• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

KK

খেলার দুনিয়া

I‌PL : শুভমানের ব্যাটে প্লে অফের অক্সিজেন পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স

আইপিএলের প্রথম পর্বে তেমন ছন্দে ছিলেন না শুভমান গিল। তাঁকে নিয়ে চারিদিকে সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল। ডু অর ডাই ম্যাচে জ্বলে উঠল শুভমানের ব্যাট। আর তাতেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কেন উইলিয়ামসনের দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লাইফ লাইন পেল ইওয়িন মর্গ্যানের দল। অন্য দলগুলির তুলনায় কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুতেই ধাক্কা খায়। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই টিম সাউদির ওভারে এলবিডব্লুউ হয়ে ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহা (০)। চতুর্থ ওভারে আউট জেসন রয় (১০)। দলকে টানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি ২৬ রান করে আউট হন। প্রিয়ম গর্গ করেন ২১। মন্থর উইকেট ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের জন্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটারদের কাছে রান তোলার কাজ কঠিন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৫ রান তোলে হায়দরাবাদ। দীর্ঘদিন পর প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে দুরন্ত বল করেন নাইট রাইডার্সের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সুনীল নারাইন, বরুণ চক্রবর্তীরাও ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। জয়ের জন্য ১১৬ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। তবে নাইট রাইডার্সের কাছে কঠিন হয়ে যায় মন্থর উইকেট ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বোলারদের দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে। ম্যাচের ফয়সালা শেষ ওভারে হল উইকেটের কারণেই। ৪.৪ ওভারে দলের ২৩ রানের মাথায় জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন ভেঙ্কটেশ আয়ারকে। ১৪ বলে ৮ রান করেন তিনি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ খান ফেরান রাহুল ত্রিপাঠিকে। তিনি ৬ বলে ৭ রান করেন। এরপর নীতীশ রানা ও শুভমান গিল দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ১৬.৩ ওভারে গিল যখন আউট হন তখন নাইট রাইডার্সের জিততে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। শুভমান গিলের উইকেটটি পান সিদ্ধার্থ কৌল। ১০টি চারের সাহায্যে ৫১ বলে ৫৭ রান করেন শুভমান। ১৮তম ওভারের শেষ বলে নীতীশ রানা ৩৩ বলে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর দলকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যান দীনেশ কার্তিক ও ইওয়িন মর্গ্যান। কার্তিকের বাউন্ডারিতেই নাইটদের জয় নিশ্চিত হয়। ১২ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিক। ৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। উইকেট না পেলেও অভিষেক ম্যাচে গতিতে নজর কাড়েন জম্মু ও কাশ্মীরের পেসার উমরান মালিক। নাইট রাইডার্সের যে নেট রান রেট রয়েছে তাতে শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারালেই শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে।

অক্টোবর ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL: নেতা হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ, মর্গ্যানকে সরানোর জোরালো দাবি উঠল

আইপিএলের প্রথম পর্বে একের পর এক ব্যর্থতায় নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। অধিনায়কের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছিল ইওয়িন মর্গানের হাতে। তাঁর নেতৃত্বেও যে কলকাতা নাইট রাইডার্স একটুও বদলায়নি, ইতিমধ্যেই প্রমানিত। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে পরপর দুটি ম্যাচ জিতলেও নাইটদের প্লে অফের ভাগ্য এখন অন্য দলের ওপর নির্ভর করছে। আর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ অধিনায়ক ইওয়িন মর্গান। একে তো ব্যাটে রান নেই, তার ওপর নেতা হিসেবেও দলকে উজ্জীবিত করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। আইপিএলে ৮ দলের অধিনায়কদের মধ্যে সবথেকে খারাপ হাল মর্গ্যানের। ১১ ইনিংসে তাঁর রান ২,০, ৮, ৭, ০, ০, ৪৭, ০, ৭, ২৯, ৭, ০। মোট ১০৯। গড় ১০.৯০, স্ট্রাইক রেট ১০০.৯২। আইপিএলে ইওয়িন মর্গ্যানের চেয়ে খারাপ গড় কোনও অধিনায়কের নেই। আইপিএলের অধিনায়ক হিসেবে খারাপ গড়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২ সালের আইপিএলে হরভজন সিংয়ের ব্যাটিং গড় ছিল ১২। ২০০৯ সালে শেন ওয়ার্নের ১৩.৫। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার পর মর্গ্যানের দশা সেগুলির চেয়েও খারাপ। তার উপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে অনেকের কাছেই চক্ষুশূল হয়েছেন। নাইট রাইডার্স অধিনায়কের একের পর এক ব্যর্থতায় তাঁকে সরানোর দাবিও ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। অধিনায়ক মর্গ্যানের একর পর এক ব্যর্থতায় অস্বস্তি বাড়ছে নাইট শিবিরেও। মর্গ্যান কার্যত দলের বোঝা হিসেবেই প্রতিপন্ন হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় মর্গ্যানকে উদ্দেশ্য করে নানা কটাক্ষ ভেসে উঠেছে। কেউ কেউ টুইট করে বলেছেন যে, মর্গ্যান আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনির মতোই ইংল্যান্ডের মেন্টরের ভুমিকা পালন করুন। কেউ কেই আবার লিখেছেন, পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মর্গ্যানের ব্যর্থতা দেখে নিশ্চিতভাবেই খুশি হবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করে সামি ক্রিকেটীয় স্পিরিট ভেঙেছেন কিনা প্রশ্নও নাইট অধিনায়কের সামনে রেখেছেন নেটাগরিকরা। কেউ কেউ আবার মর্গ্যানের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এরপরেও কি অধিনায়ক সরানোর পথে হাঁটবে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট?

অক্টোবর ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL-KKR Match : বল ও ব্যাট হাতে কামাল, নাইট রাইডার্সকে জেতালেন সুনীল নারাইন

দুই দলের কাছেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের তুলনায় নাইট রাইডার্সের কাছে বেশি। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে মর্গানদের সামনে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই জয়ের ফলে নাইট রাইডার্সের ১১ ম্যাচে পয়েন্ট ১০। অন্যদিকে, ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টেই রইল দিল্লি ক্যাপিটালস। নাইটদের জয়ের নায়ক সুনীল নারাইন। বল হাতে দাপট দেখানোর পর ব্যাটেও কামাল করেন নারাইন। টসে জিতে নাইট রাইডার্স অধিনায়ক মর্গান দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান। খারাপ শুরু করেনি দিল্লি। চোটের জন্য এদিন পৃথ্বী শ খেলতে পারেননি। তাঁর জায়গায় ওপেন করতে নামেন স্টিভ স্মিথ। হতাশ করেননি এই অসি ব্যাটার। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভালোই টানছিলেন স্মিথ। ২০ বলে ২৪ রান করে আউট হন শিখর। তাঁকে ফেরান ফার্গুসন। এক ওভার পরেই নারাইন তুলে নেন শ্রেয়স আয়ারকে (১)। শিখর ধাওয়ান আউট হওয়ার পর স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। স্মিথকে (৩৪ বলে ৩৯) ফার্গুসন তুলে নিতেই ধস নামে দিল্লির ইনিংসে। পরপর ফিরে যান হেটমায়ের (৪), ললিত যাদব (০), অক্ষর প্যাটেল (০)। দ্রুত এই তিন ব্যাটারকে হারানোর চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দিল্লি। এদিন নাইট রাইডার্সের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন সুনীল নারাইন। ১৮ রানে ২ উইকেট তুলে নেন। ঋষভ পন্থের (৩৬ বলে ৩৯) লড়াই দিল্লিকে ২০ ওভাআরে ১২৭/৯ রানে পৌঁছে দেয়। শারজার মন্থর উইকেটে ১২৮ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না নাইট রাইডার্সের কাছে। কিন্তু এত কম রানের পুঁজি নিয়ে কতটা লড়াই করতে পারবেন দিল্লির বোলাররা, সেটাই ছিল দেখার। এই কম রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করে গেলেন আবেশ খান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, আনরিখ নর্টিয়েরা। ভেঙ্কটেশকে (১৪ বলে ১৫) তুলে নিয়ে নাইট শিবিরে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন ললিত যাদব। পরের ওভারেই আবেশ খান তুলে নেন রাহুল ত্রিপাঠীকে (৯)। শুভমান (৩৩ বলে ৩০) ও মর্গানকে (০) পরপর দু ওভারে হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। কার্তিকও (১৪ বলে ১২) বেশিক্ষণ দলকে টানতে পারেননি। তিনি আউট হওয়ার পর নারাইন (১০ বলে ২১) দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন। জয়ের জন্য ১২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১০ বল বাকি থাকতেই তিন উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুটি করে ৪ ও ৬ মেরে ২৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন নীতিশ রানা। আবেশ খান ৩ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌KKR-Andre Russell : দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আন্দ্রে রাসেল কেন চিন্তার কারন নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের?‌

মঙ্গলবার শারজায় আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস। প্লে অফের ছাড়পত্রর জন্য এই ম্যাচ দুই দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।এই মুহূর্তে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে অফের রাস্তা অনেকটাই পরিস্কার করে ফেলেছে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। অন্যদিকে, ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের সামনেও প্লে অফে ওঠার সুযোদ রয়েছে। দিল্লির থেকেও কলকাতার কাছে ম্যাচটা অবশ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হারলেই প্লে অফে লড়াই কঠিন হয়ে পড়বে মর্গানদের সামনে। দিল্লির বিরুদ্ধে এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্টের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের চোট।আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারের পাশাপাশি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বড় ধাক্কা দিয়ে গেছে আন্দ্রে রাসেলের চোট। ফিল্ডিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন রাসেল। মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁকে আর বল করাতে পারেননি মর্গান। রাসেল মাঠে থাকলে হয়তো হারতে হত না নাইট রাইডার্সকে। কারণ প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর পরিবর্তে ডেথ ওভারে তাঁর হাতেই বল তুলে দিতেন মর্গান। দিল্লির বিরুদ্ধে রাসেলের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারতে হয়েছে নাইট রাইডার্সকে। জয়ের কাছাকাছি এসেও শেষরক্ষা হয়নি। ছোটখাট ভুল শুধরে দিল্লির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। এছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা নেই ইওয়িন মর্গানদের সামনে। হারলেই প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই দুরে সরে যেতে হবে। এতদিন আবু ধাবিতে খেলে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লির বিরুদ্ধে এবার শারজায় মাঠে নামতে হবে। শারজার উইকেট আবু ধাবির থেকে অপেক্ষাকৃত মন্থর। দিল্লি বধের জন্য বরুণ চ্ক্রবর্তী, সুনীল নারাইনের দিকে তাকিয়ে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। নাইট রাইডার্সের টপ অর্ডার যেমন রানের মধ্যে রয়েছে, মিডল অর্ডারের রান পাওয়াটা স্বস্তি দিচ্ছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে দিল্লির শক্তিশালী জোরে বোলিংয়ের বিরুদ্ধে শুভমান, ভেঙ্কটেশ, ত্রিপাঠীদের বড় পরীক্ষা। শুভমানরা স্বসম্মানে উত্তীর্ণ হলেই প্লে অফের রাস্তা অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে নাইটদের সামনে। পরীক্ষায় বসতে হবে বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইনদেরও। চলতি আইপিএলে ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটাররা। শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ, শ্রেয়স আয়ার, ঋষভ পন্থ, শিমরণ হেটমায়ের সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইন যে কোনও বোলিং শক্তিকে বেগ দিতে পারে। টানা ৪ ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে রয়েছে ঋষভ পন্থের দলের। ফলে নাইটদের কাছে লড়াইটা সহজ হবে না।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

K‌‌uldeep Yadav : হাঁটুতে মারাত্মক চোট, আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন কুলদীপ যাদব

সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না কুলদীপ যাদবের। চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ডাগ আউটে বসেই সময় কেটেছিল। টি২০ বিশ্বকাপেও জাতীয় দলে জায়গা পাননি। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বেও প্রথম একাদশে ব্রাত্য। এবার হাঁটুতে চোট পেয়ে দীর্ঘদিনের জন্য বাইশ গজ থেকে ছিটকে গেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই চাইনাম্যান বোলার। চলতি বছরের আইপিএল তো নয়ই, ঘরোয়া ক্রিকেটেও দীর্ঘদিন মাঠে নামতে পারবেন না।কিছুদিন আগে আবু ধাবিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুশীলনে ফিল্ডিং করার সময় হাঁটুতে মারাত্মক চোট পান কুলদীপ যাদব। তাঁর হাঁটু ঘুরে যায়। স্ক্যান করে দেখা যায় চোট যথেষ্ট গুরুতর। আইপিএলের বাকি ম্যাচে আর মাঠে নামতে পারবেন না। এরপরই টিম ম্যানেজমেন্ট কুলদীপকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশে ফেরার পর মুম্বইয়ের হাসপাতালে তাঁর হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয়েছে। পুরো সুস্থ হতে ৪ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও দীর্ঘদিন মাঠে বাইরে কাটাতে হবে মুম্বইয়ের এই চাইনাম্যান বোলারকে। হয়তো রনিজর শেষদিকে মাঠে ফিরতে পারেন। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তাঁর রিহ্যাব চলবে।আইপিএলের প্রথম পর্বে ডাগ আউটে বসে সময় কেটেছিল কুলদীপের। দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে সুযোগ না পাওয়ার জন্য মুখ খুলেছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে। কুলদীপের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন নাইট রাইডার্সের বিদেশি অধিনায়ক, কোচসহ অন্যান্যরা। এরপরও চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বেও এই নাইট স্পিনারকে প্রথম একাদশে দেখা যায়নি।২৬ বছরের কুলদীপ যাদব ভারতের হয়ে ৭টি টেস্ট, ৬৫টি একদিনের ম্যাচ ও ২৩টি টি২০ ম্যাচ খেলছেন। তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৭৪। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুটি হ্যাটট্রিকের মালিক এই বাঁহাতি চায়নাম্যান ২০১৯ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। দুই বছর আগে কুলদীপকে শংসাপত্র দিয়েছিলেন স্বয়ং টিম ইন্ডিয়ার কোচ রবি শাস্ত্রী। বলেছিলেন, বিদেশের মাটিতে কুলদীপই সেরা ভারতীয় স্পিনার। সেই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকে আচমকাই হারিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আইপিএলকে তুলে ধরা হচ্ছে। নাইট রাইডার্স শিবিরে একের পর এক ম্যাচে প্রথম একাদশের বাইরে কাটিয়ে কুলদীপ জাতীয় নির্বাচকদের চোখের আড়ালে চলে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষবার মাঠে দেখা গিয়েছিল কুলদীপ যাদবকে।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL Match : রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নাটকীয় জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করল চেন্নাই সুপার কিংস

রোমাঞ্চকর ম্যাচ, নাটকীয় শেষ দুটি ওভার। ম্যাচের ১৯ তম ওভারই পার্থক্য গড়ে দিল। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর ওই ওভারে ২২ রান তুলে প্রায় হারা ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন স্যার রবীন্দ্র জাদেজা। আবু ধাবিতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শেষ বলে ২ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। চাপের মুখে শেষ বলে দলকে জয়সূচক রানটি এনে দেন দীপক চাহার। দিল্লি ক্যাপিটালসকে সরিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানও ফের দখল করল চেন্নাই সুপার কিংস।ডেথ ওভারে ৬ বলের মধ্যে আউট হয়েছিলেন মঈন আলি, সুরেশ রায়না ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নাইট রাইডার্স যখন জয়ের গন্ধ পাচ্ছে তখন ১৯তম ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে সাধারণ মানে নামিয়ে পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন রবীন্দ্র জাদেজা। ২টি ছয়ের পর ২টি চার মেরে এক ওভারে ২২ রান নিলেন। ফলে শেষ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে ৪ রান।শেষ ওভারেও রুদ্ধশ্বাস নাটক অপেক্ষা করছিল। প্রথম বলে স্যাম কারেনকে আউট করেন সুনীল নারাইন। কারেন করেন ৪ রান। পরের বলটিতে কোনও রান না হলেও তৃতীয় বলে তিন রান নিয়ে নেন শার্দুল ঠাকুর। চতুর্থ বলে রান নিতে পারেননি রবীন্দ্র জাদেজা। পঞ্চম বলে তিনি লেগ বিফোর হন। ৮ বলে ২২ রান করে আউট হন তিনি। শেষ বলে প্রয়োজনীয় এক রান নিয়ে চেন্নাই শিবিরে স্বস্তি এনে দেন দীপক চাহার।এদিন ধোনি যখন ব্যাট হাতে বাইশ গজে প্রবেশ করেন, চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য তখন দরকার ২০ বলে ৩৪। আগের ধোনি হলে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যেত, চেন্নাই জিতবে। বরুণ চক্রবর্তীর ডেলিভারি মাহির ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক খুঁজে স্টাম্পে আঘাত করতেই মনে হচ্ছিল চেন্নাইয়ের জয় হয়তো অধরাই থেকে যাবে। ধোনির অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করে গেলেন স্যার রবীন্দ্র জাদেজা। ক্যাপ্টেন কুলএর দেওয়া স্যার উপাধির মর্যাদা দিয়ে গেলেন। ধোনিকে জ্বলে উঠতে না দেওয়ার পেছনে নাইট ক্যাপ্টেন ইওয়িন মর্গানের মস্তিষ্কের প্রশংসাও করতে হবে। বরুণ চক্রবর্তীর রীতিমতো শিকার হয়ে দাঁড়িয়েছেন। গতবছর আইপিএলেও দুবাইয়ে ধোনিকে তুলে নিয়েছিলেন বরুণ। এবছরও সেই বরুণেরই শিকার। ধোনি ক্রিজে আসতেই বরুণকে আক্রমণে নিয়ে এসেছিলেন মর্গান। সুফলও পেয়েছিলেন। কিন্তু সব বুমেরাং করে দেন রবীন্দ্র জাদেজা।চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বে নাইট রাইডার্সকে ডুবিয়েছিল ব্যাটিং। দ্বিতীয় পর্বে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরলেও জয় এল না। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে শুভমান গিলকে (৯) হারালেও বড় রান পেতে অসুবিধা হয়নি নাইটদের। ভেঙ্কটেশ আয়ায় (১৫ বলে ১৮) ভাল শুরু করেও আটকে গেলেন। রাহুল ত্রিপাঠী (৩৩ বলে ৪৫) অবশ্য ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় লেটার মার্কস না পেলেও পাশ করে গেল মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার। নীতিশ রানা (২৭ বলে অপরাজিত ৩৭), আন্দ্রে রাসেল (১৫ বলে ২০), দীনেশ কার্তিকদের (১১ বলে ২৬) সৌজন্যে ১৭১/৬ রানে পৌঁছয় নাইটরা।জয়ের জন্য ১৭২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেন চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭৪ রান। নবম ওভারের প্রথম বলে আন্দ্রে রাসেলকে স্টেপ আউট করে ছক্কা মারার পরের বলটিই ঠিকভাবে সামলাতে না পেরে মর্গ্যানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। দুটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪০ রান করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপর মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে ১০.৫ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের ১০০ রান পূর্ণ করিয়ে দেন ফাফ ডুপ্লেসি। ১১.৩ ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে লকি ফার্গুসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। সাতটি চারের সাহায্যে তিনি করেন ৩০ বলে ৪৪ রান। ১৪.২ ওভারে দলের ১১৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় সিএসকে। সুনীল নারাইনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯ রান করেন অম্বাতি রায়ুডু।শেষ চার ওভারে সিএসকের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪০ রান। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে মঈন আলিকে ফেরান লকি ফার্গুসন। ২টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৩২ রান করেন মঈন। শেষ তিন ওভারে চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য ৩১ রান দরকার ছিল। ব্যক্তিগত ১১ রানে রান আউট হন সুরেশ রায়না। চেন্নাইয়ের পঞ্চম উইকেট পড়ে ১৪২ রানের মাথায়। কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই এই ওভারের তৃতীয় বলে বরুণ চক্রবর্তীর গুগলিতে ঠকে বোল্ড হন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৪ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি সিএসকে অধিনায়ক। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ধোনির উইকেটটি তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ১৮তম ওভারে তিনি মাত্র ৫ রান খরচ করেন। এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রান তোলে। সর্বাধিক ৪৫ রান করেন রাহুল ত্রিপাঠি। নীতীশ রানা অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৭ রান করে। ১১ বলে ২৬ রান করেন দীনেশ কার্তিক। শার্দুল ঠাকুর ও জশ হ্যাজলউড নেন দুটি করে উইকেট।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IPL, KKR : চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের জন্য কাদের জন্য দিকে তাকিয়ে নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট?‌

রবিবার আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম পর্বে চেন্নাইয়ের কাছে হারতে হয়েছিল নাইটদের। এবার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে কাজটা সহজ হবে না নাইট রাইডার্সের। দ্বিতীয় পর্বে দুটি দলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে। নাইট রাইডার্সকে আগের তুলনায় অনেক বেশি ঝকঝকে মনে হচ্ছে। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে উঠে এসেছে ৪ নম্বরে। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে পারলেই প্লে অফের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে ভরসা জোগাচ্ছে টপ অর্ডার এবং বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং। আগের দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, শুভমান গিল ও রাহুল ত্রিপাঠী। বরুণ চক্রবর্তীর বোলিংও ধাঁধায় ফেলছে ব্যাটসম্যানদের।দ্বিতীয় পর্বে নাইটদের বদলে যাওয়ার রহস্য টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের পারফরমেন্স। প্রথম সাক্ষাৎকারে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে হয়েছিল নাইটদের। ৩১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছিল। পরের দিকে কার্তিক, রাসেল, কামিন্সদের ঝোড়ো ব্যাটিং বাঁচাতে পারেনি নাইট রাইডার্সকে। দ্বিতীয় পর্বে নাইটদের দুটি জয়ে পেছনে রয়েছে টপ অর্ডারের অবদান। ভেঙ্কটেশ আয়ার, শুভমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠীরা দলকে উতরে দিয়েছেন। তবে মিডল অর্ডারকে এখনও পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধেই হয়তো পরীক্ষার মুখে। কারণ, চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা বোলাররা ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন করে দিচ্ছে। চেন্নাই সুপার কিংসের অবশ্য কোনও বিভাগ নিয়ে চিন্তা নেই। টানা ৫ ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে প্রতিকূল অবস্থা থেকেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ডেথ ওভারে শার্দূল, দীপকরা দারুণ বোলিং করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে বড় রান করতে দেননি। ব্যাটিংয়েও টপ অর্ডার দলকে নির্ভরতা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ধোনি ব্রিগেডের ব্যাটিং লেজ যথেষ্ট লম্বা। তার ওপর রয়েছে অধিনায় ধোনির ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক। ফলে নাইটদের কঠিন লড়াইয়ের সামনে পড়তে হবে। একটা পরিসংখ্যান দুই শিবিরকেই আশাবাদী করে তুলেছে। দুই দলই দ্বিতীয় পর্বে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। দুই দলের শেষ পাঁচটি সাক্ষাতে চারটি ম্যাচেই জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস। গত বছরের আইপিএলে প্রথম সাক্ষাতে সিএসকে ৬ উইকেটে জিতলেও ফিরতি ম্যাচে কেকেআর জিতেছিল ১০ রানে। এখনও অবধি আইপিএলে দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ২৬ বার। ১৬টিতে জিতেছে সিএসকে, ৯টিতে কেকেআর, একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌আবার জয়, দ্বিতীয় পর্বে অনেক বেশি ঝকঝকে লাগছে নাইট রাইডার্সকে

আইপিএলের প্রথম পর্বের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের কলকাতা নাইট রাইডার্সের আকাশপাতাল পার্থক্য। প্রথম পর্বে রীতিমতো ধুঁকছিল। একসময় মনে হচ্ছিল প্লে অফে ওঠাই কঠিন হয়ে যাবে নাইট রাইডার্সের। দ্বিতীয় পর্বে ছবিটা বদলে গেছে। অনেক ঝকঝকে লাগছে নাইটদের। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে হারানোর পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আবার জয়। রোহিত শর্মার দলকে মর্গানরা হারিয়েছে ৭ উইকেটে। জয়ের নায়ক সেই ভেঙ্কটেশ আয়ার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৫ সাল থেকে শেষ ১৩টি সাক্ষাতে মুম্বইয়ের কাছে ১২টি ম্যাচেই হারতে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। গত বছর আবু ধাবিতে হারতে হয়েছিল দুটি ম্যাচেই। ফলে নিঃসন্দেহে এদিনের জন্য তৃপ্তিদায়ক নাইটদের কাছে। রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি ককের ওপেনিং জুটির সৌজন্যে ভাল শুরু করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আগের ম্যাচে ফিটনেসজনিত কারণে রোহিত শর্মা খেলেননি। এদিন আনমোলপ্রীত সিংয়ের জায়গায় তিনি ফের জুটি বাঁধেন ডি ককের সঙ্গে। রোহিতের ব্যাটিং টি ২০ বিশ্বকাপের আগে ভারতকে স্বস্তিতে রাখলেও সূর্যকুমার যাদব চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩ করার পর এদিন ১০ বলে ৫ রানে আউট হলেন। পাওয়ারপ্লেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার তোলেন ৫৬ রান। ৯.২ ওভারে ৭৮ রানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ওপেনিং জুটি ভাঙেন সুনীল নারিন। চারটি চারের সাহায্যে ৩০ বলে ৩৩ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। কুইন্টন ডিকক করেন ৫৫। তিনি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে আউট হন। ঈশান কিষাণ করেন ১৪। ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হন কিয়েরণ পোলার্ড। ২০ ওভারে মুম্বই তোলে ১৫৫/৬। নাইট রাইডার্সের ফার্গুসন ২৭ রানে ২, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৫৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ১১১ রান তুলে ফেলে কেকেআর। শুভমান গিল ১৩ রানে আউট হওয়ার পর কেকেআরের স্কোর ছিল ৩ ওভারে ১ উইকেটে ৪০। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রাহুল ত্রিপাঠি। ১১.৪ ওভারে দলের ১২৮ রানের মাথায় ৩০ বলে ৫৩ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আইয়ার। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৬.৬৬, চারটি চার ও তিনটি ছয় মারেন তিনি। শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী মেজাজে। রাহুল ত্রিপাঠির ইনিংসে রয়েছে আটটি চার ও তিনটি ছয়। রাহুলের এদিনের স্ট্রাইক রেট ১৭৬.১৯। ৯ ম্যাচে তাঁর মোট রান ২৬১, গড় ৩৭.২৮, স্ট্রাইক রেট ১৪৫। ২৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতে কেকেআর। ৪ ওভারে ৪৩ রানে তিনটি উইকেটই পেয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৯ ম্যাচে কেকেআরের পয়েন্ট ৮, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরও আট। কিন্তু রোহিতের দল নেট রান রেটের কারণে চলে গেল ছয়ে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌‌KKR vs RCB Match : মাইলস্টোনের ম্যাচে ব্যর্থ কোহলি, দ্বিতীয় পর্বে দারুণ শুরু কলকাতা নাইট রাইডার্সের

চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জাতীয় দলের টি২০ ও আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরাট কোহলি। এটাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে নেতা হিসেবে শেষ মরশুম। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কতটা হালকা হয়েছেন বিরাট কোহলি? আইপিএলের মাইলস্টোনের ম্যাচেও ব্যর্থ। ব্যর্থ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৯ উইকেটে হেরে প্লে অফের ছাড়পত্র নিয়ে সঙ্কটে কোহলিরা। সোমবার আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। এদিন এলিট ক্লাবে প্রবেশ করলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ক্যাপ্টেন। পৌঁছে গেলেন ২০০ ম্যাচের মাইলস্টোনে। একই দলের হয়ে আইপিএলে এত ম্যাচ খেলার রেকর্ড অন্য কোনও ক্রিকেটারের নেই। মাইলস্টোনের ম্যাচে ভক্তদের হতাশ করলেন কোহলি। ৪ বলে ৫ রান। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে এলবিডব্লুউ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি।তখন থেকেই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছিল প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ভবিষ্যত নিয়ে। দলের সেরা বোলার না থাকা সত্ত্বেও চাপে পড়েনি নাইটরা। প্যাট কামিন্স এবারের আইপিএল থেকে সরে যাওয়ায় প্রথম একাদশে লকি ফার্গুসন সুযোগ পেয়ে যান। তাঁকে খেলানোটা সঠিক সিদ্ধান্ত। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের সবথেকে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (২২) দুর্দান্ত ডেলিভারিতে তুলে নেন। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকেই দারুণ ছন্দে আন্দ্রে রাসেল। এস ভরতকে (১৬) শর্ট বলে তুলে নেওয়ার পর বৈচিত্র্য নিয়ে এসে একই ওভারে ইয়র্কারে ডিভিলিয়ার্সকে (০) তুলে নেওয়াটা মুন্সিয়ানার পরিচয়। টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে তাঁর সুযোগ পাওয়াটা যে ফ্লুক নয়, প্রমাণ করে দিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তীও। পরপর দুবলে ম্যাক্সওয়েল (১০) ও আইপিএল অভিষেককারী হাসারাঙ্গাকে (০) ফেরানোটা দক্ষতার পরিচয়। হ্যাটট্রিকের সামনেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। অল্পের জন্য হয়নি। বরুন চক্রবর্তী ও আন্দ্রে রাসেলের দুরন্ত বোলিংয়ে ১৯ ওভরে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বরুণ চক্রবর্তী ১৩ রানে ৩টি ও আন্দ্রে রাসেল ৯ রানে ৩ উইকেট নেন।৯২ রানের লক্ষ্য একেবারেই কঠিন ছিল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে। দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আয়ার দারুণ শুরু করেন। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮২। ৪৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হন শুভমান গিল। ১০ ওভারে ৯৪ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় নাইটরা। ভেঙ্কটেশ আয়ার ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

KKR : দ্বিতীয় পর্বে নতুনভাবে লড়াই করার জন্য তৈরি নাইটরা

প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। অন্যদিকে, ৭ ম্যাচে মাত্র ২টিতে জিতে ৪ পয়েন্ট পেয়ে ৭ নম্বরে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মঙ্গলবার দ্বিতীয় পর্বে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি নাইটরা। প্লে অফের ছাড়পত্রের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই নাইটদের সামনে। চার মাস আগে প্রথম পর্বে একের পর এক হারে নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারদের মনোবল একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই শুভমান গিলরা নতুনভাবে লড়াই করার জন্য তৈরি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বে মাঠে নামার আগে এটাই আশাবাদী করে তুলছে কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্টকে। তাদের কাছে হারানোর কিছু নেই। সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর জন্য মরিয়া ইওয়িন মর্গানরা। সেই কথাই শোনা গেছে নাইটদের মেন্টর ডেভিড হাসির মুখে। এমনকী প্রথম পর্বে সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারা শুভমান গিল ও নিতীশ রানার ওপরও ভরসা করছেন তিনি। হাসির দাবি, দ্বিতীয় পর্বে নাইটদের এই দুই ব্যাটসম্যান ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিতে পারে। প্রস্তুতি ম্যাচে রাহুল ত্রিপাঠীও নজর কেড়েছেন। প্রথম পর্বে ব্যর্থ হওয়া অধিনায়ক ইওয়িন মর্গানের ওপরও ভরসা করছেন হাসি। দ্বিতীয় পর্বে মাঠে নামার আগে জোরে বোলিং নিয়ে কিছুটা হলেও সমস্যায় নাইট রাইডার্স। প্যাট কামিন্স নিজেকে দ্বিতীয় পর্ব থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তাঁর জায়গায় টিম সাউদিকে দলে নিয়েছে নাইট রাইডার্স। যদিও এই জোরে বোলারকে খেলানোর সম্ভাবনা কম। হয়তো লকি ফার্গুসনকেই প্রথম একাদশে দেখা যাবে। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইনকে নিয়েও স্বপ্ন দেখছে নাইট শিবির। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ছন্দে ছিলেন এই দুই তারকা। প্রথম পর্বে বিরাট কোহলিদের কাছে হারতে হয়েছিল। প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ নাইটদের সামনে। যদিও কাজটা সহজ হবে না। দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। চাপে থাকা কোহলিও নিজেকে মেলে ধরতে মরিয়া হবেন। কিন্তু প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই নাইটদের সামনে। এই অবস্থায় অধিনায়ক মর্গানের কাছ থেকে কয়েকটা বড় ইনিংস চান মেন্টর হাসি। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক আমাদের জিততে হবে। অধিনায়ক মর্গান কয়েকটা বড় ইনিংস খেললেই ছবিটা বদলে যাবে।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

KKR : নাইট রাইডার্সে অশান্তি?‌ ম্যাকালামের উপর ক্ষিপ্ত কুলদীপ যাদব

দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কুলদীপ যাদব। আইপিএল ২০২১-র প্রথম পর্বে কেকেআরের জার্সিতে একটি ম্যাচেও মাঠে নামতে দেখা যায়নি কুলদীপ যাদবকে। এই ঘটনা যে তাঁকে হতাশ করেছিল, তা জানাতে ভোলেননি বাঁ-হাতি চায়নাম্যান। জানিয়েছেন, প্রতি ম্যাচে কেন তাঁকে মাঠের বাইরে বসে থাকতে হচ্ছে, তা তিনি জানতেই পারেননি। দল তাঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে কখনওই কোনও কথা বলেনি বলেও দাবি করেছেন কুলদীপ। ভারতীয় স্পিনারের কথায়, তাঁর প্রতি কেকেআর ম্যানেজমেন্টের অবহেলা তাঁকে ব্যথা দিয়েছে। একই সঙ্গে কেকেআরের হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের বিরুদ্ধেও পরোক্ষে বোমা ফাটিয়েছেন কুলদীপ। তাঁর কথায়, কোচ পুরনো হলে তাঁর সঙ্গে সেভাবে মেশা যায়। কিন্তু নতুন কোচ নিজের পরিকল্পনা ক্রিকেটারদের থেকে লুকিয়ে রাখলে এ ব্যাপারে ধোঁয়াশা তৈরি হল বলে বক্তব্য ভারতীয় স্পিনারের।ভারতীয় দলের হয়ে অনেকটা সময় ধরে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলা কুলদীপ যাদব নিজের আইপিএল দল কেকেআরের আচরণে অপমানিত। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও দলের প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া বাঁ-হাতি চায়নাম্যান বুঝতেই পারছেন যে তাঁর সঙ্গে কেন এমন আচরণ করছে কেকেআর। কুলদীপের মনে হয়েছে যে তাঁর প্রতি ম্যাকালামদের কোনও ভরসা নেই। তাঁর দক্ষতাকেও ছোট করা হয়েছে বলে মনে করেন কেকেআরের বাঁ-হাতি স্পিনার।বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য এবছর আইপিএল মাঝপথে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পর্ব ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে শুরু হতে চলেছে। দ্বিতীয় পর্বে মাঠে নামার আগে প্রথম পর্বের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। তাঁর দাবি, আতঙ্কেই ক্রিকেটাররা প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছিলেন। এর ফলেই ক্রিকেটাররা নিজেদের ওজন অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারেননি। দলের ওয়েবসাইটে ম্যাকালাম বলেন, আইপিএলের শুরু থেকেই দলের ক্রিকেটারদের মনে ভয় বাসা বেঁধেছিল। সেই কারণেই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, আমার দলের ক্রিকেটাররা কেমন এবং তারা কেমন পারফরম্যান্স করতে পারে সবাই জানে। প্রত্যাশার চাপই দলের ক্রিকেটারদের মনে অন্য আতঙ্ক তৈরি করেছিল, যা দলকে প্রতিবন্ধী বানিয়েছিল।প্রথম পর্বের ব্যর্থতা ভুলে দ্বিতীয় পর্বে দলের ক্রিকেটাররা সেরাটা দেবেন বলে আশা করেছেন ম্যাকালাম। তাঁর কথায়, এখনও আমাদের সামনে প্লে-অফের দরজা খোলা রয়েছে। কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলে দল হিসেবে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করাই দলের মূল লক্ষ্য। প্রথম পর্বে দলের কাছ থেকে কী চেয়েছিলাম ক্রিকেট প্রেমীরা নিশ্চয় তা বুঝেছেন। দলের সাফল্যের দীর্ঘমেয়াদী রূপরেখা তৈরি করাই লক্ষ্য। কে কী বলল, তাতে গুরুত্ব দিচ্ছি না।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Khela Ssuru : 'খেলা শুরু'-র গল্প শোনালেন রণিতা-ইন্দ্রাশিস

ওয়েব সিরিজ খেলা শুরু-র মাধ্যমে পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেন সৌপ্তিক। এই ওয়েব সিরিজের মাধ্যমেই ওয়েবে ডেবিউ হল রণিতার। ইষ্টি কুটুম খ্যাত বাহা অর্থাৎ রণিতা দাস ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করলেও ওয়েব সিরিজ বা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তার কাছে একদম নতুন। ওয়েবে কাজ করা খুব একটা সোজা ছিল না। অনেক চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে জানালেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ওয়েব সিরিজে আত্মপ্রকাশ রণিতারঅভিনেত্রীর কথায়,খুব চাপের। সিরিয়ালেও এত প্রেশার থাকে না। যখন সিরিয়াল করতাম ইটস লাইক আমার খুব ফ্লো তে হতো। এত হেডেক নিতে হতো না। এত ভাবতে হতো না। ফার্স্ট টাইম ওয়েবে কাজ করলাম। আমার ভীষণ ডিফিক্যাল্ট লেগেছে। প্রচুর চিন্তা-ভাবনা, প্রচুর এফরট। রোজই শুনছি যে হচ্ছেনা, হচ্ছেনা। লাস্টে গিয়ে যে হয়েছে এটাই অনেক। ডিফিক্যাল্ট বাট হ্যাঁ কাজটা করে ভালো লেগেছে। যখন আউটপুট দেখেছি তখনও ভালো লেগেছে।আরও পড়ুনঃ মুক্তি পেল খেলা শুরু জনতার কথার মুখোমুখি পরিচালকইন্দ্রাশিস জানালেন,একেবারেই অন্য রকমের একটা খেলা। আমরা যে যে খেলার সঙ্গে যুক্ত তার বাইরে গিয়ে সৌপ্তিক একটা খেলা তৈরি করেছে। সেটা আমরা দুজন শুধু নই। আরও অনেকে খেলেছেন। খেলাটা বেশ ডিফিকাল্ট ছিল। ফাইনালি এল দর্শকের সামনে। এই অপেক্ষাতেই আমাদের সমস্ত কাজ শুরু হয়। দর্শকদের কাছ থেকে এই খেলার রেজাল্টের অপেক্ষায় রয়েছি এখন।

আগস্ট ২৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Khelaa Shuru : মুক্তি পেল 'খেলা শুরু' জনতার কথার মুখোমুখি পরিচালক

খেলা শুরু ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে পরিচালক হিসাবে অভিষেক হল সৌপ্তিকের। ক্লিকের এই ওয়েব সিরিজে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ইন্দ্রাশিস রায়, রণিতা দাস। বেশ কয়েকবছর অভিনেতা হিসাবে সফলভাবে কাজ করার পর এবার পরিচালক হিসাবে নতুন জার্নি শুরু করলেন তিনি। খেলা শুরু নিয়ে জনতার কথার মুখোমুখি পরিচালক।জনতার কথা : অভিনয় থেকে পরিচালনা। নতুন খেলা শুরু করে কেমন লাগছে?সৌপ্তিক : খেলা শুরু হলে তো ভালোই লাগে। খেলা তো ছোটবেলা থেকে আমাদের ভেতরেই থাকে। আমরা সবাই খেলতে ভালোবাসি। কিন্তু এটা বড়বেলার খেলা। কেরিয়ার হিসাবে আমি যখন পরিচালনাকে বেছে নিই এটা অ্যাড অন হয়েছে। যদিও অভিনেতা সত্ত্বাটাকে আমি ছাড়িনি। এটা আমার একটা ইচ্ছে ছিল আগে। সেই ইচ্ছেটা আজ পরিণতি পেল ক্লিকের জন্য।জনতার কথা : এই খেলা নিয়ে দর্শকদের কি বলবে?সৌপ্তিক : সবাই বলে আমার গল্প আলাদা। দেখে ভালো লাগবে। আমি যেটা বলবো যে আমার গল্পটা হচ্ছে হরর ফ্যান্টাসি। ফ্যান্টাসি বস্তুতা নিয়ে ওয়েব সিরিজ কিন্তু খুব কম হয়েছে। হয়নি বলবোনা। কিন্তু থ্রিলার বেশি। এটার মধ্যে হরোর মানে ভৌতিক ব্যাপারটাও টোটালি নেই। ইটস আ মিক্সচার। এটা রিয়েল লাইফের সঙ্গে প্রত্যেকটা মানুষ কানেক্ট করতে পারবে। কারণ আসল লাইফে মানুষরা কিন্তু ফ্যান্টাসি ভালোবাসেন। যে তাদের কাছে যদি এরকম একটা জিনিস থাকতো তারা কি করতো। তারা কি সেটা অ্যাক্সেপ্ট করতো? এগিয়ে যেত। না কি তারা ওয়েট করতো রাইট টাইমে আমি কি করবো। তাই সবাই রিলেট করতে পারবে। তাই সবাই দেখুন খেলা শুরু ক্লিক অ্যাপে।জনতার কথা : তোমাকে ও তোমার পুরো টিমকে অনেক শুভেচ্ছা আমাদের তরফ থেকে। পরিচালক হিসাবে আরও ভালো কাজ দর্শকদের উপহার দাও।সৌপ্তিক : থ্যাঙ্কিউ। ভালো গল্প বলার চেষ্টাতেই তো রয়েছি।

আগস্ট ২৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Wrong Number : Klikk এর নতুন ডিজিটাল প্রিমিয়ার - ফিচার ফিল্ম Wrong Number

Klikk এর নতুন ডিজিটাল প্রিমিয়ার - ফিচার ফিল্ম Wrong Number আসতে চলেছে। আগামীকাল মুক্তি পাবে এই ছবি। এক ঝাঁক প্রখ্যাত ও প্রতিভাবান অভিনেতাদের দেখতে পাওয়া যাবে এই ফিল্ম টি তে। এদের মধ্যে রয়েছেন সৌরভ দাস, সায়নী ঘোষ, দূর্গা সাঁতরা, ভরত কল ও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।Wrong Number এর গল্পটি হল স্যান্ডি একজন অলস যুবক যে একটি ধনী পরিবার থেকে এসেছে এবং জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তার রুমমেট জয় একজন আংশিক সময়ের (পার্ট টাইম) শিক্ষক যে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে এবং সে লেখক হতে চায়। যখন জয় রচিত এবং স্যান্ডির গাওয়া একটি গান ইউটিউবে হিট হয়ে যায়, তখন দিয়া এবং তার বন্ধু শ্রুতি ওই দুই পুরুষদের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। এই প্রজন্মের চার তরুণ-তরুণীর গল্প Wrong Number যেখানে তাঁরা প্রত্যেকেই তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে গুরুতরভাবে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে। তাঁরা কি পারবে তাদের সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে? তাদের সম্পর্কেরপরিণতিই বা কি হবে?আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ কলকাতায় দেবীসম্মানের ক্যালেন্ডার শুটWrong Number এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন পন্ডিত সুবেন্দু । প্রযোজনা করছেন জয়দেব সমাদ্দার, লেখক ও গীতিকার সৌরভ মালাকার, লেখক বিশ্বজিৎ হালদার, সঙ্গীতজ্ঞ রাহুল মজুমদার এবং চিত্রগ্রাহক ইন্দ্রনীল সরকার।

আগস্ট ১৩, ২০২১
রাজ্য

Trawler: বকখালিতে মর্মান্তিক মৃত্যু ৯ মৎস্যজীবীর

বুধবার মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার উল্টে মৃত্যু হয়েছে ৯ জন মৎস্যজীবীর। জানা গিয়েছে, এফবি হৈমবতী নামে একটি ট্রলারে চেপে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ১২ জন মৎস্যজীবী। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি ফিরে আসছিল। বুধবার ফেরার পথে রক্তেশ্বর চরের কাছে ট্রলারটি পাল্টি খায়।জলে পড়ে যায় ১২ জন মৎস্যজীবীই। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে ২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ট্রলারটিকে উদ্ধার করে ফ্রেজারগঞ্জে মৎস্যবন্দরে নিয়ে আসা হয়। জল সেচার কাজও শুরু হয়। আরও পড়ুনঃ কৃষ্ণকলিতে মিছরির চরিত্রে পায়েলএদিন সকালে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনাক্তকরণের জন্য মৃতদের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদের পরিচয় জা্না গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাদের নাম, শঙ্কর শাঁসমল, বুদ্ধদেব মাইতি, অনাদি শাঁসমল, নারায়ন শাঁসমল, গোপাল জানা, রবীন বর, অজিৎ বেরা, গৌতম পারুই, সন্তোষ মণ্ডল এবং গৌরহরি দাস। নিখোঁজ একজনের খোঁজ শুরু করেছেন অন্যান্য মৎস্যজীবী ও প্রশাসন।

জুলাই ১৫, ২০২১
কলকাতা

বাঙালি ক্রিকেটার খেলানোর দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে বাংলা পক্ষ

সিএবি-তে বাঙালি ক্রিকেটার খেলানোর দাবিতে আন্দোলনের সময় বাংলা পক্ষের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে আগামী ৭ এপ্রিল, বুধবার প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে এই বাঙালি সংগঠন।বাংলা ক্রিকেট দলে বাংলার খেলোয়াড়দের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ডোমেসাইল নিতি চালু করার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলা পক্ষ। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার খেলোয়াড়দের জন্য ডোমেসাইল চালুর দাবিতে গত শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে সিএবি অফিসে ডেপুটেশন প্রদান ও প্রতিবাদ কর্মসূচী নিয়েছিল এই সংগঠন। সেই সময় কয়েকজন বহিরাগত খেলোয়াড় বাংলা পক্ষের সহযোদ্ধা দেবাশীষ মজুমদারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় দেবাশীষ মজুমদারের ডান হাত ভেঙে যায় বলে দাবি করেছেন সংগঠনের পক্ষে কৌশিক মাইতি। কৌশিকের দাবি, দেবাশীষ মজুমদারকে বাঁচাতে গেলে বেশ কিছু বহিরাগত বাংলা পক্ষের সহযোদ্ধাদের ব্যাট, উইকেট দিয়ে মারতে আসে। এই আক্রমণে মহিলা সহযোদ্ধা সহ বেশ কয়েকজন আঘাত পেয়েছেন। এই বর্বরোচিত হামলা চলাকালীন পুলিস কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলে তাঁরাও ওই বহিরাগত দুস্কৃতিদের হামলার শিকার হন।তিনজন হামলাকারীকে চিহ্নিত করে ময়দান থানায় বাংলা পক্ষের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই তিনজন হামলাকারী দীপক পুনিয়া, হরষিত কাওসিক, ওমপাল বোকেম। এরা সকলেই ভিন রাজ্য থেকে কলকাতার ক্লাবে খেলতে এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলা পক্ষ।এই ঘটনার প্রতিবাদে কড়া ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি এবং এই তিন খেলয়াড়কে সিএবি-র সমস্ত খেলা এবং খেলা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় থেকে বহিস্কারের দাবিতে আগামী ৭ এপ্রিল বাংলা পক্ষ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এপ্রিল ০৪, ২০২১
বিনোদুনিয়া

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত কেকে মেনন

২৬ বছরের কেরিয়ারে ৫০টিরও বেশি ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। কেতন মেহতার পরিচালনায় ছোটপর্দায় অভিনয় করে একটু একটু করে পরিচিতি পান। বড় পর্দায় বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করলেও সাফল্যের মুখ তিনি দেখেছেন ২০০৫ সালে রাম গোপাল ভার্মার সরকার ছবিতে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে এবার ঝুলিতে এল অন্যতম বড় স্বীকৃতি। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন অভিনেতা কেকে মেনন।মোস্ট ভার্সেটাইল অ্যাক্টর ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন মেনন। সেই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার করেছেন অভিনেতা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তিন দশক ধরে ভারতীয় সিনে দুনিয়ায় অবদানের জন্য কেকে মেননকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২০ তারিখ সরকারি ভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি চিঠিও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার এটি। যাঁরা এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
নিবন্ধ

নদী কে জায়গা দিনঃ প্রসঙ্গ গঙ্গা ভাঙ্গন

বর্ষা শুরু হলেই আতঙ্কের প্রহর গোনা শুরু হয় মানুষ গুলোর। ঝুপ ঝাপ নদী পাড়ের মাটি খসে পড়া নতুন নয় এদের কাছে। তবে বর্ষার বিপুল জলরাশির যোগানে উন্মত্ত নদী যখন বিঘের পর বিঘে জমি, বাস্তু ভিটে, রাস্তা থেকে শুরু করে সভ্যতার সব নিদর্শন মুছে দিতে উদ্যত হয়, তার প্রলয়ঙ্করী রূপে মানুষ আতঙ্কিত হয়, জীবন হানিও ঘটে। নদী ভাঙন এক অতি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম, কিন্ত এই ভাঙনের কবলে পড়ে যখন মানুষ বিপর্যস্ত হয় তখন তা বিপর্যয় রূপে দেখা দেয়। দিশেহারা, সর্বহারা মানুষের হাহাকারে ভারী হয়ে যায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাতাস। এরা সেই মানুষ গুলো যাদের সাথে নদীর যুগযুগ ধরে আত্মীয়তার সম্পর্ক। নদীর তীরে বসবাসকারী কোটি কোটি মানুষের জীবনে নদী যেমন আশীর্বাদ স্বরূপ ঠিক তেমনই আতঙ্কের কারণ। নদীমাতৃক ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গে প্রাচীন কাল থেকেই নদীর তীরবর্তী অঞ্চল মানুষের বসবাসের স্থান হিসাবে খুব জনপ্রিয়।তার অন্যতম কারণ গুলি হলো সুলভ উর্বর জমি, পরিবহনের সুবিধা, বানিজ্যিক আদান প্রদান, মাছ ধরা সহ নানা রকমের জীবিকার সুযোগ। গাঙ্গেয় সভ্যতা সংস্কৃতি অতি প্রাচীন, সেটা সন্দেহাতীত, কিন্ত ব-দ্বীপে গঙ্গার প্রাচীন প্রবাহ পথ নিয়ে যথেষ্ঠ মত পার্থক্য আছে। রাধাকমল মুখার্জি, কাননগোপাল বাগচী এবং ওল্ডহ্যাম, রিকস, শেরউইল প্রমূখ ব্রিটিশ নদী বিশেষজ্ঞরা ভাগীরথী কেই গঙ্গার প্রাচীন প্রবাহ পথ বলে তাঁদের লেখায় উল্লেখ করেছিলেন। পরবর্তীকালে সেচ বিশেষজ্ঞ উইলককস তাঁর ধারণার কথা বলতে গিয়ে ভাগীরথী কে সেচের জন্য কাটা খাল বলে উল্লেখ করেছিলেন, বিভিন্ন মানচিত্র বিশ্লেষণ করে অনেকেই তাঁর মত সমর্থন করেন এবং পদ্মাকেই গঙ্গার আদি প্রবাহ পথ বলে তাঁদের লেখায় উল্লেখ করেন। প্রাচীনত্বের দিক থেকে গঙ্গা বা ভাগীরথী যেটিই হোক কিন্ত জনবসতি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্র হিসেবে ভাগীরথীর উপত্যকা বেশি প্রাচীণ তা এর তীরে ছড়িয়ে থাকা তাম্রলিপ্ত, কর্ণ সুবর্ণ, চন্দ্রকেতুগড় ইত্যাদি স্থান গুলি প্রমাণ করে।গগঙ্গা নদী বাংলায় প্রবেশ করেছে রাজমহল পাহাড়ের পাশ দিয়ে। প্রাচীণ যুগে গারো-রাজমহল গ্যাপ নামক ভূপ্রাকৃতিক খাতটি পলি সঞ্চয়ের ফলে বর্তমানে এই সমভূমিতে পরিণত হয়েছে। এই পলি শুধুমাত্র হিমালয় থেকে নিয়ে আসা সূক্ষ্ গঙ্গা বাহিত পলি নয়। দামোদর, অজয় সহ একাধিক নদ নদী, ছোটনাগপুরের মালভূমি থেকে মোটা দানার বালি মিশ্রিত পলি নিয়ে এসে প্রাথমিক ব- দ্বীপ গঠনের কাজ করেছিলো যাকে বলে প্যারা ডেল্টা। এর উপর সঞ্চিত হয়েছে গঙ্গার পলি। বালি মিশ্রিত নিম্নভাগে র পলির অভ্যন্তরীণ বাঁধন আলগা হওয়ার জন্য নদীর জলের প্রবল চাপে তা সহজেই আলগা হয়ে ধুয়ে যায়।উপরের কাদা মিশ্রিত পলি স্তর ঝুলন্ত অবস্থায় থাকতে না পেরে খসে পড়ে। এটিই পাড় ভাঙার প্রক্রিয়া। নদীর প্রস্থ বরাবর একটি নির্দিষ্ট অংশে পর্যা়ক্রমিকভাবে এই ভাঙাগড়ার কাজ চলে, ভূগোলের পরিভাষায় যাকে বলে meander belt বা রিচ পয়েন্ট। এর মধ্যে নদীর চলাচল এক অতি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম।এটা ঘটবেই।রাজমহল থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত ৭২ কিমি পথে বামদিক থেকে অনেক শাখানদী এসে মিশেছে, যেমন কালিন্দী, ফুলহার, মহানন্দা, ছোট ভাগীরথী ইত্যাদি। সম্ভবত ১৫৭৫ এ গৌড় এর ধ্বংসের আগে পর্যন্ত কালিন্দী, মহানন্দা, ছোট ভাগীরথী বরাবর ছিল গঙ্গার প্রবাহ পথ। কিন্ত ১৫৭৫ এর পর গঙ্গার গতিপথ পরিবর্তন ঘটে যার প্রমাণ পাওয়া যায় ১৭৭৯ এর J. D. Rennell এর মানচিত্রে যেখানে গঙ্গার অবস্থান গৌড়ের অনেকটা দক্ষিণে। রাধাকমল মুখোপাধ্যায় তাঁর The Changing Face of Bengal গ্রন্থে এই কালিন্দী কেই গঙ্গার মূলস্রোত বলে উল্লেখ করেছিলেন। যদুনাথ সরকারের রচনা The History of Bengal (Muslim Period) থেকে ধারণা করা যায় যে সেই সময় রাজমহলের পর গঙ্গা একাধিক শাখায় বিভক্ত হতো। একটি কালিন্দী- মহানন্দার পথে, অপরটি গঙ্গা -পদ্মার খাত ধরে। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার মিঠিপুর গ্রামের কাছে গঙ্গা দুটি শাখায় ভাগ হয়েছে, একটি পদ্মা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, আর ভাগীরথী দক্ষিণমুখী হয়ে প্রায় ৫০০কিমি পথ অতিক্রম করে মায়াপুরের কাছে জলঙ্গী র সাথে মিলিত হওয়ার পর হুগলী নদী নাম নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। গঙ্গার থেকে ভাগীরথীর যে উৎস মুখ তা বিগত কয়েক শতাব্দী তে বার বার পরিবর্তীত হয়েছে, বিভিন্ন গবেষণা প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রমান পাওয়া যায়। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভাগীরথীর খাতটি পদ্মার তুলনায় কম বেশি এক মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এরফলে একমাত্র বর্ষা কাল ছাড়া ভাগীরথী তে স্বাভাবিক জলপ্রবাহ আসা সম্ভব নয়। ফিডার ক্যানেল এর মাধ্যমে সারা বছর জলের ধারা অব্যাহত রাখা ও কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বজায় রাখার জন্য ফারাক্কা বাঁধের পরিকল্পনা করা হয়। প্রকৃতিকে আয়ত্তে আনতে গিয়ে হিমালয় থেকে নিয়ে আসা বিপুল পরিমাণ পলি সঞ্চয়ের ব্যাপারটা পরিকল্পনার ফাঁক হিসাবে থেকেই যায়। সূত্র বলছে প্রতি বছর আনুমানিক প্রায় ৬৪ কোটি টন পলি রাজমহল ও ফারাক্কার মাঝে গঙ্গা বক্ষে জমা হয়। গঙ্গা নদী প্রবাহ পথ আঁকাবাঁকা এবং ফারাক্কা ব্যারেজ নদীটির গতিশীল ভারসাম্য বিঘ্নিত করেছে এবং নদীটির স্বাভাবিক গতিপথ ব্যাহত করেছে। ফারাক্কা বাঁধের উজানে বাম দিকে এবং ফারাক্কা বাঁধের নিচের ডান প্রান্তের দিকে নদী প্রবাহের একটি সাধারণ প্রবণতা রয়েছে। ফারাক্কা বাঁধের উজানে পলিতে আবদ্ধ গঙ্গা পাড় ভেঙে নতুন পথের সন্ধান করছে।বাঁধ নির্মাণের পূর্বে এই ভাগীরথী তে জলের যোগান যা ছিল, পরবর্তীকালে তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পলি উজানে সঞ্চিত হয়ে যাওয়ার ফলে ভার মুক্ত নদী প্রবাহ নিচের অংশেও ভাঙন ঘটাচ্ছে। নদী প্রবাহিত হয় প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে। গাঙ্গেয় ব -দ্বীপের যে অংশে গঙ্গা ও ভাগীরথী বয়ে চলেছে সেটি মূলত মৃতপ্রায় ব -দ্বীপের অন্তর্গত। এই পর্যায়ে নদীর কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় বলে অত্যন্ত আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়। জলের চাপে অবতল দিকের পাড় ভাঙতে থাকে, অপর দিকে নতুন ভূমি জেগে ওঠে উত্তল দিকে। ক্রমাগত পলি সঞ্চয়ের ফলে ভূমিভাগের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী তার পুরোনো খাত পরিত্যাগ করে নতুন পথে চলে। এসবের ফলশ্রুতি হিসেবে দেখা যাই এক বৃহৎ অংশের মানুষ এই নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েন প্রতি বছর। এবছরও তার ব্যাতীক্রম ঘটে নি।পাড় ভাঙনের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে গঙ্গা বক্ষে গজিয়ে ওঠা চরের ভাঙ্গনের করুণ অধ্যায়। গঙ্গার ভাঙনের সাথে চর সৃষ্টি, অবলুপ্তি, পুনরাই জেগে ওঠার সম্পর্ক বেশ যে প্রাচীন তার প্রমান কিছুটা পাওয়া যায় Major Henry Thomas Colebrooke, W. W. Hunter (1876), Captain W. Sherwill দের বর্ণনায়। ভূতনির চর ও নিরমল চরে মানুষের জীবনযাপন চলে আবাস তৈরি, বাস্তুচুতি ও আবাস পুনর্নির্মাণের চক্রাকার আবর্তে।নদী মানুষের দ্বন্দ্বে অনেক ক্ষেত্রেই গঙ্গা বক্ষের চর গুলি হয়ে উঠেছিল মানুষের আশ্রয়ের ঠিকানা ও জীবনযাপনের রসদ।কিন্ত নদীর পাড় ভাঙ্গনের সুবাদে এবছর সেগুলিও সঙ্কটে।গঙ্গা তথা ভাগীরথীর তীরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলী, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার এক বৃহৎ অংশের মানুষের বাস যারা প্রতি বছর নদীর পাড় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে চরম দুর্দশার সম্মুখীন হন। ফি বছর নদীর পাড় ভাঙ্গনে গড়ে ৮ বর্গ কিমি জমি নদীগর্ভে হারিয়ে যায় আমাদের রাজ্যে। ফারাক্কা ব্যারেজের প্রবাহের উজানে ১৯৬৯ থেকে ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মালদা জেলায় গঙ্গার বাম তীরের ভাঙনের ফলে ৪.৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মনিচাকের ২২ মৌজা, কালিয়াচক-১ এবং কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-৩, রতুয়া-১ এবং রতুয়া-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নদী গর্ভে চলে গেছে। কালিয়াচক-২ ব্লকের ভূতনির চর ও পঞ্চানন্দপুরের মধ্যে নদীর বাম তীরের অঞ্চলটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। এই বছর ভাঙনের কবলে মালদার রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের বিলাইমারি ও মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা বিপর্যস্ত। ওই দুই পঞ্চায়েতের নয়া বিলাইমারি, খাকচাবনা, টিকলিচর ও জঞ্জালিটোলা গ্রামগুলিতে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে।মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার তীরেও প্রায় কয়েক কোটি মানুষ বাস করেন। ফারাক্কা ব্যারাজের নীচ থেকে জলঙ্গী পর্যন্ত গঙ্গার ডান তীরে ৯৪ কিমি ব্যাঙ্কলাইন রয়েছে এবং ফারাক্কা, সামশেরর গঞ্জ, সুতি-১, সুতি-২, রঘুনাথগঞ্জ-২, লালগোলা, ভগবানগোলা-১, ভগবানগোলা-২, রাণী নগর-১, রাণী নগর-২ এবং জলঙ্গী প্রভৃতি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের এই সমস্ত এলাকায় তীব্র পাড় ভাঙন ঘটে। ফারাক্কার কুলদিয়ার চর সহ হোসেনপুর চর এই বছরে ইতিমধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। গঙ্গা ও ফুলহার নদী দিয়ে ঘেরা এই দুই পঞ্চায়েত এলাকার দুই নদীর মধ্যবর্তী অংশে রয়েছে উর্বর কৃষিভূমি ও বিশাল গো চারণ এলাকা। তাই জীবন জীবিকা নির্বাহে গঙ্গা তীরের এই জায়গা ছেড়ে কেউ যেতে চান না। যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব কষ্টসাধ্য, বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর হাজার হাজার বিঘা জমি, ভিটে মাটি হারানো সত্ত্বেও স্থানীয় বাসিন্দারা বংশানুক্রমে এখানেই থাকতে চান। অনেকেই আবার পরিনত হন নথিহীন নব্য শরণার্থী বা রুটি রুজির তাগিদে মুম্বাই গুজরাতের কোন পরিযায়ী শ্রমিকে।গঙ্গা নদী ভাগীরথী নাম নিয়ে দক্ষিণ বাহিনী হয়ে মায়াপুরের কাছে জলঙ্গী র সাথে মিলিত হয়ে, হুগলী নদী নাম নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এই অংশেও নদী আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত। এর ফলে নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমানের পুর্বস্থলী ১ ও ২, কালণা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। পুর্বস্থলী ১নম্বর ব্লকের নসরতপুর, জালুইডাঙা সবচয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। নসরত পুরের কিশোরীগঞ্জ, মনমোহনপুরের বাসিন্দাদের অনেকের বাড়ি, চাষের জমি নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে এই বছরেই। পুর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের মেরতলা, কুটুরিয়া, গোপীপুর, তামাঘাটা এবং অগ্রদ্বীপ এর বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গনের কারণে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীয়ার শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া-2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মঠপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভাগীরথী নদীর ভাঙ্গনে এই বছর বহু মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।কালনার ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের কালিনগর, যার কাবাডি গ্রাম হিসেবে খ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়ে। গ্রামের অনেকেই কাবাডিতে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এলাকার বাসিন্দাদের মতে, দীর্ঘদিনের ভাঙ্গনের জেরে বহু ঘরবাড়ি, জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। মানুষ যখন ভেবে ফেলে নদী কেবল তার বেঁচে থাকার খোরাক জোগানোর উপকরণ মাত্র মুশকিলটা হচ্ছে ঠিক তখনই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথেসাথে, বাস্তু জমি, চাষের উপযোগী জমি সব কিছুর চাহিদা বেড়েছে বিপুল পরিমাণে। শুধু তাই নয়, মানুষ উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কে জয় করতে চেষ্টা করছে। ঠিক যেমন হয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজের ক্ষেত্রে। উত্তর বঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ থেকে শুরু করে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা স্বাভাবিক রাখা, ব্যবসা বানিজ্য সবকিছুই ফারাক্কা ব্যারেজের প্রস্তাবনা বা রূপায়ণের মাধ্যমে কিছুটা হলেও বাস্তবায়িত হয়েছে বা হচ্ছে। এর সাথে আছে বিপুল সংখ্যক মানুষ, যারা নদীর তীরে বসবাস করেন, নদীর বুকে জেগে ওঠা চর গুলিও বাদ থাকে না। অপরিকল্পিত ভাবে নদীর পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে দিনের পর দিন চলে মাটি পাচার, গজিয়ে ওঠে ইট-ভাটা। এই সবের সাথেই নদী হারিয়ে ফেলেছে তার চলার স্বাভাবিক ছন্দ। কিন্ত নদীকেও তো তার স্বাভাবিক গতিপথ বজায় রাখতে জায়গা দিতে হবে। এর মধ্যে মানুষ তার সভ্যতা গড়ে তুললে, নদীর দোষ দিয়ে লাভ নেই। দোষ যদি থাকে সেটা আমাদের সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনার।বছর দুয়েক আগে ট্রেনে যাবার পথে পরিচয় হওয়া এক সাধারণ মালদা বাসীর সাথে এই নদী ভাঙ্গনের কথা, ফারাক্কা ব্যারেজের কথা প্রসঙ্গে তার দেওয়া একটা সাধারন উপমার কথা বেশ ভালো লেগেছিল।তিনি বলেন নদীর চলার পথ ঠিক সাপের মতো, আর সাপ কে যদি তার মাথার কাছে চেপে ধরে সে গোটা শরীর আরো বেশী আঁকাবাঁকা করে নিজেকে মুক্ত করার জন্য। এই ফারাক্কা বাঁধ হলো সেই সাপের মাথার মতো, যা চেপে ধরেছে গঙ্গার স্বচ্ছন্দ গতিকে। আর নদী ক্রমশ চেষ্টা করে চলেছে তার মুক্তির পথ খোঁজার। নদীর তীরে বসবাসের সুযোগ যেমন অনেক, তেমনই ঝুঁকির কথাটাও ভুলে গেলে চলবেনা। স্রোতের সঠিক ঘাত প্রতিঘাত বিশ্লেষণ না করে অবৈজ্ঞানিক বাঁধ নির্মাণ, বোল্ডার ফেলা, বিদেশী ঘাসের চাষ, গাছ লাগানো, তার জালির ব্যবস্থা ইত্যাদি হয়তো সাময়িক ভাবে ক্ষতের মলম দিতে পারে কিন্ত তা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। নদীর পাড়ে বসবাসকারী বিপুল মানুষের পুনর্বাসন করা হয়েতো কঠিন কাজ, কিন্ত দূরসংবেদন ও ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থা (GIS) র সঠিক প্রয়োগ এর কিছুটা সমাধান করতে পারে। ভাঙন প্রবন নদীর তীর গুলির মানচিত্র প্রস্তুত করে, কত বছরের মধ্যে সম্ভাব্য ভাঙন কবলিত হতে পারে তার ভিত্তিতে যদি সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাহলে প্রতি বছর নদী ভাঙনের ফলে হাজার হাজার পরিবেশ-গত উদ্বাস্তু মানুষের যন্ত্রণা কিছুটা হলেও হয়তো কমানো যাবে।তথ্য সূত্রঃ১। বাংলার নদীকথা কল্যাণ রুদ্র, ২০০৮২। বাংলাদেশের নদ নদী ও পরিকল্পনা কপিল ভট্টাচার্য, ১৯৫৯৩। The Changing Face of Bengal রাধাকমল মুখোপাধ্যায়, ১৯৩৮৪। Rivers of Bengal(সঙ্কলিত) কুমুদ রঞ্জন বিশ্বাস, ২০০১৫। https://bn.m.wikipedia.org৬। No voice, no choice: Riverine changes and human vulnerability in the chars of Malda and Murshidabad, জিনিয়া মুখার্জী, ২০১১(http://idsk.edu.in/wp-content/uploads/2015/07/OP-28.pdf)৭। Time Streams: History and Rivers in Bengal, Graham P. Chapman Kalyan Rudra, ২০১৫ ডঃ কুণাল চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপকশম্ভুনাথ কলেজ, লাভপুর, বীরভূম ওডঃ ইন্দ্রাণী মুখার্জী, সহকারী অধ্যাপকচন্দ্রপুর কলেজ, পূর্ব বর্ধমান

নভেম্বর ০২, ২০২০
খেলার দুনিয়া

নাইটদের জয়েও কাঁটা নারিনের হলুদ কার্ড

হলুদ কার্ড দেখে এখন লাল কার্ডের আশঙ্কা। ফুটবলের পরিভাষাতেই বোঝানো যেতে পারে সুনীল নারিনের অবস্থা। কিংস ইলেভেন ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরেও নাইটদের কাঁটা এখন নারিনের বোলিং অ্যাকশন। শনিবারের ম্যাচে আইপিএলের সন্দেহজনক বেআইনি বোলিং অ্যাকশন সংক্রান্ত নিয়ম মেনে নারিনের অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আম্পায়াররা। তবে এখনও টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন। তবে ফের এমন রিপোর্ট জমা পড়লে বোর্ডের বোলিং অ্যাকশন কমিটির ছাড়পত্র না পাওয়া অবধি হাত ঘোরাতে পারবেন না কেকেআরের ট্রাম্প কার্ড, এই ক্যারিবিয়ান বিস্ময় স্পিনার।

অক্টোবর ১১, ২০২০
খেলার দুনিয়া

কামিন্সের পাশে দাঁড়িয়ে নাইট সমর্থকদের কী বার্তা দিলেন কার্তিক?‌

আই পি এল শুরু হওয়ার আগে নাইট রাইডার্সের হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের মুখে প্যাট কামিন্সের ওপর বাড়তি ভরসার কথা শোনা গিয়েছিল। ম্যাকালাম বলেছিলেন, দলের প্রধান স্ট্রাইক বোলার কামিন্স। তিনিই দলের বোলিংকে নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু মু্ম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩ ওভারে ৪৯ রান দেন কামিন্স। কামিন্সের পারফরমেন্স নিয়ে চারিদকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপও শুরু করেছেন নাইট সমর্থকরা। বলেছেন, সাড়ে ১৫ কোটি টাকা জলে গেল। নাইট রাইডার্স অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক অবশ্য কামিন্সের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‌কামিন্স বিশ্বমানের বোলার। বিশ্বের অন্যতম সেরা। ওর ওপর ভরসা আছে। একটা ম্যাচের পারফরমেন্স দেখে ওকে বিচার করা ঠিক হবে না। আমি নিশ্চিত পরের ম্যাচেই কামিন্স দারুণভাবে ফিরে আসবে। কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে ও যখন খেলার অনুমতি পেল তখন বিকেল ৪টে বাজে। ওই অবস্থায় খেলেছে এটাই বড় ব্যাপার।’‌ আই পি এলে কামিন্স হলেন বিদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যের ক্রিকেটার। এবছর নিলামে কামিন্সকে ১৫.‌৫ কোটিতে কিনে নেয় নাইট রাইডার্স। এর আগে সবথেকে নিলামে সবথেকে বেশি অর্থ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। ২০১৭ সালে তাঁকে ১৪.‌৫ কোটিতে কিনেছিল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal