• ১ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

West Bengal

কলকাতা

১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন

শিয়ালদহ-ক্যানিং - ২৪সোনারপুর-ক্যানিং - ৭শিয়ালদহ - লক্ষ্মীকান্তপুর -২৫শিয়ালদহ-বজবজ - ২৯শিয়ালদহ - সোনারপুর - ১১সোনারপুর-বারুইপুর - ২শিয়ালদহ - বারুইপুর - ১৬শিয়ালদহ - নৈহাটি - ২লক্ষ্মীকান্তপুর - বারুইপুর - ৩শিয়ালদহ - ডায়মন্ড হারবার - ৩০লক্ষ্মীকান্তপুর - নামখানা - ১৯শিয়ালদহ-হাসনাবাদ - ২০সার্কুলার রেল - ২সব মিলিয়ে ১৯০ লোকাল আপাতত বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন।দীপক নিগম, শিয়ালদহ রেল ডিভিশন, DRM বলেন,কলকাতায় ঝড়ের সম্ভাবনা আছে৷ এমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। একাধিক পাম্প নিয়ে আসা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। বিভিন্ন স্টেশনের গাছ ট্রিম করা হয়েছে।স্টেশন বিল্ডিংয়েই যেন থাকেন যাত্রীরা৷ সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ তার জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা হবে৷ কেউ যেন প্ল্যাটফর্ম শেডে না থাকে।ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, কাকদ্বীপে সিগন্যাল বিভাগের সিনিয়র আধিকারিকরা থাকবেন। এখানে মেডিক্যাল টিম থাকবে।মোটরম্যানদের বলা হয়েছে, হাওয়ার বেগ বুঝে কন্ট্রোল রুমে জানাতে৷ যাতে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ বিজ্ঞাপন বোর্ড বারবার পরীক্ষা করা হয়েছে।শিয়ালদহ সাউথে আগামীকাল রাত আটটায় শেষ ট্রেন ছাড়বে৷ এরপর বন্ধ থাকবে ২৫ তারিখ সকাল দশটা অবধি৷ দক্ষিণ শাখার যে সব ট্রেন শিয়ালদহ আসবে তাদের প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় ছাড়বে৷ আবার পরের দিন সকাল নটায় ছাড়বে৷ ঝড়ের সময়ে কোনও ট্রেন লাইনে রাখা হবে না।সেন্ট্রাল কন্ট্রোল অফিস থেকে সব নজরদারি হবে৷কৌশিক মিত্র, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, পূর্ব রেল বলেন,১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে৷ দক্ষিণ শাখায় সবচেয়ে বেশি লোকাল বাতিল থাকছে।দীপক নিগম, ডিআরএম জানিয়েছেন, কানেকটিভি যথাযথ রাখার জন্য রেল নিজে থেকেই কথা বলেছে ফোন প্রভাইডারদের সাথে৷ একটা হেল্পলাইন নাম্বার খোলা হচ্ছে৷ তবে আগামীকাল ট্রেন বন্ধ হবার আগে, যাত্রী চাহিদা দেখে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

কেন রাখা হয় ঘূর্ণি ঝড়ের নাম? এই তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে?

বাংলা ও ওড়িষা উপকূল লন্ডভন্ড করতে দাঁনা বাঁধতে চলেছ দানা{ প্রবল আশঙ্কায় উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা{ সতর্ক রাজ্য় সরকরাও{ ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি সম্ভবত বুধবারের মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে দানা।আইএমডি লিখেছে যে নিম্নচাপ মঙ্গলবার সকালের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ এবং বুধবারের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, পরের দিন সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে যাওয়ার জন্য উত্তর-পশ্চিমে এগোবে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে পুরী এবং সাগর দ্বীপের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ হবে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিমি, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।আগস্টের শেষ দিকে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় আসনার পর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় দানা নামের অর্থ উদারতা এবং এই অঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নিয়ম অনুসারে কাতার এটি বেছে নিয়েছে। কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং তাদের নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করা হয়?ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখে কারা?২০০০ সালে, WMO/ESCAP (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) নামক দেশগুলির একটি দল, যা বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত, সিদ্ধান্ত নেয়। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। প্রতিটি দেশ পরামর্শ পাঠানোর পর, WMO/ESCAP প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন (PTC) তালিকা চূড়ান্ত করেছে।WMO/ESCAP ২০১৮ সালে আরও পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইয়েমেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে আইএমডি দ্বারা প্রকাশিত ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা এই দেশগুলি সরবরাহ করেছিল - ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে ১৩টি পরামর্শ।ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখার কারণ কী?ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ করে তোলে, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও, এটি বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেও সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, মানুষকে প্রস্তুত হতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ। একটি অঞ্চলে একাধিক সাইক্লোনিক সিস্টেম।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কা, চূড়ান্ত প্রস্তুতি রাজ্যের

ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। উপকূল অঞ্চলের ৫ জেলা সহ মোট ৭ জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকারও। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম ভাবে সরকার প্রস্তুত রয়েছে সরকার। উপকূলের এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করছে প্রশাসনের কর্মীরা।ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামিকাল, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী থেকে সাগরদ্বীপের মাঝে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল হতে পারে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামেও।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ রেলের, একাধিক প্রশংসনীয় পদক্ষেপ

পূর্ব রেলওয়ে, যাত্রীদের, বিশেষত নিত্যযাত্রী এবং মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা এবং তাদের মর্যাদা বজায় রাখতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পূর্ব রেলওয়ের সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) মহিলা যাত্রীদের উদ্বেগ দূর করতে এবং সুরক্ষিত ভ্রমণের পরিবেশ সরবরাহ করতে অপারেশন মহিলা সুরক্ষার অধীনে একটি বিস্তৃত প্রচার শুরু করেছে।২০২৪ সালের আগস্ট মাস জুড়ে, পূর্ব রেলওয়ের আরপিএফ বাহিনী বিভিন্ন ট্রেনের মহিলা কামরায় নিয়মিত ভাবে নিখুঁত অভিযান চালিয়েছিল। সেই বগিগুলিতে অবৈধভাবে ভ্রমণকারী পুরুষ যাত্রীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করেছিল। এই এক মাসে রেলওয়ে আইনের ১৬২ ধারায় মোট ১,৭৭৪ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ₹৩,২৪,৪৫০/- জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে এমন নিয়ম লঙ্ঘন করলে কাউকে বরদাস্ত করা হবে না।নারী ও শিশু সুরক্ষার জন্য যেসব মূল পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত করা হয়েছে, সেগুলি নিম্নরূপ :ট্রেন এসকর্ট এবং নজরদারি:১। ১২টি মহিলা ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন-সহ ৩৩৯টি ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করেন আরপিএফ জওয়ানরা।২। ৭৪টি এক্সপ্রেস ট্রেনে পুরুষ ও মহিলা আরপিএফ কর্মীরা যৌথভাবে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। ৩। নেটওয়ার্ক জুড়ে ১৭০ টি স্টেশনে মোট ৩,৮৯৪ টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, বিশেষত মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য আরপিএফ দ্বারা ৮৭ টি স্টেশনে ২,২৬৫ টি ক্যামেরা মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।৪। ট্রেন এসকর্ট এবং যাত্রী ইন্টারফেস অপারেশন চলাকালীন আরপিএফ কর্মীদের ১২৭ টি পরিধানযোগ্য ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়েছে যা সুরক্ষা পরিস্থিতির রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়।৫। ৮৮টি ট্রেনে একা যাতায়াতকারী মহিলাদের সহায়তার জন্য ১৫টি স্টেশনে মেরি সহেলি দল মোতায়েন করা হয়েছে। যার ফলে মহিলা যাত্রীরা একা হওয়া সত্ত্বেও সম্পূর্ণ যাত্রা সুরক্ষিত ও নিরাপদ ভাবে যাত্রা করতে পারেন।শহরতলির অঞ্চলগুলিতে প্রায় ২৫টি স্টেশনে যেখানে দৈনিক মহিলা যাত্রীদের যাতায়াত বেশি সেখানে মাতঙ্গিনী স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে যারা সুনিশ্চিত করে মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা।৬। অভাবী শিশুদের সাহায্য ও উদ্ধারের জন্য (হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদা টাউন, ভাগলপুর, সাহেবগঞ্জ) ছয়টি চাইল্ড হেল্প ডেস্ক চালু রয়েছে। ব্যান্ডেল, বর্ধমান, বোলপুর শান্তিনিকেতন এবং জামালপুরে চারটি অতিরিক্ত হেল্প ডেস্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।৭। শুধু আগস্ট মাসেই অপারেশন নানহে ফারিশতের আওতায় ১২৫ জন শিশুকে (৮৮ জন ছেলে ও ৩৭ জন মেয়ে) উদ্ধার করে পুনর্বাসনের জন্য শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।৮। অপারেশন এএএইচটি (মানব পাচার রোধ)-এর অঙ্গ হিসেবে শিয়ালদহ, হাওড়া, মালদা টাউন এবং আসানসোলের আরপিএফ পোস্টগুলিতে ৭১টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। যারা আগস্ট মাসে ৯ জন কিশোরকে উদ্ধার ও ৫ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে ।মহিলা যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তার ভাব জাগিয়ে তুলতে পূর্ব রেলওয়ের বড় বড় স্টেশনগুলিতে আরপিএফ কর্মীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। এই সক্রিয় পদক্ষেপটি যে কোনও সম্ভাব্য দুর্বৃত্তকে প্রতিরোধ করে এবং যাত্রীরা তাদের ভ্রমণের সময় যাতে নিরাপদ বোধ করে তা সুনিশ্চিত করে।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
রাজনীতি

বঙ্গভঙ্গ: আগুন পথে বিজেপি?

১৯৪৭ -এ দেশভাগের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। সেই ক্ষতের অভিঘাতে ঋত্বিক ঘটকের হৃদয় জীর্ণ হয়েছিল কাঁটাতারের অবসাদ তাঁকে আজীবন ঘিরে ছিল। দেশভাগের রক্তাক্ত দলিল বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় ছড়িয়ে রয়েছে। কত সম্পন্ন উঠোন, কাঁচা পাকা গেরস্থালি অকালে ঝরে গিয়েছে। তার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। মনুষ্যত্বের অপমান লাঞ্ছিত দীর্ঘশ্বাস আর বেদনা জারিত স্মৃতি আজও ব্যাথা জাগায়। মানবজমিনের এই অধঃপতনে অন্নদাশঙ্করের কলম লিখে ছিল, তেলের শিশি ভাঙলে বলে খুকুর পরে রাগ কর/ তোমরা যে সব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ কর?....সেদিনের দেশভাগের পরিণতি বাংলার বুকে কাঁটাতার। এক সময় কুমিল্লা থেকে কলকাতার কলা বাগানে একই সূর্যের আলোয় ভোর হতো। আজ কুমিল্লায় ভোর হয় প্রতিবেশী সূর্যের আলোয়। সেই ভাগের বেদনা ফের উঁকি মারছে বাংলায়। সৌজন্যে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির গলায় বিচ্ছিন্নতা বাদের জিগির। বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি কি আবার রাজ্যকে ভাগ করার পথে পা রাখতে চলেছে? উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি উত্তর বঙ্গের জন্য পৃথক ব্যবস্থার দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেই দাবির রেশ ধরে একাধিক দলীয় সাংসদ ও বিধায়ক সরাসরি উত্তর বঙ্গের একাংশে কেন্দ্রীয় শাসনের দাবি তুলেছেন। তাঁদের যুক্তি পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবেই তাঁরা কেন্দ্রের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের শরিক করে বাড়তি কেন্দ্রীয় সাহায্য পেতে চাইছেন। বিচিত্র যুক্তি। একই সঙ্গে তাঁরা বলছেন উত্তর বঙ্গে অনুপ্রবেশ আটকাতেই এই ব্যবস্থা দরকার। অর্থাৎ সেই সাম্প্রদায়িকতার জুজু। হিন্দু ভোট এককাট্টা করার নতুন কৌশল। আর উত্তর বঙ্গ কে এই নতুন কৌশলের পরীক্ষাগার করার জন্যই কি সলতে পাকানো শুরু? এই প্রশ্নও উঠছে। উত্তরবঙ্গের অনুন্নয়নের যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে তা অস্বীকার করা যায় না। সেখানে উন্নয়ন বাড়লে তা সমগ্ৰ রাজ্যেরই কল্যাণ। সেখানে পশ্চাৎপদতার জন্যে কেন্দ্রের বাড়তি সাহায্য চাওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই। উত্তর বঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য বেশি। তাই বাড়তি সাহায্যের জন্য তাঁরা উদগ্ৰীব হতেই পারেন। কিন্তু রাজ্যকে ভাগের কথা বলার মধ্যে অশান্তির ফুলকি থেকে যায়। পশ্চিমবঙ্গের সুস্থিতি ও সংহতির স্বার্থে এই বিপজ্জনক পথ এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব নিয়ে এ রাজ্যে সরব গেরুয়া শিবির। নিছক দলীয় স্বার্থে সেই গুরুত্ব জলে ভাসালে রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে তা শুভ ইঙ্গিত নয়। অন্তত এই বোধটুকু বিরোধী দলের কাছে আশা করা যায়। তবে বাংলা ভাগ নিয়ে শোরগোলে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও বিভাজনের কথা শোনা যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে খবর, দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি নেতারা মনে করছেন দল এই পথে এগোলে, ভবিষ্যতে রাজ্যে বিজেপির দপ্তর খোলার লোক পাওয়া যাবে না। রাজনীতির পরিভাষায় বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের অরগ্যানিক পার্টি নয়। অর্থাৎ এই রাজ্যে বিজেপির ভূমিজ শিকড় নেই। শিকড়ের টান শুধু গাছ নয় মানুষকেও ধরে রাখে। তাই মানুষের তৈরি রাজনৈতিক দলেরও বিকাশে শিকড়ের প্রয়োজন। আর এই শিকড়ের অভাবেই ২০১৯ শেষ লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য খুব বেশি ডালপালা মেলতে পারলো না। বাম কংগ্রেসের শূন্যস্থানে প্রধান বিরোধী হয়ে থাকাই যেন তাদের ভবিতব্য।ভারত ভূখণ্ডের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই বঙ্গেও বৈচিত্র্যের বিভিন্নতার সুপত্র সমাবেশ। তাই সাতের দশকে বাংলার কবি অরুণ চক্রবর্তীর চোখে শ্রীরামপুর স্টেশনের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মহুয়া গাছের বিবর্ণতা জ্বালা ধরায়। কবি লেখেন, লাল পাহাড়ির দেশে যা/ রাঙামাটির দেশে যা/ ইতাক তোকে মানাইছেনা রে/ইক্কেবারে মানাইছেনা রে। হিন্দি বলয়ের মেরুকরণ এই মাটিতেও মানাবে না। ১৯০৫ সাল। তখন ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন। ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা ভাগের পরিকল্পনা করেছিলেন কার্জন। ব্রিটিশ শাসকের এই divide and rule নীতিতে প্রতিবাদ ছড়িয়েছিল বঙ্গ। প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রাখিবন্ধনকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কবি। সেদিনের স্মৃতি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ঘরোয়া অনুলিখনে রাণীচন্দকে বলেছিলেন। অবন ঠাকুর বলেছিলেন সকালে জগন্নাথ ঘাটে স্নান করে ফেরার পথে রবিকাকা রাস্তার দুপাশে জড়ো হওয়া মানুষের হাতে রাখী পরিয়ে দেন। পাথুরে ঘাটায় আস্তাবলে মুসলমান সহিসদের হাতেও রাখী পরান। সেখানেই শেষ নয়। চিৎপুরে সবচেয়ে বড় মসজিদে গিয়ে মৌলবীসহ অন্যদের হাতেও রাখী পরান কবি। রবিকাকা যখন মসজিদের দিকে এগোচ্ছেন তখন গোলমালের ভয়ে কাকার চোখ এড়িয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ার কথাও বলেছেন অবনীন্দ্রনাথ। তবে সামান্য গোলমাল ও নয় বরং সেদিনের উপলক্ষে লেখা কবির , বাংলার মাটি বাংলার জল/ বাংলার বায়ু বাংলার ফল/ পুন্য হউক পুন্য হউক হে ভগবান -এর আবেশ। তাদের সমবেত কন্ঠে গলি থেকে আকাশ পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। লর্ড কার্জনের বাংলা ভাগের পরিকল্পনা রদ হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পাঁচের দশকে আরও একবার বাংলার ভূগোল পাল্টাতে চেয়েছিল শাসক। তৎকালীন কংগ্রেস সরকার বাংলা বিহার সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা করেছিল। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বামপন্থীরা। কিন্তু তাতে কান দেয়নি শাসকদল। একদিকে পরিকল্পনা এগোতে থাকে অন্যদিকে তীব্র হয় বামেদের আন্দোলন। সেই সময় কলকাতা উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে বাম সমর্থিত নির্দল বিধায়ক বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় বিরোধীদল নেতা জ্যোতি বসুকে বলেন এই উপনির্বাচনকে আমি গণভোট হিসেবে নিচ্ছি। নির্বাচনে তোমরা জিতলে সংযুক্তিকরণ হবে না, আমরা জিতলে তোমাদের সংযুক্তিকরণ মেনে নিতে হবে। জ্যোতি বসু সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত প্রার্থীই জিতেছিলেন। বিধান রায় সংযুক্তিকরণ থেকে পিছিয়ে এসেছিলেন। ইতিহাস বলছে দেশভাগের কূট খেলায় বাঙালি পরাস্ত হলেও বাংলা ভাগ মেনে নেওয়া বাংলার মানুষের ঠিকুজিতে নেই।

আগস্ট ০২, ২০২৪
দেশ

সেদিন প্রধানমন্ত্রী হলে

গত ৮ই জুলাই ছিল প্রয়াত জ্যোতি বসুর ১১১তম জন্মদিন। নিউটাউনে Jyoti Basu Centre for social studies and research য়ের নির্মীয়মান প্রাঙ্গণে পালিত হয় তাঁর জন্মদিন। বক্তা ছিলেন পরিচালক গৌতম ঘোষ ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সিপিএমের দীর্ঘকালীন রেওয়াজ ছিল মুজফ্ফর আহমেদের জন্মদিন পালন। ১৯৬৩ সালের ৫ অগাষ্ট কাকাবাবুর জন্মদিন প্রথম পালিত হয়। সেই সময় অবিভক্ত কম্যুনিস্ট পার্টি ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। দলের মধ্যে যারা Dange বিরোধী ছিলেন তাঁরাই কাকাবাবুর জন্মদিন পালন করেছিলেন। উপলক্ষ ছিল শোধনবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই। পরের বছর-ই সিপিআই ভেঙে সিপিএম তৈরি হয়। সেই সময় থেকে দল প্রকাশ্যে শুধুমাত্র কাকাবাবুর জন্মদিনই পালন করে আসছে। ৮ই জুলাই জ্যোতি বসুর জন্মদিন। ওইদিন সকালে Saltlake য়ে ইন্দিরা ভবনে সুভাষ চক্রবর্তী ও রমলা চক্রবর্তী পথের পাঁচালীর ব্যানারে অনুষ্ঠান করতেন। দল কোনো অনুষ্ঠান করতো না। ২০২১ সেই ছবিটা বদলে গেল। ওই বছর ৮ই জুলাই দলের রাজ্য কমিটির অধীন Jyoti Basu Center for Social Studies and Research Trust নিউটাউনে অনুষ্ঠান করেন। সেই অনুষ্ঠানে ও সভাপতি ছিলেন বিমান বসু। পরের দিন গনশক্তিতে জ্যোতি বসুর জন্মদিন পালনের খবর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়। অর্থাৎ কাকাবাবু ছাড়া আর কারুর জন্মদিন পালন করা হবে না এই নিয়ম নিঃশব্দে উঠে যায়।আরও পড়ুনঃ গ্রামের বার্তা২০২১ সালে এই পরিবর্তনে মনে হয়েছিল বিরোধী অবস্থানে এবং ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সংসদীয় গণতন্ত্রের আঁকা বাঁকা পথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছিল তাঁকে শরণে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মনে হয়েছিল বিরোধী অবস্থানের কঠিন জমিতে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ে সিপিএমের রণকৌশলে নতুন পথ নতুন ভাবনা দেখতে পাওয়ার সুচনা হল। কিন্তু তিন বছর পর মনে হচ্ছে হাতে থেকে যাচ্ছে শুধুমাত্র অনুষ্ঠান সর্বস্বতা। জন্মদিনে প্রয়াত জ্যোতি বসু কে স্মরণ করা যতটা সহজ তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অনুশীলন রপ্ত করা ঠিক ততটাই কঠিন। বিশেষত দলের সাফল্যের ছায়ায় বেড়ে ওঠা নেতা নেত্রীদের পক্ষে তা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। আজ যখন শুধু রাজ্যে নয় সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও সিপিএম ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে তখন মনে হয় জ্যোতি বসু কে সামনে রেখে রাজনৈতিক জমি ঊর্বর করার যে সুযোগ এসেছিল তা হেলায় হারিয়েছে সিপিএম।আরও পড়ুনঃ রুষ্ট গনদেবতা১৯৮৯ ও ৯১ সালের মত ১৯৯৬-তেও ত্রিশঙ্কু হয়েছিল লোকসভা। ১৬১ টি আসন পেয়ে বিজেপি হয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। বিজেপির সরকার গঠনের পথ বন্ধ করতে বিরোধী দল গুলি আলোচনায় বসে ছিল। ভি পি সিং, মুলায়ম সিং, লালুপ্রসাদ, করুনা নিধি সহ বহু নেতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু-কে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গড়া হোক। কারণ coalition সরকার চালানোর দক্ষতা এবং দিশা তাঁর থেকে বেশি আর কারুর নেই। কিন্তু সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। সেদিন সিপিএমের যুক্তি ছিল বুর্জোয়া - জমিদার রাষ্ট্রের প্রতিভূ কেন্দ্রীয় সরকারে যোগ দেওয়া যাবে না। ভি পি সিং পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে দ্বিতীয় দিনে ভোটাভুটি-তে একই সিদ্ধান্ত হয়। সিপিএম প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে সরকার গড়েছিল বিজেপি। ১৩ দিন পরে সেই সরকারের পতন হয়। এর পরে কংগ্রেসের সমর্থনে দেবগৌড়া কে প্রধানমন্ত্রী করে coalition government তৈরি হয়। বছর খানেক পরেই কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া কে পছন্দ হচ্ছেনা বলে জানায়। তখন হরকিসান সিং সুরজিৎ য়ের মধ্যস্থতায় প্রধানমন্ত্রী পদে I K Gujral কে মেনে নেয় কংগ্রেস। কিন্তু কিছু দিন পরেই তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে কংগ্রেস সমর্থন তুলে নিলে সরকার পড়ে যায়।আরও পড়ুনঃ ভোটের সুনামিকেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে সাত মাস পরে জ্যোতি বসু দলের সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক ভুল বলেছিলেন। এরপরে BBC র Hard Talk অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর বিদেশ নীতি ও আর্থিক নীতি কী হবে এই প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতি বসু যা বলেছিলেন তা এক সুসংবদ্ধ বিকল্প নীতি হিসেবেই সেদিন রাজনৈতিক মহলে আলোচিত হয়েছিল। ৯৬ সালে জ্যোতি বসু প্রধানমন্ত্রী হলে কী হতে পারতঃ* জ্যোতি বসুর সরকারকে মেয়াদ ফুরোনোর আগে ফেলে দিতে পারতোনা কংগ্রেস। কারণ জ্যোতি বসুর গভীর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সর্বভারতীয় স্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে তাঁর গ্রহন যোগ্যতা।* দেশজুড়ে ভূমি সংস্কারের কাজ গতি পেতো।* কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন পথ দেখা যেত।* হাতে গোনা কিছু শিল্পপতি একচেটিয়া পুঁজি ফুলে ফেঁপে উঠত। * আরো কিছু বিদেশী ও বেসরকারি ব্যাংক জাতীয়করণ হত।* বিমান , প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন ও অন্যান্য উৎপাদন ক্ষেত্রের দরজা বিদেশি পুঁজির সামনে অবাধে খোলা হত না।* বেকারি, দারিদ্র্য, বৈষম্য কিছুই থাকতো না তা নয় , তবে আজকে যে চেহারা দেখা যাচ্ছে তা দেখা যেত না।* বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র অবহেলা নয় অগ্ৰাধিকার পেত।* কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে বিরোধীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠতো না।* কলকাতা বিমানবন্দরে রাজ্যে লগ্নির প্রস্তাব নিয়ে প্রথম সারির শিল্পপতিদের বিমান নামত।* সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম সিপিএমের পতনের প্রতীক হত না।* বরং কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বাইরে সিপিএমের রাজনৈতিক জমি শক্ত হত।

জুলাই ১৭, ২০২৪
রাজ্য

দুই তৃণমূল বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ, শুভেন্দুর তোপ

রাজ্যপালকে শপথের জন্য প্রয়োজন পড়ল না। অবশেষে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তবে এদিন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নন, দুই তৃণমূল বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করাতে দেখা গিয়েছে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আশিসবাবু জানিয়েছিলেন তিনি শপথ বাক্য পাঠ করাবেন না। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এবং কলকাতা লাগোয়া বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হন রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জয়ের পরেও বেশ কিছুদিন তাঁদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়নি। বহু বিতর্কের শেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার এবং বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, অধ্যক্ষ বিধানসভায় হাজির থাকতে তিনি শপথ গ্রহণের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তিনি নিজেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই বিধায়ককে শপথ গ্রহণ করানোর জন্য আবেদন করেন।রাজ্য বিধানসভায় দুই তৃণমূলের বিধায়কের শপথ গ্রহণের সময় জয় বাংলা স্লোগান তুলতে দেখা যায় তৃণমূলের বিধায়কদের। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন চালু রয়েছে। তাই বিধায়কদের শপথ গ্রহণের ব্যাপারে চিঠিতে যে নির্দেশ রাজ্যপাল দিয়েছিলেন তা এদিন মান্যতা পায়নি। বিধানসভার রুলস অফ বিজনেসের ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা মেনে তিনি জয়ী বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। যদি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই শপথ অনুষ্ঠানকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন।

জুলাই ০৫, ২০২৪
রাজ্য

মধ্যযুগীয় বর্বরতাও যেন হার মানছে, বাংলায় ক্রমাগত গণপিটুনিতে মৃত্যু অব্যাহত

মধ্যযুগীয় বর্বরতা বললেও যেন কম বলা হয়। বৌবাজার, সল্টলেক, ঝাড়গ্রাম, পাণ্ডুয়ার পর এবার তারকেশ্বর। ফের গণপিটুনিতে মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের। শুধু তাই নয়, যে অভিযোগে গণপিটুনি, সেই অভিযোগও মিথ্যে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে ঘটনাক্রম। রবিবার চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মান্না। বিশ্বজিতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের আত্মীয় বিকাশ সামন্তর বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে দাবি করে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।মৃতের পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে বছর ২৩ এর বিশ্বজিতকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে চলে মারধর চলতে থাকে। গুরতর জখম যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।এদিকে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, শুধু তাই নয়, যে টাকা চুরির কথা বলে ওই ২৩ বছরের যুবককে মারধর করা হয়েছিল, সেই টাকাও তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। দাবি, স্বীকার করেছেন অভিযুক্তের স্ত্রী। খুনের মামলা রুজু করে অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে আটক করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ।শুধু তারকেশ্বর নয়, সারা বাংলা জুড়েই চলেছে একের পর এক গণপিটুনি ও মৃত্যুর ঘটনা। বৌবাজারে সরকারি হস্টেলে টেলিভিশন মেকানিককে পিটিয়ে খুন, রোলারের যন্ত্রাংশ ও স্কুটার চোর সন্দেহে ঝাড়গ্রামে পিটিয়ে খুন, পাণ্ডুয়ায় যুবকের মৃত্যু, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে চোপড়ায় সালিশি সভায় যুগলকে মারধর, একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। কবে বন্ধ হবে এমন বর্বরতা? গণপিটুনির সাজা কি পাবে অভিযুক্তরা? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।সোমবার বৌবাজারে সরকারি হস্টেলে টেলিভিশন মেকানিককে পিটিয়ে খুনের ঘটনার তদন্ত করতে বৌবাজারের হস্টেলে যায় ফরেন্সিক দল। বউবাজার কাণ্ডে ধৃতদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে। মোবাইল চোর সন্দেহে টেলিভিশন মেকানিককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, পেটানোর পর প্রমাণ লোপাটে ডিলিট করে দেওয়া হয় হস্টেলের পাশে কেকের দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এদিকে রহড়া থানার রুইয়ার নাজির হোসেনকে ছেলে ধরা সন্দেহে এমন মারধর করা হয়েছে যে হাঁটাচলা করতে পারছেন না।

জুলাই ০১, ২০২৪
রাজ্য

হকার উচ্ছেদ নিয়ে ফের হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর, বেঁধে দিলেন রাস্তা পরিষ্কারের সময়

হকার উচ্ছেদ আমাদের লক্ষ্য নয়, তবে সবটাই করতে হবে নিয়ম মেনে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, কাউন্সিলরদের একাংশকেও কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি একমাস সময় দিয়েছেন হকারদের।মমতা বলেছেন, হকারদের আমি এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সব গোছাতে শুরু করুন। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপনাদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না।এবার হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। রীতিমতো বুলডোজার চালিয়ে বেআইনি দখলদারি ভেঙে দিচ্ছে প্রশাসন। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও দানা বেঁধেছে চূড়ান্তভাবে। মুখ খুলেছে বিরোধীরাও। এ প্রসঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা-কাউন্সিলরদের একাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একজন হকার চারটে করে ডালা বসাচ্ছে। এসব চলবে না.. কাউন্সিলর এসব চোখে দেখেও দেখেন না। গড়িয়াহাটে হাঁটার জায়গাই নেই। কাউকে বেকার করে দেওয়ার অধিকার আমার নেই। হাতিবাগানে রাস্তা দখল হয়ে গেছে। কাউন্সিলরদের দোষ আছে। ভাবছে মাসে মাসে চাঁদা পেলাম, আর রাস্তা দিয়ে দিলাম। প্রথমে বসাচ্ছেন পরে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করতে যাবেন। যে কাউন্সিলরের এলাকায় এসব হবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে তৃণমূল নেতাও গ্রেফতার হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হলে কোর্টে চলে যাচ্ছে। আদালতকে বোঝাতে আমরা ব্যর্থ। পুলিশ নেতাদের টাকা দিয়ে বেআইনি পার্কিং জোন। সবচেয়ে বেশি পার্কিং রয়েছে বিজেপির। হাওড়ায় যে যেখানে পারছে লুঠ করে নিচ্ছে। পুলিশের লোভ বেড়ে গেছে আজকাল। লোভ বেশি ভালো নয়। লোভ সম্বরণ করুন। পুলিশ, নেতারা সবচেয়ে বেশি দায়ী। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। হকারদের থেকে টাকা তোলা বন্ধ করুন নেতারা। বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া হবে না।এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, সাহস থাকলে রাজাবাজার, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াব্রুজ, পার্কসার্কাসে হকার উচ্ছেদ করুক। আগে তো বলেছিলেন টুল আর টেবিল নিয়ে বসতে। এখন গরীবের উচ্ছেদ চলছে গরীব হকারদের। এদিকে বাংলা পক্ষ সরব হয়েছে বাঙালি ভূমিপুত্রদের উচ্ছেদ করায়।

জুন ২৭, ২০২৪
রাজনীতি

২০২৬ লক্ষ্যঃ অ্যাকশন শুরু- দলীয় নেতৃত্ব ও পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ মমতার

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্য়েই হকার অভিযানে নামল রাজারহাট থানার পুলিশ। থানার আশেপাশে রাস্তার হকারদের রাস্তা দখল করে বসা যাবে না বসে সতর্ক করে দিয়েছে। এবার সারা রাজ্য়ে নানা ধরনের অভিযান চলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চলতি লোকসভা নির্বাচনে শহরাঞ্চল মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির থেকে। বেশিরভাগ পুর এলকায় জয় পয়েছে বিজেপি। তাই এখন থেকেই তৃণমূল নেত্রী ময়দান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে নেমেছেন। নিজেই দলীয় নেতৃত্ব ও পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ তুলেছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হচ্ছে। রাজ্য সরকারের জমি বেঁচে দিচ্ছে। পুরসভাগুলির কোনও পারফর্মেন্স নেই। পুলিশ ও আধিকারিকরা টাকা খেয়ে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ভ্য়াট, আবর্জনা নিয়মিত পরিস্কার হয় না। রাস্তায় আলো জ্বলেই যাচ্ছে জ্বলেই যাচ্ছে। কলের জল পরেই যাচ্ছে। টাকা কোথা থেকে আসছে। এটা লজ্জা মিউটেশন অনলাইন করা হলেও কাজ সময়মতো হচ্ছে না। যখন তখন ট্য়াক্স বাড়িয়ে দিচ্ছে। যখন তখন লোক নিয়োগ করে দিচ্ছে। অনলাইন এড়িয়ে অনুমতি। টাকার বিনিময়ে পুরসভার জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সরকারি জমি নষ্ট হচ্ছে। তদন্ত করতে চিফ সেক্রেটারিকে অর্ডার দিচ্ছি। আমি জানতে চাই না কে বা কারা করেছে, কারা আছে। সরকারি সম্পত্তি বাইরের লোক টাকার বিনিময়ে কিনছে। সরাকারি জমি জখল করে মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং হচ্ছে। রাজ্য সরকারের রাস্তা সংরক্ষণ হচ্ছে না। বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী, জেলর, এসিডও, ডিএম, আইসি কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি মমতা।দলের মন্ত্রীকেও বিঁধেছেন মমতা। তিনি বলেন, সল্টলেক, রাজারহাটের জমি দখল করা হচ্ছে। সুজিত(দমকলমন্ত্রী) কম্পিটিশন করে বাইরের লোক বসাচ্ছে। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কাজ করে না। রাস্তা ঝাড় দেয় না এবার আমাকে ঝাড় দিতে হবে। কলকাতায় পুলিশ চোখে ঠুলি দিয়ে বসে আছে। হাওড়ার চারজন বিধায়ক সুবিধা নিচ্ছে। বালি পুরসভার অবস্থাও খুব খারাপ। নমিনেটেড ৫ জন ভাবছে এটা তাঁদের সম্পত্তি। লোকাল টেন্ডার হবে না। এবার সেন্ট্রালই হবে। ডেভেলপমেন্ট বোর্ডগুলিতে ৪০০-৫০০ জন লোক রেখে দিয়েছে। কারও মাথা টিপছে কারও পা টিপছে। দীঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আছে। কোনও দরকার আছে। সরকারের লোক নেই কাজে লাগাও। হলদিয়া ডেভেলপ অথরিটিও তাই। আমাদের লোকেরা ভাবছে উনি তো ভুলে যাবেন। অফিসার ভাবেন আমি তো ২ বছর থাকবে। কোনওমতে কেটে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এবার রিভিউ কমিটি হবে। ভিডিল্য়ান্স, এডিজি ল এন্ড অর্ডার, সিআইডি, ডাইরেক্টর অব সিকিউরিটিসহ অন্যরা থাকবে। যে দাবি করার কথা বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের সেই দাবি করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান অভিযোগ করছেন, পুকুর ভরাট হচ্ছে। তা দখল করে বাড়ি হয়ে যাচ্ছে। কন্ট্রাক্টর, প্রমোটার রাজ চলছে। খাল বিক্রি করে দিচ্ছে। অবৈধ নির্মান চলছেই। আকাশ সমান বাড়ি হচ্ছে। এমনকী নবান্নের পাশে হচ্ছে। রথীন চক্রবর্তী অনুমতি দিয়েছে। ফুটপাত দখল বেড়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও পুরসভা দেখছে না। যারা দেখবে না তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে।সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মমতা। তাঁর দাবি, বিজেপিকে ভাগ দিচ্ছে অফিসাররা। তাঁরা মোটা টাকা তুলছে বাংলা থেকে। গরুর টাকা সব থেকে বেশি খায় বিজেপি। কয়লার টাকা, বালি, পাথার সব থেকে বেশি টাকা খায় বিজেপি। টাকা যায় পুলিশের মাধ্যমে। ওভারলোডিং ট্রাক টলছে। এতে আমাদের কিছু কিছু লোক আছে। তাদের ইডি, সিবিআই ভয় দেখায। টাকা তোলার মাস্টার চাই না। আমি জনসেবক চাইছি। এখানে কারও কথা শুনবো না।

জুন ২৫, ২০২৪
রাজ্য

বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস আইচের (বাচ্চুদা) প্রয়াণ

ক্ষণিকের আলাপ হয়েছিল। এক আলাপেই আপন করতে সময় নেননি তিনি। তবে গতকালের খবরে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস আইচ আর নেই। তবে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বাচ্চুদা নামেই। এক আলাপেই তাঁর ব্যক্তিত্ব আমাকে টেনেছিল। সেদিন সঙ্গে ছিলেন আরেক বিশিষ্ট সাংবাদিক রজত রায়। এই দুজনের কথাবার্তা শুনে একেবারে মাটির মানুষ মনে হয়েছিল। দেবাশিস আইচের বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। ভর্তি ছিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন। কলকাতার মানুষ হলেও মফস্বলের সঙ্গে ছিল তাঁর নাড়ির টান। এমনকী উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের জঙ্গলভূমি থেকে চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন তিনি। সেখানে ছুটে যেতেন মাঝে মাঝেই। সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের কথা বলতেন। জীবন-যাপনও ছিল একেবারে সাধারণ। খাসখবর থেকে আকাশবাংলা, সকালবেলা, কলকাতা টিভি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন। অসমের গৌহাটিতে একটি বাংলা সংবাদপত্রের সহসম্পাদক হিসাবে কাজ করেছেন। শেষের দিকে যুক্ত ছিলেন গ্রাউন্ড জিরো, ভিডিও ভলান্টিয়ার্সের সঙ্গেও। দেবাশিস আইচের লেখা কবিতার বইও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। যাই হোক ৭ অগাষ্ট ২০২২-এর দুপুরে বাচ্চুদার বক্তব্য শুনেছিলাম রাজ কলেজের সভাঘরে। সেদিন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসেসিয়েশন, বর্ধমান শাখার উদ্যোগ সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। রজত রায়, দেবাশিস আইচ ও নির্ণয় ভট্টাচার্য, তিনজনই ভালো বক্তব্য রেখেছিলেন। এই ধরনের সেমিনারে অভিজ্ঞরা বক্তব্য় রাখলে অনেক অজানা বিষয় জানাও যায়। যাই হোক সেদিন সেমিনার শেষ হওয়ার পর বাচ্চুদার সঙ্গে আলাপ হল। এক আলাপেই কত আপন করে নিয়েছিলেন। মনে হয়েছিল কতবছর ধরে যেন আমাদের পরিচয়। স্বল্প সময়েই অনেক কথা হয়েছে। ভালো থাকবেন বাচ্চু দা।

জুন ২২, ২০২৪
রাজ্য

রাখে হরি মারে কে? সাক্ষাৎ যমরাজকে ফাঁকি দিয়েছেন মালগাড়ির সহকারী চালক, জানুন উপস্থিত বুদ্ধি

সত্য়ি! রাখে হরি তো মারে কে? কিছু প্রবাদ প্রবচন তৈরি হয় নির্দিষ্ট কিছু ভাগ্য়বান মানুষের জন্য়ই। মালগাড়ি ও কাঞ্চনজঙ্ঘার ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরও বেঁচে গিয়েছেন মালগাড়ির সহচালক মন্নু কুমার। বেসরকারি হাসপাতালে লড়াই করছে এই সহকারী চালক। দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছে চালকের।এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী চৈতালি মজুমদারের ভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে রেল। চালক অনিল কুমার এবং সহকারী চালক মন্নু কুমারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযোগ, বেপরোয়া গতিতে ট্রেন চালানোর কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।সোমবার দুর্ঘটনায় লোকো পাইলট অনিল কুমারের মৃত্যু হলেও উপস্থিতবুদ্ধির জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন সহকারী চালক মন্নু কুমার। প্রাথমিকভাবে মন্নু তদন্তকারী দলের কাছে যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই অনুযায়ী, চোখের সামনে মৃত্যু অবধারিত দেখে চালকের আসন থেকে নেমে নীচের দিকে বসে গিয়েছিলেন তিনি। আর এতেই যমরাজের হাত থেকে নিজের প্রাণ ছিনিয়ে আনতে পেরেছেন বছর ৩২-এর মন্নু। আপাতত শিলিগুড়ির খালপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সহকারী লোকো পাইলট। তাঁর মাথায় এবং বুকে চোট রয়েছে। আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই তরুণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। যদিও রেলের কোনও আধিকারিক এনিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। রেল সূত্রের খবর, সহকারী লোকো পাইলট সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।গতকাল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মালগাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন লোকো পাইলট অনিল কুমার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী মন্নু কুমার। দুজনে কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে শিলিগুড়িতেই থাকেন। মালগাড়ি নিয়ে বেরিয়ে রাঙ্গাপানি স্টেশন পর্যন্ত এসেছিলেন তাঁরা। আটটা নাগাদ অনিল বাড়িতে ফোন করে স্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন। সিগন্যাল পেয়ে রাঙ্গাপানি স্টেশন থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে যায় মালগাড়ি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার আগে বাঁক নিয়ে মেন লাইনে প্রবেশ করে সেটি। এরপরই সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখন একমাত্র জানা রয়েছে সহকারীর। চোখের সামনে বিপদ দেখে জরুরি ব্রেক কষেছিলেন লোকো পাইলট অনিল। কিন্তু মন্নু বুঝে গিয়েছিলেন যে ব্রেক কষলেও বিপদ অবধারিত। তাই নিজের আসন ছেড়ে নীচে বসে পড়েন তিনি। দুর্ঘটনায় চোট পেয়ে জ্ঞান হারালেও নিজের বুদ্ধিতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মন্নু। জ্ঞান ফেরার পর থেকে তিনি শুধু খোঁজ করে চলেছেন অনিলের।

জুন ১৮, ২০২৪
রাজ্য

জ্বালাপোড়া গরম থেকে মুক্তির অপেক্ষায় বাংলা, রাজ্যে বর্ষা আসছে কবে?

অর্ধেক জুন মাস পেরিয়ে যেতেও বর্ষার দেখা নেই বাংলায়। এদিন ১৮ জুন। তবে এবার বর্ষা আসতে চলেছে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অবশেষে জ্বালাপোড়া গরম থেকে মুক্তি পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। কোনও কোনও জেলায় হাওয়ার বেগ বাড়বে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে।মঙ্গলবার প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলেও পশ্চিমের তিন জেলায় গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় গরম থাকবে। তবে এই তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ঝড়বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায়। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ। এই জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সঙ্গে ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।উত্তরবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে না। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুর্যোগ চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলার কিছু এলাকায়। কমলা সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে।এদিকে, মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ গোটা দিনই ছিল মেঘলা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। এবং সর্বনিম্ন ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। কলকাতার কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস।

জুন ১৮, ২০২৪
রাজ্য

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার মনমরা খবরের মাঝেও এক মানবিকতার অনন্য নজির

মানবিকতার অপরূপতা দেখল শিলিগুড়ি। দুর্ঘটনার পরপরই জখমদের রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে রক্ত দিতে ছুটলেন প্রচুর মানুষ। উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ জন যাত্রীর। আহতের সংখ্যাও বহু। হতাহদের মধ্যে বহু রেলকর্মী আছেন। মালগাড়ির চালকের প্রাণ চলে গিয়েছে। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডও মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময় মেনেই আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ফাঁসিদেওয়ার নিজবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই ঘটনায় উদ্ধারকার্যে হাত লাগায় প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়রাও। উদ্ধারকার্যে এগিয়ে আসেন বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন। দুর্ঘটনার পর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে মোট ৬২ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। এদের মধ্যে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ৪৭ জন জখম যাত্রী। জানা গিয়েছে, এদিন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকার্যে হাত বাড়াতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্যরা। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিজেদের অ্যাম্বুলেন্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তাঁরা। মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে, আহতদের রক্তের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে রক্তের বন্দোবস্ত করেন তাঁরা। সংস্থার তরফে এদিন মেডিকেল কলেজে গিয়ে রক্তদান করেছেন সংগঠনের ২০ জন সদস্য। এই প্রসঙ্গে, সংগঠনের সম্পাদক জ্যোতির্ময় পাল বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন তাঁরা। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছেন। রক্তের অভাবে যাতে আহতদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত না ঘটে, সেই কারণে ২০ ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করেছেন। প্রয়োজনে আরও রক্তের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। এদিন শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষকেও রক্তদানে এগিয়ে আসতে দেখা যায়।

জুন ১৭, ২০২৪
রাজ্য

২৪ ঘন্টায় ৩টে শ্যুট আউট-পার্কস্ট্রিট, বেলঘরিয়া, মালদায়, ২ জন জখম, ছড়াল আতঙ্ক

পার্কস্ট্রিটে গতকাল রাতে শ্যুট আউটের ২৪ ঘন্টা পেরোয়নি। এরই মধ্যে বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি। দিনের ব্যস্ত সময়ে বেলঘরিয়ার রথতলায় শ্যুট আউটের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে চুড়ান্ত চাঞ্চল্য।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের ওই ব্যবসায়ীকে খুনের উদ্দেশ্যেই গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর কমিশরাটের পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।ব্যারাকপুরের বাসিন্দা গাড়ি ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডল এদিন দুপুরে তাঁর নিজস্ব কালো ভলভো গাড়িতে চেপে কোনও কাজে যাচ্ছিলেন। বেলঘরিয়ার কাছে রথতলা মোড়ে জনা কয়েক দুষ্কৃতী পিছন থেকে তার পথ আটকায়। গাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে তারা। এদিকে প্রকাশ্যে গুলি চালনার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বাইকে চেপে জনা তিনেক দুষ্কৃতী ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তার গাড়িতে অন্তত ৫টি বুলেটের চিহ্ন মিলেছে। টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই গুলি চালনার ঘটনা বলেই পুলিশের অনুমান।এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশানার অলোক রাজোরিয়া বলেন, দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে সরাসরি অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ করে গুলি করে। ওই ব্যবসায়ীর গাড়িতে পাঁচ রাউন্ড বুলেটের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বেশ কদিন আগে থেকে দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা চেয়ে হুমকি দিচ্ছিল বলেই জানা গিয়েছে । ঘটনায় থানায় এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।বেলঘরিয়া, পার্কস্ট্রিটের পাশাপাশি মালদহতেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম সুমন সাহা। বয়স ৪৫ বছর। ছেলের অভিযোগ, সাড়ে তিন বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছে। দুষ্কৃতীরা জোর করে সেই জমি দখলের চেষ্টা করছে। তারই প্রতিবাদ করাতেই বাবাকে টার্গেট করা হয়। শুক্রবার গভীর রাতে চার দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে সুমন সাহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তবে গুলি ব্যবসায়ীর পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। তাই প্রাণরক্ষা হয় সুমনের। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে মালদহ থানার পুলিশ।আক্রান্ত ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশকে জানিয়েছেন, এদিন চারজন দুষ্কৃতী বাড়ির সামনেই তাঁকে ঘিরে ধরে । এরপরই তাঁকে মারধর করেই গুলি করে খুনের চেষ্টা করে। সেই মুহূর্তে তিনি পালিয়ে বাড়িতে ঢুকে যান। তখনই দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলি তার বাম পায়ে লাগে।পুরাতন মালদা থানা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

জুন ১৫, ২০২৪
স্বাস্থ্য

মালদায় বার্ড ফ্লু নিয়ে শোরগোল! পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়, বললেন স্বাস্থ্যকর্তা

মানবদেহে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ খতিয়ে দেখতেই মালদার কালিয়াচকে আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তিন প্রতিনিধি দল । শুক্রবার কালিয়াচক ১ ব্লকের আলিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিলামপুর এলাকার আক্রান্ত ওই শিশুর বাড়িতে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা: দীপঙ্কর মাঝি সহ তিনজন কর্মকর্তা। তাঁরা কথা বলেন আক্রান্ত শিশুর পরিবারের সঙ্গে। তবে পরিস্থিতি খুব উদ্বেগ জনক নয় বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা: দীপঙ্কর মাঝি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে শিশুর শরীরে পশু-পাখির রোগের সংক্রমণ মিলতেই গোটা আলিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে ব্যাপক আতংক ছড়িয়েছে। করোনার মত এই রোগ মানব দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে কিনা তা নিয়েও রীতিমতো চিন্তিত রয়েছেন আক্রান্ত শিশুর পরিবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামের বাসিন্দারা।এদিন ওই শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পর কালিয়াচক ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়েও বৈঠক করেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা। আক্রান্ত শিশুর মা এবং বাবা জানিয়েছেন, গত চার মাস ধরে তার ছেলে জ্বরে আক্রান্ত রয়েছে। প্রায় দিনই অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। একবার অক্সিজেন দিতে গেলে এক হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। ঘটিবাটি বিক্রি করে তাঁরা ছেলের কোনরকমে চিকিৎসা চালাচ্ছেন । এই অবস্থায় ভালো চিকিৎসা পরিষেবার দাবিও জানিয়েছেন আক্রান্ত শিশুর পরিবার । তাঁরা দাবি করেছেন, ছেলের বার্ড ফ্লু হয়েছে। কিন্তু জানুয়ারি মাসের এই রোগ এতদিন পর কেন জানানো হলো তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।উল্লেখ্য, সিলামপুর এলাকার চার বছরের শিশুর গত জানুয়ারি মাসে জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। প্রায় একমাস চিকিৎসা চলার পর ওই শিশুকে মালদা থেকে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপরই ওই শিশুর রক্ত সহ শারীরিক সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করে মহারাষ্ট্রের পুনেতে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়। প্রায় পাঁচ মাস পর গত তিনদিন আগে বার্ড ফ্লু জড়িত সংক্রমণ ওই শিশুর শরীরে মিলেছে বলে রিপোর্টে পাঠানো হয়। আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে চরম শোরগোল পড়ে যায় । ভারতের ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের একজন এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদার কালিয়াচকের একজন মোট দুই মানবদেহে এই ধরনের পশু- পাখির রোগের সংক্রমণ মিলেছে। যা অতীতে ভারতবর্ষের কোথাও কোনদিন দেখা যায়নি। বিগতদিনে বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হয়েছিল বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ দীপঙ্কর মাঝি বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। তবে ওই শিশু এবং তার পরিবার নজরদারিতেই থাকবে। পাশাপাশি পুরো বিষয়ের রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

জুন ১৫, ২০২৪
রাজ্য

'যোগ্যশ্রী'তে এবার সিযোগ মিলবে সংখ্যালঘু, ওবিসি ও জেনারেল ক্যাটেগরিদেরও, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নয়া মাস্টারস্ট্রোক মমতা সরকারের। এবার যোগ্যশ্রী প্রকল্পের আওতায় আরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এব্যাপারে এক্স হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ্যশ্রী প্রকল্পে এবার কাদের যুক্ত করছে রাজ্য? সেব্যাপারে এক্স হ্যান্ডলে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রী এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, জানাতে গর্ব হচ্ছে যে, আমাদের যোগ্যশ্রী স্কিম যাতে আমরা রাজ্যের SC/ST ছাত্র-ছাত্রীদের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, তা আমাদের SC/ST ছেলে-মেয়েদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার পথে খুবই কাজে লাগছে। এই স্কিমে আমরা এবার সংখ্যালঘু, ওবিসি এবং জেনারেল ক্যাটেগরি ছাত্রছাত্রীকেও যুক্ত করব।তিনি আরও লিখেছেন, এই ২০২৪ সালের পরীক্ষাতেই আমাদের যোগ্যশ্রী ছেলেমেয়েরা JEE (অ্যাডভান্সড) পরীক্ষায় ২৩টি র্যাঙ্ক (১৩টি IIT র্যাঙ্ক সহ), JEE (মেইন) এ ৭৫টি র্যাঙ্ক, WBJEE-এ ৪৩২টি র্যাঙ্ক এবং NEET-এ ১১০টি র্যাঙ্ক পেয়েছে। এইসব কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই ফলাফল আগের বছরের ফলাফলের চেয়েও অনেক ভালো।যোগ্যশ্রীর এই বিপুল সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে এটাকে আমরা আরও বড় আকারে করছি। রাজ্যজুড়ে মোট ৫০টি সেন্টার খোলা হয়েছে যেখানে আমার দুহাজার SC/ST ছেলেমেয়ে ট্রেনিং পাবে। এখন ক্লাস ১১ থেকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। এতে ছেলেমেয়েরা আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে।মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমাদের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছেলে-মেয়েরা আরও অনেক বেশি সংখ্যায় ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার হবে এটাই আমি চাই। এবার যুক্ত হবে সংখ্যালঘু, ওবিসি এবং জেনারেল ক্যাটেগরির ছেলেমেয়েরাও। সবার জন্য রইল আমার অভিনন্দন।

জুন ১১, ২০২৪
রাজ্য

রেমাল নামের অর্থ কি? কেন প্রক্রিয়ায় হয় এই নামকরণ?

ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করার জন্য চালু হয়েছিল নামকরণের প্রথা। এই নামের সাহায্যে সাধারণ মানুষ ছাড়াও, বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরাও ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করতে পারে। নতুন নামই বুঝিয়ে দেয়, এটা আলাদা ঘূর্ণিঝড়। এব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে, প্রস্তুতি নিতে, বিভ্রান্তি দূর করতে নয়া নাম কাজে লাগে। কোনও অঞ্চলের সাইক্লোনিক সিস্টেমই হল ঘূর্ণিঝড়। বিশ্বের সমস্ত জায়গায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের একইভাবে নামকরণের রীতি চালু আছে।রেমাল নামের অর্থ কি? আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার (২৬ মে) মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে। চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে এটিই হবে প্রথম প্রাক-মৌসুমি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় রেমাল নামের অর্থ- বালি। নামকরণ করেছে ওমান। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের আদর্শ নিয়ম অনুসারে এই নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।এবার ওমান কেন বেছে নিল?কিন্তু, ওমান কেন বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম বেছে নেবে? এই প্রশ্নও উঠেছে। আসলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা- ডব্লিউএমও (WMO)-এর সদস্য ১৮৫টি দেশ। এটি রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা। পাশাপাশি রয়েছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন-এসক্যাপ (ESCAP)। এই সংস্থা রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে থাকা একটি আঞ্চলিক কমিশন। যা এশিয়ায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য তৈরি হয়েছে। ওমান যার সদস্য।ঘূর্ণিঝড়ের নাম আদৌ কেন?ঘূর্ণিঝড়ের নাম গ্রহণ করা মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ জনগণ ছাড়াও, বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক ইত্যাদিকেও এই নামকরণ সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি বাড়াতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ।২০০০ সালে ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হয়, পিটিসির ২৭তম অধিবেশন। পিটিসি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে রাজি হয়। প্যানেলের প্রতিটি দেশ তাদের সুপারিশ পাঠানোর পর, পিটিসি তার তালিকা তৈরি করে। আর, ২০০৪ সালে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। পিটিসি ২০১৮ সালে, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেনকেও তাদের সংগঠনভুক্ত করেছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে, ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সদস্য ১৩টি দেশের প্রত্যেক সদস্য ১৩টি করে পরামর্শ দিয়েছিল। সেই তালিকা থেকেই বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে।কোন দেশে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, বা আছড়ে পড়বে নামকরণের ক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হয় না। বরং, দেশগুলোর পরপর নাম অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হয়। যেমন, ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ-র নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। আছড়ে পড়েছিল মহারাষ্ট্রে। ভারত নাম দিয়েছিল গতি। আছড়ে পড়েছিল সোমালিয়াতে। ইরান নাম দিয়েছিল নিভার। আছড়ে পড়েছিল তামিলনাড়ুতে।

মে ২৬, ২০২৪
রাজনীতি

দু'দফায় ৫০ লক্ষ টাকা! দেবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ শুভেন্দুর, পাল্টা দাবি অভিনেতার

ষষ্ঠ দফার ভোটের ঠিক ৩ দিন আগে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী তথা দেবের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডলে ডায়েরির পাতার ছবি দিয়ে দেবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের ভাইয়ের থেকে দেব দুদফায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের পাল্টা জবাবও দিয়েছেন দেব।দেবের কীর্তি শীর্ষক একটি পোস্ট এক্স হ্যান্ডলে করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডায়েরির দুটি পাতার ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেই পাতায় দেবের নাম করে মোবাইল ও ঘড়ির টাকা দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও আরণ্যক ট্রেডার্সের নামে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।দেবের কীর্তি:- pic.twitter.com/5RrzlxvDcr Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) May 23, 2024এদিন শুভেন্দু অধিকারীর এই পোস্ট নিয়ে পাল্টা নিজের এক্স হ্যান্ডলে দেব লিখেছেন, তাহলে উনিও কি গরু চোর ? শুভেচ্ছা দুজনকেই। আর একটা কথা, আমার ভদ্রতা কিন্তু আমার দুর্বলতা নয়। ও শুভেন্দু দা, তুমি নাকি কোথায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছো, হিরণের পাল্লায় পড়ে তোমাকে তো কাউন্সিলরে নামিয়ে দিচ্ছে। ভালোবাসি বলে বললাম, আমিও জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। আর রইলো কথা গরু চুরির টাকা, তোমার কোলের ছেলে হিরো হিরণ সেও পিন্টু মন্ডলের থেকে টাকা নিয়েছেন,তাহলে উনিও..পরে সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ঘাটালের তারকা তৃণমূল প্রার্থী দেব। তিনি বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের কাছে যে ডকুমেন্ট ছিল সেটা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে গেল কী করে? শুভেন্দু অধিকারীর এজেন্সিগুলির সঙ্গে যোগ আছে সেটা স্পষ্ট হল। যে টাকা আমি নিয়েছি, সেটা ফেরত দিয়েছি।তাঁর কথায়, ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ ৩ বছর ধরে আমাকে গরু চোর বলছেন। উনিও পিন্টু মণ্ডলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। আমি আজ অবধি সরাসরি আক্রমণ করিনি। শুভেন্দুদা সেই সুযোগ আমায় করে দিলেন। যদি আমি গরু চোর হই, তাহলে ইন্ডাস্ট্রির ৯০ শতাংশ লোকই গরু চোর। বলিউডও আছে এর মধ্যে। তদন্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে, কারণ আমি তৃণমূলের সাংসদ বলে।দেব আরও বলেন, আজ শুভেন্দু অধিকারীকে আমি মেসেজ করেছি। আমার ৫০ হাজার ভোট বাড়বে। আমাকে জোর করে ফাঁসানো হচ্ছে। ব্যবসার জন্য টাকা নিতে হয়। ২০১৭-তেই ৬-৮ মাসের মধ্যে সেই টাকা ফেরতও দিয়েছি।

মে ২৩, ২০২৪
দেশ

চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন বিএসএফের

আগামী ১৩ মে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি বিস্তৃত সফর করেছেন এবং নির্দেশিকা দিয়েছেন বিএসএফ। সকল কর্মকর্তাকে নিজ নিজ স্তরে সীমান্তে সংঘটিত অপরাধের উপর কড়া নজর রাখতে এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সাথে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত এসব ইউনিটের বিএসএফ জওয়ানদের পূর্ণ সততার সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।সফরের সময়, শ্রী গান্ধী, শ্রী আয়ুষ মণি তিওয়ারি, আইপিএস, আইজি, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সাথে, বেহরামপুরের আঞ্চলিক সদর দফতর পরিদর্শন করেন এবং বর্ডার রোড বরাবর পদ্মা নদীর নিকটবর্তী সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। আশেপাশের এলাকার মাটি ক্ষয়ের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করা হয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।উপরন্তু, শ্রী গান্ধী ১৪৯ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি কানাপাড়া এবং নির্মলচর পরিদর্শন করেন এবং কর্পস কমান্ড্যান্ট স্থানীয় পরিস্থিতি এবং প্রচলিত আন্তঃসীমান্ত অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক রবি গান্ধী কোম্পানী কমান্ডারদের সাথে মতবিনিময় করেছেন এবং সীমান্ত অপরাধ দমনে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির সাথে নিজেকে পরিচিত করেছেন।এরপরে, শ্রী গান্ধী ৭৩ ব্যাটালিয়নের একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল সীমান্ত চৌকি হারুডাঙ্গা পরিদর্শনে যান, যেখানে তাকে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার অস্থির এলাকা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ও কার্যকলাপ প্রতিরোধে গৃহীত জোরালো ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন।তার মূল্যায়ন অব্যাহত রেখে, মিঃ গান্ধী ১৪৬ এবং ৮৬ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি ,মেঘনা এবং শিকারীপুর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলি যত্ন সহকারে মূল্যায়ন করেন।মিডিয়াকে সম্বোধন করে, শ্রী রবি গান্ধী সীমান্তের নিরাপত্তা এবং জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইস্টার্ন কমান্ডের অটল প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন। তিনি আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবেলায় এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

মে ১১, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 18
  • 19
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal