• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Suicide

বিদেশ

Suicide Pod: সুইজারল্যান্ডে মিলছে 'সুখের মৃত্যু'!

মৃত্যু, তাও আবার সুখের! ব্যথা, বেদনাবিহীন অনায়াস মৃত্যু। সময় লাগবে এক মিনিটেরও কম। এমনই এক যন্ত্রের আইনি স্বীকৃতি দিল সুইৎজারল্যান্ড। কফিন আকৃতির ওই যন্ত্রে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে মৃত্যু ডেকে আনা হয়। যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে সারকো।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগজিট ইন্টারন্যাশনাল এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে। সংস্থার অধিকর্তা ফিলিপ নিটশে, যিনি ডক্টর ডেথ হিসেবেও পরিচিত, রয়েছেন এই যন্ত্রের উদ্ভাবনের নেপথ্যে। সংস্থার দাবি, বাইরে থেকে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ভিতর থেকেও তা চালু করা যাবে। অর্থাৎ মৃত্যুর প্রত্যাশায় যে ব্যক্তি ওই যন্ত্রের ভিতর ঢুকবেন, তিনি নিজেও যন্ত্রটি চালাতে পারবেন। এখানেই রয়েছে মূল সমস্যা।মরণেচ্ছু ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সাধারণত দেখা যায়, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। পেশিশক্তি ব্যবহার করে কোনও কাজ করার মতো পরিস্থিতি তাঁদের বেশির ভাগের থাকে না। এই যন্ত্রে তারও সমাধান করা গিয়েছে বলে দাবি সংস্থাটির।এগজিট ইন্টারন্যাশনাল-এর দাবি, ওই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শুধুমাত্র চোখের পাতার নড়াচাড়া আঁচ করেই যন্ত্র সঙ্কেত গ্রহণ করতে পারবে। এমনই দাবি ব্রিটেনের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের।সংস্থা জানিয়েছে, আপনার যেখানে প্রয়োজন সেখানেই নিয়ে যাওয়া যাবে সারকোকে। মূল মেশিন থেকে সারকোকে আলাদা করলে তা দেখতে হবে অনেকটা কফিনের মতো। সেই কফিনে এক বার শুয়ে পড়লেই সব শেষ!বিশেষ ক্ষেত্রে সুইৎজারল্যান্ডে আত্মহত্যায় সহায়তা প্রদান করা আইনিভাবে বৈধ। সূত্রের খবর, গত বছর অন্তত ১,৩০০ মানুষ এই প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়েছেন। সংস্থার দাবি, এ বার আইনি বৈধতা পেল আত্মহত্যা করার যন্ত্র সারকো।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Chanditala: দাদা, বৌদি, ভাইঝিকে কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী অভিযুক্ত, রেললাইনে মিলল দ্বিখণ্ডিত দেহ

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে খুড়তুতো দাদা, বৌদি ও ভাইঝিকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল চণ্ডীতলার নৈটির বাসিন্দা শ্রীকান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের মৃতদেহ উদ্ধার হল গোবরা স্টেশনের রেললাইন থেকে। পুলিশ অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন শ্রীকান্ত।মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ হাওড়া বর্ধমান কর্ড শাখার তিন নম্বর লাইনে শ্রীকান্ত ঘোষের দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করে কামারকুণ্ডু জিআরপি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পবিরারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের দিয়ে দেহ শনাক্ত করা হয়।সোমবার সকালে হুগলির চণ্ডীতলার নৈটি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ, তাঁর স্ত্রী মিতা এবং তাঁদের মেয়ে শিল্পাকে কুপিয়ে খুন করেন খুড়তুতো ভাই শ্রীকান্ত। প্রথমে শাবল, পরে চপার দিয়ে আঘাত করে খুন করেন তিনি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শ্রীকান্ত। পুলিশ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। তবে, শ্রীকান্ত আত্মহত্যা করায় মোটেই খুশি নন প্রতিবেশীরা। আইনের বিচারে তাঁর চরমতম সাজা হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেছেন তাঁরা।আরও পড়ুনঃ সিঙ্গুরের পর চন্ডীতলা, একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংস হত্যা

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
রাজ্য

Hoogly Murder: বাবা-মা-বোনকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা শিক্ষকের

মা, বাবা এবং বোনকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার ধনিয়াখালির দশঘড়া রায়পাড়ায়। পরিবারের লোককে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই যুবকের নাম প্রমথেশ ঘোষাল। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। দীর্ঘ দিন ধরেই সিরোসিস অব লিভারে ভুগছিলেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, বাবা, মা এবং বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা, হাতের শিরা কেটে খুন করেন প্রমথেশ। তার পর নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ধনিয়াখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চলছে চিকিৎসা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ যায় প্রমথেশের বাড়ি। তারা গিয়ে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন অসীম ঘোষাল (৬৮), শুভ্রা ঘোষাল (৬০) এবং পল্লবী চট্টোপাধ্যায় (৩৩)। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরেই তাঁরা ধনিয়াখালির দশঘড়ার বাসিন্দা। প্রমথেশের বোন পল্লবী ভাইফোঁটা উপলক্ষে এসেছিলেন বাপের বাড়ি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পেশায় গৃহশিক্ষক প্রমথেশ আর্থিক অনটনে পড়েছিলেন। তার উপর বাবা, মা এবং নিজের চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন তিনি। আর্থিক অনটনের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে প্রমথেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Commit Suicide: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিকা সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু

ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো প্রেমিকা সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে। মৃত ছাত্রের নাম সৈকত মাঝি(১৯)।তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কাঁশড়া গ্রামে। সৈকত দুর্গাপুরের বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়তো। গত ১৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ছাত্রের এই মৃত্যুর ঘটনার জন্য দোষীদের শাস্তিদানের ব্যাপারে পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতের দ্বারস্থ হন ছাত্রের দাদা সৌমেন মাঝি। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য শুনে সিজেএম আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা জন্য জামালপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে সৌমেন মাঝি জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি জামালপুর থানার কাঁশড়া গ্রামে। তাঁর ভাই সৈকত মাঝি দুর্গাপুরের বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মেকানিক্যাল বিভাগের ছাত্র ছিল। কাঁশড়া এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই সম্পর্কের বিষয়টি যুবতীর পরিবার মেনে নেয়নি। ঘটনার মাস দুই আগে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য যুবতীর পরিবার সৈকতকে নানা ভাবে হুমকি দেয়। এইসবের কারণে তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ভাই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতো না।উদাস থাকতো। সেই কারণে সব ভুলে গিয়ে ভাল করে পড়াশুনা করার জন্য তিনি তাঁর ভাইকে বলেন।সৈকত তখন তাঁদের জানায় ,যুবতী অন্য একজনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পের্ক লিপ্ত হয়েছে। তাই নানা কটুক্তি করে তাকে ভুলে যাওয়ার কথা যুবতী তাঁর ভাই সৈকতকে বলছে। এমনকি চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যুবতী সৈকতকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠায়। সৈকত দেখা করতে গেলে যুবতী ও তার নব্য প্রেমিক তাকে অপমানজনক কথাবার্তা বলে। তাতে সৈকত মানসিকভাবে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমন অবস্থার মধ্যেই গত ১৫ অক্টোবর রাত দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। তারা তাঁর ভাইকে ডাকাডাকি করে। তা শুনে সৈকত বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে তাঁরা পুনরায় কটূক্তি করে। এমনকি গুলি করে মেরে দেওয়ারও হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। এরপর সৈকত ঘরে শুতে যায়। সৌমেন জানিয়েছেন, পরের দিন সকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের হুকে লেপের কভার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সৈকতকে ঝুলতে দেখা যায়। জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক সৈকতকে মৃত ঘোষণা করেন।মামলাকারী মৃতের দাদার আইনজীবী শর্মিষ্ঠা সামন্ত জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার কথা থানায় জানানো হয়েছিল। থানা কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ছাত্রের পরিবারকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। বিষয়টি জেলার পুলিশ সুপারকেও জানানো হয়। তারপরও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে সিজেএম আদালতে মামলা করা হয়েছে। সিজেএম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জামালপুর থানার এক অফিসার বলেন, সম্ভবত কেউ এই ধরণের অভিযোগ জানাতে থানায় আসেন নি। তবে আদালত নির্দেশ দিলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Durgapur Dharna: স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন স্বামী

স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার আবেদন করে শ্বশুরবাড়ির সামনে বধূর ধরনায় বসতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা খুব একটা চোখে পড়েনা। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডিটিপিএস এলাকাতে এমনটাই ঘটতে দেখা গেল। এলাকার নিউ কলোনির বাসিন্দা দেবদুলাল দে নিজের স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধরনায় বসেছেন। যদিও এর আগে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আরও পড়ুনঃ ইউপিএসসি-তে প্রথম দুশোয় বাংলার রিকি ও ময়ূরীজানা গিয়েছে, শাশুড়ির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দেবদুলাল বাবুর স্ত্রী অপর্ণা দেবী। বিষয়টির নিষ্পত্তি হলে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মহিলা বাপের বাড়িতে চলে যান। ফিরে আসার কথা বললেও তিনি কথা শোনেনি। বরং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। আইনি চিঠিও পাঠানো হয়েছে কিন্তু তাতেও আখেড়ে কোনও লাভ হয়নি। দেবদুলাল বাবুর অভিযোগ, ছেলেকে তাঁর বাবা-মা দেখতে গেলে স্ত্রী ও তাঁ বাড়ির লোকজনেরা তাঁদের অপমান করেন। সব চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় অবশেষে শ্বশুরবাড়ির সামনেই শনিবার ধরনায় বসলেন দেবদুলাল বাবু। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে না ফিরলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন সকাল থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এখনও জানা যায়নি, স্বামীর কথা শুনে দেবদুলাল বাবুর স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যাবেন কি না। কারণ, আগেই তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি কিছুতেই আর স্বামীর ঘরে ফিরে যাবেন না।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
দেশ

Priest Suicide: আত্মহত্যা না খুন? আখড়া পরিষদ প্রধানের মৃত্যুতে ঘুরছে নানা তত্ত্ব

অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রধান নরেন্দ্র গিরির মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরই তিন শিষ্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে এক জন তাঁর অন্যতম প্রধান শিষ্য ছিলেন বলেই জানিয়েছে পুলিশ।সোমবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে উদ্ধার হয় নরেন্দ্রর দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। কিন্তু সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে কয়েক দিন আগেই নরেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর অন্যতম প্রধান শিষ্য আনন্দ গিরির ঝগড়া হয়েছিল। আনন্দর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এনে তাঁকে আখড়া থেকে বার করেও দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কী এটা আত্মহত্যা? না কি এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? আরও পড়ুনঃ নভেম্বরে ইডেনে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটতদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঝগড়ার ঘটনার পরে আনন্দ এসে নরেন্দ্রর কাছে ক্ষমাও চান। কিন্তু তাতে তাঁদের সম্পর্কের বিশেষ উন্নতি হয়নি। সেই রাগে আনন্দ আখড়া প্রধানকে খুন করে থাকতে পারেন বলে পুলিশের অনুমান। আনন্দ ছাড়া বাকি যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের নাম সন্দীপ তিওয়ারি ও আদ্য তিওয়ারি। তাঁরা আনন্দর সঙ্গে থাকতেন। প্রয়াগরাজ পুলিশের এক আধিকারিক কে পি সিংহ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, নরেন্দ্রর মৃতদেহের কাছে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে তিনি মানসিক অবসাদের কথা লিখেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে আখড়ার দায়িত্ব কে নেবেন সে কথাও লিখে গিয়েছেন তিনি। আধিকারিক আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এটি খুনের ঘটনাও হতে পারে। আনন্দকে জেরা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সন্ন্যাসী সমাজের অন্যতম বড় সংগঠন হল অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ। সেই সংগঠনের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন মহন্ত নরেন্দ্র গিরি। তাঁর এই রহস্যজনক মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই সন্ন্যাসীকূলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকবিহ্বল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। টুইটারে এক শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরির মৃত্যু আধ্যাত্মিক জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি ভগবান রামের কাছে প্রার্থনা করি যেন তাঁর আত্মাকে তাঁর চরণে স্থান দেন। এই কঠিন সময়ে নরেন্দ্র গিরির শিষ্য ও অনুগামীদের আরও শক্তি দিক।টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা-সহ আরও একাধিক রাজনৈতিক নেতা।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
বিদেশ

Kabul Blast: জোড়া বিস্ফোরণ, গুলিতে কাঁপল কাবুল বিমানবন্দর চত্বর, মৃত কমপক্ষে শিশু-সহ ১৩

তালিবান তাণ্ডবে কাঁপছে আফগানিস্তান। এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের চত্বর। বিস্ফোরণের পর পাগলের মতো ছুটতে থাকা জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি। যার জেরে গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শিশু-সহ কমপক্ষে ১৩ জনের প্রাণ গিয়েছে বলে শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, সাধারণত এই কৌশলে হামলা চালিয়ে থাকে আইএস (ইসলামিক স্টেট)।Video: Aftermath of attack close to Kabul airport. US Pentagon confirms at least two blasts. Taliban spokesperson Zabiullah Mujahid told TOLOnews at least 52 people are wounded. #Afghanistan pic.twitter.com/pBztAtS7oB TOLOnews (@TOLOnews) August 26, 2021গোটা এলাকাজুড়ে অসহায়দের চিৎকার আর হাহাকার। অ্যাবি গেটের সামনে পড়ে রয়েছে সার সার রক্তাক্ত দেহ। রক্তজলে ভাসছে কিছু। হাত, পা টেনে শুকনো জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন পরিবার-পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের পর এমনই সব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল নেটমাধ্যমে। আমেরিকার সেনা-ঘেরা অ্যাবি গেটের সামনে প্রথমে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণের ঠিক পরেই শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলি-বর্ষণ। গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শিশু-সহ ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্তত ৫২ আহত হয়েছে দুই বিস্ফোরণের জেরে, এমনটাই জানিয়েছেন এক তালিবান মুখপাত্র। কিন্তু মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারেই বলেই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা: চিকিৎসক-নার্সদের জন্য কল্পতরু মমতাসম্প্রতি আমেরিকা দাবি করেছিল, নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলাকালীন কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালাতে পারে আইএস জঙ্গি সংগঠন। তেমন হুমকি-বার্তাও দিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল পেন্টাগন সূত্রে। তার পরই এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগের আঙুল আইএসের বিরুদ্ধে। আমেরিকার দাবি, আফগানিস্তানে আইএসের খোরাসান শাখা সংগঠন এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রথমে বিস্ফোরণ, তার পর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে এই হামলা পদ্ধতিকে কমপ্লেক্স অ্যাটাক বলা হয়। সাধারণত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে তাঁদের উপর গুলি চালানো হয় এই পদ্ধতিতে। কাবুল বিমানবন্দরেও ঠিক তাই ঘটেছে। আফগানিস্তান ছাড়তে চেয়ে বিমানবন্দরের অ্যাবি গেটের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। ওই এলাকা তখনও আমেরিকার সেনার দখলেই ছিল। সেখানেই হয় প্রথম আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা জনতা পালাতে আরম্ভ করতেই তাঁদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু হয়েছিল, এমনটাই দাবি করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।৩১ অগস্টের আগে বিমানবন্দরে চলছে বিভিন্ন দলের উদ্ধারকারী দলের তৎপরতা। সূত্রের খবর, ইতালির উদ্ধারকারী বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি টুইটে জানিয়েছেন বিস্ফোরণের কথা।

আগস্ট ২৬, ২০২১
রাজ্য

Inciting to Suicide: বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বামী

স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন স্বামী। ধৃতের নাম হরলাল মুখোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার উত্তর শুড়া গ্রামে ধৃতের বাড়ি। স্ত্রী সুরমা হালদার (৪৪) কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জামালপুর থানার পুলিশ সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। সিজেএম ধৃতকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বধূ সুরমা হালদারের বাপের বাড়ি জামালপুরের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর গ্রামে। ২৩ বছর আগে উত্তর শুড়া নিবাসী হরলাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুরমার বিয়ে হয়। দম্পতির এক সাবালক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। মৃতার দাদা রাজকুমার হালদার সোমবার জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগে জানান ,তাঁর বোন সুরমার সাংসারিক জীবন কোনদিনও সুখের হয়নি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে সুরমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। দিন দিন তা বাড়তে থাকে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সুরমা তাঁর পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে জামালপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকা শুরু করেন। সম্প্রতি বোঝাপড়া হওয়ায় সুরমা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরেযায়। এর পর রবিবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ শ্বশুরবাড়ির তিনতলা ছাদে মুখে গেজলা বেরনো অবস্থায় সুরমাকে পাওয়া যায়। তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।সোমবার বধূর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনা নিয়ে মৃতার দাদার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।

আগস্ট ২৫, ২০২১
কলকাতা

Bikash Bhaban: বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার, বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ৫ শিক্ষিকার

বদলির প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন পাঁচ শিক্ষিকা। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে আচমকাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থও হয়ে পড়েন। পুলিশ পাঁচ জনকেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। ওই পাঁচ জনের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।আরও পড়ুনঃ বেড পেতে গেলে আরেকটি শিশুর মৃত্যু অবধি অপেক্ষা করতে হবে!অসুস্থ পাঁচ শিক্ষিকাই ঐক্য মঞ্চের সদস্য। শিক্ষকদের এই সংগঠন বেশ কিছু দিন ধরেই শিক্ষকদের বদলি ইস্যুতে আন্দোলন করছে। এর আগে নবান্নের সামনে এমনকী, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, আন্দোলন করার শাস্তি হিসেবেই বদলি করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা মূল ফটক পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় আন্দোলনকারীদের। এর পর আচমকাই ব্যাগ থেকে বিষ বার করে খেতে শুরু করেন। পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার শিক্ষিকা ফাজিলাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অপর শিক্ষিকাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়িতে। জ্যোৎস্না টুডু নামে এক শিক্ষিকাকে মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে জলপাইগুড়িতে। শিখা দাসকে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করা হয়েছে। পুতুল মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কেচাবিহারে বদলি করা হয়েছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষিকাদের এই বদলি অনৈতিক বলে দাবি করছে শিক্ষক ঐক্যমঞ্চ।

আগস্ট ২৪, ২০২১
রাজ্য

Suicide: প্রেমিক বিয়েতে অস্বীকার করায় আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পরেও প্রেমিক বিয়ে করতে না চাওয়ায় আত্মঘাতী হল এক কলেজ ছাত্রী। এমনই অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবার। বছর ১৮ বয়সী ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার চাঁচাই এলাকায়।মেমারি থানার পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ছাত্রীর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রেমিক সৌরভ বিশ্বাসের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে মৃতার পরিজন।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীটি মেমারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করতো। ছাত্রীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছে, পাল্লা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল। তারপরও ওই যুবক তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার কারণে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলে কলেজ ছাত্রী মেয়ে আত্মঘাতী হয় বলে ছাত্রীর বাবা জানিয়েছে। পুলিশ প্রেমিক যুবকের খোঁজ শুরু করেছে।

জুলাই ১৮, ২০২১
কলকাতা

Suicide: আত্মঘাতী কিশোরী ক্যারাটে খেলোয়াড়, গ্রেপ্তার ১

জাতীয় স্তরের ক্যারাটে খেলোয়াড় ও ইউটিউবার নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা ঘিরে সোমবার উত্তাল হল বালি। রবিবার রাতে হাওড়ার বালির বাসিন্দা, কিশোরী পামেলা অধিকারীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। ওই ঘটনায় এক যুবকের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালি থানার পুলিশ।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেএই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানালেন, এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর সম্পর্ক ছিল। ফোনের কিছু ছবি দেওয়া নেওয়া নিয়ে কিছু ঝামেলা হয়। সেই কারণেই মানসিক অবসাদ থেকে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফোনের ঠিক কী ছবি নিয়ে ঝামেলা সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মোদিকে প্রতিবাদী চিঠি মমতারএক প্রতিভাবান জাতীয় স্তরের ক্যারাটে খেলোয়াড়ের এরকম অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ওই ঘটনায় সানি খান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে পামেলাকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পামেলার দিদি প্রিয়াঙ্কা অধিকারী জানান, প্রায় দুই বছর ধরে সানি নামে এক যুবকের সঙ্গে আমার বোনের সম্পর্ক ছিল। পরে সে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে। সানি আমার বোনকে নানা সময়ে ব্ল্যাকমেল করত।আরও পড়ুনঃ দীপার দীপ জ্বালিয়ে রাখলেন বাসচালক কন্যা প্রণতিকিশোরীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে খেলাধুলা, পড়াশোনা ও মোবাইলে গেম খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকত। সে খুব মিশুকে স্বভাবের ছিল। সকলকেই তাড়াতাড়ি আপন করে নিতে পারতে। শোকস্তব্ধ কিশোরীর মা জানান, যে মেয়ে কোনওদিন ঠিক করে জুতোর ফিতে বাঁধতে পারতো না, সে কিভাবে গলায় দড়ি দিলো সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই পামেলার ইন্টারনেট মাধ্যমে থাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে। পুলিশ সানির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

বাতিল পরীক্ষা: আত্মঘাতী দিনহাটার মেধাবী ছাত্রী বর্ণালী

গতকাল বহু টানাপোড়েনের পর শুধুমাত্র পয়ত্রিশ হাজার মেলের ওপর নির্ভর করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ বছর মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন l সেই খবর ছড়িয়ে পরতেই দিনহাটায় আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দা তথা গোপাল নগর এমএসএস হাই স্কুলের কৃতি ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বছর ষোলোর বর্ণালী বর্মন আত্মহত্যা করে নিজের বাড়িতে l তাঁরা কাকা জানান, কাল পরীক্ষা বাতিলের খবর পেয়ে যখন তিনি বর্ণালীদের বাড়িতে যান, ওই ছাত্রীর মায়ের কাছে জানতে পারেন যে, ছাত্রীটি তার পড়ার ঘরে দরজা বন্ধ করে আছে, অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া দিচ্ছে না l এরপর তারা দরজা ভাঙলে ছাত্রীটিকে তার মায়ের কাপড় পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় l তাঁদের দাবি, কোনও সুইসাইড নোট সেভাবে না লিখলেও একটি সাদা কাগজে লাল কালিতে বর্ণালী মা-বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ না করার আক্ষেপ প্রকাশ করেছে l ওই ছাত্রীজ কাকা আরও জানান, বর্ণালী মা-বাবাকে দিনহাটায় সেরা এবং রাজ্যে স্থান করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো l কিন্তু পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় তার সেই লক্ষ্য পূরণ করতে না পারার অবসাদে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তাঁদের আনুমান lউল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না, তা জানতে চেয়ে সাধারণের দ্বারস্থ হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিনের মধ্যে বেশ কিছু মেল আসে নবান্নে, আর তার ভিত্তিতেই সিবিএসই-আইসিএসই পরীক্ষা বাতিলের পথ অনুসরণ করে এরাজ্যেও বাতিল করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। যার ফলে আত্মহননের মতো চরম পদক্ষেপের পথ বেছে নিয়েছে বর্ণালীর মতো ছাত্রী।

জুন ০৮, ২০২১
বিদেশ

জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুকবাজের হামলায় খুন ৬ জনকে, আত্মঘাতী হামলাকারী

ফের মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজের হামলা। জন্মদিনের পার্টিতে ঢুকে গুলি চালিয়ে ছজনকে খুন করল এক বন্দুকবাজ। যাঁদের মধ্যে আবার রয়েছে তার বান্ধবী। এরপর শেষে নিজেও আত্মঘাতী হয় ওই যুবক। আর এই ঘটনা ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমেরিকার কলোরাডোতে। প্রাথমিক সন্দেহে অনুমান প্রেমঘটিত কারণেই এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।সেদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে রবিবার গভীর রাতে। কলোরাডো স্প্রিংসে সেসময় চলছিল জন্মদিনের পার্টি। আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে ওই বন্দুকবাজ। এরপর আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে সে। তাতেই প্রাণ হারান তার বান্ধবী-সহ ছজন। এরপর সে নিজেকেও গুলি করে। কলোরাডো শহরের পুলিশ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, কলোরাডো স্প্রিংসে ওই বন্দুকবাজের হানা দেওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছয়। কিন্ত কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোটা ঘটনাটি ঘটে গিয়েছিল। এরপর পুলিশ ছজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রক্তাক্ত বন্দুকবাজকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন।প্রাথমিক তদন্তে আধিকারিকদের অনুমান, নিহতদের মধ্যে এক তরুণীর বয়ফ্রেন্ড ওই বন্দুকবাজ। প্রেমঘটিত কারণে বদলা নিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই যুবক। তবে কলোরাডোর মেয়র জন সাদার্স জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত এক মহিলা প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যে সময়ে এই ঘটনা ঘটে তখন তিনি পার্টি ছেড়ে পার্কিংজোনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎই জোরাল শব্দ শুনতে পান। মুহুর্মুহু গুলি চলতে থাকে। ভয়ে তিনি লুকিয়ে পড়েন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অনেক শিশু উপস্থিত ছিল। কিন্ত তাদের কেউ জখম হয়নি। অর্থাত্ বেশ দেখেশুনেই গুলি চালিয়েছে ওই বন্দুকবাজ। তবে এই প্রথম নয়, মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজের হামলা প্রায়শই ঘটে থাকে। শুধু কলোরাডো শহরে গত ছবছরে চতুর্থবার বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটল।

মে ১০, ২০২১
রাজ্য

ভোটের দিন সকালেই নন্দীগ্রামে আত্মঘাতী বিজেপি কর্মী

ভোটের দিন সকালে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায়। অভিযোগ, বুধবার রাতে তৃণমূলের তরফে উদয়শংকর দেব নামে ওই ব্যক্তিকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, সেই আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি তৃণমূলের তরফে। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের পূর্ব ভেকুটিয়ার বাসিন্দা উদয়শংকর দেব। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত তিনি। সক্রিয় কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। অভিযোগ, সেই কারণেই বারবার তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। রাস্তাঘাটে হেনস্তা করা হত তাঁকে। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁদের বাড়িতে যান। অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত আতঙ্কে ভুগছিলেন উদয়শংকর। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতেই উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। ভোটের দিন সকালে অধিকারীদের গড় নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূলের হুমকির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন উদয়শংকর, এই অভিযোগ তুলে পথে নামেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন তাঁরা। বলেন, তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তাতে আমাদের পক্ষে ভোট দিতে যাওয়া কার্যত অসম্ভব।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত হবে।

এপ্রিল ০১, ২০২১
কলকাতা

খুন নয়, আত্মহত্যাই করেছেন দিনহাটার বিজেপি নেতা, রিপোর্ট বিবেক দুবের

খুন বা রাজনৈতিক অশান্তিতে মৃত্যু নয়, দিনহাটার বিজেপি নেতা আত্মহত্যাই করেছেন। সূত্রের খবর, ভোটের আগে শাসকদলকে কার্যত স্বস্তি দিয়ে রাজ্য কমিশনের তরফে নিযুক্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এমনই রিপোর্ট দিলেন। অর্থাৎ পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ কার্যত খারিজ হয়ে গেল। এখন এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে।গত বুধবার সকালে দিনহাটা শহর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি কার্যালয়ের লাগোয়া পশু চিকিৎসালয়ের বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রাতঃভ্রমণকারীরা। তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দিনহাটায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতে বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা। পরে অবশ্য দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন দলীয় কর্মীরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক উদয়ন গুহর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। এই গুঞ্জনও শোনা যায়, তিনি এবার ভোটে প্রার্থী হতে না পেরে অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে নির্বাচন কমিশনও নড়েচড়ে বসে। এ রাজ্যে নিযুক্ত দুই পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে, অজয় নায়েককে। কমিশনের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তাঁরা কপ্টারে পৌঁছে গিয়েছিলেন এলাকায়। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কথা বলেন তাঁর দেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে। সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সোমবার তাঁরা কমিশনকে রিপোর্ট পাঠান।

মার্চ ২৯, ২০২১
রাজ্য

মনোনয়ন দিতে বাধা, কার্যালয়ে আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি প্রার্থীর!

শ্লীলতাহানির মামলা চলায় গলসির বিজেপি প্রার্থীকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছিলেন দলের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু তা মানতে নারাজ প্রার্থী। জোর করে ভোটের ময়দান থেকে সরানো হলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিলেন তিনি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছে দল।১৭ মার্চ বিজেপির তরফে পূর্ব বর্ধমানের গলসি বিধানসভা আসনের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় তপন বাগদির। স্বাভাবিকভাবেই এরপর পুরোদমে ভোটপ্রচারে নামেন তিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে গতকাল অর্থাৎ ২৬ মার্চ তপন বাগদিকে ডেকে পাঠান পূর্ব বর্ধমানের বিজেপির জেলা সভাপতি ও বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তাঁর নামে শ্লীলতাহানির মামলা থাকায় তপনকে প্রার্থীপদ থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন জেলা সভাপতি। কিন্তু তা মানতে নারাজ প্রার্থী। তাঁর কথায়, বহু প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ রয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও চলছে। তাঁরা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছে। আমি কেন পারব না।এই ঘটনার জেরেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তপন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা ঠিক মনে করেছেন বলেই আমার উপর দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি ইতিমধ্যেই এবিষয়ে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কেন্দ্রকে চিঠিও পাঠিয়েছি। ২৯ মার্চ মনোনয়ন জমা দেব। ওই দিন যদি কোনও বাধা দেওয়া হয় বা শেষ পর্যন্ত আমাকে সরে যেতে বাধ্য করা হয় তবে জেলা কার্যালয়ে আত্মহত্যা করব।

মার্চ ২৮, ২০২১
কলকাতা

নিউ মার্কেটের হোটেলে বাবা-মা-ছেলের দেহ উদ্ধার

দুদিন আগে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বাবা-মা-ছেলে। নিউ মার্কেটের রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের হোটেল থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দেহ থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। মনে করা হচ্ছে ১৪ তারিখ রাতেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে গোটা বিষয় স্পষ্ট হবে বলেই মত তদন্তকারীদের।১৭, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের একটি হোটেলে সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ এসে ওঠেন শিলিগুড়ির তিন বাসিন্দা। সুশীল বনশাল, ছন্দাদেবী বনশাল এবং সুনীত বনশাল নামে তিনজন শিলিগুড়ির সেবক রোডের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতের খাবার হিসেবে তাঁরা রুটি, চানা দেওয়ার কথা জানায় হোটেলে। খাবার নিয়ে সাড়ে নটা নাগাদ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর মঙ্গলবার বেলা গড়ালেও ওই ঘর থেকে কেউ না বেরনোয় সন্দেহ হয় হোটেল কর্মীদের। তাঁরা খবর দেন নিউ মার্কেট থানার পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হোটেল কর্মীরা দরজা ভেঙে ঢোকেন ঘরে। দেখা যায়, তিন সদস্যই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পাশে বিষের শিশি, সুইসাইড নোট।পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইডে নোটে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরা। কিন্তু কী কারণে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় এসে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। আবার তাঁরা খুন হতে পারেন, এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সুশীল বনশালের বয়স ৬৬ বছর, ছন্দাদেবী ৬০ বছরের এবং সুনীত সিংয়ের বয়স ৪৫ বছর। তাঁদের মৃত্যুর খবর পাঠানো হয়েছে শিলিগুড়ির সেবক রোডের বাড়িতে। একটি সূত্রে খবর, সুনীতের মানসিক সমস্যা ছিল। তাঁকে নিয়ে বিপর্যস্ত ছিল পরিবার। ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহগুলো পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

মার্চ ১৬, ২০২১
রাজ্য

হোটেল থেকে সংকটজনক অবস্থায় যুবক- যুবতী উদ্ধার

হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন হোটেলের একটি ঘর থেকে এক যুবক ও যুবতীকে সংকটজনক অবস্থায় উদ্ধার করল গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে , হোটেলটি হাওড়া স্টেশনের কাছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে তাঁদের নাম প্রীতম প্রামানিক (২২) ও সরস্বতী মাইতি মিদ্দে (২০)। তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বাসিন্দা। হোটেলে জমা দেওয়া আধার র্কাড থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রীতমের বয়স ২২ ও সরস্বতীর বয়স ২০। হোটেল মালিক বলেন, দুজনেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে ওঠেন। তাঁরা হোটেলের দোতলার ১০১ নম্বর রুমে ছিলেন। হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ স্বামী - স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে ঘর নেন তাঁরা। দুজনেরই মুখ দিয়ে গাঁজলা বেরোচ্ছিল। মুখ থেকে উৎকট ঝাঁঝালো গন্ধ বেরিয়ে আসছিল। আরও পড়ুন ঃ প্রধানমন্ত্রী কি দেশের নাগরিক নয়? প্রশ্ন কৈলাসের হোটেলের ম্যানেজার ঈষান মিশ্র জানান, শনিবার দুপুর র্পযন্ত অনেকবার ডাকাডাকি করার পরও ১০১ নম্বর ঘরের বোর্ডার দরজা না খোলায় তাঁদের সন্দেহ হয়। শেষ র্পযন্ত তাঁরা থানায় খবর দেন। গোলাবাড়ি থানার পুলিশ এসে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে দুজনকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় দুজনের অবস্থাই আশংকাজনক। যুবক -যুবতী কীটনাশক জাতীয় কিছু খেয়েছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। হোটেলের কর্মীরা জানান, শুক্রবার থেকে ঘরেই ছিলেন তাঁরা। শনিবার সকাল থেকে তাঁদের সাড়া শব্দ না পেয়ে কর্মীদের সন্দেহ হয়। সেই কথা হোটেলের মালিককে জানালে তিনিই পুলিশকে খবর দেন। কি কারণে তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা জানতে পুলিশ দুই পরিবারের লোককে ডেকে পাঠিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

নভেম্বর ২১, ২০২০
দেশ

আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার অর্ণব গোস্বামী

দুবছর আগে ঋণ শোধ না করা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের এডিটর অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র সিআইডি। তাঁকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতারের ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এদিন এই বিষয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে টুইটে লেখেন, কংগ্রেস এবং সঙ্গীরা আরও একবার গনতন্ত্রকে লজ্জায় ফেলল। অর্ণব গোস্বামীর উপর আক্রমণ ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর হামলা। এটা আমাকে জরুরি অবস্থার কথা মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করা হবে। জানা গিয়েছে , বুধবার সকালে অর্ণবের বাড়িতে হানা দেয় মুম্বই পুলিশ ও সিআইডির একটি দল। সেই দলে ছিলেন ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ আধিকারিক। অর্ণবের অভিযোগ, তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেছে পুলিশ। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে বলপূর্বক পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছে। যে মামলায় অর্ণবকে আটক করা হয়েছে সেটি বছর দুয়েকের পুরনো।ওই বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করা এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আরও পড়ুন ঃ বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার আগে রাজনীতি থেকে অবসর নেবঃ মায়াবতী প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাসে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক এবং তাঁর মা কুমুদ নায়েককে আলিবাগের একটি বাংলোতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্বয়ের মেয়ে আদন্যা দাবি করেন, ওই বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের থেকে বকেয়া টাকা না পেয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁর বাবা ও ঠাকুমা।সেইসময় ওই বেসরকারি সংবাদমাধ্যম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে। পরে দাবি করে, কিছু সংগঠন অসৎ উদ্দেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা প্রচারর করছে। অন্যদিকে , এদিন অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করার নিন্দা করে বিজেপি নেতা তথা সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত লিখেছেন , এই ঘটনায় ধর্মনিরপেক্ষ বা্মপন্থী ও তৃণমূলপন্থী্রা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বাক স্বাধীনতা নিয়ে এবার কিছু বলতে এলে এদের একদম বিদায় করুন। তিনি সকলকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে একসঙ্গে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে টুইটে লিখেছেন , আমি মনে করি না , এই গ্রেফতারি অর্ণব গোস্বামীকে চুপ করাতে পারবে।এই ঘটনা তাঁর আবেদন আরও বাড়িয়ে তুলবে। কংগ্রেস ও শিবসেনাকে আরও হাস্যকর করে তুলবে। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা টুইটে লিখেছেন , মহারাষ্ট্র সরকারের প্রতিহিংসামূলক চিন্তাভাবনায় বাংলার সরকারের চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি। নির্লজ্জ মুম্বই পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যোগ্য প্রতিযোগী। দেশের সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের এই লজ্জাজনক ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। মহারাষ্ট্র সরকারের পতন আসন্ন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নভেম্বর ০৪, ২০২০
রাজ্য

মন্তেশ্বরে গায়ে আগুন দিয়ে একই পরিবারের তিনজন আত্মঘাতী

সপরিবারে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হল একই পরিবারের তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে , মন্তেশ্বরের বাঘাসোন গ্রামে। মৃতদের নাম সুদেব চন্দ্র দে (৩৯) , তাঁর স্ত্রী রেখা দে (২৮) ও তাঁর ছেলে স্নেহাংশু দে (৮)। জানা গিয়েছে , সুদেব চন্দ্র দে রেল পুলিশে কর্মরত। মঙ্গলবার ভোরবেলায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ একই ঘর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আরও পড়ুন ঃ দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডে বিস্ফোরণ , মৃত ১ তাদের বড় মেয়ে রিমঝিমকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। মৃতের দাদা জানান আজ ভোর ৩ টে ১৫ নাগাদ তাঁর ভাইঝি তাঁকে ফোন করে আগুন লাগার ঘটনার কথা জানায়। এরপরই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ঢুকে তিনজনের মৃতদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকেরা। এরপর পুলিশ দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।ঘটনার তদন্তে নেমেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal