• ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

CM

রাজনীতি

মোদির পর্যালোচনা বৈঠকে গরহাজিরা, মমতার সমালোচনা অমিত- ধনখড়-রাজনাথের

রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় যশ-এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ না নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংও বিষয়টি নিয়ে মমতার সমালোচনা করেছেন। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অবমাননার অভিযোগ করেছেন তাঁরা সকলেই।শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে যশ-এর ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেন মমতা। কিন্তু পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেননি তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দিঘায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে অমিত টুইটারে লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর আজকের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নিম্নস্তরের। ঘূর্ণিঝড় যশ বহু নাগরিকের উপর প্রভাব ফেলেছে। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার সময়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দিদি তাঁর অহংবোধকে জনস্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। আজকের নিচু স্তরের আচরণ তারই প্রতিফলন।রাজ্যপাল এ প্রসঙ্গে টুইটারে লেখেন, ঘূর্ণিঝড় যশ-এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর আধিকারিকেরা অংশ নেননি। এটি আসলে সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বয়কট। অবশ্যই এমন পদক্ষেপের ফলে জাতীয় স্বার্থ বা রাজ্যের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি। শুভেন্দু টুইটারে লেখেন, আজ ভারতের দীর্ঘলালিত সহযোগিতমূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটি কালো দিন। সেই সঙ্গে সরাসরি পর্যালোচনা বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে শুভেন্দু লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ফের দেখালেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দুর্দশার প্রতি তিনি সংবেদনশীল নন। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির ছিলেন ধনখড় এবং শুভেন্দু। নাড্ডা শুক্রবার বৈঠকে মমতার অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে লেখেন, যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ঘূর্ণিঝড় যশ-এর ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার মানুষের পাশে দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়েছেন, তখন মমতাজির উচিত ছিল, জনগণের কল্যাণে নিজের অহংবোধ বিসর্জন দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি হল সাংবিধানিক নীতি আর সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার হত্যা। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের টুইট পশ্চিমবঙ্গে আজকের ঘটনা মর্মস্পর্শী। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী কোনও ব্যক্তি নন, প্রতিষ্ঠান। দুজনেই জনসেবা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সংবিধানের আনুগত্যের শপথ নেন।আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আসার পর তাঁর সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হল তা যন্ত্রণাদায়ক। জনসেবামূলক কাজের জন্য সাংবিধানিক কর্তব্য পালনের উপরে রাজনৈতিক মতভেদকে প্রাধান্য দেওয়ার একটি দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ এটি। যা ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

মে ২৯, ২০২১
কলকাতা

করোনা আক্রান্ত সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

এবার করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে তাঁর স্ত্রীর শরীরেও। মীরাদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সম্প্রতি তাঁর শরীরে করোনার একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যেরও উপসর্গ ছিল। সেই কারণেই ঝুঁকি না নিয়ে করোনা পরীক্ষা করান তাঁরা। দুজনেরই রিপোর্ট আসে পজিটিভ। বুদ্ধদেববাবুর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে মীরাদেবী অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮৫ মধ্যে ঘোরাফেরা করছে বলেই খবর। সেই কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিপর্যস্ত দেশবাসী। রাজ্যেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই বহু রাজনীতিবিদের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা। বহু বিশিষ্টজনের মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতিত মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য। একাধিক ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

মে ১৯, ২০২১
কলকাতা

সারাদিন তৃণমূল কর্মীদের তাণ্ডব, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের টুইট রাজ্যপালের

রাজ্যের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে এই ট্যুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রসঙ্গত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে সিবিআই গ্রেপ্তার করার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের এই টুইট।রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সোমবার সিবিআই-র রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়কদের গ্রেপ্তারির পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন। আর সেই টুইটে তিনি স্পষ্ট লিখেছেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। সম্পূর্ণ নৈরাজ্য চলছে। রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এই টুইট তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন। তিনি তাঁর টুইটে লিখেছেন, এই অস্থির পরিস্থিতিকে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এর পরের টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, সম্পূর্ণ বেআইনি পরিস্থিতি ও নৈরাজ্য চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন নীরব রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে এই টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, আমি আশা করবো প্রশাসন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এই পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সাংবিধানিক বিপর্যয়ের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।এখন সময় হয়েছে মুহূর্তে মুহূর্তে সৃষ্টি হওয়া বিস্ফোরক পরিস্থিতিকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা। এর পর সিবিআই অফিসার সামনে তৃণমূল সমর্থকদের বিক্ষোভের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের দর্শকের ভূমিকা উদ্বেগজনক। রাজ্য প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মে ১৭, ২০২১
কলকাতা

‘সংবিধান মেনেই কাজ করছি’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া জবাব রাজ্যপালের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই ফের রাজভবন-নবান্নের সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের উপর ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল শীতলকুচি-সহ হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই সেই সংঘাতের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়েছে। শুরু হয়েছে পত্রবোমা আদানপ্রদান। গতকালই প্রথাভেঙে শীতলকুচি সফর নিয়ে জগদীপ ধনকড়কে কড়া চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পালটা মমতাকে জবাব দিলেন ধনকড়ও। দাবি জানালেন রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার। সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে বিএসএফের সাহায্য নিয়ে শীতলকুচি সফরে তিনি যাবেনই।প্রথা ভেঙে জেলা সফরের জন্য গতকালই রাজ্যপালকে কড়া চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় যান, সেক্ষেত্রে তা সরকারকে জানাতে হয়। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও তা জানানো আবশ্যক। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। মমতার আক্ষেপ, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তিনি জানতে পেরেছেন, জেলা সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিঠির পালটা দিলেন রাজ্যপালও। মমতাকে তিনি মনে করালেন রাজধর্মের কথা। টুইটে রাজ্যপাল বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ তিনি যে সংবিধান মেনে শপথ নিয়েছেন, আশা করি সেই শপথবাক্য রক্ষা করবেন। সংবিধানের ১৫৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব সংবিধানের আওতায় থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। ধনখড়ের তোপ, বাংলার সঙ্গে আরও চার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোট হয়েছে। অথচ, হিংসা শুধু এখানেই হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্যপালের বক্তব্য, এই কঠিন এবং অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে চটকদারি করা উচিত নয়। প্রয়োজন একসঙ্গে কাজ করার। এই কঠিন সময় আমাদের সংযম দেখানো উচিত। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করছি, সংবিধানের আওতায় থেকেই আমি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব।এদিকে এই পত্র চালাচালির মধ্যেও সূচি মেনেই জেলা সফরে যাওয়ার ব্যপারে মনস্থির করে ফেলেছেন জগদীপ ধনখড়। রাজভবন সূত্রের খবর, বিএসএফের হেলিকপ্টারে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কোচবিহারে যাবেন রাজ্যপাল। সেখান থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন তিনি। মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটায় যাবেন। কোচবিহারের সার্কিট হাউসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন ধনখড়। পরের দিন সকালে হেলিকপ্টারে অসমে যাবেন তিনি। সেখানকার রানপাগলি ও শ্রীরামপুর ক্যাম্পেও যাবেন। আপাতত এই সফর ঘিরেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।

মে ১৩, ২০২১
রাজ্য

৬ মে থেকে রাজ্যে বন্ধ সব লোকাল ট্রেন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন। সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ। পরিবর্তন করা হল বাজার খোলা রাখার সময়েও। পরিবর্তন হচ্ছে ব্যাংক খোলার সময়ও। বুধবার শপথ গ্রহণের পরই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। শপথগ্রহণের পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন, আপাতত করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সে কথা মাথায় রেখেই এদিন একাধিক নতুন নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনই লকডাউনের পথে হাঁটলেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করলেন: কাল থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন। সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ। বিমানযাত্রা ও দূরপাল্লার বাসযাত্রায় আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। বিমানযাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। তবে রাজ্যে আসার পর ব়্যাপিড টেস্টে করোনা আক্রান্তের হদিশ পেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর ব্যবস্থা করবে বিমানবন্দর। বাজার খোলার সময় পরিবর্তন করা হল। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা, এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে বউবাজারের সোনার দোকান খোলা রাখার সময়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সোনার দোকান দুপুর ১২টা থেকে ৩ পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মীর হাজিরা চালু। বেসরকারি অফিসে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর। কলকারখানা, নির্মাণ ক্ষেত্রে হাজিরা ৫০ শতাংশ করা হল। গ্রামে থাকা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোয়াক চিকিৎসককে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। যাতে তাঁরা কোভিড চিকিৎসা করতে পারেন। বন্ধই থাকছে রেস্তরাঁ, শপিং মল, জিম, সুইমিং পুল, বিউটি পার্লার, স্পা, পাব, বার। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক সমস্ত জমায়েত নিষিদ্ধ। বিয়েবাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন অতিথি উপস্থিত থাকতে পারবেন। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহণকর্মী, সংবাদকর্মী ও হকারদের অগ্রাধিকার। প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ায় গুরুত্ব বেশি। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে সন্দেহ থাকলে মৃতের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। যার রিপোর্ট দু-তিনঘণ্টার মধ্যে মিলবে। ফলে মর্গে দেহ জমা থাকবে না। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় জোর দেওয়া হবে। অর্থ সাহায্যের জন্য রাজ্যে দুটি ফান্ড চালু করা হল।এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে অক্সিজেন, টিকা বন্টন নিয়ে স্বচ্ছ নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকাকরণেরও দাবি জানিয়েছেন । ১০ হাজার রেমডেসেভির এবং তার বিকল্প হিসেবে টোসিজুমাব-এর হাজারটি ভায়াল চাওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন মমতা।

মে ০৫, ২০২১
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই কোভিড মোকাবিলা ও রাজ্যে হিংসা বন্ধের আবেদন মমতার

বুধবার রাজভবনে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করে উঠেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তাঁর প্রথম কাজ হবে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। শপথ নেওয়ার পরে নবান্নে গিয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল। আগামী ৫ বছর মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকার মানুষের হয়ে, মানুষের জন্য কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে বর্ণাঢ্য নয়, বরং একেবারে অনাড়ম্বরেই হয়ে গেল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সর্বসাকুল্যে অতিথি ছিলেন ৫০ জন। ছিলেন না সিপিএম, বিজেপির কোনও প্রতিনিধি।রাজ্যপালের থেকে শপথ বাক্য পাঠ করার পরে মমতা বলেন, তাঁর সরকারের প্রথম কাজ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা। রাজভবন থেকে সরাসরি নবান্নে গিয়ে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বৈঠকে বসবেন তিনি। সেখানেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। তার পর দুপুর ৩টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করবেন মমতা। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে সবাইকে জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে গত রবিবার নির্বাচনের ফল পরিষ্কার হতেই কালীঘাটে সাংবাদিকদের সামনে মমতা বলেছিলেন, তাঁর প্রথম কাজ হবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। শপথ নেওয়ার পরেও সেই একই কথা শোনা গেল তাঁর মুখে।এদিন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়েও বলতে শোনা যায় তাঁকে। গত ৩ মাস রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন। এবার তিনি দায়িত্ব হাতে নিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সামলাবেন বলেও জানান। এমনকী, যারা এই হিংসা ছড়ানোর কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোকেও রাজনৈতিক হিংসা থেকে বিরত থাকার আবেদন করেন। সমস্ত পাশাপাশি প্রতিহিংসাবশবর্তী হয়ে কোনও কাজ না করার আবেদনও করেন। এরপর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।

মে ০৫, ২০২১
দেশ

মোদির তোপের মুখে কেজরিওয়াল, চাইলেন ক্ষমা

শুক্রবার দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তিরস্কারের মুখে পড়তে হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে হাতজোড় ক্ষমাও চাইতে হল তাঁকে। তবুও বিতর্ক থেকে রেহাই পাননি তিনি। পরে কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন আধিকারিক রীতিমতো ভর্ৎসনা করলেন কেজরিওয়ালকে। তাঁদের অভিযোগ, অতিমারির সময়ে রাজনীতি করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।আসলে শুক্রবারের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন কেজরিওয়াল। তাঁর এহেন পদক্ষেপকেই কাঠগড়ায় তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলেন কেজরিওয়াল। তখনই তাঁকে থামিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, আমাদের যা প্রোটোকল রয়েছে, এখানে তার বিরুদ্ধাচরণ করা হচ্ছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী এমন একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করছেন, এমনটা একেবারেই হওয়া উচিত নয়।প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কারের জবাবে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় কেজরিওয়ালকে। তিনি জানিয়ে দেন, এমনটা ভবিষ্যতে আর হবে না। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, যদি তাঁর কথা বা আচরণে কোনও কঠোরতা প্রকাশ পেয়ে থাকে সেজন্যও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন তিনি।প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে থামানোর আগে কেজরিওয়াল দিল্লিতে করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেনের অপ্রতুলতা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, দিল্লিমুখী অক্সিজেনের ট্যাংকার অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এরপরই তাঁকে থামিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কেজরিওয়ালের এহেন আচরণ নিয়ে অভিযোগে তাঁকে বিদ্ধ করছেন কেন্দ্রের আধিকারিকরা। তাঁদের অভিযোগ, এমন কঠিন সময়ে এভাবে রাজনীতি করা উচিত নয়। বাকি মুখ্যমন্ত্রীরা যেখানে নিজেদের রাজ্যের পরিস্থিতি শোধরাতে কী পদক্ষেপ করেছেন সেকথা জানাচ্ছিলেন, সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল তেমন কিছুই বলতে পারেননি। উলটে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রের অব্যবস্থার দিকে।পরে বেগতিক অবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে অবশ্য জানানো হয়, কেন্দ্রের কাছ থেকে লিখিত বা মৌখিক কোনও নির্দেশ তাদের কাছে ছিল না যে এই ধরনের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করা যায় না।

এপ্রিল ২৩, ২০২১
রাজ্য

কলকাতায় আর কোনও বড় সভা করবেন না মুখ্যমন্ত্রী

ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । শহর কলকাতায় আর কোনও বড় রাজনৈতিক সমাবেশ করবেন না মমতা। শুধু আগামী ২৬ এপ্রিল বিডন স্ট্রিটে অনেক আগে থেকে পরিকল্পিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। তৃণমূল দলের তরফে ছোটখাটো জনসভার আয়োজন করা হতে পারে। তবে, সেই সভাগুলিতে মমতা নিজে উপস্থিত থাকবেন না। রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।ওই সাক্ষাৎকারে রাজ্য তথা দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে বিঁধেছেন মমতা। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের তথা প্রধানমন্ত্রীর অদূরদর্শিতার জন্য বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, দূরদর্শিতার অভাব না থাকলে আমরা আজ এত বিপদে পড়তাম না হঠাৎ করে। মমতার দাবি,গত ছমাস সেভাবে কোনও করোনা হয়নি। সেই সময়টাকে অবহেলা করা হয়েছে। এই ছমাস পরিকল্পনা করলে, আগামী ছমাস ভাল কাটত। ওষুধের জোগান নেই, অক্সিজেনের জোগান নেই। ৮০টা দেশকে আমরা ওষুধ দিয়ে দিয়েছি। আমি এটার নিন্দা করছি না। কিন্তু নিজের দেশের দরকারটা তো আগে বুঝতে হবে। এখন হঠাৎ করে আমার কাছে অক্সিজেন নেই, ভ্যাকসিন নেই, ওষুধ নেই। দূরদর্শিতার অভাব। নাহলে হঠাৎ করে আমরা এর মধ্যে পড়তাম না।নির্বাচনে করোনার প্রভাব নিয়ে মমতা জানিয়েছেন, আমরা শেষ ৩ দফা একসঙ্গে ভোট করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন শুধু বিজেপির কথা শোনে। আমাদের কাছে শোনে না। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মমতা কলকাতায় নিজের সব বড় জনসভা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন,দল নিজের মতো ছোট করে জনসভা আয়োজন করলে করবে। কিন্তু আমি সেখানে যাব না। কারণ আমি গেলে বেশি জমায়েত হবে। আসলে, গোটা রাজ্যের মধ্যে শহর কলকাতাতেই করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ২ হাজার ১৯৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের অন্য প্রান্তের কথাও ভাবছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এরপর থেকে রাজ্যের অন্যপ্রান্তের জনসভাগুলিতেও নিজের বক্তৃতার সময় কমিয়ে দেবেন তিনি। ছোট করে ভাষণ দেবেন।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

বাইরে থেকে বাংলায় ঢুকতে হলে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক

ভোটের মরশুমে বহিরাগতরা এসে বাংলায় রোগ ছড়াচ্ছে। আর সেই কারণেই রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। জনসভায় একাধিকবার এমন দাবিই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, যাঁরা বাইরে থেকে আসতে চাইবেন, তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করার পর বাংলায় পা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে।তৃণমূল নেত্রীর দাবি, অন্তত ১০ হাজার মানুষ অন্য জায়গা থেকে এ রাজ্যে এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সংক্রমিত। আর এঁদের কারণেই বাংলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই বহিরাগতদের নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন মমতা। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, এরপর বড় কোনও অঘটন ঘটলে তার জন্য নির্বাচন কমিশনই দায়ী থাকবে।গত বেশ কয়েকদিন ধরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলার ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে কমিশন ভোট প্রচারে লাগাম টানলেও করোনা রুখতে তা বিরাট কোনও ভূমিকা পালন করতে পারবে কি না, সে নিয়ে সন্দীহান ওয়াকিবহল মহল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে করানোর দাবিও তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সূচিতেই হবে নির্বাচন। ফলে আগের মতোই চলবে জনসভা, রোড শো। আর সেই কারণেই বাড়ছে চিন্তা। স্বাস্থ্যদপ্তরের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় কোভিড আক্রান্ত ৭,৭১৩ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা জানিয়েছে সাড়ে ৬ লক্ষ। ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। উপসর্গ তীব্র হলে তবেই হাসপাতালে, মৃদু উপসর্গ থাকলে প্রয়োজনে সেফ হোমে পাঠানো হবে কোভিড রোগীদের।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

নববর্ষে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

পয়লা বৈশাখের সকালে বাংলায় টুইট করে রাজ্য তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি টুইটে তিনি প্রোটোকল মেনে সকলের সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করলেন। আবার আরেকটি টুইটে উঠে এল রাজনীতির কথা। একটি ভিডিও পোস্ট করে নতুন বাংলা গড়ার বার্তা দিলেন। দিলেন পরিবর্তনের ডাক। সাতসকালে ফেসবুকে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।পয়লা বৈশাখে সাতসকালে বাংলায় করা এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলার মানুষের ভালবাসা আর প্রাণস্পন্দন প্রকৃত অর্থেই মন ছুঁয়ে যায়। নতুন বছর সকলের জীবনে সুখ সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক, সকালে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোন। পয়লা বৈশাখে ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহও নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর টুইট,মঙ্গলময় উৎসব পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আমার সকল বাঙালি বন্ধুদের জানাই অগ্রিম আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। ঈশ্বরের কাছে কামনা করি এই নতুন বছর প্রত্যেকের জীবনে বয়ে আনুক আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি।শুভ নববর্ষ! টুইটে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।অরাজনৈতিক পোস্টে শুধু নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়ার পর পয়লা বৈশাখের সকালে রাজনৈতিক পোস্টও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলায় এবং ইংরেজিতে করা দুটি টুইটে তিনি লিখেছেন,পুণ্যভূমি পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষে নতুনের সূচনা হোক, রাজ্য প্রগতির পথে এগিয়ে যাক!

এপ্রিল ১৫, ২০২১
কলকাতা

আমি মঙ্গলবার ধর্নায় বসছি, টুইট মমতার

প্রচারে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারির কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবার গান্ধি মূর্তির নীচে ধর্নায় বসছেন তিনি। সোমবার পৌনে আটটা নাগাদ খবর আসে, মমতার প্রচারে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তার পরেই মমতা টুইট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমি বেলা ১২টা থেকে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছি।তারকেশ্বর ও কোচবিহারের জনসভায় তিনি যা বলেছিলেন, তারই প্রেক্ষিতে মমতাকে নোটিস পাঠিয়েছিল কমিশন। আব্বাস সিদ্দিকির নাম না করে তারকেশ্বরে মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তার পরেই জনতার উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। বিজেপি এলে মনে রাখবেন সমূহ বিপদ, সবচেয়ে বেশি আপনাদের। কমিশন বলেছিল, কোনও জাত, পাত ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। যদি কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে এই বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তা হলে তাঁর প্রার্থীপদ খারিজও করা যেতে পারে। এর পরেই মমতাকে নোটিস পাঠায় কমিশন।অন্যদিকে, কোচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মমতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই সিআরপিএফ-এর একাংশ বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বলেন, সিআরপিএফ যদি গন্ডগোল করে, মেয়েদের একটা দল ওদের ঘেরাও করে রাখবেন। আর একটা দল ভোট দিতে যাবেন। শুধু ঘেরাও করে রাখলে ভোট দেওয়া হবে না। তাই ভোট নষ্ট করবেন না। ৫ জন ঘেরাও করবেন। ৫ জন ভোট দেবেন। মমতার এই মন্তব্যের ভিত্তিতেও চিঠি পাঠায় কমিশন। তার জবাবে মমতা লেখেন, দেশের বাহিনীর প্রতি তাঁর সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কিন্তু সেই উত্তরে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা করেছেন। তার পর মুহূর্তেই মমতা জানিয়ে দেন, তিনি ধর্নায় বসছেন।

এপ্রিল ১২, ২০২১
রাজ্য

শীতলকুচি-কাণ্ডের প্রতিবাদে মোমবাতি হাতে বর্ধমানে রোড শো মমতার

হুইলচেয়ারে বসে নেত্রী। হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি। সঙ্গে জনজোয়ার। ভাঙা পা নিয়েই বর্ধমান শহরে রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শহরের পুলিশ লাইন থেকে স্পন্দন স্টেডিয়াম পর্যন্ত রোড শো করেন তিনি। গোটা রোড শোয় মোমবাতি হাতে ধরে রাখেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল সূত্রের খবর, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলির প্রতিবাদ জানাতেই এদিন মোমবাতি হাতে নিয়ে রোড শো করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।উত্তরবঙ্গে সভা শেষ করে এদিন বিকেলে বর্ধমানে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অনেক আগে থেকেই অবশ্য পুলিশ লাইন থেকে স্পন্দন পর্যন্ত জিটি রোডের দুধারে অগণিত মানুষ ভিড় করেন। পুলিশ লাইনে রোড শো শুরুর আগে ছৌ, রণপা শিল্পীরা অনুষ্ঠান শুরু করে দেন রাস্তায়। এছাড়া আদিবাসী লোকশিল্পীরাও ছিলেন। ডিজের সুরে খেলা হবে গান। আর গোটা যাত্রাপথে মাইকে বেজেছে, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। তৃণমূল নেত্রী কখনও হাত নেড়েছে, আবার কখনও হাতজোড় করে নমস্কার করেছেন রাজপথের দুধারে অপেক্ষারত মানুষজনকে।রবিবারের রোড শোয় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কিশোরী ও তরুণীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই দূর থেকে হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেলফি নিতে ভোলেননি। এদিনের রোড শোয় পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পূর্বস্থলি দক্ষিণের প্রার্থী স্বপন দেবনাথ, মন্তেশ্বরের প্রার্থী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, বর্ধমান দক্ষিণের প্রার্থী খোকন দাস, বর্ধমান উত্তরের নিশীথ মালিক, রায়নার শম্পা ধাড়া-সহ জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রার্থীরা ছিলেন।

এপ্রিল ১১, ২০২১
রাজ্য

এবার সরানো হল মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডিকে

নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় ভোটপ্রচারে গিয়ে আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনায় ফের কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। এবার সরিয়ে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অশোক চক্রবর্তীকে। তিনি অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি বা ওএসডি পদে কর্তব্যরত ছিলেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। তবে ওই পদে কাকে আনা হবে, তা এখনও জানা যায়নি।এর আগে গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় গিয়ে জখম হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। অসুস্থ অবস্থায় রাতেই কলকাতায় ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। দেড়দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জখম হওয়ার এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির রং লেগেছিল। একাধিক অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। অন্যদিকে পর্যাপ্ত তদন্তের দাবিতে কমিশনে যায় বিজেপি। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জখম হওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব ও সিইও-র কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষককে নিজেদের মতামত জানানোর কথাও বলা হয়েছিল। তাঁদের রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের ফুলবেঞ্চ বৈঠকেও বসে।এরপরই রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। তাঁর জায়গায় আনা হয় জ্ঞানবন্ত সিংকে। এছাড়াও সরিয়ে দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে। তাঁর জায়গায় নতুন জেলাশাসক হন স্মৃতি পাণ্ডে। এর পাশাপাশি প্রবীণ প্রকাশকে পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়ে ওই জায়গায় আনা হয় সুনীল কুমার যাদবকে। কিন্তু সেই ঘটনার এতদিন পরে ফের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয়ের এক আধিকারিককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আর এই নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠতেও শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

এপ্রিল ০৯, ২০২১
রাজ্য

মমতাকে দ্বিতীয়বার নোটিস কমিশনের

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নোটিস নির্বাচন কমিশনের। গত ২৮ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কমিশন। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাহিনী নিয়ে মমতার মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। কেন তিনি এই ধরনের মন্তব্য করলেন, তা ব্যাখ্যা করতে হবে তৃণমূলনেত্রীকে। এবং এই ব্যাখ্যা দিতে হবে ১০ এপ্রিলের মধ্যে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে কমিশনের নোটিসের জবাব দিতে হবে।বস্তুত, রাজ্যের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই সরব মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চাপে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাংলার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বাহিনী। গত ৭ এপ্রিল কোচবিহার উত্তরের সভায় তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট প্রভাবিত করতে এলে তার পালটা দেওয়ার পরামর্শ দেন মহিলা ভোটারদের। তাঁকে বলতে শোনা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে একদল ওদের ঘিরে ফেলুন। আরেক দল ভোট দিতে যান। কারা এই কাজ করছে, তাদের নাম লিখে রাখুন। এর আগে গত ২৮ মার্চও বাহিনী নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি কমিশনের। তাঁদের দাবি, তৃণমূলনেত্রীর এই মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। দ্রুত তাঁকে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।এটা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো কমিশনের প্রথম নোটিস নয়। এর আগে গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরের জনসভা থেকে মমতার করা একটি মন্তব্যের জেরে তাঁকে নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন। তারকেশ্বরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, শয়তানদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। অভিযোগ তোলেন, বাংলাকে বিজেপি ধর্মের নামে ভাগ করে দিতে চাইছে। বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মমতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তাঁর দাবি ছিল, সংখ্যালঘুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়ে মমতা নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন মমতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে নোটিস পাঠায় কমিশন। আজই সেই নোটিসের জবাব দেওয়ার শেষদিন।

এপ্রিল ০৯, ২০২১
কলকাতা

সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জের, মমতাকে নোটিস কমিশনের

ফের নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরের জনসভা থেকে মমতার করা একটি মন্তব্যের জেরে তাঁকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, শয়তানদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। অভিযোগ তোলেন, বাংলাকে বিজেপি ধর্মের নামে ভাগ করে দিতে চাইছে। বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মমতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তাঁর দাবি ছিল, সংখ্যালঘুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়ে মমতা নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন মমতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।ঘটনাচক্রে তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে দিন দুই আগে কোচবিহারের জনসভা থেকে সরব হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তাঁর দাবি ছিল, মমতা জনসমক্ষে সব মুসলমানকে এক হতে আহ্বান করেছেন। বলেছেন, সব মুসলমান এক হও, ভোট ভাগ হতে দিও না। তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ ছিল, মমতা যেমন বলছেন, তেমন যদি আমি বলতাম যে, সব হিন্দু এক হয়ে বিজেপিকে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচন কমিশন আমাকে ৭-৮ দিনের জন্য নোটিস দিয়ে দিত। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও নোটিস আসে। জানি না, কমিশন আপনাকে নোটিস দেবে কিনা। প্রধানমন্ত্রী সেই কটাক্ষের দুদিনের মধ্যেই মমতাকে নোটিস দিল কমিশন।

এপ্রিল ০৭, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামে ভোটপর্ব মিটতেই উত্তরবঙ্গের প্রচারে যাচ্ছেন মমতা

নন্দীগ্রামে ভোটপর্ব মিটতেই উত্তরবঙ্গে প্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের ভোট শেষ হলেও কলকাতায় ফিরছেন না তিনি। বরং রাতটুকু নন্দীগ্রামে কাটিয়ে শুক্রবার সকালে কলকাতা ছুঁয়ে দমদম বিমানবন্দর থেকে উত্তরবঙ্গ রওনা হবেন প্রচারে জন্য।উত্তরবঙ্গের ২ জেলায় ৩টি জনসভা রয়েছে তাঁর। মূলত কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় তিনটি জনসভা হবে। এই তিনটি জনসভা থেকে উত্তরবঙ্গের ১৪টি আসনের জন্য ভোট প্রচার সারবেন। আগামী ১০ এপ্রিল রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন। সেই দফায় মোট ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। যাঁর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির সঙ্গেই উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলাতেও ভোট হবে। সেই ভোটের প্রচারেই মমতা যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। দুটি জেলায় ৩টি জনসভার কর্মসূচি মাধ্যমে ১৪টি বিধানসভার ভোট তৃণমূল শিবিরের দিকে টানাই লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ, এই ১৪টি আসনের মধ্যে লোকসভার নিরিখে ১২টিতেই এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। শুক্রবার দুপুরে দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ-র সমর্থনে দিনহাটা টাউনে সংহতি ময়দানে সভা করবেন। তারপরে তুফানগঞ্জ এসএমএ মাঠে তুফানগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী প্রণব কুমার দে-র সমর্থনে জনসভা হবে মমতার। এরপর ফালাকাটায় টাউন ক্লাবের মাঠে প্রার্থী সুভাষ রায়ের সমর্থনে সভা রয়েছে তাঁর।

এপ্রিল ০২, ২০২১
রাজনীতি

'দিদি হার মেনে নিয়েছেন', মমতাকে কটাক্ষ মোদির

নন্দীগ্রামের বয়ালে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথে বসে একের পর এক ফোন করছেন, ঠিক তখনই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর আধা সেনার উদ্যোগে বয়াল থেকে বেরিয়ে মমতা যখন সাংবাদিক বৈঠক করলেন তার পরেই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় জনসভা শুরু হল মোদির। আর দুই সভাতেই মোদি টেনে নিয়ে এলেন হট সিট নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ। বললেন, বাংলা যা চাইছে সেটাই হয়েছে নন্দীগ্রামে। দিদি, প্রথমে ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। পরে বুঝলেন সেটা ভুল করেছি।গোটা দিন নন্দীগ্রামের ভোটগ্রহণ নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করে গেছে তৃণমূল। অভিযোগ জানিয়েছেন প্রার্থী মমতাও। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করেও ভোটে অনিয়মের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, তাঁর কোনও অভিযোগ নেই জানিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শুভেন্দু যেমন জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিন্ত বলে দাবি করেছেন তেমন মমতাও দুআঙুলে ভিকট্রি দেখিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামে তৃণমূল ৯০ শতাংশ ভোট পাবে। মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে আমিই জিতব। পাশাপাশি তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই আমি। গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে।যদিও মোদির বক্তব্যে ইঙ্গিত স্পষ্ট, নন্দীগ্রামে বিজেপি-র জয় নিয়ে তিনি নিশ্চিত। দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনেই বাংলা দখলের প্রত্যায়ও বৃহস্পতিবার শোনা গিয়েছে মোদির গলায়। তিনি বলেন, দিদিকে দেখুন। তা হলেই সব বুঝে যাবেন। দিদিই ওপিনিয়ন পোল, দিদিই এক্সিট পোল। ওঁর চোখ-মুখ, হাব-ভাবেই সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। মোদি বৃহস্পতিবার দাবি করেন, বাংলায় যে আসল পরিবর্তন-এর জোর হাওয়া বইছে তা প্রথম দফাতেই বোঝা গিয়েছে। বিজেপি ২০০-র বেশি আসনে জিতবে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে বাংলায় তৃতীয় দফার ভোট প্রচারে রাজ্যে সিন্ডিকেটের সরকার চলছে বলে আক্রমণ করেন। বলেন, দিদি সব কিছুতে শুধু বাধা দিতেই জানেন। শিল্পকে ধ্বংস করেছেন। ১০ বছর কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই সরকার চালিয়েছেন। কিন্তু একবিংশ শতকের বাংলায় ওই সরকার চলবে না। বাংলার দরকার এক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সরকার, যারা পরিকল্পনা করে বাংলার উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামে ৯০ শতাংশ ভোট পাবেন, আত্মবিশ্বাসী মমতা

রাজ্যে দ্বিতীয় দিনের ভোটে প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র নন্দীগ্রাম । ভোটদানের শেষবেলায় সেই যুদ্ধক্ষেত্রে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সুর তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বয়ালের স্পর্শকাতর বুথ থেকে ফেরার সময় বললেন, আমি চিন্তিত নই, এখানে আমি মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে জিতব। ৯০ শতাংশ ভোট পাব। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয় নিয়ে এ কথাই বলেন তিনি। এরপর বলেন, আমি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দোষ দিচ্ছি না। ওরা নির্দেশমতো কাজ করছে। ওদের নির্দেশ দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কমিশনের নীরবতা দেখে দুঃখিত।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নন্দীগ্রামে ঘটে চলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা। দুপুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথ পরিদর্শনে বেরিয়েই চলে যান বয়াল-২ এলাকায়। এখানকার ৭ নং বুথে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই মর্মে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেখানে চলে যান। অশান্তি এত তীব্র আকার নিতে দেখে বুথে বসেই সরাসরি ফোন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। এমনকী বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে বলতে চিঠিও লিখে ফেলেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে। পালটা টুইট করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথাযথ থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপালও।ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ ঘিরে সকাল থেকে অশান্তি ছড়াচ্ছিল বয়াল-২ এলাকায়। বেলা বাড়তেই স্পর্শকাতর হয়ে উঠছিল ৭ নং বুথটি। দুপুরে সেখানে মমতা পৌঁছতে তাঁকে কাছে পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ জানাতে থাকেন যে, বিজেপির কর্মী,সমর্থকরা তাঁদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। এ নিযে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মমতার উপস্থিতিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে তাঁর নিরাপত্তার স্বার্থে বুথের ভিতর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বসেই রাজ্যপালকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ওরা লোকজনকে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। আমি সকাল থেকে খবর পাচ্ছি। এখন আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি, বিষয়টা দেখুন।এমনকী, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি লিখেও অভিযোগ জানান তিনি। খবর পেয়ে তৎপর হয় দিল্লি নির্বাচন কমিশনও। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ফোন করে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে। বয়ালের খবরাখবর নেন। এদিকে, অশান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বয়ালের ওই বুথে চলে যান নন্দীগ্রামের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন, অভিযোগ জানান। এরপর তাঁর কথায় আশ্বস্ত হয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর বুথ ছাড়েন তিনি।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের ঢুকতে না দেওয়ার সতর্কবার্তা মমতার

পায়ে চোট নিয়েই প্রায় মাসখানেক ধরে হুইলচেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচার সারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর মন্দির দর্শনে গিয়ে পায়ে আঘাত পান তিনি। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিশ্রাম নেননি তেমন। হুইলচেয়ারকে সঙ্গী করেই বেরিয়ে পড়েছেন। ঘুরেফিরে আজ ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো। টানা তিনদিন এখানেই রয়েছেন, একাধিক জায়গায় জনসভা করছেন। আর প্রায় প্রতিবারই ঘুরেফিরে আসছে তাঁর চোটের প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার বাঁশুলিয়াচকের সভা থেকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর গলায় ফের শোনা গেল সেই কথা। বললেন, নন্দীগ্রামের মানুষকে দোষ দিই না। আমার পায়ে চোট করানো হয়েছে বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে। এরপরই তাঁর বার্তা, সন্ধে ৬টার পর কাউকে ঢুকতে দেবেন না। এদিন তাঁকে দেখেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শোনা যায়। এরপরই তিনি বহিরাগত গুন্ডাদের কথা বলেন। সোমবার নন্দীগ্রামের বয়াল-২র সভা থেকে মমতা নাম না করে তাঁর আঘাতের জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন, আমাকে মেরেছে। আমার পা জখম করেছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা হতে পারে না। নন্দীগ্রামের কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি। বহিরাগত গুণ্ডাদের এনে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এখন দলের লোকেদের মারছে। হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভোটের আগে বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনে গিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, ভোটে অশান্তি তৈরির জন্য এসব ষড়যন্ত্র চলছে। এবার নন্দীগ্রামে অশান্তি রুখতে একজন প্রশাসনিক প্রধানের মতোই পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরের মানুষজনের আনাগোনা ভোটের দিন যে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতি হতে পারে, সর্বোপরি সাধারণ মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরনোর ঝুঁকিও না নিতে পারেন, এসব সম্ভাবনা বেশ টের পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু তিনি সজাগ, এক অভিভাবকের মতোই। তাই স্থানীয়দের প্রতি তাঁর সরাসরি বার্তা, বাইরের কাউকে আর ঢুকতে দেবেন না। শুধু ইনসাইডাররা থাকবেন, আর আমি থাকব। আমি ভোটার, আমাকে তো থাকতেই হবে। এই প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন, কোনও অশান্তি করবেন না। কেউ অন্য়ায় করলে আমি আছি তো শাস্তি দেওয়ার জন্য। আসলে, নন্দীগ্রামে কতটা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হবে, তা নিয়ে চিন্তায় সবমহলই।

মার্চ ৩০, ২০২১
কলকাতা

কুটিল চিত্রনাট্য ছিল নন্দীগ্রামে, সরব তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী

বর্তমানের পরে এ বার প্রাক্তন। প্রায় দেড় দশক আগে নন্দীগ্রামে এবং সিঙ্গুরের জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে কুটিল চিত্রনাট্যের অভিযোগ তুললেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে চক্রান্ত, তার জেরে রাজ্যের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ হাতছাড়া হওয়া নিয়ে সোমবার এ বিষয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন বুদ্ধ। তৃণমূল এবং বিজেপি-কে দুষে লিখেছেন, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে এখন শশ্মানের নীরবতা। সে সময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দুভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলার যুব সমাজ।পাশাপাশি, দেড় দশক আগে বামফ্রন্টের স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে বুদ্ধ লিখেছেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই যে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ভাবনা আমরা রাজ্যের মানুষকে বলার চেষ্টা করেছি, তা হল কৃষি আমাদের ভিত্তি-শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়েছি। ঘটনাচক্রে, নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে রবিবার রেয়াপাড়ায় তৃণমূলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষেছিলেন শিশির এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ বাপ-ব্যাটার অনুমতি নিয়েই পুলিশ নন্দীগ্রামে অভিযান চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এমনকী, হাওয়াই চটি-পরা পুলিশ ঢোকানোর দায়ও মমতা চাপিয়ে দেন তাঁদের ঘাড়ে। তবে স্থানের উল্লেখ করেও সরাসরি কাল এবং পাত্রের নাম না করেননি সে সময়ের পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধ। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চের পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু কিংবা নভেম্বরের সূর্যোদয় (নন্দীগ্রামে সিপিএমের পুনর্দখল) প্রসঙ্গ নিয়েও কিছু বলেননি। রবিবার মমতার মন্তব্যের পরেই নন্দীগ্রামে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে নেটমাধ্যমে প্রচারে নামে সিপিএম। তাদের বক্তব্য, তৎকালীন বিরোধী নেত্রী স্বীকার করে নিলেন যে, ওই ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত ছিল! কারণ, শিশির-শুভেন্দু এবং মমতা তিনজনেই তখন বিরোধী তৃণমূলে ছিলেন। বুদ্ধ অবশ্য এর আগেও নন্দীগ্রামের ঘটনার (পুলিশি গুলিচালনা) পিছনে চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরবর্তী কালে নন্দীগ্রামে পুলিশি অভিযানে গ্রামবাসীদের মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছিলেন তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী।

মার্চ ২৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal