• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Election Commission

কলকাতা

দুর্ঘটনার কবলেই পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, রিপোর্ট পর্যবেক্ষকদের

মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার কোনও প্রমাণ মেলেনি। দুর্ঘটনাবশতই আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন বাংলায় মোতায়েন কমিশনের নিযুক্ত এ রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। কমিশনের নির্দেশে নন্দীগ্রামে মমতার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন তাঁরা। তাতে বলা হয়েছে, মমতার নিরাপত্তায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়িতেই আঘাত পান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার নবান্নের তরফে রিপোর্ট পাঠানো হয় কমিশনকে। তাতে গাড়ির দরজায় পা চাপা পড়ে মুখ্যমন্ত্রী আহত হন বলে জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। হামলার সম্ভাবনা খারিজ করে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলও একই কথা জানান বলে নবান্ন সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজায় কেউ ধাক্কা দিয়েছে বলে প্রমাণ মেলেনি বলে কমিশনকে জানান তিনি।কিন্তু সেই রিপোর্টে যথেষ্ট তথ্য না থাকায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি কমিশন। তাই নিজেদের দুই পর্যবেক্ষককে আলাদা করে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়। তার জন্য শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট তৈরি করেন বিবেক ও অজয়। শনিবার নির্বাচন কমিশনে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। তাতেই ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পনা করে মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার তত্ত্ব খারিজ করেছেন তাঁরা। তবে এ নিয়ে কমিশনের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

মার্চ ১৩, ২০২১
কলকাতা

রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সরাল নির্বাচন কমিশন

বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ফের রাজ্য পুলিশের শীর্ষ স্তরে রদবদল। এ বার সরানো হল রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে। তাঁর জায়গায় আসছেন নীরজনয়ন পাণ্ডে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি নীরজনয়নের হাতে রাজ্য পুলিশের দায়িত্ব তুলে দিতে। একই সঙ্গে এ-ও বলা হয়েছে যে, নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এমন কোনও পদে বীরেন্দ্রকে রাখা যাবে না। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবারই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে যোগ দিতে পারেন নীরজনয়ন। এক সময় সিবিআই-তে ছিলেন তিনি।বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। তার পরেই কমিশনের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে তারা। প্রসঙ্গত, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে থাকা জাভেদ শামিমকেও সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁকে পাঠানো হয় দমকলের দায়িত্বে। আর যিনি দমকলের দায়িত্বে ছিলেন সেই জগমোহনকে আনা হয় এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আধিকারিক হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বীরেন্দ্র। পরে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ অবসর গ্রহণ করলে বীরেন্দ্রকে ডিজি পদে বসিয়ে, সুরজিৎকে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হয়।

মার্চ ০৯, ২০২১
রাজনীতি

উপ-নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ দাবি তৃণমূলের

ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার তথা রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সুদীপ জৈনের অপসারণ চাইল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । তৃণমূলের অভিযোগ, সুদীপ জৈন রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক থাকাকালীন একের পর এক পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। এবং তিনি পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকলে রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই দাবি তৃণমূলের। সেকারণেই ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ চেয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ওব্রায়েন।বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সির যোগদান অনুষ্ঠানের পর দলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় বলেন, আট দফার নির্বাচন শুনেই প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ চলছে। আমাদের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অপসারণ দাবি করেছেন। এই সুদীপ আগেও দায়িত্বে ছিলেন ২০১৯-এ। ওঁর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আগেও আমরা দেখেছি। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে এই সুদীপই ভুল রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন, যায় জেরে নির্বাচনের দুদিন আগে প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কমিশন। অথচ, বিজেপি ওই দুদিনও প্রচার চালিয়ে যেতে পেরেছে। কমিশন সেই মূর্তি ভাঙা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অমিত শাহের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেনি।এখানেই শেষ নয়, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে সুদীপ জৈন যে কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করেছিলেন, সেটা নিয়েও একাধিক অভিযোগ তৃণমূলের। সৌগত এদিন বলেন,কুইক রেসপন্স টিম গড়ে এই সুদীপ বলেছিলেন একজন সেন্ট্রাল অফিসার নেতৃত্বে থাকবে। যা সংবিধান বিরোধী। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিতে পারে না। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা করবে রাজ্য পুলিশ।

মার্চ ০৪, ২০২১
কলকাতা

বাংলায় ৮ দফা ভোট নিয়ে প্রশ্ন মমতার

পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তামিলনাড়ুর ২৪০ আসনে কেন একদিনে নির্বাচন? বাংলার ২৯৪ আসনের ভোট কেন ৮ দফায়? পশ্চিমবঙ্গে ভোট ঘোষণা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানালেও এই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য তৃণমূলের তরফে ১২ জনের একটি দল তৈরি হয়েছে বলে জানান দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের অন্তিম ঘণ্টা বাজিয়ে শুক্রবারই বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে দিল্লির নির্বাচন কমিশন। কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে এক দফায় ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে। তবে ২৯৪ আসনের পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৮ দফায়। তামিলনাড়ুর ২৪০ আসনে একদফায় ভোট হলে, কেন বঙ্গে এত বেশি দফায় ভোট?নির্বাচন কমিশনের দিকে সরাসরি এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও প্রশ্ন, কাকে সুবিধা করে দিতে এত দফা? নাম না করে কমিশনের এই সিদ্ধান্তেও বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিযোগ, বাংলার নির্বাচনে কমিশনের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের যে তালিকা তিনি বিজেপি পার্টি অফিসে দেখেছিলেন, সেটাই আজ প্রকাশ্যে এল। মমতার আরও অভিযোগ, বিজেপি সব ভাগাভাগি করছে, ভোটের দফাতেও হিন্দু-মুসলিম ভাগ করছে। তবে বিজেপির এসব চক্রান্ত জনতাই ব্যর্থ করে দেবেন বলেও আত্মপ্রত্যয়ী সুরে জানিয়েছন তৃণমূল সুপ্রিমো।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
দেশ

বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের নির্বাচনের দিন ঘোষণা আজই

বাংলা-সহ চার রাজ্য এবং এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা আজই। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোটের দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অসমের একটি সভায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট ঘোষণা হতে পারে আগামী ৭ মার্চ। কিন্তু সূত্রের খবর, অতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা নয়। আজই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। বাংলা ছাড়াও অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে একসঙ্গে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কথা। সবকটি রাজ্যেরই বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে মে মাসে। LIVE: #ElectionCommissionOfIndia announcing the schedule for holding General Elections to the Legislative Assemblies of Assam, Kerala, Puducherry, Tamil Nadu West Bengal. #AssemblyElections2021 #ECI https://t.co/yS9EwLsH5w Election Commission of India #SVEEP (@ECISVEEP) February 26, 2021ইতিমধ্যেই বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্য ঘুরে ভোটপ্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এরাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, প্রশাসনিক কর্তা এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা। কোভিডের জন্য নিযুক্ত নোডাল অফিসার অর্থাৎ রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও কথা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে গিয়ে ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে দিল্লিতে পর্যালোচনা বৈঠকও সেরে ফেলেছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও রাজ্যে আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। এক কথায়, রাজ্যের নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতিই মোটামুটি সারা। বাংলার নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে কমিশন। শুরু থেকেই এরাজ্যের উপর রয়েছে বাড়তি নজর।শোনা যাচ্ছে, বাংলায় ন্যূনতম ৭ দফায় ভোট করাতে চায় কমিশন। প্রয়োজনে দফা বাড়ানোও হতে পারে।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে আসছে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

বঙ্গ বিধানসভা ভোটের সুর চড়ল আরও। চলতি মাসেই ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে রাজ্যে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই ধাপে ধাপে বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঢুকতে শুরু করবে। ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের চলে আসার কথা। রাজ্যে ইতিমধ্যেই মোতায়েন থাকা বাহিনীর সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন তাঁরা। ভোট ঘোষণার আগেও বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় টহলদারি চালাবেন বাহিনীর জওয়ানরা। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা। তা মানছেন দিল্লির নির্বাচন কমিশনের কর্তারাও। কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গিয়েছে তিনদিনের সফরে এসে। সেসময় তাঁরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কি ভোটের মাসখানেক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বাংলায়? জবাবে তাঁরা জানিয়েছিলেন, নিয়ম মেনেই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়ানো হবে। তাছাড়া ভোটের সময় কত বাহিনী হাতে থাকবে, তার উপর নির্ভর করবে কোথায় তাঁদের কীভাবে বিন্যস্ত করা যাবে। স্পর্শকাতর ও অশান্ত জায়গার বাসিন্দাদের মনে ভরসা জোগাতে এমনিতেও ভোটের দিন কয়েক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় হয়ে ওঠে। এবারও তেমনটাই হতে চলেছে। তবে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনী ঢুকতে শুরু করবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় সবচেয়ে বেশি কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
কলকাতা

ভোট ঘোষণার আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের জবাব যাতে পত্রপাঠ দিয়ে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে সব আয়োজন সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। এবং সেই তাগিদেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব।ইতিমধ্যেই অসম ও পশ্চিমবঙ্গের ভোট প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখে গিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তারপর দিল্লিতে কয়েক দফায় পর্যালোচনা বৈঠকও হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে তামিলনাড়ুতে পা রেখেছে ফুল বেঞ্চ। সেখানে দুদিনের সফর সেরে ১৩ তারিখ তামিলনাড়ু, কেরলে উড়ে যাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। ১৩ এবং ১৪ তারিখ কেরলের ভোট প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখার পর ১৫ তারিখ দিল্লি ফিরবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, তার পরই চার রাজ্যের সিইওর সঙ্গে ভোটপ্রস্তুতি সংক্রান্ত চূড়ান্ত বৈঠক করতে চলেছে কমিশন। ওই বৈঠকের পরই নির্বাচনী সূচি ঘোষণা হয়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে ১৮ ফেব্রুয়ারির পর যে কোনও দিন ভোট ঘোষণা হতে পারে। ওই বৈঠকে কমিশনের যাবতীয় প্রশ্নের জবাব পত্রপাঠ দিয়ে দিতে হোমওয়ার্কে এক তিল খামতি রাখতে চান না সিইও।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজ্য

এরাজ্যে বিধানসভা ভোটঃ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বড় ঘোষণা

নির্বাচনের সময় বদলি হওয়া পুলিশ -প্রশাসনের কর্তাদের এক বছরের মধ্যে স্বপদে ফেরানো যাবে না। শুক্রবার এই নয়া নির্দেশের কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এবার শুধু ভোটের সময় নয় ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতেও কঠোর মনোভাব নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গত দুদিন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশন, মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাঁদের অভিযোগ, মতামত নিয়েছে কমিশন।শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। আরোরা বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে দুই আইএএস ও এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল এবং তাদের অপসারিত করা হয়েছিল। কমিশন বার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। নির্বাচনের সময় বদলি হওয়া পুলিশ -প্রশাসনের কর্তাদের এক বছরের মধ্যে স্বপদে না ফেরানোর স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শুধু তাই নয়, তাঁদের উচ্চপদেও বসানো যাবে না। এমন ঘটনা হলে কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। রাজ্য প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।তবে রাজ্যর আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কিছু ভালো রিপোর্ট পেয়েছে কমিশন। আবার বিরোধীরা নানা অভিযোগও তুলেছে। করোনা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এদিন সিইও বলেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার ওপর নজর রয়েছে আমাদের। নির্বাচনে তিনজন পর্যবেক্ষক আসবেন। আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে একজন, একজন জেনারেল পর্যবেক্ষক ও একজন ব্যায় সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বে থাকবেন। ভোটে মানিপাওয়ার ও কালোটাকার ব্যবহার খতিয়ে দেখবেন এক্সপেন্ডেচার পর্যবেক্ষক।এবার নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের দায়িত্ব থেকে বাদ রাখা হবে সিভিক ও গ্রীন পুলিশদের। বুথের মধ্যে থাকবে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের তিনমাস আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের। এটা যে শুধুই জল্পনা তা সিইও-র কথায় পরিস্কার। সিইও বলেন, ভোটের দুমাস বা তিনমাস আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে না। ভিত্তিহীন খবর। নির্দিষ্ট সময়েই বাহিনী আসবে। বিএসএফ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে অভিযোগ নিয়ে এসেছে তা উড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। এদিন সুনীল আরোরা বিএসএফের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। দেশের সেরা নিরাপত্তা ফোর্স বলে বিএসএফকে সম্বোধন করেছেন আরোরা। এবিষয়ে তৃণমূল নির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে পারেনি বলেই কমিশন জানিয়েছে। ভোট এপ্রিলেই হবে তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন আরোরা।এবার করোনা বিধি মেনে ভোট হচ্ছে। সেই কারণে ২২ হাজার বুথ বাড়ছে। রাজ্যে এবার মোট ১ লক্ষ ১হাজার বুথ থাকবে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে সব বুথ থাকবে। ৮০ উর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য পোস্টাল ব্যালেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

জানুয়ারি ২২, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যপালকে ঘুমের ওষুধ খেতে পরামর্শ তৃণমূল মহাসচিবের

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যপালকে রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র বলে অভিহিত করেছেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপালের প্রতিদিন কিছু না কিছু বললে ঘুম হয় না। ওনাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো উচিত। কেন না কোনও না কোনও দিন কোনও না কোনও বিষয়ে ওনাকে বলতেই হবে। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের মত লাগছে তাঁকে। বাংলার রক্তাক্ত নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন দেখবে কিভাবে ভোট হবে। কিন্তু রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপাল রাজ্যের উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন না। বছরের প্রথম দিনই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন ঘুরে মনে হল দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন বাংলার ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র। পাঁচিল তোলা হচ্ছে, পৌষ মেলা বন্ধ করা হচ্ছে এসব করে সেখানকার ঐতিহ্য ম্লোন করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে পা মিলিয়ে এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শান্তিনিকেতনের মানুষ।

জানুয়ারি ০১, ২০২১
কলকাতা

ভোটার তালিকা সংশোধনের দিনক্ষণ জানাল নির্বাচন কমিশন

আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৮ তারিখ প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এরপর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে সংশোধন অর্থাৎ নাম তোলা, বাদ দেওয়া-সহ যাবতীয় কাজ। আগামী ১৫ জানুয়ারী প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত তালিকা। এই চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরাই ভোটার হিসেবে বিবেচিত হবেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোট ৭৮, ৯০০টি বুথের প্রতিটিতে থাকবেন ১ জন করে বিএলও। প্রতি বুথে ২ দিন করে চলবে সংশোধনের কাজ। সূত্রের খবর, এবার রাজ্যে বাড়ছে ৯৯টি বুথ। কারণ, যে সব বুথে দেড় হাজারের বেশি ভোটার করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে সেগুলিকে বিভক্ত করা হচ্ছে। সোমবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব ভোটার তালিকা সংশোধন ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। আরও পড়ুন ঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর এদিন তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়, সবাই যাতে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করুক কমিশন। এছাড়াও ত্রুটিহীন ভোটার তালিকা তৈরির আবেদন করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। একই দাবি বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সকলেরই। কারও আবেদন বাতিল হলে তার যথাযথ কারণ জানাতে হবে বলেও দাবি করেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। রবীন দেব বলেন , ভুতুড়ে ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। বিএলও-র দায়িত্ব যেন স্থায়ী সরকারি কর্মীদেরই দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার দাবি জানান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।

নভেম্বর ০৯, ২০২০
কলকাতা

কমিশনের দারস্থ বিজেপি নেতারা

কলকাতাঃ রাজ্যে ১০৭ পুরসভার ভোট স্থগিত হয়ে রয়েছে গত এক বছর ধরে। সেই ভোট দ্রুত করানোর দাবিতে রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিদল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হল বৃহস্পতিবার। তারা দ্রুত ভোট করানোর দাবি জানায়। এখন প্রশাসকরা পুরসভার কাজ পরিচালনা করছেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোট মত দেয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব , এই পুরসভাগুলির ভোট সম্পন্ন করতে হবে। কলকাতা হাইকোটও তাতে সহমত পোষণ করে। এছাড়াও ২০২১ সালের বিধানসভা নিরবাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূণ হয়,সে দাবি জানিয়েছেন তারা।

অক্টোবর ০১, ২০২০
দেশ

বিহার ভোটের দামামা

ভোট বড় বালাই। দিন দিন করোনা সংক্রমণ যেভাবে হাইজাম্প দিচ্ছে, তাতে নো পড়োয়া ভোেটর ক্ষেত্রে। করোনা আবহেই শুক্রবার বিহার বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ‍্যনির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। দিনক্ষণের পাশাপাশি ঘোষিত হল ভোটের আচরণবিধিও। তিন দফায় নির্বাচন হবে বলে ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভার। প্রথম দফার ভোট হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোট হবে ৩ ও ৭ নভেম্বর। প্রথম দফায় ৭১ কেন্দ্রে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ৯৪ ও ৭৮টি কেন্দ্রে। ভোটগ্রহণ নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে কমিশন। ভোটগ্রহণের জন‍্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও ১ ঘণ্টা বেশি সময় বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান অরোরা। শেষ এক ঘণ্টায় ভোটদান করতে পারবেন কেবলমাত্র কোভিড আক্রান্তরাই। ৮০ বছরের বেশি ভোটারদের জন‍্য থাকছে পোস্টাল ব‍্যালটের ব‍্যবস্থা। ভোটপ্রচার জন‍্য রাজনৈতিক দলগুলি কেবলমাত্র ভার্চুয়াল সমাবেশ করতে পারবে। বাড়ি বাড়ি ভোটপ্রচারে প্রার্থী সহ পাঁচ জনের বেশি কর্মী থাকতে পারবে না। অনলাইনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। টাকাও জমা দিতে পারবেন অনলাইনে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সর্বাধিক ২ জন কর্মী প্রার্থীর সঙ্গে থাকতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক এক হাজার ঢুকতে পারবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ভোট দিতে এসে কেউ যাতে সংক্রমিত না হন তার জন‍্য থাকছে ৪৬ লক্ষ মাস্ক, ৬ লক্ষ পিপিই কিট, ২৩ লক্ষ গ্লাভস ও ৭ লক্ষ স‍্যানিটাইজারের বোতল। ইভিএসে বোতাম প্রেসের আগে ভোটারদের দেওয়া হবে গ্লাভস। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ‍্যে তৎপরতা। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে চতুর্থবার রাজ‍্যে শাসন ক্ষমতার দখলের দৌঁড়ে আছেন নীতীশ কুমার। লোকজনশক্তি পার্টি ছাড়াও, নতুন বন্ধু হিেসবে নীতীশ পেয়েছেন জিতন রাম মাজির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চাকেও। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতু‍্যকে হাতিয়ার করে ইতিমধ‍্যে এনডিএ নেমে পড়েছে প্রচারেও। চ‍্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে তৈরি আরজেডি ও কংগ্রেস জোটও। জেলে থেকেই লাল্লুপ্রসাদ রণকৌশল তৈরি করে দিচ্ছেন বলে খবর। আরজেডি ও কংগ্রেসের হাতে নতুন অস্ত্র নয়া কৃষি বিল। লড়াইটা শেয়ানে শেয়ানে হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ হাসি কে হাস‍বে, তারজন‍্য অপেক্ষা করতে হবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। কারণ ওই দিনই তো ফল ঘোষণা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal