• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

INC

দেশ

Terrorists attack: ভূ-স্বর্গে জঙ্গি হামলা, ২ পুলিশকর্মী-সহ নিহত ৫

আবার অশান্ত ভূ-স্বর্গ (Jammu And Kashmir)। জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল ৫ জনের। শনিবার বিকেলে জঙ্গি হামলা হয় উত্তর কাশ্মীরের সোপোরে। সেখানেই জঙ্গিদের হাতে শহিদ হন ২ পুলিশকর্মী। জঙ্গিদের হামলায় দুজন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারিয়েছেন। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে যে জওয়ানরা ফিরছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্য করেই হামলা চালায় জঙ্গিরা।Terrible news coming in from Sopore. Such attacks must be condemned without reservation. Prayers for the injured condolences to the families of the deceased. https://t.co/MzsnpHxKSQ Omar Abdullah (@OmarAbdullah) June 12, 2021সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দিনের মতো এ দিনও পেট্রলিংয়ে বেরিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মীরা। তখনই সোপোর শহরের প্রধান চকের কাছে জঙ্গিদের হামলার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ পুলিশকর্মী ও দুজন সোপোরবাসীর। আহত হন আরও ২ পুলিশকর্মী। ইনসপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বিজয় কুমার জানিয়েছেন, হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩ পুলিশকর্মী।Five succumb in Sopore attack. 3 civilians and 2 police men. Mr gunmen Approximately5 Kashmiri funerals. 5 widows. 10 grieving old parents. A dozen or more orphans. All Kashmiris. So mr gunmen. Really want to know. Whose bloody side r u on. Sajad Lone (@sajadlone) June 12, 2021ইতিমধ্যেই হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজে ইনসপেক্টর কুমারের নেতৃত্বে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আদুল্লাহ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীর পিওপলস কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সজদ লোন টুইট করে সন্ত্রাস দমনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

জুন ১২, ২০২১
রাজ্য

Lightning: বজ্রপাত বৃদ্ধি, বর্ধমানের জামালপুরে কারণ অনুসন্ধানে ব্যস্ত বিশেষজ্ঞরা

রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাশাপি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা।সোমবার একদিনে রাজ্যে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন।এই ঘটনার ঠিক ৩ দিন আগে অর্থাৎ গত শনিবার বজ্রপাতে পূর্ব বর্ধমানের জমালপুর ব্লকের ৪ জন বাসিন্দা মারা যান বজ্রপাতে। জখম হন একজন। এর পরেরদিন ফের বজ্রপাতে জামালপুরের এক নাবালিকা ও কালনা মহকুমার এক বাসিন্দা বজ্রপাতে মারা যান।প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সালের বর্তমান সময় পর্যন্ত বজ্রপাতে জামালপুরে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে জামালপুরে বজ্রপাত বৃদ্ধির কি কারণ তা এখন খুঁজে পেতে চাইছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জেলা শাসকের নির্দেশে বজ্রপাত সংক্রান্ত বিষয়ে জামালপুরের জনসাধারণকে সচেতন করার প্রচার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে । বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ জলবায়ু ও আবহাওয়াজনিত নেতিবাচক পরিবর্তন। এছাড়াও দূষণের জেরে ভাসমান ধূলিকণা বেড়ে যাওয়ার প্রভাবেও বজ্রপাতের ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। মূলত, দূষণের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতিই নির্দিষ্ট জায়গায় ক্রমবর্ধমান বাজপড়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলেই মত গবেষকদের। একই সঙ্গে তাঁরা মনে করছেন, উষ্ণায়ন ও যথেচ্ছভাবে সবুজ ধ্বংসও বজ্রপাত বৃদ্ধির অন্যতম একটা কারণ । বিশেষজ্ঞদে মতে, দিবাভাগে সৌরতাপ বৃদ্ধির কারণে সীমানা স্তর অত্যধিক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । তার ফলে বায়ুমণ্ডলে তৈরি হওয়া অস্থিরতা থেকেই বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়। গবেষকরা আরও বলছেন, তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়লে বজ্রপাতের সম্ভাবনা ৫০ ভাগ বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণ, বড় বড় গাছ কেটে ফেলা। বড়বড় গাছপালা বজ্রনিরোধক হিসেবেও কাজ করে। আর বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার পরেও খোলা স্থানে মানুষের কাজ করা এবং বজ্রপাতের বিষয়ে অসচেতনতাও বজ্রপাতে প্রাণহানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, বজ্রপাত নিয়ে জামালপুরে সচেতনতার প্রচার শুরু করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানকার বজ্রপাত সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য-সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত চাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ১৬টি জায়গায় লাইটনিং ডিটেক্টরের মাধ্যমে আগাম বাজ পড়ার সঙ্কেত পাওয়া যায়। জেলাপ্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য-সম্বলিত রিপোর্ট মেলার পর জামালপুরে ওই প্রযুক্তি লাগানো যায় কি না তা দেখা হবে। জামালপুর ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক ফাল্গুণী মুখোপাধ্যায় বলেন, বজ্রপাত হওয়া এলাকাগুলির তথ্য সংগ্রহ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

জুন ০৯, ২০২১
দেশ

কোভিশিল্ডের দুই টিকার ব্যবধান বেড়ে হল ৩ থেকে ৪ মাস

কোভিশিল্ডের দুটি টিকার ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার প্রস্তাব গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে ব্যবধান ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ, এ বার সেটিই বেড়ে হবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। বৃহস্পতিবার দুপুরেই সরকারের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কেন্দ্রকে প্রস্তাব দেয়, দুটি টিকার ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার। বিকেলের দিকে সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল কেন্দ্র।এই নিয়ে তিন মাসে দ্বিতীয়বার কোভিশিল্ডের দুটি টিকা নেওয়ার ব্যবধান বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে টিকাকণের একেবারে শুরুতে কোভিশিল্ডের দুটি টিকার ব্যবধান ছিল ২৮ দিনের। তারপর বিশেষজ্ঞ কমিটি মার্চ মাসে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে জানায়, ভাল ফলের জন্য টিকা ব্যবধান ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করতে। সেটিই এখন বাড়িয়ে করা হল ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ।টিকা নিয়ে এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নতুন প্রস্তাব বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাতে বলা হয়েছে, কোভিডে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠার অন্তত ৬ মাস পর টিকা নিতে পারবেন। কারণ, এতে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যাক্তির শরীরে অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে সুস্থ হওয়ার ১৪ দিন পর টিকা নেওয়া যায়, সেটাই বাড়িয়ে ছমাস করার কথা বলা হয়েছে।

মে ১৩, ২০২১
রাজ্য

শীতলকুচি কাণ্ডে সাসপেন্ড কোচবিহারের পুলিশ সুপার

রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতেই প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদল হয়েছে পুলিশ কর্তারাও। কোপ পড়েছে কোচবিহার পুলিশ সুপারের উপরেও। প্রশাসন সূত্রের খবর, ভোটের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনার জেরেই সুপারকে সাসপেন্ড করা হল। কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা ভোটারদের উপর গুলি চালিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করতে পারে রাজ্য।ভোটের আগেই দিনহাটায় এক বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুকে কাণ্ড করে উত্তাল হয় দিনহাটা। বিজেপি সাংসদ তথা বিধায়ক নীশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্ব দিনহাটার শহরাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এর পরই নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিল কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার কে কান্নান। তাঁকে সরিয়ে জেলার পুলিশ সুপার করা হয় দেবাশিস ধরকে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ ছিল, দেবাশিসবাবু বিজেপির হয়ে ভোটের সময় কাজ করছিলেন। এর মাঝেই চতুর্থ দফা ভোটের দিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে ভোটারদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। চারজনের মৃত্যুও হয়। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি। কিন্তু তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক ছিনতাই করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গুজবের জেরে প্রায় ১৫০ জন গ্রামবাসী ঘিরে ফেলেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। তাই আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় জওয়ানরা। সে কথা অবশ্য মানতে রাজি ছিলেন না তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছুটে গিয়েছিল শীতলকুচিতে। আশ্বাস দিয়েছিলেন ক্ষমতায় ফিরলে গুলিকাণ্ডের তদন্ত হবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে।

মে ০৬, ২০২১
দেশ

দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ৪ লক্ষ

বিশ্বে প্রথম। ভারতের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেল ৪ লক্ষের গণ্ডি। পরপর ৯ দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি থাকার পর শনিবার নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলল ভারত। এর আগে বিশ্বের কোনও দেশে দৈনিক সংক্রমণ চার লক্ষের ধারেকাছেও যায়নি। আক্রান্তের এই রেকর্ড বৃদ্ধি কাঁপুনি ধরাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। তবে স্বস্তির খবর, আক্রান্তের রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি সুস্থতার হারেও রেকর্ড গড়ছে দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থও হয়েছেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৬ হাজার বেশি। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫২৩ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটা বেশি। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় এই প্রথম মৃত্যু সাড়ে ৩ হাজার পেরল।স্বস্তির খবর হল, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৯৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেক কম হলেও এযাবৎকালের রেকর্ড। আপাতত দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস বেড়ে দাঁড়াল ৩২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭১০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০৬ জন। প্রসঙ্গত, করোনা রুখতে আজ থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হচ্ছে গণটিকাকরণ। শুক্রবারের হিসেব অনুযায়ী টিকা নেওয়ার জন্য ১৮ থেকে ৪৪ বছরের প্রায় ২ কোটি ৪৫ লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন পাওয়ার আশায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। তবে, কয়েকটি রাজ্যে টিকার অপ্রতুলতার জন্য টিকাকরণ শুরু করা যায়নি। তবে, এখনও পর্যন্ত দেশে টিকা পেয়েছেন মোট ১৫ কোটি ৪৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৩৫ জন।

মে ০১, ২০২১
দেশ

রাজধানীতে লকডাউন বাড়ল আরও এক সপ্তাহ

সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই, তাই আরও এক সপ্তাহ বাড়ল দিল্লির লকডাউন। আজ এক ভিডিও বার্তায় একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।সব দিক পর্যালোচনা করেই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।দিল্লিতে ক্রমশ বাড়ছে করোনা। সেই সঙ্গে অক্সিজেন ও হাসপাতালে শয্যা সংকটও চলছে। এই পরিস্থিতিতে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে দিল্লি সরকার, এমনটাই জানা গিয়েছিল। রবিবার দুপুরে সেই জল্পনাকে সত্যি করেই লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির জন্য দৈনিক অক্সিজেন সরবরাহ ৪৮০ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ৪৯০ মেট্রিক টন করেছে।দিল্লিতে প্রতিদিন ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। শনিবার দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের তরফে জানা যায়, সেখানে অক্সিজেনের অভাবে ২৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে কতটা অক্সিজেন হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করা হচ্ছে তার রেকর্ড রাখার একটি পোর্টাল তৈরি করছে দিল্লি সরকার। সেই পোর্টালে অক্সিজেনে সরবরাহের স্থিতি প্রতি ২ ঘণ্টায় আপডেট করা হবে। উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে কতটা অক্সিজেন হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করা হচ্ছে তার রেকর্ড রাখার একটি পোর্টাল তৈরি করছে দিল্লি সরকার। সেই পোর্টালে অক্সিজেনে সরবরাহের স্থিতি প্রতি ২ ঘণ্টায় আপডেট করা হবে।দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫৭ জনের, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল দিল্লির ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির তরফেও জানানো হয় যে তাঁরা আরও দীর্ঘ লকডাউন চান।

এপ্রিল ২৫, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে নতুন সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়ে ৪৬

রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ একধাক্কায় ১০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। যা এখনও পর্যন্ত ১ দিনে আক্রান্তের নিরিখে সবচেয়ে বেশি। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার মতোই মোট সংক্রমণের হারও সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৮৫ শতাংশে।মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮১৯ জন। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নতুন করে ২ হাজার ২৩৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনাও। ওই জেলায় নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৯০২ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৭২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।রাজ্য জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ১৫ এবং কলকাতায় ১৩ জন মারা গিয়েছেন। মালদহে ৪, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, এবং হুগলিতে ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, দার্জিলিং, কালিম্পিং, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন করে মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ হাজার ৬৫২ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।আক্রান্তের সংখ্যায় নজির গড়লেও রাজ্য সরকারের তরফে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে রাজ্যের ২ লক্ষ ১২ হাজার ৫৭০ জন বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর। তবে তা সত্ত্বেও দৈনিক সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট পৌঁছেছে ১৯.৬২ শতাংশে। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।দৈনিক টিকাকরণের মতোই কোভিড টেস্টের সংখ্যাও রবিবারের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫০ হাজার ৪৪টি কোভিট টেস্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৯৯ লক্ষ ৩২২টি টেস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

এপ্রিল ২০, ২০২১
দেশ

দেশে প্রথমবার দৈনিক করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ, অ্যাকটিভ কেস বাড়ল লক্ষাধিক

আতঙ্কের মধ্যেই শুরু হচ্ছে বাঙালির নতুন বছর। এদিকে করোনা সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন নজির গড়ল ভারত। প্রথমবার একদিনে দেশে করোনার কবলে পড়লেন ২ লক্ষ মানুষ! শুধু ভারতে নয়, এটা গোটা বিশ্বের নিরিখেই রেকর্ড। আক্রান্তের এই রেকর্ড বৃদ্ধির জেরে রেকর্ড হারে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। এদিন আরও একবার দৈনিক অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে লক্ষাধিক।বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৭৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৬ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫৬৪ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ১২৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৮ জনের। যা সাম্প্রতিক অতীতে সর্বোচ্চ।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৫২৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের অর্ধেকের থেকেও বহু কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৭৭ জন। এই নিয়ে পরপর দুদিন দেশে দৈনিক অ্যাকটিক কেস বাড়ল এক লক্ষের বেশি। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৬৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৩৮ জন।

এপ্রিল ১৫, ২০২১
রাজ্য

কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চিন্তিত কমিশন, শুক্রবার সর্বদল বৈঠকের ডাক

রাজ্যে এক দিকে নির্বাচন চলছে, অন্য দিকে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা নয়া রেকর্ড ছুঁয়েছে। কিন্তু কোনও মতেই প্রচারের জন্য জমায়েতে রাশ টানা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সর্বদল বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।কমিশনের তরফে রাজ্যের ১০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি লিখে এ কথা জানানো হয়েছে। ১৬ এপ্রিল, শুক্রবার, দুপুর ২টোর সময় কমিশনের রাজ্য দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাদের। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি দল থেকে ১ জন করে প্রতিনিধি যাবেন এই বৈঠকে। কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নয়, শুক্রবারের বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহন ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও প্রচারে জমায়েত কমানো যাচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই ব্যাপারে শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রচারের সময় যাতে কোভিড গাইডলাইন মেনে চলা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। মাস্ক পরা, নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি মেনে চলার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পরেই বৈঠক ডাকা হয়েছে কমিশনের তরফে। কী ভাবে কোভিড বিধি মেনে প্রচার করা যাবে সেটা নিয়েই কথা হবে শুক্রবারের বৈঠকে।

এপ্রিল ১৪, ২০২১
দেশ

করোনায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা

করোনার টিকাকরণ নিয়ে বিস্তর প্রশ্নের মধ্যেই রীতিমতো ভয়াবহ আকারে বাড়ছে সংক্রমণ। গত কয়েকদিন প্রায় রোজই রেকর্ড হারে সংক্রমিত হচ্ছিল করোনা ভাইরাস। গতকালও প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার মানুষ এই মারণ রোগের কবলে পড়েছেন, সে তুলনায় মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যাটা সামান্য কম হলেও পরিস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা এবং অ্যাকটিভ কেস। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে পরিস্থিতি ভয়াবহ। একই অবস্থা এরাজ্যেও। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাতেও সংক্রমণ বাড়ছে রেকর্ড হারে।মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৭ হাজার কম। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫৩ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। এই সংখ্যাটাও অবশ্য গতকালের থেকে সামান্য কম।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৯৭ হাজার ১৬৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে বহু কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৯৮ জন। চলতি বছরে প্রথমবার অ্যাকটিভ কেস পেরোল সাড়ে ১২ লক্ষের গণ্ডি। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৯৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৫ জন।

এপ্রিল ১৩, ২০২১
দেশ

ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ ৫২ হাজারের বেশি

প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড সংক্রমণে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৭৯ জন। গত বছর মার্স মাসে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম একদিনে এত সংখ্যক মানুষ করোনা সংক্রমিত হলেন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৫-এ পৌঁছল। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৮৩৯ জনের। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে নৈশ কার্ফু। মহারাষ্ট্রে চলছে সপ্তাহান্তে লকডাউন।এ বার দেশের শীর্ষ আদালতেও থাবা বসাল করোনা। সূত্রের খবর, আদালতের ৫০ শতাংশ কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আদালতের কর্মীদের মধ্যে এই পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, এমন পরিস্থিতিতে আপাতত বাড়ি থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত মামলার শুনানি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদালত চত্বর, আদালতের সব ঘর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করার কাজ চলছে বলে ওই সূত্রের খবর।

এপ্রিল ১২, ২০২১
দেশ

মারাত্মক পরিস্থিতি, দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪৫ হাজার

ভয়াবহতার সব মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে করোনা। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল সপ্তাহ দেড়েক আগেই। এবার সেই সংখ্যাটা এগোচ্ছে দেড় লক্ষের দিকে। স্রেফ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪৫ হাজার। রেকর্ড গড়েছে মৃতের সংখ্যাও। একই সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও।শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৪ হাজার বেশি। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৫ হাজার ৯২৬ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৯৪ জনের। এই সংখ্যাটা চলতি বছরে সর্বোচ্চ।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৫৬৭ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অর্ধেকেরও কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৩১ জন। চলতি বছরে প্রথমবার অ্যাকটিভ কেস পেরোল ১০ লক্ষের গণ্ডি। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৫৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ৯ কোটি ৮০ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৬০ জন। দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ এবার রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে, কেন্দ্র এখনই লকডাউনের পথে হাঁটতে চাইছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যগুলোকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরামর্শ নিয়েছেন।

এপ্রিল ১০, ২০২১
রাজ্য

বঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

ভোটের বঙ্গে রাজনৈতিক অশান্তির পাশাপাশি নতুন করে চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে নতুন করে কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত ৩৬৪৮ জন। বৃহস্পতিবারও এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২৮০০। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল প্রায় ৮০০। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার ছোবলে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ৮ জনের। সংক্রমণের হারে সবচেয়ে এগিয়ে কলকাতা। এখানে দৈনিক আক্রান্ত ৬৭৫ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, একদিনে রাজ্যে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেক কম। ২৪ ঘণ্টায় ১১৪৬ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। করোনা থেকে সুস্থতার হার এ নিয়ে দাঁড়াল ৯৫.২২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত মহামারির কামড়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছেন রাজ্যের ১০,৩৭৮ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১৮, ৬০৩, যা গত দিনের তুলনায় প্রায় ৩০০০ বেশি। কলকাতার পরই যেসব জেলার করোনা পরিসংখ্যানে মাথাব্যথা বাড়ছে, তা হল উত্তর ২৪ পরগনা, এখানে একদিনেই সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫৭ জন। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আচড়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকায় এই বৈঠকে ছিলেন না। বাংলার তরফে ছিলেন মুখ্যসচিব। তাতে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা হয়েছে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়েও। বাংলায় টিকাকরণের কী পরিস্থিতি, ভোটযুদ্ধের মাঝে সতর্কতা কতটা নেওয়া হচ্ছে, সেসব নিয়ে সংশয় থাকছে। তার উপর এই লাগামহীনভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা বাড়ছে।

এপ্রিল ০৯, ২০২১
রাজ্য

বাংলায় করোনার তাণ্ডব, একদিনে সংক্রমিত ২ হাজারের বেশি

ভোটের মরশুমে রাজ্যজুড়ে নতুন করে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেল। বেড়েছে মৃত্যুও। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের সুস্থতার হারও। মঙ্গলবার তৃতীয় দফা ভোট মিটল বঙ্গে। এখনও বাকি পাঁচ দফা। আর তার আগে জোরকদমে চলছে মিটিং-মিছিল-সমাবেশ। কোভিডবিধি উড়িয়ে মাস্ক ছাড়াই জমায়েত করছেন হাজার হাজার মানুষ। আর সেই উদাসীনতার মাশুল গুনতে হচ্ছে বঙ্গবাসীকেই। স্বাস্থ্যদপ্তরের মঙ্গলবারের রিপোর্ট বলছে, একদিনে রাজ্যে কোভিড আক্রান্ত ২ হাজার ৫৮ জন। ফলে এদিন রাজ্যের মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৩৪ জন। স্বাস্থ্যভবনের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক আক্রান্তের হদিশ মিলেছে কলকাতায়। সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮২ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭২ জন। এই দুই জেলা ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক আক্রান্তের হদিশ মিলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া ও বীরভূমে। সরকারি হিসেব বলছে, বাংলায় চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৭৫ জন। যা সোমবারের তুলনায় ১ হাজার ৩২৯ জন বেশি। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫০৪ জন। একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ৭২২ জন। ফলে রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৬.১২ শতাংশ। সোমবারের তুলনায় রাজ্যে বেড়েছে মৃত্যুও। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন কলকাতার বাসিন্দা। বাকিরা হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এদিনে এ রাজ্যে করোনা মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৩৫৫ জন।

এপ্রিল ০৬, ২০২১
দেশ

দেশে প্রথমবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১ লক্ষ

করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশ। এই প্রথমবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্ত হলেন লক্ষাধিক। মৃতের সংখ্যা পাঁচশো ছুঁইছুঁই। বিশেষজ্ঞদের কথায়, নিজেদের উদাসীনতার ফল ভুগছে আমজনতা। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে কম কোভিড জয়ীর সংখ্যা। দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সংক্রমিতের প্রায় অর্ধেক।উনিশের শেষের দিক থেকেই বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস। চলতি বছরের প্রথমদিকে সামান্য আশার আলো দেখা গিয়েছিল। বাজারে কোভিড টিকা আসার পরই মনে করা হচ্ছিল এবার হয়তো মহামারির শেষ,কিন্তু কোথায় কী! আমজনতার উদাসীনতার খেসারত দিচ্ছে গোটা দেশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সোমবারের রিপোর্ট বলছে, একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫৫৮ জন। ফলে দেশে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১ কোটি ২৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৭ জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮২ হাজার ১৩৬জন।সংক্রমণের প্রথমভাগে সুস্থতার হার আশার আলো দেখিয়েছিল। দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে বেশি মানুষ করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কায় সেই হিসেবও গণ্ডগোল হয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় যেখানে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক, সেখানে একদিনে কোভিডজয়ীর সংখ্যা মোটে ৫২ হাজার ৮৪৭ জন। ফলে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৩০ জন।চোখ রাঙাচ্ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৭৮ জনের। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১০১ জন। প্রথমবারের মতো এবারও সংক্রমণের শীর্ষে সেই মহারাষ্ট্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি হয়েছে নাইট কার্ফু। বিহারে ১০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ স্কুল। ওডিশায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবে আমজনতার হুঁশ ফেরেনি।

এপ্রিল ০৫, ২০২১
দেশ

দেশে ৭ মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ, বাড়ছে আতঙ্ক

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্রমেই নাজেহাল দেশের করোনা পরিস্থিতি। গত বছর সেপ্টেম্বরে দৈনিক সংক্রমণ যেমন শিখরে পৌঁছেছিল, ফের সে রকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দেশে। এর মোকাবিলা কী ভাবে হবে, তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসনের। এ জন্য রাত্রিকালীন কার্ফুও জারি করা হয়েছে বেশ কিছু রাজ্যে। এখনই লকডাউনের কথা ভাবছে না বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে যদিও জানিয়েছেন, এ ভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই লকডাউন জারি হতে পারে সে রাজ্যে।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১২৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬০ জন। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের দৈনিক সংক্রমণ হয়েছিল ৯৭ হাজার। তার পর থেকে তা কমতে শুরু করে। কমতে কমতে এক সময় ১০ হাজারে নীচেও নেমেছিল দেশের দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণকে ফের এই পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। দেশের দৈনিক সংক্রমণের অর্ধেকেরও বেশি মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯১৩ জন। গত বছরেও এতটা করুণ অবস্থা হয়নি সেখানে। কর্নাটকেও গত কদিনে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা প্রায় ৫ হাজার। ছত্তিশগড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সপ্তাহের শুরু থেকে বাড়তে বাড়তে দিল্লিতে শনিবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ভোট নিয়ে ব্যস্ত তামিলনাড়ুতেও তা তিন হাজার ছাড়াচ্ছে। উত্তরপ্রদেশেও প্রায় ৩ হাজার। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাবে সংক্রমণ আড়াই থেকে তিন হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। হরিয়ানা তেলঙ্গানা, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক সংক্রমণ গত কদিনে লাফ দিয়ে বেড়েছে। কেরলে অবশ্য একই মাত্রায় হচ্ছে সংক্রমণ। মূলত এই কটি রাজ্যতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের দৈনিক মৃত্যুও বাড়িয়ে দিয়েছে বেশ কয়েক গুণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। গত বছর অক্টোবর নাগাদ এই সংখ্যক দৈনিক মৃত্যুর সাক্ষী শেষবারের মতো থেকেছে দেশ। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর দৈনিক মৃত্যু ফের এই পর্যায়ে পৌঁছে গেল। ৭১৪ জনের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৪৮১ জনের।রাজ্যেও করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৩৩ হয়েছে। যেখানে এপ্রিলের প্রথম দিনে সংক্রমণ ছিল ১ হাজার ২৭৪, দৈনিক সংক্রমণের হার ৪.৯৪ শতাংশ বেড়ে একলাফে ৬.৪২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণ সর্বাধিক। দুই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫১৩ ও ৩৩১ জন। ফলে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৬৯২ হয়েছে।

এপ্রিল ০৪, ২০২১
বিদেশ

ফের ক্যাপিটলে হামলা, নিহত ২

ফের হামলার মুখে ক্যাপিটল হিল । এবার মার্কিন কংগ্রেসের ভবনটির কাছে পুলিশকর্মীদের প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ আধিকারিকের। আহত আরও এক। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছে হামলাকারী।এই ঘটনার পর ক্যাপিটল বন্ধ করে দিয়েছে ন্যাশনাল গার্ডস। ক্যাপিটল পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার স্থানীয় সময় মতে দুপুর ১টা নাগাদ ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের উত্তরের ব্যারিকেডে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা মারে একটি নীল রঙের সেডান। হামলায় আহত হন দুই পুলিশকর্মী। সেটির চালক ছুরি হাতে গাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশের গুলিতে আহত হয় সে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান আহত পুলিশকর্মী। এ দিনের ঘটনায় নিহত আততায়ীর পরিচয় এখনও জানায়নি পুলিশ। ঘটনার কিছু ক্ষণ আগেই হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাম্প ডেভিডে যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঘটনার তদন্তে ক্যাপিটল পুলিশকে সাহায্য করছে এফবিআই।উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে পরাজয়ের পর গত জানুয়ারি মাসে ক্যাপিটলে হামলা চালায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। তখন জো বাইডেনকে জয়ের শংসাপত্র দিতে শুরু হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। কিন্তু তারপরই ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। কয়েক হাজার সমর্থক ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান ওই বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। ট্রাম্পপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। সেই হামলায় এক পুলিশকর্মী-সহ পাঁচ জন নিহত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই সুরক্ষা বাড়ানো হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের ভবনটির।

এপ্রিল ০৩, ২০২১
দেশ

৬ মাস পর দেশের দৈনিক সংক্রমণ ফের ৮১ হাজার পেরলো

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমেই বেসামাল হচ্ছে দেশের কোভিড পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার। শুক্রবার তা প্রায় সাড়ে ৮১ হাজার। ২৮ সেপ্টেম্বরের পর এত সংখ্যক লোক এক দিনে আবার আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে করুণ। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা গোটা করোনাকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেখানে এক দিনে আক্রান্ত ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ৮১ হাজার ৪৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ১৩১ জন। করোনার নতুন প্রজাতির জন্যই সংক্রমণ এ রকম আকার নিচ্ছে বলে সম্প্রতি মত প্রকাশ করেছিলেন দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। দেখা যাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এক লাফে বাড়িয়ে দিয়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশের দৈনিক মৃত্যু এক মাস আগেও ছিল ১০০-র আশপাশে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৪৬৯। মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। কর্নাটক, দিল্লি, পঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়েও গত কদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

এপ্রিল ০২, ২০২১
কলকাতা

নিমতায় শোভারানির ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের

বৃদ্ধা শোভারানি মজুমদারের মৃত্যুকে সামনে রেখে ভোট রাজনীতি করছে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূলের। এমনকী, বৃদ্ধাকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে তাঁর মৃত্যুর যে কারণ বর্ণনা করা হয়েছে, তারও কোনও ভিত্তি নেই বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন তৃণমূলের দুই চিকিৎসক রাজনীতিবিদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং শশী পাঁজা।বিতর্কের কেন্দ্রে যে ডেথ সার্টিফিকেট সেটি লিখেছেন বিজেপির উত্তর দমদমের প্রার্থী, পেশায় চিকিৎসক অর্চনা মজুমদার। তৃণমূলের প্রশ্ন, বিষয়টি যেখানে তদন্তাধীন, তখন তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কী করে ডেথ সার্টিফিকেট লিখলেন অর্চনা? ডেথ সার্টিফিকেটে শোভারানির মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কথা। তৃণমূলের সাংসদ কাকলি এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী জানতে চেয়েছেন, ময়নাতদন্ত না করে শুধু মৃতদেহ দেখে কী ভাবে এমন মন্তব্য করলেন অর্চনা। পেশাদার চিকিৎসক হিসেবে তাঁর এই আইনি সমস্যাগুলি জানার কথা। তৃণমূল ভবনে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে দুজনে বলেন, ডেথ সার্টিফিকেটের নীচে নিজের প্রার্থিপদের কথাও উল্লেখ করেছেন অর্চনা। অর্থাৎ এই মৃত্যুকে ব্যবহার করে যে বিজেপি তার প্রার্থীকে জেতাতে চাইছে তা স্পষ্ট। কাকলি বলেন, এটা বিজেপির ট্রেডমার্ক। আর এই বিষয়ে সমর্থন আসছে একেবারে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে। অমিত শাহকে কটাক্ষ করে কাকলি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মন্ত্রী হিসেবে তিনি জানেন, কোনও মামলা তদন্তাধীন হলে তা নিয়ে মন্তব্য করা যায় না। তারপরও কী ভাবে তারই দলের প্রার্থী এমন মন্তব্য করল তা ভেবে আমরা তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি।উল্লেখ্য, নিমতার বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদার এবং তাঁর ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা শোভারানি মাস খানেক আগে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। রবিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় শোভারানির। তারপর সোমবার দিনভর ভোটের বাংলা সরগরম রইল শোভারানির মৃত্যু নিয়েই। প্রথমে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর একে একে বিজেপির শীর্ষ নেতা জেপি নযড্ডা, এমনকী, বাংলায় বিজেপি-র সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও এই মৃত্যু নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে টুইট করেন। প্রসঙ্গত বৃদ্ধা শোভারানির আক্রান্ত চেহারার ছবি সংবাদমাধ্যম ও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে বিস্তর চর্চা হয়। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তারা ওই বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের ভিডিও দিয়ে নেটমাধ্যমে দাবি করে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। যদিও বৃদ্ধার মৃত্যুর পরে টুইট করে ফের তৃণমূলকেই দায়ী করে বিজেপি। সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাল তৃণমূলও। পেশায় চিকিৎসক শশী পাঁজা বলেন, যে কোনও মৃত্যু দুঃথজনক। কিন্তু যেটা বিস্ময়কর তা হল সার্টিফিকেটে অর্চনা মজুমদার ওই বৃদ্ধাকে সুস্থ বলে মন্তব্য করেছেন। আবার অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কথাও বলেছেন। একজন সুস্থ মানুষের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয় কী করে?

মার্চ ২৯, ২০২১
দেশ

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১ কোটি ২০ লক্ষের, একদিনে মৃত ২৯১

কোনওভাবেই যেন বাগে আনা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণকে। পাঁচ রাজ্যে ভোট ও দেশজুড়ে হোলির আবহে সোমবার একলাফে ফের অনেকখানি বাড়ল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এদিন সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল ৬৮ হাজারের গণ্ডি। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলছে মহারাষ্ট্র। ফলে ভ্যাকসিন এলেও লকডাউনের পথে হাঁটতে হচ্ছে একাধিক শহরকে।সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৮ হাজার ২০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার বেশি। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৪৪ জন। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও। দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৮০৮-এ। একইসঙ্গে মারণ ভাইরাস এখনও কাড়ছে বহু মানুষের প্রাণ। দেশে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৯১ জনের। দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানেও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসা কোভিড গ্রাফের ছবিটা অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভর করে করোনাবিধি লঙ্ঘন করাই কাল হয়ে উঠছে। হোলি উৎসব পালনের কারণে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্য প্রকাশ্যে রং খেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওডিশা প্রশাসন। চণ্ডীগড়ের বিভিন্ন পার্কেও হোলি খেলা যাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেকটি রাজ্যকে টেস্টিংয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে শক্তি জোগাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ৩২ হাজার ২৩১ জন।

মার্চ ২৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal