• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Post

রাজ্য

পোষ্টার ঘিরে তোলপাড় বীরভূম, বিতর্ক ছড়াল বিজেপির অন্দরে

বিজেপির পোষ্টার ঘিরে তোলপাড় বীরভূম ফের অস্বস্তিতে বিজেপি। এবার পোষ্টারকে ঘিরে বিতর্ক ছড়াল বিজেপির অন্দরে। যদিও তার নামে ছাপানো ওই পোষ্টারের বিরুদ্ধে থানায় যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন কলোসোনা মণ্ডল। তাঁর দাবি, কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি এবং তৃণমূল এসব করেছে।প্রসঙ্গত, রামকৃষ্ণ রায় জেলা সভাপতি থেকে সরে যাওয়ার পরেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন সিউড়ির বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল। তবে দেবাশিস ধর প্রার্থী হওয়ার পর তিনি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু আইনি জটিলতায় দেবাশিসবাবুর প্রার্থী পদ বাতিল হওয়ায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন দেবতনু ভট্টাচার্য। পরেই অসুস্থ হয়ে পরেন দলের বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সহ। ফলে প্রচারেও খামতি দেখা যায় বিজেপিতে। অভিযোগ আমোদপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দেবাশিস ভট্টাচার্যকে মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এমনকি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও দেখা যায় না দেবাশিসবাবুকে। অভিযোগ দলের তরফে ডাক না পাওয়ায় সিউড়িতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন প্রাক্তন আই পি এস অফিসার দেবাশিস ধর। এই টানাপোড়েনের বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানানো কালোসোনা মন্ডলের নামাঙ্কিত পোষ্টার লক্ষ্য করা যায়। দলীয় প্যাডে ছাপানো অক্ষরে লেখা ওই পোষ্টারে কারও সাক্ষর না থাকলেও না রয়েছে কালোসোনা মণ্ডলের। ওই ছাপানো প্যাডই জেরক্স করে জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কালোসোনা মণ্ডল বলেন, দলের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে সরাসরি বলব। অভাবে চোরের মতো পোস্টার মারব না। আসলে বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রচার বিভাগ এসব করছে। যাতে আমাদের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য জয়ী হতে না পারে। তবে মনে রাখবেন বিজেপি বীরভূম লোকসভা নির্বাচনে জিতে গিয়েছে। মানুষ আর চোর তৃণমূলকে চায় না। তাই এখন কখন পোষ্টার দিয়ে কখন ভুয়ো ভিডিও করে বিজেপিকে খাটো করার চেষ্টা করছে। আমি এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করব। পুলিশ সি সি টিভি দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, এসব বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।

মে ১০, ২০২৪
দেশ

সর্বভারতীয় ইন্ডিয়া জোট কি এ রাজ্যেও, পোস্টার ঘিরে জোর বিতর্ক বাংলায়

ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধীরা একজোট হয়েছে। জোটে রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএমও। এবার এই ইন্ডিয়া জোটের হোডিং ঘিরে চরম বিতর্ক। সেই হোডিংয়ে একসঙ্গে রয়েছে মমতা-সনিয়া, রাহুল-অভিষেক এবং সেলিম-সুজন-অধীরের মুখ! সেখানে লেখা, ইনক্লাব জয় বাংলা স্লোগান। হুগলির চাঁপদানী, ভদ্রেশ্বর, পোলবা এলাকার বহু জায়গায় এই ধরনের হোডিং পড়েছে। যা নিয়েই বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা।দিল্লির মসনদ থেকে মোদী সরকারকে উৎখাত করতে কোমর বাঁধে নেমেছে বিরোধী ২৮টি রাজনৈতিক দল। তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআইএম সহ বিজেপি বিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দলই এই জোটের শরিক। জাতীয়স্তরে জোট হলেও বিভিন্ন রাজ্যে এই জোট কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। এদিকে প্রাদেশিক রাজনীতির সমীকরণের জেরে বাংলায় ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পঞ্জাব, দিল্লি, কেরলেও একই অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সরব কংগ্রেস ও সিপিআইএম রাজ্য নেতৃত্ব, তখন জাতীয়স্তরে ইন্ডিয়া জোটে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ওইসব দলের ভিতর থেকে। সিপিআইএম স্পষ্ট জানিয়েছে, সর্বভারতীয়স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে এক শিবিরে থাকলেও বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলের লড়াই চলবে। একই অবস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চৌধুরীরও। যদিও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা এ নিয়ে কিছু খোলসা করেননি। ফলে কৌস্তভ বাগচির মত কংগ্রেস নেতারা এ নিয়ে সরব।এই প্রেক্ষাপটে ইন্ডিয়া জোটের হোডিংয়ে একসঙ্গে মমতা-সনিয়া, রাহুল-অভিষেক এবং সেলিম-সুজন-অধীরের মুখ ঘিরে নানা জল্পনা। কিন্তু কারা লাগিয়েছে ওই হোডিং? এর জবাব নেঔ জোটের শরিক কোনও দলের জেলা নেতার কাছে। কেউ হোর্ডিং-এ সাইন-আপও করেনি।এই হোর্ডিং প্রসঙ্গে সিপিআইএম জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত ঘোষের কথায়, পোস্টার বা ব্যানারের তলায় কি কারোর নাম আছে? যখন অজানা কেউ এই ধরণের কিছু ছাপিয়ে শহরে টাঙায় তাহলে তাকে গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। আর এরকম কিছু আমার চোখেও পড়েনি। তাই এই বিষয় নিয়ে কিছু বলবো না। তাঁর কটাক্ষ, যারা এসব ছাপিয়েছে তারা মোদীর ছবিটাও ওই ব্যানার বা ফ্লেক্সে দিতে পারতো তাহলে তা ষোল কলা পূর্ন হত।হুগলির প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম ঘোষের কথায়, এখনও এই জোটের অনেক পথ চলা বাকি। এখনও অনেক কিছু হবে। সবই প্রাথমিক পর্যায়। তাই এখনও সময় হয়নি এই জোট নিয়ে আলোচনার। ব্যানার পোস্টার ছাপানো তো দূরের ব্যাপার।তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলছেন, এটা কারা লিখেছে, সেটা আমাদের জানা নেই। ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক, এটা আমরা সবাই চাই। বিজেপিকে আটকাতে হলে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে হবে। তবে এই পোস্টার বা ব্যানার কারা লাগাচ্ছে, সেটা আমাদের জানা নেই।যারপরনাই এই অবস্থা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহর দাবি, নীতি, আদর্শ চ্যূত জোটের এই অবস্থা মানুষ দেখুক। আমরা এতে চিন্তিত নই। এই লড়াই বিরোধী জোটের অভ্যন্তরীণ লড়াই। সহজেই বোঝা যায় এরা ক্ষমতায় এলে কি করতে পারে।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
রাজ্য

১৮ অগাষ্ট বাংলার এই জেলায় পালিত হল স্বাধীনতা দিবস, কেন ১৫ অগাস্ট নয়?

একই দেশ। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের দিন ভিন্ন। গত মঙ্গলবার ১৫ অগাস্ট দেশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। কিন্তু মালদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৫ নয়, ১৮ অগাস্ট। এই দিনে স্বাধীনতা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা। আর সেই পুরনো স্মৃতিকে সামনে রেখেই শুক্রবার মালদায় পালিত হলো স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীন হয়েছিল। ইংরেজরা দেশ ছেড়েছিল। ঠিক সেই সময় মালদা জেলা পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) অধীনে চলে গিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন সর্বত্র ছিল আলোর রোশনাই তখন মালদা ডুবেছিল গাঢ় অন্ধকারে। সেই সময়কার স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ব্যারিস্টারদের হস্তক্ষেপেই তিনদিন পর স্বাধীনতা পায় আমের জন্য খ্যাত মালদা জেলা। মালদার কালেক্টরের ভবনে পূর্ব পাকিস্তানের ঝান্ডা নামিয়ে উড়ানো হয় ভারতীয় তিরঙ্গা। আর সেই পুরনো স্মৃতিকে বজায় রেখেই আজও মালদায় ১৮ আগস্টে সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে স্বাধীনতা দিবস।শুক্রবার মালদা শহরের গ্রন্থাগারের বই বাগানে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাসের উদ্যোগে এবং মালদার বিশিষ্ট শিল্পীরা হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। অন্যদিকে ইংরেজবাজার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়া এলাকায় স্থানীয় কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ীর নেতৃত্বে ১৮ আগস্ট উপলক্ষে মালদার স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। এদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রবীণ মানুষদের উপস্থিতিতে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যখন ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। তখন গোটা দেশ এই স্বাধীনতার উৎসবে মেতে উঠেছিল। সেই সময় মালদা ছিল পরাধীন। পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) অধীনে চলে গিয়েছিল মালদা জেলার দশটি থানা। এই নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। মালদার কালেক্টারে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়েছিল। কিন্তু সেই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ব্যারিস্টারদের হস্তক্ষেপেই শুরু হয় সীমানা নির্ধারণের লড়াই। এরপর ১৮ আগস্ট মালদা জেলা ভারতের অংশ বলেই ঘোষণা করা হয়। আর সেই ১৮ আগস্ট থেকেই শুরু হয় মালদার স্বাধীনতা দিবস। পূর্ব স্মৃতি ও অতীত বিজড়িত অনেক কাহিনী মালদার এই স্বাধীনতাকে ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে। দুটি জায়গাতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কচিকাঁচা থেকে বড়রা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

আগস্ট ১৮, ২০২৩
কলকাতা

'বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে,' বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বাড়িতে পোস্টার। পাশাপাশি গতকাল হাইকোর্টে বিক্ষোভ করে আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে। এদিনও এজলাস বয়কট করেছে আইনজীবীদের একাংশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিচারকদের সন্ত্রস্ত করে নিজেদের পথে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এরকম হাইকোর্টে আগে দেখিনি। আমি ২৩ বছর আইনিজীবী ও ৫ বছর বিচারপতি আছি। বিচারপতি আরও বলেন, আমি শুনেছি শাসকদল প্রত্য়াখ্যান করেছে। কিন্তু কারা করছে তাঁদের আমরা চিনি। যা হয়েছে আপনারাও দেখেছেন আমি দেখেছি, সারা ভারত দেখেছে। শাসকদলের সবাই এটাকে ভাল বলেনি। এত সাহস কোন দুর্বৃত্তদের তাদের খুঁজে বের করতে হবে।হাইকোর্টে আইনজীবীদের একাংশের বিক্ষোভ ও এজলাস বয়কট নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। বিচারব্যবস্থায় এমন ঘটনা মেনে নিতে পারেনি প্রবীণ আইনজীবীরা। বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেছেন, এমন ধরনের একটি ঘটনায় ওড়িষায় ২৬ জন আইনজীবীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্টে গেলে একইরকম ভাবে এখানকার বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন অরুণাভ ঘোষ।

জানুয়ারি ১০, ২০২৩
রাজ্য

'গোলগাল, নাদুস নুদুস, মেরুদণ্ড নেই, গলায় গেরুয়া উত্তরীয়' পোস্টারে ছয়লাপ বর্ধমানসহ নানা জেলা, বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড়

বর্ধমান, সল্টলেক, মালদা সহ রাজ্যের নানা জায়গায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কার্টুন ছবি দিয়ে নিরুদ্দেশ সংবাদের পোস্টার পড়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সমস্ত ক্ষেত্রেই পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেল। বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের পাশে বড় বড় করে পোস্টার লাগানো আছে। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে-নিরুদ্দেশ সংবাদ- শুভেন্দুর কার্টুন ছবি তার নীচে লেখা রয়েছে এমন কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে দ্রুত সন্ধান দিন। রূপ-দেখতে গোলগাল, নাদুস নুদুস। মেরুদণ্ড নেই। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। ঠিকানা-কাঁথি।অসুখ-ভোট এলে লাইট বন্ধ করে দেন। নিয়মিত ২০০ চিৎকার করে মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। অকারণ ভ্যাট বকতে ভালোবাসেন। ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন ,তারপর লজ্জাবতী হয়ে মুখ লুকান ক্যামেরায় ঠোঙ্গা মুড়িয়ে খাম নিতে দেখা যায়।বিশেষ চিহ্ন-অভিষেক শব্দটি শুনলে দাঁত খেচিয়ে কামড়াতে আসেন। বেগম বেগম করে হেঁচকি তোলেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হলে বিরোধিতা করেন, কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়লে চুপ থাকেন। এই পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেল এদিন মালদা শহর জুড়ে এমনই পোস্টারকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়, নেতাজি মোড় এলাকায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির পাশেই নিরুদ্দেশ সংবাদ বলে শুভেন্দুর কার্টুন পোস্টার দেখা যায়।একই ধরনের পোস্টার দেখা গিয়েছে বিধান নগর স্টেশন ও সল্টলেকের করুণাময়ী, বিকাশ ভবনের সামনে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই পোস্টার তৃণমূল কংগ্রেস টাঙিয়েছে, যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বীকার করেছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২২
রাজ্য

আবার বর্ধমানে নিখোঁজ পোস্টার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলারের নামে

পোস্টার রাজনীতি অব্যাহত বর্ধমানে। রাজ্যে বিভিন্ন জায়গার রাজনৈতিক নেতাদের নিখোঁজ নোটিশ দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে সাধারণ জনসাধারণ। বর্ধমানে আবার তৃণমূল কাউন্সিলরের সন্ধান চেয়ে পোষ্টার পড়লো শহর জুড়ে। তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার জন্য এই পোষ্টার বিরোধীরা লাগিয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও বিজেপির দাবি, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।সোমবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের। বিষয়টি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বর্ধমান পৌরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উমা সাঁই। উমা সাঁই হলেন ১৯৭০-এর ১৭ই মার্চ বর্ধমান শহরের হারহিম হত্যা কান্ড সাঁই বাড়ির প্রতিনিধি। সেই উমা সাঁইয়ের সন্ধান চেয়ে কার্জনগেট চত্ত্বরে পোষ্টার দেখতে পাওয়া যায়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।পোষ্টারে উমা সাঁইয়ের ছবি দিয়ে সন্ধান চাই লেখা হয়েছে। কাউন্সিলর জানিয়েছেন, ওয়ার্ডের মানুষজন জানেন আমি ওয়ার্ডে যাই কিনা। সপ্তাহে দুদিন আমি ওয়ার্ডে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখি ও তার সমাধান করার চেষ্টা করি। ২০১৩ সালে এই ওয়ার্ড থেকে আমি জয়লাভ করি এবং এবছরও এই ওয়ার্ড থেকে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। কে বা কারা কি উদ্দেশ্য নিয়ে এই পোষ্টার লাগিয়েছে বলতে পারবো না।যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস এটাকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলেই দাবি করেছেন। রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে লড়াই করতে না পেরে তৃণমূলকে বদনাম করতে এটা করা হচ্ছে বলে দাবি তার। বিজেপি নেতা সুধীর রঞ্জন সাউ জানান, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তিনি আরও জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট করে ক্ষমতায় এসেছে, লজ্জায় তাঁরা মানুষের কাছে জেতে পারছে না। নিজেদের মধ্যে তোলাবাজির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সমস্যার জেরে এই পোষ্টার বলে দাবি বিজেপি নেতা সুধীর রঞ্জন সাউয়ের।উল্লেখ্য, মাস চারেক আগে বর্ধমানে পোস্টার রাজনীতির আমদানি হয়। শহরের কোর্ট কম্পাউণ্ডে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে ফের পদে ফেরানোর দাবিতে পোস্টার পড়ে। মাস খানেক আগে ফের কোর্ট কম্পাউণ্ডে পোস্টার পড়ে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার সাংসদ সুরিন্দর সিংহ আলুওয়ালিয়া নিখোঁজ বলে। তারপর বর্ধমান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর চায়না কুমারী নিখোঁজ বলে পোস্টার পড়ে। পোস্টার রাজনীতির নবতম সংযোজন বর্ষিয়াণ উমা সাঁই।

নভেম্বর ২৮, ২০২২
রাজ্য

নিখোঁজ পোস্টারের হিড়িক, এবারে সাংসদ এস এস আহলুয়ালিয়া নিখোঁজের পোস্টার!

এবারে সাংসদ নিখোঁজের পোস্টার পড়ল বর্ধমানে। বিজেপি সাংসদ এস এস আহলুয়ালিয়া নিখোঁজ এই শিরোনাম দিয়ে পোস্টার পড়েছে অনাময় হাসপাতালের এলাকার আশেপাশে।এলাকার মানুষ জানিয়েছেন ; আজ সকালে তারা দেখেন কে বা কারা ওই পোস্টার লাগিয়ে গেছে।এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে।এমনিতেই সাংসদ নির্বাচিত হবার পর থেকেই তাকে এলাকায় পাওয়া যায় না এই অভিযোগ রয়েছে।কোনো কর্মসূচিতেও তাকে তেমন দেখা যায়নি এই আড়াই বছরের বেশি সময়কালে। এমনকি দীর্ঘ কোভিড সংক্রমণের সময়ে বা কোনো বিপর্যয়ের পরে তাকে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ। বিধানসভার ভোটে বিজেপি হারার পরে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালীন কর্মীরা তাকে পাননি বলেও দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ রয়েছে।যদিও বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীরঞ্জন কুমার সাউ জানাচ্ছেন ; এটা নির্ঘাত তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ। এটা মিথ্যা প্রচার।উনি এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। নানা সমস্যায় পাশে দাঁড়ান। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের বহু কর্মী ওনার দ্বারা উপকৃত। আর সাংসদ হিসেবে নানা কাজের জন্য ওনাকে দিল্লি থাকতেই হবে। এর সঙ্গে তিনি একথাও বলেন; এটা সিপিএমের কাজও হতে পারে।এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান ; এটা নতুন কিছু নয়। যেখানেই উনি জেতেন ; মানুষ তাকে পায়না। এটা মানুষের ক্ষোভ। সাধারণ মানুষ হয়তো ক্ষোভপ্রকাশ করে এই পোস্টার দিয়েছেন। ওদের কর্মীরাই ওকে নানা সময়ে পাননি। তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ওদের দলেই। তারাও পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন। এসব কাজে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ যুক্ত থাকেন না।

অক্টোবর ৩১, ২০২২
রাজ্য

এবার বর্ধমানে নিখোঁজ পোস্টার! ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিখে প্রচার

আসানসোলের পর এবার বর্ধমানে পোস্টার। তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের সন্ধান চেয়ে পোষ্টার পড়লো বর্ধমান শহরে। শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চায়না কুমারীর নামে পোষ্টার ঘিরে চাঞ্চল ছড়ালো লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায়।বর্ধমান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চায়না কুমারী। রবিবার এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় চায়না কুমারীর সন্ধান চাই বলে একাধিক পোষ্টার দেখতে পাওয়া যায়। এই পোষ্টার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের অভিযোগ বিরোধীরা তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার জন্য এই ধরনের পোষ্টার লাগিয়েছে। জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, ওই ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। ওয়ার্ডে কাউন্সিলর থাকলেও সামগ্রিক উন্নয়নের দ্বায়িত্ব পৌরসভা নেয়। কাউন্সিলর কোথাও বেরাতে গিয়ে থাকতে পারে। তার জন্য তার নামে নিখোঁজ পোষ্টার এটা বিরোধীদের কাজ। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এটা বিরোধীরা করছে বলে দাবী করেন প্রসেনজিৎ বাবু। অপরদিকে বিজেপির দাবী এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বিজেপি নেতা সুধীর রঞ্জন সাউ জানান, গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলে পিসি ভাইপোর গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সারা রাজ্য দেখছে। এই লড়াইটা এখন ওয়ার্ড স্তরে চলে এসেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা বিজেপির কালচার নয়। কিছু তৃণমূল নেতা করেকম্মে খেতে না পারার জন্যই তাদের মধ্যে এই কাদা ছোড়াছুড়ি। এটা তারই ফল। এবিষয়ে কাউন্সিলর চায়না কুমারী টেলিফোনে জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কে বা কারা এটা করেছে জানিনা।বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। খোঁজ না নিয়ে কোন মন্তব্য করবো না।

অক্টোবর ৩০, ২০২২
রাজনীতি

বিজেপি নেতাদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র

বিজেপিকে মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হবে না বলে নিদান দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু। যতক্ষণ না কেন্দ্র সরকার পাওনা টাকা দিচ্ছে ততক্ষণ বিজেপিকে মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হবে না বলে কর্মীদের বার্তা দিলেন দেবু টুডু। পাশাপাশি তার হুশিয়ারি, মিটিং মিছিল করতে এলে ওদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখা হবে।শনিবার পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীর সভায় দেবু টুডু উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বিজেপি গরিব মানুষদের একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। গরিব মানুষদের আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে। আমাদের পাওনা টাকা দিচ্ছে না। পাওনা টাকা না দিলে ওদের মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হবে না। প্রতিবাদ করুন। ওরা মিটিং মিছিল করতে এলে বেঁধে রাখুন। আগে পাওনা টাকা মেটাক। তারপর ওদের মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হবে। আদিবাসী গরিব খেটে খাওয়া মানুষের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি সরকার।গুসকরায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী সভায় বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, তৃণমূল সরকার শিক্ষকদের চাকরী চুরি করেছে। টাকা নিয়ে অযোগ্যদের চাকরীতে ঢুকিয়েছে।এ খন সেসব ধরা পড়ছে। সেই আতঙ্কে এসব বলে হাওয়া গরম করতে চাইছে। এতদিন বলতো সব টাকা দিদি দেয়। তাহলে এখন তারা বলতে বাধ্য হচ্ছেন টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। দুর্নীতি করেছে একশো দিনের কাজে, আবাস যোজনায়। অডিট রিপোর্টে সব ধরা পড়েছে।

অক্টোবর ১৫, ২০২২
রাজ্য

চোর সন্দেহে গণপ্রহার, ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে প্রহার

পুরাতন মালদার পৌরসভা অফিসের পাশে সবজি বাজারে এক মোবাইল চুরি করার সন্দেহ করে চোরকে ইলেকট্রিক খুঁটিতে বেঁধে মারধর। ঘটনাস্থল থেকে মালদা থানা পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় হাসপাতালে ।জানা গেছে ওই যুবকের বাড়ি বর্ধমান জেলার আসানসোলে।ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা পুরসভা লাগোয়া বাজারে।জানা গিয়েছে,পুরাতন মালদা পুরসভা লাগোয়া বাজারে বেশ কিছুদিন থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মোবাইল ফোন চুরি হচ্ছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বাজার কতৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করে। গত কয়েকদিনে প্রায় পাঁচটির বেশী মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। বিষয়টি বাজারের সকলের নজরে আসে। এরপর বেশ কয়েকদিন থেকে ওই যুবককে বাজারে ঘুরে বড়াতে দেখা যাচ্ছে। এরপর থেকে যুবককে নজরে রাখতে শুরু করে বাজারের দোকানীরা। এদিনও এক ক্রেতা বাজার করছিল। ঠিক সেই সময় ওই যুবক বাজার করার অচ্ছিলায় ক্রেতার বুক পকেটে নিচ ধাক্কা মারতে থাকে। এরপর মোবাইল ফোনটি পরে গেলে নিয়ে পালাতে যায়। সেই সময় স্থানীয়রা ওই মোবাইল চোর যুবককে ধরে ফেলে। এরপর তাকে ইলেক্ট্রিক পোলে বেঁধে মারধর দেয় উত্তেজিত জনতা। খবর দেওয়া হয় মালদা থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ক্রেতারা জানান,এই বাজারে কোন নিরাপত্তা নেই। যার ফলে প্রায়ই চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে নিরাপত্তা দিতে হবে। মালদা থানার পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছ, ধৃতকে চিকিৎসার চলছে। সুস্থ হলে তাকে জিঞ্জাসাবাদ করা হবে। তার নাম পরিচয় নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
রাজনীতি

ভোট পরবর্তী হিংসাঃ সাজা হলে তবেই সিবিআইতে আস্থা, ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

শুধু ডাকাডাকি করলে হবে না সাজা দিতে হবে, না হলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে কি করে? ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে ফের সরব বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।বুধবার প্রাতর্ভ্রমণের পর তারাপীঠে চা চক্রে অংশগ্রহণ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি তথা খড়্গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সকাল ছটা নাগাদ তারাপীঠ এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। এরপর তারাপীঠ পূর্বসাগর মোড়ে চায়ের দোকানে বসে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তিনি চা চক্রে মিলিত হন। এদিন চা চক্র শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে দিলীপবাবু অনুব্রত মন্ডলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, নিজের নামে সম্পত্তি নেই মানেই সম্পত্তি নেই এমনটা নয়। উনি যা বলছেন কোর্টে প্রমান করতে হবে। আর গ্রেফতার হলেই সবাই বলে রাজনৈতিক চক্রান্ত।অন্যদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আগেই সিবিআইয়ের উপর আস্থা হারিয়ে মুখ খুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে সিবিআইয়ের বেশ কয়েকটি মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে, তলব করাও চলছে। গতকালই বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তলব করেছিল তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে। এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, শুধু ডাকাডাকি করলে হবে না সাজা দিতে হবে। না হলে মানুষ বিশ্বাস করবে কি করে। দুষ্কৃতীরা খুন করে দেবে, দেশে কোনও আইন নেই, সাজা নেই। সেটা করে দেখাতে হবে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানের বিজেপি জেলা কার্যালয়ের সামনে একটি ফ্লেক্স টাঙানো নিয়ে আলোড়ন পড়েছে

ফ্লেক্স লেখা আছে যে সব চাকরিপ্রার্থীরা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা সরকারি আধিকারিকদের টাকা দিয়েও চাকরি পান নি। তারা জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে তাদের বিজেপির দলীয় কার্যালয় যোগাযোগ করলে তারা দায়িত্ব নিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে দেবে।সম্প্রতি বর্ধমানে দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বর্ধমানের বড়নীলপুর এলাকায় একটি পথসভা হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিন, যারা টাকা দিয়েও চাকরি পাননি তারা জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুক। তাদের নাম গোপন রাখা হবে। সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে সেই টাকা তাদের ফিরিয়ে দিতে দেওয়া হবে। এই দায়িত্ব নিতে হবে।এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন জেলা সভাপতি নির্দেশেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, কারোর এই ধরনের সমস্যা হলে তারা তো প্রশাসনের কাছে যাবে, পুলিশের কাছে যাবে, বিজেপি অফিসে যাবে কেন।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
রাজ্য

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় বীরভূম থেকে তিনজন কে গ্রেপ্তার করল সিবিআই

অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায়। এবার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় তৎপর সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বোলপুর থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। তৃণমূল নেতা পঞ্চানন খাঁ সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে।শনিবার সকাল থেকেই বীরভূম জুড়ে তল্লাশি চালালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দুপুরে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ তিনজন তৃণমূল নেতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই। কঙ্কালীতলা থেকে আটক করা হয়েছে তাঁদের। পরে বিকালে গ্রেফতার করা হল তিন জনকে। এদিন কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামন শেখের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই অফিসারেরা। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত করছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শনিবার আচমকাই তাঁদের একটি দল বীরভূম জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। কঙ্কালীতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষ জনকে ধরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।২০২১ সালের ২ মে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই দিকে দিকে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা৷ বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় একই অভিযোগ ওঠে৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ঘটনার তদন্তে এসে বীরভূম থেকে তিনজনে নাম কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেন অভিযুক্ত হিসাবে৷ তারা হলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান, কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামন শেখ ও তার সঙ্গী পঞ্চানন খা৷ এদিন এই মামলায় তদন্তে এসে সকাল সকাল তৃণমূল নেতা পঞ্চানন খাঁ, বাদল শর্মা ও তীর্থনাথ হাজরাকে আটক করে সিবিআই অফিসারেরা।এদিন দুপুরে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর পূর্বপল্লী অতিথি নিবাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে তাদের আনা হয়৷ শুরু হয় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ। আটক অভিযুক্তদের বক্তব্যে ব্যাপক অসঙ্গতি থাকায় পরে ধৃতদের পরিবারের লোকজনকে ক্যাম্প অফিসে ডেকে পাঠানো হয়৷তাঁরা সরাসরি হিংসায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও, আরও তিন জনকে ডেকে পাঠানো হয়, তাঁরাও শিবিরে পৌঁছেছেন বলে খবর।এদিন, বিকেলে আটক তিন জনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই৷ গ্রেপ্তারের পরেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ জানা গিয়েছে, রবিবার ধৃতদের বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। অন্যদিকে, উপ প্রধান মামন শেখের লায়েকবাজারের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। বাড়িতে ছিলেন না উপ প্রধান। বাড়ি ফিরলে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে দেখা করার জন্য পরিবারের লোকজনকে বলে আসেন গোয়েন্দারা।প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় কংকালী এলাকায় একাধিক বিজেপি কর্মীকে মারধর, লুঠপাট, তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে৷ এমনকি, এক বিজেপি কর্মী মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগও জমা পড়েছে। মারধর, খুন, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ করে তারা। এমনকি ভয়ে বহু বিজেপি কর্মী বাড়ি ছাড়া বলেও দাবি করে। এর পর মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই-এর হাতে গুরুতর অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তুলে দেয় আদালত।

আগস্ট ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

পোস্টকার্ডে বিশেষ ভাবনা, সঙ্গে গান

সময়টা বড়ই আধুনিক। যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও তার প্রভাব যথেষ্ট। সেই রানারের চিঠি বিলির দিন আজ অনেকটাই সরকারি কাজে, না হলে খুব প্রয়োজনে, এছাড়া চিঠি-চাপাটির দিন আজ অনেকটাই সেকেলে।আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইউটিউবে আজ মানুষ ভ্লগ দেখেন, ইমেল, হোয়াস্ট অ্যাপে মনের কথা, কাজের কথা আদান প্রদান করেন। একটা সময় ছিল যখন চিঠি লেখা ছিল অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম। যেহেতু মানুষের প্রয়োজনের মাধ্যম ছিল তাই অনেক সচেতনতা সংক্রান্ত বিষয়ও পোস্টকার্ডে ছাপা হতো। দেওয়া হতো নানা রকমের বিজ্ঞাপন। আজ এই সব অনেকটাই অতীত।সচেতনার পাঠে পোস্টকার্ড ব্যবহার এখন তেমন ভাবে চল না থাকলেও একটা সময় পোলিও দূরীকরণ কর্মসূচীর বিজ্ঞাপন বেশ চোখে পড়তো।থাকতো সিনেমার বিজ্ঞাপন, নানা রকম বানিজ্যিক দ্রব্যের বিজ্ঞাপনও। ডাক বিভাগের এছিল আয়ের এক সূত্র।সেটা আজ অতীত হলেও এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে পোস্টকার্ডের সেই চিঠি পাঠানোর নস্টালজিয়াকে উস্কে দিল সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন। এবার পোস্টকার্ডে জনসংযোগে নামলেন থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত সচেতনতাকে কাজে লাগাতে। এই বিষয়ে সারা বছর নানা কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত প্রাণ এই সংস্থা এবার পোস্টকার্ড পাঠালো বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থার কর্মী-সদস্যদের। উদ্যেশ্য একটাই, থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে পন্থা একটু অন্যরকম।এর উপরি পাওনা আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবসের প্রাক্কালে বিশ্ব সঙ্গীতের আঙ্গিনায় সনামধন্য কৃতি সঙ্গীত শিল্পীদের পোস্টকার্ডে স্মরণ। পোস্ট কার্ডের একপাশে যেমন আছে থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত সচেতনতার কথা, অপর দিকে আছে এলভিস প্রিসলি, ম্যাডোনা, সলিল চৌধুরী, রাহুল দেব বর্মণ, জন লেনন-এর মতো সঙ্গীতজ্ঞদের সম্পর্কিত কিছু তথ্য। গানের ভুবনে যাঁদের কৃতিত্ব অনস্বীকার্য এই পোস্টকার্ড থ্যালাসেমিয়া সচেতনতার পাশাপাশি ওঁদেরকেও স্মরণ করায়। এই ভাবনা প্রসঙ্গে সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য বলেন, পোস্টকার্ড হলো জনসংযোগের সব থেকে পকেটফ্রেন্ডলি মাধ্যম। এত সস্তায় আম আদমি পোস্টকার্ড ছাড়া নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখত না। এখন এসব অতীত। এখন পোস্টকার্ডের দাম কত জিজ্ঞাসা করলে অনেকেই বলতে পারবেননা। আমরা সেই নস্টালজিয়াটাকে ফিরে দেখলাম এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে। তিনি আরও জানান, গানের এই বিশেষ দিনকে মনে করলাম বিশ্বসঙ্গীতের কয়েকজন কিংবদন্তিকে যাঁরা সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের সেবা করেছেন। মিউজিক থেরাপি। মানুষের মন ভালো রাখার ওষুধ। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে মাথায় রেখেই আমরা এবার পোস্টকার্ডে জনসংযোগে নামলাম।

জুন ১৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সোশ্যাল মিডিয়ায় কি এমন লিখলেন দেব? নেটিজেনদের মন কাড়ল

২৯ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স এর প্রযোজনায় পরিচালক রাহুল মুখার্জির ছবি কিশমিশ। কিশমিশ এর মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর পর ফিরে এলো রোম্যান্টিক দেব। ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আলাদাই উন্মাদনা রয়েছে।কিশমিশ দেখে সকলেই ভালো ফিডব্যাক দিচ্ছেন। এর মধ্যেই দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা আনন্দের কথা শেয়ার করে নিলেন। যা সুপারস্টারের অগুণিত ভক্তদের মুগ্ধ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেব একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, আজ পর্যন্ত আমার ৩৯ বছরের এই জীবনে আমার বাবা আমাকে একটি চিঠিও লেখেনি, প্রতিটা সিনেমার মতো আজকেও আমার বাবা এবং আমার পরিবার এসেছিলো Kishmish সিনেমাটি দেখতে, সিনেমা শেষ হওয়ার পর ব্যস্ততার কারণে বাবার কাছে জানতে পারিনি কেমন লেগেছে সিনেমাটা, সব শেষে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন দেখলাম দরজার বাইরে বাবা লিখেছে Kishmish Super duper Hetes। আজকে যেন মনে হলো বাবাকে জীবনে প্রথমবার গর্ববোধ করাতে পারলাম, #Kishmish আপনাদের কতটা ভাল লাগবে তা আমার জানা নেই, কিন্তু আজকের দিনের এই অনুভূতিটা আমার কাছে কিশমিশের মত মিষ্টি হয়ে থাকবে সারা জীবন। সিনেমার ভাষায় আজ যেনো অস্কার পেলাম।তাঁর এই পোস্ট সবাইকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। আরও অনেকের কাছে কিশমিশ এর মতো মিষ্টি হয়ে গেছেন টলি সুপারস্টার।

মে ০১, ২০২২
রাজনীতি

সোশাল মিডিয়ায় কী লিখলেন দেবাংশু? পোস্ট ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসে তুলকালাম, মুহূর্তে ডিলিট

গত ২০২১-এ এই দিনে উত্তেজনায় টগবগ করছিল সারা বাংলা। পরের দিন ছিল বিধানসভা নির্বাচনের গণনা। ২ মে ফল প্রকাশের পর দেখা গেল টানা তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতাসীন হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ২১৩টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ৭৭টি। কংগ্রেস ও সিপিএম কোনও আসনেই জয় পায়নি। এরইমধ্যে সিপিএমের জোটসঙ্গী আব্বাস-উদ্দিনের দল ভাঙড়ের আসনে জয়লাভ করে।তৃণমূলের জয়ের পর বিজেপি থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘরে ফিরতে শুরু করে। তাঁদের না ফেরানো নিয়ে আগেই মন্তব্য করেছিলেন যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। ফের এদিন সোশাল মিডিয়ায় সেই আবহের কথা তুলে ধরে গঙ্গা জলের সঙ্গে ড্রেনের জলের তুলনা টেনেছেন দেবাংশু। বিতর্ক শুরু হতেই ফের সেই পোস্ট ডিলিটও করে দিয়েছেন তিনি। তবে সেটা যে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেরই মনে কথা, তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে চর্চা অভ্যাহত।এদিন দেবাংশু লিখেছেন, গত বছর ঠিক আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যে যে তৃণমূলটা ছিল, সেটাই নিষ্কলুষ। ধান্দাবাজহীন, অকৃত্রিম, প্রকৃত তৃণমূল। তারপর তো বন্যা এল! গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার! তবুও দলে একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে বলেই বিশ্বাস। তারা পিছনের সারিতেই থাকবেন, সেটাও বিশ্বাস করে দলের কর্মীরা। তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসার পর লাইন দিয়ে ঘরওয়াপসি শুরু হয়ে যায়। অনেক পদও পেয়ে গিয়েছেন। দেবাংশুর এই পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়তেই বিতর্ক এড়াতে সেটাও ডিলিট করে দেন তরুন তুর্কি এই যুব নেতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, পোস্টের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে ফের আর একটা পোস্ট করেন দেবাংশু। একসময় এই যুবনেতা হুঙ্কার ছেড়েছিল, বিজেপি থেকে দলে ফিরলে তিনি গদ্দারদের আটকাতে তৃণমূল ভবনের দরজায় শুয়ে থাকবেন। যদি পাল পালে তৃণমূলে ফিরলেও তিনি আটকাতে পারেননি।বিতর্ক বাড়তেই পোস্ট ডিলিট দেবাংশুরধাপে ধাপে একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়কে দিয়ে এই ঘরে ফেরার পালা শুরু হয়েছিল। ইদানিং ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ পাট শিল্প নিয়ে বিদ্রোহ করেছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আন্দোলনে রাজি বলেও তিনি ঘোষণা করেন। চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফের জল্পনা শুরু হয়ে যায় তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে। কারণ এর আগে বাংলার মানুষ দেখেছে কীভাবে দলনেত্রীসহ তৃণমূল নেতৃত্বকে কড়া সমালোচনা করেও দলে দলে বিজেপি থেকে ঘাসফুল শিবিরে ফিরে গিয়েছেন। এমনকী অর্জুন সিংয়ের ভাইপো ভাটপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌরভ সিং যিনি রাজনীতিতে তাঁর ডানা হাত বলে পরিচিত ছিলেন, তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এমন অনেকেই ফের তৃণমূলে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল।বিতর্ক বাড়তেই পোস্ট ডিলিট দেবাংশুরপোস্ট ঘিরে বিতর্ক বাড়তেই তা ডিলিট করে দেন দেবাংশু। ফের তিনি পোস্ট করে লেখেন, শেষ পোষ্টের অর্থ হয়ত ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণ বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম। কর্মীরাই দলের সম্পদ। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। এই দলে কর্মীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হয়। কারণ, এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পোস্ট, ডিলিট, ফের পোস্ট যাই হোক না কেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের মনে কথা দেবাংশু লিখেছেন বলে তাঁরা মনে করছেন।

মে ০১, ২০২২
কলকাতা

থ্যালাসেমিয়া সচেতনতায় শহর জুড়ে বিভিন্ন রূপে সত্যজিতের চরিত্ররা

৮ মে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে এই ব্যাধির বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচী নেওয়া হয়ে থাকে। পিছিয়ে থাকেনা আমাদের শহর কলকাতাও।শহরের এক অতি পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনও সামিল হন এমনিতেই এই বিশাল কর্মযজ্ঞে। এমনিতেও সারা বছর ধরে এই সংগঠন বিভিন্ন ধরণের সচেতনতামূলক কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে।এবছর ৩ মে থেকে শুরু হচ্ছে নানা কর্মসূচী। তবে সব থেকে চমক হল এবছরের সচেতনতার প্রচার পরিকল্পনায়। শহর জুড়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতায় নেমেছেন সত্যজিৎ রায়ের ছবির চরিত্রেরা। দেবীর শর্মিলা ঠাকুর, জলসাঘরের ছবি বিশ্বাস, মহানগরের মাধবী মুখোপাধ্যায়, গুপি গাইন বাঘা বাইন এর রবি-তপেশ, সোনার কেল্লার সৌমিত্র, আগন্তুকের উৎপল দত্ত আরো অনেকে। প্রচারে এই চরিত্রেরা থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতার নানা কথা বলছেন। ছবির থিম, কখনো ডায়ালগকে মাথায় রেখে বানানো হয়েছে নানা রকমের স্লোগান। ঠিক যেন এই চরিত্র গুলো আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ হয়ে পথে নেমেছে।সত্যজিৎ ও থ্যালাসেমিয়া২ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী। সদ্য শতবার্ষিকী হয়েছে। তিনি শিশুদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। গল্প লেখা থেকে শুরু করে, ছবি বানানো, সন্দেশ পত্রিকার সম্পাদনা, নানা রকম ইলাসট্রেশন করা। অথচ একটু অসচেতনতার জন্য সেই শিশুরাই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ যেন সেই সব থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের পক্ষ থেকেই এই বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাকে স্মরণ। ক্যাপশন গুলো লিখেছেন তারাই।সত্যজিৎ ও থ্যালাসেমিয়াসেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন এর সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য জানিয়েছেন, সত্যজিতের ছবি খুব পপুলার। চরিত্রগুলোও ভীষণ জনপ্রিয়।এই ধরনের চরিত্র গুলোকে যদি প্রচারের মাধ্যমে আনা যায় তাহলে লোকের চোখে বেশি করে পড়বে। সেক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর আমাদের যে লক্ষ সেটা সফল হবে। সত্যজিৎ বাবু তাঁর সৃষ্টিতে অমর। এখানে তাঁর সৃষ্টি সমাজে থ্যালাসেমিয়ার মতো একটা ব্যাধি সম্পর্কে সচেতনতার অংশ হয়ে উঠল এতে সামগ্রীক ভাবে প্রচারটা অনেক বেশি করে লোকের চোখে পড়লো। এছাড়া থাকছে ডাক্তারদের সম্মাননা প্রদান জীবনদেবতা সম্মান, রক্তদান শিবির সহ নানা কর্মসূচী।

মে ০১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের গল্পে ভালোবাসার ছোঁয়া

থ্রিলার নয়, এবার ভালোবাসার গল্প বলবেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবির নাম এক্স=প্রেম। ছবির ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়েছিল। এবার সামনে এল এই ছবির পোস্টার। সাদা-কালো ক্যানভাসে তৈরি এই পোস্টার একটু নস্টালজিক। প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের তরফে সিনেমার পোস্টারটি শেয়ার করে লেখা হয়, ভালবাসা স্মৃতি ছাড়া আর কী? স্মৃতি ভালবাসা ছাড়া আর কী? ছবি মুক্তি পাচ্ছে ১৩ মে। এছাড়া পোস্টার মুক্তির পাশাপাশি এই ছবির গানও মুক্তি পেল। ২০২১ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছিল ছবির শ্যুটিং। জাতীয় পুরস্কারজয়ী সৃজিত জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে দর্শকরা অনেকদিন ধরেই অনুরোধ করছে একটা প্রেমের সিনেমা বানানোর। সেইজন্যই এক্স=প্রেম। কলেজ জীবনের প্রেমের গল্পই শোনাবে ছবিটা। যদিও চিরাচরিত প্রেমের গল্প বলছেন না পরিচালক। সঙ্গে রয়েছে অভিনবত্বের ছাপ।সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের গল্পে ভালোবাসার ছোঁয়াইন্ডাস্ট্রির একঝাঁক নতুন তরুণ মুখ নিয়ে আসছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, শ্রুতি দাস, অর্জুন চক্রবর্তী ও মধুরিমা বসাক। এই ছবি দিয়েই অভিনয় জগতে ডেবিউ করছেন অনিন্দ্য এবং শ্রুতি। অর্জুন, মধুরিমারও সৃজিতের সঙ্গে প্রথম কাজ করছেন।

এপ্রিল ১১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে আম আদমি পার্টির পোস্টার, শহরজুড়ে আলোড়ন

দিল্লিতে ক্ষমতাসীন ছিল আম আদমি পার্টি তথা আপ। দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে পাঞ্জাবে ক্ষমতাসীন হয়েছে আপ। বেশ কিছুকাল থেকেই আপ এর পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছিল সদস্য হওয়ার জন্য। শহর বর্ধমান রাজনৈতিক সচেতন বলে সকলের ধারণা। সদ্য পৌরসভা নির্বাচনে ৩৫টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় আপের পোস্টার পড়লো। তাতে যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার সহ আপের সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের ছবিও রয়েছে। নতুন করে এই পোস্টর রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ছড়িয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আছে। যেকোনও রাজনৈতিক দল পোস্টার লাগাতে পারে। এতে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব দেখা দেবে না। এখন দেখার আম আদমি পার্টি বা আপ আগামী দিনে শহরে কতটা প্রভাব ফেলে। উল্লেখ্য, মালদা শহরে আপের সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে।

মার্চ ১২, ২০২২
রাজনীতি

তৃণমূলে যোগ দিয়েই নতুন পদ পেলেন জয়প্রকাশ মজুমদার

অবশেষে জল্পনার অবসান। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার যোগ দিলেন তৃণমূলে। নাটকীয়ভাবে নজরুল মঞ্চে বৈঠক করল তৃণমূল। সেখানেই জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের রাজ্য-সহ সভাপতি হলেন জয়প্রকাশ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। উল্লেখ্য, সোমবারই লকেট চট্টোপাধ্যায় দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রিতেশ তিওয়ারিও।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকেই শেষ পেরেকটা পোঁতা হয়েছিল। সোমবার সকালে আকস্মিক নজরুল মঞ্চের সামনে তৃণমূল নেতাদের পাশেই দেখা যায় জয়প্রকাশকে। আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতিই ঘটাল জল্পনার অবসান। উল্লেখ্য, বিজেপিও জয়প্রকাশকে দল থেকে বহিষ্কৃত করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের সঙ্গে ছেলেকে এনেও জয়প্রকাশ বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর পরিবারও আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণীত।কিন্তু কি করব - রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কিছুতেই এটা করতে দিচ্ছেন না। আমি অসহায়। pic.twitter.com/CF4BzzIO5g Jay Prakash Majumdar (@jay_majumdar) March 5, 2022সাময়িক বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য তৃণমূলে গিয়েছেন বলে মনে করেন বিজেপি-র সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের নীতির কারণেই দলত্যাগ হচ্ছে।মঙ্গলবার লকেট বলেন, আগেও দল ছেড়ে অনেক নেতা চলে গিয়েছেন। অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দল ছেড়ে কেউ চলে না যান, তার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা উচিত। সবাইকেই রোখা উচিত। আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। কথা বলার পরেও যদি কেউ চলে যান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। লকেট আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সকলেই জয়প্রকাশকে দল ছেড়ে তৃণমূলে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু জয়প্রকাশ তা শোনেননি।

মার্চ ০৮, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal