি স্টেশনে তাদের নির্ধারিত সময়ের জন্য দাঁড়াবে, এবং যাত্রীদের ওঠানামার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকবে। যাত্রীদের আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পূর্ব রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, ধৈর্য ও সতর্কতার সঙ্গে ট্রেনে ওঠানামা করুন এবং যেকোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। পূর্ব রেলওয়ের লোকাল ট্রেনের স্টপেজের সময় যেমন ছিল, তেমনই থাকবে।
বাঁধ পরিদর্শনের কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে মহিলাদের তাড়া খেয়ে পালালেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা গঙ্গাসাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।বৃহস্পতিবার সকালে নামখানা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নারায়ণগঞ্জের হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর বাঁধ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি কোটালে ধসে যাচ্ছে নদীর পাড়। যার জেরে বেহাল অবস্থা নদী বাঁধের। বাড়ি ঘর তলিয়ে যাচ্ছে নদীর জলে। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের।স্থানীয়দের অভিযোগ, সেচ দফতর ইতিমধ্যে ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরুর কথা জানালেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই কারণেই এদিন সকালে মন্ত্রী পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাঁকে এলাকায় দেখেই ক্ষেপে ওঠেন স্থানীয়রা। কংক্রিটের ঢালাই বাঁধের বদলে মাটি ও বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরী করা হয়েছে এবং বাঁধের টাকা লুঠের অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এক দুই কোথায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মহিলারা তেরে যান মন্ত্রীর দিকে তখনই কোনমতে মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।গ্রাম পঞ্চায়েতের অভিযোগ বাঁধ নির্মাণ করার ক্ষেত্রে বিস্তর অসামঞ্জস্য আছে। মন্ত্রীকে সব জানানো হয়েছে। এবার আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের তরফ থেকে লিখিত ভাবে জানাবো।
আমরণ অনশনে বসছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথম দফায় ৬ জন এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বাকি জুনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগী দেখবেন। রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে। গতকালই জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিল ২৪ ঘন্টারর মধ্যে তাঁদের দাবি মানতে হবে। তা নাহলেই অনশনে বসবেন। সেই মতো শনিবার অনশনের কথা ঘোষণা করেন।জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, কোনও অনশনকারী অসুস্থ হলে তার দায় রাজ্য সরকারের। এদিন ধর্মতলায় মঞ্চ বাধতে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নিজেরাই আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করেন। এদিকে এদিন অভিযুক্ত ১০ জন চিকিৎসক পড়ুয়াকে আরজি কর থেকে এক্সপেল করেছে। আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দাবি আদায়ে প্রথম থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর সঙ্গে আরও একাধিক দাবি রয়েছে তাদের। মোট ১০ দফা দাবি রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। সেই দবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে তাঁরা।
দক্ষিণবঙ্গে খুশির হাওয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদরে জেলের জালে ধরা দিলো রুপালী সুন্দরী। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে দামোদরে এক জেলের জালে উঠলো প্রায় ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রায় ২০ বছর পর জামালপুরের দামোদরে ধরা পড়লো ইলিশ। দামোদরের জলে পাওয়া রূপালী সুন্দরীকে দেখতে স্থানীয় মানুশের ভিড় জমে যায়। কোন পথে জামালপুরে ইলিশ দামোদরে পৌছলো তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে মৎস্য বিশেষজ্ঞ মহলে। নোনা জলের কুলীন মাছ দামোদরের মিষ্টি জলে চলে কোন পথে এল? কেউ কেউ জানাচ্ছেন জামালপুরে থেকে ভাগ হয়ে যাওয়া মুন্ডেশ্বরী নাব্যতা বেড়ে যাওয়ায় জল প্রবাহ বেশী হওয়ায় ইলিশের গতিপথ হয়ত সুগম হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে প্রবাহিত দামোদর তার গতিপথ পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের কাছে জ্যোতসিরাম থেকে পরিবর্তন করে এবং তারপরে দুটি চ্যানেলে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দামোদর চ্যানেল (আমতা চ্যানেল নামেও পরিচিত) এবং অপরটি কঙ্কা-মুন্ডেশ্বরী চ্যানেল। মূল চ্যানেলটি শেষ পর্যন্ত হুগলি নদীর (গঙ্গা) সাথে মিলিত হয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।বিশিষ্ট মৎস্য চাষী বৃন্দাবন ঘোষ জানান, যেহেতু গঙ্গা হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে সেক্ষেত্রে বর্ধমান জেলায় দামোদরে ইলিশ পাওয়া খুব একটা আশ্চর্যের বিষয় নয়। গলসি এলাকার দামোদরের পাড়ের বাসিন্দা শিল্পী সুব্রত বৈরাগি জনতার কথাকে জানান, এই এলাকার অনেক জেলে আছেন যারা নিয়মিত ভাবে দামোদরের জলে মাছ ধরে থাকেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন দামোদরে ইলিশ পেয়েছেন তবে তার কোনটায় ৪৫০-৬০০ গ্রামের বেশী নয়। সুব্রত আরো জানান, তবে নিয়মিত ভাবে ইলিশ এখানে পাওয়া যায় না।হটাৎ হাজির হওয়া অতথি কে দেখতে শুক্রবার সকালে জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাছের আড়তে ভিড় জমে যায়। দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে কয়েক দিন আগেই ডিভিসি-র জলাধার থেকে ব্যাপক জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হয় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকা। মাছ সবসময় স্রোতের বিপরীতে ভেসে বেড়ায়। এখন জামালপুরে ইলিশ ধরার পড়ায় মনে করা হচ্ছে দূর্গাপুরের ডিভিসি-র ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের তোড়ে মোহনা থেকে স্রোতে বিপরীতে ভাসতে ভাসতে কিছু ইলিশ জামালপুরের দামোদরে এসে পড়েছে। ইলিশটি ধরা পড়ে তপন বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালে। সেই খবরে খুশির হাওয়া জামালপুর সহ দক্ষিণবঙ্গে, খবর চাউর হতেই অনেকেই জাল হাতে নিয়ে দামোদরের পাড়ে হাজির হয়ে পরেন। যদি তার শিকে ছেঁড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইলিশটিকে কিনতে অনেকে ইচ্ছা প্রকাশ করায় মাছের আড়তে নিলাম ডাকেন আড়তদার। ১২০০ টাকা থেকে ডাক শুরু হয়, শেষমেশ ২১০০ টাকায় কেজিতে এসে থামে ডাক। জানাযায় জামালপুরের স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশ্বাস ওই মাছটি ২,১০০ টাকা কেজি দরে মাছটিকে কিনে নেন। গর্বিত ক্রেতা লক্ষ্মণ বিশ্বাস বলেন, এক কেজি ওজনের জীবন্ত ইলিশ পেয়ে আমি খুবই খুশি। তাই টাকার কথা মাথায় ছিলনা। তায় ২,১০০ টাকায় মাছটি কিনে ফেললাম।স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা জানান, জামালপুর এলাকায় এর আগেও মাছ পাওয়া গেছে। আনুমানিক বছর ২০ আগে দামোদরে ইলিশ পাওয়া যেত। দীর্ঘ ২০ বছর পরে দামোদরের জলে ইলিশ ওঠায় এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। জামালপুর ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক (FEO) নিত্যানন্দ মণ্ডল জনতার কথাকে জানান, আমি শুনেছি উত্তর মোহনপুর এলাকার মৎস্যজীবী তপন বিশ্বাস মাছটি পেয়েছেন। জামালপুরের বাসস্ট্যান্ডের পাশে মাছের আড়তের আড়তদার প্রভাত পাত্রের আড়তে মাছটি নিলাম হয়েছে। আড়তদার প্রভাত পাত্র বলেন, ভরা বর্ষায় নোনা জল থেকে উঠে এসে মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসে ইলিস। সেই ভাবেই হয়তো ইলিসটি এসেছিল, এবং কাল্লা এবং জামালপুরের মাঝে ধরা পড়ল। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন প্রভাত সহ স্থানীয় মৎস ব্যাবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, ইলিশ হল ঝাঁকের মাছ। একটি যখন ধরা পড়েছে তখন আগামী কয়েকদিনে আরও মাছ ধরা পড়বে। সেই আশায় দক্ষিণবঙ্গের মৎসপ্রেমী রা।
বর্ধমানে পার-বীরহাটার আরজি ভবনে বর্ধমান আই কেয়ার-এর উদ্যোগে বিনা মূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। আর পাঁচটা সংস্থার মত শুধুমাত্র চক্ষু পরীক্ষা করেই দায় সারেননি তাঁরা। যে সমস্ত মানুষেরা আজ চক্ষু পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন তাঁদের বিনামূল্যে ঔষধ-ও প্রদান করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। এছাড়াও আজ যাঁরা চক্ষূ পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ১০ জনের বিনা মূল্যে চক্ষূ অপারেশনের দায়িত্ব নিয়েছে বর্ধমান আই কেয়ার নার্সিং হোম।বুধবার ৩রা আগস্ট বর্ধমান আই কেয়ার নার্সিং হোম বহু মানুষ এসে তাঁদের চক্ষু পরীক্ষা করান। বুধবার যারা চক্ষু পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব স্মরণ করাতে প্রত্যেককে একটি করে চারাগাছ উপহার দেওয়া হয়। তাঁদের এই মহৎ উদ্যোগের উদ্বোধনেও ছিল চমক। বর্ধমান আই কেয়ার-এ আজকের অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের জন্য কোনও নামি-দামিদের পিছনে না ছুটে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমী দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীদের।বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমী দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের বিশেষ ক্ষমতায় মুগ্ধ করেন উপস্থিত সকলকে। তাঁদের নাচ, গান ও আবৃত্তিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। মহালয়ার পূণ্য লগ্নে এক দৃষ্টিহীন ছাত্রীর বাজলো তোমার আলোর বেণু সত্যি-ই যেন বেণূর সুরে সন্মোহিত করে দিলো উপস্থিত সকলকে।সংস্থার কর্নধার বিশিষ্ঠ চক্ষু বিশারদ ড. সৌরভ ঘোষ জানান, আজ তাঁরা তাঁদের নতুন চক্ষূ পরীক্ষা কেন্দ্র বর্ধমান আই কেয়ার নার্সিং হোম উদ্বোধনী দিনে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষার আয়োজন করেছেন। এবং বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমী দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের নুতন চক্ষু পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন করছেন। ভবিষ্যতেও এই ধরনের নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বেঙ্গল প্রেস ক্লাব কয়েকশো মহিলাকে পুজোর উপহার প্রদান করলো। রবিবার বিজয় তোরণের সামনে বস্ত্র উপহার কর্মসূচি পালন করে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী অচিন্ত্য মন্ডল প্রমুখ। পুজোর মুখে এই উপহার পেয়ে খুশি মহিলারা।বিধায়ক খোকন দাস বলেন, প্রতি বছর দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বেঙ্গল প্রেস ক্লাব অসহায় মহিলাদের হাতে বস্ত্র উপহার হিসাবে তুলে দেয়। সারা বছর মানুষের পাশে থাকে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। বর্ষমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত বস্ত্র উপহার কর্মসূচির প্রশংসা করেন। সমাজসেবী অচিন্ত্য মন্ডল বলেন, বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের জনদরদী কর্মসূচির ভূয়সী প্রসংশা করেন। অনুষ্ঠানে বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের মুখপত্র জনমন প্রকাশিত হয়। ক্লাবের নিজস্ব ওয়েবসাইট এদিন যাত্রা শুরু করে। সাধারন মানুষের মধ্যে এই অনুষ্ঠান ঘিরে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন নানান কাহিনী আর কীর্তিতে ভরপুর। কথিত আছে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যকে সম্মান জানাতে তাঁকে বিদ্যাসাগর উপাধি দেওয়া হয়। এও জানা যায় বিদ্যাসাগর তাঁর অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য ছুটি চেয়ে না পাওয়ায় সটান চাকরি ছেড়ে দেন, এবং ভরা বর্ষার রাতে প্রবল উত্তাল দামোদর নদী সাঁতরে মাকে দেখতে যাওয়ার কাহিনী লোকগাথা হয়ে গেছে।বাংলা ও বাঙ্গালির সংগঠন বাংলা পক্ষ আজ বৃহস্পতিবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্মদিনে সমগ্র পশ্চিম বাংলার ২৩ টি জেলা থেকে ২৩ জন শিক্ষাবিদকে বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মান প্রদান করেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদর নদের মাত্র কয়েক কিমি দূরে বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্তকে ১৪৩১ সনের বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মানে ভূষিত করা হয়।বাংলা পক্ষের পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক অসিত সাহা জনতার কথাকে জানান, এই পুরস্কার তুলে দিতে পেরে তাঁরা গর্বিত। তিনি প্রসঙ্গক্রমে জানান যে, বর্ধমানের প্যারিচাঁদ মিত্র লেন এলাকার একটি বাড়িতে বসে ঈশ্বরচন্দ্র বর্ণপরিচয় লেখেন। শুধু তাই না, এই বই যাতে প্রকাশকরা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেন। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এই ঘটনা উল্লেখ করে বলেন যে, বড় হয়ে চাকরির জন্য অনর্থক সময় নষ্ট না করে তোমরা ব্যবসার কথা ভাবতে পার, এই পথ বিদ্যাসাগরই দেখিয়ে গেছেন। বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মান পুরস্কারে ভূষিত প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত তাঁর ভাষণে বাংলা পক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিদ্যাসাগরের পূর্বপুরুষদের চরিত্র উল্লেখ করে বলেন যে, ঠাকুরদাদা ঠাকুমা বাবা মা এঁদের দৃঢ় মনোভাবসম্পন্ন গুণাবলী বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাসাগর হতে সাহায্য করেছে।আজ বাংলা পক্ষ তরফ থেকে এই ওই বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষকশিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীকেও সংবর্ধিত করে। কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা স্বাগতা আঢ্য জানান, এই সম্মান আমাদের সকলের খুব ভাল লেগেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসুদেব মণ্ডল বিদ্যাসাগরের সঙ্গে রামকৃষ্ণের সাক্ষাতের ঘটনাটি স্মরণ করেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী যথা, মধুমিতা অরিজিৎ ইন্দু পূর্বারা নাচ আবৃত্তি গানে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানায়।এবছর যে শিক্ষাব্রতীদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত,তাঁরা হলেনঃ১) আলিপুরদুয়ার- অজিত কুমার দে ২)কোচবিহার- নারায়ণ চন্দ্র সাহা৩) জলপাইগুড়ি- জুয়েল দত্ত৪) শিলিগুড়ি- কাকলী মজুমদার চাকী৫) উত্তর দিনাজপুর- কিংশুক মাইতি৬) দক্ষিণ দিনাজপুর- তপন অধিকারী৭) মালদা- মহ: সাকিলুর রহমান৮) মুর্শিদাবাদ- খাজিম আহমেদ৯) নদীয়া- সুবীর কুমার পাল১০) বীরভূম- জয়ন্ত মুখার্জী১১) পশ্চিম বর্ধমান- জইনুল হক১২) পূর্ব বর্ধমান- ড: সুভাষ চন্দ্র দত্ত১৩) হুগলী- শুভময় সরকার১৪) হাওড়া- বিশ্বনাথ বসু১৫) উত্তর ২৪ পরগণা (শিল্পাঞ্চল)- অশোক কুমার ভৌমিক১৬) উত্তর ২৪ পরগণা (শহরাঞ্চল)- শুভদীপ চৌধুরী১৭) উত্তর ২৪ পরগণা (গ্রামীণ)- মিজানুর রহমান১৮) দক্ষিণ ২৪ পরগণা- অমিত ভট্টাচার্য১৯) কলকাতা- তৃপ্তিশ্রী ধর২০) পূর্ব মেদিনীপুর- মৃণালসুন্দর পাত্র২১) পশ্চিম মেদিনীপুর- শক্তিপদ বেরা২২) বাঁকুড়া- ঈশ্বর পান২৩) পুরুলিয়া- ড: জয়ন্ত হাজরা
বলাগড় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী সাংসদ বললেন, কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বাড়ি ঘর কিছু নেই। মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন। তৃণমূল সাংসদদের এমন মন্তব্য়ে চারিদিকে বিতর্কের ঝড় শুরু করেছে। কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। কুইন্টাল কুইন্টাল জল! এমন মন্তব্য় জনপ্রতিনিধিরে মুখ থেকে বেরিয়ে আসায় সমালোচনা সর্বত্র। এদিন বাজার থেকে ওল কেনেন সাংসদ। ওল কিনে রচনা জিজ্ঞেস করেন, গলা ধরবে না তো।এদিন দুপুরে হঠাতই হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা ব্যানার্জি তাঁর সঙ্গীসাথী দের নিয়ে চলে যান বাঁশবেড়িয়ার বিজেপি মন্ডল সভাপতি সুমিত অধিকারী বিরিয়ানির দোকানে। তখনও বিরিয়ানি রান্না সম্পূর্ণ হয়নি। তাই লাঞ্চ হল না। বিজেপি সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ছবিও তুললেন তৃণমূল সাংসদ রচনা। আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে। এদিন হুগলির শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদরা কলোনী, মিলনগর গ্রামে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব দেখে তিনি বলেন, মাত্র তিনমাস এসেছি সাংসদ হয়ে। চেষ্টা করছি। বলাগড় থেকে চন্দননগর পর্যন্ত নদী বরাবর পাড় ভাঙছে দ্রুত। এই বিশাল জায়গা সামাল দিতে মাস্টার প্ল্যান দরকার এবং একা রাজ্যের দ্বারা সম্ভব নয়। কেন্দ্রের সাহায্য দরকার। আমি দিল্লি গিয়ে এবিষয়ে দরবার করবো সংশ্লিষ্ট জায়গায়। তাঁর অভিযোগ,আগের বিজেপি সাংসদ এলাকার জন্য কিছুই করেনি। এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখেও পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ।রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনমাস আগে যেখানে দাঁড়িয়ে প্রচার করে গিয়েছি সেই জায়গা তলিয়ে গিয়েছে। কয়েকটি বাড়ি, রাস্তাও গঙ্গায় মিশে গিয়েছে। খুবই খারাপ অবস্থা। এলাকার মানুষকে ত্রান দিয়েছি। গঙ্গা ভাঙন রোধ একটা বড় ব্যাপার। আমি লোকসভায় বলেছি। আবারও বলব। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া হবে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আদলে বলাগড় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে।
গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাওয়ার পর আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওয়ানা দেন বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ির দিকে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন অসংখ্য অনুগামী।এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে অনুব্রত তাঁর বাড়িতে ঢোকার অনুমতি না দেওয়ায়। তাঁদের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাংসদ অসিত মালকেও দরজার বাইরে থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে। অনুব্রত মন্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যাকে দেখা গেল হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে। আবেগি অনুব্রত দু হাত দিয়ে চোখ চেপে ছিলেন। আজ বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা হয়নি দলনেত্রীর। বাড়িতে ঢোকার সময় অনুব্রত এদিন বলেন, তিনি দিদির সঙ্গেই আছেন। পায়ে ব্যথা রয়েছে। শরীর ভালো থাকলে তিনি দেখা করবেন দিদির সঙ্গে। কাজল এখন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অনুব্রত তিহাড় জেলে থাকলেও তিনিই দলের সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। ফলে তাঁর প্রত্যাবর্তনে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মমতা বরাবরই অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে, কেড়ে নেওয়া হয়েছে দলের সাংগঠনিক পদ। তবে তাঁরা বিধায়ক রয়েছেন। অনুব্রত জেলে থাকলেও দলের সভাপতিই থেকে গিয়েছেন।অনুব্রত বাড়ি ফেরার পর তাঁরা দেখা করতে গিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে। যদিও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, বাড়িতে প্রবেশাধিকার নেই। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে সেখান থেকে ফিরে যান চন্দ্রনাথ, বিকাশ, অসিত মাল। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ পেয়েছেন জেলা নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, নলহাটির বিধায়ক, বোলপুরের পুর প্রধান। অনুব্রতর সঙ্গে জেলা কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। ছিলেন আরও কয়েকজন।
বাংলা বানভাসি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় সেই ডিভিসি। ইতিমধ্যে রাজ্যের দুই প্রতিনিধির ডিভিসির কমিটি থেকে সরে এসেছেন। সোমবার বর্ধমানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, হাজির ছিলেন।মূলত পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জেরে সেখানকার জলাধারগুলি থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। ডিভিসির ছাড়া জলেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছেন বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কি বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও সক্রিয় হতে হবেক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শস্য বীমার টাকা পাবেন। বাংলার দুর্ভাগ্য যে এখানে এবং অসমে যে পরিমাণ বন্যা হয় সেটা অন্য কোথাও হয় না। বাংলা নদী মাতৃকার দেশ। বাংলার অবস্থান নৌকার মতো। একটুকুতেই জলে ডুবে যায়। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের চিন্তা হয়। নিজেদের বাঁচাতে জল ছেড়ে দেয় ঝাড়খণ্ড। নিজেদের বাঁচাতে বাংলায় জল ছেড়ে দেয়আবার বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। সবাই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেবেন। জল সরে গেলে চাষিরা শস্য বীমার টাকা পাবেন। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে নিজেদের বাঁচাতে বাংলার উপর জল ছেড়ে দেয়। DVC কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। কিন্তু কেন্দ্র কিছু না করার জন্য মানুষের বাড়ি ঘর ডুবে যাচ্ছে। ভোটের জন্য যে টাকা খরচ করা হয় তার একাংশ দিলেও বন্যা আটকাতে ব্যবস্থা করতে পারতাম।
আরজি কর মেডিকেল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যখন নির্যাতিতার মৃতদেহ সোদপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন মৃতদেহ শ্মশানে পোড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল নির্মল ঘোষ। এমনই বেশ কিছু ছবি আগেই সিবিআই এর হাতে এসে পৌঁছেছিল তখন থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিল নির্মল ঘোষ। যার জন্য বারবার ঘোলা থানার আইসিকে তলব করা হয়েছিল। তিনি গড়হাজির ছিলেন। এরপরই একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেদিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে সিবিআই। তারপরেই তলব।
কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক ছাত্রী। এমনই অভিযোগ উঠেছে রানিগঞ্জের ত্রিবেনীদেবী ভালোটিয়া কলেজ কমার্সে। অভিযোগ, ওই ছাত্রী কলেজে প্রথমবর্ষের ভর্তি হতে এসেছিলেন। ভর্তি হওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে টাকা চায় কয়েকজন। পরে কলেজ চত্বরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে শ্লীলহানি করে। মেয়ের সঙ্গে হওয়া এমন ঘটনা জানতে পেরে ছাত্রীর বাবা-মা কলেজের টিচার ইনচার্জ মিলন মুখোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। টিচার ইনচার্জ জানিয়েছেন, তিনিও ওই অভিযোগপত্র পাওয়ার পরে থানায় যোগাযোগ করেন। গোটা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন খতিয়ে দেখছে।
টানা ৩৬ ঘণ্টা লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার মাঝ রাতে বঙ্গোপসাগরে টর্নেডোর মধ্যে পড়ে ডুবে গিয়েছিল মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। শেষমেশ কাকদ্বীপের ডুবে যাওয়া ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার ৮ মৎস্যজীবীর দেহ। অন্যদিকে, নিরঞ্জন দাস নামে এখনও এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।এফবি গোবিন্দ নামে ওই ট্রলারে মোট ৯ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। শুক্রবার দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সকলেই। শনিবার সকালে খবর পেয়েই ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের জন্য কাকদ্বীপ থেকে রওনা দিয়েছিল বেশ কয়েকটি ট্রলার। অবশেষে অনেক সমস্যা, বাধা বিপত্তি কাটিয়ে রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধারকাজ