• ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Court

রাজ্য

কাঁথির বিদায়ী ১৬ কাউন্সিলর গেরুয়া শিবিরে!

বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেওয়ার পরে কাঁথিতে জনসভার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কাঁথির ডরমেটরি ময়দানের জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, অখিল গিরিরা। সেদিনের সভায় আক্রমণ করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এরপর বুধবার সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয় কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে। এবার পাল্টা ওই ময়দানেই শুক্রবার, বছর শুরুর দিন সাংগঠনিক সভা করতে চলেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, শুক্রবারের সাংগঠনিক সভায় কাঁথি পুরসভার বিদায়ী ১৬ জন কাউন্সিলর যোগ দিতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে। তাছাড়া কাঁথি পুরসভা এলাকার অন্য দলের নেতৃত্বও বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ডরমেটরি ময়দানে আমাদের সাংগঠনিক সভা হবে। সেখানে বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করবেন। কাঁথি শহরেই বাড়ি শুভেন্দু অধিকারীর। এখনও পর্যন্ত অধিকারী পরিবারের শুভেন্দু ছাড়া কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেনি। কিন্তু শুভেন্দুর যোগদান করার পর তৃণমূল কংগ্রেস অধিকারীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নয়। তা দলের কিছু সিদ্ধান্তে স্পষ্ট। একদিকে যেমন সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক পদ থেকে। পাশাপাশি কাঁথির তৃণমূলের জনসভায় হাজির ছিলেন না জেলা সভাপতি সাংসদ শিশির অধিকারী ও সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ অধিকারী পরিবারের সঙ্গে সামগ্রিকভাবে তৃণমূলের রাজনৈতিক সম্পর্ক একেবারে টালমাটাল। আগামীকাল বিজেপির সভা তৃণমূলের পাল্টা জবাবী সভা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দেখার বিষয় কাঁথির এই সভায় কারা বিজেপির পতাকাতলে শামিল হয়। এদিকে এদিন কাঁথি পুরসভার দায়িত্ব নিতে গিয়ে হেনস্থা হতে হয়েছে নবনিযুক্ত পুরপ্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতিকে। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পুরকর্মীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আবার সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন সৌমেন্দু অধিকারী।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
দেশ

এখনই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না , সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে বিজেপি

বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলায় মুকুল রায়, অর্জুন সিংদের স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট।রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন অর্জুন সিং, মুকুল রায়-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। মামলাকারীদের দাবি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক একাধিক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এই মামলাগুলির তদন্ত সিবিআইয়ের মতো কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে করানো হোক। আরও পড়ুন ঃ বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ডাকটিকিট উন্মোচন করল কেন্দ্রীয় সরকার এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, বাংলায় এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়াটাই ফৌজদারি অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, যতক্ষণ পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি হচ্ছে, ততক্ষণ মুকুল রায়, অর্জুন সিং-এর মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। বক্তব্য জানতে চেয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিসকে নোটিশ দিল শীর্ষ আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রীরামপুরে বিজেপি নেতা কবীর শঙ্কর বসুকে হেনস্থার ঘটনায় সিআইএসএফের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
কলকাতা

মার্চে ভোট করতে চেয়ে কমিশনকে  চিঠি দিয়ে জানাল রাজ্য

মার্চে কলকাতা পুরসভার ভোট হতে পারে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিল সরকার। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হল, মার্চে হতে পারে পুরভোট। চিঠি আরও জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তারপর পুরনির্বাচনের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে খানিকটা সময় লাগবে। ওয়ার্ড বিন্যাস, সংরক্ষণ সম্পূর্ণ করতে অন্তত মাসখানেক সময় প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্চ মাসের শেষে ভোট হতে পারে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, পুরভোটের জন্য প্রস্তুত দল। আরও পড়ুন ঃ শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্যায়ে মানবিক প্রকল্প আগামী ১৭ তারিখ এই চিঠিই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা পুরসভায় ভোট হলেও এখনই রাজ্যের অন্য কোনও পুরসভার ভোট হবে না বলেই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। কলকাতা পুরসভায় দ্রুত নির্বাচন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদ কুমার সিং। সেই মামলায় ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যকে পুরসভার ভোটের নির্ঘন্ট জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
কলকাতা

কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া

উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্যানেল থেকে শুরু করে মেধাতালিকা সবই বাতিল করে দেওয়া হল। শুক্রবার সে রায়ই দেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শিক্ষকের উপরেই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। টেটে যাঁদের নাম এসেছে তাঁরা সকলে যথাযথ নন। তাই মামলাকারীদের দাবি মেনে বাতিল করা হল সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া। হাই কোর্টের নির্দেশ, নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়া আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করতে হবে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। এছাড়াও অন্যান্য প্রক্রিয়া ১০ মের মধ্যে শেষ করতে হবে। তাঁর রায়ে অত্যন্ত খুশি মামলাকারীরা। কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে। আরও পড়ুন ঃ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার হুমকি দিলীপের উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১১ ও ২০১৫ সালে টেট হয়েছিল। টেটে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের ভেরিফিকেশনের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, যাঁরা যোগ্য নন তাঁদেরও তালিকায় নাম ছিল। আর্থিক কারচুপির অভিযোগও ওঠে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
রাজ্য

রাজ্যের আবেদন খারিজ, আমফানের দুর্নীতির ঘটনায় তদন্তে ক্যাগই, নির্দেশ হাইকোর্টের

আমফান দুর্নীতি মামলার অডিট করবে ক্যাগ। প্রসঙ্গত , দুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল আমফানের ত্রাণে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তার তদন্ত করবে ক্যাগ। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল। শুক্রবার রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের আরও কিছু বক্তব্য রয়েছে। সেগুলো শোনা হোক। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না। রাজ্যের যদি এরপরেও কিছু বলার থাকে, তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। আরও পড়ুন ঃ আদর্শের জন্য লড়াই চলবে, সভায় জানালেন শুভেন্দু গত ১ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এক নির্দেশে জানায়, এখনও পর্যন্ত আমফান ঝড়ে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ক্যাগকে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাগেকে সমস্ত রকমের সহযোগিতা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণবণ্টন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, এই মর্মে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষক সংগঠন। মামলা করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও। গত মঙ্গলবার সবকটি মামলার একত্রে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
কলকাতা

সারদা মামলায় নয়া ভয়েস রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে

সারদা মামলার তদন্তে নতুন একটি ভয়েস রেকর্ডিং হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। সেই ভয়েস রেকর্ডিং-এর ভিত্তিতে এবার জেলে গিয়ে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। অভিযুক্তদের জেরার অনুমতি দিয়েছে নিম্ন আদালত। ্মঙ্গলবার দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের শুনানিতেই এমনটা জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। আরও পড়ুন ঃ আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, ক্যাগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের তদন্তকারীদের দাবি, ওই ভয়েস রেকর্ডিং চিটফাণ্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। আট সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি। সেদিনই ফের দেবযানীর জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে বিচারপতি জানতে চান, তদন্তে এত দেরি হচ্ছে কেন? কুণাল ঘোষ যদি জামিন পেতে পারেন, তাহলে দেবযানী মুখোপাধ্যায় কেন পাবেন না? সিবিআই-এর বক্তব্য, কুণাল ঘোষ মিডিয়া সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি সারদা গোষ্ঠীর বেতনভূক কর্মী ছিলেন। দেবযানী ও কুণালের বিষয়টি এক নয়।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, ক্যাগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

আমফানের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ক্যাগকে তদন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, কাদের ত্রাণ পাওয়ার কথা অথচ পাননি, কেন পাননি, কোন প্রক্রিয়ায় ত্রাণ বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বন্টন হয়েছিল , প্রকৃ্ত ক্ষতিগ্রস্তরা যদি ত্রাণ না পেয়ে থাকেন , তাহলে তারা কেন পাননি - এই সমস্ত বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্যাগকে। বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূল নেতৃ্ত্বকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সাংসদের এই ব্যাপারে মঙ্গলবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দুর্নীতি বলছেন কেন? বলুন হাইকোর্ট রিপোর্ট চেয়েছে। প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ হাজার টাকা করে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তবে অভিযোগ উঠেছিল ক্ষতিপূরণের সেই টাকা আসল ক্ষতিগ্রস্তদের বদলে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের পকেটে ঢুকেছে। সেই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয় । সেই মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে বারবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের কীভাবে টাকা বণ্টন করা হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলে আদালত। তবে, রাজ্য সরকারের তরফে এনিয়ে কোনও উচ্চবাচ্চ্য করা হয়নি ৷ তারপরেই আজ আদালতের তরফে ক্যাগকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

আদালতের নির্দেশের জেরে রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ ছটপুজো। রবীন্দ্র সরোবরের ৩ নম্বর গেটের সামনে শুক্রবার সকালে একদল পুণ্যার্থী জমা হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুজো করতে দেওয়ার দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা। যদিও আদালতের নির্দেশের কথা উঠলে তারা জানান, পুণ্যার্থীদের দাবি, মাত্র ছঘণ্টার মধ্যে ছটপুজো সেরে নেওয়া সম্ভব। আর সামান্য সময়ে ছটপুজো করলে কোনও সমস্যা হবে না। রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার অনুমতি না মিললে মূল দরজার সামনেই ছটপুজো করা হবে বলে জানিয়ে দেন তারা। এছাড়াও তারা বলেছেন, প্রতি বছর এখানেই পুজো করেছেন তারা। তাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে পুজো করেছেন। এভাবে তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা বোঝাতে গেলে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। যাতে কেউ আদালতের নির্দেশ অমান্য করতে না পারেন তাই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গত , গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো। তারপর এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে পরিবেশ আদালতের কাছে কেএমডিএ আবেদন করেছিল , শর্তসাপেক্ষে লেকে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় , কোনও শর্তেই লেকে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। গত ১০ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতই শেষ কথা বলবে। সেই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ না দেওয়া হলে রবীন্দ্র সরোবরে এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। এই আবেদনের শুনানি ২৩ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ ছট পুজো হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।

নভেম্বর ২০, ২০২০
দেশ

রাজ্যের সম্মতি ছাড়া কোনও তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই , নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

রাজ্যের সম্মতি ছাড়া কোনও তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট করে দিল বৃহস্পতিবার। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে উত্তর প্রদেশের সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দায়ের হয়েছিল৷ আরও পড়ুন ঃ কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে খতম চার জঙ্গি এই মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, আইন অনুযায়ী, রাজ্যের সম্মতি ছাড়া সিবিআইকে কোনও মামলায় নিয়োগ করতে পারে না কেন্দ্র৷ এ বিষয়ে রাজ্যের সম্মতি বাধ্যতামূলক৷ সংবিধানে উল্লেখিত যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই আইন তৈরি করা হয়েছে৷ এই আইনটি সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেও জানিয়েছে বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং বিচারপতি বি আর গভাইয়ের বেঞ্চ।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
কলকাতা

রবীন্দ্র-সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কো্র্টের

রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে মামলা হয়েছিল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে। অনুমতি না মেলায় কেএমডিএ আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রায়কে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে শুক্রবার রবীন্দ্র সরোবর বা সুভাষ সরোবরে ছটপুজো হবে না। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো। তারপর এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে পরিবেশ আদালতের কাছে কেএমডিএ আবেদন করেছিল , শর্তসাপেক্ষে লেকে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় , কোনও শর্তেই লেকে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর সঙ্গে মান-অভিমান চলছে তৃণমূলেরঃ দিলীপ গত ১০ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতই শেষ কথা বলবে। সেই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ না দেওয়া হলে রবীন্দ্র সরোবরে এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। এই আবেদনের শুনানি ২৩ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগামীকাল ছট পুজো হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্ট এবং জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ে কোনও সংশোধন হবে না বলে জানিয়ে দেন তিন বিচারপতি।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট

সাসপেন্ডেড সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ৮ বছর পর নিজের জেলায় যেতে পারেন সিপিএম - এর এই প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি এলাকায় ফিরলে ফের অশান্তি হতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সুশান্ত ঘোষকে জেলায় ঢোকার অনুমতি দিল। তিনি জেলায় ফিরতে পারবেন শুনে উচ্ছাসে ফেটে পড়েন সিপিএমের নিচুতলার কর্মীরা। আরও পড়ুন ঃ বিধানসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়েই লড়বে বাম- কংগ্রেস উল্লেখ্য , ২০১১ সালে বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে গ্রেফতার হন তিনি। পরের বছর জামিন পেলেও এতদিন জেলায় ঢোকার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। সোমবার সেই অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে দলবিরোধী কাজের জন্য সিপিএম সুশান্ত ঘোষকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে। ডিসেম্বর মাসে তার শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

 বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল বর্ধমান আদালত। প্রায় বছরখানেক আগে দিলীপের বিরুদ্ধে পুলিশকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। প্রসঙ্গত , গতবছর ৪ নভেম্বর বর্ধমানের রায়নার একটি সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের পুলিশকর্মীরা আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। টাকা না দিলে পুলিশের চাকরি মেলে না। প্রমোশনের জন্যও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এসপি থেকে ওসি সকলকে টাকা তুলতে হয় এবং সেই টাকা যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। আরও পড়ুন ঃ মদের দোকানের চার কর্মীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পিটিয়ে খুন , ধৃত অভিযুক্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের জেরে অভিযোগ দায়ের করেন রায়নার সেহারাবাজার ফাঁড়ির এক পুলিশকর্মী। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই মামলায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। আদালতে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। শুক্রবার সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।

নভেম্বর ১৪, ২০২০
দেশ

অবশেষে জামিন পেলেন অর্ণব গোস্বামী

অবশেষে জামিন পেলেন এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে আরও দুই অভিযুক্তকে বুধবার জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি জেল প্রশাসন ও কমিশনারকে শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে , তারা যেন দু দিনের মধ্যে অর্ণবের মুক্তির ব্যবস্থা করে। প্রসঙ্গত , দুদিন আগে বম্বে হাইকোর্ট অর্ণব গোস্বামীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন নাকচ করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই সাংবাদিকের আইনজীবীরা। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সেই আরজির শুনানি হয়। শুনানি শেষে ধৃত তিনজনের আরজি মঞ্জুর করে আদালত। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিন অভিযুক্ত। এদিন অর্ণবের আইনজীবী হরিশ সালভে সওয়াল করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য অর্ণবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুনানিতে মহারাষ্ট্র সরকারকে কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতিরা। তাঁদের কথায়, সরকারের ভিন্ন মত থাকতেই পারে। তা বলে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে নিশানা করা যায় না। রাজ্য সরকার যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নিশানা করে তাহলে তাদের মনে রাখা উচিৎ, ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করতে শীর্ষ আদালত রয়েছে। একই সঙ্গে হাই কোর্টের উদ্দেশ্যে তাঁদের কড়া বার্তা, ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার্থে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। এদিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ভিন্ন মত থাকতেই পারে। কিন্তু তা বলে সাংবিধানিক আদালত যদি হস্তক্ষেপ না করে, তা হলে আমাদের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। আরও পড়ুন ঃ বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বলের সওয়াল চলাকালীন বিচারপতি চন্দ্রচুড় বলেন , ৩০৬ ধারার অন্তর্গত প্ররোচনার জন্য আত্মহত্যার ক্ষেত্রে প্রকৃ্ত প্ররোচনা থাকতে হয়। কেউ অন্যজনের থেকে টাকা পাবেন , আর তিনি আত্মহত্যা করলেন। সেটা কিভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা হবে। তারা আরও বলেন , আমরা ধরে নিচ্ছি , এফআইআরে যা অভিযোগ করা হয়েছে , তা ধ্রুবসত্য , তারপরেও কি এক্ষেত্রে ৩০৬ ধারায় মামলা করা যায় ? এখানে দেখা যাচ্ছে , অভিযুক্ত অর্থ মেটাননি আত্মঘাতীকে। ওই কারণেই আত্মহত্যা করেছেন। এর মানে প্ররোচনা দেওয়া হতে পারে কি ? আর সেই কারণে যদি কাউকে জামিন না দেওয়া হয় , তাহলে সেটা কি প্রহসন নয় , প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা।

নভেম্বর ১১, ২০২০
দেশ

বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট কালীপুজোয় রাজ্যজুড়ে আতসবাজির বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেয়। কালীপুজোয় রাজ্যজুড়ে আতসবাজির বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। বাজি কেনাবেচার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান বাজি ব্যবসায়ীরা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, উৎসব গুরুত্বপূর্ণ, তা আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু, এমন এক পরিস্থিতিতে আমরা আছি যখন জীবন এমনিতেই চরম বিপদে। জীবনের থেকে মূল্যবান কিছুই নয়। তাই জীবন রক্ষাই এখন একমাত্র অগ্রাধিকার। আরও পড়ুন ঃ বিহারে মহাগটবন্ধনকে হারিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন এনডিএর প্রসঙ্গত , গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্ট কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কোভিড পরিস্থিতির কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা। আতস বাজি সংগঠনের তরফে বাংলায় দুদিন মোট চার ঘন্টার জন্য বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আবেদন করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

নভেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

নবান্ন অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিং, মুকুল রায়, রাকেশ সিংদের বিরুদ্ধে তদন্তের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকো্র্ট। নির্দেশ , আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজ শেখর মানথার। আরও পড়ুন ঃ কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখলে ভাল হয়ঃ হাইকোর্ট প্রসঙ্গত , গত ৮ অক্টোবর ছিল বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিপর্যয় মোকাবিলা, অস্ত্র আইন, দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল হেস্টিংস থানায়। সেই অভিযোগ খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপির এই চার নেতা।

নভেম্বর ১০, ২০২০
কলকাতা

কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখলে ভাল হয়ঃ হাইকোর্ট

আসন্ন কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখলে ভাল হয়। এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত , কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও কার্তিক পুজোর দিনগুলিতে নির্দিষ্ট কয়েকটি স্টেশনে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা এবং ছটপুজোয় নদী ও লেকের ঘাটগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের ৪০০-র বেশি ঘাটে ছটপুজো হয় । ছটপুজোর শোভাযাত্রা বের করা হয় সেখানে ৷ বাজি ফাটানো হয় ৷ এর জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার ? রাজ্য সরকার কি এই ব্যাপারে যথেষ্ট প্রচার করছে? আরও পড়ুন ঃ ভোটার তালিকা সংশোধনের দিনক্ষণ জানাল নির্বাচন কমিশন এদিনের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানায়, রাজ্যে অনেকগুলি জুটমিল বেল্ট আছে । সেই এলাকাগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিক রাজ্য সরকার ৷ তা না হলে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। পাশাপাশি বিচারপতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি বাজেয়াপ্ত হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, আদালত বাজিতে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিতে পারে ৷ কিন্তু, এটা দেখার দায়িত্ব রাজ্য় ও কলকাতা পুলিশের৷ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে যথেষ্ট প্রচার চালানো দরকার।

নভেম্বর ১০, ২০২০
দেশ

হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে হাথরাস কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত

হাথরাসের নির্যাতিতা দলিত তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত শেষ করতে আর কতদিন সময় লাগবে? শুক্রবার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে এই প্রশ্ন করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টে ওই ধর্ষণের মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি পঙ্কজ মিঠল ও বিচারপতি রাজন রায়ের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, এই তদন্ত শেষ করতে আর কতদিন সময় লাগবে? সিবিআইয়ের আইনজীবী অবশ্য নির্দিষ্ট করে কোনও তারিখের কথা জানাতে পারেননি। এরপরই বেঞ্চ সিবিআইকে স্পষ্ট জানায় ২৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিনই যেন তারা আদালতকে তদন্তের সর্বশেষ রিপোর্ট জমা দেয়। এই মামলার শুনানিতে বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করে, হাথরাসের জেলাশাসক হিসেবে প্রবীণ কুমারকে ওই পদে রেখে দেওয়া কি ন্যায়সঙ্গত এবং যুক্তিযুক্ত? বেঞ্চের ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী এস ভি রাজু আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানাবেন। আরও পড়ুন ঃ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার অর্ণব গোস্বামী প্রসঙ্গত , হাথরাসে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর ওই তরুণীর উপর চরম শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এই ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন।

নভেম্বর ০৬, ২০২০
কলকাতা

কালীপুজোর মণ্ডপেও নো-এন্ট্রিঃ হাইকোর্ট

কালীপুজোর মণ্ডপেও দুর্গাপুজোর মতো নো-এন্ট্রি থাকবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি গোটা নভেম্বর মাসজুড়ে বাজি কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দোপাধায় ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে কালীপুজোর পাশাপাশি ছট, জগদ্ধাত্রী পুজোতেও ফাটানো যাবে না বাজি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, ৩০০ বর্গমিটারের মণ্ডপে ৫ মিটার দূরে নো এন্ট্রি বোর্ড থাকবে। আরও পড়ুন ঃ আলু-পেঁয়াজের দামের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের হাতেঃ মমতা একসঙ্গে ১০ জন ঢুকতে পারবে এই আয়তনের মণ্ডপে ৷ মণ্ডপ থেকে ৫ মিটার দূরত্বে থাকবেন ঢাকি ৷ অন্যদিকে ৩০০ বর্গমিটারের থেকে বড় মণ্ডপে একসঙ্গে ৪৫ জন ঢুকতে পারবে । জগদ্ধাত্রী ও কার্তিক পুজোর ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ বহাল থাকবে। এইসঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিকে মান্যতা দিতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতিরা জানিয়েছেন , কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর , তারাপীঠ, কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, তা ঠিক করবে পুলিশই।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
দেশ

এলাহাবাদ হাইকোর্টের নজরদারিতেই হাথরাসের গণধর্ষণ ও খুনের মামলাঃ সুপ্রিম কোর্ট

এলাহাবাদ হাইকোর্টের নজরদারিতে চলবে হাথরাসের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলা। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সিবিআইকে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা করতে হবে। উত্তরপ্রদেশের বাইরে হাথরস কাণ্ডের মামলা নিয়ে যাওয়ার এখনই কোনও প্রয়োজন নেই। সিবিআই তদন্ত করছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করবে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। নির্যাতিতার পরিবার ও মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তার দিকেও নজর রাখবে হাইকোর্ট। হাথরাসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ মামলায় আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সমাজকর্মী সত্যেন দুবে। আরও পড়ুনঃ একটা করে প্রদীপ বীর জওয়ানদের স্মরণ করে জ্বালানঃ মোদি হাথরাস গণধর্ষণ মামলার শুনানি উত্তরপ্রদেশে বাইরে করার আরজি জানিয়েছিলেন হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী। এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের মত, আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শেষ করুক। তারপর তো সেই পথ তো খোলা থাকছেই। প্রসঙ্গত , এর আগে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তরফেও হাথরাসকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করা হয়।

অক্টোবর ২৭, ২০২০
কলকাতা

সামান্য ছাড় দিয়ে পুজো মামলায় আগের রায়ই বহাল হাইকোর্টের

পুজো উদ্যোক্তাদের রিভিউ পিটিশনের প্রেক্ষিতে আগের রায় পুনর্বিবেচনা করে সামান্য পরিবর্তন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারে তাদের দেওয়া পরিবর্তিত রায়ে বলা হয়েছে, ঢাকিরা মণ্ডপের নো এন্ট্রি জোনের মধ্যে থাকতে পারবেন। তা ছাড়া বড় পুজোগুলোর মণ্ডপে কমিটির ৬০ জন সদস্যের তালিকা তৈরি করা যাবে। একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। আগে এই সংখ্যাটা ছিল ২৫। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে মণ্ডপের সামনে টাঙাতে হবে এই তালিকা। মণ্ডপে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের নাম রোজ বদল করা যাবে। বিচারপতিদের নির্দেশ অনুসারে, যে সব মণ্ডপের আয়তন ৩০০ স্কোয়ার মিটার বা তার বেশি সেগুলিকে বড় মণ্ডপ বলে বিবেচিত হবে। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১৫ জনের তালিকা তৈরি করতে হবে। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবে না। সেই তালিকাতেও প্রত্যেকদিন বদল ঘটানো যাবে। এই বদলগুলি ছাড়া পঞ্চমীতে দেওয়া রায়ে আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে দশমীতে সিঁদুর খেলা যাবে না। দেওয়া যাবে না অষ্টমীতে অঞ্জলিও। আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে এমবিবিএস পড়ার আসন বেড়ে ৪০০০ করোনা পরিস্থিতিতে গত সোমবার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছিল , কোনও মণ্ডপেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ছোট মণ্ডপ হলে তার ৫ মিটার এবং বড় মণ্ডপ হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। দূর থেকে দেখতে হবে। দর্শক শূন্য রেখে পুজো পরিচালনার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে পুলিশপ্রশাসনকে। হাইকোর্টের রায় মোতাবেক কাজ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কমিশনারদের লক্ষ্মীপুজোর পর আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই রায়ের পরই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার আবেদন জানান পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।

অক্টোবর ২১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

‘ইথিওপিয়া সিংহের দেশ, গুজরাটও তাই’—বিদেশের মাটিতে মোদীর আবেগঘন বার্তা

ইথিওপিয়ার সংসদের যৌথ অধিবেশনে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে তিনি ভারত ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। ইথিওপিয়াকে সিংহের দেশ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সেখানে নিজেকে ঘরের মানুষের মতো অনুভব করছেন। কারণ তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটও সিংহের জন্যই পরিচিত।এই সফরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আবি আহমেদের হাত থেকে গ্র্যান্ড অনার নিশান অব ইথিওপিয়া সম্মানে ভূষিত হন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ভারত ও ইথিওপিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এবার কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করা হল।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পহেলগাঁওয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ইথিওপিয়ার পাশে থাকার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের অবস্থান এক এবং এই সহযোগিতা ভারতের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।নরেন্দ্র মোদী আরও জানান, গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং গ্লোবাল সাউথের শক্তি হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্রে ভারত ও ইথিওপিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এক। ডিজিটাল পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আফ্রিকা স্টিল মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ-এর মতো উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।এই ভাষণের মাধ্যমে ভারত-ইথিওপিয়া সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছল, তা কূটনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal