• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bjp

রাজ্য

ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন দিলীপ ঘোষ

হাওড়ার আমতায় আইএসফের ছাত্র নেতা আানিস খানের রহস্যজন মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই অবস্থার মধ্যেই রবিবার বর্ধমানে জনসংযোগে এসে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে স্বোচ্চার হলেন। পুলিশ কর্মী সেজে বাড়িতে গিয়ে কারা আনিস খানকে খুন করলো তার তদন্ত দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেন,পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক খুন নতুন কিছু নয়।পশ্চিমবঙ্গে এনকাউন্টার হয় সেটা জানা নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গে এনকাউন্টার হলে এত দুর্বৃত্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সমস্ত সময়টা বিজেপিকে ঠেকাতেই চলে যাচ্ছে।রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো নজর নেই। পুরভোট থাকায় এদিন সকালে বর্ধমানের বীরহাটা মোড় থেকে রানীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত জনসংযোগ যাত্রা করেন দিলীপ ঘোষ। পরে তিনি রানীগঞ্জ বাজারে চা চক্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে দিলীপ ঘোষ আরো বলেন ,প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে। ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন আনিস খান।পুলিশ কর্মী সেজে বাড়িতে গিয়ে কারা এই আনিস খানকে খুন করলো সেই প্রশ্নই এখন সারা রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে রজ্যপাল ডেকেছেন।ওনার সৌজন্য দখিয়ে যাওয়া উচিত।কারণ লক্ষ্মী ভাণ্ডার ও দিদির ভাইয়েদের পেট ভরাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটা দেউলিয়া হেয়ে যাচ্ছো। একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ ষ্পষ্ট জানিয়েদেন, দেশে বহু মানুষ সিএএ এর বিরোধিতা করছে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। দিনহাটার গুলি কাণ্ড প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, উদয়ন গুহ গুণ্ডা পুষে রাখেন।তারাই খুন করেছে কিনা তারও তদন্ত হওয়া উচিৎ।যদিও দিলীপ ঘোষের এইসব মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডুর সাফ জবাব, বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের হতাশা থেকে দিলীপ ঘোষ এই সব মন্তব্য করছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নয় ,বিধনসভা ভোটের পর এই রাজ্যে বিজেপি দলটাই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে ।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

সিবিআই ঠিকমতো তদন্ত করলে তৃণমূল কংগ্রেসের অর্ধেক নেতা জেলে থাকতো, আক্ষেপ রাহুল সিনহার

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিও এবার ভরসা হারানোর অবস্থা তৈরি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। তেমনটাই সুর শনিবার শোনা গেল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কথায়। পুরভোটের প্রচারে এদিন বর্ধমানে এসে রাহুল সিনহা সিবিআই এর বিরুদ্ধে তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ করেন।রাহুলবাবু বলেন,রাজ্যে যেভাবে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছে ।সিবিআই যদি ঠিক মতো তার তদন্ত করতো তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের অর্ধেক নেতা জেলে থাকতো। সিবিআই এর উচিত তদন্তের গতিকে আরও তরান্বিত করা। পাশাপাশি রাহুল সিনহা পুর ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হন। বর্ধমান পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন প্রচারে অংশ নেন রাহুল সিনহা।প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল সিনহা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।পাশাপাশি তিনি এও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের তরফে হুমকি দিয়ে বিজেপির প্রার্থীদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।এই প্রসঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন ,তৃণমূলের স্বজনপোষণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ভোট ঠিকঠাক হবে কিনা সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভোট দিতে দিক। মানুষ ভোট দিতে পারলে বর্ধমান সহ সারা বাংলার সব জায়গাতেই বিজেপি জয়লাভ করবে।বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার এইসব বক্তব্যকে কোন গুরুত্বই দিতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রি অরুপ বিশ্বাস। উল্টে রাহুল সিনহাকে কটাক্ষ করে অরুপবাবু বলেন, রাহুল সিনহা নিজে কখনও কোন নির্বাচনে জেতেন নি।সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে।রাহুলবাবু আগে পঞ্চায়েতের মেম্বার হন ।তার পর ওনার কথার উত্তর দেব।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
রাজনীতি

মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি চলে দাউদের টাকায় আর বাংলার ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে খাটে গরু ও কয়লা পাচারের টাকাঃ দিলীপ

গরু পাচার মামলায় বাংলার অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে তলব করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তলব পেয়ে মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন দেব। সিবিআই অফিসাররা টানা পাঁচ ঘন্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। সিবিআই দেবের বয়ানও রেকর্ড করে।আর দেবের সিবিআই এর জেরার মুখোমুখি হওয়া নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতা তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ যা বললেন তা কার্যত চমকে দেওয়ার মতোই। এদিন বর্ধমানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে লাগে দাউদ ইব্রাহিমের টাকা।কিন্তু পশ্চিম বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যে গুরু ও কয়লা পাচারের টাকা লাগে সেটাও এখন জানা যাচ্ছে।দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্য বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ ও রাজনৈতিক মহলে কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে।দিলীপ ঘোষ অবশ্য এদিন নিজের মুখেই স্বীকার করে নেন, সিবিআই ডেকেছে মানেই তিনি দোষী এমনটা নয়। একই সঙ্গে দেবকে উদ্দেশ্য করে দিলীপবাবু বলেন ,সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ সাব্যস্ত করবেন ।সিবিআই যে তথ্য চাইবে সেটাও দিয়ে দেওয়া উচিৎ।গুরু পাচার কাণ্ড নিয়ে সিবিআই এর তদন্তকে সমর্থন জানিয়ে দিলীপ ঘোষ এও বলেন,পশ্চিম বাংলায় বালি,কয়লা,পাথর,গরু পাচারে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে সেটা সবাই জানে। দোষীরা যাতে সাজা পায় তার চেষ্টা বহু বছর ধরে আমরা করছিলাম।এখন সিবিআই, ইডি সেটাই করছে ।আমরা চাই যত বড় বড় অপরাধী বাংলার রাজনীতিকে কলুষিত করেছে তারা সবাই শাস্তি পাক। এছাড়াও আমরা চাই সারা বছর এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রীয় থেকে সমস্ত দোষীকে ধরুক। কারণ এই রাজ্যে পুলিশের উপরে কারুর ভরসা নেই ।পুলিশের সামনেই অপরাধ হয়। তা নাহলে পুলিশের সামনে গুরু, কয়লা, বালি পাচার হচ্ছে কি করে। বাংলা যাতে অপরাধ মুক্ত হয় তার জন্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। বিজেপি নেতাদের বারে বারে আদালতে দরবার করা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন ,এই রাজ্যের সরকার,পুলিশ কেউ কোন কথা শোনে না। রাজ্য পালের কথাও শোনে না। এই পরিস্থিতিতে কোর্টই এক মাত্র রাস্তা । তাই আমরা কোর্টে যেতে বাধ্য হয়েছি। পাশাপাশি পুর ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে দিলীপ ঘোষ শাসক দলকে এক হাত নেন।পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস দলকে ডাকাতের দল বলে অবিহিত করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওই দলে একজন সর্দার তথা ডাকাতরাণী আছেন।বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের এই সব মন্তব্য কে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু। একই সঙ্গে তিনি বলেন ,শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দিলীপ ঘোষ বাংলার ভাবমূর্তি ও বাংলা চলচ্চিত্র জগৎতের সুনাম নষ্ট করতে চাইছেন। বাংলার মানুষ বিজেপিকে কোন দিনও ক্ষমা করবে না।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
কলকাতা

বিধাননগরে একাধিক ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

বিধাননগর ভোটের শুরুতেই ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ বিরোধীদের। লাইনেই রয়েছে বহু ভুয়ো ভোটার। এমনই অভিযোগ বিধাননগর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার।শনিবার ভোটের শুরুতেই দেবাশিস জানা বিএফ কমিউনিটি সেন্টারে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ভোটার লাইনে এক ব্যক্তিকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি তাঁকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন। খুবই সাধারণ প্রশ্ন, ওই ব্যক্তির বাবার নাম জিজ্ঞাসা করেন দেবাশিস জানা। বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য, ওই ব্যক্তি তাঁর বাবার নামই বলতে পারেননি। বেশি চাপাচাপি করতে তিনি লাইন ছেড়ে বেরিয়ে যান। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, লাইনে বহু ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি এজেন্টদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।অন্যদিকে, বিধাননগর ১৮৫ নম্বর বুথেও উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থী পিয়ালি বসুর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে অন্য একটি দরজা তালা খোলা অবস্থায় ছিল। তা দেখে তিনি আপত্তি জানান। পরে তালা বন্ধ করা হয়। প্রসঙ্গত, বিধাননগরে অশান্তি এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।বিধাননগর ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ ও অবাধে হয়, তার জন্য শুক্রবারই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ছিল হাইকোর্টের। আদালত নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করে দিয়েছিল, বিধাননগরের ভোটে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, তার দায় থাকবে কমিশনের ওপর। আর তার জবাবদিহি করতে হবে কমিশনারকে। সেক্ষেত্রে এদিনটা কমিশনের কাছেও অনেকটাই চ্যালেঞ্জের বলে মনে করা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
কলকাতা

মুকুল রায় বিজেপিরই বিধায়ক! জানিয়ে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ

মুকুল রায় দলত্যাগ করেননি। দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে শুক্রবার মুকুল রায়ের দলত্যাগ মামলায় সিদ্ধান্ত জানালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। কোনও দলত্যাগ হয়নি বলেই এদিন জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মুকুল রায়ের দলত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ তাঁর হাতে আসেনি। এই দলত্যাগ নিয়ে বারবার বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হলেও, এর সপক্ষে তেমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি অভিযোগকারীরা।অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। অর্থাৎ বিজেপির টিকিটে জয়ী মুকুল রায় যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এর কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই এই মামলা তিনি খারিজ করে দিচ্ছেন।মুকুল রায় এক দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন, তার প্রমাণ দিতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। শুভেন্দু অধিকারীর একটি ৬৪ পাতার পিটিশন দাখিল ঘিরেই এই মামলার শুরু। গত ১১ জুন এই পিটিশন দেন তিনি। এর পর ১২টি শুনানি হয় এই নিয়ে।কিন্তু মুকুল রায়ের আইনজীবীরা শুনানি পর্বে বারবার দাবি করেন, কোনও দলত্যাগ ঘটেনি। সে সময় মুকুল রায়ের কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। সে কারণেই অন্য একটি রাজনৈতিক দলের দফতরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তা সৌজন্যের কারণে গিয়েছিলেন। কোনও পতাকা তিনি হাতে নেননি।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
কলকাতা

নির্বাচন কমিশনের সামনে বিজেপির ঘেরাও অভিযানে ধুন্ধুমার

একাধিক বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। বিজেপ কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন।আটক করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকেও।বিজেপির যুব মোর্চার মিছিল কমিশনের অফিসের সামনে পৌঁছতেই ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের ধস্তাধস্তি। রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশও। বিজেপির অভিযোগ, পুরভোটে রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে শাসকদল। বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। কোথাও বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে গুলি, কোথাও বিজেপি প্রার্থীদের রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠছে। রাজ্যজুড়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলছে বিজেপি। এক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ একাধিক জেলাতে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি । আর নির্বাচন কমিশন ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে । রাজ্য নির্বাচন কমিশন দল দাসে পরিণত হয়েছে ।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
রাজনীতি

মাঝরাতে খড়গপুরে বিজেপির চমক বিধায়ক হিরণ

খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি। হিরণকে সামনে রেখেই খড়্গপুর পুরসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি। গত বৃহস্পতিবার ভোটের যে কমিটি ঘোষণা করা হয় তাতে প্রচার কমিটির আহ্বায়ক করা হয় হিরণকে। ফলে জল্পনা চলতে থাকে, পুরসভা নির্বাচনে কি হিরণকে প্রার্থী করবে বিজেপি? সেই জল্পনাকেই সত্যি করে সোমবার গভীর রাতে বিজেপি যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে হিরণকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই প্রেমবাজার-হিজলি এলাকায় থাকছেন হিরণ। নাম তুলেছেন ভোটার তালিকায়। এ বারে খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনের প্রচার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে তাঁকে। কয়েক দিন আগেই দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন তিনি। ওই ওয়ার্ডের দীর্ঘ দিনের তৃণমূলের নেতা জহর পাল এ বারেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতৃত্ব।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
কলকাতা

সল্টলেকে বিজেপি-র মিছিলে ধুন্ধুমার! রাস্তায় বসে প্রতিবাদ শুভেন্দুর

বিধাননগরে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার ইজেডসিসি থেকে বিধাননগর কমিশনারেট পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, মিছিল শুরু হওয়ার কিছু পরেই বিধাননগর পুলিশ ব্যারিকেড করে তা আটকে দেয়। এরপরই রাস্তায় বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। বসে পড়েন দলের বাকি নেতা কর্মীরাও। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, তার পর বাধা পেয়ে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কমিশনারেটের অফিসের সামনে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পুরভোটের আগে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে রাজ্যের শাসক দল। তাঁর মন্তব্য, বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। রাজ্যপাল যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন।শুভেন্দু বলেন,গত মঙ্গলবার সল্টলেকে বিজেপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আট দিন কেটে যাওয়ার পরও তাদের ধরা হয়নি কেন, পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোড়েন তিনি। বিজেপি বিধায়কের কটাক্ষ, ৮০০ বিজেপি কর্মীকে আটকাতে দুহাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিধাননগর পুর নির্বাচনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হামলা চালানো হয়েছে বলে বিজেপি-র অভিযোগ। আঙুল তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ, আচমকাই কয়েক জন দুষ্কৃতী জোর করে কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। বিজেপি কর্মীরা তাঁদের বাধা দিতে গেলে, তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাদ যাননি মহিলা কর্মীরাও। শুভেন্দুর অভিযোগ, মারধর করার পাশাপাশি কার্যালয় ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। বিজেপি-র দলীয় পতাকা, প্রচারের জন্য থাকা হোর্ডিং ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা ছাড়া দলের কার্যালয়ে থাকা একাধিক কম্পিউটার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এ পর্যন্ত কাউকে ধরা হয়নি বলে অভিযোগ।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
দেশ

রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য হুইপ জারি বিজেপির

রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য হুইপ জারি করল বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে দলের রাজ্যসভার সব সাংসদদের ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের তরফে দলের রাজ্যসভার সাংসদদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যসভার সমস্ত বিজেপি সাংসদদের জানানো হচ্ছে যে ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাজ্যসভায় কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যসভায় বিজেপির সমস্ত সাংসদরা তাই ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দিন সংসদ ভবনে অবশ্যই যেন উপস্থিত থাকেন এবং সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন। বিজেপির জারি করা হুইপ নিয়েও রাজনৈতিক মহলে এবং সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বলেছেন, বিশেষ কিছুই ঘটবে না। রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য ধন্যবাদ প্রস্তাবে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে একটি সংশোধনীর জন্য চাপ দিতে পারে। এ কারণেই হুইপ জারি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই হুইপ নিয়ে আরও অনেকেই নিজেদের মতামত দিচ্ছেন।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজনীতি

মতুয়া, জঙ্গলমহল ছাড়িয়ে এবার পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ, সভাপতি পদ ছাড়লেন যুব নেতা

রাজ্য ছাড়িয়ে এবার পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি শিবিরেও ছড়িয়ে পড়ল বিদ্রোহের আগুন। বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দলের যুব সভাপতির পদ ছাড়লেন শুভম নিয়োগী। পদত্যাগ করেই তিনি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও একনায়কতন্ত্রসহ একাধিক অভিযোগ সামনে এনে সোচ্চার হয়েছেন। সামনেই বর্ধমান সহ গোটা জেলার পাঁচটি পৌরসভার নির্বাচন। তার প্রাক্কালে জেলা বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ শুরু হওয়ায় উৎফুল্ল তৃণমূল শিবির। শুভম নিয়োগী এদিন বলেন, তাঁর বয়স যখন ১৭ তখন থেকে তিনি বিজেপি পার্টি করছেন। শুধুমাত্র বিজেপি পার্টি করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা হয়েছে। দুবারে ২৮ দিন জেল খেটেছেন। ২০ বছর বয়সে জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব পান। বর্তমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা দলের হয়ে তেমন কোনও আন্দোলনই সংঘটিত করতে পারেননি। তিনি ভয়ে নিজের বাড়িতে বা ফ্লাটেও থাকেন না। অথচ জেলা সভাপতি হয়ে তিনি নিজের ইচ্ছেমত জেলা কমিটি বানিয়ে ফেলেছেন। যে কমিটিতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কেউ স্থান পাননি। শুভববাবু বলেন, এই সব ঘটনার তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু জেলা সভাপতি নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন। সেই কারণেই জেলা যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে শুভম নিয়োগী জানিয়েছেন। এদের এনিষ্ঠ কর্মী হয়েই এবার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পথে নেবে প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত করবেন বলে শুভম নিয়োগী এদিন হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে শুধু শুভম নিয়োগী বিদ্রোহ ঘোষনা করেছেন এমনটা নয়। তলে তলে জেলা বিজেপির অনেক নেতা ও কর্যকর্তা বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সামনেই বর্ধমান সহ জেলার পাঁচ পৌরসভার নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের নানা দুর্নীতির খবর মিডিয়াতে উঠে আসছে। কিন্তু সেইসব বিষয় নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি আন্দোলন নামার কোন আগ্রহই দেখাচ্ছেন না। এমনকি অন্যান্য রাজ্যনৈতিক দলগুলি দেওয়াল লিখন শুরু করলেও জেলা বিজেপি এখনও সেই কর্মসূচি শুরুই করতে পারেনি। বিদ্রোহীদের আরও অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রচুর ভোটার রয়েছেন। সেই মতুয়া সম্প্রদায়ের কাউকেই নতুন জেলা কমিটিতে রাখেননি নতুন জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা। এইসব বিষয়গুলি রাজ্য নেতৃত্বকে অভিযোগ আকারে জানিয়েছেন শুভম নিয়োগী সহ অন্য বিদ্রোহীরা।বিদ্রোহীদের এইসব অভিযোগ বিষয়ে জেলা সভাপতি অভিজিৎ যদিও কোন প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ- সভাধিপতি দেবু টুডু বিজেপি শিবিরের এই বিদ্রোহ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন ,রাজ্য থেকে জেলা সর্বত্রই বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ চরম পর্যায়ে পৌছেছে। গোটা বিজেপি দলটাই পচে গিয়েছে। রাজ্যের মানুষও ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আর কিছুদিন বাদ এই রাজ্যে বিজেপি দলটাই সাইনবোর্ডে পরিণত হয়ে যাবে ।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

'আমার বিরুদ্ধে কি লুকআউট নোটিশ আছে? আমি কি মাওবাদী?' কেন বললেন শুভেন্দু

বিকাশভবনে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয় বিরোধী দলনেত শুভেন্দু অধিকারীকে। স্কুল-কলেজ কবে খুলবে তা জানতেই ৫-৬ জন দলীয় বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সল্টলেকে বিকাশভবনে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পুলিশ তাঁকে বাধা দিতেই শুভেন্দু বলেন, আমার বিরুদ্ধে কি লুকআউট নোটিশ আছে? আমি কি মাওবাদী? পুলিশ আধিকারিক আমাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করছেন আমি কোথায় যাব! শুভেন্দুর প্রশ্ন, আমাকে রাস্তায় আটকাচ্ছেন কেন? শিক্ষা সচিব দেখা না করলে আমরা বেরিয়ে আসব। তারপরই তিনি স্লোগান তোলেন স্কুল-কলেজ খুলতে হবে। ১৫টা রাজ্যে স্কুল-কলেজ খুলেছে। এখানে কেন বন্ধ রাখা হচ্ছে।এদিন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গারা রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানান। ব্যাপক উত্তেজনা উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকে। পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতন্ডা চলতেই থাকে শুভেন্দু অধিকারীর। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হতে থাকে। পুলিশও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। পুলিশ জানিয়ে দেয়, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।কোভিড পরিস্থিতিতে একবার স্কুল খুলে কিছু দিনের মধ্যে তা বন্ধ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ একটু স্বাভাবিকের পথে যেতেই স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জোরাল হতে থাকে। শুধু বিজেপি নয় সমাজের নানা স্তর থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি উঠতে থাকে। বৃহস্পতিবার সল্টলেকের বিকাশভবনে শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে কয়েকজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। তখন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।শুভেন্দুর বক্তব্য, ২০০ জন নিয়ে বিয়েবাড়ি হতে পারে, দিনরাত মদের দোকান খোলা, আর স্কুল খুলতেই এই সরকারের সমস্যা? এদিন আটকালেও ফের তিনি বিকাশভবনে যাবেন বলেও ঘোষণা করেন{ রোজ কেউ না কেউ আসবেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের বক্তব্য, স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজনীতি

সাময়িক বরখাস্ত হয়ে রাজ্য নেতৃত্বরর উপরই ক্ষোভ উগরালেন জয়প্রকাশ-রীতেশ

বঙ্গ বিজেপির দীর্ঘদিনের সৈনিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতেই প্রথমে শোকজ নোটিস আর তারপর দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত। শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত থাকবেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। দলের এই কঠোর সিদ্ধান্তে যথেষ্টই অভিমানী দুই বিক্ষুব্ধ নেতা। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে জয়প্রকাশের গলায় সেই অভিমানের সুর স্পষ্ট।জয়প্রকাশ মজুমদার মঙ্গলবার বলেন, পশ্চিমবঙ্গের গত ৩৫ বছরের রাজনীতির সঙ্গে আমি সর্বতোভাবে সম্পৃক্ত হয়ে জড়িয়ে আছি। বিজেপিতে ২০১৪ সালে যোগ দেওয়ার পরের বছরই বিজেপি আমাকে রাজ্যের-সহ সভাপতি করে। তার পরের বছর আর একটি দায়িত্ব দেয়, যা অনেকেরই অজানা। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বিভাগ রয়েছে রাজ্য বিজেপির। তার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। তা কেন্দ্রকে নিয়মিত পাঠানোর দায়িত্ব ছিল আমার। সেই কাজ ২০২১ -এর নির্বাচনের আগে এবং পরেও আরও দুই-তিন মাস পর্যন্ত করেছি। কেন্দ্রীয় বিজেপিকে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার উপর বিশ্লেষণ পাঠানোর দায়িত্ব ছিল আমার।তিনি আরও বলেন, বিজেপি ২০১৬-র নির্বাচন তিনটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল। এরপর ২০১৯-এর নির্বাচনে আমরা ১৮ টি আসন জিতে আসি। বিজেপি এই রাজ্যে এক অভূতপূর্ব জায়গায় পৌঁছায়। প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে আসে। আমার তার পর থেকেই মনে হচ্ছিল, যে কোনও কারণেই হোক না কেন, বিজেপির এই উত্থানকে কেন্দ্রীয় কিছু নেতা এবং রাজ্যের কয়েকজন নেতা, ভালভাবে মেনে নিতে পারছেন না। বাংলার বিজেপিকে দুর্বল করার চেষ্টা শুরু হয়। ২০১৯ -এর পর থেকে এই বাংলায় দেখতে পাই, বাংলার যে নেতা কর্মীরা ১৮ টি আসন জেতাল এবং দুটি আসন অল্পের জন্য হেরে গেল এই পর্যায়ে বিজেপিকে নিয়ে আসল, তাদের উপর আর ভরসা করা যাবে না এমন একটা উদ্যোগ শুরু হল। হয় অন্য দল থেকে লোক নিয়ে আসতে হবে, নাহলে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে বাংলার বিজেপিকে তরী পার করাতে হবে। আমি তখন থেকেই কেন্দ্রের কাছে পাঠানো ফিডব্যাকে বলেছি, এটা ঠিক রাস্তা হচ্ছে না। কিন্তু সেই রিপোর্ট যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে খুব একটা প্রশংসিত হয়নি, সেই কথাও স্পষ্ট করে দেন জয়প্রকাশ।জয়প্রকাশের আরও অভিযোগ, কর্মীদের উপেক্ষা করছে নেতৃত্ব। বাংলায় বিজেপি কর্মীরা ভাল নেই। কোনও জেলা কমিটি আজও তৈরি হয়নি। বিক্ষোভ এড়াতে নেতাদের চুপ রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর আক্রমণের নিশানায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, মাত্র আড়াই বছর রাজনীতিতে এসেছেন সভাপতি। প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতারা আজ রাজ্য বিজেপিতে ব্রাত্য।মঙ্গলবার আরও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রীতেশ। তিনি বলেন, কদিন আগেই রাজ্য সভাপতি সব কমিটি এবং সেল ঘোষিত ভাবে ভেঙে দিয়েছেন। তবে যে কমিটি আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তারই তো স্বস্তি নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দলের তৎকাল নেতাদের অনেকে কোনও দিন রাজনৈতিক স্বার্থ ত্যাগ স্বীকার করেননি। তৃণমূলের সাহায্য নিয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি ঘটিয়েছেন। পেশা থেকে অনেক রোজগার করেছেন। এঁরা গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে দলের ক্ষতি করতে এসেছেন।বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কোনও আন্দোলন হয়নি। আমরা আদালতে গিয়েছি অনেকবার। কিন্তু যে কর্মীরা মার খেয়েছে, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো, সেই জেলায় যাওয়া, সেই মণ্ডলে যাওয়া তার থেকে সবাই বলেছে হাইকোর্টে গিয়ে সেটা কাগজে বেরোলে বেশি সাহায্য হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছিলেন, তখন তিনি হাইকোর্টের উপর নির্ভর করে লড়াই করেননি। তিনি মাঠে ময়দানে রাস্তায় নেমে লড়াই করেছিলেন। কারণ, সেটাই বাংলার রাজনীতি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ২০২১-এর নির্বাচনের পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফলের কোনও পর্যালোচনা হল না। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে কেউ কথা তুলতে গেলে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাইক অফ করে দিতে বলা হয়েছে।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
দেশ

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত বিজেপি বিধায়কের ছেলে-সহ ৭ ডাক্তারি পড়ুয়া, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বিজেপি বিধায়কের পুত্র-সহ আরও ৬ জনের।মৃতরা সকলেই ডাক্তারি পড়ুযা।সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওয়ার্ধা থেকে দেওলি অভিমুখে যাচ্ছিল গাড়িটি। সেই সময় সেলসুরার কাছে একটি সেতু থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা সাতজনেরই। তাঁরা সকলেই সাওয়াঙ্গি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া।Maharashtra | 7 medical students, including BJP MLA from Tirora constituency Vijay Rahangdales son Avishkar Rahangdale, died after their car fell from a bridge near Selsura around 11.30 pm on Monday (January 24) pic.twitter.com/Hc9WC7sZvx ANI (@ANI) January 25, 2022ঘটনায় টুইটে শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাশাপাশি, দুর্ঘটনাগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন নমো। টুইটেই জানিয়েছেন মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।Pained by the loss of lives due to an accident near Selsura in Maharashtra. In this hour of sadness, my thoughts are with those who have lost their loved ones. I pray that those injured are able to recover soon: PM @narendramodi PMO India (@PMOIndia) January 25, 2022দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে অন্যতম মহারাষ্ট্রের তিরোরা বিজেপি বিধায়ক বিজয় রাহাংদালের পুত্র আবিষ্কার রাহাংদালে। পবন শক্তি নামে আরও একজন ছিলেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বাকি চারজন ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র।PM @narendramodi announced that Rs. 2 lakh each from PMNRF would be given to the next of kin of those who have lost their lives in the accident near Selsura. Those who are injured would be given Rs. 50,000. PMO India (@PMOIndia) January 25, 2022

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজনীতি

ব্রেকিংঃ বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত, গুঞ্জন বাড়ল

শেষমেশ রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত করল দল। এর আগে রীতেশ তেওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রশ্নে শোকজ করেছিল দল। এবার সাময়িক বরখাস্ত করল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার রাজ্য বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে।রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটিতে শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই জায়গা পায়নি। এদিকে দলের মতুয়া নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের প্রতিনিধিদেরও ব্রাত্য রেখেছে রাজ্য বিজেপি। মূলত দলের বিক্ষুব্ধ অংশ ও মতুয়া প্রতিনিধিরা এক হয়ে নানান জায়গায় বৈঠক করছেন। এমনকী পিকনিকও চলছে দুই তরফের উপস্থিতিতে। তাঁদের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি তোপ দেগেছেন। গতকালও রীতেশ তেওয়ারী ও জয়প্রকাশ মজুমদারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তবে শুধু এই দুজন নয়, বঙ্গ বিজেপির বহু শীর্ষ নেতাই বৈঠকগুলিতে হাজির থেকেছেন। এবার সাময়িক বরখাস্ত করার পর আর কারও ওপর এই খাড়া পড়ে কিনা সেটাই এখন মূল চর্চা রাজনৈতিক মহলে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

ক্ষমতায় এলে পুলিশ দিয়ে এনকাউন্টার করার হুমকি বিজেপি বিধায়কের

শাসকদলকে এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারি দিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। ক্ষমতায় এলে পুলিশ দিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এনকাউন্টার করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।গয়েশপুরে বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামপদ দাসের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার চাঁদপাড়ায় রাস্তা অবরোধ করেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। সেখানেই স্বপন বলেন, গত কাল তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর লোকেরা জেলা সভাপতির উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এটা খুবই নিন্দনীয়। সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর অত্যাচার করছে তৃণমূল। এর পর বিজেপি বিধায়কের হুমকি, তৃণমূল তালিবানি শাসনে বিশ্বাসী। ওই দলের হার্মাদদের বলে দিতে চাই, আমরা ক্ষমতায় এলে এই পুলিশ দিয়েই আপনাদের এনকাউন্টার করা হবে।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে এমন কথা কীভাবে বললেন! আশ্চর্য হতে হয়। ওরা আসলে উত্তরপ্রদেশের পুলিশদের দেখে অভ্যস্থ। যখন-তখন এনকাউন্টার হয় ওখানে। সেই জন্য এসব বলে। এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ তুলে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান শংকর দত্ত বলেন, বিজেপি একটি উচ্ছৃঙ্খল দল। ওদের বিষয়ে যত কম বলা যায়, ততই ভাল। ওরা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে৷ ওরা পালানোর পথ পাবে না, বাংলার মানুষ তৈরি আছে। স্বপন মজুমদার একজন জালিয়াত। ওর বিরুদ্ধে মামলা চলছে৷ বিধায়ক পদ খারিজ হবে।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজনীতি

উত্তরপ্রদেশে যাদব পরিবারে বড় ভাঙন! বিজেপিতে যোগ দিলেন মুলায়মের পুত্রবধূ

উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। এক দিকে যখন বিজেপি ছেড়ে একাধিক বিধায়ক যোগ দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টিতে। তখন বড়সড় ভাঙন খাস যাদব পরিবারে। বিজেপিতে যোগ দিলেন মুলায়ম সিং যাদবের পুত্রবধূ তথা অখিলেশ যাদবের ভ্রাতৃবধূ অপর্ণা যাদব। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং-এর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন অপর্ণা।২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে সপার টিকিটে লখনউ ক্যান্টনমেন্ট থেকে লড়েছিলেন তিনি। তবে কংগ্রেসের রীতা বহুগুনা জোশীর কাছে হেরে যান তিনি। রীতা বহুগুনা জোশীও অবশ্য পরে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। বিজেপিতে যোগ দিয়ে অপর্ণা যাদব বলেন, আমি বিজেপির কাছে কৃতজ্ঞ। দেশ আমার কাছে সবসময় আগে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে কোনও কাজই প্রশংসার যোগ্য। তিনি উল্লেখ করেন, স্বচ্ছ ভারতের মতো বিজেপির বিভিন্ন উদ্যোগ বরাবরই তাঁর পছন্দের।Smt. @aparnabisht7 joins BJP in presence of senior party leaders in New Delhi. #JoinBJP https://t.co/D888PAuwye BJP (@BJP4India) January 19, 2022মুলায়ম সিং ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাধনা গুপ্তার সন্তান প্রতীকের স্ত্রী অপর্ণা। যোগী আদিত্যনাথের মতো ঠাকুর-বিস্ত পরিবার থেকে এসেছেন অপর্ণা। শুধু রাজনীতিক নন, তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও পারদর্শী, পড়াশোনা করেছেন বিদেশ থেকে। অপর্ণার পশুপ্রেমের কথাও অনেকেরই জানা। গোশালাও পরিচালনা করেন তিনি। এ ছাড়া মহিলাদের নিরাপত্তার জন্যও কাজ করেন।লখনউয়ের সিটি মন্টেশরি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন অপর্ণা। পরে ইউকে-র ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পাশাপাশি একজন দক্ষ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী অপর্ণা। বি অ্যাওয়ার নামে একটি এনজিও চালান অপর্ণা যাদব। সেখানে মূলত বন্য প্রাণী বা গবাদিপশুদের নিয়ে কাজ হয়। পাশাপাশি, মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও কাজ করেন তিনি। মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধে যাতে সঠিক বিচার হয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেন। অপর্ণার স্বামী প্রতীক রাজনীতি নিয়ে কোনও দিনই উৎসাহী নন। মুলায়ম সিং যাদবের ছেলে হয়েও কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেননি। তবে, ২০১৭-তে বিধানসভা নির্বাচনে সপার টিকিটে লড়েছিলেন অপর্ণা। তখনই তাঁর সক্রিয় রাজনীতিতে পদার্পণ।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজনীতি

উত্তরপ্রদেশে সপা-র সমর্থনে প্রচার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস আলাদা লড়াই করবে না। তবে বিজেপি-কে পরাস্ত করতে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে তিনি প্রচার করবেন বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ একথা জানিয়েছেন।তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে গোটা দেশে বিজেপি বিরোধিতার মুখ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে মমতা ব্যানার্জির সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনিও সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মমতা ব্যানার্জি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে যাবেন বলেও কিরণময় নন্দ জানান। তিনি বলেন ৮ ফেব্রুয়ারি লখনউতে মমতা ব্যানার্জি এবং অখিলেশ যাদব যৌথ ভার্চুয়াল সভা করবেন। এরপরে তারা একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন। লখনউইয়ের পর বারাণসীতেও অখিলেশ-মমতা ভার্চুয়াল সভা করবেন। তবে সেই সভার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়ন।এদিকে উত্তরপ্রদেশে কোভিডবিধির দোহাই দিয়ে সমাজবাদী পার্টিকে কোনও সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে ওই সমাজবাদী পার্টি নেতা অভিযোগ করেন।বাধ্য হয়েই তাঁদের ভার্চুয়াল সভা আর বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে হচ্ছে।কেন্দ্র এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার অখিলেশের গতিবিধির উপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে বলেও তাঁর আরও অভিযোগ।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে পঞ্চায়েতের কাজ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল

একশো দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনার কাজ সরেজমিনে দেখতে দিল্লি থেকে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল। ছদিন ধরে গত দুবছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে কী-কী হয়েছে, আবাস যোজনার কাজ নিয়ম মেনে হয়েছে কি না, সরেজমিন পরিদর্শন করবে রাজ্যে আসা আটটি দল। পূর্ব বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দুই মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, হুগলি, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, মালদহ ও বীরভূম জেলায় তিন-চারটে ব্লকের ১০-১২টি পঞ্চায়েতে তারা ঘুরবেন। ২০১৯-এর শেষ দিকে আগে এ রকমই কেন্দ্রীয় দল এসে পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতে ১০০ দিনের কাজে বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার দাবি করে রাজ্যকে রিপোর্ট করে। তার ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য প্রশাসন সেই সূত্র ধরে পঞ্চায়েতের কর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করেছিল।বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ কয়েকদিন আগে দাবি করেন, এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তথ্য দিয়ে এসেছিলেন। আর ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশি টাকা পায় পশ্চিমবঙ্গ। সেখানেও দুর্নীতির অজস্র অভিযোগ। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সম্ভবত কেন্দ্রের বিশেষ দল আসছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুবছরের প্রকল্পের কাজের সব নথি ঠিক করে রাখতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের কাজের সব রসিদ, ক্যাশবুক থেকে সাতটি রেজিস্টার যথাযথ ভাবে পূরণ করে রাখার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে প্রকল্পে কাজ চলছে, সেখানে যাতে কাজের নাম, বরাদ্দ, কাজের বিবরণ-সহ বোর্ড টাঙানো থাকে, তা-ও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনায় ২১০ বর্গফুটের মধ্যে বাড়ি করার নিয়ম। তা মানা হয়েছে কি না, যোগ্য প্রাপক বাড়ি পেয়েছেন কি না, জিও ট্যাগিং যথাযথ হয়েছে কি না কিংবা বাড়ির বাইরে লোগো দেওয়া বোর্ড লাগানোর মতো খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, জেলার চারটি ব্লকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যাবে।খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোট,আউশগ্রাম ২ ও গলসি ২ নম্বর ব্লকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যাবেন। সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রথমে বৈঠক করেন। তারপর তারা খণ্ডঘোষ ব্লকের লোদনা পঞ্চায়েতে যান। সভাধিপতি বলেন, প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে। এটা নতুন কিছু নয়। পাশাপাশি তিনি দাবী করেন, কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা লোদনা পঞ্চায়েতের কাজ দেখে খুশী হয়েছেন।অন্যদিকে বিজেপির জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,আবাস যোজনার ঘর ও একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তার পরিপেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। আশা করছি কেন্দ্রীয় দল আসায় এবার সত্য উদঘাটন হবে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

"নেতাজি" সুভাষচন্দ্র বসু-র ট্যাবলো বাতিল করলো কেন্দ্র সরকার, প্রতিবাদে মুখর 'বাংলা পক্ষ'

একদিকে যখন বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করছে এই বছর ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হবে, সরকার আরও জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ২০১৯ এ নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার, এবং এই উপলক্ষে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল হলে এক মনোজ্ঞ অনুষ্টানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অদ্ভুত ভাবে সেই সরকারই ২৬ শে জানুয়ারী-র সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ উপলক্ষে বীর সুভাষ ও আজাদ-হিন্দ-ফৌজ-কে কেন্দ্র করে তৈরি বাংলার ট্যাবলো বাতিল করেছে। একই সরকারের এই দ্বিমুখী আচরণে অবাক সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্বজন।এই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে বাংলা পক্ষ। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষি কোনও ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে এই বাংলা প্রেমী সংগঠন। তাঁরা তাদের টুইটার হ্যাণ্ডেল থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। জনতার কথার প্রতিনিধি কে বাংলা পক্ষ জানিয়েছে, বাঙালির শত্রু বিজেপি শাসিত দিল্লির কেন্দ্র সরকার। বিজেপি ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্র সরকারের সর্বদাই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী চরিত্র দেখি আমরা।আরও পড়ুনঃ নেতাজির জীবন নিয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলেবাংলা পক্ষ-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যখন বাঙালি বীর সন্তানরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিচ্ছে তখন আরএসএস ব্রিটিশের দালালি করতো। ইতিহাসক্রমেই বিজেপি ও আরএসএস (RSS) সুভাষ বিরোধী। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসে সুভাষের নামাঙ্কিত বাংলার ট্যাবলো বাতিল হওয়ায় দিল্লির সুভাষ বিরোধিতা আরও প্রকট ভাবে প্রকাশিত হল। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাঙালি বিরোধী বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারকে ধিক্কার জানিয়ে ট্যুইটার প্রচার শুরু করেছে বাংলা পক্ষ। যদিও এবিষয়ে আরএসএসের কোনও মন্তব্য মেলেনি।বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, বাঙালিদের তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন #AntiNetajiBJP হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে ট্যুইটারে ঝড় তোলার জন্য। এছাড়াও আরও একটি হ্যাসট্যাগ #BengalNetajibannedinDelhi তাঁরা ব্যবহার করছেন এই প্রচারে। হাজার হাজার ট্যুইটের মাধ্যমে সুভাষচন্দ্রের অমর্যাদার প্রতিবাদে গর্জে ওঠার আবেদন তাঁরা রাখছেন সমগ্র ভারতীয়দের কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন সুভাষচন্দ্র শুধু বাঙালির গর্ব নয় সমগ্র ভারতবর্ষের অলঙ্কার।কৌশিক মাইতি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলা পক্ষ এই ট্যুইটার প্রচারে আরও কয়েকটি দাবি রেখেছে সেগুলি হলঃ১. সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কিত সমস্ত ফাইল প্রকাশ করতে হবে।২. ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই।৩. ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
দেশ

UttarPradesh: ভোটের আগে বড় ভাঙন উত্তরপ্রদেশ বিজেপিতে

সব নজর এখন যোগীর রাজ্যে। ফেব্রুয়ারির ভোটের আগে চলছে ঘুঁটি সাজানোর পর্ব। আর এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বড় মোড়। যোগীর মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা বর্ষীয়ান নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য পদ্মের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন। যোগ দিয়েছেন অখিলেশ যাদবের দলে। ভোটের ঠিক এক মাস বাকি থাকতে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীর এই জার্সি বদলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মঙ্গলবারই তিনি মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন।আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে বন্ধ সব বেসরকারি অফিস, জারি ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর নয়া নির্দেশিকাভোটের এক মাস বাকি থাকতে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এভাবে দলত্যাগে স্বাভাবিকভাবেই বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথের দল। টুইটারে পোস্ট করা নিজের পদত্যাগপত্রে স্বামী প্রসাদ মৌর্য লিখেছেন, একটি ভিন্ন মতাদর্শ থাকা সত্ত্বেও, আমি যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি। কিন্তু দলিত, ওবিসি, কৃষক, বেকার এবং ছোট ব্যবসায়ীদের উপর যেভাবে নিপীড়ন করা হয়েছে, সেই কারণে আমি পদত্যাগ করছি।আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর, ভর্তি আইসিইউ-তেএদিকে মৌর্য টুইটারে তাঁর পদত্যাগপত্রের ছবি পোস্ট করার পর পরই সপা প্রধান অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, মৌর্যকে এবং তাঁর সমর্থকদের সমাজবাদী পার্টিতে স্বাগত।सामाजिक न्याय और समता-समानता की लड़ाई लड़ने वाले लोकप्रिय नेता श्री स्वामी प्रसाद मौर्या जी एवं उनके साथ आने वाले अन्य सभी नेताओं, कार्यकर्ताओं और समर्थकों का सपा में ससम्मान हार्दिक स्वागत एवं अभिनंदन!सामाजिक न्याय का इंक़लाब होगा ~ बाइस में बदलाव होगा#बाइसमेंबाइसिकल pic.twitter.com/BPvSK3GEDQ Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) January 11, 2022স্বামী প্রসাদ মৌর্য টুইটারে তাঁর পদত্যাগপত্র পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যে আরও এক বিজেপি বিধায়ক রোশন লাল বর্মা তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, মৌর্য আরও কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়ককে বিজেপির ঘর ভাঙিয়ে সপা শিবিরের দিকে টানতে পারেন।আরও পড়ুনঃ বঙ্গাস-র ভাতৃদ্বয়ের নতুন ইপি উই ফর লাভ

জানুয়ারি ১১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • ...
  • 48
  • 49
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal