• ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

TMC

দেশ

বিহার ভোটকে মাথায় রেখেই হরিবংশকে দরাজ সার্টিফিকেট মোদীর?

আট বিরোধী সাংসদকে সাসপেনশনের জেরে রাজ্যসভায় জোরালো প্রতিবাদ। রাতভর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। বিজু জনতা দল, বহুজন সমাজ পার্টি বাদে বিরোধী দলগুলি মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর শর্ত আরোপ করে অধিবেশন বয়কট করে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর অনুরোধেও কাজ হয়নি। কংগ্রেসের সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন, সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের কমে যাতে কোনও বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদিত পণ্য না কিনতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। মূল্য নির্ধারণে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মানতে হবে। সরকার বা এফসিআই কৃষকদের কাছ থেকে যে শস্য কিনবে তার মূল্য নির্দিষ্ট রাখতে হবে যাতে কৃষকদের কোনও ক্ষতি না হয়। এই শর্তগুলি না মানা অবধি বিরোধীরা রাজ্যসভার চলতি অধিবেশন বয়কটের রাস্তা থেকে সরবে না। এর মধ্যে আবার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ বিক্ষোভরত সাংসসদের জন্য সকালে চায়ের ব্যবস্থা করেন। যদিও সকলেই হরিবংশকে কৃষকবিরোধী আখ্যা দিয়ে চা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর হরিবংশ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আবেগমথিত চিঠি লিখে জানান, তিনি একদিনের জন্য অনশন করবেন। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে লেখেন, দুদিন আগে গণতন্ত্রের মন্দিরে যে ঘটনা ঘটেছে, যাঁরা হরিবংশজিকে হেনস্থা ও আক্রমণ করেছেন এবং তারপর তাঁরাই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁদের জন্য সকালে চায়ের ব্যবস্থা করে হরিবংশজি উদারতা ও মহানতার পরিচয় রেখেছেন। বিহার থেকে আমরা গণতন্ত্রের শিক্ষা পাই। সেখানকার জনপ্রতিনিধি হয়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান যে ভূমিকা নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। রাষ্ট্রপতিকে লেখা তাঁর চিঠিটিও সকলের পড়া উচিত। বিহার ভোটের কথা মাথায় রেখেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামা মোদী হরিবংশকে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন বলে মত বিরোধীদের। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী বিহারের কথা বলেন, ভোটের পর ভুলে যান। আমরা কৃষকদের স্বার্থে বিরোধিতা চালিয়ে যাব। সাসপেন্ডেড সাংসদদের আন্দোলনকে সমর্থন করে একদিনের অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দোলা সেন জানিয়েছেন, অনেক দল রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঘনঘন খবর নিয়েছেন। ধরনা তুলে নিয়ে সকলে মিলে একসঙ্গে এই আন্দোলন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন টুইটে লেখেন, আমাকে সাসপেন্ড করতে পারো, চুপ করাতে পারবে না।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
রাজনীতি

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তালা ঝুলল তৃনমূল অফিসে

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে তৃণমূল পার্টি অফিসে তালা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিল হাওড়ার শিবপুরে। শিবপুরে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে তালা ঝোলানোর অভিযোগ তোলে। শিবপুর থানায় পরষ্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করল দুই পক্ষই। ৩৭নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দীলিপ ঘোষ জানান, ওটি কাউন্সিলরের অফিস। শিবপুর বাজারে ওই অফিস ঘরটি ভাড়া নিয়ে তিনি কাউন্সিলরের অফিস করেছিলেন। এমনকি সেই ঘরের ভাড়া তিনি এখনও দেন। হঠাৎই গত শনিবার রাতে ওই কার্যালয়ের তালা ভেঙে সেখানে অন্য একটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি কৌশিক গুপ্ত এই কাজ করেন। তাই তিনি এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছন। ওই কার্যালয়টি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের কার্যালয় ছিল বলে জানান ওয়ার্ড সভাপতি কৌশিক গুপ্ত। এই অফিসে আগে প্রতি সপ্তাহে একদিন প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ রায় আসতেন বলেও জানান তিনি। দলীয় ওই কার্যালয়ের সাইন বোর্ডে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের কার্যালয় বলে লেখা ছিল। সেটি দীলিপবাবু তুলে দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের হাওড়া জেলার চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, শিবপুর বাজারের ওই অফিসটি দলীয় কার্যালয়। ওখানে সকলেই বসতে পারেন। দীলিপ ঘোষ ও কৌশিক গুপ্ত এঁদের দুজনের কাছেই আলাদা আলাদা চাবি থাকে। ওঁরা যখন হোক গিয়ে বসবে। দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, চেয়ারম্যান অরূপ রায় বিষয়টি দেখছেন। এ ব্যাপারে আমি ওঁনার সঙ্গে আলোচনা করবো। এদিকে দীলিপবাবু কার্যালয়টিতে তালা মেরে দিয়ে চলে যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে দলের তরফে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান কৌশিকবাবু।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

রাতভর সংসদে অবস্থান, বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে মোদীকে বেনজির আক্রমণ মমতার

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে দেশজুড়ে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবাসরীয় রাজ্যসভাকে ব্ল্যাক সানডে আখ্যা দিয়ে সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর তিনি নরেন্দ্র মোদীকে হিটলার, উলঙ্গ রাজা বলেও বেনজির আক্রমণ করেন। এদিন নবান্ন থেকেই দলের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিজেপি মিটিং, মিছিল করে করোনা বাড়িয়ে চলেছে। করোনা আবহে কৃষকদের মরোনা বিল এনেছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। আজ রাতভর ডেরেক, দোলা-সহ ৮ সাংসদকে সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে রাতভর অবস্থান চলছে। বিভিন্ন বিরোধী দল রয়েছে। আমি বেশ কয়েকবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সলিডারিটি জানিয়েছি। কৃষকদের জন্য কথা বলতে গিয়ে সাংসদরা সাসপেন্ড হলেও আমি তাঁদের জন্য গর্বিত। তৃণমূলের মহিলা শাখা মঙ্গলবার মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবে। পরশু দলের ছাত্র সংগঠন এবং তারপর ক্ষেতমজুর ও কিষানদের সংগঠনকেও পর্যায়ক্রমে পথে নামার নির্দেশ দিয়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিটলারের কায়দায় দেশ চালানো হচ্ছে। ফ্যাসিজম চলছে। রাজ্যসভায় ওদের সাংসদরা ছিল না, প্রয়োজনীয় সংখ্যাও ছিল না। বিলের বিরোধিতায় ডিভিশন চাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তা না করে জোর করে ধ্বনি ভোটে কৃষি বিল পাশ করানো হলো। করোনা ঠেকাতে পারল না, এবার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে দুর্ভিক্ষ, ফুড প্যানডেমিক ডেকে আনতে চাইছে মোদী সরকার। ১৯৪৩-এর মন্বন্তরকে মনে করাচ্ছে। জিনিসের দাম বাড়বে, কৃষকরা দাম পাবেন না, আত্মহত্যা বাড়বে। কালকের ঘটনা নিন্দার যোগ্য। শুধু সাসপেন্ড নয় সাংসদদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও নিয়েছে! বিজেপির আবার নিন্দা প্রস্তাব! সারা দেশের মানুষ ছিঃ ছিঃ বলবে। বলবে এই সরকারের থাকার দরকার নেই। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। আলু, পেঁয়াজ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। রোজকার জনজীবনে যে খাদ্যসামগ্রীগুলি লাগে সেগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। জিনিসের দাম বাড়লে এ সব মনিটরিং করতাম। এখন রাজ্যের সেই সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। করোনার সময় অর্ডিন্যান্স এনেছে এ বিষয়ে। একজনই বসে সব চালাবে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, মজুতদার, ফোঁড়েদের সুবিধা করে দিচ্ছে। কৃষকদের পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করছে। যখন তখন শ্রমিকরা কাজ হারাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেস পিছনের সারিতে থাকবে। সামনের সারিতে থাকবেন মানুষ। অন্য দলগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিবাদ করলেই ওরা দেশদ্রোহী বলে দেয়। সীতারাম ইয়েচুরিদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতাদর্শগত ফারাক আছে। কিন্তু দিল্লিতে যারা দাঙ্গা করল তাদের নাম বাদ দিয়ে কেন বিরোধী দলের নেতাদের নাম চার্জশিটে রাখা হলো। বাংলা আন্দোলন, নবজাগরণের ভূমি। ছাত্রসমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের নিয়ে জেইই, নিটে কী না করল কেন্দ্র! আবার নাকি দুর্গাপুজোর মধ্যে নেট পরীক্ষা নেবে! আমরাই প্রথম প্রতিবাদ করেছি। কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে বলব এই বিজেপি সরকার আর নেই দরকার।সব রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে কৃষক ইস্যুতে। আগামী দিন শ্রমিক ইস্যুতেও সব রাজনৈতিক দলগুলি এক হবে। শ্রমিকদের ওপর বজ্রাঘাত ও কৃষকদের ওপর প্রত্যাঘাত চলছে। সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি। চন্দ্রিমার নেতৃত্বে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কয়েকজনকে নিয়ে হলেও কাল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে ধরনা দেবে। কাল মহিলারা, পরশু ছাত্ররা, তারপর দিন আমাদের ক্ষেত মজুর কিষান সংগঠন পথে নামবে। বিজেপি মজুতদার, কালোবাজারিদের সরকার হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সুরের প্রতিধ্বনি, উলঙ্গ রাজা তোমার কাপড় কোথায়?

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
দেশ

সাংসদ সাসপেন্ড, সরব তৃণমূল

রাজ্য সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদ করার ফল হাতেনাতে পেয়েছেন দুই তৃণমূল সাংসদ-সহ আপ, কংগ্রেস ও সিপিআইএমের মোট আটজন সাংসদ। শাস্তি হিসেবে আগামী সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। যার অর্থ সংসদের বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলি আর তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এরপরই সাসপেনশনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ৮ সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এতে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ দেখা গেল, যারা গণতান্ত্রিক নীতি, আদর্শের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাশীল নয়। তবে আমরা নত হবো না। সংসদ থেকে রাস্তায় নেমে সর্বত্র এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস টুইটে লিখেছে, আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের আগেই বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। রাজ্যসভায় যে ঘটনা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য। নিষ্ঠুরভাবে বিরোধী দলের নেতাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর একনায়কতন্ত্র আর বিজেপির গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে প্রতিবাদে মুখর হতে হবে। তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আট সাংসদকে সাসপেনশনের প্রতিবাদে টুইটে লিখেছেন, রাজ্যসভায় যা হয়েছে তা সাংবিধানিক রীতিবিরুদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি নীতি কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধী সাংসদদের ভোটাধিকার কেড়ে নিল কেন্দ্র। এভাবে বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যাই করল। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে লেখেন, সংসদীয় রীতি-নীতির তোয়াক্কা না করে বুলডোজ করিয়ে কৃষি বিল রাজ্যসভায় পাশ করাল কেন্দ্র। রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই বলেই কি ভোটাভুটিতে না গিয়ে জোর করে ধ্বনি ভোটে বিলগুলি পাশ করানো হলো? সকলকে জাগ্রত হতে হবে, সংসদে জঙ্গলের রাজত্ব চলতে পারে না। গণতন্ত্র ও আইনি বিধানকে সাসপেন্ড করে বিজেপি সংসদে বিরোধী কণ্ঠস্বরকেই সাসপেন্ড করতে চাইছে। সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদের ভিতরে চলা তুমুল বিক্ষোভে দফায় দফায় রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। গান্ধী মূর্তির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। সবমিলিয়ে কৃষি বিল নিয়ে সংসদ যে আগামী দিনগুলিতেও উত্তপ্ত হবে তা সহজেই অনুমেয়।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
দেশ

রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখিয়ে সাসপেন্ড দুই তৃণমূল সাংসদ-সহ ৮

কৃষি বিল নিয়ে রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্যসভা। ওয়েলে নেমে চলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ। এর জেরে সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর ৮ সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। তাঁরা হলেন তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়েন, দোলা সেন, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজু সাতাভ, রিপুন বোরা, সৈয়দ নাসির হুসেন, সিপিআইএমের কে কে রাগেশ ও এলামারান করিম। এই শাস্তির ঘোষণা করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এরপর বিরোধীদের বিক্ষোভে সকাল ১০টা অবধি মুলতুবি করা হয় অধিবেশন।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

রাজুর হুমকি সপাটে ওড়ালেন অকুতোভয় স্বপন

১৯৬৭ সাল থেকে রাজনীতি করছি। মৃত্যুকে ভয় পাই না। কোন নেতা কোথায় দাঁড়িয়ে আমাকে নিয়ে কী বলল তা নিয়ে ভাবি না। আমি ক্রিমিনাল কিনা তা জানেন মানুষই। গণদেবতা রয়েছেন, আমার বাঁচা-মরা তাঁদের হাতেই। রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের কালনার মধুপুর খেলার মাঠে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে এ কথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কালনা থানা ঘেরাও করতে এসে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় হুমকি দেন স্বপন দেবনাথ ও অনুব্রত মণ্ডলকে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিকাশ দুবের মতো এনকাউন্টার করে মারা হবে। তার প্রেক্ষিতেই সেই হুমকিকে সপাটে ওড়ালেন স্বপন দেবনাথ। এদিনের সভায় রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এই এলাকায় কীভাবে কতটা পৌঁছেছে তা পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেন স্বপনবাবু। সভায় বিভিন্ন দল থেকে ১০০ জন তৃণমূলে যোগ দেন। এ ছাড়া ২৪ জন ব্রাহ্মণ পুরোহিত তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন কালনা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শ্রাবণী পাল, কালনা ১ নং ব্লক সভাপতি শান্তি চাল, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সৌরভ দেবনাথ প্রমুখ। ছবি ও সংবাদ: মোহন সাহা

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
দেশ

তুমুল অশান্তিতে পাশ কৃষি বিল, ঐতিহাসিক দিনকে গণতন্ত্রের হত্যা বলল বিরোধীরা

লোকসভায় নির্বিঘ্নে পাশ হলেও রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাশ যে সহজে হবে না তার ইঙ্গিত ছিল। কৃষি বিপণন মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদলের পদত্যাগকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা যে অল আউট যাবে তাতে আশ্চর্যের কী! অশান্তির আশঙ্কা মিলে গেল রবিবারের রাজ্যসভায়। কৃষি বিলের বিরোধিতায় হই-হট্টগোল, ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, রুল বুক ছিঁড়ে ফেলা, মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কোনও কিছুই বাদ গেল না। সবই হলো, কিন্তু শেষ হাসি হাসল সরকারপক্ষই। ধ্বনিভোটে রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত দুটি বিল। কৃষি বিল নিয়ে রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। এক সময় করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিলের প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে দেখা যায় বিরোধী সদস্যদের। সরকারপক্ষের পাল্টা স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে অধিবেশন। তখন সভা পরিচালনা করছেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। তিনি সদস্যদের আসন গ্রহণ করতে বলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা? তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন-সহ কয়েকজন বিরোধী সাংসদকে দেখা যায় রুল বুক-সহ কাগজপত্র ও মাইক নিয়ে টানাটানি করতে। পরে ডেরেক টুইটে বলেন, সরকারপক্ষ প্রতারণা করেছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে, তাঁদের কথা যাতে দেশের মানুষের কাছে না পৌঁছয় সেজন্য রাজ্যসভা টিভির সম্প্রচার সেন্সর করা হয়েছে। সাংসদদের সাংবিধানিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদে আজ সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত রাখল বিজেপি। যদিও নরেন্দ্র মোদী এদিনও একাধিক টুইট করে বোঝাতে চেয়েছেন এই বিল পাশের ফলে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এদিন বিরোধীরা ভোটাভুটি চাইলেও শেষে বিলটি ধ্বনিভোটে পাশ করিয়ে হাঁফ ছাড়ে সরকারপক্ষ। ৭০ বছর পর ভারতের কৃষকরা বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা পেল বলে সওয়াল করেন বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডা। যদিও কৃষি বিলকে কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা বলে দাবি করে সরব হয় বিরোধীরা। দুই নতুন কৃষি বিল চাষিদের ক্রীতদাসে পরিণত করবে বলে দাবি করা হয়। একইসঙ্গে বিলের বিরোধিতা করছে এনডিএ শরিক শিরোমণি অকালি দল। বিলকে কৃষক-বিরোধী বলে দাবি করে প্রতিবাদে সরব হয় তারা। বিলের বিরোধিতায় এনডিএ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে শিরোমণি অকালি দল। সঙ্গ ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন হরিয়ানার দুষ্মন্ত চৌতালাও। সংসদের দুই কক্ষে বিল পাশ হলেও আগামী দিনে মোদী সরকারকে এই বিল বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন বিলের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের পর এবার প্রতিবাদে শরিক হয়েছে উত্তর ভারতে প্রভাবশালী কৃষক সংগঠন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপি কর্মী খুন, উত্তেজনা ময়না-সবং-এ

পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচার বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, ময়নার বাকচায় ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি হলেও পাশেই সবং-এ গিয়েছিল নৈশ ফুলবল খেলা দেখতে। সেখানেই বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ বেশ কিছু দিন ধরেই দীপক মন্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তবে তাঁরা ভাবতে পারেনি এভাবে বোমা মেরে খুন করে দেবে। তখন নৈশ ফুটবল খেলা চলছিল। হঠাৎ বাইক বাহিনী এসে দীপককে ঘিরে বোমা ছুড়তে থাকে। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপকের। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, নিজেদের কাছে বোমা মজুত ছিল। তা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি তদন্তেই সঠিক তথ্য উঠে আসবে।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

জঙ্গলমহলের বিপন্ন মানুষের ত্রাতা শুভেন্দু অধিকারী

বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা অঞ্চলের জয়পুর গ্রাম। কোনও এক সংস্থার মাধ্যমে এখানকার বাসিন্দা নবকুমার দাসের অসহায় অবস্থার কথা কানে পৌঁছায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। আর তাতেই মুশকিল আসান। শুনেই ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী। নবকুমার দাস নিজে দৃষ্টিহীন এবং তাঁর দুই মেয়েই জটিল অসুখে ভুগছেন। বড় মেয়ে জয়িতা দাসের ব্রেস্ট টিউমার ও ছোট মেয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। নবকুমারবাবুর স্ত্রী ছোটো এক মুদির দোকান চালান। এই অবস্থায় দুই মেয়ের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে খুবই অসুবিধায় পড়েছেন। জয়িতাকে ১ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে পিজিতে রেফার করা হয়। ৫ তারিখ সেখানে গেলে ফের ১৫ তারিখ আসতে বলা হয়। সেদিন ভর্তি করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে জয়িতার পরিবার। এই পরিস্থিতিতে রাত ১২টা অবধি অপেক্ষা করে কোনও সুরাহা না পেয়ে এই পরিবার যোগাযোগ করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দুবাবু তাঁর প্রতিনিধি মারফত জয়িতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন এবং সমস্ত পরীক্ষা যাতে হয় তার সুব্যবস্থা করেন। আশ্বাস দেন ভবিষ্যতেও পাশে থাকার। শুক্রবার ১৮ সেপ্টেম্বর মানবিক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ওই পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন তাঁর প্রতিনিধি মারফত। স্নেহাশিস ভকত-সহ আমরা দাদার অনুগামীরা গিয়ে শুভেন্দুবাবুর পাঠানো টাকা নবকুমার দাসের হাতে তুলে দিয়ে পাশে থাকার বার্তা আরও একবার জানিয়ে এলেন। বিপদে পাশে থাকায় মানবিক মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এই পরিবার।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

কেশপুরে বোমাবাজি, নাবালক-সহ নিহত ২, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব জোরালো

আবার অশান্ত কেশপুর। রাজ্যে পালাবদলের আগে যে কেশপুর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেশপুর হবে সিপিআইএমের শেষপুর! সেই কেশপুরেই এবার অস্বস্তিতে শাসক দল। এমনিতেই দলের নতুন জেলা, ব্লক, শহর কমিটি ঘোষণার পরেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমে তো নি, বরং বেড়েইছে। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে কেশপুরের ঘটনা তৃণমূলকে আরও চিন্তায় রাখল। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর। ব্যাপক বোমাবাজিতে অশান্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের দামোদরচক। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বোমাবাজি ও গুলিচালনার ঘটনায় এক নাবালক-সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ৫ জন আহতকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন শেখ নাসির ও ১৪ বছরের শেখ মাজহার। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সেলিমের ভাই স্বর্ণশিল্পী নাসিরের আজ মুম্বাই ফেরার কথা ছিল। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ফলেই এই পরিস্থিতি। তবে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এক সময়ের সিপিআইএমের হার্মাদরাই বিজেপির আশ্রয়ে থেকে এই হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দামোদরচক। লাগাতার বোমার শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিচালনার ফলে শেখ মাজহার ও শেখ নাসির গুরুতর জখম হন। জানা গিয়েছে, জখমদের প্রথমে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূলের দাবি, কেশপুরের ঘটনা জমি-জায়গা নিয়ে পারিবারিক বিবাদের ফল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, হামলাকারীরা সিপিএমের হার্মাদ। তারা কখনও তৃণমূল, কখনও বিজেপির আশ্রয় নেয়। এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। তৃণমূল এতো বড়ো দল যে কে কোথায় মিছিলে হাঁটল তা কারও মনে থাকে না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সূত্রের খবর, কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ঘোষণা নিয়ে দলের অন্দরেই বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। অজিত মাইতি বলেন, ব্লক সভাপতি ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। এসব কোনও বিষয়ই নয়। মৃতরা তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করেছেন জেলা সভাপতি। যদিও নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লেগেই আছে। নিহতরা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি শিবিরের। যেখানে ঘটনা তার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে থানা রয়েছে। বর্তমান ব্লক সভাপতির মদতেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইন্তাজ আলি ওরফে ঝন্টু পলাতক। সে তৃণমূল কর্মী, ঘটনার পর শাসক দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। মেদিনীপুরে যে বাড়িতে সে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিল সেই বাড়ির মালিক রামুকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তৃণমূলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সে পালিয়েছে। নিহতদের বাড়ির কাছেই তার বাড়ি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বিজেপিকে দায়ী করলেও বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, নিহতরা তৃণমূলের। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা তৃণমূলের আদর্শে বিশ্বাসী হতে পারে না। কোন দাদার হাত তাদের মাথার উপর আছে তা তদন্ত করে দেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এটাই চাই। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, এই ঘটনার পিছনে বিজেপি নেই। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তদন্তে তা প্রমাণ হবে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি এলে দেখতে পাবে কেশপুরে কত অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে পুলিশও পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ব্যর্থ হয়। অভিজ্ঞ মহলের মতে, শক্ত হাতে না ধরলে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে আগে এমন অশান্তি আরও বাড়তে পারে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজনীতি

অনুব্রতর হুমকির পাল্টাতেই কি উত্তপ্ত মল্লারপুর?

বিজেপিকে মেরে হাত, পা ভেঙে দেওয়ার নিদান গত জুলাই মাসের এক দলীয় সভায় দিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি অনুব্রতর ওই উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদে মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। সেই ঘটনার রেশ ধরেই কি পাল্টা প্রতিরোধে সরগরম বীরভূমের মল্লারপুর? বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক পঞ্চায়েত কর্মী। ওই কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বর ১ নং ব্লকে দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতের শিব গ্রাম মোড়ে৷ এই পঞ্চায়েত এখন তৃণমূলের দখলে এলেও দীর্ঘ ১৫ বছর এটি বিজেপির দখলে ছিল। বুধবার ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮.৩০ মিনিটে দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে জিআরএস পদে কর্মরত অভিজিৎ গড়াই সরকারি নির্দেশমতো টাওসিয়া গ্রামে বাংলা আবাস যোজনার জিও ট্যাগ করতে যান। ঠিক সেই সময় কয়েকজন যুবক এসে গালিগালাজ করেন, কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ। কারণ জানতে চাইলে শুরু হয় বেপরোয়া লাথি, ঘুষি। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এদিন বিকেলে অভিজিৎ বাবু মল্লারপুর থানায় অভিযোগ জানান বিজেপি কর্মী সুশান্ত দে, দীপ কুণ্ডুর নামে। এই অভিযোগের জেরে বিজেপি নেতা তথা মণ্ডল সভাপতি সুশান্ত দে-কে মুক্তির দাবিতে মল্লারপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। মল্লারপুর থেকে সাঁইথিয়া যাওয়ার রাস্তায় বসে বিক্ষোভ চলায় রাস্তা বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ থাকে। এদিকে, ধৃত বিজেপি নেতাকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
রাজনীতি

আরামবাগে তৃণমূলের বিশাল পদযাত্রা, পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে দিলীপকে পাল্টা শান্তনুর

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরিযায়ী শ্রমিকদের যেভাবে অসম্মান করেছেন তার কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ৮ সেপ্টেম্বর হুগলির আরামবাগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশাল পদযাত্রা ও সমাবেশ হয়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী, ব্লক সভাপতি কমল কুশারী প্রমুখ। সম্প্রতি খড়দহে দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিশের সন্তানদের ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার নয়, পরিযায়ী শ্রমিক করে ছাড়ব। এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে শান্তনু বলেন, বিজেপি ও তাদের রাজ্য সভাপতি পরিযায়ী শ্রমিকদের কী চোখে দেখেন এই মন্তব্যেই তা বোঝা যায়। আরামবাগে ২০-৩০ হাজার মানুষ আছেন যাঁরা ভিনরাজ্যে নানাবিধ কাজ করে উপার্জন করেন। লকডাউনে তাঁদের ফিরিয়ে এনেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছেন, তাঁরা যাতে কাজ পান প্রশাসনকে দিয়ে তার ব্যবস্থা করেছেন। ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের স্নেহের পরশ প্রকল্পে অর্থসাহায্য করেছেন। তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে ও বিভিন্ন রাজ্যকে অনুরোধ করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের যত্ন নিতে। এ রাজ্যে থাকা অন্য রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য তিনি এতো ভালো বন্দোবস্ত করেছিলেন যে তাঁরা কেউ ফিরে যেতে চাননি। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা সকলেই নিজের চোখে দেখেছেন। দিলীপ ঘোষ সেই শ্রমিকদের নিকৃষ্টতম মনে করে তাঁদের প্রতি অসম্মানজনক কথা বলছেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ কীভাবে ভালো থাকেন সেদিকে নজর রাখেন। আর কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের বিপদেও রাজনীতির স্বার্থ দেখে। রাজ্যের প্রাপ্য না দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করা হচ্ছে একের পর এক। ব্যাঙ্কে জনসাধারণের টাকা সুরক্ষিত নয়। এলআইসি নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মানুষের ঘাড়ে জিএসটির বোঝা চাপাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের খাঁড়ার নীচে রয়েছেন। আর ভোট এলেই নজর ঘোরাতে বিজেপির যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু হয়।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
কলকাতা

EXCLUSIVE: অভিজাত আবাসনে কার ফ্ল্যাট? জোর জল্পনা

কলকাতা কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড। কাশীপুর থানার অধীনে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় মরকতকুঞ্জ ক্যাম্পাসের অনতিদূরে বি টি রোডে এই অভিজাত আবাসন। খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, এখানে ফ্ল্যাটের দাম অন্তত এক কোটি টাকা থেকে শুরু। কিছু পরিবার অল্প দিনের মধ্যে আবাসনে এলেও সব ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি। এখানকারই টাওয়ার ১-এর ফ্ল্যাট নং ৫সি ঘিরে এখন আলোচনা তুঙ্গে। সরব বিরোধীরা। শাসক শিবিরেও চাঞ্চল্য। কেন না, অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বিধায়কের ফ্ল্যাট এটি। সপুত্র তিনি এখানে থাকেন। তাঁর পুত্রও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যদিও এই ফ্ল্যাটটির যা দাম তা ওই বিধায়কের আয় বা সম্পত্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন বলেই অভিযোগ। (অভিযোগের সত্যতা যাচাই জনতার কথাও নিশ্চিতভাবেই করবে। সেই খবর আমরা করব। তবে তার আগে আপাতত জনস্বার্থে অভিযোগের কথা তুলে ধরা হলো।) যদিও প্রাথমিকভাবে ওই বিধায়ক ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, আমার কলকাতায় কোনও ফ্ল্যাট নেই, ঘরের শত্রু বিভীষণরা এ সব রটাচ্ছে! প্রশান্ত কিশোর বেশ কয়েক মাস আগেই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বলেছেন, বৈভব না দেখিয়ে মানুষের কাছে যেতে। কিন্তু রাজ্যে শাসক দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে তো মারাত্মক! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা বলছেন, ওই বিধায়কের জেলাতেও তাঁর আত্মীয়র নামে তথা বেনামে প্রচুর সম্পত্তি আছে। তবে অভিযোগ যখন উঠেছে এবং ওই আবাসনে সপুত্র বিধায়ককে দেখা গিয়েছে তখন সত্যি বিষয়টি দলের খতিয়ে দেখা উচিৎ। কয়েকটি বিষয় সত্যিই ভাবার। ১) যদি এই সম্পত্তির মালিক ওই বিধায়ক বা তাঁর পুত্র হন, তবে তাঁদের আয়ের সঙ্গে এটা সঙ্গতিপূর্ণ কিনা। ২) দেখা দরকার কার নামে কেনা? বেনামি সম্পত্তি কিনা। ৩) যদি দুটোর কোনওটাই না হয় তাহলে সপুত্র ওই বিধায়ক ওখানে মাঝেমধ্যেই থাকেন কোন সমীকরণে? একজন জেলার সাধারণ বিধায়কের এমন অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট কেনা কি বৈভবের প্রকাশ নয়? বিধানসভা ভোটের আগে অভিযোগের সারবত্তা খতিয়ে দেখার দরকার শাসক দলের। নয়তো বাম আমলে নেতাদের ফুলেফেঁপে ওঠা সম্পত্তি দেখে যেমন রাজ্যবাসীর চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল, ফের তার পুনরাবৃত্তি হতেই পারে। ওই তৃণমূল নেতার আক্ষেপ, দিদিকে দেখেও এঁরা শেখেন না কেন? শুধু ব্যানারে দিদির নীচে নিজেদের ছবি না লাগিয়ে তাঁর আদর্শ মেনে চলতে শেখা দরকার। তাহলে সেটা দলেরই ভালো।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

বিপদভঞ্জনের চায়ের দোকানের মতো দ্বিতীয়টি কখনও দেখেছেন?

বড়ো, ছোটো কফি শপ বা চায়ের দোকান তো অনেক দেখা যায়। চায়ের কাপে তুফান তোলা থেকে চায়ে পে চর্চা, জমাটি আড্ডা থেকে রাজনীতির জনমত গঠন, সব কিছুতেই জড়িয়ে চায়ের দোকান। লকডাউনের সময় চা কাকুর আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা? তো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এমন চায়ের দোকান কি দেখেছেন? বিপদভঞ্জন মণ্ডলের চায়ের দোকানের কথা বলছি। নিজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্ধ ভক্ত। সেটা দোকানে ঢুকলেই দেখা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। তবে রয়েছে আরও চমক। হুগলি জেলার বেহুলা স্টেশনের কাছে জামতলায় এসটিকেকে রোডের ধারে বিপদভঞ্জন মণ্ডলের চায়ের দোকানের কথা শুনেছিলেন অনেক দিন আগেই। ব্যস্ততায় আসা হয়নি। সম্প্রতি দলীয় কর্মীদের নিয়ে তাই সেই দোকানে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।শান্তনু জানালেন, অনেক জায়গায় গিয়েছি, তবে এমন দোকান দেখিনি। চায়ের দোকানে মণীষীদের বাঁধাই করা ছবি দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি, ভালোও লাগছে। বিপদভঞ্জনবাবুর কথায়, অনেক দিন ধরে ছবি জোগাড় করেছি। তবে দোকানটা একটু বড়ো হলে আরও মণীষীদের ছবি রেখে আরও ভালোভাবে সাজিয়ে রাখতে পারতাম। দোকানের নাম সর্বধর্ম সমন্বয় চায়ের দোকান। অর্থাৎ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই স্বাগত। তবে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ আছে। তৃণমূল-বিরোধীদের মোটেও চা বিক্রি করেন না। শর্ত একটাই। তাই চা পানের ইচ্ছা জাগলে নয় কয়েক মিনিটের জন্য রাজনীতির আলোচনা থেকে দূরেই থাকুন না!

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
রাজনীতি

করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেই উন্নয়নের কাজে মন্ত্রী স্বপন

করোনা জয় করে মাসখানেক বাদে বাড়িতে ফিরেই উন্নয়নের কাজে নেমে পড়লেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর পূর্বস্থলী ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কিছু রাস্তার শিলান্যাস করলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক প্রমুখ।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
রাজনীতি

বুকে শুভেন্দুর ছবি, সমাজসেবায় 'দাদার অনুগামী'রা

জেলায় জেলায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর আদর্শে দীক্ষিত আমরা দাদার অনুগামী-র সদস্যরা বুকে শুভেন্দুবাবুর ছবি লাগিয়ে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার ১৬ সেপ্টেম্বর আমরা দাদার অনুগামী-র কর্মসূচি পালিত হলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায়। পথচলতি মানুষ, পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে বিতরণ করা হলো মাস্ক, গ্লাভস, সাবান, স্যানিটাইজার ইত্যাদি। মোট ১৫০০ মাস্ক, ১০০০ পিস সাবান এবং ২০০ পিস গ্লাভস বিতরণ করা হয় দেবদীপ অধিকারী(বিলু), সহরব আলি, সুদীপ দাসদের উদ্যোগে। করোনা সচেতনতামূলক প্রচারও চালানো হয়।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

হুগলিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত দেবশ্রী, মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা

হুগলিতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার ১০ সেপ্টেম্বর রাতে রওনা দিয়ে বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফেরার সময় শুক্রবার ১১ সেপ্টেম্বর সকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়-সহ ৩ জন। ২ নং জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাঁদের স্করপিও গাড়িটি। দুর্ঘটনায় দেবশ্রীদেবী ছাড়াও প্রাণ হারান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী তাপস বর্মণ ও চালক মনোজ সাহা। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবশ্রী চ্যাটার্জির মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ হুগলির দাদপুরে এক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। দক্ষ এই পুলিশ আধিকারিক পরিশ্রম ও নিষ্ঠার গুণে ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ে উন্নীত হন। রাজ্য পুলিশেও তিনি কর্মকৃতির স্বাক্ষর রাখেন। মানবপাচার রোধে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পান। তাঁর মৃত্যুতে আমরা এক দক্ষ পুলিশ অফিসারকে হারালাম। আমি দেবশ্রী চ্যাটার্জির পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে কমান্ডিং অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন, তিনি কলকাতা পুলিশের প্রথম মহিলা ওসি হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে উত্তরবঙ্গে বদলি হন। পথ দুর্ঘটনায় বাকি দুই মৃতের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের জন্যও সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
স্বাস্থ্য

কালনা হাসপাতালে রক্তের আকাল, সঙ্কটাপন্ন শিশুকে রক্তদান টিএমসিপি-র শহর সম্পাদকের

পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রক্তের আকাল। সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছেন থ্যালাসেমিয়া রোগীরা। কালনা ২ নং ব্লকের হাঁসপুকুরের বাসিন্দা বছর ছয়েকের বর্ষা মালিক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। কালনা হাসপাতালে বি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে বর্ষার পরিবার। শুরু হয় সহৃদয় কোনও রক্তদাতার খোঁজ। খবর যায় কালনা কলেজে। কালনা কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ঋতব্রত সুর জানিয়েছেন, খবর পেয়েই আমি যোগাযোগ করি কালনার বাসিন্দা তথা কালনা শহর টিএমসিপি সম্পাদক সেলিম শেখের সঙ্গে। সেলিম এর আগেও বহু মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করেছেন। সেলিম আর বর্ষার রক্তের গ্রুপ মেলায় আপাতত আমাদের ছোট্ট বোন সঙ্কট কাটাতে পেরেছে, এটাই তৃপ্তির। বিপদে ত্রাতা হয়ে এসে মেয়ের জীবন রক্ষা করায় সেলিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বর্ষার পরিবারও।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
রাজনীতি

দিল্লি দাঙ্গার চার্জশিটে ইয়েচুরীদের নাম, প্রতিবাদে সিপিআইএম, সরব মহুয়া

দিল্লি দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরী, জয়তী ঘোষ, অপূর্বানন্দ, জয়তী ঘোষ, রাহুল রায়ের নাম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে যুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। এর তীব্র সমালোচনা করে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। সুজন চক্রবর্তী টুইটে লিখেছেন, মোদী-শারা ভয় পেয়েছে, তাই সীতারামদের ভয় দেখাতে চাইছে। এতই সহজ? দেশের শাসকরা সংবিধান মানে না। সমগ্র অধিকারগুলোকেই তছনছ কতে চায়। ওদেরই উচ্ছেদ করতে হবে। এটাই নাগরিক কর্তব্য। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রের হাতে। তাই এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে লেখেন, দিল্লি দাঙ্গার চার্জশিটে সীতারাম ইয়েচুরী, যোগেন্দ্র যাদবদের নাম থাকলেও কপিল মিশ্রর ব্যাপারে নীরব। আমি নিশ্চিত বিজেপি সরকার নতুন করে ইতিহাসের পাঠ্যবই লিখবে, যেখানে গুজরাট দাঙ্গার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে জওহরলাল নেহরুর নাম রাখা হবে।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 44
  • 45
  • 46
  • 47
  • 48
  • 49
  • 50
  • 51
  • 52
  • 53
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজনীতি

বর্ধমানে বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার বিধায়কের

বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠলো বর্ধমানে। অভিযোগ, হামলাকারীরা বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। তখন বিজেপির কার্য্যকারিনী কমিটির বৈঠকও চলছিল। বর্ধমান শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকায় হওয়া এই ঘটনায় এলাকার বিধায়ক খোকন দাসের নাম জড়িয়েছে। বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়, মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক অসিত হালদার সহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল লামা, মনোজ ওরাও,পুনা ভাংরা ও পবন সিং সোমবার বর্ধমান জেলা বিজেপি দফতরে এসে পৌঁছান। এরপর আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে তারা সেখান থেকে চলে যান স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে । আহতদের কাছ থেকে হামলার ঘটনার সবিস্তার শুনে বিজেপি প্রতিনিধিরা ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। শঙ্কর ঘোষ বলেন, শাসকদলের দুস্কৃতীরা চরম অন্যায় করছে। বিজেপির সংগঠন বিস্তারে ভয় পেয়ে তারা এসব করছে।ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা যুবমোর্চার সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহার অভিযোগ, বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাসের বাড়ির শহরের রথতলা এলাকায়। বিধায়কের বাড়ির কাছেই বাড়ি রথতলা এলাকায় ৫ নম্বর মণ্ডলের মণ্ডল বিজেপি সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই বুথ স্বশক্তিকরণ ও অপারেশন সিঁদুরের সফলতার কথা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বৈঠক করছিলেন।বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বৈঠকের শেষদিকে হঠাৎ করেই বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে। এমনকি মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটতরাজও চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মণ্ডল সভাপতি সহ আরও বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মী আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। খবর পেয়ে রাতেই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় । তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি নেতৃত্ব আইনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। বিজেপি বাজার গরম করার জন্যই তৃণমূলের নামে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে প্রসেনজিত দাস মন্তব্য করেছেন। আর বিধায়ক খোকন দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাতে ঝামেলার কথা শুনেছি। ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। আমরা ওর মধ্যে নেই। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমাদের কেউ হামলা করেনি। আর শুভঙ্কর রায় তো বাংলাদেশী। ওই একমাত্র এখানে থাকে। ওর গোটা পরিবার থাকে বাংলাদেশে। কি করে নাম তোলালো তা বুঝতে পারছি না। বিধায়কের এই বক্তব্যের পাল্টা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিজে বাংলাদেশি বলেই হয়তো বিধায়ক খোকন দাস সবাইকে বাংলাদেশি বানিয়ে দিতে চাইছে।

জুন ০৯, ২০২৫
স্বাস্থ্য

দিনের পর দিন কাজ করেও বেতন জোটেনি, শেষমেশ অবস্থান-বিক্ষোভ মালদা মেডিক্যাল কলেজে

দিনের পর দিন বেতন না মেলায় অবশেষে ক্ষোভ দানা বাঁধলো মেডিক্যাল কলেজের শতাধিক অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে। কাজ করেও তাঁদের বেতন জোটেনি। বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতির ডাক দিলেন মালদা মেডিকেল কলেজের শতাধিক অস্থায়ী কর্মী। এদিন সকাল থেকেই মেডিকেল কলেজের ট্রমা কেয়ার ভবনের সামনের অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন অস্থায়ী কর্মীরা। যতক্ষণ পর্যন্ত বেতন সমস্যা না মেটানো হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে বলেও সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হওয়া অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিশ্রম করেও প্রতিমাসে নিয়ম করে বেতন মিলছে না। এই মেডিকেল কলেজের হাউসকিপিং, নিরাপত্তারক্ষী সহ বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৮১ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। ১৪ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন প্রত্যেকেই। কিন্তু বেতনের সময় এলেই আর নিয়ম করে তা দেওয়া হচ্ছে না। অধিকাংশ অস্থায়ী কর্মীদের ছয় মাসের বেতন মেলেনি। আবার কেউ চার মাস এবং তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এব্যাপারে গণস্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দেওয়া হলেও কোনওরকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই নিজেদের বকেয়া বেতনের দাবিতে এদিন কর্মবিরতির ডাক দিয়ে এভাবে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছে। এদিন বিক্ষোভকারী এক অস্থায়ী কর্মী অম্লান মিশ্র বলেন, আমি নিজে ছয় মাস ধরে বেতন পাইনি। অথচ মেডিকেল কলেজের প্রতিদিনই ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ডিউটি করছি। আমার মতো শতাধিক অস্থায়ী কর্মী মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছে না। অথচ আমরা কর্তব্যে কোনও সময় গাফিলতি করি না। মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, নির্দিষ্ট একটি এজেন্সির মাধ্যমেই ওই অস্থায়ী কর্মীরা কাজ করেন। এখানে মেডিকেল কলেজের কোনও হাত নেই। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ, মৃত ১, জখম বহু

কারখানার ব্রয়লার বিষ্ফোরণে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। এই ঘটনায় জখম ১১ জন। বর্ধমানের পালিতপুরে একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ১১জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর দেওয়ানদিঘিতে বেশ কয়েকটি স্পঞ্জ আয়রণ ও রড তৈরির কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলি অনেক সময় পরিবেশ বিধি মানে না বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে এনএন ইস্পাত নামে একটি কারাখানার ব্রয়লারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।কারখানার সিকিউরিটি ম্যানেজার অনুপ দত্ত জানিয়েছে, হঠাৎই ব্রয়লারে বিস্ফোরণ ঘটে। এর তীব্রতায় চালা ভেঙে একজন ড্রাইভার দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি আহত ১১ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কারখানার শ্রমিক পরমবীর যাদব বলেন, এই শ্রমিকদের অনেকেই ভিন রাজ্যের। কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা বুঝে উঠতে পারেননি তারা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজ্য

স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা রাজ্যের, পুরো বাতিলের দাবি অ্যাবেকার

বিগত বছরের শেষ থেকেই রাজ্যের নানা জায়গায় স্মার্ট মিটার বসাতে শুরু করে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। এই মিটার বসানো নিয়ে নানা মহল থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়। বাধাও দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে। শেষমেশ স্মার্ট মিটার নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। আপাতত গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।সোমবার বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো শুরু হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিযোগ আসার কারণে আপাতত সেই কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট মিটারের অস্বাভাবিক বিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অভিযোগ ওঠে। নানা জায়গায় বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও পর্যন্ত হয়। অবশেষে পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)-এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে আজ এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে স্মার্ট মিটার সম্পর্কে যা জানানো হয়েছে তা হতাশাজনক। গৃহস্থে যাদের অন্যায় জবরদস্তি করে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খোলার বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই। কমার্শিয়াল, ক্ষুদ্রশিল্পে ও গৃহস্থে যাদের এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খুলে নিতে হবে। সামগ্রিক গ্রাহকদের টাকা লুট করার যন্ত্র স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার প্রকল্প বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাবেকার আন্দোলন চলবে।

জুন ০৯, ২০২৫
স্বাস্থ্য

দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত, দেশে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬,১৩৩ জনে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬জন কোভিড-১৯ আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কর্ণাটকে দুজন, কেরালায় তিনজন এবং তামিলনাড়ুতে একজন।রবিবার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য কেরালা। সেখানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৫০ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এর পরেই রয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে সংখ্যাটি ৬৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭৫৩ জন রোগীর নিরাময় হয়েছে।ভারতে করোনার বর্তমান বৃদ্ধির কারণ হল নতুন ওমিক্রন উপ-ভেরিয়েন্ট যেমন JN.1, NB.1.8.1, LF.7, এবং XFC। এগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা লক্ষণ দেখা গেছে। WHO বর্তমানে এগুলোকে পর্যবেক্ষণাধীন রূপ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এখনও উদ্বেগের বিষয় নয়, তবে সতর্কতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে, কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাস SARS-CoV-2 অদৃশ্য হয়ে যায়নি।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস, এবার কাজল শেখের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতির

বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকলহ যেন কিছুতেই কমছে না। বরং বাড়ছে। আইসিকে গালাগাল দেওয়ার অডিও ভাইরাল হতেই অনুব্রত ও কাজল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব আরও বেড়েছে। নাম না করে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ সাবের আলি। তাঁর বক্তব্য, দলকে ভাঙিয়ে কেউ কেউ ব্যবসা করছে। তাঁর অভিযোগ, সভাধিপতি দলে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। বিষয়টি কোর কমিটির কাছে জানাবেন বলে জানিয়েছেন সাবের আলি।এআইকে যতই দোষারোপ করা হোক না কেন কুকথা কাণ্ডে বিদ্ধ বীরভূম জেলার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মুষড়ে পড়েছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। এরই মাঝে উৎসাহিত হয়ে কাজল ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সভা করেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসে হাজিরা দিয়ে পরের দিন দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন অনুব্রত। এরপর থেকেই ফের উৎসাহিত হয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁইথিয়া ব্লকের হরিসরা গ্রামে সভা করেন সাবের আলি। সভায় তিনি বলেন, বীরভূম জেলায় ১১ টি বিধানসভার সিটে জয়ী করতে পারেন একমাত্র অনুব্রত মণ্ডল। কারণ তিনিই জেলায় সংগঠনকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন।সাবের আলির অভিযোগ, বীরভূম জেলা পরিষদ সাঁইথিয়া ব্লকে কোন উন্নয়ন করেনি। আর সাঁইথিয়া ব্লকের একজন উপপ্রধানকে ডেকে দলে বিভাজনের সৃষ্টি করছেন। ভাঁওতাবাজি করে তাকে বলা হচ্ছে তোমার এলাকার উন্নয়নে যত টাকা লাগবে দেব। শুধুমাত্র দলে বিভাজন করতে এসব করছেন সভাধিপতি। সরাসরি সভাধিপতিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই ব্লকে একমাত্র অবজারভার রানা সিং সভা ডাকতে পারেন। সভাধিপতি পারেন না। মাঠপলসা অঞ্চলে সভাধিপতি নোংরামি করেছে। বনগ্রাম অঞ্চল নিয়ে নোংরামি করছে। দলটা সভাধিপতির বাড়ির সম্পত্তি নয়। কাউকে নিয়ে আলোচনা করতে হলে জেলা পরিষদে নিয়ে গিয়ে আলোচনা করুন। দলকে বিভাজন করতে কাউকে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠিয়ে আলোচনা করবেন না। কোর কমিটির কাছে মুখোশ খুলে দেব। এ বিষয়ে কাজল শেখের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ০৭, ২০২৫
নিবন্ধ

৮ জুন শুধুই কি একটা আন্তর্জাতিক নারী দিবস? এ লড়াই যেন অনন্তকালের

আজকের দিন শুধু একটা আন্তর্জাতিক নারী দিবস নয়, এটি নারী শক্তির জয়যাত্রা, অগ্রগতির প্রতীক এবং এক অবিরাম সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।একবিংশ শতাব্দীর এই যুগে নারী দিবস কেবল অধিকার আদায়ের স্লোগান নয়, এটি নারীদের বহুমুখী অবদানকে উদযাপন করার একটি মঞ্চ। আজকের নারী শুধু ঘরের চার দেওয়ালে আবদ্ধ নন, তিনি মহাকাশচারী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, রাষ্ট্রনেতা, শিল্পী এবং আরও অনেক কিছু। প্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছেন, নিজেদের দক্ষতা ও মেধা দিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো নারীদের কণ্ঠস্বরকে আরও শক্তিশালী করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে।চ্যালেঞ্জগুলো এখনও বিদ্যমান।তবে এই অগ্রগতির মাঝেও কিছু কঠোর বাস্তবতা থেকে যায়। বিশ্বের বহু জায়গায় আজও নারীরা বৈষম্য, সহিংসতা এবং অসমতার শিকার। সাইবারবুলিং, লিঙ্গভিত্তিক ডিজিটাল বিভাজন এবং অনলাইনে হয়রানি বর্তমান যুগের নতুন চ্যালেঞ্জ। কর্মক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্য, কাঁচের ছাদ ভেঙে উচ্চ পদে পৌঁছাতে না পারা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণে পিছিয়ে থাকাও এখনও বড় সমস্যা। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত, অনেক নারী এখনও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ভুগছেন।আজকের নারী দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। শুধু আইন প্রণয়ন করলেই হবে না, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পুরুষ ও নারী উভয়কেই এই সমতার আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে। শিক্ষা, সচেতনতা এবং লিঙ্গ সংবেদনশীলতা বাড়াতে হবে সমাজের প্রতিটি স্তরে।এই নারী দিবসে আমাদের ভাবতে হবে: কীভাবে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বিশ্ব তৈরি করতে পারি, যেখানে প্রতিটি নারী নিরাপদে, স্বাধীনভাবে এবং সমানভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারবে? কীভাবে আমরা প্রযুক্তির শক্তিকে ব্যবহার করে নারীদের ক্ষমতায়ন করতে পারি এবং অনলাইন সহিংসতা থেকে তাদের রক্ষা করতে পারি? আজকের দিনে নারীর ক্ষমতায়ন মানে শুধু অফলাইনে নয়, অনলাইনেও তাদের সমানাধিকার নিশ্চিত করা।লিঙ্গ সমতা: কেবল নারীর সমস্যা নয়, সমাজের অগ্রগতির চালিকাশক্তিআমরা প্রায়শই লিঙ্গ সমতাকে কেবল নারীদের সমস্যা হিসেবে দেখি। কিন্তু আজকের দিনে এটি স্পষ্ট যে, লিঙ্গ সমতা শুধুমাত্র নারীর অধিকারের প্রশ্ন নয়, এটি একটি উন্নত, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের চাবিকাঠি। যখন নারীরা শিক্ষার সুযোগ পায়, কর্মক্ষেত্রে সমান অংশীদারিত্ব পায় এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেয়, তখন পুরো সমাজ লাভবান হয়।অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেলে জিডিপি বাড়ে, পরিবারে সচ্ছলতা আসে। শিক্ষায় নারীর বিনিয়োগ ভবিষ্যত প্রজন্মকে আরও সচেতন ও সক্ষম করে তোলে। নেতৃত্ব পদে নারীদের উপস্থিতি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং কার্যকর নীতি নির্ধারনে সহায়তা করে।আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমাদের এই বার্তাটি জোরে বলতে হবে: লিঙ্গ সমতা কোনও বিশেষ লিঙ্গের জন্য নয়, এটি মানবজাতির সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। পুরুষদেরও এই সমতার সংগ্রামে সমান অংশীদার হতে হবে। তাদের সচেতনতা, সমর্থন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সত্যিকারের পরিবর্তন সম্ভব হয় না। আসুন, আমরা এমন একটি সমাজ গড়ি যেখানে প্রতিটি লিঙ্গ তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা নিয়ে বিকশিত হতে পারবে।মানসিক স্বাস্থ্য এবং নারী: নীরব সংগ্রাম যা দেখা জরুরিআন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা নারীদের বাহ্যিক অর্জন নিয়ে কথা বলি। কিন্তু প্রায়শই তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের নীরব সংগ্রামগুলো উপেক্ষিত হয়। সমাজের চাপ, কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হওয়ার কারণে নারীরা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষন্নতায় বেশি ভোগেন।অনেক সমাজে আজও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয় না। যা নারীদের সাহায্য চাইতে বাধা দেয়। শক্তিশালী নারী হওয়ার সামাজিক প্রত্যাশা তাদের ভেতরের কষ্টকে আড়াল করে রাখে। এই নারী দিবসে আমাদের উচিত এই নীরব সংগ্রামকে প্রকাশ্যে আনা।আমাদের এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে নারীরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সকলের জন্য সহজলভ্য করতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। একজন নারী শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবেও যেন সুস্থ থাকেন। তা নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। কারণ একজন সুস্থ মনের নারীই একটি সুস্থ সমাজের ভিত্তি।

জুন ০৭, ২০২৫
শিক্ষা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রকৃত "প্রকৃতি" পাঠ করল বর্ধমানের স্কুল

বিশ্ব পরিবেশ দিবস কে সফল করতে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মী সহ প্রধান শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা প্রার্থনা সভায় পরিবেশ দিবসে তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন বিজ্ঞানের শিক্ষক কুমার দে সহ বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিক কে দিয়ে চাইল্ড ক্যাবিনেটেড প্রধানমন্ত্রী পরিবেশমন্ত্রী খাদ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী সহ সকল মন্ত্রীকে সম্বর্ধিত করেন। এবং স্মারক হিসাবে একটি কারি পাতার ভেষজ গাছ রোপন করা হয়। কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয় আজ পার্শ্ববর্তী দামোদর নদ পরিদর্শনের মাধ্যমে নিবিড় প্রকৃতিপাঠে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন কৃষ্ণেন্দু কুমার দে, শামীম মন্ডল, সনজিৎ পাল, সঞ্জীব নন্দী সহ সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষিকা শ্যামলী দাস, অনন্যা ঘোষ কৃষ্ণ ঘোষ, টুসু সরকার, এবং অন্যান্যরা। সাইকেল রেলি করে যেতে যেতে, নদীর ভৌগোলিক ব্যাপ্তি নিয়ে, বহুবিচিত্র উদ্ভিদরাজি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা লাভ করল তাঁদের কাছে। সায়রপাড়া নামের একটি গ্রামে গ্রামীণদের সাথে কথায় কথায় বর্ষা, সুরজ, মৌসুমী, সোহিনী, চিরশ্রী, মুনমুনরা জানল অনেক অজানা কথা যা বইয়েতে জানা যায় না, জানতে হয় কৃষিজীবীদের নিত্যদিনের কাজেকর্মে। বর্ধমান শহরের অদূরে অবস্থিত উদয় পল্লীর কাছে দামোদর নদের কাছে জোর বাঁধ এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা দেখল জীব-বৈচিত্র্যে ভরপুর ছাই বালি দিয়ে তৈরি ল্যান্ড আর্ট। প্রায় ১৮ জন শিল্পী এই শিল্পকর্ম কে দাও ফিরে সে অরণ্য ফুটিয়ে তুলেছে। তারা সেখানে দেখতে পেল ছাই দিয়ে কিভাবে প্রকৃতির প্রাকৃতিক শিল্পকর্মে সাজিয়ে তুলতে পারে।কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে বলেন, পরিবেশ মুখিতাই আজকের পড়ুয়াদের প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। এমনিতেই এই বিদ্যালয় প্রকৃতি মায়ের কোলে গড়ে উঠেছে। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি গাছ চেনে আর তার ব্যবহার করতে পারে।

জুন ০৬, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal