• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tmc

কলকাতা

অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদ, পরেশ পালকে আইনি নোটিশ শ্রেয়ার

তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং মন্ত্রী সাধন পান্ডের মধ্যে বিরোধ চলছিলই। এবার সেই আগুনে ঘি ফেলল আইনি নোটিশ। পরেশ পালকে আইনি নোটিস পাঠালেন সাধন পান্ডের কন্যা শ্রেয়া পান্ডে৷ সম্মানহানির অভিযোগ তুলে পরেশ পালকে সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তা না হলে পরেশ পালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ পরেশ পালের তিনটি ঠিকানাতেই এই নোটিস পৌঁছে গিয়েছে৷ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে রেশ পালের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ফের সরব হন সাধন পান্ডে। তাঁর জবাব দিতে গিয়েই পরেশ পাল শ্রেয়া পান্ডেকে উদ্দেশ করে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিনেত্রী শ্রেয়া পাণ্ডেকে ইডির তলব নিয়ে মন্তব্য করেন পরেশ পাল। সেই বক্তব্যের জন্য এই নোটিশ পাঠিয়েছেন শ্রেয়া। সাধন কন্যা বলেন, আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে। দুজন রাজনীতিক বাকযুদ্ধে জড়াতেই পারেন। তবে দুজনের ঝামেলার মধ্যে তাঁকে টেনে আনা কখনই উচিত নয়। আরও পড়ুন ঃ কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে টুইট মমতার দাবিমতো নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে পরেশ পালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শ্রেয়া পান্ডের আইনজীবী সুদীপ্ত পণ্ডা৷ তিনি বলেন, নোটিস দেওয়ার পর ইতিমধ্যেই ৭ দিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে৷ এখনও কোনও প্রত্যুত্তর পাইনি। আমরা দেওয়ানি ও মানহানি মামলার মতো আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছি। পরেশ পালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভেন্দুকে

তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর। এবার তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভেন্দুকে। তার জায়গায় কর্মচারী সংগঠনের দায়িত্বে ফের ফিরিয়ে আনা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত ফেডারেশনের মেন্টরের দায়িত্বে প্রথমে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। গত বছর জুনে শুভেন্দু অধিকারীকে এই দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসছিল। এদিন বিভিন্ন জেলার ফেডারেশন নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। আরও পড়ুন ঃ জয় হিন্দ সেতু উদ্বোধনে রেলকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন সৌগত রায়। ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই শুভেন্দুর যা বক্তব্য তার সারমর্ম হল, কিছুই মেটেনি। এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব যে তৈরি হয়েছে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
রাজ্য

আদর্শের জন্য লড়াই চলবে, সভায় জানালেন শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারী লড়াই চালিয়েছেন আদর্শের জন্য। সেই লড়াই তিনি থামাবেন না। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর গড়বেতায় ক্ষুদিরাম বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে গিয়ে একথাই জানান তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই লড়াইয়ে সবাই যাতে তাঁর সঙ্গে থাকেন, তার জন্যও আমন্ত্রণ জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, গ্রামের পান্তাভাত খাওয়া, মুড়ি খাওয়া গ্রামের ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে, আদর্শের জন্য লড়বে। আপনারা সঙ্গে থাকবেন। আজকে একটা সংবাদ মাধ্যম লিখেছে, আমি নাকি কমফোর্ট জোনে রাজনীতি করি। এই গড়বেতায় তো ২০১১ সালের আগে সব চেয়ে বেশি আমি আসতাম। এখন ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকা কারও কারও অসুবিধে হচ্ছে গ্রামের ছেলেটা রাস্তায় বেরিয়েছে বলে। আরও পড়ুন ঃ অনলাইন ক্লাসের সুবিধায় সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে দেওয়া হবে ট্যাব দেবে সরকারঃ মমতা তারপরেই ক্ষুদিরাম বসু জন্মবৃতান্ত, তাঁর আত্মত্যাগ নিয়ে বলতে শুরু করেন। বলেন, ক্ষুদিরাম বসু সম্বন্ধে বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগ সম্বন্ধে জানতে হবে। যাঁরা আমরা দেশকে ভালোবাসি, তাঁদের জানতে হবে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
রাজনীতি

আর কোনও কথা নয়, শুভেন্দুকে হোয়াটসঅ্যা্পে জবাব সৌগতর

শুভেন্দুর পাঠানো হোয়াটস অ্যাপের জবাব বৃহস্পতিবার দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সূত্রের খবর, সৌগত রায় লিখেছেন, তাঁর পক্ষে একসাথে কাজ করা যদি মুশকিল হয়, তাহলে মঙ্গলবারের বৈঠকে কেন একসাথে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সৌগতবাবু আরও বলেন, শুভেন্দু কোথায় যাচ্ছে আমি বলতে পারব না। শুভেন্দুর ব্যাপারে আর আমি আলোচনা করতে চাই না। এ বিষয়ে আর আলোচনা হবে কিনা আমার জানা নেই। এখন যা বলার শুভেন্দু বলবে। আমাদের ওকে নিয়ে বলার কিছু নেই। সৌগত রায় আরও জানিয়েছেন, শুভেন্দুর কাছ থেকে পাওয়া বার্তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুকে নিয়ে সেমসাইড গোল হয়ে গেছে তৃণমূলেরঃ দিলীপ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের পর সৌগত রায় দাবি করেছিলেন, সমস্ত সমস্যা মিটে গেছে। কিন্তু বুধবার দুপুরেই সৌগত রায়কে করা শুভেন্দুর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ প্রকাশ্যে আসে। সেখানে বলা হয়, আমার বক্তব্যের এখনও কোনও সমাধান হয়নি। সমাধান না করেই আমার উপর সব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার সবকিছু জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আপনারা প্রেস্কে সব জানিয়ে দিলেন। ফলে একসাথে কাজ করা মুশকিল। আমাকে মাফ করবেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
কলকাতা

কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি মমতার

কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন বড় আকার ধারণ করেছে। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠকেও বসেছে কৃষক সংগঠনগুলি। সেই বৈঠক চলাকালীন টুইট করে এ কথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, আমি কৃষি আন্দোলন নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রীয় সরকার এখনই নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করুক। অন্যথায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা আন্দোলনে নামব। আরও পড়ুন ঃ অবস্থান মঞ্চ থেকে বিক্ষোভরত টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বলপূর্বক সরিয়ে দিল পুলিশ প্রথমদিন থেকেই তৃণমূল এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি লেখেন, আমরা দেশের সম্পত্তিকে বিজেপির ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হতে দেব না। অত্যাবশকীয় পণ্য আইন নিয়ে শুক্রবার দলের বৈঠক ডেকেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
রাজ্য

আমি বাংলার ছেলে, মানুষের কাজ করবঃ শুভেন্দু

নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে মুখ খুললেন না বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতি্বার শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন উপলক্ষে এক পদযাত্রায় অংশ নেন তিনি। ১৩১ তম জন্মদিনে বৃহস্পতিবার তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিধায়ক শুভেন্দু অদিকারী। সেখান থেকে হেঁটে যান শহিদের স্মৃতি বিজড়িত হ্যামিলটন স্কুলে। পদযাত্রা সেরে হ্যামিলটন হাইস্কুলে একটি সভা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ক্ষুদিরাম বসু উদযাপন কমিটির আয়োজনে প্রত্যেক বছরই এই অনুষ্ঠানে আসি, এবারও এসেছি। হাতে জাতীয় পতাকা, পিছনে অনুগামীদের বুকে শহিদ ক্ষুদিরামের ছবি, গলায় বন্দেমাতরম স্লোগান। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় কোনও রাজনৈতিক কথা বলেননি ্তিনি। আরও পড়ুন ঃ আর নয় অন্যায় কর্মসূচির ঘোষণা বিজেপির শুভেন্দু বলেন, হ্যামিলটন স্কুলের বক্তব্যে ক্ষুদিরাম বসু ও মাতঙ্গিনী হাজরাকে স্মরণ করেন তিনি। ১৯০১-১৯০৪, এই ৪ বছর ক্ষুদিরাম বসু এই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। সাংসদ থাকাকালীন দেখেছি, স্কুলে ক্ষুদিরামের হাতের লেখা ইত্যাদি সংরক্ষণ করেছেন। তার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এরপরেই ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে লেখা দুটি বইপ্রকাশ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা বেরিয়ে যান শুভেন্দু। অনুষ্ঠান শেষ হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিধায়ক। প্রশ্ন করা হয়, তাঁর বর্তমান অবস্থান নিয়ে। তিনি সাফ বলেন, আমি বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান। বাংলার সন্তান হিসেবেই মানুষের পাশে, মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করবেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
সম্পাদকীয়

বহিরাগত তকমা, সরগরম বাংলার রাজনীতি

বহিরাগত তকমা নিয়ে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। বিজেপিকে তৃণমূলের আক্রমণ বহিরাগত নিয়ে এসে বাংলায় অশান্তি পাকাতে চাইছে। আবার বিজেপির দাবি, যাঁর হাতে তৃণমূল কংগ্রেস দলকে সঁপে দিয়েছেন সেই প্রশান্ত কিশোরও তো বহিরাগত। এই দাবি, পাল্টা জবাব নিয়ে সরগরম বাংলার রাজনীতি। কে বহিরগাত তা নিয়ে সন্দিহান রাজ্যবাসী। বিজেপির পাঁচ সাংগঠনিক জোনে ভিন রাজ্যের পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে দল। তাছাড়া দীর্ঘ দিন রাজ্যে চষে বেড়াচ্ছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন সহ একাধিক সর্বভারতীয় স্তরেরে বিজেপি নেতৃত্ব। এঁরা কেউই বাংলার বাসিন্দা নন। এঁদের বহিরাগত তকমা দিয়ে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। বহিরাগত অভিযোগ তুলে একাধিকবার তৃণমূল নেতৃত্ব সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। বহিরাগত ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিরাগত নিয়ে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। এদেশে অন্য রাজ্যর পর্যবেক্ষক আসবে বা সংগঠন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো বরাবরই প্রচলিত রীতি। প্রবল বিজেপি বিরোধী কংগ্রেসেও পর্যবেক্ষক প্রথা এখনও চালু রয়েছে। শুধু তাই নয়, এরাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা, সাংসদ, বিধায়ক অন্য রাজ্যের দায়িত্ব সামলেছেন। এ প্রথা ভারতের রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। বহিরগাত তকমা রাজনীতিতে বেমানান কীনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে বহিরাগত হোক বা স্থানীয়, অশান্তি পাকালে তাঁর যথাযথ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। এই মুহূর্তে আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। আইপ্যাকের প্রধান প্রশান্ত কিশোর কিন্তু এরাজ্যের বাসিন্দা নয়। তিনিই এখন তৃণমূলের অন্যতম কর্তা। বিজেপির প্রশ্ন, আমাদের নেতারা তো দলের, তাহলে প্রশান্ত কিশোর কোথাকার মানুষ? অর্থাৎ পিকেও বহিরাগত, বলছে বিজেপি। রাজনীতির ক্ষেত্রে এক জেলা অপর জেলার লোককেও বহিরাগত বলতে ছাড়ে না। পাড়াগত সমস্যায় বহিরাগত নিয়ে চর্চা চলে। যদিও সব রাজনৈতিক দলই প্রয়োজনের স্বার্থে বহিরাগত তকমা সাঁটিয়ে দেয়।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দুকে নিয়ে সেমসাইড গোল হয়ে গেছে তৃণমূলেরঃ দিলীপ

সাইডলাইনের বাইরে ছিলেন। এখন সেমসাইড গোল হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের। শুভেন্দুকে নিয়ে মাস্টারমশাই এমন ঝটকা খেয়েছেন যে চুপ মেরে গিয়েছেন। প্রাইভেট কোম্পানির চেয়েও খারাপ অবস্থা টিএমসির। শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে সৌগত রায়ের নাম না করে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার তিনি ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন। এদিন শুভেন্দু প্রসঙ্গে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কিছু বলার নেই। বৈঠকেরও এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, এখানে দাঁড়িয়ে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, মানুষকে অত্যাচার করবেন না, শুধরে যান। মে মাসের পর সব হিসেব হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিচ্ছে হাসপাতাল সেই কার্ড নেয় না। হাসপাতাল হয়েছে, কিন্তু সেখানে আগে টাকা পরে ডাক্তার। কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, এখানে কোথাও চাকরি নেই সব যাচ্ছে বাংলার বাইরে। দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে তার বক্তব্য, দুয়ারে সরকার করছে। বিডিও নাকি বাড়িতে আসবে? কেউ বিশ্বাস করে এই কথা? কত রকম সাথী কত রকম শ্রী! টাকা আসছে কোথা থেকে? কেন্দ্র নাকি টাকা দেয় না! এরা বাড়ি এলে ছাড়বেন না নারকেল গাছে বেঁধে জবাব চাইবেন! তার কটাক্ষ, জঙ্গলমহলে তিনদিন বসেছিল দিদিমণি। কেউ খেতে ডাকেনি কেউ দেখা করতেও আসেনি। এবার বসার জন্য অন্তত একটা খাটিয়া পেয়েছে এরপরে চাটাই ও পাবেন না। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলে স্বাগতঃ মুকুল অভিষেককে কটাক্ষ করে তার মন্তব্য, ভাইপোকে কি ভাগ্নে বলব? আদর করে বলতাম এত রাগ করার কী আছে? তিনি তৃণমূল নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, প্রত্যেক নেতা রাত হলেই পার্টি, বোতল। সবকটা নেতার চেহারা দেখুন, টাকা কোথা থেকে এলো? হয় সিন্ডিকেটের টাকা না হলে পঞ্চায়েতের ঝাড়া টাকা। সবকটাকে কোমরে দড়ি পরিয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাব। সব নেতাদের নীল-সাদা বাড়ি গাড়ি। এই বাড়ি গাড়ি মে মাসের পরে ভোগ করতে দেব না। সব অকশন করব। কে কিনবেন ভেবে রাখুন। বুধবার থেকেই ইকো পার্কে তৃণমূল কর্মীরা সব বেচে দে টি-শার্ট পরে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন। ঠিক দিলীপ ঘোষ যেখানে রোজ হাঁটতে যান, তার উল্টো দিকে দাঁড়িয়েই তৃণমূল এই কর্মসুচি পালন করছে। আজ দিলীপবাবু বলেন, এটা রাজনীতি করার জায়গা নয়, শরীরচর্চা করার জায়গা। ওরা সব সিন্ডিকেট করে। মোদীজির ফিট ইন্ডিয়া আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে ওরা শরীরচর্চা করছেন। যদিও ইকো পার্কে রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে ঘোরা উচিত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নিউটাউনের যে অঞ্চলে দিলীপ ঘোষ আজ চা-চক্র করেন, সেই এলাকায় সিন্ডিকেটের রমরমা বলে বারবার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাই দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে বারবার সিন্ডিকেট ইস্যু ঘুরে ফিরে এসেছে। অন্যদিকে মিহির, নিশীথকে নিয়ে দিলীপ জানান, ওরা গতকাল রাতে এসেছিলেন। দিল্লি থেকে ফিরে উনারা আমার সঙ্গে কথা বলেন। দলীয় কাজকর্ম শুরু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, আপার প্রাইমারি আন্দোলনকারীদের নিয়ে তুলে দেওয়া নিয়ে তার বক্তব্য গোটা রাজ্যে ১৪৪ করা হচ্ছে। কাউকে মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। মাদ্রাসার টিচারদেরও আন্দোলনের আগে তুলে নেওয়া হয়। মদন মিত্রের প্যাক আপ পোস্ট নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, সন্তুষ্ট করতে এসব কাজ করছেন। পার্টি ও সরকারে নতুন পদ তৈরি করা হচ্ছে। আগে এই কারণে পুরষ্কার চালু করেছিলেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
কলকাতা

কোভ্যাক্সিনের টিকা নিলেন ফিরহাদ হাকিম

বেলেঘাটা নাইসেডে গিয়ে কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক টিকা নিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এদিন থেকেই নাইসেডে শুরু হয়েছে ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। কলকাতায় টিকা চলে এলে প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হবেন তিনি, এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন ববি হাকিম। তৃ্তীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে কলকাতায় এসে পৌছেছে ১০০০টি ডোজ। ২ ডিসেম্বর থেকে ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছিল নাইসেডের তরফ থেকে। বুধবার বেলার দিকে নাইসেডে পৌছে যান পুরমন্ত্রী। টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তাঁকে। আরও পড়ুন ঃ পরিবহণ কমিটির দায়িত্বে মদন মিত্র এদিন টিকা নেওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, সুস্থ আছি। ওনাদের ধন্যবাদ জানাই এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ওনাদের আরও বলেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেজাল্ট নিয়ে যাতে জনসাধারণের জন্য এই ভ্যাক্সিন চালু করা যায়। টিকা নেওয়ার পর আমাকে আধঘণ্টা বসিয়ে রেখেছিল। দেখলাম কোনও অসুবিধা হয়নি। ভাল আছি। আমার একটুখানি যদি অসুবিধা হয়, কিছু যায় আসে না। যদি প্রাণহানি হয়, তাহলেও কিছু যায় আসে না। মানুষের যদি ভাল হয়, সেটাই হবে আমার কাছে লাভ। আশা করছি এই ট্রায়াল সফল হবে। ভারতবাসী খুব তাড়াতাড়ি করোনার টিকা পেয়ে যাবে। রাজ্যপাল এদিন এই ট্রায়াল প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করতে গিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, করোনার চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার টাকা নিয়ে দূর্নীতি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ এদিন বলেন, এটা রাজনীতির জায়গা না। ওর মন্তব্যের জবাব অন্যত্র দেব। উনি অন্যায় করছেন। রাজ্যপাল পদের যোগ্য না উনি, পদের মর্যাদা রাখছেন না।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
কলকাতা

পরিবহণ কমিটির দায়িত্বে মদন মিত্র

পরিবহণ দফতরের একটি কমিটির দায়িত্বে এলেন মদন মিত্র। নবান্ন সূত্রের খবর, পরিবহণ কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণমূলক প্রকল্পের দেখভাল করার জন্য প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের নেতৃত্বে একটি নতুন কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, অসংগঠিত বা অবহিত না হওয়ার কারণে অনেক পরিবহণ কর্মী রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। সেই বিষয়টিই তত্ত্বাবধান করার জন্য মদন মিত্রের নেতৃত্বে এই নতুন কমিটি গঠন করা হল। ইতিমধ্যেই যার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আরও পড়ুন ঃ কো ভ্যাক্সিনের তৃ্তীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে আবেদন রাজ্যপালের উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দেন পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব থেকে। ইস্তফা দেওয়ার পরে পরিবহণ দফতর নিজের হাতেই রেখে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সমস্ত প্রকল্প ধরে ধরে দফতরের পরিস্থিতি তদারকি করা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারি সূত্রের খবর, প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে মদন মিত্রের পরিবহণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে, কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও তিনি করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন পরিবহণ সংস্থা ও ইউনিয়নের সাথে তার যোগাযোগ নিবিড়। তাই এই কাজের দায়িত্ব মদন মিত্রকে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে মদন মিত্র ছাড়াও রয়েছেন পরিবহণ ডিরেক্টরেট-এর ডেপুটি ডিরেক্টর, এক জন ডেপুটি সচিব এবং বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলে স্বাগতঃ মুকুল

শুভেন্দু এখনও তৃণমূলের বিধায়ক। তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপিতে এলে স্বাগত। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। তিনি বলেন, শুভেন্দু গণআন্দোলনের নেতা। ও যদি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বিজেপিতে স্বাগত। শুভেন্দু যে দলে আছে সেই দলের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছে, দল নজর রেখেছে। সৌগত রায়ের গতকালের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, বয়স হয়ে গেলে অনেক কিছু ভুলে যান। তৃণমূল বলে এখন কিছু নেই। যে যার নিজের মতো চলে। কর্মী স্বেচ্ছাসেবক ও দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে পার্থক্য আছে। আরও পড়ুন ঃ একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়, সৌগতকে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু শুভেন্দু এলে বিজেপির পক্ষে লাভজনক হবে। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বলছি। শুভেন্দু এলে ভোট ব্যাঙ্ক সঙ্গে আসবে। এতেই লাভ হবে বিজেপির। মুকুলের আরও সংযোজন, পিকে কে? পিকের অবস্থান কি? শুভেন্দু এখন আমার ছোট ভাই। যখন সহ সভাপতি হয়েছিলাম ও শুভেচ্ছা জানিয়েছিল। ওদের পরিবারের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
রাজনীতি

একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়, সৌগতকে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

আর একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। সৌগত রায়কে এসএমএস করে এমনটাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, আমি আপনাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। কিন্তু গতকাল বৈঠকে আমাকে অনৈতিকভাবে ডাকা হয়েছিল। এরকম চললে একসঙ্গে কাজ করাই মুশকিল। আমাকে ক্ষমা করবেন।জানা গিয়েছে, বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, আগামী ৬ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরো বিষয়টি সকলকে জানাবেন। কিন্তু তার আগে যেভাবে দলের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে, তাতে অসন্তুষ্ট তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, বৈঠকের পর থেকে যেভাবে দলের সঙ্গে তাঁর সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, তা একেবারেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। সেকথা সৌগত রায়কে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, বৈঠকে যা হয়েছে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে আপনাদের জানিয়েছিলাম। মন পরিবর্তন করলে তাঁর সিদ্ধান্ত, তিনিই সংবাদমাধ্যমে জানাবেন। আমি কিছু বলব না। শুভেন্দুর বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিয়েছেন। আরও পড়ুন ঃ সমস্যা মিটেছে বলে তৃণমূল দাবি করলেও এখনও চুপ শুভেন্দু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্তের কিশোরের সঙ্গে ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠক। তাতেই নাকি সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে! বৈঠকে শেষে অন্তত তেমনই দাবি করেছিলেন সৌগত রায়। তিনি এও জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অন্য কোনও দলে যাচ্ছেন না, একসঙ্গে লড়াই করবেন। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী ফোনে শুভেন্দুকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। সৌগত রায়ের দাবি ছিল, দুএকদিনের মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন শুভেন্দু। কিন্তু, তা আর হল না, বরং জল্পনাই সত্যি হল বলা যায়। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, বৈঠকে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরও থাকবেন, তা জানতেন না তিনি।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
রাজনীতি

সমস্যা মিটেছে বলে তৃণমূল দাবি করলেও এখনও চুপ শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে জল্পনা চলছিল রাজ্য রাজনীতিতে , তাতে আপাতত ইতি পড়ল। মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে গোপন বৈঠকের শেষে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এখনও এই বৈঠকে্র বিষয়ে মুখ খোলেননি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে সৌগত রায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ও শুভেন্দু বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌগত বাবুর দাবি, শুভেন্দু-অভিষেক-পিকে-কে নিয়ে মুখোমুখি বসার প্রয়োজন ছিল। আলোচনা সদর্থক হয়েছে। এ বৈঠকেই মিটে গেছে সমস্ত সমস্যা। দু-একদিনের মধ্যেই পুরো বিষয়টি জানাবেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, আমি তো বলেছিলাম শুভেন্দু দল ছেড়ে যাবেন না। সেটাই সত্যি বলে প্রমাণিত হল। বৈঠকের বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারী বলেন, সমস্যা মিটে গেলে ভাল। পার্টির জন্য মঙ্গল। আরও পড়ুন ঃ পিকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরেও নিজের অবস্থানে অনড় শীলভদ্র উল্লেখ্য, সদ্য মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও বিধায়ক পদ ও দল ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বিভিন্ন অরাজনৈ্তিক সমাবেশে কারও নাম না করে বিভিন্ন মন্তব্য করছিলেন। এর পালটা তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সাংসদও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছিলেন। তৃণমূলের তরফ থেকে সৌগত রায়কে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শুভেন্দু তাঁকে জানিয়েছিলেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্স্বীর হাতে দলের দায়িত্ব ছিল, তখন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন অভিষেক ও প্রশান্ত কিশোর যেভাবে দল চালাচ্ছেন , তা তিনি মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। এদিন সেই অভিষেক ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে্র পর বরফ গলল বলে মত তৃণমূল নেতৃ্ত্বের।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
রাজনীতি

আমিও বাংলা হরফে লিখে গুজরাতি ভাষা বলতে পারি, নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ মমতার

আমফানের টাকা নিয়ে এত কথা হচ্ছে। কিন্তু পিএম কেয়ার্সের লক্ষ ্লক্ষ কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল? মঙ্গলবার এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগে বারবার সরব হন বিজেপি নেতারা, তার জবাবে মমতার সাফ কথা দুর্নীতি তো দূরঅস্ত, সরকারের টাকায় চা-ও খান না তিনি। এও জানালেন যে তাঁর লেখা বই বিক্রির টাকাই আয়ের উৎস। নির্বাচনী লড়াইয়ের সুর চড়িয়ে ফের বলেন, বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি বাংলার মানুষ ছাড়বে না। তাঁর আক্রমণ, সিপিএম বিজেপির সর্দার। পরিকল্পনা করে তৃণমূলের বদনাম করা হচ্ছে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে আগেই তিনি বলেছিলেন, ডাক পেলে তিনি দিল্লি যেতে প্রস্তুত। আর আজ কেন্দ্রের নয়া কৃষিনীতি নিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, অটলজি থাকলে এই আইন সমর্থন করতেন না। আরও পড়ুন ঃ নাম করে অভিষেককে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের তিনি আরও বলেন, টেলিপ্রম্পটারের দৌলতে এখন এ সবই সম্ভব। গুজরাটি হরফে বাংলা লিখে উচ্চারণ করা কোনও ব্যাপারই নয়। বাংলা বললেই বাঙালি হয় না। আমিও গুজরাটি ভাষা বাংলা হরফে লিখে বাংলা বলতে পারি। টেলিপ্রম্পটারে সম্ভব সব। তাই কেউ বাংলা বললেই তা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই। এছাড়াও দুয়ারে দুয়ারে কর্মসূচি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মোট চার দফায় ক্যাম্পগুলি বসবে। প্রকল্প বা সরকারি পরিষেবার বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে ওই ক্যাম্পেই যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

বিজেপি নেতার যোগ তৃণমূলে

মঙ্গলবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন লিওস কুজুর। ২০১৬-তে কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিজেপি নেতা লিওস কুজুর। তিনি জানান, শাসকদল আদিবাসীদের উন্নয়নে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই আদিবাসী মানুষেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা করতে পাকরছেন। মানুষের স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান করলাম। আরও পড়ুন ঃ মাঝেরহাট ব্রিজের নাম জয় হিন্দ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত লিওস কুজুর। ২০১৬-তে উত্তরবঙ্গের কুমারগ্রাম বিধানসভার বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, প্রতিদিনই বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার জন্য অনেকে মুখিয়ে রয়েছে। ঠিক সেসময় শ্রমিক ও আদিবাসীদের নেতার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি না , ক্ষোভ বিধায়কের

দলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না, এই অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিধায়ক এই মন্তব্য করে বলেন, যদি শ্রমিক সংগঠনে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারতাম, তাহলে শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে শ্রমিক স্বার্থ সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারতাম। আরও পড়ুন ঃ সভা থেকে ফেরার পর শুভেন্দু অনুগামীর বাড়িতে হামলা বিশ্বনাথবাবু বলেন, যখনই ভাল কোনও কাজ করতে যাচ্ছি, ঠিক তখনই পিছন থেকে টেনে ধরা হচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে দল সম্পর্কে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাবে। আর দলের নেতৃত্বের একাংশ দুর্গাপুরের সমস্ত কারখানায় শ্রমিক সমস্যাগুলিকে ইচ্ছে করে জিইয়ে রেখে দিচ্ছে, দলে থেকে এই নেতারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। যারা এগুলি জিইয়ে রাখছেন, তারা দলের ভাল চাইছে না। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করছেন। উচ্চ নেতৃত্বকে সব রিপোর্ট জমা দিয়েছি। এখন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই। কারণ, সামনেই নির্বাচন। মাথায় রাখতে হবে সেই কথাও। বহিরাগত লোকেরাই গ্রাফাইট কারখানায় কাজের সুযোগ পাচ্ছে। স্থানীয় বেকার যুবকরা বঞ্চিত হচ্ছে। এটা ভোটের মাধ্যমেও প্রতিফলন ঘটছে। স্থানীয় বেকার যুবকরা যদি সেখানে কাজের সুযোগ না পায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈ্রি হবে। বিধানসভা নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

সভা থেকে ফেরার পর শুভেন্দু অনুগামীর বাড়িতে হামলা

তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীর বাড়িতে ভাঙচুর ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটল সবংয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের কোলোন্দা গ্রামে। সেখানকার এক বাসিন্দা সোমবার যোগ দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে রাস উৎসবে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। আরও পড়ুন ঃ খেজুরিতে বিজেপি কর্মীদের উপর বোমাবাজি ও গুলির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নন্দীগ্রাম থেকে যখন সবংয়ে ফিরছিলেন, তখন তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়ার অনুগামীরা। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমাও ছোড়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি তাজা বোমা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার পিছনে যুক্ত রয়েছে বিজেপি কর্মীরা। তবে বিজেপির পাল্টা দাবি, শুভেন্দু বনাম মমতার লড়াই ধামাচাপা দিতেই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

খেজুরিতে বিজেপি কর্মীদের উপর বোমাবাজি ও গুলির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার খেজুরি ২ দক্ষিণ মণ্ডলের বোগা মোড়ে বিজেপির তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জমায়েত করেন বিজেপি কর্মীরা। কিছুক্ষণ পরেই হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও গুলিও চলে। আরও পড়ুন ঃ টুইটে করে ফের রাজ্যের পাওনার দাবিতে সরব ডেরেক অভিযোগ, একের পর বিজেপি কর্মীদের বাইকে ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় খেজুরি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। বিজেপির অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতেই এই হামলা। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বে। তাদের দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্ধের ফল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল নেতৃ্ত্বকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

তৃণমূল এখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়েদের মতো বুড়ো খোকাদের বার করেছেন সোনার বাক্স থেকে। ওটা বুড়োদের পার্টি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ ফের শাসক দলের নেতৃত্বের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ওটা বুড়োদের পার্টি হয়ে গিয়েছে। মাঝখানে যত নেতা ছিল হয় পালিয়েছে, নয় চুপ করেছে, আর সবে মুখ খুলতে শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, যাঁরা দল (তৃণমূল) ছেড়ে পালাচ্ছেন তাঁরা ইঁদুর। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের খোঁচা, বাকিরা ইঁদুর হলে সৌগতবাবু কি মোষ? ওঁকে কেউ দলে নেবে না। তাই উনি তৃণমূলে পড়ে রয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতায় জিততে পারেননি বলে কাঁথি গেছেন। তৃণমূল অর্থবদের দলে পরিণত হয়েছে। যাঁরা নেতা ছিল তাঁরা হয় পালিয়ে গিয়েছেন, নয়তো চুপ করে গিয়েছেন। যাঁদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁরাই ওই দলে পড়ে রয়েছেন। আরও পড়ুন ঃ বাংলায় আমদানি করা গব্বর সিংদের মানুষ মেনে নেবে নাঃ ইন্দ্রনীল সেন আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে তৃণমূল সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি- সরকার এই ধরণের অনেক প্রকল্প ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষ কিছু পায়নি। পার্টির লোকেরা কাটমানি পেয়েছেন। এগুলো সব স্ট্যান্ট। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্টান্ট হচ্ছে। আর কিছু না। একবার রাস্তায় নেমে জিজ্ঞেস করুন কে স্বাস্থ্যসাথী সুবিধা পেয়েছে, সব লোককে বোকা বানানোর রাস্তা। বাংলার লোক আর বোকা হতে রাজি নন। আগের যে সমস্ত কার্ড দিয়েছিল সেগুলো কোথায় গেল তার হিসাব দিতে হবে আর কেউ ভুলবে না। এদিন তাঁর নিশানায় ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও। তিনি বলেন, বাইরে থেকে লোক এসে কোন নেতা কী পড়বেন, কী খাবেন, কখন ওষুধ খাবেন-সব ঠিক করে দিচ্ছেন। বাংলায় এমন রাজনীতি আগে ছিল না। এই রাজনীতি বাংলার মানুষ মানতে পারবেন না। তিনি জানান, গুণ্ডা মন্তব্যের জেরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে তার কোনও জবাব এখনও মেলেনি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
রাজনীতি

নাম করে অভিষেককে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

গত রবিবার বজবজের সভা থেকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,সবার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ভাইপো। বুকের পাটা থাকলে ভাব বাচ্যে কথা বলে না বলে নাম নিয়ে দেখাক। এবার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তাঁর নাম করেই আক্রমণ শানালেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন চোর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ডাকাত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন কয়লা মাফিয়া। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দেব বলে ছেলেদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে এলাকায় এলাকায়। ওর সঙ্গী বিনয় মিশ্র। আরও পড়ুন ঃ কল্যাণের মন্তব্যে বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে , মত তৃণমূল সাংসদের তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলুন আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে। তারপর আমি বুঝে নেব। তিনি তৃণমূলকে সাম্প্রদায়িক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পিসি আর ভাইপো ছাড়া সবাই চেষ্টা করবে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কীভাবে বাঁচা যায়। তৃণমূলের মালিক পিকে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা সৌমিত্রবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 43
  • 44
  • 45
  • 46
  • 47
  • 48
  • 49
  • ...
  • 53
  • 54
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal