• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Forecast

রাজ্য

সাময়িক বিরতি নিয়ে ফের তেড়ে ফুঁড়ে ফিরছে বর্ষা! আজও পুজোর কেনাকাটা ভেস্তে দেবে বৃষ্টি?

সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা বিরতি নেবে বর্ষা। রবিবার ও সোমবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে কম হবে। তবে ছিটেফোঁটা হালকা বৃষ্টি কিছু এলাকায় হতে পারে। এই সময়ে আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গরমও বাড়তে পারে। কিন্তু সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে আবারও বৃষ্টির মাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। আজ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও সর্বত্র বৃষ্টি হবে না। পরিস্থিতি তেমন গুরুতর নয়, তাই সতর্কতা জারির প্রয়োজনও পড়েনি। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে আজ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনার কারণে হলুদ সতর্কতা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারের কিছু জায়গায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিও নেমে আসতে পারে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকূটি! ফের তুমুল ঝড়-জলের সতর্কতা জেলায়-জেলায়

IMD জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে, ২৪ সেপ্টেম্বর-এর মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, যা বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রবল বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি ঝোড়ো হাওয়া ও ঘন মেঘের সম্ভাবনা বাড়াবে। জেলায়-জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিরও সম্ভাবনা বাড়ছে।ফের এক দফায় সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। IMD-এর আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে, যার ফলে সামনের ৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত ও অস্বস্তিজনক আবহাওয়ার প্রবণতা বাড়বে।হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যদিও বর্তমান নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব নেই। তবুও বজ্রপাত-সহ বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই-তিন দিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই বজ্রসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিশেষ করে কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পার্শ্ববর্তী জেলার ক্ষেত্রে ঝড়-জলের সম্ভাবনা বেশি।অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও আজ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। আজ সপ্তাহের প্রথম দিনে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মালদা, দুই দিনাজপুরের পাশাপাশি কোচবিহারেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

আজ ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস একাধিক জেলায়, আবহাওয়ার উন্নতি কবে থেকে?

মৌসুমী অক্ষরেখা আপাতত বাংলা থেকে সরে গিয়ে ওড়িশার উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প প্রবাহিত হচ্ছে পূবালী হাওয়ায়। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মৌসুমী অক্ষরেখা আবার বাংলার কাছাকাছি ফিরে আসতে পারে। বিশেষত মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস:রবিবার ও সোমবার আংশিক মেঘলা আকাশের পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি।রবিবার ও সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত থাকবে।মঙ্গলবার মৌসুমী অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের কাছে এগিয়ে আসবে, ফলে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস:আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে রবিবার বিক্ষিপ্তভাবে দুএক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে।কলকাতার আবহাওয়াশহরে সকাল থেকেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তি আরও বাড়বে।আকাশ বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার থেকে আংশিক মেঘলা, তবে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে।রবিবার হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।সোমবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও হ্রাস পেলেও বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেশি থাকায় বৃষ্টি না হলে অস্বস্তি বাড়বে। মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পরিমাণ ফের বাড়বে বলে পূর্বাভাস। সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও মঙ্গলবার থেকে আবার বাড়তে পারে। আর উত্তরবঙ্গে রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও সোমবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তির দিকে যাবে আবহাওয়া।

আগস্ট ৩১, ২০২৫
রাজ্য

ঝলসে যাওয়া আগুনে জ্বালাপোড়া দহন থেকে মুক্তি! ঝড়-বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

তাহলে কি জ্বালাপোড়া গরম থেকে মুক্তি পেতে চলেছে বাংলা। বৈশাখের শেষেই স্বস্তির খবর দিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী ৬-৮ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার থেকে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম। রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এতদিন শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বাতাস ঢুকছিল বাংলায়। এখন হাওয়া বদল হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। কাছাকাছি ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণেই বৃষ্টির উপযোগী পরিস্থিতি তৈরি করেছে।দক্ষিণের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া এবং দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার এবং মঙ্গলবার দক্ষিণের সর্বত্র বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে দোসর হবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। কোথাও কোথাও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বুধ-বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলায়। তবে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা সোম-মঙ্গলবার।দক্ষিণবঙ্গের ৬টি জেলায় কালবৈশাখীর সতর্কতা জারি হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে জারি কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা। সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও আগামিকাল ঝড়-বৃষ্টির দাপট থাকবে।উপকূলের জেলাগুলিতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করবে আগামী মঙ্গলবার থেকেই। মৎস্যজীবীদের তার আগেই ফিরে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপাতত আগামী বুধবার পর্যন্ত এই দুর্যোগ চলবে বলে জানা গিয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির হাত ধরেই অসহ্য গরম থেকে বেশ কিছুটা মুক্তির স্বাদ মিলবে।

মে ০৫, ২০২৪
রাজ্য

পুজোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা? বিরাট আপডেট দিল আবহাওয়া দফতর

ষষ্ঠীতেই নবমীর রূপ। কলকাতা সহ সারা বাংলায় পথে মানুষের স্রোত। কলকাতার রাজপথে মানুষের ঢল, উপচে পড়া ভিড়। ষষ্ঠীতেই জনজোয়ার। কলকাতার ভিড়ের ছোঁয়া রাজ্যজুড়ে। এদিকে মা দুর্গার আরাধনার মধ্যেই আবহাওয়ার বড়সড় রদবদলের আভাস শোনাল হাওয়া অফিস। তৈরি হয়ে গিয়েছে নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তসহলে পুজোর মধ্যেই দুর্যোগ ধেয়ে আসতে পারে।বঙ্গোপসাগরে তৈরি এই নিম্নচাপের জেরেই এবার বাংলার একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজ, সপ্তমী থেকেই খেলা শুরু করতে পারে নিন্মচাপ। তবে নবমীতে একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উৎসবের আবহে কিছুটা ছেদ পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিন্মচাপটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে, ক্রমেই উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে থাকবে সেই সঙ্গে শক্তি বাড়াবে নিন্মচাপ। সপ্তমীর সকালেই ঘুর্নাবর্তটি নিন্মচাপে পরিণত হয়ে নবমীর দিন তা শক্তিশালী নিন্মচাপে পরিণত হতপ পারে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টমীর পর থেকে আবহাওয়ায় বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী সোমবার অর্থাৎ নবমীর দিনে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। নবমীর দিন শহর কলকাতাতেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ওই দিন রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। বিজয়া দশমী এমনকী একাদশীর দিনেও রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মঙ্গল ও বুধবার দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ওই দুদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহর কলকাতাতেও।তবে স্বস্তির বিষয়, রবিবার পর্যন্ত পরিষ্কার থাকবে আবহাওয়া।এছাড়াও দশমী ও একাদশীতে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

অক্টোবর ২১, ২০২৩
রাজ্য

শিয়রে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', সংকেত মৌসম ভবনের

রবিবার সকালে মৌসম ভবন সুত্রে জানানো হয়েছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে অশনি ঘূর্নীঝড়ের আকার নিলো। আন্দামানের অনতিদূরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। এই মুহুর্তে তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই ঘুর্নাবর্ত উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।অশনির সংকেত পেয়ে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাও। মৌসম ভবন থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান করা জেলাগুলির জন্য ১০ থেকে ১৩ মে অবধি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।মৌসম ভবন সুত্রে আগেই জানানো হয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় অশনির পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই। তাঁরা রবিবারও জানিয়েছে, এই মুহুর্তে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি পুরী থেকে প্রায় ১,০৩০ কিলোমিটার এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার নাগাদ ওড়িশা কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ছুঁতে পারে ঘূর্ণিঝড় অশনি। পশ্চিমবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঘূর্ণিঝড় অশনির আগাম সতর্কতা জারি করেছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে হওয়া বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া তে কৃষিজমি এবং ফসল নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের জন্য ছদফা সতর্কতা জারি করেছে। নবান্ন থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেনো পাকা ধান কেটে অতি সত্তর গুদামজাত করে রাখেন। এছাড়াও বিভিন্ন সব্জি ও ফসলের ক্ষেত থেকে অতি সত্তর জমা জল নিকাশী করে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

মে ০৮, ২০২২
রাজ্য

দাবদাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, স্বস্তি মিলতে পারে আগামিকাল থেকে

রাজ্যে তীব্র গরমের ঝোড়ো ব্যাটিং এবার বন্ধ হতে চলেছে। আগামিকাল রবিবার থেকে এরাজ্যের আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকী কালবৈশাখী ঝড়ও হতে পারে কয়েকটি জেলায়। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার থেকেই কলকাতাসহ আশপাশেরে জেলা, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদসহ কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি পূবালি হাওয়ার জন্যই রাজ্যে জলীয় বাষ্প ঢুকে কালবৈশাখী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দুনাজপুর, মালদায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।টানা গ্রীষ্মের দহনে দক্ষিণবঙ্গ পুড়ছে। সূর্য উঁকি দিতেই রাস্তাঘাট ফাকা হয়ে যাচ্ছে। সরকারি স্কুলগুলিতে ২ মে থেকেই গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুলে অনলাইন ক্লাস চলছে। মোদ্দা কথা তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা আপামর বঙ্গবাসীর। সেই অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলতে পারে। চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে হা করে রয়েছে মানুষজন।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
রাজ্য

ক্রমশ চড়ছে পারদ, কালঘাম ছুটবে দোলে

মার্চ পড়তে না পড়তেই চড়া রোদের তাপে ছাতি ফাটা অবস্থা। একটু বেলা বাড়তেই রীতিমত হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে। রোদ চশমা, ছাতা ছাড়া বাইরে বেরোনোই দায় হয়ে পড়েছে এখন। তবে এই মাসের শুরুতেও কিন্তু তাপমাত্রা এমনটা ছিল না। হালকা শীতের আমেজ ছিল। পাশাপাশি সঙ্গী ছিল বৃষ্টি। কিন্তু দিন যত এগোচ্ছে চড়া রোদ আর গরমের বাড়বাড়ন্ত ততটাই বেড়েছে। পাশাপাশি ত্বকে পড়ছে টান।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, যত দিন এগোবে দিনের তাপমাত্রা ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পাবে। কলকাতায় আগামীকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি। অন্যদিকে, সর্বনিম্ম তাপমাত্রা থাকবে ২১ থেকে ২২ ডিগ্রির আশেপাশে। তবে শীত শেষে গরম পড়তে শুরু করলেও এই ভ্যাপসা আবহাওয়া থাকে অন্তত পক্ষে তিন থেকে চারদিন থাকবেই।এদিকে, কাঠফাটা রোদে সামান্য বৃষ্টির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন প্রত্যেকে। তবে এখনই রেহাই মিলছে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী চার থেকে পাঁচদিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। অর্থাৎ এই কাঠফাটা গরম সহ্য করতে হবে। এদিকে, ১৭ মার্চ দোল এবং ১৮ তারিখ হোলি। আর দোলে এখনও অবধি আবহাওয়ার যা খবর মিলছে তাতে বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই বললেই চলে। রঙের উৎসবে মাততে যে যথেষ্ঠ কালঘাম ছুটবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দোলের দিন যে ভালোই গরম অনুভূত হবে তার পূর্বাভাস আগে থেকেই করছে আবহাওয়া দপ্তর।

মার্চ ১২, ২০২২
রাজ্য

অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্পের প্রভাবেই সকাল থেকে শুরু বৃষ্টি

আজও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। সকাল থেকেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকেই মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শুক্রবার কলকাতা শহর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার যেমন মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন দুপুরের পর থেকে কোথাও কোথাও বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টিপাত হবে। এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। একে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং সঙ্গে পূবালি হাওয়ার সংঘাত। তার জেরেই অসময়ে বৃষ্টি। শনিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।মধ্য ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখাকেই দায়ী করছেন আবহবিদেরা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে সকাল থেকে শহরের কিছু অংশে বৃষ্টি শুরুও হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই মহানগরীর আকাশের মুখ ভার। তবে, গত কয়েক দিনের মত ঘন কুয়াশার চাদর ছিল না। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মালদহ, দুই দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়াতেও বৃষ্টি হতে পারে। কাল, শনিবার এবং তার পরের দিন, রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনাতেও। আবহবিদদের বক্তব্য, অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তা ঘনীভূত হয়ে তৈরি করতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘ। তা থেকেই বৃষ্টি হতে পারে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে, বাড়ছে তাপমাত্রাও

বুধবার সকাল থেকেই ফের মুখভার শহরের। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুরের হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ মালদহ জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গও মুক্তি পাচ্ছে না বৃষ্টি হাত থেকে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে বুধবার রাত থেকে। এর ফলে বুধবার বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং মুজাফফরাবাদে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। এরই প্রভাব পড়তে পারে বাংলায়।আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৯ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পূবালি হাওয়ার সংঘাতে বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। বাংলাদেশের উপর ঘূর্ণাবর্ত, যার কারণে বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। পশ্চিমের এই জেলাগুলিতে শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টি পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, কলকাতায় জেলায়। উপকূলের জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ হলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

কুয়াশায় ঢাকল শহর, দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কম, ব্যাহত যান ও বিমান চলাচল

সকালে কুয়াশায় ঢাকল মহানগরীর মুখ। দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটারের কম। যে কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দৃশ্যমানতা কম থাকায় বেশ কিছু বিমান ছাড়তে দেরি হয়।সোমবার ভোরে শহর কলকাতার আকাশ শীতকালের মতোই কুশায়া ঢাকা ছিল। যে কারণে দৃশ্যমানতার সমস্যা তৈরি হয়। রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়েন গাড়ি চালকরা। ভোরের দিকে বেশ কয়েকটি বিমানের উড়ানে দেরি হয়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই সমস্যা আগামী কয়েক দিন থাকবে। সোমবার কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার সর্বোচ্চ তামমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কি না স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম।সোমবার ভোরে কুয়াশা এবং রবিবার রাতে তামমাত্রার পতন অনুভব করে অনেকের মনেই প্রশ্ন এসেছে ফের কি ফিরবে শীত? তবে হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, তাপমাত্রার ওঠানামা চললেও শীত ফেরার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বসন্তকালের বৈশিষ্ট অনুযায়ী হালকা শীতের আমেজ থাকলেও আর নতুন কোনও ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই। শীত ফিরছে না। রবিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও রাজ্যের কোথাও সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

ঝাড়খণ্ডে তৈরি ঘূর্ণাবর্তের জেরে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির ইঙ্গিত বঙ্গে

আর মাত্র একদিন। তারপর উধাও হতে চলেছে। শুক্রবারের পর শনিবার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বসন্ত সমাগমের এই আবহে বর্ষণের সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে। সম্ভাব্য এক ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ফের এক দফা বৃষ্টি শুধু নয়, রীতিমতো বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টির ইঙ্গিত দেখছে হাওয়া অফিস।শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা দুডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা-ও দুডিগ্রি কম।আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, রবিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তেমন বৃষ্টি হবে না। আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে। এবং সেই জলীয় বাষ্প থেকেই স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হতে পারে।শীত ভাল করে অনুভূত হওয়ার আগেই বিদায় নিয়েছে। বঙ্গে কার্যত শীত বিদায় নেবে অকালবৃষ্টির সৌজন্যে, অন্তত এমনটাই বলছেন আবহবিদদের একাংশ। শনিবার থেকেই মেঘে ঢাকতে শুরু করবে আকাশ। রবি ও সোমবার রাজ্যের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

বিদায়ের আগে মাঘের শেষে বঙ্গে হিমেল পরশ

মাঘের শেষে বঙ্গে হিমেল পরশ। বেশ ভালই অনুভূত হচ্ছে । পশ্চিমী ঝঞ্ঝার রেশ কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শীত। তবে সেই শীতও আর স্থায়ী হবে না। অর্থাৎ, বঙ্গে কার্যত শীত বিদায় নেবে অকালবৃষ্টির সৌজন্যে, অন্তত এমনটাই বলছেন আবহবিদদের একাংশ। আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায় । নেপথ্যে ফের এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সঙ্গে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয়। আর এই দুইয়ের জোড়া ঠেলায় রাজ্যে ঢুকবে জলীয় বাষ্প। আর তার জেরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। রবিবার ও সোমবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্জা কাটিয়ে তাপমাত্রার পারদ ছিল নিম্নমুখী। বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের আমেজ ছিল রাজ্যজুড়ে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ। বুধবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। আপাতত শনিবার পর্যন্ত বিশেষ তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে না। তবে, রবিবার থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।এই দুই বিপরীতধর্মী বাতাসের সংঘর্ষের ফলে রাজ্যের আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি এখন ফেব্রুয়ারি অর্ধেক অতিক্রম করে আমরা এখন মার্চের দিকে যাচ্ছি। ফলে কালবৈশাখীর মতো ঝড়ের উপদ্রব হতে পারে। তবে, ধীরে ধীরে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই রাজ্যে গ্রীষ্ম অনুভূত হতে শুরু করবে। মরশুমি হিসেবে শীতের বিদায় নেওয়ার পালা এসে গিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

আজ শহরতলীতে ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে

জাঁকিয়ে মরশুমি শীতের আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছে বঙ্গবাসী। একটানা পর পর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শীত কার্যত ছুটি নিয়েছে। শেষ মাঘেও কার্যত বৃষ্টি। খনার বচন বলে, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ, যদি বর্ষে মাঘের শেষ। বৃহস্পতিবারও গোটা রাজ্যেই ফের বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা-সহ সমস্ত শহরতলীতেই ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিকে রাজ্যে আগামী কয়েকদিনে, শীতের প্রভাব আরও কমবে। রাতের তাপমাত্রা আগামী তিন দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে। একইসঙ্গে বৃষ্টির দাপট দেখা যাবে উত্তরের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পঙের মতো পাহাড়ি জেলাগুলিতে আগামী তিন থেকে চার দিন হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। ইতিমধ্যেই বাতাসে ঝঞ্ঝার প্রভাবে বেড়েছে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ। কলকাতায় এদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। গোটা দিনই মেঘলা থাকবে আকাশ। আপাতত শীত ফিরছে না বঙ্গে।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

শীতের আমেজেই ফের বৃষ্টির আশঙ্কা

তাপমাত্রা বাড়লেও রাজ্যে বজায় শীতের আমেজ। তবে শীত স্থায়ী হবে না বেশিদিন। বৃহস্পতিবার থেকেই আবারও বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা। সেই সঙ্গে বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও। তবে, বুধবার পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্কই থাকবে। তবে এখনই রেহাই নেই। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের ভিজতে পারে দক্ষিণের জেলাগুলি। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি সেলিসয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। আগামিকাল তাপমাত্রা বাড়লেও বিশেষ হেরফের হবে না। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলায় ধীরে ধীরে রোদের দেখা মিলবে। রাজ্যে ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। বুধবার বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমাঞ্চলে জেলাগুলোতে। বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
রাজ্য

যাওয়ার আগে বঙ্গে হালকা শীতের ছোবল, ফের ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটিতে শীত বিদায়ের বার্তা?

শেষ মাঘে অবশ্য বঙ্গে শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং। আপাতত বেশ কিছুদিন থিতু হবে শীত। কিন্তু, তার আয়ু খুব বেশিদিন নয়। চলতি সপ্তাহেই বৃহস্পতিবার থেকেই ফের বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বাড়বে তাপমাত্রা। রয়েছে আরও একটি ঝঞ্ঝার আশঙ্কাও। গত সপ্তাহেও শুক্রবার গোটা দিন দুই বঙ্গেই বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার থেকে ধীরে ধীরে কমে বৃষ্টির প্রকোপ। জেলায় ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও কলকাতা ও শহরতলী মোটামুটিভাবে বৃ্ষ্টিহীনই ছিল। দেখা মিলেছে রোদের। সরস্বতী পুজোতেও কোনও বাধা পড়েনি।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সোমবার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। আগামী বেশ কয়েকদিন শীত থাকবে। জেলাগুলির ক্ষেত্রে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে। জেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির কাছাকাছিও হতে পারে। সোমবার সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে।রবিবার থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। সরস্বতী পুজোর হাত ধরে বঙ্গে মৃদু শীতের প্রত্যাবর্তনও হয়েছে। ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমেছে তাপমাত্রা। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাজ্যে মৃদু শীতের আয়ু সাময়িক। ৮ ও ১০ তারিখ উত্তর পশ্চিম ভারতে ফের ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফের বঙ্গে মেঘ ঢুকবে। ফলে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকছে দুই বাংলায়।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

বাড়ছে তাপমাত্রা, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বাগদেবীর আরাধনা অপেক্ষা

রাজ্যের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে বসন্ত। সরস্বতী পুজোর পরে তাপমাত্রা সামান্য নামলেও তা ১৪-১৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে। মেঘলা আকাশ বাগদেবীর আরাধনায় ছেদ ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্র এবং শনিবার আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। সঙ্গে দোসর হালকা বৃষ্টিও হতে পারে।রাতে সে ভাবে তাপমাত্রা কমেনি, একটু ভ্যাপসা ভাবও অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দমদমে ১৮ ডিগ্রি আবহবিদেরা জানিয়েছেন, আচমকা ঋতু পরিবর্তন হয় না। তাই প্রথমে রাতের দিকে শীত-শীত ভাব থাকবে। ধীরে ধীরে দিনের এবং রাতের পারদ চড়তে থাকবে। আস্তে আস্তে উত্তুরে হাওয়ার বদলে দখিনা বাতাস বইতে শুরু করবে। তাই শীত ফুরলো মানেই একেবারে ঠান্ডা বিদায় হয়ে গেল তাও নয়।হাওয়া অফিসের খবর, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আজ, দার্জিলিং এবং সিকিমের কিছু জায়গায় তুষারপাত হতে পারে। উত্তরবঙ্গে এবং গাঙ্গেয় বঙ্গের বহু জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে বৃষ্টি হতে পারে। তবে গাঙ্গেয় বঙ্গের কয়েকটি জেলা ছাড়া বাকিগুলিতে বৃষ্টির তেমন আশঙ্কা নেই।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

আরও কমল তাপমাত্রা, মেঘলা আকাশ, ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি!

ক্রমশ কমে আসছে শীতের আয়ু। একধাক্কায় ফের বাড়ল তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার থেকেই রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও হতে পারে বৃষ্টি। হাওয়া অফিস বলছে, পিছু হটতে পারে শীত। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ উভয় ক্ষেত্রেই আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হবে। মূলত বেশি বৃষ্টি হবে ৪ ফেব্রুয়ারি।৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুএক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এর পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে । শনিবারও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের তাপমাত্রা আগামী দিনে আরও দুই ডিগ্রি বাড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার আকাশ আংশিক মেঘলাই থাকবে। সন্ধেবেলা বা রাতে বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৩২ শতাংশ।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গেও বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মোটের উপর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জের, ফের বাড়ছে তাপমাত্রা, রয়েছে বৃষ্টির ভ্রূকুটি

পূর্বাভাস ছিলই। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আরও কমল শীত। এদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। সকালের দিকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা দেখা গিয়েছে। এ বারের শীতের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। একাধিক বার জাঁকিয়ে শীত পড়তে না পড়তেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তাতে থাবা বসিয়েছে। আবহবিদদের মতে, এ বারও তেমনই পরিস্থিতি হতে চলেছে। এর ফলে রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়বে। সকাল থেকেই তার প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে।চলতি সপ্তাহেই কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে বৃষ্টিও। তবে সরস্বতী পুজোতেও বৃষ্টি হবে কি না, সেই বিষয়ে দ্বিমত আছে আবহবিদদের মধ্যেই। আবহবিদদের একাংশ বলছেন, শুক্রবারেই বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। আবার শনিবার বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহবিদরা। আর এরজন্য দায়ী সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই। ফলে, মধ্য মাঘেও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই বঙ্গের।মঙ্গলবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা এক ডিগ্রি নিচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। তবে এই তাপমাত্রা সোমবারের তুলনায় খানিকটা বেশি।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

জাঁকিয়ে শীত থাকলেও মঙ্গলবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

বঙ্গে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। রোজই পারদ নিম্নমুখী। রবিবার রাতেও একাধাক্কায় তিন ডিগ্রি নামল পারদ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত শীত থাকলেও বেশিদিনের সঙ্গী হবে না। ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই বদলাবে হাওয়া। মাঘের মাঝমাঝিতে বেশ শীত থাকলেও ফের একটি ঝঞ্ঝা পূর্ব ভারতের দিক থেকে আসায় মঙ্গলবার থেকে শীতের দাপট কিছুটা কমবে। আকাশে মেঘ ঢুকতে থাকায় দিনের তাপমাত্রা কমলেও ব্যাহত হবে রাতের পারদ পতন। সেই সঙ্গে বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সরস্বতী পুজোর পর ফের ফিরতে পারে শীত।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত চলতি সপ্তাহে স্থায়ী হবে শীত। তবে সপ্তাহান্তে ৪ ফ্রেবুয়ারি থেকে বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ৪ ও ৫ তারিখ সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি ও জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ও তামিলনাড়ুতে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় গাঙ্গেয় বঙ্গে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। তার জেরেই আগামী ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি ফের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে ৫ তারিখই সরস্বতী পুজো। তাই ছাতা ছাড়া পুজোর ঘোরাফেরা মাটি হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal