• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Forecast

রাজ্য

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আকাশ মেঘলা, আগামী দু’দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে ভুগছে বাংলা। এ বার দোসর বাংলাদেশে বঙ্গপোসাগরের উপকূলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই দুয়ের জেরে সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন রাজ্যজুড়ে সেই একই রকম আবহওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে অলিপুর আবহওয়া দপ্তর।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তো আছেই। সঙ্গে বাংলাদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে কার্যত প্রচুর জ্বলীয়বাষ্প বঙ্গে প্রবেশ করছে। ফলে বৃষ্টিকাঁটা থেকে রেহাই মিলছে না এত সহজে। কলকাতা তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাগুলিতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সোমবার শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২.৬ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি নীচে। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সোমবারও বৃষ্টি হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি। উত্তরবঙ্গেও আকাশের মুখ ভার থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। রাজ্য কয়েকটি জেলায় শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তা হয়নি। তবে আগামী দুদিন কোনও কোনও এলাকায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি, ঘন কুয়াশায় ঢাকল রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ

পূর্বাভাস ছিলই। সেই পূর্বাভাস মতো শনিবার থেকে শহরে শুরু হল বৃষ্টি। ভোর থেকে কলকাতার আকাশের মুখ ভার। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ছিল খুবই কম। বেলা একটু গড়াতেই শুরু হল বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জেরে বাড়ল রাতের তাপমাত্রা। হাওয়া অফিসের খবর, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণে এই বৃষ্টি এবং পারদের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া। শুধু কলকাতাই নয়, একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বৃষ্টি কাটিয়ে কবে ফের মিলবে শীতের দেখা তা নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয়বাষ্প বঙ্গে প্রবেশ করায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত হবে উত্তরবঙ্গের জেলাতেও। সিকিম ও দার্জিলিঙে তুষারপাতের আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী দুই দিনেও আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি।আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হুগলি, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও একই পূর্ভাবাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে দার্জিলিঙের উঁচু জায়গা অর্থাৎ সান্দাকফু এবং টাইগার হিলসে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামতে পারে বলেও অশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে। এ সবই হচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কারণে, যা উত্তুরে হাওয়ার গতি রুদ্ধ করছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত যা বঙ্গোপসাগর হয়ে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত যাওয়ার সময় দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্প রেখে দিয়ে গিয়েছে।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

কিছুটা বাড়ল তাপমাত্রা, আজ থেকেই বৃষ্টি? কী বলছেন আবহবিদরা?

আপাতত বঙ্গ জুড়ে শীতের আমেজ। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমেই নিম্নমুখী পারদ। তবে এখানেই শেষ নয়, পরের পর ঘূর্ণিঝড় কেন ইদানিং বাংলার উপকূলে হানা দিচ্ছে তা নিয়েও বিশেষ পর্যবেক্ষণ চলছে। সব মিলিয়ে বঙ্গে বৃষ্টি বিপদ এখনও কাটানো যাচ্ছে না।আলিপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে দুদিন। রাতের তাপমাত্রার ক্ষেত্রে এখনই বিশেষ কোনও পরিবর্তন নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে দুদিন পর থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। অর্থাৎ, শীত কমবে। উত্তরবঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।হাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতায় আরও বেশ খানিকটা পারদ পতন হয়েছে। এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। বাতাসে সর্বোচ্চ আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। আপাতত বেশ কিছুদিন থিতু হয়েছে শীত। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলায় ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। রাতেও ক্রমেই কমছে তাপমাত্রা। জেলাগুলিতেও পারদ ক্রমেই নিম্নমুখী।ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস অনুযায়ী, জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। পশ্চিম মেদিনীপুরে সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। দেখা নেই রোদের। শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও। শুধু মেদিনীপুর নয় বৃষ্টি হওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ২২ জানুয়ারিও পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য জেলাগুলিতেও ওইদিন আকাশের মুখ ভার থাকতে পারে।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

মাঘের শীতে কাঁপছে বাংলা, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস

মাঘের বাঘা শীতে কাঁপছে বাংলা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ২৩ ডিগ্রি। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ কুয়াশা ঘেরা সকালে ভালই শীত টের পাচ্ছেন বাঙালি। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, এই শীত আর কত দিন? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তেই শীত কমে নামতে পারে বৃষ্টি। শুক্রবার থেকে আকাশে জমতে শুরু করবে মেঘ। বা়ড়তে থাকবে তাপমাত্রা।বৃহস্পতিবার যদিও কিছুটা শীতের আমেজ রয়েছে কলকাতায়। ১৩.৩ ডিগ্রি থেকে তাপমাত্রা নেমে হয়েছে ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। কিন্তু আগামীকাল থেকে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্যে। ২১ তারিখ দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ ২২ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস ।এর আগেও দুটি ঝঞ্ঝা এবং ঘূর্ণাবর্তের হানায় বঙ্গে শীত মুখ থুবড়ে পড়ে বৃষ্টি হয়েছিল। আবহবিদদের মতে, আগামিকাল, শুক্রবার রাজ্যের আকাশে মেঘ জমতে শুরু করবে। কিছু এলাকায় বৃষ্টিও হতে পারে। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তুলনায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এর জেরে রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।দুই বঙ্গেই ২৩ এবং ২৪ জানুয়ারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাতেও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণ বঙ্গে মাঘের শীতে থাবা বসাতে চলেছে বৃষ্টি। এই আচমকা বৃষ্টির কারণ হিসেবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য হাওয়ার গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। আর এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়ার মিশেলে ফের ভিজতে চলেছে রাজ্য।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

ফের একবার দাপট দেখাচ্ছে শীত, তবে স্থায়ীত্ব নিয়ে চিন্তায় হাওয়া অফিস

গত দিনদুয়েক বঙ্গে কেবল হিমেল আমেজ। বুধবারও আরও একবার অনুভূত হচ্ছে শীত। ক্রমেই নিম্নমুখী পারদ। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকার পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। তবে বিপদ যাচ্ছে না। কারণ, ফের বৃষ্টির কাঁটায় জেরবার হতে পারে শীত।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত বেশ কিছুদিন থিতু হবে শীত। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করবে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলায় ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাতেও ক্রমেই কমবে তাপমাত্রা। জেলাগুলিতেও পারদ ক্রমেই নিম্নমুখী।২০ জানুয়ারি অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও ২১ জানুয়ারি এবং ২২ জানুয়ারি উত্তরের পাঁচটি জেলায় অর্থাৎ, দার্জিলিং,কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি দুই বঙ্গেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই একটানা শীতের দেখা আপাতত নেই বললেই চলে এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস।তবে, আবহবিদরা বলছেন শীত নিয়ে উৎফুল্ল হওয়ারও কিছু নেই। কারণ ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট বাড়বে। যার জেরে আটকাবে উত্তুরে হাওয়া। বাড়বে পূবালী হাওয়ার দাপট সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। গরম পূবালী হাওয়া ও শীতল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সংঘাতে বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই বেড়েছে রাতের তাপমাত্রা। ১২.৯ ডিগ্রি থেকে তা বেড়ে হয়েছে ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাল পর্যন্ত রাজ্যে শীতের আমেক বজায় থাকবে, এমনটাই জানিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজ্য

মাঘের শীত এবার বাংলার গায়ে! ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তর থেকে দক্ষিণের জেলাগুলো

মেঘ, বৃষ্টি কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে শীত। মাঘের শুরুতে বাঘা শীতের আশায় বুক বেঁধেছে বাঙালি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার সারা দিন আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি।হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীত আরও দিন দুয়েক স্থায়ী হবে। তবে শুক্রবার উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টিপাত শুরু হলে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আপাতত, বেশ কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যাবে। দেখা মিলবে রোদেরও। মঙ্গলবার রাতে, আরও তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা। কলকাতায়, এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও নামতে পারে তাপমাত্রা এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ২১ তারিখ উপকূলের কাছাকাছি জেলা দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ২০ তারিখ পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রার কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। তবে বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে অর্থাৎ ঠান্ডা একটু কমবে। কলকাতার ক্ষেত্রেও রাতের তাপমাত্রা ২০ তারিখের পর থেকে বাড়বে। ফলে, ফের শীত-ছুট হতে পারে।উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে মঙ্গলবার শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। ১৯ জানুয়ারি দার্জিলিং, কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হবে। ২০ জানুয়ারি উত্তরের পাঁচটি জেলা, দার্জিলিং,কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এই জায়গাগুলোয় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২১ তারিখে উত্তরবঙ্গের সব জায়গাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট কাটতেই নামছে পারদ, কাঁপছে বঙ্গ

পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটতেই ফের কলকাতা শহরে নামল তাপমাত্রা।কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে বঙ্গবাসী। গত দুদিনে প্রায় ৩ ডিগ্রি মতো তাপমাত্রা নেমেছে। রবিবার রাতের তামমাত্রাও অনেকটা কমেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে।পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটলেই শীত যে আবার ফিরে আসবে তা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। বৃষ্টি কমতেই তাই ফের স্বমহিমায় শীত। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। সকালের দিকে থাকবে কুয়াশা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৩ ডিগ্রি এবং ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।ঝঞ্ঝার ফলে গত সপ্তাহে শীতের প্রভাব অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বৃষ্টিও হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে। বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং কালিম্পঙেও। তবে সেই প্রভাব কাটতেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে। তাপমাত্রাও নামতে শুরু করে। গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা প্রায় ধারাবাহিক ভাবে নেমেছে। শুক্রবারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রির আশপাশে, সেখানে সোমবার এই তাপমাত্রা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা দুই ডিগ্রি কম।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

ঝঞ্ঝার দাপট যেন কমছেই না, তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট যেন কিছুতেই কমছেই না। যার প্রভাবে শনিবার দিনভর মেঘলা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্বভারতের দিকে বয়ে এসেছিল। তার প্রভাবে বুধবার থেকে আকাশ শুধু মেঘলা ছিল। বৃষ্টিও হয়েছে কমবেশি। পৌষসংক্রান্তিতে রোদের দেখা মেলেনি। তার জেরেই এমন পরিস্থিতি। আগামী ১৮ জানুয়ারি আরও এক বার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব দেখা যেতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর। মেঘলা আকাশ এবং দিনভর বৃষ্টির জেরে শুক্রবার গাঙ্গেয় বঙ্গে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নীচে নেমে গিয়েছিল। শনিবারও সেই পরিস্থিতি বজায় থাকার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। রবিবারও এই পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

সকালে রোদের দেখা মিললেও আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কিছু জেলায়

কাল সারাদিন আকাশের মুখ ভার থাকার পর আজ সকালে রোদের দেখা মিলেছে বেশ কিছু জায়গায়। তবে তা ক্ষণিকের। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হবে। তাতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতাতেও।আগামী দুদিন এই বৃষ্টির আবহাওয়া থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও বৃষ্টি হবে। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। আগামী কয়েক দিনের তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টির কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতাতেও আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মহানগরীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি।এমনিতেও জাঁকিয়ে শীতের দাপট বেশিদিন স্থায়ী হয়নি জানুয়ারিতে। নেপথ্যে পরপর তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তাই যে তাপমাত্রা কমেছিল সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ৫ তারিখ থেকে আবার রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। দুই বঙ্গেই আগামী দুদিন আকাশ মেঘলা থাকবে। সঙ্গে থাকবে ক্ষণিকের রোদ। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা চলে যাওয়ার পরও জলীয় বাষ্পের কারণে কুয়াশার প্রভাব থাকবে। জাঁকিয়ে শীত আর সে অর্থে পড়ার সম্ভাবনাও নেই। গত রবিবার থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সেরকমই পূর্বাভাস ছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
রাজ্য

Weather: বুধবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা, থাকবে মেঘলা আকাশ, মহানগরীর শীত উধাও

বঙ্গে উধাও শীত। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উপরন্তু রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি। কোথাও মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কোথাও বা বুধবার ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত এই সপ্তাহ জুড়েই এভাবে বৃষ্টিপাত চলবে। সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।মঙ্গলবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শীত কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রাও বেড়েছে। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে হয়েছে বৃষ্টি। কলকাতাতেও সন্ধ্যায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, বুধবারেও রাজ্যের বেশির ভাগ জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।আরও পড়ুনঃ বুধবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা, থাকবে মেঘলা আকাশ, মহানগরীর শীত উধাওবুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে সাড়ে ১৭ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সকাল থেকেই মহানগরীর আকাশ রয়েছে মেঘলা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বুধবার উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের দু-একটি জায়গায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মূলত পশ্চিমের জেলাগুলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া,বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে, পশ্চিম মেদিনীপুরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ইতিহাস গড়েও জয় এল না এসসি ইস্টবেঙ্গলেরখড়গপুরের ২ নম্বর ব্লকের সুলতানপুরে মিনিট দুয়েকের ঝড়ে একপ্রকার লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। মঙ্গলবার থেকেই সেখানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তারপরেই একটু রাত বাড়তেই প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ে একাধিক গাছ। ক্ষতি হয়েছে জমিরও। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গোটা গ্রামে। বেশ কয়েকটি বাড়ির উপর গাছের ডালও ভেঙে পড়ে। অন্যদিকে, আসানসোলেও ভারী বর্ষণ শুরু হয় মঙ্গলবার থেকেই। যদিও, কিছু সময় পরে বৃষ্টি থেমে যায়।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

Rain: দুপুর গড়াতেই জেলায় জেলায় শুরু বৃষ্টি! পাঁচ জেলাকে সতর্ক করল আলিপুর

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিলই। মঙ্গলবার দুপুর গড়াতেই শুরু হয়েছে জেলায় জেলায় বৃষ্টি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে সন্ধ্যার মধ্যেই বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর জেলার একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তা রয়েছে হুগলি ও কলকাতার জন্যও।আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের নির্দেশে শুভেন্দুকে ছাড়াই গঙ্গাসাগরের নতুন কমিটিআগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমীঝঞ্ঝার কারণে হাওয়ার গতিপথের পরিবর্তন, সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ আসা হাওয়া এই দুয়ের প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাত। এই বৃষ্টির প্রভাব বেশি পড়বে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী দুদিন। তবে পশ্চিমের জেলাগুলির দুএক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।আরও পড়ুনঃ লিটন যেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, তবু লড়াই জমাতে পারল না বাংলাদেশমঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। দুপুর গড়াতে শুরু হয় বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত। মেদিনীপুর শহরে এদিন বিকেল চারটে নাগাদ চারদিক একেবারে অন্ধকার করে আসে। সাড়ে চারটে থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বিকেল থেকে আকাশ কালো ঘাটালে। হালকা ঝোড়ো হাওয়া আর ঝিরঝির করে বৃষ্টি। বৃষ্টি বাড়তে কী হবে চিন্তায় ঘাটাল মহকুমার কৃষকরা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী যদি বৃষ্টি আরও বাড়ে তাহলে চরম ক্ষতি হবে আলু চাষের। এমনিতেই বছরের শুরু থেকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চরম ক্ষতি হয়েছে চাষে। আবার এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের কপালে।আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে বড় ভাঙন উত্তরপ্রদেশ বিজেপিতেঝাড়গ্রামেও সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় জেলাজুড়ে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির ঝাপট। পুরুলিয়াতেও সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় পুরুলিয়া জেলাজুড়ে। প্রথমে ঝিরঝিরি বৃষ্টি শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তোড়। শীত এবং সেই সঙ্গে বৃষ্টিতে জবুথবু পুরুলিয়া। রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

Weather: ঝঞ্ঝার দাপটে আজ থেকে শুরু বৃষ্টি

ঝঞ্ঝার দাপটে ক্রমেই দূরে পৌষের ঠান্ডা। বাড়ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকেই জেলায় জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ঝাড়গ্রামে এদিন থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ১২ তারিখ থেকে টানা ১৪ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে কলকাতাতেও।বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সাগর মেলাতেও। আপাতত রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকায় শীতের অনুভব কম হবে। মাঘের প্রথম সপ্তাহে ফের তাপমাত্রা কমতে পারে, ফলে দেখা মিলতে পারে শীতের। হাওয়া অফিস বলছে, বুধবার অবধি এই তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। রাজস্থান থেকে বাংলায় আসা ঝঞ্ঝার শক্তিবৃদ্ধিতেই এই বৃ্ষ্টি-বিপদ বলেই জানা গিয়েছে।ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে জেলার কৃষি আধিকারিকদের কাছে। তাঁদের সবরকমভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বৃষ্টি হলে চাষিদের শস্যের ক্ষয়ক্ষতি হবেই। বিশেষ করে আলু চাষিদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হতে পারে এই বৃষ্টি। নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, এর জন্য ব্লকের কৃষি আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন রবিশস্যের সময়। একইসঙ্গে এই সময় বোরো ধানও চাষ হয়। সেসব দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।কলকাতায়, মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা প্রায় ৪ ডিগ্রি বেশি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাতের দিকে আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে, মঙ্গলবার মহানগরের আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। বুধেই বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়। অন্যদিকে, জেলাগুলিতে বিশেষ করে উত্তরে দার্জিলিঙ ও কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

Weather: ভিলেন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে কমল শীত, হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস

এ বছরের মতো কী বিদায় নিল শীত? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আপাতত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। ক্রমেই কমছে শীত। রাতেও শেষ পৌষের কনকনে শীতের আমেজ প্রায় উধাও। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে বলে আলিপুর হাওয়া অফিসের পুর্বাভাসে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যর বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ৩ ডিগ্রি বেশি। আগামী তিনদিনে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৮ শতাংশ।পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরেই রাজ্য এই হাওয়া বদল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। মঙ্গলবার থেকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গেও। শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর। এই বৃষ্টির ফলে রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে ১৬ জানুয়ারি থেকে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হবে বলে জানা গিয়েছে।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Weather: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ঝাপটায় বাংলায় কমছে শীতের দাপট

শহরে কমতে শুরু করেছে শীতের দাপট। শুক্রবারের তুলনায় তাপমাত্রা ফের ১ ডিগ্রি বাড়ল। ভোরের দিকে কুয়াশার দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হতে শুরু করে আকাশ। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বেড়ে ২৭ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।আগামী চার দিনে বাংলায় শীত কমবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন আবহবিদেরা। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এই পৌষেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা মিলেছিল। শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ফের রাজ্যে হানা দিতে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আর এই ঝঞ্ঝার ধাক্কায় ১১ থেকে ১৪ জানুয়ারি উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাতেই এ বছরের মতো শীতের দাপট কমতে পারে বলেই মত আবহবিদদের। অসময়ের এই বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
রাজ্য

Weather: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে বাংলায় কমল শীতের দাপট, রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

সপ্তাহ শেষে ফের খানিকটা কমল থাকল শীত। আর বেশি দিন শীতকাতুরে বাঙালি শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবে না বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই তাপমাত্রায় হেরফের হবে। গত দুদিন থেকেই প্রায় ১ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আগামী ৪-৫ দিনে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। তবে এর কারণ হিসেবে পশ্চিমী ঝঞ্জাকেই দায়ী করেছেন আবহবিদরা।শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। একই সঙ্গে কলকাতা এবং সংলগ্ন জায়গাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা-ও স্বাভাবিক। সকালের দিকে কুয়াশা দেখা দিলেও আকাশ সারাদিন পরিষ্কারই থাকবে। কলকাতার আশেপাশের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কলকাতার থেকে আরও ২-৩ ডিগ্রি কম থাকবে। একই সঙ্গে আলিপুর এবং ডুয়ার্স এলাকায় আগের মতোই বজায় থাকবে শীতের দাপট। দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। দুই মেদিনীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশপাশে থাকতে পারে বলেই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে শীত আসে উত্তুরে হাওয়ার আগমনে। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্জা এই উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। এই মুহূর্তে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আফগানিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের উপর রয়েছে। এবং ক্রমশই তা পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। এই কারণেই শীত কমবে বাংলায়। এ ছাড়া আবহাওয়ায় বড়সড় রদবদল হবেনা বলেও মত আবহবিদদের।বিগত কিছু দিনের মতো শুক্রবারেও বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে সোমবার থেকে শুরু হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত। কলকাতা-সহ মোট সাত জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
কলকাতা

Weather: নামল তাপমাত্রার পারদ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে হতে পারে বৃষ্টিও

কলকাতায় ফের কমল তাপমাত্রা। বুধবার আরও কিছুটা কমে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম। ডিসেম্বরে পারদ নামে ১১.২ ডিগ্রিতে। তবে সেই রেকর্ড না ভাঙলেও তার আশে পাশেই ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রা। জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার পারদ নীচের দিকে। জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।তবে আবহাওয়াবিদরা শোনাচ্ছেন খারাপ খবরও। এই শীত বেশিদিনের জন্য স্থায়ী নয়। বৃহস্পতিবার থেকে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। অন্তত সাতদিন উধাও হয়ে যেতে পারে শীত। নেপথ্যে জোড়া শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। জাঁকিয়ে শীতের দাপট বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পরপর তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা। আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্জা আবার আসতে চলেছে আগামী ৪ তারিখ উত্তর পশ্চিম ভারতে । তাই যে তাপমাত্রা কমবে সেটা বেশিদিন থাকবে না। ৫ তারিখ থেকে আবার রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। দুই বঙ্গেই আগামী দুদিন সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা চলে যাওয়ার কারণে যে জলীয় বাষ্প রয়ে গিয়েছে, তার ফলেই এই কুয়াশার প্রভাব থাকবে।আরও পড়ুনঃ ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবআবহবিদদের মতে, দুদিন পর থেকেই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে শীতের দাপট কমবে। এমনকী, আগামী সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। কিন্তু সেই বাধা আসার আগে আগামী দিন দুয়েক শীতের আমেজ জোরালো ভাবেই মিলবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা জানান, আগামী শুক্রবার থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এ দিকে বয়ে এলে ১২ জানুয়ারি নাগাদ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।শীতের দৌড়ে গাঙ্গেয় বঙ্গের এই এলাকাগুলি এ দিন পিছনে ফেলেছে শিলিগুড়িকে (১১.৮ ডিগ্রি)। তবে ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি (৯.৪) এবং কোচবিহারে (৯.৩) শীত ভালই মালুম হচ্ছে। শীতের দাপট বেড়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও। পুরুলিয়ার রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৯ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। কাছেপিঠে রয়েছে বীরভূমের শ্রীনিকেতন এবং পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ও। ওই দুই জায়গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদহ এবং দিনাজপুরেও শীত জাঁকিয়ে বসেছে।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড, উদ্বেগ বাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৯০০০উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব শুরু হয়েছে। সেখানে পরপর দুটি ঝঞ্ঝা আছড়ে পড়ার কথা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, প্রথম ঝঞ্ঝাটি দক্ষিণ রাজস্থানের উপরে রয়েছে এবং একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি করেছে। যার টানে আরব সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার ফলে আগামী দুদিন উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং তার পরে মধ্য ভারতের একাংশে বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার আরেকটি শক্তিশালী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে এবং তার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাহাড়ি এলাকায় জোরালো তুষারপাত হতে পারে।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

Weather: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ

বড়দিনের আগে থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে উধাও হয়েছে শীতের কনকনানি। বুধবার সকালে উত্তপ্ত কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে সাড়ে ১৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আকাশ রয়েছে মেঘলা। জেলার কোথাও কোথাও কুয়াশাও দেখা গিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে।আকাশ মেঘলা থাকার কারণে শীতের আমেজ উধাও হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পেরোতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্ষশেষে শীতের আমেজ উধাও হলেও ঝঞ্ঝা কেটে যাওয়ার পর নতুন বছরের শুরুতে ফের জাঁকিয়ে ঠান্ডা ফিরতে পারে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারতে হাজির হওয়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই উত্তুরে হাওয়া বাধা পেয়েছে। সেই ঝঞ্ঝা ক্রমশ পূর্ব ভারতের দিকে বয়ে আসার ফলে রাতের পারদ পতনেও বাধা সৃষ্টি করছে। এই ঝঞ্ঝার জেরেই বুধবার এবং বৃহস্পতিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা, দুই পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Weather: নিম্নচাপ কেটে দ্রুত পারদ নামার ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের

জাওয়াদের নিম্নচাপে রূপান্তর প্রক্রিয়ার জেরে ডিসেম্বরে এক দশকের রেকর্ড বৃষ্টি হল কলকাতায়। আজ, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সপ্তাহেই গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতে পারদ পতনের ইঙ্গিত আছে।আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনার খবর শুনেই অবশ্য আমবাঙালির প্রশ্ন, বহু প্রত্যাশীত শীত আসবে কবে? আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহেই গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতের পারদ নামতে পারে। কারণ, সদ্য আগত একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এবং উত্তর ভারতের পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। তার ফলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বয়ে আসবে। নিম্নচাপ বিদায় নেওয়ায় উত্তুরে বাতাসের পথে বাধাও আপাতত কেটে গিয়েছে। আকাশও ক্রমে মেঘমুক্ত হবে। পারদের পতন হতে পারে এই সব কারণেই।আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী মহানগরে রবিবার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬৮ মিলিমিটার। গত এক দশকে ডিসেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি হয়নি। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত ১০ বছরে ডিসেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর, ৩৩.৪ মিমি।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
রাজ্য

Cyclone: ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি বঙ্গে, থাইল্যান্ড থেকে ধেয়ে আসছে জাওয়াদ

থাইল্যান্ড থেকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। ফের বাংলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস। সপ্তাহান্তে কলকাতা-সহ উপকূল সংলগ্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতিভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঢুকবে। শক্তি সঞ্চয় করে সেখানেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই গভীর নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাওয়াদ। শনিবার সকালে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি এবং উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনি ও রবিবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।এর প্রভাবে শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ৬৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার হতে পারে। মৎস্যজীবীদের দেওয়া সতর্কবার্তায় আবহাওয়া দপ্তর শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যারা সমুদ্রের রয়েছেন তাদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২১
রাজ্য

Weather: আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই আবহাওয়ার বড়সড় পরিবর্তন! জারি সতর্কতা

আরও কিছুটা নামল শহরের তাপমাত্রার পারদ। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.২ ডিগ্রি। আগামী ২-৩ দিন থাকবে একই তাপমাত্রা। ২-৩ দিন পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। জোড়া নিম্নচাপে ঠান্ডা আমেজে কাঁটা। ৩ ডিসেম্বরের পর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য জানিয়েছে, উচ্চচাপের গেরো কেটে গিয়েছে। মেঘ সরে আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। ফলে ফিরেছে হেমন্তের ঠান্ডা আমেজ। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। সকাল থেকে হালকা কুয়াশার চাদরে মোড়া শহর কলকাতাও।সপ্তাহান্তে যে জোড়া নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, তা নিয়ে বেশ কিছু সতর্কবার্তা দিয়েছেআবহাওয়া দপ্তর। ২৯ নভেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে আন্দামান সাগরে। উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সরাসরি তামিলনাড়ু উপকূলে হয়তো যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্ধ্র কোস্ট ও মায়ানমার কোস্টের মাঝামাঝি জায়গায় নিম্নচাপ সরে আসবে। দফায় দফায় শক্তি বাড়াবে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।তবে ওই নিম্নচাপটি যদি বঙ্গের দিকে আসে সেদিক থেকে বঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, শীত আসতেও দেরি হবে। কারণ, এ রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয় বাষ্প ঢুকতে পারে। ফলে বাধা পাবে, শীতের উত্তুরে হাওয়া। ফলে অগ্রহায়ণেও কাঁটা বৃষ্টি। পাকাপাকিভাবে কবে থেকে শীত পড়বে তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারেনি আলিপুর হাওয়া অফিস।

নভেম্বর ৩০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal