• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Opposition

রাজনীতি

ইন্ডিয়া জোটের শোক সভা হবে, বৈঠকের পর গোয়ায় পিন্ড দান হবে, কটাক্ষ শুভেন্দুর

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে শোক সভা বলে কটাক্ষ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যায় বীরভূমের সাঁইথিয়ায় কিষাণ মোর্চার ডাকে প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপি নেতা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, মঙ্গলবার শোক সভা হবে। নীরবতা পালন হবে। সেমিফাইনালে হেরেছে। ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে হেরেছে। মিটিংয়ের শেষে সবাই যাবে গয়ায় পিণ্ড দিতে।সোমবার বিকেলে সাঁইথিয়ায়র সভায় বক্তব রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, চোর মমতার মন্ত্রী সভার সদস্যরা গোটা রাজ্য জুড়ে কয়েক বছরে লক্ষ লক্ষ কৃষকের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ধান চুরি করেছে। গতবছর ২৯ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। এবার ১১ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এক বছরে ১৮ লক্ষ কৃষক ভুত হয়ে গেল? তার মানে গত বছর ১৮ লক্ষ ভুয়ো আকাউন্ট খুলে ভারত সরকারের পাঠানো পাঁচ হাজার কোটি টাকার বড় অংশ লুঠ করেছে এই চোর মন্ত্রী সভা। গোঘাটে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করায় এক পুলিশ অফিসার কৃষককে গালি দিয়েছিলেন। কথা দিচ্ছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই পুলিশ অফিসারকে ঘাড় ধরে নিয়ে গিয়ে কৃষকের পা ধুইয়ে ঘটি জল খাওয়াব।শুভেন্দু বলেন, আমাকে হারাতে নন্দিগ্রামে গিয়ে হেরে এসেছেন উনি। আপনারা আমার উপর ভরসা রাখুন উনাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপোকে জেলে পাঠাবই।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেন, মোদি বাবার পা ধরতে দিল্লিতে গিয়েছে গাই-বাছুর। গিয়ে বলবেন মোদীবাবা টাকা দাও। তবে পিসি ভাইপো কোম্পানি দিল্লিতে গিয়ে কোন লাভ করতে পারবে না।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
দেশ

মনিপুরে বিরোধী জোটের প্রতিনিধি দল, বৈঠক সারলেন রাজ্যপালের সঙ্গে

হিংসাদীর্ণ মণিপুরে পরিদর্শন করছেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। মূলত বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা মনিপুর গিয়েছেন। এদিন সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদল। মোদি সরকারকে মণিপুর পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে আক্রমণ শানিয়েছেন ওই দলের সদস্য়রা। পাশাপাশি রাজ্যপালকে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনার জন্য দাবি জানান। রবিবার কংগ্রেসের লোকসভার নেতা তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম প্রতিনিধি অধীর চৌধুরী বলেন, গতকাল থেকে সাধারণ মানুষের যন্ত্রনা-দুর্দশা দেখছি। যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমি রাজ্যপালকে বলেছি। আমার সব কথাতেই মান্যতা দিয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সরকারের যে খামতি আমার চোখে পড়েছে, সাধারণ মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, এই সমস্ত ইস্যু আমরা রাখব। দ্রুত মণিপুরের সমস্যার সমাধান বার করার জন্য আলোচনার দাবি জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।দীর্ঘ সময় ধরে মণিপুরে হিংসা চলছে। এই সপ্তাহেও এলোপাথারি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিও সর্বত্র ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। হিংসার জেরে গ্রাম ছেড়েছেন বহু মানুষ। পাশাপাশি ওই রাজ্যে চলছে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার নির্মম ঘটনা মনিপুরের সর্বত্র। মহিলাদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। মনিপুরের ঘটনা নিযে সংসদের বাদল অধিবেশন উত্তাল হয়ে উঠেছে।

জুলাই ৩০, ২০২৩
রাজ্য

উনি (মমতা) মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন, বিজেপি রাজ্যনেতা করেছে, বললেন শুভেন্দু

একসময় দুজনই একদলে ছিলেন। জনগণ মনো অধিনায়কা বলে বক্তব্য শুরু করতেন। এখন ২ জন সম্মুখ সমরে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করতেই ওয়াকআউট করে পরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।শুভেন্দুর বক্তব্য, উনি আমাকে মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন। বিজেপি আমাকে রাজ্যে নেতা করে দিয়েছে। বিরোধী দলনেতাকে হজম করা মুশকিল তাই ভাববাচ্যে কথা বলছেন। ২০১৮ সালে আমার এলাকা কাঁথিতে ভোট লুঠ করতে দিইনি বলেই উনিশের নির্বাচনে কাঁথি-তমুলকে আপনাকে জিতিয়েছিলাম।২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই ছিলেন। বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন। তার আগে ২০১৮-তেও ঘাসফুল ভোট লুট করেছিল বলে ফের সরব বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেছেন, ২০১৮ সালে ভোট লুঠ করেছিলেন বলেই উনিশের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর, মালদহ উত্তর, বালুরঘাট, রানাঘাট, ব্যারাকপুর, বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রামে হেরেছিলেন। যাদের ভোট দিতে আটকেছেন তাঁরাই বদলা নেবে।শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জেলার নেতা করে রেখেছিলেন। বিজেপি তাঁকে রাজ্যের নেতা করেছে।

জুলাই ২৭, ২০২৩
দেশ

জোট ‘ইন্ডিয়া’: মোদীর ‘পছন্দের'! জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী দুজনেরই লক্ষ্য ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কুপোকাত করতে উদ্যোগী বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোট গড়ে লোকসভার লড়াইয়ে বিজেপি নেতৃত্এবাধীন নডিএ-কে নাস্তানাবুদ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জোট ইন্ডিয়া।তবে বিরোধী জোটের ইন্ডিয়া নামে ঘোরতর কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী জোটের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীরও তুলনা পর্যন্ত টেনেছেন নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে সটান জবাব দিলেন বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবন থেকে বেরিযে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই মোদীর ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করা ইস্যুতে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইন্ডিয়া জোটের নাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাঁকা মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন পাল্টা সোজা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। আমার মনে হয় ইন্ডিয়া নামটা ওঁর পছন্দ হয়েছে। উনি মন থেকেই গ্রহণ করেছেন। জনসাধারণও এই নাম গ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কিছু তো বলতে হবে, তাই বলেছেন। ইন্ডিয়া টিম যখন খেলতে নামে তখন কি কেউ মুজাহিদিন বলে? দেশটার নামই তো ইন্ডিয়া। আমাদের মাতৃভূমি ইন্ডিয়া। যত এই নাম নিয়ে যত বাজে কথা বলবে তত মনে হবে এই নাম ওদের পছন্দ হয়েছে।মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আধ ঘন্টারও বেশি সময় তিনি বৈঠক সেরেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে।

জুলাই ২৫, ২০২৩
দেশ

পাটনায় এক মঞ্চে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, এরপর বৈঠক সিমলায়

পাটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন নীতীশ, রাহুল, মমতারা, শারদ পাওয়াররা। কোন পথে বিরোধীদের লড়াই হবে? তা নিয়ে এখনও কোনও নেতৃত্বই মুখ খোলেননি। জুলাইতে সিমলায় পরবর্তী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা।এদিন পাটনার বৈঠকে যোগ দেন ১৫টি অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলের ৩০ জন প্রতিনিধি। ঘন্টাখানেকের বৈঠক শেষে মুখ খোলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।একনজরে কে কি বললেন?নীতীশ কুমার-বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে নীতীশ কুমার বলেন, আগামীদিনে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। সর্বসম্মতিক্রমে তা ঠিক করা হয়েছে। সকলেই মনে করছেন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করা বাঞ্ছনীয়। সকলেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। আগামীদিনে আরও আলোচনা হবে। সিমলায় আরও একটি মেগা বৈঠক হবে বিরোধীদের। সেই বৈঠক ডাকবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।মল্লিকার্জুন খাড়গে-আরও একটি বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে আগামীদিনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করা হবে। সারা দেশের প্রতিনিধিরা এদিনের বৈঠকে যোগদান করেছেন। এটাই বড় সাফল্য। রাহুল গান্ধী যেখানে যেখানে ভারত জোড়ো যাত্রা করেছেন, সেখান থেকেই অ-বিজেপি প্রতিনিধিরা এসেছেন। তবে সব রাজ্যের রাজনৈতির সমীকরণ এক নয়। তাই এই নিয়ে আমাদের স্ট্র্যাটেজি করতে হবে। ১০ বা ১২ জুলাই আমরা একসঙ্গে আবার বসব।রাহুল গান্ধী-ভারতের গণতান্ত্রিক বুনোটে আক্রমণ করছে বিজেপি। আমাদের প্রত্যেকের মতবাদ রক্ষা করেই আগামীদিনে একসঙ্গে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করব। মহাজোট তৈরি হওয়ার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তা ধীরে ধীরে সম্পন্ন হবে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-১৭টি দলের প্রতিনিধি এই বৈঠকে যোগাদান করেন। শরদজি, লালুজির মতো বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতারা এখানে এসেছেন। রাহুল, ইয়েচুরিজি, অখিলেশ সকলেই এসেছেন। পাটনা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন গণআন্দোলনের রূপ নেয়। দিল্লিতে আমরা অনেক মিটিং করেছি কিন্তু ভালো ফল হয়নি। তাই পাটনা থেকে শুভারম্ভ। আমরা সবাই এক। উই আর ইউনাইটেড। আমরা একসঙ্গে লড়ব। আমরা বিরোধী নয়, আমরাও দেশপ্রেমিক, আমরাও ভারতমাতা বলি। মণিপুর জ্বলছে, আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। বিজেপি যেভাবে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের রাজ্যে রাজভবনে জবরদখল করে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই-কে হাতিয়ার করা হচ্ছে। বিজেপি-র সমস্ত অনৈতিক আইনের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করব। রক্ত ঝরলে ঝরুক। কিন্তু, মাথা নত করব না। বিহার থেকে ইতিহাস তৈরি হল।শরদ পাওয়ার-বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। বিজেপিকে হারানো সম্ভব। আশা করছি এবার বিরোধীদের প্রচেষ্টা সফল হবে।

জুন ২৩, ২০২৩
রাজ্য

বড় খবরঃ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার ঘরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। নন্দীগ্রামে একজন তৃণমূল অন্যজন বিজেপির প্রার্থী। নির্বাচনে ছিল চরম উত্তেজনা। ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। ভোট গড়াল আদালত পর্যন্ত। দীর্ঘ দিন বাদে একই ঘরে মুখোমুখী আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দুর সঙ্গী ছিলেন তিন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা ও অশোক লাহিড়ী। বিধানসভায় মমতার ঘরে শুভেন্দু, এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভাও সাক্ষী থাকল বিরল ছবির।বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাাধ্যায়ের ঘরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা ছিলেন মেরে-কেটে ৩-৪ মিনিট। এটাকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁকে নাকি একাই ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সঙ্গে দলের আরও তিন বিধায়ককে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে। সূত্রের খবর, এদিন মার্শালকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ডেকেছিলেন বিরোধী দলনেতাকে।শুক্রবার বিধানসভার এই সাক্ষাতের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে পড়ে রাজ্য-রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ডেকেছিলেন। সংবিধান দিবসে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই ডেকেছিলেন। সাক্ষাতের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম। সংবিধান দিবসে উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম। রাজ্যে তৃণমূল বনাম বিজেপির চরম সংঘাতের মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বিরোধী দলনেতার সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে জল্পনা ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। রে রে করে উঠেছে বাম-কংগ্রেস।

নভেম্বর ২৫, ২০২২
দেশ

অসমের পুরভোটে বিরাট জয় পেল বিজেপি, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

অসমের পুরসভা নির্বাচনে বিরাট জয় হাসিল করল গেরুয়া শিবির। বিরোধী কংগ্রেস ধুয়েমুছে সাফ। অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও দাগ কাটতে পারেনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবারই প্রথম অসমের পুরভোট হয়েছিল ইভিএমে। এর ফলে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট গণনার ঠিক আগের দিন বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেল বিজেপি ।অসম নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, যে ৮০টি পুরসভায় দিন দুই আগে নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে ৭৭টিতেই বিজেপি এবং জোটসঙ্গীরা বোর্ড গঠন করতে চলেছে। কংগ্রেস মাত্র একটি পুরসভায় বোর্ড গঠনে এগিয়ে। অসম গণ পরিষদ এগিয়ে মাত্র ২টি পুরসভায়। আসনের নিরিখে ফলাফল আরও চমকপ্রদ। অসমের মোট ৯৭৭ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে গিয়েছে ৮০৭টি। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে মাত্র ৭১টি আসন। অন্যান্য এবং নির্দলরাও কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পেয়েছে। তাঁদের দখলে গিয়েছে ৯৯টি আসন।Gratitude to the people of Assam for blessing BJP and our allies in the recently concluded municipal elections. This shows their faith in our Partys development agenda. I applaud our hardworking Karyakartas for their efforts and service among people. @BJP4Assam https://t.co/m4QteI8Ca7 Narendra Modi (@narendramodi) March 9, 2022এই বিরাট সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও অসমের জয় নিয়ে টুইট করেছেন। এই বিপুল জনসমর্থনের জন্য অসমবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

মার্চ ০৯, ২০২২
কলকাতা

বিধাননগরে একাধিক ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

বিধাননগর ভোটের শুরুতেই ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ বিরোধীদের। লাইনেই রয়েছে বহু ভুয়ো ভোটার। এমনই অভিযোগ বিধাননগর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার।শনিবার ভোটের শুরুতেই দেবাশিস জানা বিএফ কমিউনিটি সেন্টারে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ভোটার লাইনে এক ব্যক্তিকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি তাঁকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন। খুবই সাধারণ প্রশ্ন, ওই ব্যক্তির বাবার নাম জিজ্ঞাসা করেন দেবাশিস জানা। বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য, ওই ব্যক্তি তাঁর বাবার নামই বলতে পারেননি। বেশি চাপাচাপি করতে তিনি লাইন ছেড়ে বেরিয়ে যান। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, লাইনে বহু ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি এজেন্টদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।অন্যদিকে, বিধাননগর ১৮৫ নম্বর বুথেও উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থী পিয়ালি বসুর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে অন্য একটি দরজা তালা খোলা অবস্থায় ছিল। তা দেখে তিনি আপত্তি জানান। পরে তালা বন্ধ করা হয়। প্রসঙ্গত, বিধাননগরে অশান্তি এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।বিধাননগর ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ ও অবাধে হয়, তার জন্য শুক্রবারই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ছিল হাইকোর্টের। আদালত নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করে দিয়েছিল, বিধাননগরের ভোটে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, তার দায় থাকবে কমিশনের ওপর। আর তার জবাবদিহি করতে হবে কমিশনারকে। সেক্ষেত্রে এদিনটা কমিশনের কাছেও অনেকটাই চ্যালেঞ্জের বলে মনে করা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
রাজনীতি

Mamata Bannerejee: সব নাটক করছে, বিরোধীদের খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা পুরসভার সব কটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে না পেরে অশান্তির নাটক করছে বিজেপি। রবিবার বিজেপি-র নাম না করে এই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে বিজেপি। তবে বিরোধী দলের সে দাবি নাকচ করে দিয়েছেন মমতা। তাঁর মতে, শান্তিপূর্ণভাবে কলকাতায় পুরভোট হয়েছে।রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর দাবি, কলকাতায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হচ্ছে। পুরভোটে গন্ডগোল হচ্ছে বলে বিজেপি-র দাবি নস্যাৎ করেছেন তিনি। বিজেপি-কে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি ১৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারে, তা হলে তাঁরা নাটক করবে। ওদের পাত্তা না দেওয়াই ভাল। আমি খুশি যে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।People in Bengal are celebrating the festival of Democracy with pride!Our Chairperson @MamataOfficial has always ensured free fair elections across the state and we will continue to protect Democracy and uphold the values principles of this nation. pic.twitter.com/HWLvLs3VhB All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 19, 2021যদিও মমতার এ দাবি মানতে নারাজ রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তাঁর দাবি, আমরা এই নির্বাচনকে নির্বাচন বলেই মনে করছি না। সে পরিবেশ নেই। সব ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন হওয়া উচিত! কলকাতা তথা রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, গোটা রাজ্যজুড়ে আমাদের প্রতিবাদ চলছে। যে ধরনের অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি বা পরিবেশ তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে কলকাতায়, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আগেও বলেছিলাম, কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশকে দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ পুরভোট করানো সম্ভব নয়। সে জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছিলাম।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
দেশ

Farm Law Withdrawn: তুমুল হট্টগোলে ধ্বনিভোটে লোকসভায় পাশ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল

বিরোধীদের প্রবল হইচইয়ের মধ্যে লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তার পর সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন স্পিকার।বেলা ১২টায় অধিবেশনের ফের শুরু হতেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১ পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। ধ্বনিভোটে তা সঙ্গে সঙ্গেই পাশ হয়ে যায়। বিরোধীরা কৃষি আইনের উপর আলোচনার যে দাবি করেছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে সরকার পক্ষ।আজ থেকেই শুরু হল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অধিবেশন শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুরোধ করেছিলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই যেন অধিবেশনের কাজ হয়। তিনি বলেন, সরকার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। আমরা চাই সংসদে আলোচনা হোক, তবে শান্তিও যেন বজায় থাকে। সরকারের বিরুদ্ধে হোক বা সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত- প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে সংসদের অধ্যক্ষ ও স্পিকারের সম্মান যাতে রক্ষা হয়, তাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এমন আচরণ বজায় রাখা উচিত, যা পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।তবে এ দিন লোকসভা-র অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিরোধীদের হইহট্টগোলে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। সংসদের যৌথ অধিবেশনে নতুন সাংসদরা শপথ গ্রহণের পরই লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়। এরপরই বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কৃষক ইস্যুতে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদদের শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করে তিনি বলেন, আজ অধিবেশনের প্রথম দিন। গোটা দেশই অধিবেশনের দিকে নজর রাখছে।

নভেম্বর ২৯, ২০২১
রাজনীতি

Dilip Ghosh: বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে মাথাব্যথা নেই, কেন এমন বললেন দিলীপ ঘোষ?

আজ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালিন অধিবেশন। প্রথম দিনেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করা হবে কেন্দ্রের তরফে। আর তার আগেই বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস। কিন্তু সেই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেস- তৃণমূলের সেই দ্বন্দ্ব নিয়ে এবার কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার সকালেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বিরোধীদের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিরোধীদের বৈঠক কে ডাকবে, তা নিয়েই ঝগড়া। কংগ্রেস ডাকবে, নাকি তৃণমূল ডাকবে, না অন্য দল ডাকবে?তবে তিনি জানান, এ সবে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বিজেপি। দিলীপ ঘোষের কথায়, কে কংগ্রেস, কে তৃণমূল, কে নির্মূল! আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। তিনি জানান, সংসদের কাজ যাতে সুষ্ঠভাবে হয় সেটাই একমাত্র উদ্দেশ্য শাসক দলের।তৃণমূলের নাম না করে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের দাবি, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে, কখনও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে চলছে তারা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যখন বিজেপি বিরোধী দল ছিল, তখন এই দলগুলোই একবার বিজেপির সঙ্গে, একবার বিজেপিকে বাদ দিয়ে চলত। বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠককে ড্রামা বলে উল্লেখ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, এইসব ড্রামা অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিরোধীদের বৈঠক কে ডাকবে? তা নিয়েই ঝগড়া। বিরোধীদের মধ্যে কে নেতা হবে? সে দ্বন্দ্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ওরা ঠিক করে নিক নেতা কে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা হতে চাইছেন, সনিয়া গান্ধির দিন চলে গিয়েছে। এইসব করতে করতে এই সিজন পার হয়ে যাবে।উল্লেখ্য, সোমবার কংগ্রেসের ডাকে বিরোধীদের যে বৈঠক সেখানে তৃণমূল হাজির থাকছে না বলেই সূত্রের খবর। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে তৃণমূল উপস্থিত থাকবে না সোমবার।

নভেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

Bhawanipur: বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তে পারেন শুভেন্দু, ভবানীপুরের ভোটপ্রচারে কেন এই চ্যালেঞ্জ?

ভবানীপুর উপনির্বাচনে পর পর সভা করে চলেছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে কোনও ফাঁক রাখছেন না তিনি। বিজেপিও সমানতালে প্রচার করছে ভবানীপুরে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন ভবানীপুরের জনসভায় ঘোষনা করেছেন প্রিয়াঙ্কাকে জেতালে তিনি তাঁর পদ ছেড়ে দেবেন। একইসঙ্গে তিনি ভবানীপুরে অকাল ভোটের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। শুভেন্দু এদিন প্রশ্ন তুলেছেন কেন ভবানীপুরে নির্বাচন হচ্ছে? এখানকার তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক কি অসুস্থ? নাকি তিনি দল বদলেছেন? নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ভবানীপুরের তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সুস্থ। তিনি দলবদলও করেননি। নন্দীগ্রামে হেরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ভবানীপুরে ভোট চাপিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা্র জন্য জনগণের পকেট কেটে ৫ কোটি টাকা খরচ হবে নির্বাচনে।ভবানীপুরের নির্বাচনী সভায় মমতা বলেছেন, আমাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাইলে সবাই আমাকে ভোট দিন। বৃষ্টি পড়লে ছাতা মাথায় দিয়ে বা বর্ষাতি পড়েও ভোট দিতে যাবেন। তিনি চেয়ার আঁকড়ে রাখতে চাইছেন বলেও এদিন কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে নিজে যে চেয়ার ছেড়ে দিতে প্রস্তুত সেকথাও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।এদিন শুভেন্দু ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে জয়ী করার জন্য আবেদন জানান। বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকবো না। তোমরা একটা একটা করে ভোট দাও। আমি শুভেন্দু অধিকারী বলে যাচ্ছি, প্রিয়াঙ্কাকে জেতান। আমি দিল্লির নেতাদের বলবো আমার চেয়ারটা ওকে দিয়ে দেওয়ার জন্য। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমার চেয়ারটা রাখতে হবে। এই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্যাক্রিফাইস।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
দেশ

Opposition meeting: সনিয়ার ডাকা বিরোধী-বৈঠকে মমতার বার্তা

পাখির চোখ ২০২৪। বিজেপি বিরোধী জোটে শান দিতে মোট ২০ টি দল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া বৈঠকে অংশ নিয়েছিল। সেখানেই সম্মিলিতভাবে মোট ১১ টি দাবি পেশ করা হয় কেন্দ্রের সামনে। সূত্রের খবর, সমস্ত দল মিলে আগামী মাসের ২০ তারিখ থেকে গোটা দেশে কেন্দ্র-বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র করবে বলে জানিয়েছে। যৌথভাবে গোটা দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। আজকের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অবশ্য অংশ নেয়নি সপা এবং বসপা। তবে তৃণমূল মনে করছে, এদিনের বৈঠকের মাধ্যমে ২০২৪-এর লক্ষ্যে একটা প্রক্রিয়া অন্তত শুরু হল।আরও পড়ুনঃ মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে বৈঠকেও সমস্যা মিটল না ইস্টবেঙ্গলেরযখনই বিরোধী জোটের কথা আসে, তখন পাল্লা দিয়ে আরেকটা প্রশ্নেরও উত্থাপন হয়। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে সেই প্রশ্নটাই ভুলে যেতে বলেছেন মমতা। কে নেতা, তা ভুলে যান। আসুন ব্যক্তিগত স্বার্থকে আমরা একপাশে রাখি। মানুষই আমাদের নেতৃত্ব দেবে, বৈঠকে এমনটাই বলেন মমতা। অন্যদিকে, আজকের বৈঠকের পর একটি সম্মিলিত বিবৃতি প্রকাশ করে মোট ১১টি দাবি কেন্দ্রের নিকট তুলে ধরে অংশগ্রহণকারী ২০ টি রাজনৈতিক দল। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের পথে আরেকধাপ এগোনোর প্রতিশ্রুতি নিলেন বিরোধী নেতারা। বৈঠকে ছিলেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, ডিএমকে-র এমকে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। তবে গরহাজির ছিলেন এসপি ও বিএসপি নেতৃত্ব। আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে সনিয়ার ডাকা বৈঠকে মমতার পাশাপাশি ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

আগস্ট ২০, ২০২১
রাজনীতি

Opposition Alliance: বিরোধী বৈঠকে মমতাকে আমন্ত্রণ সনিয়ার

বিরোধী শক্তিকে একজোট করতে বৈঠক ডাকলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। ২০ অগস্ট ভার্চুয়ালি এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকেও। উপস্থিত থাকতে পারেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারও। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিরোধীদের নিয়ে একটি নৈশভোজের আয়োজন করতে পারেন সনিয়া গান্ধি। তার আগে এই ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধী ঐক্যের শক্তি তিনি মেপে নিতে চাইছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আরও পড়ুনঃ শুটিং শেষ হল রেডিও-রবাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে সংসদের দুই কক্ষে সরকার বিরোধিতায় নেমেছিল। সেই ঐক্যের ছবি দেখা গিয়েছে বৃহস্পতিবারও। একাধিক ইস্যুতে মিছিল করেছে ১৫টি বিজেপি বিরোধী দল। মিছিলের আগে কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে আলোচনায় বসতে দেখা যায় আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংকেও। পরে শিবসেনার তরফ থেকে সঞ্জয় রাউত জানান, বিরোধীরা একজোট হয়েছে। ২০ অগস্ট কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই আলোচনায় আমন্ত্রিত রয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীও। বুধবার সংসদের উভয় কক্ষেই অধিবেশন সময়ের আগেই শেষ হয়। সরকার তার দায় বিরোধীদের ঘাড়ে চাপালেও, বিরোধী দলগুলির দাবি, সংসদে মার্শাল আইন চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে সেই বিষয়টি ফের উল্লেখ করে রাহুল গান্ধি বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে সংসদে। পেগাসাস নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি, তুলতে দেওয়া হয়নি কৃষি আইন নিলে আলোচনাও।

আগস্ট ১২, ২০২১
রাজনীতি

Mamata-Sonia: সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পর 'হোপ টোয়েন্টি ফোর'-এর বার্তা মমতার

বিজেপি-কে রুখতে হলে বিরোধীদের একজোট হতে হবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন একুশের মঞ্চেই। দিল্লিতে সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠক সেরেও একই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে বাকি এখনও বছর তিনেক। তবে এখন থেকেই বিজেপি বিরোধী জোটের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, বিজেপি-কে হারাতে সবাইেক একজোট হয়ে লড়তে হবে। আমি একা কিছু করতে পারব না। আমি লিডার নই, আমিও ক্যাডার। আমি স্ট্রিট ফাইটার। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে সকলকে। ২০২৪-এ বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশা জোগাতে হোপ টোয়েন্টি ফোর বার্তাও দেন মমতা।আরও পড়ুনঃ তিরন্দাজিতে পদকের আশা জাগিয়ে রাখলেন দীপিকা কুমারীতাঁর মতে, ২০২৪-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে হারাতে হলে সব বিরোধী দলগুলিকে একজোট হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সনিয়ার সঙ্গে জোট নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে বলে জানালেও, বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন বলে সেখানে মন্তব্য করেন মমতা। বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী এবং রাহুল গান্ধির সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা। বিজেপি বিরোধী জোটে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন কি না, তাঁর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মমতা বলেন, বিজেপি-কে হারাতে হলে সকলকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। একা আমি কিছু করতে পারব না। আমি লিডার নই, ক্যাডার। আমি স্ট্রিট ফাইটার।বুধবার ১০ নম্বর জনপথে সনিয়ার সঙ্গে রাহুলও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, আমাকে চায়ের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন সনিয়াজি। রাহুলজিও ছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে পেগাসাস এবং কোভিড নিয়েও। ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফল বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী আমি।

জুলাই ২৮, ২০২১
দেশ

Mamata-Kamalnath: মমতার 'ক্ষমতায়' বিশ্বাসী কমলনাথ

বিরোধী জোটে সিলমোহর দিতে দিল্লি সফরে গিয়েছেন। বুধবার তা নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। তার আগে মঙ্গলবার দিল্লিতে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। এই সময় কমলনাথের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মমতা কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর, ২০০১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট গড়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কমলনাথের। তাই সনিয়ার সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার আগে কমলনাথের সঙ্গে পরামর্শ করেই মমতা এগোতে চাইছেন বলে জল্পনা।আরও পড়ুনঃ ইরাক থেকে সরবে মার্কিন সেনামঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলোয় মমতার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন কমলনাথ। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দুজনের মধ্যে। দুপক্ষের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী কোনও মন্তব্য করেননি যদিও। তবে ২০২৪-এ জোট গড়ার প্রসঙ্গ যে তাঁদের আলোচনায় উঠে এসেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। মমতার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে কমলনাথ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাতে এসেছিলাম। মূল্যবৃদ্ধি, আইন-শৃঙ্খলা-সহ একাধিক বিষয়ে ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ২০২৪-এর আগে জোট গড়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন, মানুষ পাশে থাকলে, যে কোনও শক্তিকেই রোখা সম্ভব। ২০২৪-এ বিরোধী জোটের চালকের আসনে মমতাকে বসানোর ক্ষেত্রে কমলনাথ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

জুলাই ২৭, ২০২১
কলকাতা

United India: শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে 'ইউনাইটেড ইন্ডিয়া'র ডাক

শহিদ দিবসে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা শোনাতে দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছিল। সেই হলে এদিন অভিনব বিরোধী জোটের সাক্ষী রইল গোটা দেশ। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুনতে দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, দিগ্বিজয় সিং, এনএসপি প্রধান শরদ পওয়ার, নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে, সমাজবাদি পার্টি নেত্রী জয়া বচ্চন। উপস্থিত ছিলেন রামগোপাল যাদব, ত্রিরুচি শিবা, কেশব রাও (টিআরএস), সঞ্জয় সিং, মনোজ ঝাঁ, প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী (শিব সেনা), বলবিন্দর সিং ভাণ্ডারি (অকালি দল)। রাজনৈতিক মহল বলছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে এদিন পাকিয়ে ফেলল তৃণমূল।আরও পড়ুনঃ লন্ডনের পর্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাজ কুন্দ্রা!শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান থেকে অবিজেপি নেতাদের তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, বাংলা দেখিয়েছে। সব রাজ্যকে বলছি, যান নিজেদের দলকে বোঝান। সবাই মিলে ফ্রন্ট বানান। রোগী মৃত্যুর পর ডাক্তার এলে কোনও লাভ হয় না। এখন আর সময় নেই। আমি দিল্লি যাচ্ছি। ২৬, ২৭, ২৮ এর মধ্যে কোনও মিটিং ডাকতে পারলে ডাকুন। সবাইকে মিলিয়ে আমরা ইউনাইটেড ইন্ডিয়া করতে চাই। এমনকী, জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলারও ডাক দিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি আরও বলেন, উন্নততর তৃণমূল গড়তে হবে। তবেই উন্নততর দেশ গড়তে পারব। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, নির্বাচনের আগে আড়াই বছর এখনও বাকি।ভোটের আগে জোট বেঁধে লাভ হবে না। আমাদের এখন থেকেই জোট বাঁধতে হবে। ভারতবাসীকে আলো দেখাতে হবে।

জুলাই ২১, ২০২১
রাজ্য

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর

সোমবারই জেলার পুলিশ সুপারকে কাশ্মীর বদলির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এক ডজন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।করোনাকালে সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে জমায়েত করা-সহ একাধিক কারণে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তমলুক থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা করেছে। এফআইআরে শুভেন্দু ছাড়াও নাম রয়েছে একাধিক বিজেপি বিধায়ক এবং নেতাদের। ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্ডা, ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি, খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কান্তি দাস এবং হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের নাম রয়েছে এই এফআইআর-এ।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো থেকে একাধিক অভিযোগে সোমবার তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। জেলার বিজেপি বিধায়ক ছাড়াও সেই সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সমাবেশ থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথকে কাশ্মীরে বদলির হুমকি দেন তিনি।পুলিশ সূত্রে দাবি, বেআইনি জমায়েত, সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ফোনে আড়িপাতা, পুলিশকে হুমকি দেওয়া, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০ টির বেশি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজনীতি

Assembly: বিধানসভার স্পিকারকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর

বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করায় তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর জবাবি ভাষণ দেন বিধায়করা। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন শুরু করতেই বিরোধী দলের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনার কথা বলা হয়। যদিও অধ্যক্ষ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। রাজ্যপালের ভাষণের পর এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই বিধানসভার ভিতরে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ শুরু হয়। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এমন দলদাস স্পিকার আগে দেখিনি। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।আরও পড়ুনঃ ফের শহরে গ্রেপ্তার ভুয়ো অফিসারবিধানসভার অধিবেশনের বয়কট করার পর স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক সম্মেলন তিনি বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। তাঁর দল জিতেছে। যিনি তাঁকে হারিয়েছেন, তিনি বিরোধী দলনেতা হয়েছে। একথা বিধানসভায় বলা যাবে না! মমতার চোখে ইশারায় রে রে করে উঠলেন তৃণমূল বিধায়করা। শুভেন্দুর কথায়, আইনমন্ত্রী কানে কানে গিয়ে বলল। তারপর স্পিকার বলছে, বিষয়টি সাব জুডিস। কিন্তু কোনও অন্তর্বর্তীকালীন রায় নেই। প্রশ্ন তুললেন, তাহলে আমি এখানে থাকব কেন? আমাকে বের করে দিন।বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের হইচই, আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা বিজেপি বিধায়কের আছে। তাহলে ওয়াকআউট কেন? শুভেন্দুর সাফ কথা, স্পিকার বিরোধীদের সংরক্ষণ দেবেন, আইন মেনে চলবেন। তাঁর শাসকদলের প্রতি, যে দলের প্রতীকে জিতেছেন, সেই দলের প্রতি দূর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। সেকারণেই আমরা বিধানসভা বয়কট করলাম। আমরা সাধারণ মানুষকে জানাতে চাই, বিধানসভায়ও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
কলকাতা

Suvendu Adhikari: সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণে সত্যি উল্লেখ ছিল না, তাই বাধা

বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি উল্লেখ করেনি শাসকদল। বরং সরকারের লেখা ওই ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগগুলোকে মিথ্যে বলে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল সরকার।আরও পড়ুনঃ বিধানসভায় নজিরবিহীন! ৭ মিনিটের ভাষণ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপালবিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যপালের ভাষণে দাবি করা হয়েছে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজ্যে কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থাকাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ফলে তার দায় নির্বাচন কমিশনের। এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি, রাজ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক। বিরোধীদের রাজ্য থেকে সমূলে উৎপাটন করার চেষ্টা করছে সরকার। স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েমের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখই ছিল না রাজ্যপালের ভাষণে। তৃণমূলের গুন্ডা ও নিষ্ক্রিয় পুলিশের ভূমিকার উল্লেখ নেই। সেই কারণেই আমরা বাধা দিয়েছি।ভাষণের কোথাও হিংসার উল্লেখ নেই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এসেছে। হাইকোর্টের টিপ্পনি রয়েছে। ৯০০০ এফ আই আর হয়েছে। সাড়ে ৭ হাজার বাড়ি পুড়িয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ও ভোটার ঘরছাড়া। তবে রাজ্যপাল কেন ভাষণ সম্পূর্ণ করেননি, সে ব্যাপারে তাঁর জবাব, এর উত্তর মহামহিম রাজ্যপালই দিতে পারবেন।ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে সরব হয়েছেন, এদিন সেজন্য জগদীপ ধনখড়কে কৃতজ্ঞতা জানান শুভেন্দু অধিকারী। তবে সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি জানান, বিধানসভায় আগামিদিনেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সারা দিনের আলোচনা চাইবে বিজেপি। ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়েও সরকারকে আলোচনা করতে হবে।

জুলাই ০২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal