পদত্যাগের করে কেঁদে ফেললেন রাজীব
মন্ত্রিসভা ছাড়ার কারণ বলতে গিয়ে প্রকাশ্যে কেঁদে ফেললেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, আড়াই বছর আগেই পদত্যাগ করব ভেবেছিলাম। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী আটকেছিলেন। এবার ভগ্নহৃদয় নিয়েই দল ছাড়লাম। গত একমাস ধরে অনেক কিছু শুনেছি। তাই এই সিদ্ধান্ত।শুক্রবারই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা করেন রাজীব। তারপর রাজভবনের বাইরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনও দল ছাড়েননি রাজীব। শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করে দিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। বললেন, আমাকে এত কাজ করতে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী না থেকেও মানুষের সেবা করা যায়। আমি সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করতে চাই। তবে এদিন দলের সতীর্থদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও।প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও একটু সৌজন্যতা আশা করেছিলাম। তিনি আরও জানান, আমার মনে অনেকদিন ধরেই ক্ষোভ-অভিমান জমছিল। সে কথা দলের বহু সতীর্থ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। আর সহ্য করতে পারলাম না। তাই সরে দাঁড়ালাম। এদিকে,বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় অবস্থা। তৃণমূলের একাংশের মত, এই পদত্যাগ দলের কোনও ক্ষতি করবে না। আবার কারও মত, এভাবে রাজ্যের মন্ত্রীদের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উনিই বলতে পারবেন, কেন ছাড়লেন। নিশ্চয়ই কোনও অসুবিধা হচ্ছিল। তবে আমি বলব, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। একদিন তাঁরা ঠিক বুঝবেন। হাওড়ার বালির বিধায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, এভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে একে একে সদস্যদের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। এতেই বোঝা যাচ্ছে, দলের একাংশে কতটা ঘুণ ধরেছে। আমি আগেই একথা বলেছিলাম। দলনেত্রী খুব যত্ন করে হাওড়ায় সংগঠন তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তা ভেঙে পড়ছে। অন্যদিকে, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ রায় রাজীবের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তেমন বিচলিত নন। তাঁর কথায়, দল কতদিন ধরে করছে? আমরা বহু আগে থেকে দল করছি। কেউ কেউ দলে নতুন যোগ দিয়ে, কাজ করার পরই যদি নানারকম বায়না, নালিশ করেন, তাহলে মুশকিল। যা হওয়ার তাই হয়েছে। এতে দলের কোনও ক্ষতি নেই। দল ঐক্যবদ্ধই রয়েছে।