মুখ্যমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী, তুলোধনা হাইকোর্টের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া লাইভ চলাকালীণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হাওড়ার এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার ওই গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশের ভূমিকার তুলোধনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন বিকেল ৫টার মধ্যে ওই ঘটনায় ধৃত এরশাদ সুলতানকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই ধরণের ঘটনা নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি সিনহা।গত ২৪ জুন, মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ আমলাদের নিয়ে পুরসভার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে এক বৈঠকে বক্তব্য় রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। উল্লেখ্য সেই বৈঠক থেকে হাওড়া পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেন মমতা। সোশাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয় সেদিনের সেই বৈঠক। লাইভ সম্প্রচারের মাঝেই এরশাদ সুলতান নামে ওই ব্যক্তি কমেন্ট করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাওড়ার দুই ওয়ার্ডে পুকুর ভরাটের অভিযোগ আনেন। যা নিয়ে হাওড়ার তৃণমূল নেতা সুশোভন চট্টোপাধ্যায় পুলিশে অভিযোগ জানায়।এই অভিয়োগের জেরে দলের অন্দরেই হইচই পড়ে যায়। এরপর গত ২৮ জুন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় সুশোভনবাবু অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেছেন, তৃণমূল নেতা নয় এলাকাবাসী হিসাবে অভিযোগ করেছি। সম্মানীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। ৩০ জুন গ্রেফতার হন এরশাদ। মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এদিকে ঘটনার শুনানি চলাকালীন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি এই ঘটনাকে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, কোন মানুষ ক্ষোভ জানালে তাকে গ্রেফতার করা হবে? অযথা পুলিশের নাক গলানো নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি বিচারপতি সিনহা এও জানতে চান মন্ত্রী অরূপ রায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেছেন কিনা?