• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman

রাজ্য

বর্ধমানে রেলের আন্ডারপাসে জল জমে দুর্ভোগ, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন

রেলের আণ্ডারপাশে জল জমে দুর্ভোগে এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা আণ্ডারপাশে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন।বর্ধমান কাটোয়া ন্যারোগেজ রেলপথ ব্রডগেজে রূপান্তরিত হওয়ার পর পালিতপুরে তৈরি হয় আণ্ডারপাশ।তারপর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। এমনি সারাবছর চলাচলের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষা শুরু হলেও দুর্ভোগ শুরু হয় এলাকার বাসিন্দাদের।আণ্ডারপাশে জল জমে যায়।ফলে বড় গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও বাইক,সাইকেল, টোটো বা ছোট গাড়ি পারাপারের ক্ষেত্রে চরম সমস্যা হয়।প্রতিবাদে শনিবার এলাকার বাসিন্দারা আণ্ডারপাশে জমায়েত হয়ে অবরোধ করেন।তাদের দাবী রেল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এখানে জল বের করার ব্যবস্থা করুক। আণ্ডারপাশ তৈরি হওয়ার সময়েই রেলকে সমস্যার কথা জানানো হয়। কিন্তু তাদের দাবী মানা হয় নি।রেল যদি কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজ্য

দামোদরের ঘূর্ণিতে তলিয়ে যাওয়া তরুণের দেহ উদ্ধার

অবশেষে শনিবার দুপুরে উদ্ধার হল দামোদরের ঘূর্ণিতে তলিয়ে যাওয়া তরুণের দেহ। প্রায় একদিন পরে তার দেহ মিলল। নিহত তরুণের নাম সৌরশুভ্র সাঁই। বাড়ি কালনাগেটের কাছে আমতলায়।এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই নিয়ে গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটল আপাত শান্ত দামোদরে তলিয়ে গিয়ে।জানা গেছে; গতকাল বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সাথে দামোদরের চরমানায় বেড়াতে দিয়েছিল সৌরশুভ্র। সেখানে খেলতে খেলতেই সে জলে তলিয়ে যায়। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা সে নদীর কোন দয়ে পড়ে আর উঠতে পারেনি।গতকাল থেকে নানাভাবে সন্ধান করেও দেহ মেলেনি। ডিজাস্টের ম্যানেজমেন্ট ; কুইক রেসপন্স টিম সহ স্থানীয় মানুষেরা উদ্ধারের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করে অবশেষে দেহ উদ্ধার করতে পারে।

আগস্ট ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে বর্ধমানে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার শুভারম্ভ

শিশু কিশোর আকাদেমি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য সংসস্কৃতি দপ্তরের যৌথ আয়োজনে দুই দিন ব্যাপী জেলাভিত্তিক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার শুভারম্ভ হল ২৭ আগস্ট। প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করলেন ভাইরাল গায়ক মিলন কুমার। দুদিনব্যাপী আবৃত্তি, রবীন্দ্রগীত, নজরুগীত,রাগপ্রধান গান এবং শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রতিযোগিতা চলবে। জেলা তথ্য ও সংসস্কৃতি দপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বর্ধমান-কাটোয়া ট্রেনে গান গেয়ে ভাইরান হন গায়ক মিলন কুমার, সেই মিলন কুমারকে সরকারি মঞ্চে প্রধান অতিথি করে নিয়ে এসে সম্বর্ধনা দেওয়া খুবই তাৎপর্যপুর্ণ। মিলন নিজেও সে কথা জানান। তিনি মানুষের প্রতিনিধি মানুষের জন্য গান গেয়ে যেতে চান বলে জানান ভাইরাল গায়ক মিলন কুমার।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজ্য

আউশগ্রামে অনুব্রত ঘনিষ্ট ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই একাংশের ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ

এবার অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি, বেআইনি বালির কারবার সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত নেতা রামকৃষ্ণ ঘোষ পূর্ব-বর্ধমানের আউশগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সদস্যও। জানা যায় কয়েকজনের সাক্ষর করা একটি অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রামকৃষ্ণ ঘোষ।আউশগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন ধনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ মণ্ডল। সুভাষ মণ্ডলকে ২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচনে ভাতার কেন্দ্রের প্রার্থী করে দল। তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লকে দলের সভাপতির পদে রামকৃষ্ণ ঘোষকে দায়িত্ব দেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই থেকেই রামকৃষ্ণ ঘোষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়দের একাংশ।জানা যায় আউশগ্রামের কোটা অঞ্চলের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ ঘোষ ডেকরেটর সামগ্রীর ব্যবসা করেন। রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ সাবির হোসেনের অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পরেই ঠিকাদারি, বেআইনি বালির কারবার, বেআইনি কয়লার কারবার থেকে প্রচুর টাকা রোজগার করে রামকৃষ্ণ ঘোষ। রাস্তাঘাটের টেণ্ডার ওর মাধ্যমেই পরিচালনা হয়। গ্রামে তিনতলা বাড়ি ছাড়াও ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দুটি বাড়ি তৈরি করেছে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে। আমরা আগেও রামকৃষ্ণ ঘোষের বেআইনি কারবার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। অভিযোগ চেপে যাওয়া হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।গ্রামবাসী উত্তম আঁকুড়ে বলেন,রামকৃষ্ণ ঘোষ আগে প্যাণ্ডেলের ব্যবসা করতেন। ব্লক সভাপতি হয়ে যাওয়ার পর অনেক জমিজায়গা,বাড়ি কিনেছেন। দুমাস আগেও একটা বাড়ি কিনেছেন। পার্টির নেতা তো, বালি,কয়লা,অনেক রকম কারবার আছে। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রামকৃষ্ণ ঘোষ। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,ওসব বিরোধীদের চক্রান্ত। আমার জমিজায়গা যা আছে সেগুলো আমার পৈতৃক সম্পত্তি। আমি প্যান্ডেলের ব্যবসা করি। আমার স্ত্রী কলেজে চাকরি করেন। সেই চাকরি ২০০৮ সালে পাওয়া। আমার দাদা সায়েন্টিস্ট।আমার ভাই ইঞ্জিনিয়ার। ভাইয়ের নিজস্ব কারখানা আছে। আমাদের জমিজায়গা, পুকুর যা আছে তা বাপঠাকুরদার কাছ থেকে পাওয়া।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজ্য

প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে কুড়ি বছরের জেল ও নগদ জরিমানার আদেশ কালনা কোর্টের

প্রতিবেশী দশ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের বিরুদ্ধে কুড়ি বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও ছয় মাস জেলের সাজা ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত সুব্রত হালদারের বাড়ি কালনা থানার সাতগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষপল্লী গ্রামে।গত ২০২০-র ১৪ ই অক্টোবর সন্ধ্যাবেলায় প্রতিবেশী ওই নাবালিকা মুদিখানা দোকানে গিয়েছিল। ফেরার পথে আসামি সুব্রত হালদারের সঙ্গে ওই নাবালিকার দেখা হয়। সুব্রত একটা মোবাইল দেখিয়ে নাবালিকাকে বলে চার্জ ফুরিয়ে গেছে, তুই এটা বাড়িতে দিয়ে আয়। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি তার বাড়িতে মোবাইল পৌঁছে দিতে গেলে সুব্রতও চুপিসারে পিছন পিছন বাড়ি ফিরে আসে। নিজের বাড়ির ভিতরে পেঁপে গাছ তলায় তাকে ধর্ষণ করে।বাড়ি ফিরে নাবালিকা বাড়িতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার মাকে সব খুলে বললে পরিবার তরফে কালনা থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়। কালনা থানার পুলিশ সুব্রত হালদারকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এ বি এবং পস্ক আইনের ৪ উপ-ধারায় মামলা রজু করে। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন পুলিশ অফিসার সোমনাথ নস্কর। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার সহ ১৬ জনের সাক্ষ্যদানের পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার শুক্রবার তাকে কুড়ি বছর জেল এবং দশ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। অনাদায় আরও অতিরিক্ত ছয় মাসের জেলের সাজা দেন। সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা বলেন, এই মামলার রায়ে সমাজে একটা বার্তা পৌঁছালো যে, নাবালিকার উপর অত্যাচার করলে তার পরিণতি এটাই হবে। তবে নির্যাতিতা ওই মহিলা কেস চলাকালীন আত্মহত্যা করেন এই ঘটনার চাপ সহ্য করতে না পেরে। যদিও তার আগেই এই কেসের তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। নির্যাতিতা নাবালিকার মা এদিন শুক্রবার কালনা আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন আমার মেয়ে বেঁচে থাকলে আমি আজ আরও খুশি হতাম।

আগস্ট ২৬, ২০২২
রাজ্য

গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে ভষ্মিভুত বাড়ি, অভিযোগ, দমকল দেরিতে আসায় পুড়ে ছাই লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি

গভীররাতে পূর্ববর্ধমানের মেমারির উদয়পল্লীর পশ্চিমপাড়ার একটি বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির আসবাব সহ সমস্ত সামগ্রী। আগুন লাগার পর স্থানীয় মানুষজন খবর দেন মেমারির দমকল বিভাগকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও মেমারি থানার পুলিশ যায়।স্থানীয়দের অভিযোগ দমকল ডাকার অনেক পরে তাঁরা পৌঁছায়, ততক্ষণে স্থানীয়রাই উদ্যোগ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। ভষ্মীভুত বাড়িটির মালিক বলাই গোলদার জনতার কথাকে জানান, তিনি বাড়িতে ছিলেন না, মেলায় গিয়েছিলেন, আগুন লাগার সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান ছিল, তিনি জানান, তাঁরা কী আহত হননি, স্থানীয়দের সাহায্যে তাঁর পরিবার নিরাপদেই আছে।বলাই গোলদার জানান, তিনি বিভিন্ন মেলায় ব্যবসা করে সংসার চালান। আগুন লাগার আগের দিন মহাজনকে দেওয়ার জন্য বাড়িতে ৫০ হাজার টাকা নগদ রেখেছিলেন। সেই টাকাও উদ্ধার হবেনা জেনে তিনি ভেঙ্গে পরেছেন। স্থানীয় অভিজিৎ মণ্ডল (প্রতিবেশী) জানান তারাই প্রথম আগুনটা দেখেন, তিনি জানান তাঁরা আগুন দেখে দমকলকে ৭টা ১৫ তে ফোন করেন, কিন্তু এক কিলোমিটার দূর থেকে দ্মক্ল বাহিনী আসতে ৮টা ৩০ মিনিট হয়ে যায়। ততক্ষণে স্থানীয় মানুষজনই আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছেন। দমকল সুত্রে জানা যায়, তাঁরা মেমারি লেভেল ক্রশিং (রেল গেট) এ ৩০ মিনিট আটকে ছিলেন।মেমারি এলাকায় মাত্র রাজ্য সরকারের অগ্নি নির্বাপণ দপ্তরের একটা মাত্র আগুন নেভানো গাড়ি আছে, সেটাও রেলগেটের দক্ষিন পাড়ে থাকে, কিন্তু মেমারি শহরের সবচেয়ে ঘন বসতি রেলগেটের উত্তর পাড়ে। স্থানীয় মানুষজনের দাবী, দমকল বিভাগ যেন আরও একটা গাড়ি উত্তর পাড়ে রাখেন যাতে রেল গেট পড়ে দেরি হওয়ার কারনে এই রকম ঘটনা না ঘটে।

আগস্ট ২৬, ২০২২
রাজ্য

জামাইয়ের সাথে চিকিৎসা করাতে এসে দুর্ঘটনায় প্রান হারালেন শাশুড়ি ও স্ত্রী

চিকিৎসা করিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধা শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে চেপে বাড়িতে ফিরছিলেন মেয়ে ও জামাই। কিন্তু বাড়ি আর তাঁদের ফেরা হল না। পথে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন শাশুড়ি ও স্ত্রী। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন জামাই। বৃহস্পতিবার বিকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার বোকড়া এলাকায় শ্যামসুন্দর-জামালপুর সড়কে। পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে আয়েসা বেগম(৭৫) ও রূপেয়া মল্লিকের(৩৪)। বাইক আরোহী জাকির মল্লিক(৪৫) গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আয়সা বেগমের বাড়ি রায়না থানার বহরমপুর গ্রামে। তাঁর মেয়ে রূপেয়া আর জামাই জাকির। কয়েকদিন আগেই মেয়ে-জামাইয়ের বাড়ি জমালপুর থানার গ্রাম নসিপুরে যান অসুস্থ আয়েসা বেগম। শারীরিক পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে জাকির ও তাঁর স্ত্রী রূপেয়া গিয়েছিলেন রায়নায়। সেখানে ইউএসজি পরীক্ষা করিয়ে বাইকে চেপে আয়েসা বেগম,রূপেয়া ও জাকির জামালপুরের গ্রাম নসিপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে বোকড়ার ঢাল এলাকায় একটি চারচাকা গাড়িকে পাস কাটিয়ে যাবার সময়ে বিপরীত দিক থেকে আসা বেসরকারী যাত্রীবাহী বাসের সাথে ধাক্কা লেগে বাসের চাকার নিচে পড়ে যান বৃদ্ধা আয়েশা ও তাঁর মেয়ে রূপেয়া। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুর্ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন জাকির মল্লিক। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । স্থানীয়দের সহায়তায় স্থানীয় পুলিশ জখম জাকির মল্লিককে রায়না হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় জাকিরকে দ্রুত রায়না হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আগস্ট ২৫, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে বর্ধমান শহরে প্রচার শুরু

পুপুর্ব নির্ধারিত ৭ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান, সেই অভিযান লক্ষ করে জোর কদমে দেওয়াল লেখন শুরু বর্ধমান শহরে, বর্ধমানের ৯ নং ওয়ার্ড কালিবাজার এলাকায় চলে দেওয়াল লেখন, দেয়াল লিখতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা সহ বিজেপির কর্মী সমর্থকরা, অভিজিৎ তা জানান, গোটা জেলা জুড়ে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ এবং ১৩ই সেপ্টেম্বর জেলা থেকে পচুর কর্মী সমর্থক নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে সামিল হবেন। তিনি জানান, শুধুমাত্র বিজেপি কর্মী সমর্থক নয়, প্রচুর সাধারণ মানুষও ওই অভিযানে আমাদের ডাকে সারা দিয়ে উপস্থিত থাকবেন।প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপি এর আগে ঠিক করেছিল ৭ সেপ্টেম্বর হবে নবান্ন অভিযান। কিন্তু ঘোষণার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে স্থানীয় নেতৃত্বরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানান ওই দিন করম পরব। তাই তড়িঘড়ি দিন পরিবর্তন করে নতুন দিন স্থির করে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

আগস্ট ২৫, ২০২২
রাজ্য

ফের পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল নেতাকে সিবিআইয়ের তলব

ফের তৃণমূল নেতাকে সিবিআইয়ের তলব। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ভাল্কি পঞ্চায়েত এলাকার শাসক দলের জিতেন বাগদীকে তলব করলো সিবিআই।তবে তাকে দুর্গাপুর বা কলকাতার নিজাম প্যালেসে যেতে হবে না। ২ সেপ্টেম্বর জিতেন বাগদীর বাড়িতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এই মর্মে নোটিশ পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। গতকাল অর্থাৎ ২৪ আগষ্ট জীতেন বাগদীর বাড়ি ঘুরে গেছে সিবিআইয়ের টিম। তার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় সিবিআই জিজ্ঞসাবাদ করবে ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টের সময়।তাকে বাড়িতে থাকাতে বলা হয়েছে।এখানে উল্লেখ্য গত ৬ আগষ্ট অরূপ মিদ্যাকে সরিয়ে তার জায়গায় জীতেন বাগদীকে ভাক্লি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। তবে তিনি নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি। তিনি টেলিফোনে বলেন, কোনও নোটিস পায়নি।প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আউশগ্রামের শাসক দলের একাধিক নেতাকে তলবা করা হয় দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে। সেখানে জেরা করা হয়েছে। যদিও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন,এরকম খবর শুনলাম। এই কদিন আগে তাকে অঞ্চল সভাপতি করেছে দল।তবে সবই তো বোঝা যাচ্ছে কি হচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা।বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, আমরা তো বারে বারে আবেদন করেছি দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের সিবিআই গ্রেপ্তার করে তদন্ত করুক। আগামীদিনে বাংলার দুর্নীতিবাজ নেতারা কেউ রেয়াত পাবে না। জীতেন বাগদীর বাড়ি আউশগ্রাম থানার প্রেমগঞ্জ গ্রামে গেলে তার দেখা মেলে নি। তার স্ত্রী চিন্তা বাগদী বলেন, বাড়িতে নাই। বাইরে গেছে। তিনিও জানান,তাদের বাড়িতে কোন চিঠি আসে নাই।

আগস্ট ২৫, ২০২২
রাজ্য

আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি প্রসঙ্গে বাপ্পা চ্যাটার্জিকে জেরা পুলিসের

আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি প্রসঙ্গে অভিযুক্ত বাপ্পা চ্যাটার্জি গতকালই তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। আজ আসানসোল পুলিশ থেকে সেই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানিয়েছেন বাপ্পা। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল পুলিশের একটি দল তার কাছে আসে এবং হুমকি চিঠি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বেশ কয়েকজনের টিম থাকলেও দুজন পুলিশকর্মী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানিয়েছেন বাপ্পা।এই বিষয়টি নিয়ে বাপ্পা চ্যাটার্জির পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। বাপ্পার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে, এই বিষয়ে সংগঠনের পক্ষে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষী শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে।

আগস্ট ২৪, ২০২২
রাজ্য

আসানসোলে সিবিআই আদালতে যাওয়ার পথে অনুব্রতের গাড়ি থামলো শক্তিগড়ে

আসানসোলে সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে অনুব্রতের গাড়ি থামলো শক্তিগড়ে। গরুপাচারের ঘটনায় ধৃত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল চার দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর বুধবার তাকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কলকাতা থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া সিবিআইয়ের গাড়ি থামে জাতীয় সড়কের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকান পরিয়ে। বর্ধমানের উল্লাসমোড় ঢোকার বেশ খানিকটা আগে( ১ কিলোমিটার) রাস্তার ধারে একটি ধাবার সামনে গাড়ি থামে। অনুব্রত মণ্ডল সিআরপিএফের একেবারে ঘেরাটোপে ঢোকেন ধাবার ভিতরে। তখন জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কয়েকটি গাড়ি সহ গোটা এলাকাটি সিআরপিএফ জওয়ান ঘিরে রাখে। তিনি সটান ঢুকে যান ধাবার কেবিনে। তবে তিনি ল্যাংচা বা কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার খান নি।দুটি ডালপুরি ও লিকার চা খেয়ে প্রাতঃরাশ সারেন।তিনি ওখানে আধঘন্টা ছিলেন। ধাবার কর্মীরা তাকে সেরামিকের কাপ ডিসে লিকার চা দেয়। অনুব্রত বরাবরই দুধ চা বা কফি এড়িয়ে চলেন চিকিৎসকদের নির্দেশে। বরং দলীয় অনুষ্ঠান, বাড়িতে বা পার্টি অফিসে সব সময়েই লিকার চা খান।তবে বিকালে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে থাকলে লিকার চায়ের সঙ্গে গরম সিঙারা খেতে পছন্দ করতেন।সিএসএফ জওয়ান কেবিনের ভিতরে কার্যত মাছি গলতে দেয় নি এদিন ধাবায়।অনুব্রতের গাড়ি থামার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বহু মানুষ ধাবার সামনে উপস্থিত হন।পথচলতি মানুষজন ও গাড়িও থেমে যায় থাবার সামনে।তারপর সিবিআইয়ের গাড়ি চলে যায় আসানসোলের উদ্দেশ্যে।

আগস্ট ২৪, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান আদালত চত্তরে সিমেন্টের বিশাল চাঙর খসে পড়ল বিচারকের গাড়িতে, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা বিচারক ও চালকের

বিচারকের গাড়িতে চাঙর খসে পড়লো। অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন বর্ধমান জেলা আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার বিকেলে আদালত ভবনের চারতলার সিলিং থেকে খসে পড়ে বড় মাপের সিমেন্টের চাঙর। তাতে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় বিচারকের গাড়ির কাঁচ। বিচারক তখন গাড়িতেই ছিলেন। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি। ঘটনায় আদালত চত্বরে শোরগোল পড়ে যায়। আদালত ভবনের বেহাল দশা ও তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবী থেকে শুরু করে বিচারপ্রার্থীরা। অবিলম্বে আদালত ভবনের সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা। মুহূর্তে খবর যায় জেলা প্রধান বিচারকের কাছে। খবর দেওয়া হয় পূর্ত দপ্তরকে। পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস মিলেছে বলে দাবি আদালত কর্তৃপক্ষের। ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সিলিংয়েও ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।মঙ্গলবার বিকেলে নিউ বিল্ডিংয়ে প্রবেশ পথের নীচে পার্কিং প্লেসে প্রথম সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশনের গাড়ি রাখা ছিল। তিনি গাড়িতেই ছিলেন। চালক গাড়িতে স্টার্ট দিচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা চার তলার সিলিং থেকে একটি বড় চাঙর খসে গাড়ির কাচে পড়ে। পিছনের সিটে বসেছিলেন বিচারক পুকার প্রধান। চাঙর পড়ে পিছনের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। আচমকা এ ধরণের ঘটনায় বিহ্বল হয়ে পড়েন বিচারক। আশপাশের লোকজন সেখানে দৌড়ে যান। বিচারককে গাড়ি থেকে নামানো হয়। মুহূর্তে খবর চলে যায় জেলা জজের কাছে। এরপরই তৎপরতা শুরু হয়। আদালত ভবনের অবিলম্বে সংস্কার প্রয়োজন। তা না হলে যে কোনও দিন কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আগস্ট ২৪, ২০২২
রাজ্য

স্ত্রীকে নোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল কালনা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক

সিঙেরকোনের আনোকা গ্রামে নিজের স্ত্রীকে নোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করায় তাঁর স্বামীকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল কালনা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুধীর কুমার। মঙ্গলবার ২০১৭র আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ নিজের স্ত্রীকে নিজের বাড়িতেই নোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী নীলু বাগের বিরুদ্ধে।জানা যায় বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর পণের জন্য নানান রকম ভাবে অত্যাচার চালাতো তার স্বামী নিলু বাগ। তার স্ত্রী যেদিন খুন হন, তার আগের দিন নিলু তাঁর স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিল পয়সা নিয়ে আসার জন্য। সেখান থেকে সে পয়সা না নিয়ে আসায় রাতের বেলায় তাঁকে খুন করে। এর পরই কালনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সংশোধনাগারে রেখেই তার এতদিন ধরেই বিচার চলছিল। কালনা থানার তৎকালীন তদন্তকারী অফিসার শরিফুল ইসলাম সহ মোট পনেরো জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর এদিন মঙ্গলবার তাকে সাজা শোনায় কালনা আদালতের বিচারক।

আগস্ট ২৩, ২০২২
রাজ্য

বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানে

মাঠে পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরে। মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎতারে জখম হয় ছেলে রাহুলও। রাহুলকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মৃতার নাম আশা দাস(৫০)। মাঠ থেকে শাক-সবজি তুলে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো সোমবারও তিনি মাঠে গিয়েছিলেন শাক-সবজি তুলতে। মা বাড়ি না ফেরায় ছেলে রাহুল খোঁজাখুজি শুরু করে। রাহুল মাঠে গিয়ে দেখেন মা বিদ্যুতের তার জড়িয়ে পড়ে আছে।সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের রামনগরে। স্থানীয়দের অভিযোগ মাঠের মধ্যে একটি বিদ্যুতের তার কাটা অবস্থায় পড়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। বার বার বিদ্যুৎদপ্তরের অফিসে জানিয়েও কোন ফল হয় নি। তাতেই জড়িয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।এদিকে আশা দাসের মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উত্তেজিত জনতা কালনা-বর্ধমান রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ঘটনাস্থলে যায় শক্তিগড় থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। ভ্যান রিকশায় মৃতদেহ রেখে রাতভর বিক্ষোভ চলে। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর শেষে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়

আগস্ট ২৩, ২০২২
রাজনীতি

'অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী'- মীনাক্ষী

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধা দিলে তীব্র প্রতিবাদ হবে। ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা নিয়ে যাবে বলে শাষকদলকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি। সোমবার বর্ধমানে একটি মিছিল হয় ডিওয়াইএফআইয়ের। বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কার্জনগেট চত্বরে শেষ হয়ে জমায়েত হয়। সেখানে সভায় উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন, এখন আর কোনও পোস্টারে সততার প্রতিক লেখা নেই। কারণ তৃণমূল নেতারা একে একে জেলে যাচ্ছে দুর্নীতির দায়ে। ইডি ও সিবিআই আধিকারিকরা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করছেন। তাদের একাউন্টেও বহু টাকার হদিস পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।তিনি বলেন, এখন রাজ্যে চাকরি পেতে মেধা লাগেনা, যোগ্যতা লাগেনা, অর্পিতা লাগে- পার্থ লাগে। অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইদ্যুতে এইভাবেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি।সোমবার বিকালে স্বাধীনতা বাঁচাও, কাজের অধিকার দাও এই দাবীতে বর্ধমান ষ্টেশন থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। কার্জনগেট পর্যন্ত এই মিছিলের সামনে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। স্বপ্ন দেখলাম আর রাজারাণীর মুর্তি এনে কার্জনগেটে বসিয়ে দিলাম, এইভাবে স্বাধীনতা আসেনি। সেই স্বাধীনতা, দেশের গণতন্ত্র, সংবিধানের অধিকার আজ নষ্ট হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপির ভূমিকা নেই। হিন্দু মুসলমান, শিখ, খ্রিষ্টানরা লড়াই করে স্বাধীনতা এনেছে।মীনাক্ষী বলেন, আমরা অনুব্রত নিয়ে কিছু বলবো না। কারণ, গরু চোর নিয়ে আমরা কেন কিছু বলবো? শুধু এটা বলবো, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অনুব্রতরা তাঁর মেয়ের ভবিষ্যৎ, চিন্তা ভাবনাকে নষ্ট করেছে। তাঁকে বোঝানো হয়েছে চাকরি পেতে গেলে দিদি ও টাকা লাগে-পার্থ-ও লাগে আর তাঁর বান্ধবী অর্পিতা লাগে। এরাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে যে স্কুলে চাকরি করত, সেই স্কুলের পরিচালনা সমিতি, প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষা, রেল, ডাক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু মেধা বঞ্চিত হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার মিথ্যে মামলা দিয়ে বামপন্থীদের গ্রেফতার করে রেখেছে। কিন্তু ২১৮ দিন হয়ে গেলেও আনিশ খানের খুনিরা সাজা পায়না। তাই আমরা ২১৮টা সভা করব। চোরদের জেলে ভরার সভা। চোরদের বিরুদ্ধে এক কোটি সই সংগ্রহ করা হবে। কর্মসূচীতে কোনও বাধা মানা হবে না। পাশাপাশি শাসকদলের হয়ে কাজ করা পুলিশদেরও সতর্ক করেন তিনি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দূরশিক্ষা তুলে দেওয়া। কাজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানান মীনাক্ষী।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

গুসকরায় বালি বোঝাই লরির চাকায় পিষ্ট হলেন এক বধূ

বাইকের পিছনে চেপে যাওয়ার সময় বালিবোঝাই লরির চাকায় পিষ্ট হলেন এক বধূ। সোমবার দুপুরে পূর্ব-বর্ধমানের গুসকরা শহরের স্কুলমোড়ে বর্ধমান সিউড়ি ২ বি জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জেলার আউশগ্রামের শিবদা গ্রামে বাপেরবাড়ি সেলিমা বেগম নামে ওই বধূর। শ্বশুরবাড়ি বীরভূমের ইলামবাজার। রবিবার স্বামী মহম্মদ ওয়াইদুর রহমানের সঙ্গে বাপেরবাড়ি গিয়েছিলেন।এদিন ওয়াইদুর রহমান তার মেয়ে ও স্ত্রীকে বাইকে চাপিয়ে গুসকরা শহরে বাজার করতে যান। শিবদা ফেরার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি বালিবোঝাই লরি বর্ধমান মুখে যাওয়ার সময় বাইকটিকে ওভারটেক করতে যায়। তখন লরিটির সামনের দিক বাইকে লেগে বাইক উল্টে যায়।ওয়াইদুর ও তার মেয়ে বাঁদিকে পড়ে যান। ডানদিকে পড়েন সেলিমা। তখনই লরির চাকায় তার কোমর থেকে নীচের অংশ পিষ্ট হয়ে যায়। তড়িঘড়ি গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বধমানে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

রায়নায় ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় প্রতিবেশী স্বামী স্ত্রী গ্রেপ্তার

ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করলো পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার পুলিশ। গভীর রাতে বাড়িতে ডেকে প্রতিবেশী যুবককে খুন করার অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়না থানার বিদ্যানিধি গ্রামে। ১৭ই আগস্ট অচৈতন্য অবস্থায় বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় সুরজ মল্লিককে। প্রথমে রায়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরজের মৃত্যু হয়।রায়নার বিদ্যানিধি গ্রামের মৃত সুরজ মল্লিক(২০) শ্যামসুন্দর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলো। সুরজের সঙ্গে প্রতিবেশী এক নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অভিযোগ মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না মেয়ের বাবা মোস্তাক।অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে সুরজকে ডেকে পাঠায় মোস্তাক। তারপর সকালে বাড়ির কাছে সুরজকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাকে রায়না ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে সুরজ মারা যায়।অভিযোগ বাড়িতে ডাকার পর সুরজকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবী,প্রণয় ঘটিত কারণেই ওই যুবককে বাড়িতে ডেকে খুন করা হয়েছে।এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে প্রেমিকার বাবা মোস্তাক ও মা তুহিনাকে গ্রেপ্তার করেছে রায়না থানার পুলিশ। প্রণয় ঘটিত কারণ নাকি এর পিছনে আছে অন্য কারণ।ঠিক কি কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে

পরিকল্পনা করে এক মেধাবী কলেজ পড়ুয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশী এক পরিবারের বিরুদ্ধে। মৃত ছাত্রের নাম সুরজ মল্লিক (২০)। এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে রবিবার দুপুর থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার বোকড়ার বিদ্যানিধি গ্রামে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে পৌঁছে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ছাত্রের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার মেনে নিতে না পেরে প্রতিবাদে স্বোচ্চার হয় গোটা গ্রামের মানুষজন। তাঁরা অভিযুক্ত পরিবারের সদস্য ও গ্রামের ভিলেজ পুলিশ তন্ময় সামন্তর শাস্তির দাবিতে সরব হন। বিক্ষুব্ধ গ্রাম বাসীরা রবিবার বিকালে শ্যামসুন্দর-জামালপুর সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখায়। পরে অবরোধ তুলে নিলেও গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন এদিন রাতের মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করলে সোমবার তাঁরা আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। উত্তেজনা থাকায় গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মৃত ছাত্রের বাবা নজরুল মল্লিক জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে সুরজ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। সে রায়নার শ্যামসুন্দর কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়তো। সুরজ উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছিল বলে ঈর্ষান্বিত ছিল গ্রামের কিশোরী সোহানা মির্জা, তাঁর বাবা মোস্তাক মির্জা ও তাঁর স্ত্রী। তাই তারা সুরজকে প্রাণে মেরে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বলে তাঁদের অভিযোগ। নজরুল মল্লিক বলেন, পরিকল্পনা মাফিক ইলেকট্রিক লাইন ঠিক করার অজুহাতে তারা গত ১৬ আগষ্ট রাতে ফোন করে সুরজকে তাদের বাড়িতে ডাকে। তার পর সুরজকে ঘরে আটকে রেখে হাত পা বেঁধে নির্মম ভাবে মারধর করে। জখম অবস্থায় সুরজ জল চাইলে অভিযুক্তরা সুরজের মুখে ফিনাইল (হারপিক) ঢেলে দেয়। সুরজ অচৈতন্য হয়ে পড়লো অভিযুক্তরা সুরজকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। মৃত ছাত্রের বোন সুমনা খাতুন ও তাঁদের প্রতিবেশী সেখ আব্বাস উদ্দিন বলেন, সুরজ কে এমন নির্মভাবে মারধর করে জখম করা কথা জানার পরেই তাঁরা স্থানীয় রায়না থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। থানার ডিউটিতে থাকা পুলিশ অফিসার ওইদিন উল্টে তাঁদের বলেন, সুরজকে কে মেরেছে তার কোনও প্রমাণ আছে? কোনও সাক্ষী আছে? কেউ দেখেছে কি? কোনও কেস না নিয়ে টেবিলে বসে থাকা পুলিশ অফিসার ওইদিন তাঁদের ফিরিয়ে দেন। অথচ সুরজ মারা গেছে জানতে পারার পরেই অভিযুক্ত মোস্তাক মির্জা তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে দেয়।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

'১১০ কেজি ওজন নিয়ে দিনে দু'বার ভাত খেলে শরীর খারাপ হবে নাতো কি হবে?' পার্থ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি

শনিবার বিজেপির রাজ্য কিষাণ মোর্চার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর শহরের টাউনহল থেকে নীলপুর পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন সুকান্ত মজুমদার। পদযাত্রা শেষে নীলপুর মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মোদীজি ক্ষমতায় আসার পর গরু পাচার বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু কেষ্টর গরু পাচারের জন্য এই রাজ্যে সীমানায় বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে দেয়নি।পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ১১০ কেজি ওজন নিয়ে দিনে দুবার ভাত খেলে শরীর খারাপ হবে নাতো কি হবে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এসএসকেএম এ ভর্তি প্রসঙ্গে এই মন্তব্য। তিনি জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এখনও অনেক কিছু বলা বাকি আছে। উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন আর বাকিদের নাম বলুন।তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর একবছর আমাদের কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, একটা মার দিতে এলে দশটা ফেরত দিন। হামলা করলে উপযুক্ত ওষুধ দিয়ে পাঠান, দল আপনার পাশে আছে। আটজন আইপিএস কে দিল্লিতে পাঠানো প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, দিল্লিতে কতজন যায় আমরা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। সেখান থেকে কয়েকজন ফিরে না এলেও অবাক হবেন না।সুকান্ত মজুমদার বলেন আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি চুরির প্রমাণ থাকে তাকেও জেলে যেতে হবে। নেতাদের আর্থিক বৃদ্ধি মামলা প্রসঙ্গে সুকান্তর হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী বাপের বেটি হলে আমার সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত করান। পুলিশের উচিত তৃণমূল নেতাদের ঘার ধরে জেলে ঢোকানো। পুলিশ পারছে না তাই ইডি, সিবিআই এই কাজ করছে। ইডি, সিবিআই কম পরে যাচ্ছে তাই এবার বিজেপিকে পথে নামতে হবে। প্রকাশ্য সভামঞ্চ থকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, যারা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পাননি, প্রতারিত হয়েছেন তাদের বিজেপি পার্টি অফিসে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাদের হয়ে লড়বো।

আগস্ট ২০, ২০২২
রাজ্য

বঙ্গীয় হকার সংগঠন রেল পুলিসের অত্যা চার নিয়ে আন্দোলনের হুমকি

শক্তিগড় রেলস্টেশনে জোরদার আন্দোলনে রেল হকাররা। তাদের দাবি আরপিএফ স্বেচ্ছাচারিতা করছে। দমন পীড়ন চালিয়ে টাকা আদায় করছে। এর বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।বঙ্গীয় হকার সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হোসেন মল্লিক জানান, এক মাস আগে রসুলপুর থেকে এক হকারকে তুলে আনা হয়। তার কাছে নিয়মিতভাবে আরপিএফকে টাকা দেবার দাবি করা হয়। অস্বীকার করলে ডাকাতি ও মহিলা কামরায় ওঠা সহ নানা কেস দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তারা ডেপুটেশন দিতে এলে একটা মীমাংসা হয় জিআরপির উপস্থিতিতে। কিন্তু তারপরও নাদিমবাবুর নামে একটি শমন জারি করা হয়। রেল পুলিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই বিক্ষোভ বলে তাঁরা জানান।তারা দাবী, রাষ্ট্র আমাদের স্থায়ী কাজ দিতে পারেনি। চুরি, আসৎ উপায় অবলম্বন না করে ট্রেনে ট্রেনে ফেরি করি। এই কাজে বাধা দিতে গেলে জোর লড়াই হবে বলে তাঁরা হুঙ্কার ছাড়েন।

আগস্ট ২০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • ...
  • 40
  • 41
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal