• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

RAM

কলকাতা

Mukul Roy-PAC: মুকুলের পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্তের সময়সীমা দিল হাইকোর্ট

বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায় বহাল থাকবেন কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিধানসভার স্পিকারকে নিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যেই বিধানসভার স্পিকারকে ওই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত ২৪ অগস্ট এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, পিএসি চেয়ারম্যান হতে কি কোনও রাজনৈতিক ছাড়পত্র লাগে? তিনি এও জানতে চান, পিএসি-র চেয়ারম্যান কি বিরোধী দল থেকে করাটাই নিয়ম? সরকার ও মামলাকারীর আইনজীবী উভয় পক্ষের কাছেই এ বিষয়ে মতামত চেয়েছিলেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুর উপনির্বাচন: নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা হাইকোর্টেরপিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। দলত্যাগী বিধায়ক মুকুলের চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপি-র। রাজ্য বিজেপি-র নেতারা ওই পদ থেকে মুকুলের অপসারণ চাইছেন। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। বিজেপি-র অভিযোগ, পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলকে নিয়োগ করতে গিয়ে বিধানসভার কার্যবিধির ৩০২ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ রাজ্যে আগে এমন নজির নেই। বিরোধী দলের বিধায়ক অম্বিকার দাবি, পিএসি-র শীর্ষ পদে দলত্যাগী মুকুলের নিয়োগ অবৈধ। প্রথা অনুযায়ী, ওই পদ বিরোধী দলের প্রাপ্য। বিজেপি কোনওভাবেই তাঁর নাম পিএসি সদস্যদের তালিকায় রাখেনি, এই তথ্যই আদালতের আবেদনে তুলে ধরেছেন বিজেপি বিধায়ক।কিন্তু মুকুলের বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার স্পিকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেন সে দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Road Collision: ডাম্পার-বাইকের সংঘর্ষে কেতুগ্রামে, মৃত ১,আহত ১

ডাম্পার ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। জখম হয়েছে বাইকের অপর আরোহী। রবিবার বেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে কেতুগ্রাম- বোলপুর রোডে। মৃতের নাম আল্লারাখা শেখ(১৮)। তাঁর বাড়ি কেতুগ্রামের কাজীপাড়া এলাকায়। জখম বাইক আরোহী রবিউল শেখকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চালকসহ ঘাতক ডাম্পারটি আটক করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মোটরবাইকে চড়ে এদিন বেলায় আল্লারাখা শেখ ও রবিউল শেখ কেতুগ্রাম- বোলপুর রোড ধরে কেতুগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। বাইক চালাচ্ছিল রবিউল। কেতুগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি ডাম্পারের সঙ্গে বাইক আরোহীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখনই বাইক চালকের পিছনে বসে থাকা আল্লারাখা ডাম্পারের চাকার নিচে পড়েগিয়ে পিষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। জখম হয় বাইক চালক রবিউল শেখ।স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
রাজ্য

Wall Crushed : মাটির বাড়ির দেওয়ালের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু এক, জখম দুই

ভেঙে পড়া মাটির বাড়ির দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। জখম হয়েছেন বধূর স্বামী ও ছেলে। মঙ্গলবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার পলিগ্রামের থান্ডার পাড়ায়।মৃত বধূর নাম রাখি থান্ডার (৩৫)। ঘটনায় জখম বধূর স্বামী সুপল থান্ডার (৪০) ও ছেলে তন্ময় থান্ডার (১১) বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত বধূর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। বধূর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।আরও পড়ুনঃ আইপিএলে আবার করোনার হানা, আক্রান্ত টি নটরাজনপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক ভাবে দুর্বল সুপল থান্ডারসহ তাঁর পরিবারের আটজন সদস্য মাটির দোতলা বাড়িতে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার রাতে মাটির বাড়ির দোতলার ঘরে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে বাড়ির দোতলার অংশ হাঠাৎতই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়া মাটির বাড়ির দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে যান রাখি থান্ডার এবং তাঁর স্বামী ও ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন মাটির ভাঙা দেওয়াল সরিয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়েযায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাখিদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় বধূর স্বামী সুপল থান্ডার ও ছেলে তন্ময় থান্ডারকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মহাদেব পাল জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মাটির বাড়িটি দুর্বল হয়ে পড়াতেই ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দরিদ্র পরিবারটির দিকে সবরকম সাহায্য সযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
রাজ্য

Women Murder: মুখ থেঁতলানো মহিলার পরিচয় মিলল, খুনির খোঁজে পুলিশ

কোমরের পুঁটুলির মধ্যে থাকা কাগজের টুকরোয় লেখা ছিল কিছু ফোন নম্বার। তার সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই মুখ থেঁতলে প্রাণে মেরে দেওয়া মহিলার পরিচয় উদ্ধার করতে সক্ষম হল। রবিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রামের জলেশ্বরতলা এলাকার একটি বাঁশ বাগান থেকে পুলিশ মুখ থেঁতলানো এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার রক্তাত দেহ উদ্ধার করেছিল। মঙ্গলবার পুলিশ জানতে পেরেছে ওই মহিলার নাম সুখী মাণ্ডি (৪৭)। তাঁর স্বামীর নাম সাধন মাণ্ডি। তাঁরা জেলার মেমারি থানার নিমো ১ পঞ্চায়েতের পলশা গ্রামের বাসিন্দা। যদিও কারা, কি উদ্দেশ্যে মহিলাকে খুন করলো সেই বিষয়টি এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ মহিলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। পুলিশের দাবি খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে খুনিরা।আরও পড়ুনঃ মুখ থেঁতলানো রক্তাক্ত মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য জামালপুরেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জৌগ্রামের জলেশ্বর শিব মন্দির সংলগ্ন সেচ ক্যানেল পাড়ে রয়েছে বাঁশ বাগান। রবিবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা ওই বাঁশ বাগানে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। মহিলার মুখের অংশ থেঁতলানো ছিল। তাঁর কারণে কেউ মহিলার পরিচয় জানাতে পারছিলেন না। ওই দিন প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিৎ হয় মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করে কেউ মৃতদেহ বাঁশ বাগানে ফেলে দিয়ে পালিয়েছে। এরপরেই পুলিশ মহিলার পরিচয় উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালায়।আরও পড়ুনঃ এখনই নেই রেহাই, আজও ভারী বৃষ্টির সতর্কতাএসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খাঁন জানিয়েছেন, জৌগ্রামের জলেশ্বরতলা এলাকা থেকে যে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই মহিলার ছবি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও মহিলার কোমরের মধ্যে থাকা পুঁটুলি থেকে উদ্ধার হয় একটি কাগজের টুকরো। ওই কাগজে কিছু ফোন নম্বার লেখা ছিল। সেই ফোন নম্বারের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে মহিলার পরিচয় উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। মহিলার স্বামীর নামও জানা গিয়েছে। পরিবারের লোকজন এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে গিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করে এসেছেন। খুব শীঘ্র মহিলাকে খুনের ঘটনায় জড়িতরাও ধরা পড়বে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ চিকিৎসাধীন রোগীর তান্ডবের হিসেব-নিকেশ, ১৫ লাখ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্টপলশা গ্রামের বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে, সাধন মাণ্ডির বাড়ি পলশা গ্রামের সাপার পাড়ায়। সাধন মাণ্ডি পেশায় ট্র্যাক্টর চালক। তাঁরই দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সুখী। সাধনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কোনও সন্তান নেই। সুখীর দুটি পুত্র সন্তান। একজনের বয়স ১৫-১৬ বছর। অপর জনের বয়স ১২-১৩ বছর হবে।সুখীর বড় ছেলে সম্প্রতি নিজের পছন্দের ময়েকে বিয়ে করেছে। স্থানীয়রা জানান, সুখী সাপার পাড়ায় থাকতেন না। তিনি থাকতেন নবস্তা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অপর গ্রাম গাঙ্গুয়ায়। পারিবারিক অশান্তির কারণে মহিলা খুন হয়েছেন নাকি খুনের ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোন কারণ রয়েছে তা এলাকাবাসীর কাছেও পরিস্কার নয়। পুলিশ মহিলাকে খুনের কারণ খতিয়ে দেখছে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
রাজ্য

Superi Killers: আউশগ্রামে তৃণমূল যুবনেতাকে খুনে ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই সুপারি কিলার

সুপারি কিলারদের দিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের আশঙ্কাই শেষপর্যন্ত সত্যি হল। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের তৃণমূল যুবনেতা চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লো দুই সুপারি কিলার। ধৃতরা হল মহম্মদ ইমরান কুরেশি ও শেখ শের আলি। ধৃতদের মধ্যে ইমরানের বাড়ি দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ের কাছে ভবানীপল্লিতে। আর অপর ধৃত শের আলির বাড়ি বীরভূম জেলার দুবরাজপুর এলাকায়। খুনের ঘটনার মূল চক্রী আসানুল মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আউশগ্রাম থানার পুলিশ দুই সুপারি কিলারের নাম জানতে পারে। তারপরেই শুক্রবার আউশগ্রাম থানার পুলিশ দুই দলে ভাগ হয়ে দুর্গাপুর ও বীরভূমের সাঁইথিয়ায় হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।পুলিশের দাবি, ধৃতরা তৃণমূলের যুব নেতা চঞ্চল বক্সিকে খুনের কথা কবুল করেছে। তৃণমূলের যুব নেতাকে খুনের ঘটনায় এই নিয়ে আট জন গ্রেপ্তার হল। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল বিহারের মুঙ্গেরের দুই অস্ত্রকারবারী মহম্মদ ইনতিয়াজ ও মহম্মদ পাপ্পু। ঝাড়খণ্ডে ধরা পড়া এই দুই অস্ত্র কারবারী তৃণমূলের যুব নেতাকে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেআস্ত্র সরবরাহ করেছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ তদন্তের প্রয়োজনে ১২ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। সিজেএম ধৃতদের ৮ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর গেরাই থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুস্কৃতীদের হাতে গুলিতে খুন হন দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সির ছেলে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা চঞ্চল বক্সি। দুই বর্ধমান জেলার পুলিশ সিট গঠন করে এই খুনের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক সপ্তাহের মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েতের সদস্য আসানুর মণ্ডলকে। ধরা পড়ে দেবশালা পঞ্চায়েতের সদস্য মনির হোসেন মোল্লা এবং তৃণমূলের দেবশালা অঞ্চল সভাপতির ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডল। তাদের জেরা করে পুলিশ ভাতকুন্ডা গ্রামের আয়ূব খান নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর ধৃতদের জেরা করে বৃহস্পতিবার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকা থেকে মহম্মদ পাপ্পু ও মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে পিন্টু নামে দুই দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করে। খুনের পর তারা ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে দুই সুপারিকিলারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
রাজ্য

Nandigram Blast: বল ভেবে খেলতে গিয়েই কেঁপে উঠল পরিত্যক্ত বাড়ি, ছিটকে পড়ল রক্ত

শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নন্দীগ্রাম। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালিকার। জখম হয়েছে আরও দুই শিশু। একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর-১ অঞ্চলের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বল ভেবে খেলতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয়দের তরফে জানানো হয়েছে। আরও পড়ুনঃ দাম কমছে না পেট্রোপণ্যের, রাজ্যের আপত্তিতে পেট্রোল-ডিজেলে বসছে না জিএসটিকালীচরণপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির জাদুবাড়ি চক। সেখানে জাকির শা নামে এক ব্যক্তির একটি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা আটটা নাগাদ এলাকার তিন শিশু খেলার সময় ওই বাড়িতে ঢোকে। সেখানেই বল ভেবে একটি গোলাকার বস্তুকে হাতে তুলতেই ভয়ঙ্কর শব্দে সেটি ফেটে যায়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ওদিকে তিন শিশুর চিল চিৎকার শুনে ছুটে আসেন বাড়ির লোকজন। দেখা যায়, বাড়ির সামনে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ন থেকে দশ বছরের মধ্যে এক নাবালিকা মাটিতে পড়ে ছটফট করছে। স্থানীয়রা কোনও মতে তাঁকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাকি দুজনের মধ্যে একজনের মাথায় চোট লেগেছে। অপরজনের আঘাত গুরুতর। পায়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পায়ে ব্যান্ডেজের পাশাপাশি অক্সিজেনও দিতে হয়েছে তাকে। এই বাড়িতে কে বা কারা বোমা রেখে গিয়েছিল, তা খুঁজতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সঙ্গে রয়েছে চাপা আতঙ্কও।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
দেশ

GST: দাম কমছে না পেট্রোপণ্যের, রাজ্যের আপত্তিতে পেট্রোল-ডিজেলে বসছে না জিএসটি

জ্বালানি তেলের দাম দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা সাধারণ মধ্যবিত্তর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও খুশির খবর শোনা যায়নি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে। সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি না এলেও, এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে কমছে না পেট্রল-ডিজ়েলের দাম।আরও পড়ুনঃ মোদির জন্মদিনে রাজ্যপালের বৃক্ষরোপণআজ জ্বালানি তেলকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে। অনেকেই আশা করে ছিলেন, পেট্রল-ডিজ়েলের উপর জিএসটি বসানো হলে, লিটার পিছু দাম অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু সূত্রের খবর, তেমন কিছুই হচ্ছে না। আপাতত, সেঞ্চুরির ঘর থেকে নামার কোনও লক্ষ্মণ নেই পেট্রলের।আজ সকালে লখনউতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শুরু হয়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু এই প্রস্তাবের বিরোধিতে একযোগে সরব হয়েছে সব রাজ্যগুলিই। বাদ পড়েনি খোদ বিজেপি শাসিত রাজ্যেগুলিও। তাই আপাতত পেট্রল ও ডিজেল জিএসটির আওতার বাইরেই থাকছে। যার জেরে জ্বালানির দাম কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ৪৫তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে এদিন সংবাদমাধ্যমর নির্মলা জানিয়েছেন, করোনার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও বেশ কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দামি ওষুধে জিএসটি ছাড় দেওয়া হয়েছে। কর ছাড় দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু জীবনদায়ী ওষুধেও। একইসঙ্গে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত করোনার ওষুধে কর ছাড়ের কথাও জানান তিনি।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
দেশ

Modi's Birhtday: নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ৭১তম জন্মদিন পালন

আজ প্রধানমন্ত্রীর ৭১ তম জন্মদিন। দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। বারাণসী থেকে পশ্চিমবঙ্গ, সর্বত্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে সেবা ও সমর্পণ অভিযান পালন করবে বিজেপি শিবির। প্রতি বছর এক সপ্তাহের জন্য সেবা দিবসে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। এই বছর তা বাড়িয়ে টানা ২০ দিনের মেগা কর্মসূচিতে দেশজুড়ে কোমর বেঁধে নামছে বিজেপি নেতৃত্ব। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি।আরও পড়ুনঃ অজানা জ্বরের কারণ জানতে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীরদেশজুড়ে একদিনে কমপক্ষে দেড় কোটি মানুষকে টিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের হাইকম্যান্ডের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, কুড়ি দিনব্যাপী বিভিন্ন স্বাস্থ্যশিবির, সচেতনতা অভিযান ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন, প্রায় ১৪ কোটি গরিবদের বিনামূল্যে রেশন প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি এদিন মোদির ২০ বছরের রাজনৈতিক যাত্রার নিয়ে চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।এছাড়াও নমোর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বারাণসীর ভারত মাতা মন্দিরে ৭১ হাজার মাটির প্রদীপ জ্বালানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া প্রায় ৫ কোটি পোস্টকার্ড পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন পোস্ট অফিস থেকে। কয়েকদিন আগেই এ রাজ্যে দিলীপ ঘোষ জানান, ৭১টি জায়গায় গঙ্গার ঘাট সাফাই, ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন-সহ নমো অ্যাপের মাধ্যমে মোদির জন্মদিনের নানান মুহূর্ত দেখানো হবে।জন্মদিনে মোদির পাওয়া উপহার ই-নিলামে তুলবে সংস্কৃতি মন্ত্রক। অলিম্পিক্স ও প্যারালিম্পিরক্সে পদকজয়ীদের সরঞ্জাম, অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছোট সংস্করণ-সহ একাধিক উপহার পেয়েছেন মোদি। আর সেই সমস্ত উপহার নিলামে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ নমামি গঙ্গা প্রকল্পে অনুদান তহবিলে দান করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
রাজ্য

Arrest: তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে আরও এক দুস্কৃতি

তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার পুলিশের জালে ধরা পড়লো আরও এক দুস্কৃতি। ধৃতের নাম আয়ুব খান। তার বাড়ি আউসগ্রামের ভাতকুন্ডা গ্রামে। সোমবার রাতে পুলিশ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আউশগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের প্রাক্তন যুব তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় এই নিয়ে গ্রেপ্তার হল চারজন। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ১৪ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বিচারক ধৃতকে ৬ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতরপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন আউসগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। এই ঘটনার তদন্তে নেমে আউসগ্রাম থানার পুলিশ রবিবার দেবশালা পঞ্চায়েতের দুই তৃণমূল সদস্য আসানুল মোল্লা, মনির হোসেন মোল্লা ও দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হিমাংশু মণ্ডলের ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। এরাই সুপারি কিলারদের দিয়ে চঞ্চল বক্সীকে খুন করায় বলে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিৎ হয়ে গিয়েছে। সুপারি কিলারদের নাগাল পেতে পুলিশ সোমবার ওই তিন ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে। তিন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনার পর থেকে আয়ুব খান খুনের ঘটনার মূল চক্রীদের সব খবরা খবর জানাচ্ছিল। এমনকি ঘটনার পর সুপারি কিলারদের পালাতে সাহায্য করার ব্যাপারেও আয়ুবের ভূমিকা ছিল বলে পুলিশ মনে করছে। আয়ুব সহ চার ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ খুনের ঘটনার বাকি ষড়যন্ত্রকারীদের জালে ভরার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ নিহতের বাবার আশঙ্কাই সত্যি, তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার গ্রেপ্তার দলেরই তিন কর্মী

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
রাজ্য

Chanchal Bakshi: নিহতের বাবার আশঙ্কাই সত্যি, তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার গ্রেপ্তার দলেরই তিন কর্মী

পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কাই সত্যি হল। পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন দলেরই তিন সদস্য। ধৃতরা আসানুল মোল্লা, মনির হোসেন মোল্লা এবং বিশ্বরূপ মণ্ডল। ধৃতরা দেবশালা অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে আসানুল ও মনির দেবশালা পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্য। অপর ধৃত বিশ্বরুপ মণ্ডল দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হিমাংশু মণ্ডলের ছেলে। রবিবার সন্ধ্যায় এই গ্রেপ্তারির কথা ঘোষণা করেন জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। সুপারিকিলারদের দিয়েই যে এই খুনের ঘটনা ঘাটানো হয়েছে সেই বিষয়ে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারাও একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতরএই গ্রেপ্তারির কথা এদিন জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে আউসগ্রামের রাজনৈতিক মহলে। সবাই বলছেন, নিহত চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীর আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। কারণ এই খুনের ঘটনা ঘটার পর তৃণমূলের অনেক নেতা বিজেপির দিকে আঙুল তুললেও তা মানেননি নিহত চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সী। তিনি প্রথম দিন থেকেই দাবি করে আসছিলেন তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনায় বিজেপি বা সিপিএমের কেউ জড়িত থাকতে পারে না। দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন যূব সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় শেষপর্যন্ত তৃণমূলের লোকজন গ্রেপ্তার হওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডল তাঁর ঘোষিত নিদান মতোই এবার ধৃতদের গুলি করে মারবেন!আরও পড়ুনঃ বাতিল টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আইসিসিকে চিঠি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডেরপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার আউসগ্রাম ২ ব্লকের গেঁড়াইয়ে হওয়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তার ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। চঞ্চল একদা দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। বৈঠক শেষে দুপুর ৩ টে নাগাদ বাবা ও ছেলে একটি বাইকে চেপে দেবশালা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন চঞ্চল। পথে আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার বর্ডার লাগোয়া গেঁড়াই-মানকর রোডে উলুগড়িয়া জঙ্গলের কাছে পিছু ধাওয়া করে এসে দুস্কৃতিরা তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ওই পরিস্থিতিতে শ্যামলবাবু বাইক থেকে পড়ে যান। চঞ্চলের বুকের পাঁজরে ও হাতে মোট তিনটি গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন স্থানীয় জামতারা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল বক্সীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খুনের ঘটনার পর দুই বর্ধমান জেলার পুলিশ সিট গঠন করে তদন্তে নামে। সিআইডিও ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় ধৃত তিন জনকে সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে তদন্তকারী অফিসাররা ১৪ দিন নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবদন জানাবেন। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ সুপারি কিলারের নাগাল পেতে চাইছে।আরও পড়ুনঃ রাগী ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণে বাঁচলেও মুখের একপাটি দাঁত খোয়ালেন এক শ্রমিকচঞ্চল বক্সী নিহত হওয়ার দুদিন বাদ তাঁর বাড়িতে যান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা আউসগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনি পুলিশকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন।একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল ওই দিন সংবাদ মাধ্যম ও দেবশালা অঞ্চলের বাসিন্দাদের জানিয়ে দেন , খুনিরা তাঁর দলের লোক হলে তাঁদের গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu Adhikari: উপনির্বাচনের আগেই মমতাকে নন্দীগ্রামের হার মনে করালেন শুভেন্দু

ভবানীপুর উপনির্বাচনে এবার সরাসরি মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ার মনোনয়ন জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের তাঁকে নিশানা করলেন বিরোধী নেতা। তাঁর কটাক্ষ, সারাজীবন মমতাকে নন্দীগ্রামের হারের যন্ত্রণা বইতে হবে।আরও পড়ুনঃ এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম বিদেশি স্লোভেনিয়ার আমির দারভগসেভিচশনিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে দলীয় রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে এসে শুভেন্দুর বক্তব্য, নন্দীগ্রামে ছুটে চলে এসেছিলেন ভোটে দাঁড়াতে, কয়েকজনের কথা শুনে হেরেছেন। আমাকে সহ্য করতে পারে না। প্রচণ্ড যন্ত্রণাযতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচবেন কানের কাছে সব সময় এই যন্ত্রণাই থাকবে যে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি। এ যন্ত্রণা আপনাকে পিছু ছাড়বে না। শুভেন্দু এরপর বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে যোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গকে তালিবানের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। একজন তৃণমূল প্রার্থী খেলা হবে নাম করে এক লক্ষ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করিয়েছেন। অপরদিকে আরেকজন বিজেপি প্রার্থী বাংলার অত্যাচারিত জনগণকে মাঠে ঘাটে ঘুরে ঘরে ঢুকিয়েছেন। অত্যাচারিত মানুষদের পাশে থেকেছেন। ভবানীপুরের লড়াই কার্যত ভোট পরবর্তী অশান্তির বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াই অভিজিৎ সরকারের মায়ের চোখের জলের লড়াই। মানুষকে ঠিক করতে হবে, ভবানীপুরের মানুষ লক্ষাধিক মানুষকে ঘরছাড়া করা, নারীদের সম্ভ্রম লুঠ করা তৃণমূলের পাশে থাকবে নাকি অভিজিত্ সরকারের মতো মানুষদের পাশে থাকবে।উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯৬৫ ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে শুভেন্দু ফের ভবানীপুরে তাঁর মুখোমুখি হবেন কি না এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও তা নস্যাৎ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ ছিল শুভেন্দু তো একবার হারিয়েছেন, আর কতবার লড়বেন? এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণে গেলেন শুভেন্দু। তাছাড়া অভিষেক ব্যানার্জিকে ইডির তলব প্রসঙ্গ এলে সাংবাদিকদের কিছুটা এড়িয়ে যান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ২০১১ সালের পরে রাজনীতিতে আসা কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কোনও উত্তর দেব না। নিজের লেভেল বজায় রেখে চলি। ১৯৯৭ সাল থেকে রাজনীতি করছি।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Jotugriho : জতুগৃহে অন্য লুকে পরমব্রত

জতুগৃহ সিনেমার টিজার মুক্তি পেল। মুক্তির পরেই হইহই করে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। হবেই বা না কেন। কারণ পরম্ব্রতর লুক। অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় কে দেখা যাচ্ছে পূর্ণবয়স্ক চরিত্রে। ৭০ এর কাছাকাছি বয়সী একজন যাজকের লুকে পরম্ব্রতকে দেখতে পাবেন দর্শকরা। তার সাথে উপরি পাওনা হিসাবে রয়েছে কালিম্পং এর মনোরম দৃশ্য। এছাড়া মিউজিক ডিরেক্টর ডাব্বুর রোমহর্ষক ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। অতএব বলাই চলে বাংলা সিনেমায় অনেকদিন পরে লোকে গা ছমছমে ব্যাপারটা অনুভব করবে।পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু সিনেমাটি নিয়ে খুবই আশাবাদী বিশেষ করে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র নিয়ে। এরকম চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আগে কখনো অভিনয় করেনি। পরম ছাড়াপ অভিনয় করতে দেখা যাবে বনি সেনগুপ্ত ও নবাগতা নায়িকা পিয়ালী চ্যাটার্জীকে। এই ছবিটি করার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা। এছাড়া অংশু বচ কে অন্যধরণের একটা চরিত্রে দেখতে পাবেন দর্শকরা। যদিও এই ছবিতে পায়েল সরকারের চরিত্রের ভূমিকা এখনো পরিচালক রিভিল করেননি।এই ছবির বিষয়ে জানা যাচ্ছে ছবিটি আগামী বছর মুক্তি পাবে। নেক্সট জেন এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজনায় জতুগৃহ একটি অন্যধারার সাইকো ভৌতিক ছবি। এখন অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকরা।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
রাজ্য

Anubrata: আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতর

দিনেদুপুরে গুলি করে তৃণমূলের যুব নেতাকে খুনের ঘটনার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও খুনিরা কেউ ধরা পড়েনি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি কথা জানিয়ে দিলেন পুলিশকে। এদিন পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দেন, ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় জড়িত ন্যায্য আসামীদের। তা না হলে ভয়ংকর খেলা খেলে দেবেন বলে তিনি জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, খুনি যদি তাঁদের দলের কেউ হয় তবে তাঁকে আগে গুলি করে মেরে দেওয়া উচিৎ। অনুব্রতর এই ঘোষণাকে সঠিক বলে এদিন দাবি করেছেন নিহত তৃণমূল যুব নেতার বাবা শ্যামল বক্সী।আরও পড়ুনঃ আউশগ্রামে জঙ্গলের রাস্তায় খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে, চরম উত্তেজনাআউসগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার আউসগ্রাম ২ ব্লকের গেঁড়াইয়ে হওয়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তার ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। চঞ্চল একদা দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। বৈঠক শেষে দুপুর ৩ টে নাগাদ বাবা ও ছেলে একটি বাইকে চেপে দেবশালায় গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন চঞ্চল। পথে আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার বর্ডার লাগোয়া গেঁড়াই-মানকর রোডে উলুগড়িয়া জঙ্গলের কাছে পিছু ধাওয়া করে এসে দুস্কৃতিরা তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ওই পরিস্থিতিতে শ্যামলবাবু বাইক থেকে পড়ে যান। চঞ্চলের বুকের পাঁজরে ও হাতে মোট তিনটি গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন স্থানীয় জামতারা হাসপাপালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল বকসিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করলো সিআইডি ও পুলিশদিনে দুপুরে গুলির পর গুলি চালিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার খবর পেয়েই আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন ও দুর্গাপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌছান। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের খানিকটা দূর থেকে পুলিশ একটি আগ্নেআস্ত্র পায়। রাতে পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত চলে। বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌছায় ৪ সদস্যের সিআইডি আধিকারিক দল। তাঁরা ঘটনাস্থল ছাড়াও যে জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি ও একটি জামা উদ্ধার হয়েছিল সেই জায়গা গুলি খতিয়ে দেখেন। তাঁরা মাপযোগ করেন ও ছবি তোলেন। সেখান থেকে সিআইডি আধিকারিক দলটি সোজা চলে যান নিহতের বাড়িতে। দরজা বন্ধ করে তাঁরা কথা বলেন চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীর সঙ্গে। ওই দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের দেহের ময়না তদন্ত হয়। সেখানে গিয়েও সিআইডি আধিকারিকরা বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন চিকিৎসকদের কাছে। সিআইডি আধিকারিকরা বিকালে ফের ঘটনাস্থলে যান। নিহতের ভাই রাহুল বক্সী বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তাঁর দাদাকে খুনের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আউসগ্রাম থানার পুলিশ খুনের ধারায় মামলা রুজু করে। তদন্তের জন্য দুই বর্ধমান জেলার পুলিশকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। তবুও দুদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও খুনিরা এখনও অধাই রয়ে গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারনিহত চঞ্চল বক্সীর বাড়িতে এদিন গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা আউসগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সী জানান, তাঁর ছেলেকে বিজেপি বা সিপিএমের কেউ খুন করেছে বলে তিনি মনে করেন না। উল্টে তিনি দাবি করেন, খুনিরা সমাজ বিরোধী হতে পারে, তৃণমূলও হতে পারে। অনুব্রত মণ্ডলের কায়দাতেই এদিন শ্যামল বাবু জানিয়েদেন, তিনি চান তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক। গরু, ছাগলের দুটো পাইকেরকে ধরে এনে পুলিশ যদি দেখায় ওরা দোষী তা তিনি মানবেন না। তেমনটা হলে রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসেও কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে শ্যামল বাবু এদিন হুঁশিয়ারী দিয়ে রাখেন।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Aushgram: আউসগ্রামে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করলো সিআইডি ও পুলিশ

ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে গোটা একটা দিন।আগ্নেআস্ত্র মিললেও মেলেনি পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলে চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় জড়িত আততায়ীদের হদিশ। তাই আততায়ীদের হদিশ পেতে দুই বর্ধমান জেলা পুলিশের পাশাপাশি বুধবার বেলা থেকেই জোরদার তদন্তে নেমে পড়লো সিআইডি দল। মৃতর পরিজন ও আউসগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বের প্রত্যাশা খুব শিঘ্রই সিআইডির জালে ধরা পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতিরা। তার পরেই পর্দা ফাঁস হবে খুনের রহস্যের।আউসগ্রাম ২ ব্লকের গেঁড়াইয়ে মঙ্গলবার হওয়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তার ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। একদা দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন চঞ্চল। বৈঠক শেষে দুপুর ৩টে নাগাদ বাবা ও ছেলে একটি বাইকে চেপে দেবশালা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন চঞ্চল। পথে আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার বর্ডার লাগোয়া গেঁড়াই-মানকর রোডে উলুগড়িয়া জঙ্গলের কাছে পিছু ধাওয়া করে এসে দুস্কৃতিরা তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ওই পরিস্থিতিতে শ্যামলবাবু বাইক থেকে পড়ে যান। চঞ্চলের বুকের পাঁজরে ও হাতে মোট তিনটি গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন স্থানীয় জামতারা হাসপাপালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দিনে দুপুরে গুলির পর গুলি চালিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার খবর পেয়েই আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন ও দুর্গাপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌছান। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের খানিকটা দূর থেকে পুলিশ একটি আগ্নেআস্ত্র পায়। রাতে পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত চলে। বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌছায় ৪ সদস্যের সিআইডি আধিকারিকের দল। তাঁরা ঘটনাস্থল ছাড়াও যে জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি ও একটি জামা উদ্ধার হয়েছিল সেইসব জায়গা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা মাপযোগ করেন ও ছবি তোলেন।সেখান থেকে সিআইডি আধিকারিক দল সোজা চলে যান নিহতের বাড়িতে। দরজা বন্ধ করে তাঁরা কথা বলেন চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীর সঙ্গে। এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের দেহের ময়না তদন্ত হয়। সেখানে গিয়েও সিআইডি আধিকারিকরা বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন চিকিৎসকদের কাছে। সিআইডি আধিকারিকরা বিকালে ফের ঘটনাস্থলে যান।তারই মধ্যে এদিন নিহতের ভাই রাহুল বক্সী পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তাঁর দাদাকে খুনের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আউসগ্রাম থানার পুলিশ খুনের ধারায় মামলা রুজু করেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য দুই বর্ধমান জেলার পুলিশকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। চঞ্চল বক্সূকে খুনের ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে সে বিষয়ে এদিনও সঠিক কিছু জানাতে পারেননি তাঁর বাবা শ্যামল বক্সী। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগেও কারও নাম উল্লেখ করেননি নিহতের ভাই।আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার বলেন, খুনি যারাই হোক কেউ পার পাবে না। সিআইডি তদন্তে ভরসার কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের গলায়। ময়নাতদন্ত শেষে এদিন বিকালে নিহতের মৃতদেহ দেবশালা অঞ্চল তৃণমূল কার্যালয়ে পৌছায়। সেখানে দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী ও এলাকার বিধায়ক তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
রাজ্য

আউশগ্রামে জঙ্গলের রাস্তায় খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে, চরম উত্তেজনা

তৃণমূল প্রধানের ছেলেকে দিনেদুপুরে গুলি করে খুন করার ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়াল বুদবুদের দেবশালা গ্রামে। গ্যারাই থেকে ভাতকুন্ডা যাওয়ার পথে হঠাৎ জঙ্গলের মধ্য থেকে বেরিয়ে দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে শুরু করে। দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যপ চাপান-উতর শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছুড়লেও এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলেই বিজেপির দাবি।মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ১০মিনিট নাগাদ বুদবুদ থানার গ্য়ারাই ও ভাতকুন্ডার মাঝে জঙ্গলের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হায়দর আলি বলেন, গ্যারাইতে দলের একটা বৈঠক ছিল। ওদিক থেকে আসছিলাম। আমরা আগেই পেরিয়ে এসেছি। আমাদের দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তাঁর ছেলে চঞ্চল বক্সী মোটর সাইকেলে ছিল। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ৫টি গুলি চালিয়েছিল, তার মধ্যে ৩টি গুলি লাগে চঞ্চলের গায়ে। বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা তাকে আউশগ্রাম দু নম্বর ব্লকের জামতারা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এই ঘুনের ঘটনায় বিজেপিকে দায়ী করলেও মৃতের বাবা শ্যামল বক্সীর গলায় অন্য সুর। তিনি বলেন, আমাদের একটা দলীয় কর্মসূচিতে গ্যারাই গিয়েছিলাম। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে ফিরছিলাম। ভাতকুন্ডার একটু আগে জঙ্গলের মধ্যপ দুটি বাইক আমাদের ওভারটেক করে গুলি চালায়। ৫টা গুলি চালিয়ে ভাতকুন্ডার দিকে পালিয়ে যায়। গুলি করায় গাড়ি থেকে আমরা পড়ে গিয়েছিলাম। কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ? প্রধান বলেন, কেন এই আক্রমণ বুঝতে পারছি না। আমার কাছে গরীব-বড়লোক নেই বা দল বলে কিছু নেই। বিজেপি, সিপিএম, তৃণমূল সবাই সমান। অন্য দল অ্যাক্টিভ নয় এই অঞ্চলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পানাগড়ের বাসিন্দা তথা বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন, ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিজেপি এই ধরণের কাজ করে না। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তৃণমূল নিজেরাই রক্তের খেলা শুরু করেছে। একাজ নিজেরাই করেছে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
রাজ্য

CBI: বিজেপি নেতার মাকে খুনের তদন্তে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার সিবিআইয়ের

ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রামে খুন হন বিজেপি নেতার মা কাকলি ক্ষেত্রপাল(৪৭)। হাইকোর্টের নির্দেশে এই খুনের মামলার তদন্তে নেমে ধৃতদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করলো সিবিআই। অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার কথা সিবিআই রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে জানিয়েছে। সিআইয়ের দাবি, তল্লাশীতে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তরোয়াল, কাস্তে ও কাটারি। এরআগে পুলিশও বেশকিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সহ সব কিছু নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে সোমবার বর্ধমান আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী ইন্সপেক্টার অরুন কুমার সিং। বিজেপি কর্মীর মা-কে খুনের মামলায় অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে সিবিআইয়ের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হতেই নবগ্রাম এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।আরও পড়ুনঃ লাইনে হুড়োহুড়ি নয়, এই জেলায় বাড়িতে বসেই মিলবে কোভিড-টিকার কুপনবিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিন অর্থাৎ ৩ মে দুপুরে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় জামালপুরের নবগ্রাম এলাকা। ওই দিন নবগ্রামের বিজেপি শক্তিপ্রমুখ আশিস ক্ষেত্রপালের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। আশিসের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি টাঙি দিয়ে তাঁর বাবা অনিল ক্ষেত্রপালকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের হাত থেকে স্বামী অনিল ক্ষেত্রপালকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী কাকলি ক্ষেত্রপালও আক্রান্ত হন। নির্মম মারধর ও ভোজালির আঘাতে কাকলিদেবী মারাত্মক জখম হন। একই হামলায় জখম হন আশিস ক্ষেত্রপালেরকাকা মানস ক্ষেত্রপালও। জখমদের সকলকে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাকলি ক্ষেত্রপালকে মৃত ঘোষণা করেন। জখম আশিসের বাবা ও কাকাকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিজেপি শক্তিপ্রমুখের বাড়িতে হামলা-আক্রমণের খবর পাওয়া মাত্রই আশপাশ থেকে বিজেপির কর্মীসমর্থকরা ঘটনাস্থলে পৌছে তৃণমূলের লোকজনকে ঘিরে ফেলে। ওই সময়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘের্ষ তৃণমূলের দুই কর্মী শাজাহান শা ওরফে শাজু ও বিভাস বাগ গুরুতর জখম হন।তাঁদের ওইদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভির্ত করার কিছু সময় পর তাঁরাও মারা যান।আরও পড়ুনঃ আইপিএলের নতুন ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া হতে পারে কোন কোন শহর থেকে?রাজনৈতিক হিংসায় একই দিনে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই তরফের অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর থানার পুলিশ পৃথক দুটি মামলা রুজু করে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর থেকে যদিও বাড়ি ছাড়া থাকে আশিস ক্ষেত্রপাল পাল। পুলিশ পরের দিন ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। তদন্ত সম্পূর্ণ করে পুলিশ গত ৩ অগস্ট আদালতে চার্জশিটও পেশ করে দেয়। পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে বিজেপি নেতা আশিস ক্ষেত্রপাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানায়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটপরবর্তী এই রাজনৈতিক হিংসার মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তদন্তের জন্য সিবিআই আধিকারিক দল ২৯ আগষ্ট প্রথম নবগ্রামে পা রাখে। তাঁর পর থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে সিবিআই দল নবগ্রাম এলাকাচষে বেড়ায়। সিবিআইয়ের ফরেন্সিক টিমও নবগ্রামে তদন্তে যায়। কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবারের সকল সদস্যের পাশাপাশি এলাকার বেশ কয়েকজনের বয়ানও সিবিআই আধিকারিকরা নথিুভুক্ত করেন। তারই মাঝে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়েও এদিন আদালতে দাবি জানালো সিবিআই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
রাজ্য

CBI: নবগ্রামের ফেরার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি সিবিআইয়ের

রাজনৈতিক হিংসায় বিজেপি নেতার মায়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার ফেরার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালালো সিবিআই।সিবিআইয়ের এই অতি সক্রিয়তায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামে। সিবিআইয়ের এই অতি সক্রিয়তা জামালপুরের শাসক দলের নেতা কর্মীদের দুশ্চিন্তাও যথেষ্টই বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন সিবিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তদন্ত করেছে।আরও পড়ুনঃ শার্দুল, ঋষভের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন ভারতেরবিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরদিন রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় জামালপুরের নবগ্রাম। ওই দিন নিহত হন নবগ্রামের বিজেপি শক্তি প্রমুখ আশিস ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপাল(৪৭)। ওই রাজনৈতিক হিংসায় দুই তৃণমূল কর্মী শাজাহান শা ওরফে শাজু (৩০) এবং বিভাষ বাগ ওরফে বিনোদ (২৭) নিহত হন। নিহতদের মধ্যে কাকলি ও বিভাসের বাড়ি নবগ্রামে।অপর নিহত শাজু শেখের বাড়ি জামালপুর থানার ভেড়িলি গ্রামে। রাজনৈতিক হিংসার এই ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পরদিন বর্ধমান আদালতে পেশ করে। ধৃতদের মধ্যে ১০ জন ছিল বিজেপি সমর্থক। একজন ছিল তৃণমূল কর্মী। মা কাকলি ক্ষেত্রপালের মৃত্যুর বিষয়ে জাতীয় মাণবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানায় ছেলে আশিস ক্ষেত্রপাল। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় কাকলি ক্ষেত্রপালের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।আরও পড়ুনঃ ৩৭ বছর বয়সেও চমক দেখিয়ে চলেছেন সুনীল ছেত্রীজামালপুরের রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য গত ২৯ আগষ্ট সিবিআই দল প্রথম পা রাখে নবগ্রামে। তার পর থেকে এক প্রকার নবগ্রামের মাটি কামড়ে পড়ে আছে সিবিআই দল। এখনও পর্যন্ত পাঁচ দিন সিবিআই দল নবগ্রামে তদন্তে গিয়েছে। নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবার সদ্যসদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এলাকার মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এলাকার ভিডিওগ্রাফিও করেন। ১ সেপ্টেম্বর ফরেন্সিক টিম নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা নবগ্রামে পৌছান। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে মাটি ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এদিন বেশ কিছু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআইয়ের তিনটি দল বেলায় নবগ্রামে পৌছায়। তাঁরা নবগ্রামের ঘোষ পাড়া ও ওড়িষ্যা পাড়ার ফেরার তৃণমূল কর্মী সোমনাথ শিল, অমরেশ বাগ, সাগর রায়, কুমারেশ ঘোষ ,সমীর ঘোষ,সমর ধাড়া ও সমীর বাগের বাড়িতে পৌছে গিয়ে তল্লাশী চালান। পরে জামালপুর থানাতে গিয়েও সিবিআই আধিকারিকরা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার মামলার নথিপত্র খতিয়ে দেখতে যান বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের এই সক্রিয়তা নিয়ে জামালপুর থানার পুলিশ কর্তারা অবশ্য কোন মন্তব্য করতে চাননি।আরও পড়ুনঃ জনতার কথা-র মুখোমুখি অভিনেতা প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের ছেলে আশিস ক্ষেত্রপাল ঘটনার দিনের পর থেকে বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। এদিন আশিষ ক্ষেত্রপালকে ফোন করা হলে তিনি বলেন,, ভোটের ফল প্রকাশের পরদিন পরিকল্পনা মাফিক তৃণমূলের লোকজন তাঁদের বাড়ি আক্রমণ করে। সেই সশস্ত্র আক্রমণে তাঁর মা কাকলি ক্ষেত্রপাল মারা যান। মারাত্মক জখম হয়ে তাঁর বাবা অনীল ক্ষেত্রপাল চলার শক্তি হারিয়েছেন। আশিস অভিযোগে বলেন , হামলা আক্রমণের বিষয়ে তাঁর পরিবার যে অভিযোগ থানায় জমা দিতে দিয়েছিল তা পুলিশ গ্রহন করেনি। অভিযুক্ত অনেকে এখনও এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অবস্থায় পুলিশি তদন্তে সুবিচার মিলবে না বুঝে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আশিস এদিন দাবি করেন,সিবিআই যে ভাবে তদন্ত করছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা সুবিচার পাবেন বলে আশা করছেন। একই দাবি করেছেন নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের স্বামী অনিল ক্ষেত্রপাল।আরও পড়ুনঃ ৭৭ থেকে কমে ৭১! ফের ভাঙন বিজেপি শিবিরেসিবিআইয়ের এই তদন্তকে যদিও পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একই দিনে নবগ্রামে দুই তৃণমূল কর্মীও খুন হন। অথচ সিবিআই আধিকারিকরা নিহত দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু নিয়ে কোন তদন্তই করছে না। শুধুমাত্র বিজেপি কর্মী পরিবারের মহিলার মৃত্যু নিয়েই তদন্ত করে যাচ্ছে। এর থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবেই হচ্ছে সিবিআই তদন্ত।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli : বাইশ গজের বাইরে দুরন্ত ‘‌ব্যাটিং’‌ বিরাট কোহলির

দু বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত। সেঞ্চুরি নেই বিরাট কোহলির। তাতেও অবশ্য জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি ভারত অধিনায়কের। বরং ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীর ব্যাপারে কোহলি এমন এক নজির গড়েছেন, যা কেবলমাত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনল্ডো, লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রের রয়েছে। কোহলি মাঠের বাইরে যেভাবে খেলছেন, যে কোনও মুহূর্তে টপকে যেতে পারেন নেইমারকে। আর দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তো কোনও কথাই নেই। সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ের দিক দিয়ে পেছনে ফেলে দিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও।কোহলি যে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ক্রিকেটার, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে আয়ের দিক থেকে আইপিএলের ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই সবথেকে এগিয়ে। শুধু দেশীয় ক্রিকেটারদের মধ্যেই নয়, বিশ্বের সব ক্রিকেটারের মধ্যেও তাঁর আয় বেশি। কোহলির স্পনসর হিসেবে রয়েছে পুমা, মন্ত্র, অডির মতো সংস্থা। কোহলির ইস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি স্পনসর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে কোহলির আয় ৫ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। এই মুহূর্তে তিনিই বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেটার।আরও পড়ুনঃ প্রতীক্ষার অবসান, বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি রোহিতেরইনস্টাগ্রাম পোস্টের আয়ের দিক থেকে ভারতীয়দের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও ধোনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন অ্যাক্টিভ নন। তবুও ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। ধোনির স্পনসর হিসেবে রয়েছে ভিভোর মতো কোম্পানি। প্রতিটা স্পনসর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে ধোনির আয় ভারতীয় মুদ্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। অ্যাডিডাসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরস রোহিত। প্রতিটা স্পনসর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে রোহিতের আয় প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লক্ষ। প্রতিটা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে হার্দিকের আয় ৬৫ লাখ টাকা। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন সুরেশ রায়না। তাঁর ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। প্রতিটা স্পনসর ইনস্টাগ্রাম থেকে রায়নার আয় ৩৪ লক্ষ টাকা। আর প্রতিটা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে আয় ৫১ লাখ।আরও পড়ুনঃ কোহলি নাকি অক্সফোর্ড স্ট্রিটেও জামা ছাড়া ঘুরতে পারেন? এ কী বললেন সৌরভ!১৫ কোটির বেশি ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার বিরাট ছাড়া ক্রীড়াবিদদের মধ্যে রয়েছে শুধু বিশ্বের সেরা তিন ফুটবলারের। ইনস্টাগ্রামে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ফলোয়ার সংখ্যা ৩৩.৭ কোটি। রোনাল্ডোর পরে রয়েছেন লিওনেল মেসি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ২৬ কোটি। নেইমার রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা ১৬ কোটি।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Mithun Chakraborty : বইয়ের পাতায় মিঠুন, সৌজন্য রামকমল মুখোপাধ্যায়

মিঠুন চক্রবর্তী। টলিউড থেকে বলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই তিনি মহাগুরু নামে পরিচিত। তাঁর যে কত ফ্যান ফলোয়িং সেটা গুনে শেষ করা যাবে না। কিন্তু হটাত মহাগুরুর কথা নিয়ে এত আলোচনা কেন? কারণ তিনি এবার অন্য রূপে। বলে রাখা ভালো বইয়ের পাতায় জায়গা করে নিচ্ছেন তারকা অভিনেতা। বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে? তাহলে পুরোটাই খোলসা করে বলা যাক।আসল ব্যাপার হলো হেমা মালিনী এবং সঞ্জয় দত্তের পর এবার রামকমল মুখোপাধ্যায় লিখলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে নতুন বই মিঠুন চক্রবর্তী: দ্য দাদা অফ বলিউড। মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনের চড়াই উতরাই সবটাই ফুটে উঠেছে দ্য দাদা অফ বলিউড এই বইতে। ইন্ডাস্ট্রিতে আউটসাইডার হিসেবে কাজ করে কিভাবে বিরাট সাম্রাজ্য তৈরি করে ফেলেন তিনি সবটাই আছে রামকমল মুখোপাধ্যায়ের বইতে। প্রায় দু বছর ধরে এই বই লিখেছেন রামকমল মুখোপাধ্যায়।টাইমস পফ ইন্ডিয়া কে রাম কমল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,দাদা নিজের আত্মজীবনী লিখতে চাননি। তাঁর গল্প বলায় আমি খুব আগ্রহী ছিলাম। মিঠুন কে নিয়ে কিছু বই আছে কিন্তু বেশিরভাগটাই বাংলাতে। জাতীয় আইকন, মেগাসস্টার ও একজন লেজেন্ড হিসাবে আমার মনে হয় তাঁকে নিয়ে একটা বই হওয়া উচিৎ।হেমা মালিনীর আত্মজীবনী লেখার পরেই এই বইটি লেখার কাজে হাত দেন তিনি। ২ বছর লাগলো তাঁর পুরো কাজটা শেষ করতে। বইটির দাম ধার্য করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

আগস্ট ২৭, ২০২১
দেশ

Provident Fund: বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনের

প্রভিডেন্ট ফান্ডের পুরো টাকাই দেবে কেন্দ্র। কোভিডে যারা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য এ বার বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার জানিয়েছেন, কর্ম-হারা কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। সাধারণত দুভাগে এই টাকা দেওয়া হয়। একটি অংশ দেয় সেই সংস্থা যেখানে কোনও কর্মী কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন। দ্বিতীয় অংশটি ওই কর্মীর বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়। উভয় ভাগের টাকাই কেন্দ্রের পক্ষ থেকেই দেওয়া হবে বলে এ দিন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কর্মচারী, এবং সংস্থা; উভয় পক্ষের পিএফ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।If in a district, more than 25,000 migrant workers working in the informal sector return to their native place will get benefits from 16 Central schemes for employment. In 2020, we increased the MGNREGA budget from Rs 60,000 cr to around Rs 1 lakh cr due to COVID:Finance Minister pic.twitter.com/9azlNN24D4 ANI (@ANI) August 21, 2021অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্যও এ দিন বড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, করোনার কারণে যদি কোনও জেলায় কমপক্ষে ২৫ হাজার শ্রমিক অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন, তবে তাঁদের সুবিধার জন্য এবং রোজগার বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে মোট ১৬ টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে। যার লাভ তাঁরা নিতে পারেন। অতিমারির কারণে যেহেতু প্রচুর পরিমাণ দিনমজুর এবং পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন, তাই সেই মানুষগুলির কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মনরেগার বাজেট ৬০ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা করেছে কেন্দ্র। এমনটাও জানান অর্থমন্ত্রী।

আগস্ট ২১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ...
  • 18
  • 19
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal