• ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Court

রাজ্য

Marijuana : বাইকে গাঁজা পাচার, গ্রেফতার এক

প্রচুর গাঁজা সহ গ্রেপ্তার হল গাঁজা পাচারকারী চক্রের এক পাণ্ডা। ধৃতের নাম কাজী জাহিরুল আলম। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার মোড়গ্রাম এলাকায়। জেলার নাদনঘাট থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় কালীতলা এলাকা থেকে তাকে গাঁজা সহ ধরে ফেলে। জাহিরুল আলমের কাছ থেকে ২৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে। এত গাঁজা কোথা থেকে আনা হয়েছিল এবং গাঁজা পাচার চক্রে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে বৃহস্পতিবার রাতে গাঁজা পাচারের খবর আসে। সেই খবর পেয়েই নাদনঘাট থানার পুলিশ গভীর রাতে কালীতলা এলাকায় পৌঁছে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই মোটরবাইকে চড়ে গাঁজা পাচারকারিরা নাদনঘাটের কালীতলা এলাকা দিয়ে নাদনঘাট মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ দেখেই এক ব্যক্তি পালিয়ে যায়। ধরা পড়ে যায় কাজী জাহিরুল আলম। তার কাছ থেকে সাদা প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় ২৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। তা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি জাহিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয় । জেরায় ধৃত জানায়, বিভিন্ন জেলা থেকে কম দামে গাঁজা কিনে এনে সে বিভিন্ন জায়গায় চড়া দামে সেই গাঁজা বিক্রি করে মুনাফা করে। পুলিশের ধারনা এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। পুলিশ তাদেরই এখন সন্ধান চালাচ্ছে।

জুলাই ৩১, ২০২১
রাজ্য

Cow-Coal Smuggling: আরও বিপাকে বিনয় মিশ্র, হাইকোর্টে খারিজ সব আবেদন

গোরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই আর্জি জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিংপিন বিনয় মিশ্র। কিন্তু সেই আর্জি আজ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত রবিবার সিবিআই বিনয়ের এই আবেদন খারিজ করে দেয়। আজ সিবিআই-এর সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল আদালত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাত থেকে বহুদূর চলে গিয়েছেন গোরু ও কয়লা পাচারকারীর মাথা বিনয় মিশ্র। আপাতত প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুয়াতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বিনয়। আরও পড়ুনঃ খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ কর্তাদের মানবতার দিশা দেখালেন ইব্রাহিম ও তারাপদতাঁকে সিবিআই-এর তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, ভারতে এসে যথারীতি সময়ে হাজিরা দিতে। শুধুই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে গ্রেপ্তার করা হবে না। তখন বিনয় শর্ত দেন, তিনি ভারতে এখন আসবেন না, যা জিজ্ঞাসা করার যেন ভার্চুয়ালি করা হয় সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন। কিন্তু সিবিআই সেই আর্জি খারিজ করে দেয় ও বিনয়ের আর কোনও দাবি না মানার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মর্মে আদালতের কাছে আর্জি জানালেও তা খারিজ করে দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, সিবিআই তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। নিজের মতো করেই তদন্ত করতে পারবে তারা। অর্থাৎ এবার সিবিআই হয়ত বিনয়কে গ্রেপ্তার করতেও পারে। অপরদিকে আজই নিজাম প্যালেসে বিনয়ের বাবা-মায়ের ভুয়ো কোম্পানি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও আসেননি তারা। বেলা ১১ টায় হাজিরার সময় থাকলেও এখনও পাত্তা নেই বিনয়ের বাবার। আইনজীবি মহলের ধারণা বিনয়কে এখনই গ্রেপ্তার করা সিবিআই-এর তরফে অসম্ভব। কারণ সিবিআই ভালোই জানে ভানুয়াতুয়ার সঙ্গে ভারতের পণবন্দির চুক্তি নেই। আর থাকলেও এই করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত অসম্ভব। আবার বিনয়ের কাছে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে, সিবিআই-এর তোড়জোড়ের খবর পেলেই হয়ত অন্য রাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে একেবারেই গা ঢাকা দিতে পারে যেটা গোয়েন্দারা কখনই চাইবেন না।

জুলাই ২৮, ২০২১
কলকাতা

Pegusas: ফোন ট্যাপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান মমতা

শহিদ দিবসের মঞ্চে ভাষণের শুরু থেকেই পেগাসাস কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গহস্ত হয়ে ওঠেন মমতা। সবার ফোনে সর্বক্ষণ আড়িপাতা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। ভাষণ চলাকালীন একসময় হাত জোড় করে তিনি বলেন, সম্মানীয় শীর্ষ আদালতের কাছে আমার বিনীত আবেদন, দেশের সকলে আপনাদের ভীষণ সমীহ করে। যখন বিচারপতিদের ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে, তখন আপনারা কি একটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারেন না? আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে এই আবেদন জানাচ্ছি। একমাত্র আপনারাই পারেন দেশকে বাঁচাতে। উল্লেখ্য, ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে বলে মমতা নিজের ফোনের ক্যামেরা লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকে দিয়েছেন বলেও জানান। এমনকী, তা তুলেও দেখান।আরও পড়ুনঃ অগস্টের প্রথমেই ৫ কেন্দ্রের ভোটযন্ত্র পরীক্ষার নির্দেশমমতা বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে। ফোনটাই এখন রেকর্ডার হয়ে গিয়েছে। আপনারা যদি ঘরে থাকা স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন সেটাও রেকর্ড করা হচ্ছে। স্যর, দয়া করা এই দেশকে, এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন। একটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করুন। না হলে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে দিন। যে আপনাদের অধীনে কাজ করবে। যারা মনিটর করবে যে কার কার ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। আমার ফোনে তো হয়েছে স্যর।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?ফোন ট্যাপিং নিয়ে মমতার যুক্তি, যদি অভিষেকের ফোন ট্যাপ হয়ে থাকে, তবে তো আমার ফোনও হয়েছে। পিকে-র ফোনে হয়েছে। তাহলে তো আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলি, আমারও হয়েছে। এমন বহু সাংবাদিক আছেন যাঁরা আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, তাঁদেরও হয়েছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের উদাহরণ টেনে তাঁর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদেরও রেয়াত করা হচ্ছে না। তাই এই অবস্থায় গণতন্ত্রকে যদি কেউ রক্ষা করতে পারে সেটা একমাত্র দেশের বিচারব্যবস্থা, বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

জুলাই ২১, ২০২১
রাজ্য

Court Order: আদালতের নির্দেশ ছাড়া উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নয়

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইন্টারভিউ চললেও আদলতের নির্দেশ ছাড়া উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ নয়। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ইন্টারভিউ লিস্ট অনুযায়ী ইন্টারভউ নিতে হবে। চাকরি প্রার্থীদের অরিজিনাল মার্কশিট আদালতে দিতে হবে। অভিযোগকারী প্রার্থীদের তথ্য ভান্ডার গড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখবে হাইকোর্ট। তারপর নিয়োগ নিয়ে অনুমতি দেওয়া হবে।আরও পড়ুনঃ উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে স্থগিতাদেশএদিকে ১৯ জুলাই থেকে উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু হয়েছে। চলবে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত। প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।

জুলাই ২০, ২০২১
কলকাতা

NHRC Report: ভোট পরবর্তী হিংসায় মানবাধিকার কমিশনের বিস্ফোরক রিপোর্ট, পালটা মমতা

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ভোট পরবর্তী হিংসায় কবলিত রাজ্যের একাধিক জায়গা ঘুরে আলাদতে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসকের শাসন চলছে।এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভে রীতিমতো ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পালটা তোপ দেগে তিনি বলেন, কমিশনের নামে মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে আদালতে।আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত সিন্ধু, আঙুলের নখে শোভা পাচ্ছে অলিম্পিক রিংমানবাধিক কমিশনের এই বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি তোলা হলে তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আদালতে জমা পড়া রিপোর্ট কেন প্রকাশ্যে এল সেই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ পক্ষাপাতমূলক একটা রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। উত্তরপ্রদেশের নদী থেকে লাশ গঙ্গায় ভেসে আসার সময় মানবাধিকার কমিশন কোথায় থাকে। যদিও বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু যা হয়নি তা নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে। উত্তরপ্রদেশ বিজেপি শাসিত রাজ্য বলে ওদের সাত খুন মাফ। ভোটের আগে যে হিংসা হয়েছে তখন নির্বাচন কমিশন দায়িত্বে ছিল। বিজেপি হার হজম করতে পারছে না। তাই হারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এইসব অভিযোগ তুলছে।আরও পড়ুনঃ জেএমবি-কাণ্ডে ধৃত মূল লিঙ্কম্যানভোট পরবর্তী হিংসার যে যে অভিযোগ রাজ্যে উঠেছিল, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের ঘুরে দেখে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রিপোর্টই বৃহস্পতিবার আদালতে জমা পড়ে। রিপোর্টে উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হিংসার ঘটনায় যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি রাজ্য সরকার চরম উদাসীন আচরণ দেখিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। হিংসার ঘটনার কারণে একাধিক পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের বাইরে মামলা হওয়া বাঞ্ছনীয় বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার কমিশন। এর পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একটি সিট গঠন করে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। যারা আহত বা মৃত, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।

জুলাই ১৫, ২০২১
কলকাতা

Nandigram-High Court: নন্দীগ্রামের ভোট সংক্রান্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের

নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, ভিডিও সংরক্ষিত রাখতে হবে। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামলা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ দিন এই মামলায় সমস্ত পার্টিকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। এ ছাড়া গণনাকেন্দ্রে যে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন তাঁকে ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিসের একটি করে কপি দেওয়া হবে। এ ছাড়া মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব নথি সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে চলছে এই মামলার শুনানি।আরও পড়ুনঃ কাপ্পার কবলে এবার রাজস্থানও নন্দীগ্রামের ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি করেছেন রেজিস্টার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী পিটিশনে কোন ত্রুটি নেই। এরপর নন্দীগ্রাম মামলা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ভোট সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও ভিডিও সংরক্ষণ করার জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ অগস্ট। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী পিটিশন মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মামলা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় অন্য বেঞ্চে সরানোর আর্জি করেন। বিচারপতি কৌশিক চন্দকেও চিঠি দেন। এরপর নন্দীগ্রাম মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি চন্দ। একইসঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার এজলাস বদল হয়। মামলা ওঠে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।

জুলাই ১৪, ২০২১
কলকাতা

High Court: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের

বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছিতে হিংসায় মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। এবার অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে মুখবন্ধ খামে তা জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।আরও পড়ুনঃ ভ্যাকসিনে ভাটা, বন্ধ হচ্ছে দিল্লির একাধিক টিকাকেন্দ্রভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের দেহ শনাক্ত করা যায়নি বলে হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিল তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার শুনানিতে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, অভিজিতের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহ করবে। তার পর সেই নমুনা পাঠানো হবে সিএফএসএল (সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি)-এর কাছে। সেখানেই নমুনা পরীক্ষা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে আদালতের কাছে। এই পরীক্ষাটি অগ্রাধিকারের সঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অভিজিতের দেহ শনাক্ত করার জন্য এই পরীক্ষা জরুরি বলেই জানিয়েছেন বিচারপতিরা। আরও পড়ুনঃ রাশফোর্ডদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য, সাউথগেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উল্লেখ্য, গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিতের। তাঁর পরিবার অভিযোগ করে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে অভিজিৎকে। গত ২ জুলাই হাইকোর্ট অভিজিতের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতে অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার জানান, তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাঁরা নিশ্চিত হয়ে পারছেন না যে মৃতদেহটি অভিজিতেরই। তার পরেই এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

জুলাই ১৩, ২০২১
কলকাতা

Nandigram Case: নন্দীগ্রাম মামলা কী শুনবেন কৌশিক চন্দ? বুধবার রায়

ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাশে। কিন্তু বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ, এমন দাবি করে মামলা সরানোর আর্জি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৪ জুন সেই আবেদনের শুনানি হয়েছিল। কেন কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে মামলা সরানোর কথা বলা হচ্ছে, তা তুলে ধরেন মমতার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। আগামী বুধবার সেই আবেদনের রায় দেবে হাইকোর্ট। অর্থাৎ বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানাবেন, তিনি মামলাটি নিজের এজলাশে রাখছেন কি না।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে লাইনচ্যুত আপ হাওড়া-রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের বগি, অল্পে রক্ষাআগেই সংশ্লিষ্ট বিচারপতির ইতিহাস টেনে মমতা দাবি করেন, আইনজীবী থাকাকালীন কৌশিক চন্দ সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। তিনি এই মামলার বিচার করলে রায় পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মহলের একাংশও ডেপুটেশন দিয়ে জানিয়েছিলেন, কোনওভাবেই যেন বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলার শুনানি না হয়। তবে তারপরও বিচারপতি চন্দের এজলাসেই মামলার শুনানি চলে।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেগত ২৪ জুন মমতার আবেদনের পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, বিচারপতি চন্দের নিজেরই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানো উচিৎ৷ মামলার নিরপেক্ষতা নিয়ে কেন সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে, বিচারপতি চন্দ তা অভিষেক মনু সিংভির কাছে জানতে চান। বিচারপতিও বলেন, মমতার আইনজীবীর তালিকায় যদি বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য থাকতে পারে, তাহলে বিচারপতির ক্ষেত্রে অসুবিধা কোথায়?

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

Gang Rape: গলসিতে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির

গলসিতে বিধবা আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সভনেত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জু কর সহ সমিতির জেলা সম্পাদিকা সুপর্না ব্যানার্জী, জেলা সভানেত্রী মণিমালা দাস, স্থানীয় নেত্রী পুস্প দে, সদস্যা কাজী জবুন্নেসা ও পুতুল সেখ প্রমুখরা রবিবার পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানায় হাজির হন। তাঁরা গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে এদিন থানায় স্মারকলিপি জমা দেন।নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েও পাশে থাকার আশ্বাস দেন মহিলা সমিতির সদস্যরা। আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরগলসির সাঁকো গ্রামের ওই বিধবা আদিবাসী মহিলা গত বৃহস্পতিবার পাশের পাড়ায় বিয়ে বাড়িতে যান । অভিযোগ, ওইদিন রাতে যুবকের দল তাঁকে বিয়ে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে এই বিষয়টি জানানানি হয়। তদন্তে নেমে গলসি থানার পুলিশ ওইদিনই এলাকা থেকে উত্তম বাউরি নামে অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করে । শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে হেপজতে নিয়ে পুলিশ ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কার্যালয়ে কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি, জল্পনা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বেরমহিলা সমিতির জেলা সভানেত্রী মণিমালা দাসের অভিযোগ, আগেও গলসিতে একজন ছাত্রী, একজন তপশিলি জাতির মহিলা ও দুইজন আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। পর পর হওয়া এই ঘটনা প্রমান করে যে গলসি থানা এলাকায় মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ঠিক নেই গলসিতে। পূর্বেকার ওইসব ঘটনা বিষয়েও তাঁরা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু দোষীদের শাস্তি হয়নি। এত কিছুর পরেও ফের সাঁকো গ্রামের বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনা সেই গলসিতেই ফের ঘটলো।গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রীরা এদিন গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল অভিক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

TET Exam: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে স্থগিতাদেশ

আইনি জটে ফের আটকে গেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক মামলা জমা পড়েছে আদালতে। তার ভিত্তিতে আপাতত উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক দিন আগেই যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পুজোর আগে নিয়োগপ্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে এদিন ১৪ হাজার ৩৩৯ পদে নিয়োগ আটকে গেল। আগামী ৯ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে।আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার বলি ৭৯৮ জন চিকিৎসকমঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু মামলাকারীদের অভিযোগ, ইন্টিরভিউয়ের তালিকা তৈরিতে বেনিয়ম হয়েছে। ন্যূনতম কত নম্বর পেলে ইন্টারভিউয়ে ডাক, তার কোনও উল্লেখই নেই সাইটে। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ করা হচ্ছে না। বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাচ্ছেন না। তাতেই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ নিয়ে বুধবার বিকেলেই জরুরি বৈঠকে বসছে স্কুল সার্ভস কমিশন (এসএসসি)। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হবে।

জুন ৩০, ২০২১
রাজ্য

নির্যাতিতাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করল জাতীয় মহিলা কমিশন

হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসায় অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলতে সোমবার বর্ধমান সার্কিট হাউসে আসেন মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই ও তাঁর টিম ।পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও নদিয়া থেকেও নির্যাতিতরা বর্ধমান সার্কিট হাউসে এদিন হাজির হয়েছিলেন। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত তিনি মোট ১৭২ জনের সঙ্গে কথা বলেন । অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ, ফোন নম্বর, ঠিকানা কমিশনের সদস্যরা নথিবদ্ধ করেন। আরও পড়ুনঃ দত্ত কুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদনএদিকে অভিযোগ নথিভুক্তকরণ চলার মাঝেই কয়েকজন অত্যাচারিতা কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে চাওয়ায় তাঁদের নানারকমভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছ পুলিশের তরফে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই সার্কিট হাউসের ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে পুলিশ কর্তাদের সামনে হাজির হন রাজুলবেন এল দেশাই । স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার তো মনে হচ্ছে কোনও না কোনওভাবে তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা শুধু নজরদারি করুন। এই বিষয়ে পুলিশ সুপার কামনাশীস সেনের যদিও দাবি, পুলিশ কাউকে আটকায়নি। তবে কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই আরও বলেন, অত্যাচারিতদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। এটা গোপন ব্যাপার। হাইকোর্টে এর রিপোর্ট জমা করতে হবে।

জুন ২৯, ২০২১
দেশ

One Nation One Ration Card: এক দেশ এক রেশন কার্ড নিয়ে রাজ্যগুলোকে কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট, জেনে নিন

এক দেশ, এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালুর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই প্রকল্পটি কার্যকর করতে হবে। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রকে বেশ কয়েকটি নির্দেশও দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) দিকে।মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এক দেশ, এক রেশন কার্ড-এর কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অনলাইন পোর্টাল (Portal) চালু করুক কেন্দ্র। তাতে প্রত্যেকের রেজিস্ট্রেশন থাকা চাই। বিশেষ করে অসংগঠিত ও পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই তথ্যগুলি যাতে নির্ভুলভাবে নথিভুক্ত করা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে কেন্দ্রকে। গোটা কাজ শেষ করতে ৩১ জুলাই পর্যন্তই সময়। তারপরই যাতে গোটা দেশে এক দেশ, এক রেশন কার্ড (One Nation, One Ration card) চালু হয়ে যায়, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ রয়েছে শীর্ষ আদালতের।আরও পড়ুনঃ আজ বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকের আলোচ্যসূচি ও কৈলাসের উপস্থিতি নিয়ে জল্পনাপরিসংখ্যান মতে, দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি, অসম ও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প এখনও চালু হয়নি। তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র সরকারের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ রেশন দোকানে ই-পিওএস (ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল) যন্ত্র বসে গিয়েছে। এই যন্ত্রে রেশন কার্ডের আসল মালিকই চাল-গম নিতে এসেছেন কি না, তা চিহ্নিত করা যায়। ৮০ শতাংশ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণও হয়ে গিয়েছে। ফলে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালু করতে কোনও বাধা নেই। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রকল্প চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের আরও সুবিধা হবে।

জুন ২৯, ২০২১
রাজ্য

Bar Council: রাজেশ বিন্দলের অপসারণের চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রাজ্য বার কাউন্সিলের

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বার কাউন্সিলের। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি (CJI) এনভি রামানাকে চিঠি লিখলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা। তাঁদের আবেদন, একাধিক মামলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত রাজ্য সরকারের মামলাগুলির ক্ষেত্রে তা বেশি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বদলের আবেদন রাজ্য বার কাউন্সিলের।আরও পড়ুনঃ জম্মু বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ, উপত্যকায় আতঙ্কসূত্রের খবর, এদিন চিঠিতে একের পর এক পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা (Bar Council Of West Bengal)। তাতে একের পর এক নারদ (Narada case), নন্দীগ্রামের (Nandigram case) মতো রাজ্য সরকারের মামলাগুলিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভূমিকা খুব একটা সন্তোষজনক নয়। এর সপক্ষেও তাঁরা যুক্তি সাজিয়েছেন। চিঠি পাঠনো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কাছে। প্রসঙ্গত, নারদ মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। গত সপ্তাহে তার শুনানিতে হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা করে নতুন করে নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। সেসব প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে বার কাউন্সিলের চিঠিতে।সূত্রের খবর, মূলত নারদ মামলায় প্রধান বিচারপতির ভূমিকাতেই অসন্তোষ এবং সংশয় প্রকাশ করেছে রাজ্যের বার কাউন্সিল। বিশেষত যেভাবে ধৃত চার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীর জামিন সিবিআই আদালত মঞ্জুর করার পর হাইকোর্ট তার বিরোধিতা করে, মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর দায়ের করা হলফনামা গ্রহণ অরাজি হন, তাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষ, তা বলা যায় না। এমনই মনে করছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্যরা। আর তাই তাঁর অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রবিবার।

জুন ২৭, ২০২১
দেশ

Narad-Supreme Court: মমতার আবেদনে সাড়া সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্টকে হলফনামা জমা নেওয়ার নির্দেশ

নারদ মামলায় (Narada case) কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের দায়ের করা হলফনামা গ্রহণ করতে হবে হাইকোর্টকে (Calcutta HC)। এই মর্মে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৯ জুন, মামলার পরবর্তী শুনানির দিনই তা গ্রহণ করতে হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটককে নতুন করে হলফনামা জমা দিতে হবে। তা রেকর্ডও করতে হবে। এমনই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে নারদ মামলায় আপাতত স্বস্তিতে রাজ্য সরকার।আরও পড়ুনঃ ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে কারগিল থেকে ধৃত ৪ পড়ুয়ামুখ্যমন্ত্রীদের জবাবি হলফনামা গ্রহণ করে উচ্চ আদালত। সময়ের মধ্যে হলফনামা পেশ করা হয়নি, এই যুক্তিতে তাঁদের হলফনামা উচ্চ আদালত তা খারিজ করে। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২১ তারিখ নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে মঙ্গলবারের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে শুনানির কথা থাকলেও, শুরুতেই নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। তৈরি হয় নতুন বেঞ্চ। বিচারপতি বিনীত শরণ ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর নতুন বেঞ্চ তৈরি করে শুনানি হয়। এরপর শুক্রবার নারদ মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা জানান, কলকাতা হাইকোর্টকে এই হলফনামা গ্রহণ করতে হবে। নতুন করে হলফনামা পেশ করতে হবে এবং তার রেকর্ড রাখতে হবে।

জুন ২৫, ২০২১
কলকাতা

Nandigram Case: নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত

নন্দীগ্রাম মামলা অন্যত্র সরানো হবে কি না, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta HC) শুনানি শেষে আজ রায়দান হল না। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ থেকে মামলা অন্যত্র সরানোর আর্জি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানির কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। এদিনের মতো রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ১৭ জুলাই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এই মুহূর্তে দুটি মামলার শুনানি চলছে। প্রথমত, মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে স্থানান্তরের। দ্বিতীয়, নন্দীগ্রামের ভোট ফলাফলের পুনর্গণনার। তবে বৃহস্পতিবার প্রথম মামলার শুনানিই হয়েছে। দ্বিতীয় বিষয়টি ধরা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারীকে হাজির থাকতে হয়। তাই বৃহস্পতিবারের শুনানিতে ভার্চুয়ালি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সূত্রের খবর, তিনি শুরুতেই বিচারপতির কাছে মামলা স্থানান্তরের আবেদনের পক্ষে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে একাধিকবার আবেদন করা সত্ত্বেও কেন মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন না বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তাতে বিচারপতি জানান, এই মামলা শুনতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

জুন ২৪, ২০২১
দেশ

Narad Case: শুনানি থেকে সরলেন সুপ্রিম কোর্টের বাঙালি বিচারপতি

বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নারদ মামলার শুনানি থেকে নিজেক সরিয়ে নিলেন এই বিচারপতি। মঙ্গলবারই নারদ সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) দায়ের করা মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও অনিরুদ্ধ বসুর এজলাসে। কিন্তু দিনের শুরুতেই মামলা শুনানি হওয়ার ঠিক আগেই তা শুনতে গররাজি হন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুও সেই পথেই হাঁটলেন।আরও পড়ুনঃ ফের আলাপনকে চিঠি কেন্দ্রর, এবার অভিযোগ শৃঙ্খলাভঙ্গেরনারদ মামলায় (Narada scam) কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মামলায় রাজ্যের তরফে পেশ করা হলফনামা গ্রহণ করেনি উচ্চ আদালত। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদলতে মামলা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মামলাটি গৃহীত হওয়ার পর মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল দুই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে। কিন্তু নারদ মামলা শোনা থেকে অব্যাহতি চান দ্বিতীয়জন।ফলে শুনানি নিয়ে আপাতত তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

জুন ২২, ২০২১
রাজনীতি

Narad-Case: এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী

নারদ মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ তাঁর হলফনামা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদলতে মামলা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার হবে শুনানি।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ৩২হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরমে মাসের ১৭ তারিখ নারদ মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তারপরই নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।দপ্তরের বাইরে ভিড় এত বেড়ে যায় যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করে সেই ভিড় সামলাতে হয়। এই ঘটনাকে খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের অভিযোগ, জনপ্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে চাপ তৈরি করছে দল। সিবিআই আধিকারিকদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।সেই ঘটনাকে ঘিরে তুঙ্গে পৌঁছয় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে পার্টি করে মামলা করে সিবিআই। তারপরই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে হলফনামা দায়ের করার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই হলফনামা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। তারপরই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

জুন ২১, ২০২১
কলকাতা

Post poll violence: রাজ্যের আর্জি খারিজ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দিল হাইকোর্ট

ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় কলকাতার হাইকোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ হয়ে গেল। আগের নির্দেশই বহাল রাখল উচ্চ আদালত। সোমবার দিনের শুরুতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদন শোনার পর তাঁরা তা খারিজ করে দেন। ১৮ জুনের নির্দেশ বহাল রাখেন। যুক্তি হিসেবে জানানো হয়, রাজ্যকে আগে সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও কাজ হয়নি। তাই সেই ভার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) হাতে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। গত ১৮ তারিখ, শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা হাইকোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আরও একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। সেই কমিটি ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। তাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে রবিবার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর আবেদন ছিল, এখনই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে না জড়িয়ে রাজ্যকে আরও একবার সুযোগ দেওয়া হোক। আরও পড়ুনঃ ২০টি চুরি করে পুলিশের জালে ইংরেজিতে এমএ পাশ যুবকএদিন মামলার শুনানির শুরুতেই বিচারপতিরা স্পষ্ট জানান, এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তার জন্য রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে একটি কমিটিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ঘরে ফেরানো তো হয়ইনি, এমনকী এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগই সেভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি। রাজ্য সরকারের এই উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ উচ্চ আদালত।

জুন ২১, ২০২১
কলকাতা

Post-poll violence: হাইকোর্টের নির্দেশের স্থগিতাদেশের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানাতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রবিবারই তিনি আবেদন জানাতে পারেন বলে খবর। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC) আরও একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। সেই কমিটি ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। সেই অন্তর্বর্তী নির্দেশের উপরই স্থগিতাদেশ চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২ মে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপির (BJP) অভিযোগ, ব্যাপক হিংসা চলছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন শাসকদলের কর্মীরাই। বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা ভয়ে এলাকাছাড়া হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ ভিনরাজ্যেও পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। একটা নির্বাচিত সরকার আসার পর এ ধরনের হিংসা কাম্য নয় বলেও একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সমর্থকদের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলাও দায়ের করেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মামলার শুনানিতে ভিনরাজ্যে চলে যাওয়া বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ফেরানো নিয়ে পদক্ষেপ করতে মানবাধিকার কমিশনের তত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই কমিটি বিশেষ কাজই করেনি। এখনও ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো যায়নি। এমনকী এ বিষয়ে রাজ্য সরকারও যথেষ্ট উদসীনতার পরিচয় দিয়েছে। অথচ এই সমস্যা সমাধানে রাজ্যেরই সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেওয়ার কথা, এমনই উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা।

জুন ২০, ২০২১
কলকাতা

Sarada Scam: ৭ বছর পর জামিন দেবযানীর

সারদা (Sarada scam) মামলায় জামিন পেলেন অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে এ রাজ্যের সমস্ত মামলা থেকে জামিনের অনুমতি দেয়। তবে অন্যান্য রাজ্যে যে সারদা মামলা রয়েছে, তাতে দেবযানী থাকবেন অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবেই। শনিবার এমনই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। অসম, ওডিশায় সারদার বেশ কয়েকটি মামলা চলছে এখনও। আর সে কারণেই জামিন পেলেও তাঁর জেলমুক্তি নিয়ে জটিলতা থাকছে। তবে ৭ বছর পর সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস-সহ একাধিক মামলার খাঁড়া আর রইল না দেবযানীর মাথার উপর।২০১৩ সালে সারদা মামলায় ২২ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর ছায়াসঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukherjee)। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস মামলায় অভিযুক্ত হন দেবযানী। তিনি রাজ্যের সমস্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। এই মামলা চলছিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে। এই মুহূর্তে যাবতীয় চিটফান্ড মামলার সমস্ত শুনানি চলছে তাঁর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চেই। দেবযানীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সময় চায়। কিন্তু হাইকোর্ট সময় দিতে চায়নি। শনিবার এই মামলায় বিশেষ বেঞ্চ বসানো হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই বেঞ্চেই জামিন মঞ্জুর হয় দেবযানীর। আদালত সূত্রে খবর, ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মিলেছে জামিন।তবে এখনই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না সারদার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। কারণ, এ রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ১০০ টিরও বেশি মামলা রয়েছে দেবযানীর বিরুদ্ধে। সেসব চার্জশিট জমা পড়েনি এখনও। এছাড়া গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বরেও চলছে মামলা। তাই আপাতত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।

জুন ১৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal