• ১ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Trinamool,

রাজ্য

Khagragarh : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অশান্তি অব্যাহত বর্ধমানের খাগড়াগড়ে

তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ফের উত্তপ্ত হল বর্ধমানের খাগড়াগড়। দরজার তালা ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার পাশাপাশি দুয়ারে সরকার প্রকল্পে মানুষজনকে সাহায্যের জন্য রাখা নথিপত্রও নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এইসব ঘটনা নিয়ে একগোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এলাকা বারবার উত্তপ্ত হওয়ায় অতিষ্ট খাগড়াগড়ের বাসিন্দারা।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরতৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রবিবার অশান্ত হয় খাগড়াগড়। এরপর এদিন ফের খাগড়াগড় এলাকা উত্তপ্ত হল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে।এলাকার তৃণমূল নেতা শেখ ফিরোজের অনুগামী মহম্মদ হোসেন এদিন দাবি করেন, পুলিশের নির্দেশে রবিবার তাঁদের দলীয় কার্যালয় বন্ধ ছিল। তবুও রাতে কিছু দুষ্কৃতী কার্যালয়ের দরজার তালা ভেঙে সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে এলাকার মানুষকে সাহায্য করার জন্য যে সব নথিপত্র রাখা হয়েছিল সেইসবও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা পিয়ারী বিবি অভিযোগে বলেন, রান্না খাওয়া-দাওয়া করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমন গুন্ডামি অসহ্য হয়ে উঠছে।আরও পড়ুনঃ অক্টোবরেই চরম আকার নেবে তৃতীয় ঢেউ!যদিও এইসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিরোধী গোষ্ঠীর মহম্মদ ইনসান। পালটা অভিযোগে তিনি দাবি করেন, এলাকার যাবতীয় অশান্তির মূলে রয়েছে শেখ ফিরোজ ও তার অনুগামী শেখ হোসেন সহ তাঁর দলবল। ওরাই নিজেদের গোষ্ঠীর মেয়েদের নিয়ে এসে বাসিন্দাদেরর মারধর করিয়েছে। এছাড়াও ক্লাব নিয়ে নানা বেনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি চলছে বলেও মহম্মদ ইনসান দাবি করেছেন।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা-চ্যালেঞ্জে নতুন তাস দেবএই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সবটাই স্থানীয় ঘটনা। এর সাথে দলের কোনো যোগ নেই। এটা গোষ্ঠীকোন্দলের ব্যাপার নয়। ক্লাবের ব্যাপার হতেও পারে। এলাকায় কোন গোষ্ঠী নেই।

আগস্ট ২৩, ২০২১
রাজ্য

MLA Allegations: তৃণমূল পরিচালিত দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দলীয় বিধায়কের

তৃণমূল পরিচালিত দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই এমনটা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে।এখানকার জাহান্নগর ও দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে ভূয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে দুর্নীতি সহ নানা বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। তবে শুধু অভিযোগ আনাই নয়, দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করে বিধায়ক ব্যবস্থা গ্রহনেরও আর্জি জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ লর্ডসে বেঙ্গসরকারের অনন্য নজির আজও অমিলযদিও বিধায়কের আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দুটি পঞ্চায়েতের কর্তারা দাবি করেছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাহান্নগর ও দোগাছিয়া পঞ্চায়েত দুটি পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। জেলা শাসক ও জেলাপরিষদের সভাধিপতির কাছে দায়ের করা অভিযোগে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জাহান্নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে উচ্চহারে ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও উন্নয়ন কাজের ই-টেন্ডারনা করে এই পঞ্চায়েতে পক্ষপাতিত্ব করা হয়। অন্যদিকে দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিধায়কের অভিযোগ, এই পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে আর্থিক দুর্নীতি করেছে। এই পঞ্চায়েতও উন্নয়ন কাজের ই- টেন্ডার না করে নির্দিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেয় । বিধায়কের অভিযোগ, পশ্চিম মুদাফরে ১ হাজার লেবারের কাজ না হলেও ৬ হাজার লেবার কাজ করেছে দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা প্রশাসনকে জানিয়েছেন বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়।আরও পড়ুনঃ জয় দিয়ে এএফসি কাপ অভিযান শুরু করল এটিকে মোহনবাগানযদিও বিধায়কের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জাহান্নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ ঘোষ বলেন, কেউ বিধায়ককে ভুল বুঝিয়েছেন। তাই তিনি এইসব অভিযোগ আনছে। উনি চাইলে পঞ্চায়েতে এসে যে কোন বিষয়ে সবিস্তার তথ্য নিজে দেখে যেতে পারেন। অপর দিকে দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান ইলিজা শেখ দাবি করেন, অভিযোগ সত্য নয়। ১০০ দিনের কাজে কোনও দুর্নীতি হয়নি। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগের বিষয়গুলি তদন্ত করে দেখা হবে।

আগস্ট ১৮, ২০২১
রাজনীতি

Purba Bardhaman: গেষ্ঠীকলহের জেরেই কি জেলার শীর্ষে বর্ধমান শহরের কারও স্থান হয়নি? সরানো হল দুই যুব নেতাকেও

অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা রাখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির মাথাতে রাখা হয়েছে প্রবীণদের। এঁদের মধ্যে তিনজনই আবার বিধায়ক। রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্ধমান শহরের তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর দল যে সন্তুষ্ট নয় তা ঘোষিত কমিটির তালিকা দেখলে কারও অনুমান করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।আরও পড়ুনঃ শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ব, রণক্ষেত্র দুয়ারে সরকারপূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত কমিটির নেতাদের কারও বাড়ি বর্ধমান শহরে নয়। কমিটি ঘোষণার আগে একাধিক নেতা বারে বারে ছুটেছেন কলকাতায়। কিন্তু আদপে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি তা অন্তত এই কমিটির ঘোষণায় প্রমাণিত। তাই কেউ কেউ মুষড়ে পড়েছেন। তবে দল ভরসা রেখেছে প্রবীণ নেতৃত্বের ওপর। বরং শহরে বাড়ি দুই নেতাকে দল তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে বর্ধমানে তৃণমূলের অন্দরমহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয় ভারতেরএক ব্যক্তি এক পদ, এই নীতি আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। খেলা হবে দিবসের দিন রাজ্যব্যাপী নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত করল তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে যে সরতে হবে তা জানাই ছিল। কিন্তু সরিয়ে হল পূর্ব বর্ধমানের জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারকেও। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি ইফতিকার আহমেদকেও (পাপ্পু)। পাপ্পু বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ বলেই সূত্রের খবর। যদিও প্রাক্তন যুব সভাপতি রাসবিহারী একটা সময় খোকনের খুব ঘনিষ্ঠ হলেও এখন সম্পর্ক যথেষ্ট তিক্ত বলে সূত্রের খবর।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে নতুন যুগ, এক নেতা-এক পদজেলা সভাপতি হিসাবে বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক-সহ বেশ কয়েকজন নেতা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। তাতে জল ঢেলে দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলা কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের খবর প্রকাশ হতেই বর্ধমান শহরের তৃণমূল নেতৃত্বের একটা বড় অংশ গালে হাত দিয়ে বসেছেন। নতুন সভাপতি হয়েছেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জেলা যুবর সভাপতি জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, আইএনটিটিইউসির সভাপতি হিসাবে ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নাম ঘোষণা করেছে দল। জেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ সংঘমিত্রা চৌধুরীকেও। সেই পদে বসেছেন অশোক বিশ্বাস। মহিলা তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন চন্দনা মাঝি। বর্ধমান শহরের সভাপতি হিসাবে অরূপ দাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্ধমান শহরের তৃণমূল নেতৃত্বকে জেলা কমিটির শীর্ষে না রাখার প্রধান কারণ দলের গোষ্ঠীকলহে লাগাম টানা। শহরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জেরবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।আরও পড়ুনঃ ১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপরাজ্যে বিধানসভার দুই আসন ও বাকি পাঁচ আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তারপর রাজ্যে পুরনির্বাচন। সূত্রের খবর, বর্ধমান শহরে এখনই তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব পুরসভার টিকিট পেতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। গত পুর নির্বাচনে টিকিট প্রাপ্তদের অনেককে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল দলের অভ্যন্তরে ও বাইরে। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রার্থী বাছাই নিয়ে মুখ পুড়েছিল দলের। বর্ধমানের মতো শহরে যাঁদের পুরসভায় প্রার্থী করা হয়েছিল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। এবার অন্তত প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দল মনযোগ দেবে বলে আশা করছে নীচুতলার কর্মীরা।

আগস্ট ১৭, ২০২১
রাজ্য

Pandaveshwar: চরম বিক্ষোভের মুখে প্রাক্তন বিধায়ক, ধুন্ধুমার পান্ডবেশ্বরে

অসুস্থ বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁকে কার্যত গালিগালাজ করে হেনস্তা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, অভিযোগ করেছেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। যদিও তৃণমূল এই ঘটনার দায় নিতে নারাজ। প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটে যায় পান্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহিতে।আরও পড়ুনঃ অশান্ত আফগানিস্তানের জন্য শান্তির আবেদন ক্রিকেটার রশিদ খানেরঅসুস্থ বিজেপি কর্মী সোনালী গিরির সঙ্গে দেখা করতে বুধবার খোট্টাডিহি যান জিতেন্দ্র তেওয়ারি। অভিযোগ, তখন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। একইসঙ্গে সোনালী গিরির বাড়ির বাইরে স্লোগান দেয়। সোনালী গিরির বাড়িতে পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। সোনালী গিরির সঙ্গে দেখা করার পর বেরিয়ে আসার সময় তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির।জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, একজন ব্যক্তির খারাপ সময়ে তাঁর খবর নেওয়া কি অপরাধ? একজন নাগরিক হিসেবে আমি যে কোন জায়গায় যেতে পারি। জিতেন্দ্রবাবু জানান, সম্প্রতি সেনালী গিরির টিউমারের অস্ত্রোপচার হয়েছে। আমি সোনালী গিরির বাড়িতে গিয়ে মানবিক ভাবে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিলাম। এটাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ভুল। এখানে আসা নিয়ে একদিন আগে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, পুলিশের উপস্থিতিতে নিন্দনীয় কাজ করে তৃণমূলের লোকেরা। জিতেন্দ্র তিওয়ারির হুঁশিয়ারি, ভয় দেখিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না। আমি যখন খুশি আমার দলের কর্মীদের সাথে দেখা করতে পারি।আরও পড়ুনঃ বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিভ্রান্তি হুগলির তৃণমূলে, মুচকি হাসছে গেরুয়া শিবিরপাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সোনালী গিরি নামে পাণ্ডবেশ্বরের ওই বিজেপি কর্মী একসময় চাকরি দেওয়ার নাম করে লোকের কাছে টাকা নিয়েছিলেন। আজ এলাকার মানুষজন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মানুষ তাঁর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনেও যোগ নেই।

আগস্ট ১১, ২০২১
রাজনীতি

Manoranjan Bapari: বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিভ্রান্তি হুগলির তৃণমূলে, মুচকি হাসছে গেরুয়া শিবির

ফেসবুক পোস্ট থেকে বিরাম নেই বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর। তাঁর সোশাল মিডিয়ায় লাগাতার পোস্ট অস্বস্তিতে ফেলছে দলকে। এমনকী জনপ্রিয় স্লোগান খেলা হবে তুলে ধরে সরাসরি তিনি বিঁধেছেন বলাগড়ের দলীয় নেতৃত্বের একাংশকে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের কেউ কেউ। রিক্সাচালক সাহিত্যিকের এমন ফেসবুক পোস্ট দেখে মুচকি হাসছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির হাতে নির্বাচন-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত এবং শয্যাশায়ী তৃণমূল কর্মী বাপ্পা ঘোষ কিছুতেই বিধায়কের খেলা হবে মানতে পারছেন না।আরও পড়ুনঃ এবার দলের কর্মীদের দিয়ে পায়ে জুতো গলিয়ে বিতর্কে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কবলাগড়ের তৃণমূল বিধায়কের বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এনেছে। তাঁর আক্রমণের তিরে প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম মাঝি, হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিধায়ককে নির্বোধ বলতেও ছাড়েননি, গদ্দার ও বেইমান তকমা তো রয়েছে! বিধায়ক বলেছেন, যাঁরা ভেবেছিলেন লোকসভা ভোটে ৩৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা আসনে আমি হারব, আমি জেতায় তাঁরা সহ্য করতে পারছেন না। তাঁরা ভোটের সময় কাজ করেনি, বরং অন্য প্রার্থীকে ভোট দিতে বলেছে। আমি দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে গোটা বিষয় জানিয়েছি। বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট দেখে তৃণমূল কর্মীরাও বিভ্রান্ত।জিরাট কলেজের সামনে ফ্লেক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নীচে অসীম মাঝি ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। জানা গিয়েছে, ওই ফ্লেক্স সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন বিধায়ক। তা সরিয়ে শৌচাগারের কাছে রাখা হয়। তা দেখে দলনেত্রীকে অসম্মানের অভিযোগে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানান ছাত্র-ছাত্রীরা। পরে ফের তা লাগানো হলেও তৃণমূল নেতৃত্বই পরে গিয়ে ফ্লেক্সটা খুলে নেয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিধায়ক। যদিও তাঁর প্রচারে অংশ না নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেই সরব হয়েছে দলের একাংশ। সাধারণ কর্মীদের বিভিন্ন পোস্টে দেখা যাচ্ছে কীভাবে মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সমর্থনে দিন-রাত খেটেছেন অসীম মাঝি, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা।আরও পড়ুনঃ এই শ্রাবণে...তোমার জন্যে গতকাল ফেসবুক পোস্টে মনোরঞ্জন ব্যাপারী লিখেছিলেন, যারা বন্দুক রিভলবার দেখিয়ে ভোটে জেতে তাদের জনগনের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা থাকে না । তাঁরা মনে করে ওইভাবে বার বার জিতে যাবে। আমি তেমন ভাবে জিতি নি, জিততে চাই না। আমি জিতেছি মা মাটি মানুষের নেত্রী দিদি মমতা ব্যানার্জীর আশীর্বাদ আর আপনাাসায়। একাংশ মনে করছে বিধায়কের এই পোস্ট বিজেপির অভিযোগকে শক্ত করেছে। কারা বন্দুক, রিভলবার নিয়ে ভোটে জয়ী হয় সেই প্রশ্ন উঠেছে।আরও পড়ুনঃ ঘাটাল বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টার প্ল্যান কী?শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ভোটের সময় বন্দুক দেখিয়ে নমিনেশনে বাধাদানের কথা বিধায়ক লিখেছেন ফেসবুকে। যদিও বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে কিছু বলতে রাজি নন শান্তনু এবং প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝি। বিরোধীদের কটাক্ষ, বলাগড়ে বহিরাগত বিধায়ক হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তৃণমূল। তাঁর দলে থাকা নিয়েই সংশয়ে রাজনৈতিক মহল।আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেদলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চেয়ে সোচ্চার আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী বাপ্পা ঘোষ। ভোটের ফলপ্রকাশের পর বাপ্পা ঘোষ, তাঁর ভাই বাপন-সহ জনা পঁচিশ তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। বাপ্পার পেটে ছুরি চালানো হয়, বাপনের কাঁধে হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারা হয়। থানায় যে এফআইআর দায়ের হয় তাতে সাত নম্বরে নাম রয়েছে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বেচু নায়েকের। বেচুবাবু মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বক্তব্য ফেসবুকে শেয়ার করছেন! বাপ্পা ঘোষ জানান, তার উপর হামলার পরদিন বিধায়ক বাড়িতে এসেছিলেন। তারপর আর খোঁজ নেননি। সেদিন রাতে বিধায়ককে ফোনে পাইনি। বিধায়কের সঙ্গী শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন ধরে বলেছিলেন, দেখছি। তখন রাত ১১টা। কিন্তু হামলার খবর পেয়েই ছুটে এসেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপদে তাঁকে ছাড়া কাউকে পাশে পাইনি। তিনিই প্রথমে চুঁচুড়া ও পরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করান, প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা মিটিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছেন। নাহলে কী যে হত! বাপ্পার বক্তব্য, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের কয়েকজন আমার পরিবারকে দেখছেন। এখনও আমি অসুস্থ। অথচ আক্ষেপ যে মণ্ডল সভাপতি অভিযুক্ত তাঁর বাড়িতে পুলিশ পর্যন্ত যায়নি। কেন যায়নি সেটা আজ তাঁর ফেসবুক পোস্ট দেখে বুঝছি।

আগস্ট ১০, ২০২১
রাজ্য

Boikanthapur GP: পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

পঞ্চায়েতে অফিসে ঢুকে মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ উঠল খোদ অঞ্চল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।এদিনই সন্ধায় অঞ্চল তৃণমূল নেতা মোজাম্বেল শাহের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শর্মিলা মালিক। এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।আরও পড়ুনঃ নীরজ চোপড়ার ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা দেখলে অবাক হবেন, সংখ্যাটা কত?পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে প্রধান শর্মিলা মালিক জানিয়েছেন, এদিন বৈকন্ঠপুর ২ অঞ্চলের হাটশিমুল গ্রামের কিছু সমস্যা নিয়ে তিনি সেখানকার কয়েকজনের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসে আলোচনা করছিলেন। ওই সময়ে দুই জনকে সঙ্গে নিয়ে মোজাম্মেল শাহ পঞ্চায়েত অফিস রুমে ঢুকে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তাঁকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেবে বলে রীতিমত শাসায়। পঞ্চায়েত কর্মীরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহকে এরপর পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিক বলেন, তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শাহর এমন হুমকি শাসানির করণে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বর্ধমান থানায় মোজাম্মেল সাহ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান এদিন আরও বলেন, বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ বেশ কয়েকজন সদস্য ও সদস্যা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। কিন্তু তাতে তাঁরা সফল হয়নি। সেই থেকে তাঁরা পঞ্চায়েতের কোনও মিটিংয়ে আসছেন না। ফলে এলাকার উন্নয়নের কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন অবস্থা তৈরি হওয়ার জন্য মোজাম্মেল শাহ তাঁকে দায়ী করে হামেশাই শাসায়। এমনকী প্রতিদিনই সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে উদ্দশ্য করে ওই তৃণমূল নেতা আক্রমণ করে চলেছেন বলেও প্রধান শর্মিলা মালিকের অভিযোগ।আরও পড়ুনঃ বিশ্ব আদিবাসী দিবসে দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র পেলেন জামালপুরের আদিবাসীরাপঞ্চায়েত প্রধান এমন অভিযোগ করলেও তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শাহ তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি একজন সাধারন মানুষ হিসাবে জানতে গিয়েছিলাম কেন এলাকায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। উল্টে প্রধান মেজাজ হারিয়ে তার টেবিলে থাকা কাগজপত্র ফেলে দেন। পঞ্চায়েতে যদি সদস্যদের অনুপস্থিতির জন্য উন্নয়নের কাজ না হয় তাহলে তার নৈতিক দ্বায়িত্ব নিয়ে প্রধানের নিজের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মোজাম্বেল শাহ দাবী করেছেন। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কি ঘটেছে তা জানা নেই। তবে দলের উর্ধ্বে উঠে কেউ নিজের মতো করে কিছু দাবী করতে পারে না। সমস্যা বা অভিযোগ থাকতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বকে জানাতে হবে। এটাই আমাদের দলের নিয়ম। ঘটনার বিষয়ে বিজেপির জেলা নেতা কল্লোল নন্দন কটাক্ষ করে বলেন, ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই ওনাদের অশান্তি বলে শুনেছি।

আগস্ট ১০, ২০২১
রাজ্য

Bribery : বিল্ডিংয়ের নকশা পাশ করাতে মোটা টাকা ঘুষ, বর্ধমানে অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

বিল্ডিং-এর নকশা অনুমোদনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অভিযুক্ত সদস্যা মিতা দাস।এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ তৃণমূলের এক কর্মীও মিতা দাসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এলাকার তৃণমূল নেত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্য মিতা দাস ওই তৃণমূল কর্মীকেই তোলাবাজ আখ্যা দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ পূর্ব বর্ধমানে বজ্রপাতে মৃত ৩, জখম ৭বিল্ডিং এর নকশা অনুমোদনের জন্য যারা পঞ্চায়েত সদস্য মিতা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিজয় সাঁই। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বামচাঁদাইপুরে তাঁর ওষুধের দোকান। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ইতামধ্যেই বিজয় সাঁইকে ওই দোকান ভেঙে ফেলার জন্য নোটিশ দিয়েছে। সেইজন্য তিনি তড়িঘড়ি এই দোকানের পিছনে থাকা জায়গায় আইন মেনে দোকানঘর তৈরির নকশা অনুমোদনের আবেদন করেন পঞ্চায়েতে। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর কাছ থেকে প্ল্যান পাশ করাতে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেন বৈকন্ঠপুর ২ পঞ্চায়েতের সদস্য মিতা দাস। তার অভিযোগ, আজ অবধি নকশা পাশ হয়নি। এলাকার তৃণমূলকর্মী মোজাম্মেল শাহের অভিযোগ, মিতা দাস এভাবেই ঘুষ নিয়ে থাকেন। তাঁকে টাকা দিয়েই বাড়ি কিংবা দোকান ঘর তৈরির জন্য প্ল্যান নিতে হয়। মিতা দাসকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও করেছেন মোজাম্মেল শাহ।আরও পড়ুনঃ শনিবার দিনভর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাসএই বিষয়ে মিতা দাসকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ মিথ্যা। কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, মোজ্জামেল শাহ-ই তোলাবাজ।উনি শিখিয়ে পড়িয়ে এই অভিযোগ করিয়েছেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, প্ল্যান পাশ করাতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করাতে হবে। অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে দল ব্যবস্থা নেবে।

আগস্ট ০৭, ২০২১
রাজ্য

Flood: রায়নার বানভাসী এলাকা ঘুরে দেখলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী

কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের বেশকিছু এলাকা বানভাসী হয়েছে। তার জেরে ক্ষয়ক্ষতিও নেহাত কম হয়নি। এখনও কোথাও বসতবাড়ি তো কোথাও চাষ জমি ডুবেছে জলের তলায়। ক্ষয়ক্ষতির সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার জেলার রায়না ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া, ব্লকের বিডিও অনিশা যশ, জেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যরা। মন্ত্রীরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।আরও পড়ুনঃ এবার দলের কর্মীদের দিয়ে পায়ে জুতো গলিয়ে বিতর্কে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কবিডিও অনিশা যশ জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টির কারণে রায়না ২ ব্লকের ৫ হাজার কৃষকের চাষ জমির ক্ষতি হয়েছে। ২ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে এখনও জল দাঁড়িয়ে আছে। মৎস্যচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৭০ টনের কাছাকাছি পুকুরের মাছ ভেসে চলে গিয়েছে। ৩৫ হেক্টর পুকুরের জল ওভার ফ্লো হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে ব্লকের তিনটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরুই গ্রামপঞ্চায়েত ও উচালন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিডিও তথ্য উল্লেখ করে বলেন, এখনো পর্যন্ত গোটা রায়না ২ ব্লকে ১১টি বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড়বৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাতাসপুর এলাকায় একটি রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উচালন গ্রামপঞ্চায়েতর অন্তর্গত একলক্ষী বাজার সন্নিকটের দেব খাল দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল নিকাশি হওয়ায় বাঁধে ধস নেমেছে। ফলস্বরূপ একটি শ্মশান চুল্লি পুরোপুরিভাবে দেব খালে ভেসে গিয়েছে। একটি কাঠের ব্রিজও সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে গিয়ে দেব খালে তলিয়ে গিয়েছে। বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার সঙ্গে সংযোগকারী একটি পাকা সেতুরও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। মন্ত্রীরা এদিন উচালন গ্রামপঞ্চায়েতের একলক্ষ্মী বাজার সংলগ্ন অলি বাজার এলাকার দেব খাল পরিদর্শন করেন।আরও পড়ুনঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে এসএফআই-এর কনভেনশনমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, এলাকা পরিদর্শন করা হল। রায়না বিধানসভার বিধায়ককে তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে ওই শ্মশানের চুল্লি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলা হয়েছে।

আগস্ট ০৬, ২০২১
রাজ্য

Mangalkote: মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় সিআইডির জালে কুখ্যাত দুস্কৃতি

একেবারে ফিল্মি কায়দায় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে খুনের ঘটনায় জড়িও আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো সিআইডি। ধৃতের নাম রফিক সেখ। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ গ্রামে। মঙ্গলকোটের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাস খুন হওয়ার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল রফিক শেখ। বুধবার রাতে আউসগ্রামের ফতেপুর গ্রাম থেকে সিআইডি ও গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হল ৩ অভিযুক্ত।আরও পড়ুনঃ এবার দলের কর্মীদের দিয়ে পায়ে জুতো গলিয়ে বিতর্কে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কমঙ্গলকোটের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাস গত ১২ জুলাই বাড়ি ফেরার পথে খুন হন। দুস্কৃতিরা খুব কাছ থেকে গুলি করে অসীম দাসকে খুন করে পালায়। ঘটনার পর মৃতের ছেলে সুনন্দ দাস মঙ্গলকোট থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পুলিশ ১৪ জুলাই সাবুল সেখ ও সামু সেখ নামে দুজনকে গ্রেফতার করে হেপাজতে নেয়। এর পরেই খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। এই দুই ধৃত সহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি বিভিণ্ন সূত্র মাধ্যমে খোঁজ খবর চালান সিআইডির তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্তে উঠে আসে কোটালঘোষ গ্রামের কুখ্যাত দুস্কৃতি রফিক শেখের নাম।আরও পড়ুনঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে এসএফআই-এর কনভেনশনএর পরেই দুস্কৃতি রফিক শেখকে গ্রেপ্তারের জন্য সিআইডির তৎপরতা শুরু হয়। খবর মেলে অঞ্চল সভাপতিকে খুনের ঘটনার পরে আউসগ্রামের ফতেপুর গ্রাম নিবাসী আত্মীয় জালাল শেখের বাড়িতে লুকিয়ে আছে রফিক। গোপন সুত্রে সেই খবর পেয়ে সিআইডি দল বুধবার রাতে সেখানে হানা দেয়। গ্রেপ্তারির হাত থেকে বাঁচতে আত্মীয়ের বাড়ির পাশের তিনটি বাড়ির ছাদ টপকে রফিক পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগে থেকেই রফিকের মতলব আন্দাজ করে সিআইডি ও গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনী ওই বাড়ির চারিদিক ঘিরে রেখেছিল। তা সত্ত্বেও ওই আত্মীয়ের বাড়ির অনতিদূরে থাকা একটি পুকুরের কচুরিপানার আড়ালে সে লুকিয়ে পড়ে। পুলিশ ও সিআইডি সেখান থেকে তাকে পাকড়াও করে। ধৃত রফিক শেখকে বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে সিআইডির তদন্তকারী অফিসার তাঁকে নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতর ৭ দিন সিআইডি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অসীম দাসকে খুনের ঘটনায় ধৃত রফিক শেখ সুপারি কিলার ছিল কিনা সেটাই এখন খতিয়ে দেখতে চাইছে সিআইডি।

আগস্ট ০৫, ২০২১
রাজ্য

Party Office: বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়জয়কার, ’র‍্যাঙ্ক ডিমোশন' জামালপুর ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ের

বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় অভাবনীয় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় সরকার গঠন করার পর এখন তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য ত্রিপুরা জয়। দলের এমন সাফল্যের মাঝেও র্যাঙ্ক ডিমোশন হল তৃণমূলের পার্টি অফিসের। শুধু র্যাঙ্ক ডিমোশন-ই নয়, বদল ঘটেছে পার্টি অফিসের কর্তৃত্বকরীদেরও। বিধানসভা ভোটের আগে যা ছিল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় ভোটের পর তার র্যাঙ্ক ডিমোশন হয়েছে জামালপুর ২ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়-এ। অর্থাৎ জামালপুর ২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সৌজন্যেই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের এই র্যাঙ্ক ডিমোশন বলে দাবি করেছেন ব্লকের একাংশ তৃণমূল নেতৃত্ব।আরও পড়ুনঃ নোরার হট ছবি, ইনস্টাগ্রামে ভাইরালবাম আমলে জামালপুর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক পার্টি অফিস বলে কিছু তেমন ছিল না। বর্তমান ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খান পুলমাথা সংলগ্ন এলাকায় থাকা তাঁর বস্ত্র প্রতিষ্ঠানে বসেই তখন দলের কাজকর্ম চালাতেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের অন্যান্য বিধানসভার পাশাপাশি জামালপুর বিধানসভাতেও ঘাসফুল ফোটে। বিধায়ক নির্বাচিত হন উজ্জ্বল প্রামাণিক। এরপর ২০১৪ সালে জামালপুর বাস স্ট্যান্ডের গায়ে থাকা জায়গায় গড়ে তোলা হয় দ্বিতল তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস। তখন থেকেই ওই পার্টি অফিসের দেওয়ালে বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক সহ ব্লক তৃণমূলের তদানিন্তন সভাপতি অরবিন্দ ভট্টাচার্য ও বিধায়ক ঘনিষ্ট অন্য তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা সেখানে বসেই দলের কাজকর্ম চালাতেন। অন্যদিকে একই সময়কালের মধ্যে পুলমাথা সংলগ্ন এলাকায় দলের নামে থাকা জমিতে পার্টি অফিস গড়ে ফেলেন তৃণমূল নেতা মেহেমুদ খান। সেখানে বসেই আজও তিনি দলের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।আরও পড়ুনঃ কিশোর কুমারের জন্মদিনে নতুন চমক আনছেন পুত্র অমিতউজ্জ্বল প্রামাণিক বিধায়ক হওয়ার কয়েক বছর পর থেকে তাঁর সঙ্গে মেহেমুদ খানের সম্পর্কে টানাপড়েন শুর হয়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দ্বন্দ্বও বাড়ে। যার পরিণামে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে জামালপুর বিধানসভা আসনে পরাজিত হন উজ্জ্বলবাবু। জয়ী হন বাম প্রার্থী সমর হাজরা। এরপর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে দল অরবিন্দ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে জামালপুরের জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শ্রীমন্ত রায়কে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করে। দল এবার উজ্জ্বল প্রামাণিককে আর জামালপুর বিধানসভার প্রার্থী করেনি। পরিবর্তে গলসির বিধায়ক অলোক মাঝিকে জামালপুর বিধানসভার প্রার্থী করে দল। তার পরেই শ্রীমন্ত রায়কে ব্লক তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে দল মেহেমুদ খানকে সভাপতি করে দেয়। মেহেমুদ খানের সাংগঠনিক শক্তিতে ভর করে অলোক মাঝি বিধায়ক নির্বাচিত হন।আরও পড়ুনঃ ৪১ বছরের শাপমোচনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন মনপ্রীতরাএর কিছুদিন পরেই র্যাঙ্ক ডিমোশন ঘটে যায় উজ্জ্বল প্রামাণিকের সাধের জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের। ওই কার্যালয়ের দেওয়ালে লেখা থাকা ব্লক শব্দটি মুছে দিয়ে সেখানে ২ লিখে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় এখন জামালপুর ২ অঞ্চল তৃণমূলের কার্যালয়ের রূপ পেয়েছে। পাশাপাশি বদল ঘটেছে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের কর্তৃত্বকারীদেরও।আরও পড়ুনঃ প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে দুটি অলিম্পিক পদক, ইতিহাসে পিভি সিন্ধুএই বিষয়ে ব্লক তৃণমূলের পূর্বতন সভাপতি শ্রীমন্ত রায় কারও নাম মুখে না এনে জানান, ভোটের ফল বের হওয়ার কয়েকদিন পর দলেরই একাংশ তাঁদের পার্টি অফিসের দখল নিয়েছে। অন্যদিকে জামালপুরের শুড়েকালনার জেলা তৃণমূল নেতা প্রদীপ পাল এই ঘটনার জন্য সরাসরি ব্লক তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি মেহেমুদ খান ও যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিককে দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষনার পর মেহেমূদ খান ও ভূতনাথ মালিক দলবল নিয়ে তাঁদের জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে কার্যালয়ের দখল নেয়। তারপর দেওয়ালের লেখা মুছে দিয়ে জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়কে জামালপুর ২ অঞ্চল অফিসে পরিণত করা হয়েছে। প্রদীপ পাল জানান, ঘটনা সবিস্তার লিখে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী সহ জেলা ও রাজ্য তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। দল এই বিষয়ে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। যদিও জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহেমুদ খান ও যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক দাবি করেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। ওই পার্টি অফিসে আমরা যাই না। ওখানে কি হচ্ছে না হচ্ছে সেই বিষয়ে ওয়াকিবহালও নই। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, কি ঘটনা ঘটেছে তা জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে জেনে তার পর মন্তব্য করব।

আগস্ট ০২, ২০২১
রাজ্য

Indecent Dance: মেমারিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিলে 'অশালীন' নাচ-গান, সরব বিজেপির রাজ্য নেত্রী

তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিল রবিবার অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দলুইবাজারে। সেই বিজয় মিছিলের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। অশালীনতার দৃশ্য ধরা পড়া ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে অগ্নিমিত্রার দাবি, বিজয় মিছিলটি হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দলুইবাজার ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সেখপুর এলাকায়। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেছেন, এই রাজ্যে দুরকমের আইন। তৃণমূলের জন্য এক রকম। বাদবাকি জনগনের জন্য অন্যরকম। তৃণমূলের বিজয় মিছিলে থাকা লোকজনের মুখে মাস্ক না থাকা নিয়েও তিনি প্রশাসনকে কটাক্ষ করেছেন।একই সঙ্গে অগ্নিমিত্রা দাবি করেছেন, এগিয়ে বাংলা। গানের তালে নাচ, তৃণমূলী সংস্কৃতি।অভিযোগ, বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মেমারির দলুইবাজার ১ পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের কর্মীরা রবিবার বিজয় মিছিল করে। রীতিমত মাইক লাগিয়ে তারস্বরে ব্যাঞ্জো বাজিয়ে সেই বিজয় মিছিল হয়। সবুজ আবিরে মাখামাখি হয়ে ওই বিজয় মিছিলে নাচানাচিতে সামিল হন দলের মহিলা ও পুরুষ কর্মীরা। বিজয় মিছিলের নামে নাচা-গানা সহযোগে অশালীন মিছিল করার অভিযোগ ওঠে এলাকার শাসকদলের লোকজনের বিরুদ্ধে। যে নাচ নিয়ে এলাকার অনেকে লজ্জায় মুখ লুকোতেও বাধ্য হন বলে এলাকা সৃত্রে খবর।আরও পড়ুনঃ দিল্লি রওনার আগে বড় ঘোষণা মমতারবিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিজয় মিছিলের নামে এমন অশালীনতা নিয়ে ঘটনার দিন থেকেই সরব হন এলাকার বিরোধীরা। বিরেধী নেতৃত্বের অভিযোগে, কোভিডের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এই রাজ্যে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সাধারণ জনগনের মুখে মাস্ক না থাকলে পুলিশ পদক্ষেপ করছে। অথচ শাসক দলের বিজয় মিছিলে সবেরই ছাড়। সেখানে সচেতনতা, দূরত্ববিধির কোন কিছুর বালাই ছিল না। তার উপর বিজয় মিছিলে থাকা মহিলা ও পুরুষরা তৃতীয় শ্রেণীর চটুল গানে বিভোর হয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে গোটা রাস্তা নেচে বেড়ালেন। সব জেনেও শাসক দলের বিজয় মিছিল বলে প্রশাসন নিরবই থেকে গিয়েছে বলে অভিযোগ মেমারির বিরোধী শিবিরের।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনজেলা বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন এই প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূলের নেতারা এখন বলেছেন এগিয়ে বাংলা। তাই যা হবার সেটাই হচ্ছে। রাজ্যবাসীকে এরকম আরও অনেক কিছু এখনও দেখতে হবে । যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাসের সাফাই, বিজয় মিছিল হয়েছে করোনা বিধি মেনেই। সরকারি নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়েই সব কিছু হয়েছে।

জুলাই ২৬, ২০২১
রাজ্য

Memari: মেমারী শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১জুলাই পালন

তৃতীয়বার বাংলা বিজয়ের পর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। করোনা পরিস্থিতিতে গতবছরের মতো এবারও ভার্চুয়ালি পালন করা হয় শহিদ দিবস। ভার্চুয়াল বক্তব্যে দিল্লি জয়ে বিরোধীদের সার্বিক জোটের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় বড় এলইডি স্ক্রিণের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাষণ। সেখানেই ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।আরও পড়ুনঃ শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসেই পদ্মশিবিরে বড়সড় ভাঙন, জামালপুরে যোগ তৃণমূলেমেমারী শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বক্তব্য সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে। সেখানে শহরের যুব নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। এদিন দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নেতৃত্ব শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। মেমারী শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ সাঁতরা জানান, ২১ জুলাই উপলক্ষ্যে মেমারী বামুনপাড়া মোড়ে শতাধিক বাচ্চাকে দুধ, বিস্কুট প্রদান করা হয়েছে। তৃণমুল কংগ্রেসের চোটখণ্ড গ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি পল্লব সিংহরায় জনতার কথাকে জানান, মেমারী শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ সাঁতরার উদ্যোগে দুঃস্থ ও কর্মহীন অসহায় মানুষদের কম্যুনিটি-কিচেন তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুব তৃণমূলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মেমারীবাসী।

জুলাই ২২, ২০২১
দেশ

TMC Mamata: দিল্লি অভিযানে মমতার নতুন স্লেগান

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল। পুরো নির্বাচনী প্রচারে এই স্লোগান দিয়েছে তৃণমূল শিবির। দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়ে ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে নতুন স্লোগান। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে জয় হিন্দুস্থান স্লোগান। বাংলা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে নতুন স্লোগান বেঁধে দিলেন মমতা।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে সামান্য বাড়লেও দেশে করোনা সংক্রমণে স্বস্তিএবারও করোনা আবহে ২১ জুলাই শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বক্তব্য শুরু করলেন জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম, জয় বাংলা, জয় হিন্দুস্থান ধ্বনি দিয়ে। ভাষণের শেষেও ছিল জয় হিন্দুস্থান ধ্বনি। একেবারে নতুন ধ্বনির স্লোগান দিয়েই মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন মমতা। তিন বার টানা বাংলা দখল সম্পূর্ণ করে এবার তাঁর নজর দিল্লির মসনদ। বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক জোটে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ফোন ট্যাপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান মমতাপ্রথম থেকেই জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে টানা প্রবল বিরোধিতা করে বিজেপি। গেরুয়া শিবির দাবি তোলে এটা বাংলাদেশের স্লোগান। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে জুড়তে চাইছে তৃণমূল, তাই এই স্লোগান। এমনই দাবি ছিল বিজেপির। যদিও এই স্লোগান বিরোধী কোনও মন্তব্যকে পাত্তা দেয়নি তৃণমূল। প্রতিটি জনসভায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশব্যাপী লড়াইয়ে জয় হিন্দুস্থান ধ্বনিকে সঙ্গী করেই এগোতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। শহিদ দিবসে সেই সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলনেত্রী।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

21st July: ২১ জুলাই এবার শহিদ স্মরণে বঙ্গ বিজেপি-ও

বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর ব্রিগেডে ২১ জুলাই বিজয় দিবস পালন করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ২১ জুলাই শহিদ স্মরণ করবে বিজেপিও। একদিকে দিল্লির রাজঘাটে ধরনায় বসবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ অন্য সাংসদরা। অন্যদিকে রাজ্যব্যাপী শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি পালন করবে বিজেপি।এদিন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্য বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মোট ১২৪ জন বিজেপি কর্মী খুন হযেছেন। তারপর ২ মে থেকে এখনও পর্যন্ত আরও ৩৮ জন খুন হয়েছেন। এখনও বহু মানুষ ঘরছাড়া। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার পর থেকে ৩০ জন খুন হয়েছেন। গতকাল রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মী দেবেন বর্মনকে খুন করা হযেছে। মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার জন্য খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের মিছিলের ওপর গুলি চালিয়েছিল বামফ্রণ্ট সরকার। ওই দিনটা তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস হিসাবে পালন করে থাকে। এবার একই দিনে শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবে বিজেপি নেতৃত্ব। শমীক ভট্টাচার্য্য বলেন, শহিদ স্মরণে ২১ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার সময় রাজঘাটে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ধরনায় বসবেন সাংসদরা। এদিকে হেস্টিংস অফিস, 6, মুরলিধর সেন অফিস ও রাজ্যের সর্বত্র আমরা শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করব। হেস্টিংসে রাজ্য নেতৃত্ব বক্তব্য রাখবেন। রাজ্যের সমস্ত জেলা, মন্ডল অফিস ও বুথে ভার্চুয়ালি সকলকে এক জাযগায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব। ফেসবুক ও ইউটিউবের মধ্যমে সারা দেশে ও সারা বিশ্বের বাঙালীর কাছে এরাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

Attempt Murder: বিজেপি করায় দম্পতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

বিজেপি করার অপরাধে এক দম্পতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো শাসক দলের লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের কৈগড়িয়া গ্রামে। মারধরের বিষয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী স্বপন দাস কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কালনার তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, স্বপন দাস কালনা ২ ব্লকের কৈগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।স্বপনবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি পার্টি করেন। সেই কারণে রবিবার সকালে তিনি যখন কাজে যাচ্ছিলেন তখন তৃণমূলের ৬ জন তাঁর উপরে হামলা চালায়। স্বপনবাবু দাবি করেছেন, তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যেই লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। সেই সময়ে তাঁর স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। স্বপনবাবুর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে অর্ধনগ্ন করা হয়।এরপর তাঁদের পুড়িয়ে মারার জন্য কেরোসিন তেল নিয়ে আসে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। বাঁচার জন্য তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।আরও পড়ুনঃ শ্রীময়ীর পোস্ট নিয়ে ধোঁয়াশাবিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, রাজ্য জুড়েই তৃণমূল সন্ত্রাস জারি রেখেছে। ওদের মন্ত্রীও এখন সেই সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, স্বপন দাস ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হবে। বিজেপি কর্মীর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কালনা ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রণব রায় বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এইসব অসত্য অভিযোগ আনা হচ্ছে।

জুলাই ১৯, ২০২১
রাজ্য

Human Skulls: বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ, মিললো মানুষের মাথার আস্ত খুলি

বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে চক্ষু তো প্রায় চড়কগাছ। সেখানে মিললো মানুষের মাথার আস্ত খুলি। শুক্রবার বিকেলে হাওড়ার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেইসময় তৃণমূল কর্মীদেরই প্রথমে নজরে আসে বিষয়টি। পাওয়া যায় মানুষের আস্ত একটা খুলি।খবর রটে যেতেই দালালপুকুর সংলগ্ন ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন ছুটে আসেন। তৃণমূলের কর্মীরাই চ্যাটার্জিহাট থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ আসে। খুলিটি পুলিশ উদ্ধার করে। এরপর আশপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। শরীরের আর কোনও অংশ পাওয়া যায় কিনা তা তল্লাশি করে দেখা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এরপর একটি ব্যাগের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা কিছু অংশ। যদিও পুলিশের দাবি, শুধু একটা মানুষের মাথার খুলি উদ্ধার হয়েছে। আর বাকি কিছু পাওয়া যায়নি। তবে ওই জনবহুল এলাকায় মানুষের মাথার খুলি কিভাবে এলো তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুলিটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

জুলাই ১৭, ২০২১
রাজ্য

Mongalkote: মঙ্গলকোটে শুটআউট -নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন। বাইক দাঁড় করিয়ে কাছ থেকে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। মৃত ব্যক্তির নাম অসীম দাস। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সিওর গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। গূলি লাগার পর রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অসীমবাবু। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ডোঙার সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কেরএদিকে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে মারার ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলকোটজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়েই মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী-সহ অন্য তৃণমূল নেতারা মঙ্গলকোট হাসপাতালে পৌঁছে যান। একইভাবে ঘটনার কথা জানার পর জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্তে জোরদার নজরদারি চালানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালানো শুরু করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।আরও পড়ুনঃ তিন রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত ৬৮, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরজানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত এদিন সন্ধ্যায় কাশেমনগর বাজার থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে একাই সিওর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন অসীম দাস। পথে বাড়ির কাছেই সিওর মোড়ের কাছে কেউ দাদা বলে ডেকে অসীম দাসের মোটরসাইকেল দাঁড় করায়। এরপরেই খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। উত্তেজনা চরমে ওঠায় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিতৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের ঘটনায় বিজেপির যোগসাজোস রয়েছে বলে দাবি করেছেন মঙ্গলকোটের তৃমূলের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। একই অভিযোগ করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার বদলা নিতে মঙ্গলকোটের বিজেপি কর্মীরা এখন সন্ত্রাস ও খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। খুনিরা কেউ পার পাবেনা বলে দেবু টুডু জানিয়েদেন। মঙ্গলকোট বিধানসভার পর্যবেক্ষক তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন,অসীম দাস দক্ষ সংগঠক ছিলেন। বিজেপির লোকজনই পরিকল্পনা করে তাকে খুন করেছে। মৃতর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার মঙ্গলকোট যাচ্ছেন বলে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন। যদিও বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অনীল দত্ত পাল্টা দাবি করেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তা ধাপাচাপা দিতেই তৃণমূলের নেতারা বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করেলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে বিজেপি নেতা অনিল দত্ত মন্তব্য করেছেন।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

Petrol Hike: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ’ডোঙার' সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কের

জ্বালানির আঁচে জ্বলছে গোটা দেশ। ১০০ পেরিয়েছে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম। ডিজেলের দামও ১০০ ছুঁইছুঁই। জ্বালানির এই অগ্নিমূল্যের প্রভাবে সংকট তীব্র হবে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্র। সেচের কাজে পাম্প মেশিন ছেড়ে চাষিদের ফের ডোঙা ব্যবহারেই ফিরতে হবে। সোমবার রথযাত্রার দিন ডোঙায় জল সেচ করে নিজের চাষজমি কর্ষণ কাজের শুভারম্ভ ঘটিয়ে সেই বার্তাই দিলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক। বিধায়কের এই বার্তা রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষক মহলকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তবে বিধায়কের এদিনের কর্মকাণ্ডকে নাটক বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।বর্ধমান ২ ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের হাটকান্ডা গ্রামে বাড়ি বিধায়ক নিশীথ মালিকের। তাঁর পরিবারের সকলেই কৃষিজীবী। পরিবারের চাষবাস বিধায়ক নিজেই দেখেন । বরাবরই জমিতে নেমে চাষ-আবাদের কাজ তিনি নিজেই তদারকি করেন ।প্রতিবছরের মতো এবছরও রথযাত্রা উৎসবের দিন বিধায়ক নিশীথ মালিক তাঁদের পারিবাবিক চাষ জমির কর্ষণ কাজ শুরু করেন । এদিন বাড়িতে থাকা সাবেকি আমলের ডোঙা কাঁধে নিয়েই বিধায়ক জমির উদ্দেশ্যে রওনা নেন । বহুকাল পর ডোঙা নিয়ে নিশীথ মালিককে চাষের জমির দিকে যেতে দেখে এলাকার অন্য চাষিরা কার্যত তাজ্জব বনে যান । ডোঙা নিয়ে জমিতে পৌছে বিধায়ক নিশীথ মালিক প্রথমে ডোঙার সাহায্যে তাঁদের ধান জমিতে জল সেচ করেন। এর পরেই শুরু হয় তাঁর জমির কর্ষণ কাজ। কর্ষণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবার পর জমিতে আউশ ধান রোয়ার কাজ শুরু হবে।বেশ কয়েক বছর ধরে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জমিতে জল সেচ করে চাষাবাদের কাজ করে আসছেন নিশীথ মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু হঠাৎ করেই পাম্প মেশিন ছেড়ে বাবা ঠাকুরদার আমলের ডোঙা নিয়ে জমিতে কেন জল সেচ করতে হল? এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, দেশে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস এখন অগ্নিমূল্য। পেট্রোলের লিটার প্রতি মূল্য ১০০ পার হবার পর এখন ডিজেলও ১০০ ছুঁইছুঁই । অগ্নিমূল্য জ্বালানি তেল পাম্প মেশিনে ভরে জল সেচ করে ধান চাষ করতে গেলে চাষের খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে। খরচ বেড়ে গেলে চাষিরা চাষ করেও লাভের মুখ দেখতে পাবেন না। নিশীথ বলেন, পেট্রোপণ্যের এমন মূল্য বৃদ্ধির কারণে তিনি বাবা ঠাকুরদার আমলে সেচের কাজে ব্যবহৃত ডোঙা দিয়েই তাই জমিতে সেচের কাজ সারলেন ।একই সঙ্গে তিনি জেলার কৃষিজীবী মহলকে এই বার্তাও দিলেন, কেন্দ্রে মোদি সরকারের দৌলতে পেট্রোল, ডিজেলের দাম এখন যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে সবাইকেই এবার সেই ডোঙা নিয়েই চাষের কাজে ফিরতে হবে । ডোঙা নিয়ে জমিতে জল সেচ করাটা একপ্রকার তাঁর পেট্রৌপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ বলেও এদিন বিধায়ক নিশীথ মালিক মন্তব্য করেন। তৃণমূল বিধায়কের এমন প্রতিবাদকে নাটক বলে বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রবাল রায়। তিনি দাবি করেন, দেশের কৃষকদের স্বার্থের কথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার ভাবে বলেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাচ্ছেন। কৃষকদের প্রতি দরদ থাকলে নাটক, প্রতিবাদ ছেড়ে এই রাজ্যের সরকার নিজেদের অংশের কর কমাচ্ছেন না কেন? পাল্টা সেই প্রশ্ন রেখেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

Nischinda: মহিলাকে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধরের অভিযোগ নিশ্চিন্দায়

প্রতিবাদীকে মারধর করার অভিযোগে উত্তেজনা নিশ্চিন্দায়। শনিবার রাতে এক গৃহবধুকে মদ্যপ অবস্থায় কটুক্তি করেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা। তার জেরেই রবিবার সকালে ওই দুষ্কৃতীরা এসে নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা রূপা মন্ডলকে বেধড়ক মারধর করে। বাদ যাননি তাঁর স্বামী মনোজ মন্ডলও। চারটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। পঞ্চায়েত সদস্যা নিশ্চিন্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার নিশ্চিন্দার পূর্ব আনন্দনগরে।রবিবার ওই পঞ্চায়েত সদস্যা অভিযোগ করেন, কিছু ছেলে মদ খেয়ে শনিবার রাতে পাড়ার এক মহিলাকে কটুক্তি করছিলো। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। তখনকার মতো ছেলেগুলি চলে গেলেও রবিবার সকালে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে ওরা আমার উপর চড়াও হয়। আমার স্বামী বাধা দিতে গেলে ওকেও মারধর করে। দোকান ভাঙচুর করে। খুনের হুমকি দেয়। ওরা সব চকপাড়া এলাকার ছেলে। এই ঘটনার খবর পেয়ে এদিন সেখানে ছুটে যান ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কল্যান ঘোষ। তিনি বলেন, দুষ্কৃতীদের কোন দল হয় না। এই দূষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এলাকায় কোনওভাবেই দুষ্কৃতীরাজ বরদাস্ত করা হবে না। এই ঘটনার পরে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

জুলাই ১১, ২০২১
রাজ্য

Jago Bangla: ২১ জুলাই থেকে দৈনিক হচ্ছে তৃণমূলের মুখপত্র

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলা দৈনিক আকারে প্রকাশিত হতে চলেছে। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের দিন নবরূপে জাগো বাংলার আত্মপ্রকাশ করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এক টুইট বার্তায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবরূপে জাগো বাংলার প্রকাশের কথা ঘোষণা করেছেন।২০১৫ থেকে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা সাপ্তাহিক আকারে প্রকাশ শুরু হয়। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল মানুষের জনসমর্থন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতাসীন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দলের সংবাদপত্রও সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, প্রথম থেকেই এই পত্রিকা বাংলার মানুষের মনের কথা তুলে ধরছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা অবিচল ভাবে তুলে ধরে বাংলার মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে। এবার এই পত্রিকা নবকলবরে প্রকাশ হবে।Jago Bangla has resonated with the people of #Bengal ever since its inception. Delivering the vision of @MamataOfficial it has steadily made its way into the hearts of people pan-state.As @jago_bangla gets a fresh make over, stay tuned to find out more!#NaboRupeJagoBangla Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 10, 2021এখন জাগো বাংলার সম্পাদক তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দৈনিক সংবাদপত্রের মতোই এই কাগজে দেশ-বিদেশ, রাজ্য, খেলা সমস্ত বিষয়ই স্থান পাবে। এছাড়া দলের কর্মসূচিও থাকবে এই সংবাদপত্রে। বিশেষ করে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প তুলে ধরা হবে। এরাজ্যে সিপিএমের মুখপত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে গণশক্তি পত্রিকা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে সাধারণের মধ্যে গণশক্তির জনপ্রিয়তাও যথেষ্ট কমে যায়।এবারেও ২১ জুলাই ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই তিনি নবরূপে জাগো বাংলার সূচনা করবেন। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় পত্রিকার প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, মুখপত্র দৈনিক প্রকাশ হওয়ার ফলে জনসংযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

জুলাই ১০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal