• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman

রাজ্য

রাজ্যে পঞ্চায়েতের কাজ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল

একশো দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনার কাজ সরেজমিনে দেখতে দিল্লি থেকে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল। ছদিন ধরে গত দুবছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে কী-কী হয়েছে, আবাস যোজনার কাজ নিয়ম মেনে হয়েছে কি না, সরেজমিন পরিদর্শন করবে রাজ্যে আসা আটটি দল। পূর্ব বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দুই মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, হুগলি, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, মালদহ ও বীরভূম জেলায় তিন-চারটে ব্লকের ১০-১২টি পঞ্চায়েতে তারা ঘুরবেন। ২০১৯-এর শেষ দিকে আগে এ রকমই কেন্দ্রীয় দল এসে পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতে ১০০ দিনের কাজে বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার দাবি করে রাজ্যকে রিপোর্ট করে। তার ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য প্রশাসন সেই সূত্র ধরে পঞ্চায়েতের কর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করেছিল।বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ কয়েকদিন আগে দাবি করেন, এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তথ্য দিয়ে এসেছিলেন। আর ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশি টাকা পায় পশ্চিমবঙ্গ। সেখানেও দুর্নীতির অজস্র অভিযোগ। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সম্ভবত কেন্দ্রের বিশেষ দল আসছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুবছরের প্রকল্পের কাজের সব নথি ঠিক করে রাখতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের কাজের সব রসিদ, ক্যাশবুক থেকে সাতটি রেজিস্টার যথাযথ ভাবে পূরণ করে রাখার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে প্রকল্পে কাজ চলছে, সেখানে যাতে কাজের নাম, বরাদ্দ, কাজের বিবরণ-সহ বোর্ড টাঙানো থাকে, তা-ও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনায় ২১০ বর্গফুটের মধ্যে বাড়ি করার নিয়ম। তা মানা হয়েছে কি না, যোগ্য প্রাপক বাড়ি পেয়েছেন কি না, জিও ট্যাগিং যথাযথ হয়েছে কি না কিংবা বাড়ির বাইরে লোগো দেওয়া বোর্ড লাগানোর মতো খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, জেলার চারটি ব্লকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যাবে।খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোট,আউশগ্রাম ২ ও গলসি ২ নম্বর ব্লকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যাবেন। সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রথমে বৈঠক করেন। তারপর তারা খণ্ডঘোষ ব্লকের লোদনা পঞ্চায়েতে যান। সভাধিপতি বলেন, প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে। এটা নতুন কিছু নয়। পাশাপাশি তিনি দাবী করেন, কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা লোদনা পঞ্চায়েতের কাজ দেখে খুশী হয়েছেন।অন্যদিকে বিজেপির জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,আবাস যোজনার ঘর ও একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তার পরিপেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। আশা করছি কেন্দ্রীয় দল আসায় এবার সত্য উদঘাটন হবে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

কুঁড়ে ঘরের খুদে শিল্পীর মায়াবী গানের সুরের জাদুতে মুগ্ধ সংগীতপ্রেমীরা

চারপাশে সবুজে ভরা ক্ষেত। তারাই মাঝে কোনওরকমে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙা ফুটো একচিলতে কুঁড়ে ঘর। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যে সেই কুঁড়ে ঘর থেকে ভেসে আসে শিশু পুত্র অভিষেক সানার মায়াবী কন্ঠে ভরা লোক গানের সুর। নিথুর প্রেম ভিখারি করেছে মোরে। মা হারানো অভিষেকের গাওয়া এই গানের সুর মূর্ছনাতেই মোহিত পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের আট থেকে আশি সকলে। মায়াবী কন্ঠে ভরা গানের জাদুতেই একরত্তি ছেলে অভিষেক গ্রামের সকলের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। বড়শুলের সকল বাসিন্দাই মনেপ্রাণে চান দিন দরিদ্র পরিবারের ছেলে অভিষেক বড় হয়ে নামজাদা বাউল কিংবা লোকগানের শিল্পী হোক। অভিষেকও সেই স্বপ্নকে আঁকড়েই নিজেদের কুঁড়ে ঘরে নিত্যদিন রেওয়াজ চালিয়ে যাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ পুরভোট বন্ধ নিয়ে সরাসরি রায় নয় হাইকোর্টের, নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত বর্তাল কমিশনের ওপরবর্ধমান সদর ২ ব্লকের বড়শুল ২ পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম বালিমাঠ। এই গ্রামের চারপাশে থাকা চাষের জমির মাঝেই রয়েছে ছিটেবেড়া আর খড়ের চালার তৈরি অভিষেকদের কুঁড়ে ঘরটি। নিজভূমি নিজগৃহ প্রকল্পে পাওয়া জায়গায় গড়ে তোলা ভাঙা ফুটো সেই ঘরেই ৯ বছর বয়সী অভিষেক ও তাঁর ছোট ভাই সহ বাবা, বৃদ্ধা ঠাকুমা ও পিসি বসবাস করেন। জায়গা মিললেও এখনও পাকা বাড়ি তাঁদের মেলেনি। অভিষেকের যখন ৪ বছর বয়স তখন তাঁকে ও তাঁর ছোটভাই কৌস্তভ কে বাড়িতে ফেলে রেখে গায়েব হয়েযান মা ভারতীদেবী। অভিষেকের বাবা তারকচন্দ্র সানা বালি খাদানে শ্রমিকের কাজ করে যৎসামান্য যা রোজগার করেন তা দিয়েই তাঁদের দিন গুজরান হয়। অভিষেক বড়শুল নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর ভাই কৌস্তভ একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়া। বাড়িতে বিদ্যুতের বাতির আলোয় পড়াশুনা করার সৌভাগ্যও এখনও তাঁদের হয়নি। সন্ধ্যা নামলেই লম্ফ অথবা হারিকেনের আলোই ভরসা অভিষেকদের। তবে কষ্টের সংসারে অভিষেকই গানের সুরে সবার মন ভুলিয়ে রেখেছে।তারকচন্দ্র সানা জানিয়েছেন, তিনি গান-বাজনা ভালোবাসেন। বাউল ও লোকগান শোনার টানে আগে তিনি বীরভূমে জয়দেবের মেলায় যেতেন। তখন ছোট্ট অভিষেককেও সঙ্গে নিয়ে যেতেন। জয়দেব মেলায় হাজির হওয়া বাউল ও লোকগানের শিল্পীদের গাওয়া গান শুনে অভিষেকেরও গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথমদিকে সে বাড়িতেই গুনগুন সুরে গান গাইতো। তা দেখে অভিষেককে একটা হারমোনিয়াম কিনে দেয় ওর মামারা। হারমোনিয়াম পাওয়ার পর প্রথম প্রথম অভিষেক নিজেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করতো। বছর দুই হল বড়শুল নিবাসী মঙ্গল কালিন্দী কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে গান শেখাচ্ছেন অভিষেককে। মঙ্গলবাবু নিজেই গান লিখে গানের সুর দেন। সেই গানই এখন গেয়ে অভিষেক বড়শুলবাসীর মন জয় করে নিয়েছে। পাশাপাশি অভিষেক তাঁর নিজের ছোট ভাই কৌস্তবকেও একটু একটু করে গানের তালিম দিচ্ছে।আরও পড়ুনঃ যন্ত্রের যুগেও গ্রাম বাংলায় পৌষ পার্বণের পিঠে-পুলি তৈরিতে আজও অনবদ্য ঢেঁকিখুদে শিল্পী অভিষেক জানিয়েছে, বাবার হাত ধরে সে জয়দেবের মেলায় যেত। সেখানে বাউল ও লোকগানের শিল্পীদের গাওয়া গান শুনেই সে গান গাওয়ার ব্যপারে অনুপ্রাণিত হয়। অভিষেক এও জানায়, বাউল ও লোকগান শেখার প্রতিই তাঁর টান বেশী। বড় হয়ে স্বনামধন্য বাউল গানের শিল্পী হতে চায় বলে অভিষেক। মঙ্গল কালিন্দী বলেন, তাঁর ছাত্র অভিষেকের প্রতিভা রয়েছে। গান গেয়ে এত ছোট বয়সে ও যে ভাবে সবার মন জয় করে নিয়েছে সেটাই সবথেকে গৌরবের বলে মঙ্গলবাবু দাবি করেছেন। এলাকার বাসিন্দা নয়ন মণ্ডল বলেন, মায়াবী কন্ঠে ছোট্ট অভিষেকের গাওয়া গান তাঁদের মুগ্ধ করে।আরও পড়ুনঃ বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরিঅভিষেকের গাওয়া গানের সুর মর্ছনাতেই এখন মোহিত বড়শুলবাসী। দূর দূরান্তের সংগীত প্রেমীরাও অভিষেকের কন্ঠে গান শুনতে এখন তাদের কুঁড়ে ঘরে হাজির হচ্ছে। বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার ও ছোট্ট অভিষেকের গাওয়া গান শুনে মুগ্ধ। জানা গিয়েছে, তিনি অভিষেক ও তাঁর পরিবারকে সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। অভিষেকের প্রতিভার কথা শুনে যারপরনায় মুগ্ধ বিশিষ্ঠ বাউল গান শিল্পী তথা অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির রাজ্য সম্পাদক মণিমোহন দাস। তিনি জানিয়েছেন, অভিষেকের বাবা চাইলে তিনি সহ তাঁদের সংগঠনের অন্য শিল্পীরাও বিনা পারিশ্রমিকে অভিষেককে গান শেখাতে রাজি রয়েছেন। তবে অভিষেকের বাড়ি গিয়ে হয়তো গান শেখানো সম্ভব হবে না।অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির আখড়ায় এসে অভিষেককে গান শিখতে হবে। অভিষেককে দিয়ে বড় মঞ্চে গান গাওয়ানোর ব্যাপারেও প্রয়োজনে উদ্যোগ নেবেন বলে মনিমোহন দাস জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
উৎসব

যন্ত্রের যুগেও গ্রাম বাংলায় পৌষ পার্বণের পিঠে-পুলি তৈরিতে আজও অনবদ্য ঢেঁকি

কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে। সেই সব এখন গল্পকথা, ইতিহাস। যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে চলায় ঢেঁকির কদর ইদানিং কালে কমে গিয়েছে। তবুও এই রাজ্যের গ্রাম বাংলার কিছু মানুষ এখনও আগলে রেখেছেন সাবেকি ঢেঁকিকে। পৌষমাস শুরু হলে পিঠে-পুলির চাল কোটার জন্য তাই রাজ্যের গ্রাম বাংলায় বাড়ে ঢেঁকির কদর। যেমনটা এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম শিয়ালী ও কোড়ায়। সামনেই পৌষ সংক্রান্তি। তাই পৌষ পার্বণের দোরগোড়ায় এইসব গ্রামের মহিলারা এখন সদাব্যস্ত ঢেঁকিতে চাল কোটার কাজে। সেই কারণে গ্রামের বাড়ি বাড়ি কান পাতলেই শুধু ভেসে আসছে ঢেঁকিতে চাল কোটার শব্দ।এক সময় পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে গ্রাম বাংলার মহিলারা ঘরে ঘরে ঢেঁকিতে চাল কোটা শুরু করে দিতেন। ঢেঁকিতে ভাঙা চাল গুঁড়িয়ে তা দিয়েই তাঁরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পিঠে-পুলি। কিন্তু যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির ধাক্কায় ঢেঁকি এখন যেন মিউজিয়ামে জায়গা করেনিতে বসেছে। ঢেঁকি ছেড়ে গ্রাম বাংলার অনেক মানুষ এখন চাল গুঁড়ানোড় মিলে পৌছে যাচ্ছেন। তবে তারই মধ্যে কিছু কিছু গ্রামের মানুষ এখন ট্র্যাডিশন বজায় রেখে বাড়ির সাবেকি ঢেঁকিকে আগলে রেখেছেন। যেমনটা আগলে রেখেছেন শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মানুষজন। তাঁরা চান না গম ভাঙানোর যন্ত্রে পিঠে-পুলির চালের গুঁড়ো তৈরি করতে। শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মহিলারা প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও তাই ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ো দিয়ে পৌষ পার্বণে পিঠে-পুলি তৈরি করে পরিবারের সকলকে তৃপ্ত করতে চান।গ্রামের বধূ কাকলী কোলে বলেন, ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ি দিয়ে বানানো পিঠে- পুলির স্বাদটাই আলাদা। আর ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল অনেকদিন ধরে রেখেও দেওয়া যায়। অপর বধূ কল্পনা কোলে বলেন, আমাদের শিয়ালী গ্রামে এখন একটি মাত্রই ঢেঁকি রয়েছে। পৌষ পার্বণের আগে সেই ঢেঁকিতে চাল ভাঙাতে আসেন গ্রামের অনেক মহিলা। পৌষে ঢেঁকিতে চাল ভাঙানোর কাজে পুরুষরাও মহিলাদের সঙ্গে হাত লাগান। খেজুর গুড়ের সঙ্গে ঢেঁকিতে গুঁড়ো করা চাল দিয়ে তৈরি পিঠে-পুলি আগামী কটা দিন বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এক ভিন্ন মহিমায় পৌছে দেয় বলে মনে করেন শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মহিলারা।বুধবার শিয়ালী ও কোড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গ্রামের এক প্রান্তে মাটির দাওয়ায় বসে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ানোর কাজ করে চলেছেন মহিলা ও পুরুষরা। যন্ত্র ও স্মার্ট ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির যুগে সত্যি যেন এটা একটা বিরল দৃশ্য হিসাবেই সামনে আসে। এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল কাঠের তৈরি ঢেঁকি গ্রামবাংলা থেকে এখনও একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। তাই শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের রাস্তার পাশে একটি খামারে কাঠের ঢেঁকিতে চাল ঢেলে অন্যপ্রান্তে ঢেঁকিতে পা দিয়ে চলছে চাল গুঁড়ো তৈরীর কাজ। এই দৃশ্যই আরও একবার মনে করিয়ে দিল গ্রাম বাংলায় ঢেঁকির মাহাত্ম্যকে।

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
রাজ্য

মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পাঁচ যুবক গ্রেফতার, চাঞ্চল্য মেমারিতে

মধুচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হল পাঁচ যুবক। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ জাতীয় সড়কের ধারে কানাইডাঙা এলাকায় চলা মধুচক্রের ডেরায় হানা দেয়। সেখানেই ধরা পড়ে পাঁচ যুবক। উদ্ধার করা হয়েছে ৮ জন মহিলাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকদের নাম মহম্মদ চাঁদ,আনিসুর রহমান ,দেবু বালা, শম্ভু ক্ষেত্রপাল ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। ধৃতরদের বেশিরভাগই মেমারি থানা এলাকার বাসিন্দা।একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বরুপনগরের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া মহিলারা ব্যান্ডেল, রাণাঘাট, নদিয়া প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। সুনির্দিষ্ট ধারার মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে টানা দুদিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, কমেছে পজিটিভিটি রেটপুলিশ জানিয়েছে, যুবকরা গোপনে কানাইডাঙা এলাকার একটি বাড়িতে মধুচক্র চালাচ্ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পুলিশের কাছে পৌছায়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ওই মধুচক্রের ডেরায় হানা দিয়ে পাঁচ যুবককে হাতে নাতে ধরে ফেলে। ৮ জন মহিলাকেও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। সবাইকেই এদিন বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

সারা শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বলন্ত উনানে ঝাঁপ! মৃত্যু আদিবাসী যুবকের

গোটা শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বলন্ত উনানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক আদিবাসী যুবক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার শিলাকোট গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুকুল মুর্মু(৩০)। মানসিক অবসাদে থাকার কারণেই যুবক এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবার সদস্যরা। পুলিশ যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যুবকের এমন মৃত্যুর ঘটনার কথা জেনে স্তম্ভিত এলাকাবাসী।আরও পড়ুনঃ উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় জনমজুর শিলাকোট গ্রামের বাসিন্দা সুকুল মুর্মুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, দুই নাবালক ছেলে ও বাবা মা রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, সুকুল বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। আগে কয়েকবার পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের তৎপরতার তাঁর প্রাণ বাঁচে। কিন্তু সোমবার রাতে তাঁর স্ত্রী সরস্বতী মুর্মু যখন উনানে রান্না করছিলেন তখন সুকুল গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আচমকা উনুনে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। তাঁর গোটা শরীর দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান সরস্বতী মুর্মু। সরস্বতীর চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সুকুলের শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলে। স্থানীয়রাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান হাসপাতালে সুকুলের মৃত্যু হয় ।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

ফের ভেজাল সর্ষের তেলের রমরমা কারবারের পর্দা ফাঁস পূর্ব বর্ধমানে, গ্রেফতার ৫

পুলিশের তৎপরতায় ফের পর্দা ফাঁস হল ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারের। ভেজাল সর্ষের তেল তৈরি করে বিক্রীর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম রাজকুমার সাউ ওরফে রাজু, দীপককুমার সিং, অবদেশ কুমার, অনিতকুমার রায় ও বিশরাম যাদব। ধৃতদের মধ্যে রাজকুমারের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাদশাহী রোড এলাকায়। বাকিদের বাড়ি বিহারের ওলাপুর, সারাইয়ারঙ্গন ও উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার ছোয়েটা গ্রামে।ধৃতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি পুলিশ রাইস অয়েল ভর্তি একটি ট্যাঙ্কার, প্রচুর পরিমাণ ভেজাল সের্ষের তেল, খালি তেলের টিন, রাসায়নিক, রং ও বিভিন্ন কোম্পানির তেলের লেবেল, একটি বাইক ও একটি স্কুটি বাজেয়াপ্ত করেছে।পুলিশর দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৯০ টাকাও উদ্ধার হয়েছে।আরও পড়ুনঃ বুধবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা, থাকবে মেঘলা আকাশ, মহানগরীর শীত উধাওভেজাল সর্ষের তেল তৈরি ও বিক্রির ঘটনায় জড়িতরা এই প্রথম ধরা পড়লো এমনটা মোটেই নয়। মাস চারেক আগে দুর্ণীতি দমন শাখা বর্ধমান শহরের লাকুর্ডিতে ভেজাল সর্ষের তেলের কারখানার হদিশ পায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ ভেজাল তেল। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েকজনকে। এর কিছুদিন আগে মেমারি থানার পুলিশ ভেজাল সর্ষের তেলের কয়েকজন কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের ডেরা থেকেও অসংখ্য টিনের ড্রামে ভর্তি ভেজাল সর্ষের তেল, রাসায়নিক, কামধেনু রং উদ্ধার হয়। এইসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার রাতে শক্তিগড় থানার পুলিশের অভিযানে ফের ধরা পড়ে ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারীরা।আরও পড়ুনঃ উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নেশক্তিগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে পুলিশ স্থানীয় অশ্বত্থগড়িয়ায় একটি তেলের ট্যাঙ্কারের সামনে দুজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। ট্যাঙ্কারের সামনে একটি বাইক ও স্কুটি দাঁড় করানো ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তেলের ট্যাঙ্কারের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে জানতে চায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ট্যাঙ্কার থেকে রাইস অয়েল বেরকরে পাশের একটি গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার কথা পুলিশকে জানায়। কী কারণে গোডাউনে তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার সদুত্তর না মেলায় পুলিশ তাদের আটকে গোডাউনে হানা দেয়। গোডাউনে গিয়ে চমকে যায় পুলিশ। সেখানে তখন রাইস অয়েলের সঙ্গে রং, রাসায়নিক ও অন্যান্য জিনিসপত্র মিশিয়ে রাইস অয়েল থেকে ভেজাল সের্ষের তেল তৈরি হচ্ছিল। গোডাউন থেকে পুলিশ দুলিটার রাসায়নিক, ৬১৬টি বিভিন্ন কোম্পানির তেলের টিন, ৭০০ খালি তেলের টিন, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়াও গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় টিন সিল করার যন্ত্র, তেলের বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল। সবকিছু খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিৎ হয় রাইস অয়েলে রং, রাসায়নিক ব্যবহার করে গোডাউনে ভেজাল সের্ষের তেল তৈরি করা হচ্ছিল খোলাবাজারে বিক্রীর জন্য।এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই রাতেই পুলিশ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।আরও পড়ুনঃ হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মেডিক্যাল অক্সিজেন মজুত রাখতে রাজ্যগুলোকে চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরস্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্তকারী অফিসার রাজকুমারকে ৭ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম রাজকুমারকে ৫ দিনের পুলিশ হেপাজত ও বাকি ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেপাজতেি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ বাজেয়াপ্ত হওয়া তেল, রাসায়নিক, রং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় পাঠানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।আরও পড়ুনঃ রাসায়নিক মেশানো ভেজাল সরষের তেল তৈরির ডেরার পর্দা ফাঁস পূূর্ব বর্ধমানে, গোডাউন মালিক বেপাত্তা

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

Chotkhanda: 'কথা দিয়ে' বিধায়ক না আসায় মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভে উত্তাল

গ্রামে পানীয় জলের সংকট মেটানো নিয়ে সোমবার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠক করবেন বলে গিয়েছিলেন বিধায়ক। কিন্তু কথা দিয়েও পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এদিন যাননি তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য। তা নিয়ে এদিন বিকালে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকা চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দারা পঞ্চায়েত প্রধান ও বিধায়কের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি তাঁরা অভিযোগ করেন, বিধায়কের সঙ্গে কথা বলার জন্য পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বলে তাঁদের পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। ক্ষুব্ধ চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দারা এরপরেই হুঁশিয়ারি দেন, তাঁদের গ্রামে পানীয় জলের সংকট সমাধানে পঞ্চায়েত দ্রুত ব্যবস্থা নি নিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।বিধায়ক যদিও দাবি করেছেন, কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখেই তিনি এদিন পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠকে করতে যাননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই তিনি বৈঠক করবেন বলেন জানিয়ে দেন।আরও পড়ুনঃ ঝঞ্ঝার দাপটে আজ থেকে শুরু বৃষ্টিএলাকা সূত্রে খবর, বিধানসভা ভেটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো চোটখণ্ড গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়নি। এমনকি গ্রামের রাস্তা-ঘাট ও নিকাশী-ব্যবস্থারও কোন উন্নতি হয়নি। তা নিয়ে চোটখণ্ড সহ আশেপাশের বনশেঁকরা, তালগেঁড়া প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দা মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। পর তিনি পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া চোটখণ্ড গ্রামেও যান। ওই দিন চোটখণ্ড গ্রামের মানুষজন বিধায়ককে বিধানসভা ভোটের সময়ে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।আরও পড়ুনঃ করোনা রুখতে ৫ জেলাকে সতর্ক করল নবান্নপ্রথমে প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করলেও পরে বিধায়ক তাঁর প্রতিশ্রূতির কথা স্বীকার করে নেন। ওই দিনই তিনি গ্রামবাসীদের বলে যান গ্রামের মানুষজনের দাবিদাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সোমবার তিনি দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠকে বসবেন। সেই মতো এদিন গ্রামের বাসিন্দারাও দুপুর থেকে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেলেও বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য আর পঞ্চায়েত অফিসে না আসায় গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামের বাসিন্দা অনাথ ক্ষেত্রপাল, বাপি ক্ষেত্রপাল বলেন, বিধায়ককে সমস্যার কথা জানাবেন বলে তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বলে তাঁদের পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। এমনটি তাঁরা প্রত্যাশা করেননি। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর আবেদন নিবেদন নয়। গ্রামে পানীয় জলের সংকট নিরসন ও এলাকার উন্নয়নে পঞ্চায়েত দ্রুত ব্যবস্থা নি নিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

STF Operation Burdwan: বর্ধমানে এসটিএফের অভিযানে ৬৫ কোটি টাকার হেরোইনসহ গ্রেফতার বাবা ও ছেলে, ব্যাপক চাঞ্চল্য

স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে ফাঁস হল হেরোইন তৈরি ও পাচারের সঙ্গপ যুক্ত আন্ত রাজ্য চক্রের।অভিযানে ধরা পড়েছে মোট ৬ জন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে এসটিএফ রবিবার রাতে ধরে বর্ধমানে বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে। পৌরসভা ভোটের আগে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শহর বর্ধমানে।আরও পড়ুনঃ কেপ টাউন টেস্টের আগে ঋষভকে কেন সতর্ক করলেন কোহলি?এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকা থেকে ধৃতদের নাম বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডল। এঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এই দুই ধৃতর আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গকোটে। তবে ১০ বছর আগে সেখান থেকে চলে এসে তাঁরা ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বর্ধমানে পালার- শ্রীরামপুর এলাকায় থাকতে শুরু করে। পরে তাঁরা শহর বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে বাড়ি ক্রয় করে। রবিবার রাতে এসটিএফ বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডলদের বর্ধমানের ডেরায় অভিযান চালিয়ে ১৩ কেজি হেরোইন ও হেরোইন তৈরির রাসায়নিক উপকরণ রাজেয়াপ্ত করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬৫ কোটি টাকা বলে এসটিএফের দাবি। এছাড়াও ধৃতদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ লক্ষ ১০ হাজার ১০০ টাকা। বাকি চার ধৃতর মধ্যে ২ জন ওড়িশা ও ২ জন মণিপুরের বাসিন্দা। এদের বিষয়ে হাওড়ার গোলাবারি থানা মামলা রুজু করেছে। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট মামলার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন বাবর মণ্ডল ও তাঁর ছেলে বর্ধমানের ডেরার হেরোইন তৈরি করে ওড়িশা ও মণিপুরে পাচার করতো।আরও পড়ুনঃ করোনা সচেতনায় মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্যর বার্তাতদন্তকারীদের কথায় জানা গিয়েছে, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার রুজু হওয়া একটি মামলার সূত্র ধরে এসটিএফ ওড়িশা ও মণিপুর থেকে ৪ মাদক-পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন বর্ধমানের দুজনের কাছ থেকে তাঁরা মদক দ্রব্য কেনে। বর্ধমানের মাদক কারবারীদের ৫ জন এজেন্ট ওড়িশাতে থাকার কথাও জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে। এমনকি বর্ধমানে দৈনিক ৪-৫ কোটি টাকার মাদক তৈরি হয়ে পাচারের তথ্যও তদন্তকারীদের কাছে উঠে আসে। এরপরেই রবিবার রাতে এসটিফ কর্তা আমিনুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে বর্ধমানের গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকায় বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডলদের ডেরায় অভিযান চালানো হয়।আরও পড়ুনঃ করোনা রুখতে ৫ জেলাকে সতর্ক করল নবান্নএসটিএফের দাবি বাবর ও রাহুলদের বর্ধমানের ডেরা থেকে ১৩ কেজি হেরোইন, হেরোইন তৈরির রাসায়নিক উপকরণ ও নগদ ২০ লক্ষাধিক টাকা ছাড়াও টাকা গোনার যন্ত্র এবং অন্যান সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। দুটি বাড়ির ভিতরে বস্তাবন্দি করে বড় বড় প্লাস্টিক ড্রামের ভিতর হেরোইন ও অন্যান্য সামগ্রী লুকিয়ে গুলি রাখা ছিল। তদন্তকাীরা জেনেছেন, বর্ধমানে বাবর ও রাহুলের গোপন ডেরায় যে হেরোইন তৈরি হত তার কাচা মাল আসতো মণিপুর থেকে। হেরোইন তৈরি হওয়ার পর তা পাচারের জন্য দেওয়া হত ওড়িশার এজেন্টদের হাতে। হেরোইনের কারবার চক্রে বর্ধমানের আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও এসটিএফ খোঁজ খবর চালাচ্ছে।হেরোইনের কারবারের বিষয়ে বর্ধমান অভিযান চালিয়ে এসটিএফ প্রচুর হেরোইন সহ দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই ছিল। এদিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Covid Awarness: করোনা সচেতনায় মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্যর বার্তা

রাজ্যে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। করোনার বাড়বাড়ন্তের পরও মানুষের হুঁশ ফেরেনি। এখনও যত্রতত্র মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষকে। জমায়েত করতেও দেখা যাচ্ছে বাজারগুলোতে। এই পরিস্থিতিতে বর্ধমানের মেমারির ২৬৫ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মাননীয় মধূসুদন ভট্টাচার্য করোনা সচেতনতায় এলাকার মানুষের স্বার্থে বার্তা দিলেন। নিজের বিধানসভাকেন্দ্রের মানুষকে কোভিড বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মাস্ক পরার পাশাপাশি দূরত্ববিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক। সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেই জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কামারপুকুর মঠএলাকার সমস্ত স্কুল-কলেজ-ক্লাবের শাখা নেতৃত্বদের কাছেও তিনি অনুরোধ করেন, এই কোভিডবিধি যাতে মেনে চলা হয় সেদিকে নজর রাখার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সাধারণের উদ্দেশ্যে যে করোনাবিধি মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন তা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় সেকথাও বলেছেন তিনি। শুধুমাত্র সচেতনতা অবলম্বনের মাধ্যমেই করোনার বিরুদ্ধে জয়লাভ সম্ভব বলেও উল্লেখ করেছেন মাননীয় বিধায়ক।আরও পড়ুনঃ করোনায় আক্রান্ত বাহুবলীপ্রসঙ্গত, রাজ্যে এক লাফে কোভিড সংক্রমণ ২৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন দেশের কোভিড গ্রাফের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহতই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। রবিবারের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১২.৬ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ১৩.২৯ %। অ্যাকটিভ কেস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Drowned in Ajay : পিকনিকে এসে অজয়ের চেরাবালিতে তলিয়ে গেল এক, আশঙ্কাজনক দুজন হাসপাতালে

করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেই পিকনিক করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়লো একটি পরিবার। খাওয়া-দাওয়ার আগে অজয় নদের জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় পিকনিক দলের ৩ জন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে অজয় নদ থেকে উদ্ধার করে বিকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজনের হদিশ এখনও মেলেনি। ডুবুরির দল জলে নেমে তল্লাশি জারি রাখলেও তলিয়ে যাওয়া একজনের হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন পরিবার সদস্যরা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের পলিগ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্রাম এলাকার একটি পরিবারের ১২ জন এদিন পালিগ্রামের অজয় নদের ধারে পিকনিক করতে যায়। সেই পিকনিক দলে থাকা সুমনা খাতুন(১৪), সোহানা খাতুন(২০) এবং আসিফ শেখ(১৬) দুপুরে অজয় নদে স্নান করতে নামে। স্নান করার সময়েই অজয়ের চোরাবালির মধ্যে পড়ে তিন জনই তলিয়ে যায়। ওই সময়ে আসিফ কোনক্রমে জল থেকে পাড়ের কাছে এসে পৌছায়। তা দেখে পরিবারের লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে গ্রামবাসীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। তারাই জলে নেমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোহানাকে উদ্ধার করেন।আসিফ ও সোহানাকে আশাঙ্কাজন অবস্থায় পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সুমনা খাতুনকে উদ্ধার করা যায়নি। এই খবর পেয়েই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায়। খবর দেওয়া হয় ব্লকের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে। ডুবুরি নিয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম ঘটনাস্থলে পৌছে অজয় নদে তলিয়ে যাওয়া সুমনার খোঁজ শুরু করে। মঙ্গলকোটের বিডিও সহ অন্য আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজ তদারকি করেন।মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী জানান, দুঃখজনক ঘটনা । তবে প্রশাসনকে বলবো অতিমারির সময়কালে অজয়নদের পাড়ে কেউ যাতে আর পিকনিক না করে সেই বিষয়টি দেখার জন্য।

জানুয়ারি ০৯, ২০২২
রাজ্য

Old Woman Rape: প্রৌঢ়াকে কুঁড়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, জেল হেফাজত অভিযুক্তের

রাতের অন্ধকারে মুখ টিপে ধরে ভিক্ষুক প্রৌঢ়াকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম ভোম্বল মাঝি। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার কেশিগ্রামে। পৌঢ়ার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। জেরায় ভোম্বল পুলিশের কাছে নিজের কুকীর্তির কথা কবুল করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। পাশাপাশি গোপন জবানবন্দি পেশের জন্য প্রৌঢ়াকেও এদিন আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ভোম্বলের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।পুলিশ জানিয়েছে, কেশিগ্রামের নির্যাতিতা প্রৌঢ়া বিধবা। তাঁর এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর কাছেই থাকেন। ভিক্ষা করে যে টুকু উপার্জন হয় তা দিয়েই প্রৌঢ়ার দিন চলে। পুলিশকে প্রৌঢ়া জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিনি বাড়ির কুঁড়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মাঝরাতে চুপিসারে তাঁর কুঁড়ে ঘরে ঢুকে ভোম্বল প্রৌঢ়ার মুখ টিপে ধরে। প্রৌঢ়াকে ঘর থেকে বের করে দূরের ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে ভোম্বল ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর মহিলাকে রাতে ফাঁকা মাঠেই ফেলে পালায় অভিযুক্ত। রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ বিবস্ত্র অবস্থায় প্রৌঢ়া কোনওরকমে মাঠ থেকে পালিয়ে আসেন। বাড়িতে এসে তিনি তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা পরিবারের লোকজনকে জানান। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে নির্যাতিতা শুক্রবার কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

জানুয়ারি ০৯, ২০২২
রাজ্য

Fake Land Deed: মৃত ব্যক্তির জমি রেজিস্ট্রি করে সম্পত্তি জলিয়াতির ভয়ঙ্কর অভিযোগ, গ্রেফতার 'জমি মাফিয়া'

ভূয়ো ব্যক্তিকে জমির মালিক সাজিয়ে জমি বিক্রির দলিল করে ভূমি দফতরে রেকর্ড করতে গিয়ে ধরা পড়লো এক জমি মাফিয়া। এই ঘটনা জানাজানি হতেই পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খণ্ডঘোষের শশঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সালুন গ্রাম নিবাসী প্রতারিত ইন্দ্রজিৎ ঘোষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জমি মাফিয়া মনোজকান্তি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় আগে থাকতেন। সেখান থেকে ২০০৯ সালে তিনি সপরিবার খণ্ডঘোষের কামালপুর গ্রামে চলে এসে বসবাস শুরু করেছেন। জালিয়াতির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। অপরের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত রয়েছে এবং চক্রে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান আদালতে। বিচারক যদিও ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ চিমার পরিবর্তে কে? নতুন বিদেশি এসসি ইস্টবেঙ্গলেপ্রতারিত ইন্দ্রজিৎ ঘোষ এদিন জানিয়েছেন, খণ্ডঘোষের কামালপুর মৌজায় তাঁর ৬০ শতক চাষ জমি রয়েছে। ওই জমি তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ বিক্রি করেননি। অথচ জাল দলিল তৈরি করে ওই জমি বিক্রি হয়েছে বলে কুখ্যাত জমি মাফিয়া মনোজকান্তি মণ্ডল ব্লকের ভূমি দফতরে নথি দাখিল করেছে। ভূমি দফতরের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার রাতে খণ্ডঘোষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত মনোজকান্তি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। ইন্দ্রজিৎবাবু এও দাবি করেন, আগে তাঁর ওই ৬০ শতক সম্পত্তির যাঁরা মালিক ছিলেন তাঁরা প্রায় ৫০-৬০ বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁদের জীবিত দেখিয়ে জাল ভোটার কার্ড তৈরি করে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। ইন্দ্রজিৎ বলেন, এমন জালিয়াতি করেই খণ্ডঘোষের প্রায় ১৬-১৭ জন ব্যক্তির সম্পত্তির বিক্রি দলিল করে নিয়েছে ধৃত জালিয়াত ব্যক্তি। ভূয়ো ভোটার কার্ড তৈরি চক্র এই জমি জালিয়াতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন। ইন্দ্রজিৎবাবু ছাড়াও খণ্ডঘোষের তিলডাঙ্গা এলাকার সুরজ মাহাতো জানিয়েছেন, তিলডাঙ্গা মৌজায় ২৪০ দাগে তাঁর দাদু দুষ্টু মাহাতোর নামে ১বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তিতে তাঁদের বাড়ি ঘর রয়েছে। ৫৫ বছর ধরে তাঁদের পরিবার সেখানে বসবাস করছে। দাদুর নামে সেই সম্পত্তির সরকারি দলিল ও পর্চা সব রয়েছে। দিন ১০ আগে তিনি জানতে পারেন তাঁদের সেই সম্পত্তি জনৈক চারুবালা মণ্ডলের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সুরজ মাহাতো দাবি করেন, জাল দলিল তৈরি করে মনোজকান্তি মণ্ডল তাঁদের সম্পত্তি নিজের লোকের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। মনোজকান্তির কঠোর সাজার দাবি করেছেন সুরজ মাহাতো।আরও পড়ুনঃ নেতাইয়ে শুভেন্দুকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব, ডিজির কাছে কৈফিয়ৎ চান রাজ্যপালধরা পড়ার পর মনোজকান্তি মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন, বহু বছর আগে মারা যওয়া ব্যক্তির ভোটার কার্ড জোগার করে তাঁকে জীবিত দেখিয়ে বর্ধমান রেজিস্ট্রি অফিস থেকে তিনি জমির বিক্রি দলিল করিয়ে নিয়েছেন। জালিয়াতি করেই একাধিক ব্যক্তির জমির বিক্রী দলিল করেছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমের কাছে কবুলও করেন মনোজকান্তি। এই কাজে তাকে যাঁরা যাঁরা সাহায্য করেছে তাঁদের নামও তিনি জানান। পুলিশ তাদের বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ রয় কৃষ্ণা করোনায় আক্রান্ত? স্থগিত এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচখণ্ডঘোষ ব্লক বিএলআরও রহিত রঞ্জন ঠাকুর জানিয়েছেন, মনোজকান্তি মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি একটা সম্পত্তি দুবার দলিল করে রেকর্ড করতে এসেছিল। দ্বিতীয়বার যখন রেকর্ড করতে আসে তখনই তার জালিয়াতি ধরা পড়ে। জালিয়াতি করে অপরের প্রায় ১৬ একরের মত সম্পত্তি মনোজকান্তি হাতিয়ে নেওয়ার কাজ হাসিল করতে চেয়েছিল বলে এখন অবধি জানা গিয়েছে। বর্ধমান রেজিস্ট্রি অফিসে (এডিএসআর ১) কিভাবে মনোজকান্তি জাল লোককে জমি মালিক সাজিয়ে দলিল তৈরি করতো তাঁর তদন্ত হলেই জালিয়াতির পর্দাফাঁস হয়ে যাবে বলে বিএলআরও জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ০৯, ২০২২
রাজ্য

Covid Awareness Memari: করোনা সচেতনতায় পথে মেমারি শহর তৃণমূল

ফের করোনা সংক্রমণে তটস্থ সাধারণ মানুষ। বাইরে বেড়িয়েও অনেকেই এখনও মাস্ক পড়ছেন না। করোনা বিধিকে তোয়াক্কা করছেন না কেউ কেউ। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে পথে নেমেছেন।আরও পড়ুনঃ পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ, পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভশুক্রবার মেমারির ১৬টি ওয়ার্ডে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকজন দলীয় কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন স্বপন ঘোষাল। তাঁরা মানুষকে মাস্ক পড়া নিয়ে সচেতন করেছেন। করোনা বিধি মেনে চলতে শহরের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এর আগে বামুনপাড়া মোড়েও মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে শহর তৃণমূল কংগ্রেস।স্বপন ঘোষাল বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়া থেকে আমরা মানুষের পাশে আছি। মেমারির বাসিন্দারা যে কোনও প্রয়োজনে আমাদের ডাকলেই কাছে পাবেন। আগেও তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে ছিল। এখনও মানুষের পাশে থাকবে।

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
রাজ্য

MLA Protests: পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ, পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

প্রতিশ্রুতি মত গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়নি। একই ভাবে হয়নি গ্রামের রাস্তা-ঘাট ও নিকাশী-ব্যবস্থার উন্নতিও। এরই প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য। ভোটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। তা নিয়ে এখন মেমারিতে শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধীদের রাজনৈতিক চাপান-উতোর।মেমারি-১ পঞ্চায়েত সমিতির আন্তর্গত দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চোটখণ্ড গ্রামে অবস্থিত। গ্রামের বাসিন্দা অনাথ ক্ষেত্রপাল বলেন, এই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলেরও সমস্যা রয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাই কাঁচা। নিকাশী বাবস্থা ভালো না থাকায় বর্ষায় চোটখণ্ড গ্রামের মানুষজনের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। তিনি জানান বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে মধুসূদন ভট্টাচার্য্য আমাদের চোটখণ্ড গ্রামে প্রচারে আসেন। ওই সময়ে গ্রামের জগৎগৌরি মন্দির তলায় বসে মধুসূদন বাবু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান ভোটে জিতলে তিনি হয় সজল ধারা প্রকল্পে চোটখণ্ড গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেবেন। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নেও উদ্যোগ নেবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর মধুসূদনবাবু তাঁর দেওয়া সব প্রতিশ্রুতির কথা সব ভুলে গিয়েছেন। পানীয় জলের হাহাকার আজও চোটখণ্ড গ্রামে রয়েই গিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার বিকালে বিধায়ক মধুসূদনবাবু যখন চোটখণ্ড গ্রামে আসেন তখন গ্রামের সকলে তাঁর কাছে পানীয় জলের ব্যবস্থা না হওয়ার কথা তুলে ধরেন। ভোটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথাও বিধায়ককে স্মরণ করিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। ওই সময়ে বিধায়ক প্রথমে প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেও পরক্ষণেই তা স্বীকার করে নিয়ে বিধায়ক পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই ঘোষ। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, চোটখণ্ড ছাড়াও হঠাৎপাড়া, বনশেঁকরা তালগেঁড়া প্রভৃতি এলাকায় রাস্তা ঘাট সত্যি অত্যন্ত খারাপ রয়েছে। ওইসব গ্রামে পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে। এইসব সমস্যার সমাধান কোন ভাবেই করা যাচ্ছে না। গ্রামবাসীদের একটু ধৈর্য্য ধরার কথা বলা হয়েছে। বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর কারণ প্রসঙ্গে উপ প্রধান বলেন, গ্রামবাসীরা বলছে বিধানসভা ভোটের সময়ে মধুসূদনবাবু নাকি চোটখণ্ড গ্রামে সজল ধারা প্রকল্পে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ও গ্রামের রাস্তা-ঘাটের উন্নতি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পানীয় জলের ব্যবস্থা আজ আবধি হয়নি। তাই তাঁরা বৃহস্পতিবার বিধায়ককে কাছে পেয়ে বিক্ষোভ দেখান।বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন, ভোট বৈতরণী পার হবার জন্য আমরা নির্দিষ্ট কিছু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাই না। ওই গ্রামে টিউবওয়েল আছে। জলস্তর নীচে থাকা বা অন্য কোনও কারণে ওইসব কল থেকে হয়তো ঠিকঠাক জল উঠছে না। গ্রামবাসীরা পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধান কি করে করা যায় সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে।এই বিষয়ে সিপিএম মেমারি ১ (পূর্ব) এরিয়া কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোঙার বলেন, বাম আমলে ওই পঞ্চায়েতটি রাজ্যের সেরা ও দেশের সের পঞ্চায়েতের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এখন ওই পঞ্চায়েতটি করে খাওয়ার জায়গা হয়ে উঠেছে। রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে তৃণমূলের তরফে যে প্রচার করা হয় তা যে আসলে ভাঁওতা সেটা চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভ-বিক্ষভেই প্রমাণ করে দিয়েছে। মেমারির বিজেপি নেতৃত্বও দাবি করেছে, তৃণমূল উন্নয়নের নামে যা প্রচার করে তা আসলে ধাপ্পা ছাড়া আর কিছুই নয়।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

CBI Charge Sheet: ভোট পরবর্তীতে বিজেপি কর্মীর মাকে খুনের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই

বিধানসভা ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামে খুন হন বিজেপি কর্মীর মা। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই খুনের মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই বুধবার ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করলো। সিবিআইয়ের রাঁচি ইউনিটের ইনসপেক্টর অরুন কুমার সিং এদিন ২৫ পাতার সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট বর্ধমান সিজেএম আদালতে জমা দেন। এবং সিজেএম চার্জশিট গ্রহন করেছেন।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ,চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা, খুন ও খুনের চেষ্টার ধারা দেওয়া হয়েছে। এই খুনের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৩৬ জনকে সাক্ষী করেছে। চার্জশিটে উল্লিখিত অভিযুক্তদের মধ্যে মোট চারজনের নাম এফআইআরে ছিল, তাঁদের মধ্যে শাহজাহান শা এবং বিভাস বাগ মারা যাওয়ায় তাঁদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ গিয়েছে। বাকি যাদের নাম সিবিআইয়ের চার্জশিটে উঠে এসেছে তারা হল সমর ধারা, তরুণ ক্ষেত্রপাল, সোমনাথ শীল ওরফে হেপলো, সমীর বাগ ওরফে মুরুব্বি, সমীর ঘোষ, কুমারেশ ঘোষ, সাগর রায় ওরফে সঞ্জু ও অমরেশ বাগ। এই অভিযুক্তদের কেউই সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েনি। এদের মধ্যে সোমনাথকে পলাতক দেখানো হয়েছে। তরুণ আগেই পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয়। পরে সে জামিনে ছাড়া পায়। দুই সমীর, কুমারেশ, সাগর ও অমরেশ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তবে তাঁদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন জেলা জজ। গত বছরের ৩ আগস্ট পুলিশ সমর, তরুণ, সোমনাথ ও সমীর বাগের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই বিজেপি কর্মীর মাকে খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয়।সিবিআই জানিয়েছে, বিধানসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পরদিন রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় জামালপুর থানার নবগ্রাম এলাকা। ওই দিন নবগ্রামের বিজেপি কর্মী আশিস ক্ষেত্রপালকে সায়েস্তা করতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ঘর ভাঙচুর করা হয়। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা অনিল ক্ষেত্রপালকে টাঙি দিয়ে কোপানো হয়। ওই সময় স্বামীকে বাঁচাতে যান কাকলি ক্ষেত্রপাল(৪৭)। সামনে পেয়ে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি তাঁর গলায় হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারা হয়। জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মারধরে জখম আশিসের বাবা ও কাকা মানস ক্ষেত্রপালের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। এরপরই গ্রামের লোকজন আক্রমণকারীদের তাড়া করে শাহজাহান শা ও বিভাস বাগকে ধরে গনপিটুনি দেয়। তাতে ওই দুজনের মৃত্যু হয়। তদন্ত চলাকালীন সিবিআই খুনে ব্যবহৃত কাস্তে ও কাটারি বাজেয়াপ্ত করে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
রাজ্য

College Student: প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি

প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে মারধর ও তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিস। ধৃতের নাম রোহন বাগ। মেমারি থানার পূর্ব গন্তারে তার বাড়ি। বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম।পুলিস জানিয়েছে, মেমারি থানারই কবিরপুরে ওই ছাত্রীর বাড়ি। তিনি মেমারি কলেজের বিএ প্রথমবের্ষর ছাত্রী। সোমবার বিকেলে তিনি মেমারি থেকে টিউশন পড়ে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পূর্ব গন্তারে একটি ক্লাবের কাছে রোহন তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে সে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ওই ছাত্রী পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁকে খুন করা হবে বলে ছাত্রীকে হুমকি দেয় রোহন। ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। রাতেই ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। এ ধরনের আচরণে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

Suspended Festival: করোনা আবহে স্থগিত বর্ধমান পৌরসভার বার্ষিক উৎসব

করোনা আবহে আপাতত বর্ধমানে বর্ধমান পৌর উৎসব স্থগিত ঘোষণা করে দিল বর্ধমান পৌরসভা। আবার কবে এই উৎসব হবে তা এখনও জানায়নি পৌর কতৃপক্ষ। জানুয়ারিতেই বর্ধমান পৌর উৎসব হওয়ার কথা ছিল, মেলার জন্য ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য্য করা হয়েছিল। মেলা পরিচালনা জন্য যোগ্য সংস্থার কাছে থেকে দরপত্র নেওয়ার পদ্ধতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। মেলার বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য গত ২২ ডিসেম্বর বংশগোপাল টাউন হলে শহরের নাগরিক বৃন্দ ও বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে এক সভা আয়োজন করা হয় বর্ধমান পৌরসভার পক্ষ থেকে।বর্ধমানের উপ-পৌরপ্রশাসক আইনুল হক বলেন, করোনার বিধিনিষেধ জারি রয়েছে রাজ্যে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুব জরুরি। আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে এই উৎসব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। এই মুহুর্তে মানুষের স্বাস্থ্যই পৌরসভার কাছে মূল প্রাধান্য।এই মুহুর্তে বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় করোনা আক্রান্তের খবর আসছে। মনে করা হচ্ছে করোনা-র তৃতীয় ঢেউ যেভাবে সারা বিশ্বে আছড়ে পরেছে তাঁর থেকে এই শহরও বাদ যাবে না। উপ-পৌরপ্রশাসক আইনুল হক বলেন, আমাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে, মাস্ক না পড়ে বাইরে বেরোবেন না, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। শরীর খারাপ বুঝলে পৌর-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

Ladakh on a Bicycle: কালনার দুই যুবকের মহতী উদ্যোগ, করোনা সচেতনায় সাইকেল নিয়ে লাদাখ পাড়ি

দেশজুড়ে ফের বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের প্রভাব। নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন বহু মানুষ। মন্ত্রী থেকে শুরু করে আমলা ও উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা কেউই সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এমনকি পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এত কিছুর পরেও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে মাস্ক পরা ও বিধি নিষেধ মেনে চলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না দেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষ। তাই আর ঘরে বসে না থেকে করোনা নিয়ে দেশবাসীকে সচেতন করতে মঙ্গলবার সাইকেলে চড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লো পূর্ব বর্ধমানের কালনার কালনার কাঠিগঙ্গা ও মহাপ্রভুপাড়ার দুই যুবক প্রণব সাহা ও সৌরভ দাস। এই যুবকদের একজন চালান অটো। আপরজন ইলেকট্রিকের কাজ করার পাশাপাশি ছোট মুদিখানা দোকান চালান। যুবকরা সামান্য ১০০-২০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে সচেতনতা প্রচার চালাবে এমনটা নয়। করোনা নিয়ে সচেতনতা জাগাতে কালনার এই দুই যুবক জম্মু-কাশ্মীরের লাদাখ পর্যন্ত যাবে সাইকেলে চড়ে। দুই যুবকের এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কালনার মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগৎ ও সহ কালনার বিশিষ্ঠজন।মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে ইতিমধ্যেই দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তও হয়েছে বহু মানুষ। এখন ফের আবার উর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। সংক্রমণ বৃদ্ধি রোখার জন্য রাজ্য প্রশাসনের তরফে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পলিশ কর্মীরা পথে বিধি মানানোর জন্য নজরদারি চালাচ্ছেন, সচেতনতার প্রচারও চালাচ্ছেন। তবুও অনেক মানুষজন বেপরোয়া মনোভাবদেখিয়ে বিধি মানছেন না।মাস্ক পড়ছেন না। এইসবের কারণে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে দেশের মানুষজনকে করোনার সংক্রমণ নিয়ে সচেতন করতে কালনার দুই যুবক সাইকেলে চেপে লাদাখের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। যুবকদের এমন মহতি কর্মকাণ্ড নিশ্চিৎ ভাবেই প্রশংসার দাবি রাখে।কালনা শহরের ঐতিহ্যশালী স্থান সেখানকার ১০৮ শিবমন্দির। সেই শিবমন্দিরের সামনে গিয়ে সর্বশক্তিমান দেবতাকে প্রণাম জানিয়ে এদিন প্রণব ও সৌরভ সাইকেলে চেপে রওনা হয়। প্রণব সাহা ও সৌরভ দাস জানিয়েছেন, তাঁরা করোনার ভয়বহতা সম্পর্কে মানুষজনকে সচেতন করার সংকল্প নিয়ে সাইকেল কালনা থেকে রওনা দিচ্ছে।বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি,পঞ্জাব হয়ে তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের লাদাখে পৌঁছাবে। পথে সরকারি জায়গা অথবা অন্য কোনও স্থানে রাত্রিবাস করবেন। সেই কারণে সাইকেলে তাঁবুর পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারের ব্যানারও সঙ্গে নিয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে ও শরীর ঠিকঠাক থাকলে ২০-২৪ দিনের মাথায় তাঁরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবেন বলে আশা করছেন। আসা ও যাওয়া মিলে প্রায় পাঁচ হাজার পথ সাইকেল চালাতে হবে। প্রণব সাহা ও সৌরভ দাস এও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তা সত্বেও এখনও অনেক সচেতন নন। তাই সবাইকে করোনা অতিমারির ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন করতেই তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে যুবকরা জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

School Open in Kalna: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পূর্ব বর্ধমানে বেসরকারি স্কুলে মৌখিক পরীক্ষা, ক্ষুব্ধ প্রশাসন

নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় রাজ্য সরকার সোমবার থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে। কিন্তু সেই সরকারী নির্দেশকে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হল পূর্ব বর্ধমানের কালনার জিউধরা এলাকার একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে। এই ঘটনা কথা জেনে বেজায় ক্ষুব্ধ হন কালনার মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগৎ। তিনি ওই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্যকালনার মহিষমর্দিনী গার্লস ইন্সটিটিউশন ও কালনা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া এদিন বিদ্যালয়ে এসেছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠানে রিহার্সালের জন্য। আবার বই জমা দেওয়ার জন্যও কিছু পড়ুয়া স্কুলে আসে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দেয়। তারই মধ্যে এদিন উল্টো চিত্র ধরা পড়ে কালনার জিউধরার বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে একাদশ ও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

Bank Mergers: ব্যাঙ্ক মার্জার হতেই মাথায় হাত বর্ধমানের ভান্ডারডিহির গ্রাহকদের

কেন্দ্রের ব্যাংক মার্জারের সিদ্ধান্তের দরুন এলাহাদাদ ব্যাঙ্ক মিশে গিছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সাথে। আর দুই ব্যাঙ্ক মার্জার হতেই গায়েব হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভান্ডারডিহির বহু মানুষের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে ভান্ডারডিহির ব্যাঙ্ক গ্রাহক মহলে। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সোমবার দফায় দফায় ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের লেনদেন বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে এদিনের মত পরিস্থিতি স্বাভারিক হয়।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ভান্ডারডিহির গঞ্জে ছিল এলাহাবাদ ব্যাংকের একটি শাখা। গ্রামের বহু মানুষ সেখানেই লেনদেন করতেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে কিছুদিন আগে ওই ব্যাংকটি মিশে যায় ইন্ডিয়ান ব্যাংকের সঙ্গে। তার পরেই গরিব মানুষজন ও চাষিরা দেখতে পান গায়েব হয়ে গিয়েছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। এই ঘটনার কারণে সবার মাথায় হাত পড়ে যায়। গ্ৰাহকদের পাশ বুকও আপডেট হয়নি। সেই কারণেই এলাকার গ্রাহকরা এদিন দফায় দফায় ওই ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ব্যাঙ্কের লেনদেনও বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ, এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রন্সফার করে নেওয়ার কাজ চলছিল সি এস পি ও ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের মদতে। গ্রাহকরা অভিযোগ বলেন, তাঁরা জানতে পারলেনই না তারই মধ্যে কখন তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হল। এমনকি বন্ধকী আমানতের টাকা ম্যাচুরিটি হলেও তার টাকা মেলেনি।গ্রাহক মুক্তিপদ হাজরা বলেন, আমার ১ লাখ টাকা আটকে গেছে। টাকার অভাবে এখন তিনি জ্যাঠার চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অপর গ্রাহক রেখা হাজরা বলেন, তিনি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা তুলতে চান অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য। কিন্তু জুতোর শুখতলা খইয়ে ফেলেও টাকা পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন। সুব্রত খাঁ নামে এক গ্রাহক বলেন, উইথড্রয়াল শ্লিপে তাকে সই করিয়ে অন্য লোক টাকা নিয়ে গিয়েছে। গ্রাহকদের এইসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • ...
  • 39
  • 40
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal