• ১৩ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Purba BArdhaman

রাজ্য

জনগনকে চোর চেনাতে কোমরে দড়ি পরিয়ে চোরেদের নিয়ে রোড মার্চ করলো পুলিশ

ভোট আসলেই পুলিশকে দেখা যায় বিভিন্ন এলাকায় রোড মার্চ করতে। তা বলে পুলিশ চোরেদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় রোড মার্চ করবে এমনটা বোধহয় সকলের কাছেই কল্পনার অতীত। কিন্তু না, এটা কোন আজগুবি গল্পকথা নয়। বাস্তবেই মঙ্গলবার এমন ঘটনাই ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। একের পর এক দোকানে চুরির ঘটনায় ধৃত চোরেদের কোমরে দড়ি পরিয়ে রোড মার্চের মতন করে দীর্ঘ সড়ক পথে ঘোরালো পুলিশ কর্মীরা।যার উদ্দেশ্য ছিল এলাকার সকল মানুষজনকে চোরেদের চিনিয়ে দিয়ে সচেতন করে রাখা।চোর চেনাতে জামালপুর থানার পুলিশের এমন কৌশল প্রথমে সবাইকে হতবাক করে ঠিকই। পরে অবশ্য চোরেদের ছবি তুলে রাখা নিয়ে পথচারীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।কোমরে দড়ি পরিয়ে চোরেদের নিয়ে রোড মার্চ করলো পুলিশজামালপুর থানার সন্নিকটে সড়ক পথের ধারে চা ,পান বিড়ি সিগারেটের দোকান যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে ছোট খাটো স্টেশনারি দোকান।দিন দুই আগে রাতের অন্ধকারে চোরেদের দল ৩টি দোকানের এ্যাজবেসটার্স চাল ভেঙে দোকানের ভিতরে ঢোকে। তার পর তারা দোকানে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালায়। পরদিন সকালে দোকান খুলতেই চুরির ঘটনা নজরে আসে দোকান মালিকদের।তাঁরা চুরির সবিস্তার উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ জানান ।অভিযোগ পেয়েই পুলিশ চোরেদের সন্ধানে নামে। মঙ্গলবার বিকালের মধ্যেই পুলিশ দুই চোর সেখ সাবির ও লব বেরা কে জালে পোরে। ধৃতদের মধ্যে সাবিরের বাড়ি জামালপুর থানা থেকে ২ কিমি দূরে সেলিমাবাদ গ্রামে। অপর ধৃত লবের বাড়ি প্রায় একই দূরত্বে থাকা পুলমাথা এলাকায়। জেরায় ধৃতরা দোকানে চুরির কথা স্বীকার করে নেবার পরেই পুলিশ তাঁদের নিয়ে চুরি হওয়া সামগ্রী উদ্ধারে নামে। উদ্ধার হয় প্রচুর প্যাকেট সিগারেট, গুটকা ও গায়ে মাখার সাবান। এর পরেই থানার পুলিশ কর্মীরা ধৃত দুই চোরের কোমরে দড়ি পরিয়ে রোড মার্চের মতন করে জামালপুরের সড়পথে ঘোরায়।চুরি যাওয়া বিভিন্ন সামগ্রপুলিশের লোকজনই পথে থাকা লোকজনকে ডেকে ডেকে বলেন, দেখে রাখুন এই দুই যুবক হল চোর।রাতে এদের আপনার এলাকায় দেখলেই আপনারা সচেতন হবেন। প্রয়োজনে পুলিশকে জানাবেন। পাশাপাশি যে যে দোকানে চোরেরা চুরি করেছিল সেইব দোকান মালিকদেরও পুলিশ ধৃত চোরেদেরকে দেখায়। পুলিশের লোকজনের মুখথেকে এমন কথা শোনার পরেই চোরেদের ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখার হিড়িক পড়ে যায়। এই বিষয়ে জামালপুর থানার এক পুলিশ অফিসার বক্তব্য, এলাকায় মানুষজন যাতে চোরেদের চিনে রাখতে পারে তাই তাঁদের এলাকায় ঘোরানো হয়েছে। বুধবার ধৃতদের পেশ করা হবে বর্ধমান আদালতে। তবে জামালপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়ে দুই চোরের ছবি এদিন মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেন রায়নার বাসিন্দা হারাধন বৈরাগ্য নামে এক ব্যক্তি। পঞ্চাশ উর্ধ্ব এই ব্যক্তি বলেন, এলাকার লোকজনকে চোরেদের চেনাতে পুলিশের চোরেদের নিয়ে রোড মার্চ জীবনে এই প্রথম দেখলাম।চোরদেরকেও দেখলাম। চুরি করলে এমন শাস্তি হবে দখলে কোন চোর জামালপুরে চুরি করতে আসার সাহস আর দেখাবে মলে মনে হয় না। হারাধন বাবু এও বলেন, চোর চেনাতে পুলিশের এমন অভিনব কৌশল ক্যামেরা বন্দি না করে ততাই থাকতে পারলাম না। রায়নার বাসিন্দাদেরও এই চেরেদের সম্পর্কে জানাবো।পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের ব্যাখ্যা, আমার কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে তথ্য নেই। কাউকে এমন করে ঘোরানো যায় না। তবে এটা করে থাকলে অপরাধের পুনর্নির্মাণের জন্য করা হয়েছে বলেই মনে হয়।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

প্রচারে বের হওয়া বিজেপি প্রার্থীকে মারধর

পুর ভোটের প্রচার করার সময় বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাতছালা কলোনী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে ।আহত অবস্থায় প্রার্থী অসিত কুমার কুণ্ডুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অমিত কুমার কুণ্ডুর অভিযোগ,নমিনেশন তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিল।একা প্রচারে বেড়িয়েছিলাম।ভাতছালা কলোনির ঐক্যতান ক্লাবের কাছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা লাঠি,ঘুষি ও লাথি মারে।পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।এলাকায় আমার প্রভাব আছে হেরে যাবার ভয়ে আমাকে মারধর করে।অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ববর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানান,মিথ্যা অভিযোগ,তৃণমূল এসব কাজ করে না।মারধর কেউ করলে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।লোকজন নেই, এইসব করে বাজারগরম করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

প্রৌঢ়ের চোখে অ্যাসিড ছুঁড়ে গা ঢাকা প্রতিবেশী মহিলার, থানায় অভিযোগ আক্রান্তের

অ্যাসিড ছুঁড়ে দিয়ে প্রৌঢ়ের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশী পরিবারের এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্রকরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামে। অভিযুক্ত মহিলা রুপালি রায় ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। চোখের চিকিৎসা করিয়ে অ্যাসিড হামলায় জখম শুভাশীষ মুখোপাধ্যায় সোমবার ওই মহিলার বিরুদ্ধে ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযোগের তদন্তে নেমে অ্যাসিড হামলায় জড়িত মহিলার খোঁজ শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রৌঢ় শুভাশীষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে। বাড়িতে রয়েছে তাঁর বৃদ্ধা বিধবা মা। শুভাশীষ বাবুর অভিযোগ, দিন দুই আগে সন্ধ্যা নাগাদ তিনি তাঁর বৃদ্ধা মাকে দেখাশুনার জন্য একজন কাজের মেয়ের সন্ধানে বেড়িয়েছিলেন। ফেরার পথে প্রতিবেশী পরিবারের মহিলা রুপালি রায়ের বাড়ির কাছ দিয়ে তিনি আসছিলেন। ওই সময়ে তিনি ওই মহিলা সহ আরো কয়েকজন মহিলাকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তারা সবাই মিলে আচমকাই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়। তারা তাঁকে ব্যাপক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। ওই অবস্থার মধ্যেই প্রতিবেশী পরিবারের মহিলা রুপালি তাঁর চোখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়। চোখে ভীষণ জ্বালাযন্ত্রণা শুরু হলে তিনি ঘটনাস্থলেই চিৎকার শুরু করে দেন। তাঁর চিৎকার শুনে এলাকার অন্য লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুভাশীষ বাবু এদিন জানান, তাঁর চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর চোখের রেটিনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রৌঢ়ার দিদি রুবি মুখোপাধ্যায় বলেন, চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর ভাইয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।কি কারণে প্রতিবেশী পরিবারের মহিলা রুপালি অ্যাসিড হামলা করলেন? এর উত্তরে শুভাশীষ মুখোপাধ্যায় জানান, ওই মহিলার ধারণা তিনি নাকি আড়িপেতে তাকে দেখতেন। এমন মিথ্যা সন্দেহ ও ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়েই প্রতিবেশী পরিবারের মহিলা তাঁর উপর অ্যাসিড হামলা চালাই বলে শুভাশীষ বাবু দাবি করেছেন। একই সঙ্গে শুভাশীষ বাবু বলেন, মিথ্যা ধারণার বশবর্তী হয়ে ওই মহিলা আমার বাকি জীবনটাই অন্ধকারময় করে দিল। তিনি অ্যাসিড হামলায় জড়িত মহিলার কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ক্যামেরায় বন্দি করে বিয়ের জন্য পিস্তল দেখিয়ে প্রেমিকের হুমকি! কালনায় আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী

প্রেমিকের ব্ল্যাকমেল ও হুমকি শাসানির জেরে আত্মহত্যার পথ বেছেনিতে বাধ্য হলেন এক কলেজ ছাত্রী।মৃতার নাম গঙ্গা সেন (১৯)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার শাসপুর পশ্চিমপাড়ায়। রবিবার কালনা মহকুমা হাসপাতাল পুলিশ মর্গে ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক। এইঘটনা নিয়ে জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শাসপুর এলাকায়। প্রেমিক যুবকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর পরিবারের আনা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানা গিয়েছে, গঙ্গা সেন নামে ওই ছাত্রীটি কালনা কলেজের প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করতো। ছাত্রীর বাবা নগেন সেন জানান, কয়েক বছর হল তাঁর মেয়ে গঙ্গা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মনে কু-উদ্দেশ্য থাকায় ওই যুবক কোন এক সময়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের বেশ কিছু ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বন্দি করে নেয়। পরে সেই ছবি দেখিয়েই গঙ্গাকে ব্ল্যাকমেল করেচলে তাঁর প্রেমিক। এরই মধ্যে গঙ্গা জানতে পারে যে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে একাধিক মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর থেকে গঙ্গা তাঁর প্রেমিকে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে মনস্থির করে নেয়। নগেন বাবুর অভিযোগ, তাঁর মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে জানতে পেরে ওই প্রেমিক যুবক মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাড়িতে এসে পিস্তল দেখিয়ে হুমকি শাসানি দিয়ে যেত।ছাত্রীর মা বিশাখা সেন বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ওই যুবক বাড়িতে এসে চাপ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আমার মেয়ে ওই যুবককে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার জন্য ওই যুবক পিস্তল উঁচিয়ে আমাদের বাড়ির সবাইকে প্রাণে মেরে দেবে বলে কিছুদিন আগে হুমকি দিয়ে যায়। এইসব নিয়ে মেয়ে গঙ্গা মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল। রবিবার সকালে তিনি ও তাঁর স্বামী কোভিডের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। তার পরেই বাড়ির একটি ঘরে গলায় দড়ি ফাঁস দিয়ে গঙ্গা ঝুলেপড়ে। বাড়িতে তখন ছোট মেয়ে ছিল। সে তাঁর দিদিকে গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে আমাদের জানায়। এই খবর পেয়েই দ্রূত বাড়িতে ফিরে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে আমরা কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গঙ্গাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নগেন সেন ও তাঁর স্ত্রী বিশাখাদেবী দুজনেই তাঁদের মেয়ে গঙ্গার মৃত্যুর জন্য ওই প্রেমিক যুবককেই দায়ী করেছেন। সেন দম্পতি দাবি করেন, প্রেমিক যুবকের ব্ল্যাকমেল ও হুমকি শাসানির জেরেই তাঁদের মেয়ে গঙ্গা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। সেই অভিোগের কথা পুলিশকেও এদিন মৌখিক ভাবে জানিয়ে এসেছেন। দাহকার্য শেষ করে সোমবার থানায় গিয়ে লিখিত ভাবে যুবকের বিরূদ্ধে অভিযোগ জমা দেবেন বলে নগেন সেন জানিয়েছেন। কালনা থানার পুলিশ জানিয়ছে, লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে তার ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতার পরিবার ও তাঁর সহপাঠীদের প্রত্যাশা পুলিশ যুবকের দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

পৌর ভোটে ২ হাজার ভোটে জয়কে ২০৫০ না করার জন্য কর্মীদের বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী

রাজ্যে যা উন্নয়ন হয়েছে তার নিরিখেই মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করবে। পৌর নির্বাচনে ২ হাজার ভোটে জয় হলে সেটাই গণতন্ত্রের আশীর্বাদ। সেটাকে ২০৫০ করার কোনো দরকার নেই। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ বলে শনিবার বর্ধমানে এসে দলের কর্মীদের জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। বিরোধীরা পুর ভোটের প্রচারে বেরিয়ে প্রতিমুহুর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হচ্ছেন। ঠিক তেমনই সময়ে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের এমন বার্তা দেওয়া যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের ১০৮ টি পৌরসভার ভোট হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন পূর্ব বর্ধমানের কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, বর্ধমান, মেমারি ও গুসকরা পৌরসভার নির্বাচন হবে। তার প্রাক্কালে দলে কর্মীদের উদ্দেশ্যে হঠাৎ করেই এমন বার্তা দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন ,উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল কংগ্রেস পুর ভোটে লড়বে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে বর্ধমান সহ রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। সেই উন্নয়নের নিরিখেই তৃণমূলের প্রার্থীরা মানুষের কাছে ভোট চাইবে। উন্নয়নের জন্যই মানুষ তৃণমূলের প্রার্থীদের আশীর্বাদ করবে। মানুষের আশীর্বাদ পাথেয় করেই তৃণমূল এগিয়ে যাবে। অরুপ বিশ্বাস এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক পৌরসভা এলাকায় কর্মী সভা ও প্রচারে অংশ নেন। প্রথমে বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে কর্মীসভায় তিনি অংশ নেন। সেখানে তার সাথে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস সহ দলের অন্য নেতারা।বর্ধমান পুরসভার ভোটে দলের ৩৫ জন প্রার্থীকে এদিন অরুপ বিশ্বাস উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এর পর কর্মীসভা থেকে অরুপবাবু বলেন, আজ একজন প্রার্থী। কাল আপনিও প্রার্থী হতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব নজরে আছে। ভোটে উন্নয়নের কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলুন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনুন। ভোটের পর সেগুলি মাথায় রাখতে হবে। সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ধমানে সভা শেষে সেরে অরূপ বিশ্বাস জেলা নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মেমারি ও কালনায় প্রচারে যান।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

সিবিআই ঠিকমতো তদন্ত করলে তৃণমূল কংগ্রেসের অর্ধেক নেতা জেলে থাকতো, আক্ষেপ রাহুল সিনহার

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিও এবার ভরসা হারানোর অবস্থা তৈরি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। তেমনটাই সুর শনিবার শোনা গেল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কথায়। পুরভোটের প্রচারে এদিন বর্ধমানে এসে রাহুল সিনহা সিবিআই এর বিরুদ্ধে তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ করেন।রাহুলবাবু বলেন,রাজ্যে যেভাবে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছে ।সিবিআই যদি ঠিক মতো তার তদন্ত করতো তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের অর্ধেক নেতা জেলে থাকতো। সিবিআই এর উচিত তদন্তের গতিকে আরও তরান্বিত করা। পাশাপাশি রাহুল সিনহা পুর ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হন। বর্ধমান পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন প্রচারে অংশ নেন রাহুল সিনহা।প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল সিনহা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।পাশাপাশি তিনি এও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের তরফে হুমকি দিয়ে বিজেপির প্রার্থীদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।এই প্রসঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন ,তৃণমূলের স্বজনপোষণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ভোট ঠিকঠাক হবে কিনা সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভোট দিতে দিক। মানুষ ভোট দিতে পারলে বর্ধমান সহ সারা বাংলার সব জায়গাতেই বিজেপি জয়লাভ করবে।বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার এইসব বক্তব্যকে কোন গুরুত্বই দিতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রি অরুপ বিশ্বাস। উল্টে রাহুল সিনহাকে কটাক্ষ করে অরুপবাবু বলেন, রাহুল সিনহা নিজে কখনও কোন নির্বাচনে জেতেন নি।সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে।রাহুলবাবু আগে পঞ্চায়েতের মেম্বার হন ।তার পর ওনার কথার উত্তর দেব।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

মাধবডিহির লটারি টিকিট ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হাওড়া ও হুগলীর ৪ দুস্কৃতী

সিসি টিভি ফুটেজের সূত্র ধরে জোরদার তদন্ত চালিয়ে ১০ দিনের মধ্যে লটারি ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনার কিনারা করলো পুলিশ। গত ৮ ফব্রুয়ারি রাতে দুস্কৃতীদল গুলি করে খুন করে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার আরিকপুর গ্রাম নিবাসী লটারি টিকট ব্যবসায়ী হামিদ আলি খাঁন(৪৬)কে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাধবডিহি থানার পুলিশ ৪ দুস্কুতিকে গ্রেফতার করেছে। খুন ও অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার চার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে টিআই প্যারেড করানোর আবেদন জানান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করার পাশাশাশি ধৃতদের জেল হেপাজতে পাঠিয়ে ৪ মার্চ ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল শেখ নাজিবুল, সরিফুল খাঁন, নসিব আলি মিদ্দে ওরফে আকাশ ও আবুবক্কর মল্লিক ওরফে আসরাফুল। ধৃতদের সকলেরই বয়স ৩০ এর নিচে।ব্যতিক্রম শুধু হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার মুনশিরহাটের মুক্তারপাড়া নিবাসী নাজিবুল। সে ১৯ বছর বয়সেই আপরাধ জগতে নাম লিখিয়ে ফেলেছে। নসিব আলিও মুনসিরহাট এলাকার বাসিন্দা অপর ধৃত সরিফুল ও আবুবক্করের বাড়ি হুগলীর জাঙ্গীপুর থানার গনেশবাটিতে। পুলিশের দাবি লটারি ব্যবসায়ী হামিদ আলি খাঁনকে খুনের ঘটনায় এই ধৃতরাই জড়িত। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনজানিয়েছেন, খুনের ঘটনার পরেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়ের নেতৃত্বে জোরদার তদন্ত শুরু হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে অল্পদিনের মধ্যেই খুনের ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে তদন্তের বাকি কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। ধৃতরা সুপারি কিলার নাকি তাদের অন্য কোনও মোটিভ ছিল তার সবই তদন্ত এগোলে জানা যাবে। পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ধৃত এই চারজন বাইকে করে এসে ব্যবসায়ীকে আক্রমণ করে। তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মিডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধবডিহির ছোটবৈনান বাজার রয়েছে ব্যবসায়ী হামিদ আলি খাঁনের কাপড়ের ও লটারি টিকিট বিক্রির দোকান রয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার পর তিনি দোকান বন্ধ করে বাইকে চেপে স্থানীয় আরিকপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ছোট দিঘীরকোন এলাকায় দুস্কৃতী দল ব্যবসায়ীর পথ আটকে ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামিদ বাধা দিলে দুস্কৃতীরা ব্যবসায়ীর কোমরে গুলি করে তাঁকে খুন করে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায়। ওই ব্যাগে ২ লক্ষের মত টাকা ছিল বলে ব্যবসায়ীর পরিচিতরা জানান। এই ঘটনার পরেই পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে ধুলাগড়, জগৎবল্লভপুর, জাঙ্গিপাড়া ও চণ্ডিপাড়া থানা থেকে খুনের ঘটনায় জড়িত চার জনকে গ্রেফতার করে।খুনের ঘটনায় আর কারা সঙ্গ দিয়েছিল তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেআস্ত্র ও ব্যবসায়ীয় টাকার ব্যাগ উদ্ধারের প্রচেষ্টাও পুলিশ চালাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ফ্লেক্স, তীব্র প্রতিবাদ সিপিএম ও বিজেপির

রাজ্যে পুর ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষনা হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে বর্ধমানসহ রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট। তারই মধ্যে রাজ্যে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পও চলছে। আর বর্ধমান পৌর এলাকায় চলা তেমনি একটি ক্যাম্পে জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে লাগানো হোডিং,কার্টআউট ও ফ্লেক্স। যা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সিপিএম নেতৃত্ব জেলা নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার তথা বর্ধমান উত্তর মহকুমা শাসকের কাছে ইতিমধ্যেই নালিশ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, শাসক দল এই ভাবেই নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। যদিও তৃণমূলের নেতারা বিরোধীদের আনা এই অভিযোগকে কোন আমল দিতে চাননি। রাজ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। আর এই সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভার ভোট। ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে পূর্ব বর্ধমানের জেলার কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, বর্ধমান, দাঁইহাট ও মেমারি পৌরসভার ভোট। এই অবস্থার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরের নীলপুরের জাগরণী ক্লাবের মাঠে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। ওই ক্যাম্পে বর্ধমান পৌরসভার ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সরকারি সহায়তা পাওয়ার আবেদন করার জন্য এদিন লাইনে দাঁড়ান। ওই ক্যাম্পে বর্ধমান পৌরসভার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী শাসক দলের প্রার্থীর সমর্থনে হোর্ডিং, ফ্লেক্স, কাটআউট লাগানো থাকায় প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধীরা।সিপিএম প্রার্থী দীপঙ্কর দে বলেন, পৌর ভোট চলার সময়ে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প ও পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি শুরু করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কিন্তু আপত্তি মনা হয়নি। এদিন নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য বর্ধমানের নীলপুরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে শাসক দলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রাসবিহারী হালদারের সমর্থনে প্রচার ফ্লেক্স, হোর্ডিং ঝোলানো থাকে। দীপঙ্কর দে জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দলীয় ভাবে বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসারকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁরা সরকারি কর্মসূচির বিরোধিতা করছেন না। কিন্তু যে ভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ করছেন। কারণ সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ক্যাম্পে। এমনিতেই নির্বাচনের সময় ক্যাম্প করা বেআইনি। তার উপর দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ক্যাম্পে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর ভোট প্রচারের প্রদর্শনী চলছে। ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি নেতারাও। বিজেপির রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরাও দলীয় ভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ করবেন। একই সঙ্গে রাজু বাবু বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ করেও কিছু লাভ হবে না। রাজ্য নির্বচন কমিশন শাসকদলের কথায় চলছে।এই বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, আমার কাছে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।তবে ফোনে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পেয়েই সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। যদি কোনও বিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে তাহলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

জীবন বাজি রেখে শত চেষ্টা সত্বেও বৃদ্ধাকে বাঁচাতে পারলেন না রেল কর্মী, মেয়ের চোখের সামনেই দুর্ঘটনা

দূরন্ত গতিতে ধেয়ে আসছিল আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস। আর ঠিক ওই সময়েই রেল লাইন পার হতে যাচ্ছিলেন আশি উর্ধ্ব বৃদ্ধা গায়ত্রী ঘোষ। তা দেখে ছুটে যান রেলকর্মী পাঁচুগোপাল দাস। তিনি মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মানেন। আর তারই মধ্যে সরাইঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বৃদ্ধার দেহ। চোখের সামনে মায়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে। সোমবার বিকালে রোমহর্ষক এমনই এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া- বর্ধমানের কর্ড শাখার মসাগ্রাম স্টেশনে। যা চাক্ষুষ করে কার্যত শিউরে ওঠেন মসাগ্রাম স্টেশনে থাকা রেল যাত্রী ও সাধারণ মানুষজন।রাতে ঘটনাস্থলে পৌছে রেল পুলিশ বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে।মসাগ্রাম স্টেশন আধিকারিকদের কথায় জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা গায়ত্রীদেবী বাঁকুড়া জেলার ইন্দাসের বাসিন্দা।এদিন বিকালে কর্ড লাইনের ট্রেনে চড়ে বৃদ্ধা তাঁর মেয়ে জাইয়ের সঙ্গে মসাগ্রম স্টেশনে নামেন। আনুমানিক বৈকাল ৪ টে ৫০ মিনিট নাগাদ মসাগ্রাম স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমে তারা সামনের বিডিআর রেলের স্টেশন প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য রেল লাইন পার হচ্ছিলেন।বৃদ্ধার মেয়ে ও জামাই রেল লাইন পার হয়ে গেলেও পিছনে পড়ে থাকেন বৃদ্ধা। ওই সময়েই আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস জোরে হর্ণ বাজাতে বাজাতে ওই লাইন ধরে ধেয়ে আসতে থাকে। তা দেখে মেয়ে ও জামাই বৃদ্ধাকে রেল লাইন পার না হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে বলেন। কিন্তু কানে মাফলার জড়ানো থাকায় বৃদ্ধা তাঁর মেয়ে জাইয়ের কথা শুনতে পাননি। তিনি লইন পার হওয়ার জন্য আরও এগিয়ে আসেন। ওই সময়ে মসাগ্রাম স্টেশন প্ল্যাটফর্মে ডিউটি করছিলেন রেলকর্মী পাঁচুগোপাল দাস। পরিস্থিতি চাক্ষুষ করে তিনি বুঝতে পারেন বৃদ্ধা আর একটু এগোলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন। তৎক্ষনাৎ রেল কর্মী পাঁচুগোপাল বৃদ্ধাকে বাঁচানোর জন্য ওই লাইনের দিকে ছুটে যান। কিন্তু দ্রুত ছুটে বৃদ্ধার কাছে পৌছতে গিয়ে পাঁচুগোপালবাবু লাইনের আগে পড়ে যান। পায়ে চোট পেয়ে তিনি আর এগিয়ে যেতে পারেননি। তারই মধ্যে সবার চোখের সামনে সরাইঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্ন বিচ্ছিন হয়ে যায় বৃদ্ধার দেহ।প্রত্যক্ষদ্শী মনোজ সাহানি বলেন, রেল কর্মী পাঁচুগোপাল দাস নিজের জীবন বাজি রেখে বৃদ্ধাকে বাঁচানোর জন্য ছুটে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পেয়ে যাওয়ায় তিন আর এগিয়ে যেতে পারেননি।পড়ে না গেলে তিনি হয়তো বৃদ্ধাকে বাঁচাতে পারতেন। তা আর হল না।সবার চোখের সামনেই ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিলেও মসাগ্রাম স্টেশন আধিকারিক এই বিষয়য়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।বাঁকুড়ার ইন্দাস নিবাসী বৃদ্ধার মেয়ে শ্যামলী পাল ও তাঁর স্বামী অমল পাল জানিয়েছেন, সাবিত্রীদেবী তাঁদের কাছেই থাকতেন। শ্যামলী পাল বলেন, আমার ছেলে কর্মসূত্রে হুগলীর ডানকুনিতে থাকে। কিছুদিন আগে বৃদ্ধা মা কে সঙ্গে নিয়ে আমি ও তাঁর স্বামী ডানকুনিতে ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এদিন সেখান থেকেই ফিরছিলেন। কর্ড লাইনের ট্রেনে চড়ে বিকালে মসাগ্রাম স্টেশনে নামার পর সামনে থাকা বিডিআর রেলের স্টেশন প্ল্যাটফর্মের যাবার জন্য সবাই রেল লাইন পার হচ্ছিলেন। শ্যামলীদেবী বলেন, ওই সময়ে আমি ও আমার স্বামী রেল লাইন পেরিয়ে যেতে পারলেও বৃদ্ধা মা লাইন পার হতে না পেরে পিছনে রয়ে যায়। তারই মধ্যে এক্সপ্রেস ট্রেনটিও দ্রুত গতীতে এগিয়ে আসতে থাকে। তা দেখে আমি ও আমার স্বামী চিৎকার করে মাকে দাঁড়িয়ে যেতে বলি। কিন্তু কানে মাফলার জড়ানো থাকায় আমার মা কিচ্ছু শুনতে না পেয়ে আরও এগিয়ে আসতে থাকেন। তারই মধ্যে এক্সপ্রেস ট্রেনটিও অনেকটি কাছাকাছি চলে আসে। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই স্টেশন প্ল্যাটফর্মে থাকা এক রেল কর্মী নিজের জীবন বাজি রেখে আমার বৃদ্ধা মা কে বাঁচাতে দৌড় দেন। চোখের জল মুছতে মুছতে শ্যামলীদেবী এদিন বলেন,মায়ের ভাগ্য সহায় না থাকায় ওই রেলকর্মী পড়ে গিয়ে চোট পেয়ে যাওয়ায় আর এগিয়ে যেতে পারেন না। ট্রেনের ধাক্কায় আমার বৃদ্ধা মা মারা যায়। শাশুড়ি মায়ের এমন করুন পরণতির জন্য জামাই অমল পালও অদৃষ্টকেই দায়ী করেছেন।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

শিক্ষাগুরু বাম প্রার্থীর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে বর্ধমানে পুরভোটের ময়দান চোষে বেড়াচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী

রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধ রয়েছে ঠিকই। তাবলে পুরভোটের যুদ্ধে নেমে শিক্ষাগুরু ও তাঁর ছাত্রের কেউই পারস্পরিক স্নেহ ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ককে জলাঞ্জলি দিতে চান না। আর সেই কারণেই এবার বর্ধমান পৌরসভার ভোটে সবার নজর কেড়েছে গুরু শিষ্যের লড়াই।যে লড়াইয়ের শেষ ফল দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বর্ধমান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।রাজ্যের যে কটি পৌরসভার নির্বাচন ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে তার সবকটাতেই তৃণমূলেরই জয়জয়কার। এমন ঘাসফুল ঝড়ের মধ্যেই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে বর্ধমান পৌরসভা ৩৫ টি ওয়ার্ডের নির্বাচন। তার মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নুরুল আলম ওরফে সাহেব। আর তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দি সিপিআইএম প্রার্থী লুৎফর রহমান মুন্সী। যুজুধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর বাড়ি একই ওয়ার্ডে। সেই ওয়ার্ডেরই দুবরাজদিঘী এলাকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান মল্লিক দুবরাজদিঘী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক।আর সেই বিদ্যালয়েই পড়াশুনা করে বড় হয়ে ওঠা ছাত্র নুরুল আলম আজ তাঁর প্রতিদ্বন্দি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। একজন বয়সে প্রবীন হলেও আপাদমস্তক কমিউনিষ্ট। অপর জন তৃণমূলের তরুণ তুর্কী নেতা।সে যাইহোক ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে দুজনের কেউ এই বিষয়টিকেই বেশী গুরুত্ব দিতে চান না। বরং দুজনেই চান ভোট যুদ্ধের ময়দানেও অটুট থাকুক গুরু ও শিষ্যের পারস্পরিক স্নেহ ও শ্রদ্ধার বন্ধন। তাই প্রতিদিন ভেটের প্রাচার নেমেই সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে শিষ্য নুরুল পৌছে গেলেন শিক্ষা গুরু লুৎফর রহমান মুন্সীর বাড়িতে। শিক্ষা গুরুর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে গুরুর কাছেও ভোট ভিক্ষা চাইলেন ছাত্র। পাল্টা শিক্ষা গুরুও তাঁর শিষ্যকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে আশীর্বাদ ও শুভকামনা জানালেন। একই সঙ্গে শিক্ষক লৎফর রহমান সবাইকে শুনিয়ে বললেন ,আজকের দিনে রাজনীতিতে আমার ছাত্র নুরুলের মত যুবশক্তির উঠে আসা প্রয়োজন রয়েছে। ভোটের দিন লুৎফর রহমান মুন্সী কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ হয়তো নুরুল আলমকে ভোট দেবেন না। তবুও রাজনৈতিক সৌজন্যতার এই দৃশ্য চাক্ষুষ করে কার্যতই অবিভূত দুবরাজদিঘীর বাসিন্দারা। শিক্ষা গুরুর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে সোমবার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অলি গলি ঘুরে নুরুল সারলেন ভোটের প্রচার।নুরুল আলম এদিন বলেন, আমার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময়েই দলের সবাইকে রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় রেখে চলার বার্তা দেন। নিজেকে বিনয়ী রেখে সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হবার কথা বলেন। সেই আদর্শেই আমি দীক্ষিত।শিক্ষা গুরু আমার প্রতিদ্বন্দি হলেও তিনি আমার গুরুই। তাই ভোট যুদ্ধে শিক্ষা গুরুর আশীর্বাদ মাথায় থাকাটাও বড় প্রাপ্তি। বাকিটা বিচার করবেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনতা জনার্দন। অন্যদিকে সিপিআইএম প্রার্থী লুৎফর রহমান মুন্সী বলেন, আমার ছাত্র নুরুল আলমের সৌজন্যতা বোধ আমায় মুগ্ধ করেছে। ওর ভবিষ্যৎ জীবন ভালো হোক এই শুভ কামনাই করছি। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, বর্ধমান পুরসভায় লড়াইটা মূলতই তাঁদের সঙ্গে সিপিএমেরই। তবে তিনি আশাবাদী বর্ধমান পৌরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরাই জয়ী হবেন।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

স্কুলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট, তবুও এসেছে প্রায় লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুর্ব-বর্ধমানে রায়নার স্কুল

বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদ্যালয়ে রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ইউনিট। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ দফতর পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ ব্লকের একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে প্রায় লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল। শুধু এত বিশাল পরিমান টাকার বিদ্যুৎ বিল পাঠানোই নয়।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই বিল সংশোধনের আবেদন করার পর উল্টে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।তার কারণে এখন বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন জারি রাখার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে চুড়ান্ত অচলাবস্থা। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ ও স্কুল দফতর সহ প্রশাসনের নানা মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিদ্যালের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু সুরাহার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই কথা মাথায় রেখে প্রশাসন কি ব্যবস্থা করে সেই দিকেই এখন তাকিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়ার।বিদ্যালয় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মইদুল হক জানান, প্রথম থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের দেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল তাঁর বিদ্যালয়ে।পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎতের চাহিদা মেটাতে সৌরশক্তির উপর ভরসা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়।সেই মত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিদ্যালয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ইউনিট চালু হয়। সেই সৌরবিদ্যুৎ ইউনিট থেকে বিদ্যালয়ও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়।তার পরেই বিদ্যুৎ দফতর বিদ্যালয়ে থাকা পূর্বের মিটার রিডিং যন্ত্রটি খুলে নিয়ে নেট মিটার যন্ত্র লাগিয়ে দেয়।প্রধান শিক্ষক তাঁর অভিযোগে বলেন, ওই নেট মিটার যন্ত্র লাগানো হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বিদ্যুৎ দফতরের কেউ মিটার রিডিং দেখতে আসেনি।তারই মধ্যে করোনা অতিমারির প্রভাব বেড়ে যায়। তার কারণে রাজ্য সরকার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ও বন্ধ থাকে। এর পরেও ২০২১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন মিটার রিডিং সংগ্রহ করতে আসেন না। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিদ্যুৎ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তার পর বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন মিটার রিডিং নিয়ে যায়। পরে তারা ৯৮ হজার ৭৮৮ টাকার বিদ্যুৎ বিল বিদ্যালয়ে পাঠায়।এত বিপুল পরিমাণ টাকার বিল সঠিক মনে না হওয়ায় এরপর তিনি বিল সংশোধনের জন্য বিদ্যুৎ দফতরে লিখিত আবেদন করেন।কিন্তু সেই আবেদন গ্রাহ্য না করে উল্টে বিদ্যুৎ দফতরের কোন নোটিশ না দিয়েই ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর লোকজন পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এদিকে বিদ্যুৎ না থাকার তার কারণে এখন বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন চালু রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।পড়ুয়ারা জানিয়েছে, বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁরা কম্পিউটার ক্লাস করতে পারছে না।পাম্প চালাতে পারা না যাওয়ায় স্কুলে পানীয় জলও পাওয়া যাচ্ছে না।এমনকি জলের অভাবে সাফাই কাজ বন্ধ থাকায় স্কুলের শৌচাগার ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে।মিড ডে মিল রান্না করার জন্য দূর থেকে জল আনাতে হচ্ছে। এছাড়াও পড়ুয়াডের সরকারী সূযোগ সুবিধা পাবার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে অনলাইনে যে যে বিষয়ে আবেদন করতে হয় সেই কাজও করতে পারা যাচ্ছেন না বলে পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছে।বিদ্যুৎ বিল সঠিক মনে না হওয়ার কারণ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মইদুল হক বলেন, বিদ্যালয়ে থাকা সৌরবিদ্যুৎ ইউনিট থেকে কতটা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় তার হিসাব নেট মিটার যন্ত্রে দেখা যায়।উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিদ্যালয় তার প্রয়োজন মত ব্যবহার করার পর বাকি সবটা বিদ্যুৎ দফতর নিয়ে নেয়।অতিমারির কারণে প্রায় দুবছর ধরে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল।তাহলে আমাদের বিদ্যালয় বিদ্যুৎ খরচ করলো কোথায়! প্রধান শিক্ষক এও দাবি করেন, অতিমারির কারণে তাঁদের বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সময়ে উৎপাদিত সমস্ত সৌরবিদ্যুৎ বিদ্যুৎ দফতরই গ্রহন করেছে।কিন্তু বিলে বিদ্যুৎ দফতর কতটা সৌরবিদ্যুৎ গ্রহন করেছে আর বিদ্যালয় কতটা বিদ্যুৎ খরচ করেছে তার কোন হিসাবও দেওয়া হয় নি। নেট মিটারে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎতের যে হিসাব ধরা পড়েছে তার সবটাই একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবহার করেছে দেখিয়ে মনগড়া বিল তৈরিকরে বিদ্যুৎ দফতর বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক দাবি করেন।প্রধান শিক্ষক আরও জানান, ওই বিল পাওয়ার পর তিনি সৌরবিদ্যুৎ বিভাগের (ডাব্লুবিআরইডিএ) সুপারেনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিয়ার পিসি রাউতকে বিস্তারিত জানান। উনি সবকিছু খতিয়ে দেখে জানান, নেট মিটার রিডিং ফলো করে ডাব্লু বি এ সি ডি সি এল বিল পাঠিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সিস্টেম মেনে ওই বিলে উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎতের পরিমাণ ও স্কুল কতটা বিদ্যুৎ ব্যায় করেছে তার হিসাব আলাদা করা হয়নি। তার কারণেই এই সমস্যা তেরি হয়েছে।প্রধান শিক্ষক বলেন,সুপারেনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিয়ার তাঁকে জানিয়েছেন, এমন সমস্যা শুধু একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই তৈরি হয় নি। রায়না ও ভাতার এলাকার আরও তিনটি বিদ্যালয় সহ রাজ্যের ১৪ টি বিদ্যালয়ে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে ।এই বিষয়ে যদিও বিদ্যুৎ দফতরের রায়নার সেহারাবাজারের স্টেশন ম্যানেজার জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যকে কোনকিছু জানাতে অস্বীকার করেন।তবে রায়না ২ ব্লকের বিডিও অনিষা যশ জানিয়েছেন, উদ্ভুত সমস্যার সমাধানে আগামী মঙ্গলবার তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ,বিদ্যুৎ দফতর ও পঞ্চায়েত সমিতির কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগে একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয় যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ পায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

শতাধিক কচ্ছপসহ বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেফতার ভিন রাজ্যের দুই মহিলা

কচ্ছপ পাচার করতে গিয়ে রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ভিন রাজ্যের দুই মহিলা। রবিবার সকালে বর্ধমান স্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি ও আরপিএফ আলাদা আলাদা ভাবে অভিযানে নেমে কচ্ছপ উদ্ধার করে।কচ্ছপ পাচারের ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে দুই মহিলা। ধৃতদের নাম পান্নি ও সিমা। তাঁদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের পাকড়ী থানার সুলতানপুরে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এদিনই ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। বিচারক ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতো পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকালে আরপিএফ বর্ধমান স্টেশনে রুটিন তল্লাশি চালানোর সময় ডাউন হাওড়া-চম্বল এক্সপ্রেসের এস-১ কম্পার্টমেন্টে দুটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। সন্দেহ হওয়ায় আরপিএফ দুটি ব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগগুলির মুখ খোলা হলে তার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৩৯ টি কচ্ছপ।অন্যদিকে এদিন সকালে জিআরপি বর্ধমান স্টেশনে স্পেশাল চেকিং চালানোর সময় ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের হাওড়ার দিকে দুটি থলি ও পিটব্যাগ নিয়ে থাকা দুই মহিলাকে দেখে। সন্দেহ হওয়ায় জিআরপি ওই মহিলাদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৭২টি কচ্ছপ। কচ্ছপ পাচারের অভিযোগে জিআরপি দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
রাজ্য

মাছ নয়, দিঘির জল থেকে উদ্ধার হল আস্ত একখানি মোটরবাইক

মাছ নয়, দিঘির জল থেকে উদ্ধার হল আস্ত একখানি মোটরবাইক। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের আমরাল দিঘী এলাকায়। দীঘিতে মাছ ধরার জন্য জাল টানা হলে দিঘির জলে কোথাও একটা জায়গায় বারবার জাল আটকে যেত। শনিবার ফের জাল নামানোর আগে দিঘির চাষিরা নিজেরা জলের তলায় সেই জায়গাটিতে নেমে দেখেন কেন বারবার এই জায়গায় জাল আটকে যায়। তারপর তারা দেখেন কোন একটা ভারী বস্তু জলের তলায় পড়ে রয়েছে। চাষীরা সেই বস্তুটি সঙ্গে রসার দড়ি বেঁধে জলের তলা থেকে দিঘির পারে টেনে তোলে দেখেন আস্ত একটি মোটর বাইক জলের তলায় পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে চাষিরা খণ্ডঘোষ থানায় খবর দেন, খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ মোটরবাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। তবে কিভাবে জলের তলায় মোটরবাইক এল, কেনই বা এল, সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ।লকাই ঘোষ বলেন, মোটর বাইকটি কেন দিঘীর জলে ফেলে দিল তা নিয়ে রহস্য উন্মোচন হওয়া দরকার। স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখন দেখার বিষয় বাইকটি কার নামে আছে।তবে গ্রামের বাসিন্দাদের ধারণা এটা চোরাই বাইক।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

কালনায় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ে মামলার প্রস্তুতি শুরু সিপিএমের

পরপর দুবার সিপিএমের প্রার্থী হয়ে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। এবারও সিপিএম পূর্ব বর্ধমানের কালনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছিল মণিপ্রভা ভাদুড়িকে। কিন্তু কালনা পৌরভার অস্থায়ী কর্মী হয়ে তাঁর ভেটে লড়াটা মেনে নেননি প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে কালনার মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তার কারণে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৃহষ্পতিবার স্ক্রুটিনির দিনে সিপিএম প্রার্থী মণিপ্রভাদেবীর মনোনয়ন বাতিল করে দেয়। পৌরসভার একই কাজে যুক্ত থেকে ইতিপূর্বে দুবার ভেটে লড়ে কাউন্সিলার হওয়া মণিপ্রভাদেবীর মনোনয়ন এবার কমিশন বাতিল করায় বেজায় চটেছে সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁরা বিয়টি নিয়ে আদালের দ্বারস্থ হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিপিএমের হয়ে মণিপ্রভা ভাদুড়ী মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী কালনা মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযোগ জানান। তার অভিযোগ, মণিপ্রভা ভাদুড়ী কালনা পৌরসভার বেতনভুক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্কুটিনির দিনে সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। পৌরসভা থেকে তিনি বেতন পান।সেই তথ্য মহকুমা শাসকের দফতরে তিনি দাখিল করে মণিপ্রভাদেবীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে পৌর নির্বাচন বিধি মেনে কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছে। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএম প্রার্থী মণিপ্রভা ভাদুড়ি বলেন, আসলে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চান। তাই তিনি এমন অভিযোগ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। মণিপ্রবাদেবী দাবি করেন, তিনি পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মী নন। তাই পৌরসভা থেকে বেতন পান না। তিনি একটি সংস্থার অধীনস্ত স্বাস্থ্যকর্মী। ওই সংস্থা থেকে তিনি বেতন পান। মণিপ্রভাদেবী বলেন, ভোটে লড়ে জিততে পারবেন না বলে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আর সেটাকেই মান্যতা দিয়ে তাঁর মনোনয়ন কমিশন বাতিল করে দিয়েছে।এই বিষয়ে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, আমরা আইনের পথে যাব। তার প্রস্তুতিও শুরে করে দেওয়া হয়েছে। কারণ একই কাজ করেও এর আগেও দুবার মণিপ্রভা ভাদুড়ী কাউন্সিলর ছিলেন। তাহলে এখন হঠাৎ করে আইনের কি পরিবর্তন হল? যদি পরিবর্তন হয়েও থাকে তাহলে তা সর্বদলীয় বৈঠকে প্রশাসন জানালো না কেন? যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, আইন তো সবার জন্য সমান। সিপিএম প্রার্থীর জন্য তো আলাদা আইন হতে পারে না। এদিকে মণিপ্রভাদেবীর মনোনয়ন বাতিল করা নিয়ে সিপিএমের নেতারা যখন সোচ্চার তখন পৌরভোট নিয়ে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা এদিন জানিয়ে দিল জেলা প্রশাসন। এদিন সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক প্রিয়ংকা সিংলা বলেন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, মেমারি ও গুসকরা পৌরসভার নির্বাচন হবে। ভোটে এই ছটি পুরসভার প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। সিসি ক্যামেরা ছাড়াও প্রতিটি বুথে থাকবে দুজন করে সশস্ত্র পুলিশ।এছাড়াও প্রতিটি পৌরসভার জন্য একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। জেলার জন্যেও বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আরও জানানো হয়েছে, ছটি পৌরসভার ১১৯টি ওয়ার্ডে ৪ লক্ষ ৬২হাজার ৮৪৮ জন ভোটার রয়েছেন। ২৪১টি চত্বরে ৫৭১টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। সব ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই বিষয়টি সুনিশ্চিৎ করার জন্য এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে জেলশাসক আবেদন রাখেন।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা হাওড়াগামী সুপারফাস্ট ট্রেনের, প্রশংসিত গেটম্যান

চলন্ত ট্রেনের যাত্রী কামরার নীচে দাউদাউ করে জ্বলছিল আগুন। তা দেখে ট্রেনের গার্ড সহ স্টেশন কর্তৃক্ষকে সতর্ক করেন গেটম্যান। আর গেট ম্যানের এই তৎপরতার জেরেই শুক্রবার বড়সড় অঘটনের হাত থেকে রক্ষা পেলেন ডাউন শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের যাত্রীরা।হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার ডাউন লাইন ধরে এদিন দুপুরে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস হাওড়া যাচ্ছিল। পথে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানা এলাকার মসাগ্রাম স্টেশন পেরিয়ে ট্রেনটি এগিয়ে যেতে থাকে। ওই সময়ে মসাগ্রাম লেভেল ক্রশিংয়ে থাকা গেটম্যান সৌমেন সাঁতরা শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের চালকের ইঞ্জিনের পরের যাত্রী কামরার নিচে আগুন জ্বলতে দেখেন। আগুন দেখেই গেটম্যান তৎক্ষণাৎ খবর দেন স্টেশন ম্যানেজারকে। এই খবর পাওয়ার পর এক মুহুর্ত আর দেরি না করে স্টেশন ম্যানেজার ট্রেনের চালককে সতর্ক করেন। তৎতক্ষণাৎ শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক ট্রেনটি রেলগেটের অদূরে দাঁড় করিয়ে দেন।আগুন লাগার খবর জানতে পেরে ট্রেন যাত্রীদের কামরা ছেড়ে লাইনে নেমে পড়ে। নিমিষে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যদিও চালক ও রেল কর্মীদের তৎপরতায় আগুন ভয়াবহ রুপ নিতে পারেনি। মসাগ্রাম স্টেশন ম্যানেজার এ কে বালা জানিয়েছেন, এদিন দুপুর ২টা ৪০ মিনিট নাগাদ ডাউন ২৩৩৮ শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস মসাগ্রাম স্টেশন পার হয়।ট্রেনটি মসাগ্রাম লেবেল ক্রসিং পার হয়ে যাওয়ার সময় গেটম্যান সৌমেন সাঁতরা ট্রেনটির ইঞ্জিনের পরের যাত্রী কামরার নিচে আগুন জ্বলতে দেখেন। তা দেখেই গেটম্যান তাঁকে ঘটনার কথা জানায়। তৎক্ষণাৎ তিনি বিষয়টি ট্রেনের চালককে জানান। চালক মসাগ্রাম রেল গেটের অদূরে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দিয়েই ইঞ্জিনে থাকা ফায়ার এক্সটিংগুইশার বের করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। একে বালা আরও জানান, এর খানিক পরেই তিনি ও অন্য রেল কর্মীরা মিলে দুটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সবাই মিলে ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় রেল আধিকারিকদের পাশাপাশি রেল যাত্রীদেরও দুশ্চিন্তা কাটে। ঘটনার পর থেকে প্রায় এক ঘন্টা পর ৩ টে ১৩ মিনিট নাগাদ ডাউন শান্তি নিকেতন এক্সপ্রেস মসাগ্রাম থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে ফের রওনা দেয় বলে স্টেশন ম্যানেজার জানিয়েছেন। আগুন লাগার কারণ প্রসঙ্গে স্টেশন ম্যাণেজার বলেন,হাইড্রোলিকের গা ঘেঁষে থাকা ট্রেনের চাকার ব্রেক জ্যাম হয়ে যাবার কারণে আগুন ধরে গিয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে রেলের মেকানিকরা সঠিক কারণ জানাতে পারবে। স্টেশান ম্যাণেজার এও বলেন, আগুন নেভার পর বোঝা গিয়েছ ট্রেনটি নিরাপদেই হাওড়া যেতে পারবে। বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হওয়ার জন্য স্টেন কর্তৃপক্ষ গেটম্যান সৌরভ সঁতরার প্রশংসা করেছেন।গেটম্যান সৌরভ সাঁতরা বলেন, ডাউন শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ট্রেনটি লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময়েই ইঞ্জিনের পিছনের বগির নীচে আগুন জ্বলতে দেখে ট্রেনটির গার্ডকে লাল পতাকা দেখান। পাশাপাশি স্টেশন ম্যানেজারকেও খবর দেন। চালক রেল গেট পার করেই ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন। এরপর চালক সহ রেল কর্মীদের সবার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হওয়ায় বড় কোন অঘটন ঘটেনি। ট্রেনের যাত্রীরা একই ট্রেনে চড়ে নিরাপদেই গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা হতে পেরেছেন।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

বাসে চালকলের মালিকের ব্যাগ থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা গায়েব, গ্রেফতার দুই মহিলা

যাত্রী সেজে বাসে উঠে এক চালকল মালিকের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে পগারপাড় হয়ে যায় দুই মহিলা। তবে অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশের তৎপরতায় বুধবার রাতে ধরা পড়ে যায় কেপমারি চক্রের দুই মহিলা আয়েষা রায় ও এসবেরিয়া বেদি। তবে অবশ্য কেপমারি হওয়া চালকল মালিকের লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হয়নি। এই ঘটনা যথেষ্টই শোরগোল ফেলে দিয়েছে ভাতারের ব্যবসায়ী মহলে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বছর ত্রিশ বয়সী আয়েষা রায় ও এসবেরিয়া বেদির বাড়ি বীরভূম জেলার আমোদপুর থানার সাহানিপুরে। কেপমারিতে জড়িত থাকার কথা ধৃতরা কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি। কেপমারি হওয়া টাকা উদ্ধার ও চক্রের চক্রের বাকিদের হদিশ পেতে পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। বৃহস্পতিবার দুই ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়।বিচারক ধৃতদের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, টাকা খোয়ানো চালকল মালিক অরূপ ভট্টাচার্যের বাড়ি জেলার রায়না থানার সেহারাবাজারে। ভাতারের নর্জায় তাঁর একটি চালকল রয়েছে। লিখিত অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ভাতার থানায় জানান,অন্য ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে পাওনা টাকা আনতে ওইদিন দুপুরে তিনি বর্ধমান শহরে গিয়েছিলেন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোট ২ লক্ষ ৪১ হাজার ২৩০ টাকা সেদিন সংগ্রহ করেন। একটি হাত ব্যাগে সেই টাকা ভরে নিয়ে তিনি বাসে চেপে মিলে ফিরছিলেন। বাসটি দেওয়ানদিঘি স্টপেজে দাঁড়াতেই কয়েকজন মহিলা শিশুসন্তান কোলে ওই বাসে ওঠে। মহিলারা তাঁর গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। বাস ভিড়ে ঠাসা থাকার কারনে তিনি অন্যত্র সরতে পারেননি। ফলে গাদাগাদি সহ্য করেই বাসে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। অরুপবাবু জানান, খানিক বাদে ওই মহিলা দলটি মাঝ রাস্তায় বাস থেকে নেমে পড়ে। ভিড় একটু খালি হতেই তিনি দেখেন তাঁর হাত ব্যাগের নিচের দিকের কিছুটা অংশ ধারালো কিছু দিয়ে কাটা। ব্যাগে যে টাকা রেখেছিলেন সেই টাকা আর ব্যাগে নেই। কেপমারির শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে অরূপবাবু নর্জায় আর না নেমে সোজা ভাতার থানায় চলে আসেন। থানার পুলিশ কর্তাদের কাছে তিনি সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে অভিযোগ দায়ের করেন।চালকল মালিকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই ভাতার থানার পুলিশ নড়েচড়ে বসে। দেওয়ানদিঘির মুখে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কে পুলিশ অভিযানে নামে। তখনই কর্জনার কাছে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় আয়েষা রায় নামে এক মহিলা। তাঁকে জেরা করে পুলিশ বীরভূমের আমাদপুরের এসবেরিয়া বেদির নাম জানতে পারে। রাতে পুলিশ আমাদপুর থেকে এসবেরিয়াকেও পাকড়াও করে। এরপর দুই মহিলাকে একসঙ্গে থানায় বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ভাতার থানার পুলিশ অফিসাররা। জেরায় ধৃতরা পুলিশকে জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে তারা অরূপ ভট্টাচার্যের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। এরপর তারা বুধবার পরিকল্পনা মাফিক স্বদলবলে বাস উঠে অপারেশন চালিয়ে চালকল মালিকের ব্যাগ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যজুড়ে পুরভোটের মুখে কেতুগ্রামে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ-গ্রেফতার তিন

ক্লাবঘরে বসে বোমা বাঁধার সময় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়ায় আহত হল এক দুস্কৃতী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম-১ ব্লকের আনকোনা পঞ্চায়েতের ইছাপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। তারা ঘটনাস্থল থেকে ১১ টি তাজা বোমা ও বেশ কিছু পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আহত একজন সহ মোট ৩ দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদিকে পুরভোটের সময়ে ঘটনা ক্লাবঘরে বসে বোমা তৈরির ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।পুলিশ জানিয়েছে, বোমা কাণ্ডে ধৃতদের নাম বিকাশ ঘোষ, অপূর্ব পাল ও উৎপল দাস। ধৃতদের মধ্যে প্রথম দুজনের বাড়ি কেতুগ্রাম থানার ইছাপুর ও মহুলা গ্রামে। উৎপল মুর্শিদাবাদের সালার থানার মাখালতোড় উত্তর মাঝিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এলাকা সৃত্রে খবর, বোমা বিস্ফোরণে বিকাশ ঘোষের একটি হাতের তালু কার্যত উড়ে যায়। সঙ্গীসাথীরা তাঁকে লুকিয়ে স্থানীয় এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়। তারই মধ্যে এই খবর পৌছে যায় কেতুগ্রাম থানায়। পুলিশ তিন জনকেই ধরে ফেলে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বৃহস্পতিবার তিন ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে পেশ করে। বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া বোমা এদিন নিস্কৃয় করে বোম স্কোয়াড। ঘটনার বিষয়ে কেতুগ্রামের তৃণমূলের বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ দাবি করেছেন, ওই ক্লাবটি বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিদের দ্বারা পরিচালিত হয়। অশান্তি পাকানোর জন্য বিধানসভা ভোটের আগে ওই ক্লাবঘরে বোমা মজুত করেছিল বিজেপির দুস্কৃতিরা। বিষয়টি জানতে পেরে তখন তিনি পুলিশকেও জানিয়ে ছিলেন। বাস্তবেই যে ওই ক্লাব ঘরে বসে বিজেপির দুস্কৃতিরা বোমা বাঁধে তা এবার প্রমাণ হয়ে গেল। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের বিরোধিতা করে কেতুগ্রামের বিজেপি নেতা অনিল দত্ত বলেন, ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই । তৃণমূলের চক্রান্তেই এই ঘটনা ঘটেছে ।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

বিষক্রিয়ায় মর্মান্তিক পরিণতি একই পরিবারের দুই শিশুর, হাসপাতালে ভর্তি ওই আরও চার

অজানা বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু হল একই পরিবারের দুই শিশু সন্তানের। মৃতরা হল শুভঙ্কর ঘোষ (১২) ও রাহুল ঘোষ(৯)। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। অসু্স্থ হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পরিবারের আরও চার সদস্য। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে শহর বর্ধমানের রথতলা এলাকায়। ঘটনা নিয়ে এলাকায় জনমানসে ব্যাপক চাঞ্চল্যও চড়িয়ে পড়েছে। প্রকৃত কি কারণে দুই শিশুর মৃত্যু হল তার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর বর্ধমানের রথতলা এলাকায় বাড়ি মৃত শিশুদের পরিবারের। খাবারে বিষক্রিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে মৃত দুই শিশুর বাবা রবি ঘোষ, দিদি শর্মিলা ঘোষ, ঠাকুরমা সন্ধ্যা ঘোষ ও পিসি শমিষ্ঠা ঘোষ। রবি ঘোষ বর্ধমান সিএমওএইচ অফিসের গাড়ির চালক। এদিন হাসপাতালের বেডে শুয়েই বাবা রবি ঘোষ বলেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁদের বাড়িতে মাংস রান্না হয়। মাংস খাওয়ার পর থেকেই একে একে তাঁদের পরিবার সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার সবার চিকিৎসা হলেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পরিবারের সবার অসুস্থতা বাড়ে। তাই সবাই এদিন সকালে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই পরিবারের দুই শিশু সন্তান শুভঙ্কর ও রাহুলের মৃত্যু হয়। মৃত শিশুদের দিদিমা আভা চন্দ্র বলেন, বাড়িতে ইঁদুরের উপদ্রব বাড়ায় ইঁদুর মারার বিষ দেওয়া হয়েছিল। আভাদেবীর অনুমান ইঁদুর মারার ওই বিষ কোনভাবে বাড়িতে রান্না হওয়া খাবারে মিশে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। তার জেরে অকালে প্রাণ গেল তাঁর দুই নাতির। মৃতদের প্রতিবশী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অসুস্থ হয়ে পড়া ঘোষ পরবারের সদস্যদের তাঁরাই এদিন সকালে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ওই পরিবারের দুই শিশু সন্তান মারা যাবে এটা তাঁরা কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তপস ঘোষ জানিয়েছেন, অজানা বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কি থেকে বিষক্রিয়া তা জানার জন্য এদিনই দুই শিশুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসলেই কি থেকে বিষক্রিয়া তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

মদ্যপ যুবকদের বেধরক পিটুনিতে মৃত্যু প্রতিবাদী যুবকের, ধৃতদের ফাঁসির দাবিতে ফুঁসছে কাটোয়া

চিকিৎসকরা প্রতিবাদী যুবককে প্রাণে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হল না। টানা পাঁচ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়লেন মদ্যপ যুবকদলের মারধরে গুরুতর জখম হওয়া পার্থপ্রতিম ঘোষ(৩৩)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের নন্দলাল বসু রোডে। সরস্বতী পুজোর রাতে মদ্যপ যুবকের দল এলাকায় তাণ্ডব শুরু করলে পার্থপ্রতিম তার প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়ায়। তার কারণে ওই মদ্যপ যুবকরা লাঠি-সোঁটা নিয়ে পার্থপ্রতিমের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করে। মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে সেই দিন থেকে পার্থপ্রতিম বর্ধমানের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই খবর এদিন ছড়িয়ে পড়তেই কাটোয়া শহরজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পার্থপ্রতিমকে মারধোরের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের সকলের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে কাটোয়াবাসী । কাটোয়া শহরের নন্দলাল বসু রোডের বাসিন্দারা এদিন জানান, পার্থপ্রতিম কাটোয়া পুরসভায় অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। বছর ছয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয়। বাড়িতে রয়েছেন পার্থপ্রতিমের বাবা, মা, স্ত্রী ও পাঁচ বছরের একটি পুত্রসন্তান। ক্রিকেট খেলাতেও পার্থপ্রতিম যথেষ্ট পারদর্শী ছিল। অত্যন্ত ভদ্র সভ্য এই যুবক কোথাও কোন অন্যায় দেখলেই রুখে দাঁড়াতন। সেই প্রতিবাদী যুবককে মদ্যপ যুবকের দল হত্যা করায় ক্ষোভে ফুঁষছেন কাটোয়াবাসী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর রাতে ১০-১২ জনের মদ্যপ যুবকের একটি দল এলাকার দোকান ঘরের শাটার ও গৃহস্থের বাড়ির গেট ভাঙচুর করা শুরু করে। তা দেখে প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেননি পার্থপ্রতিম। সে তাঁর দুই প্রতিবেশী বন্ধু অপরূপ চট্টোপাধ্যায় ও সঞ্জয় সিংকে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপ যুবকদের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। ওই সময় মদ্যপ যুবকরা লাঠি-সোঁটা, ইঁট-পাটকেল নিয়ে পার্থপ্রতিম ও তার বন্ধুদের উপর হামলা চালানো শুরু করে। তখন প্রাণ বাঁচাতে দুই বন্ধু লুকিয়ে পড়লে মদপরা পার্থপ্রতিমকে একা পেয়ে তাঁকে ধরে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় পার্থপ্রতিম ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। তখনও রেহাই মেলেনি। হামলাকারীদের একজন সরস্বতী পূজো মণ্ডপে সাজিয়ে রাখা একটি ভারি ফুলের টব তুলে এনে সজোরে পার্থপ্রতিমের মাথায় মারে। মাথা ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্তপাত শুরু হয়। পার্থপ্রতিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, মরে গেছে ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। অপরূপ ও সঞ্জয় এরপর চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পার্থপ্রতিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।এই ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ স্থানীয় ছোট্ট চন্দ্র, বাবু রায়, হুলু পণ্ডিত, সোমনাথ থাণ্ডার, মানিক পণ্ডিত সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করে। দুদফায় কাটোয়া থানার পুলিশ ১২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এখন জেল হেফাজতে থাকা ওই সকল ধৃতের বুরুদ্ধে খুনের ধারা সংযুক্ত করে তাদের ফাঁসির শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি করেছেন মৃতর পরিজন ও কাটোয়া শহরের বাসিন্দারা।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

’পাড়ায় শিক্ষালয়ের’ প্রাঙ্গন মাতাচ্ছে বর্ধমানের চতুর্থ শ্রেণীর খুদে পড়ুয়া

করোনা অতিমারীর প্রভাব শিথিল হতেই খুদে পড়ুয়াদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের নির্দেশে শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়। সেই শিক্ষালয় নিয়েই গান রপ্ত করে গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে খুদে ছাত্র অভিষেক সানা। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অভিষেকের গাওয়া গান পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচীকে মাধুর্য দিয়েছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের মতে, অভিষেকের গাওয়া গান খুদে পড়ুয়াদের পাড়ার শিক্ষালয় মুখী হতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। করোনা অতিমারীর বাড়বাড়ন্তে তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক।তার কারণে প্রায় দুবছর ধরে এই রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফলে স্কুলমুখী আর হতে না পেরে খুদে পড়ুয়াদের দিন কাটছিল ঘরে বন্দি থেকেই । শুধু তাই নয়, করোনা স্কুল গুলি থেকে কেড়ে নিয়েছিল পড়ুয়াদের কোলাহলও। বাজেনি স্কুলের ক্লাস শুরুর ঘন্টা। ক্লাসের চেয়ার, টেবিল সবেতেই পড়ে গিয়েছিল ধুলোর আস্তরণ । চলতি সময়ে সংক্রমণ শিথিল হতেই এই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠনগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে জোরদার আন্দোলনে নামে। পড়ুয়াদের অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সরব হন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়। এরপরেই রাজ্য সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ফের খুলে যায় এই রাজ্যের সমস্ত স্কুলের সদর দরজা। পড়ুয়া কোলহলে ফের ভরে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গন। শুধুমাত্র প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর খুদে পড়ুয়াদের জন্য সরকার ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়। ক্লাসরুমে পড়াশুনার বদলে খুদে পড়ুয়াদের জন্য পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের অন্যান্য স্কুলের পড়ুয়াদের মতই বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালের পড়ুয়ারাও সরকারের পাড়ায় শিক্ষালয় খোলার সিদ্ধান্তের কথা জেনে খুশিতে ভরে ওঠে। আর সেই খুশিতেই নিজের সংগীত গুরু মঙ্গল কালিন্দির লেখা ও সুর দেওয়া গান রপ্ত করে ফেলে বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিষেক সানা। ওই গান গেয়েই এখন অভিষেক পাড়ায় শিক্ষালয়ের আসরও মাতাচ্ছে। পাড়ায় শিক্ষালয় নিয়ে খুদে ছাত্র অভিষেকের গাওয়া গান মুগ্ধ করেছে বর্ধমান সদর ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদারকেও। তিনি বলেন, করোনা অতিমারীর কারণে পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন স্কুলমুখী হতে পারেনি। বাচ্চারা অনেকদিন স্কুলচ্যুত ছিল। তাদের কথা বিবেচনা করে সরকার পাড়ায় শিক্ষালয় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এটা খুব ভালো উদ্যোগ। বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপম সাধু বলেন, প্রায় দুবছর বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। মুক্ত প্রাঙ্গনের পাড়ায় শিক্ষালয়ে এখন আবার ফিরে এসেছে খুদে পড়ুয়াদের কোলাহল। সেখানে শিশুদের পাঠদান করতে পেরে আমরা শিক্ষকরাও খুশি। তারই মধ্যে সেখানে উপরি পাওনা হিসাবে মিলছে পাড়ার শিক্ষালয় কর্মসূচী নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অভিষেক সানার গান।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal