• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

T20

খেলার দুনিয়া

IND vs NZ T20 : বিশ্বকাপের ব্যর্থতা কটিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় ভারতের

দায়িত্ব পেয়েই প্রথম টি২০ সিরিজেই রোহিত শর্মারাহুল দ্রাবিড় জুটির কামাল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়পুরে জয় এসেছিল। শুক্রবার রাঁচিতে কিউয়িদের ৭ উইকেটে উড়িয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টি২০ সিরিজ জিতে নিল ভারত। দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচেই চমক দেখালেন হর্শল প্যাটেল। ডেথ ওভারে দুরন্ত বোলিং এই জোরে বোলারের। ব্যাট হাতে আবার জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ম্যাচেও টস ভাগ্য সহায় ছিল রোহিত শর্মার। টসে জিতে কিউয়িদের ব্যাট করতে পাঠান। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন মার্টিন গাপটিল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন ড্যারিল মিচেল। ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ওভারেই ১৪ রান নেন গাপটিল। দীপক চাহারের দ্বিতীয় ওভারে ১০ রান নেন ড্যারিল মিচেল। পরের ওভারে অক্ষর প্যাটেল কিছুটা কৃপণ বোলিং করলেও চতুর্থ ওভারে ভুবনেশ্বর ১৪ রান দেন। ক্রমশ বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন মার্টিন গাপটিল। পঞ্চম ওভারে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দীপক চাহার। ১৫ বলে ৩১ রান করে তাঁর বলে উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দেন গাপটিল। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান চ্যাপম্যান ও মিচেল। ১৭ বলে ২১ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন চ্যাপম্যান। অভিষেক ম্যাচেই ড্যারিল মিচেলে (২৮ বলে ৩১) তুলে নিয়ে দেশের হয়ে প্রথম উইকেট সংগ্রহ করেন হর্ষল প্যাটেল। মিচেল যখন আউট হন, নিউজিল্যান্ডের রান তখন ১১.২ ওভারে ৯০/৩। এই সময় মনে হচ্ছিল ১৭০১৮০ কাছাকাছি রান তুলে ফেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিল, ডেথ ওভারে হর্ষল প্যাটেলের দুরন্ত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ১৫৩/৬ রানে আটকে যায় নিউজিল্যান্ড। পরের দিইলে গ্লেন ফিলিপ ২১ বলে ৩৪ রান করেন। ভারতের হয়ে হর্ষল প্যাটেল ২৫ রানে ২টি, অশ্বিন ১৯ রানে ১টি উইকেট পান। ভুবনেশ্বর কুমার, দীপক চাহার, অক্ষর প্যাটেলও ১টি করে উইকেট নেন। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১১৭। লোকেশ ও রোহিতই ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন। ১৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। ৬টি ৪ ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৪৯ বলে ৬৫ রান করে আউট হন লোকেশ রাহুল। ১৬ তম ওভারে রোহিতকেও তুলে নেন সাউদি। ৩৬ বলে ৫৫ রান করে আউট হন রোহিত। তিনি ১টি ৪ ও ৫টি ৬ মারেন। সূর্যকুমার যাদব ১ রান করে সাউদির বলে বোল্ড হন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা বেঙ্কটেশ আয়ার ১১ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৭.২ ওভারে ১৫৫/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। পরপর দুম্যাচ জিতে নেওয়ায় ইডেনের শেষ ম্যাচ কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Syed Mustak Ali T20 : সুপার ওভারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ, কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় বাংলার

গ্রুপ লিগে পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিল কর্ণাটক। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে বাংলাকে সুপার ওভারে হারিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল কর্ণাটক।টস জিতে কর্ণাটককে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি। বাংলার দুই জোরে বোলার মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারছিলেন না কর্ণাটকের দুই ওপেনার বিআর শরথ। রান তোলার গতি ভাল ছিল না কর্ণাটকের। তার মধ্যেই চতুর্থ ওভারে ধাক্কা খায় কর্ণাটক। ওভারের পঞ্চম বলে আকাশ দীপ তুলে নেন বিআর শরতকে (৯বলে৪)। কর্ণাটকের রান তখন ১৯। নবম ওভারের শেষ বলে উইকেটে জমে যাওয়া রোহন কদমকে (২৯ বলে ৩১) আউট করে বাংলাকে ব্রেক থ্রু দেন শাহবাজ আমেদ। বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে একেবারেই সাবলীল ছিলেন না কর্ণাটক অধিনায়ক মনীশ পান্ডে। ৩৪ বলে ২৯ রান করে তিনি সায়ন ঘোষের বলে প্রদীপ্ত প্রামানিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন অভিনব মনোহর (৯ বলে ১৯)। তাঁকে থামিয়ে দেন ঋত্বিক চ্যাটার্জি। ১০ বলে ১৬ রান করে মুকেশ কুমারের বলে আউট হন অনিরুদ্ধ। করুণ নায়ারের ঝোড়ো ব্যাটিং কর্ণাটককে ২০ ওভারে ১৬০/৫ রানে পৌঁছে দেয়। করুণ নায়ার ২৯ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। বাংলার হয়ে মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, ঋত্বিক চ্যাটার্জি, সায়ন ঘোষ ও শাহবাজ আমেদ ১টি করে উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরু করে বাংলা। ভি ব্যাসকের প্রথম ওভারেই ২০ রান তোলেন শ্রীবৎস গোস্বামী। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলা। মাত্র ১ বল খেলে কোনও রান না করে বিদ্যাধর পাটিলের বলে করুণ নায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অভিষেক দাস। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন শ্রীবৎস গোস্বামী। ১০ বলে ২২ রান করে তিনি রান আউট হন। অধিনায়ক সুদীপ চাটার্জিও রান পাননি। ৯ বলে ২২ রান করে তিনি এমবি দর্শনের বলে মনীশ পান্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। বাংলার রান তখন ৫.৪ ওভারে ৫১। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি ও কাইফ আমেদ। চতুর্দশ ওভারে পরপর দুবলে কাইফ আমেদ (২৬ বলে ২০) ও শাহবাজ আমেদকে (০) হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। পরের ওভারেই ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জিকে তুলে নেন দর্শন। ৪০ বলে ৫১ রান করেন ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি। এক ঋত্ত্বিক আউট হলেও ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি ও প্রদীপ্ত প্রামানিক বাংলাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। শেষ ওভারে বাংলার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০ রান। ভি পাটিলের প্রথম দুটি বলে ৬ মারেন ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি। পরের বলে ১ রান নেন তিনি। চতুর্থ বলে ৪ মারেন আকাশ দীপ। পঞ্চম বলে ২ রান নিয়ে ম্যাচ করেন। শেষ বলে ১ রান করলেই জয়। মিড অফে ঠেলে রান নিতে দৌড়েছিলেন আকাশ দীপ। মণীশ পান্ডের সরাসরি থ্রো নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট ভেঙে দেয়। ক্রিকেট পৌঁছতে পারেননি আকাশ দীপ। ম্যাচ টাই হয়। ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি ১৮ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।সুপার ওভারে বাংলার হয়ে ব্যাট করতে নামেন কাইফ আমেদ ও ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি। কারিয়াপ্পার প্রথম বলে ১ রান নেন কাইফ। পরের বলে তিনি আউট। কাইফ আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন শ্রীবৎস গোস্বামী। একটা বাউন্ডারি মেরে পরের বলে তিনি আউট। ৪ বলে ৫ রান তোলে বাংলা। পরপর দুবলে ২ রান নিয়ে ও ৬ মেরে কর্ণাটককে সেমিফাইনালে তোলে মণীশ পান্ডে।

নভেম্বর ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India vs New Zealand : অভিষেকে বাজিমাত রো-রা জুটির, ৫ উইকেটে জয় ভারতের

অধিনায়ক হিসেবে দারুন শুরু রোহিত শর্মার। সিনিয়র দলের হেড স্যার হিসেবে দুর্দান্ত অভিষেক রাহুল দ্রাবিড়ের। প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত রো-রা জুটির। নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি২০ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।চোটের জন্য ডেভন কনওয়ে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। টেস্ট সিরিজের কথা মাথায় রেখে টি২০ সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও জয়পুরে সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। সেই চ্যালেঞ্জ অবশ্য অবলীলায় অতিক্রম করে গেল ভারত। টস জিতে কিউয়িদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের তৃতীয় বলে ড্যারিল মিচেলকে শূন্য রানে তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। এরপর ব্যাট হাতে দাপট দেখাতে শুরু করেন মার্টিন গাপটিল ও মার্ক চ্যাপম্যান। দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ১০৯ রান। গাপটিল ও চ্যাপমানের দাপটে দিশেহারা হয়ে পড়েন মহম্মদ সিরাজ, রাহুল চাহার, অক্ষর প্যাটেলরা। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের কিছুটা আটকে রাখার চেষ্টা করেন। চতুর্দশ ওভারের দ্বিতীয় বলে মার্ক চ্যাপম্যানকে বোল্ড করেন অশ্বিন। ৫০ বলে ৬৩ রান করে চ্যাপম্যান আউট হন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৬টি ৪ এবং ২টি ৬। একই ওভারে গ্লেন ফিলিপকে (০) তুলে নেন অশ্বিন। ডিআরএস নিয়েও তিনি বাঁচতে পারেননি। ১১০ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান মার্টিন গাপটিল। বাইশ গজে ঝড় তুলে শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৭০ রান করে আউট হন তিনি। সপ্তদশ ওভারে দীপক চাহারের দ্বিতীয় বলে শ্রেয়স আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গাপটিল। নিউজিল্যান্ডের রান তখন ১৫০। পরের ওভারেই ফিরে যান সেইফার্ট (১১ বলে ১২)। তাঁকে ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। ইনিংসের শেষ ওভারে মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন রাচিন রবীন্দ্র (৮ বলে ৭)। শেষদিকে একের পর উইকেট হারানোয় ১৬৪/৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ২৪ রানে ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২৩ রানে ২টি করে উইকেট নেন।জয়ের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে ওঠে ৫০। এরপরই জুটি ভাঙে। ১৪ বলে ১৫ রান করে মিচেল স্যান্টনারের বলে চ্যাপমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লোকেশ রাহুল। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান রোহিত শর্মা ও সূর্য্কুমার যাদব। মাত্র ২ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন রোহিত। ৩৬ বলে ৪৮ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন তিনি।তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরলেন সূর্য্কুমার। ঋষভ পন্থকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ৪০ বলে ৬২ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন সূর্য্কুমার। ৬টি ৪ ও ৩টি ৬ মারেন তিনি। সূর্য্কুমার আউট হওয়ার পর চাপে পড়ে যায় ভারত। শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। ২ বল বাকি থাকতে ১৬৬/৫ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

নভেম্বর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Syed Mustafa Ali T20 : গ্রুপ লিগের জয়ই বাংলার কাছে আত্মবিশ্বাসের রসদ

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বাংলার লড়াই ছিল মরণবাঁচনের। সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না বাংলার সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন বাংলার ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে বোলারদের দাপটে দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছিল বাংলা। পেয়েছিল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ। অন্যদিকে, প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে হয়েছিল কর্ণাটককে। প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে সৌরাষ্ট্রকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছে কর্ণাটক। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে চেনা শত্রু সেই কর্ণাটকের বিরুদ্ধেই মাঠে নামছে বাংলা।গ্রুপ লিগে শক্তিশালী কর্ণাটকের বিরুদ্ধে জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বাংলার। কিন্তু টি২০ ক্রিকেটে কখন কী হয় বলা খুব কঠিন। শক্তির বিচারে অবশ্য কর্ণাটক অনেকটাই এগিয়ে। দেবদত্ত পাড়িক্কল, মণীশ পান্ডে, করুণ নায়ার, জগদেশা সুচিথ, কেসি কারিয়াপ্পার মতো ক্রিকেটাররা রয়েছেন। তবে বাংলার কাছে বড় সুবিধা কোয়ার্টার ফাইনালে কর্ণাটক পাচ্ছে না মায়াঙ্ক আগরওয়াল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ায় তিনি জাতীয় শিবিরে রয়েছেন। বাংলাও এই ম্যাচে পাচ্ছে ঋদ্ধিমান সাহাকে। তিনিও মায়াঙ্কের সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় শিবিরে।গ্রুপ লিগে ছত্তিশগড়ের কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাকে। হারিয়েছিল বরোদা, মুম্বই, কর্ণাটকের মতো শক্তিশালী দলকে। কোয়ার্টার ফাইনালেও সেই ছন্দ ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলা শিবির। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি বলেন, প্রতিযোগিতায় নিজেদের পারফরমেন্সে আমরা আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে জয় আমাদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখনও পর্যন্ত যে ক্রিকেট খেলেছি, তাতে মানসিকভাবে উজ্জীবিত। সব কটা ম্যাচেই আমরা দল হিসেবে খেলেছি। দলের প্রত্যেক সদস্য বিশ্বাস করে যে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলছি। কোয়ার্টার ফাইনালেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারব। এটাই দলের ইএসপি।গ্রুপ লিগে দলে না থাকলেও নক আউটের জন্য শ্রীবৎস গোস্বামীকে দলে ফিরিয়েছেন বাংলার নির্বাচকরা। ঋদ্ধিমান সাহা না থাকায় তিনি প্রথম একাদশে খেলবেন। শ্রীবৎস গোস্বামীকে খেলানোর প্রসঙ্গে সুদীপ বলেন, জাতীয় শিবিরে যোগ দেওয়ায় ঋদ্ধিমান সাহাকে পাব না। ঋদ্ধির পরিবর্তে শ্রীবৎস আমাদের প্রথম পছন্দ। ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। কর্ণাটক ম্যাচকে বড় ম্যাচ হিসেবে দেখছেন বাংলার অধিনায়ক। সুদীপ বলেন, কর্ণাটক যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তবে তার জন্য আমাদের কোনও চাপ নেই। আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই এটাকে দেখছি। সেরাটা দিয়ে জেতার জন্য ঝাঁপাব।

নভেম্বর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

David Warner : ‌সানরাইজার্সের চূড়ান্ত অসম্মানই কি বিশ্বকাপে ওয়ার্নারের জ্বলে ওঠার কারণ?‌

আইপিএলে চূড়ান্ত অসম্মান কি ধাক্কা দিয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারকে? না হলে মাত্র মাস খানেকের ব্যবধানে এইরকম জ্বলে উঠবেন কেন? অস্ট্রেলিয়ার টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে এই ওপেনারের অবদান কিন্তু সব থেকে বেশি। প্রতিযোগিতার সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে সামনের মরশুমে আইপিএলের নিলামের আগে নিজের চাহিদা অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন এই অস্ট্রেলীয় ওপেনার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যদি ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়মে তাঁকে যদি আটকে না রাখে, তাহলে নিলামে ওয়ার্নারকে নিয়ে আকাশছোঁয়া চাহিদা হবে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকারের মুখেও তেমন কথা শোনা গেছে। গাভাসকারের যুক্তি, আইপিএলে সামনের মরশুমে দুটি দল বাড়ছে। সুতরাং ক্রিকেটারের সংখ্যাও বেশি প্রয়োজন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যদি ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়মে ডেভিড ওয়ার্নারকে আটকে না রাখে, অন্য দলগুলি ওকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে। ওয়ার্নারের অভিজ্ঞতার কথা ভুললে চলবে না। ওর মধ্যে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে। মাঠের নেমে বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে ওস্তাদ। এবছর আইপিএলে খুব খারাপ সময়ের মধে দিয়ে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৬ ম্যাচ হারায় তাঁর হাত থেকে নেতৃত্ব কেড়ে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কর্তারা। দ্বিতীয় পর্বে তো প্রথম একাদশ থেকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। এমনকি একটা ম্যাচে অন্য সাধারণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হোটেলেই রেখে যাওয়া হয়েছিল ওয়ার্নারকে। তাঁর মতো ক্রিকেটারের এইরকম অসম্মান প্রাপ্য ছিল না বলে মনে করেন গাভাসকার। তিনি বলেন, সাধারণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে ওয়ার্নারকে হোটেলে রেখে গিয়ে ঠিক করেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টিম ম্যানেজমেন্টের ওটা খুব খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ওয়ার্নারের মতো ইতিবাচক চিন্তাধারার ক্রিকেটার ওই ঘটনা মনে রাখবেন না বলে মনে করছেন গাভাসকার। তিনি বলেন, ওয়ার্নারের চিন্তাভাবনা সবসময় ইতিবাচক। অতীতে কী ঘটেছে, তার দিকে ফিরেও তাকায় না। আমার মনে হয়, ওয়ার্নার অবশ্যই নিজেকে বলেছে যে, অতীতে যা ঘটেছে তা ঘটেছে, ভবিষ্যত আমার হাতে। এছাড়াও, ভুলে যাবেন না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতে প্রস্তুতি ম্যাচেও ভাল করতে পারেনি। দলে ওর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আত্মবিশ্বাসই ওয়ার্নারকে এই জায়গায়।

নভেম্বর ১৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : প্রতিশোধের স্বপ্ন চূরমার, নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম টি২০ বিশ্বজয় অস্ট্রেলিয়ার

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে একদিনের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। এবছর টি২০ বিশ্বকাপে প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। প্রতিশোধ নিতে ব্যর্থ কিউয়িরা। ৭ বল বাকি থাকতে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উড়িয়ে প্রথমবারের মতো টি২০ বিশ্বকাপ ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের নায়ক মিচেল মার্শ। ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতেও সেই একই সিদ্ধান্ত। সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ড্যারিল মিচেল ও মার্টিন গাপটিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে জস হ্যাজেলউড তুলে নেন ড্যারিল মিচেলকে। ৮ বলে ১১ রান করে তিনি ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান মার্টিন গাপটিল ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।১০ ওভারে কিউয়িরা তোলে ৫৭/১। একাদশতম ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে ১৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। পরের ওভারের প্রথম বলে অ্যাডাম জাম্পাকে ছয় মারতে গিয়ে মার্কাস স্টয়নিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গাপটিল। ৩৫ বলে তিনি করেন ২৮। এরপর গ্লেন ফিলিপকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান উইলিয়ামসন। জুটিতে ওঠে ৬৮। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে পরপর দুটি ৬ মেরে ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন উইলিয়ামসন। ১৭ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্লেন ফিলিপকে তুলে নেন জস হ্যাজেলউড। ১৭ বলে ১৮ রান করেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন কেন উইলিয়ামসন। ৪৮ বলে ৮৫ রান করেন তিনি। উইলিয়ামসনের ইনিংসে রয়েছে ১০টি ৪ ও ৩টি ৬। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ তোলে নিউজিল্যান্ড। ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জিমি নিশাম। দুর্দান্ত বল করেন জস হ্যাজেলউড। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৭ বলে ৫ রান করেন ফিঞ্চ। এরপর জ্বলে ওঠেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও তিনি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৩৮ বলে ৫৩ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। তিনি মারেন চারটি ৪ ও ৩টি ৬। ওয়ার্নার ফিরে গেলেও চাপে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া। কিউয়ি বোলারদের ওপর নিরঙ্কুশ প্রভাব বিস্তার করেন মিচেল মার্শ। তাঁর দাপটে ইশ সোধি, টিম সাউদিরা দিশা খুঁজে পাননি। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮.৫ ওভারে ১৭৩/২ রান তুলে প্রথম বারের মতো টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মিচেল মার্শ। তিনি মারেন ৬টি ৪ ও ৪টি ৬। ১৮ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। ট্রেন্ট বোল্ট ১৮ রানে ২ উইকেট নেন।

নভেম্বর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ফাইনালে কারা এগিয়ে?‌ কনওয়ের না থাকা বড় ধাক্কা নিউজিল্যান্ডের

টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। দুটি সেরা দল যে ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।এখন প্রশ্ন হল ফাইনালে এগিয়ে কোন দল? সত্যি কথা বলতে কী এই ধরণের ম্যাচে বিশেষ কোনও দলকে এগিয়ে রাখা বোকামি। একেই খেলাটার নাম ক্রিকেট। তার ওপর টি২০ ফর্ম্যাট। এই ফর্ম্যাটে ভবিষ্যতবানী করা খুবই কঠিন। টি২০ ক্রিকেটে টস জেতাটা অনেক সময় বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। যেটা চলতি বিশ্বকাপের প্রায় সব ম্যাচেই দেখা গেছে। সুতরাং আমার মনে হয় না ফাইনালেও এর ব্যতিক্রম হতে পারে।ফাইনালে মুখোমুখি দুটি দল এর আগে কখনও টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। ফলে অস্ট্রেলিয়া যেমন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মুখিয়ে, তেমনই নিউজিল্যান্ডও মুখিয়ে থাকবে। ২০১০ সালের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই পরাজয়ের পর আবার টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে অসিরা। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড এই প্রথমবার। ফলে এবারের বিশ্বকাপ উপহার দেবে নতুন চ্যাম্পিয়নকে। নিউজিল্যান্ড ২০১৯ সালে একদিনের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ফাইনালে হেরেছিল। এইবছর আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে। আইসিসি ইভেন্টে টানা তিনটি ফাইনাল খেলতে চলেছে। ফলে মানসিকভাবে ড়িউজিল্যান্ড কিন্তু এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে।আইসিসির প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া কিন্তু বড় শক্তি। ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে ওরা অনেক এগিয়ে। এই বিশ্বকাপের প্রথম থেকে ভাল ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। সবথেকে বড় কথা দলে একাধিক ম্যাচ জেতানোর ক্রিকেটার রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি দারুণ ভয়ঙ্কর। ছন্দে থাকলে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ জুটি যে কোনও দলের বোলিং শক্তিকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। আইপিএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওয়ার্নার ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। মিডল অর্ডারে রয়েছে স্টিভ স্মিথের মতো ব্যাটসম্যান। বড় ম্যাচের ঘোড়া। ম্যাক্সওয়েলও যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। ম্যাথু ওয়েড সেমিফাইনালে দেখিয়ে দিয়েছেন কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। বোলিং শক্তিও অসাধারণ। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউডের মতো জোরে বোলার রয়েছে। অ্যাডাম জাম্পার মতো স্পিনার যে কোনও দলকে বেগ দিতে পারেন।নিউজিল্যান্ডে সেই অর্থে কোনও তারকা নেই। ওদের আসল শক্তি দলগত খেলা। নিউজিল্যান্ড বরাবরই দল হিসেবে খেলে। এই বিশ্বকাপেও সেই একই ধারা অব্যাহত। মার্টিন গাপটিল, ড্যারিল মিচেল ছন্দে থাকলে যে কোনও বোলারের মাথাব্যথা হয়ে উঠতে পারে। কেন উইলিয়ামসন নিঃশব্দে বিপক্ষে খুন করতে পারেন। তবে ফাইনালে ডেভন কনওয়ের খেলতে না পারাটা বড় ধাক্কা। মিডল অর্ডারে বড় শূন্যতা তৈরি হবে। এমনিতেই লকি ফার্গুসন আগেই ছিটকে যাওয়ায় বোলিং কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ডেভিড ওয়ার্নারদের থামানোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, জিমি নিশামদের। দল হিসেবে খেললে নিউজিল্যান্ডকে আটকানো মুশকিল হবে। ভারতপাকিস্তান ম্যাচে যেমন চাপ থাকে, তেমনই অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড ম্যাচও স্নায়ুচাপের। এটাও অনেকটা ফ্যাক্টর করবে ফাইনালে।

নভেম্বর ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu Adhikari: বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হার নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন শুভেন্দু, কি বললেন তিনি?

টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। এবার সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল অষ্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে পরাজিত করার জন্য অষ্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের এই নেতা।সেমিফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সোশাল মিডিয়ায় রাজ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু লিখেছেন..দেশদ্রোহীদের জোর কা ঝটকা,পাকিস্তানের হারে ফাটছে পটকা।ভারত পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের হারে যারা পটকা ফাটিয়েছিল, উল্লাস করেছিল, আজ সেইসব দেশদ্রোহীদের জন্য কালো দিন। অষ্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের হার আজ তাদের মুখে ঝামা ঘসে দিল ।অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট টিম কে অভিনন্দন।তবে এখানেই থামেননি গেরুয়া শিবিরের এই নেতা। নন্দীগ্রামের বিধায়ক টুইটে লিখেছেন, পাকিস্তানকে হারানোর জন্য অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই মুহূর্তটি উদযাপন করতে আমার নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার লোকেরা অন্য ভারতীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আতশবাজি থামবে না, দীপাবলি চলছে। আমাদের শত্রুকে পরাজিত করার জন্য আবার ধন্যবাদ।নন্দীগ্রাম বিধানসভায় প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সরাসরি বিভাজনের পথে হেঁটেছিলেন শুভেন্দু অধিকরী। একেবারেই ঢাক-গুড়গুড় করেননি। গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের দিনও ফের তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামের ৬৫ হাজার বাদ দিয়ে বাকিদের একসঙ্গে থাকতে হবে। সেই আবেদন জানিয়েছিলেন শহিদ মঞ্চ থেকে। এবার পাকিস্থানের হার নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁর অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন।

নভেম্বর ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : থেমে গেল বিজয়রথ, অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় পাকিস্তানের

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছিল পাকিস্তান। সেমিফাইলানে এসে সব জারিজুরি শেষ। অসিদের কাছে থেমে গেল বিজয় রথ। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। ১৪ নভেম্বর ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তোলার মূল কারিগড় মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড। টস জিতলে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠানোর ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে চলতি টি২০ বিশ্বকাপে। একদিকে যেমন টার্গেট দেখে ব্যাট করার সুবিধা পাওয়া যায়, তেমনই শিশিরের জন্য সমস্যায় পড়তে হয় না। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ টস জিতে শিশিরের কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। গ্রুপ লিগের মতোই সেমিফাইনালে ধারাবাহিতা দুই পাক ওপেনারের। দারুণ শুরু করেছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭১। দশম ওভারের শেষ বলে জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। জাম্পাকে ৬ মারতে গিয়ে লং অনে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ৩৪ বলে তিনি করেন ৩৯। বাবর আজম ফিরে যাওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যান মহম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান। শুরুর দিকে কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করলেও পরের দিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দুই পাক ব্যাটসম্যান। ৫৭ বলে ৬৭ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি মারেন ৩টি ৪ এবং ৪টি ৬। রিজওয়ান যখন আউট হন পাকিস্তান ১৭.২ ওভারে ১৪৩। পরের ওভারেই ১ বল খেলে কোনও রান না করে আউট হন আসিফ আলি। তাঁকে তুলে নেন প্যাট কামিন্স। শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন ফখর জামান। শোয়েব মালিক (২ বলে ১) ব্যর্থ হলেও দলকে দারুণ জায়গায় পৌঁছে দেন ফখর। ৩২ বলে ৫৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ফখর জামানের ইনিংসে রয়েছে ৩টি ৪ ও ৪টি ৬। ২০ ওভারে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত তোলে ৪ উইকেটে ১৭৬। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভাল বল করেন অ্যাডাম জাম্পা। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন তিনি। তুলে নেন ১ উইকেট। মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে ৩৮ রানে ২ উইকেট তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ফিরে যান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। মাত্র ১ বল খেলে তিনি কোনও রান না করেই শাহিন আফ্রিদির বলে এলবিডব্লু হন। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে যান পাকিস্তান বোলাররা। জুটিতে ওঠে ৫১। শাদাব খানের বলে আফি আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্শ (২২ বলে ২৮)। স্টিভ স্মিথ (৬ বলে ৫) ব্যর্থ। তিনিও শাদাব খানের শিকার। ডেভিড ওয়ার্নার (৩০ বলে ৪৯) জ্বলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। তঁকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধাক্কা দেন শাদাব। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (১০ বলে ৭) ফিরিয়ে অসিদের আরও চাপে ফেলে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ১২.২ ওভারে ৯৬/৫। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড। শাহিন আফ্রিদির ১৯ তম ওভারই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। শেষ ১২ বলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলে কোনও রান হয়নি। দ্বিতীয় বলে ১ রান লেগ বাই থেকে আসে। তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলে দেন হাসান আলি। পরের ৩ বলে তিনটি ছক্কা মেরে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ম্যাথু ওয়েড। ১৭ বলে ৪১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মার্কাস স্টয়নিস ৩১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৯ ওভারে ১৭৭/৫ তুলে ফাইনালে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান ২৬ রানে ৪টি, শাহিন আফ্রিদি ৩৫ রানে ১ উইকেট নেন।

নভেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

TWO World Cup : মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

২০১৯ একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনালের হারের মধুর প্রতিশোধ। আবু ধাবিতে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ ওভার বাকি থাকতে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের স্মরণীয় জয় এনে দেন ড্যারিল মিচেল। তিনিই ম্যাচের সেরা।টস জিতে এদিন ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। চোটের জন্য জেসন রয় খেলতে না পারায় সেমিফাইনালে জস বাটলারের সঙ্গে ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নামেন জনি বেয়ারস্টো। ১৭ বলে ১৩ রান করে দলের ৩৭ রানের মাথায় আউট হন তিনি। অ্যাডাম মিলনের বলে বেয়ারস্টোর ক্যাচ অসামান্য দক্ষতায় তালুবন্দি করেন কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ৪০। ৭.৩ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয়। দলের ৫৩ রানের মাথায় আউট হন ইংল্যান্ডের অন্য ওপেনার জস বাটলার। ২৪ বলে ২৯ রান করে তিনি ইশ সোধির বলে এলবিডব্লু হন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন ডেভিড মালান ও মইন আলি। চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৩০ বলে ৪১ রান করে আউট হন মালান।মালান ফিরে গেলেও লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মইন আলি। ১৮ তম ওভারে অ্যাডাম মিলনের বলে ১৬ রান তোলেন মইন ও লিভিংস্টোন। ১৯.২ ওভারে জিমি নিশামের বলে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিভিংস্টোন। ১০ বলে তিনি করেন ১৭। টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম অর্ধশতরান করে ৩৭ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন মইন আলি। তিনি মারেন ৩টি ৪ ও ২টি ৬। অধিনায়ক মর্গ্যান ২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। টিম সাউদি ৪ ওভারে ২৪ রানে ১ উইকেট পান। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও জিমি নিশাম ১টি করে উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হন মার্টিন গাপটিল (৪)। তাঁকে তুলে নেন ক্রিস ওকস। কেন উইলিয়ামসনও (৫) দ্রুত ফেরেন। তিনিও ওকসের শিকার। ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পরে নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ে। জুটিতে ওঠে ৯২ রান। ৩৮ বলে ৪৬ রান করে আউট হন কনওয়ে। তাঁকে ফেরান লিয়াম লিভিংস্টোন। জিমি নিশাম ১১ বলে ১৭ রান করে আউট হন। দুর্দান্ত ব্যাট করেন মিচেল। ৪৭ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তিনি দলকে জয় এনে দেন। ১৯ ওভারে ১৬৭/৫ তুলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।

নভেম্বর ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Syed Mustak Ali T20 : পাড়িক্কল, মায়াঙ্কদের উড়িয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বাংলা। মঙ্গলবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী কর্ণাটককে উড়িয়ে দিল ৭ উইকেটে। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে এদিন দুর্দান্ত বোলিং করেন বাংলার বোলাররা। মুকেশ কুমারদের দাপটে কর্ণাটকের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। বাংলাকর্ণাটক ম্যাচের আগে বরোদার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল মুম্বই। বরোদাকে মুম্বই হারানোয় বাংলাকে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে জিততেই হত। জ্বলে উঠলেন বাংলার বোলাররা। কর্ণাটক দল রীতিমতো তারকাখচিত। অনেকেই আইপিএলে রীতিমতো দাপিয়ে বেরিয়েছেন। কে নেই দলে? দেবদত্ত পাড়িক্কল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, মণীশ পাণ্ডে, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম, জগদেশা সুচিথ, কেসি কারিয়াপ্পা, করুণ নায়ার। কর্ণাটকের যা শক্তি, বাংলার উড়ে যাওয়ার কথা। নাম দিয়ে যে ক্রিকেট হয় না, দেখিয়ে দিলেন বাংলার ক্রিকেটাররা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্ণাটক। এদিন ম্যাচের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে (৪) তুলে নিয়ে কর্ণাটককে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন মুকেশ কুমার। ওই ওভারের শেষ বলে তুলে নেন দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (০)। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান মণীশ পাণ্ডে এবং করুণ নায়ার। ২৭ বলে ৩২ রান করে শাহবাজ আমেদের বলে আউট হন মণীশ পাণ্ডে। করুণ নায়ার ৪৪ বলে ৪৪ রান করেন। তাঁকে ফেরান প্রদীপ্ত প্রামানিক (২/৩৩)। মণীশ পাণ্ডে ও করুণ নায়ারকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ দেননি শাহবাজ আমেদ (১/১৫), আকাশ দীপরা (১/১৯)। ২০ ওভারে ১৩৪/৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি কর্ণাটক। মুকেশ কুমার ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন। ব্যাট করতে নেমে বাংলার শুরুটাও ভাল হয়নি। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ তুলে নেন সুদীপ চ্যাটার্জিকে (৪)। তিন নম্বরে নেমে ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি ৯ বলে ১৮ রান করে আউট হন। এরপর অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও ঋদ্ধিমান সাহা বাংলাকে টেনে নিয়ে যান। ২৩ বলে ২৭ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান। বাংলাকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন অভিমন্যু ও কাইফ আমেদ। অভিমন্যু ৪৯ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। কাইফ আমেদ ২৪ বলে করেন অপরাজিত ৩৪। ২ ওভার বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে ১৩৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলা। ৫ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট বাংলার। অন্যদিকে কর্ণাটকেরও পয়েন্ট ১৬। নেট রান রেটে কর্ণাটককে (০.৩৭৯) পেছনে ফেলে গ্রুপ শীর্ষে থাকে বাংলা (০.৯৯৫)। গ্রুপ শীর্ষে থাকায় সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পান সুদীপরা। আর কর্ণাটককে খেলতে হবে প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup: হেড স্যার হিসেবে শেষ দিনে শাস্ত্রী ব্যর্থতার জন্য কেন দুষলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে?‌

অবশেষে দীর্ঘ পথের যাত্রার সমাপ্তি। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে গায়ে সেঁটে যাব প্রাক্তনের ট্যাগ। ভারতীয় দলের হেড স্যার হিসেবে সোমবারই শেষদিন রবি শাস্ত্রীর। দুদফার কার্যকালে দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। সে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই বলুন, কিংবা টি২০ ক্রিকেটে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ব্যর্থতা। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনে আবেগপ্রবণ রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে সোমবার টি২০ বিশ্বকাপে নামিবিয়া ম্যাচই ছিল শেষ ম্যাচ। খেলা শুরুর আগে রবি শাস্ত্রী বলেন, ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে আমার কাছে এই যাত্রাটা অসাধারণ। যখন ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, আমি নিজেকে মনে মনে বলেছিলাম, পার্থক্য করতে চাই। আমার মনে হয় কাজটি আমি করতে সক্ষম হয়েছি। জীবনে কখনও কখনও সবকিছু অর্জন করা সম্ভব হয়না। তা সত্ত্বেও এই ছেলেরা গত ৫ বছরে যা অর্জন করেছে, যেভাবে বিশ্বজুড়ে খেলে বেড়িয়েছে, এবং সব ধরণের ফর্ম্যাটে যেভাবে পারফর্ম করেছে, তাতে বিশ্বে দুর্দান্ত দল হিসেবে নিজেদের প্রতিপন্ন করেছে। এ বিষয়ে আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা এই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছি। এই ব্যর্থতা দুর্দান্ত ভারতীয় দলের কাছ থেকে কিছু নিয়ে যায়নি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যর্থতা সঙ্গী হলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দলকে এগিয়ে রেখেছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লাল বলের ক্রিকেটে সিরিজ জিতে আমরা এগিয়ে আছি। এই এগিয়ে থাকাটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারব। কারণ ওদের বিরুদ্ধে আবার পরের বছর সিরিজ খেলব। সাদা বলের ক্রিকেটে প্রতিটি দলকে তাদের ঘরের মাঠে পরাজিত করেছি, যা আমার প্রচেষ্টা এবং দলের প্রচেষ্টা ছিল।এই দলটা দেখিয়েছে যে তাদের আরও অনেক দক্ষতা রয়েছে। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পরাজিত হওয়ার পর হেড কোচ নিযুক্ত হন রবি শাস্ত্রী। বিদেশের মাটিতে সাফল্য থেকে এক নম্বর টেস্ট দল হওয়ার লক্ষ্যপূরণ হলেও কোহলিশাস্ত্রী জুটি ভারতকে কোনও আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেনি।রবি শাস্ত্রীর উত্তরাধিকারী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়। উত্তরসূরীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতীয় দল একজন ভাল কোচ পাচ্ছে। দ্রাবিড়কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমি মনে করি অভিজ্ঞতা দিয়ে দ্রাবিড় সময়মতো সেরাটা বার করে নিয়ে আসবে। এই দলে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েচে যারা আরও ৩৪ বছর খেলবে। ভারতের এই দলটা রূপান্তরিত দল নয়। এটাই বড় পার্থক্য তৈরি করবে। কোহলিই এখনও দলে রয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে দারুণ কাজ করেছে। গত ৫ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে সবথেকে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যেভাবে দলকে খেলাতে চায় এবং গোটা দল যেভাবে তাকে আঁকড়ে ধরেছে, দল সম্পর্কে যেভাবে চিন্তা করে, তার জন্য অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশ্বকাপে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে শাস্ত্রী বলেন, আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আর সেটা আমার বয়সের কারণে। দীর্ঘ ৬ মাস বায়ো বাবলে থেকে এই দলের ক্রিকেটাররাও শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আইপিএল এবং বিশ্বকাপের মধ্যে একটা বড় ব্যবধান থাকলে ভাল হত। যখন কোনও বড় প্রতিযোগিতা আসে, চাপ তৈরি হয়, তখন পরিবর্তনের দরকার হয়। তবে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জন্য এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না। আমরা হারকে মেনে নিতে পারি, কারণ হারতে ভয় পাই না। আমরা জেতার চেষ্টা করেও পারিনি, কারণ এক্সফ্যাক্টর অনুপস্থিত ছিল। তবে এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ‌কোহলি–শাস্ত্রী জুটির পরিসমাপ্তি, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান

টি২০ ক্রিকেটে ভারতীয় দলের আর্ম ব্যান্ড হাতে আর মাঠে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না বিরাট কোহলিকে। বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ক্যাপ্টেন হিসেবে কোহলির ছিল শেষ ম্যাচ। কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীরও এটাই ছিল শেষ ম্যাচ। শাস্ত্রীকোহলি জুটির সেরা সাফল্য ইংল্যান্ডের মাটিতে ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরের মাটেতে দুদুবার টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে ভারত। তবে আসল জায়গায় ব্যর্থ। আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতায় দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেনি এই জুটি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রীর পরিসংখ্যান। ২০১৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত থেকে টি২০ ক্রিকেটে দেশের দায়িত্ব তুলে নেন বিরাট কোহলি। তারপর থেকে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫০টি টি২০ ম্যাচে। সোমবার বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিরুদ্ধেই কোহলির ছিল অধিনায়ক হিসেবে ৫০ তম ম্যাচ। ৫০ তম ম্যাচে দলকে জয় এনে দিলেও বিশ্বকাপে ব্যর্থতার তকমা গায়ে সেঁটেই নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হল কোহলিকে। দেশকে ৫০টি টি২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৩০টিতে জয় এনে দিয়েছেন কোহলি। হেরেছেন ১৬টিতে। ২টি ম্যাচ টাই হয়েছে। আর ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। কোহলির পূর্বসূরী মহেন্দ্র সিং ধোনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৭২ ম্যাচে। জিতেছিলেন ৪১টি ম্যাচ। ২৮টি ম্যাচে হারতে হয়েছিল। ১ট ম্যাচ টাই, ২টি ম্যাচে কোনও ফলাফল হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি ৫০টি টি২০ ম্যাচে রান করেছেন ১৫৭০। নামিবিয়ার বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে জীবনের শেষ টি২০ ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি কোহলি। টি২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী অধিনায়কদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি। তবে অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম ১ হাজার টি২০ রানের মালিক বিরাট কোহলি। মাত্র ৩০টি ইনিংসে তিনি এই মাইলস্টোনে পৌঁছেছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন কোহলি। এই বিশ্বকাপে তাঁকে টপকে গেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও নিউজিল্যানন্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পাকিস্তান, বাংলাদেশ বাদে সব টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জেতারও নজির রয়েছে বিরাট কোহলির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর জুটি হিসেবে দেখা যাবে না অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রীকে। কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর জমানায় ভারত ৪৩টি টেস্ট খেলেছে। জিতেছে ২৫টি এবং হেরেছে ১৩টিতে। একদিনের ক্রিকেটে ৭৬টি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ৫১টিতে, হেরেছে ২২টি। টি২০ ক্রিকেটে ৬৪টি ম্যাচে ভারতকে কোচিং করিয়েছেন শাস্ত্রী। জয় এসেছে ৪২টিতে এবং হার ১৮টিতে।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ‌নিময়রক্ষার ম্যাচে নামিবিয়াকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ ভারতের

রবিবারই নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান ম্যাচের পরেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের ভাগ্য। নামিবিয়ার বিরুদ্ধে সোমবারের ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। সেই নিয়মরক্ষার ম্যাচে নামিবিয়াকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে এবারের টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল ভারত। ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিলেন। তবে বোলাররাও এদিন দারুণ বোলিং করেন। টস জিতে এদিন নামিবিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি নামিবিয়া। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে নামিবিয়া তোলে ৩৪/২। ৪.৪ ওভারে ৩৩ রানের মাথায় মাইকেল ভ্যান লিঞ্জেনকে তুলে নেন মহম্মদ সামি। ৫.৩ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজা আউট করেন ক্রেগ উইলিয়ামসকে (০)। ৯.১ ওভারে ৪৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় নামিবিয়া। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকায় বড় রান তুলতে পারেনি। ২৫ বলে সর্বাধিক ২৬ রান করেন ডেভিড উইসে। স্টিফেন বার্ড করেন ২১। অধিনায়ক এরাসমাস আউট হন ১২ রানে। জান ফ্রাইলিঙ্ক ১৫ বলে ১৫ ও রুবেন ট্রাম্পেলম্যান ৬ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। রবীন্দ্র জাদেজা ১৬ রানে ৩টি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২০ রানে ৩টি, যশপ্রীত বুমরা ৪ ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট পান।ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮৬। ৯.৫ ওভারের মাথায় জ্যাঁ ফ্রাইলিঙ্কের বলে আউট হন রোহিত শর্মা। ৭টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৭ বলে ৫৬ রান করে আউট হন রোহিত। চলতি বিশ্বকাপে এটি তাঁর দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এদিন বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে টি ২০ আন্তর্জাতিকে ৩ হাজার রানের মাইলস্টোন পেরোলেন রোহিত শর্মা। প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন বিরাট কোহলি। চলতি বিশ্বকাপে মার্টিন গাপটিল ও রোহিত শর্মা টি ২০ আন্তর্জাতিকে তিন হাজার রান পূর্ণ করলেন। চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় তথা কেরিয়ারের ১৫তম টি ২০ অর্ধশতরান পূর্ণ করে ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন লোকেশ রাহুল। টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানও করলেন রাহুল। তবে নিজে না নেমে বিরাট কোহলি তিনে কেন সূর্যকুমার যাদবকে নামালেন তা নিয়ে চলছে চর্চা। লোকেশ রাহুল চারটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন সূর্যকুমার যাদব। ২৮ বল বাকি থাকতে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ম্যাচের সেরা রবীন্দ্র জাদেজা।

নভেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ‌‌পরের বছর অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য কী পরামর্শ দিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ?‌

এবছর টি২০ বিশ্বকাপে ষষ্ঠ বোলারের অভাবে ভারতকে যথেষ্ট ভুগতে হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম দুটি ম্যাচে। পাকিস্তান ম্যাচে তো একটা উইকেটও তুলতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে মাত্র ২টি উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয়েছিল। যদি দলে ষষ্ঠ বোলার থাকত, হয়তো তাঁর হাত ধরেই ব্রেক থ্রু আসতে পারত। পরের বছর অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে যাতে ষষ্ঠ বোলারের অভাবে ভারতকে ভুগতে না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্ণণ। পাশাপাশি ষষ্ঠ বোলারের অভাব কীভাবে মেটানো যায়, সে পরামর্শও দিয়েছেন ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেছেন, ২০২২ টি২০ বিশ্বকাপে ভারতকে সাফল্য পেতে গেলে এমন কয়েকজন ব্যাটারকে দলে নিতে হবে, যারা বল করতে পারে। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ভারতকে ষষ্ঠ বোলারের অভাবে ভুগতে হয়েছে। হার্দিক পান্ডিয়ার ফিটনেস নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম বোলার হাতে থাকলে অধিনায়কের ওপর চাপ অনেক কমে যায়। দলে এমন ব্যাটার নিতে হবে যে অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপে ২ ওভার বল করতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ায় পরের বছর টি২০ বিশ্বকাপে এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশে পেসাররা বেশি সাহায্য পাবে। বল বেশি সুইং না করলেও উইকেটে গতি ও বাউন্স থাকবে। তাই ভারতকে এমন কয়েকজন পেসার দলে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন লক্ষ্ণণ, যাদের বলে গতি আছে। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় বল খুব বেশি সুইং করবে কিনা সে ব্যাপারে আমি ততটা নিশ্চিত নই। তাই দলে এমন জোরে বোলার রাখতে হবে, যাদের বলে গতি আছে। যে উইকেট থেকে গতি ও বাউন্স আদায় করে নিতে পারবে। লক্ষ্ণণ মনে করছেন যার বলে বৈচিত্র্য রয়েছে, সেই জোরে বোলার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সাফল্য পাবে। পাশাপাশি ঈশান কিষানের মধ্যে ভারতের টি২০ দলের ওপেনার হওয়ার দক্ষতা আছে বলে মনে করছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ঈশান কিষানকে তিনি ওপেনার হিসেবে দেখতে চান। লক্ষ্মণ বলেন,ঈশান যেরকম খেলে, তাতে পাওয়ার প্লের ফিল্ডিংয়ের সুবিধা নিতে পারবে। ওর মধ্যে দারুণ প্রতিভা রয়েছে। সাহসী শট খেলার ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষ। ভয়ডরহীন ভাবে শট খেলতে পারে। বড় ওপেনার হওয়ার সব গুন ওর মধ্যে রয়েছে। যদিও ভারতীয় দলে এই মুহূর্তে ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল রয়েছে, তবে ঈশানকে টিম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে ব্যবহার করবে, যেটা ওদের ব্যাপার।

নভেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

t20 World Cup : দেশের খেলার চেয়ে আইপিএলকে বেশি প্রাধান্য কোহলিদের?‌ গর্জে উঠলেন প্রাক্তন ক্রিকেট মহাতারকা

টি২০ বিশ্বকাপে ভারত সেমিফাইনালে উঠতে না পারায় ফুঁসছে গোটা দেশ। ক্রিকেটপ্রেমীরা থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটার, প্রত্যেকেই হতাশ। ভারতের বিপর্যয় নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে। শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিরাট কোহলিদের বিদায়ে গর্জে উঠেছেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব। তাঁর মতে, দেশের হয়ে খেলার চেয়েও ক্রিকেটাররা আইপিএলকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কপিলদেব বলেছেন, ক্রিকেটাররা যদি দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএলকে বেশি প্রাধান্য দেয়, তখন আমরা কী বলত পারি? ক্রিকেটারদের তাদের দেশের হয়ে খেলার জন্য অবশ্যই গর্বিত হওয়া উচিত। আমি ক্রিকেটারদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানি না তাই বেশি কিছু বলতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি প্রথমে দেশের হয়ে খেলাটাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। তারপর ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে খেলা। আমি বলছি না যে ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলবে না। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলাটাকে বেশি গুরুত্ব দেয় না, আইপিএলে খেলাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বিষয়টি দেখতে হবে। এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব আরও ভালভাবে পরিকল্পনা করে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই টি২০ বিশ্বকাপে আমরা যে ভুল করেছি তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটাই হবে আমাদের কাছে বড় শিক্ষা। পরের বছরই আবার বসবে টি২০ বিশ্বকাপের আআসর। কপিলদেব মনে করেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের উচিত পরের বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা। প্রাক্তন এই বিশ্বজয়ী অধিনায়ক বলেন, এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর সময়। এখন থেকেই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা শুরু করা উচিত। এমন নয় যে বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে মানেই ভারতীয় দলের ক্রিকেটও শেষ হয়ে গেছে। বসে না থেকে এখন থেকেই পরিকল্পনা করুক। আইপিএলের পরপরই বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। ক্রিকেটাররা একেবারেই বিশ্রাম পায়নি। এই বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও সমালোচনা করতে দ্বিধা করেননি কপিলদেব। তিনি বলেন, আমি মনে করি আইপিএল এবং টি২০ বিশ্বকাপের মধ্যে কিছুটা ব্যবধান থাকা উচিত ছিল। যাতে ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পেত। তবে আমাদের দেশের ক্রিকেটারদের প্রচুর এক্সপোজার রয়েছে। ক্রিকেটাররা তার সঠিক প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রত্যেক ক্রিকেটারের উচিত এই ব্যর্থতার দায় নেওয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১২ সালের পর এই প্রথম আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতা থেকে ভারত এত তাড়াতাড়ি বিদায় নিয়েছে।

নভেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

সেমিফাইনালের ছাড়পত্র আগেই এসে গিয়েছিল। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ ছিল লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকার লড়াই। বিপক্ষকে ৭২ রানে উড়িয়ে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানে শেষ করল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে পাকিস্তান খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।রবিবার স্কটল্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। এই দুজনের দাপটে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল স্কটল্যান্ডের বোলাররা। চলতি টি২০ বিশ্বকাপে ৪টি অর্ধশতরানের মালিক হয়ে গেলেন বাবর। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় শীর্ষে পৌঁছলেন। টপকে গেলেন জস বাটলারকে। বাটলার মত রান ২৪০। অন্যদিকে বাবরের সংগ্রহ ২৬৪।স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুতে সতর্ক ছিলেন দুই পাক ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ৩৫। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন মহম্মদ রিজওয়ান (১৯ বলে ১৫)। ফকর জামান (১৩ বলে ৮) দ্রুত ফিরলেও পাকিস্তানকে টেনে নিয়ে যান বাবর আজম ও মহম্মদ হাফিজ। হাফিজ ক্রিজে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রান তোলার গতি বাড়ানোর দিকে নজর দেন। ১৯ বলে ৩১ রান করে তিনি আউট হন। বাবর আজম ৪৭ বলে করেন ৬৬। শেষ দিকে ঝড় তোলেন শোয়েব মালিক। মাত্র ১৮ বলে ৫৪ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ১টি চার ও ৬টি ছয়। চলতি টি২০ বিশ্বকাপে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির দিক দিয়ে ছুঁয়ে ফেললেন ভারতের লোকেশ রাহুলকে। ২০ ওভারে পাকিস্তান তোলে ১৮৯/৪।ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। কাইল কোয়েটজারকে (৯) তুলে নেন হাসান আলি। এরপর ৫ রান করে রান আউট হন ম্যাথু ক্রস। ৩১ বলে ১৭ রান করে একাদশতম ওভারে শাদাব খানের প্রথম বলে ফিরে যান জর্জ মুনসে। এরপর স্কটল্যান্ডকে টেনে নিয়ে যান ব্যারিংটন ও লিয়াস্ক। ১৪ বলে ১৪ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হন লিয়াস্ক। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১৭/৬ তোলে স্কটল্যান্ড। ৩৭ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্যারিংটন। শাদাব খান ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেন। ৫ ম্যাচে সব কটি জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছয় পাকিস্তান। ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে শেষ চারে নিউজিল্যান্ড।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : সর্ব কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে টি২০ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মালিক রশিদ খান

অনেক আশা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল আফগানিস্তান। যদি কোনও রকম অঘটন ঘটানো যায়। লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি মহম্মদ নবিরা। কিন্তু এবারের টি২০ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাইলস্টোনে পৌঁছে গেলেন আফগানিস্তানে লেগস্পিনার রশিদ খান। সর্ব কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে টি২০ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মার্টিন গাপটিলকে আউট করে ৪০০ উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছন রশিদ খান। একই সঙ্গে এলিট লিস্টে নিজের নাম তুলে ফেললেন আফগানিস্তানের এই লেগস্পিনার। সব ধরণের টি২০ ক্রিকেট ম্যাচে রশিদ খানের আগে ৩ জন বোলার ৪০০র বেশি উইকেট নিয়েছেন। তাঁরা হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়েন ব্র্যাভো। তিনি রয়েছেন সকলের ওপরে। সব ধরণের টি২০ ম্যাচ মিলিয়ে এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার নিয়েছেন ৫৫৩টি উইকেট। ডোয়েন ব্র্যাভোর পর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই সুনীল নারাইন। এই ক্যারিবিয়ান রহস্যময় স্পিনারের ঝুলিতে রয়েছে ৪২৫ উইকেট। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির। এই প্রোটিয়া স্পিনারের সংগ্রহে রয়েছে ৪২০ উইকেট। ৪০০র এলিট ক্লাবে নতুন সংযোজন রশিদ খান। তবে এই কৃতিত্ব তিনি অর্জন করলেন সর্ব কনিষ্ট্ঠ হিসেবে।দেশের হয়ে খেলতে নেমে রশিদ খান ১০৩ টি উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন। আর আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে নেমে ৯৩ টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। বাকি ২০৪টি উইকেট নিয়েছেন বিভিন্ন দেশে টি২০ লিগে খেলে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বিগ ব্যাশ, তেমনই রয়েছে পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আফগানিস্তান টি২০ লিগ, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি২০ ক্রিকেটে। দুরন্ত স্পিন বোলিংয়ের সুবাদে টি২০ ক্রিকেটে রীতিমতো সমীহ জাগানো নাম হয়ে উঠেছেন রশিদ খান।চলতি বিশ্বকাপে টি২০ ক্রিকেটে শুধু ৪০০ উইকেটের মালিক হননি রশিদ খান, আরও একটা নজির গড়েছেন এই আফগান স্পিনার। দ্রুততম বোলার হিসেবে টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ উইকেট দখল করার নজিরও গড়েছেন রশিদ খান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। রশিদ খান ছাড়া মাত্র ৩ জন বোলার আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন। এরা হলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন জোরে বোলার লসিথ মালিঙ্গা, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। এই তালিকায় সকলের আগে রয়েছেন সাকিব আল হাসান।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

TWO World Cup : আফগানদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ভারতের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ করল কিউয়িরা

নিউজিল্যান্ডআফগানিস্তান ম্যাচের দিকেই তাকিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদি কোনও ভাবে অঘটন ঘটে। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ হল না। রবিবার আবু ধাবিতে ১১ বল বাকি থাকতে আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে গ্রুপ ২ থেকে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তানকে কিউয়িরা হারিয়ে দিতেই টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গেল ভারতের। ভারতের সঙ্গে ছিটকে গেল আফগানিস্তানও। নিউজিল্যান্ড জেতায় সোমবার নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল নিয়মরক্ষার।রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান খেলতে নেমেছে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বাবর আজমের দল যদি স্কটল্যান্ডের কাছে না হারে, তাহলে গ্রুপ ২ থেকে নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে যাবে দ্বিতীয় দল হিসেবে। সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর পাকিস্তান মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার।২০১৯ সালে একদিনের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও কিউয়িদের কাছেই হারতে হয়েছে বিরাট কোহলির দলকে ভারত। টি২০ বিশ্বকাপ থেকেও বিরাট কোহলিদের ছিটকে দিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কেন উইলিয়ামসনদের জয়। টি২০ বিশ্বকাপসহ আইসিসি ট্রফি অধরাই থেকে গেল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে।টস জিতে এদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি। ৮ উইকেটে ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানরা। ৪৮ বলে সর্বাধিক ৭৩ রান করেন নাজিবুল্লাহ জারদান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার ও ৩টি ছয়। গুলবদিন নঈব ১৫ ও অধিনায়ক মহম্মদ নবি ১৪ রান করেন। ৪ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। দুর্দান্ত বোলিং করে তিনিই ম্যাচের সেরা। টিম সাউদি ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন। অ্যাডাম মিলনে, জিমি নিশাম, ইশ সোধি ১টি করে উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের ২৬ রানের মাথায় আউট হন ড্যারিল মিচেল (১২ বলে ১৭)। ৮.৫ ওভারের মাথায় আউট হন মার্টিন গাপটিল। ২৩ বলে তিনি করেন ২৮। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন কেন উইলিয়ামসন (৪২ বলে ৪০) ও ডেভন কনওয়ে (৩২ বলে ৩৬)। ১৮.১ ওভারে ১২৫/২ তুলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : সামনের বছর দুবারের বিশ্বকাপজয়ী দলকে খেলতে হবে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ

দুবারের বিশ্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কী হাল! এবছর সেমিফাইনালে তো উঠতেই পারেনি, পরের বছর টি২০ বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার ১২তে খেলার যোগ্যতাও নেই! ২০২২ টি২০ বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার ১২তে খেলার সুযোগ পাবে না ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকে সুপার ১২তে উঠে আসতে হবে। সরাসরি সুপার ১২র খেলার সুযোগ নেই শ্রীলঙ্কারও। তাদেরও প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলে সুপার ১২তে উঠে আসতে হবে। অন্যদিকে, সরাসরি সুপার ১২তে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।২০২২ বিশ্বকাপের জন্য সুপার ১২র অটোমেটিক কোয়ালিফায়ার নির্ধারিত হল বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে। এবছর বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের সঙ্গে আইসিসির টি২০ র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ছটি দল সরাসরি আগামী বছর সুপার ১২তে খেলবে। এবছর সুপার ১২তে বাংলাদেশ সব ম্যাচ হারলেও বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে টি২০ সিরিজে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। ৮ নম্বরে থাকার জন্য সামনের বছর সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে তারা। আফগানিস্তানও র্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে রয়েছে। তারা রয়েছে সপ্তম স্থানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারাত, তাহলে র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে উঠে আসত। সেক্ষেত্রে পরের বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার ১২তে জায়গা করে নিত। অসিরা জেতায় ক্যারিবিয়ানরা র্যাঙ্কিংয়ে দশম স্থানে নেমে গেছে। গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবছর বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার ১২তে খেলার সুযোগ পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে অবশ্য প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলে উঠে আসতে হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা রয়েছে নবম স্থানে। তারা এই বিশ্বকাপে সুপার ১২তে দুটি ম্যাচ জিতেছে। তা সত্ত্বেও র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে টপকে যেতে পারেনি। সামনের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া এবং কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে আসা চারটি দলকে নিয়ে প্রথম রাউন্ডের খেলা হবে। সেখান থেকে চারটি দল সুপার ১২তে উঠে আসবে।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal