• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tmc

রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান পদে আইনুল হক

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত হলেন আইনুল হক। এদিন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার দফতরে চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত আইনুল হকের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে স্বাগত জানান। এর আগে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসনিক পদে ছিলেন তিনি। তার আগে ছিলেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যানও।বর্ধমান দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা তথা বিডিএ-র চেয়ারম্যান পদটি ফাকা ছিল। পরে কাকলি গুপ্তাকে চেয়ারম্যান করা হয়। এবার আইনুল হককে ভাইস চেয়ারম্য়ান করা হল। বর্ধমানবাসী মনে করছে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বর্ধমানে এবার প্রকৃত উন্নয়ন হবে।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

এবার ডিভিশন বেঞ্চে 'রক্ষাকবচ'-এর আবেদন খারিজ, অস্বস্তি বাড়ল অনুব্রতর

গরু পাচার মামলায় অস্বস্তি কাটছে না তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির সদস্য অনুব্রত মণ্ডলের। প্রথম দফায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ অনুব্রতর আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল। এবার রক্ষাকবচ-এর আবেদন খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চেও। একাধিকবার বীরভূম জেলা তৃণমূবল কংগ্রেসের সভাপতিকে তলবি নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শেষ নোটিশ পাঠায় গত ৪ মার্চ। সিবিআইয়ের দেওয়া নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। দুবারই রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ হওয়ায় দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতার সমস্যা বাড়ল বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে। বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকার কারবার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বিনয় মিশ্র বিদেশে আত্মগোপন করেছেন। সেখান থেকে এদেশে আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই। গরু ও কয়লা পাচার চক্রের কোটি কোটি টাকা ঘুর পথে প্রভাবশালীদের কাছে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে নাম উঠে আসে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁকে বারে বারে ডেকে পাঠালেও আদালতের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।বোলপুরে বা তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কোনও জায়গায় যাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সেই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও তিনি জিজ্ঞাসাবাদে হাজির থাকতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন। সিবিআই মনে করছে, সর্বত্র অনুব্রত যাতায়াত করছেন। অথচ সিবিআই দফতরে তিনি আসতে চাইছেন না। সেটাই তো বড় প্রশ্ন। আদালতে রক্ষাকবচ খারিজ হওয়ায় ফের অস্বস্তিতে পড়েছেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজনীতি

বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের তুমুল হাতাহাতি, জখম বেশ কয়েকজন, সাসপেন্ড ৫ বিজেপি বিধায়ক

রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিধানসভায়। সোমবার দিনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভার অন্দর। বগটুইতে নিরীহ মানুষজনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেড়ে যায় বিক্ষোভ। সেই সময় ওয়েলে যুযুধান দুই শিবির। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি ও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে। পরে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কার্যত হাতাহাতিতে গেরুয়া শিবিরের ১০ বিধায়ক আহত হয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। জানা গিয়েছে, বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। চশমা ভেঙে যায় এক বিধায়কের। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে গিয়েছে। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। অসিতবাবুর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন তিনি।Absolute pandemonium in the West Bengal Assembly. After Bengal Governor, TMC MLAs now assault BJP MLAs, including Chief Whip Manoj Tigga, as they were demanding a discussion on the Rampurhat massacre on the floor of the house.What is Mamata Banerjee trying to hide? pic.twitter.com/umyJhp0jnE Amit Malviya (@amitmalviya) March 28, 2022সোমবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে তুমুল হাতাহাতির অভিযোগ ওঠে। একে অপরের উপর হামলে পড়েন বলে অভিযোগ। জামা ধরে টানাটানি, হাত চালানোর পাশাপাশি কারও কারও মুখের কথাও আগলহীন হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে বিধানসভার মত প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ নিঃসন্দেহে প্রশ্নের অবকাশ রাখে। বিধানসভায় যে ঘটনা ঘটেছে ইতিমধ্যেই তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিধায়ক মনোজ টিগ্গা-সহ পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়।এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করেন। গোটা বিষয়টি জানতে চান। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একজন বিধায়ককে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তিও করা হয়েছে। ২১০ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন অসিত মজুমদার। এই সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে বলেন, যে ঘটনা ঘটল সেটা অনভিপ্রেত। বিধানসভার নিয়মকানুন নিয়ে পড়াশোনা করেন না। বিধানসভার গুরুত্ব তাঁরা বোঝেন না। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি হবে। কীভাবে সেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায় সেটাও দেখা হবে বলে জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ।

মার্চ ২৮, ২০২২
রাজ্য

বগটুই নিয়ে হাইকোর্টের রায়, তৃণমূল কী বলছে?

বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়ের কোনও বিরোধিতা করবে না তৃণমূল কংগ্রেস, জানিয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে তদন্ত নিয়ে রাজনীতি হলে গণ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কুণাল।তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সমস্ত অ্যাকশন হয়েছে। আমরা সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করব না। আমরা সহযোগিতা করব। আমরা বলব সঠিক বিচার হোক। বিজেপির আর এক ভাই সিবিআই। সিবিআই বিজেপির পক্ষে। রাজ্য সরকার তো ব্যবস্থা নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, নন্দীগ্রামের ঘটনায় সিবিআই বিচার দিতে পারেনি। এ টু জেড সবই বিজেপির কেনা। দুদিন আগেই রাজ্যপাল বলেছেন, এবার কী হয় দেখতে পাবেন।এখনও সারদা, নারদা কাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে পারেনি সিবিআই। তৃণমূল মুখপাত্রের হুঁশিয়ারি, যদি দেখা যায় ন্যায় বিচার হয়নি, নির্দিষ্ট ঘটনার পরিধি পার করে অন্য রাজনীতি করে তাহলে গণ আন্দোলন হবে। বৃহত্তর ষড়য়ন্ত্রের আড়াল করছে তার প্রতিবাদ হবে।

মার্চ ২৫, ২০২২
রাজ্য

বড় খবরঃ বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বগটুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির তত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত হবে। রাজ্য় সরকারের হাতে এই মামলা থাকছে না। উল্লেখ্য বগটুই মোড়ে স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তারপরই বগটুই গ্রামের ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সিট গঠন করা হয়েছে। তবে এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শীঘ্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করতে হবে সিবিআইকে। সিট আর কোনও তদন্ত করতে পারবে না। প্রধান বিচারপতি নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা করেছেন। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে বলেছে সিবিআইকে।রাজ্য আর তদন্ত করতে পারবে না। প্রধান বিচারপতি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ২২ মার্চ সিট গঠন করা হয়েছিল। তবে কোনও উল্লেখনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি। রামপুরহাট থানার কাছাকাছি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। থানা থেকে কোনও পুলিশ আধিকারিক এসে গ্রামবাসীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। পুলিশ কর্মীদের তদন্তে একাধিক গাফিলতির কথা উল্লেখ রয়েছে। ঘটনাস্থলে টাওয়ার ডাম্পিং টেকনোলজি ব্যববার করা হয়েছে কীনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।এদিকে এদিন বিধানসভায় লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। রাজ্য সরকারকে বিবৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিজেপি। এদিন নির্দিষ্ট ভাবে বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হবে। বিধানসভায় না জানিয়ে বাইরে কেন বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভাকে অন্ধকারে রেখে যা খুশি করছে রাজ্য সরকার। টানা এদিন ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি বিধায়করা।

মার্চ ২৫, ২০২২
রাজ্য

ব্লক তৃণমূল সভাপতি গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ অনুগামীরা, সাসপেন্ড আইসি

রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে মুখ্য়মন্ত্রীর ঘোষণার পরই পুলিশ গ্রেফতার করেছে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনকে। একইসঙ্গে রামপুরহাট থানার আইসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বগটুই-কাণ্ডে তারাপীঠের একটি লজ থেকে থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, জেলাপুলিশ সুপার তারাপীঠ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আনারুলকে। তবে আনারুলের গ্রেফতারের খবরে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তাঁর অনুগামীরা।বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা হাজির করেন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনারুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে নিহতদের পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে আনারুলকে জানানো সত্বেও সে কোনও পদক্ষেপ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, অশান্তির আঁচ পেয়েও আনারুল পুলিশকে খবর দেননি। পুলিশকে প্রথমেই খবরটা জানালে এত বড় ঘটনা হয়তো আটকানো যেত বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বগটুই গ্রাম থেকেই আনারুলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন ডিজিকে। মমতা বলেন, আনারুল আত্মসমর্পণ করুক, নতুবা গ্রেফতার করবে পুলিশ। তবে আনারুলের অনুগামীদের বক্তব্য, তিনি ভাল মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন আনারুল। তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই আনারুলের বাড়িতে ছোটে পুলিশ। বাড়িতে ছিলেন না ব্লক তৃণমূল সভাপতি। সূত্রের খবর, আনারুল হোসেনকে তারপীঠের লজ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের খবরে আনারুলের অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন তাঁর অনুগামীরা।

মার্চ ২৪, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতা খুনে অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, ঝলসে মৃত্যু ১২ জনের

বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বগটুইতে পর পর বাড়িতে আগুন। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি থেকে ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দমকল। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, একটি বাড়িতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সিআইডি এবং ফরেন্সিক টিম। হেলিকপ্টারে রামপুরহাট যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম (বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা), আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিত সিনহা।রামপুরহাটের এই এলাকা কয়েকমাস ধরেই রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত। আট মাসে আগে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখের মেজো ভাই। জানা গিয়েছিল, রাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পর সেই একই কায়দায় খুন হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। আর তার ঠিক পরপরই গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এতজনের মৃত্যু। ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে তদন্তকারী দল পাঠানো হচ্ছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। সূত্রের খবর, সিআইডি টিম যাচ্ছে সেখানে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করে প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তাঁর দাবি, ৭টি বাড়িতে আগুনের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। ভাদু রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট থানা এলাকার বগটুই গ্রামে। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালায় এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনার পর স্থানীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই গ্রাম। পর পর বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন,সোমবার রাতে তিন জনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার সকালে আরও সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সাত জনই একটি বাড়িতে ছিলেন। দমকলের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বারো জনের মৃত্যু হয়েছে। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিন চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। টিভি ফেটে আগুন লাগে। দমকল, পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, তার পর বলব। তবে উপপ্রধান খুনের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনুব্রত।

মার্চ ২২, ২০২২
রাজ্য

পুলিশ খুঁজছে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে! শপথ নিলেন এসডিও-র কাছে, জোর বিতর্ক বর্ধমানে

কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বর্ধমানের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পুলিশ নাকি তাঁকে খুঁজেই পাচ্ছে না। অথচ সেই ফেরার কাউন্সিলার বসির আহমেদ গত ১৭ মার্চ সশরীরে এসডিও অফিসে গিয়ে শপথ নেওয়ায় কাজ সেরে ফেলেছেন। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক তীর্থাঙ্কর বিশ্বাস। এই খবর শনিবার চাউর হতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি ছাত্রী তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও প্রশাসনে কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।বর্ধমান পুরসভার ভেটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেন বসির আহমেদ ওরফে বাদশা। ওই ওয়ার্ডের বাবুরবাগ নতুনপল্লী এলাকায় বাড়ি কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের। ২ মার্চ পুরসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীরা তুহিনা খাতুনের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তারা তুহিনাকে মারধোরের পাশাপাশি তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরেই বিকালে পুলিশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তুহিনা খাতুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ।তুহিনার মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবার নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলার বসির আহমেদ ও তাঁর বেশ কয়েকজন অনুগামীকে দায়ী করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় তুহিনাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তুহিনার দিদি কুহেলি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পুর ভোটের সময়ে তুহিনাদের বাড়ির কাছের একটি দেওয়ালে আঁকা হয় গাছে তিন মহিলার ঝুলন্ত দেহের ছবি। ভোটে বসির আহমেদ জিতলে তুহিনাদের তিন বোনের ওই ছবির মত দশা হবে বলে এলাকায় প্রচার করা হয়।এই ঘটনা সামনে আসার পরেই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সোচ্চার হয় বাম ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন।তারা পথে নেমে বিক্ষোভও দোখায়। পাশাপাশি তুহিনার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর চৌধুরী বর্ধমানে এসে তুহিনার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। শেষ পর্যন্ত দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৪ মহিলা সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করলেও গ্রেফতার হয়নি মূল অভিযুক্ত বসির আহমেদ। তিনি আদালতেও আত্মসমর্পণ করেননি, পুলিশও নাকি তাঁকে খুঁজেই পাচ্ছে না।এমন আবহের মধ্যেই গত ১৬ মার্চ বর্ধমান পুরসভার নবনির্বাচিত ৩৩ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার শপথ নেন বর্ধমান উত্তরের মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাসের কাছে। ফৌজদারি মানলায় অভিযুক্ত থাকায় ওইদিন বসির আহমেদ শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে হাজির হননি। কিন্তুু পুলিশ যে বসির আহমেদকে খুঁজে পাচ্ছে না সেই বসির আহমেদ পরদিন অর্থাৎ ১৭ মার্চ সশরীরে দ্বিতীয়ার্ধে মহকুমা শাসকের চেম্বারে পৌছে যান। তিনি সেখানেই শপথ নেওয়ার পর্ব সেরে ফেলেন। ওইদিন বসির আহমেদের শপথ নেবার খবর কেউ জানতে না পারলেও শনিবার তা জানাজানি হয়ে যায়। তার পরেই পুলিশ ও মহকুমা শাসকের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠে গিয়েছে।এই বিষয়ে বর্ধমান উত্তরের মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুর আইন অনুসারে নোটিফিকেশনের ৩ মাসের মধ্যে শপথ নিতে হয়। বসির আহমেদ ১৭ তারিখ তাঁর অফিসে এসেছিলেন। তাঁকে তিনি শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন কাউন্সিলর হিসাবে।কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানান।জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীস সেন জানান, ঘটনা বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।ফেরার কাউন্সিলারের শপথ গ্রহন নিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র অভিযোগে বলেন, পুলিশ যাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না সেই কাউন্সিলর মহকুমা শাসকের কাছে গিয়ে শপথ নিয়ে ফেললেন। অথচ পুলিশ বলছে কিছুই নাকি তারা জানেন না। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তদন্ত আসলে কেমন হচ্ছে। এইসবের মধ্য দিয়ে ছাত্রীর পরিবারের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরের আইন শৃঙ্খলার রক্ষকের কাছে গিয়ে শপথ গ্রহণ করে নিলেন ফৌজদারি মামলায় ফেরার অবিযুক্ত। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রশাসন অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সাফ জবাব, কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলেও সে শপথ গ্রহণ করতে পারে। এমন নজির আগে থেকেই রয়েছে। কেস থাকা সত্ত্বেও বাম আমলে নিখিলানন্দ সর বিধায়ক হিসাবে রাজ্য বিধানসভায় শপথ নিয়েছিলেন।

মার্চ ২০, ২০২২
রাজ্য

মন্ত্রীর ধমকানির তোয়াক্কা না করে কালনা পুরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটাভুটি, তবু হল না বোর্ড গঠন

রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন পুর ভোটে নির্বাচিত তৃণমূলেরই কাউন্সিলাররা। আর তার কারণেই বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান হতে পারলেন না দলের মনোনিত কাউন্সিলার আনন্দ দত্ত। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ রুখে দাঁড়িয়েও বাগে আনতে পারেননি দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের। ভোটাভুটিতে ১৭ জন কাউন্সিলারের মধ্যে দলের বিক্ষুব্ধ ১২ জন কাউন্সিলার আনন্দ দত্তকে হারিয়ে দিয়ে তপন পোড়েলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। যদিও পরে কালনার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেওয়া হয়।এইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে সরাটা দিন উত্তপ্ত হয়ে থাকে কালনা পুরসভা অফিস চত্ত্বর। একইরকম ভাবে এদিন ক্ষোভের আঁচ ছড়ায় বর্ধমান পুরসভাতেও। ক্ষোভে শপথ গ্রহণেই অংশ নিলেন না দলের কাউন্সিলার অরুপ দাস।পুরভোটের পর পুরসভার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হওয়া নিয়ে তৃণমূলের এমন নজিরবিহীন। গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে আসায় উৎফুল্ল বিরোধী শিবির।কালনা পুরসভা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানরাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের নিজের গড় হিসাবেই পরিচিত কালনা পুরসভা। সেখানকার একটা বড় অংশের দলীয় কাউন্সিলার দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় বেজায় চটেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে যাঁরা দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের সাসপেন্ড করা হবে বলেও স্বপনবাবু এদিন জানিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যের পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন কলকাতায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যে যে পুরসভায় দলের মনোনীত কাউন্সিলারকে চেয়ারম্যান হতে না দিয়ে অন্যকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে সেই সব পুরসভায় অনাস্থা আনা হবে। শেষ পর্যন্ত দল কালনা পুরসভার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে মঙ্গলবার বর্ধমান ও কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের নাম জানিয়ে দেওয়া হয়। বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান করা হয় পরেশ চন্দ্র সরকারকে। আর ভাইস চেয়ারম্যান করা হয় মৌসুমি দাসকে। অন্যদিকে দল কলনা পুরসভায় আনন্দ দত্তকে চেয়ারম্যান ও তপন পোড়েলকে। ভাইস চেয়ারম্যান মনোনিত করে। এই দুই পুরসভার নব নির্বাচিত কাউন্সিলারদের এদিন ছিল শপথ গ্রহন। কালনা পুরসভার কাউন্সিলারদের জন্য কালনার একটি হলে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তৃণমূলের ১৭ জন কাউন্সিলার ও একজন বাম কাউন্সিলার সেখানে উপস্থিত হন। তবে শপথ গ্রহণের আগে থেকেই সেখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়ায়। এক পক্ষ দলের মনোনিত কাউন্সিলারকে চেয়ারম্যান মনোনীত করার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অপর পক্ষ দলের ঘোষিত চেয়ারম্যানের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছান রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা কলনা পুরসভা ভেটে দলীয় পর্যবেক্ষক ও বিধায়ক অলোক মাঝি।কালনা পুরসভা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিক্ষোভঅনেক বুঝিয়েও এই দুই তৃণমূল নেতার কেউ-ই বিক্ষুব্ধদের বাগে আনতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলের বাইরে দলের কর্মীদের নিয়ে ধর্ণায় বসে পড়েন কালনা পুরসভা ভোটের তৃণমূল পর্যবেক্ষ অলোক মাঝি । সময় গড়ানোর সাথে সাথে উত্তেজনা আরও চরমে ওঠে। কালনার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজনা সামাল দেয়। এরই মধ্যে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় কালনা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলার অনিল বসুর। বাকবিতণ্ডা চলার সময়েই তিনি আবার স্বপন দেবনাথের সামনেই ওই হলের দোতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ মারাতে উদ্যত হন । মন্ত্রীর চরম বিরোধীতা সত্ত্বেও শপথ গ্রহনের পর বিক্ষুব্ধ ১২ জন কাউন্সিলার চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটাভুটির দাবি তোলেন। ভোটা ভুটিতে তাঁরা দলের মনোনিত চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে হারিয়ে দিয়ে তপন পোড়েলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।তবে বিক্ষুব্ধদের দলের সিদ্ধান্তকে এই ভাবে চ্যালেঞ্জ ছোড়াটা বরদাস্ত করেননি তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষ তথা মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস এদিন সন্ধ্যায় জানিয়ে দেন, বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া তপন পোড়েলকে কালনা শহর সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। একই সঙ্গে তাঁকে দল থেকেও বহিস্কার করা হল বলে অরুপ বিশ্বাস জানিয়ে দেন।এদিন বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলারদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও ক্ষোভ বিক্ষোভের আঁচ প্রকাশ্যে চলে আসে। ভেটে জিতে কাউন্সিলার হয়েও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হননি অরুপ বিশ্বাস ও বসির আহমেদ (বাদশা)। একটি ফৌজদারি মামলায় জামিন না পাওয়ার জন্য বসির আহমেদ শপথ নিতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। তবে বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা নব নির্বাচিত কাউন্সিলার অরূপ দাস চেয়ারম্যান হতে না পারার ক্ষেভে এদিন শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে হননি বলে খবর। মঙ্গলবারই অরূপ দাস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েদেন, দলের সিদ্ধান্তে তিনি অপমানিত হয়েছেন। তাই তিনি শহর তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন। কাউন্সিলার পদ থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন। যদিও দলীয় নেতৃত্ব অরুপ দাসের এই সব বক্তব্যকে কোন আমল দিতে চাননি।

মার্চ ১৬, ২০২২
রাজ্য

জোড়া কাউন্সিলর খুনে উত্তেজনা পানিহাটি ও ঝালদায়

রবিবারের সন্ধ্যাতেই দুই জেলায় দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনা ঘিরে সোমবার সকাল থেকে শোরগোল শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে রবিবার রাতেই গ্রেপ্তার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত। তবে পুরুলিয়ার ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের অভিযোগে সোমবার সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শুরু হয়েছে তল্লাশি। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর আত্মীয়-পরিজনদেরও। পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড সীমানায় চলছে ব্যাপক নজরদারি। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা পুরুলিয়া বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে সোমবারই নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ ঝালদায় পৌঁছনোর কথা তাঁর। এবার ঝালদা পুরসভার ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। কংগ্রেস-তৃণমূল সমান সমান আসন পায়। তা নিয়ে একটা রাজনৈতিক চাপানউতর এলাকায় চলছিল বলে কংগ্রেসের দাবি। এরইমধ্যে কাউন্সিলরের খুনের ঘটনা। এই ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, পুলিশের প্রত্যক্ষ মদত না থাকলে এ ঘটনা ঘটে না।পানিহাটির আট নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অনুপম দত্ত মাথা লক্ষ্য করে গুলি। রবিবার সন্ধ্যায় দুষ্কতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তৃণমূল কাউন্সিলরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভর্তি করানো হয় সাগরদত্ত মেডিক্যাল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।অন্য দিকে, রবিবার ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটে পুরুলিয়ার ঝালদায়। সেখানে সদ্য জয়ী কংগ্রেসের এক কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে মোটর বাইকে উঠে চম্পট দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কাউন্সিলরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে রাঁচিতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় ওই কাউন্সিলরেরও।

মার্চ ১৪, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির বহিরাগত খোঁচা বিহারীবাবুকে, বালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী বাবুলকে হুঙ্কার ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের

গতবছর ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিহারীবাবুর। শেষমেশ আসানসোল লোকসভা আসনের টিকিট হাতে নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিজেপি থেকে দলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন আরেক বিজেপি সাংসদ গায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে। লোকসভা ও বিধানসভা দুই আসনের প্রার্থী আগে বিজেপি করতেন, দুজনই সাংসদ ছিলেন, দুজনই শিল্পী জগতের লোক। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই প্রার্থীর নাম টুইট করে জানানোর পরই বিজেপির তরফ থেকে নানা ধরনের কটাক্ষ করা হয়।বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইটে লেখেন অভিষেকের লোককে প্রার্থী না করে বহিরাগতকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, নিজেদের প্রার্থী নেই বলে দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। প্রায় একই মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। যদিও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিক সাংসদ হলে তৃণমূলের লাভ হবে।It was widely speculated that TMC would field Saayoni Ghosh, president of partys youth wing, considered close to Abhishek Banerjee, from Asansol. But Mamata Banerjee, just to cut her nephew to size has fielded a complete outsider, not just for Asansol but Bengal, from the seat. Amit Malviya (@amitmalviya) March 13, 2022এদিকে এরই মধ্যে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন বাবুলের বালিগঞ্জে প্রার্থী হওয়া নিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছেন। সংগঠনের সভাপতি মহম্মদ ইয়াহ ইয়াহ বলেছেন, একজন দাঙ্গাকারীকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমি নিজে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হব। ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের প্রার্থী হব আমি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত তত্বকে হাতিয়ার করেই সর্বত্র প্রচার করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।এবার অন্য রাজ্য থেকে একজন অবাঙালিকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের পক্ষে কেউ কেউ যুক্তি খাড়া করতে চাইছেন এটা লোকসভা নির্বাচন। যার প্রেক্ষিত সর্বভারতীয়। ১২ এপ্রিল উপিনর্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

মার্চ ১৩, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের তৃণমূল সমর্থক কলেজ ছাত্রী তুহিনার মৃত‍্যুর ঘটনার ১১ দিন পরে তদন্তে এল ফরেন্সিক দল

পুর ভোটের ফল প্রকাশের দিন তৃণমূল সমর্থক কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সদ্য জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলার ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ নতুনপল্লী এলাকার কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১১ টা দিন। এতদিন বাদ রবিবার তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে বর্ধমানে এল দুই সদস্যের ফরেন্সিক দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষ সরকার।পুলিশের ডিএসপি অতনু ঘোষালের সঙ্গে ফরেন্সিক দলের সদস্যরা এদিন তুহিনা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। পাশাপাশি বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেন। তুহিনা খাতুনের ব্যবহৃত একটি ডায়েরিও এদিন সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ফরেন্সিক টিম। তদন্তের বিষয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা এদিন সংবাদ মাধ্যমকে যদিও কিছু বলতে চাননি।তৃণমূল সমর্থক পরিবারের সদস্য তুহিনার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তাঁর দিদি সদ্য জয়ী ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সেখ বশির আহমেদ ও তাঁর ১৪ জন অনুগামীর বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ দুদফায় চারজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলার এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ মৃতার পরিবার। বশির আহমেদ ঘটনার দায় অস্বীকার করলেও মৃতার পরিবার বশিরের গ্রেফতারের দাবিতে এখনও সোচ্চার রয়েছে।এদিকের তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনা আনিস কাণ্ডের মতোই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। চলতি মাসের সাত তারিখ বর্ধমানে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি তুহিনা বাড়িতে যান। পরিফারের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়ে যান অধীরবাবু। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বও তুহিনার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে। ষম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর সদস্যরাও তুহিনার বাড়িতে যান। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। পুর ভোটের প্রাক্কালে তুহিনাদের বাড়ি লাগোয়া একটি দেওয়ালে আঁকা হয় বিভৎস দেওয়াল চিত্র। পুরভোটের ফল প্রকাশের পর তুহিনাদের তিন বোনকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলে মরতে হবে এমন হুমকি ওই দেওয়াল চিত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এপিডিআর-এর সদস্যরা ওই দেওয়াল চিত্রের ছবি তুলে নিয়ে যান। এখনও এলাকার দেওয়ালে ওই ছবি থাকা নিয়ে বিভিন্ন মহল নিন্দায় সরব হয়েছেন।

মার্চ ১৩, ২০২২
রাজনীতি

তৃণমূলে যোগ দিয়েই নতুন পদ পেলেন জয়প্রকাশ মজুমদার

অবশেষে জল্পনার অবসান। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার যোগ দিলেন তৃণমূলে। নাটকীয়ভাবে নজরুল মঞ্চে বৈঠক করল তৃণমূল। সেখানেই জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের রাজ্য-সহ সভাপতি হলেন জয়প্রকাশ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। উল্লেখ্য, সোমবারই লকেট চট্টোপাধ্যায় দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রিতেশ তিওয়ারিও।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকেই শেষ পেরেকটা পোঁতা হয়েছিল। সোমবার সকালে আকস্মিক নজরুল মঞ্চের সামনে তৃণমূল নেতাদের পাশেই দেখা যায় জয়প্রকাশকে। আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতিই ঘটাল জল্পনার অবসান। উল্লেখ্য, বিজেপিও জয়প্রকাশকে দল থেকে বহিষ্কৃত করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের সঙ্গে ছেলেকে এনেও জয়প্রকাশ বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর পরিবারও আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণীত।কিন্তু কি করব - রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কিছুতেই এটা করতে দিচ্ছেন না। আমি অসহায়। pic.twitter.com/CF4BzzIO5g Jay Prakash Majumdar (@jay_majumdar) March 5, 2022সাময়িক বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য তৃণমূলে গিয়েছেন বলে মনে করেন বিজেপি-র সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের নীতির কারণেই দলত্যাগ হচ্ছে।মঙ্গলবার লকেট বলেন, আগেও দল ছেড়ে অনেক নেতা চলে গিয়েছেন। অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দল ছেড়ে কেউ চলে না যান, তার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা উচিত। সবাইকেই রোখা উচিত। আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। কথা বলার পরেও যদি কেউ চলে যান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। লকেট আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সকলেই জয়প্রকাশকে দল ছেড়ে তৃণমূলে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু জয়প্রকাশ তা শোনেননি।

মার্চ ০৮, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের কলেজ ছাত্রী তুহিনার মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বেনজির আক্রমন শানালেন অধীর

গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে তিন বোনকে ঝুলে মরতে হবে এমন ছবি পুর ভোটের সময়ে যাঁরা দেওয়ালে এঁকেছিল তাঁরা কি মুখ্যমন্ত্রীর দলেরই লোক? যদি তা হয় তবে সেটা বাংলার লজ্জা। পুর ভোটের ফলপ্রকাশের দিন বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সমর্থক তরুণী তুহিনা খাতুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার এই ভাষাতেই তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।শহর বর্ধমানে আঁকা ওই দেওয়াল চিত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অধীরবাবু এও বলেন, আপনার বাড়ির সামনে দেওয়ালে ছবি এঁকে দিয়ে কেউ যদি বলে, আপনার গলায় দড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তাহলে আপনি কি সেটা মানবেন? এদিন মৃত তুহিনা খাতুনের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে এসে অধীর চৌধুরি এলাকায় আঁকা ওই দেওয়াল চিত্র চাক্ষুষ করে স্তম্ভিত হয়ে যান। পরে তিনি দাবি করেন, সংখ্যালঘু পরিবারের উপর এমন অত্যাচার কার্যত নজিরবিহীন। যে অত্যাচারের হাত থেকে হাওড়ার আমতার আনিস খান রেহাই পায়নি। বর্ধমানের তুহিনা খাতুনও পেল না। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা সেখানে এমন ঘটনা খুবই লজ্জার। এই ঘটনা নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়ে দেন।বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগের নতুনপল্লী এলাকায় বাড়ি তুহিনা খাতুনের (১৮)। ২ মার্চ পুর ভোটের ফল ঘোষণার পর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। সে বর্ধমান রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। বোনের মৃত্যুর জন্য ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিার কাউন্সিলর বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীদের দায়ী করে বর্ধমান থানার অভিযোগ দায়ের করেন দিদি কুহেলী বিবি। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলর বসির আহমেদ এখনও বহাল তবিয়তেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে অধীর চৌধুরীর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতার পরিবার। এই প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, বাংলায় এখন এমন জঙ্গলরাজই চলছে। সরকার, প্রশাসন ও তৃণমূলের মদত রয়েছে বলেই তুহিনার মৃত্যুর ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছে ।

মার্চ ০৭, ২০২২
রাজ্য

আনিসের মৃত্যুর ছায়া বর্ধমানে, তুহিনার মৃত্যু নিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিতে কংগ্রেস ও বামেরা

পুর ভোটের ফল প্রকাশের পরেই গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে মরতে হবে তিন বোনকে। পুর ভোটের আচরণবিধি জারি থাকার সময়েই শহর বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ালে আঁকা হয় হুমকি বার্তা দেওয়া এমন এক নজিরবিহীন ছবি। ওই ছবি আঁকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল প্রার্থী শেখ বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা পুলিশ, কারও তরফেই পুর ভোটের ফল প্রকাশের দিন পর্যন্ত ওই ছবি মোছানোর কোন উদ্যেগ নেওয়া হয়নি। তাই ওই ছবি এলাকায় দেওয়ালে রয়েই যায়। আর আঁকানো ছবির হুমকি মতোই কাণ্ড ২ মার্চ ঘটে শহর বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ নতুনপল্লী এলাকায়। পুর ভোটের ফল প্রকাশের পরেই বিকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সেখানকার তৃণমূল সমর্থক পরিবারের কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের(১৭) ঝুলন্ত দেহ। বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি শাসানি দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত কারার অভিযোগ উঠেছে সদ্য নির্বাচিত ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শেখ বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আর তুহিনার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা এখন আমতার ছাত্র নেতা আনিসকে খুনের ঘটনার মতোই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।বর্ধমান রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তুহিনার খাতুনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শুক্রবার বর্ধমানের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধামান জেলা সভাপতি বিশ্বরুপ হাজরা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন পুর ভোটের ফল প্রকাশের পরেই শাসক দলের রাজনৈতিক হিংসা ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছাত্রী তুহিনা আত্মঘাতী হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি জারি থাকার মধেও তুহিনাদের বাড়ির ঠিক আগের একটি দেওয়ালে ছবি আঁকা হয় তিনটি মেয়ের দেহ ঝুলছে। এই ঘটনা অমানবিক ও আদিম হিংস্রতার চরম প্রকাশ বলে এসএফআই মনে করে। পুলিশের নির্দেশ পাওয়ার পরেও ওই এলাকার তৃণমূল প্রার্থী দেওয়াল লিখন মোছেননি। আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু যেমন দুর্ভাগ্যজনক তেমনই দু্ঃখজনক। তাই তুহিনার মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও এসএফআই বৃহত্তর প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবে বলে বিশ্বরুপ হাজরা এদিন জানিয়ে দেন। তুহিনার মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে এদিন বিকালে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যরা বর্ধমান থানার সামনে ধরনায় বসেন। তুহিনার মৃত্যুর ঘটনায় সকল দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ হাজরা।এসএফআইয়ের মতোই কংগ্রেস দলের নেতৃত্বও তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি নেপাল মাহাতো এদিন জেলা কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বাবুরবাগে আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের বাড়িতে যান। তিনি তুহিনার পরিবারের সদস্যদের মুখে দেওয়ালে হুমকি দেওয়া ছবি আঁকা ও ঘটনার দিনের কথা শুনে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান। কংগ্রেস নেতাদের কাছে তৃণমূল কাউন্সিলার বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তুহিনার পরিবার। এখনও বসির আহমেদ হুমকি দিচ্ছে বলে তারা কংগ্রেস নেতাদের কাছে অভিযোগে জানান। সব শুনে নেপাল বাবু জানান, ভোটের সময়ে ছবি এঁকে হুমকি দিয়ে এই ধরনের দেওয়াল লেখা চরম থেকে চরমতম অপরাধ। এটা একটা নক্কারজনক ঘটনা। নির্বাচন চলাকালীন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকে। নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করেও এই ছবি মুছতে পারেনি। এর দ্বারাই বোঝা যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কতটা। পুলিশ গোটা বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বলেও নেপালবাবু অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে নেপাল মাহাতো জানিয়ে দেন, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে প্রয়োজনে তাঁরা আইনি লড়াই লড়বেন। যদিও বসির আহমেদ এদিন বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রয়োজনে সিআইডি দিয়ে ঘটনার তদন্ত হোক। তিনি চান আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসুক।তিন তরুণী গাছে ঝুলছে এমন ছবি পুর ভোটের আচরণবিধি জারি থাকার সময়ে যাঁরা ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ালে আঁকালো তাদের বিরুদ্ধে কি নির্বাচন কমিশন আইনগত কোন ব্যবস্থা নিয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক তথা পুর নির্বাচনী আধিকারিক তীর্থাঙ্কর বিশ্বাস বলেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার কাছে কোন অভিযোগও আসেনি। তবে এই প্রসঙ্গে ডি এসপি (সদর) অতনু ঘোষাল বলেন, মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা মিললে দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না ।

মার্চ ০৪, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল সমর্থক কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার চার, এফআইআরে নাম কউন্সিলারেরও

পুর ভোটের ফল প্রকাশ হতে না হতেই এক কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগ উঠলো সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলার ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও উত্তপ্ত থাকলো বর্ধমান পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ এলাকা। বাবুরবাগ নতুনপল্লী এলাকার মৃত ছাত্রী তুহিনা খাতুন (১৭) এর দিদি কুহেলি বিবির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমান থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করে। মৃতার দিদির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে রুজু হওয়া এফআইআরে সদ্য জয়ী হওয়া ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শেখ বসির আহমেদ ওরফে বাদশারও নাম রয়েছে। কাউন্সিলার সহ অভিযুক্ত সকলের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছে মৃতার পরিবার সদস্যরা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শেখ গোলাম নবি ওরফে গোলাপ, তহমিনা বিবি ওরফে তসমিনা, সোনাহার বিবি ওরফে সোনা বিবি, মানোয়ারা বিবি ওরফে মিনু। ধৃতদের সকলের বাড়ি বাবুরবাগের পশ্চিমপাড়ায়। বাড়িতে ভাঙচুর, মারধর, হুমকি, শ্লীলতাহানি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ এদিনই ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে গোলাম নবিকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সিজেএম গোলাম নবির ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকি ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৭ মার্চ ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।এদিন ময়নাতদন্ত শেষে মৃত কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ বাড়িতে পৌছালে এলাকা নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলার বসির আহমেদের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে মৃতদেহ রেখে এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ঘন্টা দুয়েক ধরে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। কাউন্সিলার বসির আহমেদকে তৃণমূল কংগ্রেস দল থেকে বহিস্কারের দাবি তুলেও এলাকার বাসিন্দারা এদিন সোচ্চার হন।বিক্ষোভমৃতার দিদি কুহেলি বিবি পুলিশকে জানিয়েছেন, তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য শেখ বসির আহমেদ টিকিট পান। তার পর থেকেই তিনি অনুগামীরাদের নিয়ে তুহিনা সহ তাঁদের পরিবারের উপর নানাভাবে নির্যাতন চালানো শুরু করে। অত্যাচার দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। কুহেলি জানান, তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন তৃণমূলের অপর একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ওয়াের্ডে কাজ করেন। বুধবার ভোটের ফল বের হওয়ার পর বেশ কয়েকজন একজোট হয়ে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ির সামনে বোমা ফাটানো হয়। ওই ব্যক্তিরা তাঁকে ও তাঁর বোন তুহিনা খাতুনকে প্রচণ্ড মারধর করে ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এমনকি তাঁদের পরিবারের অন্য মহিলাদের শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করা হয়। এইসব সহ্য করতে না পেরেই ঘটনার পর বাড়িতে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাঁর বোন তুহিনা আত্মঘাতী হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কুহেলিদের বাড়ির কাছের একটি দেওয়ালে আঁকা হয় গাছে তিন মহিলার ঝুলন্ত দেহের ছবি। বসির আহমেদ ভোটে জিতলে কুহেলি ও তাঁর দুই বোনের ওই ছবির মতন দশা হবে বলে এলাকায় প্রচার করা হয়। ভোটে জেতার পরই বেলা ৩টে নাগাদ বাদশা সহ কয়েকজন কুহেলিদের বাড়িতে হামলা চালায়। তুহিনাকে মারধর করা হয়।যদিও বসির আহমেদ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আদৌ ঘটনায় জড়িত নন। মিথ্যাভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিসি তদন্তে আসল তথ্য উঠে আসবে। বসির আহমেদ এমনটা দাবি করলেও তাঁর বিরুদ্ধে রুজু হওয়া এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে শপথ নেওয়া নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হওয়ার যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব।

মার্চ ০৩, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে কলেজ ছাত্রী আত্মঘাতী, সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে অভিযোগের আঙুল

পুর ভোটের ফল প্রকাশ হতে না হতেই এক তরুণীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উতপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান। বিএ প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃতা তুহিনা খাতুন(১৮)-র বাড়ি বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ মসজিদ সংলগ্ন নতুনপল্লীতে। বুধবার বিকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। তবে তুহিনার মৃত্যুর জন্য ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে সদ্য জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বসির আহমেদকেই (বাদশা) দায়ী করেছেন মৃতার পরিবার।মৃত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাঁরা বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মুক্তার মিঞার অনুগামী। জানা গিয়েছে, মুক্তার মিঞা সদ্য কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বসির আহমেদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর। সেই কারণে, বুধবার জয়ের পরেই বসির আহমেদ তুহিনার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই তুহিনা আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবার অভিযোগ করেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বসির আহমেদ। তিনি বলেন, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল সেই বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সঠিক তদন্তের দাবী জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।তিন বোনের ছবি এঁকে হুঁশিয়ারীর অভিযোগজয়হিন্দ বাহিনীর ওয়ার্ড সভাপতি মুক্তার মিঞা বলেন, প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বসির আহমেদ ওরফে বাদসা তুহিনাদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া শুরু করে। বাড়ির দেওয়ালে তুহিনা সহ তাঁদের তিন বোনের ছবি এঁকে দিয়েও হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়। বুধবার বিকেলে দলবল নিয়ে বাদসা চড়াও হয় তুহিনাদের বাড়িতে। তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।সেই অপমানে তুহিনা আত্মঘাতী হয়েছে। একই অভিযোগ করেন মৃতার দিদি ঝর্ণা বেগম। তিনি বলেন, বাদশা বরাবরই বির্তকে থাকেন। তাঁকে নিয়ে বহুবার বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। কখনও রাজ কলেজের টিচার ইনচার্জকে চড় মারা তো কখনও কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিকে এক ঘরে করে রাখার মত ঘটনাও তিনি ঘটিয়েছেন। শুধুমাত্র শাসকদলের কাউন্সিলর হওয়ায় তিনি এইসব ঘটনা ঘটিয়েও বেঁচে গেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের একচেটিয়া জয়ও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকাতে পারেনি।

মার্চ ০৩, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূলের জয়জয়কারের মধ্যেও কাটোয়ায় রবির গড়ে কুপোকাত বীরভূমের কেষ্টর অনুগত প্রার্থী

বিধানসভা ভোটের পর পুর ভোটেও রাজ্য জুড়ে দাপট অব্যাহত রাখলো ঘাসফুল শিবির। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি পূর্ব বর্ধমানেও। এই জেলার ছয়টি পুরসভাতেও নিরঙ্কুশ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। একমাত্র কালনা পুরসভায় বামেরা অস্তিত্ব জানান দিতে পেরেছে । তবে এতকিছুর মধ্যেও রবির গড় কাটোয়া পুরসভার ভোটে নজরকাড়া পরিজয় ঘটেছে বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডলের অনুগামী তৃণমূল প্রার্থীর।যা নিয়েই এখন সরগরম কাটোয়ার রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভা ভোটের ফলাফল বুধবার ঘোষনা হতেই রাজ্যজুড়ে বইতে শুরু করে সবুজ আবিরের ঝড়। হোলির আগেই এদিন সবুজ আবিরে মাখামাখি হয়ে অকাল হোলিতে মাতোয়ারা হয় বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া,দাঁইহাট,মেমারি ও গুসকরা পৌরসভা এলকার তৃণমূল কর্মীরা। বর্ধমান পুরসভায় বিরোধীরা খাতাই খুলতে পারেনি। এমনকি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পুরসভার যে যে ওয়ার্ডে বিজেপি ভাল ফল করেছিল সেই সব ওয়ার্ড সহ ৩৫ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।একই ভাবে গুসকরা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ড ও দাঁইহাটের ১৪ টি ওয়ার্ডে একচ্ছত্র আধিপত্য লাভ করেছে তৃণমূল।এই তিন পুরসভায় বিরোধীরা খাতা খুলতে না পারলেও মেমারির ঘাসফুলের খেতে অপ্রত্যাশিত ভাবেই হাত তুলে বসেছে কংগ্রেস ।কিন্তু কোনভাবেই অস্তিত্ব জানান দিতে না পেরে বিনয় কোঙারের গড়ে হারিয়েই গেল কাস্তে হাতুড়ি তারা। মেমারি পৌরসভায় মোট ওয়ার্ড ১৬ টি।এরমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১৫ টি ওয়ার্ডে।শুধুমাত্র ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী মিঠু সরকার। ভোট প্রাপ্তির হিসাব অনুয়ায়ী মেমারিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। কালনা পৌরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।শুধুমাত্র কালনার ২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী শর্মিষ্ঠা নাগ সাহা তাঁর প্রতিদ্বন্দি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তনুশ্রী বাগকে ১৮১ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। ঘাসফুলের দখলে গিয়েছে কাটোয়া পুরসভা। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় ওরফে রবি ববুর গড় হিসাবেই পরিচিত কাটোয়া। এই পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। ৪ টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী ও ১ টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কাটোয়ায় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে যাঁকে নিয়ে সব থেকে বেশী চর্চা হচ্ছে তিনি হলেন অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও ওরফে কেষ্টর অনুগত অরিন্দম বাবু কাটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এদিন ফল বের হতেই দেখাযায় তিনি কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ১১০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের জন্য নিজের দলের লোকজনকেই দায়ী করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,দলের চক্রান্তের জন্যই হেরেছি। অরিন্দমবাবু অভিযোগে বলেন,তৎকাল তৃণমূল কর্মীরা চক্রান্ত করে আমাকে হারিয়েছে। আমি সমস্ত ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীকে হারিয়ে জঘন্য রাজনীতি করেছে। কেষ্ট মণ্ডলের ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা অরিন্দম বন্দ্যেপাধ্যায়ের এইসব অভিযোগ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি । তবে অরিন্দমের বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিতে দেরি করেননি জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন ,যে প্রার্থী তাঁর নিজের দলের জেলা সভাপতিকে হরিদাস পাল,চোরের সর্দার বলে তাচ্ছিল করেন তাঁর এমন পরিণতি কথা আগে থেকেই ভেবে রেখে ছিলেন কটোয়াবাসী। সেই মতই কাটোয়ার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতেয়েছে।আমাকে কোন দল সাহায্য করেনি। কোটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হেবি ওয়েট তৃণমূল প্রার্থীর পরাজয়ের জেরে কাটোয়ার নতুন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মার্চ ০২, ২০২২
রাজনীতি

বিপুল জয়ের পর দায়িত্ব আরও বাড়ল, টুইট করে নম্র হওয়ার বার্তা মমতার

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেও বিরোধী হিসেবে আসন সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছিল বিজেপির। তবে পরপর তিন পুর নির্বাচনে কার্যত নিরঙ্কুশ জয় এসেছে ঘাসফুল শিবিরেই। কলকাতা পুরনিগমে গুটিকয়েক ওয়ার্ড বাদ দিতে সবকটিই এসেছে তৃণমূলের হাতে। পরে রাজ্যের বাকি চার পুরনিগমের নির্বাচনেও সবকটিতে জয়ী হয় তৃণমূল। আর এবার ১০৮ পুরসভার নির্বাচনেও একই ট্রেন্ড। ১০০-র বেশি আসনে জয়ী তৃণমূল। থাকাই খুলতে পারল না বিজেপি। সেই ফল প্রকাশের পর টুইটে প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।Let victory enhance our responsibility and dedication. Let triumph impart humility. Let us together work for peace, prosperity and development of the state.Jai Bangla!(2/2) Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 2, 2022জয়ী যে হচ্ছেন, সে ব্যাপারে সারা রাজ্যের কারও কোনও সন্দেহ ছিল না। কৌতূহল ছিল, কী ভাবে জিতবেন। টুইট করে দলের জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানালেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিনন্দনের পাশাপাশিই জয়ী সৈনিকদের মমতার পরামর্শ এবং সতর্কবার্তা, এই জয় যেন আমাদের আরও দায়িত্ববান এবং নম্র হতে শেখায়। অর্থাৎ বিপুল জয়ের ফলে যেন দলের কর্মীরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে না ভোগেন। যেন তাঁরা ভুলে না যান, মানুষের জন্যই তাঁরা এই জায়গায় পৌঁছেছেন। নিজেদের দায়িত্ব পালনে যেন তাঁরা চ্যুত না হন।বুধবার দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ যখন পুরসভা ভোটের গণনা থেকে সম্ভাব্য ফলাফল প্রায় নিশ্চিত, তখন পরপর দুটি টুইট করেন মমতা। প্রথমে মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ জানান পুরসভায় তৃণমূলকে বেছে নেওয়ার জন্য। তার পরে তিনি অভিনন্দন জানান পুরভোটে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের। সেটা প্রত্যাশিতই ছিল।এর পরেই দ্বিতীয় টুইটে মমতা লেখেন, এই জয় যেন আমাদের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে। মানুষের প্রতি আমাদের আনুগত্য বৃদ্ধি করে। জয় যেন আমাদের আরও নত হতে শেখায়। মমতা লেখেন, আসুন, আমরা একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করি। মমতা তাঁর অভিনন্দনজ্ঞাপক টুইট শেষ করেন জয় বাংলা লিখে।

মার্চ ০২, ২০২২
রাজ্য

সবুজ ঝড়ে উড়ে গেল অধিকারীগড়

ফের সবুজঝড়ে বিপর্যস্ত বিরোধিরা। আর সেই ঝড়েই অধিকারীগড় বলে পরিচিত কাঁথি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ হারালেন কার্যত হারালেন শিশির অধিকারী এবং তাঁর পরিবার। ফলাফল যে দিকে চলেছে, তাতে কাঁথিতে বোর্ড গড়ছে শাসক তৃণমূল। সম্ভাব্য পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি। যিনি ঘটনাচক্রে, জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের বিরোধী শিবিরের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র। কাঁথির ফলাফল নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি শুভেন্দু বা বিজেপি-র তরফে।কাঁথি পুরসভায় মোট আসন ২১টি। তার মধ্যে ১৭টিই জিতেছে তৃণমূল। তিনটি গিয়েছে বিজেপি-র ঝুলিতে। কাঁথি উত্তরের দলীয় বিধায়ক সুমিতা সিংহকে পুরভোটে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তিনি তৃণমূলের কাছে হেরেছেন ৭৭ ভোটে। অবশ্য কাঁথি দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অরূপ দাস ১৭৮ ভোটে জিতেছেন। জিতেছেন তাঁর আরও দুই সতীর্থও। একটি আসন পেয়েছেন নির্দল প্রার্থী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দল বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে কাঁথির মানুষের আনুগত্য-ও বদলে যাবে, এমন একটা ধারণা করেছিল অধিকারী পরিবার। কিন্তু ভোটের ফলাফল তো তেমন বলছেই না, উল্টে দেখা যাচ্ছে, পুরভোটে হেরেছেন কাঁথি উত্তরের বিজেপি বিধায়কও! বিষয়টি শুভেন্দুর পক্ষে আদৌ সুবিধার নয়। যেমন বিষয়টি বিড়ম্বনা বাড়াতে চলেছে প্রবীণ রাজনীতিক শিশিরের পক্ষেও।

মার্চ ০২, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • ...
  • 55
  • 56
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal