• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Burdwan

উৎসব

বাংলায় ব্যতিক্রম: রাজ ঐতিহ্যের রীতি মেনে আজ, মঙ্গলবার রঙের উৎসবে মেতেছে বর্ধমান

দোল পূর্ণিমার দিন অর্থাৎ গতকাল, সোমবার সারা বাংলা রঙের উৎসবে মেতেছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা এই উৎসবের আবহে ভোট প্রচারও করেছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল একদা রাজাদের শহর বর্ধমান। ঐতিহ্যের পরম্পরা বজায় রেখে আজ, মঙ্গলবার রঙের উৎসবে মেতেছে বর্ধমান। অবশ্য হাল আমলের দুএকটি হাউসিং কমপ্লেক্সে ও কিছু কলা ও সংস্কৃতি শিক্ষাকেন্দ্র গতকাল সোমবার হোলি বা দোল পূর্ণিমা পালন করেছে। যা বর্ধমানের ঐতিহ্যের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।রাঢ়বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন নগর বর্ধমানের বাসিন্দারা দোল উৎসব পালন করেন দোল পূর্ণিমার পরের দিন। রাজাদের আমল চলে গেলেও সেই রীতিনীতি মেনেই রঙের উৎসব পালন করে চলেছেন বর্ধমানবাসী। শুধু শহর বর্ধমান নয় সাবেকি রীতি মেনে অম্বিকা কালনা সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় আজ চলছে রঙের উৎসব।কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদ মহতাব এই প্রথা চালু করেন। প্রথম দিন অর্থাৎ দোল পূর্ণিমার দিনটি বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল কূল দেবতার দোল উৎসবের দিন। লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরে দোল পালন হয়েছে গতকাল। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে দোল খেলা হয়ে থাকে। পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে সাধারণের রঙের উৎসব। সেই রীতির আজও চালু রয়েছে।

মার্চ ২৬, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানের ছোট রাজকুমারের প্রয়াণে শোকের ছায়া

প্রয়াত প্রণয়চাঁদ মহাতাব। তিনি বর্ধমানের ছোট রাজকুমার নামেই অধিক পরিচিত। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার আলিপুরের ডায়মণ্ড হারবার রোডের বিজয় মঞ্জিলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজকুমারের শেষকৃত্য হয়। প্রণয়চাঁদ মহতাবের প্রয়াণে বর্ধমানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শোকসভা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।জানা গিয়েছে, ১৯৪০ সালের ১৭ এপ্রিল বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন প্রণয়চাঁদ। জমিদারি প্রথা বিলোপ হয়ে যাওয়ার পরে প্রণয়চাঁদের বাবা উদয়চাঁদ তিন সন্তান নিয়ে বর্ধমান ছাড়েন। দার্জিলিংয়ের দুন স্কুলে পড়াশোনা করতেন ছোট রাজকুমার। জানা গিয়েছে, তারপর ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিসে ডক্টরেট করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বিয়ে করেন নন্দিনী মহতাবকে। তাঁদের একমাত্র ছেলে অজয়চাঁদ একটি বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক হয়ে আমেরিকায় রয়েছেন।বর্ধমানের লক্ষী নারায়ণ জিউ মন্দির, সোনার কালী, বিজয় বিহার, রাধা বল্লভ মন্দির ছাড়াও জামালপুর, কালনা, পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ কিছু মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে মহতাব ট্রাষ্ট। বর্ধমানে ছোট রাজকুমার বা রানী এলে তাঁরা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরের দোতলায় থাকতেন। শহরের কোন নামীদামী হোটেলে থাকতেন না।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
শিক্ষা

বর্ষশেষে 'মেসমারাইজ' বর্ষবরণ বর্ধমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

প্রতি বছরের ন্যায় ২০২৩-এও জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে পালিত হল ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (OAER)-র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শহরের দেওয়ানদিঘী অঞ্চলে অবস্থিত তাঁদের বিদ্যায়তন ২২শে ডিসেম্বর বর্ধমান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স (BIMS) ও আরও তিনটি স্নাতক স্তরের কলেজের অনুষ্টান দিয়ে এই তিনদিন ব্যাপী মেসমারাইজ-২০২৩ র (Mesmarize 2023) শুভারম্ভ হয়।২৩ ও ২৪শে ডিসেম্বর ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (OAER)-র বর্ধমান মডেল স্কুল র ছাত্র ছাত্রী দের নিয়ে নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়। ২৩ ডিসেম্বর বর্ধমান মডেল স্কুল-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর আইআইটি পদার্থ বিদ্যার বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট অধ্যাপক ডঃ অর্ঘ্য তরফদার, বর্ধমান ডিএনদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ডঃ সুভাস চন্দ্র দত্ত, উপস্থিত ছিলেন ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (OAER)-র প্রেসিডেন্ট ডঃ এস এম দাঁ, ও বিদ্যালয়ের কর্নধার এবং ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (OAER)-র সেক্রেটারি অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল।এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (OAER)-র বিভিন্ন বিভাগের অধ্যক্ষ যথা, লিজা বন্দ্যোপাধ্যায় (BIMS), ডঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (OIST), ডঃ এম এস আনোয়ার (BIMLS) ও সোসাইটির সদস্য সত্যরাজ আদিত্যাংশু মেদ্দা (OIHS)। ২২ ডিসেম্বর OAER-র বিভিন্ন কলেজের মেসমারাইজ-২০২৩ অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট রক ব্যান্ড রিডল (RIDDLE)। এছাড়াও সেদিনের সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা নাচ-গান-নাটকে মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের।বর্ধমান মডেল স্কুল তাঁদের দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে নৃত্য, সঙ্গীত ও ছোট নাটিকা উপস্থাপন করেন। উল্লেখ্য অবাক জলপান ও বাঞ্ছারামের বাগান নাটক দুটি দর্শকদের মনে ভীষণ ভাবে দাগ কাটে। এছাড়াও বর্ধমান মডেল স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের পরিবেশিত সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন রীতিমত মুগ্ধ করেছে উপস্থিত অভিভাবক ও দর্শকদের। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনে উপস্থিত হয়েছিলেন বর্ধমান সদর দক্ষিণ-র মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল ও বর্ধমান সদর থানার ইন্সপেক্টার ইন চার্জ সুখময় চক্রবর্তী। এদিন এক মনোরম যন্ত্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বেহালা, সেতার, পিয়ানো অ্যাকর্ডিয়ন, স্যাক্সোফোন, গিটার সহ একাধিক অ্যাকোস্টিক যন্ত্র সম্বলিত এক অনবদ্য সঙ্গীত মুর্ছনায় ভরে যায় মেসমারাইজ-২০২৩ র মঞ্চ। এদিনের এই যন্ত্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠান সমন্ধে বলতে গিয়ে সংস্থার সেক্রেটারি অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জানান, এই প্রজন্মের বাচ্চারা এত বেশী ডিজিটাল জিনিস দেখছে তারা ম্যানুয়াল সঙ্গীত পরিবেসনের যন্ত্র ভুলতে বসেছে। তাদের চেনানোর জন্যই মূলত এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন।অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথার মাধ্যমে ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (OAER)-র পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানান এই মেসমারাইজ-২০২৩ অনুষ্ঠানটিকে সাফল্য মণ্ডিত করে তোলার জন্য। তিনি জানান এটা কোন একজন বা শুধুমাত্র কয়েকজনকে কৃতিত্ব নয়। সামগ্রিক প্রচেষ্টার ফসল আমাদের এই সংস্থা। সকলে মিলে সকল কাজ সম দায়িত্ব নিয়ে করেছেন বলেই আজ আমরা রজত জয়ন্তী বছরে পা দিলাম। অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল আরও জানান, সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৪-এ তাঁদের সংস্থার ২৫তম বর্ষপুর্তী অর্থাৎ রজত জয়ন্তী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই অনুষ্ঠান আরও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে করার আশা করেন তিনি।২৩ ও ২৪শে ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে সর্বচ্চ স্থানাধিকারী ছাত্র ছাত্রীদের সম্বর্ধিত করা হয়। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিপিন বিহারী সিং ২৪শে ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান শেষে সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা ও নতুন বছরের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানান। সমবেত জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
উৎসব

দোলায় চড়ে নজরকাড়া শোভাযাত্রা কালীপ্রতিমার, মন কাড়ল বর্ধমানের

শ্যামাপুজোর বিসর্জন শোভাযাত্রা মাতিয়ে দিল বর্ধমান শহর। দোলায় চড়ে কালীপ্রতিমার শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার পাশে ভির জমালেন অগুনিত মানুষ। বর্ধমানের ঠাকুরপল্লী স্বামীজি সংঘের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ক্লাবের সদস্য ও সদস্যারা হাজির ছিলেন মায়ের বিদায়বেলায়। নজর কাড়ল বর্ধমানের।বিগত কয়েকবছর ধরেই চলছে কালীপ্রতিমার দোলায় চড়ে শোভাযাত্রা। সঙ্গে নানা বাদ্য। ক্লাবের পুরুষ-মহিলা উভয়ের কাঁধে ভর করে দোলায় যাত্রা করেন মা। মাঝে মাঝে চলে মাকে দোলায় চড়িয়ে নৃত্য। সেই দৃশ্য দেখতে বাড়ির ছাদ, বারান্দা থেকে মানুষজন হাজির ছিলেন। পাশাপাশি রাস্তার পাশে মায়ের দোলায় যাত্রা একবার দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন বহুজন। কালীপুজে কমিটির পক্ষে আশুতোষ দে ও সুজন দাস বলেন, বিগত কয়েকবছর ধরেই মাকে নিয়ে দোলায় শোভাযাত্রা বের হয়। এটাই আমাদের বিশেষত্ব। প্রচুর মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেন। আগমী দিনে এই অনুষ্ঠান আরও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। নেওয়া হবে নতুন পরিকল্পনা। আমাদের কালীপুজো ৬৪ বছর পার করেছে। স্বামীজি সংঘের সদস্যরা জানান, সারা বছর এই দিনটার অপেক্ষায় থাকেন তাঁরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানে ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, জামিন পেলেন ধৃত

পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্লাট থেকে টাকার পাহাড় মিলেছিল। সেই ঘটনায় অর্পিতার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হইচই পড়ে গিয়েছিল। তারপর হাওড়ায় ঝাড়খন্ডের বিধায়কদের গাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এবার বর্ধমানের তেলিপুকুর সাবওয়েতে এক ব্যবসায়ীর গাড়ির ডিকি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা টাকা উদ্ধার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। টাকা ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি চালকল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ধৃতের নাম অচিন্ত্য কুমার যশ। তিনি ধানকলের মালিক। ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।এদিকে এই ঘটনায় বর্ধমানের চালকল ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পড়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ পুলিশ বর্ধমান-আরামবাগ রোডের তেলিপুকুর মোড়ে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল। ওই সময়ে কালো রঙের একটি চারচাকা গাড়ি সেখানে পৌছাতেই পুলিশ গাড়িটি দাঁড় করায়। গাড়িতে দুজন মহিলা সহ পাঁচ জন ছিলেন। গাড়ির ডিকি খুলিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালাতে গেলে পুলিশ ডিকিতে কয়েকটি ব্যাগ দেখতে পায়। ওই ব্যাগগুলিতে টাকা ভর্তি রয়েছে দেখেই পুলিশ গাড়ি সহ যাত্রীদের আর যেতে না দিয়ে আটকে রাখে। এত টাকার উৎস কি তা জানার জন্য পুলিশ গাড়ির সকল আরোহীকে বর্ধমান থানায় নিয়ে যায়।জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, অচিন্ত্য যশ খণ্ডঘোষ ব্লকের উখরিদ অঞ্চলের শরঙ্গা গ্রামের বাসিন্দ। খণ্ডঘোষের বাদুলিয়া ও রায়নায় অচিন্ত্য যশের একাধিক চালকল রয়েছে। বর্ধমানের রামকৃষ্ণ পল্লীতেও ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি বর্ধমান শহরে বহুজাতিক সংস্থার একটি পোষাকের শোরুমও আছে ব্যবসায়ী অচিন্ত্য যশের। তাঁর ভাই একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক বলেও জানা জানা গিয়েছে। কোনও নথি ছাড়া মোটা অংকের নগদ টাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ ব্যবসায়ী অচিন্ত্য যশকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। ধৃতের আইনজীবী পার্থ হাটি এদিন বলেন, সন্দেহের বশে পুলিশ জিডি (জেনারেল ডাইরি) করে আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হতেই বিচারক জামিন দেন। আমরা পুলিশকে সব নথি জমা দেব। তবে বিচারক জামিন দিলেও টাকা বা গাড়ি এদিন ওই ব্যবসায়ী ফেরত পাননি।আদালত পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। আগামী ৭ নভেম্বর সেই রিপোর্ট পুলিশকে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

নভেম্বর ০৪, ২০২৩
উৎসব

বর্ধমানে স্কুল ছাত্র তৃপ্তিময়ের তৈরি মূর্তির বোধন ষষ্টিতে

বর্ধমানের প্রাচীনতম ওয়ার্ড দামোদরের পাশে কাঞ্চন নগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয় এর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শ্রী তৃপ্তিময় ঘোষ বিগত আট বছর ধরে নিজের হাতে পারিবারিক দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে নিজেই পুজো করে বর্ধমানবাসীকে স্তম্ভিত করেছে । এলাকার মানুষজন অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত। তার এই প্রতিভা আরো বিকশিত হোক এবং তার সৌরভ পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক যাতে, দেবী দুর্গা আমাদের শুধু লৌকিক দেবতাই নয় সমগ্র জাতির মা, যিনি এক ধারে নিজের সংসারকে রক্ষা করছেন অন্যদিকে সমগ্র পৃথিবীকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাচ্ছেন।মানুষ ও প্রাণীকুল অর্থাৎ জীব বৈচিত্রের ইকোলজি প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করছেন। ড. সুভাষ চন্দ্র দত্ত, শিক্ষা রত্ন ও জাতীয় শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়, মনে করেন মাতৃরূপী নারী শক্তি যে পৃথিবীকে বাঁচাতে পারে তার আইকন হচ্ছেন আমাদের আরধ্যা দেবী দুর্গা দশভূজা। ১৯০৩ সালে কাঞ্চননগরে আশিটির বেশি দুর্গাপুজো হতো, এবং স্কুলেও দুর্গা পুজোর জন্য এক মাস ছুটি থাকত। এই আশিটি দুর্গা পুজোয় এলাকার অর্থনৈতিক সামাজিক অবস্থা ও এলাকার কৃষ্টি সংস্কৃতি আভিজাত্য ঐতিহ্য এর ধারক বাহক হিসাবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বারবার দামোদরের ভয়াল বন্যাকে উপেক্ষা করে।তাই কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয় এর কীর্তিমান ছাত্র তৃপ্তিময় ঘোষ এর নিদর্শন যা বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও এলাকার আভিজাত্যকে তুলে ধরেছে । তাদেরই পূর্বপুরুষ শ্রীযুক্ত নলিণাক্ষ ঘোষ মহাশয়, বিদ্যালয়ের প্রথম ট্রাস্টির নয় জন সদস্যের মধ্যে শুধু একজনই ছিলেন তাই নয়, তিনি সেই সময় ব্রিটিশ আমলে দীননাথ দাস মিডিল ইংলিশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কার্যভার গ্রহণ করেন, এবং সেই সময়ের বিদ্যালয়ের দুর্গাপুজোর সমস্ত দায়-দায়িত্ব প্রথম ডাক্তার ভূতনাথ দাস এর সঙ্গে ভাগ করে পরিচালনা করতেন। আমরা বিদ্যালয়ের তরফ থেকে তৃপ্তিময় ঘোষ ও তার পরিবারকে অসংখ্য শুভেচ্ছা বুক ভরা ভালবাসা জানাচ্ছি ও তার উদ্ভাবন শক্তি আরও বিকশিত ও প্রসারিত হোক এই কামনা করছি। তৃপ্তিময় জনতার কথাকে জানায়, আমি এই পূজা প্রথম শুরু করি শুধু দুর্গা মূর্তি দিয়ে। তারপর বিগত আট বছর ধরে, আমি এই প্রতিমা তৈরি করি। আমি কোনো মিস্ত্রির কাছে প্রতিমা তৈরি শিখিনি। আমার এই প্রতিমা তৈরিতে সাহায্য করেন আমার মা। এই পূজা তে সেইরকম কোনো উপকরণ লাগে না। আমি মনে করি যে মা কে পূজা করতে কোনো কিছু লাগে না শুধু যেটা লাগে সেটা হল ভক্তি ও ভালোবাসা। আমার এই পূজার মূল আকর্ষণ হল নবমীর দিন আমি আমার মা কে পূজা করি। আমি প্রথম পূজা শুরু করি ২ বছর ৫ মাস বয়স থেকে। আমি আমার বাড়ি তে দুর্গা পূজা করি, ও এক বার আমি কালী পুজো করে ছিলাম। আমার পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হয় না । আমার বাবা এক জন ব্যবসায়ী আর আমার দাদু স্কুলের ট্রাস্ট বডির সদস্য ছিলেন ও দাদু র বাবা এই মিডিল ইংলিশ স্কুলের হেড মাস্টার ছিলেন। আমরা থাকি তেলি পাড়া, কাঞ্চন নগর এ। আমি দুর্গা, কালী, সরস্বতী মূর্তিও বানাতে পারি। এখানে উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে স্কুলের পূর্ব দিকে কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির এলাকা ও তেলিপাড়া-টি লাট সাহেব পাড়া বলে খ্যাত ছিল। বিদ্যালয়ে দুর্গা পুজোর বা লক্ষ্মী পূজো বা ষষ্ঠীতে পুজোর পূজারী ছিলেন অভয়পদ ভট্টাচার্যের পরিবার যাদের আদি বাড়ি ছিল বনতীর সুপুর, চিন্ময়পদ ভট্টাচার্য ছিলেন শেষ পূজারী। তাই ব্রিটিশ আমলের স্কুল ও ডিসপেন্সারি শুধুমাত্র গরিবদের জন্য লেখাপড়া ও স্বাস্থ্যের ধারক বাহক ছিল তাই নয়, পূজার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং জীব বৈচিত্র্য কে বাঁচিয়ে রাখার উত্তম পথপ্রদর্শক তা বারবার প্রমাণ করে। হয়তো সেই জন্যই এই ইকো ইস্কুলে কৃত্রিম পাখির বাসা বিদ্যালয় এর আভিজাত্য ঐতিহ্য ও সামাজিকতাকে তুলে ধরেছে, এবং লক্ষীর বাহন পেঁচা কোভিড পরিস্থিতিতে সমগ্র কাঞ্চন নগর তথা বর্ধমানবাসীকে সোশ্যাল ভ্যাকসিন হিসাবে কাজ করে প্যান্ডেমিকের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। তথ্যসূত্র বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল যেখানে বলা হয়েছে বার্ণ আউল অ্যাক্ট এজ এ সোশ্যাল ভ্যাকসিন অথবা পেঁচা বায়ো ইন্ডিকেটার হিসাবে কাজ করে পরিবেশে এবং মহামারী থেকে রক্ষা করে।

অক্টোবর ২০, ২০২৩
রাজ্য

শারদ উৎসবে বর্ধমানে বস্ত্র উপহার বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের

শারদ উৎসবকে আরও আনন্দমুখর করে তুলতে বস্ত্র উপহার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেঙ্গল প্রেস ক্লাব। রবিবার সকালে বর্ধমানে বিজয় তোরণের সামনে কয়েকশো মহিলার হাতে শারদ উৎসবের উপহার স্বরূপ শাড়ি তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, দুই কাউন্সিলর রাসবিহারী হালদার ও শাহাবুদ্দিন খান, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। রবিবার বিধায়ক খোকন দাস বেঙ্গল প্রেস ক্লাব-এর বস্ত্র উপহার অনুষ্ঠানে এসে মহিলাদের হাতে শাড়ি উপহার তুলে দেন। এসো, ভাগ করে নিই আনন্দ এই আবেদন ছিল সাংবাদিক সংগঠনের। এই অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক বস্ত্র উপহার দেওয়া হয়েছে।খোকন দাস বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিকরা দুর্গাপূজা উপলক্ষে সবার হাতে নতুন বস্ত্র দেওয়ার আয়োজন করেছে। দুর্গাপুজো বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব। প্রতিটি মানুষ পুজোর সময় একটা নতুন জামা কাপড় পড়বেন, একথা ভাবেন। বেঙ্গল প্রেস ক্লাব মানুষের পাশে থাকে। সাংবাদিক সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন খোকন দাস।বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের একটা মিল আছে। পুলিশ সারাদিন রাস্তায় থাকে, সাংবাদিকরাও সারাদিন রাস্তায় থাকেন। রাস্তায় থেকে তাঁরা বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অনেক সময় খবর সংগ্রহ করতে হয়। এখানে শুধু খবর সংগ্রহই নয়, সাথে সাথে তাঁরা সামাজিক দায়িত্বও পালন করছেন। প্রত্যেকটা সংগঠনের একটা সামাজিক দায়িত্ববোধ থাকে বেঙ্গল প্রেস ক্লাব এই বস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে তাদের সেই সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন। রাসবিহারী হালদারও সাংবাদিক সংগঠনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিজয়প্রকাশ দাস, সাধারণ সম্পাদক সৌগত সাঁই জানিয়েছেন, ২০০৮ সাল থেকে তাঁদের সংগঠন নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। আগামিদিনেও তাঁরা মানুষের পাশে থাকতে দায়বদ্ধ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঋষিগোপাল মন্ডল।

অক্টোবর ১৫, ২০২৩
রাজ্য

সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্ধমানের স্কুল

জেলাশাসক এবং শিক্ষাদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আসন্ন দুর্গাপূজার আগে জনপদের সর্বত্র পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যে আজ কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে আগমনীর আহ্বান : পরিচ্ছন্ন পূর্ব বর্ধমান এই বিশেষ প্রোগ্রামে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পরিচালিত হয়। দীননাথ দাস স্কুলের শিক্ষক কমল সাহার পরিচালনায় শোভাযাত্রাটি কাঞ্চননগরের বিস্তৃত অঞ্চল পরিক্রমা করে।এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রী তথা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী বন্ধুরা। কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয় যা সকলে অনুভব করেছে। আমাদের পড়ুয়ারা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সচেতনতার পরিচয় সবসময়েই দিয়ে আসছে এবং আজও কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দারা তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়।উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গু যে ভাবে চোখ রাঙ্গাচ্ছে তাতে পরিস্থিতি খুব-ই গম্ভীর মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেলায় জেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চোখ বোলালেই খোঁজ মিলছে ডেঙ্গুর আক্রান্তের। মশাবাহিত রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু কোনও ছোঁয়াচে রোগ নয়, মানুষ একটু সচেতন হয়ে সমাজটিকে পরিচ্ছন্ন রাখলেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত রোখা যায়। তাই বর্ধমান জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।

অক্টোবর ১৩, ২০২৩
রাজনীতি

গলসি ১ ব্লকের অদ্ভুত রাজনৈতিক সমীকরণ, একাধিকবার পরিস্থিতির পট-পরিবর্তন

এক সময় তাঁরা ছিলেন কার্যত গুরু-শিষ্য। পরে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। দুজনের মধ্যে শত্রুতাও চরমে ওঠে। দুই নেতার অবস্থান হয়ে যায় দুই মেরুতে। আর তাঁদের অনুগামীর সংঘাতে একাধিকবার রক্ত ঝরেছে ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে। তাঁরা হলেন তৃণমূলের জেলা কমিটির সহ সভাপতি সেখ জাকির হোসেন আর গলসি ১ ব্লকের জনাদর্ন চট্টোপাধ্যায়। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে পর্যন্ত দ্বন্দ্ব চলেছে দুই নেতার মধ্যে। দলের একাংশ বলছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে গলসি ১ ব্লকে একই সঙ্গে ছিলেন ব্লক সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জী, বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, যুব নেতা পার্থ সারথি মণ্ডল এবং অনুপ চ্যাটার্জী সহ যুব, মহিলা, আইএনটিইউসি সভাপতিরা। আর ৯টি অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতিরাও ছিলেন জনার্দনবাবুর সঙ্গে৷ অন্যদিকে জাকিরকে দলে ব্রাত্য করে দেন জনার্দন, বলে অভিযোগ। সেই চিত্র বদলে যেতেই রাজনৈতিক চর্চাও বেড়েছে গলসিতে।তখনই জাকির হোসেন বুঝে গিয়েছিলেন তার অনুগামীরা টিকিট পাবে না। আর সেটাই সত্যি হয়। তাঁর অনুগামীরা টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন বলে দলের কিছু নেতার অভিযোগ। দলের অনেকেই বলছেন, শিক্ষা দিতে দলকে হারানোর জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন জাকির ও তাঁর অনুগামীরা। গলসি তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে এমনও জল্পনাও শোনা যায়। দলের টিকিট পাওয়া পার্থীদের হারাতে কোথাও সিপিএম, কোথাও কংগ্রেস এমনকি বিজাপির সঙ্গে তাঁর অনুগামীরা হাত মেলান। এমন আবহে পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে জনার্দন আর জাকিরকে এক মঞ্চে দেখে দলে চলছে জোর গুঞ্জন। হঠাৎই দুই নেতার কাণ্ড দেখে এলাকার মানুষ তো বটেই, অবাক হচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরাও। তাঁদের এই আঁতাতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, জাকির যেমন পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন। তেমনি, একটা সময় ছিল জাকির ও তাঁর অনুগামীদের দাপটে জনার্দনও কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। প্রায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তখন ব্লকে জাকির আর যুব নেতা পার্থ সারথি মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। বহু রক্তারক্তি হয়েছে সেই সময়। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে জনার্দনকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে এসে ব্লক সভাপতি করে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। তখনই জনার্দনের সঙ্গে জাকিরের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়।কিন্তু, এবার পঞ্চায়েত ভোটের পরেই ফের সমীকরণ বদল হল। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, জাকির আর জনার্দনের মধ্যে কী এমন হলো যে দুই মেরুতে থাকা দুই নেতাকে দুজন দুজনের হাত ধরতে হলো? রাজনৈতিক মহল বলছে, এলাকার নেতৃত্ব কায়েমকে কেন্দ্র করে সেই জাকিরের সঙ্গে জুটি বাঁধতে হয়েছে জনার্দনক। আবার গুরু শিষ্য এক হয়েই চলার চেষ্টা করছেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লকের এক নেতার কথায়, বর্তমানে দুই নেতাই অস্তিত্ব সংকটে। তাই পিঠ বাঁচাতে তাঁরা একই মঞ্চ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। দলের একাধিক মিটিং-এ পাশাপাশি চেয়ারে বসছেন। যা দেখে অনেকেই আবার বলছেন, হয়তো রাজনীতির নতুন সমীকরণ তৈরি হল গলসিতে। সেই ইঙ্গিতও মিলছে। দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, যুব সভাপতি পার্থ সারথি মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চ্যাটার্জী ও ব্লক নেতা মহম্মদ মোল্লাদের এড়িয়ে চলছেন জনাদর্নবাবুরা। শুধু তাই নয়, এক সভাতে বিধায়কদের সঙ্গে একই সুতোতে বেঁধে বিডিও (গলসি ১) দেবলীনা দাসকেও আক্রমণ করছেন খোদ জানার্দনবাবু। যা নিয়ে জনার্দনবাবুদের রাজনৈতিক আর্দশ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।তাঁরা বলছেন, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে দোলন দত্ত নামে এক কর্মীকে বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকান্তনগর সিটে টিকিট দেয় দল৷ দোলন জিতেও যান৷ এবং তার পরেই বুদবুদ পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন৷ তাঁর বিরুদ্ধে সুকান্তনগরে যে কোনও জায়গা কেনাবেচা এবং বাড়ি তৈরি থেকে মোটা টাকা কমিশন নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে সুকান্তনগরে এক আর্মি অফিসার কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, কাটমানি দিতে অস্বীকার করলে তার রড চুরি করেন দোলন, এমন অভিযোগ করেছিলেন ওই আর্মি অফিসার। বিষয়টি জানাজানি হতেই আর্মির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর থেকেও চাপ আসে দলের একাংশের কাছে৷ চাপে পড়ে রড চুরির কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান দোলন। রড ফেরত দিতে বাধ্য হন৷ সেই দোলনকে এবার পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি করতে চেয়েছিলেন জনার্দনবাবু। দল তাঁর নাম মনোনীত করে। কিন্তু যাদের জনার্দনবাবু টিকিট দিলেন তারাই দোলনকে মানতে রাজি হল না৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি-র সাথে যোগযোগ রাখা জাকিরের সঙ্গে জনার্দনবাবুর ঘনিষ্ঠতা জনার্দনের অনুগামীরা মেনে নিলেন না৷ আর এই সব ক্ষোভ সহ সভাপতি নির্বাচনে পড়ল৷ তারই ফলস্বরূপ ভোটাভূটিতে অনুপবাবু দ্বিতীয়বার আবার সহ সভাপতি নির্বাচিত হলেন৷ দলের নির্দেশের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি হলেও তা নিয়ে কোন প্রতিবাদ করেননি এমএলএ। তাই বিধায়কের সঙ্গে জনার্দন দূরত্ব বাড়ান, আর বিডিওর সঙ্গে অনুপের ভালো সম্পর্ক থাকাতে বিডিও হয়ে গেলেন জনাদর্নবাবুর চোখের বালি। তাই জনার্দনবাবু দলের শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এমএলএ ও বিডিওদের বেহিসাবি আক্রমন শুরু করছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলেরও একাংশ বলছেন, শাসক দলের নেতার মুখে যদি বিডিওর বিরুদ্ধে অনৈতিক মন্তব্য হয় তা হলে বিরোধীরা এই প্রশাসনকে মানবে কেমন করে? তাই দ্রুত জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে পদক্ষেপ করুক এমনটাই চাইছেন তাঁরা।অভিযোগ, শুধু জনার্দন নন, প্রশাসন আর দলের নেতৃত্বকে বারবার ছোট করার চেষ্টা করেছেন জাকির। আর এই চেষ্টা চলে আসছে দল যখন থেকে তাঁকে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন সেই তখন থেকেই। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, দলের সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হেনস্তা করতে তাঁর কর্মসূচি মানকরে নবজোয়ারে অশান্তি পাকিয়েছিলেন জাকির ঘনিষ্ঠরা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে, নবজোয়ার কর্মসূচি হয় মানকরে৷ সেই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন, দলের সর্ব ভারতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচির নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পান অনুপ চ্যাটার্জী৷ তাই কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে জাকির গোষ্ঠী ওঠে পড়ে লেগে যায় বলে দলেরই একাংশের অভিযোগ। বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর অনুগামীরা কর্মসূচি চলাকালীন মারপিটে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, আর এই মারপিটের বিষয়ে খোঁজখবর অভিষেকের কানে পৌঁছায়৷ তার পরেই আরও দলের বিরোধী হয়ে যান জাকির। ওদিকে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই সবাই যখন ধরে নিয়ে ছিলেন অনুষ্ঠান বাতিল তখন বুদবুদ থেকে তিনশো শ্রমিক নিয়ে গিয়ে সভাস্থল সভা করার উপযোগী করেন অনুপবাবু৷ তার এই কাজের জন্য দল সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়ে নেন। দলের কর্মীদের দাবি, বহু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নবজোয়ার কর্মসূচিতে অনুপকে আটকাতে পারেনি জাকিরবাবুরা। অনুপবাবু এবার পঞ্চায়েতে বুদবুদ বাজারের পিএস-৮ থেকে ১৮০০-এর বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন৷ তবে এর আগেও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডে সহ সভাপতির পদ সামলেছেন অনুপবাবু। আর সেই সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যত রনংদেহি মূর্তি ধারণ করেছিলেন তিনি৷ তৃণমূলের প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি, টোল থেকে আয় করত প্রায় ২০-২৫ লাখ৷ অনুপবাবু সেটাকে ১ কোটিতে নিয়ে যান৷ পারাজের ডিভিসির উপর কাঠের সাঁকোর অবৈধ টোল বন্ধ করে দেন৷ ডিভিসি-র উপর অবৈধ টোল অফিসে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন৷ আবার পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে ফের সহ সভাপতি হয়েছেন। মিষ্টি ব্যবহার এবং কাজের লোক হিসেবে ব্লকে জনপ্রিয় এই নেতাকে এবার দমাতে চান জনাদর্ন-জাকিররা এমনটাই দাবি তৃণমূলের বহু নেতার।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
শিক্ষা

প্রতিটা দিনই 'শিক্ষক দিবস'; শিক্ষক দিবসে এই বার্তা-ই দিল বর্ধমানের ইংরাজি মাধ্যম স্কুল

১৫ থেকে ৫ই অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হয়। কিন্তু ভারতে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর। সাধরণ রেওয়াজ অনুযায়ী সমগ্র দেশে এই বিশেষ দিনে ছাত্র ছাত্রীরা তাঁদের শিক্ষক শিক্ষিকা দের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে নানাবিধ অনুষ্ঠান অয়োজন করে। সরস্বতী পুজার মত এই দিনের অনুষ্ঠানের সকল দায়িত্ব ছাত্ররাই বহন করে। নাচ গান আবৃত্তির মাধ্যমে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানাবিধ অনুষ্ঠান হয়। আন্তর্যাতিক সংস্থা ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক শিক্ষকদের সন্মাননা জানানোর জন্য তাঁদের স্মরণে ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেক্ষেত্রে ভারতে কেন শিক্ষক দিবস এক্মাস আগে পালন হয়? এই প্রশ্নই অনেকের মনে।স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে ভারতের শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। একাধারে দার্শনিক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও ভারতরত্ন প্রাপক ডঃ রাধাকৃষ্ণান ১৮৮৮ র ৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন তৎকালীন মদ্রাজ আধুনা চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নমানের সহিত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫২ তে স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এর ঠিক ১০ বছর অতিক্রান্ত করে ১৯৬২ তে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে নিযুক্ত হন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনে।১৯৬২ তে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অগুনতি ছাত্র ছাত্রীরা তাঁর জন্মদিনটি পালনের জন্য অনুরোধ রাখেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের কাছে। তার প্রত্যুত্তরে তিনি জানান, তাঁর জন্মদিনকে আলাদাভাবে পালন করার চেয়ে, যদি ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হয় তবে তাতে আমি অধিকতর খুশি হব। সে থেকেই, সারা বিশ্বে শিক্ষক দিবস ৫ অক্টোবর পালিত হলেও, ভারতে ১৯৬২ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরই শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়।সারা দেশ সহ পশ্চিমবঙ্গের ও বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ সহ শিক্ষা সাথে জুড়ে থাকা নানান প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি পালিত হল মহা সমারোহে। বর্ধমানের বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুলেও এই দিনটি খুব জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে পালিত হয়। সকাল থেকেই রঙ্গিন পোষাকে চকলেট, গোলাপ, হাতে তৈরি গ্রিটিংস কার্ড নিয়ে উপস্থিত কচিকাঁচারা। তাঁদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। ওরিয়েন্টাল এসোশিয়েশান ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সংস্থার অধিনস্ত এই স্কুলে বরাবরই পড়াশোনার সাথে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এক সুন্দর মেলবন্ধন আছে। সেই রেশ রেখেই ছাত্র ছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটকের মাধ্যমের তাঁদের শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জ্ঞ্যাপন করেন। সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদাল ও পুষ্পার্ঘ প্রদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সংস্থার সেক্রেটারি ও বিদ্যালের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল।অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষক দিবস কোনও একটা বিশেষ দিন নয়, সারা বছরের প্রতিটা দিনই শিক্ষক দিবস। শিক্ষক কথাটার অর্থ ব্যপক...। শুধুমাত্র তোমাদের ক্লাসের মধ্যে যিনি ক্লাস নিচ্ছেন তিনিই একমাত্র শিক্ষক নন। পিতা, মাতা, গুরুজন, প্রতিবেশী, ক্রীড়াবিদ এরা সকলেই তোমাদের শিক্ষক। এমনকি আমরা অনেক ছোট ছোট জিনিস শিক্ষা লাভকরি এমন কিছু মানুষের থেকে যাঁদের শিক্ষক ভাবতে আমরা লজ্জা পাই তারাও এক অর্থে আমাদের শিক্ষক। তাই শিক্ষক কে অনুসরণ করে যদি চলা যায় তাঁকে যদি সারা জীবন তোমরা শ্রদ্ধা করতে পারো কোনোদিনই তোমরা তোমাদের জীবনের চলার পথে হোঁচট খাবে না।তিনি আরও বলেন, যে মানুষটি তাঁর নিজের জন্মদিনটি পালন না করে, সকল শিক্ষকদের স্মরণ ও শ্রদ্ধাজ্ঞ্যাপন করার কথা বলেন, তাঁর অর্থ এটাই দাঁড়ায় যেকোনো সফল মানুষের পিছনে একগুচ্ছ সফল শিক্ষক। তোমাদের সফল দেখাটাই শিক্ষদের সফলতা, তাই তাঁদের কথা আদেশ ভেবে মেনে চললেই জীবনে সফল হওয়ার চাবিকাঠির সন্ধান পেয়ে যাবে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের পর্ষদ চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্যকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রাথমিকের পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তোলপাড় কাণ্ড। মঙ্গলবার রাতেই অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর বুধবার সকাল থেকে মানিককে দফায় দফায় জেরা চলে। এসবের মধ্যেই এদিন হাইকোর্টে ফের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের তরফে শিক্ষা দফতরের সচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। শিক্ষকের স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পূর্ব বর্ধমান জেলা শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। কিন্তু চেয়ারম্যানের পরিবর্তে পর্ষদের একজন আপার ডিভিশন ক্লার্ক এই হলফনামা জমা দেওয়ায় চরম অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কারণে পর্ষদ চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।কেন তিনি নিজে যাননি? তারওপর আপার ডিভিশন ক্লার্ককে পাঠিয়েছেন দিয়ে হলফনামা জমা দিতে। জবাবে মধুসূদন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, তিনি করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে অন্য একজন পর্ষদ কর্মীকে দিয়ে হলফনামা জমা করিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন তৃণমূল বিধায়ক।মধুসূদনের বক্তব্য শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন। অন্য লোক কাজ করবেন। আমি মনে করি আপনি শারীরিকভাবে এই পদে কাজ করতে অপারগ। এরপরই পর্ব বর্ধমানের জেলা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশের দেন বিচারপতি। পাশাপাশি শিক্ষাসচিবকে আদালতের নির্দেশ কার্যকরে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলেন।দিল্লি থেকে দুপুরে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রণম্য। আমি আমার রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে বলছি, উনি সমাজ সংস্কারক। তাঁর একের পর এক নির্দেশ বঞ্চিত হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীদের আশার আলো দেখাচ্ছে। শুধু চাইব দোষীদের শাস্তি হোক।

জুলাই ২৬, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের বর ও বাংলাদেশের কনে, কাঁটাতার টপকে ঘর বেঁধেও হল না শেষরক্ষা

কথায় আছে বর্ধমানের বর আর বরিশালের কনে। এই জুটি ছিল নাকি সেরা জুটি। সোশাল মিডিয়ার বদান্যতায় জোরালো হয়েছে প্রেমের বাঁধন। দালাল চক্র ধরে কাঁটাতার পেরিয়ে বর্ধমানে এসে প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রেমিকা। কিন্তু দুজনেই এখন শ্রীঘরে। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে এদেশে এসেছেন প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম।প্রেমিকের টানে কাঁটাতার টপকে অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিয়েটাও সেরে ফেলেছিল পড়শি দেশের প্রেমিকা। কিন্তু সংসার আর জমে উঠল না। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রেমিক ও প্রেমিকা দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম। আর প্রেমিক বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা এলাকার যুবক শেখ সামিম।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৮-এর প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিমের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলার এনায়েতনগরে। বর্ধমানের তেঁতুলতলার ২২ বছরের যুবক শেখ সামিমের সঙ্গে ফেসবুকের বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয়। তারপর থেকেই প্রেমিকের টানে ভারতে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে নূরতাজ। মাস তিনেক আগে বাংলাদেশের এনায়েতনগর থেকে বনগাঁ বর্ডার পৌছে যায় অষ্টাদশি নূরতাজ। দালাল ধরে এর পর সে অবৈধ ভাবে বর্ডার পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। অভিযোগ, এই কাজেও নাকি তাঁকে সাহায্য করে প্রেমিক সামিম। বর্ডার টপকেই নূরতাজ তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বর্ধমানের উদ্দশ্যে রওনা হয়। তেঁতুলতলায় প্রেমিকের বাড়িতেই সে ওঠে। সেখানে মুসলিম শরিয়ত অনুযায়ী তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু আইনের গেরোয় তাঁদের সংসারে আপাতত ছেদ পড়েছে।এদিন দুজনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক দুজনের জামিন নামাঞ্জুর করে জেল হেপাজতে পাঠিয়ে দেয়। ১ জুলাই ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

জুন ২৬, ২০২৩
রাজ্য

আইসিএসই-তে দেশের সেরা বর্ধমানের ছাত্র সম্বিত, গর্বিত করল বাংলাকে

সর্বভারতীয় আইসিএসই (ICSE) বোর্ডের দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল বর্ধমান সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র সম্বিত মুখোপাধ্যায়। বর্ধমানের সম্বিত উজ্জ্বল করল বাংলার মুখ। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত বর্ধমান। বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র সম্বিত ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৮৯২ নম্বর পেয়ে ভারত সেরা হয়েছে। সম্বিতদের বাড়ি বর্ধমান শহরের পার্কাসরোডে। তবে কলকাতার লেকটাউনের বাড়িতেও তার পরিবার থাকে। ভারত সেরা ছাত্রটির লক্ষ্য দক্ষ সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।সম্বিত কখনও পড়াশুনাকে চাপ হিসেবে নেয়নি। সে নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা পড়াশুনা করত। পরীক্ষার আগে আর একটু বেশি সময় পড়ত সে। পড়ার জন্য রুটিন তৈরি ছিল। মোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় ইংরেজিতে ৯৯, বাংলায় ৯৫, ইতিহাস ও সিভিক্স-এ ১০০, ভূগোলে ৯৯, অংকে ১০০, ফিজিক্সে ৯৯, কেমিস্ট্রিতে ১০০, বায়োলজিতে ১০০ এবং কম্পিউটার এপ্লিকেশনে ১০০ নম্বর পেয়েছে সম্বিত। সম্বিতের এখন লক্ষ্য আইআইটি পাওয়া। সে সফল সফটওঅ্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। এই ফল তাঁকে সামনের বড় পরীক্ষাগুলোতে আরও ভাল ফল করার উৎসাহ যোগাবে বলে সম্বিত জানিয়েছে।পড়াশুনা ছাড়া সম্বিতের সখ গিটার বাজানো, ছবি আঁকা। দাবা খেলতেও ভালবাসে সে। সময় পেলে ক্রিকেট খেলা দেখে। তৃতীয় শ্রেণি থেকে সম্বিত প্রথম হয়ে আসছে। আইসিএসই-তে প্রথম হওয়ায় বাবা-মা, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রাইভেট শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সেন্টজেভিয়ার্সের ছাত্রটি। সম্বিতের বাবা মনোজ মুখোপাধ্যায় পেশায় কেমিক্যাল বিজ্ঞানী ও মা সুতপা মুখোপাধ্যায় দেবীপুর স্টেশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা।

মে ১৪, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের জেলাশসক ও পুলিশ সুপারকে আমের প্যাকেট উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

মালদা যাওয়ার সময় বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। প্রশাসনিক বৈঠক ও দলীয় সভা করতে মালদা গিয়েছিলেন তিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফেরার পথে বর্ধমান স্টেশনে ফের একই ভিড় চোখে পড়ল। তবে এবার বিশেষ ঘটনার সাক্ষী থাকল উপস্থিতি মানুষজন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আম ভর্তি প্যাকেট উপহার দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনকে। হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।শুক্রবার ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চড়ে মালদা থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৫টার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্ধমান স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ায়। মুখ্য়মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ট্রেনের কামরা থেকে বেরিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের হাতে আম ভর্তি প্যাকেট ও তোয়ালে উপহার দেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জেলার উন্নয়ন নিয়ে একগুচ্ছ দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখমন্ত্রী আমার সঙ্গে জেলার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন। ৫ টা ১৩ মিনিটে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশন ছেড়ে চলে যায়।

মে ০৫, ২০২৩
রাজনীতি

প্রবীণ সিপিআইএম নেতা মদন ঘোষ প্রয়াত, মরদেহ শায়িত থাকবে জেলা অফিসে

প্রয়াত হলেন প্রবীন কমিউনিষ্ট নেতা মদন ঘোষ। সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বর্ধমান জেলার প্রাক্তন সম্পাদক ছিলেন মদন ঘোষ। বর্ধমান জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি মদন ঘোষ ৮১ বছর বয়সে শুক্রবার সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ বর্ধমানে ভাতছালার বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি হলদি দে পাড়ায়। নিরুপম সেনের দলীয় সদস্যপদের প্রস্তাব করেছিলেন মদন ঘোষ। কৃষকসভার আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য মদন ঘোষকে নানা কর্মসূচি পালনের দায়িত্ব দল দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সকাল ১১ টায় বর্ধমান জেলা পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মরদেহ শায়িত থাকবে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

এপ্রিল ২১, ২০২৩
রাজ্য

রাজু ঝা খুনের সিসি টিভি ফুটেজ সামনে এল, তবে এখনও খুনিরা অধরা

ঘটনা ঘটে গিয়েছে প্রায় দু সপ্তাহ হতে চলল। এখনও গুলিতে ঝাঁঝরা কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের খুনীদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। তবে এবার রাজু ঝা খুনের সিসি টিভি ফুটেজ সামনে চলে এসেছে। এর আগে গরুপাচার চক্রে অভিযুক্ত লতিফের মোবাইল ফোনে কথা বলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যদিও লতিফ এখনও ফেরার। তাঁকে তলব করেই চলেছে ইডি। সিসি টিভি ফুটেজের দেখা যাচ্ছে সাদা রংয়ের ফরচুনা গাড়ি দাড়িয়ে আছে। নীল রঙের অন্য একটি চারচাকা গাড়িতে চড়ে আসা দুষ্কৃতীরা গাড়ি থাকে নামে। একেবারে সাধারণ ভাবে সাদা গাড়ির সামনে আসে। তারপর একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে সাদা গাড়িতে বসে থাকা কাউকে এক নাগারে গুলি করতে থাকে। পরে জানা যায় সাদা গাড়িতে ছিলেন রাজু ঝা। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাজুকে মৃত বলে চিকিৎসকরা ঘোষণা করেন। বর্ধমান শহর থেকে অনতি দূরে আমড়ায় জাতীয় সড়কের দুধারে ল্যাংচার দোকানের সামনের এই ঘটনা ঘটেছে ১ এপ্রিল। তারপর ৯ দিন কেটে গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। খুনিদের গাড়ি ঝাড়খন্ডের দিক থেকে এসেছে সেই সিসি টিভি ফুটেজও সামনে এসেছে। ঝাড়খন্ডে পুলিশ খুনিদের ধরতে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনও একজনও দুষ্কৃতী ধরা পড়ার খবর মেলেনি।

এপ্রিল ১০, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানে স্কুলের ক্রীড়া পরিকাঠামো দেখে মুগ্ধ প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের আক্ষেপ ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া অনিহায়

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও ধুমধামের সাথে শুরু হল বর্ধমান শহরের বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা। শহরের প্রান্তে অবস্থিত দেওয়ানদিঘী অঞ্চলের বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুলে শুক্রবার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতযোগীতার সূচনা হয়। সম্প্রীতির বার্তা জানিয়ে একঝাঁক গ্যাস বেলুন আকাশে ওড়ানো হয়। মশাল প্রজ্জ্বলন করে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার শুভ উদ্বধোন করেন ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও সুনামের সাথে কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান খেলা বর্ষিয়ান গোলরক্ষক ভাস্কর গাঙ্গুলি।উদ্বোধনী ভাষণে আক্ষেপের স্বরে বর্ষীয়ান খেলোয়াড় জানান, খেলার মাঠে যাওয়ার প্রবণতা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ক্রমশই কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সময়ে আমরা বেশী খেলতাম বলে অবিভাবকদের বকুনি খেতাম, আর এখন ঠিক তাঁর উল্টোটা। তিনি বাচ্ছাদের মাঠমুখী করার জন্য অবিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে বলেন। তিনি বলেন, খেলাধুলা শুধুমাত্র শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য নয়, মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে, দলবদ্ধ ভাবে কোনও কাজ করার মানসিকতা গড়তে ও প্রতি পদক্ষেপের জেতার জেদ তৈরি করতে এর কোনও বিকল্প নেই।বর্ষীয়ান খেলোয়াড় ভাস্কর গাঙ্গুলি আরও বলেন, শুধু মাত্র ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেবল টেনিস-খেলেও কেরিয়ার তৈরি করা যায়। তিনি বলেন, আমার পরিচিত এক প্রো-কবাডি খেলোয়ারের সাথে কয়েকদিন আগে দেখা হয়েছিলো, সে বলেছিলো একটু ভালো কবাডি খেলোয়াড় প্রো-কবাডি টুর্নামেন্ট খেলে বছরে এক কোটি টাকার কাছাকাছি আয় করে। সেই উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, শুধুমাত্র জনপ্রিয় খেলার পিছনে না ছুটে বাচ্ছার যেটা মন চায় খেলুক।তিনি বর্ধমানের এই স্কুলের পরিকাঠামো-র ভুয়াসী প্রশংসা করে বলেন, এখানে দুইটি প্রমান মাপের মাঠ, একটি প্রসস্ত ইন্ডোর অডিটোরিয়াম সবই আছে শুধুমাত্র অভাব একঝাঁক উৎসাহী ক্রীড়াপ্রেমী ছাত্র-ছাত্রী। ভাস্কর গাঙ্গুলি স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলকে জানান, তাঁকে কোনও প্রয়োজনে লাগলে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত।ভাস্কর গাঙ্গুলি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জয়ী বাচ্ছাদের হাতে ট্রফি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন প্রবীন ক্রীড়া সাংবাদিক ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আর্কাইভ ও লাইব্রেরির কিউরেটর আরুপ পাল। স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথাকে বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস খেলাধুলা কখনই পড়াশোনা-কে ক্ষতি করে না বরং আরও মনোযোগী হতে ও ভবিষ্যৎ জীবনে লড়াইয়ের রসদ যোগান দেয়।

জানুয়ারি ২০, ২০২৩
রাজ্য

রং তুলির মেলবন্ধনে মেতে উঠলো রাঢ়-বঙ্গের শিল্প কর্মশালা

রাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার আয়োজিত দুদিনের আর্ট ওয়ার্কশপ শুক্রবার শুরু হল। বর্ধমান শহরে বইমেলা প্রাঙ্গণে এই আর্ট ওয়ার্কশপ-র শুভ উদ্বোধন করেন বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল। এবছর রাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার আর্ট ওয়ার্কশপ৬ষ্ট বর্ষে পদার্পন করলো। মোট ৪২ জন স্বনামধন্য শিল্পী এই শিল্প কর্মশালার অংশগ্রহন করছেন।শিল্প পদর্শনীবাইমেলা শুরুর দিন থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে তাঁদের শিল্প পদর্শনী চলছে। বিভিন্ন নামী শিল্পীরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্যানভাস তুলি রং নিয়ে কর্মশালা আলো করে তুলেছেন। কেউ জল মাধ্যমে তো কেউ অ্যাক্রেলিক তো কেউ ডোকরা করতে ব্যাস্ত। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে মহকুমাশাসক বলেন, তাঁকে ছোট বেলায় ওড়িয়া ভাষা শিখতে হয়েছিলো। কিন্তু তাঁর ইচ্ছা ছিলো আদিবাসী (অলচিকি) ভাষা শেখা এবং তিনি তা শিখেও ছিলেন। তিনি আরও বলেন শুক্রবারের এই কর্মশালায় এসে বিভিন্ন শিল্পীদের সহচর্য পেয়ে মনে এই শিল্প কর্ম শেখার ইচ্ছা জাগছে। আজকের অনুষ্ঠানের উপরি পাওনা মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডলের গলায় লোকগীতি আমায় ডুবাইলি রে-আমায় ভাসাইলি রে...।শিল্পী শ্যমল মুখোপাধ্যায়মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন, আগামীদিনে আরও বড় কর্মশালার আয়োজনের শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও শিল্পপতি সন্তোষ সাহাশিকদার, প্রথিতযশা চিত্রকর শ্যমল মুখোপাধ্যায়। শিল্পী শ্যমল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি তিন তিন বার অকৃতকার্য হয়ে শান্তিনিকেতন থেকে শিল্প শিক্ষা গ্রহণ করে চিত্রশিল্পী হয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি ৪২টি দেশে চিত্র পদর্শনী করেছেন।শ্যমল মুখোপাধ্যায়, প্রদ্যুত পাল ও সহশিল্পীরাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার অন্যতম সদস্য শিল্পী প্রদ্যুত পাল বলেন, এবছর আমরা বইমেলায় এই প্রদর্শনী ও কর্মশালার আয়োজন করলাম, খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। সামনের বছর এই অনুষ্ঠান আরও বড়ো করে করার চেষ্টা করবো। এবছর বর্ধমান সহ সারা বাংলার মোট ৪২ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। ঝাড়খণ্ড থেকেও একজন শিল্পী এই কর্মশালার এসেছেন।

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
রাজ্য

বন্দে ভারতের চালক গর্বিত করল বর্ধমানকে, স্টেশনে ভিড়ের মাঝে স্বামীকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা স্ত্রীর

বন্দে ভারতে মেতেছে বাংলা। ইতিমধ্যে ট্রেনের টিকিট পেতেই হিমশিম অবস্থা। হাওড়া থেকে ছাড়ার পর একে একে নানা স্টেশনেই দাঁড়িয়েছে বন্দে ভারত। জনতার উল্লাসে ভেসেছে মশাগ্রাম, বর্ধমান, বোলপুর স্টেশন। প্রথমবার বন্দে ভারতকে চোখের দেখা দেখতে জাতীয় পতাকা নিয়ে অনেকেই হাজির হয়েছেন। এই সুপার স্পিড ট্রেনের চালককে মালা পড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বাংলার প্রথম বন্দে ভারতের চালকের বাড়ি বর্ধমানে লোকো সারদা পল্লীতে। বর্ধমান স্টেশনে যখন চালককে নিয়ে মাতামাতি চলছে তখন ভিড়ের মধ্যেই দূর থেকে স্বামীকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুনিতা কুমারী। ওই ভিড়ের মধ্যেও পাল্টা হাত নাড়িয়েছেন চালক অনিল কুমার। অনেকে তো ভাবতেই পারেনি চালকের স্ত্রী সেখানে দাঁড়িয়ে। চালক পাল্টা হাত নাড়ানোয় উপস্থিত জনতার টনক নড়ে। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই উৎসাহী মানুষজন অনিল কুমারের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন সুনীতা কুমারী। গর্বিত চালকের স্ত্রী বলেন, এই দিনটা আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে উপস্থিত থাকতে পারলে আরও ভালো লাগতো। আদতে বিহারের বিহারের বাসিন্দা অনিল কুমার। এখন পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন বর্ধমানের লোকো সারদাপল্লীতে থাকেন। বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই অনিল কুমার বর্ধমানের বাড়ি থেকে হাওড়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।এদিন সকালে টেলিভিশনের পর্দায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা দেখে বাড়িতে আর মন টেকেনি। সোজা বর্ধমান স্টেশনে চলে আসেন সুনীতা দেবী। তিনি জানিয়েছেন, ট্রেনের অ্যাসিন্ট্যান্ট ড্রাইভার হিসাবে ১৯৯০ সালে কাজে যোগ দেন তাঁর স্বামী। কর্মের প্রতি অবিচল অনিল কুমারের বরাবরই লক্ষ্য ছিল সবথেকে গুরত্বপূর্ণ ট্রেনগুলো চালানো। পূর্বা, কালকা, শতাব্দী, রাজধানী ও দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনও তাঁর স্বামী চালিয়েছেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর স্পেশাল ট্রেনিং নিতে চলতি মাসের ৭ তারিখ অনিল বাবু উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে যান। ট্রেনিং শেষে ১৯ ডিসেম্বর তিনি বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে আসেন। বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো দুরন্ত গতির ট্রেন চালানোটা তার স্বামীর কাছে আলাদা মাইলস্টোন ছোঁয়ার মতো। এদিন সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্যই বর্ধমান স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে সুনীতাদেবী জানান। এদিন বর্ধমান স্টেশনে হাত নেড়ে, ইশারায় শুভেচ্ছা বিনিময় হলেও গর্বিত স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়নি সুনীতা দেবীর। কথা না হলেও আপশোষ নেই সুনীতা দেবীর। তিনি বলেন, স্বামী কাজের প্রতি দায়বদ্ধ।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
রাজ্য

মহা সমারোহে শুরু দু'দিন ব্যাপী বর্ধমান মডেল স্কুলের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শুক্রবার বর্ধমানের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল-র বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হল। ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর যথা শুক্র ও শনিবার এই অনুষ্ঠান চলবে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (OAER) র সচিব ও বর্ধমান মডেল স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সহ-সভাপতি ডঃ নন্দন গুপ্ত।এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষ যথা লিজা ব্যানার্জী (BIMS), ডঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (OIST), সত্যরাজ আদিত্যাংশু মেদ্দা (সোসাইটির সদস্য), বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শম্বুনাথ চক্রবর্তী, স্কুল পরিচালন সমিতি-র সদস্যা ডঃ ইন্দ্রানী মুখার্জি ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ সুভাষ দত্ত। অথিতিদের বরণ করে নেন বর্ধমান মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক (প্রিন্সিপ্যাল) বিপিন বিহারী সিং।সুসজ্জিত মঞ্চওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সচিব তথা বর্ধমান মডেল স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন সামগ্রিক শিক্ষার কথা। তিনি বলেন, শুধুমাত্র বই-মুখী পড়াশোনার বাইরেও সমাজ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়, সমাজ যে শিক্ষা দেয় তা চিরস্থায়ী। তিনি জানান, করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘ দুবছর অপেক্ষার পর এবছর আবার খুব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সংস্থার বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেসমারাইজ (Mesmerize-2K22) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।নৃত্য পরিবেশনওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সহ-সভাপতি ডঃ নন্দন গুপ্ত তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন পড়াশোনায় টেকনোলজি-র প্রভাব। তিনি বলেন, আগের প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা জানতেই পারতো না যে, সে যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে সেই বিষয়ে বিশ্বের সেরা শিক্ষক কে? আজকের ছাত্রদের কাছে সেটা খুবই মামুলি ব্যাপার, সেই শিক্ষক আজ তাদের মুঠোয় বন্দি (Mobile)। তিনি আরও বলেন, টেকনোলজিকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই অনেক দূর অবধি যাওয়া যায়। তিনি বেশ কয়েকজন ছাত্রের উদাহরণ টেনে বলেন, তাঁরা এই টেকনলজির সাহায্য নিয়েই (অন লাইন এডুকেশন) এই বছর সারা ভারতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য র্যাঙ্কিং করেছে।রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ সুভাস চন্দ্র দত্ত তাঁর বক্তব্যে জানান, বিজ্ঞানমনস্ক না হলে উন্নতি কিছুতেই হবেনা। ছাত্রছাত্রীদের খুব অল্প বয়স থেকেই বিজ্ঞান শিক্ষায় উৎসাহী করে তুলতে হবে। তাঁর কথায়, জীবনের চলার পথে বিজ্ঞানকে আমরা কখনোই অবহেলা করতে পারবো না। এরপর বর্ধমান মডেল স্কুল-র বার্ষিক ম্যাগাজিন ড্যাজেল-র (Dazzle) শুভ উদ্বোধন করেন সম্মানিত অতিথিবর্গ। এছাড়াও স্কুলের ছাত্রদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য পুরস্কৃত করা হয়।বার্ষীক ম্যাগাজিন ড্যাজেল-র (Dazzle) শুভ উদ্বোধনস্কুলের খুদে বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়দের নাচ, গান, নাটক ও আবৃত্তিতে ভরে ওঠে অনুষ্ঠান। অভিভাবক সহ সাধরণ দর্শককুল দারুণভাবে উপভোগ করেন আজকের এই অনুষ্ঠান। বিশেষ করে হিন্দি নাটকে বেড়ালের চরিত্রে ছোট্ট আদিত্য সিং-র অভিনয় দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। এছাড়াও স্কুলের আবৃত্তি শিক্ষিকা সুদেষ্ণা আচার্যের তত্ত্বাবধানে অনুপ্রাণ সমবেত আবৃত্তি এককথায় আসাধরণ। ৪০ জন ছাত্র ছাত্রী সম্বলিত এই প্রয়াস এক কথায় অনবদ্য। একেবারে অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান বার্তা নিয়ে সমগ্র দেশের বিভিন্ন নৃত্য শৈলীর সমন্বয় ঘটিয়ে স্কুলের নৃত্য শিক্ষিকা তুনা রুদ্রের প্রয়াস সত্যিই মেসমারাইজ (Mesmerize)।ছোটদের আবৃত্তিসঙ্গীত বিভাগের দুই শিক্ষক নম্রতা রায় ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়-র নিরলস প্রয়াস ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গীত প্রদর্শন এক অন্য মাত্রা পায়। এবছরের মেসমারাইজ-এর (Mesmerize) সবচেয়ে বড় পাওনা ব্যান্ড বিএমএস। স্কুলের এক ঝাঁক ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে তৈরি এই ব্যান্ড মুগ্ধ করে দেয় তাদের উপস্থাপনায়। নম্রতা রায়ের প্রচেষ্টা ও কর্নধার অচিন্ত্য মণ্ডলের উৎসাহে এই ব্যন্ড সত্যিই ব্রান্ড বিএমএস (Brand BMS)উল্লখ্য গতকাল ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তিনদিন ব্যাপি ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-র কলেজ গুলির Mesmerize-2K22 শীর্ষক বার্ষিক সাংস্কৃতীক অনুষ্ঠান শুভ সূচনা হয়। ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কলকাতার ফকিরা ব্যান্ড গান পরিবেশন করেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 15
  • 16
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal