• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Banner

কলকাতা

বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা, বিজেপির বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল

বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা। আজ ছিল বাজেট অধিবেশনের শুরু। অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণের আগেই বিজেপির বিক্ষোভ। তুলকালাম বিধানসভায়। শেষমেশ ভাষণ পাঠই করতে পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার সকালে রাজ্যপালের ভাষণ পাঠের আগেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পদ্ম বিধায়করা। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরে স্পিকারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল বিধায়করাও। তাঁরাও দিতে থাকেন পাল্টা স্লোগান। এরইমধ্যে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপালের বক্তব্য সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সেটাই টেবিল করা হবে বলে জানান স্পিকার। তখনই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই বলেন, তিনি হতবাক হচ্ছেন। তিনি না বললে কীভাবে তাঁর ভাষণ টেবিল হতে পারে? প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বক্তব্য, তিনি যতক্ষণ না বলছেন,. ততক্ষণ তাঁর বক্তব্য টেবিল করা যায় না। স্পিকার সেটি কীভাবে করতে পারলেন? রাজ্যপালের এ বক্তব্যের মাঝেই বিজেপি ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। টানা এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে বিধানসভায়।বিধানসভা সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল। রাজ্যপাল আগেও নেমে যেতে উদ্যত হয়েছিলেন। শাসকদলের মহিলা বিধায়করা কার্যত রাজ্যপালকে ঘিরে থাকেন বিধানসভায়। তাঁকে নামতে বাধা দেন তাঁরা।এদিকে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বিরোধীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা কাজ না হওয়ায় বক্তৃতা না দিয়েই বসে পড়েন রাজ্যপাল। বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন, ভারত মাতা কী জয়, ছাপ্পা ভোটের সরকার আর নেই দরকার, মানুষ মারা সরকার আর নেই দরকার।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে তাঁর আসন ছেড়ে দিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে গিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেন। ফিরে এসে রাজ্যপালকে অন্তত দুলাইন ভাষণ পাঠ করার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিক্ষোভ-অশান্তি-স্লোগানে ভাষণই শুরু করেন রাজ্যপাল। এরপর বেলা ৩.০৭ মিনিট নাগাদ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসেন মুখ্যমন্ত্রীও। ভাষণ আর পড়তে পারলেন না রাজ্যপাল। কেবল ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়েই নিয়ম রক্ষা করতে হল তাঁকে। আজকের ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকী স্পিকারও বলেন, এমন ঘটনা বিধানসভায় আগে ঘটেনি।

মার্চ ০৭, ২০২২
কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের কারণ জানতে চেয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে চিঠি নবান্নের

রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাটের কারণ জানতে চেয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে চিঠি দিয়েছে। শুক্রবার সেখানে কী হয়েছিল জানতে চেয়ে আজ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রিপোর্ট তলব করেছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বারাণসী থেকে মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্য সরকারের ভাড়া করা বিমানে ফিরছিলেন তখন তা কোনও এয়ার পকেটে পড়েছিল কি না চিঠিতে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সঙ্গেও রাজ্যের তরফে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরছিলেন বারাণসী থেকে। তখন তাঁর বিমান এয়ারপকেটে পড়েছিল কি না তা বিস্তারিতভাবে জানতে চাওয়া হল নবান্নের পক্ষ থেকে এয়ারপোর্ট অথরিটির কাছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা চিঠি লিখেছেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে। কলকাতায় বিমান নামার আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। তাই বিষয়টি তিনি জানতে চেয়েছেন।রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ, শুক্রবার কলকাতারআকাশ যথেষ্ট পরিষ্কার ছিল। মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় কোনওটাই ছিল না। তা সত্ত্বেও বিমানটি আচমকা একটি ঝঞ্ঝার মুখোমুখি হয়।ফলে পাইলট অত্যন্ত দ্রুততায় উচ্চতা প্রায় পাঁচ হাজার ফুট নামিয়ে আনেন। ফলে প্রবল ঝাঁকুনি ও উথালপাথাল হল বিমানে। বিমানের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সহযাত্রীরা অবশ্য জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের বিমানের সামনে অন্য একটি বড় বিমান এসে পড়েছিল। সেটিই হল বিপত্তির কারণ। কিন্তু নবান্নের শীর্ষ কর্তারা এমন উত্তরে সন্তুষ্ট নন। তাঁরা চান এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ও অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট জবাব চাইছে নবান্ন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে এখনও এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কোনও বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি।

মার্চ ০৫, ২০২২
দেশ

বিজেপিকে এক ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশের বাইরে ফেলুন, মোদির মাঠে 'খেলার' ডাক মমতার

আজ উত্তরপ্রদেশে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের দিনই মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে যৌথসভা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। বারণসীর সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সন্ধেবেলাতেই উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে হালকা মুডে বারাণসীর ঘাটে সন্ধে আরতি দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। জল্পনা ছিলই যে মোদির কেন্দ্রের জনসভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণের সুর সপ্তমে তুলবেন মমতা, সেই জল্পনা সত্যি করেই যোগী আদিত্যনাথের বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী।গতকালই বাংলার ১০৮ পুরসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়েছে তৃণমূল, সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, বাংলার পুর নির্বাচনেও বিজেপি ব্যাপকবভাবে পরাজিত হয়েছে। আপনারও বিজেপিকে আরও একটি ধাক্কা দিন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার করোনার সময়ও কোনও কাজ করেনি। মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মৃতদেহ ভেসে আমাদের ওখানে গিয়েছে, আমরা সম্মানের সঙ্গে মৃতদেহগুলিকে সৎকার করেছি। যোগী সরকারকে বদলে দিন।মমতার মুখে স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নামও শোনা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশের নারী নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এদিনের সভা থেকে মহিলা ভোটকেই লক্ষ্য করেন মমতা। মমতা বলেন, মা বোনরা আমাদের বাড়িরসম্বল, তাঁরা বাড়ির সব কাজ করেন। আপানাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা অন্য কারোর ওপর ভরসা না করে অখিলেশকে ভোট দিন। আমি বাংলায় প্রত্যেক মহিলাকে মাসে ৫০০ টাকা করে দি। বিজেপির সরকার মেয়েদের জন্য কী করেছে? কিচ্ছু করেনি। তাই বিজেপিকে ভোট দেবেননা। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের প্রসঙ্গও ওঠে মমতার মুখে। তিনি বলেন, আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু বিমানে উঠে বিজেপির এক মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান করছে। আমরাও বলেছি, বাংলার কেউ আটকে থাকলে তার বিমান ভাড়া সরকার দেবে।২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে খেলা হবে স্লোগান জনপ্রিয় হয়েছিল। খেলা হবে গানের আদলে সমাজবাদী পার্টিও একটি গান তৈরি করেছে। এদিন উত্তর প্রদেশেও খেলা হবে-র ডাক দিয়েছেন মমতা। যোগী সরকারকেও বদলেও দেওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা। উত্তর প্রদেশে পৌঁছানোর পরই বিভিন্ন যায়গায় মমতাকে কালো পতাকা দেখিয়েছে বিজেপি। মমতা বলেন, কাল আমাকে বেইজ্জত করা হয়েছে আমি এত সহজে ভয় পাইনা। সিপিএম আমাকে অনেকে মেরেছে। কিন্তু আমি বাংলায় ওদের হারিয়েছি।অখিলেশের হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচনী প্রচারে গেলেও এটাই উত্তরপ্রদেশে মমতার প্রথম জনসভা। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে লখনউয়ের ভার্চয়াল সভা থেকে মমতা বক্তব্য রেখেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার, বাংলার মতো মমতা-অখিলেশের সভাতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মঞ্চ থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে চড়া সুরে বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা।

মার্চ ০৩, ২০২২
রাজনীতি

বিপুল জয়ের পর দায়িত্ব আরও বাড়ল, টুইট করে নম্র হওয়ার বার্তা মমতার

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেও বিরোধী হিসেবে আসন সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছিল বিজেপির। তবে পরপর তিন পুর নির্বাচনে কার্যত নিরঙ্কুশ জয় এসেছে ঘাসফুল শিবিরেই। কলকাতা পুরনিগমে গুটিকয়েক ওয়ার্ড বাদ দিতে সবকটিই এসেছে তৃণমূলের হাতে। পরে রাজ্যের বাকি চার পুরনিগমের নির্বাচনেও সবকটিতে জয়ী হয় তৃণমূল। আর এবার ১০৮ পুরসভার নির্বাচনেও একই ট্রেন্ড। ১০০-র বেশি আসনে জয়ী তৃণমূল। থাকাই খুলতে পারল না বিজেপি। সেই ফল প্রকাশের পর টুইটে প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।Let victory enhance our responsibility and dedication. Let triumph impart humility. Let us together work for peace, prosperity and development of the state.Jai Bangla!(2/2) Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 2, 2022জয়ী যে হচ্ছেন, সে ব্যাপারে সারা রাজ্যের কারও কোনও সন্দেহ ছিল না। কৌতূহল ছিল, কী ভাবে জিতবেন। টুইট করে দলের জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানালেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিনন্দনের পাশাপাশিই জয়ী সৈনিকদের মমতার পরামর্শ এবং সতর্কবার্তা, এই জয় যেন আমাদের আরও দায়িত্ববান এবং নম্র হতে শেখায়। অর্থাৎ বিপুল জয়ের ফলে যেন দলের কর্মীরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে না ভোগেন। যেন তাঁরা ভুলে না যান, মানুষের জন্যই তাঁরা এই জায়গায় পৌঁছেছেন। নিজেদের দায়িত্ব পালনে যেন তাঁরা চ্যুত না হন।বুধবার দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ যখন পুরসভা ভোটের গণনা থেকে সম্ভাব্য ফলাফল প্রায় নিশ্চিত, তখন পরপর দুটি টুইট করেন মমতা। প্রথমে মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ জানান পুরসভায় তৃণমূলকে বেছে নেওয়ার জন্য। তার পরে তিনি অভিনন্দন জানান পুরভোটে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের। সেটা প্রত্যাশিতই ছিল।এর পরেই দ্বিতীয় টুইটে মমতা লেখেন, এই জয় যেন আমাদের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে। মানুষের প্রতি আমাদের আনুগত্য বৃদ্ধি করে। জয় যেন আমাদের আরও নত হতে শেখায়। মমতা লেখেন, আসুন, আমরা একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করি। মমতা তাঁর অভিনন্দনজ্ঞাপক টুইট শেষ করেন জয় বাংলা লিখে।

মার্চ ০২, ২০২২
রাজনীতি

ইউক্রেন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

ইউক্রেন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তার প্রেক্ষিতে বহু সংখ্যক পড়ুয়া সহ ভারতীয় নাগরিকদের সেখানে আটকে পড়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে সমস্ত রাজনৈতিক মতভেদ দূরে সরিয়ে রেখে কেন্দ্রকে নিঃশর্ত সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে সবরকম ভাবে কেন্দ্রের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ইউক্রেন সংকট নিয়ে একটি সর্বদল বৈঠক ডাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব রকম রাজনৈতিক বিরোধিতা ভুলে সব দলকে একসঙ্গে হতে হবে। ভারত যাতে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে থাকতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেছেন, একজন সিনিয়র মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় দলের নেতা হিসেবে তিনি ইউক্রেন পরিস্থিতিতে দেশের বৈদেশিক নীতির এই পরম্পরার প্রতি তাঁর আস্থা পুনরায় ব্যক্ত করছেন।তিনি লিখেছেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় আমাদের ভূমিকা বরাবরের মতোই থাকুক। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের পাশেই থাকবে রাজ্য।মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফেরানোর জন্য এখানে সকলের ত্রিবর্ণ পতাকার নীচে দাঁড়াতে হবে।অপারেশন গঙ্গা নাম দিয়ে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারকাজে নেমেছে কেন্দ্র। দফায় দফায় কয়েকশো পড়ুয়া, নাগরিককে ফেরানো হয়েছে। দিল্লি কিংবা মুম্বই বিমানবন্দরে যে সব বাঙালি পড়ুয়াদের ভারত সরকার ফেরাচ্ছে তাঁদের নিখরচায় বিমান বা ট্রেনের টিকিট দিয়ে নিজেদের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একথা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ইউক্রেন ইস্যুতে পড়ুয়াদের দ্রুত ভারতে ফেরাতে চিঠি লিখে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
কলকাতা

দেউচা পাচামির জট কাটাতে একগুচ্ছ প্রকল্পের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি প্রকল্প দেউচা পাচামি প্রকল্পে জট কাটাতে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজ আরও বাড়ালো রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয় এই সংশোধিত প্যাকেজে। উন্নয়ন ও কর্ম সংস্থানের স্বার্থে এই প্রকল্পে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ওই প্রকল্পের জন্য জোর করে কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না এবং কাউকে বঞ্চিত করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ থাকছেই।পাশাপাশি দীর্ঘদিন প্রস্তাবিত খনি এলাকায় বসবাস করছেন অথচ আইনি স্বীকৃতি নেই এমন পরিবার গুলিকেও ক্ষতিপূরণ প্যাকেজের আওতায় আনা হবে বলে এদিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু খাদান মালিক এবং মানুষ এলাকাবাসীকে ভুল বোঝাচ্ছেন।তিনি বলেন, দেউচা পাঁচামি রাজ্যের একটা বড় প্রকল্প। রাজ্য সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। প্রায় ১ লক্ষ ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে। সেখানে যে পরিমান কয়লা মজুত আছে তাতে আগামি ১০০ বছর রাজ্যে বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না। তাঁর অভিযোগ, এত বড় প্রকল্প বানচাল করার চক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। চলছে নানা অপপ্রচার।স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, কোনও অপপ্রচারে কান দেবেন না। আমরা জোর করে কারও জমি নেব না। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দেউচা পাঁচামির জন্য যে ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে তা ভারতের আর কোনও রাজ্যে নেই। ইতিমধ্যেই অনেকে স্বেচ্ছায় জমিও দিয়েছেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।মুখ্যসচিব বলেন, জমির দামের চেয়ে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাড়ি তৈরির জন্য পাঁচশোর বদলে সাতশো বর্গফুট জমি দেওয়া হবে। যাঁরা বাড়ি নেবেন না তাঁদের বাড়ি তৈরির অর্থ বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে সাত লক্ষ টাকা করা হবে। এ ছাড়া এককালীন দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। খাদান মালিকদের জন্যও ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ দেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
কলকাতা

আনিস খান হত্যাকাণ্ডে সিট গঠন

ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু ঘিরে কার্যত তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার পর আড়াই দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি। এদিকে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তাতে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নিরপক্ষে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন এবং তাঁর নির্দেশ মতো আমরা একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনও করে নিয়েছি। তিন সদস্যের ওই বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকবেন জ্ঞানবন্ত সিং। এর পাশাপাশি ডিআইজি (সিআইডি অপারেশন) মিরাজ খালিদ এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে।প্রাথমিকভাবে এই তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলের নাম ঘোষণা করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। এ ছাড়া তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা যদি মনে করেন তদন্তের স্বার্থে আরও কাউকে এই দলে রাখা প্রয়োজন, তাহলে তাঁরা পুলিশ ফোর্সের থেকে তাঁদের পছন্দমতো নাম যোগ করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী যে কথা নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেছিলেন, সেই একই কথা আবারও শোনা গেল ডিজির গলায়। বলেন, আমরা চাই ন্যায়বিচার হোক। মুখ্যমন্ত্রীও সেই নির্দেশই দিয়েছেন। আমাদেরকেও সেই মতোই বলা হয়েছে। আমাদের কী করণীয়, তা আমাদের কাছে পুরো পরিষ্কার। যারা দোষী, তাদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। তাদের অবশ্যই ধরতে হবে এবং তাদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
কলকাতা

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের। সোমবার নিমতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বর্ষীয়ান মন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।প্রয়াত মন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্যের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সাধন পাণ্ডে। যখনই যে কাজের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে অর্পিত হয়েছে, তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করেছেন। তাঁর দেহাবসান হলেও, আমাদের হৃদয়ে তাঁর চিরস্থায়ী অধিষ্ঠান। আজ নিমতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। তাঁর শোকসন্তপ্ত আত্মীয়-পরিজন ও অনুগামীদের গভীর সমবেদনা জানাই। তাঁর প্রয়াণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনওদিনই পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর আদৰ্শ ও উপদেশ আগামীদিনেও আমাদের পথ দেখাবে। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
কলকাতা

আনিস খান হত্যা মামলা এবার হাইকোর্টে

ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ডের জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টেও। রহস্যমৃত্যুর আসল কারণ কী, তা জানতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আরজি জানিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি। দুপুর ২টোয় লিখিত পিটিশন জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের। এদিকে, ঘটনার তদন্তে আমতায় ছাত্রনেতার বাড়িতে পৌঁছন ডিএসপি ডিএনটি সুব্রত ভৌমিক। নিহতের বাবা সালাম খানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় এবার হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী পুলক রায়ের মাধ্যমে আনিসের বাবাকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন আনিসের পরিজনেরা।সোমবার আনিসের বাড়িতে পৌঁছন ডিএসপি সুব্রত ভৌমিক। আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজ্য সরকারের চাকরির প্রস্তাব তাঁর বাবাকে দেওয়া হয়। যদিও তিনি আগে বিচার চেয়ে বসেছেন। দুদিন কেটে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত। এই ঘটনায় হয়নি কেউই। উল্লেখ্য, সোমবার আনিসের বাড়িতে ভর্তি পুলিশ। আনিস আগে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। তিনি হুমকি পাচ্ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টিতে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজনীতি

জল্পনার অবসান, সর্বভারতীয় সভাপতি পদে অভিষেকেই আস্থা মমতার

সব জল্পনার অবসান। দল পরিচালনায় নিজের পর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই আস্থা রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুক্রবার পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরিয়ে এনেছেন মমতা। তবে অভিষেকের পদ অক্ষুন্ন থাকলেও অন্য বেশ কিছু সাংগঠনিক পদে রদবদল করেছেন নেত্রী।গত ১২ ফেব্রুয়ারির পর তৃণমূলের সমস্ত সর্বভারতীয় পদ বিলোপ করা হয়েছিল। ২০ জন সদস্যের নবগঠিত জাতীয় কর্মসমিতির চেয়ারপার্সন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। ওই কর্ম সমিতি শুক্রবার বৈঠক করে নতুন পদাধিকারীদের নাম স্থির করেছে। সেখানেই অভিষেক কে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের একথা জানান৷তিনি বলেন,দলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। দলের তহবিলের দেখভাল করবেন অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও ঠিক হয়েছে অর্থনৈতিক ও বিদেশনীতির ব্যাপারে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে তা দেখবেন অমিত মিত্র এবং যশবন্ত সিনহা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সাংগঠনিক কাজ দেখবেন সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক ও মুকুল সাংমা।উল্লেখ্য, সংসদের অধিবেশনের সময় রাজ্যসভার মুখপাত্র হিসাবে থাকবেন সুখেন্দু শেখর রায় ও লোকসভার মুখপাত্র হবেন ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। দিল্লিতে দৈনিক সাংবাদিক সম্মেলন করতে তিনজনের কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা দিল্লি থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই তিনজনের মধ্যে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র, সুখেন্দু শেখর রায় ও কাকলি ঘোষ দোস্তিদার। দলের কার্যনির্বাহী ও জাতীয় নীতি নির্ধারন কমিটির দায়িত্ব সামলাবেন যশবন্ত সিনহা ও ড. অমিত মিত্র। উত্তর পূর্বে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল সাংমা, সুবল ভৌমিক ও সুস্মিতা দেবকে। পাশাপাশি হরিয়ানায় তৃণমূলের কনভেনার করা হয়েছে অশোক তানওয়ারকে। উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের কনভেনার করা হয়েছে রাজীব ত্রিপাঠিকে।গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি ও সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন ফিরহাদ হাকিম। মূলত যেটা নিয়ে জল্পনা ছিল তার অবসান ঘটিয়েছেন খোদ নেত্রী। সাংসদ অভিষেককেই ফের ফেরানো হয়েছে তাঁর পুরানো পদে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের মাথায় রেখেই সমস্ত পদ সাজানো হয়েছে বলে শাসক দল সূত্রে খবর।গত শনিবার ২০ জনের যে জাতীয় কর্ম সমিতি গড়া হয়েছে তাতে রয়েছেন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এছাড়াও রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম দেব, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বুলুচিক বরাইক, রাজেশ ত্রিপাঠী, অসীমা পাত্র ও মলয় ঘটক।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ‘আমন্ত্রণ’ ধনখড়ের

রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতে নয়া মাত্রা। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সময় সুবিধামতো রাজভবনে আসার জন্য চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার টুইট করে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। নরম সুরেই মুখ্যমন্ত্রীকে চলতি সপ্তাহে নিজের সময় বুঝে রাজভবনে যাওয়ার জন্য বলেছেন তিনি।বিভিন্ন সময়ে এই দুই প্রধানের মধ্যে তরজা আবহ দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে সে কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি বাধ্য হয়ে টুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছেন। এখানেই থামেনি সে তরজা। সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালকে পদ থেকে সরানোর আর্জি নিয়ে তৃণমূল সাংসদরা একাধিকবার সরব হন। এমনকী তাঁরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সংসদে স্বতন্ত্র প্রস্তাবও আনেন। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে রাজভবনে ডাকার বিষয় ঘিরে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে।WB Guv:Impressed upon Honble CM Mamata Banerjee that Dialogue, discussion and deliberation, particularly amongst constitutional functionaries, like the Chief Minister and the Governor, are quintessential to democracy and inseparable part of constitutional governance. 2/2 Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 17, 2022রাজ্যপাল টুইটারে লিখেছেন, বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জবাব বা তথ্য চাওয়া হলেও তার কোনও উত্তর তিনি পাননি। চিঠিতে ধনখড় লিখেছেন, রাজ্যের এই ধরনের ভূমিকা সংবিধান কখনওই সমর্থন করে না। সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী, তাঁর জবাব তলব করার অধিকার রয়েছে।কিছুদিন আগেই মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজিকেও রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁরা না আসায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহেই আসতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
কলকাতা

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পঞ্চভূতে বিলীন হলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

বুধবার সন্ধ্যায় পঞ্চভূতে বিলীন হলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিদায়ের সঙ্গে পরিসমাপ্তি ঘটল একটি অধ্যায়ের। এর আগে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রসদনে। সেখানে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীর দেহে পরিয়ে দেন উত্তরীয়। তিনি ছাড়াও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজন। রবীন্দ্রসদনে ছিলেন বিশিষ্ট এই শিল্পীর কন্যা সৌমী মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী মাতৃস্নেহে তাঁকে কাছে টেনে নেন। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদন পৌঁছন প্রবীণ বামনেতা বিমান বসু। শ্রদ্ধা নিবেদনপর্ব শেষ হলে শিল্পীর নিথর দেহ কালীঘাটের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। অন্তিম যাত্রায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ যাত্রায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পা মেলান বহু মানুষ। রাস্তার দুধারে শুধু কালো মাথার ভিড়। বিকেল ছটা নাগাদ শিল্পীর দেহ পৌঁছয় কালীঘাটে। সেখানে তাঁকে দেওয়া হয় গান স্যালুট। কালীঘাটে অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত এদিন তাঁকে দেখা গেল অভিভাবকের ভূমিকায়। শিল্পীর অন্তিম যাত্রার সঙ্গে অনেকেই তুলনা করেন বাঙালির ম্যাটিনি আইডল উত্তম কুমারের শেষ যাত্রা।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
কলকাতা

আজ গীতশ্রীর শেষকৃত্য, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ সফর মাঝপথে ছেড়েই কলকাতায় ফিরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কোচবিহারে ছিলেন তিনি। সেখানেই গীতশ্রীর মৃত্যুর খবর পৌঁছয় তাঁর কাছে। সেখান থেকে কলকাতায় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজের সফরসূচিতে কাঁটছাট করেন মমতা। জানিয়ে দেন, বুধবার সরকারি তত্ত্বাবধানেই হবে সন্ধ্যার শেষকৃত্য।কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। মমতা বলেন, কোচবিহারে আমার সভা রয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যাদির মৃত্যু খবর পেয়ে মন খারাপ হয়ে গেল। তাই বুধবার দ্রুত কাজ সেরে আমি কলকাতায় ফিরে আসছি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সর্ব্বোচ্চ সম্মান দিয়ে সন্ধ্যার শেষকৃত্য করবে। আজ বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা নিবেদন করা যাবে। বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে পূর্ণ মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।মঙ্গলবার কোচবিহারে অনন্ত মহারাজের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী। তারপর উত্তরবঙ্গের শিল্পপতিদের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচি দ্রুত শেষ করে কলকাতায় ফিরে আসবেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
কলকাতা

গীতশ্রীর প্রয়াণে শোকবিহ্বল মুখ্যমন্ত্রী

সন্ধ্যার প্রয়াণে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ সফরে। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ভাবতে পারিনি মারা যাবেন। গতকাল রাতে অস্ত্রোপচারের পর খবর এসেছিল। কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। এত তাড়াতাড়ি এমনটা ঘটে যাবে তা বুঝতে পারিনি। আমরা যকৃতের চিকিৎসকে পাঠাব বলে ঠিক করেছিলাম। তখন জানতে পারলাম উনি আর নেই। কোভিড থেকে মুক্ত হওয়ার পর সব ঠিক ছিল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত। কী যে হয়ে গেল! উনি স্বর্ণালি সময়ের শিল্পী। সেই যুগের সকলেই চলে গিয়েছেন। উনি ছিলেন। উনিই শেষ সুরের ঝঙ্কার, সুরের স্পন্দন, গানের ইন্দ্রধনু। ওঁর গাওয়া কত গান মনে পড়ছে এখন।মমতা আরও বলেন, একটা শতাব্দীর আর কেউ রইলেন না। এ ক্ষতি অপূরণীয়। আমি মনে করি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ভারতরত্ন। আজ রাতে ওঁকে পিস ওয়ার্ল্ডে রেখে দেব। বুধবার ১২টার সময় দেহ নিয়ে রবীন্দ্র সদনে রাখা হবে। ৫টা পর্যন্ত ওখানে থাকবে সম্মান প্রদর্শনের জন্য। আমি যেমন করে হোক পৌঁছনোর চেষ্টা করব। এর পর রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান গান স্যালুট দিয়ে ওঁর শেষকৃত্য হবে। শিল্পীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উনি আমাকে গান গাওয়ার অনুরোধ করতেন। ওঁকে কখনও কখনও গান শোনাতে হয়েছে। আমি অবাক হয়ে যেতাম সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আমার কাছে গান শুনতে চাইছেন। জন্মদিনে ওঁকে ফোন করেছিলাম। তখন গান শোনাতে বলেছিলেন।গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি টুইটারে লিখেছেন, কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বঙ্গবিভূষণ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অতুলনীয় মমতা ও দেশপ্রেম প্রকাশ করেছেন জাতীয় পুরষ্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর মৃত্যু সঙ্গীত জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর পরিবার এবং অসংখ্য অনুরাগীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। ওম শান্তি!Her demise is huge loss to the world of music that would be felt forever.Her iconic songs like Amader Chuti Chuti and Ore Sakol Sona Molin Holo will continue to bless our souls for years to come.My deepest condolences to her family and numerous admirers. Om Shanti ! 2/2 Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 15, 2022তিনি এক শোকবার্তা দিয়ে বলেন, কিংবদন্তীপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী, অমর সুরসাধিকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীরতম শোকপ্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দশকের পর দশক ধরে তিনি তাঁর অবিস্মরণীয় কণ্ঠমাধুর্যের জাদুতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। তাঁর গাওয়া অসংখ্য গান সঙ্গীতপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় আজও শীর্ষে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ, ২০১২ সালে সঙ্গীত মহাসম্মান ও ২০১৫ সালে ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি বিশেষ সঙ্গীতসম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি ভারত নির্মাণ অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড সহ বহু সম্মানে ভূষিত হন। তিনি আমৃত্যু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত একাদেমির সভাপতিও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।স্বর্ণকণ্ঠী গীতশ্রী সন্ধ্যাদির সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের হৃদ্য সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে আমি আমার অগ্রজাকে হারালাম। আমি সন্ধ্যাদির পরিবার-পরিজন ও অসংখ্য অনুরাগীকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি ।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজনীতি

উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

চার পুরসভার নির্বাচনের ফলাফল ৪০ দেখে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে ফিরবেন ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপরই তৃণমূল সুপ্রিমো জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক ডেকেছেন নিজের বাসভবন কালীঘাটে। সম্প্রতি তিনি সব শীর্ষ পদ অবলুপ্ত করে দিয়ে জাতীয় কর্মসমিতি গঠন করেন। তৈরি হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটি। এবার বিশেষ বৈঠক।সম্প্রতি দলে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে হাজার টানাপোড়েনের মাঝেই পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনিবার বিকেলে তিনি দলের সমস্ত শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানেই সমস্ত পদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে নতুন করে জাতীয় কর্মসমিতি গড়ে দেন। নতুন কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন দলের বর্ষীয়ান নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই কর্মসমিতিতে রয়েছেন মোট ১৯ জন। তবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মোট ১৬ জনের নাম ঘোষণা করেছেন। পরে পূর্ণাঙ্গ তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার কালীঘাটে দলের জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ তারিখ ফিরেই তিনি ১৮ তারিখ বৈঠকে বসবেন। সেখানে কিছু পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করতে পারেন তিনি। এখন জাতীয় কর্মসমিতির শীর্ষে রয়েছেন চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে।কেন এই বৈঠক ডাকলেন তড়িঘড়ি? সূত্রের খবর, চার পুরসভার মধ্যে তিনটির মেয়র পদ ঘোষণা করতে পারেন তিনি। দলের কয়েকটি পদে কারা বসবেন জানাতে পারেন তিনি। এখন অন্যান্য রাজ্যে কিভাবে সংগঠন গড়ে তোলা হবে তা নিয়ে নির্দেশ দিতে পারেন তিনি। এমনকী শীর্ষ পদাধিকারীদের নামও ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
কলকাতা

যত জিতব তত নম্র হতে হবে, বললেন মমতা

তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরে যাওয়ার আগে চার পুরসভায় তৃণমূলের বিপুল জয়কে জনগণকে উৎসর্গ করলেন দলের সভানেত্রী।বিমানে ওঠার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জয়ের জন্য আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। যত জিতব তত আমাদের নম্র হতে হবে। আগামী দিনে আমার লক্ষ্য শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান। আমাদের সমস্ত সামাজিক প্রকল্প যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হবে। বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল, কলকাতা পুরসভায় জিতেছি। আগামী দিনে আরও কয়েকটি পুরসভা নির্বাচন আছে।তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের পরিষেবা, বাংলার সবুজায়ন, শিল্প সমৃদ্ধ করা, মায়ের সম্মান, ছাত্র যুবদের সম্মান, শ্রমিক কৃষকের ভালবাসা, সর্বধর্ম সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে সংস্কৃতি সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে আমরা করে চলেছি এবং করে যাব। আরও বেশি করে মানুষের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আগামিদিন আমার ডেস্টিনেশন ইন্ডাস্ট্রি। কাজের সুযোগ বাড়ানো।একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, জনগনের পরিষেবা পুরনিগম, পুরসভা দেবে। সরকারের অনেক কাজ। মঙ্গলবার থেকে আবার দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে। আমাদের সমস্ত সরকারি প্রকল্প যেন ঠিকমতো চলে তা সবাইকে দেখতে হবে। কোভিড কমে গেলেও সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এই জয় মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি। আজ শিলিগুড়ি যাচ্ছি। কোচবিহারে অনুষ্ঠান আছে। ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের মিটিংও আছে। আজ পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন। ওখানে পৌঁছে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করব।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

শিলিগুড়ির মেয়র হবেন গৌতম দেব

এই প্রথম বার শিলিগুড়ি পুরনিগমে বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল। সোমবার সকালে ভোটগণনা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। সেই আবহেই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন শিলিগুড়ির মেয়র হবেন গৌতম দেব।ঘটনাচক্রে সোমবারই তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মমতা। ওই সফর শুরু হবে শিলিগুড়ি দিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের দিনেই প্রথম বার শিলিগুড়ির ভার পেল তৃণমূল, ফলে শাসক শিবিরে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস। খুশি মমতাও। তিনি বলেন, আমি খুশি। শিলিগুড়িতে জয়ের খবর নিয়ে যাচ্ছি। এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার। গৌতম দেব মেয়র হবে শিলিগুড়ির। কারণ ও প্রবীণ নেতা। অন্য জায়গাগুলিতে দল সিদ্ধান্ত নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, শিলিগুড়িতে আজ কত উন্নয়ন হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়। সেখানে রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভোরের আলো এমন সব নানা প্রকল্প আমরা নিয়েছি।শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন গৌতম। জয়ের পর তিনি বলেন, শিলিগুড়ির মানুষের হয়ে আজ আমরা দিদিকে অর্ঘ্য নিবেদন করব। এই জয় শিলিগুড়ির মানুষকে উৎসর্গ করছি।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

৩ দিনের সফরে আজ উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

তিনদিনের সফরে আজ উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার বিকেলে তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন। রাতে শিলিগুড়িতে থাকবেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার কোচবিহার যাবেন। সেখানে সার্কিট হাইসে থাকবেন তিনি। বুধবার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বানেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় বীর চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা। এরপর কোচবিহার শহর সংলগ্ন শিবযজ্ঞ মন্দিরে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজনীতি

সভানেত্রীর পদ ছাড়া সমস্ত জাতীয় পদের অবলুপ্তি, মমতার বৈঠকে ঘোষিত ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি

এক ব্যক্তি এক পদ নীতি নিয়ে দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের আবহে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে শনিবার কালীঘাটে তাঁর বাসভবনে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে কুড়ি জন সদস্যর নাম চূড়ান্ত করা হয়। সাংগঠনিক নির্বাচনের ১০ দিনের মাথাতেই ঘোষিত হলো তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির। কমিটিতে যেমন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তেমনই রাখা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। দলের বর্ষীয়ান নেতাদের পাশাপাশি জেলার একাধিক নেতাকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসা হয়েছে। একইসঙ্গে দলের সভানেত্রীর পদ ছাড়া বাকি সব পদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে।সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলে সমস্ত জাতীয় স্তরের শীর্ষপদের আপাতত অবলুপ্তি ঘটানো হল। অবলুপ্তি ঘটালেন স্বয়ং মমতাই! বদলে গড়া হয়েছে ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি। যারা দলের কাজ দেখাশোনা করবে। কর্মসমিতির মাথায় রয়েছেন মমতা নিজে।তৃণমূলের অন্দরের ব্যাখ্যা, এই পদক্ষেপের মমতা আরও একবার দলের অন্দরে নিজের অবিসংবাদী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলেন। বস্তুত, সূত্রের দাবি, বৈঠকে উপস্থিতি নেতারা সকলেই মমতার হাতে দলের দায়িত্ব পরিপূর্ণ ভাবে অর্পণ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, মমতাই দলে শেষ কথা। নেতাদের সাক্ষর সংবলিত সেই বার্তাও দলনেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের আরও দাবি, বৈঠকে সকলের সামনেই মমতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কদিন ধরেই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরের ক্ষোভ যেভাবে প্রকট হয়েছে তাতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। এমনকী, এক ব্যক্তি এক পদ চালুর দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের তরুণ প্রজন্মের নেতা-নেত্রীদের লাগাতার প্রচারেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। কিছুটা হলেও ভুল বার্তা যাচ্ছিল সাধারণ মানুষের কাছে। পরিস্থিতি সামলাতে এদিন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠক চলে।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজকের বৈঠকে দলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেছেন নেত্রী। জাতীয় কর্মসমিতি গঠন সম্পূর্ণ হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়ে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, যশোবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম দেব, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বুলুচিক বরাইক, রাজেশ ত্রিপাঠী, অসীমা পাত্র ও মলয় ঘটক। জাতীয় কর্মসমিতির সভানেত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বাকি পদাধিকারীদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
রাজনীতি

জরুরি ভিত্তিতে কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠক ডাকলেন মমতা

চার পুরনিগমের ভোটগ্রহণের দিন শনিবার। এদিনই জরুরি ভিত্তিতে কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে দলের সর্বস্তরে যে গণ্ডগোল ও মনোমালিণ্যের পালা চলছে তা নিয়েই আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আগামিকাল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিকেল ৫ টা নাগাদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুব্রত বক্সী ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।সূত্রের খবর, ১০৮ পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ চলছে। একাধিক জেলার নেতারা রয়েছেন দ্বিধাবিভক্ত, সেই পরিস্থিতির সামাল কীভাবে দিতে হবে তা নিয়ে বিস্তরা আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও দলের বর্তমানে একাধিক নীতি নিয়ে চিন্তায় জেলার নেতারা। নতুন নিয়ম কার্যকর না হলেও পুরানো নিয়ম বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে বারবার সুব্রত বক্সী ও পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের কাছে ফোন আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। দলে আদৌ এক ব্যক্তি এক পদ নীতি বজায় থাকবে কি না তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও ইদানিং সৌগত রায়, মদন মিত্র কিংবা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিভিন্ন আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন, তা নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাও উঠবে এই জরুরি বৈঠকে। এছাড়াও আগামী দিনে জাতীয় স্তরে দলের সংগঠন কীভাবে এগোবে, তা নিয়েও রূপরেখা তৈরি করতে আলোচনা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

জঙ্গিপুর হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে ঢুকে পড়ল সাপ। আতঙ্কিত ব্লাড সেন্টারের কর্মীরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার প্রথমে ব্লাড সেন্টারের সাফাই কর্মী প্রথমে সাপ দেখতে পান।এরপর তিনি ব্লাড সেন্টারের কর্মীদের খবর দেন।সাপ থাকায় ফলে ব্লাড সেন্টারের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ব্লাড সেন্টারে আসা রোগী সহ রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।পরবর্তীতে বনদপ্তরের কর্মীরা আসে ব্লাডা সেন্টারে এবং তারা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ

বর্ষা ঢুকতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠতে শুরু করল। বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ। একদিনের ফিসিংয়ে প্রায় ২৫ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। সোমবার সকালে নামখানার খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, মূলত আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ট্রলার গুলি ভালো ইলিশ পেয়েছে। এই রূপ আবহাওয়া থাকলে আগামী কয়েক দিনের ভিতরে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, প্রতিদিন কেউ কেউ দুই তিন টন ইলিস পাচ্ছে। ছশো থেকে আটসো গ্রামের ইলিশ মিলে

জুন ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal