• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Post

রাজনীতি

তৃণমূলে যোগ দিয়েই নতুন পদ পেলেন জয়প্রকাশ মজুমদার

অবশেষে জল্পনার অবসান। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার যোগ দিলেন তৃণমূলে। নাটকীয়ভাবে নজরুল মঞ্চে বৈঠক করল তৃণমূল। সেখানেই জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের রাজ্য-সহ সভাপতি হলেন জয়প্রকাশ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। উল্লেখ্য, সোমবারই লকেট চট্টোপাধ্যায় দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রিতেশ তিওয়ারিও।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকেই শেষ পেরেকটা পোঁতা হয়েছিল। সোমবার সকালে আকস্মিক নজরুল মঞ্চের সামনে তৃণমূল নেতাদের পাশেই দেখা যায় জয়প্রকাশকে। আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতিই ঘটাল জল্পনার অবসান। উল্লেখ্য, বিজেপিও জয়প্রকাশকে দল থেকে বহিষ্কৃত করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের সঙ্গে ছেলেকে এনেও জয়প্রকাশ বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর পরিবারও আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণীত।কিন্তু কি করব - রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কিছুতেই এটা করতে দিচ্ছেন না। আমি অসহায়। pic.twitter.com/CF4BzzIO5g Jay Prakash Majumdar (@jay_majumdar) March 5, 2022সাময়িক বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য তৃণমূলে গিয়েছেন বলে মনে করেন বিজেপি-র সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের নীতির কারণেই দলত্যাগ হচ্ছে।মঙ্গলবার লকেট বলেন, আগেও দল ছেড়ে অনেক নেতা চলে গিয়েছেন। অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দল ছেড়ে কেউ চলে না যান, তার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা উচিত। সবাইকেই রোখা উচিত। আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। কথা বলার পরেও যদি কেউ চলে যান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। লকেট আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সকলেই জয়প্রকাশকে দল ছেড়ে তৃণমূলে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু জয়প্রকাশ তা শোনেননি।

মার্চ ০৮, ২০২২
রাজ্য

আনিস হত্যায় সিটের হাতেই তদন্তভার বহাল রাখল হাইকোর্ট, দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ

আনিস হত্যা-কাণ্ডের তদন্তে সিটের উপরেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, রাজ্যের দাবি মেনে ছাত্রনেতার দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। তবে তা হাওড়ার জেলা আদালতের বিচারকের তত্ত্বাবধানে হবে।শুক্রবার মধ্যরাতে হাওড়ার আমতায় আনিস খানের মৃত্যুতে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের আবহে সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই মামলা গ্রহণ করে উচ্চ আদালত। ওই মামলায় সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্যের থেকে তিন দিনের মধ্যে আনিসের মৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছিল। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আনিস-মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, আনিস-কাণ্ডের তদন্তে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে, ওই সিটের সদস্যেরা প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ। তাঁদের প্রত্যেকের সিআইডি-তে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরই সঙ্গে তিনি জানান, ওই দলে বিভিন্ন ক্ষেত্রের আরও সাত জন রয়েছেন।এর পরেই বিচারপতি মান্থা জানান, আনিস-কাণ্ডের তদন্তে সিটের উপরেই আস্থা রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আনিসের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করা হবে। যার তত্ত্বাবধানে থাকবেন হাওড়া জেলা আদালতের বিচারক। দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের সময় ওই বিচারক বা তাঁর মনোনীত কোনও ব্যক্তিকে উপস্থিত থাকতে হবে।আদালতের তরফে জানানো হয়, তদন্তের স্বার্থে আনিসের পরিবারের থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে হায়দরাবাদে পাঠানো হবে। সেখানে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ফোনটির পরীক্ষা করা হবে। মোবাইল পরীক্ষার সময় উপস্থিত থাকতে হবে ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক সেন্টারের এক জন প্রতিনিধিকে। জেলা বিচারকদের পর্যবেক্ষণে মোবাইলের তথ্য বন্ধ খামে আদালতে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, এই মামলায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে বলেছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ, সিটকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজনীতি

পুরভোটে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের আবহে '২০১৯' মনে করালেন দেবাংশু ভট্টাচার্য

রাজ্যে ১০৮ পুরসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াও সম্পূর্ণ হয়েছে। এই নির্বাচনী আবহে প্রধান আলোচনায় বিষয়ে হয়ে উঠেছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। গত কয়েকদিনে সংঘাতের যথেষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। আর এবার সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা যুব সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য।একদিকে যখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে উৎসবে মেতেছে, তখন দেবাংশু মনে করিয়ে দিলেন, ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এক বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন তিনি। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও জানিয়েছেন তিনি, যা দল- বিরোধী মত বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।শুধু তাই নয়, দেবাংশু বলেছেন, আরেকবার ২০১৮ হলে আরেকটা ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা.. বারবার সবটা ২০২১ এর মতো হবে না। তাঁর উল্লেখ করা এই সবকটি বছরের একটা বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।২০১৮-তে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিরোধীরা। আর তারপরই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খায় তৃণমূল শিবির। বাংলায় চমক দিয়ে ১৮ টি আসন পায় বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের দাদাগিরিই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।আর এবার পুরভোটের ক্ষেত্রেও সেই ছায়া দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সেই আবহেই ২০১৯-এর কথা মনে করিয়ে কোনও বিশেষ ইঙ্গিত দিয়ে রাখেলন দেবাংশু।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত জারি রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রাখতে সিবিআইকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। তখন বিচারপতি এই নির্দেশ দেন সিবিআইকে। একই সঙ্গে তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডল প্রধান অভিযুক্ত নন। তাঁর নাম এফআইআর-এ নেই। তবে তাঁকে বোলপুর বা দুর্গাপুরে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।গত ২ মে একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বীরভূমের গোপালনগর গ্রামে খুন হন বিপ্লব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, বাড়ির অদূরেই তাঁর ওপর হামলা চালায় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। রাস্তায় ফেলে বেপরোয়া মারধর করা হয় তাঁকে। মাথায়, বুকে পিঠে একাধিক ক্ষত তৈরি হয় বিপ্লব সরকারের। মাথায় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা তেমনই জানিয়ে দেন রিপোর্টে। ঘটনায় উঠে আসে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয় দিলীপ মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে। তদন্ত যত এগোয়, উঠে আসে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। নোটিস পাঠানো হয় ইলামবাজারের তৃণমূলের সম্পাদককে। অনুব্রত মণ্ডলের নামেও জারি হয় নোটিস।গত শুক্রবার ২৮ জানুয়ারিও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। সিবিআইকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। তিনি সিবিআই-এর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তাঁর নেই। হাজিরা দেওয়ার জন্য বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি।এর পরই বুধবার গ্রেপ্তারি থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। আদালতকে তিনি জানান, তদন্তে সিবিআইকে সমস্ত রকম সহায়তা করতে রাজি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ যেন না করা হয়।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তলব এড়ালেন 'অসুস্থ' অনুব্রত মণ্ডল

ভোট পরবর্তী হিংসা বীরভূমের বিজেপি কর্মী খুনে এ বার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও শুক্রবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকদের অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর শরীর ভাল নয়। তাই এই দিন তিনি দেখা করতে পারছেন না।উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় হিংসার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা, তার মধ্যে অন্যতম বীরভূম। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের পর একাধিকবার বীরভূমে এসেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ঘটনাক্রমে ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুনের মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়।বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিন অর্থাৎ, গত ২ মে গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যে এই খুনের মামলায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে। এর পর বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় স্বয়ং দলের জেলা সভাপতিকে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
দেশ

ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে রেললাইনে বিস্ফোরণ! মিলল মাওবাদী পোস্টার

ধানবাদ-গয়া শাখার রেললাইনে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রুট বদল করতে হয়েছে রাজধানী-সহ বহু ট্রেনের। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ ধানবাদ-গয়া ডিভিশনে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। ধানবাদ ডিভিশনের কারামাবাদ ও চিচাকি স্টেশনের মাঝামাঝি এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু কোনও প্রাণহানি হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে মাওবাদীদের একাধিক পোস্টার। বড় নাশকতার ছকও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ড-বিহার বনধে্র ডাক দেওয়ার পর থেকেই মাওবাদীরা রেলকে টার্গেট করেছে। ২৭ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ড-বিহারে বনধে্র ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। সিপিআই পলিটব্যুরোর সদস্য প্রশান্ত বোস এবং তাঁর স্ত্রী শীলা মারান্ডিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই বনধ্ ডাকা হয়েছিল।Jharkhand | Suspected Naxals blow up a portion of railway tracks on the Howrah-New Delhi line between Chichaki and Chaudharybandh railway stations in Giridih; details awaited pic.twitter.com/9cx7GE14NK ANI (@ANI) January 27, 2022আবার নাশকতার আশঙ্কা থাকায় গতি নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্কতাও। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ট্র্যাক মেরামতের কাজ চলছে। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্রই ওই রুটে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়। রাজধানী-সহ অনেক ট্রেনের রুট পরিবর্তনও করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে, হাওড়া-দিল্লি রেল রুটের গোমো-গয়া (জিসি) রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ধানবাদ-দেহরি এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে গয়া-আসানসোল প্যাসেঞ্জার এবং আসানসোল-বারাণসী প্যাসেঞ্জারও বাতিল করা হয়েছে।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
কলকাতা

প্রায় ১ মাস পিছিয়ে গেল কলকাতা বইমেলা

করোনা আবহে প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেল কলকাতা বইমেলা। ৩১ জানুয়ারির বদলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হবে বইমেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২১ সালে বইমেলা হতে পারেনি। শেষ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা হয়েছিল ২০২০ সালে। গত বছরের নভেম্বরের গোড়ায় গিল্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, কোভিড-১৯ বিধি সম্পূর্ণ মেনে ৩১ জানুয়ারি থেকে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে হবে ২০২২ সালের মেলার আয়োজন।উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের আবহে রাজ্যের চারটি পুরনিগমের ভোট ২২ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। বিধাননগর পুরনিগমও রয়েছে সেই তালিকায়। গিল্ডের একটি সূত্রে জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে সেখানে বইমেলার আয়োজন হলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠার আশঙ্কা ছিল। কারণ, ১৫ ফেব্রুয়ারি গণনার দিন পর্যন্ত সেখানে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ থাকবে। যা বইমেলার আয়োজনে বাধা হতে পারে। আর সেই কারণেই এই পুরো সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
দেশ

ধর্মীয় আবেগে পিছিয়েই গেল পঞ্জাবের নির্বাচন, ১৪ নয় ভোট হবে ২০ ফেব্রুযারি, ঘোষণা কমিশনের

পঞ্জাবের বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ১৪ ফেব্রুয়ারির বদলে ২০ফেব্রুয়ারি সে রাজ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী থাকায় একাধিক রাজনৈতিক দল কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। এই দাবি নিয়ে রবিবার একটি বৈঠকও বসে কমিশন। সেই বৈঠকের পরই কমিশন এই দিন পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে।এর আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি কমিশনকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেন জানান। বিজেপি, বিএসপি-র প্রতিনিধিরাও কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। এই দাবি মেনে কমিশন পঞ্জাবের নির্বাচন ২০ ফেব্রুয়ারি করে দিয়েছে। সেখানে এক দফাতেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।আসলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের দলিত শিখদের ধর্মগুরু রবিদাসের জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই বেনারসে তীর্থ করতে যাবেন প্রায় ২০ লক্ষ দলিত শিখ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হলে এই ভোটাররা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর অনুরোধ ছিল, ভোটের দিন অন্তত ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক, যাতে এই ২০ লক্ষ ভোটার বেনারস থেকে ফিরে এসেও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একই আর্জি জানিয়েছিল বিজেপিও। তার পরই সোমবার ভোটের নতুন দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই দলিত শিখ সম্প্রদায়ের নেতা। আগামী নির্বাচন জিতে পঞ্জাবে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আসতে হলে রাজ্যের ৩২ শতাংশ দলিত ভোটারকে সংগঠিত করা জরুরি। কারণ, পঞ্জাবের হিন্দু ভোটারদের একটা বড় অংশের ভোট যাবে বিজেপি এবং অমরিন্দর সিংয়ের জোটের দিকে। আম আদমি পার্টিও সেখানে কিছুটা ভাগ বসাবে। উচ্চবর্ণের জাঠ শিখদের ভোটের একটা বড় অংশ যায় অকালি দলের খাতায়। সেখানেও কংগ্রেসের পাশাপাশি ভাগ বসাবে আম আদমি পার্টি। তাই ক্ষমতায় ফিরতে কংগ্রেসের মূল ভরসা এই ৩২ শতাংশ দলিত শিখদের ভোটই। আবার বিজেপিও চাইছে দলিত শিখদের ভোট নিজেদের দিকে টানতে। তাই স্থানীয় ধর্মীয় আবেগকে মান্যতা দিয়ে ভোট পিছনোর দাবি জানিয়েছিল দুই পক্ষই।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌কেন বাতিল এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ?‌ স্থগিতের পথে আইএসএল

করোনার বাড়বাড়ন্ত দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে একের পর এক প্রভাব ফেলেই চলেছে। চলতি মাসের গোড়াতেই আই লিগ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। রনজি ট্রফি স্থগিত রেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নক আউট পর্ব থেকে স্থগিত রাখা হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ কোচবিহার ট্রফি। জৈব সুরক্ষা বলয় ভেদ করে করোনা হানা দিয়েছে আইএসএলেও। ইতিমধ্যেই আইএসএলের কয়েকটা ম্যাচ বাতিল হয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, আই লিগের মতো সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যেতে পারে আইএসএলও। জৈব সুরক্ষা বলয় ভেদ করে আইএসএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে করোনা হানা দিয়েছে। ফুটবলার থেকে শুরু করে একাধিক সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত। এক ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আগেই এটিকে মোহনবাগান ও ওডিশা এফসির ম্যাচ স্থগিত করে দিয়েছিল আইএসএলের আয়োজক কমিটি। এবার এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসির ম্যাচও স্থগিত হয়ে গেল। এটিকে মোহনবাগান শিবিরে করোনা হানা দেওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সবুজমেরুণের কোন ফুটবলার আবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত, তা অবশ্য জানানো হয়নি। তবে একটি বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে, এটিকে মোহনবাগানের ৫ জন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। গত কয়েকদিন ধরে এটিকে মোহনবাগানকে অনুশীলনের অনুমতিও দেওয়া হয়নি। বেঙ্গালুরু এফসি যে হোটেলে রয়েছে, সেই হোটেলের এক কর্মীও করোনায় আক্রান্ত। ফলে সুনীল ছেত্রিরাও অনুশীলনে নামতে পারেননি। ম্যাচটা নিয়ে আগে থেকেই সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় আইএসএলের আয়োজক কমিটি। শুধু এটিকে মোহনবাগানেরই নয়, আরও কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কয়েকজন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। সূত্রের খবর এসসি ইস্টবেঙ্গলের একজন ফুটবলার ও একজন সাপোর্ট স্টাফের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কেরালা ব্লাস্টার্স শিবিরেও করোনা হানা দিয়েছে। তারাও ৩ দিন অনুশীলন করেনি। রবিবার দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর আইএসএল সাময়িক স্থগিত করে দেওয়া হতে পারে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
কলকাতা

চার পুরভোট পিছলে আপত্তি নেই, কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানাল নবান্ন

পুরভোট পিছিয়ে দিতে সায় রাজ্যের। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন। আদালতের নির্দেশের পরই রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপরই শনিবার চিঠি দেয় নবান্ন। চিঠিতে রাজ্য জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য। তবে ভোট পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই। শনিবার দুপুরেই কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভোট পিছনোর ঘোষণা করবে বলে সূত্রের খবর।আরও পড়ুনঃ কুঁড়ে ঘরের খুদে শিল্পীর মায়াবী গানের সুরের জাদুতে মুগ্ধ সংগীতপ্রেমীরাআগামি ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দনগর পুরসভার। কোভিড পরিস্থিতিতে এই পুরভোট নিয়ে আপত্তি তুলে অনেকেই আদালতে যান। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায়। কোভিড আবহে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তবেআরও পড়ুনঃ অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট রেখে ইন্সটাগ্রামে ফিরলেন রাজ কুন্দ্রাশুক্রবারই হাইকোর্টের রায় নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি দেয় কমিশন। তারই উত্তরে শনিবার রাজ্য ভোট পিছনোর পক্ষে সায় দেয়। চিঠিতে তারা জানায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে রাজ্য। এখন কমিশন যদি কিছু দিনের জন্য ভোট পিছিয়ে দেয়, তাতে তাদের আপত্তি নেই। যদিও এর আগে আদালতে একাধিক বার ভোট পিছনোর বিরোধিতা করেছে নবান্ন। শনিবার নবান্নের চিঠি পাওয়ার পর, বিকেলের মধ্যেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করতে পারে কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট চাইছে নবান্ন।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

পুরভোট বন্ধ নিয়ে সরাসরি রায় নয় হাইকোর্টের, নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত বর্তাল কমিশনের ওপর

টানা তিন দিন করোনা সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যে। অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে ব্যক্তিগত মন্তব্যে ভোট এখন বন্ধ রাখা উচিত বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি পুরনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করে আসছে। আদালতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে মামলা চলছে। সেই মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে করোনা আবহে পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।আরও পড়ুনঃ বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরিবাংলায় গড়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তৃতীয় ঢেউ নাজেহাল পরিস্থিতি রাজ্যের। ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়িতে পুরভোট চার কেন্দ্রেই করোনা বিধি মেনে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রচারে করোনা বিধি না মানা নিয়ে প্রতিদিনই নানা অভিযোগ উঠছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ডান-বাম কোনও প্রার্থী বাদ যাচ্ছে না। পুলিশ অতি তৎপর বলেও বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে। এই পরিস্থিতিতে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দিল হাইকোর্টয়।আরও পড়ুনঃ কুয়াশার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ, ময়নাগুড়ি পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী, জন বার্লাআদালতের বক্তব্য, করোনা আবহে পুরভোট কি ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে যায় কি? ভোট পিছনোর ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এই সিদ্ধান্ত কমিশনকে নিতে হবে। সিদ্ধান্ত জানাতে আদালত ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছে কমিশনকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দুটি বিষয় চিন্তা করতে হবে কমিশনকে। এই অবস্থায় ভোট হলে কি মানুষের স্বার্থ রক্ষিত হবে? তাছাড়া আদৌ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা এই পরিস্থিতিতে সম্ভব? রাজনৈতিক দল থেকে বিভিন্ন মহল পুরভোট পিছনোর দাবি জানিয়ে আসছে। সরাসরি ভোট বন্ধ করার রায় না দিলেও এবার হাইকোর্ট তাতে সায় দিল। শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বর্তেছে নির্বাচন কমিশনের ওপর।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

Bangla Pokkho: বাংলা পক্ষর আন্দোলনে বড় সাফল্য, পোস্ট অফিসে পাওয়া যাবে বাংলা ভাষায় পরিষেবা

বাংলা পক্ষ-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার লড়াইয়ের ফলে বড়ো সাফল্য এল। এখন থেকে পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবা পাওয়া যাবে। বাংলা পক্ষ কিছুদিন আগেই আসানসোল ও রানিগঞ্জ পোস্ট অফিসে ডেপুটেশন জমা দেয়। আজ পোস্ট বিভাগ বাংলায় পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে রানিগঞ্জ শাখার সম্পাদক দীপায়ন মুখার্জী, আসানসোল উত্তর শাখার সম্পাদক ঋষিক গাঙ্গুলি এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়।সমস্ত ব্যাংক, পোস্ট অফিস এবং বীমা পরিষেবায় বাংলা চাই, এই দাবিতে বাংলা পক্ষ-র লড়াই চলছে বাংলা জুড়ে। বাংলা পক্ষর পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সাফল্য, পুরো বাংলা পক্ষ সংগঠনকে আরও উজ্জীবিত করবে লড়াইয়ের ময়দানে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজনীতি

BJP New State Committee: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল

বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অগ্নিমিত্রা পলকে । একই সঙ্গে যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরানো হল সৌমিত্র খাঁকে । রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার নয়া সভানেত্রী হলেন তনুজা চক্রবর্তী। যুব মোর্চার নয়া সভাপতি হলেন ডা: ইন্দ্রনীল খান। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অগ্নিমিত্রা পলকে-কে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। সৌমিত্র খাঁকে করা হয়েছে সহ-সভাপতি। রাজ্য কমিটি থেকে বাদ গিয়েছেন সায়ন্তন বসু। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দীপক বর্মন এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যাকে। দলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে জগন্নাথ সরকার, অর্জুন সিং, খগেন মুর্মুকে। আদি বিজেপি এবং নয়া বিজেপির মিশ্রণেই এই রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির তালিকা। pic.twitter.com/aIgDgc3X8k BJP Bengal (@BJP4Bengal) December 22, 2021একুশের বিধানসভা ভোটই হোক বা সদস্য সমাপ্ত কলকাতা পুরভোট। দুক্ষেত্রেই বিপর্যয়ের মুখ দেখেছে বিজেপি । বিধানসভায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ভোট শতাংশের হিসেবে কলকাতায় তৃতীয় স্থান পেয়েছে গেরুয়া শিবির। ফলে আগামী পুর এবং কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোকে মাথায় রেখেই এবারের রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্য কমিটিতে শহরকেন্দ্রীক নেতাদেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে লড়তে পারবে এবং সংগঠনের দিকেও নজর দিতে পারবে এমন মুখকেই তুলে আনা হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের একাংশের মত।এর পাশাপাশি জ্যোতির্ময় মাহাতোকেও রেখে দেওয়া হয়েছে নতুন কমিটিতে। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটিতে-সহ সভাপতি থাকছেন ১১ জন। সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছে পাঁচ জনের নাম। বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামো অনুযায়ী, সভাপতি পদের পরেই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর পদ এবং অন্যান্য সাধারণ সম্পাদকেরা।উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। দলের বাইরে হোক বা দলের অন্দরে, এই ধরনের প্রশ্নবাণ সামাল দিতে মাঝে মধ্যেই নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরভোটের ফলাফলের পরেও সেই একই প্রশ্ন অনেকেই তুলতে শুরু করেছিলেন। আর ঠিক তার একদিন পরেই এই ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Salman Khan : অনাবৃত ছবি পোস্ট করলেন সলমন, কমেন্ট করলেন প্রাক্তন প্রেমিকা

সলমন খান। যার বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও তাঁর সুন্দর চেহারার প্রতি আকৃষ্ট হন অনেক বলিউড অভিনেত্রীরা। সলমনের সুন্দরী ফ্যানরা তিনি যখন কোনও ছবি পোস্ট করেন কমেন্ট বক্সে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন। ফলে তাঁর পোস্ট মানেই সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোড়ন ফেলবে এটা তো স্বাভাবিক।আরও একবার এই বলি তারকা নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লিখেছেন এই টুপিটা কি মানাচ্ছে আমাকে? এখানে মজার বিষয়টা হল, বেশিরভাগ নেটিজেনই টুপি নিয়ে অন্য কিছু নিয়ে আলোচনায় মত হয়েছেন। এমনকি সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা সঙ্গীতা বিজলানিও এই পোস্টে কমেন্ট করা থেকে নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি।সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা সঙ্গীতা বিজলানিও ছবির কমেন্ট বক্সে আগুনের ইমোজি দিয়ে নিজের ভালোলাগার কথাটুকু বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে ছিলেন এই দুজন। কথা গড়িয়েছিল বিয়ের মন্ডপ পর্যন্তও। বিয়ের কার্ডও ছাপানো হয়ে গেছিল। তবে চারহাত এক হওয়ার আগেই সলমন-সঙ্গীতার সম্পর্কের সুতো ছিঁড়ে যায়। শেষপর্যন্ত সঙ্গীতার বিয়ে হয় প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে। যদিও ২০১০ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Anurag ‘অনুরাগ’ নিয়ে আসছেন শান্তনু সিনহা

পরিচালক শান্তনু সিনহার তৃতীয় ছবি অনুরাগ। ৩৫ মিনিটের এই ছবিটির পোস্টার ও ট্রেলার লঞ্চ হয়ে গেল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শান্তনু সিনহা, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, আনন্দ শঙ্কর চৌধুরী এবং অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য্য।এই ছবির মূল বক্তব্য ভালবাসা থাকে চিরদিন। ছবির শুটিং হয়েছে বর্ধমানের মানগড় এলাকায়।টুডে সাইন প্রাইভেট লিমিটেড প্রযোজিত সাইন প্রোডাকশনের ছবি অনুরাগ নিয়ে অভিনেতা দেবদূত ঘোষ জানালেন, পরিচালক শান্তনু আমার বহুদিনের পরিচিত। আমরা হুইলচেয়ার নামে একটি ছবি শুরু করারপরিকল্পনা করেছিলাম। যে ছবিতে মূল অভিনেতা হিসেবে থাকার কথা ছিল কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু অনেক কারণে সেই ছবি হয়নি। পরবর্তীকালে শান্তনু এই ছোট ছবির গল্পটা শোনায়, আমি গল্পটা শুনেই রাজি হয়ে যায়। ছবিতে আমার চরিত্রটা দারুন ইন্টারেস্টিং এবং চ্যালেঞ্জিং। প্রথমত পুরো ছবিটাই আউটডোরে একটা আন এক্সপোজড পিকটোরিয়াল গ্রাম বাংলার ব্যাকড্রপে শুটিং হয়েছে। এবং আমার চরিত্রটা এক রাতে পাল্টাতে পাল্টাতে শেষ পরিনতি কি হয় সেই গল্পই শোনাবে। ছবির গল্প চিত্রনাট্য, সংলাপ পরিচালকের নিজের। সঙ্গীত রাজ নারায়ন দেবের। ব্যবহৃত হয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর। পরিচালক শান্তনু সিনহা জানালেন, ছবিটি প্রথমে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হবে এবং তারপর ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shreelekha : বিয়ে করছে শ্রীলেখা! এমনটাই জানালেন পোস্টে

শ্রীলেখা মিত্র পোস্ট করেছেন। সেখানে খবর হওয়াটা তো স্বাভাবিক। কারণ টলিউড অভিনেত্রীদের মতো এত সোজাসাপ্টা কথা তিনি ছাড়া আর কেউ বোধহয় বলতে পারেন না। তবে তার এবারের পোস্টটা একটু আলাদা। পরিপাটি করে সেজেগুজে সকলের সামনে এনেন শ্রীলেখা। পরনের পোশাক নজরে না এলেও খোলা চুল, গলায় পান্না-হিরে দিয়ে সাজানো ভারী নেকপিস, কানে ঝোলা দুল দেখে কিছুটা আঁচ করাই যাচ্ছিল। হাসি মুখে শ্রীলেখার প্রশ্ন, মেয়ে পছন্দ?অভিনেত্রী আরও জানান, মেয়ে পছন্দ মানে বিয়ের জন্যই পছন্দ করতে হবে তেমন তো কোনও কথা নেই। কেউ নিজের মেয়ে হিসাবেও তাঁকে পছন্দ করতে পারে। আসলে শ্রীলেখার মন এখন একদমই ভালো নেই। গত সেপ্টেম্বর তিনি তার বাবাকে হারিয়েছেন। তাই বাবাকে হারানোয় মন খারাপ বাসা বেঁধেছে শ্রীলেখা মিত্রর মনে। তাই হয়তো তার এই পোস্ট মেয়ে পছন্দ?তার এই পোস্টে অনেক কমেন্টও এসেছে। একজন লিখেছেন,ছোটোবেলা থেকেই আপনার সিনেমা দেখেছি, আমার প্রিয় নায়িকাদের মধ্যে আপনি একজন। মেয়ে পছন্দ বলেই সিনেমাগুলো দেখতাম, আর এখন আপনার পেজ ফলো করি। আরেকজনের কমেন্ট,অসম্ভব সুন্দরী তো মেয়ে।খুব পছন্দ।আর এই মেয়েকে তো অনেক ছোট থেকেই পছন্দ করি।আমার কাছে খুব খুব প্রিয় তুমি। এরকম আরও অনেক কমেন্ট এসেছে তার পোস্টে।

নভেম্বর ২৪, ২০২১
কলকাতা

Nandigram-High Court: ফের পিছল নন্দীগ্রাম মামলা

আজ সোমবার হাইকোর্টে শুনানি ছিল। এর আগেও এই মামলা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবার ফের একবার পিছিয়ে গেল মামলা। এ দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলছে, তাই হাইকোর্টে শুনানি পিছিয়ে দিতে হবে।সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরই ফের শোনা হবে মামলা। আজ এমনটাই জানানো হয়েছে আদালতের তরফে।অন্যদিকে মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে লিখিত বয়ান আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুর আইনজীবীকে। আগামী ১ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তার আগে জমা দিতে হবে বয়ান। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলছে বলেই হাইকোর্টে মামলাটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।এই আর্জি শুনে ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী গোপাল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটি একটি নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা, তাই এই মামলা ফেলে রাখা যায় না। তাঁর বক্তব্য, অগস্টে মামলার শুনানি ছিল। এরপরও যদি শোনা না হয় তাহলে কবে শোনা হবে? এভাবে নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা ফেলে রাখা যায় না। অযথা এই মামলা ফেলে রাখা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে লিখিত বয়ান কেন জমা দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এরপরই বিচারপতি জানান, সুপ্রিম কোর্টের মামলার শুনানির আগে লিখিত আবেদন দিতে হবে শুভেন্দুর আইনজীবীকে। ২৯ নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারীকে লিখিত বয়ান দিতে হবে হাইকোর্টে।

নভেম্বর ১৫, ২০২১
দেশ

Goa-TMC: গোয়ায় তৃণমূলের হোর্ডিং-পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের আগেই উত্তপ্ত সেখানকার রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার হোর্ডিং-পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও সবটাই অস্বীকার করেছে সেখানকার শাসকদল।COWARDS. BJP defaces all communication featuring @MamataOfficial across Goa days before her visit.They miss the point.Contracts state that liability from such damage is the vendors,who are fellow Goans.Why hurt Goemkar enterprise? This State deserves better #GoenchiNaviSakal pic.twitter.com/YOfbUZaDJq Derek OBrien | ডেরেক ওব্রায়েন (@derekobrienmp) October 26, 2021উত্তরবঙ্গ সফর শেষে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে গোয়ায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে মঙ্গলবার সেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের প্রচার হোর্ডি-পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পোস্টারে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ডেরেক ওব্রায়েন ।ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন গোয়ারপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলাইরো। তিনি বলেন, এতদিন গোয়ায় সমস্ত রাজনৈতিক দলকে তাঁদের প্রচার করতে দেওয়া হত। মানুষের কাছে তাঁদের কথা তুলে ধরতে দেওয়া হত। কিন্তু তৃণমূলের আগমনে বিজেপি এতটাই সন্ত্রস্ত যে তাঁরা তৃণমূলের হোর্ডিং ভাঙছে।

অক্টোবর ২৬, ২০২১
দেশ

Babul Supriyo: অবশেষে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুল

সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ইস্তফাপত্র জমা দিতে মঙ্গলবার সকালে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা দেন বাবুল। মঙ্গলবার বাবুল যে ইস্তফা দেবেন এ কথাজানিয়েছিলেন।আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুজোর আগেই আগুন সবজি থেকে ফল, ধরলেই লাগছে ছ্যাঁকাবাবুল জানান, সাংসদ পদ ধরে রাখাটা অনৈতিক মনে হয়েছিল বলেই ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাবুল। এ দিন ওম বিড়লার বাসভবন থেকে বেরিয়ে তিনি একদিকে যেমন আসানসোলের প্রতি তাঁর আবেগের কথা ব্যক্ত করেন, অন্যদিকে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ নিয়ে খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারীকে।বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরই সংসদ পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়ে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এ জন্য গত মাসের শেষের দিকে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ব্যস্ত থাকায় তাঁর সময় পাননি বাবুল। তিনি দু বার চেষ্টা করেও স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে দাবি করেন বাবুল। অন্যদিকে লোকসভার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, আবেদনই করা হয়নি। আজ অবশেষে ইস্তফা দিলেন তিনি।

অক্টোবর ১৯, ২০২১
রাজনীতি

Babul Supriyo: মঙ্গলেই ইস্তফা বাবুলের

প্রায় এক মাস পর স্পিকার ওম বিড়লার কাছ থেকে সময় পেলেন বাবুল সুপ্রিয়। মঙ্গলবারই স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন তিনি।তৃণমূলে যোগ দিয়েই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু প্রায় এক মাস কেটে গিয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছ থেকে সময় পাচ্ছিলেন না। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারছিলেন না তিনি। এই নিয়ে অভিযোগ করে টুইটও করেন বাবুল সুপ্রিয়। যদিও লোকসভার সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছিল, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে যোগাযোগ করেননি বাবুল।বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরই সংসদ পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়ে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এ জন্য গত মাসের শেষের দিকে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ব্যস্ত থাকায় তাঁর সময় পাননি বাবুল। তিনি দুবার চেষ্টা করেও স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে দাবি বাবুলের। এই প্রেক্ষিতে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইটে স্পিকারকে দেওয়া তাঁর চিঠি তুলে ধরেন বাবুল।এ নিয়ে বাবুল বলেন, আমরা বলতে পারি না কেন স্ট্যাম্পটি নেই। তবে আমি আপনাকে বলতে চাই যে মাননীয় স্পিকারের উচ্চ পদে থাকা কাউকে স্ট্যাম্প লাগানোর জন্য অনুরোধ করাও সৌজন্যপূর্ণ নয়। যখন কেউ সেখানে স্বাক্ষর তারিখ, সময়, স্থান এবং পিএল নম্বর উল্লেখ করে চিঠিটি পাচ্ছেন।লোকসভার স্পিকারকে পাঠানো চিঠিটি টুইটারে তুলে দিয়ে বাবুল জানিয়েছিলেন, স্পিকারের তরফে সময় মেলেনি বলেই এখনও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেননি।

অক্টোবর ১৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal