• ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Assembly

দেশ

উত্তরপ্রেদেশে কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মা

উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া কংগ্রেস। প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণাতেই সকলকে চমকে দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মায়ের নাম।প্রিয়াঙ্কা গান্ধির গলায় যে নারীশক্তির জয়জয়কার শোনা গিয়েছিল, প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রেও তারই প্রতিফলন দেখা গেল। কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে নির্যাতিতা তরুণীর মা আশা সিংকেও প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। নিজের মেয়েকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য তিনি যেভাবে লড়াই করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের বাকি মেয়েদের জন্যও তিনি লড়বেন বলে দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা।এ দিন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের তরফে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। সাংবাদিক বৈঠকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ১২৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন, তারমধ্যে ৫০ জনই মহিলা। সকলকে চমকে দিয়ে উন্নাওয়ে নির্যাতিতার মা আশা সিংয়ের নাম ঘোষণা করেন।আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস শুরু করেছিল লড়কি হু, লড় সকতি হু নামে প্রচার অভিযান। রাজ্য তথা দেশের নারীশক্তিকে তুলে ধরতেই এই প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। এ দিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেন, আমাদের প্রার্থী তালিকা এক নতুন বার্তা দিচ্ছে, আপনি যদি নির্যাতন বা হেনস্থার শিকার হন, তবে কংগ্রেস আপনাকে সমর্থন করবেই। নির্বাচনে কংগ্রেসের ৪০ শতাংশ টিকিটই মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে।उन्नाव में जिनकी बेटी के साथ भाजपा ने अन्याय किया, अब वे न्याय का चेहरा बनेंगी- लड़ेंगी, जीतेंगी!#Election2022 Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 13, 2022প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও টুইট করে লেখেন, বিজেপি উন্নাওয়ের কন্যার সঙ্গে অবিচার করেছিল। এবার উনি (নির্যাতিতার মা) সুবিচারের মুখ হবেন।

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
দেশ

5 States Election: করোনামুক্ত নির্বাচনের লক্ষ্যে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট শুরু ১০ ফেব্রুয়ারি, ফল ঘোষণা ১০ মার্চ, উত্তরপ্রদেশে ৭ দফায় নির্বাচন

দেশে করোনার সংক্রমণ গ্রাফ ফের একবার ঊর্ধ্বমুখী। তবে গণতন্ত্রের উৎসব থেমে থাকছে না। নির্ঘণ্ট মেনেই ভোট হবে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভোট। করোনা আবহে ভোট হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর এবং উত্তরাখণ্ডে। এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ওই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি আসনে ভোট হয়েছিল সাত দফায়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরের ৬০টি বিধানসভা আসনে দুদফায়। পঞ্জাবের ১১৭, উত্তরাখণ্ডের ৭০ এবং গোয়ার ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল এক দফাতেই।উত্তরপ্রদেশে ভোট হবে সাত দফায় ১০, ১৪, ২০, ২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ ও ৭ মার্চ। পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ায় ভোট হবে এক দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি। মণিপুরে ভোট হচ্ছে দুই দফায় ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ। নির্বাচন হচ্ছে, তবে করোনার সংক্রমণ যাতে লাগামছাড়া না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল বা বাইক র্যা লি ও মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং তারপরে নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।বর্তমানের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, নির্বাচন কমিশনের প্রধান লক্ষ্যই হল ভোট এবং ভোটারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। শনিবার রাজধানীতে বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই এই কথা জানিয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। ভোটারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ৮০ বছরের বেশি বয়সি প্রবীণ নাগরিক, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভোট দেওয়ার জন্য বুথে যেতে হবে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমেই তাঁরা ভোট দিতে পারবেন। মহিলাদের জন্য মহিলা পরিচালিত ভোটকেন্দ্র থাকবে। ১৬২০টি মহিলা পরিচালিত ভোটকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
দেশ

5 State Elections: পাঁচ রাজ্যে ভোটের দিন ঘোষণা শনিবার বিকেলেই

করোনা সংক্রমণের আবহেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কিছুটা সংশয় দেখা দিলেও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, করোনাবিধি মেনে নির্ধারিত সময়েই বিধানসভা নির্বাচন হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবেন।ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি রাজ্যে পরিদর্শন সেরেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে দেশে হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার জন্য ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের সঙ্গেও বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকে দেশের করোনা পরিস্থিতি, বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরে করোনা ও ওমিক্রন নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে যাবতীয় তথ্য জানান স্বাস্থ্য সচিব।এর আগে ২০১৭ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ওই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি আসনে ভোট হয়েছিল সাত দফায়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরের ৬০টি বিধানসভা আসনে দুদফায়। পঞ্জাবের ১১৭, উত্তরাখণ্ডের ৭০ এবং গোয়ার ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল এক দফাতেই। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের গণনা হয়েছিল ১১ মার্চ।

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
কলকাতা

Dhankhar: বিএসএফ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান রাজ্যপাল

বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এবার সেই প্রস্তাবের বিস্তারিত চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার যে প্রস্তাব পাশ করেছে তার বিস্তারিত তথ্য বিধানসভার কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে সিবিআই ও ইডির বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ সংক্রান্তও সমস্ত তথ্য চেয়েছেন তিনি।এই প্রস্তাব পাশ সংক্রান্ত এবার যাবতীয় তথ্য দেখতে এবং জানতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অর্থাৎ কত ভোটাভুটিতে এই প্রস্তাব পাশ হল, প্রস্তাবে কী বলা হয়েছিল, কারা বক্তা ছিলেন, তাঁদের বক্তব্য কী ছিল গোটা বিষয়টাই তিনি জানতে চান বলে সূত্রের খবর।গত ১৬ নভেম্বর বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে তা পাশও হয়ে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি করে তৃণমূল সরকার। এই ইস্যুতেই সরব হন তৃণমূল বিধায়করা।অন্যদিকে ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। সিবিআই ও ইডির দুই আধিকারিক সত্যেন্দ্র সিং ও রথীন বিশ্বাসকে তলব করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বারবার তাঁরা সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। যা স্পিকারের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন সরকারি দলের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। আর সেই কারণেই ডিএসপি সিবিআই সত্যেন্দ্র সিং ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রথীন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।এ সংক্রান্তও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। কী ঘটেছিল, কী কারণে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকের বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ উঠল সে সংক্রান্ত বিষয়ও জানতে চান জগদীপ ধনখড়। অর্থাৎ এই দুই ঘটনাকে সামনে রেখে আরও একবার বিধানসভা ও রাজভবনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
কলকাতা

BSF: বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি-বিরোধী প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়

বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আজ সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল সেই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি তৃণমূল সরকারের। এই ইস্যুতেই এ দিন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কেরা। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ক্রমশ সীমান্তবর্তী নয়, এমন এলাকাতেও ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বিএসএফ-এর। এ দিন ভোট দেননি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। এই ইস্যুতে এ দিন বিধানসভায় সরব হন উদয়ন গুহ, তাপস রায়-সহ তৃণমূল বিধায়কেরা।এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এই বিধানসভায় যেহেতু তৃণমূলের সংখ্যগরিষ্ঠতা আছে, তাই কোনও দিন আমরা হয়ত দেখব ভারতের সীমান্ত সুরক্ষার বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাশ করবে, কোনও দিন ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাশ করবে। বলবে ভারতের কোনও সুরক্ষার দরকার নেই। এরা ভুলে যায় যে এটা পশ্চিমবঙ্গের সুরক্ষার বিষয় নয়, ভারতের সুরক্ষার বিষয়। তৃণমূল সরকার বিধানসভায় বসে অধিকার বহির্ভূত চর্চা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, এ ভাবে তৃণমূল শত্রুদের ইন্ধন জোগাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে। সরকারের এই প্রস্তাব নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

নভেম্বর ১৬, ২০২১
কলকাতা

Assembly: সুব্রত-স্মরণ দিয়েই শুরু বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন

শীতকালীন অধিবেশনে আর যোগ দেওয়া হল না পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়েই আজ শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। প্রয়াত মন্ত্রীর প্রতি শোকবার্তা পাঠ করবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার বিধানসভায় প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় উপস্থিত থাকবেন সব দলের বিধায়করা। এমনকী বিজেপি বিধায়কদেরও অনেকে উপস্থিত থাকবেন বিধানসভায়। এর আগে বঙ্গ বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, ১৩ নভেম্বরের আগে বিধানসভার অধিবেশনে দলের কোনও বিধায়ক যোগ দেবেন না। কিন্তু এখন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হঠাৎ প্রয়াণে সেই সিদ্ধান্তে কিছুটা বদল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুব্রত বাবুর স্মরণ সভায় বিধানসভায় আসবেন বিজেপি বিধায়কদের অনেকেই। বঙ্গ বিজেপির তরফে তেমনটাই স্থির করা হয়েছে।জানা গিয়েছে প্রয়াত মন্ত্রীর স্মৃতিচারণায় এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টার আলোচনা হবে বিধানসভা ভবনে। সোমবার বিধানসভায় থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

নভেম্বর ০৮, ২০২১
রাজনীতি

By-Election: রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে অকাল ভোটের জন্য বিজেপি নেতাদের লালসাকে দায়ী করলেন অভিষেক

গোসাবায় উপনির্বাচনে প্রচারে গিয়ে স্থানীয় ভাবাবেগকে উসেক দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জনসভায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন সাংসদ থাকবেন আর একজন মন্ত্রী হবেন বলে নিজেদের লালসা ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে মানুষের রায় পরিত্যাগ করেছেন। আর তৃণমূলের দুই বিধায়ক করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এঁরা মানুষের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুকে আপন করেছেন। এভাবেই চার কেন্দ্রে কেন অকাল ভোট সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ।উল্লেখ্য়, গোসাবা ও খড়দহ কেন্দ্রে তৃণমূলের দুই বিধায়কের মৃত্যু হয়েছিল করোনায়। অন্যদিকে শান্তিপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বিধায়কপদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ থেকে গিয়েছেন। দিনহাটায় সব থেকে কম ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। তিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনিও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। দুই বিজেপি বিধায়কের ইস্তফার জন্যই উপনির্বাচন করতে হচ্ছে শান্তিপুর ও দিনহাটায়।এদিনের জনসভায় অভিষেক বিঁধেছেন অমিত শাহকে। অভিষেক বলেন, বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করে ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করবেন। কোথায় গেল সেই টাকা। বহিরগতরা এসব বলে চলে যায়। কাজের কাজ কিছু করে না। ভূমিপুত্রকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন। সারা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা বলেছিলাম আর যাই হোক মাথা নত করবে না।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক। তিনি বলেন, এই জেলার সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আপনাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক তা কেউ ভাঙতে পারবে না। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। চারটে বিধানসভা আসনের মধ্যে গোসাবায় সব থেকে বেশি ভোটে জয়ী করবেন। প্রত্যেকটা বুথে, প্রত্যেকটা অঞ্চলে তৃণমূলপ্রার্থীকে জেতাতে হবে। প্রতিবছর নানাসময়ে প্রাকৃতিক ঝড়ঝঞ্ঝায় বিধ্বস্ত হতে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে। আমি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করব, কথা দিয়ে গেলাম। অভিষেকের কটাক্ষ, শুধু দিল্লি বা বহিরাগত বিজেপি নেতা নয়, গত ৬ মাসে বিজেপির কোনও নেতার টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজনীতি

Sabyasachi Dutta: বিধনসভায় পরিষদীয়মন্ত্রীর ঘরে সব্যসাচীর তৃণমূলে যোগ, রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে

বিধানসভায় দলবদল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরলেন প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। দলবদল হল একেবারে বিধানসভা চত্বরে। বৃহস্পতিবার পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে মুকুলপন্থী বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। এই দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এটা একটি বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনা। দেশের অন্য কোনও বিধানসভা কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি বা প্রত্যক্ষ করেনি। বিধানসভাকে নিজের দলীয় অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে।বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসার যেন মিছিল পড়ে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলে ফেরার হিরিক লেগেছে। একাধিক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে এসেছেন। হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থীদেরও দলে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। বিধানসভার ফল বেরনোর পর সর্বপ্রথম কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরেন। তখনও অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল মুকুলপন্থীরা ঘাসফুল শিবিরে ফিরবেন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই আভাস দিয়েছিলেন। এদিন তা একেবারে স্পষ্ট হল।তবে সব্যসাচীর দলে ফেরা নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদমাধ্যমে বলেছেন, নির্বাচনে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গলমন্দ করলেন, তাঁরাই এখন দলে ফিরছেন। এতে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়।এর আগে কখনও রাজ্য বিধানসভা সত্বরে দলবদল হয়েছে, এমন নজির নেই। বিরোধী নেতৃত্ব নবান্নে গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা চত্বরে এই প্রথম দলবদলের ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটেছে একেবারে পরিষদীয়মন্ত্রীর ঘরে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেরও বক্তব্য, বিধানসভা চত্বরে এই দলবদলের ঘটনা ঐতিহাসিক নজির হয়ে থাকবে। আবার এমন দিনে তৃণমূলে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় রাজ্যপালের কাছে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
রাজ্য

Speaker: বিধানসভায় আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব স্পিকার, পাল্টা বিজেপির

বিধানসভার এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করছে আদালত। শুধু আদালতই নয়, দেশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা থেকে শুরু করে রাজ্যপাল পর্যন্ত বিধানসভার কাজে নাক গলাচ্ছেন বলে স্পিকারদের এক সর্বভারতীয় সম্মেলনে সরব হলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, গত ১০ বছরের বেশি সময়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা হয়েই রয়ে গিয়েছেন। পরিষদীয় ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছেন।আরও পড়ুনঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সময়জ্ঞানের পাঠ দিলেন মোদিগত জুন মাসে এরকমই এক সম্মেলনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সরব হন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে তিনি সেবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছেও অভিযোগ করেন। মে মাসে বিধানসভা চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় থাকা কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই স্পিকার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিধানসভায় ঢুকতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল, এমনটাই সূত্রের খবর।স্পিকারদের সম্মেলনে রোল অব লেজিসলেটর অ্যান্ড মিনিংফুল ডেমোক্রেসি শীর্ষক একটি বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এদিন বিমানবাবু বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বিধানসভার স্পিকারকে না জানিয়ে কাজ করছে। কোনও সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা কোনও পদক্ষেপ নিতে চাইলে সংসদের অনুমতি লাগে। বিধায়কদের ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা হলে তা বিধানসভাতেই সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে আদালতে চলে যাওয়া হচ্ছে। আদালতও সেইসব অভিযোগ গ্রহণ করছে। খোদ রাজ্যপাল বিভিন্নভাবে বিধানসভার এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করছেন। ফলে বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপ হচ্ছে বিভিন্নভাবে।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
দেশ

Secret Tunnel: বিধানসভার গোপন সুড়ঙ্গে লুকিয়ে অজানা ইতিহাসের হাতছানি

রহস্যে মোড়া দিল্লি বিধানসভা চত্বর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত ইতিহাস যে চাপা পড়ে যায়, তার কোনও ইয়ত্তা নেই। যদিও কালের নিয়মে অনেকসময় তা আবার বেরিয়ে আসে। ঠিক যেমন দিল্লি বিধানসভার ভিতরে খোঁজ মিলল সেই ব্রিটিশ যুগের গোপন সুড়ঙ্গের। দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য লালকেল্লার সঙ্গে সংযুক্ত একটি সুরঙ্গের হদিশ মিলেছে বৃহস্পতিবার। দিল্লি বিধানসভার অন্দরের একটি ঘরে সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি বিধানসভা থেকে লালকেল্লার দূরত্ব প্রায় ৬ কিমি। তাই সুদীর্ঘ সুড়ঙ্গটির খোঁজ মেলার পর দিল্লি বিধানসভার অন্দরে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে।আরও পড়ুনঃ উমেশের ধাক্কা সত্ত্বেও প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড হঠাৎ এই সুরঙ্গ আবিষ্কারের মধ্যে অনেক রহস্যের গন্ধ পাওয়া গেলেও, আদতে এর পেছনে রয়েছে অন্য কাহিনি। এই বিষয়ে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রামনিবাস গোয়েল জানিয়েছেন, বিধানসভা থেকে লালকেল্লা সংযোগকারী এই সুড়ঙ্গ মূলত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্যত্র সরানোর সময় জনরোষের হাত থেকে বাঁচতেই এটি ব্যবহার করা হত। এই প্রসঙ্গে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ আরও বলেন, যখন আমি প্রথম বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসি তখন থেকেই গুঞ্জন শুনেছিলাম যে এখানে লালকেল্লা সংযোগকারী একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে সুড়ঙ্গটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি। এখন আমরা এটি খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু আমরা কোনওরকম খনন কার্য চালাচ্ছি না, কারণ মেট্রো প্রকল্প ও নর্দমা নির্মাণের ফলে এখন আর সুড়ঙ্গটির কোনও অস্তিত্ব নেই।আরও পড়ুনঃ ফোনে কথা বলছেন নার্স, ভ্যাকসিন পড়ল পর পর ৩ ডোজ!ব্রিটিশ আমলের মতো সুড়ঙ্গটি চলাচলের যোগ্য করা যাবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি। তবে এই ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ সাধারণ মানুষের সামনে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি এই সুড়ঙ্গের কিছু মেরামতি করে তা দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আগামী বছর ১৫ অগস্ট দর্শকের জন্য সম্ভবত এই সুড়ঙ্গ খুলে দেওয়া হবে।১৯১২ সালে ব্রিটিশ রাজত্বের সময় কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পর, বর্তমান দিল্লি বিধানসভা ভবনটি তখন কেন্দ্রীয় আইনসভা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯২৬ সালের পর এটিকে আদালতে রূপান্তরিত করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কোর্টে নিয়ে আসার সময় এই সুড়ঙ্গটি ব্রিটিশরা ব্যবহার করত।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
কলকাতা

Suvendu: শহরের জলযন্ত্রণা নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

টানা বৃষ্টিতে শহরের জল যন্ত্রণা নিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের একবার খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে নাগাড়ে বর্ষণের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য বর্তমান শাসকদলকের একহাত নেন বিরোধী দলনেতা। শহরবাসী তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কারণেই এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলেও ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। খোঁচার সুরে শুভেন্দু বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর আগেই রাজ্যে দুয়ারে নর্দমা প্রকল্প চালু হয়েছে। কলকাতা তো লন্ডন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শাসকদল এখানে ১১ টা আসনই জিতেছে। কলকাতার মানুষই সব দেখুন, কাদেরকে ভোট দিয়ে তাঁরা জেতালেন। কলকাতাকে আদর্শ নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি তো প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন। সেই মানুষই তৃণমূলের উপর আস্থা রেখে ১১ টা আসন জিতিয়েছে, তাই কলকাতার মানুষজনই দেখুন। যশ-এর পর বলা হচ্ছিল দুয়ারে গঙ্গা। এখন সবাই বলছে, দুয়ারে নর্দমার জল। হয়তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হওয়ার আগে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে। সেই শুনানি শেষ করে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানান, অধ্যক্ষ আগামী ১৭ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারিত করেছেন। তবে অনির্দিষ্টকাল ধরে যাতে এই শুনানি না চলে সেই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে ফের একবার আইনের পথ হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি।

জুলাই ৩০, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: খবর প্রকাশ হতেই বাড়ির দুয়ারে ভ্যাকসিন

খবর প্রকাশ হতেই একেবারে বাড়ির দুয়ারে বসে কোভিডের ভ্যাকসিন পেলেন নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার খর্বকায় প্রতিবন্ধী ভ্রাতৃদ্বয়। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কলানবগ্রামে বাড়ি প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলের। ভোটের সময়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা কোভিডের ভ্যাকসিন পেয়ে গেলেও ভ্যাকসিন পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি কমিশনে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ভ্রাতৃদ্বয় এমনকি ভোট মিটে যাওয়ার পরেও গত বুধবার পর্যন্ত তারা ভ্যাকসিন পাননি । সেই খবর এদিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই প্রশাসনের কর্তারা নড়ে চড়ে বসেন। জনতার কথাতেও তা প্রকাশিত হয়।আরও পড়ুনঃ কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিধানসভা ভোটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়রীতিমতো দুয়ারে ভ্যাক্সিন নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়ের বাড়িতে হাজির হয়ে যান মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারি ১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও মেমারি ১ নম্বর ব্লকের যুগ্ম বিডিও। তাঁদের সঙ্গেই ছিল মেডিকেল টিম। বাড়িতেই সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলকে দেওয়া হয় কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ। ভ্যাকসিন পেয়ে উচ্ছ্বাসিত প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভাতৃদ্বয়। বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খবর পেয়েই ব্লক প্রশাসন উদ্যোগী হয়। তবে তিনি দবি করেন, ব্লক প্রশাসনের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত ছিল।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিধানসভা ভোটের 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার' খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়

বিধানসভা ভোটের সময়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসাডার করা হয়েছিল দুই প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়কে। আর ভোট মিটে যেতেই তারা এখন ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত ভোটে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হওয়া সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল। ভ্যাকসিন পাওয়ার সৌভাগ্য আদৌ হবে কিনা তাও জানেন না দুই খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিধানসভার কলানবগ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা আন্না মণ্ডল। মাটির এক কুটুরি বাড়িতেই তাঁরা বসবাস করেন। সরকারী ভাতার সামান্য কয়েকটা টাকা আর দুচারটে ছগল, গরু ও মুরগি প্রতিপালন করে সামন্য যে টুকু রোজগার হয় তা দিয়েই তাঁরা দিন গুজরান করেন। এমনই এক হতদরিদ্র পরিবারের খর্বকায় প্রতিবন্ধী ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব ও মানিককে ২০২১ বিধানসভা ভোটে ২৬৫ মেমারি বিধানসভার ভোট আইকন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী এবং ৮০ উর্ধ্ব ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহিত করার ব্যাপারে তাঁরাই হয়েছিলেন প্রধান মুখ ।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?কোভিড অতিমারির মধ্যেই এবার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। তার জন্য নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু নতুন নিয়ম জারি করে। প্রতিবন্ধী ও ৮০ উর্ধ্ব বয়সী ভোটাররা যাতে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও কোভিড পেসেন্টরাও যাতে একই সুবিধা পান সেই ব্যবস্থাও কমিশন ধার্য করে। এই সকল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেয়। তারই প্রচার কাজে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মেমারি বিধানসভার আধিকারিকরা আইকন হিসাবে বেছে নেন খর্বকায় দুই প্রতিবন্ধী ভাই সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলকে। ভোটের সময় নিঃস্বার্থ ভাবেই এই দুই প্রতিবন্ধী ভাই ট্রাইসাইকেলে চড়ে গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর কাজও চালিয়ে যান। তাঁদের এই কর্মকাণ্ড ভোটার মহলে যথেষ্ট সাড়াও ফেলে। এখন ভোট মিটে গিয়েছে। আর ভোট মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন দুই প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীসঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল বুধবার আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর তাদের কথা কেউ মনে রাখে না। মনে রাখেনি সরকারও। সেই কারণে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আগেও তাঁরা কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাননি। ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অনেকবার পাল্লারোডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছেন। লাইনে দাঁড়িয়েও ছিলেন। কিন্তু ভ্যাকসিন না পেয়ে তাঁদের হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সঞ্জীব ও মানিক আরও জানান, ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ব্লকের বিডিও অফিসেও মৌখিক ভাবে তাঁরা জানিয়ে ছিলেন। তাতেও সুরাহা হয়নি। আদৌ কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাবেন কিনা তা নিয়েও অন্ধকারে রয়েছেন বলে প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?এই বিষয়ে মেমারি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, তাঁর সঙ্গে ওনারা যোগাযোগ করেননি। তবে বিষয়টি তিনি জেনেছেন।খুব তাড়াতাড়ি ওনাদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে বলে বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন।

জুলাই ২১, ২০২১
কলকাতা

Election Commission: অগস্টের প্রথমেই ৫ কেন্দ্রের ভোটযন্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ

ভবানীপুর-সহ রাজ্যে পাঁচটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি আরও জোরাল করার নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। প্রাথমিক ভাবে ওই পাঁচটি কেন্দ্রের ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ অগস্টের প্রথম সপ্তাহে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা থেকে মনে করা হচ্ছে, অগস্টে বা সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচন হতে পারে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। যদিও নির্বাচনের মতোই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআররাজ্যে যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, সেগুলি হল ভবানীপুর, খড়দহ, বাসন্তী, শান্তিপুর এবং দিনহাটা। ওই কেন্দ্রগুলির জন্যই প্রস্তুতিতে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। তবে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কমিশন সূত্রে খবর, এই দুটি বিধানসভায় নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি বিধানসভা ভোটের আগেই সারা হয়ে গিয়েছিল। কারণ, ওই দুটি আসনে ভোট স্থগিত ছিল প্রার্থীদের মৃত্যুতে। ফলে সেখানে আর নতুন করে ভোটযন্ত্র পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যে পাঁচটি আসনে ভোট হয়েছিল, সেখানে নতুন করে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা সবরকম প্রস্তুতি রাখছি। রাজ্যসভা হোক বা বিধানসভা সব রকম নির্বাচনের জন্য দপ্তর প্রস্তুত।

জুলাই ২১, ২০২১
রাজনীতি

মুকুলের দলবদল, ৬৪ পৃষ্ঠার তথ্যপ্রমাণ অধ্যক্ষকে পাঠিয়েছেন শুভেন্দু

বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে তিনি প্রকাশ্যে দলনেত্রীর উপস্থিতিতে দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির দাবি, পিএসি কমিটির যে ৬ জনের সদস্যের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল তাতে মুকুল রায়ের নাম ছিল না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর হুঙ্কার, চেয়ারম্যান হয়েও সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে পারবেন না মুকুল রায়।মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে এদিনও হুঙ্কার ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ইতিমধ্যে বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে আমি ৬৪ পৃষ্ঠা তথ্যপ্রমাণ সমৃদ্ধ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছি। আগামী ১৬ তারিখ ২টোর সময় তিনি শুনানিতে ডেকেছেন। আমি আমার তথ্যপ্রমাণের সমর্থণে অধ্যক্ষের শুনানিতে থাকব। এটাও আমরা জানি, বিগত দিনে একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে বামফ্রণ্ট পরিষদীয় দল অভিযোগ করেছিল। ২৩ বার হেয়ারিং হয়েছে, শুনানি শেষ হয়নি। ১৬ তারিখটা আসছে তারপর যেখানে গেলে বিচার হবে সেই বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। আমার স্থির বিশ্বাস, যে মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করেছে তাঁর সদস্যপদ রাখতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস।এদিকে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভোটাভুটি হলেও মুকুল রায় পিএসির চেয়ারম্যান হবে। যদিও একথাও বলেছিলেন মুকুল রায় তো বিজেপির সদস্য। কেন তিনি বিজেপি ছাড়লেন? সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল ভবনে মুকুল রায় বলেছিলেন, পরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। এর আগে বহু বিধায়ক দলবদল করলেও বিধায়ক পদে থেকে গিয়েছেন। এবার যে তা হবে না সেই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দল ছাড়ার সব প্রমাণ আছে।

জুলাই ০৯, ২০২১
কলকাতা

Mukul Roy: মুকুলই পিএসির চেয়ারম্যান

শুক্রবার মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটা ঘোষণা হতেই বিধানসভায় হট্টগোল শুরু করে বিজেপি। তার পর বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধী দলের বিধায়করা। আরও পড়ুনঃ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো বর্ধমানের গ্রামসাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিরোধী দলের তরফে পিএসি চেয়ারম্যান হন। সেই ঐতিহ্যকে ভাঙলেন অধ্যক্ষ মহোদয়। ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও সদস্য বা সদস্যা মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর উপস্থিতিতে গলায় উত্তরীয় পড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অডিয়ো-ভিডিয়ো সবাই দেখেছেন। আমাদের অশোক লাহিড়ীর নাম পাঠিয়েছিলেন মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। সেটা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কারণ সরকার চায় খরচ আমরা করব, হিসাব আমরা দেখব। এই সরকার ২০১৭ সাল থেকে ক্যাগের অডিট করেনি। ২০১২-১৩ সাল থেকে জিটিএ-র অডিট করেনি। খেলা-মেলায় টাকা খরচে বিরোধীরা বাধা না হতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত। অশোক লাহিড়ীর মতো ভোটে জিতে আসা সম্মানীয় অর্থনীতিবিদ ভুল গুলি যাতে ধরতে না পারেন, তাই মুকুল রায়কে মনোনীত করল।

জুলাই ০৯, ২০২১
কলকাতা

Madan-Dilip: বিধানসভায় দিলীপ-মদনের রঙিন রসিকতা

রাজ্য রাজনীতিতে একে অপরের দিকে তীর্যক বাণ ছুড়তেই অভ্যস্ত তাঁরা। আর সাধারণও তা্ই দেখতেই অভ্যস্ত। কিন্তু সম্প্রতি বাংলার রাজনীতিতে এমন রঙিন রসিকতা শেষ কবে দেখা গিয়েছে তা হিসেব করতে বসেছেন অনেকেই। তৃণমূলে হিরো একজনই, বিধানসভায় মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা হতেই বললেন দিলীপ ঘোষ।আরও পড়ুনঃ চাম্পিয়ানশিপের লক্ষ্যে আর এক ম্যাচ, প্রতিপক্ষ কে আর্জেন্টিনা না কলম্বিয়া?মঙ্গলবার বিধানসভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে মাল্যদান করতে আসেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। বিধানসভায় শ্যামাপ্রসাদের ছবিতে মাল্যদানের পর লবিতেই বসে দলীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এমন সময় কাছ দিয়েই যাচ্ছিলেন মদন। তাঁকে আসতে দেখেই হাত নেড়ে দাঁড় করান দিলীপ।প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদনের পরনে ছিল জমকালো সোনালি কাজ করা কালো পাঞ্জাবি। এমন পোশাক দেখে কৌতূহলী দিলীপ প্রশ্ন করেন, এরকম পাঞ্জাবি কপিস আছে আপনার? খাসা পাঞ্জাবি পরেছেন একখানা। ম়ৃদু হেসে জবাব দেন মদন। তিনি বলেন,একপিসই।হাসতে হাসতেই মদন আরও বলেন, দুপুরে একটু বেরিয়েই ভিজে জবজবে হয়ে গেলাম বলে পোশাকটা পাল্টে এলাম। এরকম পাঞ্জাবি এই একটাই আছে আমার। পাল্টা হাসিতে বিজেপি সভাপতি বলেন, আপনার দলে তো হিরো বলতে তো একজনই আছে, সেটা মদন মিত্র। দিলীপের কথা শুনে হাসতে থাকেন মদন। তারপর অবশ্য বেশিক্ষণ দাঁড়াননি মদন। হেঁটে চলে যান অধিবেশন কক্ষে।কিন্তু কট্টর প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন ২ মিনিটের রসিকতায় মন ভরেছে সকলেরই।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজনীতি

Assembly: বিধানসভার স্পিকারকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর

বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করায় তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর জবাবি ভাষণ দেন বিধায়করা। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন শুরু করতেই বিরোধী দলের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনার কথা বলা হয়। যদিও অধ্যক্ষ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। রাজ্যপালের ভাষণের পর এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই বিধানসভার ভিতরে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ শুরু হয়। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এমন দলদাস স্পিকার আগে দেখিনি। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।আরও পড়ুনঃ ফের শহরে গ্রেপ্তার ভুয়ো অফিসারবিধানসভার অধিবেশনের বয়কট করার পর স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক সম্মেলন তিনি বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। তাঁর দল জিতেছে। যিনি তাঁকে হারিয়েছেন, তিনি বিরোধী দলনেতা হয়েছে। একথা বিধানসভায় বলা যাবে না! মমতার চোখে ইশারায় রে রে করে উঠলেন তৃণমূল বিধায়করা। শুভেন্দুর কথায়, আইনমন্ত্রী কানে কানে গিয়ে বলল। তারপর স্পিকার বলছে, বিষয়টি সাব জুডিস। কিন্তু কোনও অন্তর্বর্তীকালীন রায় নেই। প্রশ্ন তুললেন, তাহলে আমি এখানে থাকব কেন? আমাকে বের করে দিন।বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের হইচই, আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা বিজেপি বিধায়কের আছে। তাহলে ওয়াকআউট কেন? শুভেন্দুর সাফ কথা, স্পিকার বিরোধীদের সংরক্ষণ দেবেন, আইন মেনে চলবেন। তাঁর শাসকদলের প্রতি, যে দলের প্রতীকে জিতেছেন, সেই দলের প্রতি দূর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। সেকারণেই আমরা বিধানসভা বয়কট করলাম। আমরা সাধারণ মানুষকে জানাতে চাই, বিধানসভায়ও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজনীতি

বিধানসভায় কৌশলী তৃণমূল, কড়া নির্দেশ বিধায়কদের

এবারের বিধানসভায় এক ঝাঁক নতুন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে তাঁদের পাঠ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সমস্ত বিধায়ক এদিন হাজির ছিলেন। দলীয় বিধায়কদের নানা ভাবে সতর্ক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে দল। এবার এককভাবে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয় পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুই সাংসদ পদত্যাগ করায় বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫-এ। কিন্তু এবার বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক নেই। লড়াই সরাসরি। রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের দিন বিজেপির ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বুঝিয়ে দিয়েছে কোমর বেধে নামবেন শুভেন্দু অধিকারীরা। তাই বিশেষ কৌশল নিতে চলেছে তৃণমূল। জুঝতে গেলে পড়াশুনা দরকার তাও এদিন বিধায়কদের অবগত করেছে তৃণমূল।দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নতুন বিধায়করা লাইব্রেরী ব্যবহার করুক, জানুক। তাঁরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুক। বুঝতে অসুবিধা হলে নেতৃত্বরা তাঁদের বুঝিয়ে দেবে। বিজেেপি বিধায়করা অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও দলীয় বিধায়কদের সংযত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নেতৃত্ব। কোনওভাবেই না জেনে বিধানসভায় কিছু বলা যাবে না। জেনে নিতে হবে। নির্দেশ দলের।এদিনের বৈঠকে বিধানসভায় সময়মত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে দলীয় নেতৃত্বে। পার্থবাবু বলেন, শেষ সময় পর্যন্ত থাকতে হবে। বিধানসভায় প্রতিদিন হাজির হতে হবে। পরিষদীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন শোনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, নির্মল ঘোষ। বৈঠকে ছিলেন না মদন মিত্র। মুকুল রায় খাতায়কলমে বিজেপির বিধায়ক। তিনিও হাজির ছিলেন না পরিষদীয় সভায়।ভূয়ো ভ্যাকসিনের নায়ক ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের ছবি প্রকাশ পেতেই বিড়ম্বনা বেড়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নামতে হয়েছে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই ছবিকে হাতিয়ার করে ক্রমাগত তোপ দাগছে গেরুয়া শিবির। এবার সামাজিক কর্মসূচিতে বিধায়কদের যাওয়া নিয়ে কড়া বার্তা দিল দল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আয়োজক সংস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কারা আসবেন সেখানে সেই তালিকা দেখে নিতে হবে। তারপর তাঁরা সেই অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন।

জুলাই ০৫, ২০২১
কলকাতা

Suvendu Adhikari: সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণে সত্যি উল্লেখ ছিল না, তাই বাধা

বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি উল্লেখ করেনি শাসকদল। বরং সরকারের লেখা ওই ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগগুলোকে মিথ্যে বলে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল সরকার।আরও পড়ুনঃ বিধানসভায় নজিরবিহীন! ৭ মিনিটের ভাষণ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপালবিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যপালের ভাষণে দাবি করা হয়েছে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজ্যে কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থাকাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ফলে তার দায় নির্বাচন কমিশনের। এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি, রাজ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক। বিরোধীদের রাজ্য থেকে সমূলে উৎপাটন করার চেষ্টা করছে সরকার। স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েমের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখই ছিল না রাজ্যপালের ভাষণে। তৃণমূলের গুন্ডা ও নিষ্ক্রিয় পুলিশের ভূমিকার উল্লেখ নেই। সেই কারণেই আমরা বাধা দিয়েছি।ভাষণের কোথাও হিংসার উল্লেখ নেই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এসেছে। হাইকোর্টের টিপ্পনি রয়েছে। ৯০০০ এফ আই আর হয়েছে। সাড়ে ৭ হাজার বাড়ি পুড়িয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ও ভোটার ঘরছাড়া। তবে রাজ্যপাল কেন ভাষণ সম্পূর্ণ করেননি, সে ব্যাপারে তাঁর জবাব, এর উত্তর মহামহিম রাজ্যপালই দিতে পারবেন।ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে সরব হয়েছেন, এদিন সেজন্য জগদীপ ধনখড়কে কৃতজ্ঞতা জানান শুভেন্দু অধিকারী। তবে সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি জানান, বিধানসভায় আগামিদিনেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সারা দিনের আলোচনা চাইবে বিজেপি। ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়েও সরকারকে আলোচনা করতে হবে।

জুলাই ০২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

‘ইথিওপিয়া সিংহের দেশ, গুজরাটও তাই’—বিদেশের মাটিতে মোদীর আবেগঘন বার্তা

ইথিওপিয়ার সংসদের যৌথ অধিবেশনে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে তিনি ভারত ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। ইথিওপিয়াকে সিংহের দেশ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সেখানে নিজেকে ঘরের মানুষের মতো অনুভব করছেন। কারণ তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটও সিংহের জন্যই পরিচিত।এই সফরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আবি আহমেদের হাত থেকে গ্র্যান্ড অনার নিশান অব ইথিওপিয়া সম্মানে ভূষিত হন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ভারত ও ইথিওপিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এবার কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করা হল।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পহেলগাঁওয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ইথিওপিয়ার পাশে থাকার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের অবস্থান এক এবং এই সহযোগিতা ভারতের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।নরেন্দ্র মোদী আরও জানান, গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং গ্লোবাল সাউথের শক্তি হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্রে ভারত ও ইথিওপিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এক। ডিজিটাল পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আফ্রিকা স্টিল মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ-এর মতো উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।এই ভাষণের মাধ্যমে ভারত-ইথিওপিয়া সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছল, তা কূটনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal