• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman

রাজ্য

১০০ দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগ কেন্দ্রের, শাস্তি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচি বর্ধমানে

মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের ইতিহ্যবাহী টাউন হল থেকে মিছিল করে জেলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা কার্জনগেটের কাছে জিটি রোডে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সভার শেষে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কাজল রায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে গ্রামীন উন্নয়ন প্রকল্পের (১০০ দিনের) কাজের অসংগতি ও পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য ২০১৯ -এ কিছু নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের প্রতিবাদে আজ রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা জেলায় জেলায় প্রতিবাদ সভা করেন। ২০১৯-এ রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও পদ্ধতি যাচাই করতে দিল্লি থেকে প্রতিনিধি দল জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত পরিদর্শন করেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের ৩ জন নির্মাণ সহায়ক, ১ জন এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্টান্টের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে ও ৪ জন গ্রাম রোজগার সহায়ক (GRS), ২ জন এসটিপি (STP) এবং ১ জন ভিএলই (VLE) বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ (Show Cause Notice) করা হয়েছে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মচারী সংগঠন সমূহের সমন্বয় কমিটির আজকের এই আন্দোলন কর্মসুচি।অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কাজল রায় বলেন, বিভাগীয় তদন্ত মানে শাস্তি নয়, ব্লক আধিকারিকরা দেখে শুনেই নির্দেশ দিয়েছেন। এখন দেখা যাক তদন্তকারী আধিকারিকরা কি রিপোর্ট দেয়, তারপর পরবর্তী চিন্তাভাবনা করা হবে।কর্মচারি সংগঠনের প্রতিনিধি দলের তরফে জনতার কথা কে জানানো হয়, ২০১৯ -এ কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল রাজ্যে গ্রামীন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে বেশ কিছু পঞ্চায়েত পরিদর্শন করেন। এবং তাঁদের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে বেশ কিছু কর্মচারি স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁরা তাঁদের ডেপুটেশনে উল্লেখ করে জানান, উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনও কাজই পঞ্চায়েত স্তরে হয় না। আর্থিক বছরের শুরুতে অ্যানুয়াল অ্যাকসান প্ল্যান মোতাবেক সকল কাজ হয় এবং তাঁরা আরও জানান, অ্যানুয়াল অ্যাকসান প্ল্যান পঞ্চায়েত তৈরি করে ঠিক-ই কিন্তু তা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের অনুমদন না দিলে প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায় না। সেক্ষেত্রে কোনও ভুল যদি হয়ে থাকে, তাহলে কেন একতরফা ভাবে শুধুমাত্র কয়েকজন চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তির খাঁড়া ঝুলবে?জেলাশাসক করণের সামনে অবস্থান কর্মসূচিপ্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে গ্রামীন উন্নয়ন প্রকল্পের বিশেষত ১০০ দিনের কাজের পদ্ধতিতে রীতিমত অসন্তুষ্ট। ১০০ দিনের কাজের পদ্ধতির বাইরে গিয়ে বেশ কিছু কাজে বেনিয়ম হয়েছে বলে তাঁরা মনে করে। সেই নিয়ম বহির্ভূত প্রকল্পের জন্য তাঁরা পঞ্চায়েতগুলিকে জরিমানাও করেন। পঞ্চায়েতগুলি জরিমানার টাকা বেশ কিছুটা ফেরতও দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তর থেকে বাকি জরিমানার টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে জানতে চাওয়া হয় সেই সমস্ত পঞ্চায়েতের কর্মীদের বিরুদ্ধে কি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ আসামাত্র নড়ে চড়ে বসে জেলা প্রশাসনিক মহল।ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা জেলা শাসকের কাছে আবেদন রাখেন, তাঁদের পাঁচদফা দাবি বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যে সমস্যার সম্মুখীন তাঁরা তা থেকে যেন দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারেন। তাঁরা জেলাশাসকের কাছে অনুরোধ রাখেন, জেলা প্রশাসনের অধীনস্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত সকল কর্মচারীর স্বার্থে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে কর্মচারীদের নির্ভয়ে উন্নয়নমূলক সরকারি কর্মসূচি সমূহের রূপায়ণে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবং অভিযুক্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পদ্ধতি যেন প্রত্যাহার করা হয়। তাঁরা জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ আধিকারিকের কাছে বিনীত অনুরোধ রাখেন যাতে, সাধারণ কর্মচারীদের জীবন, জীবিকা ও পরিবারের স্বার্থে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়।

আগস্ট ০৩, ২০২২
রাজ্য

র‍্যালির পর পূ্র্ব বর্ধমানের প্রথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ, অবরোধ- বিক্ষোভ

পূর্ব বর্ধমানের আউশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে আউশা প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি শোভাযাত্রা বের হয়। সেই র্যালির পর পড়ুয়াদের কেক ও গ্লুকোজ জল দেওয়া হয়। এরপরই পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে যায়। মাথাঘোরা, ঘা বমি শুরু হয়। অচেতন হয়ে পড়ে তারা। অসুস্তদের একটি গাড়ি ও একটি বাসে করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনকে আনা হয়েছে। তারা বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এই ঘটনায় স্থানীয় নবস্থা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষজন। রাস্তায় গাছ ফেলে চলে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় মেমারী থানার পুলিশ। নবস্থা পঞ্চায়েতে থাকা একটি এ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, শেষমেশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতপতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের দেখতে বর্ধমান হাসপাতালে পৌঁছায় বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, বিধায়ক অলোক মাঝি প্রমুখ।

জুলাই ২২, ২০২২
রাজ্য

মানবিক মুখ সরকারি আধিকারিকের, অঙ্গহানি থেকে রক্ষা দুর্ঘটনাগ্রস্তের

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে নানাবিধ অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যের সরকার, কখনো অভিযোগের তীর বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে তো, কখনো সরকারি কর্মচারীদের দিকে। কয়েকদিন আগেই পুর্ব-বর্ধমান জেলার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সাথী সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে নিজে সরজমিনে তদন্তে যান। আবার উল্টো চিত্রও দেখা যাচ্ছে পুর্ব-বর্ধমান জেলার বর্ধমান-১ ব্লকে। বর্ধমান-১ ব্লকের বিডিও অভিরুপ ভট্টাচার্য তাঁর সামাজিক মাধ্যমে জানান, রায়ান-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ানদিঘী গ্রামের বাসিন্দা এক প্রতিবন্ধী মা শিখা মণ্ডল তাঁর কাছে কাতর আবেদন নিয়ে আসেন যে, ওঁর পুত্র রণজিৎ মণ্ডল মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত (বাম হাত) গভীর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। যদি সঠিক সময়ে অপারেশন না করা যায় তাহলে হয়ত তাঁর হাত টি শরীর থেকে বাদ দিতে হবে।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান বিষমদকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ৮অভিরুপ ভট্টাচার্য খোঁজ নিয়ে জানেন যে সঞ্চিতা মণ্ডলের পরিবারের কোনও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই। তিনি কালবিলম্ব না করে নিজে উদ্যোগ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য সাথী দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেন। এবং জেলা স্বাস্থ্য সাথী দপ্তর পরিস্থিতি গুরুত্ব পর্যালোচনা করে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে পরিচয়পত্র ক্ষতিয়ে দেখে ইউ আর এন জেনারেট করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বিডিও-র হাতে তুলে দেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা যেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে দুর্ঘটনায় আহত রঞ্জিত মণ্ডলের অপারেশন অতি বিলম্বে শুরু করেন।সোশ্যাল পোস্ট ও স্বাস্থসাথী কার্ডরণজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঞ্চিতা মণ্ডল জনতার কথা কে জানান, বিডিও সাহেব না থাকলে হয়ত আমার স্বামীর হাত ফিরে পেতো না, আমার তরফে তাঁকে অনেক ধন্যবাদ। তিনি যে ভাবে নিজে দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সাহায্য করলেন, সারাজীবন আমরা তাঁর কথা মনে রাখবো। সোমবার তিনি যখন জনতার কথা র সাথে কথা বলছিলেন তখন রণজিৎ মণ্ডলের বাম হাতের সেলাই কাটা হচ্ছিল। সঞ্চিতা জানান, ডাক্তার বাবু বললেন এই মুহুর্তে আমার স্বামী বিপদমুক্ত, কিন্তু আগামী ছয় মাস কোনও রকম কাজ সেই হাতে করতে পারবেন না। আমরা চিন্তায় আছি আমার স্বামী রাজমিস্ত্রী-র কাজ করে, সেই একমাত্র বাড়িতে কাজের মানুষ। তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকার জন্য আমি বা আমার শাশুড়ি কেউই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুদান পায় না।আরও পড়ুনঃ আপনি কি বিছানার চাদরের নিচে সাবান রেখে শুচ্ছেন? একটু চেষ্টা করে দেখুনঅভিরুপ ভট্টাচার্য তাঁর সামাজিক মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দপ্তরের সাথে জড়িত ব্লক অফিস ও জেলার সকল সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে আরও জানিয়েছেন আক্রমনাত্মক ভাবে, সক্রিয় থেকে, দৃঢ় পদক্ষেপে সঠিক পথে সামান্য চেষ্টা করলে, অনেক ভাল জিনিস ঘটতে পারে। তিনি জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর বক্তব্য উল্লেখ করে লিখেছেন আপনি অন্যদের মধ্যে যে পরিবর্তন দেখতে চাইছেন সেটা আগে নিজের মধ্যে আনুন।

জুলাই ১১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে বিষমদকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ৮

বর্ধমানে বিষমদকাণ্ডে ফের দুজনের মৃত্য হল। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। এর আগে ৬জনের মৃত্য়ু হয়েছিল। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল শম্ভু শর্মা ও ভবানীপ্রসাদ সাঁইয়ের। তাঁর আগে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল ভাতের হোটেলে মদ খেয়ে। তাঁরা হলেন, শেখ সুবরতি (৩৪), শেখ হালিম (৪০), চিন্ময় দে (৩৮), গৌতম দে (৪২)। রবিবার বর্ধমানের খাগড়াগড় পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মীর মেহবুব(২৬) ওরফে বাপ্পা এবং বাপন শেখ(২৮)-এর মৃত্যু হয়েছে। এদের পরিবারের দাবি, এরা দুজনেই বর্ধমানের কলেজমোড় এলাকার তারামা হোটেল থেকে মদ খেয়েছিল। এরা মাঝে-মধ্যেই কলেজ মোড়ের এই হোটেল থেকে মদ খেত বলে জানিয়েছে তাঁদের পরিবার।তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারামা হোটেল থেকে মদ খাওয়ার পরেই তাঁরা অসুস্থতা বোধ করে। ক্রমাগত বমি ও পেটে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। মীর মেহবুবকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাপন শেখ স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় দুজনের। পুলিশ ও আবগারি দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খাগড়াগড়ের বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, ভাতের হোটেলে কিভাবে মদ বিক্রি হয়? দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।

জুলাই ১০, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে রহস্যজনক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬, বন্ধ মদের দোকান, হানা চোলাইয়ের ঠেকে

হোটেলের খাবার (মদ?) খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় ফের বর্ধমান শহরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন শম্ভু শর্মা ও ভবানীপ্রসাদ সাঁই। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মদ খেয়ে অসুস্থ হয়েছিল। এদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ভাতের হোটেলে মদকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে দুটি মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবারের বক্তব্য, মদ নয় তাঁরা শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিল।মদ খেয়ে অসুস্থ না খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? সেই রহস্য রয়েই গিয়েছে। শনিবার বর্ধমান শহরের সমস্ত মদের দোকান বন্ধ ছিল। কেন মদের দোকান বন্ধ তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি আবগারি দফতর। তবে মদে খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শহরের অভিযুক্ত হোটেলগুলি থেকে সরকারি মদ ক্যাপটেন উদ্ধার হয়েছে। সেই ক্যাপটেন আদৌ সরকারি কাউন্টার থেকে এসেছে না এর পিছনে অন্য রহস্য আছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।এদিকে এদিন বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় চোলাইয়ের ঠেকে হানা দেয় পুলিশ ও আবগারি দফতর। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এদিকে উদ্ধার হওয়ার মদের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্য ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহজে প্রকাশ্যে এলেও এক্ষেত্রে রহস্যজনক ভাবে মৃতদের পোস্টমর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্টে কী উল্লেখ আছে তা জানায়নি পুলিশ। তবে ভাতের হোটেলে মদের অবৈধ কারবারের রমরমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বর্ধমানবাসী।

জুলাই ০৯, ২০২২
রাজ্য

ভাতের হোটেলে বেআইনি মদ খেয়ে বর্ধমানে রহস্যমৃত্যু ৪ জনের, গাফিলতি কার?

ভাতের হোটেলে মদ। অভিযোগ, সেই অবৈধ ভাবে বিক্রি হওয়া মদ খেয়ে মৃত্যু হল চার জনের। মৃতরা হলেন শেখ হালিম (৪০), শেখ সুবরতি (৩৪), চিন্ময় দে (৩৮) ও গৌতম দে (৪২)। মৃতদের বাড়ি বর্ধমান শহরে। বাহিরসর্বমঙ্গলা পাড়ায় বাড়ি হালিম ও সুবরতির। ময়ুরমহলে বাড়ি চিন্ময় ও গৌতমের। অসুস্থরা ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। তাঁদের খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। তবে শহরের নানা ভাতের হোটেলে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রী নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনার পর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা শহরজুড়ে তল্লাশি শুরু করে। নড়ে-চড়ে বসেছে আবগারি দফতরেও।জানা গিয়েছে, যে হোটেলে মৃতরা মদ খেয়েছিল সেখান থেকে আবগারি দফতরের অনুমোদিত দেশি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তা নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছে আবগারি দফতর। ওই মদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখবে তারা। মদ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে আবগারি দফতর।রহস্যজনক ভাবে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় বর্ধমান শহরে। শুক্রবার সকাল থেকে এডিজি ওয়েস্টার্ন জোন সঞ্জয় সিং ও জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেনের নেতৃত্বে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন হোটেল ও ধাবায় হানা দেয় পুলিশ। এদিকে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্ত হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্টেই প্রাথমিকভাবে বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরে জিটি রোডের ধারে মৃত ও অসুস্থরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই হোটেল থেকে মদ কিনে খেয়েছিল। তবে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁরা সবাই কি আলাদা আলাদা হোটেল থেকে মদ কিনে খেয়েছিল? এক মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর স্বামী আরও চারজনের সঙ্গে মদ খেতে বসেছিল। মদ খাওয়ার পরেই তাঁর স্বামীর খিঁচুনি শুরু হয়। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হতে শরু করে। স্বামীকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।বর্ধমান শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাত খাওয়ার হোটেলে অবৈধ ভাবে মদ বিক্রী নতুন কোন ঘটনা নয়। তাঁদের বক্তব্য, শহর লাগোয়া ও জাতীয় সড়কের পাশের খাওয়ার হোটেলগুলিতে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হয়। কোনও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ও আবগারি দফতর এই বেআইনি কারবার বন্ধ করতে কখনও উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ। স্বভাতই বেআইনি কারবার ক্রমশ বেড়েছে। চিন্ময় ও গৌতমের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য় মদ খেয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেনি।জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন এদিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মদ খেয়ে দুজন মারা গেছে বলে আমরা বর্ধমান হাসপাতাল থেকে খবর পাই। এদিন আরও দুজন মারা যাওয়ার খবর আসে। তবে এই মৃতদের পরিবার মদ খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বর্ধমানের কোনও হাসপাতালে কেউ ভর্তি হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আবগারি দফতর মদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠিয়েছে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তার রিপোর্ট চলে আসবে।

জুলাই ০৮, ২০২২
রাজ্য

"ক্লিক করার আগে ভাবুন" পুর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও ইউ.আই.টি.-র উদ্যোগে এক অভিনব সাইবার সচেতনতার বার্তা

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়র ইউ আই টি সহায়তায় বুধবার বর্ধমান শহরের এক বেসরকারি স্কুলে সাইবার সুরক্ষা ও সচেতনতা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কোভিড উত্তর বর্তমান প্রজন্ম অনলাইন ব্যবস্থার সাথে এতটাই ওতোপ্রত ভাবে যুক্ত তাতে করে এই ব্যবস্থাটাকে কোনও ভাবেই এড়িয়ে চলতে পারা যাবে না। এই সুবিধা ভোগ করেও কি ভাবে আরও বেশী সুরক্ষিত থাকা যায় তাঁর জন্যই সাইবার সুরক্ষা ও সচেতনতা সমন্ধে সম্যক ধারনা থাকা দরকার।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়র ইউ আই টি র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্রধান ডঃ শিবকালি গুপ্ত জনতার কথা কে জানান, ছাত্রদের পড়াশোনা ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে ঔষধ, টাকা পাঠানো থেকে অফিসিয়াল ডকুমেন্ট এমনকি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় উপস্থিতি-ও বর্তমানে ডিজিটালি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের এই ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, সেই উদ্দেশ্যেই পূর্ব-বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় আমরা এই সচেতনতা প্রোগ্রাম করছি। তিনি জানান, তাদের এই প্রোগ্রামটির নাম ক্লিক করার আগে ভাবুন (Think Before You CLICK)।ওইদিন ডঃ গুপ্ত ক্লিক করার আগে কি করা উচিত মুলত সেই বিষয়ের ওপরই বেশী প্রাধান্য দেন। তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের জন্য আমদের মুলত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরই বেছে নেওয়ার কারন, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বাবা-মায়েরা ছেলে মেয়েদের ওপর-ই মোবাইল বা নেট সংক্রান্ত বিষয়ে বেশী নির্ভর থাকে। সেক্ষত্রে ছেলে-মেয়েদের এবিষয়ে সম্যক জ্ঞ্যান থাকলে তাঁরা তাঁদের বাবা-মাকে আগে ভাগেই সতর্ক করে দিতে পারবে।সাইবার ক্রাইম সচেতনতা সভাডঃ শিবকালি গুপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু সতর্কবার্তা দেন, কোনওভাবেই কেউ যেন কোনও অপরিচিত লিঙ্ক-এ ক্লিক না করেন, অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে যেন ওটিপি বা ব্যাক্তিগত তথ্য না দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ বা এস.এম.এস.-এ কোনও ফ্রী গিফট বা লোভনীয় লিঙ্ক নিজে যেমন ক্লিক করবেন না, ঠিক তেমনই কাউকে শেয়ারও করবেন না। এই ধরনের লিঙ্ক দেখলেই সরাসরি ডিলিট করে দেবেন।পুর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান সাইবার ক্রাইম থানা-র সাব ইন্সপেক্টর সাহাবুদ্দিন আহমেদ। ভুল করে ফাঁদে পা দিয়ে ক্লিক বা কোনও ব্যক্তিগত তথ্য বলে দিলে তাঁর পর কি করনীয় সে বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। তাঁর বিষয় ছিল কি ঘটতে পারে যখন আপনি ক্লিক করে ফেলেছেন (What Happens When You Click)। ইন্সপেক্টর সাহাবুদ্দিন ছাত্র ছাত্রীদের জানান যখন কেউ প্রতারিত হয়েছেন তাঁরা যেন সরাসরি পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এছাড়াও তিনি প্রতারিত হলে আইনি ভাবে কি কি করতে হবে সে সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন।বর্ধমান শহরের বেসরকারি বিদ্যালয় বর্ধমান মডেল স্কুল-র কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথা কে জানান, এই ধরনের প্রোগ্রাম যত বেশি হবে তত সাধরন মানুষ উপকৃত হবেন। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা আজকের এই অনুষ্ঠানের ফলে সমৃদ্ধ হল। আজকের সতর্ক বানী তারা তাদের পরিবারকে বলে আরও কিছু মানুষকে প্রতারণা হওয়া থেকে আটকাতে পারবে। অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল পূর্ব-বর্ধমান পুলিস ও ডঃ শিবকালি গুপ্ত কে বিশেশভাবে ধন্যবাদ জানান সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত একটি বাস্তব সমস্যা নিয়ে সচেতনতা সভা বর্ধমান মডেল স্কুল-এ আয়োজন করার জন্য।

জুলাই ০৮, ২০২২
রাজ্য

দেওয়ানদিঘীতে পানীয় জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করলেন কাকলি তা গুপ্ত

বর্ধমানের দেওয়ানদিঘীতে সর্বসাধারণের জন্য পানীয় জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত। সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি রূপায়ন করেছে বর্ধমান রোটারি ক্লাব। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের সুবিধার্থে এই জল প্রকল্প কাজে আসবে বলে জানিয়েছেন কাকলি তা গুপ্ত। পানীয় জল পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।দেওয়ানদিঘী মোড়ে বহু মানুষের যাতায়াত। এখান থেকে অনেকেই দূরদূরান্তের বাসে যাতায়াত করেন। নানা কাজে দেওয়ানদিঘী এলাকায় বহু সাধারণ মানুষের আনাগোনা। তীব্র গরমে পথিকদের স্বার্থে এই পানীয় জলপ্রকল্প খুবই উপযোগী, বলেন বিডিএ-র চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত। ব্যক্তিগত ভাবে এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ডা. গোলাম মহম্মদ, বর্ধমান ১-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিরূপ ভট্টাচার্য।

জুন ২৩, ২০২২
রাজ্য

কিডনি বেচে অভাবের সংসার চালাতে ফেসবুকে পোস্ট বর্ধমানের যুবকের, শোরগোল শহরজুড়ে

করোনা শুধু জীবন কাড়েনি, বেঁচে থাকলেও তার রসদ ছিনিয়ে নিয়েছে। করোনা আবহে লকডাউনের কারণে বহু মানুষের পেশা, কাজ হারিয়ে গিয়েছে। অভাব-অনটন বেড়েছে লাখো লাখো সংসাসারে। এবার বেঁচে থাকার তাগিদে সোশাল মিডিয়ায় কিডন বিক্রি করার আবেদন জানালেন বর্ধমান শহরের প্রতিবন্ধী যুবক। তাঁর এই পোস্টে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমানে। বর্ধিষ্ণু শহরের হলটা কী! শেষমেশ কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন একেবারে প্রকাশ্য়ে। তবে জেলা প্রশাসন তাঁর পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছে।নিজের কিডনি বিক্রি করবে বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বর্ধমানের টিকরহাটের ভাড়া বাড়িতে থাকা প্রতিবন্ধী যুবক সম্রাট গোস্বামী। যুবকের পরিবারের রয়েছে স্ত্রী ও এক সন্তান। বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন সম্রাট। পরে কম্পিউটারে কোর্স করে সম্রাট একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেটা অপারেটরের কাজে যোগ দেন। লকডাউনের সময়ে সেই কাজ চলে গিয়েছে। সেই থেকে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সম্রাটের পরিবার। এমনকী অন্নসংস্থানের জন্য লোকের বাড়িতে পরিচারিকারকাজ শুরু করেছেন সম্রাটের স্ত্রী মণীষাদেবী। মণীষা জানিয়েছেন, তিনি দুটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে পান মাত্র ২৪০০ টাকা। অথচ বাড়ি ভাড়া মেটাতে হয় তিন হাজার টাকা। এরপর রয়েছে খাওয়া ও অন্যান্য খরচ।সম্রাট এদিন বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে অনেক চেষ্টা করেও রোজগারের পথ খুঁজে পাইনি। তা নিরুপায় হয়ে নিজের কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আশা একাটাই, ক্রেতা মিলে গেলে মোটা টাকা পাওয়া যাবে। তা দিয়ে রুটি রুজি জোগাড়ের একটা পথ তৈরি হবে। মণীষার আবেদন, সরকার বা কোনও সহৃয় ব্যক্তি তাঁর স্বামীর একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিলে সংসারটা বেঁচে যাবে।সম্রাটের বোন বনশ্রীও কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানালেন। তিনি বলেন, লকডাউনে আমাদেরও কাজ চলে গিয়েছে। ভাড়া বাড়িতে থআকি{ শুনেছি কিডনি বিক্রি করলে মোটা টাকা পাওয়া যায়। তাই আমার স্বামী ও আমি দুজনেই কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তার প্রক্রিয়া বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলে বুঝতে পারি আমরা প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়েছি। তাই আর কিডনি বিক্রি করা হয়নি। আমাদের পরিবারও বহু কষ্টে আছে। ভাই সোশাল মিডিয়ায় কিডনি বিক্রির পোস্ট করেছে। কিন্তু চাইলেই তো আর কিডনি বিক্রি করা হবে না, ক্রেতাও তো পেতে হবে। তাছাড়া ভাই মানসিক ও শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ। সেদিকটাও মাথায় রাখতে হবে।সম্রাট ও বনশ্রীর বাবা মুর্শিদাবাদ জেলায় পুরসভার কর্মী ছিলেন। সঙ্কটে সেই পুরসভাও পাশে দাঁড়ায়নি। অভিযোগ, এক হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা এই অগ্নিমূল্যের বাজারে সামান্যই। তাই ছেলে বউয়ের মুখ চেয়ে এখন সোস্যাল মিডিয়ায় কিডনির ক্রেতা খুঁজছেন সম্রাট। বিষয়টি জানার পর ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসক তীর্থাঙ্কর বিশ্বাস জানিয়েছেন,আইন মেনে পরিবারটিকে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে।

জুন ১৯, ২০২২
রাজ্য

আরবি ছেড়ে চিকিৎসক হওয়ার নেশায় মশগুল সপ্তম স্থানাধিকারী ফারুক

হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় সেরা ১০ এ স্থান করে নিলেন শহর বর্ধমানের ছাত্র। পুর্ব-বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষের বারিশাল গ্রামের আদি বাসিন্দা সৈয়দ আব্দুল্লাহ বারিশাল হাইস্কুলের আরবি ভাষার শিক্ষক। মা সৈয়দ আসমা সুলতানা গৃহবধূ। তাঁদের দুই সন্তান। তাঁর মধ্যে ফারুক-ই ছোট। ফারুকের দাদা সৈয়দ মহম্মদ জুবের এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে বর্ধমানের এক স্কুল থেকে। ফারুক সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত তার বাবার যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সেখানেই পড়তেন। পাঁচ বছর আগে সৈয়দ আব্দুল্লাহ সপরিবারে বর্ধমানের ভাতছালায় বসবাস করতে থাকেন। তিনি ফারুক ওমরকে বর্ধমান হাইমাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি।ফারুকের প্রিয় বিষয় আরবি ভাষাশিক্ষা। তাঁর বাবা জানান, ছোট থেকেই তাঁর স্মরণশক্তি ছিল ঈর্ষনীয়। সোমবার হাইমাদ্রাসা পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে জানা যায়, ফারুক মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেছেন। ফারুকের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। তিনি জানান, বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে ইচ্ছা। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে আছে। চিকিৎসক হলে বহু মানুষের সেবা করতে পারব।ফারুক বাংলায় ৯৪, ইংরাজিতে ৯১, অঙ্কে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৬, জীবনবিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৮, ভূগোলে ৯৬, ইসলামিক পরিচয়ে ৯৫ এবং আরবিতে ৯০ পেয়েছেন। তিনি হাইমাদ্রাসা পরীক্ষায় মোট ৭৬৭ নম্বর পেয়েছেন। বাবা আব্দুল্লাহ বলেন, ফারুক আরবি ভাষায় খুব দক্ষ। ভেবেছিলাম, ওই ভাষা নিয়ে গবেষণা করবে ছেলে। তিনি বলেন আমি বা পরিবার জোর করে কিছু চাপিয়ে দেবো না। অর মন যা চায়, তা-ই করবে।বর্ধমান-১ সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরের এলাকায় অবস্তিত বর্ধমান হাইমাদ্রাসার-র ছাত্র হওয়ায় ওই দপ্তরের যুগ্ম-সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক সন্দীপ চাঁদ ও বিআইও খন্দেকর জাহির আলি আহমেদ ভাতচালা-য় ফারুকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে আসেন। ব্লকের তরফ থেকে তাঁকে পুষ্প স্তবক, মিষ্টান্ন ও মানপত্র প্রদান করা হয়। বিআইও জাহির জনতার কথা কে জানান, যে কোনও সাফল্য-ই আনন্দের। ফারুক যেভাবে এক প্রত্যন্ত গ্রাম্য পরিবেশ থেকে উঠে এসে নিজেকে রাজ্য স্তরে প্রতিষ্ঠিত করল সেটা সত্যিই তারিফ করার মত। কোভিড অতিমারির যে ভয়ঙ্কর প্রভাব ছাত্রজীবনে পরেছিল তাঁর জন্য তো এই ফলাফল খুবই দৃষ্টান্তমূলক খানিক্টা শাপমুক্তি।

জুন ০১, ২০২২
রাজ্য

ঝুপড়িবাসী সেজে অপরাধ কাজকর্ম চালাচ্ছিল দুই দাগী দুস্কৃতি-সেই ঝুপড়ি থেকেই উদ্ধার প্রচুর চোরাই সামগ্রী-গহনা-আগ্নেআস্ত্র

রেললাইনের ধারে আলাদা আলাদা ঝুপড়ি ঘরে থকতো দুই যুবক। কেউ ঘুণাক্ষরেরও টের পায়নি ওই যুবকরা আসলে দাগী অপরাধী।তবে তাঁরা এলাকাবাসীর চোখে ধুলো দিয়ে থাকতে পারলেও পুলিশের চোখ এড়িয়ে বেশিদিন থাকতে পারেনি। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ হওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার ঝাপানডাঙ্গা রেল স্টেশন লাগোয়া ঝুপড়িতে হানা দিয়ে দুই দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল ইমান হোসেন মোল্লা ওরফে রাজা এবং তপন দাস। পুলিশ জেনেছে, ইমানের আদি বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার বাহেরা গ্রামে। আর অপর ধৃত তপনের আদি বাড়ি নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার বাগদিয়া গ্রামে। দুজনেই ঝাপানডাঙ্গার রেল স্টেশনের ধারে ঝুপড়িতে থেকে অপরাধ মূলক কাজকর্ম চালাচ্ছিল। পুলিশের দাবী দুই ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর চোরাই সামগ্রী, গহনা, আগ্নেআস্ত্র ও কার্তুজ। নিরীহ সেজে থাকা ঝুপড়িবাসী যুবকদের এই কীর্তির কথা জেনে স্তম্ভিত ঝাপানডাঙ্গার বাসিন্দারা।বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) সুপ্রভাত চক্রবর্তী সোমবার জানিয়েছেন, ঝাপানডাঙ্গা রেল স্টেশনের ধারে ঝুপড়িতে থাকতো ইমান হোসেন মোল্লা ও তপন দাস। তাঁরা যে অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত তা এলাকার কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায় নি। সম্প্রতি জামালপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে ওই যুবকদের অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার কথা জানতে পারে। ঝুপড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ প্রথমে ইমান হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জানতে পারে অপরাধ মূলক কাজে ইমানের সঙ্গী হল ঝাপানডাঙ্গায় রেল লাইনের ধারে অপর ঝুপড়িতে বসবাস করা যুবক তপন দাস। পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করে।এসডিপিও আরো জানিয়েছেন, দুই ধৃতকে পুলিশি হেপাজতে নিয়ে তাঁদের ডেরায় তল্লাশী চালানো হয়। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে দামী মিউজিক সিস্টেম, কম্পিউটার সামগ্রী, দুটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু গহনা, এক রাউণ্ড কার্তুজ সহ একটি আগ্নেআস্ত্র ও একটি চোরাই মোটর বাইক। ধৃতদের অপরাধ চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে এবং তাঁদের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে সেই বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তদন্তের প্রয়োজনে দুই ধৃতকে ফের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হতে পারে বলে এসডিপিও র কথায় ইঙ্গিত মিলেছে।

মে ২৩, ২০২২
রাজ্য

জতীয় সড়কে গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ধাক্কা মারল ল্যাংচার দোকানে

আবার ট্যাঙ্কার বিভ্রাট। শক্তিগড় থানার আমড়া এলাকায় গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ধাক্কা মারল ল্যাংচার দোকানে।ল্যাংচার দোকানের কর্মচারীরা ঐ সময় শেডের নিচে বসে ছিলেন। আঁচ পেয়ে তারা সরে যান। দোকানের সামনের শেড দুমড়ে মুচড়ে যায়। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হয়নি। দমকলের গাড়ি ও ক্রেনের সাহায্যে গ্যাস ট্যাঙ্কারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। শক্তিগড় থানার পুলিশ যান নিয়ন্ত্রনে ব্যস্ত। এই এলাকায় সকালের পর আবার যানজট সৃষ্টি হয়।দোকানের মালিক পারভেজ ইসলাম জানান, বড়সর দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও দোকানে অনেক টাকার আর্থিক ক্ষতি সম্মুখীন হলাম। তিনি জানান, হঠাৎই ট্যাঙ্কারটি অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ওই ল্যাংচার দোকানে। ওই এলাকায় পরপর ল্যাংচার দোকানে দিনভর বেচাকেনা চলে। প্রচুর মানুষ থাকেন। সেসময় একজন দোকান কর্মচারী ও দুজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা সেখানে ছিলেন। তাদের একজন জগদীশ ভট্টাচার্য জানান, কী ঘটতে পারত ভাবতেই শিউরে উঠছি। হঠাৎই দেখি বোঝাই ট্যাঙ্কার আমাদের দিকে ছুটে আসছে। আমি ধাক্কা দিয়ে একজনকে সরিয়ে নিজেও ছুটে যাই। নইলে চাপা পড়তাম।এই নিয়ে জাতীয় সড়কে একদিনেই দুবার ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনা ঘটল। সকালেই জাতীয় সড়কে তেলের ট্যাঙ্কার উল্টে বিপত্তি ঘটে। বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের মিরছোবায় সকালের ঘটনা ঘটে।কলকাতা থেকে দুর্গাপুরমুখী একটি তেলের ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় দুর্ঘটনার পরই জাতীয় সড়কের একটি লেন এবং সাইড লেনে তেল ছড়িয়ে পরে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্যাঙ্কারের ঠিক পিছনেই ছিল একটি চারচাকা। চারচাকাটি ট্যাঙ্কারের পিছনে ধাক্কা মারে। আবার ওই চারচাকার পিছনে ধাক্কা মারে একটি লরি। চারচাকা গাড়িতে ৪-৫ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে একজনের মাথায় আঘাত লাগে।আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ পৌঁছায়। যায় দলকল ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়।। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর মুখী লেন বন্ধ থাকে।একদিক দিয়েই আপ এবং ডাউন গাড়ি চলাচল করে। প্রচন্ড অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা। বিকেলেই আবার আমরা গ্রামে একইভাবে ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনা ঘটল।এই আমরা এলাকাটিই শক্তিগড় বলে সাধারণের কাছে পরিচিত। ভাগ্যক্রমে এদিন লোকজন কম থাকায় কেউ হতাহত হন নি।

মে ২২, ২০২২
রাজ্য

ডিভের্সের নোটিশ পেয়েই স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে দিল স্বামী

স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে রেখে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। অপমানিত বধূ তাঁর স্বামী কামাল শেখের দৃষ্টান্ত মূলক সাজার দাবি করে বৃহস্পতিবার মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক কামাল শেখের বাড়ি মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম এলাকায়। তিনি ম্যারেজ রেজিস্ট্রি করে একই এলাকা নিবাসী বছর ২০ বয়সী ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এখন মন্তেশ্বর কলেজে পড়েন। কামাল শেখ নিজেকে উচ্চশিক্ষিত বলে তাঁকে জানিয়েছিল। সেই কথা তিন বিশ্বাস করেছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি করে তাঁর সঙ্গে কামালের বিয়ে হয়। যদিও রেজিস্ট্রি বিয়ের পর তিনি বাপের বাড়িতেই থাকতেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন কামাল স্কুলের গন্ডিও পেরোয়নি। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা কথা বলে তাঁকে বিয়ে করেছে কামাল। তাই সে তার ওই স্বামীকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠায়। আর তার পরেই কামাল বেঁকে বসে।তরুণী দাবী করেছে, ডিভোর্সের নোটিশ পাওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে হাজির হয়ে কামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যায়। পাশাপাশি হুমকি দিয়ে বলে যায়, তাঁর যে সব আপত্তিকর ছবি সে তুলে রেখেছিল সেগুলি ফেসবুকে ছেড়ে দেবে। হুমকি মতোই কামাল সেই কাজটাই করেছে। তার জন্য তিনি সামাজিক ভাবে অসন্মানিত হয়েছেন বলে তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন। মন্তেশ্বর থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মে ২১, ২০২২
রাজ্য

রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে কালনা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সংঘর্ষ- জখম চার পড়ুয়া

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি নিজেই লজ্জায় মুখ লুকোতেন।কারণ রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে দুদল ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কলেজ চত্ত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেবে এমনটা তাঁর কাছে ছিল কল্পনারও অতীত। কিন্তু বাস্তবেই শুক্রবার এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা কলেজে। রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে তৃণমূলের দুদল ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালনা কলেজ চত্ত্বর। সংঘর্ষে আহত হন চার জন।তাঁদের মধ্যে এক ছাত্র আবার রক্তাত হন মাথা ফেটে যাওয়ায় ।এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন কালনা নিবাসী আপামোর রবীন্দ্র অনুরাগী।কালনা কলেজ জেলার একটি ঐতিহ্যশালী কলেজ হিসাবেই পরিচিতি পেয়ে আসছে। সেই কলেজ কবিগুরুর একটি নতুন আবক্ষমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই উপলক্ষে কর্তৃপক্ষ এদিন কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলেজে পৌছান কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ ও কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। অনুষ্ঠান শুরুর খানিক আগেই বেঁধে যায় অশান্তি। কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাউকে কেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছাত্র ছাত্রীরা কলেজে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেদেয়। বিক্ষোভের জেরে চেয়ারম্যান ও বিধায়ক কেউই আর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। তারই মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থক ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে দলের অপর গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি। পরে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। লাঠিসোটা নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে পেটাতে শুরু করে। তা নিয়ে কলেজ চত্ত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে নেয়। মারধোরে মাথা ফেটে রক্তাত্ত হয় এক ছাত্র। বেশ কিছু সময় বাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান কার্যত ভেস্তে যায়।এদিনের সংঘর্ষের ঘটনা বিষয়ে কালনা নিবাসী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি শেখ নইম আলী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অনিয়ম করে কলেজে নানা কাজ কর্ম হচ্ছে। তা নিয়ে এর আগে সংগঠনের তরফে আমরা কালনা কলেছের প্রিন্সিপালকে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। তবুও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রিন্সিপাল কোন কাজ করেন নি। এদিন কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেটাতেও কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাউকে জানানো হয় না। অনুষ্ঠানের বিষয়ে শুধু জানতেন বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। এঁরাই কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষের মধ্যে আলাদা আলাদা গ্রুপ তৈরি করতে চাইছে। এইসব বিষয় নিয়েই এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা কলেজে আন্দোলন করছিল। তখন বিধায়কের অনুগতরা লাঠি-সোটা দিয়ে তাদের মারধোর শুরু করে। মারধোরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্য এক ছাত্র রক্তাত হয়। আরও দুজন ছাত্র আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত বিধায়ক পুত্র সহ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে শেখ নইম আলী জানিয়েছেন।বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহসভাপতির এইসব দাবী মানতে চান নি। পাল্টা তিনি দাবী করেন, এদিন কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটিয়েছে বহিরাগতরা। তাঁরা কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছে। বিধায়ক আরো দাবী করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানাবেন, আর কাদের জানাবেন না সেট কলেজ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যাপার। নিমন্ত্রন তো আর জোর করে নেওয়া যায় না। এদিন যাঁরা কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটালো তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য হলেও আমি তাঁদের সমর্থন করার মতো কিছু দেখছি না। বিধায়ক এও জানান, যাঁরা এদিন কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটালো তাঁদের সবার শাস্তি হোক সেটাই তিনি চান।প্রিন্সিপাল তাপস সামন্ত জানান, মূলত দুটি ডিপার্টমেন্ট এদিন ছোট খাটো করে কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কলেজ পরিচালন সমিতি, দুটি বিভাগের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং এলাকার বিধায়ক, চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তা নিয়ে তারা গত দুদিন ধরে জানতে চাইছিল। প্রিন্সিপাল আরো বলেন, ওদেরকে বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। ভিড় বাড়লে ক্যাওস হবে। তাই এদিন কলেজে যাতে ভিড় কম থাকে তারজন্য বেশী কাউকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয় নি। এইসব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এদিন কলেজে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এমনটা না হলেই ভালো হত ।

মে ২১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের খাগড়াগড় ফের খবরের শিরোনামে, উদ্ধার জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম, গ্রেফতার তিন

জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হিসাবে সংবাদের শিরোনামে এসেছিল বর্ধমানের খাগড়াগড়। দুইজন বাংলাদেশি জেএমবি জঙ্গি বোমা বিষ্ফোরণে নিহত হয়েছে। দেখা গিয়েছিল খাগড়াগড়েই তৈরি হত আইইডির মতো বিষ্ফোরক। এবার ওই অঞ্চলেই জাল নোট তৈরির কারখানার হদিশ পেল পুলিশ। পুলিশি অভিযানে পাওয়া গিয়েছে নকল টাকা, নোট ছাপানোর মেশিনসহ নানান সামগ্রী। পুলিশ জানিয়েছে, এই জাল নোটের কারবারের সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত গোপাল সিং ও বিপুল সরকারের বাড়ি বর্ধমান শহরেই। আরেক ধৃত দীপঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই সূত্র মারফত তাঁরা খবর পাচ্ছিল খাগড়াগড় অঞ্চলে জাল নোটের কারবার চলছে। সেখানো নোট ছাপানো হচ্ছে। খাগড়াগড়ের পূর্ব মাঠপাড়ায় একটি বাড়ির দিকে কড়া নজরদারি চালাতে শুরু করে পুলিশ। খবর নিশ্চিত হতেই আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলেই পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশের জালে ধরা পড়ে তিনজন।এদিন বিকেলে পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ধৃতদের থেকে ১২হাজার ৫০০টাকার জাল নোট এবং নোট তৈরির ডাইস, পাউডার, কেমিক্যাল ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজত নেওয়া হবে।স্থানীয় বাসিন্দা সেখ আজাদ জানান, খাগড়াগড় পূর্ব পাড়ায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ি। ওই বাড়ি ৪-৫ মাস আগে গোপাল সিং ভাড়া নেয়। তার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, শাশুড়ি ও একজন পরিচারিকাও থাকে। এলাকায় গোপাল নিজেকে মানবাধিকার কর্মী বলে পরিচয় দিত। গোপাল যে আদতে জাল নোটের কারবারী হতে পারে তা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি।

মে ১৯, ২০২২
রাজ্য

কর্মী ঘাটতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া পূর্ব-বর্ধমান সহ রাজ্যের ৪৯০ টি লাইব্রেরির খবরে নড়ে চড়ে বসলো রাজ্য

গ্রন্থাগার অনেক থাকলেও নেই গ্রন্থাগারিক বা গ্রন্থাগার কর্মী। আর তার কারণেই তালা পড়ে গিয়েছে খোদ রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর নিজের জেলা পূর্ব বর্ধমানের প্রায় ১২ টি গ্রন্থাগ্রারে। আর সারা রাজ্যে তালা পড়েছে ৪৯০ টি গ্রন্থাগারে। এছাড়াও কর্মী হীনতার কারণে রাজ্যের সর্বত্রই এখন দুরাবস্থায় ধুঁকছে গ্রামীন গ্রন্থাগার গুলি। তা নিয়ে হতাশ বাংলার বই প্রেমিরা। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেও রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী দাবি করেছেন, কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।যুগযুগ ধরেই বলা হয়ে আসছে অন্তহীন জ্ঞানের উৎস হল বই। আর গ্রন্থাগার অর্থাৎ লাইব্রেরি হল সেই বইয়েরই আবাসস্থল। তাই মূলত বাঙালির বই পড়ার আগ্রহ থেকেই রাজ্যে ১৫০০টির মতোন গ্রামীন গ্রন্থাগারের উৎপত্তি হয়। তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৫১ টি গ্রন্থাগার রয়েছে। গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দেড় শতাধীক গ্রন্থাগার গুলি পরিচালনার জন্যে সরকারী ভাবে প্রথম থেকেই ৩৪০ জন স্টাফ অনুমোদিত হয়ে আছে। আগে ছিলেনও তাই। কিন্তু বর্তমান সময় পর্যন্ত গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগার কর্মী মিলিয়ে ২৬২ জন কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁদের শূণ্য পদে নতুন করে আর কোনও নিয়োগ হয় নি। ফলে এখন পূর্ব বর্ধমান জেলায় কর্মরত গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগার কর্মী মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭৮ জন।একই কারণে গোটা রাজ্যেও তৈরি হয়েছে গ্রন্থাগার কর্মীর ঘটতি। দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে ৪ হাজারের বেশী গ্রন্থাগার কর্মীর পদ এখন শূন্য হয়ে রয়েছে। তারমধ্যে প্রায় হাজারের বেশী গ্রন্থাগারিক (লাইব্রেরিয়ান) শূন্য পদ রয়েছে ।এত বিশাল সংখ্যক গ্রন্থাগার কর্মীর ঘাটতির কারণেই এখন কার্যত ধুঁকছে পূর্ব বর্ধমান সহ গোটা রাজ্যের গ্রামীণ গ্রন্থাগার গুলি।কর্মীদের কথায় জানা গিয়েছে, গ্রন্থাগার গুলির দুরাবস্থা কাটার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তৃণমূল সরকার তৃতীয় বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর। গত বছরের জুলাই মাসে রাজ্য সরকার শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেয়। ২০২১ এর আগষ্ট মাস থেকে গ্রন্থাগারিক শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে রাজ্যের গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম দফায় ৭৩৮ টি গ্রন্থাগারিক শূন্য পদে নিয়োগ হবে। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরিও সেই কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল আজও যেমন দেখা যায়নি, কাজের কাজও কিছু হয়নি। এমনটাই অভিযোগ, দুর্দশাগ্রস্ত গ্রন্থাগার গুলির পরিচালন কমিটির কর্তা ব্যক্তিদের। তাঁরা এও জানান, সম্প্রতি রাজ্য সরকার রাজ্যের ২৩ জেলা মিলিয়ে মোট ৭৩৭ টি গ্রামীণ লাইব্রেরিতে লাইব্রেরিয়ান শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবারও যদি ঘোষণা মতো কাজ না হয় তবে আরো বহু পাঠাগারে তালা পড়ে যাবে।জেলা গ্রন্থাগারিক (পূর্ব বর্ধমান) নির্মাল্য অধিকারী জানিয়েছেন, গ্রন্থাগার কর্মীর সীমাহীন ঘাটতির কারণে জেলায় এখন প্রায় ১২ টি গ্রন্থাগার পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়েছে। বাকি গ্রন্থাগার গুলি কোনরকমে সপ্তাহে একদিন বা দুদিন চালু রাখা হচ্ছে শুধুমাত্র সম্পদ টুকু বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। তাও সব জায়গায় গ্রন্থাগারিক দিয়েই যে গ্রন্থাগার চালু রাখা যাচ্ছে, এমনটাও নয়। সম্পদ বাঁচিয়ে রাখার জন্যে এক একজন গ্রন্থাগার কর্মী বা গ্রন্থাগারিককে এখন একাধীক গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। এমনকি বহু গ্রন্থাগারিক পদ শূন্য থাকায় বেশীরভাগ জায়গায় গ্রন্থাগার কর্মীদেরকেই গ্রন্থাগার সামলাতে হচ্ছে ।তালা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা জেলার গ্রন্থাগার গুলির অন্যতম একটি হল জামালপুর সাধারণ পাঠাগার। দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে ১৯৩৬ সালে এই পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার পর থেকে ঐতিহ্যশালী এই পাঠাগারটি স্বাভাবিক নিয়মেই চলছিল। কিন্তু গত ৭ মাস কাল যাবৎ এই পাঠাগারটির দরজা তালা বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে। কারণও সেই একটাই। এই পাঠাগারের পাঠাগারিক ও পাঠাগার কর্মী অবসর নেওয়ার পর তাঁদের শূন্য পদ আজও পূরণ হয় নি। পাঠাগারটির পরিচালন কমিটির সভাপতি অরুপ মল্লিক ও যুগ্ম সম্পাদক দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন,স্বাধীনতার আগে তৈরি হয়েছিল জামালপুর সাধারণ পাঠাগার। কর্মী শূণ্যতার কারণে সেই পাঠাগারের দরজায় যে তালা পড়ে যাবে সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধীকবার জানানো হয়েছে। তবে এখনও অবধি কোন সুরাহার ব্যবস্থা হয় নি। একই রকম পরিণতির অপেক্ষায় দিন গুনছে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত জামালপুর ব্লকের জাড়গ্রামের মাখনলাল স্মৃতি পাঠাগার। পাঠাগারিক ও পাঠাগার কর্মীরা অবসর নেওয়ার পর এখন একজন মাত্র দপ্তরী কাম বুক বাইন্ডার এই পাঠাগারটির হাল ধরে আছেন। ওই বুক বাইন্ডারই অন্য পাঠাগার সামলে সপ্তাহে ১-২ দিন মাখনলাল স্মৃতি পাঠাগারটি খুল বসছেন। এমন দুরাবস্থায় ধুঁকছে জেলার আরো অনেক পাঠাগার। তাই স্বাভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কবে কাটবে বাংলার গ্রামীন পাঠাগার গুলির এই দুরাবস্থা?এরই উত্তর পাবার জন্যে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, কাগজে কলমে রাজ্যে লাইব্রেরির সংখ্যা ২৪৮০টি। এর মধ্যে গ্রামে রয়েছে ১৫০০টি লাইব্রেরি। তবে ২৬ টি লাইব্রেরির কোন অস্তিত্বনেই। ২৪৫৪ টি লাইব্রেরির মধ্যে ৪৯০ টি লাইব্রেরি এখন বন্ধ রয়েছে কর্মীর অভাবে। ১৯০০ কিছু বেশী লাইব্রেরি এখন চালু রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৬০০ লাইব্রেরি এখন অ্যাডিশনাল চার্জে চলছে। মন্ত্রী জানান, লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদ পূরণে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হওয়ায় রাজ্যে ৭৩৭টি লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঠিকঠাক কাজ চললে আগামী চার মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদে ফিলাপ পক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এটা হয়েগেলে অ্যাডিশনাল চার্জ আর কাউকে নিতে হবে না। পাশাপাশি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি এও জানান, আমফানে রাজ্যের লাইব্রেরি গুলির প্রায় ১০ লক্ষ বই নষ্ট হয়েছে। আর কোথায় কিভাবে বই নষ্ট হয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। গ্রন্থাগার মন্ত্রীর কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন লাইব্রেরী খোলা থাকার দিন এবার এবার শেষ হতে চলেছে। এবার থেকে শুধু মাত্র প্রতি সপ্তাহের রবিবার লাইব্রেরি খোলা রাখার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে দপ্তর।

মে ১৭, ২০২২
রাজ্য

অনলাইনে পরীক্ষার দাবীতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে হাজির হাজার খানেক কলেজ পড়ুয়া

এ যেন একেবারেই উলোট পূরাণ। কোভিড অতিমারির প্রভাব কেটে গেলেও অফলাইনে পরীক্ষা দিতে নারাজ কলেজ পড়ুয়ারা। তাঁরা সরব হয়েছে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবীতে। এমনকি দাবি আদায়ের জন্যে হাজার খানেক কলেজ পড়ুয়া মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে জমায়েত করে বিক্ষোভও দেখায়। যদিও পড়ুয়াদের এই দাবির বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন তা তাঁদের কথাতেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে সমস্ত কলেজ আছে সেইসব কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই এদিন অনলাইনে পরীক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কাটোয়া কলেজের ছাত্র কিরণময় ভট্টাচার্য বলেন, কোভিড কাল থেকে এতদিন অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। প্র্যাকটিক্যাল ঠিকমতন হয়নি। এই সময় যদি ইউনিভার্সিটি বলে যে সমস্ত পরীক্ষা অফলাইন হবে তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই তাঁরা অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার দাবী করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত এই দাবী মেনে নিচ্ছে ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে বলে জানান ছাত্র-ছাত্রীরা। গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের পড়ুয়া চৈতালী দত্ত বলেন, এখন অফলাইনে পরীক্ষা নিলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। তাই তাঁরা চাইছেন ক্লাস যেহেতু অনলাইনে হয়েছে, সেই কারণে পরীক্ষাও হোক অনলাইনে। একই দাবীতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকেও ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।অন লাইন পরীক্ষার দাবীতে বিক্ষোভযদিও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা স্পষ্ট জানিয়েদেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছে। এখনো ওই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ৬৩ টি কলেজে ৩৫ হাজার পড়ুয়া আছে বলেও উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন।

মে ১৭, ২০২২
রাজ্য

দাগী দুস্কৃতির সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক ও তৃণমূল নেতার ছবি, সোচ্চার সিপিএম ও বিজেপি

গুলি ভর্তি পাইপগান সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়া এক দুস্কৃতি এখন গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে তৃণমূলের নেতাদের। ধৃত ওই দুস্কৃতির নাম সম্পদ জুই ওরফে বাবু। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সেহারাবাজারের পাওয়ার হাউস পাড়ায়। গত মঙ্গলবার ভোররাতে বর্ধমান-অরামবাগ রোডের ফকিরপুর ঢাল এলাকায় নাকা চেকিং চলার সময়ে সে পাইপগান ও কার্তুজ সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।বিজেপি ও সিপিএম নেতৃত্বের দাবি ধৃত সম্পদ জুই খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের অত্যন্ত ঘনিষ্ট একজন তৃণমূল কর্মী।যদিও বিরোধীদের এই দাবি মানতে চাননি খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক।রায়না থানার পুলিশ অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ধৃতের রাজনীতির রং বিচার না করে তাঁকে ওইদিনই বর্ধমান আদালতে পেশ করে।বিচারক ধৃতকে পাঁচ দিন পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে সে ওই বেআইনি আগ্নেআস্ত্র কোথা থেকে পেল এবং কি উদ্দেশ্যে সে ওই আগ্নেআস্ত্র নিয়ে স্কুটিচেপে রাতে বাইরে বেরিয়ে ছিল।ধৃতের পুলিশি হেপাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার ফের তাঁকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে। তবে সম্পদকে এখন শ্রীঘর বাসেই থাকতে হবে বলে পুলিশ কর্তাদের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে।বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বোমা, গুলি ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধারের জন্য রাজ্য জুড়ে পুলিশি তৎপরতা জারি রয়েছে। সেই মতো রায়না থানার পুলিশও তৎপরতা জারি রাখে। আর তাতেই পাইপগান ও কার্তুজ সহ সম্পদ জুই এর গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় এখন তোলপাড় চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।জেলা বিজেপির সহ- সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,সম্পদ জুই তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে যুক্ত।এমনকি সে নিজেকে খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের ঘনিষ্ট বলেই এলাকায় জাহির করতো ।এই সম্পদ জুই কেই রায়না থানার পুলিশ ২০১৮ সালে প্রচুর গাঁজা সহ গ্রেপ্তার করেছিল।মাদক সংক্রান্ত সেই মামলায় সম্পদ জুই দীর্ঘদিন জেলও খাটে।তার পর অপকর্ম চালানোর জন্য সে তৃণমূলে ভিড়ে গিয়ে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিল সেটাও সবাই জানে।। সেই সম্পদ জুই গত মঙ্গলবার রায়না থানার পুলিশের নাকা চেকিংয়ে গুলি ভর্তি পাইপগান ধরা পড়ে ।এই ঘটনা তুলে ধরে বিজেপি নেতা সৌম্যরাজ বাবু দাবি করেন , সম্পদ জুই শুধু যে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি করতো এমনটা নয়। সে খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবিনচন্দ্র বাগেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলেই সবাই জানেন। তৃণমূলের নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের সঙ্গেই দেখা যেত।সেই সব ছবি এখনও সামাজিক মাধ্যমে ঘোরা ঘুরি করছে।পাশাপাশি সৌম্যরাজবাবু এও দাবি করেন,সম্পদ জুই গ্রেপ্তার হওয়ার পর আরও একবার প্রমান হয়েগেল বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি আদৌ কোন কাজেই লাগেনি। তাই শাসক দলের লোকজন এখনও বেআইনি আগ্নেআস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মত স্পর্ধা দেখাচ্ছেন।অন্যদিকে খণ্ডঘোষ নিবাসী জেলা সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষ বলেন,পাইপগান সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়া সম্পদ জুই যে খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ছিল সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করা ছবি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।শুধু বিধায়কই নন,ছবিতে সম্পদ জুই এর গা ঘেঁষে খণ্ডঘোষের আর এক তৃণমূল নেতা সঞ্জীব হাজরা কেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বিনোদ বাবুর দাবি , এটা ব্যতিক্রমী কোন ঘটনা নয়। আসলে এই প্রথম রাজ্যে একটা সরকার চলছে যেটা সমাজ বিরোধী (Anti Social) দ্বারা পরিচালিত । সেই কারণেই শাসক দলের নেতা ও বিধায়কদের কাছাকাছি এখন দুস্কৃতি অথবা সমাজ বিরোধীরাই থাকছে ।এটাই বাংলার সব থেকে বড় লজ্জা বলে বিনোদ ঘোষ মন্তব্য করেন।বিরোধীরা এইসব অভিযোগ করলেও ছবি দেখার খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ বলেন,এটি সেহারাবাজারে হওয়া তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানের ছবি। তবে আমার পাশে যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি যে সম্পদ জুই তা তিনি জানেন না। সম্পদ জুই কে তিনি চেনেনও না। অনুষ্ঠান চলাকালীন ওই ব্যক্তি কখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল সেটাও আমার আজানা। ছবিটা কিভাবে ছড়িয়ে গেল সেটাই বুঝতে পারছেন না বলে বিধায়ক নবীনচন্দ্রবাগ জানিয়েছেন। অপর তৃণমূল নেতা সঞ্জীব হাজরাও একই ভাবে জানিয়েদেন, সম্পদ জুই কে তিনি চেনেনই না। ওই ব্যক্তি তৃণমূলেরও কেউ নন। রাস্তার ধারে রাতে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠান চলার সময়ে কখন ওই ব্যক্তি তাঁর ও বিধায়কের পাশে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন সেটাও অজানা বলে সঞ্জীব বাবু জানিয়েছেন।

মে ১৪, ২০২২
রাজ্য

টাওয়ার বসানোর নামে বড়সড় প্রতারণাচক্র পুলিশের জালে, বর্ধমানে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা

টাওয়ার বসানোর বড়সড় প্রতারণচক্রের পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান সাইবার থানা। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে অভিযোগকারীর হাতে তুলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।মাঝে-মধ্যেই মোবাইলের টাওয়ার বসানো নিয়ে কোনও কোনও না চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারপর সেই ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার হয় সাধারণ মানুষ। তখন আর হা-হুতাশ করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। এবার পরিত্রাতার ভূমিকায় পুলিশ। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তৎপরতায় সাইবার ক্রাইম থানার প্রচেষ্টায় উদ্ধার হয়েছে প্রতারণার পুরো ২০ লক্ষ ২৮ হাজার ৬২০ টাকা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান উল্লাসের বাসিন্দা ডঃ দেবব্রত ব্যানার্জীর কাছে তাঁর হাসপাতালের ছাদে রিলায়েন্স জিও ইনফোকম টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব আসে। একইসঙ্গে মোটা অংকের রিটার্নের প্রলোভন দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন চার্জ, ফিজ, ফিক্সড ডিপোজিট-এর নাম করে ২০ লক্ষের ওপর টাকা ওনার কাছ থেকে নেওয়া হয়। উনি পরে প্রতরণার শিকার হন বুঝতে পেরে গত গতবছর ৮ নভেম্বর এই বিষয়ে ডঃ দেবব্রত ব্যানার্জী পূর্ব বর্ধমান সাইবার থানায় কেস করেন। সাইবার থানা ঘটনার তদন্তে নেমে গতকাল এই কেসের আসামিকে গ্রেফতার করে। প্রতারিত হওয়া পুরো ২০ লক্ষ ২৮ হাজার ৬২০ টাকা উদ্ধার করে অভিযোগকারীকে ফিরিয়ে দেয়।

মে ১৩, ২০২২
রাজ্য

অজস্র ডিম সমেত একাধিক বিষধর সাপ উদ্ধার করে আগলে রেখেছেন বন কর্মীরা

বর্ষা নামতেই বনকর্মীদের তৎপরতায় একের পর এক জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে ডিম সমেত বিষধর সাপ। এখন বর্ধমানের রমনাবাগান অভয়ারণ্যে বনদফতরের কর্মীদের রক্ষণাবেক্ষনে ও পরিচর্যার মধ্যে ডিম আগলে রয়েছে বিষধর সাপ গুলি। ডিম ফুটে কবে সাপের বাচ্চা বের হয় তারই অপেক্ষায় এখন অপেক্ষমান বন কর্মীরা।বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক দিনের মধ্যে শহর বর্ধমান সহ জেলার অন্য কয়েকটি জায়গা থেকে ১০টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬টি গোখরো ও ৪ টি চন্দ্রবোড়া রয়েছে। বর্ধমান শহরের সরাইটিকর ভাসাপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি ডিম সমেত প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা একটি মা গোখরো সাপ উদ্ধার করা হয়। রমনা বাগান অভয়ারণ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। মা সাপটিকে ডিম থেকে সরিয়ে উদ্ধার করতে হিমসিম খেতে হয়। ডিম সমেত সাপটিকে রমনা বাগান অভয়ারণ্যে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। সেখানেই পরে আরো ১১টি ডিম পাড়ে ওই সাপটি। এরপর ফের গত মঙ্গলবার রায়না থানার বাঁকুড়া মোড় এলাকার একটি রাইস মিলের ভিতর থেকে ২৭টি ডিম সহ প্রায় চার ফুট লম্বা একটি মা গোখরো সাপ উদ্ধার করে বন কর্মীরা। এই সাপটি ও তাঁর ডিম গুলিও রমনা বাগান অভয়ারণ্যে নিয়ে এসে রাখা হয়েছে।রমনাবাগানে কর্মরত বন দফতরের এক আধিকারিক অনিয়েছেন, ডিম সমেত মা সাপ গুলিকে প্রথমে কয়েকদিন একসঙ্গে রাখা হয়। কারণ সেই সময়ে সাপ ক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকে। ফোঁসফোঁস আওয়াজ করে। ডিমগুলি ছেড়ে যেতে চায় না। ঝুঁকি নিয়ে তাদের সরানো হয়। আধিকারিকের কথায় আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে ডিম গুলি দুটি পৃথক বাক্সে রাখা হয়। ডিম ফোটানোর জন্য বিশেষ পদ্ধতি নেওয়া হয়। যাতে বাক্সের মধ্যে তাপমাত্রা ঠিক থাকে।সেই মত ব্যবস্থাও নেওয়া হয় যাতে ২৬ থেকে ২৮দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে আসে। বাচ্চা বেরিয়ে আসার পর প্রথম কিছুদিন তাদের পিঁপড়ে খাওয়ানো হবে। পরে মাংস দেওয়া হবে। একটু বড় হয়ে গেলে সেগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। জেলার বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, বর্ষা শুরুর প্রাক্কালে সাপের উপদ্রব বাড়তে শুরূ করায় মানুষজনকে সতর্ক ও সচেতন করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।

মে ১১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • ...
  • 40
  • 41
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal