• ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, শনিবার ২২ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bar

রাজ্য

কৈলাস-দিলীপের নামে এফআইআর শিলিগুড়ি পুলিশের

বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি-ফুলবাড়ি এলাকা। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তির সময়ই ভাঙচুর হয় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ি। অন্যদিকে উত্তরকন্যা অভিযান চলাকালীন তাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের আঙুল পুলিশের দিকে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় ছড়রা গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। উত্তরকন্যা অভিযানে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগে আসরে নামে বিজেপি। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধে গতকালও ধুন্ধুমার বাঁধে শিলিগুড়িতে। আরও পড়ুন ঃ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ঠান্ডা পড়বে রাজ্যে এই পরিস্থিতিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষের নামে এফআইআর শিলিগুড়ি পুলিশের। দুই বিজেপি নেতা সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে উত্তরকন্যা অভিযানে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ২টি অভিযোগ হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। শিলিগুড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হিংসা ছড়ানো, অশান্তি সৃষ্টি, ট্রাফিক গার্ড ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে নিগ্রহ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজনীতি

জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবেঃ কৈলাস বিজয়বর্গীয়

ধর্মের কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে যাঁরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করবে মোদী সরকার। জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, শনিবার বারাসতে আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি আরও বলেন, মোদি সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা তারা অবশ্যই পালন করবে। রাজ্য সরকার বিরোধিতা করলেও নাগরিকত্ব দেওয়া থেকে আটকে রাখতে পারবে না। জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার শুধু ৩০ শতাংশ মানুষকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। বাকি ৭০ শতাংশ মানুষের দিকে তাকাচ্ছেই না। আরও পড়ুন ঃ পূর্ব মেদিনীপুরের দুই ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দিল তৃ্ণমূল নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই কৃষকদের উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চলছে। সিন্ডিকেট রাজ চলছে এখানে। কৃষকদের উপর শোষণ চলছে। বাংলার কৃষকরা সবচেয়ে বেশি শোষিত। এই তৃণমূল সরকারের উপর রাজ্যবাসী নারাজ। বাংলার মানুষের সমর্থনে আছে বিজেপি। তাঁর কথায়, এই সরকারের উপর মন্ত্রীরাও নারাজ। বর্ষীয়ান নেতারা অসন্তুষ্ট। শুভেন্দু-ই তার উদাহরণ। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, সংখ্যালঘুরাও বাংলায় তৃণমূল সরকারের উপর নারাজ। কারণ কেউ দুর্নীতি, ভ্রষ্টাচারকে সমর্থন করে না। এছাড়াও তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করেন। হাতে হাতে লিফলেট দিয়ে সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

আসানসোলের বারাবনিতে তৃণমূল- বিজেপি সংঘর্ষ , আহত ২

বিজেপির আর নয় অন্যায়কর্মসূচিতে গুলি ও বোমাবাজির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোলের বারাবনি। এই ঘটনায় দুজন পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন। আহত বিজেপি কর্মীদের নাম স্বপন বাউড়ি ও সাধন রাউত। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মিছিল বের করেছিল বিজেপি। বারাবনির জামগ্রাম থেকে কাপিস্টা পর্যন্ত বিজেপির মিছিল যাওয়ার কথা ছিল। তার জন্য সকাল থেকে কর্মী, সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন জামাগ্রামে। কিন্তু মিছিল শুরুর আগেই তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃ্তীরা। বোমাবাজিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। মোটরবাইকও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আরও পড়ুনঃ বর্ধমান শহরে দাদার অনুগামী পোস্টার, চাঞ্চল্য অন্যদিকে, বারাবনি তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জামগ্রাম এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে শিবির করেছিলেন দলীয় কর্মীরা। ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত সিংয়ের দাবি, তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। তারাই ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের জড়ো করে বোমা-গুলি চালিয়েছে। আর যেসব গাড়ি পুড়েছে, তা তৃণমূল সমর্থকদেরই। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিজেপির মিছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস বেশ কিছু তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে মোটরবাইকে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ, সেই আগুন নিভিয়েছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
কলকাতা

নিয়োগপত্র সত্ত্বেও কাজে যোগ দিতে বাধা, আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিক্ষোভ

আলিপুর চিড়িয়াখানার বন সহায়ক পদে কাজে যোগ দেওয়ার নিয়োগপত্র হাতে রয়েছে। কিন্তু তাদের কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীর্। গেটের বাইরে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের কাছে বনসহায়ক পদের নিয়োগপত্র রয়েছে। আজ তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো শুক্রবার সকালে চিড়িয়াখানায় যান চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপরেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। আরও পড়ুন ঃ অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদ, পরেশ পালকে আইনি নোটিশ শ্রেয়ার পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অনেক চেষ্টায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাঁদের সামনেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। এদিনের এই ঘটনায় সমস্যায় পড়েছেন চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীরা। ভিতরে বহু মানুষ আটকে পড়েন। জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার জেরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্মী সংগঠন। জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে বন্ধ থাকবে আলিপুর চিড়িয়াখানা।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
রাজনীতি

পিকে'র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরেও নিজের অবস্থানে অনড় শীলভদ্র

শীলভদ্র দত্তের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধিরা। কিন্তু বরফ গলল না। অনড় রইলেন নিজের অবস্থানে। জানিয়ে দিলেন, আর তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। তবে ২০২১-এ দলের জয় নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী । বলেন, তৃণমূল ২০০টি আসন পাবে। প্রশান্ত কিশোরের দুই প্রতিনিধিকে তিনি জানিয়ে দেন, আমি দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। আরও পড়ুনঃ আমিও বাংলা হরফে লিখে গুজরাতি ভাষা বলতে পারি, নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ মমতার প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধিরা তাঁকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানোর কথা বলতেই তিনি সরাসরি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন জাহাজ ডুবতে চলেছে। কিন্তু আমি মনে করি ২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূল ২০০টি আসন পাবে। কারণ তৃণমূলের আসল মানুষ তো দলে রয়েছেন।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ছাড়াকে সমর্থন তৃণমূল বিধায়কের

শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ নিয়ে মন্তব্য করে জল্পনা বাড়ালেন বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তিনি বলেছেন, যা করেছেন, ঠিক করেছেন। আমি ওঁর ফ্যান। এরপর তিনি জল্পনা বাড়িয়ে বলেন, ভবিষ্যতে ঠিক করব, কোন দলে থাকব। কয়েকদিন আগেই শীলভদ্রবাবু দল নিয়ে তাঁর অসন্তোষের কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন। আরও পড়ুন ঃ বিজেপিতে যোগ দিলেন মিহির গোস্বামী তিনি টিম পিকে-র নাম না করে বাজারি কোম্পানি তাঁকে রাজনীতির জ্ঞান দিচ্ছে, তিনি তা মেনে নিতে পারছেন না, এই বিরক্তিও গোপন রাখেননি। এমনকী এও ঘোষণা করে দিয়েছেন যে পরবর্তী বিধানসভায় তিনি আর লড়বেন না। বারাকপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী হবেন অন্য কেউ। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। দল তাকে একবার সাসপেন্ডও করেছিল। তিনি আজ হোক বা কাল, সে পথেই যাবেন, এ বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
রাজ্য

ইস্তেহার নিয়ে বৈঠকে বিজেপি

নির্বাচনের আগে ইস্তেহার নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসল বিজেপির ইস্তাহার বিষয়ক কমিটি। বৃহস্পতিবার শহরের একটি হোটেলে তারা বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ দলের ১৪ জন সাংসদ। সাধারণত ভোটের কাছাকাছি সময়ে শুরু হয় ইস্তাহার তৈরির প্রক্রিয়া। তবে অপেক্ষা করতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূলই আসল ভোগীঃ দিলীপ ইস্তাহার বিষয়ক কমিটির সুভাষ সরকার, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ও অসীম ঘোষ। হাজির হন ১৪ জন সাংসদ। রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নথিবদ্ধ করা হয়েছে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের অভাব-অভিযোগ। এ দিনই দিলীপ ঘোষ ডাক দিয়েছেন, সবাই মিলে লড়ব, সোনার বাংলা গড়ব। সংবিধান দিবস নতুন কর্মসূচির সূচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নাম দেওয়া হয়েছে, আমরা সবাই সাংসদ। আমাদের দিলীপদা ওয়েবসাইটে সরাসরি সমস্যা বলতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

নভেম্বর ২৭, ২০২০
রাজ্য

শুভেন্দুর জেলার তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ

প্রত্যাশামতোই বিজেপিতে যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। বুধবার তিনি মেচেদাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। তাঁরা সিরাজ খানের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। কয়েকদিন আগেই তিনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি একজন মৎস্যজীবী। আমাকে মৎস কর্মাধ্যক্ষ না দিয়ে খাদ্য দফতর দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোন কাজ করতে পারছি না। এছাড়াও খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে তিনি গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছিলেন। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রের টাকা দিদির ভাইয়েরা লুটেপুটে নিচ্ছেঃ দিলীপ তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা নিয়ে তোলপাড় পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহল। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে দল বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তলে বহু দিন ধরেই কোনও কর্মসূচিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে শুভেন্দুর সঙ্গেই দলের সাংসদ সৌগত রায়ের বৈঠক চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এক মুসলিম তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজ্য

 পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে রাজ্য সরকারি ছুটি, ঘোষণা মমতার

পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে মিলবে রাজ্য সরকারি ছুটি। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকেই পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে রাজ্য সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই নেতাজি, বীরসা মুন্ডা, পঞ্চানন বর্মা-সহ একাধিক ব্যক্তিত্বের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই ছিল। এটা হয়ে গেলে খানিকটা নিশ্চিন্ত। আরও পড়ুন ঃ ধূলাগড়ে গরুবোঝাই লরি উল্টে দুর্ঘটনা, মৃত ১, জখম বহু প্রসঙ্গত, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আদিবাসী দলিতদের মন জয়ে বাঁকুড়ায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরপর দু-দিন দু-দুটো সরকারি ছুটি ঘোষণা বলে মনে করল বলে মত রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের৷

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

মুকুল রায়কে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করছিঃ কুণাল

চিটফান্ড থেকে নারদা , আসল চক্রীদের দলে নিয়ে আড়াল করছে বিজেপি। আমি সারদা তদন্তে মুকুল রায়ের সঙ্গে যৌথ জেরা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। নারদাতে সিআরপিসি ১৬১ অনুযায়ী আইপিএস মির্জার বয়ানের ভিত্তিতে মুকুল রায়কে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করছি। রবিবার তৃণমূলে ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি জানালেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কলকাতার মেয়রের চেয়ারে বসে যিনি ঘুষের টাকা গোনেন , তার বাড়িতে যে বিজেপি নেতারা ছোটেন, তারপর যেন বড় বড় কথা না বলেন। আর সিন্ডিকেটের প্রকাশ্য সমর্থক বিধায়ক এখন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক। অথচ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। আরও পড়ুন ঃ বহিরাগত রয়েছেন তৃণমূলেওঃ দিলীপ বহিরাগত প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, বহিরাগতদের এনে এখানে গোষ্ঠীবাজি ঠেকিয়ে , উত্তেজনা ছড়িয়ে নজর ঘোরাতে চাইছে বিজেপি। বাংলার মন বোঝার কোনও নেতা বাংলায় নেই। মুকুল রায়ও বাংলা থেকে ভোটার হিসেবে নাম কাটিয়ে দিল্লি চলে গেছেন। শনিবারের সভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো বলেন, তিনি ভাববাচ্যে কথা পছন্দ করেন না। বোঝেন না। স্পষ্ট কথা পছন্দ করেন । তাহলে কৈ্লাসবাবু নাম না করে ভাইপো ভাইপো করছেন কেন ? আমি ওঁকে চ্যালেঞ্জ করছি, যদি সাহস থাকে , যার বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন, তার নাম বলুন। অন্যথায় মিথ্যা গল্প রটানো বন্ধ করুন। বিজেপি যেভাবে এক তরুণ বাঙালি যুবনেতার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজবের গোয়েবেলসীয় কায়দা নিয়েছে, তাতে দুটো বিষয় স্পষ্ট, এক বিজেপি তাকে ভয় পাচ্ছে। দুই , বাংলার উন্নয়ন বা কাজের বিষয়ে কিছু বলার নেই। কুৎসাই তাদের হাতিয়ার। তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে পেরে না উঠলে ব্যক্তিকুৎসা বিজেপি আর বামেদের পুরনো খেলা। প্রফুল্ল সেন স্টিফেন হাউস কিনেছেন বলে রটানো হয়েছিল। পরে দেখা গেল মিথ্যে। রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে বোফর্স কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। পরে সেটাও দেখা গেল মিথ্যে। এখন বাংলায় রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, যুবনেতার বিরুদ্ধে কুৎসা চলছে। পরিবারসূত্রে রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, বহু পেশাতেই পরিবারের পরের প্রজন্ম আসে। কেউ যদি দল ও সংগঠনে মন দেয়, দোষ কোথায়? বেছে বেছে একজনকে নিয়ে কুৎসা কেন ? এই প্রসঙ্গে তিনি কৈ্লাস ও মুকুলের ছেলের কথা বলেন।

নভেম্বর ২২, ২০২০
কলকাতা

কেন্দ্রে এখন ফেক নিউজের সরকার চলছেঃ কাকলি

বাংলায় এখন শান্তি ফিরেছে। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি মানে না। বহিরাগত ইস্যুতে এবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলার সম্মান, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে অপমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন , কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা এবং ভুল নীতিতেই করোনার প্রকোপ ক্রমশ বেড়েছে। যখন আমরা সংসদে এ নিয়ে জানুয়ারিতে বলেছিলাম, তখন আমাদের বলা হয়েছিল বাচ্চাদের মতো কথা বলবেন না, বসে পড়ুন। লকডাউনে অসংখ্য দিনমজুর মারা গিয়েছে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনেই ৯০ জন অভিবাসী মারা গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লকডাউনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। সেই জায়গায় অভিবাসী শ্রমিকদের কথা ভাবেনি কেন্দ্রীয় সরকার। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ধনকড়ের তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ফেক নিউজের সরকার। মিথ্যাচার করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। ২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ক্ষমতা দখলে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। যা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করে কাকলি বলেন, দেশে এখন ভয়ানক পরিস্থিতি চলছে। ভারতে দলিতদের উপর অত্যাচার চলছে। দলিতরা সুরক্ষিত নয়। দেশে নারীসুরক্ষা তলানিতে। গণপিটুনি চলছে। ধর্মের নামে ভাগাভাগি চলছে। অন্যদিকে , এদিন সকালে অর্জুন সিং শুভেন্দুকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়েছেন। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, অর্জুন সিং কি শুভেন্দু অধিকারীর মুখপাত্র ? শুভেন্দু অধিকারী দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা । একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

শুধু শুভেন্দু নয় , সৌগত রায় সহ আরও ৫ তৃণমূল সাংসদ যোগ দেবেন বিজেপিতেঃ অর্জুন

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। এরমধ্যেই এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নয়, সৌগত রায়-সহ অন্তত ৫ জন তৃণমূল সাংসদ যে কোনও সময়ে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তুত। এটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। শনিবার সকালে ছটপুজো উপলক্ষে নৌকায় করে গঙ্গা ভ্রমণের সময়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে স্বাগত। উনি যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন সেদিই সরকার ভেঙে যাবে। রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব বাড়ছে। আরও পড়ুন ঃ অনেকেই মনে করছেন , রাজ্যে ৩৫৬ প্রয়োগ হোকঃ দিলীপ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেছেন, শুভেন্দু একজন জননেতা। সচেতন মানুষ। ওনাকে তৃণমূলে ক্রমাগত অপমান করা হচ্ছে। ওনার তৃণমূল ছেড়ে চলে আসা উচিত। বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানাতে সবসময় প্রস্তুত। যদিও অর্জুনের দাবি খণ্ডন করে সৌগত রায় জানিয়েছেন, রাজনীতি ছেড়ে দেব, মরে যাব, তবু বিজেপিতে যাব না। রাজ্যে এসে এসব শিখিয়ে দিয়ে গেছেন অমিত মালব্যরা।

নভেম্বর ২১, ২০২০
কলকাতা

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

আদালতের নির্দেশের জেরে রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ ছটপুজো। রবীন্দ্র সরোবরের ৩ নম্বর গেটের সামনে শুক্রবার সকালে একদল পুণ্যার্থী জমা হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুজো করতে দেওয়ার দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা। যদিও আদালতের নির্দেশের কথা উঠলে তারা জানান, পুণ্যার্থীদের দাবি, মাত্র ছঘণ্টার মধ্যে ছটপুজো সেরে নেওয়া সম্ভব। আর সামান্য সময়ে ছটপুজো করলে কোনও সমস্যা হবে না। রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার অনুমতি না মিললে মূল দরজার সামনেই ছটপুজো করা হবে বলে জানিয়ে দেন তারা। এছাড়াও তারা বলেছেন, প্রতি বছর এখানেই পুজো করেছেন তারা। তাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে পুজো করেছেন। এভাবে তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা বোঝাতে গেলে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। যাতে কেউ আদালতের নির্দেশ অমান্য করতে না পারেন তাই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গত , গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো। তারপর এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে পরিবেশ আদালতের কাছে কেএমডিএ আবেদন করেছিল , শর্তসাপেক্ষে লেকে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় , কোনও শর্তেই লেকে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। গত ১০ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতই শেষ কথা বলবে। সেই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ না দেওয়া হলে রবীন্দ্র সরোবরে এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। এই আবেদনের শুনানি ২৩ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ ছট পুজো হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।

নভেম্বর ২০, ২০২০
কলকাতা

রবীন্দ্র-সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কো্র্টের

রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে মামলা হয়েছিল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে। অনুমতি না মেলায় কেএমডিএ আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রায়কে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে শুক্রবার রবীন্দ্র সরোবর বা সুভাষ সরোবরে ছটপুজো হবে না। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো। তারপর এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে পরিবেশ আদালতের কাছে কেএমডিএ আবেদন করেছিল , শর্তসাপেক্ষে লেকে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় , কোনও শর্তেই লেকে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর সঙ্গে মান-অভিমান চলছে তৃণমূলেরঃ দিলীপ গত ১০ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতই শেষ কথা বলবে। সেই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ না দেওয়া হলে রবীন্দ্র সরোবরে এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। এই আবেদনের শুনানি ২৩ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগামীকাল ছট পুজো হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্ট এবং জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ে কোনও সংশোধন হবে না বলে জানিয়ে দেন তিন বিচারপতি।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজনীতি

একুশের লড়াইয়ে বাংলায় বিজেপির দায়িত্বে ৫ কেন্দ্রীয় নেতা

রাজ্যের ৫ সাংগঠনিক জোনের দায়িত্ব দেওয়া হল ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে। মঙ্গলবার হেস্টিংসে দলের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতা এবং রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সহকারি পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সাংগঠনিক নেতা বি এল সন্তোষ , কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষ , মুকুল রায় , রাহুল সিনহা , অনুপম হাজরা প্রমুখ। মোট ৬ জন কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বৈঠকে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দলের পাঁচ সাংগঠনিক জোনে রাজ্য নেতাদের উপরে পর্যবেক্ষক ও আহ্বায়কের দায়িত্ব থাকবেন পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা। ঠিক হল, মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়া দেখবেন সুনীল দেওধর, রাঢ়বঙ্গ দেখবেন বিনোদ সনকার, কলকাতা দেখবেন দুষ্ম্যন্ত গৌতম, নবদ্বীপ দেখবেন বিনোদ তাওরে এবং উত্তরবঙ্গ দেখবেন হরিশ দ্বিবেদী। আরও পড়ুন ঃ এই দল আমার নয়, হতে পারে নাঃ মিহির গোস্বামী এই পাঁচটি জোনের নতুন দায়িত্বে আসা নেতারা আগামী ১৮ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জোনের জেলা নেতৃ্ত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে গোটা পরিস্থিতি বুঝে নেবেন। সেইমতো পরবর্তী পরিকল্পনা তৈ্রি হবে। বৈঠক শেষে অনুপম হাজরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন , প্রত্যেকটি বুথে সপ্তাহে একটা করে অন্তত কর্মসূচি যাতে হয় , সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা মান - অভিমান করে দলের থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন , তাদের সামনের সারিতে নিয়ে এসে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। এছাড়াও এদিনের বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে কোথায় কোথায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে। সেখানে তা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
রাজনীতি

একবার সুযোগ দিন , বাংলাকে গুজরাত বানিয়ে দেবঃ দিলীপ

জ্যোতিপ্রিয় কোথায় দাঁড়াবেন শুধু বলুন। যে কেন্দ্রেই দাঁড়াবেন, ওঁকে হারিয়ে দেব। ওঁকে আর মানুষ চায় না। সোমবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে এভাবেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার বারাসতের কলোনি মোড়ে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, এক বার সুযোগ দিন। আমরা বাংলাকে গুজরাত বানাবো। যাতে বাংলার মানুষকে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে গুজরাতে না যেতে হয়। দিদিমনির পাপের বোঝা বাংলাকে বইতে হচ্ছে। আরও পড়ুন ঃ সন্ত্রাসবাদীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বাংলাঃ দিলীপ তাঁর অভিযোগ , তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি। যা কিছু হয়েছে শুধুমাত্র দিদির ভাই আর ভাইপোর হয়েছে। কেন্দ্র কৃষকের জন্য প্রকল্প নিয়েছে । সারা দেশের কৃষক সেই প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে শুধুমাত্র এ রাজ্যের কৃষকরা। বাংলা জুড়ে দাঙ্গার রাজনীতি করছে তৃণমুল। বাদুড়িয়া, বসিরহাট,মালদহ,আসানসোল সর্বত্র দাঙ্গা হয়েছে এই তৃণমূলের শাসনে ৷ মুর্শিদাবাদে প্রচুর জঙ্গিও তৈরি হচ্ছে। রাজ্যে আল কায়দা ঘাঁটি গেড়েছে । আর এই সবই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের তলায়। তিনি কিছুই করছেন না। এছাড়াও উদ্বাস্তু অধ্যুষিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় দাঁড়িয়ে ফের নাগরিকত্ব আইনে সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আমফানের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আবার কেন্দ্র টাকা দিয়েছে। সেটাও মানুষের কাছে আদৌ পৌঁছবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন , কেন্দ্রের পাঠানো টাকা যাতে মানুষের কাছে পৌছয় , তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নজরদারি করতে হবে।

নভেম্বর ১৬, ২০২০
দেশ

রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য , ওবামার কড়া সমালোচনা অধীরের

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর নিজের লেখা বইতে রাহুল গান্ধী সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন , তা নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই বেড়ে চলেছে জাতীয় রাজনীতিতে। লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বারাক ওবামার সমালোচনা করে টুইটে লিখেছেন , মিস্টার বারাক ওবামা, আপনাকে বলব এই ধরনের রুক্ষ মন্তব্য করার আগে আমাদের প্রিয় নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একবার কথা বলে নিতে পারতেন। সামনাসামনি কিংবা ভারচুয়াল মাধ্যমে। তাহলেই তাঁর ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক অনুধাবন করতে পারতেন।আমাদের নেতার মূল্যায়ন করার আগে এরপর দুবার ভাববেন। নাহলে অজ্ঞতার মহাবিশ্বেই থাকতে হবে। আরও পড়ুন ঃ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের বসতে চলেছেন নীতিশ কুমার প্রসঙ্গত , ওবামা তাঁর বইতে লিখেছিলেন , প্রাক্তন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট এখনও ঠিক আকার নিয়ে উঠতে পারেননি। এবং এখন শিক্ষককে তুষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনও বিষয়ে সিদ্ধহস্ত হতে যে মানসিকতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, সেটা হয়তো তাঁর নেই।

নভেম্বর ১৫, ২০২০
রাজ্য

করোনা আবহে নৈহাটির বড়মার পুজো এবার অনলাইনে

রাজ্যে যে সব এলাকায় কালীপুজোয় সাধারণ মানুষের ঢল নামে , তার মধ্যে নৈহাটি অন্যতম। আর নৈহাটিতে কালীপুজো বলতে যে পুজোর নাম প্রথমেই মনে আসে , সেটা হল বড়মার পুজো। এই পুজোতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। কথিত আছে , বড়মার কাছে পুজো দিলে ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। কিন্তু করোনা আবহে ছেদ পড়তে চলেছে দীর্ঘদিনের রীতিতে। এবার পুজো দেখা যাবে সম্পূ্র্ণ অনলাইনে। ভার্চুয়ালি পুষ্পাঞ্জলির আয়োজন করা হয়েছে। ভক্তদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হবে না ফল-মিষ্টিও। বন্ধ থাকবে মানত রক্ষায় দণ্ডি কাটাও। নৈহাটির বড়কালী পুজো সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার হবে না প্রতিমা নিরঞ্জনের আগের শোভাযাত্রাও। আরও পড়ুন ঃ আমফানের ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রের প্রসঙ্গত , প্রায় একশো বছর ধরে চলে আসছে নৈহাটির বড়মার পুজো। ঐতিহ্যবাহী এই পুজোয় বাইশ হাতের প্রতিমা। একশো ভরি সোনা ও আড়াইশো কেজি রূপোর গয়না মায়ের গায়ে। প্রতিবছর বড়মাকে সাক্ষী রেখে সারা বছর ধরেই মন্দির চত্বরে চলে দুঃস্থদের বস্ত্রদান, রোগীদের ফল বিতরণ, পড়ুয়াদের বই খাতা দেওয়া, অনাথ আশ্রম ও বৃদ্ধাশ্রমে সাহায্য বা গঙ্গাসাগর মেলায় জরুরি চিকিৎসা শিবিরের মতো সামাজিক কর্মকান্ড।

নভেম্বর ১৩, ২০২০
রাজ্য

বালি বোঝাই লরি উলটে দুর্ঘটনা , মৃত্যু একই পরিবারের তিনজনের

এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর এলাকা। মৃতরা হলেন , সন্ধ্যা বাউরি (৩০), রিঙ্কু বাউরি (১৪) ও রাহুল বাউরি(১২)। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন স্বামী স্বামী প্রশান্ত বাউরি। জানা গিয়েছে , বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জামালপুর থানার কুলির মুইদিপুর গ্রামে বালি বোঝাই লরি উলটে যায় দামোদরের বাঁধের রাস্তার ধারে থাকা একটি বাড়ির উপরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুরু করে উদ্ধারকাজ। বাড়ির মধ্যেই প্রশান্ত বাউরির ছেলে ও মেয়ে চাপা পড়ে মারা যায়। হাসপাতালে মারা যান সন্ধ্যা বাউরি। স্থানীয়দের অভিযোগ, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ফলে এই বিপত্তি ঘটেছে। আরও পড়ুন ঃ শীর্ষ নেতার ফোনেই জেলা কমিটি ঘোষণা বন্ধ করে পালালেন কল্যাণ? নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে হবে। এছাড়া ওই এলাকা দিয়ে বালিবোঝাই লরি চলাচল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। নচেৎ পুলিশের হাতে কোনওভাবেই দেহ তুলে দেওয়া হবে না। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ তাদের বোঝাতে গেলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে সেই জনরোষ বালিখাদানে গিয়েও পড়ে। উত্তেজিত মানুষজন ওই এলাকার বালিখাদানে চড়াও হয়। সেখানের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিসকে লাঠিচার্জ করতে হয় । কিছু সময় পর অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোন রকমে বিক্ষুব্ধ মানুষজনকে সরিয়ে দিয়ে মৃত ও জখমদের উদ্ধার করে।

নভেম্বর ০৬, ২০২০
কলকাতা

আগামী ৬ নভেম্বর পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর  বাড়িতে অমিত শাহঃ অর্জু্ন সিং

ক্যানিংয়ে আমাদের কোনও সংগঠন নেই যে আমাদের লোকেরা ওদের গুলি মারবে। নিজের নিজের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে লড়ছে । ভাইপো বনাম পিসির লড়াই চলছে ওখানে। মঙ্গলবার তৃ্ণমূলের সমালোচনা করে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জু্ন সিং। তিনি বলেন , পশ্চিমবঙ্গে যারা রাজনৈতিক দলের লোক আছে , তাদের সবাইকে বলব , সাবধানে থাকুন। তৃ্ণমূলের গোষ্ঠী্দ্বন্ধের লড়াইতে সাধারণ মানুষ খুন হচ্ছে। আর দোষ চাপাচ্ছে বিজেপির উপরে। কখনও অন্য রাজনৈতিক দলের উপরে। ভো্ট যখন আসে , তখন তৃ্ণমূলের লোকেরা এসব করে থাকে। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে যাওয়া ্প্রসঙ্গে তিনি বলেন , এটা পুরোপুরি অরাজনৈতিক ব্যাপার। আগামী ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওনার সঙ্গে দেখা করবেন। সে বিষয়ে ওনার কাছে আবেদন জানাতে গিয়েছিলাম। আরও পড়ুন ঃ পাহাড়ে গুরুংয়ের কোনও অস্তিত্ব নেইঃ বিনয় কৈলাস বিজয়বর্গীয় পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে যাওয়া ্প্রসঙ্গে বলেন , উনি বাংলা তথা দেশের গর্ব। আমি ওনাকে প্রণাম করতে গিয়েছিলাম। তৃ্ণমূলের যে গণ্ডগো্ল তা সিন্ডিকেট , কাট্মানি ও পয়সার জন্য হচ্ছে।কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, সকালে ও বিকালে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দুটি বৈঠক করবেন অমিত শাহ। অনেকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 39
  • 40
  • 41
  • 42
  • 43
  • 44
  • 45
  • 46
  • 47
  • 48
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

চতুর্থ তলা থেকে লাফিয়ে মৃত্যু: নয় বছরের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় জয়পুরের স্কুলকে কঠোর নোটিস CBSE-এর

নয় বছরের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্কের জেরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষাবোর্ড। জয়পুরের নীরজা মোদি স্কুলকে কড়া শব্দে ভরা শোকজ নোটিশ পাঠাল CBSE। ১ নভেম্বর চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই ক্লাস ফোরের ছাত্রের। পরদিনই২ নভেম্বর নয়, সরাসরি ৩ নভেম্বরCBSE-এর দুসদস্যের বিশেষ তদন্তদল স্কুলে পৌঁছয়। তাদের রিপোর্ট এখন যেন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে রাজস্থানের অন্যতম বড় খ্যাতনামা এই স্কুলকে।পরিদর্শন কমিটি জানিয়েছে, স্কুলে ছিল ভয়ঙ্কর নিরাপত্তাহীনতা। পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ, বাচ্চাদের উপর নজরদারি বলতে কিছু নেই, অ্যান্টি-বুলিং সিস্টেম প্রায় অকার্যকর, এমনকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিক্রিয়াও নাকি ছিল অস্বাভাবিকভাবে দেরি করা। এমন গুরুতর ত্রুটিযা একাধিক বার তুলে ধরে কমিটি লিখেছে, এই দুর্ঘটনা আটকানো যেত, যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করত।ছাত্রটির মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়েছে জয়পুর। ভেঙেচুরে পড়েছে পরিবার। সহপাঠীদের উপরেও তার গভীর প্রভাব পড়েছে। এমন এক সময়ে, যখন গোটা দেশজুড়ে ছাত্রদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে, তখন আরও একটি শিশুমাত্র নয় বছরেরএভাবে নিজের জীবনের অবসান ঘটানোর ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপরই।সরকারি পরিসংখ্যান (NCRB 2023) বলছে, গত বছরই আত্মহত্যা করেছে ১৩,৮৯২ জন ছাত্রছাত্রী। ভারতের মোট আত্মহত্যার ৮.১ শতাংশই ছাত্রদের। এই ভয়ঙ্কর বাস্তবের মধ্যে জয়পুরের এই ঘটনা যেন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখালস্কুলে মানসিক স্বাস্থ্য, সহানুভূতি, নজরদারি, এবং বুলিং প্রতিরোধ এখনও কতটা দুর্বল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে।CBSE-এর নোটিশে প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছে, একটি টপ-রেটেড স্কুলে যদি এমন অব্যবস্থা থাকে, তবে দেশের হাজার হাজার সাধারণ স্কুলে কী চলছে? স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু শহরজুড়ে এখন একটাই প্রশ্নকতটা নিরাপদ ভারতের বাচ্চারা?

নভেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

বিতর্ক ভুলে বিশ্বসুন্দরী! মিস ইউনিভার্স ২০২৫—মেক্সিকোর ফাতিমা বোশের মাথায় উঠল ৪৪ কোটির মুকুট

বিশ্বসুন্দরীর মুকুট এবার উঠল মেক্সিকোর তরুণী ফাতিমা বোশের মাথায়। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতার শেষ মঞ্চে এগিয়ে থাকা প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে নতুন বিশ্বসুন্দরী হলেন তিনি। তাঁর ঠিক পিছনে প্রথম রানার-আপ হন থাইল্যান্ডের প্রাভিনার সিংহ, দ্বিতীয় রানার-আপ ভেনিজুয়েলার স্টেফানি আবাসালি, তৃতীয় রানার-আপ ফিলিপাইনের মা. আটিসা মানালো এবং চতুর্থ রানার-আপ হন আইভরি কোস্টের অলিভিয়া ইয়াস।শুরু থেকেই বিতর্কে ঘেরা ছিল এ বছরের প্রতিযোগিতা। আয়োজক দেশ থাইল্যান্ডকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে রাজি না হওয়ায় মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ডিরেক্টর নবত ইটসরাগ্রিসিল ফাতিমাকে প্রকাশ্যে ডাম্বহেড বলে অপমান করেন। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চ ছাড়েন ফাতিমা। তাঁর পথ অনুসরণ করে আরও কয়েকজন প্রতিযোগীও বেরিয়ে যান। এই নিয়েই তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা। এমনকি আয়োজকের মন্তব্যযাঁরা থাকতে চান, বসে পড়ুননিয়ে আরও বিতর্ক ছড়ায়। পরে তিনি ক্ষমা চান, এবং প্রতিযোগিতা নতুন করে পথ পায়। সেই প্রতিযোগিতাতেই শেষমেশ সেরা হয়ে ইতিহাস গড়লেন ফাতিমা।২৫ বছর বয়সী ফাতিমা বোশ শুধুই র্যাম্পের মুখ নন। তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, যিনি আমেরিকা এবং ইটালিতে পড়াশোনা করেছেন। ছোটবেলায় তাঁর ডিসলেক্সিয়া এবং ADHD ধরা পড়ে, কিন্তু কোনও বাধা তাঁকে থামাতে পারেনি। পাশাপাশি তিনি টেকসই ফ্যাশন নিয়ে কাজ করেন এবং টাবাসকো থেকে প্রথম মিস মেক্সিকো হিসেবে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। উৎসবের মরশুমে প্রতি বছর তিনি স্থানীয় অনকোলজি হাসপাতালের শিশুদের জন্য খেলনা সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করেন।মিস ইউনিভার্সের মুকুট শুধু গৌরব নয়এটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক বছরের প্রচুর দায়িত্ব এবং সুবিধা। ফাতিমা এবার পাচ্ছেন ২,৫০,০০০ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২.২ কোটি টাকা। পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত কার্যক্রম, ভ্রমণ এবং ব্র্যান্ড উদ্যোগে ব্যয় করতে প্রতি বছর ৫০,০০০ ডলার বেতন পাবেন। পুরো এক বছর তিনি থাকবেন নিউইয়র্কে একটি বিলাসবহুল বাড়িতেযার মূল্য কত, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। আর তাঁর মাথায় থাকা মুকুটটির দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৪৪ কোটি টাকা।বিতর্ক, অপমান, ওয়াকআউটসব ছাপিয়ে আজ তিনি বিশ্বসুন্দরী। মিস ইউনিভার্সের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামেও লেখা হয়েছে, আজ এক তারা জন্ম নিল।সত্যিই যেন আরও কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল বিশ্ব, ফাতিমা বোশের বিজয়ের আলোয়।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
দেশ

চার্জশিট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত স্থগিত! মহুয়া মৈত্র মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের চমকপ্রদ অবস্থান

মহুয়া মৈত্রের মামলায় বাড়ল উত্তেজনা। সুরাহা মিলল না, বরং আরও কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হল শুক্রবার। দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিলএ মুহূর্তে রায় নয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় লোকপালের অনুমতি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু ওই আবেদনেও আপাতত স্থগিতাদেশ মিলল না। ফলে মহুয়ার অস্বস্তি কাটল না, উল্টে কিছুটা চাপ থেকেই গেল।লোকপাল সম্প্রতি সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিল, মহুয়ার বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করতে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে যান মহুয়া। শুক্রবার বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল ও বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথ শঙ্করের বেঞ্চে দীর্ঘক্ষণ শুনানি চলে। মহুয়ার আইনজীবী নিধেশ গুপ্তর দাবিলোকপালের নির্দেশে গুরুতর ত্রুটি আছে, তাই বিষয়টি বিচারাধীন থাকা পর্যন্ত সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না। তিনি লোকপালের নির্দেশ পুরোপুরি বাতিল করার আবেদনও জানান।অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী এএসজি এসভি রাজুর বক্তব্য ছিল একেবারে বিপরীত। তাঁর দাবিলোকপাল ইতিমধ্যেই মহুয়ার সব বক্তব্য শুনেছে। তাই এখন নতুন করে তাঁর আদালতে নথি জমার অবকাশ নেই। তিনি কেবল মৌখিক যুক্তি দিতে পারেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জানিয়ে দেয়রায় পরে ঘোষণা করা হবে। সিবিআইয়ের চার্জশিট সংক্রান্ত লোকপালের নির্দেশেও এই মুহূর্তে কোনও অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়া হল না।মামলার মূল পর্বও এখনও অনেকটাই বাকি। কারণ লোকপাল সিবিআই-কে চার্জশিট জমা দিতে বললেও এখনও কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অনুমতি দেয়নি। ২০১৩ সালের লোকপাল আইনের ধারা অনুযায়ী, চার্জশিট জমার পরই দ্বিতীয় ধাপের আবেদন বিবেচনা করা হবে। তার আগে কোনও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। তাই পুরো পরিস্থিতি এখন যেন এক অদৃশ্য অপেক্ষায় ঝুলে আছেযেখানে না মহুয়া স্বস্তি পাচ্ছেন, না সিবিআই এগোতে পারছে পরবর্তী ধাপের দিকে।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

যুদ্ধে হার, এবার কি প্রতিশোধ? আফগানিস্তানে সরকার বদলের হুমকি দিল পাকিস্তান

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমানায় উত্তেজনা নতুন নয়। কিন্তু এবার যেন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ মোড় নিয়েছে। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের বক্তব্য, যদি তালিবান সমঝোতার পথে না আসে এবং পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করে, তবে কাবুলে সরকারবিরোধী শক্তিকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেবে তারা।নিউজ১৮-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগানিস্তানপাকিস্তান সংঘর্ষে মধ্যস্থতা করা তুরস্কের আধিকারিকদের সামনেই পাকিস্তান এই কঠোর বার্তা দিয়েছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, তালিবান তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে আশ্রয় দিচ্ছে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলার জায়গা করে দিচ্ছে। পাক সেনা চায়, টিটিপির সব নেতা হস্তান্তর করুক আফগানিস্তান, এবং সীমান্ত বরাবর ডুরান্ড লাইনে বাফার জোন তৈরি হোক।কিন্তু আফগানিস্তান সেই দাবি সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে। কাবুলের বক্তব্য, টিটিপির সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই, এবং তারা কখনওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে নিজের দেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয় না। সেই অবস্থান থেকেই কোনো লিখিত চুক্তিতে যেতে রাজি হয়নি তালিবান সরকার। আর এই অচলায়তনের মধ্যেই পাকিস্তান প্রকাশ্যে হুমকি দিলএই সরকার না মানলে কাবুলে নতুন সরকার গঠনে তারা সক্রিয় ভূমিকা নেবে।শুধু কথাই নয়, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই গোপনে যোগাযোগ শুরু করেছে আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বহু প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে। নাম রয়েছে হামিদ কারজাই, আশরাফ গনি, আহমেদ মাসুদ, এমনকি নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা আব্দুল রশিদ দোস্তমেরও। আইএসআই-র তরফে তাঁদের পাকিস্তানে আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে বলেও সূত্রের দাবি। লক্ষ্য একটাইপাকিস্তানের মাটি থেকেই সরকারবিরোধী শক্তিকে উসকে তালিবানকে ক্ষমতাচ্যুত করা।গত কয়েক মাসে তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় তিন দফা বৈঠক হয়েছে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে। কিন্তু একটিও বৈঠক কাজে দেয়নি। পাকিস্তান দাবি জানিয়ে গিয়েছে, আর তালিবান জবাব দিয়েছে স্পষ্ট ভাষায়টিটিপিকে তারা আশ্রয় দেয়নি এবং ডুরান্ড লাইন নিয়ে পাকিস্তানের দাবি মানা সম্ভব নয়।এই অবস্থায় দুই দেশের সম্পর্ক এমন উত্তপ্ত জায়গায় পৌঁছেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ভয়াবহভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

৫০ রান শেষ দুই ওভারে! ভয়ংকর মেহরব, তারপর সুপার ওভার ড্রামা—তবু জয় বাংলাদেশের

দোহায় রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে শুক্রবার এমন এক ম্যাচ দেখা গেল, যা শেষ বল পর্যন্ত দর্শকদের নাড়িয়ে দিল। ভারত A এবং বাংলাদেশ Aদুটি দলই ১৯৪ রান করায় ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। কিন্তু সুপার ওভারের শেষ বলেই ভারত A-র কপালে জুটল পরাজয়। আর ফাইনালের টিকিট তুলে নিল বাংলাদেশ A।পুরো ম্যাচে নাটক যেন থামতেই চাইছিল না। শেষ ওভারের শুরুতে ভারতকে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। এর আগে ১৯তম ওভারে বাংলাদেশের রিপন মন্ডল মাত্র পাঁচ রান দিয়ে রামনদীপ সিং-কে ফিরিয়ে ম্যাচে দারুণ চাপ তৈরি করেন। শেষ তিন বলে প্রয়োজন আট রান। তখনই ঘটে ম্যাচের প্রথম বড় ভুললং-অফ থেকে জিশান আলম একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন, আর সেটি ছুঁয়ে চারও হয়ে যায়। সেই চারেই ম্যাচে ফের আশা জাগে ভারত শিবিরে। কিন্তু আশুতোষ শর্মা পরের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন।শেষ বলে চার না তুললে হার নিশ্চিততবু ভারত অলৌকিকভাবে পেয়ে যায় টাই করার সুযোগ। হর্ষ দুবে লং-অনে বল পাঠিয়ে ইতিমধ্যেই এক রান নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে প্রায় থেমে যান। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলির অবিশ্বাস্য ভুলস্টাম্পে দৌড়োতে না গিয়ে তিনি নরম আন্ডার-আর্ম থ্রো মারতে গিয়ে মিস করেন, পিছনে কেউ ছিল না ব্যাক-আপে। ভারত সেই সুযোগে নিয়ে নেয় তিন রান, আর তাতেই ম্যাচ টাই।সুপার ওভারে আবার অচেনা সিদ্ধান্ত ভারত শিবিরে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারা বৈভব সূর্যবংশীকে ওপেন করানো হল না। ব্যাট করতে নামেন জিতেশ শর্মা। রিপন মন্ডল দুরন্ত ইয়র্কার ফেলে তাঁকে প্রথম বলেই বোল্ড করেন। অন্য ব্যাটার আশুতোষের ব্যাটেও ইয়র্কার সামলানো গেল নাসোজা উঠল এক্সট্রা কভারের হাতে। সুপার ওভারে ভারত তুলল মাত্র এক রান।বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল মাত্র দুই রান। প্রথম বলেই সুয়াশ শর্মা উইকেট নিলেও, দ্বিতীয় বলটি গুগলি ভুল লেন্থে হয়ে ওয়াইডসেই এক রানেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়। ভারত A-র জন্য শেষ হয় এক ব্যর্থ প্রচারণাযেখানে তারা পাকিস্তান A-এর কাছে হারার পর ওমানের বিরুদ্ধেও সমস্যায় পড়েছিল।এর আগেই ভারত A বোলিংয়ে বড় ভুল করে ফেলে। বাংলাদেশের শেষ দুই ওভারে ওঠে ৫০ রান! মেহরব মাত্র ১৮ বলে ৪৮* করেনএর মধ্যে নামন ধিরের বলে এক ওভারে ২৮ রান। হাবিবুর রহমানের ৬৫ রান দলকে মজবুত ভিত্তি দেয়।চেজে বৈভব সূর্যবংশীর ১৫ বলে ৩৮ রানে ভারতের আশা জাগলেও মাঝপথে ছন্দ হারাতে থাকে দল। প্রিয়াংশ আর্য (৪৪) ও জিতেশ শর্মা (৩৩) চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারের সেই চাপ, ভুল সিদ্ধান্ত আর সুপার ওভারে দুর্বল ব্যাটিংসব মিলিয়ে ভারত A ছিটকে যায় টুর্নামেন্ট থেকে।এমন নাটকীয় লড়াইয়ের শেষে বাংলাদেশ A-র জয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে দীর্ঘদিন থাকবে। আর ভারত A হয়তো ভাবতেই থাকবেসেই মিসড থ্রো আর সুপার ওভারের ভুল সিদ্ধান্তই কিনা শেষ পর্যন্ত বড় দাম চুকিয়ে দিল।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
রাজ্য

চার নাবালিকার পাচারের চেষ্টা—তার পরেই ফের তিন ছাত্রী নিখোঁজ! শিলিগুড়িতে আতঙ্ক

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তিন নাবালিকা। কিন্তু তারা সেই পার্টিতে আর পৌঁছইনি। তারপর থেকেই তাদের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ হওয়ার দুদিন কেটে গেলেও তিন স্কুলছাত্রীর কোনও হদিস নেই। ফলে শিলিগুড়ি জুড়ে তৈরি হয়েছে প্রবল উদ্বেগ।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শহরের মাটিগাড়ার গেটবাজার এলাকার একাধিক সিসিটিভিতে তিনজনকে শেষবার দেখা গিয়েছে। সেই সূত্র ধরে ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় চলেছে সার্চ অপারেশন। এর মধ্যেই উঠছে আশঙ্কাএরা কি কোনও পাচারচক্রের খপ্পরে পড়েছে?এই আশঙ্কা আরও জোরালো কারণ, মাত্র কয়েক দিন আগেই জ্যোৎস্নাময়ী স্কুলের সামনে থেকে চার নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরপর দুটি ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বাড়ছে, এবং অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন করে অস্বস্তি।নিখোঁজ তিনজনের বয়স ১৪ বছর। তারা কবি সুকান্ত হাই স্কুলের ছাত্রী এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চানন কলোনির বাসিন্দা। পরিবারগুলি প্রধাননগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং জানিয়েছেন, একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। নাবালিকাদের খোঁজে তদন্ত চলছে। সম্ভাব্য সব সূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুরসভার মেয়র গৌতম দেবও ঘটনাটি নিয়ে স্পষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বারবার স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রশ্নশহরে কি কোনও অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাদের মাধ্যমে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিশোরীদের? প্রশাসন কি আরও সতর্ক হওয়া উচিত নয়?কবি সুকান্ত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিশিন বিশ্বাস জানান, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বুধবার তারা কেউ স্কুলে আসেনি। আমরা পরে শুনলাম তারা নিখোঁজ। প্রশাসন যদি আরও সতর্ক নজরদারি করে, তা হলে ভালো হয়।এখন দেখার, সিসিটিভিতে ধরা পড়া সেই শেষ মুহূর্তের সূত্র ধরে কত দ্রুত তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করতে পারে পুলিশ। উদ্বিগ্ন শহর আজ একটাই প্রশ্ন করছেকোথায় গেল মেয়েগুলো?

নভেম্বর ২১, ২০২৫
দেশ

মহড়া চলতেই বিপর্যয়! তেজস যুদ্ধবিমান ধসে পড়ে দুবাইয়ে, প্রশ্নের মুখে ভারতীয় প্রযুক্তি

দুবাইয়ের এয়ার শো-তে হাজির হয়েছিল ভারতের গর্ব, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান তেজস। কিন্তু সেই প্রদর্শনীই পরিণত হল ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ অবতরণের সময় আচমকা ভেঙে পড়ে তেজস। চোখের সামনে আগুনের ফুলকি আর ধোঁয়ার নিচে মিশে গেল ভারতের তৈরি এই আধুনিক যুদ্ধবিমান। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয়, পাইলটকে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তেজস যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই বিমান সুনামের সঙ্গে উড়েছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র একবার দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল তেজস। তার পর এত বছর ধরে বহু মহড়া, বহু মিশনসব কিছুর মধ্যেই একে ছিল অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। তাই দুবাই প্রদর্শনীতে এমন বিপর্যয় সামরিক মহলে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে জোর অনুমান চলছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, মাঝআকাশে বা অবতরণের ঠিক আগে ইঞ্জিন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সামনে থাকা ল্যান্ডিং হুইলে কোনও ত্রুটি দেখা দিলে তেজসের এই নীচু উচ্চতের অবতরণ নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউই সুনিশ্চিত ব্যাখ্যা দিতে রাজি নন। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মহড়া শুরুর আগে বিমানটি আরেকবার আকাশে ভেসে পরীক্ষা দেওয়া হয়েছিল। তখন কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি।প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তা রঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলছেন, এটা খুব সাধারণ ব্যাপার নয়। এমন দুর্ঘটনা ঘটতে হলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের ত্রুটি থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। তবে তদন্ত না হলে কিছুই নিশ্চিত বলা যায় না।তেজস ভেঙে পড়ায় প্রশ্নের মুখে দাঁড়াল ভারতের সামরিক প্রযুক্তিও। কারণ, বহু দেশ ইতিমধ্যেই তেজস কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশীয় প্রযুক্তির শক্তি দেখানোর জন্য এই এয়ার শো ছিল গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন প্রতিরক্ষা বিশারদরা।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
কলকাতা

“চার বছর ধরে অভিযোগ!”—অবশেষে চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন অধ্যাপক কল্যাণ ভট্টাচার্য

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বিস্ফোরক পরিস্থিতি তৈরি হল শুক্রবার। প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কল্যাণ ভট্টাচার্য। সকাল থেকেই চাপে ছিলেন তিনি। আর সেই চাপের উৎস হাসপাতালের ছাত্রছাত্রীদের একটানা আন্দোলন। অধ্যক্ষের দফতরের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজের পরিবেশ।অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন এইচওডি। একাধিক ছাত্রী বারবার বিষয়টি অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা হয়নি বলে দাবি পড়ুয়াদের। অবশেষে সাম্প্রতিক হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসতেই ফেটে পড়ে ক্ষোভ। শুক্রবার দুপুর বারোটার পর থেকেই স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যরা প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে অবস্থান শুরু করেন। তাঁরা জানান, তাঁরা লিখিত আকারেই এমন অভিযোগ গত কয়েক বছর ধরে তুলে আসছেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।বিকেলের দিকে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন এইচওডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক মৈত্রেয়ী মণ্ডলকে। একই সঙ্গে সাত সদস্যের একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সেই কমিটির রিপোর্ট যাবে অধ্যক্ষের হাতে। এরপর তা স্বাস্থ্যদপ্তরে পাঠানো হবে, আর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।এক বিক্ষোভকারী ছাত্র বলেন, আমাদের দাবি আংশিকভাবে পূরণ হলেও ক্ষোভ থেকেই যাচ্ছে। চার বছর ধরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনও দিন ব্যবস্থা হল না। আজ আন্দোলনের জেরে পদক্ষেপ হল। অন্যদিকে এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। মেডিক্যাল কলেজে এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। হেড স্যার ইস্তফা দিয়েছেন। এখন সমস্তটাই কমিটির রিপোর্টের উপর নির্ভর করছে।এই পুরো ঘটনা ফের একবার প্রশ্ন তুলছেশিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তাহীনতার উদ্বেগ কতটা গভীর? আর চাপ না থাকলে কি কোনও অভিযোগ কখনও গুরুত্ব পায়?

নভেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal