কর্তব্য আর দায়িত্বের চৌম্বকবলয়ের
আকর্ষণকে উপেক্ষা করে, কখনো
ডানা মেলতে পারেনি স্বপ্নালু মন।
একরাশ হতাশাকে সঙ্গী করে
বিমর্ষ বসন্ত ফিরে গেছে বারবার;
দারিদ্র্যের অকৃত্রিম মাধুর্যে ভরেছে জীবন।
প্রকাণ্ড বৃক্ষের গা বেয়ে ওঠা বেজন্মা
গুল্মের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নকে
নিমেষে শুকিয়ে দেয় গ্রীষ্মের আঁচ।
নৈরাশ্যের চাদরের আড়ালে,
বিপ্লবী মনের বিদ্রোহের আগুনের ধোঁয়ায়
ঝাপসা হয় জানলার কাঁচ।
বাষ্পীভূত অশ্রু মেঘ হয়ে
ফিরে আসে না আর,
অপেক্ষায় কালবৈশাখী।
উদ্ভ্রান্ত প্রেম সুদূর সাহারার
রংচটা তপ্ত বালুর মতোই নিঃসঙ্গ, একাকী।
আশা নিরাশার দোলাচলে,
চাওয়া-পাওয়ার চোরাস্রোত
নেমে আসে শহরে, নগরে,
ধূলি-ধুসরিত গ্রামের প্রান্তরে,
সমাজের অভ্যন্তরে, লক্ষ লক্ষ
মানুষের অন্তরে।
খসে পড়া নক্ষত্রের পাশে,
ছায়াপথ ধরে হেঁটে আসে অপূর্ণ
ইচ্ছার ক্লান্ত মিছিল।
দীর্ঘশ্বাসে ভরা চার দেওয়ালের
চৌহদ্দি ডিঙিয়ে, অসীম নীল সামীয়ানার
নীচে পৌঁছানোর পথ বড় বন্ধুর, বড় পিচ্ছিল।
তবু টের পাই বুকের মাঝে,
পদ্মপাতায় টলমল করা শিশিরের
মত একটা সুপ্ত আশা।
শেষ থেকে শুরু করার
ক্ষীণ প্রয়াস বাড়িয়ে দেয়
এক মুঠো আয়ু, জাগে প্রত্যাশা।
সূর্যের আদরে রাঙানো,
উদ্দীপনায় ভরপুর, সুস্থ, প্রাণোচ্ছল,
একটা তাজা সকালের অপেক্ষা।
হৃদয়ের আলোকপ্রাপ্তির পর,
অনুভবে অসীম শুন্যতায়
বিলীন হওয়ার প্রতীক্ষা।
লেখক
দীপক কুমার মণ্ডল
আরও পড়ুনঃ পাবলিক
আরও পড়ুনঃ বিকল্প