• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tmc

রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনের ১২ দিনে মাথায় ফের খুন মালদায়, তৃণমূলের অন্তর্কলহের জের?

ফের মালদায় গুলি। তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ। গুলি, তারপর ইঁট দিয়ে থেঁতলে হামলা। মঙ্গলবার সাতসকালে মালদার কালিয়াচকে তিন তৃণমূল নেতাকে ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে এবং গুলি চালিয়ে হামলার অভিযোগ উঠলো সশস্ত্র একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। জখম হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলের দুই নেতা। জখমদের সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনপাড়া নয়াবস্তি এলাকায়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম আতাউর শেখ(৫০)। জখম হয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা বকুল শেখ (৪৮) এবং এসারুদ্দিন শেখ (৩৫)। এরা সম্পর্কে দুই ভাই। আহত বকুল শেখ তৃণমূলের নওদা যদুপুর অঞ্চল কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন। অপর আহত এসারুদ্দিন শেখ নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল দলের নির্বাচিত সদস্য। বর্তমানে তিনি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতার পদে রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মোমিনপাড়া নয়াবস্তি এলাকায় একটি ড্রেনের শিলান্যাস কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি বকুল শেখ এবং তার ভাই তথা নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য এসারুদ্দিন শেখ। তাঁর সঙ্গে কয়েকজন দলের কর্মী সমর্থকেরাও ছিলেন। ওই কর্মসূচি থেকে ফেরার সময় আচমকা ১৫ থেকে ২০ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতির দল ওই দুই তৃণমূল নেতার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলি মাথায় লাগে তৃণমূল কর্মী আতাউর শেখের। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই ওই দুই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই গুলি মাথার পাশ দিয়ে ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এরপরই ওই দুই তৃণমূল নেতাকে ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টা চালায় হামলাকারীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নওদা যদুপুর এলাকায় জাকির শেখের গোষ্ঠী এবং বকুল শেখের গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। ক্ষমতা এবং এলাকা দখলের লড়াই নিয়ে মূলত এই দুই গোষ্ঠীর লড়াই। তৃণমূলের ওই দুই নেতার ওপর হামলা এবং দলীয় এক কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে জাকির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আহত বকুল শেখের এক ভাই তথা জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি মহম্মদ আজমল বলেন , জাকির শেখ কংগ্রেস করতো। কয়েক মাস আগে তৃণমূলে যোগ দেয়। কালিয়াচক ১ নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সারিউল ইসলামের ছত্রছায়ায় রয়েছে জাকির শেখের গোষ্ঠী। এদিন ওরাই পরিকল্পনা করে বকুল এবং এসারুদ্দিনের ওপর গুলি চালায়, হামলা করে। আর দুষ্কৃতীদের সেই গুলিতেই বকুলের এক অনুগামী আতাউরের মৃত্যু হয়। এলাকায় জাকির গোষ্ঠীর লোকেরা কোনরকম উন্নয়নমূলক কাজ করতে দিচ্ছে না। যখন তখন সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এনিয়েই বকুল ও এসারুদ্দিনেরা প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তার ফলস্বরূপ এদিন হামলায় শিকার হতে হলো। পুরো বিষয়টি নিয়ে জাকির শেখ, নাসির শেখ সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এদিকে এই হামলার ঘটনার পর জাকির শেখের সঙ্গে কোনরকম ভাবে যোগাযোগ করা যায় নি। কালিয়াচক ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সারিউল ইসলাম জানিয়েছেন, যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । এখানে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই । পুরনো বিবাদকে ঘিরেই এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছি। উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকায় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে খুন হন তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি তথা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবলা সরকার। সেই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতে ফের ১২ দিনের মাথায় তৃণমূল নেতার ওপর প্রকাশ্যে হামলা এবং দলীয় কর্মীকে গুলি করে দুষ্কৃতীদের খুনের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।যদিও এব্যাপারে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল সরকার জানিয়েছেন, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই খুন হয়েছে তৃণমূল কর্মী। দুইজন তৃণমূল নেতা জখম হয়েছেন। জাকির শেখ আমাদের দলের কোনও দিনই ছিল না। এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ লড়াই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, জাকির শেখ কোনদিনই তৃণমূল দল করেনি। ও বরাবরই কংগ্রেসের একজন স্থানীয় নেতা হিসাবে পরিচিত। জাকির শেখের বিরুদ্ধে বিগত দিনেও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। এখন কংগ্রেস নিজেদের দোষ ঢাকতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, এই হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি পিকেট বসানো হয়েছে। বাকি হামলাকারীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মার ফের পুলিশ হেফাজত, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, পোশাক, মোবাইল....

তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে নতুন করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল মালদা আদালত। শুক্রবার ধৃত দুইজনকে মালদা সিজিএম কোর্টে পেশ করা হয়। যদিও এদিন ওই দুই অপরাধীর পক্ষে মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবীরাই পক্ষে দাড়ায়নি। সরকারি পক্ষের আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল দুই অপরাধীকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এরপরই সিজিএম কোর্টের বিচারক সুজিত কুমার ব্যানার্জি ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে এদিন মৃত বাবলা সরকারের মামলা চলাকালীন আদালতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবলা সরকারের স্ত্রী আইনজীবী চৈতালী সরকার। তিনি বলেন, আমাদের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এদিন কোন আইনজীবী ওই দুই আসামির পক্ষ নিয়ে সাওয়াল জবাব করেননি। তবে আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসাবে এই মামলা শুনেছি। কেউ যাতে কোনওরকম ভাবে প্রভাবিত করতে না পারে সেটিও দেখছি। পুলিশ এখনও আসল অপরাধীদের খুঁজে বার করার জন্য তদন্ত করছে। যার ফলে এদিন ওই মূল চক্রীকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, পোশাক উদ্ধার করলো পুলিশ। ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি ওয়ান সাটার এবং ৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা যে পোশাক ব্যবহার করেছিল সেটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই অস্ত্র এবং পোশাক কোথা থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য পুলিশ জানায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় মোট ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন বিহারের পেশাদার খুনি রয়েছে। এই খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচজনকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং অপর এক অভিযুক্ত স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই ধৃত ওই দুইজনকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই দুই মূল চক্রীর কাছ থেকে আরও বিশদ তথ্য জানার জন্য এদিন মালদা আদালতের কাছে নতুন করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত অমিত রজকের বাড়ি থেকে কৃষ্ণ রজক অরফে রোহানের ব্যবহৃত একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সেই মোবাইলের সূত্র থেকে অনেক তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসতে পারে বলেও ধারণা তদন্তকারী পুলিশকর্তাদের। যদিও বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সাতজন গ্রেফতার হলেও আরও তিনজন বাবলু যাদব, কৃষ্ণ রাজক এবং বিহারের বাসিন্দা আশরাফ খান পলাতক রয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুই মূলচক্রী নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা সন্তুষ্ট নয়। তাই এদিন ধৃত ওই দুইজনকে বাড়তি পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটিও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত দুই অপরাধী নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

জানুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজনীতি

তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলাম, কেন এই সিদ্ধান্ত?

তৃণমূল কংগ্রেস সাসপেন্ড করল ভাঙরের আরাবুল ইসলাম ও ডা. শান্তনু সেনকে। এই সাসপেনশন নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেনের অবস্থানকে কেন্দ্র করে মূলত বিতর্কের সূত্রপাত হয়। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়ে দেন, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরাবুল ইসলাম ও শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলবিরোধী কাজের জন্য এই দুই নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শান্তনু দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বলেই খবর। সাসপেন্ড হওয়ার পর শান্তনু সেন বলেছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সেনাপতি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সভাপতি যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। আজও বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছি। তার ৩ ঘন্টার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছি। আমি নাকি আন্দোলনটাকে উসকে দিয়েছি। এখানে থামেননি প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি বলেছেন, আমি বুঝেই উঠতে পারছি না, দলের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করলাম! সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দলের কথা ভেবেছি। পেশার কাজের বাইরে কেবল তৃণমূলের কাজ করেছি। তার পরেও কেন এই পদক্ষেপ, বুঝতে পারছি না।এদিকে জামিন পাওয়ার পরও ভাঙড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন আরাবুল ইসলাম। গত ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের দলীয় পতাকা উত্তোলনের সময় গোষ্ঠীসংঘর্ষে জড়ান আরাবুল। প্রাক্তন বিধায়ককে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর কর্মীরা। বিধায়ক শওকত মোল্লার ভাঙড় দখল করে দাদাগিরি করতে চাইছে বলে দাবি করেন আরাবুল ইসলাম। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন শান্তনু সেন। আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেনের অবস্থানের পর তাঁকে তৃণমূলসের মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হয়, তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডক্টর সামিটের মূল হোতা ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনুর বক্তব্য, বারবার দল পাল্টাইনি। আমি কখন দলবিরোধী কাজ করলাম? আমার নেতৃত্ব সেটা বলে দিলে ভালো লাগতো। আমার বিরুদ্ধে ভুল বোঝানো হয়েছে। এদিন কংগ্রেস থেকে ভায়া বিজেপি হয়ে দলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার এই সাসপেন্ড ঘোষণা করায় কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

জানুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ "চিরস্থায়ী" বহিষ্কৃত, মালদায় তৃণমূলের ঘোষণা

মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দলের ইংরেজবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে বহিষ্কার করলো দল। বৃহস্পতিবার বিকালে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। এদিন ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোড এলাকার দলীয় কার্যালয়ে এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ছাড়া ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, গত এক বছর ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তৃণমূলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে। উনি অসুস্থ ছিলেন বলেই জানতাম। তাকে আপাতত চিরস্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইংরেজবাজার টাউন সভাপতির পদে নতুন কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবে। এদিকে এদিন পুলিশের হেফাজতে থাকা বাবলা সরকার খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ইংরেজবাজার থানা থেকে হাসপাতালে মেডিকেল করতে যাওয়ার পথে বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই মানতে হবে।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে তৃণমূল সভাপতির পুলিশ হেফাজত, আসল মাথা ধরার দাবিতে অনড় স্ত্রী

মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুন করার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজত দিল আদালত। বুধবার বিকালে কলকাতার ভবানী ভবন থেকে এডজি(দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন। এদিকে বুধবার গ্রেফতারের পরই ইংরেজবাজার থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির বিস্ফোরক দাবি, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর পেছনে বড় মাথা রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পরই মৃত বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, এর পেছনে বড় মাস্টারমাইন্ড রয়েছে। তাহলে কে এই মাস্টারমাইন্ড? সবকিছু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করলো ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। অধরা এখনও দুই। মঙ্গলবার বেলা একটা থেকে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও তার দুই ভাইকে রাতভর জেরা করেন পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টিম। বুধবার সকলেই ঘোষণা করা হয় নরেন্দ্রনাথ তেয়াওরি এবং আরেক অভিযুক্ত স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজন বাবলু যাদব এবং কৃষ্ণ রজক এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের ছবি প্রকাশ করে দুই লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মালদা জেলা পুলিশ। এদিকে নরেন্দ্রনাথ গ্রেপ্তারের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বকশী বলেন, যে অপরাধ করবে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করবে। সে দলের যেই হোন না কেন। তৃণমূলের ইংরেজবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যদিও মন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি আমার কোনদিনও ঘনিষ্ঠ ছিল না। এদিকে এদিন মৃত তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মা গ্রেপ্তার হয়েছে শুনেছি। তবে ওদের দুইজনকে ধরে চুপ করে থাকলেই হবে না। এই ঘটনার পিছনে আরও বড় মাথা কাজ করেছে। পুলিশের প্রকৃত তদন্ত এবং সঠিক বিচারের আশায় রয়েছি।তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, স্বপন শর্মার বাম জমানায় নানা কর্মকাণ্ড আছে। একসময় স্বপন শর্মা আমাকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল। আর নরেন্দ্রনাথ গত পুরসভা নির্বাচনে বাবলার সাথে গোলমালের পর বলেছিল দেখে নেবে। ওকে গুলি করে খুন করবে। আর সেটাই ঘটল। তবে এখানে রাজনীতির কোন বিষয় জড়িত নয়। বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরি বলেন, এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল। এলাকা দখল ও এলাকার তোলাবাজির জন্যই খুন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় মাস আগে এই ষড়যন্ত্র করা হয়। মালদা শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে বসে সুপারি দেওয়া হয় বিহারের দুই সুপারি কিলারকে। ৬ দিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাবলা সরকারের গতিবিধির রেইকি করছিল। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি ভীড়ের সুযোগ নিয়ে খুন করার চক্রান্ত ছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। অবশেষে মহানন্দাপল্লী এলাকায় ২ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন করে বাবলা সরকারকে। এদিন এডিজি(দক্ষিণবঙ্গ) সিআইডি সুপ্রতিম সরকার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, এই চক্রান্ত করেছিল নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মা। স্বপন শর্মা একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিন দুই অভিযুক্তকে আদালতে তুললে তাদের আইনজীবীরা অসুস্থতা ও বয়সের কারণে তাদের জামিনের আবেদন করে। কিন্তু বিচারক জামিন নাকচ করে দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবীর দাবি মেনে ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

প্রকাশ্যে বাগযুদ্ধ জড়ালেন বাবুল সুপ্রিয় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যানজটে জেরবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু

সাধারণের সামনে প্রকাশ্যে রাস্তায় রীতিমতো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপির তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর অভিযোগ, পিছনের দিক থেকে যাচ্ছিল বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি। গাড়িটি একনাগাড়ে হর্ন দিচ্ছিল ও দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। বাবুল গাড়ি থেকে মুখ বের করে আপত্তি জানান। এরপরেই গাড়ি থামিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে কটু কথা বলতে শুরু করে দেন বলে দাবি বাবুল সুপ্রিয়র। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বচসার এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এই ঘটনা ঘটে। হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন অভিজিৎ। ওই একই সময়ে বাবুলও দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদের মধ্যে ঝামেলায় যানজট তৈরি হয় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। বাবুলের দাবি, নিয়ম ভেঙে বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল অভিজিতের গাড়ি। প্রতিবাদ জানানোয় গাড়ি থেকেই অভিজিৎ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিজিতের নিরাপত্তারক্ষীরা বাবুলকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।মন্ত্রী ও সাংসদের বচসার সময় ভিড় জমে যায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। তবে বিজেপি সাংসদকে বার বার গাড়ি থেকে নামতে বলেন বাবুল, তবু তিনি গাড়িতে বসেছিলেন। বাবুলও বলে চলেন, ক্ষমা না চাইলে অভিজিতের গাড়ি যেতে দেবেন না। বাবুল জানান, কানের কাছে লাগাতার সাইরেন বাজাচ্ছিল অভিজিতবাবুর গাড়ি। গোটা রাস্তা স্কুটার, বাইক দেখে তীব্র হর্ন বাজাতে বাজাতে যাচ্ছিল অভিজিতের গাড়ি। এক মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা হয়।

জানুয়ারি ০৪, ২০২৫
রাজনীতি

ফিল্মি কায়দায় মালদার তৃণমূল নেতাকে খুন, কেন দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল? শুরু জোর বিতর্ক

এ যেন হিন্দি সিনেমার শুটিং। মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতাকে শুট আউট করলো দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সামনে থেকে ধাওয়া করে দোকানের ভিতর ঢুকে পরপর মাথায় তিনটে গুলি করে খুন করা হল মালদা জেলা তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবলা সরকারকে(৬২)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এই রোমহর্ষক ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারকে তাঁর অনুগামীরা মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। এরপরই শহরের একটা অংশে কার্যত বন্ধের চেহারা নেই। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জেলা তৃণমূলের নেতাকর্মীসমর্থকরা। মালদায় তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাবলা সরকার আমার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা ছিলেন। ওকে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। কি ভাষায় যে কথা বলব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। বাবলার পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। ওর স্ত্রী চৈতালি সরকার মনকে শক্ত রেখে এগিয়ে চলুক, ঈশ্বরের কাছে এই কামনা করছি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে চার চাকা নিয়ে নিজের দোকানে আসছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় ইংলিশ বাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঝলঝলিয়ার মহানন্দাপল্লী এলাকায় দোকানের কাছেই একটি মোটর বাইকে চারজন এসে তাঁকে গুলি করে। প্রথমে তাকে এক রাউন্ড গুলি করা হয়। প্রথম রাউন্ডের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরই প্রাণ রক্ষার জন্য পাশের একটি দোকানে ঢুকে পড়েন বাবলা সরকার। এরপরই চারজন দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে তাঁকে তিন রাউন্ড গুলি করে। একটি গুলি মাথায় এবং দুটি শরীরে লাগে। সিসিটিভি ফুটেছে স্পষ্ট সেই ছবি দেখতে পেয়েছে পুলিশ। মুখ বাধা দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকে একের পর এক গুলি করছে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলা সরকারকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী কেন সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছে বাবলাবাবুর অনুগামীরা। এদিকে এই ঘটনার পর গোটা এলাকা জুড়ে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঠিক সেইরকম শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে বাবলা সরকারের মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদায় আসেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তবে কেন গুলি করে খুন করা হলো বাবলা সরকারকে তা নিয়ে এখনও দ্বন্ধে রয়েছে সকলেই। পুলিশকে বাবলা সরকারের গাড়ির চালক সুমন দাস জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতোই এদিন সকালে দাদাকে বাড়ি থেকে প্লাইউডের দোকান ও কারখানায় ছাড়তে গিয়েছিলাম। মহানন্দাপল্লীতে দাদার দোকানটি রয়েছে। দোকানের সামনে দাদা যখন গাড়ি থেকে নামছিলেন তখনই চারজন দুষ্কৃতী একটি মোটরবাইকে এসে দাদাকে গুলি করে। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তারপরেই বাবলাদা দৌড়ে দোকানে ঢুকে পড়ে। তখন দুষ্কৃতীরা পিছু ধাওয়া করে দাদাকে দোকানের মধ্যেই মাথায় গুলি করে খুন করে। আমি বাঁচাতে আসলে ওরা আমাকেও বন্দুক দেখিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়, তখন প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাই। মৃত বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি দেবী বলেন, কেন এভাবে আমার স্বামীকে খুন করা হলো কিছু বুঝতে পারছি না। ২০০৭ সালে স্বামীকে একবার দুষ্কৃতীরা গুলি করে মারার চেষ্টা চালিয়েছিল। তারপর দুইজন দেহরক্ষীও নেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে সেই দেহরক্ষী তুলে নেয় জেলা প্রশাসন। আজকে স্বামীর দেহরক্ষী থাকলে হয়তো ওকে হারাতাম না। এর জবাব পুলিশ কে দিতে হবে। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, বাবলা সরকারের রাজনৈতিক কোন শত্রু ছিল না। এর পিছনে অন্য কিছু রহস্য থাকতে পারে। পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। ভাবতেই পারছি না যে বাবলা সরকার নেই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, বাবলা সরকার আমাদের মধ্যে নেই ভাবতেই পারছি না। সাত সকালে দুষ্কৃতীদের এই তান্ডব দেখে রীতিমতো অবাক হচ্ছি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, আসলে শাসকদলের যোগ্য নেতাদের কদর নেই। বাবলাবাবু অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। সাধারণ মানুষের জন্য অনেক উপকার করেছেন। অথচ তারই দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। অযোগ্যদের এখন একগাদা দেহরক্ষী দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরাও অসন্তুষ্ট। মানুষ এর বিচার করবে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল বলে চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে গোটা এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। আপাতত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা খুনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিবারকে সমবেদনা জানাতে হেলিকপ্টারে করে মালদা যান রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রী ফিরহাদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের আরেক রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন মালদায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রথমে মেডিকেল কলেজে বাবলা সরকারের মৃতদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে কনভয় নিয়ে সোজা চলে যান বাবলা সরকারের সুকান্তপল্লী এলাকার বাড়িতে। সেখানে স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তাঁকে সমবেদনা জানান। মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম বলেন, বাবলা সরকার খুনের ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি মালদায় এসেছি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপরাধী যেই হোক না কেন দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একজন তৃণমূল নেতা শহরের বুকে খুন হয়ে যাবে, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না। এছাড়াও বাবলাবাবুর দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল সেটাও আমরা জানতাম না। কে এবং কেন বাবলাবাবুর দেহরক্ষী গত তিন বছর আগে তুলে নিয়েছিল, সেটাও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। অত্যন্ত মিষ্টিভাষী মানুষের এরকম শত্রু হতে পারে ভাবতেই অবাক লাগছে। ওনার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি। ইতিমধ্যে দুইজন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে বলেও পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি বিহারে। অপরজনের বাড়ি ইংরেজবাজারে।

জানুয়ারি ০২, ২০২৫
রাজনীতি

এবার ৫ কেজির রূপোর মুকুট কাজল শেখের মাথায়, মিলনমেলায় গড়হাজির অনুব্রত মন্ডল

এই মিলনমেলাতেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের হাতে দেখা গিয়েছিল রূপোর তরোয়াল। মাথায় পড়েছিলেন ২ কেজির রূপোর মুকুট। বীরভূমের বেতাজ বাদশা ছাড়া নানুরের বাসাপাড়ার মিলনমেলা যেন বেমানান ছিল। তিহার জেল থেকে ফিরে আসার পর দৃশ্য়পটের আমূল বদল ঘটেছে এই মিলনমেলার। এভাবেই যেন রাজ্যপাটের পরিবর্তন ঘটে যায় কালের নিয়মে। শূন্যস্থান কিভাবে যে পূরণ হয়ে যাবে তা বিধাতাই জানে।এবার সেই মেলার মঞ্চ আলো করে থেকেছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তাঁর মাথাতেই এবার দেখা গেল ৫ কেজি ওজনের রূপোর মুকুট। এবার গড়হাজির অনুব্রত মন্ডলও। জানা গিয়েছে, তিনি অবশ্য় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। এমনকী বিগত দিনের কর্তারাও এবারের আয়োজনের দায়িত্বে নেই। বীরভূম জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান ছিলেন অন্য়তম উদ্যোক্তা। এখন মেলার নিয়ন্ত্রণেও হাতবদল হয়েছে। এই মেলাকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দেখছে রাজনৈতিক মহল।

জানুয়ারি ০১, ২০২৫
রাজনীতি

অবশেষে সন্দেশখালি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন নবান্ন থেকে

লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত ছিল রাজ্য রাজনীতি। নির্বাচনে প্রচারে সেখানে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি বলেছিলেন সন্দেশখালি যাবেন। শেষমেষ বছর শেষে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন প্রশাসনিক জনসভা থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা বিতরণ করা হবে। সেই অনুষ্ঠানেই হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নবান্নে ছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাব। সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা তুলে দেওয়া হবে। নির্বাচনের আগে অনেকে জিজ্ঞেস করেছিল, দিদি আপনি সন্দেশখালি গেলেন না। আমি বলেছিলাম পরে যাব। ওই দিন দুপুর ১ টায় সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠানে হাজির থাকব। প্রায় ২০ বাজার মানুষকে ওই প্রশাসনিক জনসভা থেকে সরকারি পরিষেবা তুলে দেওয়া হবে।এদিকে আগামী ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে মা মাটি মানুষ দিবস পালন করা হবে। প্রতিবছর করে থাকি। বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবির হবে। ওই দিন মা মাটি মানুষকে উৎসর্গ করে থাকি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ২ জানুয়ারি নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক হব। রাজ্য স্তর থেকে জেলা ও ব্লক স্তর পর্যন্ত পর্যালোচনা হবে বৈঠকে। পাশাপাশি আগামী ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রস্তুতি পর্যালোচনা করবেন।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজনীতি

বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের ৬ লক্ষের মেডিক্যাল বিল নিয়ে বিতর্ক, ব্যাট ধরলেন কুণাল

বিবাহ বিচ্ছেদ, বিধায়ক, তারপর সন্তান। এবার সন্তান হওয়ার পরও বিতর্ক যেন কিছুতে পিছু ছাড়ছে না বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে। এবার বিতর্কে তাঁর সন্তান হওয়ার মেডিক্যাল বিলের অর্থের পরিমান ও বিধানসভায় বিল জমা নিয়ে। কাঞ্চন ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যতটা পেরেছেন কাঞ্চন মল্লিকের হয়ে ব্যাট ধরতে।কুণাল টুইটে বলেছন, কাঞ্চন মল্লিক তাঁর সন্তান হওয়ার বিষয়ে বিধানসভায় মেডিকেল বিল জমা দিয়েছেন বলে ট্রোলিং চলছে। এটা আপত্তিকর। কাঞ্চন কোনো বিল জমা দেননি। কাঞ্চন জনপ্রিয় মুখ। আরও নানা কারণে সম্প্রতি খবরে। সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চার কেন্দ্র। কিন্তু তাই বলে ঘটনা না জেনেবুঝে তাঁকে আক্রমণ, কটাক্ষ চলতে পারে না। বিধায়করা বিধানসভা থেকে মেডিকেল বিল পান। এটা নিয়ম বহির্ভূত নয়। কাঞ্চন শ্রীময়ীর সন্তানের জন্য ভাগীরথী নেওটিয়া দুলক্ষ টাকা বিল করেছে। ডাঃ প্রণব দাশগুপ্তর টিমের বিল চার লক্ষ টাকা। এই ছলক্ষ টাকার বিল নিয়ে কাঞ্চন বিধানসভায় খোঁজ নিয়েছেন উনি জমা দিতে পারেন কিনা। আলোচনা করেছেন। নিয়ম জেনেছেন। কিন্তু বিল জমা দেননি, Repeat, বিল জমা দেননি। তার আগেই তিনি বিল জমা দিয়েছেন বলে সমালোচনা শুরু।বিধানসভায় কাঞ্চন যে মেডিক্যাল বিল জমা দিয়েছেন বলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা খন্ডন করেছেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি বিল জমা নিয়ে খোঁজ নেওয়া বা বিল যদি দিতেন তাও কোনও দোষের নয় বলেই দাবি কুণালের। প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্যরে বক্তব্য, এখানে দুটো কথা। এক, যদি ডাক্তারবাবুদের বিল বেশি হয়, তাহলে কাঞ্চন বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কী করবেন? বিধানসভায় এসংক্রান্ত কোনো নিয়ম আছে কি না। দুই, এর আগে ওই হাসপাতাল এবং ওই ডাক্তারটিমের ক্ষেত্রে যদি কোনো বিল জমা পড়ে থাকে, তাহলে বিধানসভা কী করেছিল? আচমকা অত বেশি টাকার বিল পেয়ে বিধায়ক কাঞ্চন যদি বিধানসভায় খোঁজ নিয়ে থাকেন, দোষের নয়। জমা দিলেও দোষ হত না। বিধানসভা স্ক্রুটিনি করতে পারত। নিয়মনীতি অনুযায়ী চলত। কিন্তু কাঞ্চন বিল জমা দেননি, তাতেই এই খবর এবং কাঞ্চনকে সমালোচনায় বিদ্ধ করা অনুচিত। কেন মেডিকেল বিল এত বেশি হবে, আলোচনাটা সেদিকে হওয়াটা জরুরি।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
রাজ্য

তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী ঘিরে ভাতারে বিশৃঙ্খলা, কোনওরকমে সামলালেন বিধায়ক

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি। গন্ডগোলের রেশ গড়িয়েছে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য় সড়কে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিজয়ার অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অশান্তি ও দ্বন্দ্বে চলতে থাকে বিশৃঙ্খলা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজে পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল হয়ে যান। নিজে পথে নেমে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। শেষমেশ ভাতার হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। কোনওপ্রকারে অনুষ্ঠান শুরু হলেও উত্তেজনা চলতেই থাকে। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ অশোকবাবুকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় মঞ্চের আশপাশে কর্মীদের একাংশ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মঞ্চে অশান্তি চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে দিয়ে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করে দিতে বাধ্য হন নেতারা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। বক্তৃতা পর্ব রেখে অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। বিশৃঙ্খলার বিষয়টি অবশ্য বিধায়ক এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তাঁর সাফাই, বাইরে কি ঘটেছে সঠিক জানি না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ভাতারে দলের সহ সভাপতি অশোক হাজরার সঙ্গে দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছে। বিশেষ করে ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশোকবাবুর প্রভাব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরের কিছু সমস্যা এমনিতেই চলছিল। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও অশোক হাজরার দাবি, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যাধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তারপর সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

হাতির দাঁত পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা! কটক্ষ বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের

বিহারের বক্সার থেকে গ্রেফতার হয়েছেন কলকাতার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অশোক ওঝা। ২০ কিলো ওজনের হাতির দাঁত পাচার সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। বিজেপি এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলকে। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন এটা বাংলার লজ্জা।সুকান্ত মজুমদার টুইটে বলেন, বাংলার লজ্জা তৃণমূল! বিহার পুলিশের গোপন অভিযানে গ্রেফতার কলকাতার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা (ব্লক সভাপতি) অশোক ওঝা। কয়লা, বালি, গরু পাচারের পর এবার হাতির দাঁত পাচারেও যে তৃণমূলের কাটমানিখোর নেতারা সিদ্ধহস্ত, তা প্রতিবেশী রাজ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেলো। এই লজ্জা কোথায় লুকোবেন দিদিবাংলার লজ্জা তৃণমূল! বিহার পুলিশের গোপন অভিযানে গ্রেফতার কলকাতার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা (ব্লক সভাপতি) অশোক ওঝা। কয়লা, বালি, গরু পাচারের পর এবার হাতির দাঁত পাচারেও যে তৃণমূলের কাটমানিখোর নেতারা সিদ্ধহস্ত, তা প্রতিবেশী রাজ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেলো। এই লজ্জা কোথায় লুকোবেন pic.twitter.com/qZDNYpox6u Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) October 22, 2024

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজনীতি

আরজি করের পটভূমিকায় স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি আগমনী, টিএমসিপির সাসপেন্ড নেত্রীর নিশানায় কুণাল ও দেব

সাসপেন্ড হতেই সরাসরি তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ থেকে শুরু করে অভিনেতা সাংসদ দেবকে তুলোধোনা করলেন যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের বহিষ্কৃত সহ সভাপতি রাজন্যা হালদার। তাঁর দাবি, শিল্পী সত্ত্বা থেকেই ছবি, এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই। পাশাপাশি রাজন্যা এদিন কুনাল ঘোষকে নিশানা করে বলেছেন, কুণাল ঘোষ যে পুজোর গান লিখেছেন তা কী তিনি দলকে জানিয়ে লিখেছিলেন? একই সঙ্গে রাজন্যার নিশানায় ছিলেন অভিনেতা সাংসদ দেবও। নিজের বহিষ্কারের সুপারিশের পালটা তিনি দেবকে নিশানা করে বলেন, দেব দা যখন প্রধান বানিয়েছিলেন তখন তিনি কী দলকে জানিয়ে বানিয়েছিলেন। আমার তো মনে হয় না। রাজন্যা বলেছেন, আমি মনে করি না দলীয় কাজের বাইরে শিল্পভাবনার ক্ষেত্রে দলকে জানানোর কোনও প্রয়োজন আছে। আরজি করের ঘটনার সঙ্গে ছবির কোন সম্পর্ক নেই সেকথা মনে করিয়ে রাজন্যা বলেন, ছবির সঙ্গে আরজি করে ঘটনার কোন সরাসরি যোগ নেই। ছবি দেখে যদি দল যদি সিদ্ধান্ত নিত তাহলে ভালো হত। আশা রাখি দল ছবি দেখে সিদ্ধান্ত পূর্ণবিবেচনা করবে।তিলোত্তমাদের গল্প নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘের ছবি আগমনী মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ২ অক্টোবর। টিএমসিপির দুই নেতা-নেত্রী প্রান্তিক ও রাজন্যা জুটির এই ছবিকে নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এই প্রেক্ষাপটেই ২ জনকেই সাসপেন্ড করেছে দল। মহালয়ার দিন এই ছবি মুক্তির আগেই শুক্রবার রাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সাসপেন্ড করেছে প্রান্তিক চক্রবর্তী ও রাজন্যা হালদারকে। প্রান্তিক ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহসভাপতি ও রাজন্যা যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সহসভাপতি।প্রান্তিক ও রাজন্যা দুজনেই জানিয়েছেন, শিল্পী সত্ত্বা থেকেই তাঁরা এই স্বল্প দৈর্ঘের ছবি তৈরি করছেন। শুধু আরজি করের নির্যাতিতা নন, সমাজের সকল স্তরের নির্যাতিতার কাহিনী থাকছে এতে। পাশাপাশি প্রতিবাদ ও জন জাগরণের ভাষাও থাকবে এই ডকুমেন্টারিতে। দল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও ২ অক্টোবর আগমনী মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছে না রাজন্যা ও প্রান্তিক। তাঁদের বক্তব্য, শর্ট ফিল্মটা দেখার পর বিচার করা উচিত ছিল। এখানে কোনও বিচারাধীন বিষয় দেখানো হচ্ছে না।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
কলকাতা

ধর্মতলা চত্বরে মিছিল, মিটিং, জমায়েতে পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বিতর্ক, কাল শুনানি হাইকোর্টে

ধর্মতলা চত্বরে মিছিল, মিটিং, জমায়েত নিষিদ্ধ। কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত এলাকায় ৫ জন একসঙ্গে থাকতে পারবে না। বৌবাজার থানা ও হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা। মূলত রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানা গিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আগামী ৬০ দিনের জন্য়। এর আগেও নাকি এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে লালবাজার দাবি করছে। এদিকে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক ও চিকিৎসক মহল। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজনৈতিক দল থেকে চিকিৎসক সংগঠন। তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার কলকাতা পুলিশের ওই নির্দেশিকা পত্র পোস্ট করে লিখেছেন, আগামী দুইমাস ব্যাপী ধর্মতলা সংলগ্ন কে. সি. দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউজ পর্যন্ত এলাকায় সমস্ত জমায়েত এবং মিটিং-মিছিলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো কলকাতা পুলিশ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে এত ভয় কেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার? মাননীয়া ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে আগেই সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বাজেয়াপ্ত হয়েছে, এবার প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও বারবার বাধাদানের অপচেষ্টা! কিসের এত ভয় নব নিযুক্ত অপদার্থ পুলিশ কমিশনারের?আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। রাতদখলের কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। সেই আন্দোলন এখনও চলছে। জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতা শহরেও বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে লালবাজারের এই নির্দেশিকায় বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। আদালতে গিয়েছে রাজনৈতিক দল থেকে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

অনুব্রতর বাড়ির দরজায় আটকে গেলেন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, কান্নায় ভাসলেন সকন্যা "বীরভূমের বাঘ"

গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাওয়ার পর আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওয়ানা দেন বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ির দিকে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন অসংখ্য অনুগামী।এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে অনুব্রত তাঁর বাড়িতে ঢোকার অনুমতি না দেওয়ায়। তাঁদের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাংসদ অসিত মালকেও দরজার বাইরে থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে। অনুব্রত মন্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যাকে দেখা গেল হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে। আবেগি অনুব্রত দু হাত দিয়ে চোখ চেপে ছিলেন। আজ বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা হয়নি দলনেত্রীর। বাড়িতে ঢোকার সময় অনুব্রত এদিন বলেন, তিনি দিদির সঙ্গেই আছেন। পায়ে ব্যথা রয়েছে। শরীর ভালো থাকলে তিনি দেখা করবেন দিদির সঙ্গে। কাজল এখন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অনুব্রত তিহাড় জেলে থাকলেও তিনিই দলের সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। ফলে তাঁর প্রত্যাবর্তনে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মমতা বরাবরই অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে, কেড়ে নেওয়া হয়েছে দলের সাংগঠনিক পদ। তবে তাঁরা বিধায়ক রয়েছেন। অনুব্রত জেলে থাকলেও দলের সভাপতিই থেকে গিয়েছেন।অনুব্রত বাড়ি ফেরার পর তাঁরা দেখা করতে গিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে। যদিও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, বাড়িতে প্রবেশাধিকার নেই। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে সেখান থেকে ফিরে যান চন্দ্রনাথ, বিকাশ, অসিত মাল। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ পেয়েছেন জেলা নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, নলহাটির বিধায়ক, বোলপুরের পুর প্রধান। অনুব্রতর সঙ্গে জেলা কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। ছিলেন আরও কয়েকজন।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

বন্যা পরিস্থিতি দেখে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

আর্ত মানুষের পাশে আজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলাম। আজ আমার রাজ্যবাসীর একাংশ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপদের সম্মুখীন। কাল আমি হুগলির পুরশুড়া, গোঘাট-আরামবাগ এলাকা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়েছিলাম। এছাড়াও বীরভূমের বন্যা কবলিত এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছি। আজ, পাঁশকুড়া, রাতুলিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখলাম এবং সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করলাম। আমাদের প্রশাসন দিবারাত্রি তাঁদের পাশে আছে। যাঁদের শস্যের ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা শস্য বীমার টাকা পাবেন। এখন আমি উদয়নারায়ণপুরের পথে। এই বছর কোনও আলোচনা ব্যতীত প্রায় পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যার জন্য দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটি একটি ম্যান ম্যাড বন্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।আমি প্রথমদিন থেকে এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। দুর্গতদের পাশে থাকতে আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রাণ পরিষেবা চালু আছে। প্রত্যেক পরিবার যেন ত্রাণ পরিষেবা পায়, তা সুনিশ্চিত করেছি। কোনও একজন মানুষেরও ক্ষতি যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
রাজ্য

অভয়া ক্লিনিক বন্ধে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের, তবুও রোগী দেখলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল সার বাংলা। বিচারের দাবিতে অনড় বর্ধমান সহ রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা লাগাতার অন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই আন্দোলনের সঙ্গী হওয়া রাজ্যের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পেতে যাতে কোন অসুবিধায় পড়তে না হয় তাই চালু হয়েছে অভয়া ক্লিনিক। বর্ধমান টাউনহলে চলা সেই অভয়া ক্লিনিক বন্ধ করার জন্য শাসক দলের কয়েকজনের ফরমান জরি নিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়ায়। পরে যদিও বর্ধমান পুরসভার পুর প্রধান পরেশ সরকারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মাইকে প্রচার বন্ধ রেখেই অভয়া ক্লিনিক চালাতে হয় প্রতিবাদী চিকিৎসকদের। রাজ্যের অন্য হাসপাতালের মতো বর্ধমান হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচটি দাবি নিয়ে আন্দোলন জারি রেখেছেন। তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা চালু থাকলেও অভয়াকে খুনের বিচারের দাবিতে আউটডোর করছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। পরিবর্তে রোগী স্বার্থে বর্ধমান হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা চালু করেছেন অভয়া ক্লিনিক। বর্ধমান টাউনহলে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো অবধি ওই ক্লিনিক চলে। সেই ক্লিনিকে জুনিয়রদের সঙ্গে রোগী দেখেন সিনিয়র ডাক্তার বাবুরা। এ বিষয়ে ডা: সুবর্ণ গোস্বামী জানান, সংগত কারণেই জুনিয়ররা আন্দোলন করছেন।তাই তাঁদের পাশে সিনিয়ররা ডাক্তাররাও আছে। এদিকে এদিন বর্ধমান টাউন হলে অভয়া ক্লিনিক নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক দিবসের একটি কর্মসূচি একই জায়গায় চলাকালীন শাসকদলের কয়েকজন ব্যক্তি গিয়ে তাড়াতাড়ি ক্লিনিক বন্ধের ফরমান জারি করেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে বাক বিতন্ডা তৈরি হলে বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার চিকিৎসকরা পুর প্রধানকে সাফ জানিয়ে দেন, অভয়া ক্লিনিক বন্ধ হবে না। রোগীরা যতক্ষণ আসবেন তারা পরিষেবা দিয়ে যাবেন। তবে পুর প্রধানের অনুরোধ মেনে শুধুমাত্র মাইকে প্রচার বন্ধ রাখেন অভয়া ক্লিনিক পরিচালনায় থাকা চিকিৎসকরা।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪
রাজনীতি

অভিষেকের নাম করে তোলাবাজি, নিউটাউনের তৃণমূল নেতা ধৃত!

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাইটিং প্যাড ব্যবহার করে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার নিউটাউনের তৃণমূল নেতা কৌশিক সরকার। তাকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, চার কোটি টাকার তোলাবাজি অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া স্থানীয় স্তরে জমি সংক্রান্ত অন্য অভিযোগ আছে। তাঁর গ্রেফতারের পর হাত ধুয়ে ফেলেছে তৃণমূল। যদিও বিরোধীরা এই গ্রেফতার নিয়ে রেরে করে উঠেছে। কৌশিক সরকার নিউ টাউন এলাকার তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। তাঁর ফেসবুকেও রাজনৈতিক পোস্ট আছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই কৌশিক সরকারের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক তোলাবাজির অভিযোগ ছিল। একাধিক নেতাদের নাম করে সে তোলাবাজি করত। কখনও কখনও সে নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করত। গতকাল রাতে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ চিনার পার্ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া নিউ টাউনের জমি সংক্রান্ত বিসয়েও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ।তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, কৌশিক সরকার দলের কেউ নয়। অনেকেই দলের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে ঘনিষ্ঠতা দেখানোর চেষ্টা করে। তারপর অপকর্ম করে। যদিও বিজেপি ও সিপিএমের বক্তব্য, এই সব তোলাবাজে ভর্তি তৃণমূল।

আগস্ট ৩০, ২০২৪
রাজ্য

"বদলা নয়, বদল চাই," বদলে গেল, স্লোগান সংশোধন করে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেত্রী মমতার

২০১১ থেকে বলে আসছেন বদলা নয়, বদল চাই। এবার ডায়ালগ একটু সংশোধন করতে চাইলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অন্যরকম চাইছেন। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের কথা টেনে ফোঁস করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় কর্মীদের। বুধবার বিজেপির ডাকা বনধের দিন মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, আরজি করের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি রাজনীতি করছে। লাশের নোংরা রাজনীতি করছে। বাংলার মানুষের কাছে তাদের চেহারা উন্মোচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, বাংলায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।বাংলায় আগুন জ্বললে দিল্লিতে আপনার(মোদির) চেয়ারটাও টলিয়ে দেব। পাশাপাশি অভিষেকের সুরেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো আইন আনার পক্ষেও সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।আগামী শুক্রবার তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের কলেজের গেটে গেটে আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদে সামিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি আগামী শনিবার ব্লকে ব্লকে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তিনি।টিএমসিপির মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, আরজি করে যে বোনটি নির্যাতিতা হয়েছে , দেশের সব প্রান্তের মেয়েরা যেভাবে নির্যাতিতা হচ্ছে, আমি সকল নির্যাতিতাদের জন্য আজকের দিনটি উৎসর্গ করছি। আমরা বিচার চাই, ওরা লাশ চাই। ওরা আন্দোলনকে জল ঢেলে দিতে চাইছে। আসল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাচ্ছে।এদিকে, আজ ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিরোধী বিজেপি। এদিন বন্ধের বিরোধিতা করে মমতা বলেন, কেরল হাইকোর্ট, বোম্বে হাইকোর্ট বন্ধকে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলায় বন্ধের কোন স্থান নেই। আরজি কর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৯ তারিখ ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরছিলাম, ১০ সকালে পৌঁছে যা যা করনীয় সব করা হয়েছে। আরজি করে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। যাতে দেরি না হয়, কোন ভুল না হয় তার জন্য সব রকম চেষ্টা সরকারের তরফে করা হয়েছে। আমি সাত দিনের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ফাঁসি চেয়েছিলাম। যারা ধর্ষক তাদের একটাই শাস্তি হওয়া দরকার তা হল ফাঁসি। কিছু মোদি মিডিয়া বিজেপির অশান্তিকে প্রমোট করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে বিধান সভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে ধর্ষণে্র ঘটনায় ফাঁসির সাজা আনার বিষয়ে বিল আনবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বলেন, জুনিয়ার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়নি সরকার। দিল্লিতে বিজেপি সরকার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। আরজি কর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি শনিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। মঙ্গলবারের মধ্যে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। আজ ১৬ দিন কেটে গিয়েছে। এত দিন কী করছে সিবিআই? কোথায় গেল বিচার? পাশাপাশি তিনি স্লোগান তোলেন, বিচার চাই বিচার চাই জবাব দাও সিবিআই, ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই জবাব চাই সিবিআই। এরপাশাপাশই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে যোগদানের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগস্ট ২৮, ২০২৪
রাজ্য

তৃণমূল বিধায়কের হস্টেল থেকে উদ্ধার মালদহের ফার্মাসি ছাত্রের মৃতদেহ, ভয়ঙ্কর অভিযোগ পরিবারের

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বাংলা। তারই মধ্যে এবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের হোস্টেল থেকে উদ্ধার মালদহের ফার্মাসি ছাত্রের মৃতদেহ। জাকির হোসেন ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র তোহিদ করিম। চলতি মাসের ১৩ তারিখ রাতে এই কলেজের হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয় তোহিদের নিথর দেহ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যায় পরিবার। অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ, দাবি পরিবারের। পুলিশের পক্ষে বলা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই অভিযোগ পত্র নেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং থানা থেকে জানানো হয় সংবাদমাধ্যমে না জানানোর জন্য।মৃত ছাত্রের বাবা রেজাউল করিমের অভিযোগ, ১২ তারিখ রাত্রে ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ছেলে বাড়ি থেকে আমের আচার এবং ছাতু আনার কথা বলেছিল। আমার ছেলে কোনওরকম মানসিক অবসাদে ছিল না। যদি মানসিক অবসাদে থাকত তাহলে ১২ তারিখ রাতে ছেলের কথাবার্তায় আমরা বুঝতে পারতাম। আমি পেশায় লরি চালক সেই সূত্রে ১৩ তারিখ আমি রঘুনাথগঞ্জে ছিলাম। সকাল থেকে আমার ছেলের ফোন সুইচড অফ আসছিল। রাত নটা নাগাদ আমি হোস্টেলে যেতেই আমার ছেলের রুমমেট ফোন করে জানায় তোহিদ মারা গেছে। আমি হোস্টেলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ আমাদের দেখানো হয়নি। আমাদের খবর দেওয়া হয়নি অথচ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। আমি না গেলে হয়তো জানতেই পারতাম না আমার ছেলে মারা গেছে। দেহ হয়তো লোপাট করা হত। পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তাই বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলছি আমি। পুলিশ বলেছিল, ময়না তদন্ত করার সময় আমাদের উপস্থিতিতে হবে অথচ আমাদের জানানো হয়নি এমনকি এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। পাল্টা আমাদের শাসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। মালদার ইংলিশ বাজার থানার যদুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তোহিদ করিম। পাড়াতে খুব মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত ছিল সে। তাই তার মৃত্যু কোনওভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে আরজি করের ঘটনার মতো আমরা গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে আজ সোচ্চার হন তারা।তোহিদের ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ভালো কিছু হওয়ার। এই ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারে না। পরিকল্পনা করে হোস্টেলেই মারা হয়েছে তাকে। যেহেতু ওই ইনস্টিটটা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের। তাই পুলিশ এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে লিখিত অভিযোগ নিচ্ছে না। অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় যদুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সেনাউল ইসলাম।

আগস্ট ১৭, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 53
  • 54
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal