• ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার ৩১ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

TMC

রাজ্য

জাতীয় সড়কের বেহাল সার্ভিস রোডে মাছ ছেড়ে দিয়ে প্রতিবাদ তৃণমূল যুব'র

২ নম্বর ব্লকের জাতীয় সড়কের খানাখন্দে ভরা সার্ভিস রোড। এই সার্ভিস রোডটি দুর্গাপুরের ওল্ড কোর্ট মোড়ের পাশেই অবস্থিত। আর এই ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা। সোমবার এই খানাখন্দে ভরা দুই নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে মাছ ছেড়ে দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নামল দুই নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। ওল্ড কোর্ট মোড়ে এদিন অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন তৃণমূল যুব কর্মী- সমর্থকরা। দলের যুব শাখার পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতা রূপেশ যাদব বলেন, কেন্দ্রের এসব ব্যাপারে কোনও তাপ-উত্তাপ নেই, শুধু রাজনীতি করতেই ব্যস্ত।বিজেপি সরকারের এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা।

অক্টোবর ০৫, ২০২০
রাজ্য

দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখাল তৃণমূল

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখানো হল। রবিবার সকালে তমলুকের স্টিমারঘাটে প্রাতঃভ্রমণে বের হন তিনি। তখনই তৃণমূলের দলীয় অফিস থেকে তাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে এই কালো পতাকা দেখানো হয় বলে দাবি। তৃণমূলের মহিলা টিমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শান্ত পশ্চিমবাংলায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চলেছে বিজেপি তাই এই প্রতিবাদ।তৃণমূলের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি করা হয় এবং অপর দিক থেকে বিজেপি সমর্থকেরা পালটা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকে। তমলুক থানার পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় শান্তিপূর্ণভাবে ওইখান থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এরপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেন,গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিশৃঙ্খলা চলছে । রাজ্যজুড়ে খুন, ধর্ষণ, লুট চলছে । তৃণমূলের কাছ থেকে মানুষ এর থেকে ভালো কিছু আশা করে না । আমরা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলাম । সেখানে যদি কেউ কালো পতাকা দেখায় তাহলে ভাবতে হবে তার মাথার ঠিক নেই । সরকার নেই, দল নেই তাই মুখ্যমন্ত্রীর মাথার ঠিক নেই, তাঁর ভাইদের কী হবে? যাদের দোকান উঠে যাচ্ছে তারা চেঁচামেচি করছে । যাদের মুখ কালো হয়ে যায় তারা কালো পতাকাই দেখায়।

অক্টোবর ০৪, ২০২০
কলকাতা

রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির

উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে দলিতদের উপর অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ হচ্ছে তার প্রতিবাদে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি ও কৃষি বিলের প্রতিবাদে এবার পথে নামল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। প্রাথমিক শিক্ষকদের এই সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্রর নেতৃত্বে শনিবার ৩ অক্টোবর রাজভবনের সামনে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি পলাশ সাধুখাঁ-সহ অন্যান‌্য নেতৃবৃন্দ। অশোক রুদ্র বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নারী, যুবক, কৃষক কেউ সুরক্ষিত নন। এই রাজ্যের রাজ্যপাল ওই পদের গরিমাকে গুরুত্ব না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রাজভবনকে বিজেপির পার্টি অফিস বানিয়েছেন। তাই এখানেই আমরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানালাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শিক্ষক সমাজ যে জননেত্রীর ডাকে সামিল হতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে সেই বার্তাও দেওয়া হলো।

অক্টোবর ০৩, ২০২০
রাজনীতি

হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা আবহে আজ উত্তরপ্রদেশের হাথরস ইস্যুতে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রথম প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শনিবার বিকেল ৪টায় মিছিল বিড়লা প্লানেটোরিয়াম থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। শুক্রবার হাথরসে ঢুকতে গিয়ে বাধা পায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। অভিযোগ, মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ আপামর জনতা। তারওপর যোগী সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ আরও বাড়ছে। স্থানীয় জেলাশাসক হুমকি দিয়েছেন ওই পরিবারকে। এমনটাই অভিযোগ। কংগ্রেসে নেতা রাহুল গান্ধীকে মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে টুইটে উত্তরপ্রদেশের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পথে নেমে প্রতিবাদ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অক্টোবর ০২, ২০২০
রাজনীতি

দলের কাজে ক্ষুব্ধ প্রবীর

গত লোকসভা নির্বাচনের পর হুগলি জেলায় বিজেপি তাদের ভোট বাড়িয়ে চলেছে এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। তৃণমূলের সংগঠন যাতে আরও জোরদার হয় সেজন্য লোকসভা নির্বাচনের পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হুগলি জেলার নেতৃত্ব বদল হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে, সকলকে সঙ্গে নিয়ে যাতে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যায় সেই ব্যাপারে লক্ষ্য দিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই ধরনের কোনও চেষ্টাই করা হয়নি। উপরন্তু আমরা দেখছি যে, দলের যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে তাতে কিন্তু অধিকাংশ নির্বাচিত বিধায়কদের জানানো হচ্ছে না। শুক্রবার ২ অক্টোবর হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন যে, যেখানে দলকে আরও শক্তিশালী করার কথা সেখানে কিন্তু গোষ্ঠীকোন্দল চলছে, চলছে মিছিল, পাল্টা মিছিল। বিড়ালকে মাছ পাহারা দেওয়ার কথা বললেও বিড়াল কিন্তু মাছ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। অন্তত ১১ জন বিধায়ক অভিযোগ করেছেন দলের কর্মসূচি তাঁদের অজান্তেই হচ্ছে। এতে তাঁদের যাঁরা বিরোধী পক্ষ তাঁদের হাত শক্তিশালী করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। এতে কিন্তু দলের শক্তি বৃদ্ধির বদলে শক্তিক্ষয় হচ্ছে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে। ছবি ও সংবাদ: তরুণ মুখোপাধ্যায়

অক্টোবর ০২, ২০২০
কলকাতা

লজ্জাজনক ঘটনার নিন্দার কোনও ভাষা নেইঃ মমতা

কলকাতা: হাথরসের ঘটনায় এবার শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বৃহস্পতিবার একটি টুইট করেন । টুইটারে তিনি লেখেন , বর্বরোচিত ও লজ্জাজনক ঘটনার নিন্দার জন্য মুখে কোনও ভাষা নেই । তার পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল । পরিবারের অনুপস্থিতিতে ওই যুবতির শেষকৃত্য আরও লজ্জাজনক । ভোটের জন্য যারা স্লোগান ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় , তাদের মুখোশ খুলে গেছে । ১৪ সেপ্টেম্বর মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঘাস কাটতে গিয়ে হাথরসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল ২০ বছর বয়সী এক যুবতি । অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টানতে টানতে পাশের একটি জমিতে নিয়ে যায় ও গণধর্ষণ করে চারজন ৷ জিভ টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় ৷ তাঁর জিভে গভীর ক্ষত ছিল । জেএনএমসি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল যুবতির । অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সোমবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখান অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে এইমসে নিয়ে আসা হয় । সেখানে মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর ।

অক্টোবর ০১, ২০২০
বিবিধ

কৃষি বিলের প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল

কৃষি বিলের প্রতিবাদে শুক্রবার ২৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে নেপাকুলি মোড় থেকে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্ব দেন রাজ্যে দলের মুখপাত্র তথা জেলার সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু। ছবি ও সংবাদ: মোহন সাহা

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দু অধিকারী করোনা আক্রান্ত

করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিছু দিন আগে তাঁর এক দাদা ও ভাইপো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। ঘনিষ্ঠ মহলে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তার গতকাল সামান্য জ্বর থাকলেও শুক্রবার তার জ্বর নেই। মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতে বয়স্ক বাবা থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতলে ভর্তি হবেন। একইসঙ্গে জানা গেছে, তার মায়েরও রিপোর্ট কোভিড পজেটিভ এসেছে। তিনি ভর্তি রয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এর আগে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় শিশির অধিকারীকে ফোন করেন। তিনি খোঁজ নেন শুভেন্দু অধিকারীর স্বাস্থ্য়ের। তাঁর পরিবারের সকলের খোঁজ-খবর নেন।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
বিবিধ

কৃষি বিলের প্রতিবাদে অভিনব আন্দোলনে তৃণমূলের

কৃষি বিলের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বৃহস্পতিবার ২৪ সেপ্টেম্বর কৃষক পরিবারগুলিকে সঙ্গে নিয়ে জমির আল ধরে পদযাত্রা করল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দুর্গাপুর তিন নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ, কিষান ক্ষেত মজুর শাখার সদস্যরা জমিতে নেমে কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী বিলের প্রতিবাদ করলেন, তাঁদের হাতে ছিল লণ্ঠন। এই কর্মসূচিতে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
দেশ

কৃষি বিল: বিরোধী ঐক‍্য অটুট

বিতর্কিত কৃষি বিলকে ঘিরে রবিবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিরোধী ঐক্য। দিন যত গড়াচ্ছে ঐক্য তত জমাট বাঁধছে। বিলে আপত্তি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ ঠোকার আগে পর্যন্ত বুধবার আলোচনা ও রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত রইলেন বিরোধী নেতৃত্ব। বৈঠক ছাড়াও প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদ চত্বরে মিছিল করতে দেখা যায় সমস্ত বিরোধী দলকে। গুলাম নবি আজাদ, ডেরেক ওব্রায়েন, জয়া বচ্চন-সহ তাবড় বিরোধী নেতারা কৃষি বিলের প্রতিবাদে প্যাকার্ড হাতে মিছিল করেন। কোনও প্যাকার্ডে লেখা ছিল শ্রমিক বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাওয়ের স্লোগান, আবার কোনও প্ল্যাকার্ডে ছিল মোদী সরকারের গৃহীত নীতির সমালোচনা। কৃষি বিল নিয়ে তাঁকে ঘিরে বিরোধীদের প্রতিবাদ নিয়ে ক্ষোভ ছিল ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের। সন্ধির বার্তা দিতে সংসদ চত্বরে সাসপেন্ডের ধর্না মঞ্চে গিয়ে দিয়েছিেলন চায়ে পে চর্চার বার্তাও। কিন্তু সাসপেন্ডেড সাংসদরা সেই বার্তা খারিজ করায় চটে গিয়েছিেলন ডেপুটি চেয়ারম্যান। মঙ্গলরবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদিনের প্রতিকী অনশনের। বিরোধীরা যখন বিলের প্রতিবাদে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন, তখন নিঃশব্দে অনশন ভঙ্গ করলেন হরিবংশ নারায়ণ। সাংসদ সাসপেন্ড ও কৃষি বিলের প্রতিবাদে আগেই রাজ্যসভা অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দলগুলো। আর বুধবার বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল শ্রম বিল। বিরোধী শূন্য সভায় বিল পাসকে গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। সেই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার অধিবেশনও।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
বিবিধ

কেন্দ্রের জনবিরোধী পদক্ষেপের প্রতিবাদে রিষড়ায় তৃণমূলের বিক্ষোভ

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী বিল রাজ্যসভায় পাস হওয়ার প্রতিবাদে এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ প্রভৃতিকে বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাল রিষড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সকালে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিজয়সাগর মিশ্রর নেতৃত্বে গলায় মশলা, তেল, ডালের প্যাকেট এবং আলু, পেঁয়াজের মালা ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজয়সাগর মিশ্র বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার একের পর এক দেশের আমজনতা, বিশেষ করে গরিব কৃষকদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিল, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিলগুলি যেভাবে জোর করে পাস করিয়ে নিল তাতে কিন্তু দেশের গরিব মানুষ গরিব থেকে আরও বেশি গরিব হবে। লাভবান হবে আদানি, আম্বানিদের মতো বড়ো বড়ো শিল্পপতিরা। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সমস্ত বড়ো বড়ো পুঁজিপতিরা কিনে নিয়ে নিয়ে মজুত করবে। ফলে খুচরো বাজারে যে সমস্ত গরিব বিক্রেতা এবং চাষিরা তাঁদের জিনিসপত্র বিক্রি করেন তাঁরা পড়বেন মহা সমস্যায়। বারবার এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের বিরোধী সাংসদরা যখন রাজ্যসভায় সোচ্চার হয়েছেন তখনই তাঁদের ঘাড়ে নেমে আসছে সাসপেনশনের খাঁড়া। মানুষের বক্তব্য মানুষের অভাব অভিযোগের কথা যদি জনপ্রতিনিধিদের বলতে না দেওয়া হয় তাহলে কীসের গণতন্ত্র? আজকের এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিজয়বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাহিদ হাসান খান, শুভজিৎ সরকার, মনোজ সাউ, সন্ধ্যা দাস, পৌলোমী রায়-সহ তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকরা। বহু সাধারণ মানুষও তাঁদের এই বিক্ষোভ সমাবেশকে সমর্থন করে সভায় যোগদান করেন। ছবি ও সংবাদ: তরুণ মুখোপাধ্যায়

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
বিবিধ

শান্তনুর হাত ধরে সিটু ছেড়ে যোগ তৃণমূলের ইউনিয়নে

মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়ায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর হাত ধরেই সিটু ছেড়ে তৃণমূলের ইউনিয়নে যোগ দেন বহু কর্মী।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
রাজনীতি

তৃণমূলকে সার্কাসের জোকার বললেন সায়ন্তন, দলের লোকেরা ওকেই বলে, পাল্টা দিলীপ

বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে শিল্প এবং কৃষি দুটোই হবে। কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বাস্তবে এই বিলের ফলে একদিকে কৃষকরা যেমন বেশি দাম পাবেন, তেমনই ক্রেতাদেরও সুবিধা হবে। মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলায় দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। বিজেপির হুগলির সিঙ্গুর সাংগঠনিক মোর্চার উদ্যোগে নসীবপুরে আয়োজিত এক রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, তৃণমূল দলটা সার্কাসের জোকারের মতো সংসদের ভেতরে ও বাইরে আচরণ করছে। কিন্তু সংসদ পশ্চিমবঙ্গ নয় যে যেমন খুশি তেমন আচরণ করব। এ সব মেনে নেওয়া হবে না। আরও পড়ুন- অনুব্রতকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েও অনড় নিত্যানন্দ এর পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, যিনি এখানে এসে সাংসদদের সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছেন জোকার সার্কাস বলে সেটা সায়ন্তনবাবুকে তাঁর দলের লোকেরাই বলে থাকেন। উনি এখানে আসেন কলকাতার নেতাদের কাছে নম্বর বাড়াবার জন্য। ওঁর কথার কোন দাম নেই। এদিন বিজেপির হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, কৃষকদের কথা তৃণমূলের মুখে মানায় না। সিঙ্গুরে কৃষির কথা বলে যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন তাঁদের আমলে দেখছি সিঙ্গুর কেমন সর্ষে আর কাশফুলে ভর্তি! বিজেপি কৃষককে বাঁচাতে রাস্তায় নামছে আর তৃণমূল নামছে ফড়ে আর দালালদের স্বার্থরক্ষায়। এর পাল্টা দিলীপ যাদব বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায সিঙ্গুরের কৃষকদের আন্দোলনে যেমন ছিলেন, তেমনই কৃষকদের স্বার্থে তাঁদের পাশেই থাকবেন এবং কৃষকদের উন্নতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল সাধারণ কৃষকদের বিপদে ফেলবে। দেশের বড় বড় শিল্পপতি পুঁজিপতিরা ফড়ে হিসেবে কাজ করবে। কৃষকদের তো কোনও উপকার হবে না, উপরন্তু কৃষকদের আরও সমস্যার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে এই মোদী সরকার। বিজেপি সরকারের আমলে আমাদের দেশে হাজার হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। আর ওদের নেতারা এসে এখানে বড় বড় কথা বলে যাচ্ছেন। শিল্প নিয়ে কথা তুলছেন। বিজেপি কটা শিল্প করেছে? দিন যাচ্ছে দেশের মানুষ কর্মচ্যুত হচ্ছেন। শিল্প বিলগ্নীকরণ করার নামে দেশকে দেউলিয়া করে দিচ্ছে। দুদিন পরে এই সরকারকে বেচুরাম বলে ডাকবে সকলে।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী

অতীত যাঁরা ভুলে যান, তাঁদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে না। তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারই হবে, এটাই চিরন্তন সত্য। মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রামে এ কথা বলেন সেখানকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষা আন্দোলনের সৈনিক অমর শহিদ নিশিকান্ত মণ্ডলের একাদশ বর্ষের স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়ে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শুভেন্দুবাবু মনে করান ২০০৬ সালের ৩ নভেম্বরের কথা। তিনি বলেন, ওইদিন জননেতা নিশিকান্ত মণ্ডল আমাকে নিয়ে এসে এই আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন সোনাচূড়ায় হাই স্কুল মাঠে। তখন আমি এখানকার বিধায়ক বা সাংসদ ছিলাম না। দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক ছিলাম। তেখালির কাঠের ব্রিজ, যা তখন পাকা ছিল না, মোরাম রাস্তা ধরে এসেছিলাম তাঁর সঙ্গে। নিশিকান্ত মণ্ডল না থাকলে এই আন্দোলন সফল হতো না। শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, আমফানে যা ক্ষতি হয়েছে তার ১০০ শতাংশ পূরণ করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি, সরকারি প্রতিনিধিরা চেষ্টা করেছেন। যেখানে যেখানে ফাঁকফোকড়ের কথা কানে এসেছে বিধায়ক কার্যালয় থেকে সরাসরি প্রতিনিধি পাঠিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আপনাদের আশীর্বাদ, সহযোগিতা পেলে আমরা আগামী দিনে এগিয়ে যাব। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ স্বাস্থ্য দফতরের কাজের প্রশংসা করে শুভেন্দুবাবু বলেন, এখানেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষিত, সচেতন এই জেলার মানুষ যখন কেউ বাইরে থেকে সংক্রমণ নিয়ে এসেছেন তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। দেশে যেখানে সুস্থতার হার ৮০ শতাংশ, রাজ্যে ৮৬ শতাংশ, সেখানে এই জেলায় ৮৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ শতাংশের কম, ৮৩ শতাংশ। তবে যতদিন না ভ্যাকসিন বেরোয় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে প্রবীণ মানুষদের যাঁদের বার্ধক্যজনিত বা অন্যান্য অসুখ রয়েছে। এদিন এলাকার সমস্ত গ্রাম সংসদের প্রতিনিধিদের হাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেন শুভেন্দুবাবু। নন্দীগ্রাম বিধানসভার দশটি ক্লাবকে অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মোমিটার, স্ফিগমোম্যানোমিটার, মাস্ক ও স্যানিটাইজার এবং দশ নং অঞ্চলের প্রতিটি বুথে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিলেন এলাকার বিধায়ক তথা মাননীয় মন্ত্রী শ্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
দেশ

বিহার ভোটকে মাথায় রেখেই হরিবংশকে দরাজ সার্টিফিকেট মোদীর?

আট বিরোধী সাংসদকে সাসপেনশনের জেরে রাজ্যসভায় জোরালো প্রতিবাদ। রাতভর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। বিজু জনতা দল, বহুজন সমাজ পার্টি বাদে বিরোধী দলগুলি মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর শর্ত আরোপ করে অধিবেশন বয়কট করে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর অনুরোধেও কাজ হয়নি। কংগ্রেসের সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন, সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের কমে যাতে কোনও বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদিত পণ্য না কিনতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। মূল্য নির্ধারণে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মানতে হবে। সরকার বা এফসিআই কৃষকদের কাছ থেকে যে শস্য কিনবে তার মূল্য নির্দিষ্ট রাখতে হবে যাতে কৃষকদের কোনও ক্ষতি না হয়। এই শর্তগুলি না মানা অবধি বিরোধীরা রাজ্যসভার চলতি অধিবেশন বয়কটের রাস্তা থেকে সরবে না। এর মধ্যে আবার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ বিক্ষোভরত সাংসসদের জন্য সকালে চায়ের ব্যবস্থা করেন। যদিও সকলেই হরিবংশকে কৃষকবিরোধী আখ্যা দিয়ে চা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর হরিবংশ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আবেগমথিত চিঠি লিখে জানান, তিনি একদিনের জন্য অনশন করবেন। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে লেখেন, দুদিন আগে গণতন্ত্রের মন্দিরে যে ঘটনা ঘটেছে, যাঁরা হরিবংশজিকে হেনস্থা ও আক্রমণ করেছেন এবং তারপর তাঁরাই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁদের জন্য সকালে চায়ের ব্যবস্থা করে হরিবংশজি উদারতা ও মহানতার পরিচয় রেখেছেন। বিহার থেকে আমরা গণতন্ত্রের শিক্ষা পাই। সেখানকার জনপ্রতিনিধি হয়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান যে ভূমিকা নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। রাষ্ট্রপতিকে লেখা তাঁর চিঠিটিও সকলের পড়া উচিত। বিহার ভোটের কথা মাথায় রেখেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামা মোদী হরিবংশকে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন বলে মত বিরোধীদের। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী বিহারের কথা বলেন, ভোটের পর ভুলে যান। আমরা কৃষকদের স্বার্থে বিরোধিতা চালিয়ে যাব। সাসপেন্ডেড সাংসদদের আন্দোলনকে সমর্থন করে একদিনের অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দোলা সেন জানিয়েছেন, অনেক দল রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঘনঘন খবর নিয়েছেন। ধরনা তুলে নিয়ে সকলে মিলে একসঙ্গে এই আন্দোলন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন টুইটে লেখেন, আমাকে সাসপেন্ড করতে পারো, চুপ করাতে পারবে না।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
রাজনীতি

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তালা ঝুলল তৃনমূল অফিসে

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে তৃণমূল পার্টি অফিসে তালা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিল হাওড়ার শিবপুরে। শিবপুরে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে তালা ঝোলানোর অভিযোগ তোলে। শিবপুর থানায় পরষ্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করল দুই পক্ষই। ৩৭নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দীলিপ ঘোষ জানান, ওটি কাউন্সিলরের অফিস। শিবপুর বাজারে ওই অফিস ঘরটি ভাড়া নিয়ে তিনি কাউন্সিলরের অফিস করেছিলেন। এমনকি সেই ঘরের ভাড়া তিনি এখনও দেন। হঠাৎই গত শনিবার রাতে ওই কার্যালয়ের তালা ভেঙে সেখানে অন্য একটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি কৌশিক গুপ্ত এই কাজ করেন। তাই তিনি এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছন। ওই কার্যালয়টি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের কার্যালয় ছিল বলে জানান ওয়ার্ড সভাপতি কৌশিক গুপ্ত। এই অফিসে আগে প্রতি সপ্তাহে একদিন প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ রায় আসতেন বলেও জানান তিনি। দলীয় ওই কার্যালয়ের সাইন বোর্ডে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের কার্যালয় বলে লেখা ছিল। সেটি দীলিপবাবু তুলে দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের হাওড়া জেলার চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, শিবপুর বাজারের ওই অফিসটি দলীয় কার্যালয়। ওখানে সকলেই বসতে পারেন। দীলিপ ঘোষ ও কৌশিক গুপ্ত এঁদের দুজনের কাছেই আলাদা আলাদা চাবি থাকে। ওঁরা যখন হোক গিয়ে বসবে। দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, চেয়ারম্যান অরূপ রায় বিষয়টি দেখছেন। এ ব্যাপারে আমি ওঁনার সঙ্গে আলোচনা করবো। এদিকে দীলিপবাবু কার্যালয়টিতে তালা মেরে দিয়ে চলে যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে দলের তরফে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান কৌশিকবাবু।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

রাতভর সংসদে অবস্থান, বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে মোদীকে বেনজির আক্রমণ মমতার

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে দেশজুড়ে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবাসরীয় রাজ্যসভাকে ব্ল্যাক সানডে আখ্যা দিয়ে সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর তিনি নরেন্দ্র মোদীকে হিটলার, উলঙ্গ রাজা বলেও বেনজির আক্রমণ করেন। এদিন নবান্ন থেকেই দলের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিজেপি মিটিং, মিছিল করে করোনা বাড়িয়ে চলেছে। করোনা আবহে কৃষকদের মরোনা বিল এনেছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। আজ রাতভর ডেরেক, দোলা-সহ ৮ সাংসদকে সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে রাতভর অবস্থান চলছে। বিভিন্ন বিরোধী দল রয়েছে। আমি বেশ কয়েকবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সলিডারিটি জানিয়েছি। কৃষকদের জন্য কথা বলতে গিয়ে সাংসদরা সাসপেন্ড হলেও আমি তাঁদের জন্য গর্বিত। তৃণমূলের মহিলা শাখা মঙ্গলবার মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবে। পরশু দলের ছাত্র সংগঠন এবং তারপর ক্ষেতমজুর ও কিষানদের সংগঠনকেও পর্যায়ক্রমে পথে নামার নির্দেশ দিয়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিটলারের কায়দায় দেশ চালানো হচ্ছে। ফ্যাসিজম চলছে। রাজ্যসভায় ওদের সাংসদরা ছিল না, প্রয়োজনীয় সংখ্যাও ছিল না। বিলের বিরোধিতায় ডিভিশন চাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তা না করে জোর করে ধ্বনি ভোটে কৃষি বিল পাশ করানো হলো। করোনা ঠেকাতে পারল না, এবার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে দুর্ভিক্ষ, ফুড প্যানডেমিক ডেকে আনতে চাইছে মোদী সরকার। ১৯৪৩-এর মন্বন্তরকে মনে করাচ্ছে। জিনিসের দাম বাড়বে, কৃষকরা দাম পাবেন না, আত্মহত্যা বাড়বে। কালকের ঘটনা নিন্দার যোগ্য। শুধু সাসপেন্ড নয় সাংসদদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও নিয়েছে! বিজেপির আবার নিন্দা প্রস্তাব! সারা দেশের মানুষ ছিঃ ছিঃ বলবে। বলবে এই সরকারের থাকার দরকার নেই। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। আলু, পেঁয়াজ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। রোজকার জনজীবনে যে খাদ্যসামগ্রীগুলি লাগে সেগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। জিনিসের দাম বাড়লে এ সব মনিটরিং করতাম। এখন রাজ্যের সেই সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। করোনার সময় অর্ডিন্যান্স এনেছে এ বিষয়ে। একজনই বসে সব চালাবে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, মজুতদার, ফোঁড়েদের সুবিধা করে দিচ্ছে। কৃষকদের পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করছে। যখন তখন শ্রমিকরা কাজ হারাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেস পিছনের সারিতে থাকবে। সামনের সারিতে থাকবেন মানুষ। অন্য দলগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিবাদ করলেই ওরা দেশদ্রোহী বলে দেয়। সীতারাম ইয়েচুরিদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতাদর্শগত ফারাক আছে। কিন্তু দিল্লিতে যারা দাঙ্গা করল তাদের নাম বাদ দিয়ে কেন বিরোধী দলের নেতাদের নাম চার্জশিটে রাখা হলো। বাংলা আন্দোলন, নবজাগরণের ভূমি। ছাত্রসমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের নিয়ে জেইই, নিটে কী না করল কেন্দ্র! আবার নাকি দুর্গাপুজোর মধ্যে নেট পরীক্ষা নেবে! আমরাই প্রথম প্রতিবাদ করেছি। কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে বলব এই বিজেপি সরকার আর নেই দরকার।সব রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে কৃষক ইস্যুতে। আগামী দিন শ্রমিক ইস্যুতেও সব রাজনৈতিক দলগুলি এক হবে। শ্রমিকদের ওপর বজ্রাঘাত ও কৃষকদের ওপর প্রত্যাঘাত চলছে। সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি। চন্দ্রিমার নেতৃত্বে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কয়েকজনকে নিয়ে হলেও কাল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে ধরনা দেবে। কাল মহিলারা, পরশু ছাত্ররা, তারপর দিন আমাদের ক্ষেত মজুর কিষান সংগঠন পথে নামবে। বিজেপি মজুতদার, কালোবাজারিদের সরকার হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সুরের প্রতিধ্বনি, উলঙ্গ রাজা তোমার কাপড় কোথায়?

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
দেশ

সাংসদ সাসপেন্ড, সরব তৃণমূল

রাজ্য সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদ করার ফল হাতেনাতে পেয়েছেন দুই তৃণমূল সাংসদ-সহ আপ, কংগ্রেস ও সিপিআইএমের মোট আটজন সাংসদ। শাস্তি হিসেবে আগামী সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। যার অর্থ সংসদের বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলি আর তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এরপরই সাসপেনশনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ৮ সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এতে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ দেখা গেল, যারা গণতান্ত্রিক নীতি, আদর্শের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাশীল নয়। তবে আমরা নত হবো না। সংসদ থেকে রাস্তায় নেমে সর্বত্র এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস টুইটে লিখেছে, আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের আগেই বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। রাজ্যসভায় যে ঘটনা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য। নিষ্ঠুরভাবে বিরোধী দলের নেতাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর একনায়কতন্ত্র আর বিজেপির গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে প্রতিবাদে মুখর হতে হবে। তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আট সাংসদকে সাসপেনশনের প্রতিবাদে টুইটে লিখেছেন, রাজ্যসভায় যা হয়েছে তা সাংবিধানিক রীতিবিরুদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি নীতি কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধী সাংসদদের ভোটাধিকার কেড়ে নিল কেন্দ্র। এভাবে বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যাই করল। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে লেখেন, সংসদীয় রীতি-নীতির তোয়াক্কা না করে বুলডোজ করিয়ে কৃষি বিল রাজ্যসভায় পাশ করাল কেন্দ্র। রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই বলেই কি ভোটাভুটিতে না গিয়ে জোর করে ধ্বনি ভোটে বিলগুলি পাশ করানো হলো? সকলকে জাগ্রত হতে হবে, সংসদে জঙ্গলের রাজত্ব চলতে পারে না। গণতন্ত্র ও আইনি বিধানকে সাসপেন্ড করে বিজেপি সংসদে বিরোধী কণ্ঠস্বরকেই সাসপেন্ড করতে চাইছে। সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদের ভিতরে চলা তুমুল বিক্ষোভে দফায় দফায় রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। গান্ধী মূর্তির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। সবমিলিয়ে কৃষি বিল নিয়ে সংসদ যে আগামী দিনগুলিতেও উত্তপ্ত হবে তা সহজেই অনুমেয়।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
দেশ

রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখিয়ে সাসপেন্ড দুই তৃণমূল সাংসদ-সহ ৮

কৃষি বিল নিয়ে রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্যসভা। ওয়েলে নেমে চলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ। এর জেরে সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর ৮ সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। তাঁরা হলেন তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়েন, দোলা সেন, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজু সাতাভ, রিপুন বোরা, সৈয়দ নাসির হুসেন, সিপিআইএমের কে কে রাগেশ ও এলামারান করিম। এই শাস্তির ঘোষণা করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এরপর বিরোধীদের বিক্ষোভে সকাল ১০টা অবধি মুলতুবি করা হয় অধিবেশন।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

রাজুর হুমকি সপাটে ওড়ালেন অকুতোভয় স্বপন

১৯৬৭ সাল থেকে রাজনীতি করছি। মৃত্যুকে ভয় পাই না। কোন নেতা কোথায় দাঁড়িয়ে আমাকে নিয়ে কী বলল তা নিয়ে ভাবি না। আমি ক্রিমিনাল কিনা তা জানেন মানুষই। গণদেবতা রয়েছেন, আমার বাঁচা-মরা তাঁদের হাতেই। রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের কালনার মধুপুর খেলার মাঠে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে এ কথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কালনা থানা ঘেরাও করতে এসে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় হুমকি দেন স্বপন দেবনাথ ও অনুব্রত মণ্ডলকে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিকাশ দুবের মতো এনকাউন্টার করে মারা হবে। তার প্রেক্ষিতেই সেই হুমকিকে সপাটে ওড়ালেন স্বপন দেবনাথ। এদিনের সভায় রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এই এলাকায় কীভাবে কতটা পৌঁছেছে তা পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেন স্বপনবাবু। সভায় বিভিন্ন দল থেকে ১০০ জন তৃণমূলে যোগ দেন। এ ছাড়া ২৪ জন ব্রাহ্মণ পুরোহিত তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন কালনা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শ্রাবণী পাল, কালনা ১ নং ব্লক সভাপতি শান্তি চাল, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সৌরভ দেবনাথ প্রমুখ। ছবি ও সংবাদ: মোহন সাহা

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 44
  • 45
  • 46
  • 47
  • 48
  • 49
  • 50
  • 51
  • 52
  • 53
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal