• ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২, রবিবার ১০ আগস্ট ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Supreme Court

দেশ

Pegasus: পেগাসাস-কমিশন নিয়ে রাজ্যকে নোটিস শীর্ষ আদালতের

পেগাসাস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিশন বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলায় এ বার রাজ্যকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। রাজ্যের গঠন করা তদন্ত কমিশন খারিজের দাবিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী সৌরভ মিশ্র। কিন্তু এখনই ওই কমিটি ভাঙার নির্দেশ দেয়নি আদালত।রাজ্য সরকার কমিটি গঠনের ঘোষণা করতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আইনজীবী মহলের একাংশের বক্তব্য ছিল, পেগাসাসের মতো আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করার এক্তিয়ারই নেই কোনও রাজ্য সরকারের। আদালতে মামলা হলেই খারিজ হয়ে যাবে ওই কমিটি। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও এ দিন বলেন, এই তদন্ত কমিশন অসাংবিধানিক, এটুকুই বলতেই পারি।আরও পড়ুনঃ ১০০ পুরসভায় বড়সড় রদবদলউল্লেখ্য, বিরোধী নেতা, বিচারপতি, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীদের ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও নজরদারি চালানো হয়েছিল, এই রিপোর্ট সামনে আসতেই জুলাই মাসে দিল্লি সফরের আগেই তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা করে মমতা জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে ওই দুই সদস্যের তদন্ত কমিশন। বাংলার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার পরই মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ অগস্ট।

আগস্ট ১৮, ২০২১
দেশ

Pegasus: ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে কীভাবে? শুনছে সুপ্রিম কোর্ট

বাদল অধিবেশনের প্রথমদিন থেকেই বারবার পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছে সংসদের উভয়কক্ষ। তদন্ত চাই, বিষয়টি সামনে আসুক এই দাবিতে দায়ের হয়েছে একাধিক পিটিশন। এবার আড়ি পাতা কাণ্ডে ৯ পিটিশনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শুনানি শুরু হয়েছে শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা ও বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছে এই মামলা।পেগাসাস কাণ্ডে তদন্ত চেয়ে প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমার, রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস এবং আইনজীবী এম এল শর্মা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য সত্যি হলে তা গুরুতজ। অন্যদিকে, এডিটর্স গিল্ডও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। বাকস্বাধীনতায় আঘাত ও ব্যক্তি পরিসরের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে সওয়াল করা হয়েছে পিটিশনে। কপিল সিবল সওয়ালে বলেছেন, সরকারকে এক্ষেত্রে উত্তর দিতে হবে, কত টাকা দিয়ে কিনেছিল সরকার। কোথায় রাখা হয়েছ হার্ডডিস্ক।ইজ়রায়েলের এনএসও সংস্থা বহু দেশকে ফোন হ্যাক করার পেগাসাস স্পাইওয়্যার বেচেছিল। সেই তথ্যভাণ্ডার থেকেই সম্প্রতি ৫০ হাজার ফোন নম্বরের তালিকায় ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-সহ বিশ্বের একাধিক দেশের সংবাদমাধ্যম তার তদন্তে নেমেছে। সেই তদন্তেই এ বার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নাম উঠে এসেছে। তিনি ২০২০-র সেপ্টেম্বরে অবসর নেন। ২০১৯-এ নজরদারির তালিকায় তাঁর একটি নম্বর যোগ করা হয়। বিচারপতি মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ২০১৪-য় এপ্রিলেই ওই ফোন নম্বর ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতারণায় অভিযুক্ত নীরব মোদির আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার কেনায় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মিডলম্যান ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের আইনজীবী আলজো জোসেফের নম্বরও সম্ভাব্য নজরদারির তালিকায় ছিল।

আগস্ট ০৫, ২০২১
কলকাতা

Pegusas: ফোন ট্যাপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান মমতা

শহিদ দিবসের মঞ্চে ভাষণের শুরু থেকেই পেগাসাস কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গহস্ত হয়ে ওঠেন মমতা। সবার ফোনে সর্বক্ষণ আড়িপাতা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। ভাষণ চলাকালীন একসময় হাত জোড় করে তিনি বলেন, সম্মানীয় শীর্ষ আদালতের কাছে আমার বিনীত আবেদন, দেশের সকলে আপনাদের ভীষণ সমীহ করে। যখন বিচারপতিদের ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে, তখন আপনারা কি একটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারেন না? আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে এই আবেদন জানাচ্ছি। একমাত্র আপনারাই পারেন দেশকে বাঁচাতে। উল্লেখ্য, ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে বলে মমতা নিজের ফোনের ক্যামেরা লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকে দিয়েছেন বলেও জানান। এমনকী, তা তুলেও দেখান।আরও পড়ুনঃ অগস্টের প্রথমেই ৫ কেন্দ্রের ভোটযন্ত্র পরীক্ষার নির্দেশমমতা বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে। ফোনটাই এখন রেকর্ডার হয়ে গিয়েছে। আপনারা যদি ঘরে থাকা স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন সেটাও রেকর্ড করা হচ্ছে। স্যর, দয়া করা এই দেশকে, এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন। একটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করুন। না হলে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে দিন। যে আপনাদের অধীনে কাজ করবে। যারা মনিটর করবে যে কার কার ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। আমার ফোনে তো হয়েছে স্যর।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?ফোন ট্যাপিং নিয়ে মমতার যুক্তি, যদি অভিষেকের ফোন ট্যাপ হয়ে থাকে, তবে তো আমার ফোনও হয়েছে। পিকে-র ফোনে হয়েছে। তাহলে তো আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলি, আমারও হয়েছে। এমন বহু সাংবাদিক আছেন যাঁরা আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, তাঁদেরও হয়েছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের উদাহরণ টেনে তাঁর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদেরও রেয়াত করা হচ্ছে না। তাই এই অবস্থায় গণতন্ত্রকে যদি কেউ রক্ষা করতে পারে সেটা একমাত্র দেশের বিচারব্যবস্থা, বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

জুলাই ২১, ২০২১
দেশ

One Nation One Ration Card: এক দেশ এক রেশন কার্ড নিয়ে রাজ্যগুলোকে কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট, জেনে নিন

এক দেশ, এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালুর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই প্রকল্পটি কার্যকর করতে হবে। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রকে বেশ কয়েকটি নির্দেশও দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) দিকে।মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এক দেশ, এক রেশন কার্ড-এর কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অনলাইন পোর্টাল (Portal) চালু করুক কেন্দ্র। তাতে প্রত্যেকের রেজিস্ট্রেশন থাকা চাই। বিশেষ করে অসংগঠিত ও পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই তথ্যগুলি যাতে নির্ভুলভাবে নথিভুক্ত করা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে কেন্দ্রকে। গোটা কাজ শেষ করতে ৩১ জুলাই পর্যন্তই সময়। তারপরই যাতে গোটা দেশে এক দেশ, এক রেশন কার্ড (One Nation, One Ration card) চালু হয়ে যায়, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ রয়েছে শীর্ষ আদালতের।আরও পড়ুনঃ আজ বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকের আলোচ্যসূচি ও কৈলাসের উপস্থিতি নিয়ে জল্পনাপরিসংখ্যান মতে, দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি, অসম ও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প এখনও চালু হয়নি। তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র সরকারের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ রেশন দোকানে ই-পিওএস (ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল) যন্ত্র বসে গিয়েছে। এই যন্ত্রে রেশন কার্ডের আসল মালিকই চাল-গম নিতে এসেছেন কি না, তা চিহ্নিত করা যায়। ৮০ শতাংশ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণও হয়ে গিয়েছে। ফলে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালু করতে কোনও বাধা নেই। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রকল্প চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের আরও সুবিধা হবে।

জুন ২৯, ২০২১
রাজ্য

Bar Council: রাজেশ বিন্দলের অপসারণের চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রাজ্য বার কাউন্সিলের

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বার কাউন্সিলের। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি (CJI) এনভি রামানাকে চিঠি লিখলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা। তাঁদের আবেদন, একাধিক মামলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত রাজ্য সরকারের মামলাগুলির ক্ষেত্রে তা বেশি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বদলের আবেদন রাজ্য বার কাউন্সিলের।আরও পড়ুনঃ জম্মু বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ, উপত্যকায় আতঙ্কসূত্রের খবর, এদিন চিঠিতে একের পর এক পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা (Bar Council Of West Bengal)। তাতে একের পর এক নারদ (Narada case), নন্দীগ্রামের (Nandigram case) মতো রাজ্য সরকারের মামলাগুলিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভূমিকা খুব একটা সন্তোষজনক নয়। এর সপক্ষেও তাঁরা যুক্তি সাজিয়েছেন। চিঠি পাঠনো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কাছে। প্রসঙ্গত, নারদ মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। গত সপ্তাহে তার শুনানিতে হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা করে নতুন করে নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। সেসব প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে বার কাউন্সিলের চিঠিতে।সূত্রের খবর, মূলত নারদ মামলায় প্রধান বিচারপতির ভূমিকাতেই অসন্তোষ এবং সংশয় প্রকাশ করেছে রাজ্যের বার কাউন্সিল। বিশেষত যেভাবে ধৃত চার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীর জামিন সিবিআই আদালত মঞ্জুর করার পর হাইকোর্ট তার বিরোধিতা করে, মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর দায়ের করা হলফনামা গ্রহণ অরাজি হন, তাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষ, তা বলা যায় না। এমনই মনে করছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্যরা। আর তাই তাঁর অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রবিবার।

জুন ২৭, ২০২১
দেশ

Narad-Supreme Court: মমতার আবেদনে সাড়া সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্টকে হলফনামা জমা নেওয়ার নির্দেশ

নারদ মামলায় (Narada case) কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের দায়ের করা হলফনামা গ্রহণ করতে হবে হাইকোর্টকে (Calcutta HC)। এই মর্মে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৯ জুন, মামলার পরবর্তী শুনানির দিনই তা গ্রহণ করতে হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটককে নতুন করে হলফনামা জমা দিতে হবে। তা রেকর্ডও করতে হবে। এমনই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে নারদ মামলায় আপাতত স্বস্তিতে রাজ্য সরকার।আরও পড়ুনঃ ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে কারগিল থেকে ধৃত ৪ পড়ুয়ামুখ্যমন্ত্রীদের জবাবি হলফনামা গ্রহণ করে উচ্চ আদালত। সময়ের মধ্যে হলফনামা পেশ করা হয়নি, এই যুক্তিতে তাঁদের হলফনামা উচ্চ আদালত তা খারিজ করে। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২১ তারিখ নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে মঙ্গলবারের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে শুনানির কথা থাকলেও, শুরুতেই নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। তৈরি হয় নতুন বেঞ্চ। বিচারপতি বিনীত শরণ ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর নতুন বেঞ্চ তৈরি করে শুনানি হয়। এরপর শুক্রবার নারদ মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা জানান, কলকাতা হাইকোর্টকে এই হলফনামা গ্রহণ করতে হবে। নতুন করে হলফনামা পেশ করতে হবে এবং তার রেকর্ড রাখতে হবে।

জুন ২৫, ২০২১
দেশ

Narad Case: শুনানি থেকে সরলেন সুপ্রিম কোর্টের বাঙালি বিচারপতি

বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নারদ মামলার শুনানি থেকে নিজেক সরিয়ে নিলেন এই বিচারপতি। মঙ্গলবারই নারদ সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) দায়ের করা মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও অনিরুদ্ধ বসুর এজলাসে। কিন্তু দিনের শুরুতেই মামলা শুনানি হওয়ার ঠিক আগেই তা শুনতে গররাজি হন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুও সেই পথেই হাঁটলেন।আরও পড়ুনঃ ফের আলাপনকে চিঠি কেন্দ্রর, এবার অভিযোগ শৃঙ্খলাভঙ্গেরনারদ মামলায় (Narada scam) কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মামলায় রাজ্যের তরফে পেশ করা হলফনামা গ্রহণ করেনি উচ্চ আদালত। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদলতে মামলা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মামলাটি গৃহীত হওয়ার পর মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল দুই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে। কিন্তু নারদ মামলা শোনা থেকে অব্যাহতি চান দ্বিতীয়জন।ফলে শুনানি নিয়ে আপাতত তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

জুন ২২, ২০২১
রাজনীতি

Narad-Case: এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী

নারদ মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ তাঁর হলফনামা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদলতে মামলা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার হবে শুনানি।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ৩২হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরমে মাসের ১৭ তারিখ নারদ মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তারপরই নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।দপ্তরের বাইরে ভিড় এত বেড়ে যায় যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করে সেই ভিড় সামলাতে হয়। এই ঘটনাকে খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের অভিযোগ, জনপ্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে চাপ তৈরি করছে দল। সিবিআই আধিকারিকদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।সেই ঘটনাকে ঘিরে তুঙ্গে পৌঁছয় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে পার্টি করে মামলা করে সিবিআই। তারপরই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে হলফনামা দায়ের করার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই হলফনামা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। তারপরই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

জুন ২১, ২০২১
দেশ

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের জবাবদিহি চাইল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি মঙ্গলবার বিনীত সারন এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ এই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক হামলার ঘটনাগুলির জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ার দাবিতে গত ২ মে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি-পর্বেই মঙ্গলবার দুই বিচারপতি বেঞ্চ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। ভোটের পরেও কেন হামলা থামছে না, কী ভাবে হিংসার ঘটনা থামানো যেতে পারে তা-ও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী শ্রুতি আগরওয়াল শুনানি-পর্বে অভিযোগ করেন খুন, মারধরের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বহুন মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। আগামী ৭ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হামলায় কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু নিয়ে আগেই রাজ্য সরকারকে নোটিস দিয়েছে বিচারপতি সারন ও বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ।

মে ২৫, ২০২১
দেশ

সিবিআই-এর ‘ত্রুটিপূর্ণ আবেদন’ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হল না সিবিআইয়ের নারদ-আবেদন। আবেদনে এক ডজন ভুল থাকায় শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত। সিবিআই সূত্রের খবর, ত্রুটি শুধরে ফের শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হবে।নারদ মামলায় ধৃত রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ৪ অভিযুক্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুনানির জন্য শুক্রবার বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই বেঞ্চ গঠনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রবিবার মধ্যরাতে অনলাইনে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদনই সোমবার খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।১৭ মে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় সে দিন ৪ জনকেই জামিন দেন। কিন্তু সিবিআই সেই রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জামিনের উপরে স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে চার জনকেই জেল হেপাজতে পাঠানো হয়।এরপর শুক্রবার হাইকোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মামলাটি ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সোমবার বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বুধবার।

মে ২৪, ২০২১
দেশ

নারদ মামলায় নয়া মোড়, শীর্ষ আদালতে সিবিআই

নারদ মামলায় ফের নাটকীয় মোড়। এবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। রবিবার গভীর রাতে অনলাইনে মামলা করা হয়েছে বলে খবর। আজই সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আবেদন জানানো হবে। সোমবার ১১ টায় বৃহত্তর বেঞ্চে জামিন মামলার যে শুনানি হওয়ার কথা, সিবিআই তা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছে। ১৭ মে বিনা নোটিসে বাড়ি থেকে প্রথমে আটক করা হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেজে। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই আদালতে তোলা হলে প্রথমে জামিন মঞ্জুর হলেও নাটকীয়ভাবে সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। ফলে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় চার হেভিওয়েটকে। ধৃতদের জামিনের আবেদন করেন করেন তাঁদের আইনজীবীরা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্যায় জামিনের পক্ষে থাকলেও বিরোধিতা করেন রাজেশ বিন্দল। এরপরই ধৃতদের জেল হেপাজত থেকে রেহাই দিয়ে তাঁদের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে জামিন মামলার নিষ্পত্তির গঠন করা হয় বৃহত্তর বেঞ্চ।বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বেলা ১১ টায় এই বৃহত্তর বেঞ্চে জামিন মামলার শুনানি হওয়ার কথা। তবে তার আগেই শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে হাইকোর্টের শুনানি অনিশ্চয়তার মুখে।

মে ২৪, ২০২১
দেশ

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে আর্জি সুপ্রিম কোর্টে

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল আবেদন। বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার কথা উল্লেখ করে বিজেপি নেতারা এতদিন অস্ফুটে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছিলেন। কার্যত তাঁদের সেই দাবিকেই এবার সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরলেন আইনজীবী ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে ৩৫৬ ধারা জারির নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবীর দাবি, বাংলায় আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। যেভাবে শাসকদলের কর্মী এবং শাসক দল আশ্রিত গুন্ডারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণ করছেন, সেটা শুধু অমানবিক এবং বেআইনিই নয়, এটা তালিবানি শাসনের প্রতীক। আবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আদালত যেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে ওই কমিটিকেই বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। ঘনশ্যাম উপাধ্যায় দাবি করেছেন, ২ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বাংলায় ১৬ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই মামলায় অংশীদার হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নাম দাখিল করেছেন মামলাকারী ঘনশ্যাম উপাধ্যায়।প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। তবে, তাঁদের থেকেও বেশি সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে তথাকথিত হিংসা কবলিত এলাকাগুলি খতিয়ে দেখতেও গিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে খানিকটা হুঁশিয়ারির সুরেই রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায়, ভারতের সংবিধান অনেক শক্তিশালী। দয়া করে সংবিধান মতো পদক্ষেপ করতে বাধ্য করবেন না। তবে এখানে বলে রাখা দরকার, কলকাতা হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একটি মামলা ইতিমধ্যেই চলছে। এবং সেই মামলায় হিংসা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসাও করেছে আদালত।

মে ২০, ২০২১
দেশ

অসমের নাগরিকপঞ্জি ফের যাচাইয়ের জন্য আবেদন সুপ্রিম কোর্টে

অসমের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) খতিয়ে দেখার জন্য ফের আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। সে রাজ্যের এনআরসি কো-অর্ডিনেটর হিতেশ দেব শর্মা শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় কিছু গুরুতর অনিয়ম চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই ওই তালিকা ফের যাচাই করা প্রয়োজন।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও তদারকিতে তৈরি হওয়া এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া তালিকা ২০১৯-এর ৩১ অগস্ট প্রকাশিত হয়। তাতে অসমের ৩ কোটি ৩০ লক্ষ আবেদনকারীর প্রায় ১৯ লক্ষ ৭ হাজার বাসিন্দার নাম বাদ গিয়েছে বলে অভিযোগ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে ফের একবার তার যাচাইয়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু ২০১৯-এর ১২ অগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে হিতেশ জানিয়েছেন, অনেক তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার যোগ্য অনেক নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি অসমের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে যে শরণার্থীরা চলে এসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কারণ, এনআরসি কর্তৃপক্ষ তাঁদের পেশ করা শরণার্থী শংসাপত্রকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করেনি। প্রসঙ্গত, অসম সরকার এবং কেন্দ্র এর আগে অভিযোগ তুলেছিল অনেক অযোগ্য ব্যক্তির নামও এনআরসি-র খসড়া তালিকায় স্থান পেয়েছে।অসমের পূর্বতন বিজেপি সরকার এর আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ২০ শতাংশ এবং অন্যত্র ১০ শতাংশ নাগরিকের নথিপত্র ফের যাচাই করা হবে। এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে অসমের কিছু বাংলাভাষী এবং সংখ্যালঘু সংগঠন। যদিও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এনআরসি-ভুক্ত নাগরিকদের নথিপত্র ফের যাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছেন হিতেশ। তাঁর যুক্তি, আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী রাজ্য অসমের অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রশ্নটি এ ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ।

মে ১৩, ২০২১
দেশ

এখনই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না , সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে বিজেপি

বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলায় মুকুল রায়, অর্জুন সিংদের স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট।রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন অর্জুন সিং, মুকুল রায়-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। মামলাকারীদের দাবি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক একাধিক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এই মামলাগুলির তদন্ত সিবিআইয়ের মতো কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে করানো হোক। আরও পড়ুন ঃ বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ডাকটিকিট উন্মোচন করল কেন্দ্রীয় সরকার এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, বাংলায় এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়াটাই ফৌজদারি অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, যতক্ষণ পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি হচ্ছে, ততক্ষণ মুকুল রায়, অর্জুন সিং-এর মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। বক্তব্য জানতে চেয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিসকে নোটিশ দিল শীর্ষ আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রীরামপুরে বিজেপি নেতা কবীর শঙ্কর বসুকে হেনস্থার ঘটনায় সিআইএসএফের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
কলকাতা

মার্চে ভোট করতে চেয়ে কমিশনকে  চিঠি দিয়ে জানাল রাজ্য

মার্চে কলকাতা পুরসভার ভোট হতে পারে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিল সরকার। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হল, মার্চে হতে পারে পুরভোট। চিঠি আরও জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তারপর পুরনির্বাচনের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে খানিকটা সময় লাগবে। ওয়ার্ড বিন্যাস, সংরক্ষণ সম্পূর্ণ করতে অন্তত মাসখানেক সময় প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্চ মাসের শেষে ভোট হতে পারে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, পুরভোটের জন্য প্রস্তুত দল। আরও পড়ুন ঃ শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্যায়ে মানবিক প্রকল্প আগামী ১৭ তারিখ এই চিঠিই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা পুরসভায় ভোট হলেও এখনই রাজ্যের অন্য কোনও পুরসভার ভোট হবে না বলেই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। কলকাতা পুরসভায় দ্রুত নির্বাচন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদ কুমার সিং। সেই মামলায় ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যকে পুরসভার ভোটের নির্ঘন্ট জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
কলকাতা

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

আদালতের নির্দেশের জেরে রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ ছটপুজো। রবীন্দ্র সরোবরের ৩ নম্বর গেটের সামনে শুক্রবার সকালে একদল পুণ্যার্থী জমা হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুজো করতে দেওয়ার দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা। যদিও আদালতের নির্দেশের কথা উঠলে তারা জানান, পুণ্যার্থীদের দাবি, মাত্র ছঘণ্টার মধ্যে ছটপুজো সেরে নেওয়া সম্ভব। আর সামান্য সময়ে ছটপুজো করলে কোনও সমস্যা হবে না। রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার অনুমতি না মিললে মূল দরজার সামনেই ছটপুজো করা হবে বলে জানিয়ে দেন তারা। এছাড়াও তারা বলেছেন, প্রতি বছর এখানেই পুজো করেছেন তারা। তাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে পুজো করেছেন। এভাবে তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা বোঝাতে গেলে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। যাতে কেউ আদালতের নির্দেশ অমান্য করতে না পারেন তাই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গত , গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো। তারপর এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে পরিবেশ আদালতের কাছে কেএমডিএ আবেদন করেছিল , শর্তসাপেক্ষে লেকে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় , কোনও শর্তেই লেকে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। গত ১০ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতই শেষ কথা বলবে। সেই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ না দেওয়া হলে রবীন্দ্র সরোবরে এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। এই আবেদনের শুনানি ২৩ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ ছট পুজো হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।

নভেম্বর ২০, ২০২০
দেশ

রাজ্যের সম্মতি ছাড়া কোনও তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই , নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

রাজ্যের সম্মতি ছাড়া কোনও তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট করে দিল বৃহস্পতিবার। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে উত্তর প্রদেশের সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দায়ের হয়েছিল৷ আরও পড়ুন ঃ কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে খতম চার জঙ্গি এই মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, আইন অনুযায়ী, রাজ্যের সম্মতি ছাড়া সিবিআইকে কোনও মামলায় নিয়োগ করতে পারে না কেন্দ্র৷ এ বিষয়ে রাজ্যের সম্মতি বাধ্যতামূলক৷ সংবিধানে উল্লেখিত যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই আইন তৈরি করা হয়েছে৷ এই আইনটি সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেও জানিয়েছে বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং বিচারপতি বি আর গভাইয়ের বেঞ্চ।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
কলকাতা

রবীন্দ্র-সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কো্র্টের

রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে মামলা হয়েছিল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে। অনুমতি না মেলায় কেএমডিএ আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রায়কে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে শুক্রবার রবীন্দ্র সরোবর বা সুভাষ সরোবরে ছটপুজো হবে না। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো। তারপর এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে পরিবেশ আদালতের কাছে কেএমডিএ আবেদন করেছিল , শর্তসাপেক্ষে লেকে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় , কোনও শর্তেই লেকে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর সঙ্গে মান-অভিমান চলছে তৃণমূলেরঃ দিলীপ গত ১০ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতই শেষ কথা বলবে। সেই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ না দেওয়া হলে রবীন্দ্র সরোবরে এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। এই আবেদনের শুনানি ২৩ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগামীকাল ছট পুজো হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্ট এবং জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ে কোনও সংশোধন হবে না বলে জানিয়ে দেন তিন বিচারপতি।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট

সাসপেন্ডেড সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ৮ বছর পর নিজের জেলায় যেতে পারেন সিপিএম - এর এই প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি এলাকায় ফিরলে ফের অশান্তি হতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সুশান্ত ঘোষকে জেলায় ঢোকার অনুমতি দিল। তিনি জেলায় ফিরতে পারবেন শুনে উচ্ছাসে ফেটে পড়েন সিপিএমের নিচুতলার কর্মীরা। আরও পড়ুন ঃ বিধানসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়েই লড়বে বাম- কংগ্রেস উল্লেখ্য , ২০১১ সালে বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে গ্রেফতার হন তিনি। পরের বছর জামিন পেলেও এতদিন জেলায় ঢোকার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। সোমবার সেই অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে দলবিরোধী কাজের জন্য সিপিএম সুশান্ত ঘোষকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে। ডিসেম্বর মাসে তার শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
দেশ

অবশেষে জামিন পেলেন অর্ণব গোস্বামী

অবশেষে জামিন পেলেন এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে আরও দুই অভিযুক্তকে বুধবার জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি জেল প্রশাসন ও কমিশনারকে শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে , তারা যেন দু দিনের মধ্যে অর্ণবের মুক্তির ব্যবস্থা করে। প্রসঙ্গত , দুদিন আগে বম্বে হাইকোর্ট অর্ণব গোস্বামীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন নাকচ করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই সাংবাদিকের আইনজীবীরা। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সেই আরজির শুনানি হয়। শুনানি শেষে ধৃত তিনজনের আরজি মঞ্জুর করে আদালত। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিন অভিযুক্ত। এদিন অর্ণবের আইনজীবী হরিশ সালভে সওয়াল করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য অর্ণবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুনানিতে মহারাষ্ট্র সরকারকে কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতিরা। তাঁদের কথায়, সরকারের ভিন্ন মত থাকতেই পারে। তা বলে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে নিশানা করা যায় না। রাজ্য সরকার যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নিশানা করে তাহলে তাদের মনে রাখা উচিৎ, ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করতে শীর্ষ আদালত রয়েছে। একই সঙ্গে হাই কোর্টের উদ্দেশ্যে তাঁদের কড়া বার্তা, ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার্থে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। এদিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ভিন্ন মত থাকতেই পারে। কিন্তু তা বলে সাংবিধানিক আদালত যদি হস্তক্ষেপ না করে, তা হলে আমাদের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। আরও পড়ুন ঃ বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বলের সওয়াল চলাকালীন বিচারপতি চন্দ্রচুড় বলেন , ৩০৬ ধারার অন্তর্গত প্ররোচনার জন্য আত্মহত্যার ক্ষেত্রে প্রকৃ্ত প্ররোচনা থাকতে হয়। কেউ অন্যজনের থেকে টাকা পাবেন , আর তিনি আত্মহত্যা করলেন। সেটা কিভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা হবে। তারা আরও বলেন , আমরা ধরে নিচ্ছি , এফআইআরে যা অভিযোগ করা হয়েছে , তা ধ্রুবসত্য , তারপরেও কি এক্ষেত্রে ৩০৬ ধারায় মামলা করা যায় ? এখানে দেখা যাচ্ছে , অভিযুক্ত অর্থ মেটাননি আত্মঘাতীকে। ওই কারণেই আত্মহত্যা করেছেন। এর মানে প্ররোচনা দেওয়া হতে পারে কি ? আর সেই কারণে যদি কাউকে জামিন না দেওয়া হয় , তাহলে সেটা কি প্রহসন নয় , প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা।

নভেম্বর ১১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

আরজি কর কাণ্ডের একবছরে নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, অঘোষিত এমার্জেন্সি দেখছে শুভেন্দু

নবান্ন অভিমানকে কেন্দ্র করে শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। অভয়ার মৃত্যুর বিচার চেয়ে এক বছরে নবান্ন অভিমানের ডাক দিয়েছিল তাঁর বাবা-মা। সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পদযাত্রা থেকে অভয়ার বাবা ও মাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। এদিকে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যেন অঘোষিত ইমারজেন্সি জারি করেছে মমতা পুলিশ। গত বছর আজকের দিনে কর্তব্যরতা তরুণী চিকিৎসক বোন অভয়া খুন ও ধর্ষণ হন। তার ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে অভয়ার বাবা ও মা তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝেনিতে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান নবান্ন যাওয়ার।উক্ত কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট অনুমোদিত কর্মসূচি। নিরীহ, নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের উপর মমতা পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। গুরুতর আহত হন অভয়ার বাবা ও মা সহ অনেকেই। তাদেরকে সুচিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তার দলদাস প্রশাসন ন্যায় বিচার দিতে পারে না অথচ এই একপেশে অত্যাচার করে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আর সহ্য করবে না। এবার এর বদল হবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি অযথা রাজনীতি করেছে বিজেপি। সেই ফাঁদে পা দিয়েছে অভয়ার বাবা, মা।

আগস্ট ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল সিএবি যুগ্ম সচিবের, জানুন কারণ

সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের। টাউন ক্লাবে খেলানো থেকে বাংলা দলে সুযোগ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, সিএবিকে টিকিট বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা না মেটানো-সহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য মহাদেব চক্রবর্তী, সিএবির সাব কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার কথা ছিল গতকাল অ্যাপেক্স কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে। অভিযুক্ত সদস্যরা বৈঠকে থাকতে পারবেন বলেও আগেই সিদ্ধান্ত হয়।সিএবি সূত্রে খবর, দেবব্রত দাসকে বলা হয়েছে, টিকিট বাবদ বকেয়া অর্থ ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে। সেই জবাব এলে তা পাঠানো হবে ওম্বুডসম্যানের কাছে।প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শেষ হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত জানাবেন ওম্বুডসম্যান। প্রবীরের বিরুদ্ধে উয়াড়ি ক্লাব কী পদক্ষেপ করবে বা কোন পথে আইনি লড়াই চলবে সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না সিএবি। তবে সিএবির তরফে বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে কতটা ব্যবহৃত হয়েছে সেই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না আসা অবধি উয়াড়ি ও এরিয়ান ক্লাবের জন্য আর্থিক অনুদান বন্ধ থাকবে।অম্বরীশের নামে যে আইনজীবী চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছিলেন তিনি তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই বিষয়ে আর আলোচনা হয়নি। মহাদেব অ্যাপেক্স কাউন্সিলে নিয়ম মেনে এসেছিলেন কিনা সে বিষয়েও আর জলঘোলা হয়নি তিনি কলকাতা পুলিশ থেকে অবসর নেওয়ায় এবং বর্তমান অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায়। ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর লিগ ফাইনালে যে অবাঞ্ছিত বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছিল তার জন্য দুই আম্পায়ার, পর্যবেক্ষক ও কয়েকজন ক্রিকেটারের শাস্তি হয়েছে। ওই পর্যবেক্ষক ও আম্পায়াররা আর পরের বছর লিগ ফাইনাল খেলাতে পারবেন না। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল-সহ কয়েকজন ক্রিকেটারকে খান চারেক লিগ ম্যাচে দেখা যাবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধির লেভেল থ্রি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার পরেই কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

আগস্ট ০৬, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভালে ইতিহাস! 'নেভার গিভ আপ' আর 'বিলিভ' মন্ত্রেই শুভমান-সিরাজদের বাজিমাত

ওভালে ইতিহাস গড়ল ভারত। ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। যা টেস্টে গত একশো বছরে দেখেনি ওভাল। টেস্টে রানের নিরিখে এটিই ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়। যার ফলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২-২। প্রতিটি টেস্ট পঞ্চম দিন অবধি গড়িয়েছে, যা টেস্ট ফরম্যাটের সেরা বিজ্ঞাপন।আজ শেষদিন টেস্ট জিততে ভারতের দরকার ছিল চার উইকেট, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। জেমি স্মিথ আর জেমি ওভার্টনকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। জশ টং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার। এরপর এক হাতে ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামেন ক্রিস ওকস। কাঁধের হাড় সরেছে ফিল্ডিং করতে গিয়ে। দৌড়ে রান নেওয়ার সময় যন্ত্রণা ধরা পড়ছিল তাঁর অভিব্যক্তিতে। তবে ব্যাট করতে হয়নি। গাস অ্যাটকিনসন মরণপণ চেষ্টা করছিলেন। যদিও মহম্মদ সিরাজের পারফেক্ট ইয়র্কার ভারতকে উপহার দিল স্মরণীয় জয়। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের সিরিজ জেতার সম্ভাবনা জোরালো করেছিল। যদিও ৬৬ রানের মধ্যে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড থামল ৩৬৭ রানে। শেষ ৬ উইকেটের পতন ৩৫ রানের মধ্যে।মহম্মদ সিরাজ পাঁচটি টেস্টেই খেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন। সিরিজে সর্বাধিক উইকেটশিকারী। সিরাজ বললেন, গতকাল যদি ব্রুকের ক্যাচটা নিতে পারতাম তাহলে খেলা আজ অবধি গড়াত না। ওই ক্যাচ পড়ার পর ব্রুক টি২০ মেজাজে খেলতে থাকেন। ফলে ওটা ম্যাচ চেঞ্জিং মোমেন্ট হতে পারতো। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আমিই জেতাতে পারব। বিলিভ লেখা ইমেজ গুগল থেকে নামিয়ে ওয়ালপেপারে রেখেছিলাম দলকে জেতানোর অঙ্গীকার করে।লর্ডস টেস্টে ভারত হেরেছিল। মহম্মদ সিরাজ রক্ষণাত্মকভাবে খেলার পরেও বল গড়িয়ে উইকেটে লেগে বেল পড়েছিল, জেতে ইংল্যান্ড। আজ সেই সিরাজ শেষ উইকেট পেলেন অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে। সিরাজের কথায়, সেদিন রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন ঠিকঠাক ডিফেন্স করতে আর প্রয়াত বাবার কথা মাথায় রাখতে, যাঁর জন্যে এই অবধি পৌঁছেছি। কিন্তু সেদিন পারিনি জেতাতে। আজ জিততে পেরে ভালো লাগছে। রবি শাস্ত্রী তো বলেই দিলেন, সিরাজ হায়দরাবাদে ফিরলে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া উচিত। আর ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ যথেষ্ট নয়!ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেল হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে আর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ হারের পর এই প্রথম গম্ভীরের প্রশিক্ষণাধীন ভারত টেস্ট সিরিজ ড্র করল। ভারতীয় শিবির ওভালে রুদ্ধশ্বাস টেস্ট জেতাকে সিরিজ জয় হিসেবেই ভাবছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই সিরিজ সেরা হলেন সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী গিল, ইংল্যান্ডের তরফে ব্রুক। শুভমান বলেন, দলে কৃষ্ণ, সিরাজের মতো বোলার থাকলে অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে যায়। উই নেভার গিভ আপ। অর্থাৎ শেষ অবধি নাছোড় লড়াই চালানোই যে তাঁদের মূল মন্ত্র সেটাও জানাতে ভুললেন না দল নিয়ে গর্বিত গিল। গিল যথার্থই বললেন, এই সিরিজে সব টেস্টের শেষদিনের শুরুতেও কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি কে জিতবে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস চোটের কারণে ওভালে খেলতে পারেননি। তিনি গিলের সঙ্গে সহমত যে, দুই দল যেভাবে এই সিরিজ খেলল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-সহ, তার যথার্থ প্রতিফলন ২-২ ফল হওয়া।

আগস্ট ০৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অভিমন্যুর অভিষেক আর কবে?

ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে করুণ নায়ার ০, ২০, ৩১, ২৬, ৪০, ১৪, ৫৭, ১৭ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বি সাই সুদর্শন ০, ৩০, ৬১, ০, ৩৮, ১১।তবু একের পর এক সিরিজে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হচ্ছে অভিমন্যু ঈশ্বরণকে। ভারতীয় এ দলের অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে যাঁর দুটি অর্ধশতরান ছিল। তবু তিনের কথা ভেবে অভিষেক ঘটানো হলো সাই সুদর্শনের। যাঁর ৩১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এখনও অবধি ২০৪৮ রান রয়েছে। সেখানে অভিমন্যু? ১০৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭৮৪১ রান করেছেন। ২৭টি শতরান, ৩১টি অর্ধশতরান। ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলেও আন্তর্জাতিক অভিষেকের জন্য তাঁকে ওয়েট করানো হচ্ছে। সুদর্শন তিন ফরম্যাটেই দেশের হয়ে খেলে ফেলেছেন। অভিমন্যুর চেয়ে অনেক পিছিয়ে থেকেও। এর পিছনে কোন ক্রিকেটীয় যুক্তি?সুদর্শন আইপিএল খেলেন, অভিমন্যু সুযোগ পাননি। তবে টেস্ট দলে সুযোগের মাপকাঠি তো আইপিএল হতে পারে না। সাই অক্টোবরে ২৪ বছর পূর্ণ করবেন। সেপ্টেম্বরে ৩০ হবে অভিমন্যুর। করুণ ৩৪ পূর্ণ করার পথে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করার পর ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান হাঁকিয়ে টেস্ট দলে করুণ কামব্যাক নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনে হোক বা মিডল অর্ডারে করুণের অবস্থা বেশ করুণ। ফলে তাঁকে এবার বসানো যেতেই পারে।গৌতম গম্ভীরের পছন্দ, অপছন্দ বড় কথা নয়। প্রথম একাদশ নির্বাচনে যোগ্যতা, পারফরম্যান্স হোক মাপকাঠি। শুভমান গিলের গুজরাত টাইটান্সে খেলার সুবাদে সুদর্শন ব্যর্থ হয়েও খেলে যাবেন, আর অভিমন্যুকে জল বয়ে বেড়াতে হবে বা পরিবর্ত হিসেবে ফিল্ডিং করতে হবে এটা মানা যায় না। ২০২২ সালে রোহিত শর্মা চোট পাওয়ায় বাংলাদেশ সিরিজে অভিমন্যুর টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হয়নি। অথচ সেই সময় থেকে আজ অবধি ১৫ জনের টেস্ট অভিষেক হয়েছে। অভিমন্যুকে বসে বসে তা দেখতে হয়েছে।অংশুল কম্বোজকে ডাকা হলো। কিন্তু কেন ডাকা হলো না মুকেশ কুমারকে? ভারত এরপর দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলবে। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিপক্ষ। লোকেশ রাহুল আর যশস্বী জয়সওয়াল ওপেনার হিসেবে আপাতত জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। কিন্তু তিনে ভরসাযোগ্য কাউকে এখনও পাওয়া যায়নি। এই আবহে অবিলম্বে সুযোগ দেওয়া হোক অভিমন্যুকে। পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হলে না হয় অন্য কাউকে সুযোগ দেবেন। কিন্তু অভিমন্যুকে এবার টেস্টের প্রথম এগারোয় না নেওয়া হলে তা হবে অন্যায়। না হলে কীসের রঞ্জি, ইরানি বা দলীপ, কিংবা ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলা! যে যেভাবে পারেন অভিমন্যুর জন্য জোরালো দাবি উঠুক।

আগস্ট ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal