• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Assembly

রাজনীতি

By-Election: রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে অকাল ভোটের জন্য বিজেপি নেতাদের লালসাকে দায়ী করলেন অভিষেক

গোসাবায় উপনির্বাচনে প্রচারে গিয়ে স্থানীয় ভাবাবেগকে উসেক দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জনসভায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন সাংসদ থাকবেন আর একজন মন্ত্রী হবেন বলে নিজেদের লালসা ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে মানুষের রায় পরিত্যাগ করেছেন। আর তৃণমূলের দুই বিধায়ক করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এঁরা মানুষের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুকে আপন করেছেন। এভাবেই চার কেন্দ্রে কেন অকাল ভোট সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ।উল্লেখ্য়, গোসাবা ও খড়দহ কেন্দ্রে তৃণমূলের দুই বিধায়কের মৃত্যু হয়েছিল করোনায়। অন্যদিকে শান্তিপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বিধায়কপদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ থেকে গিয়েছেন। দিনহাটায় সব থেকে কম ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। তিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনিও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। দুই বিজেপি বিধায়কের ইস্তফার জন্যই উপনির্বাচন করতে হচ্ছে শান্তিপুর ও দিনহাটায়।এদিনের জনসভায় অভিষেক বিঁধেছেন অমিত শাহকে। অভিষেক বলেন, বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করে ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করবেন। কোথায় গেল সেই টাকা। বহিরগতরা এসব বলে চলে যায়। কাজের কাজ কিছু করে না। ভূমিপুত্রকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন। সারা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা বলেছিলাম আর যাই হোক মাথা নত করবে না।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক। তিনি বলেন, এই জেলার সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আপনাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক তা কেউ ভাঙতে পারবে না। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। চারটে বিধানসভা আসনের মধ্যে গোসাবায় সব থেকে বেশি ভোটে জয়ী করবেন। প্রত্যেকটা বুথে, প্রত্যেকটা অঞ্চলে তৃণমূলপ্রার্থীকে জেতাতে হবে। প্রতিবছর নানাসময়ে প্রাকৃতিক ঝড়ঝঞ্ঝায় বিধ্বস্ত হতে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে। আমি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করব, কথা দিয়ে গেলাম। অভিষেকের কটাক্ষ, শুধু দিল্লি বা বহিরাগত বিজেপি নেতা নয়, গত ৬ মাসে বিজেপির কোনও নেতার টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজনীতি

Sabyasachi Dutta: বিধনসভায় পরিষদীয়মন্ত্রীর ঘরে সব্যসাচীর তৃণমূলে যোগ, রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে

বিধানসভায় দলবদল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরলেন প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। দলবদল হল একেবারে বিধানসভা চত্বরে। বৃহস্পতিবার পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে মুকুলপন্থী বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। এই দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এটা একটি বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনা। দেশের অন্য কোনও বিধানসভা কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি বা প্রত্যক্ষ করেনি। বিধানসভাকে নিজের দলীয় অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে।বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসার যেন মিছিল পড়ে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলে ফেরার হিরিক লেগেছে। একাধিক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে এসেছেন। হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থীদেরও দলে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। বিধানসভার ফল বেরনোর পর সর্বপ্রথম কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরেন। তখনও অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল মুকুলপন্থীরা ঘাসফুল শিবিরে ফিরবেন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই আভাস দিয়েছিলেন। এদিন তা একেবারে স্পষ্ট হল।তবে সব্যসাচীর দলে ফেরা নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদমাধ্যমে বলেছেন, নির্বাচনে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গলমন্দ করলেন, তাঁরাই এখন দলে ফিরছেন। এতে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়।এর আগে কখনও রাজ্য বিধানসভা সত্বরে দলবদল হয়েছে, এমন নজির নেই। বিরোধী নেতৃত্ব নবান্নে গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা চত্বরে এই প্রথম দলবদলের ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটেছে একেবারে পরিষদীয়মন্ত্রীর ঘরে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেরও বক্তব্য, বিধানসভা চত্বরে এই দলবদলের ঘটনা ঐতিহাসিক নজির হয়ে থাকবে। আবার এমন দিনে তৃণমূলে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় রাজ্যপালের কাছে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
রাজ্য

Speaker: বিধানসভায় আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব স্পিকার, পাল্টা বিজেপির

বিধানসভার এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করছে আদালত। শুধু আদালতই নয়, দেশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা থেকে শুরু করে রাজ্যপাল পর্যন্ত বিধানসভার কাজে নাক গলাচ্ছেন বলে স্পিকারদের এক সর্বভারতীয় সম্মেলনে সরব হলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, গত ১০ বছরের বেশি সময়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা হয়েই রয়ে গিয়েছেন। পরিষদীয় ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছেন।আরও পড়ুনঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সময়জ্ঞানের পাঠ দিলেন মোদিগত জুন মাসে এরকমই এক সম্মেলনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সরব হন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে তিনি সেবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছেও অভিযোগ করেন। মে মাসে বিধানসভা চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় থাকা কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই স্পিকার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিধানসভায় ঢুকতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল, এমনটাই সূত্রের খবর।স্পিকারদের সম্মেলনে রোল অব লেজিসলেটর অ্যান্ড মিনিংফুল ডেমোক্রেসি শীর্ষক একটি বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এদিন বিমানবাবু বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বিধানসভার স্পিকারকে না জানিয়ে কাজ করছে। কোনও সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা কোনও পদক্ষেপ নিতে চাইলে সংসদের অনুমতি লাগে। বিধায়কদের ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা হলে তা বিধানসভাতেই সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে আদালতে চলে যাওয়া হচ্ছে। আদালতও সেইসব অভিযোগ গ্রহণ করছে। খোদ রাজ্যপাল বিভিন্নভাবে বিধানসভার এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করছেন। ফলে বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপ হচ্ছে বিভিন্নভাবে।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
দেশ

Secret Tunnel: বিধানসভার গোপন সুড়ঙ্গে লুকিয়ে অজানা ইতিহাসের হাতছানি

রহস্যে মোড়া দিল্লি বিধানসভা চত্বর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত ইতিহাস যে চাপা পড়ে যায়, তার কোনও ইয়ত্তা নেই। যদিও কালের নিয়মে অনেকসময় তা আবার বেরিয়ে আসে। ঠিক যেমন দিল্লি বিধানসভার ভিতরে খোঁজ মিলল সেই ব্রিটিশ যুগের গোপন সুড়ঙ্গের। দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য লালকেল্লার সঙ্গে সংযুক্ত একটি সুরঙ্গের হদিশ মিলেছে বৃহস্পতিবার। দিল্লি বিধানসভার অন্দরের একটি ঘরে সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি বিধানসভা থেকে লালকেল্লার দূরত্ব প্রায় ৬ কিমি। তাই সুদীর্ঘ সুড়ঙ্গটির খোঁজ মেলার পর দিল্লি বিধানসভার অন্দরে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে।আরও পড়ুনঃ উমেশের ধাক্কা সত্ত্বেও প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড হঠাৎ এই সুরঙ্গ আবিষ্কারের মধ্যে অনেক রহস্যের গন্ধ পাওয়া গেলেও, আদতে এর পেছনে রয়েছে অন্য কাহিনি। এই বিষয়ে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রামনিবাস গোয়েল জানিয়েছেন, বিধানসভা থেকে লালকেল্লা সংযোগকারী এই সুড়ঙ্গ মূলত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্যত্র সরানোর সময় জনরোষের হাত থেকে বাঁচতেই এটি ব্যবহার করা হত। এই প্রসঙ্গে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ আরও বলেন, যখন আমি প্রথম বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসি তখন থেকেই গুঞ্জন শুনেছিলাম যে এখানে লালকেল্লা সংযোগকারী একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে সুড়ঙ্গটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি। এখন আমরা এটি খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু আমরা কোনওরকম খনন কার্য চালাচ্ছি না, কারণ মেট্রো প্রকল্প ও নর্দমা নির্মাণের ফলে এখন আর সুড়ঙ্গটির কোনও অস্তিত্ব নেই।আরও পড়ুনঃ ফোনে কথা বলছেন নার্স, ভ্যাকসিন পড়ল পর পর ৩ ডোজ!ব্রিটিশ আমলের মতো সুড়ঙ্গটি চলাচলের যোগ্য করা যাবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি। তবে এই ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ সাধারণ মানুষের সামনে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি এই সুড়ঙ্গের কিছু মেরামতি করে তা দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আগামী বছর ১৫ অগস্ট দর্শকের জন্য সম্ভবত এই সুড়ঙ্গ খুলে দেওয়া হবে।১৯১২ সালে ব্রিটিশ রাজত্বের সময় কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পর, বর্তমান দিল্লি বিধানসভা ভবনটি তখন কেন্দ্রীয় আইনসভা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯২৬ সালের পর এটিকে আদালতে রূপান্তরিত করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কোর্টে নিয়ে আসার সময় এই সুড়ঙ্গটি ব্রিটিশরা ব্যবহার করত।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
কলকাতা

Suvendu: শহরের জলযন্ত্রণা নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

টানা বৃষ্টিতে শহরের জল যন্ত্রণা নিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের একবার খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে নাগাড়ে বর্ষণের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য বর্তমান শাসকদলকের একহাত নেন বিরোধী দলনেতা। শহরবাসী তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কারণেই এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলেও ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। খোঁচার সুরে শুভেন্দু বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর আগেই রাজ্যে দুয়ারে নর্দমা প্রকল্প চালু হয়েছে। কলকাতা তো লন্ডন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শাসকদল এখানে ১১ টা আসনই জিতেছে। কলকাতার মানুষই সব দেখুন, কাদেরকে ভোট দিয়ে তাঁরা জেতালেন। কলকাতাকে আদর্শ নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি তো প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন। সেই মানুষই তৃণমূলের উপর আস্থা রেখে ১১ টা আসন জিতিয়েছে, তাই কলকাতার মানুষজনই দেখুন। যশ-এর পর বলা হচ্ছিল দুয়ারে গঙ্গা। এখন সবাই বলছে, দুয়ারে নর্দমার জল। হয়তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হওয়ার আগে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে। সেই শুনানি শেষ করে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানান, অধ্যক্ষ আগামী ১৭ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারিত করেছেন। তবে অনির্দিষ্টকাল ধরে যাতে এই শুনানি না চলে সেই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে ফের একবার আইনের পথ হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি।

জুলাই ৩০, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: খবর প্রকাশ হতেই বাড়ির দুয়ারে ভ্যাকসিন

খবর প্রকাশ হতেই একেবারে বাড়ির দুয়ারে বসে কোভিডের ভ্যাকসিন পেলেন নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার খর্বকায় প্রতিবন্ধী ভ্রাতৃদ্বয়। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কলানবগ্রামে বাড়ি প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলের। ভোটের সময়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা কোভিডের ভ্যাকসিন পেয়ে গেলেও ভ্যাকসিন পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি কমিশনে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ভ্রাতৃদ্বয় এমনকি ভোট মিটে যাওয়ার পরেও গত বুধবার পর্যন্ত তারা ভ্যাকসিন পাননি । সেই খবর এদিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই প্রশাসনের কর্তারা নড়ে চড়ে বসেন। জনতার কথাতেও তা প্রকাশিত হয়।আরও পড়ুনঃ কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিধানসভা ভোটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়রীতিমতো দুয়ারে ভ্যাক্সিন নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়ের বাড়িতে হাজির হয়ে যান মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারি ১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও মেমারি ১ নম্বর ব্লকের যুগ্ম বিডিও। তাঁদের সঙ্গেই ছিল মেডিকেল টিম। বাড়িতেই সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলকে দেওয়া হয় কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ। ভ্যাকসিন পেয়ে উচ্ছ্বাসিত প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভাতৃদ্বয়। বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খবর পেয়েই ব্লক প্রশাসন উদ্যোগী হয়। তবে তিনি দবি করেন, ব্লক প্রশাসনের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত ছিল।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিধানসভা ভোটের 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার' খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়

বিধানসভা ভোটের সময়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসাডার করা হয়েছিল দুই প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়কে। আর ভোট মিটে যেতেই তারা এখন ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত ভোটে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হওয়া সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল। ভ্যাকসিন পাওয়ার সৌভাগ্য আদৌ হবে কিনা তাও জানেন না দুই খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিধানসভার কলানবগ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা আন্না মণ্ডল। মাটির এক কুটুরি বাড়িতেই তাঁরা বসবাস করেন। সরকারী ভাতার সামান্য কয়েকটা টাকা আর দুচারটে ছগল, গরু ও মুরগি প্রতিপালন করে সামন্য যে টুকু রোজগার হয় তা দিয়েই তাঁরা দিন গুজরান করেন। এমনই এক হতদরিদ্র পরিবারের খর্বকায় প্রতিবন্ধী ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব ও মানিককে ২০২১ বিধানসভা ভোটে ২৬৫ মেমারি বিধানসভার ভোট আইকন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী এবং ৮০ উর্ধ্ব ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহিত করার ব্যাপারে তাঁরাই হয়েছিলেন প্রধান মুখ ।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?কোভিড অতিমারির মধ্যেই এবার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। তার জন্য নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু নতুন নিয়ম জারি করে। প্রতিবন্ধী ও ৮০ উর্ধ্ব বয়সী ভোটাররা যাতে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও কোভিড পেসেন্টরাও যাতে একই সুবিধা পান সেই ব্যবস্থাও কমিশন ধার্য করে। এই সকল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেয়। তারই প্রচার কাজে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মেমারি বিধানসভার আধিকারিকরা আইকন হিসাবে বেছে নেন খর্বকায় দুই প্রতিবন্ধী ভাই সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলকে। ভোটের সময় নিঃস্বার্থ ভাবেই এই দুই প্রতিবন্ধী ভাই ট্রাইসাইকেলে চড়ে গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর কাজও চালিয়ে যান। তাঁদের এই কর্মকাণ্ড ভোটার মহলে যথেষ্ট সাড়াও ফেলে। এখন ভোট মিটে গিয়েছে। আর ভোট মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন দুই প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীসঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল বুধবার আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর তাদের কথা কেউ মনে রাখে না। মনে রাখেনি সরকারও। সেই কারণে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আগেও তাঁরা কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাননি। ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অনেকবার পাল্লারোডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছেন। লাইনে দাঁড়িয়েও ছিলেন। কিন্তু ভ্যাকসিন না পেয়ে তাঁদের হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সঞ্জীব ও মানিক আরও জানান, ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ব্লকের বিডিও অফিসেও মৌখিক ভাবে তাঁরা জানিয়ে ছিলেন। তাতেও সুরাহা হয়নি। আদৌ কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাবেন কিনা তা নিয়েও অন্ধকারে রয়েছেন বলে প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?এই বিষয়ে মেমারি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, তাঁর সঙ্গে ওনারা যোগাযোগ করেননি। তবে বিষয়টি তিনি জেনেছেন।খুব তাড়াতাড়ি ওনাদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে বলে বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন।

জুলাই ২১, ২০২১
কলকাতা

Election Commission: অগস্টের প্রথমেই ৫ কেন্দ্রের ভোটযন্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ

ভবানীপুর-সহ রাজ্যে পাঁচটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি আরও জোরাল করার নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। প্রাথমিক ভাবে ওই পাঁচটি কেন্দ্রের ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ অগস্টের প্রথম সপ্তাহে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা থেকে মনে করা হচ্ছে, অগস্টে বা সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচন হতে পারে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। যদিও নির্বাচনের মতোই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআররাজ্যে যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, সেগুলি হল ভবানীপুর, খড়দহ, বাসন্তী, শান্তিপুর এবং দিনহাটা। ওই কেন্দ্রগুলির জন্যই প্রস্তুতিতে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। তবে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কমিশন সূত্রে খবর, এই দুটি বিধানসভায় নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি বিধানসভা ভোটের আগেই সারা হয়ে গিয়েছিল। কারণ, ওই দুটি আসনে ভোট স্থগিত ছিল প্রার্থীদের মৃত্যুতে। ফলে সেখানে আর নতুন করে ভোটযন্ত্র পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যে পাঁচটি আসনে ভোট হয়েছিল, সেখানে নতুন করে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা সবরকম প্রস্তুতি রাখছি। রাজ্যসভা হোক বা বিধানসভা সব রকম নির্বাচনের জন্য দপ্তর প্রস্তুত।

জুলাই ২১, ২০২১
রাজনীতি

মুকুলের দলবদল, ৬৪ পৃষ্ঠার তথ্যপ্রমাণ অধ্যক্ষকে পাঠিয়েছেন শুভেন্দু

বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে তিনি প্রকাশ্যে দলনেত্রীর উপস্থিতিতে দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির দাবি, পিএসি কমিটির যে ৬ জনের সদস্যের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল তাতে মুকুল রায়ের নাম ছিল না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর হুঙ্কার, চেয়ারম্যান হয়েও সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে পারবেন না মুকুল রায়।মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে এদিনও হুঙ্কার ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ইতিমধ্যে বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে আমি ৬৪ পৃষ্ঠা তথ্যপ্রমাণ সমৃদ্ধ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছি। আগামী ১৬ তারিখ ২টোর সময় তিনি শুনানিতে ডেকেছেন। আমি আমার তথ্যপ্রমাণের সমর্থণে অধ্যক্ষের শুনানিতে থাকব। এটাও আমরা জানি, বিগত দিনে একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে বামফ্রণ্ট পরিষদীয় দল অভিযোগ করেছিল। ২৩ বার হেয়ারিং হয়েছে, শুনানি শেষ হয়নি। ১৬ তারিখটা আসছে তারপর যেখানে গেলে বিচার হবে সেই বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। আমার স্থির বিশ্বাস, যে মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করেছে তাঁর সদস্যপদ রাখতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস।এদিকে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভোটাভুটি হলেও মুকুল রায় পিএসির চেয়ারম্যান হবে। যদিও একথাও বলেছিলেন মুকুল রায় তো বিজেপির সদস্য। কেন তিনি বিজেপি ছাড়লেন? সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল ভবনে মুকুল রায় বলেছিলেন, পরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। এর আগে বহু বিধায়ক দলবদল করলেও বিধায়ক পদে থেকে গিয়েছেন। এবার যে তা হবে না সেই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দল ছাড়ার সব প্রমাণ আছে।

জুলাই ০৯, ২০২১
কলকাতা

Mukul Roy: মুকুলই পিএসির চেয়ারম্যান

শুক্রবার মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটা ঘোষণা হতেই বিধানসভায় হট্টগোল শুরু করে বিজেপি। তার পর বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধী দলের বিধায়করা। আরও পড়ুনঃ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো বর্ধমানের গ্রামসাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিরোধী দলের তরফে পিএসি চেয়ারম্যান হন। সেই ঐতিহ্যকে ভাঙলেন অধ্যক্ষ মহোদয়। ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও সদস্য বা সদস্যা মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর উপস্থিতিতে গলায় উত্তরীয় পড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অডিয়ো-ভিডিয়ো সবাই দেখেছেন। আমাদের অশোক লাহিড়ীর নাম পাঠিয়েছিলেন মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। সেটা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কারণ সরকার চায় খরচ আমরা করব, হিসাব আমরা দেখব। এই সরকার ২০১৭ সাল থেকে ক্যাগের অডিট করেনি। ২০১২-১৩ সাল থেকে জিটিএ-র অডিট করেনি। খেলা-মেলায় টাকা খরচে বিরোধীরা বাধা না হতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত। অশোক লাহিড়ীর মতো ভোটে জিতে আসা সম্মানীয় অর্থনীতিবিদ ভুল গুলি যাতে ধরতে না পারেন, তাই মুকুল রায়কে মনোনীত করল।

জুলাই ০৯, ২০২১
কলকাতা

Madan-Dilip: বিধানসভায় দিলীপ-মদনের রঙিন রসিকতা

রাজ্য রাজনীতিতে একে অপরের দিকে তীর্যক বাণ ছুড়তেই অভ্যস্ত তাঁরা। আর সাধারণও তা্ই দেখতেই অভ্যস্ত। কিন্তু সম্প্রতি বাংলার রাজনীতিতে এমন রঙিন রসিকতা শেষ কবে দেখা গিয়েছে তা হিসেব করতে বসেছেন অনেকেই। তৃণমূলে হিরো একজনই, বিধানসভায় মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা হতেই বললেন দিলীপ ঘোষ।আরও পড়ুনঃ চাম্পিয়ানশিপের লক্ষ্যে আর এক ম্যাচ, প্রতিপক্ষ কে আর্জেন্টিনা না কলম্বিয়া?মঙ্গলবার বিধানসভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে মাল্যদান করতে আসেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। বিধানসভায় শ্যামাপ্রসাদের ছবিতে মাল্যদানের পর লবিতেই বসে দলীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এমন সময় কাছ দিয়েই যাচ্ছিলেন মদন। তাঁকে আসতে দেখেই হাত নেড়ে দাঁড় করান দিলীপ।প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদনের পরনে ছিল জমকালো সোনালি কাজ করা কালো পাঞ্জাবি। এমন পোশাক দেখে কৌতূহলী দিলীপ প্রশ্ন করেন, এরকম পাঞ্জাবি কপিস আছে আপনার? খাসা পাঞ্জাবি পরেছেন একখানা। ম়ৃদু হেসে জবাব দেন মদন। তিনি বলেন,একপিসই।হাসতে হাসতেই মদন আরও বলেন, দুপুরে একটু বেরিয়েই ভিজে জবজবে হয়ে গেলাম বলে পোশাকটা পাল্টে এলাম। এরকম পাঞ্জাবি এই একটাই আছে আমার। পাল্টা হাসিতে বিজেপি সভাপতি বলেন, আপনার দলে তো হিরো বলতে তো একজনই আছে, সেটা মদন মিত্র। দিলীপের কথা শুনে হাসতে থাকেন মদন। তারপর অবশ্য বেশিক্ষণ দাঁড়াননি মদন। হেঁটে চলে যান অধিবেশন কক্ষে।কিন্তু কট্টর প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন ২ মিনিটের রসিকতায় মন ভরেছে সকলেরই।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজনীতি

Assembly: বিধানসভার স্পিকারকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর

বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করায় তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর জবাবি ভাষণ দেন বিধায়করা। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন শুরু করতেই বিরোধী দলের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনার কথা বলা হয়। যদিও অধ্যক্ষ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। রাজ্যপালের ভাষণের পর এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই বিধানসভার ভিতরে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ শুরু হয়। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এমন দলদাস স্পিকার আগে দেখিনি। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।আরও পড়ুনঃ ফের শহরে গ্রেপ্তার ভুয়ো অফিসারবিধানসভার অধিবেশনের বয়কট করার পর স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক সম্মেলন তিনি বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। তাঁর দল জিতেছে। যিনি তাঁকে হারিয়েছেন, তিনি বিরোধী দলনেতা হয়েছে। একথা বিধানসভায় বলা যাবে না! মমতার চোখে ইশারায় রে রে করে উঠলেন তৃণমূল বিধায়করা। শুভেন্দুর কথায়, আইনমন্ত্রী কানে কানে গিয়ে বলল। তারপর স্পিকার বলছে, বিষয়টি সাব জুডিস। কিন্তু কোনও অন্তর্বর্তীকালীন রায় নেই। প্রশ্ন তুললেন, তাহলে আমি এখানে থাকব কেন? আমাকে বের করে দিন।বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের হইচই, আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা বিজেপি বিধায়কের আছে। তাহলে ওয়াকআউট কেন? শুভেন্দুর সাফ কথা, স্পিকার বিরোধীদের সংরক্ষণ দেবেন, আইন মেনে চলবেন। তাঁর শাসকদলের প্রতি, যে দলের প্রতীকে জিতেছেন, সেই দলের প্রতি দূর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। সেকারণেই আমরা বিধানসভা বয়কট করলাম। আমরা সাধারণ মানুষকে জানাতে চাই, বিধানসভায়ও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজনীতি

বিধানসভায় কৌশলী তৃণমূল, কড়া নির্দেশ বিধায়কদের

এবারের বিধানসভায় এক ঝাঁক নতুন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে তাঁদের পাঠ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সমস্ত বিধায়ক এদিন হাজির ছিলেন। দলীয় বিধায়কদের নানা ভাবে সতর্ক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে দল। এবার এককভাবে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয় পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুই সাংসদ পদত্যাগ করায় বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫-এ। কিন্তু এবার বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক নেই। লড়াই সরাসরি। রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের দিন বিজেপির ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বুঝিয়ে দিয়েছে কোমর বেধে নামবেন শুভেন্দু অধিকারীরা। তাই বিশেষ কৌশল নিতে চলেছে তৃণমূল। জুঝতে গেলে পড়াশুনা দরকার তাও এদিন বিধায়কদের অবগত করেছে তৃণমূল।দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নতুন বিধায়করা লাইব্রেরী ব্যবহার করুক, জানুক। তাঁরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুক। বুঝতে অসুবিধা হলে নেতৃত্বরা তাঁদের বুঝিয়ে দেবে। বিজেেপি বিধায়করা অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও দলীয় বিধায়কদের সংযত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নেতৃত্ব। কোনওভাবেই না জেনে বিধানসভায় কিছু বলা যাবে না। জেনে নিতে হবে। নির্দেশ দলের।এদিনের বৈঠকে বিধানসভায় সময়মত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে দলীয় নেতৃত্বে। পার্থবাবু বলেন, শেষ সময় পর্যন্ত থাকতে হবে। বিধানসভায় প্রতিদিন হাজির হতে হবে। পরিষদীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন শোনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, নির্মল ঘোষ। বৈঠকে ছিলেন না মদন মিত্র। মুকুল রায় খাতায়কলমে বিজেপির বিধায়ক। তিনিও হাজির ছিলেন না পরিষদীয় সভায়।ভূয়ো ভ্যাকসিনের নায়ক ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের ছবি প্রকাশ পেতেই বিড়ম্বনা বেড়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নামতে হয়েছে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই ছবিকে হাতিয়ার করে ক্রমাগত তোপ দাগছে গেরুয়া শিবির। এবার সামাজিক কর্মসূচিতে বিধায়কদের যাওয়া নিয়ে কড়া বার্তা দিল দল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আয়োজক সংস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কারা আসবেন সেখানে সেই তালিকা দেখে নিতে হবে। তারপর তাঁরা সেই অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন।

জুলাই ০৫, ২০২১
কলকাতা

Suvendu Adhikari: সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণে সত্যি উল্লেখ ছিল না, তাই বাধা

বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি উল্লেখ করেনি শাসকদল। বরং সরকারের লেখা ওই ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগগুলোকে মিথ্যে বলে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল সরকার।আরও পড়ুনঃ বিধানসভায় নজিরবিহীন! ৭ মিনিটের ভাষণ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপালবিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যপালের ভাষণে দাবি করা হয়েছে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজ্যে কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থাকাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ফলে তার দায় নির্বাচন কমিশনের। এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি, রাজ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক। বিরোধীদের রাজ্য থেকে সমূলে উৎপাটন করার চেষ্টা করছে সরকার। স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েমের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখই ছিল না রাজ্যপালের ভাষণে। তৃণমূলের গুন্ডা ও নিষ্ক্রিয় পুলিশের ভূমিকার উল্লেখ নেই। সেই কারণেই আমরা বাধা দিয়েছি।ভাষণের কোথাও হিংসার উল্লেখ নেই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এসেছে। হাইকোর্টের টিপ্পনি রয়েছে। ৯০০০ এফ আই আর হয়েছে। সাড়ে ৭ হাজার বাড়ি পুড়িয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ও ভোটার ঘরছাড়া। তবে রাজ্যপাল কেন ভাষণ সম্পূর্ণ করেননি, সে ব্যাপারে তাঁর জবাব, এর উত্তর মহামহিম রাজ্যপালই দিতে পারবেন।ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে সরব হয়েছেন, এদিন সেজন্য জগদীপ ধনখড়কে কৃতজ্ঞতা জানান শুভেন্দু অধিকারী। তবে সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি জানান, বিধানসভায় আগামিদিনেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সারা দিনের আলোচনা চাইবে বিজেপি। ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়েও সরকারকে আলোচনা করতে হবে।

জুলাই ০২, ২০২১
কলকাতা

Assembly: বড় খবর: বিধানসভায় নজিরবিহীন! ৭ মিনিটের ভাষণ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল

বিধানসভা অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজই। তার আগে এমন যে কিছু একটা ঘটবে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল আগে থেকেই। ঘটলও ঠিক তাই। মাত্র সাত মিনিটে ভাষণ শেষ করে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল। আর এমন নজিরবিহীন ঘটনার পিছনে রয়েছে বিরোধীদের তুমুল হইহট্টগোল। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে রাজ্যপাল বললে বিজেপি বিধায়করা হইচই করতে পারেন। দলের পরিষদীয় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর ছিল। কিন্তু, রাজ্যপালের ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত কোনও কিছু না থাকার কারণেই বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলে থমকে যায় রাজ্যপালের ভাষণ। প্রথমে স্পিকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ফের শুরু হয় ভাষণ। কিন্তু তাও বেশিক্ষণ চলেনি। সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েই বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের পোস্টার নিয়ে আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিধায়করা। উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভা অধিবেশনে এরকম বিরোধী হট্টগোলের অনেক নজির রয়েছে। কিন্তু রাজ্যপালের এরকম ভাষণ না দিয়ে বেরিয়ে আসার ঘটনা পরিষদীয় ইতিহাসে প্রথম। আশ্চর্যজনকভাবে এদিন বিরোধীদের হট্টগোলের পালটা কোনও ঝামেলা করতে দেখা যায়নি সরকারপক্ষের কাউকেই।

জুলাই ০২, ২০২১
কলকাতা

Assembly Session: আজ শুরু বিধানসভা অধিবেশন

রাজ্য-রাজ্যপাল টানটান সংঘাতের আবহে শুরু হতে চলেছে এবারের অধিবেশন। রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার গঠনের পর, আজ থেকে বসছে প্রথম বিধানসভার অধিবেশন। দুপুর ২টোয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হবে অধিবেশন। শুক্রবার দুপুর ২টোয় শুরু অধিবেশন। দুপুর পৌনে দুটোর মধ্যে বিধানসভার আসন গ্রহণের জন্য সব বিধায়কের উদ্দেশে হুইপ জারি করেছে তৃণমূল। বাজেট অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতেও উপস্থিত থাকতে হবে তাঁদের। আরও পড়ুনঃ সংঘাত আবহেই বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যপালের সঙ্গে ব্রাত্য সাক্ষাতে জল্পনাবিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগেছে তৃণমূল। এমনকী, জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে রাজ্যপালের যোগ থাকারও অভিযোগ করেছে শাসকদল। এই সংঘাতের আবহে উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়েছে রাজ্য-রাজ্যপাল ভাষণ সংঘাত। বিধানসভায় সরকারের লিখিত ভাষণ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর সঙ্গে ফোনে এনিয়ে কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যপালকে মমতা জানিয়েছেন, এই ভাষণ মন্ত্রিসভার অনুমোদিত। বদল করা যাবে না। ফলে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, প্রথা মাফিক রাজ্যপাল কি রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই পাঠ করবেন? না কি ভাষণের কিছু অংশ বাদ দেবেন তিনি? একই সঙ্গে এবারই রাজ্যে বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেয়েছে বিজেপি। পাঁচ বছরে ৩ থেকে ৭৭ জন বিধায়ক হয়েছে তাঁদের। পরে অবশ্য দুজন বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার পদত্যাগ করেছেন এবং দলত্যাগ করলেও খাতায়-কলমে এখনও বিজেপিরই বিধায়ক রয়েছেন মুকুল রায়। ফলে বিধানসভায় এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ জন। প্রথমবার বিরোধী আসনে বসবে পদ্মশিবির। যাঁকে এক সময় ট্রেজারি বসতে দেখা যেত, এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীরই বসবেন বিরোধী বেঞ্চে। সামনে থেকে গেরুয়া শিবিরকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। বিপরীতে তাঁরই এক সময়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এবারই প্রথম বিধানসভার অন্দরে দেখা যাবে মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথ।

জুলাই ০২, ২০২১
কলকাতা

BJP all party meeting: বিধানসভায় সর্বদলে বৈঠকে বিজেপি বিধায়করা, গরহাজির শুভেন্দু

জল্পনা উড়িয়ে সোমবার বিধানসভায় সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত হলেন একঝাঁক বিজেপি বিধায়ক। সম্প্রতি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র টানাপড়েনের আবহ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এক সময় শোনা গিয়েছিল, বিজেপি বিধায়করা সর্বদল বৈঠক বয়কট করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে সেই জল্পনা উড়িয়ে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে দেখা গেল গেরুয়াশিবিরের বেশ কয়েক জন বিধায়ককে। তবে বিধানসভায় থাকলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা যায়নি।আর তা নিয়েই নতুন করে উস্কে উঠছে একাধিক জল্পনা।আরও পড়ুনঃ পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ সপরিবার পুলিশ আধিকারিকবিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে শাসকদলের তরফে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, সন্ধ্যারানি টুডু, পার্থ ভৌমিক-সহ অনেকেই। তৃণমূল বিধায়কদের পাশাপাশি ওই ঘরেই দেখা যায় একঝাঁক বিজেপি বিধায়ককেও। ছিলেন দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, অম্বিকা রায়, বিমান ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, তাপসী মণ্ডলরা। সূত্রের খবর, সোমবারের সর্বদল বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে আগেই জলঘোলা হচ্ছিল। তিনি অংশ নিতে নাও পারেন, এমন গুঞ্জন উঠেছিল। তবে সোমবার সকালে দেখা গেল, বিধানসভায় এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সর্বদলের আগে বিজেপি পরিষদীয় দল তাঁর নেতৃত্বেই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে। সূত্রের খবর, আসন্ন অধিবেশনে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে বিজেপি সরব হবে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে, তেমনই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা হয়েছে। বিধানসভায় হাজির রয়েছেন মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিধায়ক। আগে মনোজ টিগ্গাই ছিলে বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা।

জুন ২৮, ২০২১
কলকাতা

PAC-Mukul: পিএসি নির্বাচনে মুকুলের মনোনয়কে বৈধতা স্পিকারের

বিজেপি-র দাবি খারিজ করে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-তে মুকুল রায়ের মনোনয়নকে বৈধতা দিল বিধানসভার সচিবালয়। বৃহস্পতিবার ছিল স্ক্রুটিনিপর্ব। মুকুলের মনোনয়নের বিরোধিতা করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিল বিজেপি-র পরিষদীয় দল। কিন্তু বিকেলে স্ক্রুটিনিপর্ব শেষে কমিটির ২০ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করেন বিধানসভার সচিব। ওই নামের তালিকায় ২০ জনের মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুলের নাম। একই সঙ্গে রয়েছে বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামও। উপরন্তু এই চিঠির সম্বন্ধে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। আরও পড়ুনঃ ডাক্তার ও নার্সদের জন্য অভিনব মাস্ক আবিস্কার করে সাড়া ফেলেছে বাংলার কিশোর বিজ্ঞানীবৃহস্পতিবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নমিনেশন যে কেউ দিতে পারেন। যিনি জমা দিয়েছেন, মুকুল রায়, তিনি তো বিজেপি-র সদস্য। তাঁকে বিনয় তামাংরা সমর্থন করেছেন। ভোটাভুটি হলে হবে। দেখি কার কত ক্ষমতা। মানুষের কত ক্ষমতা দেখে নেবে বিজেপি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই কমিটির ২০ সদস্যের নাম ঘোষণা করে বিধানসভা। ২০ জনের এই তালিকা প্রকাশের আগেই বিজেপি একটি চিঠি দেয় স্পিকারকে। সেখানে বলা হয়েছিল, খাতায়কলমে মুকুল এখনও বিজেপি বিধায়ক হলেও দলের তরফে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়নি। বরং পিএসি-তে মুকুলের নাম প্রস্তাব করেছেন কালিম্পঙের মোর্চা বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা। সহ প্রস্তাবক ছিলেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতি। মুকুল বিজেপি বিধায়ক হলেও, তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে বিরোধী শিবিরের বিধায়করা। তার পরেও মুকুলের মনোনয়ন কী ভাবে গৃহীত হল? স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তা-ও জানতে চাওয়া হয়।বিজেপি-র তরফে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। বুধবার মনোনয়ন স্ক্রুটিনির সময়েও মৌখিক ভাবে আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি-র বিধায়ক দল। তাতে কাজ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার লিখিত ভাবে মুকুলের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়। চিঠির বয়ানে তাঁদের স্বাক্ষর থাকলেও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অম্বিকা বা বিষ্ণুপ্রসাদ। ওই চিঠিতে কৃষ্ণনগরের বিধায়কের মনোনয়ন বাতিলের জন্য রুল নম্বর ৩০২-এর উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবিই খারিজ করে ২০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

জুন ২৪, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu Adhikari: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে শুভেন্দুর চিঠি স্পিকারকে

অবশেষে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জমা পড়ল। শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biman Banerjee) চিঠি দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য, বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে জয় লাভ করেছেন মুকুল রায়। কিন্তু শিবির বদলে ফের তৃণমূলে (TMC) ফেরেন তিনি। এরপরই দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। শুভেন্দু সাফ জানিয়েছিলন, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই চিঠিতে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আরজির আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। চিঠি লেখাও হয়েছিল কিন্তু বিধানসভায় তা জমা পড়েনি। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল, স্পিকার না আসায় এবং রিসিভিং সেকশন বন্ধ থাকায় চিঠি জমা করা যায়নি। এছাড়াও চিঠিতে কিছু ভুলত্রুটিও ছিল, যা আরও একটি কারণ। গতকালই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, শুক্রবার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি জমা দেওয়া হবে। একান্তই যদি জমা না দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষকে মেল করা হবে। সেই মতোই এদিন জমা পড়ল চিঠি।

জুন ১৮, ২০২১
কলকাতা

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দলবদলের জল্পনা বাড়ালেন বঙ্গ রাজনীতির 'চাণক্য' মুকুল

তিনি বরাবরই কৌশলী, বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য। দীর্ঘদিন পর সক্রিয় রাজনীতিতে এসেও তারই প্রতিফলন ঘটালেন।শপথ গ্রহণের দিন মুকুল রায়ের আচরণ বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো। শুক্রবার তিনি নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে যান বিধানসভায়। ঠিক ১০ মিনিট সেখানে ছিলেন। শপথগ্রহণের পর বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে না গিয়ে সোজা তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরের দিকে চলে যান তিনি। সেখানে দেখা করলেন শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে, চলল সৌজন্য বিনিময়ও। তারপরই অবশ্য মুখে কুলুপ আঁটলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। বলেন, মানুষের জীবনে এমন দু-একটা দিন আসে, যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়। এই কথাই বহুমুখী ইঙ্গিতবাহী।জয়ের পর বিধায়কের শপথ নিতে এসে মুকুলের আচরণ কিন্তু উস্কে দিয়েছে একাধিক জল্পনা। এদিন বিধানসভা কক্ষে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তারপরই মুকুল রায়কে ঘিরে ধ্বনি ওঠে, দলনেতা হতে হবে। এসবে বিশেষ কর্ণপাত না করে তিনি তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে যান। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন, অন্যদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে চলে যান। একটিবারও ঢোকেননি তাঁর নিজের দল বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে। এমনকী পরিষদীয় দলের বৈঠকও এড়িয়ে গিয়েছেন।এরপর মুকুল রায় বিধানসভার বাইরে এলে তাঁকে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরে নানা প্রশ্ন করেন। তাতে প্রথমে মুকুল রায় জবাব দেন, মানুষের জীবনে এমন দু-একটা দিন আসে, যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়। এ নিয়ে জল্পনা উস্কে ওঠে। এই নীরবতার কী অর্থ। বিজেপি বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েই তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা হয়েছে। আরও অনেকের সঙ্গেই হয়েছে। সুব্রত মুখার্জিকে দেখিনি। কিন্তু সকলে যে তাঁকেই বিরোধী দলনেতা হওয়ার দাবি তুললেন? এ নিয়ে একটি কথাও উচ্চারণ করেননি মুকুল। এমনিতেই এই পদ নিযে মুকুল-শুভেন্দুর একটা অলিখিত লড়াই আছে, যে লড়াইয়ে অনেকেই শুভেন্দুকে এগিয়ে রাখছেন। কারণ, হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর নজরকাড়া সাফল্য। তবে কি এই দৌড়ে খানিক পিছিয়ে থেকেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন একদা তৃণমূলের ভরসাযোগ্য নেতা মুকুল রায়? তাঁর আজকের আচরণ তুলে দিচ্ছে এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন।

মে ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal