• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Olympics

খেলার দুনিয়া

L‌ovelina Boxing Gloves : লভলিনার বক্সিংয়ের দর কত উঠল জানেন?‌ শুনলে আঁতকে উঠবেন

এক জোড়া বক্সিং গ্লাভসের দাম ১০ কোটি! দুটি জ্যাভেলিনের দাম ১০ কোটি টাকা! সত্যিই চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। এই বক্সিং আর জ্যাভেলিন তো আর যে সে অ্যাথলিটের নয়। অলিম্পিকে পদকজয়ী দুই কৃতীর। স্মারক হিসেবে অনেকেই ঘরে রাখতে আগ্রহী। সুতরাং নিলামে দাম যে আকাশ ছোঁয়া হবে, এটাই স্বাভাবিক। আর এই সামগ্রী নিলাম করে সংগৃহীত অর্থ মহৎ কাজে লাগানো হবে। টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছিলেন নীরজ চোপড়া। প্যারালিম্পিকে জ্যাভলিনে সোনা জেতেন সুমিত। তাঁরা দুজনেই নরেন্দ্র মোদীকে জ্যাভলিন উপহার দিয়েছিলেন। এই জ্যাভলিন দুটির দর উঠেছে ১০ কোটি টাকা। এগুলির বেস প্রাইস ছিল ১ কোটি টাকা। লাভলিনা বরগোঁহাই অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তিনি যে বক্সিং গ্লাভস অলিম্পিকে পরেছিলেন তা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। সেই বক্সিং গ্লাভসের বেস প্রাইস ছিল ৮০ লক্ষ টাকা। এর দরও দ্বিতীয় দিনে পৌঁছে গিয়েছে ১০ কোটি টাকায়।গঙ্গা মিশনের জন্য তহবিল গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বেশ কিছু উপহার ও স্মারক নিলামে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই ই-অকশন। চলবে ৭ অক্টোবর অবধি। ইনিলামের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে। তাতেই আকাশছোঁয়া দর উঠেছে টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকে পদকজয়ীদের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া উপহারের। অলিম্পিয়ান নীরজ চোপড়া, লাভলিনা বরগোঁহাই ও প্যারালিম্পিয়ান সুমিত আন্টিলের মোদীকে দেওয়া উপহারের দর দ্বিতীয় দিনে পৌঁছে গিয়েছে ১০ কোটিতে। টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতের পুরুষ হকি দলের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে যে হকি স্টিক উপহার দেওয়া হয়েছিল সেটির দর উঠেছে ৯ কোটি। শাটলার পিভি সিন্ধুর তরফে উপহার হিসেবে দেওয়া র্যাকেটেরও দাম উঠেছে ৯ কোটি। টোকিও অলিম্পিকে যাওয়ার আগে অলিম্পিয়ান ও প্যারালিম্পিয়ানদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উৎসাহিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। টোকিও অলিম্পিকে পদকজয়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে। এরপর অলিম্পিয়ানদের প্রাতরাশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও অলিম্পিয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাত করে হাল্কা মেজাজে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। সম্পূর্ণ আলাদা মেজাজে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। সে সময় অলিম্পিয়ানরা তাঁকে বিভিন্ন উপহার দেন। তখনই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এগুলি আমি নিলামে তুলব। পরে প্যারালিম্পিয়ানদের সঙ্গেও তিনি সাক্ষাত করেন এবং পদকজয়ীরা বিভিন্ন উপহার দেন মোদীকে। সেই সবই নিলামে তোলা হয়েছে নমামি গঙ্গে মিশনের তহবিল গড়ার উদ্দেশ্যে।উপহার ও স্মারক মিলিয়ে ১৩৩০টি সামগ্রী রাখা হয়েছে ইনিলামে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের রেপ্লিকা, শাল ও স্টোল এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রাপ্ত বিভিন্ন উপহার ও স্মারক। রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তরফে মোদীকে দেওয়া অযোধ্যার রাম মন্দিরের রেপ্লিকা, উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী সৎপাল মহারাজের দেওয়া চারধাম মন্দিরের রেপ্লিকা ইত্যাদি। ২০১৯ সালে শেষবার এমন ইনিলামের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই নিয়ে তৃতীয়বার হচ্ছে এমন নিলাম।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Para Olympics : নীরজে উদ্বুদ্ধ দেবেন্দ্র প্যারালিম্পিকে দেশকে এনে দিলেন রুপো

জ্যাভেলিনে দেশ যে অনেকটাই এগিয়েছে, অলিম্পিক গেমসেই তার প্রমাণ মিলছে। টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভেলিন থ্রোতে সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন নীরজ কুমার। প্যারালিম্পিকেও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখলেন ভারতের জ্যাভেলিন থ্রোয়াররা। টোকিও প্যারালিম্পিকের পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্ট থেকে দুটি পদক জিতল ভারত। দেশকে রুপো এনে দিয়েছেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। একই ইভেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন সুন্দর সিং গুর্জর। ২০১৬ সালের রিও প্যারালিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। তাঁকে নিয়ে দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু টোকিও প্যারালিম্পিকে রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হল দেবেন্দ্রকে। পুরুষদের এফ ৪৬ বিভাগে রুপো জিতেছেন তিনি। রুপো জেতার পথে দেবেন্দ্র বর্শা নিক্ষেপ করেন ৬৪.৩৫ মিটার। এটাই তাঁর জীবনের সর্বোচ্চ দুরত্ব অতিক্রম করা। অন্যদিকে ৬২.৫৮ মিটার ছুঁড়ে ব্রোঞ্জ জেতেন সুন্দর সিং গুর্জর। এটা তাঁর মরশুমের সেরা দুরত্ব অতিক্রম করা। তিনজন ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিট টোকিও গেমসে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। দেবেন্দ্র, সুন্দর ছাড়াও ছিলেন অজিত। এদিন প্রতিযোগিতায় প্রথম প্রচেষ্টায় দেবেন্দ্র ছোঁড়েন ৬০.২৮ মিটার। অন্যদিকে সুন্দর সিং গুর্জর ছোঁড়েন ৬২.৫৮ মিটার। এই দুজনের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন অজিত। তিনি ছোঁড়েন ৫৬.১৫ মিটার। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় দেবেন্দ্র ছোঁড়েন ৬০.৬২ মিটার। তৃতীয় প্রচেষ্টায় নিজের রেকর্ড ছাপিয়ে তিনি ছোঁড়েন ৬৪.৩৫ মিটার। কিন্তু শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগী দীনেশ প্রিয়ান হেরাথ মুদিয়ানসেলাজে বিশ্বরেকর্ড ভেঙে তাঁর তৃতীয় প্রচেষ্টায় ছোঁড়েন ৬৭.৭৯ মিটার।আরও পড়ুনঃ প্যারালিম্পিকে ডিসকাস থ্রোতে রুপো জিতলেন যোগেশ কাথুনিয়াঅন্যদিকে, প্রথম প্রচেষ্টায় ভাল ফল করলেও তৃতীয় ও চতুর্থ প্রচেষ্টায় ফাউল করেন সুন্দর সিং গুর্জর। তাঁর পঞ্চম থ্রোতে ৬৪.০১ মিটার ছুঁড়ে ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে অজিত প্রথম প্রচেষ্টায় যে দুরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করেছিলেন, বাকি প্রচেষ্টায় তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। শেষ প্রচেষ্টায় তিনি ছোঁড়েন ৫২.৩৬ মিটার। টোকিও অলিম্পিকে নীরজ কুমারে সোজা জয় তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল বলে দাবি করেছেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। প্যারালিম্পিকে রুপো জেতার পর তিনি বলেন, নীরজের সোনা জয় দেশের জ্যাভেলিন থ্রোয়ারদের প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছে। আমাকেও দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল। টোকিও প্যারালম্পিকের পর আশা করছি জ্যাভেলিন থ্রো দেশের দ্বিতীয় জনপ্রিয় খেলায় পরিণত হবে।

আগস্ট ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌Para Olympics :প্যারালিম্পিকে ডিসকাস থ্রো–তে রুপো জিতলেন যোগেশ কাথুনিয়া

টোকিও প্যারালিম্পিকে চমক দিয়েই চলেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। টেবিল টেনিসে রুপো জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন ভাবনাবেন প্যাটেল। নিশাদ কুমার, বিনোদ কুমাররাও দেশকে পদক এনে দিয়েছেন। তবে সোমবার সবথেকে বড় চমক দেখিয়েছেন অবনী লেখারা। মহিলাদের ব্যক্তিগত শুটিং ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ড করে সোনাআ জিতে ইতিহাস রচনা করেন তিনি। অন্য অ্যাথলিটদের পদাঙ্ক অনুসরন করে দেশকে পদক এনে দিয়েছেন যোগেশ কাথুনিয়া। পুরুষদের ডিসকাস থ্রোতে রুপো জিতেছেন তিনি। আগের দিনই ডিসকাস থ্রোতে দেশকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছিলেন বিনোদ কুমার। ডিসকাস থ্রো থেকে দ্বিতীয় পদক এল ভারতের।পুরুষদের এফ ৫৬ বিভাগে জীবনের সেরা থ্রো করেও অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া হয়েছে যোগেশ কাথুনিয়ার। ফাইনালে তিনি ৪৪.৩৮ মিটার দুরে ডিসকাস ছোঁড়েন। ৪৫.৫৯ মিটার দুরে ডিসকাস ছুঁড়ে এই বিভাগে সোনা জিতেছেন ব্রাজিলের বাতিস্তা ডস স্যান্টোস ক্লাউডিনে। ব্রাজিলের এই প্যারা অ্যাথলিট বিশ্ব রেকর্ডেরও অধিকারী। এদিন প্রতিযোগিতায় প্রথম প্রয়াস ফাউল করেন যোগেশ কাথুনিয়া। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তিনি ছোঁড়েন ৪২.৮৪ মিটার। তৃতীয় প্রচেষ্টায় নিজের পারফরমেন্স আরও উন্নত করেন ভারতের এই প্যারা অ্যাথলিট। তিনি ছোঁড়েন ৪৩.৩৮ মিটার। ফাইনাল থ্রোতে ৪৪.৩৮ মিটার দুরে ডিসকাস ছুঁড়ে রুপো নিশ্চিত করেন যোগেশ কাথুনিয়া। প্যারালিম্পিক থেকে তিনি দেশকে পঞ্চম পদক এনে দেন। প্যারালিম্পিক অভিষেকে রুপো জিতে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন কাথুরিয়া। এই বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন কিউবার প্যারা অ্যাথলিট। আন্তর্জাতিক মঞ্চে যোগেশের এই পদক প্রথম নয়। এর আগেও তিনি দেশের মান উজ্জ্বল করেছেন। ২০১৯ সালে দুবাইতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন যোগেশ কাথুনিয়া। যোগেশের আগে সোমবার সোনা জিতে ইতিহাস গড়েন অবনী লেখারা। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল স্ট্যান্ডিং এসএইচ ওয়ান ইভেন্টে ২৪৯.৬ স্কোর করে সোনা জেতেন অবনী। চলতি গেমস থেকে ভারতের হয়ে চতুর্থ পদক জিতলেন এই মহিলা প্যারা শুটার। প্যারালিম্পিকের শুটিং ইভেন্টে এর আগে কোনও ভারতীয় মহিলা সোনা জিততে পারেননি। ১৯ বছরের অবনী লেখারা টোকিওয় নিজের কেরিয়ারের প্রথম গেমস খেলতে নেমেই অসাধ্য সাধন করেছেন। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল স্ট্যান্ডিং এসএইচ ওয়ান ইভেন্টে ২৪৯.৬ স্কোর করে দেশের জন্য সোনা জেতার পাশাপাশি বিশ্ব রেকর্ড ছুঁয়েছেন ভারতীয় প্যারা শুটার। যা প্যারালিম্পিক রেকর্ডও বটে। ইভেন্টে রুপো জিতেছেন চিনের কুইপিং ঝাং। ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন ইউক্রেনের ইরিয়ানা স্কেটনিক।

আগস্ট ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Silver Medal: সোনার স্বপ্ন অধরা, ভাবনাবেনকে ৩ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেবে গুজরাট সরকার

টোকিও অলিম্পিক দেশের টেবিল টেনিস তারকারা ব্যর্থ। শরৎ কমল, মনিকা বাত্রাদের সেই ব্যর্থতা প্যারালিম্পিকে ঢেকে দিয়েছেন ভাবনাবেন হাসমুখভাই প্যাটেল। প্রতিযোগিতা থেকে রুপো জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন দেশের প্যারা অ্যাথলিট। ফাইনালে চীনের ইং ঝউয়ের কাছে স্ট্রেট সেটে হেরে রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ম্যাচের ফলাফল ৭-১১, ৫-১১, ৬-১১। সোনা অধরা থেকে গেলেও তাঁর সেই সাফল্যকে স্বীকৃতি জানিয়ে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন। গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকেও আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ভাবনাবেনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন।আরও পড়ুনঃ কাবুল বিমানবন্দরে আবারও হতে পারে সন্ত্রাসবাদী হামলা!গুজরাটের মেহসানা জেলার সন্ধিয়াতে থাকেন ভাবনাবেন প্যাটেল। তাঁর সাফল্যে গর্বিত গুজরাট সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি অভিনন্দন জানিয়েছেন এই প্যারা আথলিটকে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ভাবনাবেনের সাফল্যে খুশি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি ৩ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম, নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার ২ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি দুশ্যন্ত চৌতালাও ভাবনাবেনকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, টোকিও প্যারালিম্পিকে রুপোজয়ী ভাবনা প্যাটেলকে আর্থিক পুরস্কার হিসেবে ৩১ লক্ষ টাকা দেবে ফে়ডারেশন। ভারতীয় প্যারা টেবিল টেনিস তারকার ইচ্ছাশক্তি, মানসিকতা ও মনের জোরের প্রশংসা করেছেন দুশ্যন্ত। ভাবনার আগামী দিনের সফলতাও কামনা করেছেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে সাফল্য পাননি টেবিল টেনিস তারকারা। শরথ কমল, মনিকা বাত্রা, জি সাথিয়ান, সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় মিক্সড ও সিঙ্গলস ইভেন্টে সবাই ব্যর্থ। সেই ব্যর্থতা ভুলিয়ে টোকিও প্যারালিম্পিকে ভাবিনার রুপো দেশের অন্যান্য টেবিল টেনিস তারকার কাছে দৃষ্টান্ত বলে মনে করে দেশের ক্রীড়া মহল।আরও পড়ুনঃ পুলিশে আস্থা নেই, সিআইডি তদন্তের দাবি অপহৃত ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ি চালকের পরিবারেরটোকিও প্যারালিম্পিকে মহিলাদের সিঙ্গলস ক্লাস ফোর ইভেন্টের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর তারকা পাঁচটি প্যারালিম্পিক সোনাজয়ী চিনের ইং ঝউয়ের কাছে স্ট্রেট সেটে হেরেও দেশের জন্য রুপো নিশ্চিত করেছেন ভাবিনা প্যাটেল। ম্যাচের ফলাফল ৭-১১, ৫-১১, ৬-১১। ম্যাচ হারলেও ভাবিনার লড়াইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুথ হয়েছে দেশের ক্রীড়া মহল।আরও পড়ুনঃ কয়লা-কাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডি-রটোকিও প্যারালিম্পিক থেকে পাওয়া পদক দেশকে উৎসর্গ করেছেন ভাবনাবেন প্যাটেল। তবে তিনি স্বীকার রে নিয়েছেন, রবিবার তিনি নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন না। ম্যাচ শুরুর আগে তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন বলেও জানিয়েছেন ভাবনাবেন। তাঁর কথায়, ফাইনালে নিজের গেমপ্ল্যান অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আগামী দিনে দেশের হয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেব।আরও পড়ুনঃ এজেন্সি লেলিয়ে না দিয়ে, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার হুংকার মমতারটোকিও প্যারালিম্পিকে রুপোজয়ী ভাবনাবেন প্যাটেলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। নিজের রাজ্য গুজরাতের পাডলারকে অনুপ্রেরণা বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। ভাবনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, শচী তেন্ডুলকর, অভিনব বিন্দ্রা সহ গোটা দেশ।

আগস্ট ২৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

P‌ara Athlete Bhabnaben : ইতিহাস গড়েও নিজেকে বিশেষভাবে সক্ষম ভাবেন না ভাবনাবেন

টোকিও প্যারালিম্পিকের টেবিল টেনিসের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সেমিফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করে ইতিহাস রচনা করেছিলেন ভাবনাবেন প্যাটেল। চীনের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে পৌঁছে গেছেন ফাইনালে। সামনে সোনা জয়ের হাতছানি। সোনা জিততে পারলে আরও এক ইতিহাস রচনা করবেন ভারতের এই প্যারা অ্যাথলিট। জীবনের প্রথম প্যারালিম্পিক্সের ফাইনালে উঠতে পারবেন, স্বপ্নেও ভাবেননি ভাবনাবেন। ইচ্ছে শক্তির জোরেই এই জায়গায় পৌঁছেছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। কোনও প্রত্যাশা নিয়ে টোকিও যাননি ভাবনাবেন। লক্ষ্য ছিল প্যারালম্পিক্সে নিজের সেরাটা দেওয়া। আর তাতেই ফাইনালে উঠে রুপো নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিট। সেমিফাইনালে চিনের ঝাং মিয়াওকে হারিয়েছেন ৩-২ ব্যবধানে।চীনের প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে জেতার পর ভাবনাবেন বলেন, কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে যেরকম খেলছি, ফাইনালে তেমন খেলতে পারলে সোনা জিতবই। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় কখনও ফাইনালে ওঠার কথা ভাবিনি। ১০০ শতাংশ দেওয়ার কথাই ভেবেছিলাম। ফাইনালে ১০০ শতাংশ দিতে পারলে পদক জিততে অসুবিধা হবে না। মানসিক ভাবে ফাইনালে সেরাটা দেওয়ার জন্য আমি তৈরি। শনিবার টোকিও প্যারালিপিক্সে মহিলা সিঙ্গলসের সেমিফাইনালে প্রথম গেমে ৭১১ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন ভাবনা। তারপর দুরন্তভাবে ফিরে আসেন। দ্বিতীয় গেম জিতে নেন ১১৭ ব্যবধানে। পরের গেম জেতেন ১১৪ ব্যবধানে। যদিও হাল ছাড়েননি বিশ্বের তিন নম্বর মিয়াও। ১১৯ ব্যবধানে চতুর্থ গেম জেতেন। পঞ্চম গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত ১১৮ ব্যবধানে পঞ্চম গেম জিতে প্যারালিম্পিক্সের ফাইনালে পৌঁছে যান ভাবনা। সঙ্গে তৈরি করে ফেলেন ইতিহাস। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেবিল টেনিসে পদক নিশ্চিত করেছেন তিনি। মিয়াও জাংয়ের কাছে এর আগে টানা ১১ বার হেরেছিলেন ভাবনাবেন। সেই পরিসংখ্যানে দমে যাননি। বরং নিজের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চিনের মিয়াও জাংকে হারিয়ে দিয়েছেন ভাবনাবেন প্যাটেল। দুর্দান্ত জয়ের পর ভাবনা বলেন, কোনও কিছু অসম্ভব নয়, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছি। অনেকেই মনে করেন, চীনা খেলোয়াড়দের হারানো অসম্ভব। সেটাকেও সম্ভব করে দেখালেন ভাবনা। ম্যাচের পর বললেন, চীনা খেলোয়াড়কে হারানো অনেকেই অসম্ভব বলে মনে করেন। সেটা করতে পেরে আমি গর্বিত। যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে সবকিছুই সম্ভব। নিজেকে কখনও বিশেষভাবে সক্ষম মনে করি না।

আগস্ট ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Neeraj Chopra : সেনাবাহিনী থেকে অনন্য সম্মান পেতে চলেছেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া

টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন নীরজ চোপড়া। টোকিও থেকে দেশে ফেরার পর সংবর্ধনার জোয়ারে ভেসেই চলেছেন। বাড়ছে স্বীকৃতির তালিকাওয। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি, সবাই কুর্নিশ জানিয়েছেন। এবার আরও বড় সম্মান দিতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। নীরজের নামে একটি স্টেডিয়ামের নামকরণ করতে চলেছে।আরও পড়ুনঃ তালিবান জমানায় আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যত কী?পুণেতে সাদার্ন কমান্ডের আর্মি স্পোর্টস ইন্সটিটিউটের নামকরণ করা হবে নীরজের নামে। আগামী ২৩ অগস্ট, সোমবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসবেন। সেনাবাহিনির প্রধান এমএম নরাবণে এবং সাদার্ন আর্মি কমান্ডারের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেএস নৈনেরও হাজির থাকার কথা। নীরজ নিজেও হাজির থাকবেন।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরঅলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্সে ভারতের হয়ে প্রথম সোনা জেতা নীরজ চোপড়া শুধু দেশ নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও গর্বিত করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত। রাজপুতানা রাইফেলসে সুবেদার পদে কাজ করেন। ২৩ বছরের অ্যাথলিটকে নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গর্বের শেষ নেই। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ পুনের সেনা স্টেডিয়াম নীরজের নামে চিহ্নিত হতে চলেছে। এর আগে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করা নীরজ চোপড়ার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে। ২৩ বছরের অ্যাথলিটের পরিবার সদস্যের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। এবার উন্নত পরিকাঠামোর আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামটি নীরজের নামে নামাঙ্কিত করে তাঁকে অনন্য সম্মান দিতে চলছে ভারতীয় সেনা। পুনের এই আর্মি স্টেডিয়ামটি ২০০৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামে সিন্থেটিক ট্র্যাকের পাশাপাশি দর্শকদের বসার জায়গাও রয়েছে।আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনী থেকে অনন্য সম্মান পেতে চলেছেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়াটোকিও অলিম্পিকের পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টের ফাইনালে ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্ব বর্শা নিক্ষেপ সক্ষম হয়েছিলেন নীরজ চোপড়া। সোনা জিতে দেশের মুখ তিনি উজ্জ্বল করেছিলেন। টোকিও অলিম্পিকের ওই ইভেন্টের যোগ্যতা অর্জন পর্বেও প্রথম হয়েছিলেন নীরজ। ওই রাউন্ডে ৮৬.৬৫ দূরত্বে বর্শা ছুঁড়েছিলেন ভারতের গর্ব। ১৩ বছর পর অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা জেতা অ্যাথলিটের পরবর্তী লক্ষ্য ৯০ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করা। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও দেশের হয়ে সোনা জিততে চান নীরজ চোপড়া।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্সে সোনা জিতেছেন নীরজ চোপড়া। একই সঙ্গে ১২১ বছর বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া ইভেন্টের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে পদক জিততে সক্ষম হয়েছে ভারত। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা জিতেছিলেন শুটার অভিনব বিন্দ্রা। নীরজের হাত ধরে ১৩ বছর পর ফের একই রকম সফলতার স্বাদ পেল দেশ।

আগস্ট ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Lovelina : ‌‌অসুস্থ মায়ের কাছে যেতে পারলেন না লাভলিনা বরগোঁহাই

টোকিও অলিম্পিক থেকে দেশে ফিরেছেন। নিজের রাজ্য আসামে পৌঁছেও অসুস্থ মায়ের কাছে যেতে পারলেন না অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার লাভলিনা বরগোঁহাই। গুয়াহাটিতে সংবর্ধনার জোয়ারে ভেসে গেলেন।মেরি কমের পর দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা বক্সার হিসেবে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন লাভলিনা। টোকিও থেকে বেশ কয়েকদিন আগেই দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার প্রথম নিজের রাজ্য অসমে পা রাখলেন। এদিন সকালে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে পৌঁছন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার লাভলিনা বরগোঁহাই। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের রীতি মেনে গামছা, জাপি ও ফুলের তোড়া দিয়ে অলিম্পিকে ৬৯ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জজয়ী লাভলিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয় । বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লাভলিনাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী বিমল বোরা। বিমানবন্দর থেকে লাভলিনাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরেরই একটি হোটেলে। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাস্তা বড় বড় কাটআউট দিয়ে সাজানো ছিল।আরও পড়ুনঃ ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চলবে না লোকাল ট্রেনলাভলিনাকে এদিন অসম সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা প্রদানের অনুষ্ঠানটি হয় শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে। লাভলিনার হাতে ১ কোটি টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এছাড়া প্যারিস অলিম্পিক অবধি প্রতি মাসে লাভলিনাকে ১ লক্ষ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে অসম সরকার। তাঁকে অসম পুলিশের ডিএসপি পদেও নিযুক্ত করা হয়েছে।আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ মেডেল পাচ্ছেন বঙ্গের ৪ পুলিশ অফিসারএদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন লাভলিনার পিতা টিকেন বরগোঁহাই। ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লাভলিনার গ্রামের কাছেই সরুপাথরে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণের পর তাঁদের প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ। এর পাশাপাশি গুয়াহাটির একটি রাস্তার নামও লাভলিনার নামাঙ্কিত হবে বলে জানিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী। সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী বিমল বোরা, বিধায়করা এবং প্রাক্তন অ্যাথলিট ও কোচ অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া প্রমুখ।আরও পড়ুনঃ স্পাকিস্তান ক্রিকেটে আবার ডামাডোল, বোর্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বাবর আজমদেরনিজের রাজ্যে ফিরলেও এদিন বাড়িতে অসুস্থ মায়ের কাছে যাওয়া হল না লাভলিনার। রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর সঙ্গে দেখা করে দিল্লি ফিরবেন। লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে টোকিও অলিম্পিকের পদকজয়ীদের সঙ্গে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য লাভলিনাকে ফের দিল্লিতে যেতে হবে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর মা এখন আরোগ্য লাভের পথে। মায়ের অপারেশনের সময় জাতীয় শিবিরে থাকার জন্য পাশে থাকতে পারেননি লাভলিনা। দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর লাভলিনা বাড়িতে এসে থাকবেন।

আগস্ট ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌Neeraj Chopra : নীরজ চোপড়ার ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা দেখলে অবাক হবেন, সংখ্যাটা কত?‌

তিনি কোনও বলিউডি তারকা নন। দেশের কোনও রাজনৈতিক নেতাও নন। কিংবা ক্রিকেট, ফুটবলের কোনও সুপারস্টারও নন। সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে তাঁর যে অনুরাগীর সংখ্যা বেশি থাকবে এমন প্রত্যাশা করাটাই অন্যায়। অলিম্পিকে একটা সোনা জয়ই বদলে দিয়েছে আবহ। নীরজ চোপড়ার অনুরাগীর সংখ্যা একলাফে পৌঁছে গেছে আড়াই লক্ষর বেশি।আরও পড়ুনঃ লর্ডস টেস্টে হাজির থাকলেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না সৌরভ গাঙ্গুলিকে, কেন? জানতে পড়ুনঅলিম্পিকে যাওয়ার আগে ইনস্টাগ্রামে নীরজ চোপড়ার অনুরাগীর সংখ্যা ছিল ৫০এরও কম। টোকিও অলিম্পিকে যাওয়ার পর ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের এই পোস্টার বয়কে ফলো করতে শুরু করেন অনেকেই। আর সেই সংখ্যাটাআ রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো জায়গায় পৌঁছে গেছে। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে নীরজ চোপড়ার অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষর কাছাকছি পৌঁছে গেছে।আরও পড়ুনঃ অলিম্পিকের আগে ২৫ দিন অনুশীলন করতে পারেননি বজরং পুনিয়া। কারন জানেন?সোনা জয়ী এই অ্যাথলিট অবশ্য অনুসরণ করেন মাত্র ১৬০ জনকে। এর মধ্যে অন্যতম হলেন বলিউডের দুই অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও রনদীপ হুডা। রুপোলি পর্দার এই দুই তরকাকে ফলো করার বড় কারণ হল দুজনেই খেলাধুলা ও শরীরচর্চা ভালবাসেন। পঞ্চাশ বছর পার করলেও অক্ষয় কুমার এখনও নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। রনদীপ হুডাও সময় পেলেই সাঁতার এবং ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সময় কাটান। এক সময় জাতীয় স্তরে সাঁতার ও ঘোড়সওয়ারিতে পদকও জিতেছিলেন রনদীপ হুডা। তাই নীরজের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন এই দুই অভিনেতা। নীরজ চোপড়ার অনুসরনের তালিকায় এই দুজন ছাড়াও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পিভি সিন্ধু, সাইনা নেহওয়াল, বীজেন্দ্র সিংহ, দীপক পুনিয়া, বক্সার মনোজ কুমার, মীরাবাই চানুর মতো ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন। রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও।

আগস্ট ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌Bajrang Punia : অলিম্পিকের আগে ২৫ দিন অনুশীলন করতে পারেননি বজরং পুনিয়া। কারন জানেন?‌

অলিম্পিকের আগে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন। ২৫ দিন অনুশীলন করতে পারেননি। তা সত্ত্বেও টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতে চমকে দিয়েছেন বজরং পুনিয়া।টোকিও অলিম্পিকের আগে পোল্যান্ডে র্যাঙ্কিং ইভেন্টে খেলতে গিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া। লক্ষ্য ছিল অলিম্পিকের প্রস্তুতি। পোল্যান্ড থেকে তারপর চলে যান রাশিয়ায়। ২৫ জুন রাশিয়ায় আলি আলিয়েভ নামে একটা প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন প্রস্তুতির জন্য। সেমিফাইনালে ইওরোপীয়ান অনূর্ধ্ব ২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয়ী আবুলমাঝিদ কুদিয়েভের বিরুদ্ধে বাউটের সময় ডানপায়ের হাঁটুতে চোট পান বজরং পুনিয়া। সেই চোটের জন্য প্রায় ২৫ দিন অনুশীলন করতে পারেননি। রাশিয়ার এক ছোট গ্রামে মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসের সৌজন্যে রিহ্যাব করতে পেরেছিলেন।আরও পড়ুনঃ বার্সিলোনায় শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে কেঁদে ফেললেন লিওনেল মেসিসেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বজরং বলেন, চোটের জন্য আমি প্রায় ২৫ দিন ট্রেনিং করতে পারিনি। এমনকি ঠিকভাবে দৌড়তেও পারছিলাম না। অলিম্পিকের আগে এতদিন অনুশীলন করতে না পারাটা একজন অ্যাথলিটের কাছে খুবই ক্ষতিকর। রাশিয়ার একটা প্রত্যন্ত গ্রামে রিহ্যাব করেছিলাম। মস্কোর ভারতীয় দূতাবাস অনুশীলনের প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছিল।আরও পড়ুনঃ আবেগে কেঁদে ফেললেন, মিলখা সিংকে সোনা উৎসর্গ নীরজ চোপড়ারঅলিম্পিকে ব্রোঞ্জ লড়াইয়ের আগে তাঁর কোচ ও ফিজিও বজরংকে পরামর্শ দিয়েছিলেন হাঁটুতে টেপ বেঁধে খেলতে। তাঁদের পরামর্শ উপেক্ষা করে বাউটে নেমেছিলেন বজরং। সেই কথা তুলে ধরে বজরং বলেন, আমার কোচ ও ফিজিও পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে হাঁটুতে টেপ বেঁধে নামার। কিন্তু স্বস্তি পাব না বলে টেপ বাঁধিনি। টেপ বাঁধলে মনে হয় কেউ যেন শক্ত করে আমার পা ধরে রেখেছে। তাই কোচকে বলেছিলাম, চোট পেলে পরে বিশ্রাম নিতে পারব। কিন্তু পদক না পেলে সব পরিশ্রম বৃথা হয়ে যাবে। তাই ওদের পরামর্শ শুনিনি। দেশে ফিরে রিহ্যাব করবেন। তারপর বিশ্ব চাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি শুরু করবেন এই ভারতীয় কুস্তিগীর। ২ থেকে ১০ অক্টোবর নরওয়ের ওসলোতে হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।

আগস্ট ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Neeraj Chopra : ‌আবেগে কেঁদে ফেললেন, মিলখা সিংকে সোনা উৎসর্গ নীরজ চোপড়ার

মাস দেড়েক আগে প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তী অ্যাথলিট মিলখা সিং। খুব অল্পের জন্য তিনি স্বপ্নপূরণ করতে পারেননি। ১৯৬০ রোম অলিম্পিকে এগিয়ে থেকেও ২০০ মিটার দৌড়ে ফটো ফিনিশে চতুর্থ হয়েছিলেন। অলিম্পিক পদকের স্বপ্ন হাতছাড়া হয়েছিল। জীবনের শেষবেলায় চেয়েছিলেন টোকিও অলিম্পিকে তাঁর সেই অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ হোক। মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, টোকিও অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতীয় অ্যাথলিটদের গলায় সোনার পদক দেখতে চান। তাঁর ইচ্ছে পূরণ হল। কিন্তু দেখে যেতে পারলেন না মিলখা সিং। অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে দেশকে সোনা এনে দিয়ে সেই মিলখা সিংকেই উৎসর্গ করলেন নীরজ চোপড়া।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন পোস্টার বয় নীরজ চোপড়া১২১ বছর পর অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে জ্যাভেলিনে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন নীরজ চোপড়া। ইতিহাস রচনাকারী জ্যাভলিন থ্রোয়ারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা দেশ। ১৩ বছর পর অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা জয়ের আবেগে ভেসেছেন দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। আবেগতাড়িত হয়েছেন নীরজ নিজেও। শুধু মিলখা সিংকে নিজের সোনা উৎসর্গ করে থেমে থাকেননি, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন আবেগে কেঁদে ফেলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট।আরও পড়ুনঃ বাবাকে দেওয়া কথা রেখে ব্রোঞ্জ জিতলেন বজরং পুনিয়াঅলিম্পিকের নিয়ম অনুযায়ী কোনও ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণীতে কেবলমাত্র সোনাজয়ী দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। তিন পদকজয়ী দেশের মধ্যে সবার ওপরে থাকে সোনাজয়ী দেশের জাতীয় পতাকা। পুরস্কার বিতরণীর ঐতিহাসিক মুহূর্তে জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় নীরজ নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট।আরও পড়ুনঃ বাভারতীয় হকির পুনর্জন্মে নেপথ্য নায়ক নবীন পট্টনায়েকটোকিও অলিম্পিকের জ্যাভলিন থ্রো-র ফাইনালে কেবল সোনা জেতাই লক্ষ্য ছিল না নীরজ চোপড়ার। শনিবার তিনি দেশের হয়ে আলাদা কিছু করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অলিম্পিক রেকর্ড ভাঙতে চেয়েছিলেন। তা না হলেও বিশ্বমঞ্চে ভারতকে সম্মানিত করতে পেরে নিজেকে গর্বিত বলে মনে করছেন নীরজ চোপড়া। নীরজের দুর্দান্ত জয়ে উচ্ছ্বসিত হন স্টেডিয়ামে হাজির তাঁর কোচ সহ অন্যান্য ভারতীয়রা। সেখান থেকেই এক তেরঙা সংগ্রহ করে তা গায়ে জড়িয়ে এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়ান আনন্দে আপ্লুত নীরজ। জড়িয়ে ধরেন প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও। ভারতীয় অ্যাথলিটকে এগিয়ে এসে শুভেচ্ছা জানান একে একে সব দেশের জ্যাভলিন থ্রোয়াররা।

আগস্ট ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Bajrang Punia : বাবাকে দেওয়া কথা রেখে ব্রোঞ্জ জিতলেন বজরং পুনিয়া

সেমিফাইনালে হাজি আলিয়েভের কাছে হারের পর টোকিও থেকে বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন বজরং পুনিয়া। বাবা বলবন সিংকে কথা দিয়েছিলেন ব্রোঞ্জ জিতেই টোকিও থেকে দেশে ফিরবেন। কথা রাখলেন ভারতের এই কুস্তিগীর। পুরুষদের কুস্তিতে ৬৫ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে কাজাখস্তানের দাউলেত নিয়াজবেকভকে ৮০ ব্যবধানে উড়িয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন বজরং পুনিয়া। সোনা কিংবা রুপো হাতছাড়া হলেও অবশেষে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে সফল এই ভারতীয় কুস্তিগীর।সেমিফাইনালে হাজি আলিয়েভের বিরুদ্ধে ডিফেন্সের ভুলে হারতে হয়েছিল বজরংকে। বেশি ওপেন খেলতে গিয়ে ডিফেন্সের দিকে তেমন নজর দেননি। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে কাজাখস্তানের দাউলেত নিয়াজবেকভের বিরুদ্ধে নিজের সেরাটা উজার করে দেন বজরং পুনিয়া। দুর্দান্ত আক্রমনাত্মক রণনীতিতে বাজিমাত করে দেন। বজরংয়ের আক্রমনাত্মক খেলার সামনে এদিন দাঁড়াতেই পারেননি দাউলেত নিয়াজবেকভ।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন পোস্টার বয় নীরজ চোপড়ানিয়াজবেকভের বিরুদ্ধে এদিন প্রথম পর্বেই ২০ ব্যবধানে এগিয়ে যান। পরে ডান পা দিয়ে আক্রমণের পাশাপাশি হেডলক করেন। এই মুভই বজরংকে ৬০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়। পরে পরিকল্পনা বদলে বাঁ পা দিয়ে আক্রমণ করে ২ পয়েন্ট তুলে নিয়ে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেন বজরং। সেমিফাইনালে সেভাবে ছন্দে পাওয়া যায়নি বজরংকে। ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উজার করে দিয়েছিলেন। চলতি অলিম্পিকে দেশের হয়ে তিনি চতুর্থ ব্রোঞ্জ জিতলেন।২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে সর্বকালের সেরা পারফরমেন্স করেছিল ভারত। দুটি রুপো ও চারটি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৬টি পদক জিতেছিল দেশ। বজরং পুনিয়ার ব্রোঞ্জের পর নীরজ চোপড়ার সোনার হাত ধরে পদক জয়ের নিরিখে টোকিও অলিম্পিকে নতুন রেকর্ড গড়ল টিম ইন্ডিয়া। একটি সোনা, দুটি রুপো এবং চারটি ব্রোঞ্জ সহ চলতি অলিম্পিকে ভারতের সর্বমোট পদক সংখ্যা সাতে পৌঁছে গেল।আরও পড়ুনঃ প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে ভারতসেমিফাইনালে হারের পর বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন বজরং। বলবন ছেলেকে বলেছিলেন, ফোকাস না হারিয়ে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে। বজরং বাবাকে কথা দিয়েছিলেন, ব্রোঞ্জ জিতেই দেশে ফিরবেন। বাবাকে দেওয়া কথা রেখেছেন এই ভারতীয় কুস্তিগীর। বলবন সিং বলেন, বজরং আমার স্বপ্নের কথা হয়তো বুঝতে পেরেছিল। আমার হৃদয় বলছিল ও ব্রোঞ্জ জিতবে আমি সকালেই সবাইকে সেকথা বলেছিলাম। আমার সেই স্বপ্নটাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। ছেলে দেশকে গর্বিত করেছে। আমি কতটা খুশি বোঝাতে পারব না। সেমিফাইনালে হারের পর আমাকে বলেছিল ব্রোঞ্জ নিয়েই দেশে ফিরবে। কথা রেখেছে বজরং।

আগস্ট ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Gold Medal:টোকিওতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন পোস্টার বয় নীরজ চোপড়া

প্রথমবার অলিম্পিকে নেমেই বাজিমাত নীরজ চোপড়ার। টোকিওতে পুরুষদের জ্যাভেলিন থ্রোতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট। ১২১ বছর পর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক এল ভারতের। ১৩ বছর পর ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন কোনও ভারতীয়। টোকিও অলিম্পিকে পোস্টার বয় হলেন নীরজ চোপড়া।আরও পড়ুনঃ ভারতীয় হকির পুনর্জন্মে নেপথ্য নায়ক নবীন পট্টনায়েকপদক জয়ের সম্ভাবনা নিয়েই টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। নীরজ চোপড়াকে ঘিরে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল গোটা দেশ। প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল যোগ্যতা অর্জন পর্বের পারফরমেন্স। গ্রুপ এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে তিনি ৮৬.৬৫ মিটার ছুঁড়ে ফাইনালের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। ফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের জন্য মাপকাঠি ছিল ৮৩.৫০ মিটার। প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৮৬.৬৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন নীরজ চোপড়া। প্রথম থ্রো করার পরই তিনি নিশ্চিত হয়ে যান ফাইনালের ব্যাপারে। তারপরই প্রতিযোগিতার এরিনা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।আরও পড়ুনঃ প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে ভারতশনিবার ফাইনালে প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৮৭.০৩ মিটার ছোঁড়েন নীরজ। দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতে তিনি ৮৭.৫৮ মিটার ছোঁড়েন। টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ের অন্যতম প্রধান দাবিদার হিসেবে ধরা হচ্ছিল জার্মানির জোহানেস ভেটেরকে। তিনি নীরজের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি। ভেটের ছোঁড়েন ৮২.৫২ মিটার। ৮৬.৬৭ মিটার ছুঁড়ে রুপো পেয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যাকুব ভালদেজ। ব্রোঞ্জ জিতেছেন চেক প্রজাতন্ত্রেই ভিটেস্লাভ ভেসেল। তিনি ছুঁড়েছেন ৮৫.৪৪ মিটার।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে কে হবেন ভারতের পোস্টার বয়? জানতে পড়ুনঅলিম্পিকে সোনা জিতলেও নিজের রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেননি নীরজ কুমার। এই বছরই পাতিয়ালায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রিতে ৮৮.০৭ মিটার ছুঁড়ে টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। বছর চারেক আগেই ভারতের এই অ্যাথলিট বড় আসরে সাড়ম্বরে আগমনের বার্তা দিয়েছিলেন। ২০১৬তে অনূর্ধ্ব ২০ আইএএএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে চমকে দিয়েছিলেন। শুধু সোনা জেতাই নয়, ৮৬.৪৮ মিটার ছুঁড়ে জুনিয়র বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিলেন নীরজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড বিভাগে সোনা জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে। ২০১৭ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা। সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসেও দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন নীরজ চোপড়া।আরও পড়ুনঃ সোনা হাতছাড়া হলেও রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন রবি১৯০০ সালে শেষবার অ্যাথলেটিক্সে পদক জিতেছিল ভারত। সেবার দুটি রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করেছিলেন নর্মান প্রিচার্ড। তারপর অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে ভারতের কোনো পদক আসেনি। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টের প্রথম সোনা এসেছিল। শুটিংয়ে সোনা জিতে নজির গড়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। ১৩ বছর পর আবার অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা এল। টোকিওতে ইতিহাস রচনা করলেন ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের পোস্টার বয় নীরজ চোপড়া।ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেছেন।History has been scripted at Tokyo! What @Neeraj_chopra1 has achieved today will be remembered forever. The young Neeraj has done exceptionally well. He played with remarkable passion and showed unparalleled grit. Congratulations to him for winning the Gold. #Tokyo2020 https://t.co/2NcGgJvfMS Narendra Modi (@narendramodi) August 7, 2021

আগস্ট ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Bajrang Punia : ৬৫ কেজি ফ্রিস্টাইলের সেমিফাইনালে হেরে গেলেন বজরং পুনিয়া

সোনার স্বপ্ন দেখিয়েও শেষরক্ষা হল না। টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের কুস্তিতে ৬৫ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগের সেমিফাইনালে আজারবাইজানের হাজি আলিয়েভের কাছে হেরে গেলেন বজরং পুনিয়া। ১২৫ ব্যবধানে উড়ে গেলেন এই ভারতীয় কুস্তিগীর। তবে পদক জয়ের সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়নি বজরং পুনিয়ার। রেপেসেজের মাধ্যমে তাঁর এখনও ব্রোঞ্জ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সেমিফাইনালে আক্রমণাত্মক মেজাজেই বাউট শুরু করেছিলেন বজরং। কিন্তু শুরু থেকে হাজি আলিয়েভের বিরুদ্ধে একের পর এক ভুল করতে থাকেন। বজরংকে দুদুবার ট্যাকেল করে এবং লেগ অ্যাটাক করে ৮ পয়েন্ট তুলে নেন রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী আজারবাইজানের আলিয়েভ। একসময় ৯২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন তিনি। এই অবস্থায় আর লড়াইয়ে ফেরা সম্ভব হয়নি বজরং পুনিয়ার। যখন তিনি পয়েন্ট সংগ্রহ করেন, ততক্ষণে বাউট প্রায় পকেটে ভরে ফেলেছেন আলিয়েভ। এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালের দুর্দান্ত লড়াই করেছিলেন বজরং পুনিয়া। ইরানের মোর্তাজা ঘিয়াসিকে ২১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠেন। শুরু থেকেই ইরানের কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্ব ক্রমতালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বজরংয়ের সব আক্রমণই দুর্দান্ত রক্ষণাত্মক রণনীতিতে নির্বিষ করে দেন প্রতিপক্ষ। উল্টে এক পয়েন্টে এগিয়ে যান ইরানের মোর্তেজা। সেই পয়েন্টের ব্যবধান মিটিয়ে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করেন পুনিয়া। সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষের পাতা ফাঁদ থেকেও নিজেকে রক্ষা করেন ভারতীয় কুস্তিগীর। একদম শেষ মুহুর্তে বজরং পুনিয়ার কাছে দুর্দান্ত সুযোগ আসে। তার সদ্ব্যবহার করেন ভারতীয় কুস্তিগীর। ২ পয়েন্ট অর্জন করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে উল্টে ম্যাচ জিতে নেন পুনিয়া। ফল পয়েন্টের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। অন্যদিকে মহিলাদের ৫০ কেজি ফ্রিস্টাইল ক্যাটেগরির প্রথম রাউন্ডেই হারের মুখ দেখতে হয় ভারতের সীমা বিসলাকে। ১-৩ ফলাফলে ম্যাচ হারেন এই মহিলা কুস্তিগীর। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতা থেকেও ছিটকে গিয়েছেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগীর। প্রথম রাউন্ডে সীমাকে হারানো কুস্তিগীর কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়ায় রেপেচেজ রাউন্ডেও খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছেন ভারতীয় তারকা।

আগস্ট ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Women Hockey : ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে গ্রেট ব্রিটেনের কাছে হেরে ইতিহাসে নাম তুলতে ব্যর্থ রানিরা

মনদীপ সিংরা পারলেও, রানি রামপালরা ব্যর্থ। ইতিহাসে নাম তুলতে পারল না ভারতীয় মহিলা হকি দল। টোকিও অলিম্পিকে তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেনের কাছে ৪৩ ব্যবধানে হেরে ব্রোঞ্জ জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল রানি রামপলদের। যদিও তাঁদের এই পরাজয় অগৌরবের নয়। দুর্দান্ত লড়াই করে হারতে হয়েছে। গ্রেট ব্রিটেনকে এদিন বিনা লড়াইয়ে জমি ছাড়েনি ভারত। যদিও ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টায়ে নিজেদের সেভাবে গুছিয়ে নিতে পারেননি রানিরা। সেই সুযোগে ভারতীয় ডিফেন্সে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে ব্রিটেন। বেশ কয়েকটি পেনাল্টি কর্ণার আদায় করলেও গোল করতে পারেনি। ভারতীয় দলের গোলকিপার সবিতা পুনিয়া তিন কাঠির নীচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। তিনি বেশ কয়েকটি গোল বাঁচিয়ে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরু থেকেও ভারতের ওপর আধিপত্য ছিল গ্রেট ব্রিটেনের। ১৬ মিনিটে এলিনা রেয়ারের পুশ ভারতীয় ডিফেন্ডার গ্রেস এক্কার স্টিকে লেগে গোলে যায়। ২২ মিনিটে ভারতীয় দলের মিডফিল্ডার নিশা গ্রিন কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান। ভারতীয় দলের ১০ জন হয়ে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৪ মিনিটে ২০ করে গ্রেট ব্রিটেন। ১ মিনিট পরেই পেনাল্টি কর্ণার থেকে ব্যবধান কমান গুরজিৎ কাউর। ব্যবধান কমিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে ভারত। ২৬ মিনিটে আবার পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে। পেনাল্টি কর্ণার থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান সেই গুরজিৎ কাউর। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষদিকে আরও নাটক অপেক্ষা করছিল। ২৯ মিনিটে বন্দনা কাটারিয়া গোল করে ভারতকে ৩২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে গ্রেট ব্রিটেন। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসতে থাকে ভারতীয় রক্ষণে। চাপে পড়ে ভুল করতে থাকে ভারতীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। সেই সুযোগে ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে গ্রেট ব্রিটেন। পেনাল্টি কর্ণার থেকে ইসাবেলে পিটারের নেওয়া শট সবিতা পুনিয়া বাঁচালেও ফিরতি বল থেকে গোল করে সমতা ফেরান হোলি ওয়েব। চতুর্থ কোয়ার্টারে ম্যাচ দারুণ জমে ওঠে। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে দুই দল একে অপরকে টেক্কা দিতে থাকে। ৪৮ মিমিটের মাথায় পেনাল্টি কর্ণার থেকে গোল করে গ্রেট ব্রিটেনকে ৪৩ ব্যবধানে এগিয়ে দেন গ্রেস ব্যালসডন। বাকি সময় চেপে ধরলেও সমতা ফেরাতে পারেনি ভারত। হারলেও রানি রামপালদের এই লড়াইকে কুর্ণিশ করছে গোটা দেশ। এর আগে ১৯৮০ ও ২০১৬ সালের অলিম্পিকে খেললেও নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত। এবারই প্রথম অলিম্পিকের সেমিফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস রচনা করলেন রানি রামপালরা।

আগস্ট ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

R‌avi Kumar : সোনা হাতছাড়া হলেও রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন রবি

দুর্দান্ত লড়াই করেও সোনা স্পর্শ করতে পারলেন না রবি কুমার দাহিয়া। পুরুষদের ফ্রিস্টাইল কুস্তির ৫৭ কেজি বিভাগের ফাইনালে রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটির জাউর উগুয়েভের কাছে হেরে রুপো জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল এই ভারতীয় কুস্তিগীরকে। দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জাউর উগুয়েভের কাছে ৭৪ ব্যবধানে হারতে হয়েছে রবি কুমারকে। যদিও তাঁর হাত ধরেই টোকিও অলিম্পিকে ভারতের পঞ্চম পদকটি নিশ্চিত হয়েছে। সোনা হাতছাড়া হলেও রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন রবি। ভারোত্তোলক মীরাবাঈ চানুর পর টোকিও অলিম্পিক থেকে দেশকে দ্বিতীয় রুপো উপহার দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন হরিয়ানার এই কুস্তিগীর। সুশীল কুমারের পর দ্বিতীয় ভারতীয় কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিকে রুপো জিতলেন রবি কুমার দাহিয়া। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ৬৬ কেজির ফ্রিস্টাইল ইভেন্ট থেকে রুপো জিতেছিলেন সুশীল। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকেও একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সুশীল। দুই অলিম্পিকে পদক জয়ের বিরল নজির যে দুই ভারতীয় ক্রীড়াবিদের রয়েছে, সুশীল তার মধ্যে অন্যতম। রবি দাহিয়ার সেই নজির স্পর্শ করতে পারবেন কিনা, তা তো সময় বলবে। তার আগে টোকিও অলিম্পিক থেকে রুপো জিতে তিনি ইতিহাস গড়লেন। কোয়ার্টার ফাইনালে অনায়াস জয় হাসিল করা রবি কুমার সেমিফাইনালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ভারতীয় কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচের প্রথম থেকেই পয়েন্ট অর্জন করতে শুরু করেছিলেন কাজাখস্তানের নুরিসলাম সানায়েভ। একটা ৩৯ পয়েন্টে পিছিয়ে গিয়েছিলেন রবি কুমার। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল। ম্যাচের একদম শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত দক্ষতায় পয়েন্ট হাসিল করেন দাহিয়া। ম্যাচ শেষ হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগে রবিকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। রবি কুমার দাহিয়া রুপো জিতলেও পদক হাতছাড়া করলেন আর এক কুস্তিগীর দীপক পুনিয়া। ৮৬ কেজির ফ্রিস্টাইল বিভাগে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে সান মারিনোর মিলেস আমিনের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহুর্তে পয়েন্ট হারিয়ে পদক হাতছাড়া করেন দীপক পুনিয়া। ৪২ ব্যবধানে তিনি হেরে যান।

আগস্ট ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Tokyo Olympics : ‌৪১ বছরের শাপমুক্তি ঘটল টোকিওতে, জার্মানিকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতল ভারত

অবশেষে শাপমুক্তি। ৪১ বছরের খরা কাটিয়ে অলিম্পিকে পদক জিতল ভারত। ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকের পর টোকিও। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে জার্মানিকে ৫৪ ব্যবধানে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতল ভারত। ভারতীয় হকির গৌরব আবার ফিরিয়ে নিয়ে এলেন মনদীপ সিংরা। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানরা। তারপর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন মনদীপ সিংদের। শেষ পর্যন্ত জয় হাসিল। ম্যাচের ২ মিনিটে ভারতীয় ডিফেন্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দিয়েছিল টিমুর ওরুজ। শুরুতে এগিয়ে গিয়ে জার্মানরা বাড়তি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল ভারতীয় ডিফেন্সে। ১০ ও ১২ মিনিটে পরপর দুটি গোল বাঁচিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি শ্রীজেশ।আরও পড়ুনঃ বধূকে ধর্ষণের পর সোনার গয়না ও টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবকদ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ১৭ মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে নীলকান্ত শর্মার পাস থেকে সমতা ফেরান সিমরনজিৎ সিং। ২০ মিনিটে জার্মানির ফ্লোরিয়ান ফুচসের প্রয়াস রুখে দেন শ্রীজেশ। ২৪ মিনিটে নিকলাস ওয়েলেন জার্মানিকে ২১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। পরের মিনিটেই বেনেডিক্ট ফুর্ক ৩১ করেন। ৩১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে সম্বিত ফেরে মনদীপদের। ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষদিকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন। ২৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে ব্যবধান কমান হার্দিক সিং। ২ মিনিট পরে আবার পেনাল্টি কর্ণার পায় ভারত। পেনাল্টি কর্ণার থেকে সমতা ফেরান হরমনপ্রীত সিং।আরও পড়ুনঃ বুমরা, সামির ঝড়ে বেসামাল ইংল্যান্ড, গুটিয়ে গেল ১৮৩ রানেদ্বিতীয়ার্ধে আরও নাটক অপেক্ষা করছিল। জার্মানির ওপর জাঁকিয়ে বসেন মনপ্রীতরা। ৩১ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে ভারতকে এগিয়ে দেন রুপিন্দার পাল সিং। ৩ মিনিট পর গুরজন্ত সিং ডানদিক থেকে উঠে এসে বল বাড়ান সিমরনজিৎ সিংকে। খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান সিমরনজিৎ। ৫৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত। ৪২ মিনিটে পরপর বেশ কয়েকটা পেনাল্টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি রুপিন্দাররা।আরও পড়ুনঃ বুপুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোর ফাইনালে পৌঁছলেন নীরজ কুমারম্যাচের চতুর্থ কোয়ার্টারে চূড়ান্ত ক্লাইম্যাক্স। ব্রোঞ্জ ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানরা। অন্যদিকে ৪১ বছরের খরা কাটাতে মরিয়া মনদীপরা। ম্যাচের পরতে পরতে উত্তেজন। ৪৮ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার পায় জার্মানি। পেনাল্টি কর্ণার থেকে ব্যবধান কমান লুকাস উইন্ডফেডার। ৫২ মিনিটে জার্মান গোলকিপার স্ট্যাডলারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মনদীপ। শেষদিকে মরিয়া হলেও সমতা ফেরাতে পারেনি জার্মানি। অবশেষে ৪১ বছরের শাপমুক্তি ঘটিয়ে অলিম্পিকে পদক জিতল ভারত।

আগস্ট ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India Women Hockey : ‌‌ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ রানি রামপালরা, সামনে এবার ব্রোঞ্জের লড়াই

তাঁর কোচিংয়ে ভারতীয় মহিলা হকি দলের উত্থান। অলিম্পিক হকিতে দেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সোয়ার্ড মারিন। সেমিফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস রচনা করেছিলেন রানি রামপালরা। কিন্তু সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ২১ গোলে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন শেষ ভারতের। তবে পদকের আশা শেষ হয়ে যায়নি। ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে ৬ আগস্ট রানি রামপালদের খেলতে হবে গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে কুস্তির সেমিফাইনালে রবি কুমার ও দীপক পুনিয়াপ্রথমবার অলিম্পিকের সেমিফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস রচনা করেছিল ভারতের মহিলা হকি দল। সেই ইতিহাস রানি রামপলদের পক্ষে আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল না। যদিও আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি কর্নার পায়। পেনাল্টি কর্ণার থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন গুরজিৎ কাউর। এরপরই আস্তে আস্তে ম্যাচের ওপর নিয়ন্ত্রণ দেখাতে থাকে আর্জেন্টিনা। ভারতের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াতে থাকে। যদিও প্রথম কোয়ার্টারে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আরও চাপ বাড়ায়। ১৮ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান মারিয়া ব্যারিয়োনুয়েভো। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ভারত দুদুটি পেনাল্টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।আরও পড়ুনঃ সেমিফাইনালে হেরে ব্রোঞ্জেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লাভলিনাকেম্যাচে সমতা ফেরানোর পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে থাকা আর্জেন্টিনা। বারবার আক্রমণে উঠে এসে ভারতের রক্ষণভাগকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। বেশ কয়েকটি পেনাল্টি কর্ণারও আদায় করে নেয়। ৩৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি কর্ণার থেকে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক মারিয়া ব্যারিয়োনুয়েভো। পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালান রানি রামপালরা। বেশ কয়েকবার কাছাকাছি পৌঁছলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি কর্ণার পেয়েছিল ভারত। কাজে লাগাতে পারেনি। গুরজিৎ কাউরের শট দারুণ দক্ষতার সঙ্গে আটকে দলকে নিশ্চিত গোল বাঁচান আর্জেন্টিনা গোলকিপার। একই সঙ্গে ম্যাচে সমতা ফেরানোর সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।

আগস্ট ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Lovelina : ‌সেমিফাইনালে হেরে ব্রোঞ্জেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লাভলিনাকে

মেরি কম ব্যর্থ হওয়ার পর অলিম্পিকে মহিলাদের বক্সিংয়ে লাভলিনা বরগোঁহাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল দেশবাসী। মহিলাদের ৬৯ কেজি ওয়েল্টারওয়েট বিভাগের সেমিফাইনালে উঠে স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ফাইনালের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল লাভলিনা বরগোঁহাইয়ের কাছে। সেমিফাইনালে বিশ্বের ১ নম্বর তারকা তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনেলির কাছে হেরে সোনা জয়ের স্বপ্ন শেষ ভারতের এই মহিলা বক্সারের।সেমিফাইনালে হরলেও মেরি কম, বিজেন্দ্র সিংয়ের মতো ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লাভলিনা বড়গোহাঁইকে। কোয়ার্টার ফাইনালে যে দাপট নিয়ে তিনি বাউট জিতেছিলেন, সেমিফাইনালে শীর্ষ বাছাই বক্সারের বিরুদ্ধে তাঁর ধারেকাছেও পৌঁছতে পারলেন না লাভলিনা। ৫০ ব্যবধানে বুসেনাজ সুরমেনেলির কাছে উড়ে গেলেন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে এগোনোর চেষ্টা করেন লাভলিনা। ভারতীয় বক্সারকে পাল্টা জবাব দেন শীর্ষ বাছাই বুসেনাজ সুরমেনেলি। প্রথম রাউন্ডের শুরুতেই পরপর দুটি পাঞ্চ হজম করার পরই ব্যাকফুটে চলে যান লাভলিনা। ভারতীয় বক্সারের বিরুদ্ধে অনায়াসে পয়েন্ট অর্জন করতে থাকেন তুরস্কের বুসেনাজ। পরপর দুটি পাঞ্চ হজম করে চাপে পড়ে যান লাভলিনা। প্রতিপক্ষের কোনও আক্রমণেরই জবাব দিতে পারছিলেন না। এমনকি প্রতিরোধ ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। কেন তিনি বিশ্বের ১ নম্বর, বুঝিয়ে দিলেন বুসেনাজ সুরমেনেলি। নিজের সব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লাভলিনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাতেই হতদ্যোম হয়ে পড়েন বড়গোহাঁই। শেষ দুই রাউন্ডে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন লাভলিনা। শেষে রাউন্ডে তো কার্যত হালই ছেড়ে দেন ভারতীয় বক্সার। সেমিফাইনালে হারলেও টোকিও অলিম্পিক থেকে ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে ফিরছেন লাভলিনা বড়গোহাঁই। মেরি কম, বিজেন্দ্র সিংয়ের পর তৃতীয় ভারতীয় বক্সার হিসেবে এই নজির গড়লেন তিনি। সেমিফাইনালে লাভলিনার পরাজয়ে হতাশ না হয়ে বরং এই কীর্তিকেই বড় করে দেখছে দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানু্ষ। অসমের এই বক্সারের লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক থেকে তিনটি পদক এসেছে ভারতের। ভারোত্তোলনে রূপো জিতেছিলেন মীরাবাঈ চানু। ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ জিতেছেন শাটলার পিভি সিন্ধু। সেই তালিকায় যোগ হল লাভলিনা বড়গোহাঁইয়ের নাম।

আগস্ট ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Wrestling : ‌টোকিও অলিম্পিকে কুস্তির সেমিফাইনালে রবি কুমার ও দীপক পুনিয়া

কুস্তিতে ভারতকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রবি কুমার দাহিয়া ও দীপক পুনিয়া। পুরুষদের কুস্তিতে ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে সেমিফইনালে পৌঁছেছেন রবি কুমার। অন্যদিকে ৮৬ কেজি বিভাগেও সেমিফাইনালে উঠেছেন দীপক পুনিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে বুলগেরিয়ার ভ্যালেনতিনভ জর্জির বিরুদ্ধে ১৪৪ ব্যবধানে টেকনিক্যাল সুপারিওরিটিতে এগিয়ে থাকার জন্য সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন ভারতের এই কুস্তিগীর।আরও পড়ুনঃ একনজরে টোকিও অলিম্পিক ভিলেজের অন্দরমহলবাউটের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল রবি কুমারের। শুরুতেই ২০ ব্যবধানে এগিয়ে যান। প্রথম রাউন্ডে বুলগেরিয়ার প্রতিযোগী একেবারেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। প্রথম রাউন্ড শেষে রবি কুমারের স্কোর ছিল ৬০। দ্বিতীয় রাউন্ডে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরেন ভ্যালেনতিনভ জর্জি। ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে রবিকুমারও ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ৮২ ব্যবধানে এগিয়ে যান। একসময় স্কোর দাঁড়ায় ১০৪। শেষ পর্যন্ত ১৪৪ ব্যবধানে বাউট জিতে নেন রবি কুমার। সেমিফাইনালে রবি কুমার খেলবেন বুলগেরিয়ার সানায়েভের বিরুদ্ধে। প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে রবি কুমার ১১২ ব্যবধানে হারান কলম্বিয়ার অস্কার টিগরেরোসকে। বিশ্বের ৭ নম্বর তারকা অস্কার টিগরেরোস রবি কুমারের সামনে সেভাবে প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি।আরও পড়ুনঃ সেমিফাইনালে হেরে ব্রোঞ্জেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লাভলিনাকেশুধু রবি কুমারই নন, কুস্তিতে দেশকে পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দীপক পুনিয়াও। পুরুষদের ৮৬ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে দীপক পুনিয়া ৬৩ ব্যবধানে হারান চীনের লিন জুসেনকে। বাউটের শুরু থেকেই লড়াই দারুণ জমে উঠেছিল। একসময় স্কোর ছিল ৩৩। সেখান থেকে দুর্দান্ত লড়াই করে বাউট ছিনিয়ে নেন দীপক পুনিয়া। প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের এই কুস্তিগীর ১২১ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন নাইজেরিয়ার একেরেকেমে আগিওমোরকে। সেমিফাইনালের লড়াই কঠিন হলেও পদক জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

আগস্ট ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Neeraj Kumar : পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো–র ফাইনালে পৌঁছলেন নীরজ কুমার

পদক জয়ের সম্ভাবনা নিয়েই টোকিও অলিম্পিকে গিয়েছেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। পদক জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল করলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট। পৌঁছে গেলেন পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোএর ফাইনালে। গ্রুপ এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে তিনি ৮৬.৬৫ মিটার ছুঁড়ে ফাইনালের ছাড়পত্র পেয়েছেন। অন্যদিকে, ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন আর এক জ্যাভলিন থ্রোয়ার শিবপাল সিং। এই প্রথম অলিম্পিকে নেমেছেন নীরজ চোপড়া। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে তাঁর কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকটাই। সেই প্রত্যাশাপূরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন এই ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার। ফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের জন্য মাপকাঠি ছিল ৮৩.৫০ মিটার। প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৮৬.৬৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন নীরজ চোপড়া। প্রথম থ্রো করার পরই তিনি নিশ্চিত হয়ে যান ফাইনালের ব্যাপারে। তারপরই প্রতিযোগিতার এরিনা ছেড়ে বেরিয়ে যান। নিজের সেরা দূরত্ব অতিক্রমের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। আশা করা যায় ফাইনালে নিজের সেরা পারফরমেন্স দেবেন। গ্রুপ এতে নীরজের সঙ্গেই নেমেছিলেন সোনা জয়ের অন্যতম দাবিদার জার্মানির জোহানেস ভেটের। তিনি যোগ্যতা অর্জন পর্বে ছুঁড়েছেন ৮৫.৬৪ মিটার। আর তৃতীয় হয়েছেন ফিনল্যান্ডের লাসি এটেলাটালো। তিনি ছোঁড়েন ৮৪.৫০ মিটার। অন্যদিকে, ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ শিবপাল সিং। গ্রুপ বিতে তিনি তিনটি প্রচেষ্টাতেই যোগ্যতামান অতিক্রম করতে পারেননি। তিনটি প্রচেষ্টাতে তিনি ছোঁড়েন যথাক্রমে ৭৬.৪০, ৭৪.৮০ ও ৭৪.৮১ মিটার।নীরজ চোপড়া আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাঁকে ঘিরে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছে গোটা দেশ। টোকিও অলিম্পিকে নীরজ চোপড়া চমক দেখালে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বছর চারেক আগেই ভারতের এই অ্যাথলিট বড় আসরে সাড়ম্বরে আগমনের বার্তা দিয়েছিলেন। ২০১৬তে অনূর্ধ্ব ২০ আইএএএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে চমকে দিয়েছিলেন। শুধু সোনা জেতাই নয়, ৮৬.৪৮ মিটার ছুঁড়ে জুনিয়র বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিলেন নীরজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড বিভাগে সোনা জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে। ২০১৭ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা। সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসেও দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন নীরজ চোপড়া।

আগস্ট ০৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal