ভারতীয় দলের মহিলা এই ব্যাটার ১৯৯৬ মহারাষ্ট্রের সাংলি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটার হিসেবেই খেলেন, প্রয়োজনে ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি।

তার বাবা ও ভাই 'শ্রাবণ' দুজনেই জেলা পর্যায়ে সাংলি জেলার হয়ে ক্রিকেট খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মহারাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৬ খেলাতে ভাইয়ের খেলা দেখে ক্রিকেটের দিকে আকর্ষণ বাড়ে।

মাত্র ন'বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ের খেলার জন্য তিনি মনোনীত হন। এগারো বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের দলে খেলার জন্য মনোনীত হন।

ভারতীয় মহিলা দলের ব্যাটার স্মৃতি শ্রীনিবাস মান্ধানা (স্মৃতি মান্ধানা)'কে ক্রিকেটের সব ধরনের খেলায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) ২০২১-র সেরা মহিলা ক্রিকেটার নির্বাচিত করেছে।

মান্ধানা ইংল্যান্ডের ট্যামি বিউমন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেল লি এবং আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইসের মত প্রতিদ্বন্ধী-দের পিছনে ফেলে এই খেতাব জিতে নেন।

আর আগে, তিনি একমাত্র ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ২০১৬-র আইসিসি বর্ষসেরা মহিলা দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন।

গত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সহ আটটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি জিতেছিলো টিম ইন্ডিয়া। সেই দুটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মান্ধানা। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে'তে, ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে মন্ধনা ৮০ রানের এক অপরাজিত ইনিংস খেলেন।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের অন্তিম ম্যাচে অপরাজিত ৪৮ রান করেন মান্ধানা। তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠেও একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৮ রান করেন। এর পরে, একদিনের সিরিজের একমাত্র ম্যাচে, যেটিতে টিম ইন্ডিয়া জিতেছিল, তিনি খেলেছিলেন ৪৯ রানের অনবদ্য ইনিংস।

একই সময়ে, তিনি টি-টোয়েন্টিতেও একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং মাত্র ১৫ বলে ২৯ রানের একটি দ্রুত ইনিংসও খেলেছিলেন। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই হেরেছিল ভারত।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও দারুণ ছন্দে ছিলেন মান্ধানা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৬ রানের এক অনাবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর দিন-রাতের টেস্টে ১২৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। তবে এই ম্যাচটি অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়। কিন্তু মান্ধানা তার সেঞ্চুরির জন্য প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।