• ৮ শ্রাবণ ১৪৩২, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bengal

রাজ্য

তৃণমূল নেতার পরিবারের একসঙ্গে ৩ জন স্কুলের চাকরি খোয়ালেন, ব্যাপক শোরগোল এলাকায়

হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষা দফতরের ৮৪২ জনের চাকরি খোয়াতেই রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। বিধায়কপুত্র, কন্য়া থেকে তৃণমূল নেতাদের পরিবারের সদস্যদের একের পর এক চাকরি চলে যাওয়ার খবর আসছে। বাতিলের তালিকায় মালদহের তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে ও জামাইয়ের নাম রয়েছে। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলের চাকরি দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতৃত্বই জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল চেয়ারম্যান প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে মাম্পি দাস, শম্পা দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের রায়ে। প্রকাশের বাড়ি উত্তর রামপুর গ্রামে। মাম্পি দাস হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুল, শম্পা দাস হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয় এবং বিপ্লব দাস কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলে ক্লার্ক পদে কর্মরত ছিলেন। তৃণমূল নেতার পরিবারের ৩ জনের চাকরি চলে গিয়েছে এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।বিরোধীদের দাবি, মোটা টাকার বিনিময়ে তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে ও জামাইয়ের স্কুলে চাকরি হয়েছিল। এই কারণেই প্রকৃত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরি পাচ্ছে না। তবে প্রকাশ দাসের বক্তব্য, আমার মেয়েরা নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। আমি তৃণমূলের কুশিদা অঞ্চল চেয়ারম্যান ছিলাম। সেই সময় চেয়ারম্যানের কি ক্ষমতা ছিল? অন্যদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, কোর্টের নির্দেশে এগুলো হচ্ছে। বেআইনী নিয়োগ হলে ব্যবস্থা হবে। দল পাশে থাকবে না।

মার্চ ১২, ২০২৩
রাজ্য

১০ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক বাম ছাত্র সংগঠনের

আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এআইডিএসও র ছাত্র মিছিল কলেজ স্কোয়ার পরিক্রমা করে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে শেষ হয়। বিষয়ঃ রাজ্যের ৮২০৭ টি সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত রুখতে, দুর্নীতি মুক্তভাবে সমস্ত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সহ সরকারি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাতিলের দাবিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ হরণকারী শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে, সরকারি শিক্ষা বাঁচানোর লক্ষ্যে রাজ্যের সংগ্রামী শিক্ষাপ্রেমী মানুষ, এবং এই উদ্দেশে আগামী ১০ মার্চ সারা বাংলা ছাত্র ধর্মঘটের ডাক । এআইডিএসও র আরো দাবী রাজ্যের ৮২০৭ টি স্কুলের যে ভয়াবহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রেমী মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে। সম্প্রতি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের স্কুল পর্যবেক্ষনের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে ৩০ জনের কম ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে চলছে এমন স্কুলের সংখ্যা কলকাতা সহ প্রতিটি জেলায় কয়েকশ। সরকারি স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার ঘটনা আকস্মিক নয়। বামফ্রন্ট সরকারের সময়েও ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলের সংখ্যা নেহাতই কম ছিল না। বর্তমান তৃণমূল সরকার এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে সদর্থক কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বামফ্রন্ট সরকার প্রাথমিকে পাশফেল তুলে দিয়ে স্কুল শিক্ষার সর্বনাশ শুরু করে ড্রপআউট বৃদ্ধির প্রচেষ্টা শুরু করেছিল আর বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশফেল তুলে দিয়ে স্কুল শিক্ষাকে পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে৷ পাশাপাশি সরকারি স্কুলে প্রত্যেক বছর ব্যাপক ফি বাড়ানো হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না। কোভিড পরিস্থিতির পরে পরিবারগুলোর রোজগারের পথ যখন বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং এখনও রাজ্য সরকার শিক্ষার ফি মকুব করার মতন ছাত্রস্বার্থবাহী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উপরন্তু মুখে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করলেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নিয়ে আসা জাতীয় শিক্ষা নীতিকে তারা এ রাজ্যে চালু করেছে। যে শিক্ষা নীতি গণতান্ত্রিক, সার্বজনীন শিক্ষাকে ধ্বংস করে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্পোরেট পুঁজির লুঠের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিনত করছে। আর এক দিকে পাশ ফেল না থাকা, রাজ্যের স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি এবং শিক্ষকের অভাব সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর বেহাল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ফলে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আরও আশঙ্কা এই শিক্ষা নীতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্র সংখ্যা কম এই অজুহাতে এই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেই পিপিপির আওতায় এনে সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশি বিদেশি মালিকদের হাতে তুলে দেবে সরকার। সেখানে রমরমিয়ে চলবে শিক্ষা ব্যাবসা। যার সাথে দেশের গরীব পরিবারের ছাত্রছাত্রীদেরর কোনও সম্পর্ক থাকবে না। এই প্রক্রিয়ার একটু একটু করে চলে যাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ। তাই সরকারের এই শিক্ষা স্বার্থবিরোধী, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ হরণকারী শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে, সরকারি শিক্ষা বাঁচানোর লক্ষ্যে রাজ্যের সংগ্রামী শিক্ষাপ্রেমী মানুষ, ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের উদ্দ্যেশ্যে আগামী ১০ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের আহ্বান রাখছি আমরা।

মার্চ ০২, ২০২৩
রাজ্য

DA-র দাবিতে নাছোড়বান্দা সরকারি কর্মীরা এবার ধর্মঘটের পথে, অচল হবে অফিস

কর্মবিরতির পর এবার ধর্মঘটের ডাক। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ সরকারি দফতরে বনধের ডাক দিলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ ও কো অর্ডিনেশন কমিটি। এর আগে ধর্মঘটের দিন ঘোষণা হয়েছিল ৯ মার্চ। ওই দিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা আছে। তাই এই পরিবর্তন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে সরকারি কর্মীদের একাংশ।বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ বন্ধ ডাক। কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। কর্মবিরতির দিন সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের অফিসের কাজে যোগ দিতে। বনধেরও যে বিরোধিতা করবে রাজ্য তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পর পর দুদিনের কর্মবিরতিতে সরকারের টনক না নড়ায় এবার পুরোপুরি ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটলেন সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ১০ মার্চ হকের ডিএ-র দাবিতে প্রশাসনিক কাজকর্মে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। ওই দিন সরকারি দফতরে কাজকর্ম যে লাটে উঠবে। ডিএ নিয়ে যে সরকারি কর্মচারিদের সংগঠন সহজে ছেড়ে কথা বলবে না তা স্পষ্ট করেছে তাঁরা।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বাজেট ভাষণে ক্ষুব্ধ বিজেপি, এক বছরেই উলোট-পূরাণ

রাজ্যপাল হায় হায় বলে স্লোগান দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের দেওয়া লিখিত ভাষণ পাঠ করা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। রাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন চোর ধরো জেল ভরো স্লাগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের ভাষণের কপি। ওয়াকআউট করে বিজেপি বিধায়করা। এমনকী রাজ্যপাল বিধানসভা চত্বরে গাড়িতে ওঠার সময়ও গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন।এর আগে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সময় বিপরীত দৃশ্য দেখা যেত। তখন রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাত তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা, এখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বিজেপি বিধায়করা। একেবারেই উলোট-পূরাণ।গতবছর ২০২২ রাজ্য বাজেট অধিবেশনে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ভাষণ না পাঠ করেই বিধানসভার কক্ষ ত্যাগ করছিলেন। তখন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, শিউলি সাহারা ঘেরাও করে ফেলেছিলেন ধনকড়কে। কোনওরকম ভাবে নামকা ওয়াস্তে রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণ পাঠ করে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চোখের ইশারায় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা এমন কান্ড ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখন বিজেপির স্লোগান-বিক্ষোভের সমালোচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল বদলে যেতেই বদলে গেল বিধানসভার পরিস্থিতি। এমনকী রাজভবনকে তৃণমূল বলত বিজেপির সদর দফতর। এখন পরিস্থিতির অনেকটাই বদল ঘটেছে। জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের পদ ছেড়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। তখনও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে বিজেপি। তারপর সেন্ট জেভিয়ার্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডি লিট প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন রাজ্যপাল।মোদ্দা কথা রাজ্যপালের কর্মকান্ডে খুশি নয় বঙ্গ বিজেপি। এখনও অবধি রাজ্যপালের অবস্থানে তৃণমূল স্বস্তিতে।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
দেশ

মাছে ভাতে বাঙ্গালিকে হিন্দি ভাষী অভিনেতার অসন্মান করার তীব্র প্রতিবাদ জানালো 'বাংলা পক্ষ'

হিন্দি সিনেমা অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়াল বাঙালিকে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা বলেছে এবং বাঙালিদের নিয়ে গুজরাটিদের মধ্যে ব্যাপক বাঙালি বিদ্বেষ ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ বাংলা পক্ষর। বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়েও পরেশ রাওয়াল বাঙ্গালিদের অপমান করেছে বলে অভিযোগ । এর বিরুদ্ধেই আজ কলকাতার রানুছায়া মঞ্চে বিক্ষোভ কর্মসূচী করল ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ। সংগঠনের তরফে বাংলার মাটিতে অভিনেতা পরেশ রাওয়ালকে বয়কটের ঘোষণা করল বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষের শীর্ষ পারিষদ কৌশিক মাইতি জনতার কথাকে জানান, বাংলা তথা ভারতে তীব্র বাঙালি-বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে নামছে তাঁরা। প্রতিবাদের অংশ হিসাবে মাছ খেয়ে বাংলায় সর্বত্র মাছ খাওয়া এবং মাছ খাওয়া বাঙালি জাতির অধিকার দ্বিগুণ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার শপথ নেওয়া হয় এই সভায়। প্রতিকি প্রতিবাদ জানিয়ে মাছ খাইয়ে দেওয়া হয় পরেশ রাওয়ালের ছবিতেও।শুক্রবারের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক ও শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অমিত সেন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের জেলা সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় বাঙালি বিদ্বেষী পরেশ রাওয়ালের সিনেমা নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিল বাংলা পক্ষ। আমরা বাংলার সব ডিস্ট্রিবিউটরকে বলতে চাই পরেশ রাওয়াল কে বয়কট করুন। বাংলা থেকে এক পয়সাও কামাতে না পারে পরেশ রাওয়াল। গত কয়েকবছর ধরে বিজেপির কারণে ভারতের নানা জায়গায় বাঙালিকে বাংলাদেশি দাগানো হচ্ছে। জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে৷ আমাদের রাজ্যে শিল্প, কাজ থাকলেও তা বিহার-ইউপি-ঝাড়খন্ডের লোকজন এসে দখল করছে। বাংলায় কাজ না পেয়ে বাঙালি বাইরে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশি বলে আক্রমণের শিকার হচ্ছে। আমরা এর সমাধান চাই। বাংলার সব বেসরকারি চাকরি ও কাজে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই।কৌশিক মাইতি বলেন, পরেশ রাওয়াল বলেছেন মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব বড় সমস্যা না, বড় সমস্যা হল গুজরাটে বাঙালি বেড়ে যাওয়া৷ বাঙালি মানেই বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা। বাঙালি বাড়লে, চারপাশে মাছ রান্না করলে সেটা অনেক বড় সমস্যা। বাঙালি বোঝো। NRC র কারণে কতটা বাঙালি বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে ভারতে। বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি, মাছ খেলে বাংলাদেশি? আগে কৈলাশ বিজয়বর্গী বলেছিলন চিঁড়ে খেলেও বাংলাদেশি৷ বাঙালি বিদ্বেষ বাড়ছে, আক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু বাঙালি আর আগের বাঙালি নেই। বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। আজ আমরা মাছ ভাজা খেয়ে প্রতিবাদ করলাম। আগামীতে বাংলার নানা জায়গায় ঘরের দুয়ারে মাছের কাঁটা ফেলা হবে৷ বাংলা পক্ষর তরফে জানা গেছে তাঁরা, পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খতিয়ে দেখছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মাত্র ২৪-এ চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা, ২০ দিনের যাবতীয় লড়াই শেষ

অবশেষে জীবনযুদ্ধে হার মানতে হল অভিনেত্রীকে। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ২০ দিন ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন হাওড়ার হাসপাতালে। হাসপাতালে সর্বক্ষণ ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী, রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা।গতকাল রাতে টানা ১০ বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে ঐন্দ্রিলার। ২০ দিন আগে অভিনেত্রীর স্ট্রোক করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর আগে ২০১৫-তে বোন ম্যারো ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। দিল্লিতে সেই সময় কেমো থেরাপি চলেছিল। ২০১৬-তে সুস্থ হন তিনি। ক্যানসারকে হারিয়ে দিব্যি অভিনয় করছিলেন। এরপর ২০২১-এ ডান ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়েছিল। শেষমেশ হার মানলেন ঐন্দ্রিলা। এদিন ১২টা ৫৯ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে টলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নভেম্বর ২০, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় স্থায়ী রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস

স্থায়ী রাজ্যপাল পেল পশ্চিমবঙ্গ। কেরলের বাসিন্দা ড. সিভি আনন্দ বোস নয়া রাজ্যপাল হচ্ছেন বাংলায়। অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অস্থায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। এমনকী অভিযোগত্র তুলে দেওয়ার সময় রাজ্যপাল ছিলেন না রাজভবনে। রাজ্যপালের সেক্রেটারির কাছে দাবি সনদ পেশ করেন শুভেন্দুরা। এরপরই ঘোষণা হল বাংলার নয়া রাজ্যপালের নাম।I heartily welcome the appointment of Dr. C V Ananda Bose; IAS (Retd.) as the Honble Governor of West Bengal.An eminent Civil Servant, he accomplished great feats in his career. Before retirement he served as the Chief Secretary Secretary to Government of India. pic.twitter.com/TF13XTlaFN Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 17, 2022৭১ বছরের ডঃ সি ভি আনন্দ বোস পেশায় প্রাক্তন আইএএস অফিসার। জেলা থেকে রাজ্যস্তরের প্রশাসনে নানা সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এখন আনন্দ বোস মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন। নয়া রাজ্যপাল জানিয়েছেন বাংলার সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এরাজ্যেই। সেখানেই এবার রাজ্যপালের দায়িত্বভার সামলাবেন

নভেম্বর ১৭, ২০২২
দেশ

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে ধৃত জামালপুরের দম্পতির পরিচয়ের খোঁজে জেলায় বেঙ্গালুরু পুলিস

অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে পশ্চিম বাংলার দম্পতি জেলে বন্দি। বেঙ্গালুরু পুলিশ নগরিকত্ত্বের তথ্য যাচাই করতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে চষে বেড়ালো। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে বেঙ্গালুরুর জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে রাজ্যের এক শ্রমিক দম্পতিকে। রেহাই পায়নি তাঁদের দেড়বছরের শিশু পুত্রও। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়েই বেঙ্গালুরুর জেলে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী।বেঙ্গালুরুর ভারথুর থানার পুলিশ এখন এরাজ্যে এসে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে ঘুরে নথি সংগ্রহ করছেন। তার মাধ্যমে তাঁরা নিশ্চিৎ হতে চাইছেন, তাঁদের করা মামলার জেরে বেঙ্গালুরুর জেলে বন্দি থাকা দম্পতি আদৌ কি বাংলাদেশি! নাকি তারা প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক। এমনটা জেনে অধিকারী পরিবারের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, এবার হয়তো পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও পুত্র জেল থেকে মুক্তি পাবে।দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামের বাসিন্দা। পলাশ ও তাঁর পরিবারের সবাই শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পলাশ স্ত্রী শুক্লাদেবী ও শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়ে চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে পলাশ কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরূ যান। একই উদ্দেশ্যে পলাশের বাবা পঙ্কজ অধিকারী এবং মা সবিতাদেবীও বেঙ্গালুরু যান। সেখানকার মারাথাহাল্লি (Marathahalli) মহকুমার ভারথুর (varthur) থানার সুলিবেলে (sulibela) গ্রামের কায়েন খাঁনের ডেরায় তারা ওঠেন।সেখানে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা মজুরির শর্তে তারা কায়েন খাঁনের অধীনে কাজ করা শুরু করেন।তাদের কাজ ছিল হোটেল,রেঁস্তোরা, সিনেমা হল সহ বিভিন্ন জয়গা থেকে সংগৃহীত বর্জ্যবস্তু,বোতল,প্লাস্টিক সরঞ্জাম এইসব বাছাই করা।গত ২৭ জুলাই ভারথুর (varthur) থানার পুলিশ কায়েন খাঁনের ডেরায় হানা দেয়। সেখানে যাঁরা যাঁরা বাংলাভাষী ছিল তারা সবাই নাকি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, এমন সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ তাদেরও আরো পাঁচ জনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। ওই সময়ে পলাশ,তাঁর স্ত্রী,বাবা-মা সবাই ভারথুর থানার পুলিশকে জানান তাঁরা কেউই বাংলাদেশী নন। তাঁরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে জানিয়ে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড দেখান। সেইসব দেখে সেখানকার ভারথুর থানার পুলিশ পলাশের বৃদ্ধ বাবা,মাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্র সহ সাত জনকে ছাড়ে না। তাদের বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে ভারথুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে শিশুপুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়েই বেঙ্গালুরুর জেলে দিন কাটাচ্ছে পলাশ ও তাঁর স্ত্রী শুক্লা। ছেলে,বৌমা ও নাতি কে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য পলাশের বাবা ও মা বেঙ্গালুরুতে থেকে নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু সুরাহার কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় তাঁরাও যথেষ্ট হতাশ হয়ে পড়েছেন।বিডিও ( জামালপুর) শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, আমার ব্লকের তেলে গ্রামের বাসিন্দা এক দম্পতিকে ফরেনার্স এ্যাক্টে গ্রেপ্তার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা সেখানকার জেলে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে বন্দি হয়ে রয়েছে। বিডিও জানান, তিন চারদিন আগে বেঙ্গালুরুর ভারথুর থানার তিন পুলিশ আধিকারিক তদন্তের স্বার্থে তাঁর কাছে আসে। পলাশ অধিকারী ও তাঁদের স্ত্রী প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক কিনা এবং তাদের ভোটার ও আধার কার্ডটি সঠিক কিনা, সেইসব বিষয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ তাঁর কাছে জানতে চায়। এছাড়াও পলাশদের পারিবারিক পরিচিতি, কতদিন ধরে তারা তেলে গ্রামে বসবাস করছে,তাদের কাস্ট স্ট্যটাস সহ নানা বিষয়ে জানতে চায়। সব তথ্য ভারথুর থারার মেইল আইডি তে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে বিডিও জানান। পশাপাশি তিনি এও বলেন, দম্পতি যে জৌগ্রামের তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সেই বিষয়ে জামালপুর থানার পুলিশও রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার আরও জানানা, ভারথুর থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা শুধু জামালপুর বিডিও অফিস ও থানায় এসে তথ্য যাচাই করে ফিরে গিয়েছেন, এমনটা নয়। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই পুলিশ আধিকারিক দল জামালপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি দফতরের অফিস, জৌগ্রাম পঞ্চায়েত, এমনকি বর্ধমান দক্ষিন মহকুমা শাসকের অফিসেও তথ্য যাচাইয়ের জন্য গিয়েছিল।পলাশের বোন শম্পা হালদার বলেন, বেঙ্গালুরূ পুলিশ আধিকারিক দল আমাদের তেলে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। বাড়ি ঘর ঘর দেখার পাশাপাশি ওই পুলিশ দল আমার দাদা, বৌদি ও ভাইপোর ভারতীয় নাগরিকত্ত্ব সংক্রান্ত সব নথিও যাচাই করে। পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। কোন খুঁত বেঙ্গালুরু পুলিশ বার করতে পারেননি । তাই আমরা প্রত্যাশা করছি, এবার হয়তো বেঙ্গালুরুর জেল থেকে আমার দাদা, বৌদি ও ভাইপো মুক্তি পাবে।

নভেম্বর ১৩, ২০২২
কলকাতা

পুলিশের কাজে বাধা, হিংসা ছড়ানো, গ্রেফতার ৩০ জনকে আদালতে পেশ করবে পুলিশ

২০১৪ টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার ৩০ জনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, এঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার আন্দোলনকারী অরুনিমা পালকে কামড়ে দেয় এক মহিলা পুলিশকর্মী। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চারিদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। সেই অরুনিমা পালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও কামড়ে দেওয়া পুলিশ কর্মী ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএমে। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে গতকাল উত্তাল হয়ে যায় কলকাতার রাজপথ।এর আগে সল্টলেকে করুনাময়ীতে লাগাতার অনশন অবস্থানে বসেছিল ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা। তখন আদালত থেকে ১৪৪ ধারা অর্ডার বের করে গভীর রাতে আন্দোলন তুলে দিয়েছিল পুলিশ। সেদিনও টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়েছিল। তারপর থেকে আগের মতো ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছিল। এদিন এক্সাইড মোড় ও ক্যামাকস্ট্রিটে চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশ প্রায় ২৮০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। মাথা ফেটে যায় আন্দোলনকারীদের, পুলিশের গাড়ির তলায় শুয়ে পড়ে চাকরি প্রার্থীরা। পুলিশ কামড়ে দেয় অরুনিমা পালকে। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৮০ জনের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের আজ আদালতে পেশ করা হবে।

নভেম্বর ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা শর্মা, ভেন্টিলেশনে মরণ-বাঁচন লড়াই অভিনেত্রীর

এর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। মন শক্ত করে লড়াই করে আটকে দিয়েছেন ক্যান্সারকে। ফিরেছেন অভিনয়ে। মঙ্গলবার রাতে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এই মুহূর্তে। জানা গিয়েছে, হঠাৎই স্ট্রোক করে মাথায় রক্ত জমাট বেধে গিয়েছে অভিনেত্রীর। তাঁকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেটরে। শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে খবর।ভোলে বাবা পার করেগা-তে অনির্বাণ চক্রবর্তীর মেয়ের চরিত্রে দেখা অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল জীবনযুদ্ধে লড়াকু অভিনেত্রীকে। ভাগাড় সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ক্যান্সারের সময় লড়াইতেও পাশে ছিলেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী চক্রবর্তী। এখনও তিনি পাশেই আছেন। জানা গিয়েছে, স্ট্রোকের ফলে শরীরের একদিক অসার হয়ে পড়েছে। ৪৮ ঘন্টা না গেলে কিছু বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।

নভেম্বর ০৩, ২০২২
দেশ

শ্রমিকের কাজে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে ভিনদেশি অভিযোগে শিশু সন্তান সহ আটক বাঙালি দম্পতি, মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন পরিবার

শ্রমিকের কাজ করতে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে ভয়ানক পরিণতির শিকার হয়েছেন পশ্চিম বঙ্গের বাসিন্দা এক দম্পতি। রেহাই পায়নি তাঁদের দেড়বছর বয়সী শিশুপুত্রও। বাংলাভাষী এই দম্পতিকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর পুলিশ জেলে পাঠিয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের জেলে দিন কাটাচ্ছেন দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী। তাঁদের বাবা-মা ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে সেখানকার পুলিশকে ছেলে ও বৌমার ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত প্রমাণ পত্র দেখান। কিন্তু তাতেও লাভ কিছু হয় নি। এই পরিস্থিতিতে ছেলে, বৌমা ও নাতির ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে মুক্তির জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন অসহায় বাবা মা।দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। সেখানে রয়েছে তাঁদের টিনের চালার দুকুঠুরি ভাঙাচোরা বাড়ি। ওই বাড়ি দেখলে যে কেউ বুঝে যাবেন দারিদ্রতাই অধিকারী পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। পলাশদের মতোই তাদের প্রতিবেশীরাও অত্যন্ত দরিদ্র। মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুই শুধুমাত্র তাদের সম্বল। তাদের বেশিরভাগ দিন মজুরির কাজ করে অন্নের সংস্থান করেন। বাকিদের কেউ বালাপোশ তৈরি, আবার কেউ বিড়ি বাঁধার কাজ করে উপার্জন করেন।এমনই এক গ্রামের ছেলে পলাশ রোজগারের আশায় স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে যায়। কিন্তু রোজগার তো দূরের কথা ,উল্টে সেখানে তাঁদের পরিণতি হয়েছে ভয়ংকর। যা জেনে স্তম্ভিত তেলে গ্রামের বাসিন্দারা ও জনপ্রতিনিধিরা।তেলে গ্রামেই বসবাস করেন পলাশ অধিকারীর আত্মীয় পিন্টু হাওলাদার । তিনি জানান,শ্রমিকের কাজ করার জন্য চলতি বছরের জুন মাসে শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরে যায়। একই উদ্দেশ্যে পলাশের বাবা পঙ্কজ অধিকারী, মা সবিতাদেবী ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারীও ব্যাঙ্গালোরে যান। সেখানকার মারাথাহাল্লি (Marathahalli) মহকুমার ভারথুর (Varthur) থানার সুলিবেলে (Sulibela) গ্রামের কায়েন খাঁনের ডেরায় তারা ওঠে। সেখানে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা মজুরির শর্তে তারা কায়েন খাঁনের অধীনে কাজ করা শুরু করেন। তাদের কাজ ছিল হোটেল, রেঁস্তোরা, সিনেমা হল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বর্জ্যবস্তু, বোতল, প্লাস্টিক সরঞ্জাম ইত্যাদি বাছাই করা। পিন্টু হাওলাদার বলেন,সেখানে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ করেই গত ২৭ জুলাই ভারথুর (Varthur) থানার পুলিশ কায়েন খাঁনের ডেরায় হানা দেয়। সেখানে যাঁরা যাঁরা বাংলাভাষী ছিল তারা সবাই নাকি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, এমন সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ তাদের ও আরো পাঁচ জনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। ওইসময়ে পলাশ, তাঁর স্ত্রী,বাবা-মা ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারী সহ সবাই ভারথুর থানার পুলিশ কে জানান তাঁরা কেউই বাংলাদেশী নন। তাঁরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে জানিয়ে নিজের নিজের আধার কার্ড,প্যান কার্ড,ভোটার কার্ড দেখান। সেইসব দেখে সেখানকার পুলিশ পলাশের বৃদ্ধ বাবা,মা ও প্রতিবেশীকে ছেড়ে দিলেও পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্র সহ সাতজনকে আটকে রাখে। ভারথুর থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে প্রায় তিন মাস হয়ে গেল শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ ও তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরের জেলেই দিন কাটাচ্ছে বলে পিন্টু হাওলাদার জানিয়েছেন।সুনীল অধিকারী বলেন, আমিও রোজগারের আশায় পলাশদের সঙ্গেই ব্যাঙ্গালোরে যাই। সেখানেভারথুর থানার পুলিশ আমাকেও সন্দেহে ধরে। ওখানকার পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা বলার ক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যা হচ্ছিল। ওরা আমাদের কথা যেমন বুঝতে পারছিল না, তেমনই আমরাও ওদের কথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তবুও আমি, পলাশের বাবা- মা ও পলাশ বাংলা ভাষাতেই ভারথুর থানার পুলিশকে বারেবারে বলে যাই আমরা ভারতীয়,পশ্চিমবাংলার বর্ধমানের বাসিন্দ। তেলে গ্রামে থাকা আমার স্ত্রীর ফোন নম্বর ওরা চাইলে সেটাও আমি দিয়ে দিই। এর পর ওরা কি বুঝলো জানিনা। আমাকে এবং পালাশের বাবা ও মাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে পলাশ এবং তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে ছাড়ে নি। মিথ্যা অভিযোগে তদের জেলে পাঠিয়ে দেয়।সুনীলবাবু আরও জানান, এইসব দেখে তাঁর মনে হয় বাঙালিদের ব্যাঙ্গালোর কাজ করতে যাওয়া খুব একটা নিরাপদের নয়। তাই ওই ঘটনার আট দিন বাদে ট্রেনের টিকিট কেটে তিনি তেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। হুগলীর বৈঁচিগ্রামের বাসিন্দা পলাশের আত্মীয় সুজন হালদার বলেন, পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের এমন করুণ পরিণতির কথা জেনে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যাঙ্গালোরে যান। কিন্তু কোন ভাবেই কিছু সুরাহা করতে পারছেন না। যে আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছেন তার কাছ থেকেও আশানুরূপ সহযোগীতা পাচ্ছেন না। সুজন হালদার দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্য কেন্দ্র পশ্চিম বাংলায় সিএএ (CAA), এনআরসি (NRC) লাগু করতে পারেনি। তবে তাঁর মনে হচ্ছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক সরকার অলিখিত ভাবে সিএএ, এনআরসি কার্যকর করে যাকে পাচ্ছে তাকে বিদেশী বলে জেলে ভরে দিচ্ছে। একই অভিযোগ করেছেন তেলে গ্রামের বাসিন্দা জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কৃষ্ণা সরকার। পলাশের বাবা ও মা বলেন, ছেলে, বৌমা ও নাতিকে ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে ছাড়াতে এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তাঁদের একমাত্র ভরসা। তাঁরা মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন।বিডিও ( জামালপুর ) শুভঙ্কর মজুমদার টেলিফোনে বলেন, এমন একটা ঘটনার কথা আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। এসডিও (বর্ধমান দক্ষিণ) বিষয়টি দেখছেন। জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝি টেলিফোনে বলেন,পলাশ অধিকারী ও তাঁর পরিবার আমার বিধানসভা এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত প্রামাণপত্রও তাদের রয়েছে। তা সত্ত্বেও কোন যুক্তিতে ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে কি অভিযোগে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে রেখেছে সেটাই আশ্চর্য্যের। আলোক মাঝি জানান,কালি পুজো মিটলেই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে জেলা জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন

অক্টোবর ২৫, ২০২২
রাজ্য

এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, মাটি হতে পারে উৎসব

উৎসবের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা এরাজ্যেও। কালীপুজোর আনন্দ মাটি করে দিতে পারে সিত্রাং। হাওয়া অফিসের চূড়ান্ত আপডেট, মঙ্গলবার ভোরেই আছড়ে পড়বে প্রবল শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। তবে গতি অনুযায়ী ল্যান্ডফল হবে বাংলাদেশের বরিশালে। কিন্তু এই ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি ও দক্ষিণবঙ্গের একাংশে। ইতিমধ্যেই ভোর থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোড়ে সিত্রাং বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও একটা জায়গায় আছড়ে পড়বে। এখানে ল্যান্ডফল না হলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে এরাজ্যেও। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়বে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায়। বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও।বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই শক্তি সঞ্চয় করেছে সিত্রাং, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিন ভোর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সিত্রাং সমুদ্র থেকে স্থলভাগের কাছাকাছি আসতেই ঝড়-বৃষ্টির দাপট বাড়বে।ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে সরকারি দফতরের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্তরকম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া আগেই নিষেধ করা হয়েছে।

অক্টোবর ২৪, ২০২২
কলকাতা

দুর্গাপুজোর ছয় দিন রেকর্ড ভিড় কলকাতা মেট্রোতে, আয় কতো? আর যাত্রী সংখ্যা?

মেট্রো রেলের ভিড়েই প্রমান মিলেছে এবার কলকাতা কীভাবে মেতেছিল দুর্গাপুজোয়। করোনা আতঙ্ক দূর হতেই লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেছে পুজোর মন্ডপে মন্ডপে। থিক থিক ভিড় মেট্রো রেলে। মেট্রো রেলে যাত্রীর পরিসংখ্য়ান দেখলেই চোখ কপালে উঠবে। এই লাইফ লাইনকে ভরসা করেই কলকাতায় যাতায়াত করেছেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী। কোটি কোটি টাকা আয় করেছে মেট্রো কতৃপক্ষ।তৃতীয়া-চতুর্থী থেকেই রেকর্ড ভিড় হয়েছে মেট্রোতে। কতৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পঞ্চমী থেকে বিজয়দশমী পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো ৩৯ লক্ষ ২০ হাজার ৭৮৯ জন যাত্রী বহণ করেছে। এর মধ্যে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোতে চড়েছেন ৩৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৬১ জন যাত্রী। পাশাপাশি এই ছয় দিন পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোতে যাতায়াত করেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী। এই দিনগুলিতে টোকেন, স্মার্ট কার্ড এবং স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করে ৬ কোটি ০৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬ টাকা আয় করেছে কলকাতা মেট্রো রেল। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো আয় করেছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ৭১৬ টাকা এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ২৭ লাখ ৩ হাজার ৩৪০ টাকা আয় করেছে।

অক্টোবর ০৬, ২০২২
শিক্ষা

পুজোতে এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর, ইন্টারভিউ কালীপুজোর আগেই

এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের পুজোর মুখে সুখবর শোনালেন স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশম শ্রেণির চাকরি প্রার্থীরা ৫শো দিনের বেশি লাগাতার অবস্থানে বসে রয়েছেন মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। বিভিন্ন সময় সেখানে গিয়েছেন শাসক দল থেকে বিরোধী দলের নেতৃত্ব। আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের আশার বানী শোনালেও তাঁদের অবস্থা না আঁচালে বিশ্বাস নেইয়ের মতো। ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার ৬ বছর পর ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁরা ডাক পেলেন। এসএসসি সূত্রে খবর, ইন্টারভিউয়ের জন্য ১৫৮৫ জনকে ডাকা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। পুজোর পর ইন্টারভিউতে ডাকা হবে চাকরিপ্রার্থীদের। স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি বঞ্চিত প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন। মেধা তালিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এদিন নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ কালীপুজোর আগে ইন্টারভিউ শুরু হবে। এসএসসি-র ওয়েবসাইট http://www.westbengalssc.com থেকে চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ের চিঠি ডাউনলোড করতে পারবেন। তারপর প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে কমিশনের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে প্রার্থীদের।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
রাজনীতি

বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা ঘর থেকে বেরতে পারবেন না, বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক অভিষেকের

ডিসেম্বরের মধ্যে চা শ্রমিকদের পিএফ-গ্রাচুইটির সমস্যা না মিটলে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে চা শ্রমিকদের জনসভায় নানা সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, উত্তরবঙ্গ নয়, একটাই বঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ। যে কারণে এখানে জড় হয়েছি, আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। শ্রমিকের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস লড়বে, মালিকের স্বার্থে নয়। পিএফ ও গ্রাচুইটি নিয়ে শ্রমিকদের অভিযোগ আছে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম দফতরের কাজ। এই দাবির জন্য আন্দোলন করা হবে। এটা শ্রমিকদের হকের টাকা। চা বাগানের মালিকরা যদি পিএফ ও গ্রাচুইটির টাকা জমা না দেয় তাহলে লোকাল থানায় গিয়ে অভিযোগ করবেন। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। তিনি ঘোষণা করেন, ৩ লক্ষ শ্রমিকের হাতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। নরেন্দ্র মোদি বলেন তিনি চা বিক্রি করতেন, কিন্তু চা শ্রমিকদের উন্নতির কথা ভাবেন না তিনি, বলেন অভিষেক।৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কোনও ফল না মেলে তাহলে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। দরকারে আমি আসব। ঘোষণা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, এঁদের বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। নিশীথ প্রামানিক, জন বার্লা, জয়ন্ত রায়রা বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না ৩ লক্ষ মানুষ যদি রাস্তায় বের হয়। প্রয়োজনে দাবি আদায়ে ৩ লক্ষ চা শ্রমিক দিল্লি অভিযানে যাবে। বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। পাশাপাশি চা বস্তিগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক। তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রীকে বলব ৭দিনের মধ্যে এখানে আসতে। ঘুরে দেখে পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
রাজনীতি

বঙ্গ বিজেপিতে বড় চমকঃ একমাসের মাথায় বিজেপির পর্যবেক্ষক বদল, আদিবাসী নেত্রী নয়া সহকারি

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে এরাজ্যে আর মুখ দেখা যায়নি বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। নির্বাচনের ১৫ মাস বাদে বাংলার পর্যবেক্ষক পদে বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে আনা হয় সুনীল বনশলকে। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন বনশল। দলে অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে এক মাসের মাথায় ফের সরিয়ে দিল বিজেপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে নতুন পর্যবেক্ষক ও দুজন সহকারি পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নতুন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছেন মঙ্গল পান্ডেকে। পান্ডে বিহার বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ছিলেন। তাছাড়া ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন মঙ্গল পান্ডে। এরই পাশাপাশি রাঁচির দুবারের মেয়র ও আদিবাসী নেত্রী আশা লাকড়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে। তিনি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে রয়েছেন। একইসঙ্গে অমিত মালব্যকে রেখে দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে।সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সুনীল বনশল। হঠাৎ একমাসের মধ্যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় বিভ্রান্তিতে পড়েছে দলের একাংশ। কার্যত সুনীল বনশল এরাজ্যে কাজই শুরু করতে পারলেন না, তারই মধ্যে তাঁকে সরে যেতে হল দায়িত্ব থেকে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

বাংলা মাধ্যমে স্কুলে ইংরেজি ভাষায় পড়াশুনো নিয়ে উদ্বিগ্ন অবিভাবকেরা

শুন্য পদে নিয়োগ নেই, অপর্যাপ্ত পরিকাঠামোতে বাংলা মাধ্যম স্কুলে চালু হওয়া ইংরেজি ভাষায় পড়াশুনো নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন অভিভাভোকেরা, চিন্তিত শিক্ষা দপ্তরও। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সদর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এই বিষয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ এবং দুশ্চিন্তার কথা শুনে এমনটা প্রশ্ন উঠছে সংশ্লিষ্ট মহলে।উল্লেখ্য, বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের আকৃষ্টতা আটকাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জলপাইগুড়ি জেলাতেও ঢাকঢোল পিটিয়ে বেশ কয়েকটি সরকার পরিচালিত বাংলা মাধ্যমের স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে রুপান্তরি করে চালু করেছিলো।তবে, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির ইংরেজি সদর বালিকা বিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রীদের বেশ কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অনেক আশা নিয়ে বাচ্চাকে সরকারি ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করেছিলাম, কিন্তু এখানে আমাদের অন্ধকারে রেখে অনেক কিছুই করা হচ্ছে, এমনকি ইতিহাস প্রশ্ন মোবাইলের হোয়াটস্যাপ এ তাও আবার বাংলা ভাষায় লেখা।ওপর এক ছাত্রের মা সান্তনা দত্ত নিজের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে সংকিত হয়ে জানান, সব সাবজেক্ট না হলেও বেশিরভাগ বিষয়ে বাংলায় লেখা হচ্ছে। অপরদিকে এই নিয়ে বিস্তারিত সমস্যা তুলে ধরে সুনীতি বালা বালিকা বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষিকা বলেন,২০১৮ সালে এক সরকারি নির্দেশে তৎকালীন পরিকাঠামো দিয়েই ইংরেজি মাধ্যম খোলার নির্দেশ ছিল, আজ সেই ছাত্রীরা উচ্চ শ্রেণীতে উঠেছে, ওদের পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত শিক্ষা কর্মীরা অভাব রয়েছে, অপরদিকে এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জেলার স্কুল পরিদর্শক একপ্রকার অভিভাবকদের করা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে জানান, এটা ঠিক যে ওখানে সমস্যা হচ্ছে, কারণ ক্লাস নাইনে উঠেছে ছাত্রীরা কিন্তু তাদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই স্কুলের কাছে এই মুহূর্তে।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২
নিবন্ধ

অপরাজেয় (ছোট গল্প)

আজ অনিন্দ্য আর অপরাজেয় দুজনের জীবনের এক বিশেষ দিন। সারা ভারতের নতুন শিল্পীদের যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে আজ ছিল তার ফাইনাল। সেখানে টুবাই অর্থাৎ অপরাজেয় প্রথম হয়েছে। অনিন্দ্য সিঙ্গেল ফাদার হিসাবে আজ সফল। কে বলে বাবারা কিছু পারেনা; মা না থাকলে সন্তান সঠিক ভাবে মানুষ হয়না!! আজ সেই সব কথা কে ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছে অনিন্দ্য। এতে অবশ্যই ওর মা বাবার ভূমিকা ও আছে। আর সব থেকে বড় যে সেই টুবাই সব সময় বাবার কথা শুনে চলেছে। ওদের বাবা ছেলের মধ্যে বোঝাপড়া খুব সুন্দর। টুবাই এর সব বন্ধুরা ও খুব ভালোবাসে অনিন্দ্যকে। এবং বলে কপাল করে বাবা পেয়েছে অপরাজেয়। তবে অনিন্দ্য র চলার পথটা যে এরকম হবে সেটা বোধহয় ও নিজেও কখনো ভাবেনি। পারমিতা আর অনিন্দ্য একই কলেজে পড়তো। কলেজের অ্যানুয়াল প্রোগ্রামের দিন সিনিয়র অনিন্দ্যর মঞ্চে গান গাইতে উঠে চোখ আটকে যায় হরিণ নয়না পারমিতার দিকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে নতুন ভর্তি হয়েছে ওদের কলেজে। অনিন্দ্যর ব্যাচের একটি মেয়ের মাধ্যমে পরিচয় তার থেকে বন্ধুত্ব। কলেজ শেষের পর বুঝতে পারে দুজনেই যে বন্ধুত্ব পরিণত হয়েছে ভালোবাসায়। দুজন দুজনকে ছেড়ে থাকতে পারবে না। অনিন্দ্য তখন একটা কলেজ ক্যাম্পাসিং এ একটা ভালো কোম্পানিতে জয়েন করেছে আর পারমিতার ফাইনাল ইয়ার। অনিন্দ্য পারমিতাকে বলে ওর পরীক্ষা হয়ে গেলে বাড়িতে বিয়ের কথা বলবে। কিন্তু পারমিতার ইচ্ছা বিয়ে টা পরে করবে। তাই অনিন্দ্য আর এগোয় না। অনিন্দ্য অফিস আর পারমিতা কলেজ সামলে নিজেদের জন্য সময় বের করে দেখা করে। এইভাবে কাটতে থাকে সময়। অনিন্দ্য এরমধ্যে একটা ব্যাপার বোঝে পারমিতা খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। ও আরও পড়তে চায়,মাস্টার্সে ভর্তি হয়। পারমিতা চায় অনিন্দ্য এম বি এ করে আরও উন্নতি করুক চাকরিতে। কিন্তু অনিন্দ্য ভালোবাসে গান। তাই ও বেশি উন্নতি চায় না। বলে কি হবে বেশি উন্নতি করে , যদি নিজের মত করে বাঁচতেই না পারলাম। পারমিতা নানাভাবে বোঝায় কিন্তু অনিন্দ্য একইভাবে বলে। আসলে ছোটো থেকে গান নিয়ে বেড়ে ওঠা অনিন্দ্য গান ছাড়া ভাবতে পারে না। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেটা চাকরির ইঁদুর দৌড়ে সামিলহয় না। পারমিতা মাস্টার্স করার পর একটা খুব ভালো চাকরি পায়। এর মাঝে ওরা রেজিস্ট্রি টা করে নিয়ে ছিল। পারমিতা চাকরি পাওয়ার পর ওর বিত্তশালী বাবা যখন বিয়ের জন্য বলেন তখন পারমিতা বাবাকে সব বলে। বাবা রাজী হয় না। পারমিতা ও খুব জেদি, ও একদিন অনিন্দ্যর কাছে চলে আসে। অনিন্দ্যর মা বাবা ওকে আদর করে ঘরে তোলেন। একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠান করে ওদের বিয়ে টা হয়ে যায়। ধনীর দুলালী পারমিতার অনেক অসুবিধা হয় ওদের ওখানে; প্রথম প্রথম মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেনি যে তা নয়। কিন্তু পার্থক্য বেশি হলে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। পারমিতার সেরকম সমস্যা হত থাকে বিয়ের এক বছরের মধ্যে। অনিন্দ্য বুঝতে পারে তাই ও চেষ্টা করে পারমিতার জন্য একটু অন্যরকম করে ভাবতে। পারমিতা যেন এক বছরের মধ্যে হাঁপিয়ে ওঠে। ওর অভ্যাস গুলো যে অন্যরকম। ওর মত করে যাতে থাকতে পারে অনিন্দ্য সে জন্য কোম্পানির ফ্ল্যাটে চলে যায় ওকে নিয়ে।দেখতে দেখতে বিয়ের পাঁচ বছর হয়ে যায়। এমন সময় একদিন পারমিতা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার দেখালে জানতে পারে ও মা হতে চলেছে। এই খবর শুনে অনিন্দ্য খুব খুশি হয়। ওর মা বাবাও খুব খুশি হয়। অনিন্দ্য এই খবরটা পারমিতার মাকে জানায়। ওনার সব ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু পারমিতা খুশি হতে পারে না। ও বলে এই বাচ্চা ও চায় না। ওর কেরিয়ারের এখন উন্নতির সময় ও ঝামেলা নিতে চায় না। কিন্তু সবাই ওকে অনেক বোঝায়, আর তাতে ও রাজী হয় তবে একটা শর্তে। বাচ্চার ছমাস হয়ে গেলে আর কোনো দায়িত্ব ও নেবে না। তাতেই অনিন্দ্য রাজী হয়। অনিন্দ্য ভাবতে থাকে এ্ কোন পারমিতা! যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল এ তো সে নয়। বাচ্চাকে দেখতে সারাদিনের আয়া রাখলো। বাচ্চার দিকে যেন পারমিতার খেয়াল নেই। ছেলের যখন দুবছর বয়স তখন কর্মসূত্রে বিদেশ চলে গেল পারমিতা। যাবার আগে শুধু বলে গেল অনিন্দ্য কে তোমার ছেলে কে তোমার মত করে মানুষ করো। সেই থেকে আজ পর্যন্ত অনিন্দ্য, ওর ছেলে টুবাই এর সব। অবশ্য ওর মা বাবা র অবদান কম নয়। পারমিতার চলে যাবার খবর পেয়ে অনিন্দ্য র মা বাবা ওর কাছে চলে আসেন নাতি কে সামলাতে। পারমিতার মা বাবা ও আসতেন। মেয়ের এই ব্যবহার ওনাদের ও কষ্ট দিয়েছিল। অনিন্দ্য ছেলেকে যখন সঙ্গীত জগতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তখন ওর শ্বশুর মশায় আপত্তি জানায়। তারপর থেকে যোগাযোগ আবার কমে যায়। এইভাবে অনিন্দ্য র লড়াই শুরু হয়। টুবাই অর্থাৎ অপরাজেয় একটু বড়ো হয়ে যখন মায়ের কথা জানতে পারে আত্মীয়দের মাধ্যমে তখন থেকেই ও ঠিক করে জীবনে কিছু করতে হবে যাতে মা কে বোঝানো যায় বাবা সঠিক ভাবে ওকে মানুষ করেছে। পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো , তার সাথে বাবার মতো গান করে খুব ভালো। ও পড়াশোনার সাথে গানটাকে ও সমান গুরুত্ব দেয়। আর ওর এই কাজে সবসময় ওর পাশে থাকে ওর বাবা। তাই স্কুলে ওর সব শিক্ষকরা ওকে খুব স্নেহ করেন। ক্লাসে প্রতি বছর প্রথম হয় তার সাথে যেকোনো সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা মানেই অপরাজেয় থাকবেই আর নাম সার্থক করে আসবে পুরস্কার হাতে নিয়ে। আজকের দিনটিও সেই রকমই একটা দিন। যেখানে বিভিন্ন দেশের সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে ও প্রথম হয়েছে। গত কয়েক মাস বাড়ির বাইরে থেকেছে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছে এই সফলতা পাবার আশায়। আজ ও সফল হয়ে। আজ সবাই এসেছে এই অনুষ্ঠানে। নাম করা একটা চ্যানেল লাইভ দেখাচ্ছে প্রোগ্রামটা। স্টেজে যখন ওর নাম ঘোষণা করা হয় তখন অনিন্দ্যর চোখে জল আসে আনন্দ আর উত্তেজনায়। অপরাজেয় রুদ্র কে যখন কিছু বলতে বলা হয়। পনের বছর বয়সের ছেলেটা যেন হঠাৎ করেই অনেক বড়ো হয়ে ওঠে। ও বলে আজ আমি যার জন্য এই সাফল্য পেয়েছি আগে তাকে ডেকে নিতে চাই, আমার বাবা শ্রী অনিন্দ্য রুদ্রকে। যার আত্ম ত্যাগ আর আমার প্রতি বিশ্বাস আজ আমাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। অপরাজেয় র সাথে স্টেজের অ্যাঙ্কর ডাকতে থাকে অনিন্দ্য কে; আর অগনিত দর্শক করতালি দিয়ে বাবা ছেলের এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানায়। অন্যদিকে পনেরো বছর বিদেশে থেকে দুদিন আগে দেশে ফিরে যখন এই অনুষ্ঠানের কথা জানতে পারে, নিজেকে আটকাতে পারে না। অনুষ্ঠানের স্পনসর হওয়ার দরুন সূযোগ ছিল তার সদ্ব্যবহার করে এক মা যে একসময় নিজের কেরিয়ারের জন্য শিশু সন্তান কে ফেলে বিদেশে পাড়ি দিয়ে ছিল। আজ অনুষ্ঠানের শেষে যখন সবাই বাবা আর ছেলেকে অভিনন্দন জানাচ্ছে তখন কর্মজীবনে সফলতার শিখর ছুঁয়েও ভীষণভাবে নিঃসঙ্গ, হতাশাগ্রস্ত পারমিতা চোখ ভর্তি জল নিয়ে একা নিজের গাড়িতে ওঠে। আজ চাইলেও আর যেতে পারে না নিজের ফেলে আসা ঘরে। তবে এটা আজ পারমিতা নিজের কাছে স্বীকার করে যে অনিন্দ্য ঠিক ছিল আর আজও ওই সঠিক। ও ঠিকই বলত যে সফলতা তাকেই বলে যে কাজ করে আমি এবং আমাকে ঘিরে থাকা সবাইকে খুশি করতে পারব। অর্থ আর ক্ষমতাই সব নয়। অর্থবান আর ক্ষমতাবান মানুষের চারপাশে অনেকে থাকে কিন্তু কেউ নিঃস্বার্থ ভাবে থাকে না। একটা সময় বুঝতে পারে যে সে বড্ড একা। আজ পারমিতা কর্মজীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছিয়েছে ঠিকই কিন্তু ও আজ খুব একা। আজ ভাবে একটা সুন্দর সুখী জীবন তো পেতে পারত; আজ ও সন্তান গর্বে গর্বিত হতে পারত, সে ও নিজের হাতে বন্ধ করে দিয়েছে। খুব ইচ্ছা হচ্ছে আজ ছেলেটাকে একবার বুকে জড়িয়ে ধরতে। ফোনটা বের করে কল করে একটা -- আমাকে অপরাজেয় রুদ্র রায় নম্বর টা হোয়াটসঅ্যাপ করো। মূহুর্তে টুং করে নম্বর টা এসে যায়। একমূহূর্ত ভাবে তারপর লেখে অনেক বড়ো হও, বাবার মুখ উজ্জ্বল করো। খুব ভালো থেকো।লিখে পাঠাবে কিনা ভাবে। তারপর------একটা ছোট্ট উত্তর আসে------ অনেক ধন্যবাদ।বাবার নামই উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছি। আমার বাবা একাই একশো। ভালো থাকবেন।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
দেশ

মহাসমারোহে পালিত হল হায়দ্রাবাদ কালীবাড়ি'র ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বর্ষপুর্তি উৎসব

বঙ্গ সংস্কৃতির ইতিহাস অতি প্রাচীন। কথায় আছে, কয়েকজন বাঙালি একজোট হলেই, হয় একটা পুজো করে, নাহলে একটা নাটক, নিদেন পক্ষে কোনও গানবাজনার আসর তো বসবেই। প্রবাসী বাঙালি একাত্মবোধ একটু বেশী। কর্মসুত্রে বাঙালিকে বহু দুর দুড়ান্তে যেতে হয়েছে, কখনও কখনও দেশে বাইরেও। যেখানেই তাঁরা গিয়েছে সেখানে কোনও না কোনও নিদর্শন রেখে এসেছেই। বাঙালীর দিল্লী ভ্রমণ মানে যেমন চিত্তরজ্ঞন পার্ক কালি বাড়ি সে লিস্টে থাকবেই। মুম্বাইয়ে তো একাধিক বাঙ্গালী অ্যাসোসিয়েশন অতি জনপ্রিয়। সেরকমই এক বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন হায়দ্রাবাদ কালি বাড়ি। শহরটার নাম শুনলেই মনে আসে সম্রাট নিজামুদ্দিন র নাম। মহান সম্রাটের সেই শহরের প্রাণকেন্দ্রে কালি পুজোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির উদাসীনতা কেবল বাঙ্গালি-ই দেখাতে পারে।১৯৭২-রে কয়েকজন বাঙালি যাঁদের অধিকাংশই সেনাবাহিনী এবং রেলওয়ের কর্মী ছিলেন তাঁরা বিবেকানন্দপুরম, সৈনিকপুরীতে দেবী কালীর মন্দির স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁরা ১৯৭৪ এর ১১ আগস্ট ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সেই মন্দিরটি ২৮ আগস্ট ১৯৭৬ রে হায়দ্রাবাদ কালীবাড়ি নামে দেবী কালীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এই সংগঠনটিক মূলত সেখানকার বসবাসকারী বাংলাভাষি বাঙালি সম্প্রদায়ের জন্য একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক পীঠস্থানে পরিণত হয়েছেঅমাবস্যা ও পূর্ণিমায় বিশেষ পূজার পাশাপাশি প্রত্যহ তিনবার প্রতিমার পূজার্চনাও করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে ভাবে দুর্গাপূজা ও কালীপূজা করা হয়। এছাড়াও আরও বিভিন্ন দেবদেবীর পূজার্চনা করা হয় যেমন, লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, সরস্বতীপূজা। এছাড়া সারা বছর বাঙ্গালী বিভিন্ন উৎসব সাড়ম্বরে পালন করা হয়ে থাকে। বাংলা নববর্ষ, রবীন্দ্র জয়ন্তীও এই মন্দির প্রাঙ্গণে পালিত হয়। সেই সব বিশেষ দিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।প্রিয়াংশী রায়, অহনা মজুমদার, শিক্ষা জানা, রাজন্যা ব্যানার্জী২৮ আগস্ট হায়দ্রাবাদ কালীবাড়ির ৪৬ তম বর্ষপুর্তি পালন করা হল মহাসমারোহে। সঙ্গীত, নৃত্যনুষ্ঠান সহ নানা অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয় এই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সমাবেশে। অনেক অনুষ্ঠানের মধ্যে নজর কারে শিব তান্ডব নৃত্য নাটক। নৃত্য বিশারদ মধুশ্রী রায়চৌধুরি তাঁর ছাত্রছাত্রী দের নিয়ে এই নৃত্যনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই ধরনের বিষয়ে তাঁর উদ্ভাবনীতা ও পোষাক নির্বাচন সত্যিই মনে দাগ কেটে যায়। নৃত্য পারদর্শিতায় যে নাম গুলো প্রথমেই মনে আসে তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রিয়াংশী রায়, অহনা মজুমদার, শিক্ষা জানা, রাজন্যা ব্যানার্জী, তেজস্বিনী সেনগুপ্ত ও চাতুর্য। নাম গুলো পড়ে আপনাদের মনে হতেই পারে এ যেন বাংলার কোনও এক যায়গার কোনও অনুষ্ঠান। এখানেই বাঙালির মাহাত্য। সেটা নিউ জার্সী হোক বা হায়দ্রাবাদ বাঙ্গালিয়ানায় ভরপুর।

আগস্ট ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সুমিতের ‘‌উপহার’‌ ‌আত্মঘাতী গোলে ডার্বি জয় এটিকে মোহনবাগানের

ডুরান্ড কাপের মরণবাঁচন ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিয়ে বাজিমাত এটিকে মোহনবাগানের। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টিকে রইল ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন। সুমিত পাসির উপহার দেওয়া আত্মঘাতী গোলে জয় পেল সবুজমেরুণ।আড়াই বছর পর কলকাতায় ডার্বি। উত্তাল কলকাতা। টিকিটের হাহাকার। যুবভারতীর গ্যালারি কানায় কানায় ভর্তি। ডার্বি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। দুই দলের কাছেই ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকার মরণবাঁচন লড়াই। দুর্দান্ত একটা ম্যাচের সবরকম রসদই মজুত ছিল। প্রথমার্ধে ম্যাড়মেড়ে ফুটবল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলে গেল ছবিটা। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিলেন দুই দলের ফুটবলাররা।এদিন প্রথমার্ধে কোনও দলের কোচই ঝুঁকি নিতে চাননি। তার মধ্যেই আধিপত্য ছিল এটিকে মোহনবাগনের। ইমামি ইস্টবেঙ্গল তাঁর দলের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। তা সত্ত্বেও শুরু থেকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি সবুজমেরুণ কোচ। প্রথমার্ধে বিক্ষিপ্ত লগ্নে আশিক কুরুনিয়ান, লিস্টন কোলাসো, হুগো বুমোসরা লালহলুদ ডিফেন্সে হানা দিলেও ইভান গঞ্জালেস, কিরিয়াকোরা সজাগ থাকায় কাজের কাজ কিছু হয়নি। ১৬ মিনিটে একটা ভাল প্রয়াস করেছিলেন আশিক কুরুনিয়ান। একক প্রচেষ্ঠায় বল ধরে ডিফেন্ডারদের চক্রব্যূহ ভেদ করে এগিয়ে গিয়ে বাঁপায়ে শট নিয়েছিলেন। তাঁর সেই শট পোস্টের অনেকদূর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২০ মিনিটেও আশিস, বুমোসদের একটা প্রয়াস ঠান্ডা মাথায় সামাল দেন কিরিয়াকোরা। ২২ মিনিটে কুরুনিয়ানারের সেন্টারে পা ছোঁয়াতে পারলে গোল পেতেন লিস্টন।৩৪ মিনিটে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম প্রয়াস। ইভান গঞ্জালেসের বাঁপায়ের দুরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটেই কর্ণার পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। হুগো বুমোসের কর্ণার বিপদমুক্ত করেন লালহলুদ গোলকিপার কমলজিৎ সিং। প্রথমার্ধে সবাই যখন ধরে নিয়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকতে চলেছে, তখনও সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় এটিকো মোহনবাগান। লিস্টনের কর্ণার সুমিত পাসির বুকে লেগে গোলে ঢুকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে ভিন্ন ছবি। সমতা ফেরানোর জন্য শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যে দুদুটি সুযোগও তৈরি হয়। ৪৭ মিনিটে ক্লেইটন সিলভার সেন্টার এটিকে মোহনবাগান রক্ষণে বিপদমুক্ত হয়ে ফিরলে ফিরতি বলে শট নেন অনিকেত যাদব। বল অল্পের জন্য বাইরে যায়। এক মিনিট পরেই সেই ক্লেইটন সিলভার সেন্টার এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথকে একা পেয়েও জালে রাখতে পারেননি সুমিত পাসি। গোলটি করতে পারলে ভুলের প্রায়াশ্চিত্য হত।The only way to celebrate a Derby goal! 💚️#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon pic.twitter.com/1GyJO7VW44 ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) August 28, 2022৫৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ইভান গঞ্জালেসের ভুলে বক্সের ঠিক মাথায় বল পেয়ে যান আশিক কুরুনিয়ান। বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে শট নেন। তাঁর সেই শট দারুণ তৎপরতার সঙ্গে বাঁচান লালহলুদ গোলকিপার। ৫৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে লুজ বল পেয়ে যান পোগবা। তাঁর শট গোললাইন থেকে বাঁচান কিরিয়াকু।দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলাটা দারুণ জমে উঠেছিল। দুই দলই ইতিবাচক ফুটবল খেলায় গোলের সুযোগও তৈরি হয়। তবে কাজে লাগাতে পারেনি। ৭২ মিনিটে ডানদিক থেকে উঠে এসে দারুণ সেন্টার করেছিলেন ইভান গঞ্জালেস। ক্লেইটন সিলভার হেড সরাসরি সবুজমেরুণ গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে চলে যায়। ৭৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন এটিকে মোহনবাগানের কার্ল ম্যাকহিউ।

আগস্ট ২৮, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ...
  • 42
  • 43
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেতন বাড়লো ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভারের কাজে নিয়ুক্তদের

আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। কয়েক মাস বাদে বিহার বিধানসভা ভোট। চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। এরই মধ্যে বেতন বাড়লো ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভের কাজে যুক্ত বিএলও এবং সুপারভাইজারদের। তাঁদের ন্যূনতম বাৎসরিক বেতন একধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ করল নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা বছরে ১২ হাজার টাকা এবং বিএলও সুপারভাইজাররা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন।এর পাশাপাশি, বিশেষ ড্রাইভের জন্য বিএলওদের অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ইনসেনটিভও দেবে কমিশন। ২৪ জুলাই প্রকাশিত নির্দেশে কমিশন জানিয়েছে, ২০১৫ সালের পুরনো নির্দেশ বাতিল করে এই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা হচ্ছে। সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের জানানো হয়েছে, এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে হবে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

টিকিট-গুজব নস্যাৎ সিএবির, পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জোরালো

সিএবির পদাধিকারী থেকে কমিটি সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগপত্র জমা পড়ছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। তার মধ্যেই এবার প্রশ্ন উঠে গেল সিএবির ম্যাচ পর্যবেক্ষক যশোবন্ত বিশ্বাস সম্পর্কে। একজন পর্যবেক্ষক হয়ে তিনি নানাভাবে সিএবির বিরুদ্ধাচরণ কীভাবে করতে পারেন, উদ্দেশ্য কী, এর পিছনে আর্থিক লেনদেন জড়িত কিনা তা নিয়েই সংশয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ মরশুমে মহমেডান স্পোর্টিং-টাউন ক্লাব ম্যাচে গড়াপেটা হয় বলে অভিযোগ। প্রহসন দেখে দুই ক্লাবকে শোকজ করে সিএবি। বিষয়টি গিয়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। বেশ কয়েকটি শুনানি হয়েছে। ম্যাচ রেফারি, পর্যবেক্ষক, আম্পায়ারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। সব পক্ষের মতামত শোনা হয়েছে। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ম্যাচটি নিয়ে হওয়া বিতর্কে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। সিএবি সূত্রে খবর, ওই ম্যাচে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সংশয় থাকায় আজ অবধি তাঁকে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। তবে বছর দেড়েক হতে চললেও ওম্বুডসম্যানের দরবারে এই বিষয়টির নিষ্পত্তিও হয়নি। সিএবির অনেকেই চাইছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বার্ষিক সাধারণ সভার আগেই সত্য উদ্ঘাটিত হোক, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হোক।ওই ম্যাচেও টাউন ক্লাবের কর্তা তথা সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল সিএবিতে। সম্প্রতি এই দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ উঠছে। যার শুনানি চালাচ্ছেন ওম্বুডসম্যান। আর এখানেই বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।ওই বিতর্কিত ম্যাচ নিয়ে যেখানে পর্যবেক্ষক ক্লিনচিট পাননি সেখানে তিনি কীভাবে অভিযুক্ত ক্লাবের অভিযুক্ত কর্তার হয়ে সওয়াল করতে পারেন সেই প্রশ্ন উঠছে। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোবন্ত যে তাঁর হয়ে ব্যাট ধরেছেন তার স্ক্রিনশট জমা পড়েছে সিএবিতে। এই অবস্থায় এসপার-ওসপার চাইছেন সিএবির অনেকেই। যশোবন্ত নানাভাবে যে সিএবি বিরোধিতা চালাচ্ছেন তাও নজরে রয়েছে সিএবির। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিওতে (যার সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা) সিএবি সভাপতি সম্পর্কে ছাপার অযোগ্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে যশোবন্তর বিরুদ্ধে। বর্তমানে সিএবিতে তথাকথিত বিরোধী লবির গর্বিত সৈনিক বলে দাবি করে যশোবন্ত সাংবাদিকদের ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ এবং সেগুলি ফলাও করে পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সিএবির নির্বাচনে কাঁটা ছড়ানোর হুঁশিয়ারিও তিনি দিচ্ছেন বলেও সিএবি কর্তারা জানতে পেরেছেন। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বললেন, ওঁর পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে কি? আর উনি কী বলছেন তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায়, এমনকী নির্বাচন হলে তাতেও। স্বার্থসিদ্ধির জন্য এক পক্ষের পাত্তা না পেয়ে খানিকটা নিজে উদ্যোগী হয়েই অপর পক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা ছাড়া এ সব কিছু নয়। আর সাংবাদিকদের অবস্থা এত খারাপ হয়নি যে ওঁর কথা শুনে ভিত্তিহীন, একপেশে বা নেতিবাচক খবর করে নিজেরা বিপাকে পড়বেন। তবে এটাও ঠিক, মহমেডান-টাউন ম্যাচের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা বরদাস্ত করা উচিত নয়। ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে টাউনের আপত্তি বা অভিযোগ জমার কথা পর্যবেক্ষক মহমেডানকে আগেভাগে জানিয়েছিলেন কিনা বা গড়াপেটায় তাঁর কী ভূমিকা, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক। সিএবিতে জমা দেওয়া তাঁর রিপোর্ট আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, যশোবন্তের সাম্প্রতিক আচরণ বা অবস্থান দেখে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ থাকছেই। একদা যিনি দেবব্রতর সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন মহলে, তিনিই আবার কেন দেবব্রতকে নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন, কোনওভাবে বাঁচার জন্যে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্ন তোলা হবে সিএবি সভাপতির কাছেও।এদিকে, গতকাল রটে গিয়েছিল সিএবি নাকি সংবিধান সংশোধন করে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সদস্যদের ম্যাচ টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে চাইছে। যদিও এটি গুজব। সিএবি সভাপতি জানিয়েছেন, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ হোক বা আইপিএল, যাঁর জন্য যতগুলি করে টিকিট বরাদ্দ তাই দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আইসিসি ইভেন্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা আইপিএলেও সেই ধারা বজায় থাকবে। ফলে গুজবে কান দেবেন না।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংবিধান সংশোধনের যে চিঠি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মুদ্রণ প্রমাদ-সহ খসড়া চিঠির কপি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই, কিছু মহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অসন্তোষ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই। এতে সিএবিতেই ঘুঘুর বাসা আছে কিনা তা নিয়েও খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ২৪, ২০২৫
রাজ্য

২০২৬-এর আগে দুয়ারে সরকারের নয়া মডেল, কর্মসূচি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’

২১ জুলাই শেষ হতেই নবান্ন থেকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুয়ারে সরকারের মডেলে নয়া কর্মসূচি। একেবারের বুথ ভিত্তিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনটে বুথ নিয়ে একটি কর্মসূচি। এই প্রকল্পকে নয়া চমক বলে দাবি করেছে বিরোধীরা।নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে আমরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিলাম। প্রায় ১০ কোটি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচির ৯০% কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০% কাজ কিছু প্রকল্পে এখনও বাকি আছে। অনেকেই আবেদন করেছেন, আমরা সেই প্রকল্পগুলো ডিসেম্বর থেকে চালু করব, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো যেসব প্রকল্প রয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জাতিগত শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি কর্মসূচি শুরু করছি যার নেতৃত্বে আমি, মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি পুলিশ থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। রাজ্য সরকারের তহবিলের উপর নির্ভর করে সরকারি বিভাগগুলির কাজ যথারীতি চলতে থাকবে। MGNREGA তহবিল আটকে রাখা হয়েছে, গ্রামীণ আবাস যোজনার তহবিল আটকে রাখা হয়েছে এবং রাস্তার তহবিলও বন্ধ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ নিজেরাই এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতেন। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলাম। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, যাঁরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।কেন এই নয়া কর্মসবূচি নিয়েছে রাজ্য? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাড়ায় ছোট ছোট সমস্যা থেকে যায়, যেমন কোনও জায়গায় একটা কল বসানো দরকার বা একটা ইলেকট্রিক পোল বসানো দরকার। এই ধরনের বিষয়গুলো নজরে আনা দরকার। আমরা অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু তবুও কিছু জায়গা হয়তো কোনও কারণে বাদ পড়ে গেছে। এই ধরনের ছোট ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একটি নতুন কর্মসূচি আনছি। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। এই ধরনের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। দেখতে ছোট মনে হলেও এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। সব কাজ রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে।কোন পদ্ধতিতে এই কর্মসূচি রূপায়ণ হবে তাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কর্মসূচি দেশের মধ্যে প্রথম বাংসা চালু করছে বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান, দেশের প্রথম এই ধরনের কর্মসূচি। এটি একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করা। সরকারি অফিসাররা ক্যাম্পে থাকবেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন। প্রতিটি ক্যাম্প ৩টি বুথ নিয়ে তৈরি হবে। অর্থাৎ একেকটি ইউনিট হবে একেকটি পাড়া। আমাদের ৮০,০০০-এরও বেশি বুথ রয়েছে, তাই এই পুরো কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে ২ মাস সময় লাগবে। প্রত্যেকটি বুথে অফিসাররা সারাদিন থাকবেন। নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে, যেখানে পাড়ার মানুষ তাদের এলাকা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি জানাতে পারবেন। অফিসারেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ঠিক করবেন।এই কর্মসূচির জন্য একটি বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। মোট খরচ ৮,০০০ কোটিরও বেশি টাকা। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ বা পৌরসভা যেমন কাজ করছে, তেমনই কাজ করবে। তবে এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন কর্মসূচি শুরু করছে। এই কর্মসূচি আগামী ২ অগস্ট থেকে শুরু হবে। একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যা চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে কাজ করবে। জেলায় ও রাজ্যে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পুলিশও সহযোগিতা করবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ২ মাস ধরে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। দুর্গাপুজোর জন্য ১৫ দিনের ছুটি থাকবে, পরে আবার সময় বাড়ানো হবে। তবে সব বুথই কভার করা হবে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও চালু থাকবে।

জুলাই ২৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ম্যাঞ্চেস্টারে মহারণ! পন্থকে নিয়ে স্বস্তি, আকাশের জায়গায় কম্বোজের অভিষেক?

পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ২-১। বুধবার থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হচ্ছে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তন আসছে। বেন স্টোকসরা ইতিমধ্যেই প্রথম এগারো ঘোষণা করে দিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টারের আবহাওয়া ও পিচ দেখে ভারত একাদশ ঘোষণা করবে টসের সময়েই।ভারতীয় শিবিরে চোট-আঘাতের সমস্যা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়ে দিলেন, আঙুলের চোট সারায় সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ উইকেটকিপিং করবেন। তবে চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারবেন না আকাশ দীপ। লর্ডস টেস্টে তিনি কুঁচকিতে চোট পান। নেটে বল করেননি। ম্যাঞ্চেস্টারে বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের সামনে বল করতে গিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি আকাশ। ফিট হতে তাঁর সময় লাগবে। হাঁটুর চোট সিরিজ থেকেই ছিটকে দিয়েছে অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে।ফলে তিনে বি সাই সুদর্শনের খেলা নিশ্চিত। বৃষ্টির ফলে ঢাকা পিচের কাছে গিয়ে তাঁকে শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে দেখা গিয়েছে। গিল করুণ নায়ারকে খেলানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। এই অবস্থায় করুণ ছয়ে ব্যাট করতে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল জসপ্রীত বুমরাহর। তিনি ম্যাঞ্চেস্টারেই খেলবেন। ইংল্যান্ডের পিচগুলির মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টারেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন পেসাররা। যেভাবে বৃষ্টিতে পিচ ঢাকা থাকছে তাতে খেলা শুরুর সময় থেকে উইকেটের আর্দ্রতার কারণে ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন সিমাররা, মানছেন শুভমান।এই টেস্টে অংশুল কম্বোজের টেস্ট অভিষেক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। একাদশে জায়গা পেতে তাঁর লড়াই প্রসিধ কৃষ্ণর সঙ্গে। তবে প্রসিধের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ৫৫-র উপর বোলিং গড়, সাড়ে পাঁচের কাছাকাছি ইকনমি। ইংল্যান্ডে তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সেই সঙ্গে তাঁর চেয়ে কম্বোজের ব্যাটের হাত অনেক ভালো। সে কারণেই অংশুল কম্বোজ হতে চলেছেন ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। উল্লেখ্য, গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানার কম্বোজ কেরলের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের বিনিময়ে ইনিংসে দশ উইকেট নিয়েছিলেন।চোটের কারণে ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ছিটকে গিয়েছেন সিরিজ থেকেই। লর্ডসে চোট নিয়ে বল করতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের জয়সূচক উইকেটটি বশির নিয়েছিলেন। স্টোকসদের একাদশে বশিরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লিয়াম ডসন। আট বছর পর তিনি টেস্ট খেলবেন। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসী, এই টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার ব্যাপারে। ভারতের কাছে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ।ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, বি সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), করুণ নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, অংশুল কম্বোজ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।ইংল্যান্ডের একাদশ- জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), লিয়াম ডসন, ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার।

জুলাই ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal