• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Md

কলকাতা

দমদমে আগুনে দাউদাউ গেঞ্জি কারখানা! বস্তি বাঁচাতে দমকলের মরিয়া লড়াই—অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা

দমদমে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। সোমবার সন্ধ্যায় সেভেন পয়েন্টের কাছে একটি গেঞ্জি কারখানায় হঠাৎ আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে গোটা কারখানা। কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন চোখের পলকে ছড়িয়ে পড়ে। দূর থেকেও আগুনের তেজ দেখা যাচ্ছিল। আগুন বাড়তে থাকতেই আতঙ্ক তৈরি হয় আশপাশের বস্তিতে। বাসিন্দারা তড়িঘড়ি বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন, গ্যাস সিলিন্ডার বাইরে বের করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।কারখানার কয়েকজন কর্মী সময়মতো বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলেও উল্টো দিকের একটি বাড়িতে কয়েকজন আটকে ছিলেন। স্থানীয়রা তাঁদের নিরাপদে বের করে আনে। ঠিক তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। চারদিক বস্তি থাকায় আগুন যাতে সেগুলিতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই দিকেই প্রথম নজর ছিল দমকলের। এক দমকলকর্মী জানান, বস্তিগুলো রক্ষা করাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, এবং তারা সেই চ্যালেঞ্জে সফল হয়েছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দমকল জানিয়েছে। এখনও কারখানার কোথাও আগুন লুকিয়ে আছে কি না, তা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কোনো হতাহতের খবর না মিললেও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কারখানার মালিক বা কর্মীরা এখনো কিছু বলেননি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কারখানায় ঠিকমতো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। বস্তিতে আগুন না ছড়ানোয় স্বস্তি পেয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষও।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫
কলকাতা

বাবরি শিলান্যাসের পরই ব্রিগেডে গীতাপাঠ! বাংলায় হঠাৎ উত্তাপ, কাদের দিকে আঙুল তুললেন সুকান্ত?

৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় জাঁকজমক করে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভোটের আগে এই ঘটনা নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে। হুমায়ুন নতুন দল গঠনের কথাও ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর তার এক দিনের মধ্যেই ব্রিগেডে আয়োজন হয়েছে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান। ভোর থেকেই সেখানে ঢল নেমেছে ভক্ত ও শিষ্যদের।রাজপথ থেকে ব্রিগেড দুই জায়গাতেই একইসঙ্গে চড়ছে রাজনীতির পারদ। গীতাপাঠের মঞ্চে কার্তিক মহারাজ, সাধ্বী ঋতম্ভরা, বাবা রামদেব, ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর মতো ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে উপস্থিত থাকছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার ও শমীক ভট্টাচার্যরাও।এই পরিস্থিতিতেই হুমায়ুনের বাবরি শিলান্যাস নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, হিন্দু ভোট ভাগ করা এবং মুসলিম ভোট একত্রিত করার চেষ্টা চলছে। এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্তের কথায়, হিন্দুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে না। একুশের ভোটেই সেটা স্পষ্ট।অন্যদিকে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে রাজনীতির রং লেগেছে কি না, সে বিষয়ে সুকান্ত বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে গীতাপাঠের কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। গীতা হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। রাজনীতি নিজের জায়গায় থাকবে, গীতা শাশ্বত।বাবরি শিলান্যাস থেকে ব্রিগেডের গীতাপাঠ দুই দিক থেকেই রাজ্যে উত্তাপ বাড়তে থাকায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫
বিদেশ

‘নিউ ইয়র্ককে মুম্বই বানাচ্ছেন!’— জোহরান মামদানিকে আক্রমণ মার্কিন ধনকুবেরের

নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিক জোহরান মামদানি। কিন্তু জয়ের পর থেকেই তাঁর এক ঘোষণাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। মামদানির প্রতিশ্রুত রেন্ট ফ্রিজ প্ল্যান অর্থাৎ শহরের ভাড়া স্থিতিশীল রাখার নীতি নিয়ে কার্যত ফেটে পড়েছেন মার্কিন ধনকুবের ব্যারি স্টার্নলিখট। তাঁর দাবি, এই নীতি কার্যকর হলে নিউ ইয়র্কের আবাসন শিল্প ভেঙে পড়বে এবং শহর মুম্বইয়ে পরিণত হবে!জোহরান মামদানি নির্বাচনের সময় থেকেই বলেছিলেন, শহরের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের ভাড়াটিয়াদের জীবনযাত্রার খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি রেন্ট ফ্রিজ প্ল্যান আনবেন। তাঁর কথায়, নিউ ইয়র্কে ভাড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি অনেক পরিবারের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে, তাই সময় এসেছে মানুষের পাশে থাকার রাজনীতি করার।কিন্তু এই পরিকল্পনার ঘোষণাতেই ক্ষুব্ধ রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী ব্যারি স্টার্নলিখট। তাঁর তীব্র প্রতিক্রিয়া আপনি নিউ ইয়র্ক শহরকে মুম্বইয়ে পরিণত করতে চাইছেন!স্টার্নলিখট মুম্বইয়ের উদাহরণ টেনে বলেছেন, সেখানে নির্মাণ ব্যয় আকাশছোঁয়া, শ্রমিক ইউনিয়নের দাপট অতিমাত্রায়, আর ফলত আবাসন বাজার কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। তাঁর আশঙ্কা, মামদানির পরিকল্পনা কার্যকর হলে নিউ ইয়র্কেও একই অবস্থা হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে আসবেন, নতুন প্রকল্প থমকে যাবে, আর শহরের আবাসন ব্যবস্থাই বিপর্যস্ত হবে।ক্ষোভে ফুঁসে উঠে তিনি বলেন, অতি বামপন্থীরা এখন পাগল হয়ে গিয়েছে! বলছে, ভাড়াটেরা টাকা না দিলেও তাদের কেউ বের করতে পারবে না! একবার যদি এমন নিয়ম হয়, তাহলে সবাই ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেবে। আর তাতেই নিউ ইয়র্ক একেবারে মুম্বইয়ের মতো হয়ে যাবে!তাঁর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য, নিউ ইয়র্ক এখন ভয়ংকর সময়ের মুখে দাঁড়িয়ে। হয়তো জোহরান মামদানি ইতিহাস থেকে কিছু শিখবেন। কারণ, সোশ্যালিজম এই পৃথিবীর কোথাও কার্যকর হয়নি কখনওই না!উল্লেখ্য, জোহরান মামদানি ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্য হলেও আদতে তিনি ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্টস অফ আমেরিকা-র প্রতিনিধি, অর্থাৎ মার্কিন রাজনীতির একদম বামঘেঁষা অংশ। তাঁর জয়ে বহু মানুষ উচ্ছ্বসিত তাঁদের মতে, এটি ট্রাম্প-মাস্কদের মতো দক্ষিণপন্থী, পুঁজিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের স্পষ্ট বার্তা। কিন্তু সেই আদর্শই এখন পরিণত হয়েছে বিতর্কের কেন্দ্রে। মামদানির মানবিক রাজনীতি আর স্টার্নলিখটের বাস্তব অর্থনীতি এই সংঘাতেই এখন সরগরম আমেরিকার রাজনীতি।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
রাজ্য

বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকূটি! ফের তুমুল ঝড়-জলের সতর্কতা জেলায়-জেলায়

IMD জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে, ২৪ সেপ্টেম্বর-এর মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, যা বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রবল বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি ঝোড়ো হাওয়া ও ঘন মেঘের সম্ভাবনা বাড়াবে। জেলায়-জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিরও সম্ভাবনা বাড়ছে।ফের এক দফায় সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। IMD-এর আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে, যার ফলে সামনের ৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত ও অস্বস্তিজনক আবহাওয়ার প্রবণতা বাড়বে।হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যদিও বর্তমান নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব নেই। তবুও বজ্রপাত-সহ বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই-তিন দিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই বজ্রসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিশেষ করে কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পার্শ্ববর্তী জেলার ক্ষেত্রে ঝড়-জলের সম্ভাবনা বেশি।অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও আজ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। আজ সপ্তাহের প্রথম দিনে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মালদা, দুই দিনাজপুরের পাশাপাশি কোচবিহারেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভালে ইতিহাস! 'নেভার গিভ আপ' আর 'বিলিভ' মন্ত্রেই শুভমান-সিরাজদের বাজিমাত

ওভালে ইতিহাস গড়ল ভারত। ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। যা টেস্টে গত একশো বছরে দেখেনি ওভাল। টেস্টে রানের নিরিখে এটিই ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়। যার ফলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২-২। প্রতিটি টেস্ট পঞ্চম দিন অবধি গড়িয়েছে, যা টেস্ট ফরম্যাটের সেরা বিজ্ঞাপন।আজ শেষদিন টেস্ট জিততে ভারতের দরকার ছিল চার উইকেট, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। জেমি স্মিথ আর জেমি ওভার্টনকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। জশ টং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার। এরপর এক হাতে ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামেন ক্রিস ওকস। কাঁধের হাড় সরেছে ফিল্ডিং করতে গিয়ে। দৌড়ে রান নেওয়ার সময় যন্ত্রণা ধরা পড়ছিল তাঁর অভিব্যক্তিতে। তবে ব্যাট করতে হয়নি। গাস অ্যাটকিনসন মরণপণ চেষ্টা করছিলেন। যদিও মহম্মদ সিরাজের পারফেক্ট ইয়র্কার ভারতকে উপহার দিল স্মরণীয় জয়। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের সিরিজ জেতার সম্ভাবনা জোরালো করেছিল। যদিও ৬৬ রানের মধ্যে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড থামল ৩৬৭ রানে। শেষ ৬ উইকেটের পতন ৩৫ রানের মধ্যে।মহম্মদ সিরাজ পাঁচটি টেস্টেই খেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন। সিরিজে সর্বাধিক উইকেটশিকারী। সিরাজ বললেন, গতকাল যদি ব্রুকের ক্যাচটা নিতে পারতাম তাহলে খেলা আজ অবধি গড়াত না। ওই ক্যাচ পড়ার পর ব্রুক টি২০ মেজাজে খেলতে থাকেন। ফলে ওটা ম্যাচ চেঞ্জিং মোমেন্ট হতে পারতো। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আমিই জেতাতে পারব। বিলিভ লেখা ইমেজ গুগল থেকে নামিয়ে ওয়ালপেপারে রেখেছিলাম দলকে জেতানোর অঙ্গীকার করে।লর্ডস টেস্টে ভারত হেরেছিল। মহম্মদ সিরাজ রক্ষণাত্মকভাবে খেলার পরেও বল গড়িয়ে উইকেটে লেগে বেল পড়েছিল, জেতে ইংল্যান্ড। আজ সেই সিরাজ শেষ উইকেট পেলেন অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে। সিরাজের কথায়, সেদিন রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন ঠিকঠাক ডিফেন্স করতে আর প্রয়াত বাবার কথা মাথায় রাখতে, যাঁর জন্যে এই অবধি পৌঁছেছি। কিন্তু সেদিন পারিনি জেতাতে। আজ জিততে পেরে ভালো লাগছে। রবি শাস্ত্রী তো বলেই দিলেন, সিরাজ হায়দরাবাদে ফিরলে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া উচিত। আর ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ যথেষ্ট নয়!ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেল হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে আর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ হারের পর এই প্রথম গম্ভীরের প্রশিক্ষণাধীন ভারত টেস্ট সিরিজ ড্র করল। ভারতীয় শিবির ওভালে রুদ্ধশ্বাস টেস্ট জেতাকে সিরিজ জয় হিসেবেই ভাবছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই সিরিজ সেরা হলেন সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী গিল, ইংল্যান্ডের তরফে ব্রুক। শুভমান বলেন, দলে কৃষ্ণ, সিরাজের মতো বোলার থাকলে অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে যায়। উই নেভার গিভ আপ। অর্থাৎ শেষ অবধি নাছোড় লড়াই চালানোই যে তাঁদের মূল মন্ত্র সেটাও জানাতে ভুললেন না দল নিয়ে গর্বিত গিল। গিল যথার্থই বললেন, এই সিরিজে সব টেস্টের শেষদিনের শুরুতেও কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি কে জিতবে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস চোটের কারণে ওভালে খেলতে পারেননি। তিনি গিলের সঙ্গে সহমত যে, দুই দল যেভাবে এই সিরিজ খেলল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-সহ, তার যথার্থ প্রতিফলন ২-২ ফল হওয়া।

আগস্ট ০৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অম্বরীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! সিএবিতে চিঠি আজহারের

সিএবিতে চিঠি পাঠালেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তবে এই আজহার ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বা ইডেনের বরপুত্র নন। এই আজহারের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ায়। যদিও এই আজহারের দাবি নয়া মাত্রা যোগ করল সিএবিতে চলা সাম্প্রতিক এক বিতর্কে।সম্প্রতি আইনজীবী সুমন কীর্তনীয়া একটি চিঠি সিএবি, বিভিন্ন ক্লাব-সহ নানা জায়গায় পাঠিয়ে সিএবির স্টেডিয়াম কমিটি ও বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন। অম্বরীশ প্রাক্তন ক্রিকেটার, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় কর্মরত। রেলের নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিত্ব করেন সিএবিতে। ফলে ভিজিল্যান্স-সহ রেলের কর্তাদের কাছেও অম্বরীশের নামে অভিযোগপত্র পাঠান সুমন। তাঁর দাবি, অম্বরীশ বিভিন্ন ক্লাব, বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা তুলেছেন, হাইকোর্ট ক্লাবে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়েছেন প্রভাবশালী পরিচয় দেওয়া অম্বরীশ। জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, দুর্নীতিতে অম্বরীশের সঙ্গী দেবনিক দাস যুক্ত বলেও দাবি সুমনের। উল্লেখ্য, দেবনিক হলেন টাউন ক্লাবের কর্তা। তিনি আবার সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের পুত্র। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধেও এক কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে সিএবি ওম্বুডসম্যানের কাছে। সুমন চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেন কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যাতে ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে অম্বরীশ যে টাকা পেয়েছেন তার প্রমাণ হিসেবে। সেই কথোপকথনে উঠে এসেছিল আজহারের নাম। এবার সেই আজহার চিঠি দিলেন সিএবিতে। আর্জি জানালেন, অম্বরীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে দিতে। সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অম্বরীশ ও তাঁর খ্যাতিতে আঘাত দিতেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অপব্যাখ্যা করে ওই চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি আজহারের।আজহার সিএবি সভাপতি ও সচিবকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ক্রিকেট খেলার সূত্রে অম্বরীশের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। খেলার পাশাপাশি তাঁরা নানাভাবে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে সাহায্য করে থাকেন। গত মরশুমে হাইকোর্ট ক্লাবকে সহযোগিতা করেছেন অম্বরীশ, সে কাজে তিনিও অম্বরীশের পাশে ছিলেন।ক্রিকেট দল চালাতে অর্থের প্রয়োজন। ময়দানের বিভিন্ন ক্লাব অনুদান-সহ নানাভাবে অর্থ সংগ্রহ করে খেলাধুলো পরিচালনা করে। সে কাজটাই তিনি ও অম্বরীশ করেছিলেন বলে জানান আজহার। তাঁরা সাধ্যমতো বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ক্রিকেটারদের জার্সি, ক্রিকেট সরঞ্জাম কিনে দেন, যাতায়াত, টিফিন, লাঞ্চের খরচ জোগান, অনুশীলনের জন্য প্র্যাকটিস-স্লট বুকিং, পরিকাঠামো তৈরি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটারদের সহায়তার কাজে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করেন বলে দাবি আজহারের। তিনি আরও বলেন, যে অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্ট ক্লাবের ক্রিকেট চালানোর কাজেই তহবিল গড়তে দেওয়া হয়েছে। যাতে মসৃণভাবে এই প্রক্রিয়া চলে সে কারণেই অম্বরীশের ইউপিআই ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এই অর্থ অম্বরীশ ও আজহার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য তোলেননি বলেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করা হলো তিনিই যখন আসল তথ্য সিএবিকে চিঠি লিখে জানালেন তাতে অভিযোগকারীর দাবি অনেকটাই লঘু হয়ে গেল। অভিযোগকারী সুমন অম্বরীশের কর্মক্ষেত্রে যে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেছেন সেটিও সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বঙ্গ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত অনেকেই। মঙ্গল-রাতে আজহারের চিঠি জমা পড়ার পর সিএবি কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

জুলাই ২২, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ মর্মান্তিক প্লেন দুর্ঘটনা আহমেদাবাদে, ২৪২ জনের প্রান সংশয়ের আশঙ্কা

আহমেদাবাদে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর AI171) ওড়ার মাত্র ৯ মিনিট পরই ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থল ছিল আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছেই। মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের ওপর বিমানটি। ওই বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনাটিকে ভয়ানক বলে সম্বোধন করেছে বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও বিমান পরিবহনমন্ত্রীকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার পুরো পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আপাতত আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের সব ধরনের উড়ান স্থগিত রাখা হয়েছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই দুর্ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে।

জুন ১২, ২০২৫
রাজ্য

চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সুপ্রিম কোর্টের ডিএ নির্দেশ, কি বললেন সুকান্ত মজুমদার?

নিউটাউন বাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।গতকাল বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষকদের আন্দোলনে অশান্তিগতকাল রাতে যে বর্বরোচিত আচরণ শিক্ষক সমাজের উপর হয়েছে সেটা এর আগে অন্য কোনো রাজ্যে দেখা যায়নি এটা লজ্জার এরাজ্যের। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করা উচিত। গতকালের বিকাশ ভবন এর ঘটনা নিয়ে পুলিশের বক্তব্যযে ছবি গতকাল দেখা গিয়েছে সেটা যদি পুলিশের সংযম এর ছবি হয় তাহলে এই পুলিশ কতটা হিংস্র ভেবে দেখুন। একদিন রাজ্যের সব শিক্ষক কাজ বন্ধ করে এর প্রতিবাদ করা উচিত। পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনে লাঠি পেটা করে এই শিক্ষকদের যোগ্য চাকরির আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গতকাল সব্যসাচী দত্ত বিকাশ ভবনসব্যসাচী দত্ত কে পাঠানো হয়েছিল গুন্ডামি করানোর জন্য। এরা পুলিশ নয় তো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থা তো এত খারাপ নয় যে হাফ প্যান্ট পরে পুলিশকে ঘুরতে হবে। শিক্ষকদের আন্দোলন বিকাশ ভবনেআসল লোক বসে আছে নবান্ন এ। তাকে প্যাঁচে ফেলুন। রাজ্য সরকার বারবার শিক্ষকদের ললি পপ দিয়ে বোকা বানিয়েছেন। গতকাল বিকাশ ভবনে সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ আটকে থাকাগতকাল বিকাশ ভবনে যদি সাধারণ মানুষ বা সরকারি কর্মচারী আটকে থাকে তাহলে পুলিশের উচিত ছিল বুঝিয়ে বলা। আর মনে হয় না আমার যে কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা কোনো গর্ভবতী মহিলাকে আটকে রেখে হেনস্থা করবে বললে। সুপ্রিম কোর্ট এর নির্দেশ ডিএ নিয়েসুপ্রিম কোর্ট প্রথম নির্দেশ দিয়েছিলেন ৫০% ডিএ মেটানোর কথা ।কিন্তু পরে আজ বলা হয়েছে কোর্টের তরফে ২৫% ডিএ মেটানোর জন্য। তবে এই বকেয়া ডিএ পুরোটা মেটানো উচিত। রাজ্য সরকার এই রাজ্যকে ভিখিরিতে পরিণত করেছে।কোর্টের এই রায় কে স্বাগত জানাই। সরকার যদি চুরি না করত তাহলে এই হাল হতো না রাজ্যের। মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট পেশযদি পূর্ব পরিকল্পিত হয় তাহলে রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারেনি কেন? তাহলে ব্যর্থতা কার। ব্যর্থতার দায় কে নেবে মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি পুলিশ নাকি অন্য কেউ। দায় নিতে হবে সরকাকে।

মে ১৬, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিরাট রহিতের পর কি শামি? জোর জল্পনা ক্রিকেট মহলে

গত ছয় মাস ধরে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর, ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে একটি বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা মহম্মদ শামি এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো দলের অন্যান্য সিনিয়র খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নিয়েও রহস্য় তৈরি করছে।ভারত ২০ জুন থেকে হেডিংলিতে শুরু হওয়া পাঁচটি টেস্ট খেলতে প্রস্তুত। ভারত ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) চক্রে তাদের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট খেলবে একজন নতুন অধিনায়কের সাথে, যা নতুন অধিনায়কের সাথে ঘোষণা করা হতে পারে।মহম্মদ শামি কি অবসর নিচ্ছেন?ফিটনেস নিয়ে বড় উদ্বেগের পর শামি ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে তাৎক্ষণিক হুমকির সম্মুখীন। এই তারকা পেসার দুই বছর ধরে ভারতের হয়ে কোনও টেস্ট ম্যাচ খেলেননি। ২০২৩ সালের জুনে ২০২৩ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।২০২৩ বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে শামি প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন করলেও, প্রত্যাবর্তনের পর থেকে তিনি মাত্র একটি লাল বলের খেলা খেলেছেন। ৩৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় ভারতের ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন কিন্তু চলমান ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তিনি তার সেরা পারফর্মেন্স থেকে অনেক দূরে রয়েছেন, যা ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য তার দলে নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।সম্ভাব্য অবসরের গুজবের প্রতিক্রিয়ায় শামি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং একই বিষয়ে একটি মিডিয়া প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। খুব ভালো করেছেন, মহারাজ। আপনা কে দিন ভি গিন লু কিতনা বিদায় হ্যায়। বদমে দেখ লে হামারা আপ জাইসে নে সত্যিয়ানাশ কর দিয়া ভবিষ্যৎ কা। কখনও তো বল লিয়া করে। আজ কি সবসে খারাপ গল্প দুঃখিত (শাবাশ মহারাজ। তোমার চাকরির বাকি দিনগুলোও গণনা করো। ভবিষ্যতে দেখো, তোমরা আমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করো। আজকের সবচেয়ে খারাপ গল্প), ইনস্টাগ্রামে শামি লিখেছেন।আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে ভারতের সেরা পেসারদের মধ্যে শামি অন্যতম, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৬২টি ফর্ম্যাটে ৪৬২টি উইকেট নিয়েছেন। টেস্ট এবং ওয়ানডে উভয় ক্রিকেটেই তার ২০০ টিরও বেশি উইকেট রয়েছে।

মে ১৪, ২০২৫
বিদেশ

এ এক অনবদ্য শ্রদ্ধার্ঘ! জাকির হোসেনের সমাধিস্থলে উত্তরসূরি হিন্দোল

২০২৪-র ডিসেম্বরের ১৫তে ৭৩ বছর বয়সে প্রবাদ প্রতিম তবলিয়া ওস্তাদ জাকির হুসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। তাঁর দেহ আমেরিকার ৩০১, টেনেসি ভ্যালি রোড, মিল ভ্যালি তে ফার্নউড কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। অসংখ্য গুণগ্রাহী ছাড়াও পৃথিবীর সমস্ত স্তরের সঙ্গীত শিল্পীরা শোকসন্তপ্ত হয়ে পরেন। ওস্তাদ জাকির হুসেন ১৯৫১ র ৯ই মার্চ ভারতের বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বই) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন প্রবাদ প্রতিম তবলা বাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে জাকির হোসেন তাঁর পিতার কাছে তবলা বাজানোর তালিম নেওয়া শুরু করেন।ভারতবর্ষ থেকে কয়েক হাজার যোজন দূরে এই মহামানবের সমাধিস্থল দর্শনের সৌভাগ্য খুব কম জনেরই হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৮ মে প্রথিতযশা তবলিয়া পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার তাঁর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞ্যাপন করতে যান। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তাতে দেখা যাচ্ছে হিন্দোল মজুমদার জাকির হোসেনের সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে তবলার বোল উচ্চাড়ন করে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ দিচ্ছেন। এই অভুতপূর্ব দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগ প্রবন হয়ে পরেন। প্রসঙ্গত, জাকির হোসেনের পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখা এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, জাকিরের জন্মের পর তাঁদের প্রথা মত পিতার সন্তানের কানে আজানের বানি শোনানোর পরিবর্তে আল্লা রাখা জাকিরের কানে তিনতালের বোল শুনিয়েছিলেন। হিন্দোলের এই শ্রদ্ধার্ঘ অনেককেই সেই নাস্টালজিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলো।তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, আজ আমি ওস্তাদ জাকির হোসেন জির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি, কখনও ভাবিনি কিংবদন্তিকে এইভাবে দেখব, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে সঙ্গীতের জগৎ তাকে ছাড়া থাকবে - তাঁর আত্মা চির শান্তিতে বাস করুক-ওম শান্তি। হিন্দোল মজুমদার কে জাকিরজির সমাধিস্থলে নিয়ে আসার জন্য প্রতিভাবান সরোদ বাদক সৌরদীপ ভট্টাচার্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার জনতার কথাকে জানান, জাকির জি আমাদের মতো তবলিয়াদের কাছে একজন পথিকৃৎ বা মশিয়াহ। তাঁকে এবং পন্ডিত স্বপন চৌধুরী জি মত তবলিয়া কে সামনে রেখেই আমাদের বেড়ে ওঠা। তিনি জানান জাকির জি ছিলেন আমার খলিফা। আমার গুরু প্রয়াত পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ওস্তাদ আল্লা রাখার শিষ্য। তিনি আরও জানান তবলা কে যে উচ্চতায় জাকির জি নিয়ে গেছেন সেটা অনুধাবন করার মত সময় এখনো আসেনি। হিন্দোল মজুমদার আরও জানান, জাকির জি ও পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী কে দেখেই তাঁদের সমসাময়িক তবলা শিল্পীরা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারে আমেরিকা ও ইউরোপে এসে নারা বাঁধেন। সেই পরম্পরা আজও চলছে। আমরা তাঁদের দেখানো পথই অনুসরন করে চলেছি।তিনি জানান, জাকির জি বছরের বেশীরভাগ সময়ই পরিবারের সাথে আমেরিকাতে কাটাতেন, ২-৪ মাস ভারতে এসে বিভিন্ন কনসার্টে অংশগ্রহণ করতেন। আরও জানান, জাকির জির সাথে বহুবার সাক্ষাত হয়েছে। তাঁর মত গুরু, অগ্রজ, উদারমনা মানুষ বিরল। হিন্দোল মজুমদার বলেন, জাকির জির রসিকতা বোধ ও ছিলো অসাধরণ। তিনি আরও জানান জানান, জাকির জির মৃত্যুর কয়েক মাস আগেই আমার গুরু পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হন। পরপর দুটি ধাক্কা সামলানো খুব-ই কঠিন ছিলো আমার কাছে। অনেকদিন ধরেই জাকির জির সামাধি স্থল দর্শন করার ইচ্ছা ছিল, সেই সুযোগ পেলাম। তাঁকে তবলার বোল ছাড়া কি দিয়েই বা শ্রদ্ধা জানাতে পারি? তাই সমাধিস্থলের পাশে দাঁড়িয়ে ওনার পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখা জির কম্পোজিসন করা রুপক তালের ওপর একটি বোল পাঠ করি।পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার জাকির হোসেনের সামাধিস্থল ঘুরে এসে কিছুটা ব্যথিত-ও। তিনি জনতার কথা কে জানান, তাঁর মত মানুষের সমাধি এতটা মলিন, এটা মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর। তিনি জানান, আমার স্থির বিশ্বাস তাঁর অগণিত গুনাগ্রাহী এই দৃশ্য দেখে ভীষণভাবে মর্মাহত হবেন। তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস এই সমাধি তাঁর জন্মস্থান ভারতে হলে সেটাই আজ একটা দর্শনীয় স্থানে পরিণত হত। তবে তিনি জানিয়েছেন জাকির জির পরিবারের সাথে কথা বলে জাকির প্রেমী মানুষজনকে নিয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন। অন্তত একটা সাইনেজ ও যেন লাগানো যায়, যাতে কেউ শ্রদ্ধা জানাতে এসে জায়গাটাকে সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারেন।

মে ০৯, ২০২৫
রাজ্য

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বিক্ষোভ, ভাঙচুর দমদমের স্কুলে

দমদমের একটি সরকারি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শীলতাহানির অভিযোগে স্কুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি ভাঙচুর চালালো, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা।দমদম ভারতীয় বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্রীর সাথে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার, নির্যাতিতা ছাত্রী অষ্টম ক্লাসে পঠারত। সে দমদম বিশরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত তিন ফেব্রুয়ারি স্কুলে গেলে অভিযোগ স্কুলের হেডমাস্টার শুভজিৎ ভট্টাচার্য ছাত্রীর শ্রীলতাহানি করেন। এরপর ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয় জানালে, আজ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি অভিভাবকরা এসে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ও স্কুলে ভাঙচুর করে। অবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করতে হবে এও দাবি জানায় অভিভাবকরা। অভিযোগ এর আগেও নাকি হেডমাস্টার অনেক ছাত্রীর শীলতাহানি করেছে। তাই এই বিষয় নিয়ে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

মার্চ ০৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ধরাশয়ী, ভারতের কাছে বিড়াল হয়ে গেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের লম্ফঝম্ফই সার। বাংলাদেশের বাঘ যে ভারতের সামনে পড়লে বিড়াল হয়ে যায় তা আবার প্রমানিত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে ৬ উইকেটে জয় পেল ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ১০ উইকেটে তুলেছিল ২২৮ রান। জবাবে ২১ বল (৪৬.৩ ওভারে) বাকি থাকতেই ভারত জেতার জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ভারতের অন্যতম ওপেনার শুভমান গিল ১২৯ বলে ৯টি চার এবং ২টি ছয়-সহ ১০১ রানে ও কেএল রাহুল ৪৭ বলে ১টি চার এবং ২টি ছয়-সহ ৪১ রানে অপরাজিত থেকে যান।শুভমান বৃহস্পতিবার তাঁর ক্যারিয়ারের ৮ম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন ১২৫ বলে। ভারতের এই ওপেনারের কাছে এইরকম দুর্দান্ত ইনিংসের আশায় তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখা হয়েছে। এর আগে দলের ১৪৪ রানের মাথায় ভারতের ৪র্থ উইকেটের পতন হয়। রিশাদ হোসেনের বলে তাঁর হাতেই ধরা পড়েন গৌতম গম্ভীরের নতুন তাস অক্ষর প্যাটেল। অক্ষর বিশেষ সফল হননি, তিনি ১২ বলে ১টি চার-সহ ৮ রান করেছেন। মধ্যম বর্গীয় ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার তাঁর নামের প্রতি সুবিছার করতে পারেননি। তিনি তুলে মারতে গিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন। শ্রেয়স ১৭ বলে ২টি চার-সহ ১৫ রান করেছেন। খাতা খুলতে ১০টি বল নিলেও ক্রমশ নিজেকে পিচের সাথে মানিয়ে নিচ্ছিলেন। ঠিক যখনই মনে হতে শুরু হচ্ছিল যে, আজ বিরাট বড় রান করবে ঠিক তখনি রিশাদ হোসেনকে কাট করতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভেসে সোজা চলে গেল সৌম্য সরকারের হাতে। তাঁর আগে ৩৮ বলে ১টি চার-সহ ২২ রান করেছেন কোহলি। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাসকিন আহমেদের বলে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন। ৩৬ বলে ৭টি চার-সহ ৪১ রান করেছেন রোহিত।𝗖.𝗛.𝗔.𝗠.𝗣.𝗜.𝗢.𝗡.𝗦 🏆#TeamIndia 🇮🇳 HAVE DONE IT! 🔝👏ICC Mens T20 World Cup 2024 Champions 😍#T20WorldCup | #SAvIND pic.twitter.com/WfLkzqvs6o BCCI (@BCCI) June 29, 2024চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারত-বাংলাদেশ এই গ্রুপ ম্যাচে টস জিতে বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১০ উইকেটে ৪৯.৪ ওভারে তোলে ২২৮ রান। অনবদ্য সেঞ্চুরি করেন তৌহিদ হৃদয়। ১১৪ বলে ৬টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে তিনি সেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১১৮ বলে ১০০ রান করে আউট হন। হর্ষিত রানার বলে মহম্মদ শামির হাতে ধরা পড়েন। এর আগে তৌহিদ ব্যাটসম্যান জাকির আলির সঙ্গে যৌথভাবে বড় পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে ভারতের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক স্কোর থেকে রক্ষা করেন।ম্যাচে মহম্মদ শামির বলে শ্রেয়স আইয়ারের হাতে ধরা পড়েন তাসকিন আহমেদ। ৬ বলে ৩ রান করেন তাসকিন। মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। তিনি ৪ বল খেলে বিনা রানেই আউট হয়েছেন। হর্ষিত রানার বলে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন রিশাদ হোসেন। তিনি ১২ বলে ১টি চার এবং ২টি ছয়-সহ ১৮ রান করেন। মহম্মদ শামির বলে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়লেন জাকির আলি। তিনি ১১৪ বলে ৪টি চার-সহ ৬৮ রান করেছেন। তানজিদ হাসানকে ফিরিয়ে দেন অক্ষর প্যাটেল। তানজিদের ক্যাচ ধরেন কেএল রাহুল। ২৫ বলে ৪টি চার-সহ ২৫ রান করেছেন তানজিদ।এক দিনের বিশ্বকাপে ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন মহম্মদ শামি। আইসিসি প্রতিযোগিতায় ফিরেই আবার ছন্দে তিনি। আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচে পড়শি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে এই কীর্তি গড়েছেন ভারতীয় দ্রুত গতির বোলার।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে শামির ঝুলিতে ১৯৭ উইকেট ছিল। ২০০ উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছতে শামির দরকার ছিল ৩ টি উইকেট। জাকের আলিকে আউট করে ২০০ উইকেটে পৌঁছে যান শামি। ২০০ উইকেট নিতে ৫১২৬ বল করেছেন শামি। বিশ্বে এত কম বলে কোনও বোলার ২০০ উইকেট নিতে পারেননি। এত দিন এই রেকর্ড ছিল মিচেল স্টার্কের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কের ২০০ উইকেট নিতে ৫২৪০ বল করেছিলেন।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
কলকাতা

বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা এবার দক্ষিণ দমদমে, আবাসিকরা আতঙ্কিত

বহুতল হেলে পড়ে যাওয়ার খবর মিলেই চলেছে। কলকাতা পুরসভা, বিধাননগর পৌর নিগমের পর দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণদাঁড়িতে পাঁচ তলা বিল্ডিং হেলে পড়ার ঘটনা ঘটলো। এর আগে শুধু কলকাতা নয়, হাওড়া ও কামারহাটিতেও বহুতল আবাসন হেলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণদাঁড়ির ৪৭ নম্বর পাঁচতলা বহুতল আবাসনটি পাশের বাড়ির ওপর হেলে পড়েছে। বিপজ্জনকভাবে বাড়ি হেলে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত ওই বহুতলের আবাসিকরা। সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে এক টুকরো মাথার ছাদ কিনেছিলেন। আর সেই ছাদ টুকু চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি জমির ওপর বহুতলটি বৈধভাবে গড়ে উঠেছিল? আদৌ কি মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল? প্রশ্ন উঠেছ এই বিল্ডিংটির ডেভেলপার রবি গুপ্তা কি রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ?

জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
কলকাতা

মেট্রোপথে জুড়তে চলেছে কলকাতা বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া থেকে ঘুরে গেল ট্রায়াল মেট্রো

মেট্রো যাত্রীদের জন্য আরও একটি সুখবর। মেট্রোতে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আরও জোরালো হল। কারণ, নোয়াপাড়া-জয় হিন্দ বিমানবন্দর লাইনের (৭.০৪ কিমি) ইউপি এবং ডিএন উভয় লাইনেই প্রথম পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল রান সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগে, আজ, শুক্রবার নোয়াপাড়া থেকে এই ট্রায়াল রান শুরু হয়েছিল। রেক নং এমআর ৪০৮ দিয়ে মেট্রো কর্মী, কর্মকর্তা এবং কৌতূহলী দর্শকরা তাদের সামনে ইতিহাস তৈরি হতে দেখেছেন।এই ট্রায়াল রানের সময় মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি, অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো ট্রায়াল রানের সময় মোটরম্যানের ক্যাবে শ্রী রেড্ডি উপস্থিত ছিলেন। জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনে যাওয়ার পথে, রেকটি দম দম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে থামে এবং জেনারেল ম্যানেজার এই স্টেশনটি পরিদর্শন করেন।ট্রায়াল রেকটি শেষ পর্যন্ত ১২:৩১ মিনিটে জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনে পৌঁছায়। মেট্রো কর্মকর্তা এবং সেখানে উপস্থিত কর্মীরা রেকটিকে স্বাগত জানালে। জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনটিও পরিদর্শন করেন এবং মেট্রোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং কনকোর্স স্তরে উপলব্ধ বিভিন্ন যাত্রী সুবিধা স্থাপনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এই প্রান্তে প্রথম ট্রায়াল রান সম্পন্ন হওয়ার জন্য জেনারেল ম্যানেজার সকলকে অভিনন্দন জানান।পরিদর্শন সম্পন্ন করার পর, জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনের উর্ধ্বতন মেট্রো কর্মকর্তাদের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্ত মুলতুবি কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। ফিরতি যাত্রার সময়, রেকটি জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন থেকে দুপুর ১:৫৭ মিনিটে যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং দুপুর ২:২১ মিনিটে নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে পৌঁছায়। জেনারেল ম্যানেজার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই স্টেশনটি চালু হলে কলকাতা এবং শহরতলির মানুষকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ হবে।ইয়েলো লাইনের নোয়াপাড়া এবং জয় হিন্দ বিমান বন্দরের মধ্যে অবস্থিত এই স্টেশনের প্রধান বৈশিষ্ট্য:-১. মোট স্টেশনের সংখ্যা-৪টি (নোয়াপাড়া, দম দম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড, জয় হিন্দ বিমান বন্দর)।২. জয় হিন্দ বিমান বন্দর এশিয়ার বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে।৩. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনটি অরেঞ্জ লাইন এবং ইয়েলো লাইনের সংযোগকারী স্টেশন হবে।৪. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫টি প্ল্যাটফর্ম থাকবে।৫. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনের কনকোর্স এলাকা ১৪৬৪৫ বর্গমিটার।৬. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম স্তর এবং কনকোর্স স্তরের মধ্যে ৬টি সিঁড়ি, ১২টি এসকেলেটর এবং ৬টি লিফট থাকবে।৭. একটি সাবওয়ে (দৈর্ঘ্য ৩৩০ মিটার এবং প্রস্থ ১০.৫ মিটার) যশোর রোডকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই সাবওয়েতে ২ নম্বর প্রবেশ-প্রস্থান পথ রয়েছে যা কনকোর্স অবৈতনিক এলাকাটিকে বারাসত পার্শ্বের দিকে, ২.৫ নম্বর বিমানবন্দর গেট (যশোর রোড হাইওয়ের কাছে) সংযুক্ত করবে।৮. এই সাবওয়েতে ৩টি এসকেলেটর, ২টি লিফট এবং ২টি সিঁড়ি থাকবে।৯. আরেকটি সাবওয়ে (দৈর্ঘ্য ২৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৩ মিটার) বিমানবন্দরকে জয় হিন্দ বিমান বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই সাবওয়েতে ৩ নম্বর রয়েছে। প্রবেশ-প্রস্থানের ব্যবস্থা থাকবে যা NSCBI বিমানবন্দর (বিমানবন্দরের আগমন গেট নং ১) দিয়ে আসা যাত্রীদের এবং পার্কিং এলাকা থেকে আসা যাত্রীদের জন্য সুবিধা প্রদান করবে।১০. এই সাবওয়েতে ৪টি লিফট, ৬টি এসকেলেটর এবং ৩টি সিঁড়ি থাকবে।১১, এই সাবওয়েতে যাত্রীদের সুবিধার্থে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ট্রাভেলেটর থাকবে।১২. যশোর রোড এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনগুলিতে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে এবং লিফট, এসকেলেটর ইত্যাদির মতো আধুনিক যাত্রী সুবিধা থাকবে।১৩. নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনটি ব্লু লাইন এবং ইয়েলো লাইনের মধ্যে যাত্রী বিনিময় স্থান হবে।১৪. নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ কার্শেড পর্যন্ত এই অংশের মোট দৈর্ঘ্য ৭.০৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ভূগর্ভস্থ এবং ৫.২৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্টে থাকবে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
বিদেশ

বিকল্প বাজার দেখতে তৎপর বাংলাদেশ! তবে এখনও ভারতীয় পন্যেই নির্ভরশীল ইউনুস সরকার

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় সারা বিশ্ব। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা থেকে গ্রেট ব্রিটেন। এদিকে ভারতের পন্য বয়কট নিয়ে লাগাতার প্রচার চলছে বাংলাদেশে। এখন তো বিএনপি নেতৃত্ব সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করে ভারতীয় দ্রব্য়সামগ্রী বয়কটের ডাক দিয়েছে। তবে এখনও ভারতে থেকে সীমান্ত পার হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই পন্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। তা এখনও বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। এদিকে পেঁয়াজ ও আলুর বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। কালের কন্ঠে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ ও আলুর বাজার স্থিতিশীল করতে ভারতের বিকল্প বাজার থেকে আমদানি এবং বাজার মনিটরিংয়ের জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ও আলুর স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল করা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অংশীজনদের নিয়ে সভায় তারা এই তাগিদ দেন।এ ছাড়া আলুর শুল্ক মেয়াদ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে আরো দুই মাসের জন্য বাড়ানোর সুশারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বাণিজ্যসচিব মোহা. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর আলুর বাজারে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। যদিও দাম বেশি হলেও নতুন আলু ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে বাজারে আসবে। এই সময় সংকট মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া পেঁয়াজের ও আলু সঠিক তথ্য না থাকায় বাজার স্থিতিশীল করা যাচ্ছে। এ জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকারের হিমাগার করার জন্য পাইলট প্রকল্প নিতে পারে। যেখানে কম সুদে ঋণ, জমি দিতে পারে উদ্যোক্তাদের।এদিকে ট্যারিফ কমিশনের ওই সভায় একটি পর্যবেক্ষণ ও দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ ও আলুর অন্যতম উৎস ভারত। ভারতের বাজারের পণ্য দুটির দাম বাড়ায় স্থানীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু আমদানি করা হয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৮ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গত ৫ মাসে (১ জুলাই - ৩০ নভেম্বর) আমদানি করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৬৩ টন। ভারত থেকে এসব আলু এসেছে।২০২৩-২৪ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭০ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৫২ টন। ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, চীন ও মিয়ানমার থেকে এসব পেঁয়াজ এসেছে।বাংলাদেশের সংবাদপত্রে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে মুখেই ভারতীয় পন্য বয়কটের কথ বলা হচ্ছে। কোনওরকম ভারতীয় পন্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে আসা বন্ধ করেনি। শেখ হাসিনা গদি ছাড়ার পরও একই ভাবে আলু, পেঁয়াজ, মাছসহ একাধিক পন্য ভারত থেকেই নিচ্ছে বাংলাদেশ। তাতেই বাংলাদেশের বাজারদর কিছুটা হলেও স্থিতিশীল রয়েছে। পন্য বয়কটের অযথা রাজনীতি করছে বাংলাদেশ। বেনোপোল সীমান্তে প্রতিদিন শয়ে শয়ে ভারতীয় কম্বল কিনছে বাংলাদেশীরা।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪
রাজ্য

অভিনব প্রতিবাদ কামদুনীর প্রতিবাদী টুম্পা কয়ালের, বেআইনি জবরদখল রুখতে নয়া পথ

বেআইনি জবরদখলের প্রতিবাদে এবার অভিনব প্রতিবাদ কামদুনীর প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়ালের। বেআইনি জবরদখল জমিতে বৃক্ষরোপণ করে প্রতিবাদ জানালেন টুম্পা কয়াল। আজ নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার অন্তর্গত একটি জমিতে মিছিল করে এসে বৃক্ষরোপণ করেন তারা। তাঁদের দাবি, বেআইনিভাবে জমি জবরদখল করে নেওয়ার প্রতিবাদে এই বৃক্ষরোপণ করা হলো এছাড়াও স্থানীয় তৃণমূল নেতা তার স্বামীকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিলেন তারও প্রতিবাদ দেখালেন তারা, জানান টুম্পা কয়েল। রাস্তাতে বসে অবরোধও করনে টুম্পা কয়াল। ঘটানস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী।

জুলাই ০৬, ২০২৪
রাজ্য

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে পালিত রামনবমী, শোভাযাত্রায় পা মেলালেন সুকান্ত ও

সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে পালিত হল রামনবমী। বুধবার সকাল থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জেলা সদর শহর বালুরঘাট মহকুমা শহর গঙ্গারামপুর বুনিয়াদপুর সহ জেলা বিভিন্ন প্রান্তে রামনবমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বাইক র্যালি হয়। এই দিন রামনবমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলান রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার।তাঁর সাথে এদিন উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরপ চৌধুরী সহ বিজেপির অন্যান্য কার্যকর্তারা। বুধবার দুপুরে গঙ্গারামপুর শহরের কালিতলা থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড বড়বাজার নিউমার্কেট এলাকায় রামনবমী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় উপস্থিত হন সুকান্ত মজুমদার। তিনি এদিন এই শোভাযাত্রায় ও পা মেলান। সূর্যের প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে এদিন সারা জেলা জুড়েই রামনবমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় এবং বাইক র্যালিতে প্রত্যেকের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট লক্ষণীয়।এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট মহুকুমা শহর গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরে সুকান্ত মজুমদারের সাথে এই শোভাযাত্রায় রামনবমী উপলক্ষে ৮ থেকে ৮০-র উপস্থিতি যেমন ছিল পাশাপাশি রামনবমী উপলক্ষে গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে সহস্রাধিক মানুষের এই মিছিলে উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।

এপ্রিল ১৭, ২০২৪
রাজনীতি

সুকান্ত, শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ মমতার, পাল্টা দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি

শনিবার লোকসভা ভোটের প্রচারে বালুরঘাটের তপনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের অর্থ আটকে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী করেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে। মমতা বলেন, ওরা বাংলার গদ্দার, বাংলার কুলাঙ্গার। পাল্টা জবাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি।এ দিন জলপাইগুড়িতে ঝড়বিধ্বস্ত এলাকা প্রদর্শনে তাঁর যাওয়া ও বিরোধী বিজেপি নেতাদের না যাওয়া নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলার টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের আটকে রাখার প্রসঙ্গটি আসে। মমতা বলেন, আপনাদের এখানে ওই কুসান্তবাবু আছেন, আর ও দিকে আছে গদ্দার। এরা মনে করে, যা বলবে তা-ই করতে হবে। গায়ের জোরে চালাবে।এরপরই সুকান্ত মজুমদারের নাম ধরে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন মমতা। বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি সুকান্তবাবুকে। ভোট দেওয়ার আগে বলেননি আপনি আর গদ্দার? বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া যাবে না? বাংলার বাড়ি দেওয়া যাবে না? রাস্তা দেওয়া যাবে না? কোনও দিন সারি-সারনা ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন দিল্লিতে গিয়ে? তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, আপনারা বাংলার টাকা বন্ধ করেছেন, আপনারা বাংলার গদ্দার। আপনারা বাংলার কুলাঙ্গার। আপনারা বাংলার ভাল চান না। আপনারা উত্তরবঙ্গের ভাল চান না। আপনারা দক্ষিণবঙ্গেরও ভাল চান না।পরে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দেন সুকান্ত। বলেন, ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লগা। বালুরঘাট কেন, উত্তরবঙ্গেও গত বারে যেমন শূন্য হাতে তৃণমূল ফিরেছিল, এ বারও শূন্য হাতে ফিরবে। কংগ্রেসও তাই। উনি ১০০ দিনের টাকার কথা বলছেন, আমি এখনও বলছি, উনি হিসাব দিন, সব টাকা কেন্দ্র দেবে। হিসাব না দিলে একটি টাকাও পাবে না। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর শপথ, উনি চুরি করবেন না। কাউকে করতেও দেবেন না। উনি আমাকে কুসান্ত বলুন বা যতই খারাপ কথা বলুন। আমি কোনও খারাপ কথা বলব না। তার জবাবও দেব না। আমার পারিবারিক শিক্ষা তেমন নয়।সাম্প্রতিক ঝড়ে বাড়ি ভেঙে পড়া নিয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সুকান্ত। বলেন, উনি বরং বলুন, এত বাড়ি ভেঙে পড়ল কেন? কেন এই মানুষজনকে উনি বাড়ি বানানোর টাকা পেতে দেননি।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
দেশ

পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ না হলে মোটা টাকা জরিমানা, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

অসুখ সারানোর বিভ্রান্তিকর ও ভুয়ো বিজ্ঞাপনের কারণে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর ২১সে নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের বেঞ্চ, অবিলম্বে পতঞ্জলির এই মিথ্যা বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ সংস্থাটি অমান্য করে চলেছে বলে অভিযোগ ওঠে, ফলে এই বিষয় নিয়ে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ সে মার্চ মঙ্গলবার ভুয়ো বিজ্ঞাপন নিয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের প্রতিষ্ঠাতা যোগগুরু বাবা রামদেব ও সংস্থার পরিচালক অধিকর্তা আচার্য বালাকৃষ্ণকে তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আসানউদ্দিন অমানুল্লার বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে। এই মামলায় পতঞ্জলি সংস্থার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহিতেগি এবং বিপক্ষে ছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশনের আইনজীবী পি এস পাটোয়ালিয়া। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি হিমা কোহলি জানতে চান, সুপ্রিম কোর্টের নোটিস অবমাননার কারণ। আইনজীবী রোহিতেগি জানান, জবাব দেওয়া হয়নি। প্রতুত্তরে বিচারপতি কোহলি জানান, আমরা এই বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আপনারা জবাব দেননি, ফলে নির্দেশ ও পরিণতির বিষয়টি সামনে আসে এরপরই যোগগুরু বাবা রামদেবকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল আসোসিয়েশনের অভিযোগ, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ অ্যালোপ্যাথি ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে পাশাপাশি রোগ নিরাময়েরও ভুল দাবি করে চলেছেন। সেই সব বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে ও সংস্থার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়ার জন্য সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল আসোসিয়েশন। নভেম্বর মাসে এই মামলার শুনানির সময় বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ও চিকিৎসা ব্যাবস্থার অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়ার জন্য পতঞ্জলি সংস্থাকে ভৎসনা করেছিল সুপ্রিমকোর্ট। বিচারপতি আমানুল্লা জানান, ভবিষ্যতে এই প্রচার চালানো হলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক বার্তা দেন। জরিমানার বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে রামদেব জানিয়েছেন, কিছু চিকিৎসক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার সংস্থা পতঞ্জলিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন। শুধু পতঞ্জলিই নয়, আয়ুর্বেদের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। এক সাংবাদ মাধ্যমে রামদেব বলেছেন, যদি আমরা মিথ্যাবাদী হই, তবে ১০০০ কোটি টাকা জরিমানা করুন। আমরা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত।

মার্চ ২১, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal