• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

KK

খেলার দুনিয়া

দুর্দান্ত লড়াই করেও স্বপ্ন শেষ নাইটদের, প্লে অফে লখনউ

নাটকীয় ম্যাচে ফয়সালা হল শেষ ওভারে। দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষরক্ষা করতে পারল না নাইট রাইডার্স। শ্রেয়স আয়ারের দলকে ২ রানে হারিয়ে প্লে অফে পৌঁছে গেল লখনউ সুপার জাযান্টস। কুইন্টন ডিকক ও লোকেশ রাহুলের দাপটে প্রথমে ব্যাট করে ২১০ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সামনে বড় রানের টার্গেট দেখে চাপে পড়ে যান নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। তার প্রতিফলন শুরুতেই দেখা যায়। প্রথম ওভারেই ধাক্কা। স্কোর বোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই চতুর্থ বলেই ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (০) তুলে নেন মহসীন খান। তৃতীয় ওভারে আবার ধাক্কা। এবার মহসীন ফেরান আইপিএলে অভিষেককারী নাইটদের ওপর ওপেনার অভিজিৎ টোমারকে। ৮ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন অভিজিৎ। ৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ঝড় তোলেন নীতীশ রানা ও শ্রেয়স আয়ার। দুজনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অষ্টম ওভারে আবার ধাক্কা। এবার নীতীশকে তুলে নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। ২২ বলে ৪২ রান করে আউট হন নীতীশ। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান শ্রেয়স ও স্যাম বিলিংস। শ্রেয়সকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টইনিস। ২৯ বলে ৫০ রান করেন শ্রেয়স। ২৪ বলে ৩৬ রান করে বিলিংস আউট হন। রাসেল করেন ৫।এরপর ম্যাচ জমিয়ে দেন রিঙ্কু সিং। ঝড় তুলে ১৫ বলে ৪০ রান করে তিনি দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। স্টইনিসের বলে তিনি যখন আউট হন জয় থেকে ৩ রান দূরে নাইটরা। শেষ বলে দরকার ছিল ৩। কিন্তু উমেশ যাদাবকে (০) বোল্ড করে লখনউকে নাটকীয় জয় এনে দেন স্টইনিস। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন স্টইনিস।টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন লখনউর দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডিকক। প্রথম দিকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেননি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওঠে ৪৪। এরপর ক্রমশ নাইট বোলারদের ওপর জাঁকিয়ে বসেন ডিকক ও লোকেশ রাহুল। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডিকক। অন্যদিকে, ৪১ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন লোকেশ রাহুল।লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই দুই ওপেনারের ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি নাইট উমেশ যাদবরা। আন্দ্রে রাসেলকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আইপিএলে জীবনের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডিকক। এদিন ৫৯ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।৬ বছর আগে ২০১৬ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১০৮। এদিন ডিককের ব্যাটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। চলতি আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেন ডিকক। ৭০ বলে ১৪০ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ১০টি চার ও ১০টি ছয়। চলতি আইপিএলে এক ম্যাচে সবথেকে বেশি ৬ মারার রেকর্ডেরও অধিকারী হলেন। ৫১ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল।

মে ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে অফের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখল নাইটরা

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫৪ রানে হারিয়ে প্লে অফের স্বপ্ন জিইয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নাইটদের জয়ের নায়ক আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের।বড় রান তাড়া করতে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া জরুরি। কিন্তু উমেশ যাদবের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগ পাননি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রারম্ভিক ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ৩১ রান। তার মাঝেই হারাতে হয় ১ উইকেট। নিজের প্রথম ওভারেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল। ১৭ বলে মাত্র ৯ রান করে বোল্ড হন উইলিয়ামসন। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দেন রাসেল। উইলিয়ামসন আউট হলেও নিজের ছন্দ ধরে রাখেন অভিষেক শর্মা। ইনিংসের অষ্টম ও সুনীল নারাইনের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর দুটি ছয় মারেন। নারাইনের ওই ওভারে ওঠে ১৭ রান। পরের ওভারে রাহুল ত্রিপাঠিকে তুলে নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আবার ধাক্কা দেন টিম সাউদি। ১২ বলে ৯ রান করে সাউদির বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দেন ত্রিপাঠি। দ্বাদশ ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেককে তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তী। ২৮ বলে ৪৩ রান করে আউট হন অভিষেক। পরের ওভারেই নিকোলাস পুরানকে (২) তুলে নেন নারাইন। তখনই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন রাসেল।এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ছন্দে না থাকা ভেঙ্কটেশ আয়ার (৬ বলে ৭)। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অজিঙ্কা রাহানে ও নীতীশ রানা। জুটিতে ওঠে ৪৮ রান। নীতীশ রানাকে (১৬ বলে ২৬) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন উমরান মালিক। অজিঙ্কা রাহানেকেও (২৪ বলে ২৮) তুলে নেন তিনি। শ্রেয়স আয়ারও (১৫) দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ। রিঙ্কু সিংও (৫) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। স্যাম বিলিংস ও আন্দ্রে রাসেলের দাপটে ১৭৭/৬ রানে পৌঁছয় নাইটরা। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৩ রান। ২৯ রানে ৩৪ রান করেন বিলিংস। শেষ দিকে ঝড় তুলে ২৮ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। মারেন ৩টি ৪ ও ৪টি ৬। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন উমরান মালিক।

মে ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রাসেলের দাপটে বড় রান তুলে হায়দরাবাদকে চ্যালেঞ্জ কলকাতার

শনিবার আইপিএলের ম্যাচে মুখোমুখি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্লে অফের আশা টিকিয়ে রাখার জন্য দুই দলের কাছেই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে দল হারবে, প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাবে। মরণবাঁচন ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বড় রান তুলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৭৭/৬।এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে নাইটরা। প্রথম একাদশে ফিরেছেন উমেশ যাদব এবং স্যাম বিলিংস। অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদও দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে। এদিন প্রথম একাদশে ঢোকেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং টি নটরাজন।ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ছন্দে না থাকা ভেঙ্কটেশ আয়ার। ৬ বলে ৭ রান করে মার্কো জানসেনের বলে তিনি বোল্ড হন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে টেনে নিয়ে যান অজিঙ্কা রাহানে ও নীতীশ রানা। দুজনের জুটিতে ওঠে ৪৮ রান। অস্টম ওভারের তৃতীয় বলে নীতীশ রানাকে (১৬ বলে ২৬) জুটি ভাঙেন উমরান মালিক। একই ওভারের শেষ বলে অজিঙ্কা রাহানেকেও তুলে নেন। ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন রাহানে। বাউন্ডারি লাইনে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন শশাঙ্ক সিং। এক ওভার পরেই অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকেও তুলে নেন উমরান মালিক। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে নির্বরতা দিতে ব্যর্থ শ্রেয়স। এদিন ৯ বলে মাত্র ১৫ রান করে তিনি আউট হন। রিঙ্কু সিংও (৫) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।৯৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স মনে হচ্ছিল এদিন বড় রানে পৌঁছতে পারবেন না শ্রেয়স আয়াররা। কিন্তু ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন স্যাম বিলিংস ও আন্দ্রে রাসেল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৩ রান। ২৯ রানে ৩৪ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন বিলিংস। শেষ দিকে ঝড় তোলেন রাসেল। ২৮ বলে ৪৯ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ৩টি ৪ ও ৪টি ৬। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে নাইটরা। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন উমরান মালিক। ১টি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার, মার্কো জানসেন এবং টি নটরাজন।

মে ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কামিন্সদের দুরন্ত বোলিংয়ে বেঁচে রইল নাইটদের প্লে অফের ক্ষীণ আশা

বোর্ডে খুব বেশি রান না নিয়েও দারুণ লড়াই। প্যাট কামিন্সদের দুরন্ত বোলিং মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৫২ রানের সহজ জয় এনে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। একই সঙ্গে নাইটদের প্লে অফের ক্ষীণ সম্ভাবনা এখনও বেঁচে রইল। এদিন জয়ের জন্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নাইট রাইডার্স। জয়ের জন্য লক্ষ্যটা খুব একটা বড় ছিল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে। কিন্তু প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় মুম্বই। টিম সাউদির ওভারের শেষ বলে উইকেটকিপার শেলডন জ্যাকসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৬ বলে মাত্র ২ রান করেন তিনি। চলতি আইপিএলে বিরাট কোহলির মতো তিনিও চূড়ান্ত ব্যর্থ। কোহলির ব্যর্থতা বাকিরা পুশিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই দলে রোহিতের ব্যর্থতা পুশিয়ে দেওয়ার ব্যাটার নেই। মিডল অর্ডারকে যিনি এতদিন নির্ভরতা দিয়ে এসেছেন, সেই সূর্যকুমার যাদব হাতের পেশিতে চোট পেয়ে আইপিএলের বাইরে। রোহিত আউট হওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল ঈশান কিষানের ওপর। ভালোই খেলছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই ওপেনার। রোহিতের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান। কিন্তু তিলক ভার্মা (৬), রমণদীপ সিং (১৬ বলে ১২), টিম ডেভিডরা (৯ বলে ১৩) সঙ্গ দিতে পারেননি ঈশানকে। এদিন আগ্রাসী বোলিং করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মিডল অর্ডারকে গুড়িয়ে দেন আন্দ্রে রাসেল ও প্যাট কামিন্স। রাসেল তুলে নেন তিলক ও রমণদীপকে। অন্যদিকে প্যাট কামিন্সের শিকার ঈশান (৪৩ বলে ৫১), ড্যানিয়েল সামস (১), মুরুগান অশ্বিন (০)। কায়রন পোলার্ড ১৬ বলে ১৫ রান করে রান আউট হন। ১৭.৩ ওভারে ১১৩ রানে শেষ হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। এদিন প্রথম পাঁচপাঁচটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ভাল শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে ও ভেঙ্কটেশ আয়ার। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬০। ভেঙ্কটেশ আয়ারকে তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়া। ২৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন ভেঙ্কটেশ। রাহানের সঙ্গে জুটি বেঁছে দলকে টেনে নিয়ে যান নীতিশ। একাদশ ওভারে রাহানেকে (২৪ বলে ২৫) তুলে নেন সেই কার্তিকেয়া। শ্রেয়স আয়ার (৬) এদিনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৫ বলে ৯ রান করে বুমরার বলে আউট হন রাসেল। একই ওভারে নীতিশ রানাকেও তুলে নেন বুমরা। ২৬ বলে ৪৩ রান করে উইকেটের পেছনে ঈশান কিশানের হাতে ক্যাচ দেন নীতিশ। নীতিশ আউট হওয়ার পরপরই নাইটদের বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ১৯ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ ১০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন বুমরা। ১৬৫/৯ রানে থেমে যায় নাইটরা।

মে ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বুমরার বিধ্বংসী বোলিংয়ে বড় রানের স্বপ্ন চুরমার নাইটদের

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মরণবাঁচন ম্যাচে শুরু করেও বড় রান করতে ব্যর্থ নাইট রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৫/৯ রান তুলতে সমর্থ হয় নাইটরা। দুরন্ত বোলিং করে ১০ রানে ৫ উইকেট নিলেন বুমরা। আইপিএলে এটাই তাঁর সেরা বোলিং। দলকে বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ার ও নীতিশ রানা। যশপ্রীত বুমরার দাপটে নাইটদের বড় রানের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। এদিন প্রথম পাঁচপাঁচটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শিবম মাভি, অনুকূল রায়, অ্যারন ফিঞ্চ, বাবা ইন্দ্রজিৎ, হর্ষিত রানা প্রথম একাদশের বাইরে। পরিবর্তে প্রথম একাদশে ভেঙ্কটেশ আয়ার, অজিঙ্কা রাহানে, শেলডন জ্যাকসন, বরুণ চক্রবর্তী ও প্যাট কামিন্স। প্রথম একাদশে পরিবর্তনের ব্যাপারে এবছর চলতি আইপিএলে সব দলকেই টেক্কা দিয়ে গেছে নাইট রাইডার্স। এদিন টস জিতে নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভাল শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে ও ভেঙ্কটেশ আয়ার। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬০। এরপরই প্রথম ধাক্কা খায় নাইটরা। ভেঙ্কটেশ আয়ারকে তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়া। ২৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন ভেঙ্কটেশ। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল নীতিশ রানাকে। রাহানের সঙ্গে জুটি বেঁছে দলকে টেনে নিয়ে যান নীতিশ। একাদশ ওভারে রাহানেকে (২৪ বলে ২৫) তুলে নেন সেই কার্তিকেয়া। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার এদিনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৮ বলে ৬ রান করে তিনি মুরুগান অশ্বিনের বলে আউট হন। ব্যাটিং অর্ডারে এদিন আন্দ্রে রাসেলকেও এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনিও ব্যর্থ। ৫ বলে ৯ রান করে তিনি যশপ্রীত বুমরার বলে আউট হন। একই ওভারে নীতিশ রানাকেও তুলে নেন বুমরা। ২৬ বলে ৪৩ রান করে উইকেটের পেছনে ঈশান কিশানের হাতে ক্যাচ দেন নীতিশ। নীতিশ আউট হওয়ার পরপরই নাইটদের বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ১৯ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ ১০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন বুমরা।

মে ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

জ্বলে উঠতে ব্যর্থ শ্রেয়সরা, প্লে অফের স্বপ্ন শেষ নাইটদের

ডু অর ডাই ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ শ্রেয়স আয়ারের দল। লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৭৫ রানে হেরে প্লে অফের স্বপ্নের সলিল সমাধি নাইট রাইডার্সের। গত বছরের মতো স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন করতে পারলেন না সুনীল নারাইনরা। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্যই ডুবতে হল নাইটদের। এদিন বল হাতে ভাল শুরু করেও লখনউ সুপার জায়ান্টসকে কম রানে বেঁধে রাখতে পারেনি নাইট রাইডার্স। নাইটদের সামনে জয়ের জন্য ১৭৭ রানের টার্গেট রেখেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি নাইটদের। লখনউ সুপার জায়ান্টসের মতো প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় নাইটরা। ষষ্ঠ বলে ফিরে যান বাবা ইন্দ্রজিৎ। বোর্ডে তখনও কোনও রান ওঠেনি। ইন্দ্রজিৎকে তুলে নেন মহসীন খান। প্রথম ওভারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আবার আঘাত। এবার দুষ্মন্ত চামিরার শিকার নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। ৯ বলে মাত্র ৬ রান করে তিনি আয়ুশ বাদোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। নাইটদের রান তখন ৩.৪ ওভারে ১১/২। এক ওভার পরেই আরন ফিঞ্চকে (১৪ বলে ১৪) তুলে নেন জেসন হোল্ডার। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ফর্মে থাকা নীতিশ রানাকে (১১ বলে ২) বোল্ড করেন আবেশ খান। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে নাইটরা। এরপর ক্রিজে নেমে পাল্টা আক্রমণের রাস্তা বেছে নেন আন্দ্রে রাসেল। জেসন হোল্ডারের এক ওভারে তিনটি ৬, ১টি ৪ ও ২ রান নিয়ে তোলেন ২৪। দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলেই রিঙ্কু সিংকে (১০ বলে ৬) তুলে নেন রবি বিশ্নই। এক ওভার পরেই রাসেলের ঝড় থামিয়ে দেন আবেশ খান। ১৯ বলে ৪৫ রান করে আউট হন রাসেল। নাইটদের জয়ের আশা তখনই শেষ হয়ে যায়। একই ওভারে অনুকূল রায়কেও (০) তুলে নেন আবেশ। ১২ বলে ২২ রান করে আউট হন সুনীল নারাইন। শেষ পর্যন্ত ১৪.৩ ওভারে ১০১ রানে থেমে যায় নাইটদের ইনিংস। ৩ টি করে উইকেট নেন আবেশ খান ও জেসন হোল্ডার।এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনউ সুপার জায়ান্টসও। তবু কুইন্টন ডিকক ও দীপক হুডার সৌজন্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭১। ২৯ বলে ৫০ রান করে আউট হন ডিকক। ২৭ বলে ৪১ রান করেন দীপক হুডা। ২৭ বলে ২৫ রান করেন ক্রূণাল। মার্কাস স্টয়নিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৭৬/৭ রানে পৌঁছয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১৪ বলে ২৮ রান করেন স্টয়নিস।

মে ০৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ কলকাতা নাইট রাইডার্স

জায়ান্টসকে কম রানে বেঁধে রাখতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স।প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ সুপার তোলে ৭ উইকেটে ১৭৬। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। অথচ এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কাফ মাসলসে চোটের জন্য ছিটকে যান নাইট রাইডার্সের বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা স্তম্ভ উমেশ যাদব। চলতি আইপিএলে ১০ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে বোলারদের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছেন উমেশ যাদব। শুরুর দিকে তাঁর অভাব বুঝতে দেননি টিম সাউদি, সুনীল নারাইনরা। পরে অবশ্য ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি।ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথম ওভারেই কোনও বল না খেলেই রান আউট হয়ে ফিরে যান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (০)। শুরুর ধাক্কা চমৎকারভাবে সামাল দেন কুইন্টন ডিকক ও দীপক হুডা। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭১। অষ্টম ওভারে জুটি ভাঙেন সুনীল নারাইন। তুলে নেন কুইন্টন ডিকককে। ২৯ বলে ৫০ রান করে আউট হন ডিকক। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৪টি চার ও ৩টি ছয়। ১৩ তম ওভারে দীপক হুডাকে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল। ২৭ বলে ৪১ রান করে শ্রেয়স আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন দীপক হুডা।২ ওভার পরেই ক্রূণাল পান্ডিয়াকে তুলে নেন সেই রাসেলই। ২৭ বলে ২৫ রান করেন ক্রূণাল। ১৫ ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টসের রান ছিল ১২২/৪। এই সময় মনে হচ্ছিল বড় রানে পৌঁছতে পারবে না লখনউ সুপার জায়ানন্টস। মার্কাস স্টয়নিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৭৬/৭ রানে পৌঁছয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১৪ বলে ২৮ রান করেন স্টয়নিস। শিবম মাভির এক ওভারে ৩টি ৬ মারেন তিনি। ১৮ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আয়ূষ বাদোনি। ৪ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার। ২২ রানে ২ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। ১টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, শিবম মাভি ও সুনীল নারাইন।

মে ০৭, ২০২২
রাজ্য

বাংলার ছেলেমেয়েদের রেলের চাকরির পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলার বাইরে দেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামল বাংলা পক্ষ

বাংলার ছেলেমেয়েদের রেলের চাকরির পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলার বাইরে দেওয়া যাবে না। এতে ছেলেমেয়েদের খুব সমস্যা হয়। তাই যাতে পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলার মধ্যেই পড়ে, এর প্রতিবাদে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিল বাংলা পক্ষ।বাংলার কর্ম প্রার্থীদের রেলের চাকরির পরীক্ষাকেন্দ্র বাংলার বাইরে নির্ধারণ করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং এই সমস্যা দূর করার দাবি করে ইউনিয়ন রেল মন্ত্রীকে বাংলা পক্ষ-এর তরফে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হলো। এই প্রতিবাদ পত্রে রেলের পরীক্ষায় বাংলার কর্ম প্রার্থীদের রাজ্যের বাইরে পরীক্ষা কেন্দ্র জনিত সমস্যাগুলিকে তুলে ধরে রাজ্যের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে।রাজ্যের বাইরে পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ার ফলে বাংলার কর্ম প্রার্থীদের উক্ত রাজ্যে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য নির্ধারিত দিনের আগেই সেখানে হোটেল বা মেস ব্যবস্থা করে চলে যেতে হত। সেক্ষেত্রে তাদের থাকা খাওয়ার জন্য অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। কর্ম পার্থীদের বেশীর ভাগই নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত আর্থিক পরিকাঠামোই বসবাস করেন। কেউ কেউ টিউশন করে দিন গুজরান করেন, দূর দূরান্তে যাতায়াতের ফলে তাঁদের সময় ও মুল্য দুটোয় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়।এছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই কর্ম প্রার্থীদের তাদের পরিবারের কোন অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে অন্য রাজ্যের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যেতে হয়। মহিলা কর্ম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রায় সকলেই তাদের অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে তবেই ভিন রাজ্যের পরীক্ষা কেন্দ্র যেতে বাধ্য হন। এর ফলে যেমন পরিবারের উপর আর্থিক বোঝা চাপে তেমন ভাবেই অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যার জন্য যোগ্য প্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেন না।বাংলার ছেলেমেয়েদের রেলের চাকরির পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলার বাইরে দেওয়া যাবে না। এতে ছেলেমেয়েদের খুব সমস্যা হয়। তাই যাতে পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলার মধ্যেই পড়ে, তাই রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিল বাংলা পক্ষ।জয় বাংলা pic.twitter.com/tSkGULWvMG বাংলা পক্ষ Bangla Pokkho (@BanglaPokkho) May 6, 2022তাছাড়া দূর পাল্লার রেলযাত্রার জন্য কমপক্ষে তৃতীয় শ্রেনী-র শয়ন যানের (স্লিপার ক্লাস) রিজার্ভেশন না করতে পারলে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে ওঠে। এত কম সময়ের মধ্যে রেলের টিকিট রিজার্ভেশন এককথায় অবাস্তব। তাই অনেকেই পরীক্ষা দিতে যেতে পারেন না। যদিও তৎকালে ব্যবস্থায় টিকিট কাটার চেষ্টা করা হয় তাঁর মূল্যও সেই বেকার ছেলে-মেয়েদের কাছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু মাত্র তপশীলি ও উপ-জাতিদের জন্য রেলের তরফ থেকে টিকিটের মুল্য পাওয়া যায়। সাধরণ ক্যাটাগরি প্রাথীরা রেল কর্ত্তিপক্ষর কাছ থেকে যাতায়াত বাবদ কোনওরকম সাহায্য পান না। বর্ধমান শহরের এক চাকরি পার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে দেশের একদম দক্ষিণের রাজ্যের তিরুচেরাপল্লী তে। হাওড়া থেকে রেল যাত্রা শুরু করলে যেখানে পৌঁছতে কমপক্ষে ৪২ ঘণ্টা সময় লাগে। যাত্রাপথ ও টিকিটের মুল্যের কথা ভেবে তিনি পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এছাড়াও উত্তরাখন্ড, বারানসি, গোরক্ষপুর সহ দূরদূরান্তের বিভিন্ন যায়গায় বাংলার ছেলে মেয়েদের পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে।মুর্শিদাবাদ জেলার ছেলে রাধাবল্লব পাল, চাকরীর পড়াশোনার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য থাকেন বর্ধমান শহরে। তিন বছর আগের আবেদন করা রেলের গ্রুপ-বি (অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার) চাকরির পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে ওড়িশা রাজ্যের ভুবনেশ্বর শহরে। টিউশনের পয়সায় রেলের টিকিট কেটে আগের দিন থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের আসে পাশের হোটলে রাত কাটাতে হবে। কানপাতলে বাংলার ঘরে ঘরে এরকম বহু উদাহরণ পাওয়া যাবে।এছাড়াও বিগত দিনের বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরায় দেখা গেছে বাংলার কর্ম প্রার্থীদের ভিন রাজ্যে পরীক্ষা দিতে গিয়ে নানা ভাবে শারীরিক হেনস্থা এবং আক্রমণের স্বীকার হয়েছেন।ইতিমধ্যেই কর্ম প্রার্থীদের তরফে রেল দপ্তরের কাছে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই দাবি মানা না হলে আগামী দিনে বাংলা পক্ষ সংগঠনের তরফে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

মে ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে প্লে অফের অক্সিজেন পেল নাইট রাইডার্স

টানা ৫ ম্যাচ জয়ের মুখ দেখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্লে অফের সম্ভাবনাও থেকেও অনেকটাই দুরে সরে গিয়েছিল। অবশেষে জয়ের মুখ দেখল শ্রেয়স আয়ারের দল। মরণবাঁচন ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের অক্সিজেন পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নিল। বোলারদের দাপটে এদিন রাজস্থান রয়্যালকে কম রানে বেঁধে রেখেছিল নাইটরা। জয়ের জন্য সামনে লক্ষ্য ছিল ১৫৩। খুব একটা কঠিন লক্ষ্য ছিল না। তবু পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে অ্যারন ফিঞ্চ ও বাবা ইন্দ্রজিৎকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল নাইট রাইডার্স। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ও নীতিশ রানা চাপ কাটিয়ে দলের জয়ের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেন। ১০ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল, এখনও সঠিক কম্বিনেশন নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট বেছে নিতে পারল না। খারাপ ফর্মের জন্য এদিন ভেঙ্কটেশ আয়ারকে প্রথম একাদশের বাইরে রেখে অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে বাবা ইন্দ্রজিৎকে ওপেন করতে পাঠানো হয়। দুই ওপেনারই এদিন দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই অ্যারন ফিঞ্চকে (৭ বলে ৪) তুলে নেন কুলদীপ সেন। ২ ওভার পরেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার শিকার বাবা ইন্দ্রজিৎ। ১৬ বলে ১৫ রান করে তিনি আউট হন। ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ও নীতিশ রানা। জুটিতে ওঠে ৬০ রান। শ্রেয়সকে (৩২ বলে ৩৪) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের আর কোনও সুযোগ দেননি নীতিশ রানা ও রিঙ্কু সিং। তাঁদের ৬৬ রানের জুটি নাইট রাইডার্সকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ৫ বল বাকি থাকতে ১৫৮/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় নাইট রাইডার্স। ৩৭ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নীতিশ রানা। ২৩ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসের শুরুটাও ভাল হয়নি। নাইট বোলারদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল জস বাটলারের ঝড় আটকানো। সেই লক্ষ্যে সফল উমেশরা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন উমেশ। নবম ওভারের তৃতীয় বলে বাটলারকে তুলে নেন টিম সাউদি। ২৫ বলে তিনি ২২ রান করে আউট হন। আগের ম্যাচগুলোর মতো দাপট দেখাতে পারেননি বাটলার। এরপর অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন করুণ নায়ার। ১৩ বলে ১৩ রান করে অনুকূল রায়ের বলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। রিয়ান পরাগ ১২ বলে করেন ১৯। দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৪৯ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। শেষদিকে ঝড় তুলে ১৩ বলে ২৭ রান করে রাজস্থানকে ১৫২/৫ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন শিমরন হেটমায়ার। ৪৬ রানে ২ উইকেট নেন সাউদি। ১ টি করে উইকেট পান উমেশ যাদব, অনুকূল রায় ও শিবম মাভি।

মে ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বাটলার আটকে যেতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ রাজস্থানের, মান বাঁচালেন সঞ্জু

প্লে অফের ছাড়পত্র আসবে কিনা সেকথা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারও খুব বেশি আশাবাদী নন। সম্মান বাঁচানোই এখন মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল শ্রেয়সরা। জস বাটলার, সঞ্জু স্যামসন সমৃদ্ধ রাজস্থান রয়্যালসকে আটকে রাখল মাত্র ১৫২/৫ রানে। দারুণ বোলিং করলেন উমেশ যাদব, সুনীল নারাইনরা। বাটলার আটকে যেতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ রাজস্থানের। ডু অর ডাই ম্যাচে এদিন প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। খারাপ ফর্মের জন্য প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়ের গতবছর দলকে প্লে অফে তোলার নায়ক ভেঙ্কটেশ আয়ার। তাঁর পরিবর্তে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন অনুকূল রায়। এছাড়াও প্রথম একাদশে নেওয়া হয় শিবম মাভিকে। অন্যদিকে, ড্যারিল মিচেলের জায়গায় করুণ নায়ারকে প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। টস জিতে এদিন রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। উমেশ যাদবদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল জস বাটলারের ঝড় আটকানো। নাইট বোলাররা সেই কাজে সফল। এদিন দারুণ শুরু করেছিলেন উমেশ যাদব। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন দলকে টেনে নিয়ে গেলেও সেই দাপট ছিল না। নবম ওভারের তৃতীয় বলে বাটলারকে তুলে নেন টিম সাউদি। ২৫ বলে তিনি ২২ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন করুণ নায়ার। প্রথম একাদশে এদিন সুযোগ পেয়েও নিজেকে অবশ্য ভালভাবে মেলে ধরতে পারলেন না করুণ নায়ার। ১৩ বলে ১৩ রান করে তিনি অনুকূল রায়ের বলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। রিয়ান পরাগ ১২ বলে ১৯ রান করে সাউদির বলে আউট হন। একের পর এক উইকেট পেলেও দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৪৯ বলে ৫৪ রান করে তিনি শিবম মাভির বলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সুনীল নারাইন, উমেশ যাদবরা এদিন একেবারেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগ দেননি সঞ্জুকে। শেষদিকে ঝড় তুলে ১৩ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শিমরন হেটমায়ার। তাঁর সৌজন্যেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫২/৫ রানে পৌঁছয় রাজস্থান রয়্যালস। ৪৬ রানে ২ উইকেট নেন সাউদি। ১ টি করে উইকেট পান উমেশ যাদব, অনুকূল রায় ও শিবম মাভি।

মে ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌সংসারে অশান্তির আগুন নিয়ে রাজস্থানের বিরুদ্ধে নামছে নাইট রাইডার্স

সোমবার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নাইট রাইডার্সের কাছে বলতে গেলে ডু অর ডাই ম্যাচ। প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই শ্রেয়স আয়ারের দলের কাছে। এই রকম মরণবাঁচন ম্যাচের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়ে নাইট শিবির।চলতি আইপিএলে শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ৪ ম্যাচে তিনটিতে জিতে শুরুর দিকে বেশ ভাল জায়গাতেই ছিল। তারপর হঠাৎই ছন্দপতন। শেষ পাঁচটি ম্যাচ হেরে একেবারে খাদের কিনারে। প্লে অফের ছাড়পত্র পেতে গেলে বাকি ম্যাচগুলিতে জিততেই হবে নাইট রাইডার্সকে। এই অবস্থায় সোমবার এমন একটা দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে, যারা যথেষ্ট ভাল ছন্দে রয়েছে। সুতরাং নাইটদের কাছে কাজটা যে সহজ হবে না, সেকথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।প্লে অফের ছাড়পত্র পেতে গেলে বাকি সব ম্যাচেই জিততে হবে নাইটদের। কাজটা যে যথেষ্ট কঠিন, সেকথা খুব ভালভাবেই জানেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তাই প্লে অফের স্বপ্ন তিনি দেখছেন না। শ্রেয়সের একটাই লক্ষ্য দলের সম্মান রক্ষা করা। সেই লক্ষ্যেই সতীর্থদের নিজেদের উজার করে দেওয়ার কথা বলেছেন। যদিও নাইট শিবিবের অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যার নমুনা পাওয়া গেছে টিম সাউদির কথায়। দলের এই জোরে বোলার সরাসরি ওপেনারদের দিকে আঙুল তুলেছেন। প্যাট কামিন্সকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।জস বাটলারের কথা মাথায় রেখে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্যাট কামিন্সকে প্রথম একাদশে ফেরানোর ভাবনা শুরু হয়েছে। ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেলদের ফর্মও চিন্তায় রাখছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে। ব্যাটে একমাত্র রান রয়েছে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ও নীতিশ রানার। নীতিশ রানাকে কেন আরও ওপরে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আসলে সঠিক কম্বিনেশন বেছে নিতে না পারার জন্যই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নাইট রাইডার্সকে। গতবছর আইপিএলে শেষ পর্বে টানা ম্যাচ জিতে প্লে অফে পৌঁছে গিয়েছিল নাইটরা। এবছর কাজটা একটু বেশিই কঠিন।দুই দলের সাক্ষাৎকারে নাইট রাইডার্স সামান্য হলেও এগিয়ে রয়েছে। ২৬ সাক্ষাৎকারের মধ্যে নাইটরা জিতেছে ১৩টি ম্যাচে, অন্যদিকে রাজস্থান জিতেছে ১২ ম্যাচে। চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকারে ৭ রানে জিতেছিল রাজস্থান রয়্যালস। এবার নাইটদের সামনে প্রতিশোধের সুযোগ। শ্রেয়স আয়ারের দলকে জিততে গেলে জস বাটলারকে আটকাতেই হবে।

মে ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

নাইট রাইডার্সকে ভেন্টিলেশনে ঠেলে দিলেন প্রাক্তনী কুলদীপ

গত বছর আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্লে অফের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ মরশুমে সেই সম্ভাবনা যথেষ্ট ক্ষীণ। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এদিন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারল ৪ উইকেটে। টানা ৫ ম্যাচ হেরে প্লে অফের রাস্তা যথেষ্ট কঠিন করে ফেলল নাইটরা। নাইটদের ভেন্টিলেশনে ঠেলে দিলেন কুলদীপ যাদব। দুরন্ত বোলিং করে নাইটদের ব্যাটিংকে তছনছ করে দেন।দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এদিন শুরুটা ভাল হয়নি নাইট রাইডার্সের। নাইট শিবির থেকেও প্রত্যাঘাত এসেছিল দারুণভাবেই। ১৪৬ রান হাতে নিয়ে ম্যাচ জিততে গেলে বোলারদের জ্বলে ওঠাটা জরুরি। প্রথম বলেই পৃথ্বী শকে (০) তুলে নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন উমেশ যাদব। নিজের বলেই তিনি পৃথ্বীর ক্যাচ নেন। পরের বলেই আরও একটা উইকেট পেতে পারতেন উমেশ। তাঁর বল মিচেল মার্শের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপার বাবা ইন্দ্রজিতের সামনে পড়ে বেরিয়ে যায়। প্রথম ওভারেই ওঠে ১১। দ্বিতীয় ওভারে আবার ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই দলকে দারুণ ব্রেক থ্রু এনে দেন ২০ বছর বয়সী তরুণ জোরে বোলার হর্ষিত রানা। তুলে নেন মিচেল মার্শকে। ফ্লিক করতে গিয়ে ডিফ স্কোয়ার লেগে ভেঙ্কটেশ আয়ারের হাতে সহজ ক্যাচ দেন মার্শ (৭ বলে ১৩)। ১৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দেন ললিত যাদব ও ডেভিড ওয়ার্নার। গতবছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জার্সি গায়ে নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। এবছর নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে তুলে নেয়। দিল্লির জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তারপর থেকেই দারুণ ছন্দে এই অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে এদিনও দারুণ চাপ সামলালেন। ললিত যাদবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে উমেশ যাদব বল করতে এসে ওয়ার্নার (২৬ বলে ৪২) ও ঋষভ পন্থকে (২) তুলে নেন। অন্যদিকে ললিত যাদবকে (২২) ফেরান সুনীল নারাইন। পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। চাপ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দেন অক্ষর প্যাটেল (১৭ বলে ২৪) ও রভম্যান পাওয়েল (১৬ বলে অপরাজিত ৩৩)। ১ ওভার বাকি থাকতে ১৫০/৬ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণির সামনে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। যদিও নাইট শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন চেতন সাকারিয়া। দ্বিতীয় ওভারে তিনি অ্যারন ফিঞ্চের (৩) স্টাম্প ছিটকে দেন। এদিন লোয়ার অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৬)। তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ। অষ্টম ওভারে পরপর দুবলে বাবা ইন্দ্রজিৎ (৬) ও সুনীল নারাইনকে (০) তুলে নিয়ে নাইটদের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান কুলদীপ যাদব। জ্বলে ওঠার মুখে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকেও (৩৭ বলে ৪২)। তুলে নেন। পরের বলেই ফেরান রাসেলকে (০)। নীতিশ রানা (৩৪ বলে ৫৭) ও রিঙ্কু সিংয়ের (১৬ বলে ২৩) সৌজন্যে ১৪৬/৯ রানে পৌঁছয় নাইট রাইডার্স। ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

প্রাক্তন সৈনিক কুলদীপের ঘূর্ণিতেই বেহাল দশা নাইট রাইডার্সের

বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শ্রেয়স আয়ারদের কাছে ম্যাচটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে জিততেই হত নাইট রাইডার্সকে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ। প্রাক্তন সৈনিক কুলদীপ যাদবের স্পিনেই বেসামাল নাইটরা। তাঁর ঘূর্ণিতে ভেঙে পড়ল নাইটদের মিডল অর্ডার। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৪৬ তুলল নাইট রাইডার্স। ১৪ রানে ৪ উইকেট নিলেন কুলদীপ। গত বছর আইপিএলে প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছিল। শেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতে প্লে অফের টিকিট জোগাড় করে নিয়েছিল নাইটরা। কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা অতীতে রয়েছে নাইট রাইডার্সের। এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারল না। টানা ৪ ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে জয়ে ফেরার লক্ষ্যে এদিন প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল নাইট রাইডাস। প্রথম একাদশে ফেরানো হয় অ্যারন ফিঞ্চ। এছাড়া এদিন প্রথম সুযোগ দেওয়া হয় বাবা ইন্দ্রজিৎ ও হর্ষিত রানাকে। প্রথম একাদশে ফেরার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফিঞ্চ। একবার জীবন পেয়েও মাত্র ৩ রান করে আউট হন। টস জিতে এদিন নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় ওভারে চেতন সাকারিয়ার দ্বিতীয় বলে অ্যারন ফিঞ্চের ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি রভম্যান পাওয়েল। পরের বলেই অবশ্য ফিঞ্চের (৩) স্টাম্প ছিটকে দেন সাকারিয়া। প্রথম একাদশে ফিরেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। এদিন ওপেনিংয়ে ফেরানো হয়েছিল ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৬)। তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ। অষ্টম ওভারে পরপর দুবলে বাবা ইন্দ্রজিৎ (৬) ও সুনীল নারাইনকে (০) তুলে নিয়ে নাইটদের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান কুলদীপ যাদব। এরপর নীতিশ রানাকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার (৩৭ বলে ৪২)। পরপর দুবলে শ্রেয়স ও আন্দ্রে রাসেলকে (০) তুলে নিয়ে আবার নাইটদের চাপে ফেলে দেন কুলদীপ। শেষ পর্যন্ত নীতিশ রানা (৩৪ বলে ৫৭) ও রিঙ্কু সিংয়ের (১৬ বলে ২৩) সৌজন্যে ১৪৬/৯ রানে পৌঁছয় নাইট রাইডার্স। দুরন্ত বোলিং করে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ। ১৮ রানে ৩ উইকেট মুস্তাফিজুরের।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঘুরে দাঁড়াতে গত বছরের পারফরমেন্সই প্রেরণা নাইটদের কাছে

প্রথম ৪ ম্যাচে ৩টিতে জয়। তারপর টানা ৪ ম্যাচে হার। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবিলে অষ্টম স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। টানা ৪ ম্যাচে পরাজয় পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে নাইট রাইডার্সের। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হচ্ছে শ্রেয়স আয়ারের দল। প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে জিততেই হবে নাইট রাইডার্সকে।কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা অতীতে রয়েছে নাইট রাইডার্সের। গত বছর আইপিএলে প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছিল। শেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতে প্লে অফের টিকিট জোগাড় করে নিয়েছিল নাইটরা। সেই ঘটনা প্রেরণা হয়ে উঠতে পারে নাইটদের কাছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে গত বছরের উদাহরণ তুলে ধরেছেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তাঁর আশা এবছরও তেমন কিছু ঘটাতে পারবে দল। সতীর্থদের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না শ্রেয়স আয়ার।দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে নাইট অধিনায়ক বলেছেন, প্রথম ৪ ম্যাচের মধ্যে আমরা তিনটিতে জিতেছিলাম। তারপর ছন্দ হারিয়েছি। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয়নি। আশা করছি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দল ছন্দে ফিরবে। দিল্লির বিরুদ্ধে জিতলেই আমাদের থামানো কঠিন হবে। সতীর্থদের ওপর ভরসা আছে। আশা করছি দিল্লির বিরুদ্ধেই দল ঘুরে দাঁড়াবে। ইডেন গার্ডেন্সে প্লে অফ খেলার দিকেও তাকিয়ে নাইট রাইডার্স অধিনায়ক।দিল্লি ক্যাপিটালস ও নাইট রাইডার্স, দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে দল এই ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারবে, প্লে অফের লড়াইয়ে তারাই অক্সিজেন পেয়ে যাবে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে অবশ্য কিছুটা হলেও নাইটরা এগিয়ে রয়েছে। দুই দলের ৩০ বার সাক্ষাৎকারের মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স জিতেছে ১৬ ম্যাচে। ১৩টি ম্যাচ জিতেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। একটা ম্যাচে কোনও ফলাফল হয়নি।দুই দলই অবশ্য সমস্যা নিয়েই বৃহস্পতিবার মাঠে নামতে চলেছে। নাইট রাইডার্স যেমন এখনও প্রথম একাদশ তৈরি করে উঠতে পারেনি। একই অবস্থা দিল্লি ক্যাপিটালসেরও। নাইটদের সবথেকে বড় মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে রহস্যময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর ফর্ম। তাংর রহস্য ধরে ফেলেছেন বিপক্ষের ব্যাটাররা। দলের ব্যাটারদেরও ধারাবাহিকতার অভাব। সাম বিলিংস, শেলডন জ্যাকসনরাও দলকে ভরসা দিতে ব্যর্থ। ওপেনিং জুটি ক্লিক করছে না। সুনীল নারাইনকে দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। তিনিও ব্যর্থ। দিল্লির বিরুদ্ধে হয়তো ভেঙ্কটেশ আয়ারকে আবার ওপেনিংয়ে ফেরানো হতে পারে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শেষ ওভারে ৪ উইকেট! তবুও কুম্বলের রেকর্ড অধরা রাসেলের‌

১৯ ওভার শেষে গুজরাট টাইটান্সের রান ছিল ১৫১/৫। ইনিংসের শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। ম্যাচে ওটাই ছিল রাসেলের প্রথম ওভার। বল হাতে বিধ্বংসী ভূমিকায় অবতীর্ণ দ্রেরাস। শেষ ওভারে তুলে নিলেন চার-চারটি উইকেট। আইপিএলের ইতিহাসে ১ ওভারের স্পেলে এটাই সেরা বোলিং। তবে সেরা বোলিং করেও অনিল কুম্বলের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারলেন না আন্দ্রে রাসেল। আইপিএলে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বোলাদের তালিকা যথেষ্ট লম্বা। তবে সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে। আইপিএলে তাঁর সেরা বোলিং ৫ রানে ৫ উইকেট। ২০০৯ সালে কেপ টাইনে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে এই রেকর্ড গড়েছিলেন কুম্বলে। ৩.১ ওভার বল করে ১টিসহ ৫ উইকেট নিয়েছিলেন কুম্বলে। আর এদিন গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন রাসেল। আইপিএলে এটাই অবশ্য আন্দ্রে রাসেলের সেরা বোলিং নয়। দুদুবার তিনি ৫ উইকেট নিয়েছেন। তিনি সেরা বোলিং করেছিলেন গতবছর আইপিএলে। চেন্নাইয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩.২ ওভার বল করে ১৫ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ইনিংসের ১৮ তম ওভারে পরপর ২ বলে ফিরিয়েছিলেন কায়রণ পোলার্ড ও মার্কো জানসেনকে। আর শেষ ওভারে তুলে নিয়েছিলেন ক্রূণাল পাণ্ডিয়া, যশপ্রীত বুমরা ও রাহুল চাহারকে। এদিন গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ইনিংসের শেষ ওভারে রাসেলের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। প্রথম ও দ্বিতীয় বলে ফেরান অভিনব মনোহর ও লকি ফার্গুসনকে। পঞ্চম ও শেষ বলে তুলে নেন রাহুল তেওয়াটিয়া ও যশ দয়ালকে। যশ দয়ালকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন রাসেল। বাকি তিনজনের ক্যাচ ধরেন রিঙ্কু সিং।এবারের আইপিএলে খুব বেশি বোলিং করার সুযোগ পাননি আন্দ্রে রাসেল। গুজরাট টাইটান্স ম্যাচ নিয়ে মোট বল করেছেন ১৪.৪ ওভার। ৮ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১০ উইকেট। চলতি আইপিএলে এই ম্যাচের আগে রাসেলের সেরা বোলিং ছিল ২০ রানে ২ উইকেট, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৩৮ রানে তুলে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে কোনও উইকেট পাননি। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে শূন্য রানে ১ উইকেট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে উইকেটহীন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১ উইকেট। আগের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১ উইকেট।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রাসেলের অলরাউন্ড পারফরমেন্সেও জয়ে ফিরল না নাইট রাইডার্স

বল ও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স সত্ত্বেও জয় অধরা থেকে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। গুজরাট টাইটান্সের কাছে শ্রেয়স আয়ারের দলকে হারতে হল ৮ রানে। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মূল্যহীন হয়ে গেল আন্দ্রে রাসেলের লড়াই। বল হাতে ৫ রানে নিলেন ৪ উইকেট। ব্যাট হাতে ২৫ বলে করেন ৪৮ রান। গুজরাটের তোলা ১৫৬/৯ রানের জবাবে ১৪৮/৮ রানে থেমে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংস। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট টাইটান্স। শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ঋদ্ধিমান সাহা। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান শুভমান (৭)। তাঁকে তুলে নেন টিম সাউদি। এরপর গুজরাটকে টেনে নিয়ে যান ঋদ্ধিমান ও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। জুটিতে ওঠে ৭৫। রান তোলার গতি খুব একটা খারাপ ছিল না গুজরাটের। ১০.২ ওভারে উঠে যায় ৮৩। এরপরই ধাক্কা। ঋদ্ধিকে (২৫ বলে ২৫) তুলে নেন উমেশ যাদব। সপ্তদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ডেভিড মিলার ২০ বলে ২৭ রান করে আউট হন। তাঁকে তুলে নেনে শিবম মাভি। পরের ওভারেই হার্দিককে ফেরান টিম সাউদি। ৪৯ বলে তিনি করেন ৬৭। শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের হাতে বল তুলে দেন শ্রেয়স আয়ার। শেষ ওভারে চমক রাসেলের। চারচারটি উইকেট তুলে নেন। এক ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৫ রান খরচ করে তিনি পান ৪ উইকেট। শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে রাসেল তুলে নেন অভিনব মনোহর (২) ও লকি ফার্গুসনকে (০)। ওভারের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বলে তিনি তুলে নেন রাহুল তেওয়াটিয়া (১৭) এবং যশ দয়ালকে (০)। ১৫৬/৯ রানে থেমে যায় গুজরাট। ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিন প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অ্যারন ফিঞ্চের পরিবর্তে দলে স্যাম বিলিংস, প্যাট কামিন্সের পরিবর্তে টিম সাউদি এবং শেলডন জ্যাকসনের পরিবর্তে রিঙ্কু সিং। রিঙ্কু এবং সাউদি ম্যাচে অবদান রাখলেও ব্যর্থ হয়েছেন স্যাম বিলিংস (৪)। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল নাইট রাইডার্স। এরপর লড়াই চালান রিঙ্কু সিং (৩৫), ভেঙ্কটেশ আয়ার (১৭)। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ডুবতে হল কলকাতাকে। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার আউট হন ১২ রানে। নীতীশ রানা করেন ২। সুনীল নারাইনের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। শেষ দিকে লড়াই করেন রাসেল। তবে ২০ ওভারে ১৪৮/৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি নাইটরা। গুজরাতের হয়ে ২টি করে উইকেট পান মহম্মদ শামি, যশ দয়াল ও রশিদ খান।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

'রক্তপলাশ'-এর প্রথম লুক প্রকাশ্যে এল

KLIKK OTT প্ল্যাটফর্মে পরিচালক হিসাবে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাজ ওয়েব সিরিজ রক্তপলাশ আসছে সেটার ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়েছিল। এবার প্রকাশ্যে এল রক্তপলাশ-এর প্রথম পোস্টার। তবে এই সিরিজে সব অভিনেতা অভিনেত্রীদের দেখা না গেলেও ছবির পোস্টারে দেখা যাচ্ছে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ছুটে যাচ্ছে একরত্তি একটি মেয়ে। তার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। পিছনে হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে দুজন। তাঁদের পরিচয় অবশ্য স্পষ্ট নয়।সুত্র মারফত জানা যায়, একবিংশতি-র ভয়ঙ্কর রমহর্ষক জঙ্গলমহলের ওপর আধারিত এই কাহিনি। মেদনীপুরের জঙ্গলমহলের সুরমা ফক্সহোল রিসর্টে সমাজের বিশিষ্ট সাতজন ব্যক্তি ঘুড়তে আসাকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে এই কাহিনী। প্রথমদিকে সকলে বেড়ানোর আন্দে মজে গেলেও রাতের আড্ডায় তাঁদের অতীতের অনৈতিক ঘটনা একে একে সামনে আসতে থাকে ঘটনা পরম্পরায়। আর সাথে সাথেই ছুটি কাটাতে এসে সাম্রিক বাহিনী ও চরমপন্থীদের লড়াইয়ে মাঝে পড়ে তাঁদের ভালো মানুষের মুখোশ খুলে পড়ে কঙ্কাল বেড়িয়ে পড়ে। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের এই ওয়েব সিরিজের চরিত্রায়ণেও বৈচিত্র্য রয়েছে। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন শিলাজিৎ, দেবদূত ঘোষ, অনন্যা সেনগুপ্ত। এদের পাশাপাশি এই সিরিজে অভিনয় করছেন উৎসব মুখোপাধ্যায়, রোজা পারমিতা দে, অসীম রায় চৌধুরী, শুভজিত কর, মৌমিতা পণ্ডিত, দীপঙ্কর, মৌসুমি দালাল, বেবি তামান্না, কোয়েল মিত্র, সুব্রত দাশগুপ্ত প্রমুখ।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
রাজ্য

দিল্লিতে বাঙালিকে বাংলাদেশি চিহ্নিত করে অত্যাচার, প্রতিবাদের ঝড় বাংলা পক্ষর

দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় বাঙালিদের ঘরবাড়ি, দোকান ভাঙার ও বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে বাংলা পক্ষ। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অমিত সেন, ও চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলা সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীণের সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার, উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে। এছাড়াও এই মহামিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা।এই মিছিল থেকে দিল্লির সরকারের বাঙ্গালিদের উপরে আক্রমণ, দোকানপাট, ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনা ন্যাক্কারজনক। দিকে দিকে বাঙালিদের উপর আক্রমণ এবং বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাকে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে। বাংলা পক্ষ এই ঘটনার প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, কলকাতা সহ প্রতিটি জেলায় বাংলা পক্ষ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদে নামছে। শুধু দিল্লি না, এই কলকাতায়, এরাজ্যের নানা জায়গায় বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাঙালিকে বাংলাদেশি বলে প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার হতে হয়। আগামিতে বহিরাগতরা যাতে বাঙালিকে বাংলাদেশি বলার সাহস না পায়, তার জন্য বাংলা পক্ষর প্রতিরোধ তীব্র হবে। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, বাঙালিকে বাংলাদেশি বলা ধিক্কারজনক ঘটনা।এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামিদিনে বাংলাপক্ষ আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। বাংলা পক্ষ দলমত ও ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের আপামর বাঙালিকে প্রতিবাদে মুখর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

এপ্রিল ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বাটলারের ঝড়, চাহালের ঘূর্ণিতে বেসামাল কলকাতা নাইট রাইডার্স

ব্যাটে দাপট জস বাটলারের। দুরন্ত সেঞ্চুরি। বল হাতে জ্বলে উঠলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হ্যাটট্রিকসহ নিলেন ৫ উইকেট। এই দুজনের দাপটেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৭ রানে জিতল রাজস্থান।টস জিতে এদিন রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দারুণ ছন্দে থাকা জস বাটলার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রাজস্থান তুলে ফেলে ৬০। এর মধ্যে বাটলারেরই একার ছিল ৪৬, দেবদত্ত পাড়িক্কলের অবদান মাত্র ৮। প্যাট কামিন্সসহ কোনও বোলারকেই নিস্তার দেননি বাটলার। ২৯ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন বাটলার। নাইট রাইডার্সকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দলের জার্সি গায়ে ১৫০ তম আইপিএল ম্যাচ খেলা সুনীল নারাইন। দশম ওভারের চতুর্থ বলে তুলে নেন দেবদত্ত পাড়িক্কলকে। ১৮ বলে ২৪ রান করে আউট হন পাড়িক্কল। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বাটলারের তান্ডবও অব্যাহত ছিল। ১৯ বলে ৩৮ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে শিবম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সঞ্জু। তিনি আউট হওয়ার পরপরই প্যাট কামিন্সের বলে ৬ মেরে চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। তাঁর সেঞ্চুরি আসে ৫৯ বলে। প্যাট কামিন্সের ওই ওভারেই বরুণ চক্রবর্তীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাটলার। ৬১ বলে তিনি করেন ১০৩। বাটলারের ইনিংসে রয়েছে ৯টি ৪ ও ৫টি ৬। বাটলার আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান রিয়ান পরাগ (৫)। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৭ তোলে রাজস্থান রয়্যালস। ১৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকতেন শিমরন হেটমায়ের। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন করেছিল নাইট রাইডার্স। ভেঙ্কটেশ আয়ারের পরিবর্তে এদিন ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছিল সুনীল নারাইনকে। একবলও খেলার সুযোগ পাননি নারাইন (০)। প্রথম বলেই হেটমায়ারের দুরন্ত থ্রোতে রান আউট হন। এরপর নাইটদের টেনে নিয়ে যান অ্যারন ফিঞ্চ ও অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। দুজনের জুটিতে ওঠে ১০৭। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে দারুণ ইনিংস খেলেন ফিঞ্চ। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৫৮ রান করে তিনি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে আউট হন। ফিঞ্চ আউট হওয়ার পর অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টানছিলেন নীতিশ রানা। ১১ বলে ১৮ রান করে তিনি যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হন। রাসেলও (০) ১ বলের বেশি স্থায়ী হননি। তাঁকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরপর ২ উইকেট হারালেও চাপে পড়েননি নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৭ ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট তুলে নেন। প্রথম বলে ফেরান ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৬), চতুর্থ বলে তুলে নেন শ্রেয়সকে (৫১ বলে ৮৫)। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে ফেরান শিবম মাভি (০) ও প্যাট কামিন্সকে (০)। উমেশ যাদব (৯ বলে ২১) শেষ দিকে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। নাইটদের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে শেলডন জ্যাকসন (৮) ও উমেশকে তুলে নিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন ওবেদ ম্যাকয় (২/৪১)। ১৯.৪ ওভারে ২১০ রানে গুটিয়ে যায় নাইটদের ইনিংস। ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন চাহাল।

এপ্রিল ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

১৬ দিনের ব্যবধানে আবার সেঞ্চুরি!‌ কোহলিদের রেকর্ড স্পর্শ বাটলারের

মাত্র ১৬ দিনের ব্যাবধানে দুদুটি সেঞ্চুরি! চলতি আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শ করে ফেললেন বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইলদের রেকর্ড। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আবার জ্বলে উঠলেন। তাঁর দুরন্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২১৭/৫ রান তুলল রাজস্থান রয়্যালস। বাটলারের আগে ৫ জন ব্যাটার একটা আইপিএলে দুদুটি সেঞ্চুরি করেছেন। এরা হলেন বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, শিখর ধাওয়ান, হাসিম আমলা ও শেন ওয়াটসন। তালিকায় নতুন সংযোজন জস বাটলার। আইপিএলে বাটলারের এটা তৃতীয় সেঞ্চুরি। ২০১১ সালে গেইল দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৫ দিনের ব্যবধানে। ২০১৭ আইপিএলে দুটি সেঞ্চুরি করেন হাসিম আমলা, পরের মরশুমে দুটি সেঞ্চুরি করেন শেন ওয়াটসন। ২০২০ আইপিএলে দুদুটি সেঞ্চুরি করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ফাইনালে তুলেছিলেন শিখর ধাওয়ান। আর চলতি আইপিএলে ১৬ দিনের ব্যবধানে দুদুটি সেঞ্চুরি করলেন বাটলার।টস জিতে এদিন রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। ফিল্ডিং নেওয়ার সময় দুটি বিষয় মাথায় রেখেছিলেন শ্রেয়স। এক, রাতের দিকে শিশির ও দুই, মাঠের একদিকের ছোট বাউন্ডারি। এতে রান তাড়া করতে সুবিধা হবে। সঞ্জু স্যামসনেরও পরিকল্পনা ছিল টস জিতলে ফিল্ডিং নেওয়া। কিন্তু তাঁর সেই সৌভাগ্য হয়নি। তবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানকে তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দারুণ ছন্দে থাকা জস বাটলার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রাজস্থান তুলে ফেলে ৬০। এর মধ্যে বাটলারেরই একার ছিল ৪৬, দেবদত্ত পাড়িক্কলের অবদান মাত্র ৮। প্যাট কামিন্সসহ কোনও বোলারকেই নিস্তার দেননি বাটলার। ২৯ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন বাটলার। নাইট রাইডার্সকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দলের জার্সি গায়ে ১৫০ তম আইপিএল ম্যাচ খেলা সুনীল নারাইন। দশম ওভারের চতুর্থ বলে তুলে নেন দেবদত্ত পাড়িক্কলকে। ১৮ বলে ২৪ রান করে আউট হন পাড়িক্কল। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বাটলারের তান্ডবও অব্যাহত ছিল। ১৯ বলে ৩৮ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে শিবম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সঞ্জু। তিনি আউট হওয়ার পরপরই প্যাট কামিন্সের বলে ৬ মেরে চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। তাঁর সেঞ্চুরি আসে ৫৯ বলে। প্যাট কামিন্সের ওই ওভারেই বরুণ চক্রবর্তীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাটলার। ৬১ বলে তিনি করেন ১০৩। বাটলারের ইনিংসে রয়েছে ৯টি ৪ ও ৫টি ৬। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৭ তোলে রাজস্থান রয়্যালস।

এপ্রিল ১৮, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal