কর্ণম মালেশ্বরীকে ছাপিয়ে গেলেন মীরাবাঈ চানু। ২১ বছর পর এই ভারোত্তোলকের হাত ধরে অলিম্পিক থেকে পদক এল ভারতের। টোকিও অলিম্পিকে দেশকে প্রথম পদক এনে দিলেন মীরাবাই চানু। স্ন্যাচ বিভাগে ৮৭ কেজি ভার তুলেছিলেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ১১৫ কেজি তোলেন। মোট ২০২ কেজি ভার তুলে রুপো জেতেন মীরাবাই চানু। এই ইভেন্টে ২১০ কেজি ভার তুলে নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়েছেন চীনের হাউ ঝিউই।
আরও পড়ুনঃ মরণোত্তর অঙ্গদানের শপথ অভিনেতার
২০০০ সিডনি অলিম্পিকে মহিলাদের ১১০ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন কর্ণম মালেশ্বরী। এটাই অলিম্পিকে মহিলাদের ভারোত্তোলকে ছিল সেরা সাফল্য। টোকিওতে মালেশ্বরীকে ছাপিয়ে গেলেন মীরাবাই চানু। রিও অলিম্পিকে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল। অপেক্ষায় ছিলেন টোকিও অলিম্পিকের জন্য। ৫ বছর ধরে নিজেকে তিলে তিলে তৈরি করেছেন। টোকিও থেকে যে পদক আসতে পারে, ইঙ্গিতটা আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবছর ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৯ কেজি ভার তুলে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। অলিম্পিকে অবশ্য ৪৯ কেজি বিভাগের ফাইনালে ১১৫ কেজির বেশি তুলতে পারেননি।
আরও পড়ুনঃ চমৎকারী শ্রীফল, জানুন নানাবিধ উপকার
স্ন্যাচে মীরাবাই চানু প্রথমে তুলেছিলেন ৮৪ কেজি। পরে ৮৭ কেজি তুলে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। জাতীয় প্রতিযোগিতায় স্ন্যাচে ৮৮ কেজি তুলেছিলেন। তাই টোকিওতে ৮৯ কেজির চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। কিন্তু সফল হননি। চীনের হাউ ঝিহুই স্ন্যাচে ৯৪ কেজি তুলে নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়েন। যদিও এই বিভাগে তাঁর ৯৬ কেজি ভার তোলার বিশ্বরেকর্ড আছে।
আরও পড়ুনঃ গোপনে ভারত ঘেষা তিব্বত ঘুরে গেলেন চিনা প্রেসিডেন্ট
ক্নিন অ্যান্ড জার্কে শেষ পর্যন্ত চীনের হাউ ঝিহুইকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যান। কিন্তু ঝিহুইকে টপকাতে পারননি। ঝিহুই ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তুলেছিলেন ১১৬ কেজি। মীরাবাই ১১৫ কেজিতে থেমে যান। স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ২০২ কেজি (৮৭ কেজি ও ১১৫ কেজি) তোলেন মীরাবাই। ঝিহুই তোলেন ২১০ কেজি (৯৪ কেজি ও ১১৬ কেজি)। ইন্দোনেশিয়ার আইসা উইন্ডি ক্যান্টিকা ১৯৪ কেজি ভার তুলে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। মনিপুরের এই ভারোত্তোলকের সাফল্যের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
- More Stories On :
- Tokyo Olympics
- India
- Medal
- Weight Lifting