• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার ০২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Award

রাজ্য

পদ্মশ্রী তালিকায় বাংলার ৯ জন, রয়েছেন অরিজিৎ সিং, মমতা শঙ্কর, তেজেন্দ্র নারায়ণ

পদ্মশ্রী প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৯ জন পদ্মশ্রী পুরস্কার পেতে চলেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় সরকার পদ্ম পুরস্কার ২০২৫ প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেছে। তালিকা অনুসারে ৭ জনকে পদ্মবিভূষণ, ১১৩ জনকে পদ্মশ্রী এবং ১৯ জনকে পদ্মভূষণ প্রদান করা হয়েছে। মোট ১৩৯ জন ব্যক্তিত্বকে পদ্ম পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানগুলির মধ্যে একটি, যা তিনটি বিভাগে দেওয়া হয় -পদ্ম বিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী।শিল্প ক্ষেত্রে এরাজ্য থেকে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন, অরিজিৎ সিং, গোকুল চন্দ্র দাস, তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার ও মমতা শঙ্কর। সাহিত্য ও শিক্ষায় নগেন্দ্র নাথ রায়, শিল্প ও বানিজ্যে পবন গোয়েঙ্কা ও সজ্জন ভজনকা। আধ্যাত্মবাদে স্বামী প্রদীপানন্দ (কার্তিক মহারাজ), সমাজকর্মে বিনায়ক লোহানী।আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দিকপালদের হাতে পদ্ম পুরষ্কার তুলে দেবেন।

জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

দাদাসাহেব পুরস্কার মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়া আর কোন কোন বাঙালির ঝুলিতে আছে?

দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সিনেমাটিক কেরিয়ার অনবদ্য তাই এই পুরস্কার জুটেছে গৌরাঙ্গর। এর আগে তিনি তিন তিনটে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। পেয়েছিলেন পদ্ম ভূষণ পুরস্কার। এর আগেও একাধিক কৃতী বাঙালি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। রইল সেই তালিকা:বীরেন্দ্রনাথ সরকারঃ চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পরিচালক হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন বীরেন্দ্রনাথ সরকার। ১৯৭০ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান। কলকাতার হেয়ার স্কুলের অধ্যক্ষ পেয়ারী চরণ সরকারের প্রপৌত্র। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করেন। তারপরই ভারতে ফিরে সিনেমা নির্মাণে মনোযোগ দেন। পুনর্জন্ম, জিন্দা লাশ, কপালকুণ্ডলা, পল্লীসমাজ, মাসতুতো ভাই, সীতা আরও অনেক ছবির জন্য বিখ্যাত। পঙ্কজ মল্লিকঃ মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানের কম্পোজার পঙ্কজ মল্লিক ১৯৭২ সালে পেয়েছিলেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। বহু ছবিতে তিনি সুরকার হিসেবে কাজ করেছেন। তবে দেবী দুর্গার আহ্বানে তাঁর যে সুর বাঙালির মনে রয়ে গিয়েছে, সেটি ভোলার নয়।ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলিঃ পরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি ১৯৭৫ সালে পেয়েছিলেন এই পুরস্কার। হিন্দি এবং বাংলা ছবিতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ভূষিত করা হয় দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে। তাঁর পরিচালিত ছবির মধ্যে, বিলেত ফেরত, চরিত্রহীন, রাজিয়া বেগম, ইন্দ্রজিৎ, বিমাতা, চিন্তামনি আরও উল্লেখযোগ্য।কানন দেবীঃ বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র কানন দেবী। তাঁর সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে অভিনয় দক্ষতা ছিল অতুলনীয়। ১৯৭৬ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছিলেন। মুক্তি, বিদ্যাপতি, জওয়াব, শেষ উত্তর, মেজদিদি, রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত, ঋষির প্রেম ছবির জন্য বিখ্যাত।নীতিন বসু এবং রাইচাঁদ বড়ালঃ নীতিন বসু এই পুরস্কার পান ১৯৭৭ সালে। বাঙালি এই পরিচালক এবং সিনেমাটোগ্রাফার দিদার, ধুপ ছায়ো, ওয়ারিস, ভাগ্যচক্র, চণ্ডীদাস ছবির জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে ঠিক তাঁর পরের বছর ১৯৭৮ সালে এই পুরস্কার পান রাইচাঁদ বড়াল। তিনি মিউজিক কম্পোজার।সত্যজিৎ রায়ঃ বাংলা ছবিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছেন সত্যজিৎ রায়। তিনি১৯৮৪ সালে এই পুরস্কার পান। পথের পাঁচালী ছবির মাধ্যমে তিনি ভারতীয় সিনেমার অন্যন্য রূপ তুলে ধরেন। তারপর, শাখা প্রশাখা, কাঞ্চনজঙ্ঘা, জলসাঘর, গুপি গাইন বাঘা বাইন, সোনার কেল্লা, নায়ক, চিড়িয়াখানা, আরও অনেক ছবি। অস্কারও পেয়েছেন এই কালজয়ী পরিচালক।মৃণাল সেনঃ বাংলা ছবির আরেক পরিচালক, আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ জনপ্রিয়। মৃণাল সেন এই পুরস্কার পান, ২০০৩ সালে। ভুবন সোম, আকালের সন্ধানে, চালচিত্র, মৃগয়া, একদিন প্রতিদিন, কলকাতা ৭১ ছাড়াও নানা ছবির পরিচালক তিনি। মান্না দেঃ মান্না দে, যার সুরেলা কন্ঠে ভেসেছে বাংলা তথা গোটা ভারতবর্ষ, তাঁকে ২০০৭ সালে দেওয়া হয়েছিল এই পুরস্কার। একের পর এক গান তো বটেই, তাঁর সঙ্গে দুটি ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মান্না দে।তপন সিনহাঃ খ্যাতনামা পরিচালক তপন সিনহা ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন এই পুরস্কার। কাবুলিওয়ালা থেকে শুরু করে ঝিন্দের বন্দী, আপনজন, বাঞ্ছারামের বাগান, অতিথির মত ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ঃ বাংলা ছবির ফেলুদা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছিল দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। তিনি ২০১১ সালে এই পুরস্কার পান। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য, এমনকি সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার যে পারদর্শিতা তিনি দেখিয়েছেন, তা অকল্পনীয়।এবার ওই তালিকায় আরেক নাম যোগ হলঃ মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর ভক্ত মহল আনন্দে উল্লাসিত।

অক্টোবর ০১, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে "বঙ্গ শ্রেষ্ঠ সম্মান"

কলকাতা শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নতুন পুরস্কার শো বঙ্গ শ্রেষ্ঠ সম্মান। চলতি মাসে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে শিবায়া ব্যাঙ্ক্যেটে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন টলিউডের একাধিক নামকরা তারকারা। অনুষ্ঠানটি হবে রাহুল দে ও আনন্দ মেহেরা এর তত্বাবধানে। অনুষ্ঠানে থাকছে গান, নাচ ও র্যাম্প শো। অনুষ্ঠানের আরো এক প্রধান হিসাবে থাকবে পনাস ওয়েডিং এন্ড ইভেন্টস, এডি প্রোডাকশন ও ড্রিম লাইন প্রোডাকশন।ওই দিন নামী তারকাদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এই পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গসম্মান শ্রেষ্ঠ সম্মান। উপস্থিত থাকবেন অভিনেত্রী রুপ্সা মুখার্জী, লাবনী সরকার, আতিউল ইসলাম, বিশ্বনাথ বসু আরো অনেকে।অনুষ্ঠানের প্রধান রাহুল দে জানান এই অনুষ্ঠান সেরা অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক ও অন্যান্য কলাকূশলীদের সম্মান জানানোর একটি প্রয়াস। আশা করছি এই অনুষ্ঠান সবার ভালো লাগবে।অনুষ্ঠানের আরো এক কর্নধার আনন্দ মেহেরা জানান এটি আমাদের প্রথম বছরের অনুষ্ঠান। আমরা পুরো অনুষ্ঠানটি ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে ভাগ করেছি। প্রতিটি সেক্টরে সবাই কে সম্মান জানানো হবে। আমরা খুব আশাবাদী এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে। অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে ওয়াও মোমো, বারবিকিউনেশান ও শিবায়া ব্যাঙ্কয়েট।

জুলাই ২৭, ২০২৩
শিক্ষা

বিজ্ঞানে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ রামকৃষ্ণ মিশনের বৃত্তি প্রদান বর্ধমানের মেয়েকে

বর্ধমানের মেয়ে দিগন্তিকা কে তাঁর ক্রমাগত বিজ্ঞান সাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ বৃত্তি প্রদান রামকৃষ্ণ মিশনের। রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ কালচার এর আর্থিক সহযোগিতায় ও রামকৃষ্ণ মিশন বেলুর মঠের উদ্যোগে সারা ভারত স্টুডেন্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হল। স্টুডেন্ট ইনোভেশন প্রতিযোগিতা অষ্টম শ্রেণি থেকে শুরু করে পিএইচডি স্তর পর্যন্ত নথিভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। সারা ভারত থেকে বেশ কয়েক জন উদ্ভাবককে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানে।বেলুর মঠে স্বামী বিবেকানন্দ সভাগৃহে (বেলুর মঠ) এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মঠের মহারাজ দের আলোকোজ্জ্বল উপস্থিতিতে উদ্ভাবক বৃত্তি প্রদান করা হয়।এই অনুষ্ঠানে দিগন্তিকা বোসের হাতে বৃত্তি স্বরূপ সাতষট্টি হাজার টাকার অর্থমুল্যের একটি চেক তুলে দেওয়া হয়। বেঙ্গালুরুরর নার্সিং কলেজে দিগন্তিকা এখন বিএসসি নার্সিং পড়ছে, সে কারণেই সে দক্ষিণ ভারতের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। শ্রীমৎ স্বামী সুবীরা নন্দজী মহারাজ রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের সাধারণ সম্পাদক প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন ও মঠের সম্পাদক স্বামী শুকদেবানন্দ মহারাজ উপস্থিতিতে সমগ্ৰ অনুষ্ঠিত হয়।দিগন্তিকা জানায় তার আবিস্কৃত ভাইরাস ডেসট্রয়েড মাস্ক এর আর একটি উন্নত ভার্সন, যা তার আগের উদ্ভাবিত মাস্ক এর সব বৈশিষ্ট্য তো থাকছেই সঙ্গে পাওয়া যাবে পকেট ভেন্টিলেশনে সুবিধা। পকেট ভেন্টিলেশন এমন একটা ব্যবস্থা, হঠাৎ যদি কোনো ব্যক্তির কৃত্রিম শ্বাস চালু রাখাতে পারে, চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার আগে বা গ্ৰামিন চিকিৎসা কেন্দ্র এটি ব্যবহার করে মানুষের জীবন রক্ষার সহআয়ক হবে মাস্কের এই উন্নত ভার্সন যা তাকে এনে দিল রামকৃষ্ণ মিশনের দেওয়া জাতীয় উদ্ভাবক শিক্ষা বৃত্তি।

জুলাই ০২, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

"কথামৃত" এর ঝুলিতে পরপর চারটি পুরস্কার

পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী এর ছবি কথামৃত এর ঝুলিতে এবার পরপর চারটি পুরস্কার। গত ১৮ই নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে ছবি কথামৃত। মুক্তির পরে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ছবি। এবার নানা ফিল্ম ফেস্টিভালে পুরস্কার নিয়ে ঝুলি ভরছে এই ছবি। বেস্ট ফিল্ম, বেস্ট অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলী, বেস্ট ডিরেক্টর জিৎ চক্রবর্তী, বেস্ট অরিজিনাল স্টোরি ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে এই ছবি। ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলী ও অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য কে। একজন বোবা (কথা বলতে না পারা) মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক গাঙ্গুলী কে। আর তাই একটা ছোট্টো লাল ডাইরিতে লিখে রাখেন নিজের মনের সমস্ত কথা গুলো। সেই ডাইরির নাম কথামৃত। ছবিতে কৌশিক গাঙ্গুলীর স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য কে।গল্পের প্রেক্ষাপট কিছুটা এমন, নিজেদের পাড়ার আদর্শ স্বামী-স্ত্রী সনাতন (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়) ও সুলেখা (অপরাজিতা আঢ্য)। ছেলে ঋককে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার। তাঁদের এই ভালোবাসায় ভরা পরিবারকে পছন্দ করে এলাকার সমস্ত মানুষ। সনাতন কথা বলতে পারেন না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পরিচিত ব্যক্তিরা তাঁর মনের ভাব বুঝতে পারেন। তবে, মনের কথা বলার জন্য় তিনি একটি পকেট ডায়রি সবসময় সঙ্গে রাখেন। সেই ডায়রিটিকেই তিনি কথামৃত নাম দিয়েছেন। ছবিতে আরো দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন বিশ্বনাথ বসু ও অদিতি চ্যাটার্জি। ছবির পরিচালক জিত চক্রবর্ত্তী জানান এটি কৌশিক গাঙ্গুলী ও অপরাজিতা আড্য এর এক অনন্য জীবনের গল্প। মানুষের জীবনে কথা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নিয়ে এই ছবি। প্রতিটি সম্পর্কের বুননে কথার গুরুত্ব এই কথামৃত। ছবিটি মুক্তি পেয়েছে জালান প্রোডাকশন এর ব্যানারে প্রযোজক প্রীতম জালান এর প্রযোজনায়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২২
স্বাস্থ্য

ডক্টরস্ এক্সসেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২

ভগবানের পর আমাদের জীবনে যাদের অবদান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তারা হলেন ডাক্তার। তাদেরই প্রয়াসে নতুন জীবন পাই আমরা। এবার সেই সব ডাক্তারদের সম্মাননা জ্ঞাপনের বিশেষ প্রয়াস নেওয়া হল। উদ্যোগে এস এস মিডিয়া এন্ড প্রোডাকশন। শনিবার তাদের উদ্যোগে আয়োজিত হল ডক্টর এক্সসেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২। স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে এই সব মানুষদের যে অবদান তাকে কুর্নিশ জানাতেই এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন বলে জানালেন উদ্যোক্তা শুভাশিস সাহা। শুধু তাই নয় সাস্থ পরিষেবা ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করতেও এবং এই ক্ষেত্রে যাতে আরো নতুন চিন্তা ভাবনা এবং উদ্ভাবন হয় সেটার ওপরও নজর দেন উদ্যোক্তারা। এবছর খ্যাতনামা চিকিৎসক রূপালি বসু প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: জয়ন্ত কুমার গুপ্ত ও বিশেষ সম্মানে ভূষিত হলেন ডা: সুচেতনা সেনগুপ্ত। এছাড়া এস এস মিডিয়া অ্যান্ড প্রোডাকশন কর্তৃক আয়োজিত ডক্টরস অ্যাওয়ার্ড ২২ প্রদান করা হলো ডক্টর ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়, ডক্টর সঞ্জয় সেন, ডক্টর সায়ন্তনী সেনগুপ্ত, ডক্টর সুপর্ণা ব্যানার্জি, ডক্টর ক্যামিলা সাহা, ডক্টর বিনায়ক চন্দ , ডক্টর দীপঙ্কর রায়, ডক্টর , জয়ন্ত চক্রবর্তী, ডক্টর শৈবাল ব্যানার্জি, ডক্টর অনুজ কান্তি পোদ্দার, সমাজসেবী দিলীপ কুমার জয়সোয়াল, ডায়েটসিয়ান চেতু সিংহী সহ অন্যান্যদের। এদিন মঞ্চে ডাক্তারদের সম্মাননা প্রদান করার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।এই নিয়ে দ্বিতীয় বছরে পড়ল এস এস মিডিয়া অ্যান্ড প্রোডাকশনের এই উদ্যোগ। মূল উদ্যোক্তা শুভাশিস সাহার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপস্থিত সকলেই।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
রাজ্য

শিক্ষারত্ন পুরস্কারে ভূষিত শিক্ষক পেনশন না পেয়ে আত্মঘাতী

তিন বছর অবসর নেবার পরও পেনশন না পেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক শিক্ষক। মৃত শিক্ষকের নাম সুনীল কুমার দাস (শিক্ষারত্ন)। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া দেবীপুর রাজবাগান এলাকায়। ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষারত্ন উপাধি পেয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে।নানা স্কুলে চাকরি করার পরে তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে অবসর নেন বলে পরিজন সুত্রে জানা গেছে। তাঁর পরিবারে কোনও সমস্যা ছিলনা বলেও তাঁরা জানান। সুনীল দাসের দুই কন্যার বিয়ে হয়ে গেছে।এছাড়াও ছেলে পি এইচ ডি সম্পূর্ণ করেছেন। গতকাল বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছে বলে পরিবারের মানুষজন জানিয়েছেন।তার আত্মীয়রা জানান, তিনি খুবই চাপা স্বভাবের হওয়ার দরুন, তার মনের কথা কাউকে জানতে দেন নি। হঠাৎ এই ঘটনায় সবাই মুষড়ে পড়েছে। তার স্ত্রী সাধনা দাস জানান, পেনশন না পাওয়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে ভীষণ উদ্বেগে ভুগছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও পেনসানের সুরাহা করতে পারেননি। ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষারত্ন পান। ওই বছরই তিনি অবসর নেন। এলাকার মানুষেরা জানিয়েছেন তার শিক্ষাবিস্তারে অনেক অবদান ছিল। অনেককে সাহায্য পড়াশোনার ব্যাপারে করেছেন। তাঁর এই পরিণতিতে সবাই ভেঙে পড়েছেন।

আগস্ট ১৭, ২০২২
রাজ্য

'গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা করলে আলকাতরা আমার কাছেও আছে'-মমতা

নজরুল মঞ্চে বঙ্গবিভূষণ, বঙ্গভূষণ, মহানায়ক সহ সমাজের নানা স্তরে বাংলার সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদানের মঞ্চেই রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যের প্রথমেই মমতা বলেন, আমি কোনও অন্যায়কে সাপোর্ট করি না। তারপরই নিজের আয়ের কথা ঘোষণা করতে থাকেন। তবে তাঁর নামে কালি ছেটালে পাল্টা ব্যবস্থা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই সাধু একথা বলতে পারি না। সাধুর মধ্যেও ভুত আছে। সবাই ১০০ শতাংশ কারেক্ট কাজ করবে এটাও বলব না। জেনেশুনে আমি আজ পর্যন্ত আমি অন্যায় করতে দিইনি। সত্যির বিচার হোক। সত্যি দোষী প্রমানিত হলে যাবজ্জীবন কারা দন্ড দিলে আমি কিছু মনে করব না।সিপিএম ও বিজেপি মুখ্য়মন্ত্রীর ছবি নিয়ে প্রচার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। যদি কেউ চোর হয়, ডাকাত হয় তৃণমূল কংগ্রেস রেয়াত করে না। অযথা আমার গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা করলে আলকাতরা আমার কাছেও আছে। হোয়াইটওয়াশ করতে চাই। আলকাতরা কখনও পরিস্কার হয় না। কোনও চাকরির ক্ষেত্রে ১০০ টার মধ্যে ১টা নিজের লোককে দেয় না! আমরা আইন মেনে চলি। এতদিন জানতে পারলাম না। আগে টাকা নেওয়া জানালেই অ্যাকশন হত। একলক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হল ২০০ জনের কমপ্লেন হল। বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা করি। বিচার ব্যবস্থার ওপর বিজেপির প্রভাব কতটা আছি তা জানি।এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, মূল্যবান গয়না, বিভিন্ন নথি উদ্ধার করে। অর্পিতাকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন এমন একটা ভিডিও বিরোধীরা প্রচার করতে শুরু করেন। মমতা বলেন, আমি একটা প্যান্ডেলে গিয়েছি, সে নাকি পার্থর বন্ধু আমি কী করে জানব? এক মহিলাকে নিয়ে সব মহিলাকে টানছে। বিচারে আমরা কোনও নাক গলাবো না। অন্য়ায় সাপোর্ট করব না। তবে আমার সম্মানহানি করলে আহত সিংহ কিন্তু ভয়ঙ্কর। জীবনে মাথানত করি না। মাথানত করলে মানুষের কাছে করব। মা-মাটি-মানুষের কাছে করব। যে অন্যায় করেছে তাঁর বিরুদ্ধে যা পারুন করুন। কিন্তু আমার গায়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করবেন না। আমি জানি কী করে লড়াই করতে হবে। আমি দুঃখিত, মর্মাহত। চোর ডাকাতকে প্রশ্রয় দিই না। আমি যদি না বলতাম সংবাদ মাধ্যম বলত আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি।

জুলাই ২৫, ২০২২
রাজ্য

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ 'বঙ্গবিভূষণ' নিতে পারছেন না, কারণ নিয়ে তর্জা তুঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারছেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাঁর ঘনিষ্ট মহল সূত্রে খবর, তিনি সারা কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন, এবার, নতুন কাউকে সেই সম্মান দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন অমর্ত্য সেন। বর্তমানে অমর্ত্য সেন বিদেশে আছেন। সোমবার রাজ্য সরকারের এই সম্মান জ্ঞাপণ অনুষ্ঠানে তিনি কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন না। সূত্রের খবর, তাঁর মতামত জেনেই পুরস্কারপ্রাপকের চূড়ান্ত তালিকায় অমর্ত্য সেনের নাম রাখা হয়নি। নোবেলজয়ীর পরিবার সূত্রে খবর অমর্ত্য সেন কলকাতায় ফিরছেন না, তাই পুরস্কার নিতে পারছেন না।প্রসঙ্গত, অমর্ত্যের বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার নিতে না করার খবর প্রকাশ্যে আসার সময়েই রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে নিয়ে তৃণমূল কিছুটা অস্বস্তিতে। ফলে বিরোধী শিবিরের একাংশ (প্রধানত সিপিএম) বলতে শুরু করে যে পার্থর ঘটনার প্রতিবাদেই অমর্ত্য সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির নিয়ে কলকাতা শহরে ধর্মতলায় ধর্নায় বসা ছাত্র ছাত্রীদের কাছে উপস্থিত হন, এবং সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রীর পার্থ-র ইডি কর্তৃক গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দশ্য করে এই পুরস্কার না নেওয়ার আবেদন জানান। সুজনের দাবী, তাঁদের আবেদন মেনেই এই পুরস্কার না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অমর্ত্য। সিপিএম ও একাংশের দাবি, সেই ডাকে সাড়া দিয়েই সম্মান নিতে রাজি হননি অমর্ত্য। যদিও সূত্রের খবর, অমর্ত্য তার আগেই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।সোমবার, রাজ্য সরকারের দুই নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জীকে বঙ্গ বিভূষণ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর কথা ছিল। একটি সূত্রের খবর, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন। তাই তিনিও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরুল মঞ্চে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার প্রদান করবেন। ভারতীয় ফুটবলে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলার তিন প্রধান খ্যাত মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকেও বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হবে। এসএসকেএম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকেও একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে তাঁর সার্বিক সাফল্যের জন্য সম্মান দেওয়া হবে।

জুলাই ২৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বিশেষ সম্মানে সম্মানিত আইএনআইএফডি সল্টলেক

প্ল্যাটিনাম সেন্টার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করল সল্টলেকের আইএনআইএফডি। উপস্থিত ছিলেন আইএনআইএফডি গ্লোবালের সিইও অনীক খোসলা সহ আরও বিশিষ্টরা। এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন টলিউড অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জি ও অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। গত ২৫ বছর ধরে সফলভাবে ফ্যাশন ও ইন্টিরিয়র ডিজাইনে নজর কেড়েছে আইএনআইএফডি সল্টলেক। অ্যাওয়ার্ড পেয়ে সংস্থার সকলেই উচ্ছ্বসিত। এক সাক্ষাৎকারে ম্যানেজার অর্ণব রায় জানিয়েছেন, ভারতের প্ল্যাটিনাম সেন্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত। আইএনাইএফডি সল্টলেকের পরিশ্রমের ফসল হল এই অ্যাওয়ার্ড। ফ্যাশন ও ইন্টিরিয়র ডিজাইনে আগামী দিনে নতুন প্রতিভা তুলে আনার ভাবনা রয়েছে আমাদের।

জুলাই ০৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সাইকেল এক করে দিল সাইক্লিস্ট ও সঙ্গীতশিল্পীকে

একজন পাহাড়ে, পাহাড়ে ঘুরে বেড়ান, আর আরেকজন স্ট্রিট মিউজিক করেন শহরের রাস্তা থেকে সুন্দরবনের গ্রামে।একজন চন্দন বিশ্বাস, আরেকজন নীলাঞ্জন সাহা। এদের মিল বাইসাইকেল-এ। চন্দন বেড়িয়ে পড়েন নানা পাহাড়ের উঁচু-নিচু রাস্তায়, ঘুরে ফেরেন এমন রাস্তায় যা খুব কম লোকই পাড়ি দিয়েছেন, শুধু ঘুরেই বেড়াননি,বানিয়েছেন ডকুমেন্টারি ছবি চরৈবেতি দেখান হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। আর এই ঘুরে বেড়ানোটা সবটাই কলকাতা থেকে সঙ্গী বাইসাইকেল। আরেকজন নীলাঞ্জন সাহা কলকাতার রাজপথে স্ট্রিট মিউজিক নিয়ে কাজ করবেন বলে ভেবে ফেলেন এক অভিনব ভাবনা।মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ, হ্যাঁ এটাই তাঁর ব্র্যান্ড। এখন অনেকেই তাঁকে সেই নামেই চেনেন। পারফর্ম করেছেন কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, মাউন্টেন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এর মতো অনুষ্ঠানে। নিজে উদ্যোগী হয়ে করেছেন কলকাতা ইনস্ট্রুমেন্টাল জ্যামিং ফেস্টিভ্যাল। গোলপার্কের মোড়ে বাইসাইকেলকে সঙ্গী করে স্যান্ডউইচ বিক্রির সাথে গানের উপহার আজ অনেকেই জানেন। অনেকেই আসেন এই স্ট্রিট মিউজিক উপভোগ করতে। এসেছেন তিমির বিশ্বাস, সমীধ-ঊর্ভির মতো পরিচিত শিল্পীরা গলা মিলিয়েছেন গানে। বাইসাইকেলকে সঙ্গী করে কলকাতা থেকে পাড়ি দেন সুন্দরবনে এক স্থানীয় স্কুলে কচিকাঁচাদের গান শেখাতে।এমনই দুই বাইসাইকেলিস্টদের সম্মান জানানো হল খুকুমণি-সিন্দুর ও আলতার পক্ষ থেকে কলকাতার আইসিসিআর এর স্পাইসেস এন্ড সসেস ক্যাফেতে। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্ণধার অরিত্র রায়চৌধুরী। এদিন চন্দন বিশ্বাস বললেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৮ সাইকেল নিয়ে ট্রান্স হিমালয়ান সফর শুরু করি, কলকাতা, বাংলাদেশ, ত্রিপুরা হয়ে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল ঘুরে সেখান থেকে ভুটান পৌঁছই। তারপর সিকিম ঘুরে শিলিগুড়িতে আসি। সেখান থেকে গন্তব্য ছিল নেপাল। ২-৩ মে সাইকেল নিয়ে রওনা দিই নেপালে। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সেই জায়গার ছবি-ভিডিও তোলা আর সেখানকার নানা তথ্য সংগ্রহের অমোঘ নেশা আমার এই সব জার্নির পিছনের মূল লক্ষ্য। সম্প্রতি একটা তথ্যচিত্র বানিয়েছি চরৈবেতি যেটা কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে।নীলাঞ্জন সাহা তার জার্নি শেয়ার করে বলেন, গানকে সঙ্গী করে আগামী দিনে পথ চলার ইচ্ছা রয়েছে। মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ করার উদ্দেশ্য ছিল স্ট্রিট মিউজিককে একটা জায়গা করে দেওয়া। স্ট্রিট মিউজিক নিয়ে চর্চা হওয়া।সব কিছুর জন্য একটা অর্থ লাগে তাই স্যান্ডউইচ বিক্রির কনসেপ্টটা মাথায় আসে। কিছুটা হাতখরচ তো আসে।আর সাথে রইল গান। সঙ্গী বাইসাইকেল। এই বাইসাইকেল কেন বলতে দুজনেরই মত দূষণহীন এই যান প্রকৃতির পক্ষে ভালো, সাইকেলিং করলে শরীর ভালো থাকে, ভীড় এড়িয়ে নিজের মতো করে চলা যায়।এদিন খুকুমণি এর পক্ষে সংস্থার কর্ণধার অরিত্র রায়চৌধুরী বলেন, যাঁরা এই ধরনের কাজে এগিয়ে আসেন। এই অকুতোভয় যুবকেরা যাঁরা এই প্রজন্মের প্রতিনিধি এই রকম কাজ করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তাঁদের আমরা আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে কুর্নিশ জানাই। এরকম একটা উদ্যোগ আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। জীবনে একটু অন্যরকম ভাবেও যে ভাবা যায় আর সেই মাধ্যমের প্রতি ভালোবাসা, নিষ্ঠা দিয়ে যে নিজের পরিচয় গড়ে তোলা যায় এই দুই যুবক তার নজির সৃষ্টি করেছেন। বাইসাইকেলকে সঙ্গী করে ওঁদের এই যাত্রাপথ আরও ভালোভাবে এগিয়ে যাক এটাই আমি চাই।

জুন ০১, ২০২২
রাজ্য

অবলুপ্ত প্রায় প্রাণী ও পতঙ্গের মৃতদেহ সংরক্ষণ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে পুরস্কৃত ভাগ চাষি ছেলে

প্রকৃতির অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্যে সর্বাগ্রে দরকার প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের সঙ্গে মানুষের বন্ধন। কিন্তু নগরায়ন, অরণ্য বিনাশ, প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার ও মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের জন্যে অবলুপ্তি ঘটেছে সেই বন্ধনের। তার কারণে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী,পতঙ্গ ও উদ্ভিদ। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে কয়েক বছর ধরে এক অনবদ্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞান নিয়ে পড়ুশানা করা বাঙালি ছাত্র তরুণ পাল। তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে সংরক্ষণ করে রাখছেন বিলুপ্ত হতেবসা বভিন্ন প্রাণী ও পতঙ্গের মৃত দেহ। আর এই কাজেরই স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের নানা পুরস্কার ও মানপত্র। যা নিয়ে গর্বিত ছাত্র তরুণের পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসী।দার্জিলিং হিল ইউনিভার্সিটি থেকে গণিত বষয়ে এম-এসসি পাঠরত ছাত্র তরুণ পালের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বোঁয়াইচণ্ডী গ্রামে। তাঁর বাবা নিত্যানন্দ পাল পেশায় ভাগ চাষি। মা ঝর্ণাদেবী সাধারণ গৃহবধূ।বোন মনীষা পাল পড়াশুনা করছে স্নাতক স্তরে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা কালেই বিভিন্ন প্রাণী,পতঙ্গ ও উদ্ভিদের বিষয়ে জানার আগ্রহ বাড়তে শুরু করে ছাত্র তরুণের। সেই সময় থেকেই তিনি বিভিন্ন প্রাণী,পতঙ্গ ও উদ্ভিদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে হাই স্কুলে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা কালে তরুণ জানতে পারেন শুধু ডাইনোসর, নয়, আরো অনেক প্রাণী ও পতঙ্গ এই পৃথিবী থেকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তিনি শিক্ষকদের কাছথেকে ও বই পড়ে এও জানতে পারেন, এই বিলুপ্তির কারণ মূলত নগরায়ন, অরণ্য বিনাশ, প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার ও মানুষের নানা কর্মকাণ্ড। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠরত কাল থেকেই ছাত্র তরুণ পাল বিভিন্ন প্রাণী ও কীটপতঙ্গের মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন। এর কারণ প্রসঙ্গে তরুণের বক্তব্য, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পরেও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁর সংরক্ষণে থাকা প্রাণী ও পতঙ্গের দেহ গুলি দেখে তাদের বিষয়ে জানতে পারবে।তরুণ পাল জানান, নগরায়নের জাঁতাকলে পড়ে গ্রামে গঞ্জেও বনাঞ্চল কমছে। এছাড়াও দূষণ যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে প্লাস্টিক ও কিটনাসকের ব্যবহার। এইসবের কারণে বিভিন্ন প্রাণী ও কীটপতঙ্গ অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তা অনুধাবন করেই তিনি প্রথম সংরক্ষণ করেন একটি মৃত খরগোশের দেহ। এই কাজটি করার জন্যে তিনি স্কুল জীবনে ল্যাবরেটরিতে ছুরি, কাঁচির ব্যবহার বিষয়ে যে শিক্ষা পেয়েছিলেন সেটাকেই কাজে লাগান।তরুণ পাল বলেন, প্রথমে ছুরি ও কাঁচির সাহায্যে মৃত খরগোসের দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান অংশ কেটে বের করে দেন। তারপর নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি ফরমালিন মেশানো লবন সিক্ত জলে ওই খরগোশের দেহ ৭-৮ ঘন্টা চুবিয়ে রাখার পর সেটিকে শুকিয়ে নেন। এরপর খরগোশের ওই গোটা দেহাংশ অক্সিজেন বিহীন কাঁচের জারে ভরে শিল করে দেন। ৫-৬ বছর হয়ে গেল ওই কাঁচের জারেই অক্ষত রয়েছে খরগোশের দেহাংশ। কোন পচনও ধরে নি। একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ফিতাকৃমি, বেঙাচি, সাপের বাচ্চা, বেজি, গিরগিটি,তেঁতুলে বিছা, মথ, রাত পাখি, ইঁদুরের ভ্রুণ এবং শিবলিঙ্গ ফুল সংরক্ষণ করে বাড়িতে রেখেছেন বলে ছাত্র তরুণ পাল জানিয়েছেন।জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল থকে পুরস্কৃত ভাগ চাষি ছেলেঅভিনব ভাবনার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ভাগ চাষীর ছেলে তরুন পাল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল থেকেও নানা পুরস্কার এবং মানপত্র পেয়েছেন। হোপ ইন্টারন্যাশানাল, ইন্ডিয়ান,স্টেট ও স্টার বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর স্বীকৃতি পত্র ও পুরস্কার তরুণ পালের ঘরে তো সাজানো রয়েইছে। এছাড়াও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড রেকর্ড, ডিসকভার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, ওয়ার্ল্ড গ্রেটেস্ট রেকর্ড, ইন্ডিয়াস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সহ ১৭ টি সংস্থার স্বীকৃতি ও পুরস্কার ইতিমধ্যেই ছাত্র তরুণ লাভ করেছেন।ছেলের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে গর্বিত তাঁর বাবা নিত্যানন্দ পাল ও মা ঝর্ণাদেবী। নিত্যানন্দ বাবু বলেন,ছেলে মরা প্রাণী ও পতঙ্গ নিয়ে আসলে কি করতে ছাইছে তার কিছুই প্রথমে তিনি বুঝতে পারিনি। পরে ধীরে ধীরে বুঝতে পারি আমার ছেলে তরুণের ভাবনার গভীরতা অনেক। এই টুকু বুঝেছি, একটা দিন হয়তো এমন আসবে যখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া অনেক প্রাণী ও পতঙ্গের বিষয়ে জানতে আমার বাড়িতেই আসবে। মা ঝর্ণাদেবী বলেন, আমার ছেলে তরুণ শুধু মাত্র বিলুপ্ত হতে বসা প্রাণী ও পতঙ্গের দেহ সংরক্ষণ করে রাখার কাজের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখে নি। বাবা ও মায়েরা তাঁদের শিশুকে কিভাবে মানুষ করলে ও শিক্ষা দিলে ওই শিশুর মধ্যে সু-ভাবনা চিন্তা সম্পন্ন মানসিকতা গড়ে উঠবে এবং বড় হয়ে সে সকলের জন্য ভাববে এই বিষয়টি নিয়ে তরুণ গবেষণা মূলক একটি বইও লিখছে। পাশাপাশি অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের ভালোর জন্যে কিছু কাজ করার ব্যাপারেও উদ্যোগ নিচ্ছে ছেলে তরুণ। মানব কল্যাণমূলক কাজে ছেলের সাথী হতে চান বলে ঝর্ণাদেবী জানিয়েছেন। খণ্ডঘোষের জেলাপরিষদ সদস্য অপার্থিব ইসলাম ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত কুমার বাগদি বলেন, তরুণ পালের ভবনা চিন্তা ও কর্মকাণ্ড এক কথায় অনবদ্য। উনি গোটা খণ্ডঘোষ বাসীকে গর্বিত করেছেন। যে কোন প্রয়োজনে উনার পাশে আমরা থাকবো।

মে ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

হিরালাল সেন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়

কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে বিএফটিসিসির উদ্যোগে আয়োজিত হল অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি। বিশেষ দিনে হিরালাল সেন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হল অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়কে। দেবকী কুমার বোস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হল জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষ কে। এর পাশাপাশি বি এন সরকার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার জিতলেন সুরিন্দর ফিল্মসের কর্ণধার সর্দার সুরিন্দর সিং, কালিস মুখার্জি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক নির্মল ধর। বাংলাদেশের ইলিয়াস কাঞ্চন ও রাজ রাজ্জাকের হাতে তুলে দেওয়া হয় লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। শুধু তাই নয়, স্বল্পদৈর্ঘ ও তথ্যচিত্র নির্মাতাদেরও বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। এই অ্যাওয়ার্ড সেরিমনিতে উপস্থিত ছিলেন গার্গী রায়চৌধুরী, অনীক দত্ত, দেবজ্যোতি মিশ্র, জয়া শীল ঘোষ, রঞ্জিত মল্লিক, কোয়েল মল্লিক, আলমগীর, ফিরদৌসাল হাসান সহ আরও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

মে ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

কলকাতা চলচিত্র উৎসবে 'ব্রাত্য' অভিনেত্রীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়

বেশ কয়েকদিন আগেই শ্রীলেখা মিত্র সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তর ছবি ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন ক্যালকাটা তে অভিনয় করে নিউইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রী হিসাবে মনোনীত হয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। এবার তিনি আরও একটি সুখবর দিলেন।আদিত্যর এই ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জিতলেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। সকাল সকাল এই খুশির খবরটা তাঁর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখা একটি ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেন। ওই পোস্টে সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। যাঁরা ভালবাসে কিংবা ঘৃণা করে তাঁদের সকলকেই ধন্যবাদ জানান। স্বর্গীয় মা, বাবার কথাও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে উল্লেখ করেন অভিনেত্রী।কয়েকদিন আগেই কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। শহর জুড়ে নানান চলচিত্রের ভিড়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছোটো বড় মাঝারীদের ভিড়ের কোথাও দেখা মেলেনি এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রীর। শ্রীলেখার অক্ষেপ, হয়ত বা তিনি বাম মনোভাবাপন্ন বলেই তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেতা জনতার কথা কে জানান, শিল্পীর পরিচয় তাঁর কাজে, তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শের বিচার রাজনিতীর ময়দানেই হওয়া উচিত।উল্লেখ্য গত বছর ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন ক্যালকাটা ছবিটি দেখানো হয়েছিল। তখন থেকেই ছবিটি নিয়ে আলোচনা চলছে। শ্রীলেখা সেরা অভিনেত্রী হলেন, সেরা পরিচালকের শিরোপা পেলেন আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত।

মে ১৫, ২০২২
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রী বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ায় আকাদেমী পুরস্কার ফেরালেন বাংলার লেখিকা

বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তা জানার পরেই প্রতিবাদ স্বরুপ অন্নদাশঙ্কর সম্মামনা ত্যাগ করলেন বর্ধমানের খাগড়াগড় নিবাসী লেখিকা ও গবেষক রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায়।পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিকে চিঠি পাঠিয়ে লেখিকা তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছেন ।পাশাপাশি ২০১৯ সালে পাওয়া অন্নদাশঙ্কর সম্মামনা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। লেখিকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি কবি ও সাহিত্যিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যদিও লেখিকা রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায় তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।এই বছরই প্রথম বাংলা আকাদেমির নামাঙ্কিত রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। সমাজের অন্যান ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা আকাদেমি।তারা বাংলার বেশ কাছু পথিতযশা সাহিত্যিকের মতামত নিয়ে কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্যে প্রথম বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার দেওয়ায় জন্য মনোনিত করেন। সোমবার ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে রাজ্য সরকার আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা আকাদেমি রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দবতরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার বিষটি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি লেখিকা ও গবেষক রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায়।তিনি ২০০৯ সালে ও ২০১৯ সালে আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। মুসলিম বিয়ের গান সহ নানা বিষয়ে গবেষণা রয়েছে। অজস্র প্রবন্ধ ও গল্প লেখিকা রত্নাদেবীর ঝুলিতে রয়েছে ৩০ টি পুরস্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছেও ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, যেভাবে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার। পাশাপাশি রত্নাদেবী এও বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লেখাগুলিকে তিনি সাহিত্য পদবাচ্য বলেই মনে করেন না। যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিলেনে তা নিয়েও তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।এরপরেই তিনি জানিয়ে দেন ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আকাদেমি পুরস্কার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে ২০১৯ সালে পাওয়া আকাডমি পুরস্কারটি তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে লেখিকা রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায় দাবী করেন, সোমবার মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে আকাদেমি পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। কারণ এতে পুরস্কারের গরিমা রক্ষিত হয়নি। তিনি মনে করেন, সাহিত্য সাধনার বিষয়। সেই সাহিত্য বিষয়ে কাউকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি কোনওভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারে না।

মে ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক পেটের তাগিদে খুন্তি ধরেছেন

তিনি ২৭ বছর ধরে নাটকের সঙ্গে যুক্ত। কাটাকুটি, চিলেকোঠা-র মতো ছবি নির্মাণ করেছেন। চিলেকোঠা ছবিতে অভিনয় করেছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, ঋত্বিক চক্রবর্তীর মতো তারকারা। সিডনি চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয় তাঁর এই ছবি। সেই পরিচালক প্রেমাংশু রায়ের জীবন এখন অন্ধকারে ঢাকা। করোনায় সংসার সামলাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে। বাধ্য হয়ে নিজের চেনা গণ্ডী থেকে বেরিয়ে ফাস্ট ফুড এর দোকান খুললেন তিনি।বেহালার বাগপোতা রোডের এই ফাস্ট ফুডের দোকানের নাম সূচক ফুড কর্নার। প্রেমাংশুর ৮ বছরের ছেলে সূচকের নামে এই ফাস্ট ফুডের দোকান খুলেছেন তিনি। পয়লা বৈশাখের দিন উদ্বোধন হয়েছে সূচক ফুড কর্ণার। প্রেমাংশু লিখেছেন, বেহালা, সরশুনা, বাগপোতা রোডে, নিউ ভিস্তা অ্যাকাডেমি স্কুলের বিপরীতে তাঁর এই দোকান। জোম্যাটো ও সুইগি থেকে খাবার অর্ডার দেওয়া যাবে এখানে। এর আগে একটি পোস্টে বাংলা নাট্য জগত থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রেমাংশু লিখেছিলেন, গত সাতাশ বছরে তিনি এই জগতে কোনও উন্নতি করতে পারেননি।ফাস্ট ফুডের দোকান খুললেও প্রেমাংশু জানিয়েছেন, আগামী দিনে তিনি নাট্য জগতে আবার পা রাখবেন। তাঁর এখন অনেক কিছুর জবাব দেওয়া বাকি। তাই জবাব দেবেন, তবে নিঃশব্দে। প্রেমাংশুর এই নতুন লড়াইয়ের জন্য জনতার কথা-র পক্ষ থেকে রইল অনেক শুভেচ্ছা।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে কেন আমন্ত্রণ জেটেনি? কী জানালেন শ্রীলেখা

সোমবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে জমকালো ভাবে শুরু হল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২৭তম বছরে পদার্পণ করল। গতবছর করোনা বিধিনিষধের কারণে এই উৎসব বাতিল করা হয়েছিল। তারকা-খচিত ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার তথাকথিত বিশিষ্ট শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বনামধন্য চিত্র পরিচালক সন্দীপ রায়, গৌতম ঘোষ এছাড়াও অভিনেতা রঞ্জিৎ মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ ও অভিনেত্রী নুসরত জাহান, শতাব্দী রায়, অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার, অভিনেত্রী ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সায়নী ঘোষ, সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়-সহ অন্যান্যরা।এবছর বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন সদ্য আসানসোল উপ-নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল সাংসদ সস্ত্রীক শত্রুঘ্ন সিনহা। বিগত কয়েকবছর ধরেই কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সুরটা একটা অন্য মাত্রায় বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন বাংলার জামাই ভারতীয় চলচিত্রের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন। তাঁর উদ্বোধনী ভাষণ ছিল এক সুত্রে বাঁধা চলচিত্র ইতিহাসের মালা। চলচিত্র সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞ্যান না থাকা ব্যাক্তিও ভারতীয় চলচিত্রের ইতিহাস অবলীলায় গলধকরণ করে ফেলতে পারতেন। এবছরের অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন না, ছিলেন না বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসাডার শাহরুখ খান।মে মাসের প্রথম দিন পর্যন্ত চলবে চলচ্চিত্র উৎসব। চল্লিশটি দেশের মোট ১৬৩টি চলচিত্র দেখানো হবে শহরের ১০টি প্রেক্ষাগৃহে। ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ফোকাস কান্ট্রি ফিনল্যান্ড। ফিনল্যান্ডের সাতটি ছবি এবারের উৎসবে দেখানো হবে। এছাড়াও ভারতবর্ষের স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তী পূর্তির জন্য কয়েকটি বিশেষ ছবি রাখা হয়েছে।  চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে শতবর্ষ উপলক্ষে সম্মান জানানো হচ্ছে দুই কিংবদন্তী সত্যজিৎ রায় ও চিদানন্দ দাশগুপ্তকে।ভেনিস চলচিত্র উৎসবউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকাতার খ্যাত / অখ্যাত চিত্র ও টেলিভিশন দুনিয়ার নামী বা উঠতি অভিনেতা অভিনেত্রীদের উপস্থিতি দেখা গেলেও, উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি শ্রীলেখা মিত্র। নব্বইয়ের দশকে যাঁর অভিনয় যাত্রা শুরু, প্রচুর জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়ালে তিনি সাফল্য ও যোগ্যতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন। একাধিক পুরস্কারের বিজয়িনী শ্রীলেখা ভারতীয় চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁর প্রাণের শহর মনের শহরে অনুষ্ঠিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ-ই পেলেন না শ্রীলেখা! সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী- লিখেছেন এটা কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? প্রশ্ন অভিনেত্রীর।শ্রীলেখা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব থেকে কোনও ইনভাইট আসেনি। এমনকি একটা ফোন পর্যন্ত না। এটা কি আমার পলিটিক্যাল ওপিনিয়ান-এর কারণে না অন্য কোনও অজ্ঞাত কারণ আছে? টিএমসি সরকার কি ভিন্ডিক্টটিভ মাইরি! অভিনেত্রী জনতার কথা কে জানিয়েছেন তাঁর বামপন্থী মনোভাবাপন্নতার জন্যই সংগঠকরা প্রতিহিংশাপরায়ণ হয়ে তাঁকে ব্রাত্য করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি সেই ভাবে তোষামোদ করতে পারেন না বলেই তাঁকে কাজ দেওয়া হয় না। শ্রীলেখা জনতার কথা কে আরও বলেন, সমগ্র বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে শিল্পীর কোনও রাজনৈতিক সত্ত্বা দেখা হয় না। সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত। কিন্তু এই চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চের মানুষজনকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে এটা তৃণমূল সরকারের প্রোগ্রাম।সামাজিক মাধ্যমে তাঁর কোনও এক গুনাগ্রাহীর প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে তিনি লেখেন যে আন্তর্যাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে উঠেছে তাঁর কাছে এই মঞ্চ...। তাঁর এই শ্লেষ থেকে এটুকু বুঝতে অসুবিধা হয় না, তিনি আমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হওয়ার থেকে তাঁর কাছে অনেক মূল্যবান তাঁর শিল্পী সত্তার সন্মান। কিছুদিন আগেই শ্রীলেখা মিত্র ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের রেড কার্পেটে হেঁটে এসেছেন। যে চলচিত্র উৎসবকে বিশ্বের সেরা তিন চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্যে একটি ধরা হয়। তিনি নিউইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন পরিচালক আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তর ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা সিনেমার জন্য। আর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেই স্বনামধন্য অভিনেত্রীকেই তাঁর নিজের রাজ্যের চলচ্চিত্র উৎসবে নিমন্ত্রণ করা হল না!নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টলিপাড়ার ছোট বড় মাঝারি বহু তারকার দেখা মিললেও, শ্রীলেখার দেখা মেলেনি। শ্রীলেখা বরাবরই বামপন্থী রাজনীতির সমর্থক। এমনকী গত বিধানসভা নির্বাচনে চিত্র জগতের যখন ফুলমেলা চলছিল, কে কোন ফুল হাতে নেবে তাঁর প্রতিযোগিতা চলছিল, তখনও তিনি তাঁর মতাদর্শ আঁকড়ে কাস্তেকেই বেছে নিয়েছিলেন। শ্রীলেখা মিত্র ওই নির্বাচনে সারা বাংলা জুড়ে বাম শিবিরের হয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি বরাবরই প্রতিবাদী, শ্রীলেখা টলি-ইন্ড্রাস্ট্রির স্বজনপোষণ ও নানা রাজনৈতিক ইস্যু নিয়েও সরব হয়েছেন একাধিকবার। অভিজ্ঞ মহলের মতে, হয় তো তারই মাশুল গুণতে হল অভিনেত্রীকে!

এপ্রিল ২৬, ২০২২
দেশ

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আঁতুরঘর ছিল শচীন্দ্রলালের বাড়ি, সেখানেই থাকতেন বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আঁতুরঘর ছিল ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা শচীন্দ্রলাল সিংয়ের বাড়ি, অরুন্ধতি নগরের বাড়িতে থাকতেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান এবং রাতে শচীনবাবুর সরকারি বাসভবনে থাকতেন। মুজিব ও তাঁর সহকারীদের রান্না করে খাওয়াতেন শচীন্দ্রলালে-র ভগিনী হেমাঙ্গিনী সিং। শচীন্দ্রলাল এখনও ত্রিপুরার মানুষের মনে গেঁথে রয়েছেন। উন্নয়নের কান্ডারী টানা ২৪ বছরের মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিং জন্মসুত্রে ভিন রাজ্যের হলেও, কার্যত তিনি ত্রিপুরার ভূমিপুত্রই। ত্রিপুরার রূপকার বললে অত্য়ুক্তি হবে না।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নায়ক মুজিবর রহমান। যিনি বঙ্গবন্ধু নামে অধীক পরিচিত। আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকাও দেশবাসী অবগত রয়েছেন। পাকিস্তান ভেঙে নতুন দেশ গঠন না হলে এখন হয়তো অন্য ইতিহাস লেখা হত। কিন্তু একজনের কথা দেশবাসীকে স্মরণ করতেই হবে, তিনি হলেন ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা টানা ২৪ বছর প্রশাসনিক প্রধান শচীন্দ্রলাল সিং। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় মুজিবর রহমানের এদেশের ঘর ছিল শচীন্দ্রলালবাবুর বাড়ি। সেখানে থেকে যাবতীয় পরকল্পনা রচিত হত। তাছাড়া ত্রিপুরার উন্নয়নের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত শচীন্দ্রলাল সিং।স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার কারণে শচীন্দ্রলাল সিং ১৭ বছর ব্রিটিশ জেলে কাটিয়েছেন। ভারত সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভুমিকার জন্য ৯৭ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ, অতুল্য ঘোষ, গোপিনাথ বড়দলুই, হরেকৃষ্ণ মহাতাব, প্রফুল্ল্য সেনেদের সাথে শচীন্দ্রলাল সিংও ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী পেনসান কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।শচীন্দ্রলাল সিং যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ত্রিগুনা সেনকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলেন ত্রিপুরা থেকে। ওনার সঙ্গে ত্রিগুনা সেনের কথা ছিল কেন্দ্রে মন্ত্রী হলে ওএনজিসি দেবেন। ত্রিগুনা সেনের ঠিকানা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। ওই ডিমান্ড ফুলফিল করেছিলেন ত্রিগুনা সেন। শচীন্দ্রলাল সিংয়ের আমলেই রাজ্যে গোবিন্দ বল্লভ হাসপাতাল হয়েছিল। তারপর ত্রিপুরায় বড় কোনও হাসপাতাল হয়নি। পাওয়ার প্রোজেক্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কী হয়নি তখন পরশি রাজ্যে।বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় সব থেকে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল সিং। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন জেল থেকে বেরিয়ে শচীন্দ্রলাল সিংকে বাংলাদেশের ঢাকায় নিয়ে যান মুজিবর রহমান। সেখানে রেড কার্পেটে তাঁকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। মুজিবর রহমান শচীনবাবুর জন্য চেয়ার ছেড়ে দেন। তখন শচীনবাবু বলেছিলেন, এটা হয় না, আপনি বসুন। শচীন্দ্রলাল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্য়তম হোতা। মুজিবর রহমানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। শচীন্দ্রলালবাবুর ছোট ছেলে ঢাকায় গিয়েছিলেন। বাবার সৌজন্যে তাঁকে সোনার নৌকা দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। একসময় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল ত্রিপুরা, রাজ্য গঠন করার ক্ষেত্রেও অগ্রনী ভূমিকা ছিল শচীন্দ্রলাল সিংয়ের। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দাবি করেছিলেন রেললাইন চাই, ধর্মনগর অবধি সেই রেললাইন স্থাপিত হয়। ১৯৭৭ এ যখন তিনি সাংসদ হন সে সময় তৎকালীন রেলমন্ত্রী মধু দণ্ডবতকে অনশন করার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন ধর্মনগর থেকে আগরতলা রেললাইন করতে হবে। যেদিন সংসদ ভবনের সামনে অনশনে বসার কথা, সেদিন সকালে মধু দন্ডবতে তাঁর দিল্লী বাসভবনে এসে সরকারের অর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন আপাতত কুমারঘাট অবধি রেললাইন দেওয়া হচ্ছে, পড়ে ওটা বর্ধিত করা হবে।শচীন্দ্রলাল সিং খেলার প্রসারের জন্য স্টেডিয়াম করেছিলেন। উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. প্রতাপচন্দ্র চন্দ্র। মহারাণী কাঞ্চনপ্রভাদেবী বনমালীপুরে একটি বাড়ি দিয়েছিলেন ত্রিপুরার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শচীনবাবুকে বসবাস করার জন্য। ত্রিপুরার রূপকার শচীন্দ্রলাল খোঁজ নিয়ে জানলেন ত্রিপুরাতে কোনও মহিলা কলেজ নেই। তিনি মহিলাদের শিক্ষাপ্রসারের জন্য সেই বাড়ি দান করে দেন কলেজ করার জন্য। এখন সেখানে স্থাপিত হয়েছে আগরতলা উইমেন্স কলেজ। শচীনবাবুর প্রধান সহযোগীদের মধ্যে উল্লেখ্যগয় হলেন তসলাম ফা, ওয়াজেদ আলি, মনসুর আলি, চক্র ফা, বুলু কুকি, কৃষ্ণদাস ভট্টাচার্য। এই কৃষ্ণদাস তাঁর মন্ত্রী সভায় অর্থ মন্ত্রী ছিলেন।২০১২-এর ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্র, ঢাকাতে তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ মরণোত্তর মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সন্মাননা তাঁকে প্রদান করেন।মুজিবর রহমান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই থাকতেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী, জহরলাল নেহরুর সময় থেকেই। ১৯৭১ ১লা নভেম্বর সারাদিন বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ও শচীন্দ্রলাল সিংকে নিয়ে। ফিরে এসে আগরতলা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কথাবার্তা চলাকালীন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আপনি সীমান্ত খুলে দিয়েছেন, অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য করছেন, আপনি তো দেশকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ইন্দিরাকে ত্রিপুরার রূপকার শচীন্দ্রলাল জবাব দেন, আমি যা করছি তা দেশের মঙ্গলের জন্যই করেছি এবং আপনার জন্যই করছি। আমি একটা ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সমগ্র বিশ্ব আপনার নামই করবে, আমার নই। ইতিহাস আপনাকেই স্মরণ করবে। আরও বলেন, আমি আপনার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আপনি আমাকে রাজনীতি শেখাবেন না। একটা ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হজম না করতে পেরে দিল্লী ফিরেই ১লা নভেম্বর ১৯৭১ রাতে ত্রিপুরাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলেন ইন্দিরা। ভেঙে দিলেন কংগ্রেসের-ই সংখ্যাগড়িষ্ট সরকার। তবুও দমলেন না দেশ তথা ত্রিপুরার প্রতি দায়বদ্ধ শচীন্দ্রলাল সিং, তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে ফোন করে বলেন Imposition is a great sin। সেই রাতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন ত্যাগ করে পৈতৃক ভিটে জয়নগরের বাসভবনে ফিরে যান। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন দাপুটে ইন্দিরা গান্ধীকে। তখনও তাঁর পাশে ছিলেন ত্রিপুরার আপামর সাধারণ মানুষ। অনবরত সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছেন শচীনবাবুকে। নির্দল প্রার্থী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল।জাতপাতের উর্দ্ধে রাজনীতি করতেন শচীন্দ্রলাল সিং। মানুষকে মানুষ ভাবতেন। সাধারণের সঙ্গে মিশে যেতে পারতেন অনায়াসে। এই দেশে এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন অমিল। ত্রিপুরার আদিবাসীরা মনে করতে শচীন্দ্রনাথবাবু তাঁদের ঘরের লোক। আদিবাসী সমাজে তাঁর নাম ফাটা ছিলুম তার মানে ছেঁড়া কাপড়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে এতটাই আপন ছিলেন তিনি। কাছে টেনে নিয়েছিলেন মনিপুরি, সংখ্যালঘুসহ সকলকেই। কোনও ভেদাভেদ তাঁকে কখনও স্পর্শ করতে পারেননি। ২০০০ সালে ইহলোক ত্যাগ করলেও ত্রিপুরার মানুষ ভোলেনি শচীন্দ্রলাল সিংকে। এখনও তাঁর জন্মদিনের উৎসবে হাজির হন অগনিত মানুষ।শচীন্দ্রলালবাবুর বড় ছেলে আশিসলাল সিং ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এখন দলের কোর কমিটির সদস্য। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছেও আশিসবাবু কাছের মানুষ, মাটির মানুষ। পাহাড় থেকে সমতল হোক রাত-বিরেতে কেউ বিপদে পড়লেই পাশে থাকেন শচীন্দ্রপুত্র আশিসলাল। তিনিও মহান পিতার মতোই কোনও জাতিগত ভেদাভেদে বিশ্বাস করেন না। তাঁর ভাবনাতেও রয়েছে বাবার মতোই ত্রিপুরার উন্নয়ন।

এপ্রিল ২৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ভালো অভিনয়ের স্বীকৃতি, নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন শ্রীলেখা মিত্র

টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অভিনয় দক্ষতার পরিচয় তিনি বার বার দিয়েছেন। যার পরিনাম স্বরূপ আজও দর্শকদের মনের মণিকোঠায় তিনি। এবার অভিনেত্রী ও তাঁর অগণিত ভক্তদের জন্য রয়েছে একটা বিশেষ সুখবর। আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তর ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা। ভালো অভিনয়ের পুরস্কারও পেলেন তিনি। নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন। সুখবরটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী লিখেছেন, হ্যাঁ ২০২২ নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্য সেরা অভিনেতা (মহিলা)-র মনোনয়ন পেয়েছি। মগ্ন শ্রীলেখাগতবছর থেকেই আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তর এই ছবিটি নিয়ে আলোচনা চলছে। ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ছবির প্রিমিয়ার হয়। প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা। এবার এই ছবির জন্যই সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পরিচালক হিসাবে অভিষেক হয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর। তাঁর পরিচালিত ছবি এবং ছাদ বেঙ্গালুরু কোলাজ চলচ্চিত্র উৎসব-এ দেখানো হয়। এই খুশির খবরের মধ্যেই আরও একটি খুশির খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন টলি হার্টথ্রব শ্রীলেখা।

এপ্রিল ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অস্কার মঞ্চে গডফাদারের কলাকুশলীরা

হলিউডের ডলবি থিয়েটারে আয়োজিত ৯৪তম একাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে শুধু ২০২১ সালের সেরা চলচ্চিত্রকে সম্মানিত করা হয়নি। এর পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে গডফাদার ট্রিলজিকেও। গডফাদার মুক্তির ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনে ছবির পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, তারকা অভিনেতা আল পাচিনো ও গডফাদার২এর তারকা রবার্ট ডি নিরো হাজির হয়েছিলেন অস্কারের মঞ্চে।৯৪তম অস্কারের মঞ্চে এক এক করে পাওয়া যায় ৮২ বছর বয়সী কপোলা, ৮১ বছর বয়সী আল পাচিনো ও ৭৮ বছর বয়সী ডি নিরো। মঞ্চে কপোলা প্রথমে দর্শক এবং ভক্তদের ধন্যবাদ জানান। তারপর রবার্ট নিরো ও পাচিনোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তাঁরা এখানে এসেছেন এবং আমি তাঁদের সঙ্গে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করতে পারছি। কপোলা আরও বলেন, ৫০ বছর আগে এ প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছিলাম অসাধারণ সব মানুষের সঙ্গে, যাঁদের বেশির ভাগই কিংবদন্তি। সময়ের অভাবে অনেকের নাম আমি এখানে উল্লেখ করতে পারছি না। কিন্তু আপনারা তাঁদের বেশ ভালোভাবেই চেনেন। তবে দুজনের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। গডফাদার উপন্যাসের লেখক মারিও পুজো এবং প্রয়াত প্রযোজক রবার্ট ইভান্স। এই দুজনের সহযোগিতায় এই তিনটি আইকনিক চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। প্রকাশ্যে তাঁদের কখনোই ধন্যবাদ জানানো হয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেখিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন।বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কালজয়ী সিনেমা দ্য গডফাদার। মারিও পুজোর উপন্যাস থেকে নির্মিত সিনেমাটি ১৯৭২ সালে অস্কার জেতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য মার্লন ব্র্যান্ডো সেরা অভিনেতার জন্য অস্কার পেলেও তিনি পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মারিও পুজো ও ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা সেরা চিত্রনাট্য পরিকল্পক বিভাগে অস্কার লাভ করে। ছবিটি আরও সাতটি বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিল।

মার্চ ২৯, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal