• ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tollywood

বিনোদুনিয়া

টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাকে তলব ED-র, কারণ জানলে তাজ্জব হবেন!

কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাকে তলব করেছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ইডির কলকাতার সিএজিও কমপ্লেক্সের দফতরে অঙ্কুশ হাজরাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদিও অঙ্কুশ বা তাঁর প্রতিনিধি কারও তরফেই ইডির সমন প্রসঙ্গে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর আগেও নানা ঘটনায় টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।গত বছর থেকে, বলিউড এবং দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র তারকাদের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের অবৈধ অনলাইন বেটিং অ্যাপের প্রচার নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই এই তালিকায় নাম রয়েছে রানা দত্তুগুথি, বিজয় দেবেরাকোন্ডা (Vijay Deverakonda), প্রকাশ রাজ (Prakash Raj), হরভজন সিং, উর্বশী রাউতেলা এবং সুরেশ রৈনার মতো তারকাদের।এবার অঙ্কুশ হাজরাও সেই তালিকায় রয়েছেন। জানা গেছে যে নিষিদ্ধ অনলাইন বেটিং অ্যাপ প্ল্যাটফর্মের প্রচারের বিষয়ে ইডির চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে অভিনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে, বাঙালি অভিনেতাকেও ইডি অফিসে হাজির হতে হবে।সূত্র জানিয়েছে, যে বেটিং কোম্পানিগুলি তাদের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট প্রচারের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। যেহেতু জনপ্রিয় তারকারা এই বিজ্ঞাপনের সাথে যুক্ত, তাই স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহারে প্রভাবিত হচ্ছে।

আগস্ট ৩০, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুনমুনের ভালোবাসায় আপ্লুত শ্রীলেখা! রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে এ এক অন্য জোট

একঝলকে দেখে মনে হতে পারে শ্রীলেখা মিত্রের মায়ের চরিত্রে মুনমুন সেন! হঠাৎ মেয়ের বাড়িতে এসে ঘর অগোছালো দেখে কোমর বেঁধে পরিপাটি করে ঘর গোছাতে শুরু করলেন। না! এটা কোনও সিনেমার শুটিং নয়। কোনও নাটকের রিহার্সাল-ও নয়। বাস্তবেই এমন ঘটেছে। এবং অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সেই আবেগঘন দৃশ্য নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি এই বিরল মুহূর্ত চাক্ষুষ করে অবিভুত।অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র যে ভিডিও শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, একদা বাংলা সিনেমার হার্টথ্রব সুচিত্রা তনয়া মুনমুন সেন ছাই রঙের ফুলছাপ শাড়ি ও স্লিভলেস ব্লাউজ পরে আঁচল কোমরে গুঁজে পরিপাটি ডাইনিং টেবিলে রাখা মিনারেল ওয়াটারের বোতলগুলি খাট লাগোয়া ছোট টেবিলে গুছিয়ে রাখছেন। মুনমুন বোতলগুলি সরাতে সরাতে বলে ওঠেন, আমি পেটিকোট খুঁজে পাচ্ছি না। মুনমুনের কান্ড দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় শ্রীলেখা। অভিনেত্রী বলে ওঠেন আমার ঘর গুছিয়ে দিচ্ছেন কে দেখো! এই ভদ্রমহিলা আমার ঘর গুছিয়ে দিচ্ছেন। কোনও মানে হয়! আমি করতেও দিচ্ছি। ভিডিয়ো করছি, তবু গোছাতে নিষেধ করছি না! বলতে বলতে দুজনেই উচ্চস্বরে হেঁসে ওঠেন।কোনও কিছুকে পাত্তা না দিয়ে মুনমুন সেন ঘর গুছিয়েই চলেছেন। শ্রীলেখাও সেই অমূল্য মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে চলেছেন। সুচিত্রা সেন তনয়া তাঁর ঘর গোছাচ্ছেন, এইসব দেখে শ্রীলেখা তারস্বরে কান্নার ভঙ্গী করে বলে ওঠেন, আমার লজ্জা করছে। ভীষন লজ্জা করছে, কী মিষ্টি মহিলা! কোনও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মুনমুনকে। একের পর এক জলের বোতল এনে বিছানার পাশে টেবিলে রাখছেন তিনি। তখন বাধ্য হয়ে শ্রীলেখাই বলেন, এ বার তুমি থামো তো! শুধু জলের বোতলের স্থান পরিবর্তন করেই ক্ষান্ত হননি মুনমুন। এর পর শ্রীলেখার মাতৃসমা মুনমুন হাত দেন শ্রীলেখার কস্টিউম বক্সে। জিজ্ঞেস করে চলেন কোনটা কী। শ্রীলেখাও আন্তরিক ভাবে তার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন। শ্রীলেখা বলতে থাকেন কোন শাড়ির সঙ্গে কোন গয়না কিনেছেন তিনি। পরিস্থিতি দেখে বোঝা যায়, এটি কোনও হোটেলের ঘরে দৃশ্য।অভিনেত্রীকে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি। অনেকেরই ধারনা এই দুই অভিনেত্রী একসঙ্গে কোনও শুটিংয়ে গিয়েছেন! এই ভিডিয়ো শেয়ার করে সমাজমাধ্যমে শ্রীলেখা লিখেছেন, কোনও মানে হয়! এত ভালবাসা নিয়ে কী করি! কেউ দেয়নি।বাম মনোভাবাপন্ন শ্রীলেখার সাথে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুনমুনের এই আবেগঘন মুহুর্তের পোস্টে অনেকেই আপ্লুত। রাজনৈতিক মতাদর্শ যাইহোক পেশাগত ক্ষেত্রে তার উর্ধে ওঠাটাই কাম্য। চিত্র-বিনোদন জগতে আমরা-ওরা মুলত ওই শিল্পক্ষেত্রের-ই ক্ষতি করছে বলে মনে করেন বিদগ্ধজন। এই আবেগঘন পোস্ট মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। দুই প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রীকে একান্ত ঘরোয়া পরিবেশে এত স্বাভাবিক কথোপকথন দৃশ্য অনুধাবন করে মুগ্ধ আপামোর নেটরসিক। দুজনের একান্ত দৃশ্য যদি কোনও সিনেমার শুটিংয়ের জন্য গিয়ে থাকেন সেই চমকের দিকেই তাকিয়ে দুই অভিনেত্রীর অনুরাগী মহল।

মার্চ ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের ৬ লক্ষের মেডিক্যাল বিল নিয়ে বিতর্ক, ব্যাট ধরলেন কুণাল

বিবাহ বিচ্ছেদ, বিধায়ক, তারপর সন্তান। এবার সন্তান হওয়ার পরও বিতর্ক যেন কিছুতে পিছু ছাড়ছে না বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে। এবার বিতর্কে তাঁর সন্তান হওয়ার মেডিক্যাল বিলের অর্থের পরিমান ও বিধানসভায় বিল জমা নিয়ে। কাঞ্চন ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যতটা পেরেছেন কাঞ্চন মল্লিকের হয়ে ব্যাট ধরতে।কুণাল টুইটে বলেছন, কাঞ্চন মল্লিক তাঁর সন্তান হওয়ার বিষয়ে বিধানসভায় মেডিকেল বিল জমা দিয়েছেন বলে ট্রোলিং চলছে। এটা আপত্তিকর। কাঞ্চন কোনো বিল জমা দেননি। কাঞ্চন জনপ্রিয় মুখ। আরও নানা কারণে সম্প্রতি খবরে। সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চার কেন্দ্র। কিন্তু তাই বলে ঘটনা না জেনেবুঝে তাঁকে আক্রমণ, কটাক্ষ চলতে পারে না। বিধায়করা বিধানসভা থেকে মেডিকেল বিল পান। এটা নিয়ম বহির্ভূত নয়। কাঞ্চন শ্রীময়ীর সন্তানের জন্য ভাগীরথী নেওটিয়া দুলক্ষ টাকা বিল করেছে। ডাঃ প্রণব দাশগুপ্তর টিমের বিল চার লক্ষ টাকা। এই ছলক্ষ টাকার বিল নিয়ে কাঞ্চন বিধানসভায় খোঁজ নিয়েছেন উনি জমা দিতে পারেন কিনা। আলোচনা করেছেন। নিয়ম জেনেছেন। কিন্তু বিল জমা দেননি, Repeat, বিল জমা দেননি। তার আগেই তিনি বিল জমা দিয়েছেন বলে সমালোচনা শুরু।বিধানসভায় কাঞ্চন যে মেডিক্যাল বিল জমা দিয়েছেন বলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা খন্ডন করেছেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি বিল জমা নিয়ে খোঁজ নেওয়া বা বিল যদি দিতেন তাও কোনও দোষের নয় বলেই দাবি কুণালের। প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্যরে বক্তব্য, এখানে দুটো কথা। এক, যদি ডাক্তারবাবুদের বিল বেশি হয়, তাহলে কাঞ্চন বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কী করবেন? বিধানসভায় এসংক্রান্ত কোনো নিয়ম আছে কি না। দুই, এর আগে ওই হাসপাতাল এবং ওই ডাক্তারটিমের ক্ষেত্রে যদি কোনো বিল জমা পড়ে থাকে, তাহলে বিধানসভা কী করেছিল? আচমকা অত বেশি টাকার বিল পেয়ে বিধায়ক কাঞ্চন যদি বিধানসভায় খোঁজ নিয়ে থাকেন, দোষের নয়। জমা দিলেও দোষ হত না। বিধানসভা স্ক্রুটিনি করতে পারত। নিয়মনীতি অনুযায়ী চলত। কিন্তু কাঞ্চন বিল জমা দেননি, তাতেই এই খবর এবং কাঞ্চনকে সমালোচনায় বিদ্ধ করা অনুচিত। কেন মেডিকেল বিল এত বেশি হবে, আলোচনাটা সেদিকে হওয়াটা জরুরি।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

টলিউডের বর্ষিয়ান অভিনেতার প্রয়ান, শোকঞ্জাপন মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মঞ্চ, পর্দা হয়ে দূরদর্শনে সংবাদপাঠ--- সমস্ত ক্ষেত্রেই পৃথক মাত্রা যোগ করেছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী অনুরাধা রায়ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জানা গিয়েছে, তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এই টলি অভিনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লিখেছেন, বাংলা ছবির জগতে বিশেষ নাম দেবরাজ রায়। অনেক খ্যাতনামা পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত। ওঁকে অনেকদিন ধরে চিনি। অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। ওঁর পরিবারের প্রত্যেককে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আজ সাংস্কৃতিক জগত ম্লান হয়ে গেল।অভিনেতার জন্ম ১৯৫২ সালের ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭০-এ সত্যজিৎ রায়ের প্রতিদ্বন্দী ছবি দিয়ে অভিনয় জীবনের শুরু। পরের বছর, ১৯৭১ সালে তিনি মৃণাল সেনের কলকাতা ৭১-এ অভিনয় করেন।তপন সিংহ, তরুণ মজুমদার, বিভূতি লাহা-সহ সেই সময়ের খ্যাতনামী পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তপনবাবুর রাজা ছবিতে তাঁর অভিনয় সকলের মনে রেখাপাত করেছিল।Saddened by the demise of actor Debraj Roy. An actor who made our eminent directors proud, he was also a popular news reader on Doordarshan. I knew him well as a good man from Bhawanipore and feeling very sad by this loss.My condolences to his family members and friends. Our Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 17, 2024পর্দার পাশাপাশি মঞ্চেও তিনি অভিনয় করেছেন। দূরদর্শনের সংবাদপাঠক হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১৯৭৬ সালে তিনি বিয়ে করেন অনুরাধা রায়কে। অনুরাধাও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রশংঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন বিনোদন থেকে দূরে ছিলেন দেবরাজ। আগামীকাল তাঁর বিধাননগরের বাসভবন থেকে মরদেহ শেষকৃত্যের জন্য রওনা হবে।

অক্টোবর ১৮, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

ইংরাজি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির পরিচালনায় পায়েল

পায়েল চৌধুরী চিত্রনাট্য ও পরিচালনা, জয়দীপ চক্রবর্তী ও সাবিত্রী প্রোডাকশন প্রযোজিত ইংরাজি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি দ্য ফোনেক্স। জয়দীপ চক্রবর্তীর লেখা এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়দীপ চক্রবর্তী, বোধিসত্ত্ব মজুমদার ও ত্রিপর্ণা বর্ধন। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন রোশনি, পায়েল, ইন্দ্রজিৎ, সরোজ, সৌমিত ও সুকন্যা।এই ছবি প্রসঙ্গে পায়েল জানিয়েছেন, আমি এর আগে ৯৫টির বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি পরিচালনা করেছি। এই ছবিটি কলকাতা, তার পাশ্ববর্তী এলাকা ও মান্দারমনিতে শুটিং হয়েছে। ডিমেনশিয়া ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হলে কি হয় সেটা এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে যাতে সাধারণ মানুষের মতো দেখা হয় সেই বিষয়টা দেখানো হয়েছে। এছাড়া গল্পে আরো অনেক তম রয়েছে সেটা ছবি মুক্তি পেলেই দর্শকরা বুঝতে পারবেন।এই ছবির প্রয়োজন অভিনেতা জয়দীপ চক্রবর্তী বর্তমানে আবুধাবির বাসিন্দা। তাই দুবাইতেও এই ছবি মুক্তির পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। ছবিটি দর্শকদের ভালো লাগবে আশাবাদী জয়দীপ।

অক্টোবর ০২, ২০২৪
কলকাতা

আরজি কর কাণ্ড থেকে সতর্ক, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি টালিগঞ্জ সিনে পাড়ার

আরজি কর হাসপাতাল যে ঘটনা ঘটেছে তার পর স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত শহর তথা রাজ্যের মানুষ। কর্মক্ষেত্রে কেউ কতটা নিরাপদ তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেরই দাবি, যে কোনও কাজের জায়গা হোক, বহু সময়ে বহু কর্মী হেনস্থার শিকার হন। আর টালিগঞ্জও এইসব অভিযোগ থেকে বাদ নেই। তাই এবার কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার তদন্তের জন্য যাতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয় তার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠানো হল টলিপাড়া থেকে।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে ওয়েমেন ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কারস। তাঁদের দাবি, কাজ করতে এসে বহু অভিনেতা, ক্রু সদস্য, টেকনিশিয়ান অনেক সময়ই হেনস্থার শিকার হন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বেশিরভাগ সময়। তাই এসব অভিযোগের তদন্ত করতে স্বাধীন একটি কমিটি গঠন করুক সরকার। মূলত আরজি করের ঘটনার পরই এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া আরও জরুরি হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছে তাঁরা।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
রাজ্য

শতাব্দীকে বিজেপি পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের

আগে বলেছিলেন ফালতু খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। এবার গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের অসভ্যতা দেখতে পেলেন বিদায়ী সাংসদ, বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। ক্ষোভের মুখে বার বার মেজাজ হারাচ্ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। অনুব্রতহীন এই নির্বাচনে চড়া রোদে প্রচারে বেরিয়ে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন বিদায়ী সাংসদ।এর আগে অধিকাংশ নির্বাচনে ভোট বৈতরণী পার করেছেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের কৌশল এবং হুঙ্কারে চওড়া হাসি হেসেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কিন্তু এবার অনুব্রতহীন ভোটে একাই পরিশ্রম করতে হচ্ছে প্রার্থীদের। ফলে ক্ষোভের মুখে পড়ে বার বার মেজাজ হারাচ্ছেন শতাব্দী রায়। সোমবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের আঙুল উঁচিয়ে বলেছিলেন ফালতু খবর করছেন। এবার রামপুরহাট বিধানসভার রামপুর পঞ্চায়েতের বাটের বাঁধ গ্রামে। এদিন দুপুরে গ্রামে ঢুকলে বিজেপির পতাকা নিয়ে শতাব্দীকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা পরিস্কার জানিয়ে দেন অনুন্নয়নের কারণেই বিজেপির পতাকা ধরেছেন। গ্রামের বাসিন্দা শেখ মইনুল বলেন, আমরা সবাই তৃণমূল করতাম। কিন্তু ১৫ বছরে আমাদের গ্রামের জন্য শতাব্দী রায় কোন উন্নয়ন করেনি। পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন হয়নি। তাই আমরা উনাকে বিজেপির পতাকা দেখিয়ে গ্রামে সম্বর্ধনা জানালাম। আর এখানকার যিনি বিজেপি নেতা রয়েছেন সেই রাজেশ মণ্ডল শুধু ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন।শেখ সাবের আলি বলেন, আমরা তৃণমূল করে কোন উন্নয়ন পায়নি। শুধু লাথি খেয়েছি। আর একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়েছি। সেই মামলা আজ আমাদের চালাতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে মোটা টাকা। আমরা মসজিদের সামনে একটা বাতিস্তম্ভ এবং জলের ব্যবস্থা করার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।শতাব্দী রায় বলেন, মজার বিষয় হল যারা বিজেপির পতাকা ধরেছিল তাদের অধিকাংশ বাচ্চা। যারা বিজেপি, তৃণমূল বানানটাও লিখতে পারবে না। আলোর যে অভিযোগ করছে সেটা আমার কাছে জানায়নি। জানালে অবশই আলোর ব্যবস্থা করে দিতাম। আর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা ধরাটা অনেকটা প্রেমিকের সঙ্গে রাগ করে অন্য মেয়ের সঙ্গে ঘুরে জেলাসি ফিল করানোর মতো। তবে তাতে খুব একটা কাজ করবে না। স্থানীয় নেতারা কর্মীদের গুরুত্ব দেন না, এপ্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, সবাই সম্মান আশা করে। আমার আসার আগে নেতারা কেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসেনি সেটা বলতে পারব না। যদি না বসে সেটা নেতাদেরভুল হয়েছে।বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর বলেন, উন্নয়নের কারণেই মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। গ্রামবাসীরা ব্যাঙ্গ করে উন্নয়নের কথা বলেছেন। গ্রামে গ্রামে শুধুই অনুন্নয়নের ছবি। এক কথায় রাজনীতিটা সিনেমা নয়। এখানে পার্ট টাইম জব করলে মানুষের উন্নয়ন করা যায় না। তাই আমি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছে। আমরাও অনুন্নয়নের তালিকা তৈরি করছি। জিতলে ওই সমস্ত এলাকা ধরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করব।

এপ্রিল ১৭, ২০২৪
রাজ্য

শতাব্দী রায়ের সভাতে তৃণমূল কর্মী-রাই সরব পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবীতে, মিডিয়াকে তোপ বিদায়ী সাংসদের

এবার পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবীতে শতাব্দী রায়ের সভাতেই সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন কর্মী। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের খড়বোনা গ্রামে। বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় শতাব্দী রায়ের নির্বাচনী কর্মীসভা ছিল। মঞ্চ থেকে শতাব্দী রায় যখন কর্মীদের কাছ থেকে বুথের ভোটের হিসেব নিচ্ছিলেন সেই সময় রদিপুর গ্রামের গোপাল মণ্ডল কর্মী শতাব্দী রায়কে বলেন, কলে যে জল পাওয়া যাচ্ছে, সেই জল খাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর এই অভিযোগ ঢাকা দেওয়ায় জন্য ওই এলাকার জহরুল সেখ নামে এক তৃণমূল নেতা বলতে শুরু করেন পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ট্রেন্ডার ও হয়েছে কিন্তু ওয়ার্কঅর্ডার না পাওয়ায় কাজ শুরু হচ্ছে না। কর্মীদের এই সরব হওয়ার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের ওপরেই তোপ দাগলেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, এটাই মিডিয়া দেখাবে। দশটা কাজের মধ্যে নটা ভালো বললে মিডিয়া সেটা দেখাবে না। একটা খারাপ বললেই সেটাই দেখাবে।

এপ্রিল ১২, ২০২৪
রাজ্য

"টাকা দাও, ভোট নাও", প্রচারে বেরিয়ে শুনতে হল শতাব্দী রায়কে

টাকার বিনিময়ে ভোট। নেতারা টাকা পাচ্ছে তাই তাঁরাও টাকা চাইছে। বলছেন বীরভূমের মহম্মদ বাজারের মহিলা ভোটাররা।টাকা না দিলে ভোট দেব না। প্রচারে বেরিয়ে গ্রামের প্রবীণ মহিলাদের কাছে এমনই কথা শুনতে হল বীরভূম লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায়কে। সেই সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দারা না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দেন প্রাক্তন সাংসদকে কাছে পেয়ে। শনিবার বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার চালান তৃণমূলের শতাব্দী রায়।এদিন বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে লাউতোর গ্রামে। সেখানে তিনবারের প্রাক্তন সাংসদকে কাছে পেয়ে না পাওয়ার ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা। এরই মধ্যে কয়েকজন মহিলা শতাব্দীকে বলেন টাকা না পেলে ভোট দেব না। কনেজা বিবি বলেন, ভোট দিতে হলে টাকা দিতে হবে। নেতারা ভোটে জিতে নিজেদের পকেট ভরছে। আমরা কিছু পাচ্ছি না। ঘর পায়নি। কোন সাহায্য পায়নি। গ্রামের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। তাই এবার ভোট নিতে গেলে টাকা দিতে হবে।এই প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় বলেন, উনি কত বড় ভোটার জানি না। উনি ভারতের কত গণতন্ত্র বোঝেন, জানি না। এপ্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। তবে যারা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন সেটা পঞ্চায়েতের কাছে জানতে চাইব।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

বাংলা সিনেমা ও মডেলিং জগতে নতুন মুখ অভিনেত্রী, মডেল অঙ্কিতা বিশ্বাস

বাংলা সিনেমা জগত ও মডেলিং জগতের খুব পরিচিত নাম অঙ্কিতা বিশ্বাস। মডেলিং থেকে অভিনয় দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী মডেল। নানা মিউজিক ভিডিও তে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। শুধু অভিনয় নয়, মডেলিং জগতে বেশ কিছু নামকরা ব্র্যান্ডের শ্যুটে দেখা গিয়েছে তাকে। আরো কিছু নামকরা ব্র্যান্ডের শ্যুটে দেখা যাবে তাকে।তবে অভিনেত্রী, মডেল অঙ্কিতা বিশ্বাস জানান ভালো প্রজেক্টে ভালো চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। যেখানে নিজের ভালো অভিনয় উপহার দিতে পারবো আমার দর্শকদের। কারন ভালো চরিত্র পাওয়া প্রতিটি অভিনেত্রীর কাছে সবচেয়ে বড়ো পাওনা।

জুন ১০, ২০২৩
রাজ্য

বনি একা নন, কুন্তলের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা

ইতমধ্যে ৪৪ লক্ষ টাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে ফেরত দিয়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির এই টাকা কুন্তল ঘোষ গাড়ি কিনতে দিয়েছিলেন বনিকে। এই অভিনেতাকে ইতিমধ্যে দুবার জিজ্ঞাসাবাদও করেছে ইডি। শেষমেশ গতকাল, বৃহস্পতিবার ৪৪ লক্ষ টাকা ইডিকে ফেতর দেন বনি। তবে শুধু কি বনি? জানা গিয়েছে, কুন্তলের কাছ থেকে দুর্নীতির টাকা নিয়েছেন টলিউডের আরও ২২ জন। একথা আজ, শুক্তবার আদালতে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।ইতিমধ্যে টলিউডের রাজনীতির যোগ থাকা একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী ইডির তদন্তের আওতায় চলে এসেছেন। প্রথম সারির এই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বনি সেনগুপ্তর কাছ থেকে। এবার তাঁদের জেরা করতে চায় ইডি। তাঁদের জেরা করে অনেক নতুন তথ্য মিলবে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। কে নেই সেই তালিকায়, এই নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে টলিউডে। ইতিমধ্যে কুন্তল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় গ্রেফতার হয়েছে। বলাগড়ে শান্তনুর ধাবা উদ্বোধনে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। নায়ক-সাংসদ, রাজনীতিক অভিনেত্রীরা তলবের তালিকায় রয়েেছেন বলে সূত্রের খবর।

মার্চ ১৭, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

ইডি, সিবিআই-র ডাক না পেয়ে 'পতিবাদ' করলেন টলি অভিনেত্রী!

রাজনীতির আঙ্গিনা ছেড়ে ঢেউ এখন টালিগঞ্জে আছড়ে পড়েছে। কখন এসএসসি দুর্নীতিতে কার ডাক আসে সেই আতঙ্কে কাঁপছে টলিউড, ঠিক অন্যদিকে জনপ্রিয় টলি অভিনেত্রী আবার মর্মাহত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তলব না পেয়ে। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই টালিগঞ্জের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে তলব করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।অন্যদিকে জাতে উঠতে না পারার দুঃখে মরমে মরছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। রবিবারের সকালে শ্রীলেখা মিত্রর সামাজিক মাধ্যমের এহেন পোস্ট দেখে ঘাবরে গেছেন তাঁর অনুরাগীরা। আচমকাই এহেন উপলবদ্ধির হেতু বুঝতে একটু সময় লাগে তাঁদের। হঠাৎ কেন এমন কথা বললেন শ্রীলেখা?নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল গড়িয়েছে বহু দূর। কুন্তল ঘোষের বয়ানের ওপর ভিত্তি করে ডাকা হয়েছে টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে। গোয়েন্দাদের ধারণা শুধু বনি সেনগুপ্ত নয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াতে চলেছে টালিউডের নামি-অনামি একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রীর। মূলত যাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছেন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে, আগামী মঙ্গলবার আবার তাঁকে ডাকা হয়েছে। কুন্তলের অভিযোগ ছিল, বনিকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, শীঘ্রই টালিগঞ্জের প্রথম সারির দুই অভিনেতা ও তিন অভিনেত্রীকে তলব করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।শ্রীলেখার পোস্টে অনেকেই কটাক্ষের ইঙ্গিত পাচ্ছেন। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, জীবনে একটা ইডি, সিবিআই-এর ডাক পেলাম না!!! রোজ়ভ্যালি থেকে কুন্তল... ছিঃ ছিঃ তিনি টলিউডের একজন স্বনামধন্যা নায়িকা হওয়া সাত্তেও যে বহু বছর ধরে যে একই কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার (ভার্না ফ্লুইডিক) ব্যবহার করছেন, সে কথাও তিনি আক্ষেপের সাথে উল্লেখ করেছেন তাঁর পোস্টে। কয়েক বছরের অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত কুন্তলের টাকায় ল্যান্ড রোভার কেনাতেই কি শ্রীলেখার আক্ষেপ? অভিনেত্রী আরও লেখেন, আর পরের ছবির প্রযোজকের আশায়। ধুর ধুর! পতিবাদ থুরি প্রতিবাদ করছি।তাঁর প্রতিবাদ কে পতিবাদ বলার ধরনের মধ্যেই ভয়ঙ্কর শ্লেষ-র আভাস পাচ্ছেন নেটিজেনরা। বিশিষ্টজনেদের ধারণা বিদ্যজনেদের মতাদর্শ ভুলে ইস্যু ভিত্তিক প্রতিবাদকেই শ্রীলেখা হয়ত পতিবাদ বলে ব্যঙ্গ করতে চেয়েছেন।

মার্চ ১২, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

হার কাকে বলে? পিছিয়ে যাওয়াকে, সত্যি টা মেনে না নেওয়া কে? বোধহয় তাই!

হার কাকে বলে? পিছিয়ে যাওয়াকে, সত্যি টা মেনে না নেওয়া কে? বোধহয় তাই।কিন্তু ও তো পিছিয়ে যায়নি। বার বার সামনে এসে হাসি মুখে দেখিয়ে গেছে, দেখিয়েছে ওর এগিয়ে যাওয়া।ও তো মিথ্যের আশ্রয় নেয় নি। বার বার সবাই কে গলা চিরে চিৎকার করে বলেছে ওর সত্যিটা। বলেছে ও ভালো থাকতে চায় আমাদেরই মত।ক্যামেরার ঝলসানিতে থেমে যায়নি তো ওর পদক্ষেপ, চোখ একবার ও বন্ধ হয়ে যায়নি। একবার ও দুঃখ কে মুখের সামনে আসতে দেয়নি যাতে আমরা ভালোবাসতে ভয় না পাই। শিখিয়ে দিতে চেয়েছে চরৈবেতি মন্ত্র।ও আসলে জিতে গেছে, সবাই কে দেখিয়ে গেছে কষ্ট ,মৃত্যু, কিছুই ভালোবাসার কাছে হার মানে না। ভালোবাসার জোরে ঐন্দ্রিলারা বার বার জন্ম নিতে চায়, বার বার সত্যি কে মেনে নিতে আপস করে না। বার বার ঐন্দ্রিলারা বেঁচে থাকতে চায় সব্যসাচী দের জন্য।

নভেম্বর ২০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কি লিখেলেন সব্যসাচী?

কয়েক হাজার মানুষের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য এতখানি লেখা প্রয়োজন ছিল। একটু কষ্ট করে পড়ে নিও। পরশুদিন সকালে ঐন্দ্রিলার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, চোখের সামনে দেখলাম ওর হার্টরেট ড্রপ করে চল্লিশের নিচে নেমে তলিয়ে গেলো, মনিটরে ব্ল্যাঙ্ক লাইন, কান্নার আওয়াজ, তার মাঝে ডাক্তাররা দৌড়াদৌড়ি করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন ফের ফিরে এলো বিভিন্ন সাপোর্টে, হার্টবিট ১২০। তারপরই কে যেন একটা অদৃশ্য বালিঘড়ি উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলো, ঝুরো বালির মতন সময় ঝরে পড়ছে, সাথে স্থিরভাবে একটা একটা করে হার্টবিট কমছে, কমছে রক্তচাপ, কমছে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস। ডাক্তাররা জবাব দিয়েছেন, হসপিটালের নিচে পুলিশ পোস্টিং, বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষ এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন, কিছু উত্তেজিত ইউটিউবার এবং মিডিয়ার লোকজন নিচে ঘোরাঘুরি করছেন। শেষ চেষ্টার জন্য অন্য হাসপাতালের এক নামকরা নিউরোসার্জনকে ডেকে আনা হলো, তিনি খানিক নাড়াচাড়া করে জানালেন যে ও চলে গেছে অনেক আগেই, শুধুশুধু এইভাবে আটকে রাখছেন কেন? এমনিতেও কালকের মধ্যে সব থেমেই যাবে। লেট্ হার গো পিসফুলিরাত বাড়লো, দাঁতে দাঁত চিপে একটা ছোট্ট অসাড় হাত ধরে বসে আছি, চোখদুটো অনেক আগেই ডাইলেটেড হয়ে গেছে, একটা করে বিট কমছে আর অসহায়তা বাড়ছে, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব আগেই দেখা করে গেছে। লোকজন মাঝেমধ্যেই ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে যে আজ রাতেই হবে? নাকি সকালে আসবো? ইতিমধ্যে ফেসবুকের কল্যাণে কারা যেন মাঝরাতে ছড়িয়ে দিয়েছে যে ঐন্দ্রিলা আর নেই। বানের জলের মতন হুহু করে ফোন ঢুকতে শুরু করলো, সৌরভ শুটিংয়ে বাইরে গেছে, দিব্য একা সামলাতে পারছে না। অগত্যা ঠেকা দেওয়ার জন্য আমি পোস্ট করতে বাধ্য হলাম, মিনিট কুড়ির মধ্যে আবার সব শান্ত। সকাল থেকে রক্তচাপ কমতে শুরু করলো, ওর বাবা-মা কে ডাকলাম, বাকিদের খবর দিলাম। গতকাল আর বাধা দিইনি কাউকে, সারাদিন ধরে কাছের মানুষরা এসেছে, ওকে ছুঁয়েছে, ডুকরে কেঁদেছে। কত স্মৃতিচারণ, কত গল্প। বিকেলের পর দেখলাম হাত, পা, মুখ ফুলছে ঐন্দ্রিলার, শরীর ঠান্ডা। হার্ট রেট কমতে কমতে ৪৬, বিপি ৬০/৩০। আগের দিনের ডাক্তারের কথাটা কেবলই আমার মাথায় ঘুরছিলো, ওর শরীরটাকে এভাবে আটকে রাখার জন্য নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে, থাকতে না পেরে ওর মাকে বললামও যে এত কষ্ট আর দেখতে পারছি না, কি দরকার ছিল এত কিছু করার, শান্তিতে যেত। মুখে বলছি বটে, কিন্তু ছাড়তে কি আর পারি, মায়ার টান বড় কঠিন। ঠিক রাত আটটায় যখন আমি বিমর্ষমুখে নিচে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি হার্টরেট এক লাফে ৯১, রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০, শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এলো মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে। এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা একপ্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে, এমন কি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আগে ক্লিনিক্যালি সুস্থ হোক, নিউরোর কথা পরে ভাববো।ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন, ফোন থেকে করুন লিখিনি। চিকিৎসাশাস্ত্রে যে বিজ্ঞানই শেষ কথা, আমি সে কথাও জানি। তবে পর পর তিনজন নিউরোসার্জন যদি বলেন ঈশ্বরকে ডাকুন, তাহলে আর না ডেকে উপায় কি? ওনাদের তুলনায় আমি নিতান্তই অশিক্ষিত। তবে কেবল আমি একা নই, মুর্শিদাবাদের প্রতিটা মন্দির, প্রতিটা মসজিদে মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করেছে। বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন প্রসাদ এবং অজস্র আশীর্বাদী হাসপাতালে এসেছে নিয়মিত। তোমাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি ছোট করতে পারবো না। অনেকে অবশ্য হেসেছে বা অপমান করেছে, তাতেও আমি বিন্দুমাত্র কিছু মনে করিনি। এই ক্ষুদ্র জীবনে বহুবার কাদায় পড়েছি তো, তাই গায়ের চামড়া বেশ মোটা হয়ে গেছে। তবে হ্যাঁ, কিছু কথা বলা প্রয়োজন।প্রথমত, এ কথা ঠিক যে ঐন্দ্রিলার প্রথম থেকে যা যা হয়েছে তা যথেষ্টই অপ্রাকৃত। কিন্তু তা বলে সেটা নিয়ে এত মাতামাতি করলে তা বাকি পেশেন্টদের একপ্রকার অপমান করা হয় বলে আমি মনে করি। দ্বিতীয়ত, চিকিৎসার খরচ নিয়ে লেখালিখি বন্ধ করা উচিত, পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ীই চিকিৎসা হবে, এখনো অবধি কারোর কাছে এক পয়সাও অর্থসাহায্য চাওয়া হয়নি অথবা কারোর থেকে এক পয়সাও গ্রহণ করা হয়নি। তাই এটা নিয়ে লেখা মানে ঐন্দ্রিলাকে অপমান করা এবং তার পরিবারকে ছোট করা। নিজের অপমান গায়ে মাখি না ঠিকই কিন্তু ওর অপমানে আমার গায়ে ফোস্কা পড়ে।তৃতীয়ত, একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ চেষ্টা করে তার কাছের মানুষের পাশে থাকতে, বিপদে পড়লে খড়কুটো অবধি আঁকড়ে ধরতে। সেটাই তো এতদিন স্বাভাবিক বলে জেনে এসেছি। আমার মা অসুস্থ হলে, বাবা যেমন দৌড়াদৌড়ি করেন, গত দুই বছর ধরে আমিও সেটাই করেছি। তাই কিছু পুরোনো ছবি আর ভিডিও সাজিয়ে, গান বাজিয়ে সেটাকে গ্লোরিফাই করা বন্ধ করা উচিত। এমন কি একটা লকডাউনের সময়কার তারাপীঠের ভিডিও পর্যন্ত ঐন্দ্রিলার নাম করে ঘুরপাক খাচ্ছে দেখলাম। আমি ঠিক জানি না, এগুলো করে বোধহয় তোমাদের চ্যানেল বা পেজ পয়সা পায় কিন্তু বিষয়টা আমার চোখে খুবই দৃষ্টিকটু লাগে। ইহ জীবনে কয়েক শত জুটিকে দেখেছি এসএসকেএমএর বাইরের ফুটপাথে রাত কাটাতে, ভালোবাসে বলেই তারা থাকে। তবু পরিচিত মুখ বলে আমরা চর্চিত হই, তারা নয়। আসলে কি জানো, সে খবর বিক্রি হয় না। সর্বশেষে বলি, মানুষের গায়ে আজকাল বড়ই শকুন শকুন গন্ধ পাই। গত দুইদিন ধরে হাসপাতালের নিচে বেশ ভিড় জমেছিলো, ওর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে কাল রাত থেকে একেবারে খাঁ খাঁ করছে। তবে গত দুদিনের এত নেগেটিভিটির মাঝে একটামাত্র মানুষ আমায় কিছু তথ্য দিয়ে প্রথম আলোর দিশা দেখায়, যার সাথে সারাদিন নির্দ্বিধায় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি, তিনি অরিজিৎ সিং। ঐন্দ্রিলা আছে। ঐন্দ্রিলা থাকবে। রাখে বড়মা, তো মারে কোন..

নভেম্বর ১৯, ২০২২
রাজ্য

ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে গুজব, সব্যসাচী লিখলেন, 'আরেকটু থাকতে দাও ওকে.. এসব লেখার অনেক সময় পাবে'

বুধবার গভীর রাতে সব্যসাচী চৌধুরী সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, আরেকটু থাকতে দাও ওকে.. এসব লেখার অনেক সময় পাবে। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে ফের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এখনও সঙ্কটজনক অভিনেত্রী। শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। সমস্ত রকম চেষ্টা করছেন তাঁরা। এরইমধ্যে গতকাল সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যরাতে সেই খবরগুলিকে মিথ্যা জানিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন ঐন্দ্রিলার বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। তারপর যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটে।হঠাৎ স্ট্রোক করে দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ভর্তির পর চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। শহরজুড়ে প্রার্থনা চলে এই অভিনেত্রীর জন্য। সর্বদা তাঁর পাশে রয়েছেন সব্যসচী চৌধুরী। বুধবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসকরা ফের তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখেন। এবার সোশাল মিডিয়ায় অভিনেতা সৌরভ দাস লিখেছেন, বেঁচে আছে এখনও। মেরে ফেলো না ওকে। পায়ে ধরছি।

নভেম্বর ১৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

এবং নন্দনে শ্রীলেখা, এবার সদর্পে নিজের ছবি নিয়ে উপস্থিত হবেন

অবশেষে নন্দনে শ্রীলেখা, তাও আবার নিজের প্রযোজিত ছবি নিয়ে। বারবার তিনি নন্দন-র নন্দনদের দাপাদাপি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কিছুদিন আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। চলচ্চিত্র উৎসবকে রাজনীতির প্রেক্ষাপট বানানো নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানান। উল্লেখ্য, নন্দনে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবের সময় তাঁর ছবির পরিচালক আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোনও এক আজানা কারণে।কলকাতা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই আড়ালে মেনে নিয়েছিলেন, ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা যা কিনা কলকাতার ওপর আধারিত সেই ছবিটি উৎসবে অবশ্যই দেখানো উচিত ছিল। শ্রীলেখা অপমানিত বোধ করেছিলেন। কেউ কেউ মনে করেছেন, যে অভিনেত্রী ভেনিসে, নিউ ইয়র্কে সমাদৃত তাঁর কি বা যায় আসে কলকাতাতে উপেক্ষা করলে। কিন্তু কিছু চলচ্চিত্র সমলোচক মনে করেন, হ্যাঁ আসে। তাঁদের মতে, যখন অযোগ্যরা মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ায় তখন অবশ্যই যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু এসে যায়। শ্রীলেখা এ ব্যাপারে অনেকবারই দুঃখপ্রকাশ করেছেন।কিছুদিনের মধ্যে ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা মেলবোর্নের ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যাবে। সেখানে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, বিদ্যা বালন, আলিয়া ভাট ও শেফালি শাহদের সঙ্গে তিনিই একমাত্র বাঙালি অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। পুরষ্কারের কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি। কে বিজয়ী হবেন সে সমন্ধে এখনও কোনও খবর প্রকাশ হয়নি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে বলিউডের নামজাদা নায়িকাদের সঙ্গে মনোনীত হওয়া অবশ্যই কৃতিত্বের, একথা শ্রীলেখার চরমতম সমলোচক-ও স্বীকার করবেন।সেই সাফল্যের রেশ টেনে নন্দনের ফ্লোরে পা দেবেন শ্রীলেখা। যে নন্দন তাঁকে কোনও কারণ ছাড়াই ব্রাত্য রেখেছে, সেই নন্দনে তাঁর নিজের ছবি নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন শ্রীলেখা। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার নন্দনে তাঁর প্রযোজিত, পরিচালিত ও অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি এবং ছাদ প্রদর্শিত হবে। ইতিমধ্যে ছবিটি সাউথ এশিয়ান শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনীত হয়েছে। ফেস্টিভ্যালের জুরি মেম্বাররা ছবিটি দেখানোর জন্য নন্দনকেই বেছে নিয়েছেন। যার পরিণাম শ্রীলেখাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। নন্দন প্রেক্ষাগৃহ-৩ এ ছবিটি স্ক্রিনিং হবে।এবং ছাদ শ্রীলেখার প্রযোজিত প্রথম ছবি। প্রযোজনা সংস্থা পসাম প্রোডাকশনস চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির অংশ জুড়ে একটি পূর্ণ দৈর্ঘের অ্যান্থোলজি ছবি তৈরি করছেন। শ্রীলেখা সামাজিক মাধ্যমে এই ছবিগুলির জন্য ফাইন্যান্সার খোঁজার কথা জানিয়েছেন। এখনও সেই ভাবে কাউকে পাননি, তা নিয়েও তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।শ্রীলেখার তাঁর সামাজিক মাধ্যমে আরও জানিয়েছেন যে, আগামিকাল ৪ আগস্ট তিনি নন্দনে যাবেন। সসম্মানে! নিজের ছবি দেখবেন। জুরিরা তাঁর ছবি এবং ছাদ দেখবেন। তাঁর সামাজিক মাধ্যমে সদর্প ঘোষণায় এটুকু আন্দাজ করাই যায় তিনি যথেষ্ট উত্তেজিত কালকের নন্দন অভিযানে। যেখানে তিনি কারুর আনুগ্যতে নয় যোগ্যতায় হাজির থাকবেন বলে মনে করেন শ্রীলেখা। বন্যেরা বনে সুন্দর-শিশুরা মাতৃ ক্রোড়ে আর চলচিত্র শিল্পীরা নন্দনে। আশা করাই যায় কালকের অপেক্ষায় আজকের রজনী বিনিদ্র যাপন করবেন শ্রীলেখা।

আগস্ট ০৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

পার্থ বাবুর আরও চার পাঁচ জন প্রাক্তন আছেন ইন্ডাস্ট্রিতে (টলিউডে)...কাদের নাম করলেন শ্রীলেখা?

এই মহুর্তে এসএসসি দুর্নীতি মামলার ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী ও বর্তমান রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এসএসকেএম হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাস্কুলার সায়েন্সেস-এর আইসিসিইউতে চিকিৎসা চলছে। ইন্টেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিটের ১৮ নম্বর কেবিনে তিনি ভর্তি আছেন। তাঁকে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেন। আপাতত মন্ত্রীকে কার্ডিওলজি বিভাগের স্পেসাল কেবিনে ভর্তি করে চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানা যায়। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে তাঁর চিকিৎসার জন্য।শনিবার সকাল তখন ১০টা নাগাদ মন্ত্রীর বাসভবন নাকতলাথেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। । জোকা ইএসআই, সল্টলেক সিজিও কম্পলেক্স ভায়া ব্যাঙ্কশাল কোর্ট তাঁকে সাড়ে সাতটা নাগাদ আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। গাড়ি থেকে নামিয়ে হুইল চেয়ারে করে পার্থকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। বিগত ২৬-২৬ ঘণ্টা র জেরা ইতি হয়ে মন্ত্রী গ্রেপ্তার হতেই সামাজিক মাধ্যম ভরে যায় যা নানা সমলোচলনা ও মিমে। বিরোধী দল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস তো আছেই। শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট জনেদের মন্তব্য।জনপ্রিয় চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ইডির টুইট করা ছবি দেখে তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন যা দেখছি, কেউ নায়ক ছবির remake করলে স্বপ্নদৃশ্যের জন্যে টাকার পাহাড়ের অভাব হবে না এই বাংলায় !!! তিনি আরেকটা পস্টে লিখেছেন এবার ভুঁড়িটা কমাতেই হবে। ফ্রেঞ্চ কাট বা ঘনিষ্ঠ রূপসী - বা থিম পুজো - নৈব নৈব চ। ইঙ্গিত স্পষ্ট, সাধরণ মানুষের বুঝে উঠতে খুব একটা ক্ষত করতে হয় না।বাংলা চলচিত্র অভিনেতাদের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ব্যস্ত অভিনেত্রী শ্রীলেখা। চলমান জগতে কোনও গুরুত্বপূর্ন বা স্পর্শকাতর বিষয়-ই তাঁর নজর এড়িয়ে যায় না। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ বন্ধু অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার মাত্র দুই বান্ধবীর নাম সামনে এসেছে তাতেই ইতিমধ্যে ২১কোটি ২০ লক্ষ টাকা সাথে ৭৯ লক্ষ গহনার হদিস পেয়েছে ইডি। এছাড়াও বীরভুমে ও কোলকাতায় একধিক বাংলো ও ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে ইডি সুত্রে খবর। এবার সামাজিক মাধ্যমে বোমা ফাটালেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন পার্থ বাবুর আরও চার পাঁচ জন প্রাক্তন আছেন ইন্ডাস্ট্রিতে (টলিউডে)। বলবো নাকি নাম গুলো?। শ্রীলেখা কি কিছু ইঙ্গিত দিলেন?অভিজ্ঞ মহলের ধারনা ইডি কোনও আধিকারিক যদি শ্রীলেখার সামাজিক মাধ্যম ফলো করে থাকেন অবশ্যই এই প্রশ্ন তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে রাখবেন। এবং তদন্ত করে শ্রীলেখার বক্তব্য থেকে তাঁরা সারমর্ম খুঁজে বার করার চেষ্টা করবেন-ই। তাৎপর্যপূর্ন ভাবে শুক্রবার সাত সকালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডি-র তদন্তকারী দল পৌঁছানোর পরপরই মন্ত্রীর বিশেষ বন্ধু অর্পিতা মুখার্জি নাম সামনে আসে, তারপরই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্ত্রীর শান্তিনিকেতন (বীরভূম) যোগ নিয়ে সরব হন। আজ সারাদিন সমস্ত সার্চ লাইট বোলপুর ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে এসে যায়। রবীন্দ্র-নজরুল মিলে মিশে একাকার।শ্রীলেখাকে আক্ষেপের সুরে বলতে দেখা যায় সেই সমস্ত (অদৃশ্য) বন্ধুদের কাছে কত কোটি দিয়েছে কে জানে। পরক্ষনেই তিনি এক অজানা কারনে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন। তাঁর ধারনা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কিছু বলে শত্রু বাড়ানোর কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর আশঙ্কা এসব পাবলিক করলে হয়ত সুপারি কিলার-ও পিছনে লাগাতে পারে।এই মন্তব্যের পর তাঁকে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ফ্যান ফলোয়াররা চেপে ধরতে থাকেন নাম প্রকাশ করার জন্য, কেউ কেউ লেখেন নেশন ওন্টাস টু নো। কিন্তু অভিনেত্রী বরাবরের মতোই বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন এই বিতর্কে থেকে। এমনকি জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়,রূপা ভট্টাচার্যের মত টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী দের জোরাজুরিতেও তিনি রা কারেননি। মুখ খুলেও মুখ লোকালেন শ্রীলেখা...... ভয়ে না আশঙ্কায়! নেশন ওন্টাস টু নো

জুলাই ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মুক্তি পেল কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজ ‘রক্তপলাশ’

কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ক্লিক এর নতুন ওয়েব সিরিজ রক্তপলাশ। প্রযোজনা করেছে ডার্ক এনার্জি।ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন শিলাজিৎ, দেবদূত ঘোষ, অনন্যা সেনগুপ্ত, উৎসব মুখার্জি, রোজা পারমিতা দে, অসীম রায় চৌধুরী, শুভজিত কর, মৌমিতা পন্ডিত, দিপঙ্কর, মৌসুমি দালাল, বেবী তামান্না, কোয়েল মিত্র, সুব্রত দাসগুপ্ত ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। এই ওয়েব সিরিজের প্রিমিয়ার হয়ে গেল সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউটে।জঙ্গলমহলে অবস্থিত সুরম্য ফক্সহোল রিসোর্টে বেড়াতে আসা সমাজের সাতজন বিশিষ্ট উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় রক্তপলাশ সিরিজের গল্প। শুরুতে সবাই ভ্রমণবিলাসে মজে গেলেও, নৈশ আড্ডায় রিসোর্ট মালিকের প্ররোচনায় গল্পের পরতে পরতে সেই বিশিষ্টজনেদের অতীত জীবনের লুকোনো অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস সামনে আসে দর্শকের। এরই মধ্যে জঙ্গলে নিছক ছুটি কাটাতে আসা, আপাতভাবে নিষ্পাপ মানুষগুলি হঠাৎ করেই আধাসামরিক বাহিনী ও একদল চরমপন্থীর লড়াইয়ে মাঝে পড়ে। তখনি সভ্য যাপনের শহুরে মুখোশ খুলে গিয়ে তাঁদের ভেতরে থাকা স্বার্থপর জান্তব চারিত্রিক বৈশিষ্টগুলো ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে।সাতজন ব্যক্তিমানুষের আভ্যন্তরীণ সাদা-কালোর দ্বন্দগুলো উন্মুক্ত হতে না হতেই তারা রিসোর্টে বন্দি হয়ে পড়েন মুক্তিপনের টোপ হিসেবে। প্রশ্ন ওঠে একজোট হয়ে সাতজনের বাঁচার লড়াইয়ে সামিল হবার। চরমপন্থীরা সময় দেয় ঘন্টা চারেক। প্রশাসনের তরফে নিযুক্ত হন এক সরকারি মধ্যস্থতাকারী। কিন্তু সে সাত বিশিষ্টজনের অবস্থা হয় সঙ্গিন। তাঁদের মধ্যে কেই বা করলেন বিশ্বাসঘাতকতা? কি ছিল তাঁদের পুরোনো পাপ? কেনই বা তাঁদের পণবন্দী হতে হলো চরমপন্থীদের হাতে? কিভাবে প্রশাসন পৌঁছবে তাঁদের কাছে? বন্দিরা কি আদৌ চরমপন্থীদের হাত থেকে রেহাই পাবেন? আদিম জঙ্গলের উপদ্রুত অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে এই টানটান রোমাঞ্চ ও রহস্যের গল্প আরো গভীরে গিয়ে জানা যাবে ক্লিক এর নতুন ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে।

জুন ০৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অভিনয় দক্ষতায় পরিচিত তৈরি করছেন টলিউডের নতুন শুভশ্রী

টলিউডে শুভশ্রী মানেই প্রথমে আসবে সবার প্রিয় শুভশ্রী গাঙ্গুলী। কিন্তু শুভশ্রী গাঙ্গুলী ছাড়াও আরেক শুভশ্রী ধীরে ধীরে নিজের পরিচিতি তৈরি করছে। এই শুভশ্রী হল শুভশ্রী কর। বর্ধমানে সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় জিতে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ২০১৭ সালে কলকাতায় পা রাখে শুভশ্রী। কলকাতায় নিজের পরিচিতি তৈরি করে শুভশ্রী এখন সিনেমায় নিজের নাম তৈরি করেছে। সদ্য মুক্তি পাওয়া তিরন্দাজ শবর এ যমুনা-র চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন ছুঁয়েছেন শুভশ্রী। পরিচালক অরিন্দম শীল কে নিয়ে শুভশ্রী জানিয়েছেন, অডিশন দেওয়ার পর আমি দাদার সঙ্গে দেখা করি। যখন দেখলাম যে অডিশনে আমাকে সিলেক্ট করা হয়েছে তখন কনফিডেন্স একটু বেড়ে যায়। সেরকম ভয় কিছু লাগেনি। আগামী দিনে অরিন্দম শীলের পরিচালনায় মায়াকুমারী তে দেখা যাবে শুভশ্রী কে। এই ছবির চরিত্র নিয়ে এখনই সেরকম কিছু বলতে চান না তিনি। মায়াকুমারী ছাড়াও একটি ওয়েব সিরিজেও দর্শকরা শুভশ্রী কর কে দেখতে পাবেন। শুভশ্রীর মডেলিং থেকে অভিনয় প্রতি মুহূর্তে পাশে পেয়েছেন তার মা কে। তখনই বিপদে পড়েছেন মা বটগাছের মতো আগলে রেখেছেন। শুভশ্রীর জন্য তার আপকামিং জার্নির জন্য জনতার কথা-র পক্ষ থেকে রইল অনেক শুভেচ্ছা।

মে ৩০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

দুর্ঘটনার কবলে টলি অভিনেত্রী, আপাতত সুস্থ তিনি ও তাঁর বাবা

দুর্ঘটনার কবলে টলিউড অভিনেত্রী অনন্যা গুহ। বৌবাজার থেকে টালিগঞ্জের স্টুডিওতে শুটিং করতে যাবার সময় অভিনেত্রী ও তাঁর বাবা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। এসপি মুখার্জি রোডের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ই ঘটে এই দুর্ঘটনা। হুড়মুড়িয়ে একটি বিরাট গাছ ভেঙে পড়ে অনন্যার গাড়ির উপর। দুর্ঘটনার ফলে তাদের গাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অনন্যা বা তা বাবা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তবে এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ছে। অভিনেত্রী তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আমি ও আমার বাবা সুস্থ আছি। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের খোঁজ নেওয়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। ভুয়ো খবর ছড়াবেন না। আমি পুরো সুস্থ আছি। মিঠাই এবং লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারে অভিনয় করছি।

মে ২৬, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

‘ইথিওপিয়া সিংহের দেশ, গুজরাটও তাই’—বিদেশের মাটিতে মোদীর আবেগঘন বার্তা

ইথিওপিয়ার সংসদের যৌথ অধিবেশনে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে তিনি ভারত ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। ইথিওপিয়াকে সিংহের দেশ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সেখানে নিজেকে ঘরের মানুষের মতো অনুভব করছেন। কারণ তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটও সিংহের জন্যই পরিচিত।এই সফরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আবি আহমেদের হাত থেকে গ্র্যান্ড অনার নিশান অব ইথিওপিয়া সম্মানে ভূষিত হন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ভারত ও ইথিওপিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এবার কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করা হল।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পহেলগাঁওয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ইথিওপিয়ার পাশে থাকার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের অবস্থান এক এবং এই সহযোগিতা ভারতের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।নরেন্দ্র মোদী আরও জানান, গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং গ্লোবাল সাউথের শক্তি হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্রে ভারত ও ইথিওপিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এক। ডিজিটাল পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আফ্রিকা স্টিল মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ-এর মতো উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।এই ভাষণের মাধ্যমে ভারত-ইথিওপিয়া সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছল, তা কূটনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal